যারা শিশুকে ঘনঘন এ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন🤷♀️,পোস্ট টা তাদের জন্য।
এ্যান্টিবায়োটিক শিশুদের জন্য খুব ক্ষ*তিকর হতে পারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণে:
1. গাট ফ্লোরা নষ্ট করে😞: এ্যান্টিবায়োটিক শুধু খা*রাপ ব্যাকটেরিয়া নয়, উপকারী ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে। বাচ্চাদের অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া তাদের হজম ও ইমিউন সিস্টেম গঠনে সাহায্য করে।
2. ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে😞: ঘন ঘন এ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালে শিশুর শরীর নিজে থেকে জীবাণুর সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে যেকোনো স্বাভাবিক অসুখ ও বাচ্চার সহজে ঠিক হয়না।
3. ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়😞: অপ্রয়োজনে বা অসম্পূর্ণ ডোজে এ্যান্টিবায়োটিক দিলে ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে ওই ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরবর্তীতে সিরিয়াস সংক্রমণ হলেও ওষুধ কাজ না-ও করতে পারে। ইদানিং অনেক শিশু পাওয়া গিয়েছে, যাদের শরীরে ৬-৭ ধরনের এ্যান্টিবায়োটিক এখন আর রেসপন্স করে না।যার ভয়া*বহতা আপনারা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন।
4. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে😞: যেমন ডায়রিয়া, বমি, অ্যালার্জি, স্কিন র্যাশ ইত্যাদি। কিছু শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক রিঅ্যাকশনও দেখা যায়।
5. ব্রেইন ডেভেলপমেন্টে প্রভাব😞: গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনের শুরুতে অপ্রয়োজনীয় এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নিউরোডেভেলপমেন্টাল ইস্যু (যেমন মনোযোগের ঘাটতি, আচরণগত সমস্যা) বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই কী করণীয়?💁♀️
👶শুধুমাত্র যখন ডাক্তার পরামর্শ দেন তখনই এ্যান্টিবায়োটিক দিন।( ডাক্তারদের কাছে অনুরোধ হুটহাট এ্যান্টিবায়োটিক ধরিয়ে দেবেন না, আপনারা সচেতন হলে সমস্যা সমাধান খুব ভালো ভাবে সম্ভব)
👶ভাইরাল ইনফেকশনে (যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর) সাধারণত এ্যান্টিবায়োটিক দরকার হয় না।
👶পুরো কোর্স শেষ করুন – মাঝপথে বন্ধ করলে সমস্যা।
দয়াকরে সচেতন হবেন।
আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।
#ShebikAmit
ধন্যবাদ 🙏
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন