অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাক, ব্রেইন স্ট্রোক, হঠাৎ মৃত্যু—এর পেছনের ভয়ংকর সত্যটা কি জানেন?
আজকাল প্রায়ই শুনি—২৫, ৩০ এমনকি ১৮-২০ বছরের ছেলেমেয়েও স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, পরিচিতদের মধ্যে কারো না কারো এমন ঘটনা ঘটছে। অথচ একসময় এসব রোগ হতো বৃদ্ধ বয়সে। তাহলে এখন অল্প বয়সেই কেন?
চলুন কিছু বাস্তব কারণ জানি, যাতে সময় থাকতে সাবধান হওয়া যায়:
১. জীবনযাপন বদলেছে, কিন্তু অভ্যাস বদলায়নি
সকালে উঠে হাঁটা নয়, ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল। খাবারের বদলে ফাস্ট ফুড আর সফট ড্রিংকস। খেলাধুলার জায়গায় PUBG, Free Fire, Netflix। রাতে ঘুমানোর বদলে স্ক্রিন টাইম। এই সবকিছু মিলিয়ে আমাদের শরীর ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে ভিতর থেকে।
২. অতিরিক্ত মানসিক চাপ (Stress)
পড়ালেখা, চাকরি, সম্পর্ক, সোশ্যাল মিডিয়ার চাপ—সব কিছু মিলে একটা অসহনীয় মানসিক বোঝা সৃষ্টি করছে। ঘুম ঠিকমতো হয় না, মাথাব্যথা, রাগ, হতাশা—এসব থেকেই হার্টের সমস্যা, ব্রেইন স্ট্রোক বা প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে।
৩. নেশার ভয়াল থাবা
ধূমপান, এলকোহল বা মাদকের প্রতি আসক্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। এগুলো সরাসরি হার্টের রক্তনালী সরু করে দেয়, ফলে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
৪. অভ্যাসগত অবহেলা
হালকা বুক ধড়ফড়, মাথা ঘোরা, প্রেসার ওঠানামা—এসব লক্ষণকে আমরা গুরুত্ব দিই না। নিয়মিত চেকআপ করি না, সময়মতো চিকিৎসা নেই না।
৫. বংশগত কারণও বড় একটি ফ্যাক্টর
পরিবারের কারো আগে হার্ট ডিজিজ বা ডায়াবেটিস থাকলে, আপনি ঝুঁকির মধ্যে আছেন। সচেতন থাকা জরুরি।
✅ সমাধান কী? (জীবন বাঁচাতে ৫টি সহজ সিদ্ধান্ত)
১. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম।
২. ফাস্ট ফুড নয়, বাসার পুষ্টিকর খাবার খান।
৩. ধূমপান-মাদক একদম বাদ দিন।
৪. প্রতিমাসে নিজের রক্তচাপ, সুগার, কোলেস্টেরল চেক করুন।
৫. মন খারাপ থাকলে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সময় থাকতে জীবনটাকে ভালোবাসুন।
হার্ট বা ব্রেইন একবার বন্ধ হয়ে গেলে আর কিছুই করার থাকে না।
নিজে সচেতন হোন, অন্যদেরও সাবধান করুন।
#HeartHealth #StrokeAwareness #LifestyleMatters #HealthIsWealth #StayHealthyStayHappy
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন