এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

 স্ত্রীর কাছে লুকিয়ে রাখতে হয় সেসব কথা

 স্ত্রীর কাছে লুকিয়ে রাখতে হয় সেসব কথা


বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশ্বাস ও আন্তরিকতা থাকা অত্যন্ত জরুরি। তবে কিছু বিষয় আছে যা স্বামীদের প্রয়োজনীয়তা ও শান্তির জন্য স্ত্রীর কাছ থেকে সাময়িকভাবে লুকিয়ে রাখা ভালো হতে পারে। কারণ সব কথা শোনানো বা বলা সম্পর্কের মধ্যে অনাবশ্যক দ্বন্দ্ব, উদ্বেগ, বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করতে পারে। তাই বুদ্ধিমানের মতো কখন কী বলা উচিত এবং কখন কিছু কথা নিজের মাঝে রাখা উচিত তা জানা জরুরি।


 স্ত্রীর কাছে লুকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে করণীয়


১. অপ্রয়োজনীয় ছোটখাটো ঝগড়ার কারণ এড়ান

অনেক সময় ছোটখাটো বা তুচ্ছ বিষয়কে বড় করে বললে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। যেমন, কাজের অপ্রয়োজনীয় টেনশন, অফিসের ছোট ভুল, বা বন্ধুদের মধ্যে তুচ্ছ কথাবার্তা। এসব লুকিয়ে রেখে নিজেই সামলে নিলে পারিবারিক শান্তি থাকে।


২. আর্থিক বিষয় সম্পর্কে বিবেকবুদ্ধির প্রয়োগ

যদি কোনো সময় অল্প সমস্যায় পড়েন আর সেটা সাময়িক, সেটি খুব বেশি উদ্বেগের কারণ না করে নিজের কাছেই রাখা ভালো। আর্থিক বিষয়ে অযথা চিন্তা বা অস্পষ্ট তথ্য দিলে স্ত্রীর উদ্বেগ বাড়তে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রয়োজনমতো বলুন, সবকিছু খুলে বললে উদ্বেগ বাড়তে পারে।


৩. অতীত সম্পর্কের তথ্য সীমিত রাখুন

যদি অতীতে কোনো সম্পর্ক বা ঘটনা থাকে যা এখন আর কোনো প্রভাব ফেলছে না, তা বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই। অতীত বিষয়গুলো আলোচনা করলে সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।


৪. নিজের ব্যক্তিগত টেনশন সামলে নেওয়া

অফিসের চাপ, স্বাস্থ্যগত অল্প সমস্যা বা মানসিক ক্লান্তি সবসময় বিস্তারিত ভাগ করে নেওয়া প্রয়োজন নেই। নিজেকে শক্ত রাখুন, যাতে পারিবারিক মনোবল বজায় থাকে।


৫. পরিবার বা বন্ধুদের ছোটখাটো সমস্যার কথা সীমাবদ্ধভাবে বলুন

পারিবারিক বা সামাজিক জটিলতা থাকলে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি না বলে প্রধান বিষয়গুলোই জানান। অতিরিক্ত তথ্য বা গুজব ভাগ করলে অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা বাড়তে পারে।


৬. আপনার প্রাইভেসি বজায় রাখুন

সব কথা সবসময় ভাগ করে নেওয়া উচিত নয়, নিজের ব্যক্তিগত কিছু বিষয় রাখতে পারেন যা অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করলে অসুবিধা হতে পারে।


 

স্ত্রীর সঙ্গে খোলামেলা ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক থাকা অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু একই সঙ্গে বিবেকবুদ্ধি ও প্রজ্ঞার সাথে সঠিক সীমা নির্ধারণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। সব কথা জানানো বা শোনা সম্পর্কের জন্য ভালো না হয়ে কখনো কখনো ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই নিজের ও পরিবারের শান্তি ও সুখ বজায় রাখতে কিছু কথা শ্রেয় হয় নিজের মধ্যে রাখাই ভালো। এটি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আরও মজবুত ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...