সফদার ডাক্তার মাথাভরা টাক তার
খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে,
চেয়ারেতে রাতদিন বসে গোণে দুই-তিন
পড়ে বই আলোটারে নিভিয়ে।
ইয়া বড় গোঁফ তার, নাই যার জুড়িদার
শুলে তার ভুঁড়ি ঠেকে আকাশে,
নুন দিয়ে খায় পান, সারাক্ষণ গায় গান
বুদ্ধিতে অতি বড় পাকা সে।
রোগী এলে ঘরে তার, খুশিতে সে চারবার
কষে দেয় ডন আর কুস্তি,
তারপর রোগীটারে গোটা দুই চাঁটি মারে
যেন তার সাথে কত দুস্তি।
ম্যালেরিয় হলে কারো নাহি আর নিস্তার
ধরে তারে কেঁচো দেয় গিলিয়ে,
আমাশয় হলে পরে দুই হাতে কান ধরে
পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।
কলেরার রোগী এলে, দুপুরের রোদে ফেলে
দেয় তারে কুইনিন খাইয়ে,
তারপর দুই টিন পচা জলে তারপিন
ঢেলে তারে দেয় শুধু নাইয়ে।
ডাক্তার সফদার, নাম ডাক খুব তার
নামে গাঁও থরথরি কম্প,
নাম শুনে রোগী সব করে জোর কলরব
পিঠটান দিয়ে দেয় লম্ফ।
একদিন সককালে ঘটল কি জঞ্জাল
ডাক্তার ধরে এসে পুলিশে,
হাত-কড়া দিয়ে হাতে নিয়ে যায় থানাতে
তারিখটা আষাঢ়ের উনিশে।
কবিতাটি পড়ার আগে তার সম্পর্কে একটু জেনে নেই।
চল্লিশের দশকে লেখা কবিতাটি গ্রামের পাঠশালায় পড়ে শিখে আজ অনেকেই শহরের শিক্ষক হয়েছেন, তবুও জানা হলোনা সেই সফদার ডাক্তারের স্রষ্টা কে।কার কলম থেকে নিঃসৃত এই কাব্যরস।জ্বি হ্যা তিনি কবি হোসনে আরা।অনেকেই চেনেন না। তিনিও আজ আর নেই। কিন্তু কবিতাটি থাকবে বহুকাল। প্রজন্ন থেকে প্রজন্মের চীরচেনা সফদার ডাক্তার -
#collected
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন