বাটার দুইটা ফ্যাক্টরী আছে বাংলাদেশে। একটা ধামরাইতে অন্যটি টঙ্গীতে। এখানে কাজ করে কয়েক হাজার বাংলাদেশী কর্মী। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বাটার মতো শ্রমিক বান্ধব কোম্পানি বাংলাদেশে দ্বিতীয়টা নাই।
অফিসার লেভেল নয় কারখানার একজন শ্রমিক লেভেলের কর্মচারীর যা সুযোগ সুবিধা তাই যদি বলি:
১: সাপ্তাহিক বেতন পদ্ধতি। প্রতি বৃহস্পতিবারে বেতন একাউন্টে ঢুকে যাবে, ঝড় তুফান যাই হোক না কেনো।
২: সাপ্তাহিক হেলথ চেকআপ৷ সাথে প্রয়োজনীয় সকল ঔষধ ফ্রি।
৩: প্রতিদিন ডিউটি শেষে হাফ লিটার দুধের প্যাকেট সবার জন্যে।
৪: এছাড়া কেউ সিরিয়াস লেভেলের অসুস্থ হলে হলি ফ্যামিলিতে ফ্রি ট্রিটমেন্ট।
৫: কেউ চাকরি থেকে অবসর নিলে তার পরিবারের যে কেউ সেই চাকরিতে জয়েন করার সুযোগ।
৬: চাকরি শেষে ১৫-৩০ লাখ টাকা, PF সহ অন্য সব কিছু বাবদ।
৭: বিশেষ প্রয়োজনে অফিস থেকে এক লাখ টাকা লোন, যা পরবর্তীতে স্যালারী থেকে অল্প অল্প করে কেটে রাখা হয়।
৮: ফ্রি নাস্তা রেগুলার।
৯: অবসরের সময় বিশেষ সংবর্ধনা ও উপহার।
১০: খেলাধুলা, পিকনিক সহ অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা।
১১: শ্রমিক ইউনিয়ন।
১২: বাচ্চাকাচ্চা জিপিএ ৫ পেলে ২/৩ বছরের জন্য মাসিক বৃত্তি।
১৩: প্রফিট শেয়ারিং।
১৪: ওভারটাইম করলে ডাবল স্যালারী ইত্যাদি।
তারা করোনার সময় জোর করে কর্মী ছাটাই করেনি। সুযোগ দিয়েছে যারা নিজ থেকে ছাড়তে চাইবে তাদের মধ্যে সাধারণ একজন শ্রমিকও সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা ক্যাশ নিয়ে যেতে পারবেন।
এমন অসংখ্য সুবিধা তারা তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে থাকে। অথচ দেশীয় অনেক কোম্পানি শত কোটি টাকা লাভের পরেও ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দিতে গিয়ে ফকিন্নির মত কান্নাকাটি করে।
গতকালের ভদ্রবেশী মুর্খ চোরগুলো এটাও জানে না যে বাটা একটি ইউরোপীয় কোম্পানি। গণহারে চুরির এ কাহিনির পর এখন যদি বাটা তাদের কারখানা অন্যদেশে সরিয়ে নেয় তখন কাকে দোষারোপ করবেন...?
------------------------
(Collected)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন