এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

বিয়ে করতে যাওয়া ছেলেকে বাবা কাছে ডেকে মাথায় হাত রেখে বললেন,

 বিয়ে করতে যাওয়া ছেলেকে বাবা কাছে ডেকে মাথায় হাত রেখে বললেন,


 "আগেকার দিনে নতুন বৌকে পালকি চড়ানো হতো কেন জানিস? তাকে তো গরুর গাড়িতেও আনা যেত। তা না করে পালকিতে উঠানো হতো — সে কতটা সম্মানিত তা বোঝানোর জন্য। পালকি থেকে নামানোর পর এ সম্মান কমানো যাবে না। সারাজীবন পালকির সম্মানেই তাকে রাখতে হবে।


নতুন বউ পালকিতে উঠে কী করে জানিস?

কাঁদে।

কেন কাঁদে?

শুধু ফেলে আসা স্বজনদের জন্য না, নতুন জীবন কেমন হবে সেই ভয়েও কাঁদে। তোর চেষ্টা হবে পালকির কান্নাই যেন তার জীবনের শেষ কান্না হয়।

এরপর আর মাত্র দুটো উপলক্ষ্যে সে কাঁদবে।


০১, মা হওয়ার আনন্দে।

০২, তুই মারা গেলে।


মাঝখানে যত শোক আসবে তুই তার চোখের পানি মুছে দিবি।


বৌ সবচেয়ে কষ্ট পায় কিসে জানিস?

স্বামীর খারাপ ব্যবহারে।


দেখ আমি খুবই বদমেজাজি, কিন্তু কেউ বলতে পারবে না আমি তোর মায়ের সাথে কোনোদিন উঁচু গলায় কথা বলেছি। বিয়ে মানে আরেকটি মেয়ের দায়িত্ব নেওয়া। এটা ঠিকভাবে পালন না করলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দায়ী থাকতে হয়।


বৌয়ের মা-বাবাকে কখনো "আমার শ্বশুর", "আমার শাশুড়ি" এগুলো ডাকবি না। মা-বাবা ডাকবি। আগের ডাকগুলো কোনো মেয়ে পছন্দ করে না। তুই ওগুলো ডাকলে বৌও আমাদের ওই নামেই ডাকবে। এটাই নিয়ম।


মনে রাখিস, সৃষ্টিকর্তার পাল্লা সমান। এক পাল্লায় তুই যা রাখবি, তিনি অন্য পাল্লায় ঠিক তাই রেখে দুই দিকের ওজন সমান রাখবেন।

বাংলাদেশ  মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) টেস্ট ফি তালিকা (২০২৫)

 🧪 বাংলাদেশ  মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) টেস্ট ফি তালিকা (২০২৫)


🩸 রক্ত ও হেমাটোলজি টেস্ট:


✅ CBC (OPD): ৩০০ টাকা

✅ CBC (IPD): ২০০ টাকা

✅ PBF (Peripheral Blood Film): ২০০ টাকা

✅ Hb%, TCDC, Platelet (প্রতি টেস্ট): ১০০ টাকা

✅ ESR: ১০০ টাকা

✅ Reticulocyte Count: ৫০০ টাকা

✅ Osmotic Fragility of RBC: ৭০০ টাকা

✅ MP (Malarial Parasite): ১০০ টাকা

✅ PT/APTT: ৩০০ টাকা

✅ D-Dimer: ৮০০ টাকা


🧬 বায়োকেমিক্যাল ও সেরাম টেস্ট:


✅ Serum Bilirubin (Total/Direct): ১০০ টাকা

✅ SGPT / Creatinine: ১০০ টাকা

✅ Urea / Uric Acid / Calcium: ১০০ টাকা

✅ LDH: ৪০০ টাকা

✅ RBS / FBS: ৫০ টাকা

✅ HBsAg Screening: ২০০ টাকা

✅ Electrolytes: ৩০০ টাকা

✅ Serum Iron: ৩০০ টাকা

✅ Ferritin: ৫০০ টাকা

✅ TIBC: ৩০০ টাকা

✅ Vitamin D Level: ২,৫০০ টাকা

✅ Serum Amylase: ৫০০ টাকা

✅ Serum Lipase: ৬০০ টাকা

✅ CRP (Quantitative): ২৫০ টাকা


🧫 স্পেশাল টেস্ট ও প্যাথলজি:


✅ CSF for Malignant Cell: ৭৫০ টাকা

✅ Ascitic/Pleural Fluid for Malignant Cell: ৭৫০ টাকা

✅ Bone Marrow (OPD): ১,২০০ টাকা

✅ Bone Marrow (IPD): ১,০০০ টাকা

✅ Bone Marrow Review: ১,০০০ টাকা

✅ Factor VIII / IX Assay: ১,০০০ টাকা

✅ Intrathecal Medication (IT): ২০০ টাকা


🔬 স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন:


✅ Immunophenotyping (Acute Leukemia): ১২,০০০ টাকা

✅ MRD (B-ALL / T-ALL): ১৬,০০০ টাকা

✅ Hb Electrophoresis: ১,২০০ টাকা

✅ CD-19 Level: ২,০০০ টাকা


💉 ডে কেয়ার সেবা:


✅ Injectable Chemotherapy (প্রতি ওষুধ): ১০০ টাকা


---


📌 নোট: ফিগুলো সময় ও বিভাগ অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। সঠিক তথ্যের জন্য হাসপাতালের নির্ধারিত কাউন্টারে যোগাযোগ করুন।


🌐 ওয়েবসাইট: www.bsmmu.ac.bd

📍 ঠিকানা: শাহবাগ, ঢাকা-১০০০

📞 ফোন: +৮৮০ ২ ৫৫১৬৫৯০১-৬০


#BSMMU #PGHospital #TestFees #DhakaHospital #HealthInfoBD

মুরগীর পক্স রোগের চিকিৎসা

 ## মুরগীর পক্স রোগের চিকিৎসা


মুরগীর পক্স একটি ভাইরাসজনিত রোগ, তাই এর **কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই**। তবে, আক্রান্ত মুরগীর কষ্ট লাঘব করা, সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ করা এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।


**মুরগীর পক্স রোগের চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য:**


* **সহায়ক চিকিৎসা প্রদান:** মুরগীর কষ্ট কমানো এবং শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখা।

* **সেকেন্ডারি সংক্রমণ প্রতিরোধ:** ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ক্ষত আরও জটিল হতে পারে, তাই তা প্রতিরোধ করা জরুরি।

* **রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:** মুরগীর নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা।


**চিকিৎসার পদ্ধতি:**


১. **আক্রান্ত মুরগীকে আলাদা করা:** পক্সের লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত আক্রান্ত মুরগীকে সুস্থ মুরগী থেকে আলাদা করে ফেলতে হবে। এটি রোগের বিস্তার রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


২. **ক্ষতের পরিচর্যা:**

   * **পরিষ্কার রাখা:** আক্রান্ত স্থানের গুটি বা ক্ষত সাবধানে পরিষ্কার রাখতে হবে। হালকা গরম পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে আলতোভাবে মুছতে পারেন।

   * **জীবাণুনাশক ব্যবহার:** পশুচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়োডিন দ্রবণ বা অন্য কোনো হালকা জীবাণুনাশক (যেমন পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের হালকা দ্রবণ) আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

   * **মলম ব্যবহার:** পশুচিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিকযুক্ত মলম (যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকে) বা ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক মলম ব্যবহার করা যেতে পারে।


৩. **সহায়ক চিকিৎসা:**

   * **সুষম ও নরম খাদ্য:** আক্রান্ত মুরগীকে সহজে হজমযোগ্য এবং পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে হবে। নরম খাবার (যেমন ভেজা খাবার বা নরম ভাত) খেতে সুবিধা হবে যদি মুখে বা গলায় গুটি থাকে।

   * **পর্যাপ্ত জল সরবরাহ:** ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার জল সরবরাহ করতে হবে। ইলেক্ট্রোলাইট মিশ্রিত জল দেওয়া যেতে পারে।

   * **ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ:** রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন (বিশেষ করে ভিটামিন এ, সি এবং ই) এবং খনিজ মিশ্রণ সরবরাহ করা যেতে পারে। এটি দ্রুত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে।

   * **আরামদায়ক পরিবেশ:** আক্রান্ত মুরগীকে শান্ত, পরিষ্কার এবং আরামদায়ক পরিবেশে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় বা চাপ এড়িয়ে চলুন।


৪. **সেকেন্ডারি সংক্রমণ প্রতিরোধ:**

   * পশুচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যায় (যেমন ক্ষত থেকে পুঁজ বের হওয়া, জ্বর)।


**গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:**


* **পশুচিকিৎসকের পরামর্শ:** মুরগীর পক্সের চিকিৎসা এবং ঔষধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি রোগের তীব্রতা এবং মুরগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন।

* **নিজেই চিকিৎসা না করা:** ভুল চিকিৎসার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

* **পুরো পালের ব্যবস্থাপনা:** যদি পালের একাধিক মুরগী আক্রান্ত হয়, তবে পুরো পালের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে (যেমন জৈব নিরাপত্তা, মশা নিয়ন্ত্রণ)।


মনে রাখবেন, মুরগীর পক্সের কোনো সরাসরি ঔষধ না থাকলেও সঠিক পরিচর্যা এবং সহায়ক চিকিৎসার মাধ্যমে আক্রান্ত মুরগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব এবং অন্যান্য মুরগীকে রক্ষা করা যায়।

। #farming #chicken 

#মুরগির_পক্স

ট্রানজিস্টর সুইচ হিসেবে কাজ করার ব্যাখ্যা: 

 ট্রানজিস্টর সুইচ হিসেবে কাজ করার ব্যাখ্যা: 


ট্রানজিস্টর দুইটি প্রধান অবস্থা (State) নিতে পারে, যা একটি সুইচের ON ও OFF অবস্থার মতো কাজ করে:


#Cutoff Region (OFF অবস্থাঃ সুইচ বন্ধ)

যখন বেস কারেন্ট (IB) থাকে না বা খুবই কম হয়, তখন ট্রানজিস্টর কন্ডাক্ট করে না। এতে করে কালেক্টর-ইমিটার পথে কোনো কারেন্ট প্রবাহিত হয় না। এই অবস্থায় ট্রানজিস্টর OFF, মানে সুইচ বন্ধ।


#Saturation Region (ON অবস্থাঃ সুইচ চালু)

যখন বেসে যথেষ্ট ভোল্টেজ ও কারেন্ট (VBE ≈ 0.7V for Si) দেয়া হয়, তখন ট্রানজিস্টর পুরোপুরি কন্ডাক্ট করে। কালেক্টর-ইমিটার রাস্তায় পূর্ণ কারেন্ট প্রবাহিত হয়। এই অবস্থায় ট্রানজিস্টর ON, মানে সুইচ চালু।


সার্কিটে ব্যবহার:

(i) একটি সাধারণ ট্রানজিস্টর সুইচ সার্কিট নিচের মত হয় (ছবি B অনুসারে):

(ii) বেসে রেজিস্টরের মাধ্যমে ভোল্টেজ দিলে ট্রানজিস্টর চালু হয়।

(iii) কালেক্টর ও ইমিটারের মাঝে একটি লোড সংযুক্ত থাকে।

(iv) বেসে ইনপুট সিগনাল দিয়ে লোড চালু বা বন্ধ করা যায়।


উদাহরণ: একটি ট্রানজিস্টরের মাধ্যমে এলইডি চালানো হলে:

i) ইনপুট = LOW (0V) → বেসে ভোল্টেজ না থাকায় ট্রানজিস্টর বন্ধ → এলইডি OFF

ii) ইনপুট = HIGH (5V) → বেসে ভোল্টেজ আসায় ট্রানজিস্টর চালু → এলইডি ON


সুবিধাসমূহ: খুব দ্রুত সুইচিং (ON/OFF), কম শক্তি ক্ষয়, ছোট আকৃতি ও উচ্চ নির্ভরযোগ্যতা

কবি কাজী নজরুলের নারী কবিতাটি একবার পড়ে দেখুন মন ভালো হয়ে যাবে।  সংক্ষিপ্ত দেওয়া হলো

 কবি কাজী নজরুলের নারী কবিতাটি একবার পড়ে দেখুন মন ভালো হয়ে যাবে। 

সংক্ষিপ্ত দেওয়া হলো


নারী

- কাজী নজরুল ইসলাম


সাম্যের গান গাই -

আমার চক্ষে পুরুষ-রমনী কোনো ভেদাভেদ নাই।

বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর।


বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি

অর্ধেক তার আনিয়াছে নর,অর্ধেক তার নারী।


নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা’ করে নারী হেয়-জ্ঞান? 

তারে বল,আদি-পাপ নারী নহে,

সে যে নর-শয়তান।

অথবা পাপ যে - শয়তান যে - নর নহে নারী নহে, 

ক্লীব সে, তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।

এ-বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল,

ফলিয়াছে যত ফল 

নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল


তাজমহলের পাথর দেখেছে,

দেখিয়াছ তার প্রাণ?

অন্তরে তার মোমতাজ নারী,

বাহিরেতে শা-জাহান।


জ্ঞানের লক্ষ্ণী, গানের লক্ষ্ণী, শস্য-লক্ষ্ণী নারী,

সুষমা-লক্ষ্ণী নারীই ফিরিছে রূপে রূপে সঞ্চারি’।

পুরুষ এনেছে দিবসের জ্বালা তপ্ত রৌদ্রদাহ,

কামিনী এনেছে যামিনী-শান্তি, সমীরণ, বারিবাহ।

দিবসে দিয়াছে শক্তি-সাহস,নিশীথে হয়েছে বধু,

পুরুষ এসেছে মরুতৃষা লয়ে,নারী যোগায়েছে মধু।

শস্যক্ষেত্র উর্বর হ’ল,পুরুষ চালাল হাল

নারী সে মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল।

নর বাহে হল,নারী বহে জল,সেই জল-মাটি মিশে’

ফসল হইয়া ফলিয়া উঠিল সোনালি ধানের শীষে।

স্বর্ণ-রৌপ্যভার

নারীর অঙ্গ-পরশ লভিয়া হয়েছে অলঙ্কার।

নারীর বিরহে,নারীর মিলনে,নর পেল কবি-প্রাণ

যত কথা তার হইল কবিতা,শব্দ হইল গান।

নর দিল ক্ষুধা,নারী দিল সুধা,সুধায় ক্ষুধায় মিলে’

জন্ম লভিছে মহামানবের মহাশিশু তিলে তিলে।

জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান

মাতা ভগ্নী ও বধুদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।

কোন রণে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে,

কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।

কত মাতা দিল হৃদয় উপাড়ি’ কত বোন দিল সেবা

বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?


কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি,

প্রেরণা দিয়াছে,শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্ণী নারী।

রাজা করিতেছে রাজ্য-শাসন,রাজারে শাসিছে রানী

রানির দরদে ধুইয়া গিয়াছে রাজ্যের যত গ্লানি।


পুরুষ হৃদয়হীন,

মানুষ করিতে নারী দিল তারে আধেক হৃদয় ঋণ।

ধরায় যাঁদের যশ ধরে না ক’ অমর মহামানব,

বরষে বরষে যাঁদের স্মরণে করি মোরা উৎসব।

খেয়ালের বশে তাঁদের জন্ম দিয়াছে বিলাসী পিতা।

লব-কুশে বনে তাজিয়াছে রাম,পালন করেছে সীতা।

সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো জিরা চাষ! কৃষক পলাশের সফলতার গল্প 

 **🌱 সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো জিরা চাষ! কৃষক পলাশের সফলতার গল্প 🏆**  


**"ভারত থেকে শিখে এনেছি জিরা চাষের কৌশল, এখন বাংলাদেশেই করছি সফল চাষ!"**  

- **মাহবুবুল ইসলাম পলাশ** (জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষি উদ্যোক্তা)  


### **🌿 কেন এই চাষ বিশেষ?**  

✅ সিরাজগঞ্জের **কামারখন্দে প্রথমবার** বারি-১ জাতের জিরা চাষ  

✅ মাত্র **১০ শতক** জমিতে শুরু, সম্ভাব্য আয় **১.৫ লাখ টাকা**  

✅ স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি **রপ্তানির সুযোগ**  


### **💰 অর্থনৈতিক সম্ভাবনা:**  

- **প্রত্যাশিত উৎপাদন:** ২০ কেজি  

- **বাজার মূল্য:** প্রতি কেজি ৭,০০-৮,০০ টাকা  

- **মোট আয়:** ~১.৫ লাখ টাকা  


### **👨‍🌾 কৃষক পলাশের অনুপ্রেরণা:**  

> *"বগুড়ার এক কৃষকের কাছ থেকে শিখে, ভারতীয় পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেছি। সফল হলে অন্য কৃষকদেরও প্রশিক্ষণ দেব।"*  


### **🌾 কৃষি বিভাগের প্রতিক্রিয়া:**  

**কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা** বলেন,  

*"এটি একটি উদ্যোগী প্রকল্প। ফলন ভালো হলে জেলায় ব্যাপক সম্প্রসারণ করা হবে।"*  


**জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর** যোগ করেন,  

*"আমরা মশলা চাষ (জিরা, দারুচিনি, আদা) বৃদ্ধিতে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছি।"*  


---  

### **📌 জিরা চাষের সুবিধা:**  

✔️ কম পানিতে চাষ সম্ভব  

✔️ শীতকালীন ফসল (অক্টোবর-মার্চ)  

✔️ উচ্চ বাজার মূল্য  


---  

### **🌱 আপনিও কি কৃষি উদ্যোক্তা হতে চান?**  

**সরকার এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড** থেকে পেতে পারেন:  

- **হাইব্রিড বারোমাসী সজিনা**  

- **পেপে/বেগুন/মরিচ/টমেটোর চারা ও বীজ**  

- **মাটিবিহীন উন্নত চারা**  


📞 **যোগাযোগ:** ০১৭৪৬৭৭৬৬১৬ / ০১৭৫২০৭৩৩৩১  


---  

**#জিরা_চাষ #মশলা_ফসল #সিরাজগঞ্জ #কৃষি_উদ্যোক্তা #সরকার_এগ্রো**  


**📢 শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন এই সফলতার গল্প!**  

*"নতুন চিন্তা + সাহস = কৃষিতে সাফল্য"* 💚🌾  


> **⚠️ নোট:** জিরা চাষে আগ্রহী কৃষকরা স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিন।

গল্প: লাল ময়ূর আর চালাক ছাগল

 গল্প: লাল ময়ূর আর চালাক ছাগল


এক বনে বাস করত এক চালাক ছাগল আর এক ধূর্ত শিয়াল। ছাগল ছিল ভদ্র, কিন্তু খুব চতুর। আর শিয়াল ছিল একটু বেশিই বুদ্ধিমান, তবে নিজের লাভ ছাড়া কিছু ভাবত না।


একদিন শিয়াল খবর পেল,

— "পাহাড়ের ওপারে এক লাল ময়ূর আছে, যার ছায়া পড়লে মানুষ ধনী হয়ে যায়।"


শিয়াল ভাবল,

— “একলা গেলে বিপদ হতে পারে, তাই ছাগলকে নিয়ে যাই। আর ঠিক সময়ে তাকে ঠকিয়ে দিয়ে নিজেই লাল ময়ূরটাকে পেয়ে যাব।”


সে ছাগলকে বলল,

— “ভাই, এক লাল ময়ূর আছে, যার ছায়া পড়লেই সোনা ঝরে! চল, দুজন মিলে খুঁজি।”


ছাগল হেসে বলল,

— “চল ভাই!”


পাহাড় ডিঙিয়ে তারা পৌঁছাল এক গুহার সামনে। সেখানে সত্যিই এক লাল ময়ূর দাঁড়িয়ে — চোখে এক রকম আগুন।


শিয়াল বলল,

— “তুই দাঁড়া, আমি আগে গিয়ে দেখি নিরাপদ কিনা।”


কিন্তু ছাগল চুপচাপ একটা গাছের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকল।


শিয়াল গিয়ে ময়ূরের ছায়ায় দাঁড়াতেই, ময়ূর গর্জে উঠল,

— “আমি সেই রক্ষক, যে লোভীদের পাথরে পরিণত করি।”


এক ঝলক আলোয় শিয়াল পাথরে পরিণত হল।


ছাগল সামনে এগিয়ে এল, ময়ূর হেসে বলল,

— “তুই এলি না কেন?”


ছাগল বলল,

— “যে আমাকে দাওয়াত দেয় ঠকানোর জন্য, তাকে আগে যেতে দিতে হয় — এটা আমার নীতিতে আছে।”


ময়ূর হেসে মাথা নাড়ল,

— “চতুর ছাগল, তুইই একমাত্র যে বোঝে ঠকানোর আগে ঠকে যাওয়ার গল্প।”


তারপর থেকে লাল ময়ূর ছাগলকে তার পাহাড়ে পাহারাদার বানিয়ে রাখল — কারণ চালাকির চেয়ে নীতিবোধ বেশি মূল্যবান।


শেষ কথা:

ঠকানোর ইচ্ছা যার, সে নিজেই ঠকে যায় — আর যে বোঝে কোন মুহূর্তে এগোতে হয়, সে-ই জেতে।

জিপিএস কীভাবে কাজ করে

 জিপিএস কীভাবে কাজ করে


জিপিএস অথবা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম হচ্ছে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত একটি নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম, যেটা একই সময়ে আপনার অবস্থান, গতি আর সময়ের তথ্য দিতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তৈরি স্যাটেলাইট ভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম। 


জিপিএস পৃথিবীর যেকোনো জায়গায়, যেকোনো আবহাওয়ায়, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। এটি ব্যবহার করার জন্য কোনো সাবস্ক্রিপশন ফি বা সেটআপ চার্জ দিতে হয় না। 


যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ (USDOD) প্রথমে সামরিক প্রয়োজনে এই স্যাটেলাইটগুলি মহাকাশে পাঠিয়েছিল। পরে আশির দশকে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য এগুলি খুলে দেওয়া হয়।


আজকাল জিপিএস দেখা যায় সবখানে। আপনার গাড়িতে, স্মার্টফোনে, এমনকি হাতঘড়িতেও জিপিএস আছে। জিপিএস আপনাকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে রাস্তা চেনায় সাহায্য করতে পারে।  

.


জিপিএস কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?


জিপিএস হল এক ধরনের নেভিগেশন সিস্টেম যেটা স্যাটেলাইট, রিসিভার এবং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে আকাশ, সমুদ্র ও স্থলপথে ভ্রমণের সময় অবস্থান, গতি ও সময়ের তথ্য দেয়।


এই স্যাটেলাইট ব্যবস্থায় পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ৬টি কক্ষপথে অন্তত ২৪টি স্যাটেলাইট (কার্যকর সংখ্যা প্রায়শই ৩০টির বেশি) থাকে। প্রতিটি কক্ষপথে আছে ৪টি করে স্যাটেলাইট। এগুলির অবস্থান পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩,০০০ মাইল (২০,০০০ কিলোমিটার) ওপরে আর এগুলি ঘণ্টায় প্রায় ৮,৭০০ মাইল (১৪,০০০ কিলোমিটার) গতিতে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে।


পৃথিবীর পৃষ্ঠে নির্ভুল অবস্থান নির্ণয়ের জন্য ৩টি স্যাটেলাইট থেকে তথ্য পেলেই যথেষ্ট। তবে অনেক সময় চতুর্থ একটি স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়, যার কাজ হল বাকি ৩ স্যাটেলাইটের দেওয়া তথ্য যাচাই করা। এই চতুর্থ স্যাটেলাইট ত্রিমাত্রিক ধারণা বুঝতেও সাহায্য করে। তাই আমরা জিপিএস ডিভাইসে উচ্চতা বের করতে পারি।

.


জিপিএস-এর তিনটি অংশ কী কী?


জিপিএস মূলত তৈরি আলাদা তিনটি অংশ দিয়ে। এই তিনটি অংশ একসাথে কাজ করার কারণে আমরা অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাই।


১. জিপিএসের তিনটি অংশের মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে স্পেস বা মহাকাশের স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে এবং ব্যবহারকারীদের কাছে ভৌগোলিক অবস্থান ও দিনের সময় সম্পর্কে তথ্য পাঠায়।


২. দ্বিতীয় অংশটি হল গ্রাউন্ড কন্ট্রোল বা ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এতে থাকে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বসানো মনিটরিং স্টেশন, মাস্টার কন্ট্রোল স্টেশন আর গ্রাউন্ড অ্যান্টেনা। গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনের কাজ হল মহাকাশে থাকা স্যাটেলাইটগুলির গতিবিধি দেখা, স্যাটেলাইটগুলি নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাদের পাঠানো সিগন্যাল পর্যবেক্ষণ করা। 


উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ প্রায় সব মহাদেশে এমন মনিটরিং স্টেশন রয়েছে।


৩. তৃতীয় অংশটি হচ্ছে ইউজার ইকুইপমেন্ট বা আমাদের হাতে থাকা ডিভাইস যেমন হাতঘড়ি, স্মার্টফোন ইত্যাদি। আর আছে টেলিম্যাটিক ডিভাইস, যাতে জিপিএস রিসিভার ও ট্রান্সমিটার থাকে।

.


জিপিএস টেকনোলজি কাজ করে কীভাবে


জিপিএস কাজ করে ট্রাইল্যাটারেশন নামের একটি বিশেষ টেকনিকে। এই পদ্ধতিতে অবস্থান, গতি ও উচ্চতা হিসাব করা যায়। এর কাজ আসলে স্যাটেলাইট থেকে আসা সিগন্যাল ব্যবহার করে অবস্থানের তথ্য বের করা।


পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইটগুলি পৃথিবীর পৃষ্ঠে বা তার আশেপাশে থাকা জিপিএস ডিভাইসে সিগন্যাল পাঠায়। ডিভাইসগুলি ওই সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং এর কোড পুনরুদ্ধার বা ডিকোড করে। অবস্থান নির্ণয় করার জন্য, একটা জিপিএস ডিভাইসকে এমন কমপক্ষে ৪টা স্যাটেলাইটের সিগন্যাল ধরতে হয়।


প্রতিটি স্যাটেলাইট দিনে দুইবার পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে আসে। এ সময় স্যাটেলাইটগুলি তাদের স্বতন্ত্র একটি সিগন্যাল পাঠায়। এই সিগন্যালের মধ্যে থাকে সেই স্যাটেলাইটের কক্ষপথ ও সময়ের তথ্য। যেকোনো মুহূর্তে একটি জিপিএস ডিভাইস ছয়টি বা তার বেশি স্যাটেলাইটের সিগন্যাল ধরতে পারে।


একটি স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল পাঠায়। এরপর সেটা জিপিএস ডিভাইস গ্রহণ করে। এরপর ডিভাইস থেকে ওই স্যাটেলাইটের দূরত্ব কত তা নির্ণয় করে। যেহেতু একটি জিপিএস ডিভাইস কেবল একটি স্যাটেলাইট থেকে তার দূরত্বের তথ্য দিতে পারে, তাই একটি মাত্র স্যাটেলাইটের সাহায্যে বেশি অবস্থানের তথ্য পাওয়া যায় না। 


স্যাটেলাইট কিন্তু কোণের তথ্য পাঠায় না। তাই সেই জিপিএস ডিভাইসের অবস্থান একটি গোলকের পৃষ্ঠের যেকোনো জায়গায় হতে পারে।


তবে বাস্তবে আমরা একটা থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক দুনিয়ায় বাস করি। তাই আসলে প্রতিটা স্যাটেলাইট থেকে একটা বৃত্ত না, বরং একটা গোলক (স্ফিয়ার) তৈরি হয়। তিনটা গোলক একসঙ্গে কাটলে দুটি পয়েন্ট পাওয়া যায়, আর তখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের পয়েন্টটাকেই ডিভাইসের অবস্থান হিসাবে চিহ্নিত করা যায়।


যখন একটা জিপিএস ডিভাইস স্থান পরিবর্তন করে, তখন ব্যাসার্ধ বা স্যাটেলাইটের সাথে দূরত্বও পাল্টে যায়। ব্যাসার্ধ পাল্টালে আবার নতুন গোলক তৈরি হয়, যার থেকে নতুন অবস্থান পাওয়া যায়। এই ইনফো আর স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া সময়ের তথ্য হিসাব করে মিলিয়ে আমরা ডিভাইসের গতি বের করতে পারি। একই সাথে আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানে যেতে আর কত দূর যেতে হবে সেটাও হিসাব করতে পারি। পাশাপাশি পৌঁছানোর সম্ভাব্য সময়ও (ETA) জানতে পারি।

.


জিপিএস এর ব্যবহারগুলি কী কী


জিপিএস এমন একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য টুল যেটা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নানাভাবে সাহায্য করে। জরিপকারী, বিজ্ঞানী, পাইলট, জাহাজের ক্যাপ্টেন, জরুরি সেবাদানকারী, খনি বা কৃষিকাজের কর্মী—প্রতিদিনই এই পেশাজীবীরা তাদের কাজে জিপিএস ব্যবহার করেন। 


নির্ভুল জরিপ অথবা ম্যাপ বানানো, নিখুঁতভাবে সময় নির্ণয় করা, কারও অবস্থান ট্র্যাক করা আর পথ চেনার জন্য তথ্য দেয় জিপিএস। সব ধরনের আবহাওয়ায় প্রায় সব সময়ই জিপিএস সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।


জিপিএসের মোটামুটি ৫টি প্রধান ব্যবহার আছে:


১. অবস্থান: কোনো জায়গার অবস্থান বের করা


২. দিক নির্ণয়: এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া


৩. ট্র্যাকিং: মানুষ বা গতিশীল কোনোকিছুর চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করা


৪. ম্যাপিং: বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ম্যাপ তৈরি করা


৫. সময় নির্ণয়: নিখুঁতভাবে সময়ের হিসাব রাখা

.


বিভিন্ন কাজে জিপিএস ব্যবহারের উদাহরণ


জরুরি সেবা: জরুরি পরিস্থিতি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উদ্ধারকর্মীরা ম্যাপিং, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাসের জন্য এবং কর্মীদের গতিবিধি ট্র্যাক করার কাজে জিপিএস ব্যবহার করে।


স্বাস্থ্য ও ফিটনেস: স্মার্টওয়াচ এবং ওয়েরেবল ডিভাইস ব্যবহার করে ফিটনেস অ্যাকটিভিটি (যেমন দৌড়ানোর দূরত্ব) ট্র্যাক করা যায় এবং অন্যদের সাথে নিজের পারফর্মেন্স তুলনা করা যায়।


নির্মাণকাজ, খনি এবং অফ-রোড ট্রাকিং: যন্ত্রপাতির অবস্থান শনাক্ত করা থেকে শুরু করে যানবাহনের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার বাড়াতে সাহায্য করে জিপিএস সিস্টেম।  


পরিবহন: লজিস্টিকস বা পরিবহন কোম্পানির চালকদের প্রোডাক্টিভিটি (উৎপাদনশীলতা) ও নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য টেলিম্যাটিক্স সিস্টেম ব্যবহার করে। লরি ট্র্যাকার ব্যবহার করে মালবাহী যানবাহনের রুট অপটিমাইজেশন (পথ নির্ধারণ), জ্বালানি খরচ কমানো, চালকের নিরাপত্তা এবং সড়ক নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করা যায়।


বিনোদন: পোকেমন গো এবং জিওক্যাশিং-এর মত বিভিন্ন গেমস ও অ্যাকটিভিটিতে জিপিএস ব্যবহার করা হয়।


এছাড়া কৃষিকাজ, মাছ শিকার, স্বয়ংক্রিয় যানবাহন (অটোনোমাস ভেহিকেল), সেলস অ্যান্ড সার্ভিস, সামরিক খাত, মোবাইল কমিউনিকেশন এবং নিরাপত্তা তদারকিতে জিপিএস ব্যবহার করা হয়।

.


জিপিএস কতটা নির্ভুল


জিপিএস ডিভাইস কতটা নির্ভুলভাবে কাজ করবে, সেটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। যেমন কাছাকাছি থাকা স্যাটেলাইটের সংখ্যা, আয়নমণ্ডলের (Ionosphere) অবস্থা, আশেপাশে উঁচু বিল্ডিংয়ের অবস্থান ইত্যাদি।


কিছু জিনিস আছে যেগুলি জিপিএস-এর নির্ভুলতা কমিয়ে দিতে পারে। যেমন—


১. অবস্থানগত বাধা


পাহাড়, উঁচু বিল্ডিং, বড় গাছপালা—এমন বড় বড় বাধার কারণে সিগন্যাল আসতে দেরি হতে পারে। খোলা স্থানে যেখানে পাশে উঁচু বিল্ডিং নেই, সেখানে জিপিএস বেশি সঠিকভাবে কাজ করে। কিন্তু যখন চারপাশে অনেক উঁচু বিল্ডিং থাকে—যেমন ম্যানহাটন বা টরন্টোর মত জায়গাতে—তখন স্যাটেলাইটের সিগন্যাল সরাসরি ডিভাইসে না পৌঁছে বিল্ডিংয়ে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যেতে পারে। 


এর ফলে দূরত্ব নির্ণয়ে ত্রুটি হয় এবং লোকেশন ভুল দেখাতে পারে। এই ঘটনাকে 'মাল্টিপাথ এরর' (Multipath Error) বলা হয় এবং এমন স্থানকে আরবান ক্যানিয়ন বা শহুরে গিরিখাত বলা হয়।


২. বায়ুমণ্ডলের প্রভাব


আয়নমণ্ডলীয় বিলম্ব, প্রচণ্ড ঝড় ও সৌর ঝড়ের মত দুর্যোগ জিপিএস এর কাজের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটি জিপিএস সিগন্যালের একটি ত্রুটি যা ঘটে যখন সিগন্যালটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নমণ্ডল স্তরের মধ্য দিয়ে আসে এবং এর গতি কিছুটা কমে যায় বা পথ পরিবর্তিত হয়।


৩. ইফেমেরিস


স্যাটেলাইটের ভেতরে থাকা কক্ষপথের মডেল ভুল হতে পারে বা পুরোনো হয়ে যেতে পারে। অবশ্য এই ভুলের আশঙ্কা অনেক কম।


৪. গাণিতিক ভুল


ডিভাইসের হার্ডওয়্যার যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তবে সিগন্যাল হিসাবে ভুল হতে পারে।

.


জিপিএস-এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস


মানুষ অনেক হাজার বছর ধরে নেভিগেশন বা দিক নির্ণয়ের জন্য সূর্য, চাঁদ, পরবর্তীতে সেক্সট্যান্ট এর মত যন্ত্র ব্যবহার করেছে। তবে বিশ শতকের একটা বড় প্রযুক্তিগত উন্নতি হচ্ছে জিপিএস—আর এটি সম্ভব হয়েছে মহাকাশ প্রযুক্তির কারণে।


জিপিএস প্রযুক্তি অনেক আগ থেকেই দুনিয়াজুড়ে ব্যবহার হয়ে আসছে। ১৯৫৭ সালে রাশিয়া যখন স্পুটনিক-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায়, তখন থেকেই জিওলোকেশন বা ভূমিতে অবস্থান শনাক্ত করার আইডিয়া শুরু হয়। এরপরই আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স সাবমেরিন চালানোর জন্য এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে।


১৯৮৩ সালে আমেরিকার সরকার সাধারণ যখন মানুষের জন্য জিপিএস খুলে দেয় তখনও ডেটার পুরো নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই ছিল। এরপর ২০০০ সালে সাধারণ মানুষ আর কোম্পানিগুলি স্বাধীনভাবে জিপিএস ব্যবহার করার অনুমতি পায়। এরপর থেকেই জিপিএস প্রযুক্তি আরও বেশি এগিয়ে যেতে থাকে।

.


বাণিজ্যিক জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের উত্থান


১৯৮০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে জিপিএস প্রযুক্তি বাস্তবে রূপ নিতে পারেনি। এরপর জিপিএস নির্ভুলতা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের সেক্টর এই প্রযুক্তির সুবিধা নিতে শুরু করে। এখনকার দিনে পোর্টেবল জিপিএস ট্র্যাকিং অনেক সস্তা হয়ে গেছে। হাল আমলের জিপিএস অ্যাসেট ট্র্যাকারগুলি হালকা। এগুলিকে আমরা এক হাতে ধরতে পারি (যেমন মোবাইল ফোন)। আর আগের ডিভাইসগুলির তুলনায় এতে অনেক বেশি ফিচার থাকে।


উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, যানবাহন ব্যবস্থাপনায় জিপিএস এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গাড়ির অবস্থান ও চালকের চালানোর ধরন ট্র্যাক করার জন্য, রুট পরিকল্পনা ও গাড়ি পাঠাতে জিপিএস এর অনেক ব্যবহার আছে।

.


জিপিএস এর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ


ব্যবসা ও সরকারি সেবাখাতে বিশ্বব্যাপী আমরা নতুন ধরনের নেভিগেশন সিস্টেম দেখতে পাব। বর্তমানে গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (GNSS)-এর মধ্যে যুক্ত আছে—জিপিএস, রাশিয়ার GLONASS, ইউরোপীয় ইউনিয়নের Galileo এবং চীনের Beidou নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম। এছাড়া আরও অনেক দেশ তাদের নিজস্ব জিপিএস ভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম তৈরির জন্য কাজ করছে।


ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই জিপিএস স্যাটেলাইটের নতুন যুগ শুরু করার জন্য কাজ করছে—তারা নিয়ে এসেছে GPS III নামের নতুন মডেল। এই সিরিজের বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট ইতোমধ্যে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এবং এগুলি বর্তমানে কার্যকর আছে—যা আগের প্রজন্মের তুলনায় উন্নত সিগন্যাল ও নির্ভুলতা দিচ্ছে।  


#জিপিএস #নেভিগেশন #স্যাটেলাইট

১২টি সংক্ষিপ্ত কিন্তু অর্থপূর্ণ গল্প (𝗦𝗜𝗫 𝗕𝗥𝗜𝗘𝗙 𝗦𝗧𝗢𝗥𝗜𝗘𝗦 𝗙𝗨𝗟𝗟 𝗢𝗙 𝗠𝗘𝗔𝗡𝗜𝗡𝗚) (জীবন গঠনের জন্য প্রতিটি গল্প এক একটি শিক্ষা)

 ✍️ ১২টি সংক্ষিপ্ত কিন্তু অর্থপূর্ণ গল্প (𝗦𝗜𝗫 𝗕𝗥𝗜𝗘𝗙 𝗦𝗧𝗢𝗥𝗜𝗘𝗦 𝗙𝗨𝗟𝗟 𝗢𝗙 𝗠𝗘𝗔𝗡𝗜𝗡𝗚) (জীবন গঠনের জন্য প্রতিটি গল্প এক একটি শিক্ষা)


1➡️ বিশ্বাস (𝙁𝙖𝙞𝙩𝙝):

একবার সব গ্রামবাসী মিলে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করার সিদ্ধান্ত নিল।

প্রার্থনার দিন সবাই একত্রিত হলো, কিন্তু শুধু একটি ছোট ছেলে ছাতা নিয়ে এল।

এটাই বিশ্বাস।


2➡️ ভরসা (𝙏𝙧𝙪𝙨𝙩):

যখন আপনি বাচ্চাদের বাতাসে ছুঁড়ে দেন, তারা হাসে—

কারণ তারা জানে আপনি ধরবেন।

এটাই ভরসা।


3➡️ আশা (𝙃𝙤𝙥𝙚):

প্রতিদিন রাতে আমরা ঘুমোতে যাই,

জানিনা সকালে আর জেগে উঠবো কি না,

তবুও আমরা অ্যালার্ম ঘড়ি সেট করি।

এটাই আশা।


4➡️ আত্মবিশ্বাস (𝘾𝙤𝙣𝙛𝙞𝙙𝙚𝙣𝙘𝙚):

আমরা আগামীকাল নিয়ে বড় পরিকল্পনা করি,

যদিও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমাদের কোনো জ্ঞান নেই।

এটাই আত্মবিশ্বাস।


5➡️ ভালোবাসা (𝙇𝙤𝙫𝙚):

আমরা পৃথিবীতে অনেক কষ্ট দেখি,

তারপরও আমরা বিয়ে করি, সন্তান নিই।

এটাই ভালোবাসা।


6➡️ দৃষ্টিভঙ্গি (𝘼𝙩𝙩𝙞𝙩𝙪𝙙𝙚):

এক বৃদ্ধের শার্টে লেখা ছিল:

"আমি ৮০ বছর বয়সী নই; আমি ১৬ বছরের মিষ্টি একটি মেয়ে, যার ৬৪ বছরের অভিজ্ঞতা আছে।"

এটাই দৃষ্টিভঙ্গি।


7➡️ নির্ভরতা (𝘿𝙚𝙥𝙚𝙣𝙙𝙚𝙣𝙘𝙚):

এক ছোট মেয়ে বাবার হাতে একটি ভাঙা খেলনা দিল ঠিক করতে।

সে জানে, বাবা ঠিক করে দিতে পারবেন।

এটাই নির্ভরতা।


8➡️ আশাবাদিতা (𝙊𝙥𝙩𝙞𝙢𝙞𝙨𝙢):

একজন কৃষক বীজ বপন করেন, জানেন না বৃষ্টি হবে কি না,

তবুও তিনি মাটি চাষ করেন।

এটাই আশাবাদিতা।


9➡️ কর্তব্যবোধ (𝘿𝙪𝙩𝙮):

একজন শিক্ষক প্রতিদিন ছাত্রদের শেখান—

জানেন না কে সফল হবে, কে হবে বিফল।

এটাই কর্তব্যবোধ।


10➡️ আত্মনির্ভরতা (𝙎𝙚𝙡𝙛-𝙧𝙚𝙡𝙞𝙖𝙣𝙘𝙚):

একটি পাখি ডালে বসে বিশ্রাম নেয়—

সে ডাল ভাঙবে কি না তা নিয়ে ভাবে না, কারণ তার ডানার উপর ভরসা আছে।

এটাই আত্মনির্ভরতা।


11➡️ উদারতা (𝙂𝙚𝙣𝙚𝙧𝙤𝙨𝙞𝙩𝙮):

এক নারী প্রতিদিন দরিদ্র শিশুদের খাওয়ান—

জানেন না আগামীকাল তার নিজের ঘরে খাবার থাকবে কি না।

এটাই উদারতা।


➡️12মানবতা (𝙃𝙪𝙢𝙖𝙣𝙞𝙩𝙮):

এক পথচারী বৃষ্টির মধ্যে এক ছাতাহীন মানুষকে নিজের ছাতার নিচে আশ্রয় দিলো।

এটাই মানবতা।


জীবন বড় নয়, গভীর।

এই ১২টি গল্প আমাদের শেখায়—

বিশ্বাস করো, ভরসা রাখো, ভালোবাসো, দায়িত্ব নাও,

আশা ও আত্মবিশ্বাসে জীবনকে আলোকিত করো।


এই মানসিক গুণগুলোই আমাদের মানুষ করে তোলে।


পোস্টটি আপনার ভাল লেগে থাকলে এবং মনে হয় অন্যদেরও উপকারে আসবে, তবে শেয়ার করতে ভুলবেন না!

🎇✳️✳️✳️

✳️🔜🔜🚩

একটা নতুন মা মানে শুধু মা হওয়া না—নিজেকে একটু একটু করে হারিয়ে ফেলা…”

 “একটা নতুন মা মানে শুধু মা হওয়া না—নিজেকে একটু একটু করে হারিয়ে ফেলা…”


একটা সময় সে নিজের জন্য সাজত, আয়নায় হাসত, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিত, নিজের ছোট ছোট ইচ্ছেগুলোতে বাঁচত।


আর এখন?


সে সারা দিন একা—চারদিক নিরব, শুধু কান্নার শব্দ,

নিজের কন্ঠ শোনাও যেন ভুলে গেছে।


বাচ্চার খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো, পাম্পার বদলানো…

দিনে ১০ বার ঘর পরিষ্কার করা,

আর নিজের খাওয়া? ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ভাত, তাও কখনো কখনো খাওয়ার সময়ও হয় না।


ঘুমহীন রাতগুলোতে যখন সারা পৃথিবী ঘুমিয়ে থাকে,

সে জেগে থাকে—বাচ্চার নিঃশ্বাস দেখে দেখে নিশ্চিন্ত হয়।

তার চোখে কালি পড়ে, শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে,

কিন্তু সে থামে না… এক মুহূর্তের জন্যও না।


কেউ ভাবে, ঘরে থাকে তো, খুব আরামেই আছে—

কিন্তু সেই ঘরটাই কখন যেন হয়ে যায় তার একলা যুদ্ধের ময়দান।


একটা নতুন মা—ভিতরে ভেঙে পড়ে, আবার নিজেই নিজেকে শক্ত করে তোলে।

এক ফোঁটা হাসি, একটুখানি স্পর্শেই বেঁচে থাকে।


তাকে কেউ জিজ্ঞেস করে না—“তুই কেমন আছিস?”

কেউ বোঝে না, মা হওয়া মানেই নিজের সমস্ত ভালো লাগাকে সাময়িক বিদায় জানানো।


তবু সে ভালো থাকে—কারণ তার বুকের মাঝে একটা ছোট্ট প্রাণ হাসে।

তবু সে লড়াই করে—কারণ তার ভালবাসার নাম “মা”।



এই লেখা শুধু পড়ার জন্য না, বুঝে শেয়ার করার জন্য।

কারণ, একজন নতুন মা-র ভালোবাসা, কষ্ট আর আত্মত্যাগ—সবকিছুই নিঃশব্দে ঘটে যায়।

তাকে একটু ভালোবাসা দিন, একটু প্রশংসা দিন, একটু সাহস দিন।

কারণ, সেই মা-ই একটা ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছেন।🙏🏻🙏🏻❤️

শিশু যদি অন্যের গায়ে হাত তোলে🤷‍♀️, করণীয় কী?

 শিশু যদি অন্যের গায়ে হাত তোলে🤷‍♀️, করণীয় কী?


শিশুরা বড় হওয়ার পথে তাদের আবেগ প্রকাশের সঠিক উপায় সবসময় জানে না। কখনো কখনো তারা রাগ, হতাশা বা মনোযোগ আকর্ষণের জন্য অন্যের গায়ে হাত তুলতে পারে। এই আচরণ স্বাভাবিক হলেও, সঠিক সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা না পেলে এটি অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। তাই বাবা-মা ও অভিভাবকদের দায়িত্ব হলো ধৈর্যের সাথে শিশুকে শেখানো — কীভাবে অনুভূতি প্রকাশ করতে হয়, সহনশীলতা বজায় রাখতে হয়।


যখন শিশু গায়ে হাত তোলে, তখন করণীয়:💁‍♀️


১. শান্তভাবে থামানো👶

প্রথমেই শিশুর আচরণ থামাতে হবে, তবে চিৎকার বা শাস্তির মাধ্যমে নয়। নরম অথচ দৃঢ় কণ্ঠে বলুন, "না, গায়ে হাত দিতে নেই " সোনা"।" শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে এই বার্তা দিন যাতে সে গুরুত্ব অনুভব করে।


২. কারণ খোঁজা👶


শিশু কেন এমন করল তা বোঝার চেষ্টা করুন। সে কি ক্লান্ত? ক্ষুধার্ত? মনোযোগ চাইছে? না বুঝে খেলছে? কারণ বুঝলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে। অবশ্যই তার ছোট্ট আচরনকেও খেয়াল করুন।

৩. বিকল্প আচরণ শেখানো👶


শুধু "না" বললেই হবে না, বরং শিশুকে দেখাতে হবে সঠিক আচরণ কেমন। বলুন, "যদি কিছু চাও, কথা বলো," বা "বন্ধুর সাথে আলতো করে হাত ধরো।" প্রয়োজনে ছোট নাটক বা খেলাধুলার মাধ্যমে চর্চা করানো যেতে পারে। নিজেই হতে পারেন তার রোল মডেল। আপনারাও অন্যদের সাথে বিনয়ের সাথে কথা বলুন।

৪. কঠোরতা নয়, দৃঢ়তা👶


রাগ না করে শান্তভাবে নিজের সীমারেখা স্পষ্ট করুন। শিশুর প্রতি সহানুভূতি দেখান, কিন্তু আচরণের জন্য তাকে দায়ী না করে সমস্যার প্রতি মনোযোগ দিন।

৫. নিরাপত্তা নিশ্চিত করা👶


যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট শিশুদের আলাদা করুন এবং সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। শিশুরা নিরাপদ বোধ করলেই শেখার পরিবেশ তৈরি হয়।

৬. ঘটনা পরবর্তী আলোচনা👶


ঘটনার পর যখন সবাই শান্ত, তখন শিশুর সাথে আলাপ করুন। সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা দিন কেন গায়ে হাত তোলা অন্যায় এবং কীভাবে অন্যভাবে তার অনুভূতি প্রকাশ করা যায়।


৭. ইতিবাচক আচরণের প্রশংসা করা👶


যখন শিশু শান্তভাবে বা ঠিকভাবে তার আবেগ প্রকাশ করে, সাথে সাথে তাকে উৎসাহ দিন। এতে করে ভালো আচরণের পুনরাবৃত্তি বাড়বে। এতে করে বারবার সে ভালো কাজ করতে উৎসাহ পাবে।

বিদ্র:


শিশুদের আচরণ শেখানো ধৈর্যের কাজ। মনে রাখতে হবে, শিশুরা বড়দের আচরণ থেকেই শেখে। তাই আমাদের নিজেদেরও নম্র, দৃঢ় ও ধৈর্যশীল হতে হবে। শিশুকে ভালোবাসা ও নির্দেশনার মাধ্যমে বেড়ে উঠার সঠিক পথ দেখান — তবেই সে ভবিষ্যতে একজন আত্মবিশ্বাসী, সহানুভূতিশীল মানুষ হয়ে উঠবে। তার ইমোশন বোঝার চেষ্টা করুন, আপনি তার সকল ভরসার স্থান, অসহায়ের মতো তাকে না বুঝে মিসগাইড করে, একা ছেড়ে দেবেন না। 

ধন্যবাদ 🙏

©️shebikamit

প্রিয়জনের কাছে মূল‍্যহীন হয়ে গেলে নিজে থেকেই সরে আসুন, ভিতরে সাময়িক যন্ত্র'ণা হলেও এটা অনেক সম্মা'নের।

 ১. প্রিয়জনের কাছে মূল‍্যহীন হয়ে গেলে নিজে থেকেই সরে আসুন, ভিতরে সাময়িক যন্ত্র'ণা হলেও এটা অনেক সম্মা'নের।


২. যদি বুঝতে পারেন কেউ হতাশায় ভুগছে তাকে জ্ঞা'ন বা উপদেশ দিতে যাবেন না। সে কি বলতে চায় সেটা শুনুন। এই সময় মানুষ উপদেশ শুনতে চায় না, সে চায় আগে তার ভেতরের কথাগুলো কেউ মন দিয়ে শুনুক।


৩. কাউকে অকারণে ক'ষ্ট দেবেন না। এই মুহূর্তে আপনি যার সাথে ইচ্ছাকৃত অন্যায় করে নিজেকে জয়ী ভেবে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন - সে হয়তো প্রতিবাদ করবে না, কিন্তু তার নীরবতা, কষ্ট থেকে উঠে আসা দীর্ঘশ্বা'স আপনার সাথে বোঝাপড়াটা সঠিক সময়ে করে নেবে।


৪. অন্যের চোখে ভালো সাজার জন্য নিজের ভালোলাগাগুলো বিসর্জন দেবেন না। যে আপনাকে আপনার মতো করে গ্রহণ করতে পারে না, তার কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার চেয়ে একা থাকাই ভালো।


৫. যা হাতছাড়া হয়ে গেছে তা নিয়ে কখনো আফসোস করবেন না।


৬. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কাউকে ছোট করে দেখবেন না, তাহলে আপনি ছোট হয়ে যাবেন।


৭. নিজের অবস্থান নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের আত্মবিশ্বাসী বা অহংকারী হবেন না। কারণ সময় যখন বদলায় উত্তাল সাগরও শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যায়।


৮. সমালোচনাকারীদের যুদ্ধে করে নিজের সময় ও শক্তির অপচয় করবেন না। নিজেকে উন্নত করুন, তারা এমনিতেই চুপ হয়ে যাবে।


৯. গাধার সাথে তর্ক করতে বা গাধাকে কিছু শেখাতে যাবেন না। গাধার পিঠে ঐশী কিতাব চাপালেও গাধা গাধাই থাকে।


১০. ভুল জায়গায় স্যা'ক্রিফাইস আর ভুল মানুষের সাথে কম্প্রো'মাইজ আপনাকে না দিবে সুখ, না দিবে সফলতা।


১১. আপনাকে ডুবানোর ইচ্ছা নিয়ে কিছু লোক বসে আছে যাদেরকে সাঁতারটা আপনিই শিখিয়েছিলেন।


১২. মানুষ সিং'হের প্রশংসা করে কিন্তু আসলে গাধাকেই পছন্দ করে।


১৩. পরের ক্ষতি করার নেশা যদি কাউকে একবার পেয়ে বসে, নিজের অস্তি'ত্ব ধ্বং'স না হওয়া পর্যন্ত তার হুঁশ ফেরে না।


১৪. জীবন মানেই GPA 5 কিংবা ভালো বেতনের চাকরি নয়। আপনার জানাশুনা অনেককেই পাবেন যাদের জীবন সম্পর্কে জ্ঞান অস'ম্পূর্ন কিন্তু ঠিকই ভালো বেতনের চাকরি পেয়ে গেছে।


১৫. সন্তানের জন্য বেশি বেশি সম্পদ জমা না করে সন্তানকেই সম্পদ বানিয়ে ফেলুন। একজন আদর্শ সন্তান আপনার জীবনের শ্রে'ষ্ঠ সম্পদ।


১৬. পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সত্য হলো আপনার উপকারের কথা মানুষ বেশিদিন মনে রাখবে না। কার কাছে আপনি কতদিন গুরুত্ব পাবেন, সেটা নির্ভর করবে কার জন্য কতদিন কিছু একটা করার সাম'র্থ্য আপনার আছে তার ওপর।


১৭. কিছু মানুষ আপনাকে এমনিতেই পছন্দ করবেন না। করবে না মানে করবেই না! না আপনি তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করছেন, না তাদের ক'ষ্ট দিয়েছেন, না তাদের ক্ষতি করেছেন। তবুও তারা আপনাকে পছন্দ করবে না। এখন এই পছন্দ করা ব্যাপারটা তৈরি করার জন্য আপনার ঠ্যাকা পড়েনি।

যদিও প্রথম দেখা _ রুদ্র গোস্বামী।

 যদিও প্রথম দেখা

_ রুদ্র গোস্বামী।


দুপুরবেলা, হলে উপচে পড়ছে ভিড়

তাকিয়েছিলাম শুধু মেয়েটার দিকেই

কী জানি কী মনে হয়েছিল ওর

নাম বলেছিল একবার,

- "আমি অঞ্জনা, চিনতে পেরেছ?"

নদীর ঢেউএর মতো ওর নরম স্বভাব

এত ভালোলেগেছিল


ও শ্যামলা, যেমন বৃষ্টির জল মাখা

সবুজ পাতা

ড্যাবডেবে কালো দুটো চোখ 

এত মায়া লেগেছিল!

না হলে

প্রথম দেখায় এতো ভালোবাসে কেউ


হাসি যেন ওর আয়নায় খসে পড়া 

সকালের রোদ

ঠোঁটে বাঁধা শব্দ ঘুঙুর

এত মন ছুঁয়ে ছিল!

না হলে

প্রথম দেখায় এত মনে রাখে কেউ


শাড়িতে ছিল না কোনও কারুকাজ

তবু ছিল অবাক নতুন!

বসেছিল একাই যেন চারদিকে

এত চোখে বিঁধেছিল

না হলে

প্রথম দেখায় এত চোখে রাখে কেউ

ইতিহাসের গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ১৮৯৬ সালের কথা। বিদ্যুতের বাতির উদ্ভাবক থমাস এডিসন তখন একটি গাড়ির নকশা নিয়ে কাজ করছিলেন। ঠিক সেই সময় খবর পান, তাঁর কোম্পানির এক তরুণ কর্মী একটি পরীক্ষামূলক গাড়ি তৈরি করেছেন। নিউইয়র্কে এক কোম্পানির পার্টিতে এডিসনের সাথে দেখা হয় সেই তরুণের, নাম হেনরি ফোর্ড। গ্যাসোলিনচালিত গাড়ির আইডিয়া শুনে এডিসন মুগ্ধ হয়ে যান। এডিসন, যিনি তখনো গাড়ির বিদ্যুৎচালিত সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছিলেন, উচ্ছ্বসিত হয়ে ফোর্ডকে বলেন, "ইয়াংম্যান, এটাই সেই জিনিস! তোমার ধারণা দারুণ! চালিয়ে যাও!"


এডিসনের এমন অনুপ্রেরণায় সাহস পেয়ে ফোর্ড তার কাজ চালিয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত এমন একটি গাড়ি উদ্ভাবন করেন যা তাঁকে অগাধ সম্পদ ও খ্যাতি এনে দেয়। কিন্তু বন্ধুত্বের প্রকৃত সৌন্দর্য প্রকাশ পায় ১৯১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর। এডিসনের গবেষণাগার ও কারখানা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যায়। তখন এডিসনের বয়স ৬৭। ক্ষতির পরিমাণ এত বিশাল ছিল যে বিমা সংস্থা তা কাভার করতে পারেনি। হেনরি ফোর্ড এডিসনের হাতে তুলে দেন ৭,৫০,০০০ ডলারের একটি চেক, সঙ্গে একটি নোট, "আরও প্রয়োজন হলে বলবেন!"


১৯১৬ সালে ফোর্ড তার বাড়ি সরিয়ে এডিসনের পাশেই নিয়ে যান। পরে যখন বার্ধক্যের কারণে এডিসন হুইলচেয়ারে বসতে বাধ্য হন, তখন ফোর্ডও একটি হুইলচেয়ার কিনে নেন, যাতে তারা একসঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করতে পারেন! থমাস এডিসন শুধু হেনরি ফোর্ডের প্রতিভায় বিশ্বাস রাখেননি, তিনি তার পাশে থেকেও একজীবনের জন্য বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন।

.

.

#itihaser_golpo #itihasergolpo #ThomasAlvaEdison

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ৩০-০৪-২০২৫ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ৩০-০৪-২০২৫ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা - পরাজিত শক্তি যেন দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ।


সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করার পাশাপাশি দায়িত্বশীল আচরণের জন্য  সাংবাদিকতার নৈতিকতা আইনও করা দরকার - বললেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।


জাতি গঠনে সকলকে সক্রিয় অবদান রাখার আহ্বান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের।


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ চলছে - জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।


ভোলায় ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ।


গাজায় অকল্পনীয় বিপর্যয় বন্ধে জাতিসংঘের আহ্বান।


চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গতকালের ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে আজ আবার ব্যাটিং শুরু করবে বাংলাদেশ।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ২৯-০৪-২০২৫ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ২৯-০৪-২০২৫ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু - হজযাত্রীদের সেবা সহজ করতে মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা।


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস - দিলেন পরবর্তী করণীয় নির্দেশনা।


বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্টার লিংক চালুর অনুমোদন দিলেন প্রধান উপদেষ্টা।


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ থেকে শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫।


 লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে ৪০ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার - জানালেন আইন উপদেষ্টা।


জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদফতর গঠন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।


আগামী মাসে ইউক্রেনে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।


আজ চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকালের ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং পুনরায় শুরু করবে জিম্বাবুয়ে।

টেস্টিকুলার বা অন্ডকোষীয় ক্যান্সার

 #টেস্টিকুলার বা অন্ডকোষীয় ক্যান্সার


টেস্টিকুলার বা অণ্ডকোষীয় ক্যান্সার নিয়ে  অনেক রোগীই আমাদের চেম্বারে আসেন। সাধারণত ১৫-৩৫ বছরের পুরুষ এ ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে যে কোন বয়সেই এ রোগ হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় লজ্জায় বা পারিপার্শ্বিক কারনে রোগী আমাদের কাছে দেরিতে আসেন ফলে চিকিৎসা বেশ জটিল হয়ে যায়। 


⭕ টেস্টিকুলার বা অণ্ডকোষীয় ক্যান্সার


টেস্টিকুলার ক্যান্সার হল অণ্ডকোষের (টেস্টিস) ক্যান্সার যা স্ক্রোটামের ভিতরে অবস্থিত। অণ্ডকোষের প্রধান কাজটি হল পুরুষ সেক্স হরমোন (টেস্টোস্টেরন) এবং শুক্রাণু উৎপাদন। টেস্টিকুলার ক্যান্সার এক বা উভয় অণ্ডকোষকে আক্রমণ করতে পারে এবং যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে যেতে পারে।


⭕টেস্টিকুলার ক্যান্সার হওয়ার কারণ


➡️ টেস্টিকুলার ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস।

➡️ একটি অব্যক্ত অণ্ডকোষ (অণ্ডকোষ স্ক্রোটামের ভিতরে স্থানান্তরিত হয় নি)।

➡️ বয়স ২৫-৩৫ বছর, তবে এটি যে কোনও বয়সে হতে পারে।

➡️ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ 

➡️ অনেক সময় কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়না। 


⭕টেস্টিকুলার ক্যান্সারের লক্ষণ


➡️বেদনাবিহীন এক লাম্প (পিণ্ড) অন্ডকোষে অনুভব করা যায়।

➡️অণ্ডকোষে ফোলাভাব ।

➡️ফোলা লিম্ফ নোড ।

➡️ক্লান্তি ।

➡️ওজন কমে যাওয়া।

➡️অণ্ডকোষ, স্ক্রোটাম বা কুঁচকিতে একটি নিস্তেজ ব্যথা।

➡️অণ্ডকোষের মধ্যে কিছু আছে বলে ভারী ভাবের অনুভূতি ।


⭕টেস্টিকুলার ক্যান্সারের ডায়াগনোসিস ( নির্ণয়)


শারীরিক পরীক্ষা- ডাক্তার রোগীর লাম্প এর উপস্থিতি ও ফোলাভাব খোঁজার জন্য পরীক্ষা করে থাকেন ।


রোগীর চিকিৎসার ইতিহাস- অনির্ধারিত অন্ডকোষের ইতিহাস সম্পর্কে পরীক্ষা করা।


রক্ত পরীক্ষা – রক্তে টিউমার মার্কারের উপস্থিতি পরীক্ষা করার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়।


সিটি স্ক্যান- সিটি স্ক্যান, ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে এমন লক্ষণ খোঁজার জন্য তল, বুক এবং শ্রোণীগুলির একসরে একাধিক এক্সের চিত্র নিয়ে থাকে।


⭕টেস্টিকুলার ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা


টেস্টিকুলার ক্যান্সারের চিকিৎসা ক্যান্সারের পর্যায় এবং গ্রেডের উপর নির্ভর করে। সমস্ত পর্যায় এবং ক্যান্সারের ধরণের জন্য, সাধারণত সার্জারি প্রয়োজন। তবে কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপির মতো অন্যান্য হস্তক্ষেপ সাধারণত প্রয়োজন হয়।


➡️সার্জারি


র‌্যাডিকাল ইনগুইনাল অর্কিএক্টোমি- মূলত ইনগুইনাল অর্কিএক্টোমি হল টেস্টিকুলার ক্যান্সারের সকল প্রকার এবং গ্রেডের প্রাথমিক হস্তক্ষেপ। এই শল্য চিকিৎসার মধ্যে, সার্জন আক্রান্ত অন্ডকোষ অপসারণ করে থাকেন।


কিছু রোগীর ক্ষেত্রে শল্য চিকিৎসা একমাত্র হস্তক্ষেপ, যার প্রয়োজন হতে পারে। অস্ত্রোপচারের পরে, অনকোলজিস্ট পর্যায়ক্রমিক ফলোআপগুলি, রক্ত পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি এবং সিটি স্ক্যানগুলির নতুন কোনও উন্নতি পরীক্ষা করার জন্য সুপারিশ করতে পারেন।


⭕অন্যান্য হস্তক্ষেপ


তবে উচ্চ গ্রেড টেস্টিকুলার ক্যান্সার এবং উন্নত পর্যায়ের ক্যান্সারযুক্ত রোগীদের ক্যান্সার কোষগুলি মেরে ফেলার জন্য এবং আরও মেটাস্টেসিস প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে হয়ঃ


➡️রেডিয়েশন থেরাপি


➡️কেমোথেরাপি


#skincare #সোরিয়াসিস #testis #cancertreatment #cancercare #Cancer

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

গ্রাফাইটিস~যে কোন ধরনের চর্মরোগ এমনকী চোখের পাতায় একজিমা, চর্মোদ্ভেদ ভেজা ভেজা ও চামড়া ফাটা ফাটা, চোখের পাতা লাল ও কিনারাগুলো আঁস বা মামড়ী পড়ে ঢেকে থাকে,তাতে উপযোগী। 

 🎋গ্রাফাইটিস~যে কোন ধরনের চর্মরোগ এমনকী চোখের পাতায় একজিমা, চর্মোদ্ভেদ ভেজা ভেজা ও চামড়া ফাটা ফাটা, চোখের পাতা লাল ও কিনারাগুলো আঁস বা মামড়ী পড়ে ঢেকে থাকে,তাতে উপযোগী। 

📚Graphites 

♦গ্রাফাইটিস

♦ ডা.এইচ.সি.এলেন

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

♦#নিজস্বকথাঃ~

১। স্থুলতা ও কোষ্টবদ্ধতা।

২। ফাঁটা চর্ম ও চটচটে রস।

৩। শঙ্কা ও সতর্কতা।

৪। মাছ, মাংস, সঙ্গীত ও সঙ্গমে অনিচ্ছা।

#মূলকথাঃ

১। দ্বিধাগ্রস্ত, উৎকণ্ঠিত, বিমর্ষ, মনোযোগ দিতে কষ্ট, সকল বিষয়ে সতর্ক ও ভীত।

২। শরীর সর্বদা শীতল, মাথার তালুতে জ¦ালা।

৩। কানে কম শোনে, কিন্তু গোলমালের ভিতর ভাল শুনতে পায়।

৪। সর্দি লাগার প্রবণতা ও ঠান্ডায় রোগের বৃদ্ধি।

৫। মাছ মাংস ইত্যাদি আমিষ দ্রব্য, মিষ্টি ও লবণে অরুচি।

৬। বসে কোন কাজ করার সময় পা নাড়তে থাকে।

৭। শরীরের কোথাও একটু কেটে গেলে বা আঁচড় লাগলে তাতে পূঁজ জন্মে, পুরাতন ক্ষত চিহ্নে আবার ঘা হয়, চর্ম উদ্ভেদ হতে পাতলা আঠালো বা মধুর মত স্বচ্ছ রস ঝরে।

৮। চর্মরোগের উদ্ভেদ শক্ত মোটা, ফাটা রসানি যুক্ত।

৯। ইন্দ্রিয়গুলি অতিরিক্ত তী², সেজন্য গান শুনলে রোগীর কান্না পায়, ফুলের গন্ধ সহ্য হয় না।

# উপযোগিতাঃ

১। যে সব মহিলারা মোটা হতে থাকেন, যারা দিনের পর দিন কোষ্টকাঠিন্যে ভোগেন, যাদের ঋতুস্রাব দেরীতে হওয়ার ইতিহাস থাকে তাদের পক্ষে উপযোগী। বয়ঃসন্ধিকালের যেসব লক্ষণে পালসেটিলা ব্যবহৃত হয়, রজোনিবৃত্তিকালের সেই সেই লক্ষণে গ্রাফাইটিস কার্যকরী।

২। অত্যাধিক সর্তভাব, ভীরুস্বভাব, সব কিছুতেই ইতস্ততঃ করে, কোন বিষয়ের স্থির মীমাংসা করতে পারে না (পালস)। কোন কাজ করতে বসলে হাত-পা নাড়াতে থাকে (জিঙ্কাম)। বিষণ্ন, হতাশভাব, গান শুনলে কান্না আসে, শুধুমাত্র মৃত্যু সম্বন্ধেই চিন্তা করে (গান শোনা অসহ্য- নেট-কা, স্যাবাইনা)।খুব সকালে অসুস্থভাব।

৩। চোখের পাতায় একজিমা, চর্মোদ্ভেদ ভেজা ভেজা ও চামড়া ফাটা ফাটা, চোখের পাতা লাল ও কিনারাগুলো আঁস বা মামড়ী পড়ে ঢেকে থাকে। মাথার উপরে একটি গোলাকার স্থানে জ্বালাকর (ক্যাল্কে.কার্ব, সালফ), (ঐ স্থানটি ঠাণ্ডাভাব- সিপিয়া, ভিরেট্রাম)।

৪। ঋতুস্রাব পরিমাণ খুবই কম, রঙ ফ্যাকাসে, নির্দিষ্ট সময়ের দেরীতে হয়- সাথে ভয়ানক শূলবেদনা হয। ঋতুস্রাব অনিয়মিত- পানিতে কাজ করে বা পানিতে পা ভিজে স্রাব নির্দিষ্ট সময়ের পরে হয (পালস)। ঋতুস্রাবের সময় সকালে গা বমি বা বমিভাব ঐ সময় অত্যন্ত দূর্বল ও অবসণ্ন হয়ে পড়ে (এলুমি, কার্ব-এনি, ককুলাস)। রাতে ঋতুস্রাবের সময় ও পরে রোগ লক্ষণ বাড়ে।

৫। শ্বেতপ্রদর বা প্রদরস্রাবে জ্বালা হয়, হেজে যায়- ঝলকে ঝলকে রাত-দিন বের হতে থাকে। ঋতুর আগে বা পরে শ্বেতপ্রদর হতে থাকে (ঋতুর আগে- সিপিয়া, ঋতুর পরে- ক্রিয়োজোট)।

৬। স্তনের ফোঁড়া সেরে গিয়ে কঠিন ক্ষতচিহ্ন থেকে যায়। এতে দুগ্ধস্রাবে বাধা আসে- ঐ ক্ষতচিহ্ন বা বারে বারে ফোড়া হবার ফলে স্তনের ক্যান্সার হয।

৭। দেহের চামড়া অপরিষ্কার, কর্কশ, অসুস্থ; আঘাত লাগলেই পেকে ওঠে (হিপার), পুরাতন ক্ষতচিহ্নে নতুন করে পূজঁ হয়ে পেকে ওঠে। কানের উপর, হাত-পায়ের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে, শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্মরোগ হয়, তা থেকে পানির মত স্বচ্ছ ও চটচটে রস ঝরতে থাকে।

৮। নখ ভঙ্গুর, ভেঙ্গে যায়, বিকৃত হয়ে যায় (এ-ক্রড), নখে ব্যথা যেন ঘা হয়েছে, নখ পুরু ও কুঁচকে যায়। আঙুলের মাথায়, স্তনের বোটায়, ঠোটে ও যোনির ওষ্ঠের সংযোগস্থলে, মলদ্বারে, পায়ের আঙুলের ফাঁকে ফেটে যায় বা ছিড়ে যায়।

৯। একটুতেই ঠান্ডা লেগে সর্দি হয়- প্রবল বাতাসে অত্যনুভূতি (বোরাক্স, ক্যাল্কে.কার্ব, হিপার, নাক্স)। পিড়িত অঙ্গ শুকিয়ে যায়। শিশু নির্লজ্জ, অবাধ্য, ভদ্রতা জানে না- বকলে হাসতে থাকে। অতিরিক্ত যৌনাচারিতা করে জননেন্দ্রিয়ের দুর্বলতা। স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই সঙ্গমে নিতান্ত অনিচ্ছা।

১০। মূর্চ্ছাগ্রস্থভাব- রোগীর জ্ঞান থাকে কিন্তু নড়াচড়া করার বা কথা বলার শক্তি থাকে না। গোলমালের মধ্যে বা গাড়ীতে চড়লে যখন শব্দ হতে থাকে তখন ভাল শুনতে পায় (এ-নাই)। কপালে যেন মাকড়সার জাল জড়িয়ে আছে, হাত দিয়ে ঝেড়ে ফেলতে চায়- এরূপ অনুভূতি (ব্যারাইটা, বোরাক্স, ব্রোমি, র‌্যানান)।

১১। উদরাময়ঃ ঘন বাদামি, তরল, অজীর্ণ দ্রব্য মেশানের ও অসহ্য দূর্গন্ধ থাকে- প্রায়ই উদ্ভেদ চাপা পড়ে উদরাময় হয় (সোরিন)।

১২। কোষ্ঠবদ্ধতাঃ বহুদিনের পুরাতন কোষ্ঠবদ্ধতা- মলত্যাগে কষ্ট, মল বড়, শক্ত, গিটগিট মত, দলাদলা মত, মলে সুতার মত সরু সরু শ্লেষ্মা জড়ানো থাকে। অত্যান্ত লম্বা মল (সালফ), মলত্যাগের পরে মলদ্বারে চিড়িকমারা, ঘায়ের মত ব্যথা বেদনা হয়।

১৩। ইরিসিপেলাসঃ কানেকটিভ টিস্যুতে প্রদাহ হয়ে ইপিসিপেলাস- তাতে জ্বালা ও হুলফোটানো ব্যথা থাকে, ডান দিকে শুরু হয়ে বাদিকে বিস্তৃত হয়। আয়োডিন লাগানোর পর ঔরূপ বিসর্প বা ইরিসিপেলাস হলে ব্যবহার্য।

১৪। অনুপূরক- কস্টি, হিপার, লাইকো। ঋতুসম্বন্ধীয় রোগে লাইকো ও পালসের সমগুণ। লাইকো, পালসের পর এ ঔষধ ভাল খাটে। অল্পবয়সী মহিলাদের মোটা হওয়া রোগে প্রচুর পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর মেদযুক্ত তন্তু হতে থাকলে ক্যাল্কে.কার্ব এর পর এ ঔষধ ব্যবহার্য। চর্মরোগে সালফারের পর ও বেগে শ্বেতপ্রদর হতে থাকা লক্ষণে সিপিয়ার পর গ্রাফাইটিস ভাল ফল দেয়।

✒️হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের নিয়ম: সাধারণত ১-২ ফোটা সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে ৩ বেলা খাবার আগে সেব্য অথবা গ্লোবিউলস বা পিলে সিক্ত করে ৪ টি করে পিল ৩ বেলা খাবার আগে চুষে খেতে পরেন।


📑Compilation: Homoeopathic Tips

যে কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই রেজিঃপ্রাপ্ত ফিজিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করবেন।

 💫Dr.Md.Forhad Hossain

📑Homoeopathic physician 

 🦋ইউটিউব #Md.Forhad Hossain

☎For appointment 01955507911

ক্যালেন্ডার আবিষ্কারের সম্ভাব্য কারণ

 ক্যালেন্ডার


ক্যালেন্ডার বরাবরই মানুষের জীবনের জরুরি একটা জিনিস। সময় গুছিয়ে চলা, চাষের কাজ ঠিকমত করা আর ধর্মীয় উৎসবের দিন ঠিক রাখার জন্য এটা দারুণ কাজে লাগে।


এই ক্যালেন্ডারের ইতিহাস দেখলেই বোঝা যায়—মানুষ সময় মেপে চলার জন্য কতটা বুদ্ধি খাটিয়েছে, আর কতটা নিখুঁত হতে চেয়েছে।


পদ্ধতির দিক থেকে ক্যালেন্ডার অনেক রকম, অনেক জটিল। কিন্তু সবারই লক্ষ্য এক—সূর্য আর চাঁদের ছন্দের সাথে মিলিয়ে আমাদের কাজকর্ম ঠিক রাখা।

.


ক্যালেন্ডারের অর্থ


‘ক্যালেন্ডার’ শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ ‘ক্যালেন্ডে’ (kalendae) থেকে—যার অর্থ "মাসের প্রথম দিন।" 


প্রাচীন রোমে, মাসের প্রথম দিন, অর্থাৎ ক্যালেন্ডের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হত। আসলে, রোমান পুরোহিতরা নতুন চাঁদ পর্যবেক্ষণ করে মাসের শুরু নিশ্চিত করতেন। এরপর তারা জনসমক্ষে ঘোষণা করতেন যে নতুন মাস শুরু হয়েছে এবং এটিই হল মাসের প্রথম দিন বা 'ক্যালেন্ডে'। 


এই ঘোষণার মাধ্যমে কেবল মাসের শুরুই জানানো হত না, বরং সেই মাসের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলি, যেমন নোনাস (Nones), ইদুস (Ides) কবে পড়বে সেটাও ঠিক করা হত। আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল, এই ঘোষণা তাদের ঋণ পরিশোধ করার নির্দিষ্ট দিনটি মনে করিয়ে দিত। এই ঋণ ও পরিশোধের হিসাব রাখা হত যে খাতায় রোমানরা সেই খাতাগুলিকে বলত ‘ক্যালেন্ডারিয়া’ (calendaria)। 


ক্যালেন্ডার শব্দটির উৎপত্তি আর পেছনের গল্প জানা গেল। কিন্তু সময়কে হিসাবের ফ্রেমে বাঁধার জন্য মানুষ কেবল এক ধরনের ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করেনি। ইতিহাস জুড়ে, মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যালেন্ডার তৈরি করেছে—কিছু সূর্য এবং চাঁদের গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে, আবার কিছু সংখ্যাপদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে। এখন, আমরা প্রধানত ৩ ধরনের ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি—সৌর (Solar), চান্দ্র (Lunar) এবং চান্দ্রসৌর (Lunisolar)।

.


সৌর ক্যালেন্ডার—আমাদের চেনা ক্যালেন্ডার


সময় মাপার যত পুরোনো উপায় আছে, সৌর ক্যালেন্ডার তার মধ্যে অন্যতম। আর আজও কিন্তু পৃথিবীর নানা প্রান্তে এর ব্যবহার চলছে! এর মূল ব্যাপারটা হল, আমাদের পৃথিবী সূর্যের চারপাশে কীভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে, সেই হিসাবের ওপর ভিত্তি করেই এই ক্যালেন্ডার তৈরি হয়েছে।


পৃথিবী যে সূর্যের চারপাশে একবার চক্কর দিয়ে আসে, সেটাই হল একটা সৌর বছর। এই বছরে থাকে ১২টি মাস বা ৩৬৫টি দিন। তবে হিসাব মেলানোর জন্য কখনও কখনও একটা বাড়তি দিন, মানে লিপ ডে (Leap Day), যোগ করা হয়। আমরা এখন যে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি, সেটাও কিন্তু আসলে এই সৌর ক্যালেন্ডারই।


তবে জানতেন কি, সৌর ক্যালেন্ডারেরও দুটি আলাদা ধরন আছে? একটা হল ট্রপিক্যাল সৌর ক্যালেন্ডার, আরেকটা সাইডেরিয়াল সৌর ক্যালেন্ডার। দুটিই পৃথিবীর সূর্য-প্রদক্ষিণের হিসাব রাখে, কিন্তু মাপার কৌশলটা একটু ভিন্ন। ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার (Tropical Calendar) নজর রাখে ঋতু বদলের ওপর, আর সাইডেরিয়াল ক্যালেন্ডার (Sidereal Calendar) বছর মাপে দূরের স্থির তারাগুলির সাপেক্ষে।

.


ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার—ঋতুর সাথে তাল মিলিয়ে


ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার এক ধরনের সৌর ক্যালেন্ডার যা আমরা বর্তমানে ব্যবহার করি। এই ক্যালেন্ডার সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘূর্ণনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।


ক্যালেন্ডারটির নাম ‘ট্রপিক্যাল’ কেন হল?


কারণ এটি ঋতু পরিবর্তনের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরতে থাকলে, ঋতু পরিবর্তিত হয়। ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার এই ঋতু পরিবর্তনের চক্র ট্র্যাক করে।


একটি ট্রপিক্যাল বছর হল পৃথিবীর সূর্যের চারপাশে একবার পূর্ণ ঘূর্ণন করতে যে সময় লাগে সেটুকু—যা প্রায় ৩৬৫ দিন। এই সময়ের মধ্যে আমরা গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত এবং বসন্ত এই ৬ ঋতু অনুভব করি। ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার ঋতু পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার কারণে আমরা কৃষিকাজ, উৎসব এবং অন্যান্য কাজের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করতে পারি।


যে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার আমরা ব্যবহার করি তা আসলে ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ক্যালেন্ডার।


‘ট্রপিক্যাল’ শব্দটি এসেছে ‘ট্রপিক অফ ক্যান্সার’ এবং ‘ট্রপিক অফ ক্যাপ্রিকর্ন’ থেকে, যা পৃথিবীর দুটি গুরুত্বপূর্ণ অক্ষাংশ। বছরে দুবার এমন সময় আসে যখন সূর্য নিরক্ষরেখা থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করে। এই দিনগুলিকে অয়নান্ত বলে। 


একটি অয়নান্ত থেকে পরবর্তী অয়নান্ত পর্যন্ত সময়কে ধরা হয় এক বছর। বছরে দুবার এমন সময় আসে যখন দিন ও রাত সমান হয়। এই দিনগুলিকে বলে বিষুব। একটি বিষুব থেকে পরবর্তী বিষুব পর্যন্ত সময়কেও এক বছর ধরা হয়।


প্রাচীনকালে মানুষের কাছে জ্যোতির্বিদ্যার সরঞ্জাম ছিল না। তবুও তারা অয়নান্ত ও বিষুব চিহ্নিত করতে পারত। সূর্যের অবস্থান দেখে তারা বুঝতে পারত কখন ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। এইভাবে তারা কৃষিকাজের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করত।

.


সাইডেরিয়াল ক্যালেন্ডার—একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর ক্যালেন্ডার


একটি সাইডেরিয়াল সৌর ক্যালেন্ডার, অয়নান্ত ও বিষুব উপেক্ষা করে এবং বহুদিন ধরে রাতের আকাশে ১২টি রাশিচক্রের মধ্য দিয়ে সূর্যের যাত্রা পর্যবেক্ষণ করে সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথ পরিমাপ করে। সাইডেরিয়াল নামটি লঅতিন শব্দ ‘sideris’ (নক্ষত্রের) থেকে এসেছে।


যেখানে ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার পৃথিবী এবং তার ঋতুগুলির ওপর মনোযোগ দেয়, সেখানে সাইডেরিয়াল ক্যালেন্ডার গুরুত্ব দেয় নক্ষত্র এবং সূর্যকে। কারণ সাইডেরিয়াল ক্যালেন্ডারের জন্য আকাশ, গ্রহ এবং নক্ষত্রের গতিবিধি দেখা প্রয়োজন—তাই এটি জ্যোতির্বিদ্যার সাথে সম্পর্কিত।

.


চন্দ্র ক্যালেন্ডার—অসম্পূর্ণ হলেও দরকারি


চান্দ্র ক্যালেন্ডার চাঁদের আবর্তনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই ক্যালেন্ডারে মাস শুরু হয় অমাবস্যায়, আর শেষ হয় পরের অমাবস্যায়।


একটা চান্দ্র মাস বা lunation প্রায় ২৯.৫৩ দিন ধরে চলে, যা সৌর ক্যালেন্ডারের মাস (৩০ বা ৩১ দিন) থেকে একটু কম। চান্দ্র ক্যালেন্ডার সাধারণত ১২ বা ১৩ মাসে ভাগ করা হয়—ব্যবহারকারী নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে ঠিক করে থাকে মাসের সংখ্যা কত হবে।


চাঁদের কক্ষপথ একটু উপবৃত্তাকার হওয়ায়, চান্দ্র মাসের দৈর্ঘ্য প্রতি মাসে কিছুটা বদলায়। এর সঙ্গে ক্যালেন্ডারের দিনের সংখ্যা মিলিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়, বিশেষত কৃষিকাজের মত ক্ষেত্রে যখন নির্ভুল হিসাবের দরকার পড়ে। তাই শুধু চাঁদকে কেন্দ্র করে একটা ঠিকঠাক ক্যালেন্ডার বানানো বেশ ঝামেলার।


এত সমস্যা সত্ত্বেও, চন্দ্র ক্যালেন্ডার হাজার বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে, আর এখনও অনেক কাজে লাগে। কীভাবে? কারণ সব ক্ষেত্রে যে খুব বেশি নিখুঁত হিসাব দরকার হয়, তা নয়। অনেক সময় প্রাকৃতিক চক্র আর প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিল রাখাটাই জরুরি।


ধর্মীয় উৎসব আর ঘটনাগুলি প্রায় সব সময় চাঁদের চক্রের সঙ্গে মিলে যায়। এজন্যই চান্দ্র ক্যালেন্ডার এখনও রমজান, দিওয়াল, ইস্টার, রোশ হাশানাহ, চীনা নববর্ষের মত উৎসবের তারিখ ঠিক করতে ব্যবহৃত হয়।

.


লুনিসোলার ক্যালেন্ডার 


লুনিসোলার ক্যালেন্ডার হল এমন ক্যালেন্ডার, যেটা চাঁদ (luni) আর সূর্য (solar) দুয়েরই গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এতে বছরে ১২ মাস থাকে, প্রতিটি ২৯ বা ৩০ দিনের, যা চাঁদের দশা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। তবে বছরের দৈর্ঘ্য ঠিক রাখা হয় সূর্যের হিসাব মেনে, সৌর ক্যালেন্ডারের মত।


সৌর আর চন্দ্র চক্রকে মিলিয়ে রাখতে লুনিসোলার ক্যালেন্ডারে মাঝে মাঝে অতিরিক্ত দিন বা মাস যোগ করা হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলে intercalation। একে বলা যায় ‘লিপ বছর’—যখন বছরের শেষে এক মাস বা কয়েকটি দিন যোগ করা হয়।


কারণ চান্দ্র মাস সৌর মাসের চেয়ে ছোট, তাই ১২টা চন্দ্র মাস দিয়ে ৩৬৫ দিন পূর্ণ হয় না। যেমন, প্রাচীন রোমান ক্যালেন্ডারে বছরে মাত্র ৩৫৫ দিন ছিল, যা সৌর বছরের চেয়ে ১০ দিন কম। ফলে রোমানদের ‘ইন্টারকালারিস’ নামে একটা অতিরিক্ত মাস যোগ করে এই ঘাটতি পূরণ করতে হত।


আজও লুনিসোলার ক্যালেন্ডার অনেক জায়গায় ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে যেসব সংস্কৃতি ধর্মীয় উৎসব আর বিশেষ দিন ঠিক করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। চীনা ক্যালেন্ডার আর ইহুদি ক্যালেন্ডার লুনিসোলার ক্যালেন্ডারের ভাল উদাহরণ।

.


আজকের যুগে ব্যবহৃত ৩টি জনপ্রিয় ক্যালেন্ডার


১. গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার


বর্তমানের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ক্যালেন্ডার হল গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার, যা একটি সৌর ক্যালেন্ডার। এটি খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অফিসিয়াল ক্যালেন্ডার হিসাবে তৈরি হলেও, সিভিল ক্যালেন্ডার হিসাবে‌ই সারা বিশ্বে ব্যবহার করা হয়।


২০২১ সালের হিসাবে, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ১৬৮টি দেশে অফিসিয়াল ক্যালেন্ডার হিসাবে গৃহীত হয়েছে। মাত্র ৪টি দেশ এখনও এটি গ্রহণ করেনি—আফগানিস্তান, ইরান, ইথিওপিয়া ও নেপাল।


এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বর্তমান বছর—২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ।


২. ইসলামিক ক্যালেন্ডার


ইসলামিক ক্যালেন্ডার বা হিজরি ক্যালেন্ডার একটি চান্দ্র ক্যালেন্ডার, যেখানে ১২টি চান্দ্র মাস এবং ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিন রয়েছে। হিজরি ক্যালেন্ডার ইসলামী উৎসব এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন ঈদুল আজহা ও রমজানের তারিখ নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।


প্রায় সব ইসলামিক দেশ (যেখানে ইসলাম প্রধান ধর্ম) ধর্মীয় উদ্দেশ্যে হিজরি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে, তবে নাগরিক পরিকল্পনার জন্য গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। ব্যতিক্রম হল ইরান ও আফগানিস্তান, যারা নিজস্ব সিভিল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে।


এই ক্যালেন্ডার অনুসারে বর্তমান সাল: ১৪৪৬ হিজরি।


৩. চীনা ক্যালেন্ডার


চীনা ক্যালেন্ডার একটি লুনিসোলার ক্যালেন্ডার, যেখানে সাধারণ বছরে ১২ মাস (প্রায় ৩৫৪ দিন) এবং লিপ বছরে ১৩ মাস (প্রায় ৩৮৪ দিন) থাকে। এটি চীন এবং বিশ্বের বিভিন্ন চীনা কমিউনিটিতে ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব যেমন লুনার নিউ ইয়ার নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। সিভিল উদ্দেশ্যে চীন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে।


চীনা ক্যালেন্ডারে বছর গণনা গ্রেগরিয়ান, ইহুদি এবং ইসলামিক ক্যালেন্ডারের মত অনন্ত সংখ্যা ধরে চলে না, এটি ৬০ বছরের চক্রে গণনা করা হয়। প্রতিটি বছরের নাম একটি উপাদান (যেমন গুই বা “স্থির পানি”) এবং একটি রাশিচক্র প্রাণীর (যেমন মাও বা “খরগোশ”) সংমিশ্রণে নির্ধারিত হয়।


বর্তমান বছর: চীনা নববর্ষ ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল, এবং সেদিন থেকে সাপের বছর শুরু হয়েছে। চীনা রাশিচক্রে সাপকে জ্ঞানী, রহস্যময় এবং প্রজ্ঞাবান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ২০২৫ সাল কাঠের সাপের বছর হবে, যা প্রতি ৬০ বছরে একবার আসে। সর্বশেষ কাঠের সাপের বছর ছিল ১৯৬৫ সাল।

.


ক্যালেন্ডার আবিষ্কারের সম্ভাব্য কারণ


এই প্রশ্নের সহজ কোনো উত্তর নেই। অনেক ঐতিহাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং দার্শনিক এই বিষয়ে ভেবেছেন। মানুষের ক্যালেন্ডার আবিষ্কারের সম্ভাব্য কারণগুলি হতে পারে:


• কৃষিকাজ: মানুষ স্থায়ীভাবে কোনো অঞ্চলে বসবাস শুরু করার পর কৃষিকাজে জড়িয়ে পড়ে। তখন ফসল বোনা এবং ওঠানোর জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়। এমন একটি ক্যালেন্ডার, যা সঠিকভাবে বলবে ঋতুর শুরু এবং শেষ কখন, ফসল উৎপাদন এবং জমির ফলন বাড়াতে সাহায্য করবে।


• ধর্ম: ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং উৎসব নিয়মিতভাবে পালন করতে সময়ের নির্দিষ্ট পয়েন্ট দরকার। এক উপায় ছিল প্রাকৃতিক চক্রগুলি অনুসরণ করা, যেমন চাঁদের দশা বা একটি নদীর বদ্বীপে বার্ষিক বন্যা।


• ক্ষমতা: বন্যা, মৌসুমি বৃষ্টিপাত বা রাতের আকাশে সাইরিয়াস নক্ষত্রের অবস্থান পূর্বাভাস দিতে পারা একজন ব্যক্তি সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এমন ব্যক্তিকে প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণকারী হিসাবে দেখা হত—সে হতে পারে জ্ঞানী, শামান বা সরাসরি একজন নেতা বা গোত্রপ্রধান।

.


জ্যোতির্বিদ্যা আর ক্যালেন্ডার—একসঙ্গেই শুরু


ক্যালেন্ডার দিয়ে মানুষ সময় গুনে রাখা আর ভবিষ্যতের প্ল্যান করার আগে, তাদের তারার গতিবিধি জানতে হয়েছিল। কিন্তু জ্যোতির্বিদ্যা আর ক্যালেন্ডার—কোনটা আগে এসেছে? 


জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক আর জনপ্রিয় ব্লগার ড. ফিলিপ প্লাইট মনে করেন, এই দুইয়ের শুরুটা একসঙ্গেই হয়েছে। ড. প্লাইট তার ‘ব্যাড অ্যাস্ট্রোনমি’ (Bad Astronomy) বই আর ব্লগের জন্য বিখ্যাত। তিনি সহজ ভাষায় বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করেন।


ড. প্লাইট বলেন, “আমাদের ব্রেন প্যাটার্ন ধরার ক্ষেত্রে খুব ভাল। আপনি যদি এমন জায়গায় থাকেন, যেখানে আকাশ অন্ধকার আর তারা স্পষ্ট দেখা যায়, তাহলে দেখবেন কিছু নির্দিষ্ট নক্ষত্রমণ্ডল সূর্যাস্তের পর আকাশে ওঠে—যেমন যখন ঋতু বদলায়।”


তিনি আরও বলেন, “উত্তর গোলার্ধে, বসন্ত আসার সময় ওরিয়ন নক্ষত্রমণ্ডল দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে উঁচুতে থাকে। এটা খুব সহজেই চোখে পড়ে। তখন মানুষ ওই প্যাটার্নগুলি খেয়াল করতে শুরু করে। আর কিছুদিন পর বোঝা যায় যে এই প্যাটার্ন প্রতি ৩৬৫ দিনে একবার করে আসে। তাই আমার মতে, ক্যালেন্ডার আর আকাশের দিকে তাকানোটা হাতধরাধরি করেই শুরু হয়েছিল।”


#ক্যালেন্ডার #সময় #গণনা

নিচে ৭টি গাছের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো শুধুমাত্র পানিতে রেখে অনায়াসে বাড়ির রান্নাঘর বা বারান্দায় চাষ করা যায়। এসব গাছ শুধু শোভা বাড়ায় না, অনেকটা স্বাস্থ্য ও রান্নার জন্যও দারুণ উপকারী।

 নিচে ৭টি গাছের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো শুধুমাত্র পানিতে রেখে অনায়াসে বাড়ির রান্নাঘর বা বারান্দায় চাষ করা যায়। এসব গাছ শুধু শোভা বাড়ায় না, অনেকটা স্বাস্থ্য ও রান্নার জন্যও দারুণ উপকারী।


---


🌿 ১. পুদিনা (Mint)


হালকা রোদে ভালো থাকে।


পাতা রিফ্রেশিং গন্ধ দেয় ও অনেক রান্নায় ব্যবহার হয়।


কাণ্ড কেটে পানিতে রাখলে সহজেই শিকড় গজায়।


---


🌿 ২. পার্সলে (Parsley)


সালাদ, স্যুপ, গার্নিশিংয়ে ব্যবহৃত হয়।


পানিতে রেখে ২–৩ সপ্তাহে শিকড় বের হয়।


---


🌿 ৩. রোজমেরি (Rosemary)


হালকা ঘ্রাণযুক্ত এই গাছ রান্নায় ও সুগন্ধির কাজে ব্যবহৃত হয়।


ডাল পানিতে রেখে আলোতে রাখলে কয়েক সপ্তাহে শিকড় ধরে।


---


🌿 ৪. ওরেগানো (Oregano)


জনপ্রিয় ইতালিয়ান হার্ব।


সহজেই পানিতে শিকড় গজায়। রান্নায় সুস্বাদু ফ্লেভার দেয়।


---


🌿 ৫. গ্রিন অনিয়ন / পেঁয়াজ পাতা (Green Onion)


পেঁয়াজের গোড়া কেটে পানিতে রাখলেই নতুন পাতা গজায়।


প্রতিদিন কেটে ব্যবহার করা যায়।


---


🌿 ৬. টাইম (Thyme)


খুবই সুগন্ধি হার্ব।


এর ডাল পানিতে রাখলেই নতুন শিকড় গজাতে শুরু করে।


রোস্টেড খাবারে ও চায়ে ব্যবহৃত হয়।

যারা শিশুকে ঘনঘন এ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন🤷‍♀️,পোস্ট টা তাদের জন্য। 

 যারা শিশুকে ঘনঘন এ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন🤷‍♀️,পোস্ট টা তাদের জন্য। 

এ্যান্টিবায়োটিক শিশুদের জন্য খুব ক্ষ*তিকর হতে পারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণে:

1. গাট ফ্লোরা নষ্ট করে😞: এ্যান্টিবায়োটিক শুধু খা*রাপ ব্যাকটেরিয়া নয়, উপকারী ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে। বাচ্চাদের অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া তাদের হজম ও ইমিউন সিস্টেম গঠনে সাহায্য করে।


2. ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে😞: ঘন ঘন এ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালে শিশুর শরীর নিজে থেকে জীবাণুর সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে যেকোনো স্বাভাবিক অসুখ ও বাচ্চার সহজে ঠিক হয়না।

3. ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়😞: অপ্রয়োজনে বা অসম্পূর্ণ ডোজে এ্যান্টিবায়োটিক দিলে ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে ওই ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরবর্তীতে সিরিয়াস সংক্রমণ হলেও ওষুধ কাজ না-ও করতে পারে। ইদানিং অনেক শিশু পাওয়া গিয়েছে, যাদের শরীরে ৬-৭ ধরনের এ্যান্টিবায়োটিক এখন আর রেসপন্স করে না।যার ভয়া*বহতা আপনারা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন।

4. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে😞: যেমন ডায়রিয়া, বমি, অ্যালার্জি, স্কিন র‍্যাশ ইত্যাদি। কিছু শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক রিঅ্যাকশনও দেখা যায়।

5. ব্রেইন ডেভেলপমেন্টে প্রভাব😞: গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনের শুরুতে অপ্রয়োজনীয় এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নিউরোডেভেলপমেন্টাল ইস্যু (যেমন মনোযোগের ঘাটতি, আচরণগত সমস্যা) বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।


তাই কী করণীয়?💁‍♀️


👶শুধুমাত্র যখন ডাক্তার পরামর্শ দেন তখনই এ্যান্টিবায়োটিক দিন।( ডাক্তারদের কাছে অনুরোধ হুটহাট এ্যান্টিবায়োটিক ধরিয়ে দেবেন না, আপনারা সচেতন হলে সমস্যা সমাধান খুব ভালো ভাবে সম্ভব)


👶ভাইরাল ইনফেকশনে (যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর) সাধারণত এ্যান্টিবায়োটিক দরকার হয় না।


👶পুরো কোর্স শেষ করুন – মাঝপথে বন্ধ করলে সমস্যা। 

দয়াকরে সচেতন হবেন।

আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

#ShebikAmit 

ধন্যবাদ 🙏

ইসলাম ধর্মমত অনুযায়ী, ইবলিশ শয়তানদের নেতা। 

 ইসলাম ধর্মমত অনুযায়ী, ইবলিশ শয়তানদের নেতা।


এই শব্দের অর্থ চরম হতাশ।কুরআন অনুসারে, যখন ইবলিস আদমকে সেজদা করার আদেশ অমান্য করেছিল তখন তাকে জান্নাতের বাহিরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ইসলামি ধর্মতত্ত্বে ইবলিসকে এমন বৈশিষ্ট্য এবং কর্মের উদাহরণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় যাকে আল্লাহ জাহান্নামে শাস্তি দিবেন। ইবলিসের উৎপত্তি ও প্রকৃতি সম্পর্কে দুটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। কুরআনের ব্যাখ্যা (তাফসির) এবং নবীদের গল্প (কিসাস আল-আম্বিয়া) ইবলিসের মূল কাহিনীকে আরও বিশদভাবে বর্ণনা করে।

ইবলিশ হলো আকৃতি বিহীন আগুন। তবে তার যেকোন রুপ ধারন করার ক্ষমতা আছে। এবং যে কোন মানুষের চিন্তা শক্তি ও নফসের উপরে বর করার ক্ষমতা আছে।


ইসলাম ধর্মে ইবলিসকে দুষ্ট জিন বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআন এ উল্লেখ করা হয়েছে, যে যখন আল্লাহ আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করলেন এবং তিনি সকল ফেরেশতাদের বললেন আদমকে সিজদাহ্ করতে, তখন সকল ফেরেশতা সিজদাহ্ করলো। অথচ ইবলিস (শয়তান) সিজদাহ্ করলো না। ফলে সে অবিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হলো এবং আল্লাহ তাকে অভিশপ্ত করলেন।


কুরআনে বর্ণিত ইবলিশ শয়তানের কাহিনী- 


সুরা আল আরাফ (১১—৩৭):


আমি তো তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তোমাদের আকৃতি দিয়েছি, অতঃপর ফেরেশতাদের নির্দেশ দিলাম আদমকে সাজদাহ করার জন্য। তখন ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদা করল। সে সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হল না।

তিনি বললেন, “আমি যখন তোমাকে আদেশ দিলাম তখন কি তোমাকে নিবৃত্ত করল যে, তুমি সিজদা করলে না?” সে বলল, “আমি তার চেয়ে শ্ৰেষ্ঠ; আপনি আমাকে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে কাদামাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।”

তিনি বললেন, “তাহলে তুমি এখান থেকে নেমে যাও, এখানে থেকে অহংকার করবে, এটা হতে পারে না। সুতরাং তুমি বের হয়ে যাও, নিশ্চয় তুমি অধমদের অন্তর্ভুক্ত।”

সে বলল, “আমাকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দিন ,যেদিন তারা পুনরুত্থিত হবে।”

তিনি বললেন, “নিশ্চয় তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।”

সে বলল, “আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন, সে কারণে অবশ্যই অবশ্যই আমি আপনার সরল পথে মানুষের জন্য বসে থাকব।”

তারপর অবশ্যই আমি তাদের কাছে আসব তাদের সামনে থেকে ও তাদের পিছন থেকে, “তাদের ডানদিক থেকে ও তাদের বাম দিক থেকে এবং আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।”

তিনি বললেন, “এখান থেকে বের হয়ে যাও ধিকৃত,বিতাড়িত অবস্থায়। মানুষের মধ্যে যারাই তোমার অনুসরণ করবে, অবশ্যই অবশ্যই  আমি তোমাদের সবাইকে দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করব।”

“আর হে আদম! আপনি ও আপনার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করুন, অতঃপর যেথা হতে ইচ্ছা খান, কিন্তু এ গাছের ধারে –কাছেও যাবেন না, তাহলে আপনারা যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।”

তারপর তাদের লজ্জাস্থান, যা তাদের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল তা তাদের কাছে প্রকাশ  করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল এবং বলল, “পাছে তোমরা উভয় ফেরেশতা হয়ে যাও কিংবা তোমরা স্থায়ীদের অন্তর্ভুক্ত হও, এ জন্যেই তোমাদের রব এ গাছ থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।”

আর সে তাদের উভয়ের কাছে শপথ করে বলল , “নিশ্চয় আমি তোমাদের শুভাকাংখীদের একজন।'

অতঃপর সে তাদেরকে প্রবঞ্চনার দ্বারা অধঃপতিত করল। এরপর যখন তারা সে গাছের ফল খেল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা জান্নাতের পাতা দিয়ে  নিজেদেরকে আবৃত করতে লাগল। তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে এ গাছ থেকে নিষেধ করিনি এবং আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয় শয়তান তোমাদের উভয়ের প্রকাশ্য শত্রু ?”

তারা বলল, “হে আমাদের রব আমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং দয়া না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।“

তিনি বললেন, “তোমরা নেমে যাও, তোমরা একে অন্যের শক্র এবং যমীনে কিছুদিনের জন্য তোমাদের বসবাস ও জীবিকা রইল।”

তিনি বললেন, “সেখানেই তোমারা যাপন করবে এবং সেখানেই তোমরা মারা যাবে। আর সেখান থেকেই তোমাদেরকে বের করা হবে।”

আর স্মরণ করুন, যখন আমরা ফেরেশতাদের বললাম, আমাকে সিজদা করো, তখন ইবলিশ ছাড়া সকলেই সিজদা করলো ; সে অস্বীকার করলো ও অহংকার করলো। আর সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হলো।

আর আমারা বললাম, “হে আদম ! আপনি ও আপনার স্ত্রী  জান্নাতে বসবাস করুন এবং যেখান থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে আহার করুন, কিন্তু এই গাছটির কাছে যাবেন না ; তাহলে আপনারা হবেন যালিমদের অন্তর্ভুক্ত।”

অতঃপর শয়তান সেখান থেকে তাদের পদস্থলন ঘটালো এবং তারা যেখানে ছিলো সেখান থেকে তাদের কে বের করলো। আর আমরা বললাম, ‘তোমরা একে অন্যের শত্রু রুপে নেমে যাও; এবং কিছু দিনের জন্য তোমাদের  ও জীবিকা রইল জমিনে।”

তারপর আদম তার রবের কাছ থেকে কিছু বাণী পেলেন। অতঃপর আল্লাহ্‌ তার তাওবা কবুল করলেন।নিশ্চয় তিনিই তাওবা কবুলকারী,পরম দয়ালু।


তথ্য সংগৃহীত ইন্টারনেট থেকে।

কৃষি ও যৌনতা,,,,,,,,,

 ।। কৃষি ও যৌনতা ।।


প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ ও নিদর্শন অনুযায়ী কৃষিকাজের উদ্ভব হয়েছিল প্রায় ১২,০০০ বছর পূর্বে। তার পূর্বে প্রায় ২০ লক্ষ বছর মানুষ ছিল মূলত শিকারী ও সংগ্রাহক, যা জনপ্রিয় ভাবে “হান্টার-গ্যাদারার সোসাইটি” নামে পরিচিত। এই হান্টার-গ্যাদারার সমাজের মানুষের কাজ ছিল মূলত বিভিন্ন ভক্ষণযোগ্য উদ্ভিদ, ফল, কীটপতঙ্গ, পাখির ডিম ইত্যাদি সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন পশু, পাখি ও মাছ শিকার করা।


এই হান্টার-গ্যাদারারদের কিন্তু কিছু নিজস্ব রিচুয়ালিস্টিক প্র্যাকটিস বা আধ্যাত্মিক চর্চাও ছিল। মোটা দাগে একে “ধর্ম” বলছি না, কারণ বর্তমান সময়ে আমরা যে সকল অর্গানাইজড রিলিজিয়ন দেখতে পাই, মানব ইতিহাসে তার আবির্ভাব ঘটতে তখনও ঢের বাকি। কিন্তু কেন? কারণ তখনও অর্গানাইজড রিলিজিয়নের প্রয়োজন হয়ে ওঠেনি মানুষের। বরং প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল মানুষের তখন প্রকৃতিকেন্দ্রিক কিছু বিশ্বাস গড়ে ওঠে, যাকে সহজ ভাষায় আমরা এ্যানিমিজম বা সর্বপ্রাণবাদ বলে থাকি।


সর্বপ্রাণবাদ। অর্থাৎ সব কিছুরই প্রাণ বা স্পিরিট আছে। যেমন ধরুন সুউচ্চ কোন পাহাড় কিংবা সুবিশাল কোন সমুদ্র। এদের কৃপা প্রাপ্তির প্রয়োজন হলে এদেরকেই সম্মান জানাতে হবে। আবার এই সর্বপ্রাণবাদের অংশ হিসেবেই উদ্ভব হয় জাদুবিশ্বাসের, যাকে বর্তমান অর্গানাইজড রিলিজিয়নের আদিমতম রূপও বলা যায়। এই জাদুবিশ্বাসের সাথে কিন্তু জাদুটোনার কোন সম্পর্ক নেই। বরং প্রাকৃতিক যেকোনো বিষয়, যার উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই, তাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা থেকেই জাদুবিশ্বাসের উদ্ভব। যেমন ধরুন স্পেনের আলতামিরার কোন গুহাবাসী শিকারে যাওয়ার পূর্বে গুহার দেয়ালে একটি বাইসনের ছবি আঁকলেন এই বিশ্বাস থেকে যে এর মাধ্যমে তিনি বাইসনটির স্পিরিটের উপর নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন। ফলস্বরূপ আজ রাতে তিনি সহজেই এর শিকার করতে পারবেন।


জাদুবিশ্বাসকে অর্গানাইজড রিলিজিয়নের আদিমতম রূপ বলার অনেক গুলো কারণের মাঝে একটি হলো- এতে রিচুয়াল থাকলেও তা জটিল নয়। বাইসন চাই, তাই বাইসনের ছবি আঁকবো। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান বা বিষয়ের আন্তঃসম্পর্ক। যেমন আকাশ, বৃষ্টি ও জলের সম্পর্ক। অনেক সংস্কৃতিতে আজও বৃষ্টির প্রার্থনা স্বরূপ আকাশের দিকে জল ছুঁড়ে দেওয়ার চর্চা দেখা যায়। অর্থাৎ নিচে থেকে জল ছুঁড়ে দিলে জলের স্পিরিট আকাশের স্পিরিটকে প্রভাবিত করবে। এর ফলে আকাশও জল স্বরূপ বৃষ্টি দান করবে। মনে রাখতে হবে, এই আন্তঃসম্পর্কই কৃষির সাথে যৌনতাকে জুড়ে দিয়েছে পুরো পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে।


কৃষির উদ্ভাবন মানব সভ্যতার বেড়ে ওঠার ইতিহাসের যে সুউচ্চ পর্যায়ে আছে, খুব কম বিষয়ই সেই উচ্চতাকে অতিক্রম করতে পেরেছে বোধহয়। হয়তো আগুন আবিষ্কারের পর এটিই ছিল মানব ইতিহাসের সর্বোচ্চ মাইলফলক। কিন্তু একই সাথে ফসল উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি বুঝতে মানুষের বেশ মুশকিলও হয়েছে। “শুধু বীজ বুনলেই কি ফসল হয়?” – হয়তো এমন প্রশ্ন মানুষকে ভাবিয়েছে দীর্ঘ সময়। অর্থাৎ সে যে বীজ বুনছে, তা থেকে ফসল ফলছে কীভাবে? কোন অতিপ্রাকৃতিক স্পিরিট কি এটি নিয়ন্ত্রণ করছে?


২০ লক্ষ বছর ধরে হান্টার-গ্যাদারার সোসাইটিতে বাস করে আসা মানুষ শিকার ও সংগ্রহ সম্পর্কে প্রায় সবকিছু জেনে থাকলেও কৃষি সম্পর্কে তার ধারণা শূন্য। শিকার যোগ্য প্রাণী চোখের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, চোখের সামনেই গাছে ঝুলছে ফল। কিন্তু ফসলটা ফলছে চোখের আড়ালে, অনেকটা অদৃশ্য থেকেই। আবার ফল কিংবা প্রাণীর যোগান সহজেই চাহিদা মোতাবেক নিশ্চিত করা সম্ভব হলেও, ফসলের ফলনের পরিমাণ নিশ্চিত করার কোন উপায় ছিল না। তাই ঠিক কী ধরণের জাদুচর্চার মাধ্যমে ফসলের ফলন বৃদ্ধি কিংবা নিশ্চিত করা যায়, তার সম্পর্কেও সে জ্ঞানশূন্য।


আর এখানেই ঘটে অদ্ভুত এক বিষয়। মানুষের সৃজনশীল মস্তিষ্ক কৃষির সাথে এমন একটি বিষয়ের আন্তঃসম্পর্ক স্থাপন করে যার সাথে এর সরাসরি কোন সম্পর্ক না থাকলেও বৈশিষ্ট্যগত কিছু মিল ছিল। আর তা হলো নারীর প্রজনন।


প্রথমত, কৃষির মতো প্রজননের পুরো বিষয়টিও মানুষের কাছে অদৃশ্য ছিল। দ্বিতীয়ত, একটি অদৃশ্য প্রক্রিয়া থেকে ফসলের জন্ম এবং একই রকম অদৃশ্য প্রক্রিয়া থেকে শিশুর জন্মের মাঝে সে খুঁজে পেয়েছিল অদ্ভুত রকম সাদৃশ্য। এই দুই অদৃশ্যের মাঝে যে সাদৃশ্য, তা থেকে আরও কিছু সম্পর্ক স্থাপিত হয়। যেমন ফসলী জমি বা ভূমির সাথে যোনী ও মাতৃত্বের সাদৃশ্য। অপরদিকে হলকর্ষণের সাথে পুরুষত্বের সম্পর্ক। অর্থাৎ পুরুষের লিঙ্গ ও নারীর যোনীর মিলন বা যৌনক্রিয়ার ফলস্বরূপ যেমন শিশুর জন্ম হয়, তেমনি কৃষি জমিতে হলকর্ষণের ফলে ফসলের ফলন হয়।


এই বিষয়ে আলোকপাত করে লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ সুধীর চক্রবর্তী তাঁর “নির্বাচিত প্রবন্ধে” লিখেছেন-- “কৃষিভিত্তিক সমাজে জমিতে শস্য উৎপাদন আর নারী গর্ভে সন্তান আগমন একই জাদুবিশ্বাসে গৃহীত হয়।”


এভাবেই উদ্ভব ঘটে যৌনতা ভিত্তিক বিভিন্ন জাদুবিশ্বাসের। এমন ধারণারও জন্ম হয় যে, নারী পুরুষের যৌনক্রিয়া যত বেশি হবে, ভূমিও ততই যৌনসক্রিয় ও উর্বর হয়ে উঠবে। প্রাচীনকালে ইন্দোনেশিয়ার জাভা সহ পৃথিবীর আরও বিভিন্ন অঞ্চলে এই ধারণা এতটাই তীব্র ছিল যে অনেক সময় কৃষির জমিতেই নারী-পুরুষ যৌনক্রিয়ায় অংশ নিতেন। আবার মধ্য আমেরিকার পিপাইল জাতির কৃষকেরা জমিতে বীজ বোনার প্রায় চার দিন আগে থেকেই সঙ্গম থেকে বিরত থাকতেন। কারণ তারা বিশ্বাস করতেন, বীজ বপনের ঠিক আগের রাতে তীব্র যৌনক্রিয়া করতে পারলে জমির উর্বরতা তার দ্বারা প্রভাবিত হবে।


এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। হান্টার-গ্যাদারার সমাজের প্রাথমিক পর্যায়ে লিঙ্গভিত্তিক শ্রেণীবিভাজনের বিষয়টি তুলনামূলক কম ছিল। শিকার হোক অথবা ফলমূল সংগ্রহ, নারী পুরুষ উভয়ই সে কাজে অংশগ্রহণ করতেন। কিন্তু এই দৃশ্যপট আবার বদলে যায় বল্লম আবিষ্কারের পর। বল্লম নিক্ষেপের দক্ষতা পুরুষদের শিকারে পারদর্শী করলে তারা ফলমূল সংগ্রহের কাজ ধীরে ধীরে ছেড়ে দেন। অর্থাৎ নারীরা একাই সংগ্রহের কাজটি অব্যহত রাখেন। আর এই ফল সংগ্রহের কাজ করতে করতেই কিন্তু তার বীজ থেকে নারীরাই প্রথম কৃষির উদ্ভাবন করেন। এর প্রমাণস্বরূপ পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য লোকগল্পের দেখা মেলে। যেমন আমেরিকার চেরোকি আদিবাসীরা এখনও বিশ্বাস করেন, শস্য আবিষ্কার করেছিলেন পৃথিবীর প্রথম নারী, ঘন জঙ্গলের ভেতরে। গবেষক রবার্ট ব্রিফল্ট এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিয়ে মন্তব্য করেন— "The art of cultivation has developed exclusively in the hands of women."


তাই নারীদের হাতে কৃষিকাজের সূচনা হওয়া কিন্তু কৃষির সাথে নারী ও মাতৃত্বের সম্পর্ক জোরদার হওয়ার আরেকটি বড় কারণ। এর ফলে পরবর্তীতে কৃষিভিত্তিক যত গুলো রিচুয়ালের উদ্ভব ঘটে, তার সাথে নারী ও মাতৃত্বের বিশেষ সম্পর্ক দেখা যায়। বিশেষত এমন ধারণা করা হয় যে, যেসব বিষয় বা পূর্বশর্ত নারীকে প্রজননক্ষম বা উর্বর করে, তা ভূমিকেও উর্বর করে।


এখানে উদাহরণ হিসেবে ঋতুস্রাবের কথা উল্লেখ করা যায়। নারীরা যেমন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঋতুমতী হন, একই ভাবে ভূমি বা ধরণীরও ঋতুপর্ব চলে। গ্রীষ্মের তাপদাহের পর তপ্ত পৃথিবীর বুকে যখন আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টি নামে, তখন আমাদের উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে পালিত হয় অম্বুবাচীর পারণ। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এ কয়দিন ধরণীর ঋতুপর্ব চলে। এ সময় একজন ঋতুমতী নারীর মতোই ধরণীর প্রতিও অধিক যত্নবান হতে হবে। তাই এই নির্দিষ্ট সময়কালে জমিতে হলকর্ষণ এবং চাষাবাদ তো নিষিদ্ধই, এমনকি অন্য কোন কারণেও মাটি খোঁড়া যাবেনা।


আবার সন্তানসম্ভবা নারীকে যেমন সাধ খাওয়ানোর রীতি আছে, তেমনি কৃষি জমিকেও সাধ খাওয়ানোর রীতি দেখা যায় আমাদের উপমহাদেশে। শিবায়ন কাব্যে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়েছে, ভোর রাতে কৃষক স্নান করে ভিজে কাপড়ে জমিতে সাধভক্ষণের অনুষ্ঠান করে থাকেন। এখানে সাধের উপকরণ হলো– আতপ চালের গুড়ো, কাঁচা তেঁতুল, কাঁচা হলুদ, ডাবের জল, কাঁচা দুধ, গঙ্গা জল, খেজুরের নতুন গুড়।


কিছু নেটিভ আমেরিকান জাতিগোষ্ঠীর বিশ্বাস অনুযায়ী, নারীরা যেহেতু সন্তানের জন্ম দিতে পারেন, তাই তারা ফসলের জন্মও দিতে পারবেন। নারীর উর্বরতাশক্তি কোন এক অতিপ্রাকৃতিক শক্তির বলে বীজের ভেতর ঢুকে যায়। তাই সেখানে নারীরাই সর্বদা ফসলের বীজ বুনতেন। তারা ধারণা করতেন, নারীরা ভুট্টা বুনলে প্রতি বৃন্তে তিনটি করে ভুট্টা ফলবে।


ধীরে ধীরে অর্গানাইজড রিলিজিয়ন এবং বিভিন্ন দেবদেবীর উত্থান হতে শুরু করলে দেখা যায়, কৃষি ও প্রজনন উভয়ের জন্য একই মাতৃকা শ্রেণীর দেবীর ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে জানা যায়, প্রাচীন সর্বপ্রাণবাদী সমাজে এই দেবীদের উত্থান শুরু হলে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের প্রতিকৃতি তৈরি হতো জমির ফসল দিয়েই। কারণ মানুষের বিশ্বাস ছিল ফসল কাটা শুরু হলে তার ভেতরের স্পিরিটটি দ্রুত ফসলের গোড়ার দিকে চলে যায়। তাই একবার ফসল কর্তন শেষ হলে সেই গোড়ার অংশ গুলো দিয়েই তৈরী হতো প্রতিকৃতি। অতঃপর তাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই আয়োজিত হতো নানা উৎসব-পার্বণ। কালের বিবর্তনে পৃথিবীর নানা প্রান্তে উদযাপিত এই উৎসব গুলোই ধীরে ধীরে “নতুন ফসলের উৎসব” হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।


সময়ের সাথে সাথে মাতৃকা শ্রেণীর এই দেবীরা আরও স্বতন্ত্র রূপ এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। হরপ্পা সভ্যতা থেকে অজস্র নগ্ন মাতৃমূর্তি পাওয়া গিয়েছে। গবেষকদের ধারণা, এর সাথে কৃষিভিত্তিক জাদুবিশ্বাসের সম্পর্ক রয়েছে। আবার একটি শিলে দেখা যায়, এক নারী ভূমিতে মাথা ঠেকিয়ে দু’ পা প্রসারিত করে রেখেছেন এবং তাঁর যোনী থেকে বেরিয়ে আসছে শাক-লতা-পাতা। 


প্রাচীন সুমেরীয় অঞ্চলের উর্বরতা ও প্রজননের দেবী ইশতার। জানা যায়, প্রায় ছয় হাজার বছরের প্রাচীন এই দেবীর মন্দিরে গণিকারা অবস্থান করতেন। তাদের মনে করা হতো উর্বরতার এই দেবীর প্রতিনিধি। সেখানকার গম চাষিরা ব্রোঞ্জের মুদ্রার বিনিময়ে মন্দিরে থাকা গণিকাদের সাথে সঙ্গম করতে পারতেন। তবে এই সঙ্গম কেবল মনোরঞ্জনের কারণেই নয়, বরং তখনকার বিশ্বাস অনুযায়ী এটি ছিল ফসল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ। আবার অনেক গবেষক দাবী করেন, আদিতে দেবী দুর্গাও ছিলেন শস্যদেবী। দুর্গাপূজার সাথে জড়িত নবপত্রিকা সে বিষয়টিই হয়তো নির্দেশ করে। এমনকি দেবী ইশতারের মতো দেবী দুর্গার পূজা উৎসবেও গণিকাদের উপস্থিতি ছিল বলে মনে করেন গবেষক নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এর উল্লেখ পাওয়া যায় কালিকাপুরাণেও। মূলত শবর জাতিগোষ্ঠী একসময় দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দশমীর রাতে ‘শাবরোৎসব’ আয়োজন করতেন, যেখানে নর্তকী ও গণিকারা উপস্থিত থেকে সকলের মনোরঞ্জন করতেন।


একই ভাবে প্রাচীন ভারতের ভূমি দেবী বা বসুন্ধরাও কিন্তু একাধারে কৃষিজমির উর্বরতা এবং প্রজননের জন্য পূজিত। বসুন্ধরা দেবীর সমকক্ষ গ্রীক দেবী হলেন গাইয়া। গাইয়াও একই ভাবে জমির উর্বরতা এবং সন্তান সন্ততি লাভের জন্য পূজিত হতেন।


তবে এখানে আরও চমকপ্রদ একটি বিষয় আছে। আমাদের এই উপমহাদেশের দেবদেবীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে বর্ণিত হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তাঁরা তাঁদের মূল থেকে অনেকটাই সরে গিয়ে অন্য কোন রূপ ধারণ করেছেন। ঠিক তেমনটাই দেখা যায় রামায়ণের অন্যতম মূল চরিত্র “সীতা”র ক্ষেত্রে।


প্রাচীন ভারতে সীতা একসময় স্বয়ং কৃষিদেবী হিসেবেই পূজিত হয়েছেন। ঋগ্বেদে কৃষিদেবী হিসেবে উল্লেখিত আছে সীতার নাম। আবার অথর্ববেদে আছে সীতার স্তবক মন্ত্র–

"সীতা বন্দামহে ত্বাবর্চীসুভগে ভব

যথাঃ নঃ সুমনা অসো যথাঃ নঃ সুফলা ভব"


মৌর্য যুগে সীতা ছিলেন রাষ্ট্রীয় কৃষিদেবী। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের একটি অধ্যায়ের নাম 'সীতাধ্যক্ষ'। এই শব্দের অর্থ হলো– উচ্চপদস্থ কৃষি কর্মচারী।


তবে যদি রামায়ণের সীতার জন্মকথাকে একটু ভেঙে দেখি, তবে দেখবেন সেখানেও কৃষি ও যৌনতার অভাবনীয় একটি সম্পর্কের অস্তিত্ব আছে। 


বলা হয়, মিথিলার রাজা জনক সন্তান লাভের আশায় আচার-প্রথা হিসেবে জমিতে লাঙ্গল দিলে জমি থেকে সীতার আবির্ভাব হয়। “সীতা” শব্দের অর্থই হলো জমিতে লাঙ্গল দেওয়ার ফলে সৃষ্ট দাগ। অর্থাৎ জমি আর লাঙ্গলের মিলনের চিহ্ন, ঠিক যেমন নারী পুরুষের মিলনের চিহ্ন হলো তাদের সন্তান। শাস্ত্র অনুযায়ী সীতা কিন্তু ভূমি দেবীরই কন্যা, আর রাজা জনক তাকে পেয়েছিলেন লাঙ্গল দিয়ে জমি কর্ষণ করতে গিয়েই।


আবার লাঙ্গল শব্দটির ধাতু হলো 'লঙ্গ'। লিঙ্গ শব্দের ধাতুও কিন্তু তা-ই। অর্থাৎ পুরুষের লিঙ্গ আর কৃষির লাঙ্গলকে সমতুল্য হিসেবে দেখা হয়েছে। তাই ভূমি যদি যোনী হয়, তবে লাঙ্গল হলো পুরুষাঙ্গ। লাঙ্গল দিয়ে হলকর্ষণের ফলে ভূমি যেমন উর্বর হয়, নরের সাথে মিলনে তেমনি নারীও হয় সন্তানসম্ভবা। সীতার জন্মকাহিনীতেও হয়তো এই বিষয়টিই প্রতিকীরূপে দেখা যায়।


শেষ করছি বাংলায় এসে। এখানেও ঘটেছে চমকপ্রদ আরেকটি ঘটনা। বাংলার কোচ সম্প্রদায় থেকে শুরু করে আরও অসংখ্য সম্প্রদায়, অঞ্চল ও সেখানকার লোক আচারে শিব ঠাকুরকে তাঁর বৈদিক ও পৌরাণিক রূপ থেকে সরিয়ে লৌকিক কৃষক হিসেবে দেখা হয়। ধর্মমঙ্গল কাব্যে শিবের এই কৃষক রূপ আরও উদ্ভাসিত হয়। শূন্য পুরাণে এই আলাপ আরও বিস্তর। শিব সেখানে আরও সাধারণ, একজন ভিক্ষুক। সংসার যখন অভাবে আর চলছে না, তখন তাঁর স্ত্রী গৌরী তাঁকে চাষাবাদ করার পরামর্শ দিলেন। 


চাষের জন্য তিনি বলদ, লাঙ্গল, মই, দড়ি সবই সৃষ্টি করলেন। কিন্তু বীজ পাবেন কোথায়? সেই নিয়ে আকুল হয়ে ভাবতে ভাবতে একদিন গৌরীর প্রতি শিবের কামভাব জাগ্রত হলো। আর সেই কামভাব থেকেই জন্ম নিলো পৃথিবীর প্রথম ধান “কামোদ”, যার থেকে ধীরে ধীরে পৃথিবীর সকল ধানের সৃজন হলো–


“কৌতুক করিতে শিবে উপজিত কাম।

কামে উপজিল ধান কামোদ বলি নাম।।

একধানে হইবাক সহস্রেক নাম।

ইহাতে আসিয়া লক্ষ্মী করিবে বিরাম।।”


— মুহাইমিনুল নীলয়


তথ্যসূত্র:

১। উপমা অধিকারী, “মাতৃকাশক্তির উপাসনা - পর্ব ১”, ফোকলোর এক্সপেডিশন বাংলাদেশ (২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩)

২। স্বপনকুমার ঠাকুর, “বাংলার কৃষিকাজ ও কৃষিদেবতা”, খড়ি প্রকাশনী (২০২০)

৩। Sir James Frazer, “The Golden Bough”, Macmillan Publishers (1890)

৪। নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, “ভারতীয় ধর্মের ইতিহাস”, জেনারেল প্রিন্টার্স (১৯৭৭)

৫। দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, “লোকায়ত দর্শন”, নবশক্তি প্রেস (১৯৫৯)

৬। “আত্মা, শস্য, যৌনতা ও দেবত্ব”, ক্যানভাস (১ অক্টোবর, ২০২১)

ননস্টিক প্যানে একটি সামান্য স্ক্র্যাচ থেকে ৯ হাজার বিষাক্ত মাইক্রো-প্লাস্টিক উন্মুক্ত হয়ো

 ননস্টিক প্যানে একটি সামান্য স্ক্র্যাচ থেকে ৯ হাজার বিষাক্ত মাইক্রো-প্লাস্টিক উন্মুক্ত হয়। আর প্রলেপ উঠে গেলে সে সংখ্যা পৌঁছাতে পারে ২০ লাখে! যা প্রতিবার রান্নায় মেশে খাবারের সাথে।


ননস্টিক প্যান, খুন্তি— এসবে টেফলনের প্রলেপ দেওয়া হয়। টেফলন প্লাস্টিক জাতীয় পলিমার। সাধারণ প্লাস্টিক নয়, বরং এটি একটি 'ফরেভার কেমিক্যাল', যা কখনও নষ্ট করা যায় না। একে 'চিরস্থায়ী বিষ' বললেও ভুল হবে না।


এসব সরঞ্জাম একটু পুরনো হলেই খাবারের সাথে মিশতে থাকে এসব কেমিক্যাল, যা দীর্ঘ সময় ব্যবহারে নারী ও পুরুষ উভয়েরই বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে! এমনকি শিশুর বিকাশ ও ক্যানসারের কারণও এসব কণা। হরমোনের ভারসাম্যহীনতারও সূত্রপাত এখান থেকেই। ৯৯% আমেরিকানের রক্তে বিভিন্ন মাত্রায় এই রাসায়নিক পাওয়া গেছে। 


Dr.Abu Musa Khan ডিএইচএমএস ( হোমিওপ্যাথি), মাদার তেরেসা ও মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত, সুদীর্ঘ ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা।

প্রভাষক (অব.) কাজী সিরাজুল ইসলাম হোমিওপ্যাথি কলেজ ও ট্রাস্ট বোর্ডের মেম্বার ডা. দিলীপ রায় হোমিওপ্যাথি কলেজ।


ঠিকানা::::

বিলাসী শপিং কম্পেলেক্স,  বোয়ালমারী উপজেলা সদর, ফরিদপুর।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ২৮-০৪-২০২৫ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ২৮-০৪-২০২৫ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান শেষে রোম থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা।


সেপ্টেম্বরে আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশ ক্যাথলিক চার্চ।


সংলাপের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান ঢাকার।


বিদ্যুৎ, মেট্রোরেল, সড়ক ও রেলপথে গ্রাহক কিংবা যাত্রীসেবা বিঘ্নিত হলে টেলিভিশন স্ক্রলের মাধ্যমে জানানোর নির্দেশনা।


রফতানি প্রক্রিয়া উন্নয়নে সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু।


কাশ্মির উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো ভারত। 


আজ চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও সফররত জিম্বাবুয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ও শেষ ক্রিকেট টেস্ট।

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

আঁকড়ে ধরা বোঝো,,,,,

 আঁকড়ে ধরা বোঝ,,,? 

যেমন করে আঁকড়ে থাকে ঝিনুক তার মুক্তোকে। যেমন করে আকাশের বুকে আঁকড়ে থাকে মেঘ। ঐ যে অল্প অল্প করে ধরছি আর ছাড়ছি। ছাড়ছিও না আবার শক্ত করে ধরছিও না ; এমনটা নয়। 


অনাদর বোঝ,,,,? 

হৃদয়ে প্রেম আর আদরে টইটম্বুর, অথচ দেখার কেউ নেই। ঐ যে যেমন করে অবুঝ শিশু আদর পেলে মিশে থাকে বুকের সাথে। যেমন করে ছোট্ট পাখি পোষ মানে আদর পেলে। কেউ পাশে থাকার পরও বুকে শূন্যতা নিয়ে বেড়ানোই অনাদর। 


দূরত্ব বোঝ,,,,,? 

এই যে তুমি আছো, আমি আছি, শুধু আমাদের কোন কথা নেই। তুমি তোমার মতো আর আমি আমার মতো। দূরত্ব কি বলে কয়ে আসে? আমরাই ডেকে নিয়ে আসি। 


অভিমান বোঝ,,,,,? 

কথা বলার তীব্র আকুতি, কথা গলায় আটকে যাওয়াই হলো অভিমান। যেমন করে নিঃস্বঙ্গ পাখিটি উড়ে বেড়ায় আকাশের বুকে। 


অবহেলা বোঝ,,,,,? 

এই যে দিনের পর দিন অপেক্ষায় উপেক্ষা নিয়ে বসে থাকা। আসবে না, ভালোবাসবেনা জেনেও কি নিদারুণ আকুতি। এতো ভালোবাসা পেয়েও দিব্যি ভুলে থাকো, দূরে থাকো----এটিই অবহেলা। 


তুমি এতো কিছু বোঝ শুধু মন বোঝ না। মনের আকুতি বোঝ না। বেখেয়ালি মনে পৃথিবী দেখো, নিজের মতো করে সব ভাবো। 

শুধু আমার মতো করে আমায় বোঝ না 🖤🖤🖤


নিজেকে বুঝতে আমাদের সাথে ট্রাভেল করুন আমাদের ট্রাভেল পেজ Gangchil Travellers BD - GTB

পাখি পাকা পেঁপে খায়" ছাড়াও আরো অনেক বাক্য আছে! আসুন ঝটপট পড়ে ফেলি :

 "পাখি পাকা পেঁপে খায়" ছাড়াও আরো অনেক বাক্য আছে!

আসুন ঝটপট পড়ে ফেলি :


★ বাবলা গাছে বাঘ উঠেছে

★ গম আর চিনা

★ চাচি তুমি চাঁছা চটা চেঁছ না আচাঁছা চটা চেঁছ

★ লোহার রেলগাড়ী

★ হাঁসের ঠোঁট চ্যাপ্টা, মুরগির ঠোঁট চুক্কা

★ হরলালের রেলগাড়ি

★ তেলে চুল তাজা জলে চুন তাজা

★ সুঁচে সুতো ছাতে ছুঁচো

★ লারা রোড রোলারে লর্ডসে যায়

★ কাকেরা কা কা করিয়া কাকে কাকা কইছে

★ কাঁচা পেঁপে, পাকা পেঁপে

★ নলিনী লালনের নোলক নাকে তাল তাকে থাক কাক তাকে খাক

★ পাতে পটল পড়লেও পড়তে পারে

★ পাখি পাকা পেঁপে খায়

★ বারো হাঁড়ি রাবড়ি বড় বাড়াবাড়ি

★ কাঁচা গাব, পাকা গাব

★ লীনা নিল, নীলা লীলা নিল না

★ নেরু রেনুর কান টানে, রেনু নেরুর নাক টানে

★ বাঘার বাড়ি বাবার গাড়ি

★ লরির ওপর রোলার

★ টাকে কাক, তাকে কাপ

★ লেনিন নিলেন লিনেন, লিনেন লেনিন নিলেন, নিলেন লেনিন লিনেন

★ গাছ কাটা কাটা খাঁজ, খাঁজ কাটা কাটা গাছ

★ করলার কলে বাড়ে কলেরার কলরব

★ শ্যমবাজারের শশী বাবু সকাল বেলায় সাইকেল চড়ে শশা খেতে খেতে সশরীরে স্বর্গে গেলেন

★ পাখি কাঁপে ফাঁদে, পাপী কাঁদে ফাঁকে

★ এক আনায় আনা যায় কত আনারস

★ মালির মাথায় মালার ডালা, মালার হাতে মালির মালা

★ রণে রাণী লড়ে, লনে নারী নড়ে

★ মাসি মারে মশা, মেসো মারে মাছি

★ অস্ট্র উষ্ট্রের সাথে অষ্ট অশ্ব

★ লালুর লড়াই রাবড়ি লড়েন

★ নানিরে পান দিই, চুন দিই

★ লাল ল্যানোলিন, নীল ল্যানোলিন

★ দুর্যোধন জর্দা খেয়ে দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়

★ রোমা রল্যা লেড় খায়

★ চাচায় চা চায়, চাচি চেঁচায়

★ লালু লালা নিলী লিলি লীলা লীনা

★ মনাকে মনার মা মানা করেছে, মনা মায়ের মানা না শুনে চলে গেছে

★ চল চপলার চকিত চরণে করিছে চরণ বিচরণ

★ কত না জনতা জানাল যতনে যতনে

★ লীলা নিলি নালা নালী

★ কালুদের কুচকুচে কালো কুকুর কাল কচুরিতে কামড় দিয়েছিল

★ টিপুর টুপি টুপুর টাকে, টুপুর টাকা টিপুর ট্যাঁকে

★ উৎকটকটমহাশঙ্করকিটকিটাম্বররায়চৌধুরী 

★ লালা রি লোলা রি লিলারি লালারি লু

★ পাঁক পুকুরের পশ্চিম পাড়ের পাঁচু পাইন পাঁচটি পুলিশ কে পটিয়ে পাঁচটি পাইপ পুঁতিল

★ হেলিকপ্টারের প্রোপ্রাইটারের প্রপিতামহ প্রপেলারের চোটে পটলপ্রাপ্ত

★ গড়ের মাঠে গরুর গাড়ি গড় গড়িয়ে যায়

★ চারুচন্দ্র চক্রবর্তী চটি জুতো চরণে জড়ায়ে চট্টগ্রাম চলে গেছে

★ লাল গরুর লাল রান

★ রুলারে লড়াই

★ কে কোণে কাঁটা পুঁতে, কানা কোণে কাঁটা পুঁতে, কেন কানা কোণে কাঁটা পুঁতে, পুঁতে দেখুক  না কানা কোণে কাঁটা

★ মিতা আটা হাতে আতা কাটে

★ বাঁশের বাঁশি, বাঁশের কাঠি, কাঠের বাঁশি, কাঁসার বাটি

★ ভাত আর নেব না

★ মাচার তলে গুড়ের হাড়ি,

গুড় উঠাই গুড় খাই

★ চাচা চেঁচায়, চাচি চেঁচায়, চাচা চাচি এত চেঁচায়, চামিলি চমকে যায়

অর্গানিক ফার্মিং: অল্প পুঁজি, বিশাল সম্ভাবনা!

 অর্গানিক ফার্মিং: অল্প পুঁজি, বিশাল সম্ভাবনা!


বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে অর্গানিক খাদ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই সুযোগে খুব কম পুঁজিতে অর্গানিক চাষাবাদের মাধ্যমে আপনি মাসে ৫০,০০০–২০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এটি একটি সম্মানজনক, পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক ব্যবসা।


কেন অর্গানিক ফার্মিং করবেন?


বাজারে অর্গানিক খাদ্যের উচ্চ চাহিদা


রাসায়নিকমুক্ত চাষাবাদ হওয়ায় পরিবেশবান্ধব


তুলনামূলক কম পুঁজিতে শুরু করা যায়


কম প্রতিযোগিতা, বেশি লাভের সুযোগ


স্টার্টআপ প্ল্যান (পরিকল্পনার ধাপ):


ধাপ ১: চাষের পণ্য নির্বাচন করুন


শাকসবজি (লেটুস, পালং শাক, পুঁই শাক)


ফলমূল (পেঁপে, কলা, লেবু)


ভেষজ গাছ (তুলসী, অ্যালোভেরা)


ধাপ ২: জমি নির্বাচন


৫–১০ কাঠা জমিতে শুরু করতে পারেন


জমি নিজের না হলে ভাড়া নিতে পারেন


ধাপ ৩: প্রাকৃতিক উপায়ে মাটি প্রস্তুত করুন


গোবর সার, কম্পোস্ট সার ব্যবহার করুন


জমিতে রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করবেন না


ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ


ভালো মানের বীজ


জৈব সার (কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট)


পানি সরবরাহের ব্যবস্থা (সেচ)


আনুমানিক খরচের হিসাব:


জমি ভাড়া: ৫,০০০–১৫,০০০ টাকা (মাসিক)


বীজ ও সার: ১০,০০০–২০,০০০ টাকা


সেচ ও অন্যান্য: ৫,০০০–১০,০০০ টাকা


মোট প্রাথমিক খরচ: ৩০,০০০–৫০,০০০ টাকা


মাসিক আয় ও লাভ:


উৎপাদন শুরু: ২–৩ মাসের মধ্যে


প্রতি মাসে ফসল বিক্রি করে আয়: ৫০,০০০–১,৫০,০০০ টাকা


লাভ থাকবে আনুমানিক ৪০–৬০% পর্যন্ত


কোথায় বিক্রি করবেন?


স্থানীয় বাজার


সুপারশপ ও অর্গানিক ফুড স্টোর


অনলাইন প্লাটফর্ম (Facebook Page, Instagram)


অতিরিক্ত টিপস:


অর্গানিক ফার্মিংয়ের প্রশিক্ষণ নিন (DOF, PKSF, BRAC)


আপনার পণ্যের ব্র্যান্ডিং করুন (প্যাকেটিং ও লোগোসহ)


গ্রাহকদের ফার্ম ভিজিটের সুযোগ দিন—বিশ্বাস তৈরি হবে


অর্গানিক ফার্মিং শুধু একটি ব্যবসা নয়, এটি একটি স্বাস্থ্য সচেতন আন্দোলন। আপনি চাইলে নিজের ক্ষুদ্র উদ্যোগ থেকেই বিশাল সাফল্যের গল্প তৈরি করতে পারেন।


#অর্গানিক_ফার্মিং #স্বাস্থ্যকর_খাদ্য #GreenBusiness #AgriStartup #GlobalTravelMates #EntrepreneurBD

ছাগল পালন করে আয় করুন সঠিক জাত বেছে নিয়ে!

 🐐 ছাগল পালন করে আয় করুন সঠিক জাত বেছে নিয়ে!


আপনি কি ছাগল পালন করে লাভের কথা ভাবছেন? নিচের লাভজনক জাতগুলো সম্পর্কে জেনে নিন, যা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সহজলভ্য এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল:


🇧🇩🇮🇳🇵🇰 বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সেরা ছাগলের জাত

1️⃣ ব্ল্যাক বেঙ্গল (Black Bengal)


বৈশিষ্ট্য: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, মাংস ও চামড়া উৎকৃষ্ট।


ওজন: পুরুষ ২০-৩০ কেজি, মাদী ১৫-২৫ কেজি।


লাভ: কম খরচে দ্রুত বাজারজাত করা যায়।


2️⃣ জামুনাপারি (Jamunapari)


বৈশিষ্ট্য: লম্বা পা, দুধ ও মাংস উভয়ের জন্য ভালো।


ওজন: পুরুষ ৫০-৯০ কেজি, মাদী ৩৫-৬০ কেজি।


লাভ: উচ্চমূল্যের ব্রিড, বিদেশে রপ্তানির সুযোগ।


3️⃣ বিটাল (Beetal)


বৈশিষ্ট্য: বড় আকার, দুধ উৎপাদন ভালো।


ওজন: পুরুষ ৫০-৮০ কেজি, মাদী ৩৫-৬০ কেজি।


লাভ: স্থানীয় চাহিদা বেশি, দাম ভালো।


4️⃣ বারবাড়ি (Barbari)


বৈশিষ্ট্য: ছোট আকার, দ্রুত বেড়ে ওঠে।


ওজন: পুরুষ ৩৫-৫০ কেজি, মাদী ২৫-৩৫ কেজি।


লাভ: শহুরে বাজারে জনপ্রিয়।


5️⃣ বোয়ার (Boer - বাংলাদেশে এখন চাষ হচ্ছে!)


বৈশিষ্ট্য: দক্ষিণ আফ্রিকান এই জাত দ্রুত বাড়ে, মাংসের জন্য সেরা।


ওজন: পুরুষ ৯০-১৩৫ কেজি, মাদী ৭০-১০০ কেজি।


লাভ: উচ্চ মাংস উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামারের জন্য আদর্শ।


✅ ছাগল পালনের লাভ

কম জায়গায় বেশি লাভ: গরু/মুরগির তুলনায় কম জায়গা লাগে।


দ্রুত রিটার্ন: ৬-১২ মাসেই বিক্রি করা যায়।


বহুমুখী আয়: মাংস, দুধ, চামড়া ও বাচ্চা বিক্রি।


⚠️ সতর্কতা

জাত বাছাই করুন স্থানীয় জলবায়ু অনুযায়ী।


বোয়ার ছাগল পালনে বিশেষ যত্ন নিন: উন্নত খাদ্য ও বাসস্থান ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।


খাদ্য ও চিকিৎসার খরচ আগেই হিসাব করুন।


📢 আপনার এলাকায় কোন জাতটি ভালো হবে? কমেন্টে জানান, আমরা সাহায্য করব!

🔄 শেয়ার করুন যারা ছাগল পালনে আগ্রহী তাদের সাথে!


#ছাগল_পালন #লাভজনক_খামার #গোঠাল_পরিচালনা #বোয়ার_ছাগল


🎯 এই পোস্টটি কেন শেয়ার করবেন?


ছাগল পালন শুরু করতে চান এমন নতুন খামারিদের সাহায্য হবে।


বাংলাদেশে বোয়ার ছাগল পালনের আধুনিক তথ্য পাবেন।


স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী সঠিক জাত বেছে নেওয়ার গাইডলাইন পাবেন।


👉 নিজের খামার শুরু করার আগে একজন ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন!

অনুপ্রেরণা.... 

 অনুপ্রেরণা.... 


জীবন পরিবর্তন ১৮ ঘন্টা বা ১৮দিন কিংবা ১৮ মাসে হয় না। ১৮ বছর লাগে।  তাই শর্টকাট ভুলে শোভার আত্মজীবনীটা পড়ে দেখুন, চোখের জল ধরে রাখতে পারবেন না।

আপনি অন্তত এর থেকে ভালো থাকলে আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলুন।

অদম্য মেধাবী মুখ 

ঠিকানাহীন মেয়েটার ঠিকানা হলো বুয়েটে 


আমি মায়ের গর্ভে থাকতেই বাবা মারা যান। ফলে জন্মের পরপরই লোকের কাছে ‘অপয়া’ ছিলাম। বাবা মারা যাওয়ার পর মাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন মা মামার বাড়ি গেলেন। আমার দিদিমাও মারা গিয়েছিলেন। পরে দাদু দ্বিতীয় বিয়ে করেন। যে কারণে মামাবাড়িতেও এক ধরনের আগন্তুকের মতো ছিলাম। স্থানীয় একটা স্কুলে দপ্তরির কাজ করতেন মা। তত দিনে আমি অ আ ক খ শিখে ফেলেছি। সেই সময়কার একটা ঘটনা মনে আছে। একটা জামা বা কী যেন কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরেছিলাম। মায়ের হাতে পয়সা নেই। পরে ঘরের মুরগির ডিম বিক্রি করে সেটা কিনে দিয়েছিলেন। এটা জানতে পেরে মামা রাগ করে আমাদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেছিলেন। একটা পোঁটলা আর আমাকে নিয়ে মা বাড়ি ছাড়লেন। বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি। মায়ের চোখে জল। কোথাও যাওয়ার মতো জায়গা যে আমাদের নেই!


দিদিমার নিজের চলাই দায়


উপায়ান্তর না দেখে মা তখন তাঁর পিসির বাড়িতে গেলেন। কিন্তু তাঁদের সংসারেও নুন আনতে পান্তা ফুরায়। দুই-তিন মাস পর মায়ের একটা কাজ জুটল। কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ। সেই বাড়িতে রান্নাঘরের পাশে ছোট্ট একটা রুমে আমরা থাকতাম। সেখানে বেগমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হলাম। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় একদিন বাড়িওয়ালা বললেন, ‘কাজ করে একজন। খায় দুজন। তোমার মেয়েকে কেন রাখব?’ এক পর্যায়ে সেই বাসাও ছাড়তে হলো।


কিন্তু কোথায় যাবে মা?


অনন্যোপায় হয়ে আবার গন্তব্য মামাবাড়ি। অনুনয়-বিনয়ের পর মামার দয়া হলো। সেখানে একটা স্কুলে ক্লাস ফোরে ভর্তি হলাম। তত দিনে কোনো কাজ জোগাড় করতে পারেননি মা। ফলে মাস দুয়েক পর আবার মামার বাড়ি ছাড়তে হলো। এবারও শেষ ঠিকানা মায়ের সেই পিসির বাড়ি। পরে মা সেই বাড়িতে আমাকে রেখে কুমিল্লা চলে গেলেন। এক বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ পেলেন। মা যে বাসায় কাজ করতেন বছরখানেক পর তারাও অন্যত্র চলে যায়। ফলে মা আবার গ্রামে ফেরেন।


আবার বিয়ের পিঁড়িতে


তখন অবস্থা এমন যে মামার বাড়িতেও আমাদের ঠাঁই নেই, দিদিমণির বাড়িতেও থাকার উপায় নেই। এদিকে আমি বড় হচ্ছি। মা-মেয়ের স্থায়ী কোনো ঠিকানা নেই। আজ এখানে তো কাল ওখানে। ফলে প্রতিবেশীরা চাচ্ছিল মাকে আবার বিয়ে দিতে। কিন্তু মা রাজি ছিলেন না। অনেকে বোঝানোর পর আমার নিরাপত্তার কথা ভেবেই রাজি হলেন। তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। বিয়ের পর কুমিল্লা থেকে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে চলে আসি। সেখানে আদর্শ কিন্ডারগার্টেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হলাম। পিএসসি পাসের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভর্নমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। কয়েক শ শিক্ষার্থীর মধ্যে আমিসহ মাত্র ১২০ জন ভর্তির সুযোগ পেল। স্কুলের কাছেই ছিল নিউ অক্সফোর্ড কোচিং সেন্টার। সেখানে দিদার স্যার এবং পার্থ স্যার অল্প টাকায় আমার পড়ার ব্যবস্থা করলেন। স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অষ্টম হয়েছিলাম!

বাবা ছিলেন উদাসীন


তাঁর সহায়-সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না। চায়ের দোকানে কাজ করতেন। একদিন কাজ করলে দুই দিন বসে থাকতেন। ছোট্ট এক রুমের ভাড়া বাসায় উঠিয়েছিলেন আমাদের। ঠিকমতো চাল-ডাল আনতেন না। ঘরভাড়াও বাকি পড়ত। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়াঝাঁটি হতো। একটু উচ্চবাচ্য করলেই মায়ের ওপর চলত নির্যাতন। পড়ার টেবিলে বসে আমি কাঁদছি। চোখের জলে বইয়ের পাতা ভিজে গেছে কত দিন! খাবারদাবার বা অন্য কোনো কিছুর জন্য নয়, সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধু প্রার্থনা করতাম, আমাকে এমন একটা পরিবেশ দাও যেন একটু পড়তে পারি। জীবনে আর কিছুই চাই না। শুধু পড়াশোনা করতে চাই!


টিউশনি শুরু করলাম


তখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তাম। খাবার, পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে সব কিছু মাকেই জোগাড় করতে হতো। স্থানীয় একটা কারখানায় আচার, চকোলেট ইত্যাদির প্যাকেট বানাতেন মা। আচারের এক হাজার প্যাকেট বানালে ৩০ টাকা পেতেন। আমি এলাকার কয়েকটা বাচ্চাকে পড়ানো শুরু করলাম। সপ্তাহে সাত দিন।

মাসে একেকজনের কাছ থেকে ৫০-১০০ টাকা করে পেতাম।


জীবনে কোনো দিন অপচয় করেছি বলে মনে পড়ে না। যতটুকু লাগত তার চেয়ে কম বৈ বেশি চাইনি। দিন দিন পড়াশোনার খরচ বাড়ছিল। আমাদের এমন করুণ অবস্থার কথা স্কুলে তখনো জানত না। স্কুলে সব বড়লোকের ছেলেমেয়েরা পড়ে। সব সময় মনে হতো তারা জানলে কী ভাববে।


চোখের জল ফুরাত না


জেএসসি পরীক্ষার রাতগুলোও খুব কষ্টের ছিল। বাবা প্রায়ই এসে ঝগড়া করতেন। রাতে ঘুমাতে যেতাম কাঁদতে কাঁদতে। সকালে উঠে কোনো মতে পরীক্ষার হলে যেতাম। এসবের মধ্যেও পড়তে চেষ্টা করতাম। জেএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেলাম। বৃত্তিও পেলাম। নবম শ্রেণিতে চেয়েছিলাম কমার্সে পড়তে। কারণ বিজ্ঞানে পড়ার খরচ চালানোর সামর্থ্য নেই। পরে স্যাররা পাশে দাঁড়ালেন। বললেন, তুমি বিজ্ঞানেই পড়বে। নবম ও দশম শ্রেণিতে ক্লাসে প্রথম হয়েছিলাম।


ভেবেছিলাম আর হবে না


ক্লাস নাইনে ওঠার পর ভেবেছিলাম, আর পড়াশোনা করব না। এমন পরিস্থিতি কত সহ্য করা যায়? আগে তো বাঁচতে হবে। একদিন বইপত্র সব বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলেছি। মাকে বললাম—চলো, যাই। কিন্তু প্রতিবেশীরা তখন বুঝিয়েছে। কোচিং সেন্টারের স্যাররাও বলেছেন, কষ্টসৃষ্টে এই স্কুল থেকেই এসএসসি শেষ করো। ফলে আবারও সৎবাবার ঘরে ফিরে গেলাম।

দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় একদিন খবর পেলাম, আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে একটা বৃত্তি এসেছে। ক্লাসে দাঁড়িয়ে ম্যাডামকে বললাম, বৃত্তিটা পেলে খুব উপকার হবে। বৃত্তিটা পেলাম। এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস এবং বৃত্তি পেয়েছি। এসএসসিতে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষার আগের রাতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাবা ঘর থেকে বের করে দেন। রাতভর কিছুই পড়তে পারিনি। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানে ৯৮ নম্বর পেয়েছিলাম। এসএসসিতে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও উচ্চতর গণিতে আমার গড় নম্বর ছিল ৯৮.৯১।

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনও একই ঘটনা ঘটল। তখনো ভেবেছিলাম, আর নয়। কোচিং সেন্টারের স্যাররা আবার বোঝালেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হলাম। তখন একটা বেসরকারি ট্রাস্ট থেকে অদম্য মেধাবী হিসেবে বৃত্তি পেলাম।


অবশেষে ঘর ছাড়লাম


এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে শহরে একটা মেসে উঠলাম। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে কেন্দ্রবিন্দু একাডেমিক কেয়ারে বিনা পয়সায় কোচিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম। তারা বৃত্তি দিত। টিউশনি করতাম। অপুষ্টি, ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ফলে মা তত দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিডনি, মেরুদণ্ডের সমস্যাসহ নানা রকম জটিলতায় ভুগছিলেন। নিজের খরচ চালানোর পাশাপাশি মাসে আড়াই হাজার টাকার মতো মায়ের চিকিৎসার পেছনে খরচ হতো। এসবের মধ্যেই এইচএসসি পরীক্ষা হলো।


এবার ভর্তিযুদ্ধে

এইচএসসি পরীক্ষার আগে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন একটা পরীক্ষার আয়োজন করেছিল। সেখানে নির্বাচিত হয়ে বিনা মূল্যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং ও হোস্টেলে থাকার সুযোগ পেলাম। সেই থেকে ঢাকায় হোস্টেল জীবন। এর মধ্যে ঈদ আসে, পূজা আসে। সবাই নিজ নিজ বাড়ি যায়। কিন্তু আমার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই! মন খারাপ হতো। কিন্তু আবার নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আমাকে হতেই হবে।

মা তখনো কাঁদছিলেন

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ফরম পূরণ, যাতায়াতসহ সব খরচ দিয়েছিল মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। তারা মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে। যাহোক বুয়েট, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, বুটেক্সসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি। সব কটিতে মেধাতালিকায় প্রথম দিকে আছি। ২৫ নভেম্বর বুয়েটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হলো। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। খবরটা জেনে সবার আগে মাকে ফোন করেছি। মুঠোফোনের অন্য প্রান্তে মা তখনো কাঁদছিলেন। তবে এ কান্না আনন্দের!


আমার জীবন একটা কষ্টের সাগর


প্রতিমা রানী দাশ শোভার মা

বাচ্চাটারে নিয়ে অনেক কষ্ট করছি। কোনো মতে ডাইল-ভাত খাইয়া বাচ্চাটারে দাঁড় করাইচি। ম্যালা জায়গায় কাজ করচি। বাবারে তোমারে কী কমু, মালিকেরা তো বেশি ভালা না। মাইয়া মানুষ কোন জায়গায় নিরাপদ? পরে বিয়া কইরা যার কাছে আইছি হেও কষ্ট দিছে। তাও ভাবছি, যতই কষ্ট হউক শোভারে পড়ামু। বাচ্চাটা টিফিন খাইব। দিমু যে দুইডা টাকা, হেই সামর্থ্য আছিল না। আমার জীবনটা একটা কষ্টের সাগর। আমি তো কষ্ট পাইছি। শোভাও প্রচুর কষ্ট পাইছে। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাইনসের ঋণ শোধ করতে পারুম না।


সূত্র: কালের কণ্ঠ(২০২০)

পটুয়াখালীতে সাংবাদিকতার আড়ালে চলছে ভয়ংকর মিডিয়া ট্রাইল ও চাঁদাবাজি এবং প্রতারনা !,,,, পটুয়াখালীর খবর ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পটুয়াখালীতে সাংবাদিকতার আড়ালে চলছে ভয়ংকর মিডিয়া ট্রাইল ও চাঁদাবাজি এবং প্রতারনা !

এই দলের প্রধান ভুয়া সংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হচ্ছে মেহেদী।

যে ভূগোল মেহেদী নামে পরিচিত এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার একদফা আন্দোলনে পটুয়াখালী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ও ঝাউতলার ফোর লেনে  ছাত্র জনতার উপর রামদা হকিস্টিক লাঠি নিয়ে প্রকাশ্যে হামলা চালায়। 

সেই সকল ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।

তাদের প্রটোকল ও ভিডিও ধারন করে প্রচারের দায়িত্বে ছিল ছামাদ আরিফ ও তার সহযোগীরা।


তাদের আরেক সদস্য রায়হান 

'পটুয়াখালীবাসী' নামে একটি ফেইসবুক নাম সর্বস্ব সংগঠন খুলে দুস্থ অসহায় ব্যাক্তি দের বিভিন্ন সহায়তা দেয়ার কথা বলে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন ব্যক্তিদের ফোন কল করে রায়হান ইমোশনাল কথাবার্তা বলে পটুয়াখালীবাসী সংগঠনের নামে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।

 মূলত রায়হান সামাজিক সংগঠনের নামে বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা সংগ্রহ করে,

 সেই সমস্ত  টাকা আব্দুস সালাম আরিফ ও রায়হান এবং গোপাল হাওলাদার আত্মসাত করে আসছে।

রায়হান একজন মোবাইল দোকানের কর্মচারী হয়েও পটুয়াখালীবাসী সংগঠনের নামেও চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা।

 তাদের বিলাস বহুল জীবন যাপন দেখলে মনে হবে  কোটিপতি ব্যবসায়ী কিন্তু তাদের নেই কোন ধরনের বৈধ ইনকাম।


 এখানেই শেষ নয় এর বাইরেও সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে  পক্ষ বিপক্ষে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন ও সাংবাদিকতার নামে দলবেঁধে ভাড়ায় গিয়ে হুমকি ধামকি এবং পক্ষে বিপক্ষে নিউজ প্রকাশ করে অর্থ আদায় করাই এই সকল ভূয়া সাংবাদিকের একমাত্র পেশা।

 

তারা সকলেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ও পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার কারনে বিএনপির বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রাইল পরিচালনার দায়িত্বে আছে এরা।

সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমপক্ষে ১৫ থেকে২০ জনের একটি সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ দল রয়েছে এই কাজে। 

তারা কথিত হলুদ সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফ নির্দেশনায় ও পরিচালনায় মাইক্রোবাস, মটরসাইকেল বহর নিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে চষে বেড়াচ্ছে পটুয়াখালীর শহরের বিভিন্ন এলাকা। 

এই ভয়ংকর মিডিয়া প্রতারকরা অপকর্ম চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে জনতার হাতে বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়ে,

 তবে তাদের দলের প্রধান ভুয়া সংবাদিক ছামাদ আরিফ তাদেরকে অদৃশ্য কোন শক্তির মাধ্যমে তাদেরকে বার বার রক্ষা করে আসছে। 

এদের দৌরাত্ম্যে এখন জেলা থেকে থানা ও গ্ৰাম পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। 


কেউ এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদের নামে মাদক ব্যবসায়ী কিংবা জমি দখল করছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে সাংবাদ করা হবে, এমন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। 

 তাদের দলের আরেক ভূয়া সাংবাদিক গোপাল হাওলাদার

তার বাড়ি মির্জাগঞ্জে, বর্তমানে সবুজবাগ এলাকার সে একজন ভাড়াটিয়া টোকাই। 

এই গোপাল হাওলাদার ভূয়া সাংবাদিক ছামাদ আরিফকে বাবা বলে ডাকে এবং ছামাদ আরিফের খুঁটির জোরে বিভিন্ন ব্যক্তিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যেই। 


এদের বিরুদ্ধে

 "পটুয়াখালীতে চাঁদাবাজ ক্লাবের নামে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চলছে" 

এমন একটি পোষ্টে, 

 তোদের নামে মাদক ও জমি দখলের নিউজ হবে অপেক্ষা কর"  

 কমেন্টে এমন হুমকি-ধামকি দিতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত।


পটুয়াখালীতে ক্ষমতাবান ও অবৈধ অর্থের মালিক যারা রয়েছেন তাদের কাছ  থেকে অর্থের বিনিময়ে সমাজে তাদের মানবতার ফেরিওয়ালা বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং তাদের বিপক্ষের লোকজনকে মিডিয়া ট্রাইল করে মানহানি করে আসছে এই ছামাদ আরিফ, গোপাল হাওলাদার এবং রায়হানরা। 


বিগত দিনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য থাকলেও বর্তমানে কখনো জামায়াতে ইসলামী আবার কখনো বিএনপি বেশে  আবার কখনো গনঅধিকার পরিষদের নেতা বলে নিজেদের দাবি করে আসছিলো।


তবে নিষিদ্ধ  ছাত্রলীগের এই সদস্যদের আসল চরিত্র কোনটা..?

 সেটা বুঝাতে পারা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের পক্ষে।

ইতিমধ্যেই আব্দুস সালাম আরিফ, রায়হান, গোপাল হাওলাদার বিগত সময়ের আওয়ামী ছাত্রলীগের সাথে সম্পর্কিত সকল নিউজ ডিলিট করে দিয়ে নতুন রুপে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের ম্যানেজ করতে তারা সদা তৎপর রয়েছে।

'তারা  হচ্ছে বর্তমানে পটুয়াখালীর ভয়ংকর সাংবাদিক!

 বিগত ও বর্তমান সময়ে যারা পটুয়াখালীতে দুর্নীতি অপকর্ম করেছে তাদের সম্পর্কে জনগন অবগত থাকলেও ছামাদ আরিফ, গোপাল হাওলাদার ও রায়হানরা দালালির মাধ্যমে উল্টো  তাদের দুর্নীতি অপকর্ম ঢেকে তাদের সাদা করার চেষ্টায় থাকেন টাকার বিনিময়ে। 


তারা এক একজন ডিজিটাল দালাল ও চাঁদাবাজ এবং প্রতারক। 


তাদের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী গডফাদারা পালিয়ে যাওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক নেতাদের তেল মেরে ক্ষমতাবানদের ম্যানেজ ও তাদের দোহাই দিয়ে চলছে তাদের চাঁদাবাজি ও তদবির বানিজ্যে। 


মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন সম্মানীত ব্যাক্তিদের চরিত্র হরন করে আসছে বিগত দিন থেকেই।

এদের বিশাল নেটওয়ার্কের কাছে অসহায় আজ পটুয়াখালীর সাধারণ মানুষ। 


এদের থেকে মুক্তি পেতে চায় পটুয়াখালীর সচেতন সমাজ।


পটুয়াখালীর ভুক্তভোগীরা পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিক নামধারী  এই সকল চাঁদাবাজ, প্রতারক এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে  মুক্তি পেতে চায় পটুয়াখালীর সাধারণ মানুষ।


বিগত বছরগুলোতে এদের সাথে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের সাথে সম্পৃক্ততা এবং ঘনিষ্ঠতার অসংখ্য ছবি থেকে কিছু ছবি পোষ্টে ও কমেন্টে তুলে ধরা হলো। 


তাছাড়া নিচে দেয়া লিংকে ক্লিক করে দেখতে পাবেন এদের নিয়ে আগের একটি রিপোর্ট। 

দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন https://www.facebook.com/share/p/16JDkmGMh8/

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...