'দিনাজপুরের মেয়ে রিচিতা
চাকরি পেলেন গুগলে
দিনাজপুরের গর্বিত সন্তান'
যেভাবে গুগলে চাকরি পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রিচিতা
বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেক জায়ান্ট কোম্পানি গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রী রিচিতা খন্দকার রিফাত। গুগলের তাইওয়ান অফিসে কাজ করার অফার পেয়েছেন তিনি। আগামী ১৮ আগস্ট তাঁর যোগদানের কথা রয়েছে তার।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি । গত ১২ জুন গুগলের তাইওয়ান অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেওয়ার অফার পান রিচিতা।
রিচিতা খন্দকার রিফাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্যামসাং আইআইটি ইনস্টিটিউটে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।
জানা যায়, রিচিতার বাড়ি দিনাজপুরের জেলা সদরে। তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে মাধ্যমিক এবং ২০১৬ সালে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন।
প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ও অলিম্পিয়াডের অভিজ্ঞতা দিয়ে গুগলে
ছোট থেকে তাঁর অভ্যাস ছিল বিভিন্ন অলিম্পিয়াড ও কনটেস্টে অংশগ্রহণ করা। প্রোগ্রামিং নিয়েও আগ্রহের জায়গা ছিল তাঁর। স্কুলজীবন থেকেই নিয়মিত অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন অলিম্পিয়াড ও কনটেস্টে। জিতেছেন আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন পুরস্কার। সেই আগ্রহ, নিষ্ঠা আর প্রতিভা মিলেই আজ রিচিতা খন্দকার রিফাত পৌঁছে গেছেন গুগলে।
রিচিতা খন্দকার রিফাত বলেন, ‘আমি স্কুল জীবন থেকে বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করতাম। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ও এরকম অনেক প্রোগ্রামিং কনটেস্টে অংশ নিয়েছি। সেগুলোর অনেক কনটেস্টে একক ও দলীয় ভাবে চ্যাম্পিয়ন ও পুরস্কার পেয়েছি।’
গুগলে চাকরির অফার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রিচিতা বলেন, ‘অনুভূতি আসলে বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। খুব ভালো লাগছে। ডেফিনেটলি আমি ভাবছিলাম বিষয়টি নিয়ে। ফাইনালি এটা হয়ে গেলো। সত্যিই ভালো লাগতেছে। নিউজটা পাওয়ার পর অনেক মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছে। আমি আসলে অনেক খুশি।'
গুগলে চাকরির পাওয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে সেভাবে প্রস্তুতি নেইনি। এর আগে আমি কয়েকটি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ও বিভিন্ন ধরনের অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেছি তাই সেই অভিজ্ঞতাগুলোই কাজে লেগেছে। আমি পরীক্ষার আগে জাস্ট দেখে গেছি কীভাবে পরীক্ষাটা হয়, কি কি প্রশ্ন আসে, কীভাবে কথা বলতে হয় এগুলো। এর বাইরে আসলে সেরকম কিছু দেখা হয়নি।’
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শেখার কোনো বিকল্প নেই। যে স্টেজে আছো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সেখান থেকে যতটুকু শেখা যায় শিখে নাও জেনে নাও। কোন কিছু যেন বাদ না থাকে। পরবর্তীতে সেগুলো কাজে লাগবে।’
-দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস/ফারুক হোসাইন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন