এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫

  ৬৬৭ ২০১২ সালের অক্টোবরে>, তিনি "রেড বুল স্ট্রাটোস" মিশনের অংশ হিসেবে পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার ওপরে হিলিয়াম বেলুনের সাহায্যে উঠেন। প্রায় ৩৯ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে পৃথিবীর দিকে ঝাঁপ দেন। এই উচ্চতা ছিলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তর যেখানে আকাশ পুরোপুরি কালো আর পৃথিবীকে অনেকটাই ক্ষুদ্র আর গোলাকৃতির দেখা যায়।


এই অভিযানের জন্য ফেলিক্সকে ছয় বছর ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। প্রথমে ভেবে ছিল এই ট্রেনিং মাত্র দুই বছরে শেষ হবে, কিন্তু ক্যাপসুল ও স্যুট তৈরি এবং অন্যান্য প্রস্তুতির জটিলতার কারণে সময় অনেক বেশি লেগে যায়। তার জন্য একটি বিশেষ হেলিয়াম বেলুন তৈরি করা হয়েছিল, যা ৩৩টি ফুটবল মাঠের সমান বড় ছিল। বেলুনটি এতই নাজুক ছিল যে এটা কন্ট্রোলের জন্য ২০ জন লোকের সাহায্য লাগত।


তার স্যুটটিও ছিলো খুব বিশেষভাবে তৈরি করা কারণ এটি ঠান্ডা (মাইনাস ৭২° সেলসিয়াস) থেকে তাকে বাঁচাবে এবং শরীরের ভেতরে চাপ বজায় রাখবে।। কিন্তু স্যুটটি ছিল খুব অস্বস্তিকর। পরে তাকে অনেকটা সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হতো, কারণ এটা বাইরের জগৎ থেকে তাকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখত। স্যুটের ভেতরে এতটা সময় কাটানোর মানসিক প্রস্তুতি নিতে তাকে অনেক মাস ধরে মানসিক ও শারীরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে।


ঝাঁপ দেওয়ার পর প্রথম কয়েক মিনিট ছিল সবচেয়ে কঠিন। লাফ দেওয়ার পর প্রথমে তিনি স্বাভাবিকভাবে পড়তে থাকেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার শরীর একদিকে ঘুরতে শুরু করে এবং তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকেন, এবং ক্রমশ এই ঘোরার গতি খুব বেশি বেড়ে যায়। এই সময় তার জন্য পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে, কারণ এত উচ্চতায় ঘোরার কোনো প্রোটোকল বা পূর্ব অনুশীলন ছিল না।


কিন্তু যখন তিনি বায়ুমণ্ডলের ঘন স্তরে যা আর্মস্ট্রং লাইন নামে পরিচিত সেখানে প্রবেশ করেন, তখন বাতাসের চাপ বাড়তে থাকে। সেই ঘন বাতাস তাকে শরীরের ঘূর্ণন বন্ধ করতে এবং স্থির হতে সাহায্য করে। এই সময় তার গতি ছিল শব্দের গতির চেয়েও বেশি, প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৮৪৪ মাইল প্রতি ঘণ্টা (১৩৫৭ কিমি/ঘণ্টা) যা শব্দের গতির চেয়ে ৭৫ মাইল বেশি। এটি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন ব্যক্তি যিনি অভিকর্ষ বলের প্রভাবে শব্দের গতিবেগের থেকেও দ্রুত চলেছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা 🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো… বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস...