এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫

টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইমিং আসলেই জিনিয়াস,,,,,,, ফাপরবাজ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 টিকটকে কন্টেন্ট বানিয়ে রাতারাতি অনেকেই বনে গেছেন জিরো থেকে হিরো, পেয়েছেন সেলিব্রিটি তকমা। তবে টিকটকের আসল হিরোর গল্পটা সবসময়ই রয়ে গেছে অজানা। মাত্র ৪০ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কোম্পানির সিইও বনে যাওয়া সেই জিনিয়াসের নাম ঝ্যাং ইমিং।


১৯৮৩ সালের পহেলা এপ্রিল চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে জন্ম নেয় বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ঝ্যাং ইমিং। তার বাবা-মা দু'জনেই ছিল সিভিল সার্ভেন্ট। স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকে বিজ্ঞানের নানা চমকপ্রদ আবিস্কারের প্রতি তার আগ্রহ গড়ে ওঠে। সেই আগ্রহ থেকেই ২০০১ সালে নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন ঝ্যাং।


ছোটবেলা থেকেই টেকনোলজির প্রতি ঝোক থাকায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকেই ঝ্যাং তার ব্যাচমেটদের চেয়ে অনেক বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। ফলে প্রফেসর ও স্টুডেন্টের মাঝে তার আলাদা জনপ্রিয়তা ছিল। এই জনপ্রিয়তার কারণে ইউনিভার্সিটি লাইফেই ঝ্যাং তার জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পান।


২০০৫ সালে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিটের এক বছর পর ঝ্যাং ‘কুসুন’ নামের একটি ট্রাভেল কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান করেন। তিন বছর পর ২০০৮ সালে ঝ্যাং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটে জয়েন করেন। তবে সেখানকার ধরাবাঁধা অফিস-লাইফে মন না বসায়, তিনি মাইক্রোসফট ছেড়ে একটি মাইক্রো-বগ্লিং কোম্পানিতে যোগ দেন। তবে মার্কেট ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় এক বছরের মাথায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায় এবং ঝ্যাং জবলেস হয়ে পড়েন।


মাইক্রোসফটে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ছেড়ে এমন অবস্থায় এসে অন্য কেউ যেখানে হাল ছেড়ে দিত, ঝ্যাং সেখানে নিজেই একটি বিজনেস খুলে বসেন। শুরু হয় স্বপ্নবাজ ঝ্যাং ইমিংয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। তিনি 99fang নামে একটি রিয়েল স্টেট সার্চিং সাইট খুলেন, যেটি ছয় মাসের মধ্যেই দেড় মিলিয়নের বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করে।


তবে নিজের পরিচয় বানানোর জন্য যে লোকটি মাইক্রোসফটের জব ছেড়েছিলেন, এটুকুতেই কি তিনি থেমে থাকতে পারেন? মোটেও না। ঝ্যাং আবারও নতুনভাবে চিন্তা শুরু করেন। ২০১২ সালে 99fang এর সিইও পোস্ট ছেড়ে তিনি নতুন এক কোম্পানি খুলেন, যেটির নাম দেন বাইটড্যান্স।


প্রথমদিকে ফান্ডের জন্য একাধিক প্রতিষ্ঠানের দারস্থ হয়েও ব্যর্থ হওয়ার পর একটি প্রতিষ্ঠান ঝ্যাংয়ের উদ্যোগে সাড়া দেয়। ৪০ জন কর্মী নিয়ে একটি ছোট ফ্ল্যাট ভাড়া করে শুরু হয় ঝ্যাং ইমিংয়ের স্বপ্নজয়ের যাত্রা। ২০১২ সালে নিজেদের প্রথম অ্যাপ ‘নেহান ডুয়ানজি’ লঞ্চ করে বাইটড্যান্স। এটি ছিল মূলত একটি মিমস ও জোকসের অ্যাপ।


অ্যাপটি অল্প সময়ের মধ্যে ট্রেন্ডে চলে আসে। অ্যাপটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে, কিছু ত্রুটির কারণে চীনা সরকার অ্যাপটি ব্যান করে দিলে, সাত শতাধিক ব্যবহারকারী প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। বাইটড্যান্সের উদ্যোগেই ২০১৫ সালে লঞ্চ করা হয় ‘ডোউইন’ যেটি বর্তমানে টিকটক নামে সবার কাছে পরিচিত।


টিকটক যখন লঞ্চ করা হয় তখন মার্কেটে এর সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিল আরেক চীনা অ্যাপ ‘মিউজিক.লি’। এক বছরের মধ্যে ঝ্যাং ইমিংয়ের বাইটড্যান্স ‘মিউজিক.লি’ অ্যাপটি ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নেয় এবং এর সব সাবস্ক্রাইবকে টিকটকে এড করে নেয়। তারপর চীনের সীমানা পেরিয়ে টিকটক বিশ্বের ১৫৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।


২০২১ সালে ঝ্যাং বাইটড্যান্স তথা টিকটকের সিইও পদ ছাড়লে কোম্পানির ৫০ শতাংশ মালিকানা তার দখলে রয়েছে।২০২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী, ৪৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ নিয়ে চীনের ধনী ব্যক্তিদের শীর্ষে রয়েছেন ৪১ বছর বয়সী এই লিভিং জিনিয়াস।


কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...