জুলিয়া রবার্টস সম্প্রতি তার বয়স হয়ে যাওয়া এবং অল্পবয়সী দেখানোর জন্য— তার অনেক সহকর্মীর মতো— বয়স না-লুকানো নিয়ে খোলামেলা আলাপে বলেছেনঃ
“আমি আত্মসম্মানের সাথেই বুড়ো হচ্ছি, মজা পাচ্ছি এতে, নিজেকে প্রশান্ত লাগছে আগের তুলনায়।
বুবস-লিফটিং বা বোটক্সের শরণাপন্ন হই না, জানি এতে হলিউড-স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী আমি আমার ক্যারিয়ারকে ঝুঁকিতে ফেলছি। যদি বয়স্ক দেখানোর কারণে তারা আমাকে ফিল্মে আর নিতে না-চায়, ভেবে নেবো— ঠিকাছে, আমার মতো জীবন নিয়ে আমি ভালো আছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে— নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যেয়ে কাজ করাকে গুরুত্বপূর্ণ না-ভাবা।
প্রচুর মাকে চিনি আমি, যারা জীবন সামলাতে ভীষণ বেগ পাচ্ছেন তাদের চেহারা নিয়ে অন্যে কী ভাবছে এই ভাবনা ভাবতে গিয়ে। এটা ভয়ানক সমস্যা। আমি ওই নারীদেরকে ভীষণ পছন্দ করি, যারা ক্যারিয়ার, পরিবার, সবদিক সামলাতে যেয়ে পরিশ্রমের দাগ চেহারায়-দেহে মেখেই দেখতে চমৎকার। সত্যি বলতে কী, আমার ভয় অন্যখানে।
আমি ভয়ে থাকি, আমার সন্তানদেরকে মানুষ করতে পারছি কিনা, তাদের সুন্দর আচারব্যবহারকে দুর্বলতা ভেবে অন্যরা তাদেরকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে কিনা। আমার কাছে— শুধুমাত্র নিজে রূপবতী থাকার চেয়ে আমার পরিবারকে রূপবতী করে তোলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আমার যা অর্জন, এ নিয়েই নিজেকে ভাগ্যবতী ভাবি। আমার স্বামী এবং বাচ্চাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার সুন্দরতম মুহূর্ত ওগুলো নয় যেগুলো আমি চলচ্চিত্রের সেটে কাটাই, বরঞ্চ ওই মুহূর্তগুলোই যেসব আমি পরিবারের সাথে ব্রেকফাস্টে কাটাই নানান খুনসুটিতে-অভিযোগে-আলাপে-অনুযোগে-মমতায়-অভিমানে-স্নেহে-ভালোবাসায় এবং সুখে।
মুহূর্তগুলো স্বপ্নের মতো!"
অন্তর্জাল 🖤
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন