এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

বিষাক্ত কাগজ, সাদা কালো ফেইসবুক

★★ বিষাক্ত কাগজ ★★

সন্ধ্যা রাতে তরুণী বসে, পড়ছে ক্লাসের পড়া

মাথা চুলকায় মাথা যে তার ,খুশকি উকুনে ভরা।


কাছে চিকন চিরুনি পেয়ে, মারতে লাগল মাথায়

 উকুন খুশকি পড়তে লাগল, খোলা বইয়ের পাতায়।


বইয়ের পাতায় জ্যান্ত উকুন পিলপিলিয়ে হাটে

পিষে তাদের মারছে খুকি, শক্ত নখের পিঠে।


ধুলাবালি উকুন খুশকি হাজার ময়লা মাখা

 বইখানিরে বছর শেষে বাক্সে হলো রাখা।


বিকেল বেলা খবর কাগজ পড়তে বসে দাদু 

কোলে নিয়ে নাদুস নুদুস নাতনি সোনা যাদু।


হঠাৎ সোনা দাদুর কুলেই করে দিল সিসু

কিছুই তো নেই পেপার হল মুত্র মোছার টিস্যু।


ছোট্ট শিশুর সর্দি নাকে মুছতে ডাকে মা কে

 মায়ের হাতের পেপার ছিল মারলো ঘষা নাকে।


মল মূত্র সর্দি মাখা ময়লা পেপার যত

 তুলে রাখলো সেই বাক্সে ময়লা বইয়ের মত।


কাগজ পেয়ে বাঁধলো বাসা টিকটিকি ও উই

 তেলাপোকা ইঁদুর বাবু সঙ্গে ইতর দুই।


বাসা বেঁধে ইঁদুর বাচ্চা দিচ্ছে মাসে মাসে

কাগজ মাখে প্রসবকালীন ময়লা রক্ত রসে।


বাথরুম নেই তেলাপোকার নেই কো ধোয়ার জল

 এই কাগজেই ত্যাগ করে তাই মূত্র এবং মল।


হঠাৎ করে কাগজ কেনার হকার ব্যাটা এসে

 টিকটিকিদের সুখের বাসা ভেঙ্গে দিল শেষে।


কিনে নিল পুরনো কাগজ হাজার ময়লা যাতে

 পৌঁছে গেল আচার মুড়ি ফুচকাওয়ালার হাতে।


এই কাগজে আমরা সবাই খাবার রেখে খাই

 দোহাই লাগে এমন কাজটি আর করো না ভাই।


পথের ধারে আচার দেখে জ্বিবে এল জল 

মুখে নেস নে কাগজে ভাই তেলাপোকার মল।


ময়লা জেনেও কাগজে খাই আমরা আজব বোকা

 সভ্য সাজের অন্তরালে ময়লা খাওয়ার পোকা। 

সমাপ্ত

অনাগত সন্তান মেয়ে হলে

এক গর্ভবতী স্ত্রী তার স্বামীকে জিগ্যেস করলো, “তোমার কি মনে হয়, ছেলে হবে না মেয়ে হবে ?”

স্বামী – যদি ছেলে হয় তাহলে ওকে আমি অঙ্ক পড়াবো, ওকে নিয়ে রোজ খেলতে যাবো, মাছ কিভাবে ধরতে হয় সেটা শেখাবো…

স্ত্রী- আর যদি মেয়ে হয় ?

স্বামী - আর যদি মেয়ে হয় তাহলে তাকে কোন কিছু শেখানোর দরকার নেই।

স্ত্রী- কেন ?


স্বামী - কারন, আমার মেয়ে আমাকে দ্বিতীয়বার নতুন করে সবকিছু শেখাবে… কি পরতে হবে…কিভাবে খেতে হবে… কোথায় কি বলতে হবে না বলতে হবে… একদিক থেকে দেখলে সে আমার দ্বিতীয় মায়ের মতই…আমি তার জন্য কিছু করতে পারি আর নাই পারি সে আমাকে চিরদিন নিজের হিরো মনে করবে… … যখন আমি কোন কিছু করতে তাকে নিষেধ করবো সে আমাকে বুঝতে চেষ্টা করবে। আর সবসময় তার স্বামীর সঙ্গে আমার তুলনা করবে। সে যে বয়সেই পৌঁছাক, সারাজীবন এটাই চাইবে যে আমি তাকে একটা Baby Doll এর মতই ভালবাসি। মেয়ে বলেই সে আমার জন্য পুরো সংসারের সাথে লড়াই করবে, যখন কেউ আমাকে দুঃখ দেবে সে তাকে কোনদিন ক্ষমা করবে না।


স্ত্রী- তার মানে হচ্ছে, তোমার মেয়ে তোমার জন্য যা কিছু করবে তা তোমার ছেলে করতে পারবে না ?

স্বামী- সেটা না… এমন হতে পারে আমার ছেলেও এসব করতে পারে… কিন্তু সে শিখবে। আর মেয়ে এই সব গুন নিয়েই পৃথিবীতে জন্ম নেবে।

স্ত্রী- কিন্তু সে তো চিরকাল আমাদের সাথে থাকবে না।

স্বামী- কিন্তু আমরা তার মনের ভেতরেই থাকবো। এতে কোন কিছু যায় আসে না সে কোথায় গেল না গেল…কারন মেয়েরা সবসময় ভালবাসা আর দেখাশোনার জন্যই জন্ম নেয়।


একটা কথা মনে রাখবে মেয়ে ভাগ্য সবার হয় না… যে ঘর সৃষ্টিকর্তার পছন্দ সে ঘরেই মেয়ের জন্ম হয়।


 কালেক্টেড 

বাংলাদেশ বেতার ১/১০/২০২২ সকাল সাতটার সংবাদ শিরোনাম

 বাংলাদেশ বেতারের সকাল ৭টার সংবাদ

(০১-১০-২০২২)

আজকের শিরোনাম -


* বর্তমান সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের নৈরাজ্য তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবান। 


* ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। 


* দুর্গাপূজার সময় নাশকতা ঠেকাতে সতর্ক থাকার  জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের আহবান। 


* বিভাগীয় সমাবেশের নামে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে সরকার ও জনগণ তা প্রতিহত করবে - বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। 


* বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো দেশে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। 


* রাশিয়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল একীভূত করার পর ন্যাটো সদস্যপদের জন্য অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। 


* এবং সিলেটে নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে আজ - উদ্বোধনী ম্যাচে থাইল্যান্ডের মুখোমুখী হবে বাংলাদেশ।

শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সাদা কালো ফেইসবুক গল্প

 #না_পড়লে_বুঝবেন_না


বাসে গাদাগাদি ভিড়। এক ভদ্রলোক একটি দামী স্যুটকেস নিয়ে উঠলেন। অধ্যাপক টাইপ চেহারা।


প্রশ্ন করলেন-"আচ্ছা, পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ কী?"


সকলেই চুপ করে শুনতে থাকলেন তার কথা। কেউ কোনও কথা বলছেন না দেখে তিনি আবার শুরু করলেন -


"পলাশীর প্রান্তরে সেদিন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্য ছিল অনেক। লর্ড ক্লাইভের সৈন্য অল্পসংখ্যক থাকা সত্ত্বেও নবাব পরাজিত হয়েছিলেন। আপনারা বলবেন যে জগৎ শেঠ, মীর জাফরদের গাদ্দারির কারণে নবাব পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু এই ইতিহাস সবটাই সত্য নয়। সত্য ইতিহাস জানতে হবে।"


একজন কৌতূহলী যাত্রী জানতে চাইলেন -- "তবে সত্য ইতিহাসটা কী?"


"সত্য ইতিহাস আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। ক্লাইভ দূরবীন দিয়ে নবাবের সৈন্যদের গতিবিধি লক্ষ্য করলেন। পলাশীর আম বাগান তখন শূন্য। মীর জাফর তার আয়ত্ত্বাধীন সৈন্য নিয়ে কেটে পড়েছে। ক্লাইভ তো অবাক। নবাবের সৈন্যরা তবে গেল কোথায়? নিশ্চয়ই কোনও চাল চেলেছে।


হঠাৎ নজর পড়ল আমগাছের দিকে। একটি ডাল নড়ে উঠল। ক্লাইভ এবার দেখল যে, নবাবের সৈন্যরা আম গাছের ডালে ডালে বসে আছে। নিচ দিয়ে যেতে গেলেই তারা গেরিলা আক্রমণ করবে বলে প্রস্তুত।


ক্লাইভ কাছাকাছি না গিয়ে দূর থেকে কামান আর বন্দুক তাক করল। ফলন্ত গাছ থেকে আমের সাথে সাথে টুপটুপ করে ঝরে পড়তে লাগল নবাবের সৈন্য। আহ্!"


ভদ্রলোকের বলার ভঙ্গিতে যাদু ছিল। সকলেই মন দিয়ে শুনছিলেন তার কথা। তিনি আবার বলে উঠলেন -


"নবাবের সৈন্যরা সকলেই ইংরেজদের হাতে মারা পড়লেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে। আম গাছের ডাল সেদিন নড়ে উঠল কেন? কী ছিল ষড়যন্ত্র?"


যাত্রীদের সকলের মনে প্রশ্ন জেগে উঠল। তাই তো, আম গাছের ডাল নড়ে উঠল কেন? গাছের ডাল না নড়লে তো ক্লাইভের নজরে আসত না সৈন্যদের অবস্থান!


ভদ্রলোক বললেন, "কেন নড়ে উঠেছিল গাছের ডাল? কে বলতে পারবেন?"


যথারীতি সকলেই চুপ করে থাকলেন। ভাবগতিক এমন যে, "আমরা জানি না, আপনিই বরং বলে দিন।"


তিনি তখন স্যুটকেস খুললেন। একটি জিনিস বের করে সকলকে দেখিয়ে বললেন -


"ডাল নড়ে ওঠার কারণ ছিল- চুলকানি, দাউদ, চর্মরোগ। বড় মারাত্মক এই রোগ, বুঝলেন? নবাবের এক সৈন্যের ছিল চুলকানি। এই চুলকানির জন্যই সেদিন ডাল নড়ে উঠেছিল। ডাল না নড়লে ক্লাইভ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।


আর তাই আমি এনেছি চুলকানির মলম। দাম মাত্র ত্রিশ টাকা!☺️

কোন রোগের জন্য কোন টেস্ট

কোন রোগের জন্য কি টেষ্ট করা হয়ঃ

°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°

🔴CBC যে যে রোগে করা হয়ঃ

"""''''''''""""""""""""""'"''"'""""'''''''''"

⏩জ্বর হলে কি কারণে হচ্ছে তার ধারণা নেয়ার জন্য।অনেক সময় blood culture করতে হয়।

⏩শরীরে রক্তের পরিমাণ কেমন আছে জানার জন্য।

⏩রক্তের ঘাটতি থাকলে সেটা আয়রণ বা ভিটামিনের অভাবে হচ্ছে কিনা জানার জন্য।

⏩শরীরে এলার্জি কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়।

⏩রক্তে ইনফেকশন বা প্রদাহ কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়।

⏩রক্ত জমাট বাধার উপাদান কি পরিমাণ আছে তা জানা যায়।

⏩ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা তার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।

🔵Urine R/E প্রস্রাব টেস্ট যে যে কারনে করা হয়ঃ

""'''''''''''''''''''''''''''""""""""""""""""""

👉ইনফেকশন আছে কিনা,থাকলে সিভিয়ারিটি কতটুকু

👉ডায়াবেটিস আছে কিনা

👉প্রোটিন যায় কিনা

👉রক্ত যায় কিনা

👉কিডনীতে পাথর আছে কিনা

🔴RBS-Random Blood Sugar: ডায়াবেটিস আছে কিনা তার ধারণা করার জন্য প্রাথমিক টেস্ট।

🔵Serum Creatinine:যেইসব রোগীর কিডনীর সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হয় এ টেস্ট তাদের করা হয়।(প্রেশার ও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বাধ্যতামূলক টেস্ট। ব্যথার ঔষধ দেয়ার আগেও এটেস্ট করা উচিত)

🔴Lipid profile: রক্তে চর্বির পরিমাণ বুঝার জন্য এটা করা হয়।হার্টের ও প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর জন্য এটা খুব জরুরি।

🔵Serum Bilirubin: জন্ডিস আছে কিনা দেখা হয়।একদম প্রাথমিক টেস্ট।জন্ডিস হয়ে গেলে আরো টেস্ট করতে হয়।

🔴SGPT/SGOT: লিভারের কন্ডিশন বুঝার জন্য এটা করা হয়।লিভার কতটুকু এনজাইম উৎপন্ন করছে তা দেখা হয়।

🔵Serum Electrolyte: রক্তে খনিজের পরিমাণ জানার জন্য এটা করা হয়।শরীর দূর্বল লাগলে,বেশীবমি, ডায়রিয়া এসব ক্ষেত্রে এ পরীক্ষা করা হয়।

🔴HBsAG: জন্ডিস এবং লিভার কন্ডিশন বুঝার জন্য এ পরিক্ষা করা হয়। 

🔵HBA1c: ডায়বেটিস বা রক্তে গ্লুকোজ নির্ণয়ের জন্য করা হয়।

🔵LFT: লিভারের সমস্যা বুঝতে এ পরিক্ষা করা হয়।

🔴BT CT: রক্তরােগের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।

🔵Via Test: সার্ভিক্সের ইনফেকশন বা ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এ পরিক্ষা করা হয়।

🔴TSH: Thyroid stimulating hormone এই পরিক্ষা হরমন নির্ণয়ের জন্য করা হয়।

🔵EcG: হৃদরােগের অবস্থা বুঝার জন্য প্রাথমিক টেস্ট।

🔴ChestX-ray: বুকের ও হার্টের কন্ডিশন বুঝার জন্য করা হয়।

বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

একটা ইন্টারেস্টিং গল্প

একটা ইন্টারেস্টিং গল্প বলি . . .


আমাদের শরীর যদি একটা ছোট্ট শহর হয় তবে এই শহরের প্রধান মাস্তান হচ্ছে কোলেষ্টেরল। এর সাথে কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ আছে তবে প্রধান সহযোগী ট্রাইগ্লিসারাইড। এদের কাজ হচ্ছে রাস্তায় রাস্তায় মাস্তানি করা, মেয়েদের টিজজ করা এসব। হৃৎপিন্ড হলো এই শহরের প্রাণকেন্দ্র। শহরের সব রাস্তাগুলো এসে মিশেছে প্রাণকেন্দ্রে এসে। 

.

মাস্তানের সংখ্যা বেশী হলে কি হয় আপনারা সবাই জানেন। এরা সব রাস্তাগুলো ব্লক করে দিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র অচল করে দিবে। আপনিও তখন পটল তুলবেন। না তুললেও মাস্তানদের ধর্মঘটে প্রায়ই আপনার প্রিয় শহরে এমন কিছু ঘটবে যে আপনি বেঁচেও মৃতপ্রায় হয়ে থাকবেন। বিয়েতে হাতের রিং তখনও হয়ত হাতেই আছে সাাথে হার্টেও রিং পড়তে হবে!

.

আমাদের শরীর নামক শহরে কি পুলিশ নেই? যারা মাস্তানদের ক্রসফায়ার করবে,

অথবা জেলে ভরবে।

হ্যাঁ, আছে। তার নাম এইচ ডি এল।

ও পাড়ায় পাড়ায় মাস্তানী করা এসব মাস্তানদের রাস্তা থেকে তুলে এনে জেলে ভরে রাখে। জেলখানা চিনেন তো? লিভার বা কলিজা হল জেলখানা । লিভার এইগুলোকে বাইল সল্ট বানিয়ে শহরের পয়নিষ্কাশন লাইনের মাধ্যমে (পায়খানার সাথে) শহর থেকে বের করে দেয়। কি অদ্ভুত শাস্তি মাস্তানদের!

.

খুব মজা লাগছে তাই না?

এইচ ডি এল কে বন্ধু বন্ধু লাগছে তাই না? 

পুলিশের ছোট ভাই লিটল ডি এল বা সংক্ষেপে এল ডি এল আবার রাজনীতিবিদ। সে লবিং করে জেলখানা থেকে কোলেষ্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড রুপী মাস্তানদের তুলে এনে আবার রাস্তায় বসিয়ে দেয়। তাদের মাতলামো তে পুরো শরীরে জ্যাম লেগে যায়। আর এলডিএল মুখ টিপে টিপে হাসে।

এইচ ডি এল হায় হায় করে দৌড়ে আসে। কিন্তু সে এলডিএল আর মাস্তানদের যৌথ শক্তির সাথে পেরে ওঠেনা। পুলিশের সংখ্যা যত কমে মাস্তানরা ততই উল্লসিত হয়। শহরের পরিবেশ হয়ে ওঠে অস্বাস্থ্যকর।

এমন শহর কার ভালো লাগে বলুন?

.

আপনি মাস্তানদের কমিয়ে পুলিশ বাড়াতে চান?

তবে হাঁটুন।

আপনার প্রতি কদমে এইচডিএল (পুলিশ) বাড়বে, এলডিএল (লবিং করা রাজনীতিবিদ) কমবে, মাস্তান (কোলেষ্টেরল) কমবে! আপনার শহর (শরীর) প্রানচাঞ্চল্য ফিরে পাবে।

আপনার প্রানকেন্দ্র (হার্ট) মাস্তানদের অবরোধ (হার্ট ব্লক ) থেকে বাঁচবে। 

আর শহরের প্রানকেন্দ্র (হার্ট) বাঁচা মানে আপনিও বাঁচবেন . . .


Lets_walk

@সংগৃহীত 

কামিনী রায়

আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রথিতযশা বাঙালি কবি, সমাজকর্মী এবং নারীবাদী লেখিকা কামিনী রায়'র মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা।


তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ-ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রিধারী ব্যক্তিত্ব। কোলকাতার বেথুন কলেজ থেকে তিনি ১৮৮৬ সালে সংস্কৃত ভাষায় সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।


কামিনী রায় ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর বরিশালের বাকেরগঞ্জের বাসণ্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা চন্ডীচরণ সেন একজন ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী, বিচারক ও ঐতিহাসিক লেখক ছিলেন। 

 

কামিনী রায় ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী,ভাবুক ও কল্পনাপ্রবণ। তিনি মাত্র আট বছর বয়সে কবিতা লিখতে শুরু করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আলো ও ছায়া' প্রকাশিত হয়। তিনি সেসময় 'জনৈক বঙ্গমহিলা' ছদ্মনামে লিখতেন। 


তাঁর লেখা কাব্যের মধ্যে 'নির্মাল্য', 'পৌরাণিকা', 'মাল্য ও নির্মল্য', 'দীপ ও ধুপ', 'জীবন পথে' ও 'শ্রাদ্ধিকী' উল্লেখযোগ্য। অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত 'মহাশ্বেতা' ও 'পুণ্ডরীক' তার দুটি প্রসিদ্ধ দীর্ঘ কবিতা। এছাড়াও ১৯০৫ সালে তিনি শিশুদের জন্য 'গুঞ্জন' নামের কবিতা সংগ্রহ ও 'বালিকা শিক্ষার আদর্শ' নামের প্রবন্ধ গ্রন্থ রচনা করেন। 


১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কামিনী রায়কে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক প্রদান করে। 


তিনি ১৯৩০ সালে বঙ্গীয় লিটারারি কনফারেন্সের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।


সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তিনি সাংস্কৃতিক ও জনহিতকর, বিশেষত নারীকল্যাণমূলক কাজ করতেন। 


তিনি ১৯২২-২৩ সালে নারীশ্রমিক তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য, ১৯৩০ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে সাহিত্য শাখার সভানেত্রী ও ১৯৩২-৩৩ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতি ছিলেন।


সাহিত্যে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯২৯ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'জগত্তারিণী পদক' লাভ করেন। 


১৯৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কামিনী রায় পরলোকগমন করেন। 

পাশাপাশি দুই মসজিদ নির্মাণ করার নিয়ম

পাশাপাশি দুই মসজিদ নির্মানের বিধানঃ


বর্তমান যুগে কোন মসজিদের মোকাবেলায় তার কাছাকাছি অন্য মসজিদ নির্মাণ করা হলে এবং এর পেছনে যদি মুসলমানদের বিভক্তিকরণ ও পূর্বতন মসজিদের মুসল্লী হ্রাস প্রভৃতি অসৎ নিয়ত থাকে, তবে এতে মসজিদ নির্মাতার সওয়াব তো হবেই না, বরং বিভেদ সৃষ্টির অপরাধে সে গুনাহগার

হবে। কিন্তু এ সত্ত্বেও শরীয়ত মতে সে জায়গাটিকে মসজিদই বলা হবে

এবং মসজিদের আদব ও হুকুমগুলো এখানেও প্রযোজ্য হবে ! একে ধ্বংস করা কিংবা আগুন লাগিয়ে ভস্ম করা জায়েয হবে না। এ ধরনের মসজিদ নির্মাণ মূলতঃ গুনাহের কাজ হলেও যারা এতে নামায আদায় করবে, তাদের নামাযকে অশুদ্ধ বলা যাবে না। এ থেকে অপর একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় যে, কেউ যদি জিদের বশে বা লোক দেখানোর উদ্দেশে সুরাআত্-তা কোন মসজিদ নির্মাণ করে, তবে যদিও মসজিদ নির্মাণের সওয়াব সে পাবে না বরং গুনাহ্গার হবে; কিন্তু একে আয়াতে উল্লেখিত ‘মসজিদে যিরার’ বলা যাবে না। অনেকে এ ধরনের মসজিদকে ‘মসজিদে যিরার নামে অভিহিত করে থাকে। কিন্তু তা ঠিক নয়। তবে একে ‘মসজিদে যিরার এর মত’ বলা যায়। তাই এর নির্মাতাকে এ প্রচেষ্টা থেকে নিবৃত রাখা যেতে পারে। যেমন, হযরত ওমর ফারূক (রাঃ) এক আদেশ জারী করেছিলেন যে, এক মসজিদের পার্শ্বে অন্য মসজিদ নির্মাণ করবে না,যাতে পূর্বতন মসজিদের জামাআত ও সৌন্দর্য হ্রাস পায়। –(কাশাফ)

[তাফসীরে মাআরেফুল ক্বোরআন- পৃ: ৫৯২-৫৯৩, সূরা তাওবা এর ১০৮ নং আয়াতের তাফসীর]


এক মসজিদ থেকে অন্য মসজিদের দূরত্ব : 

যদি কোনো মসজিদে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হয়, তাহলে আরেকটি মসজিদ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে সতর্কতা হলো, এতটুকু দূরত্বে মসজিদ নির্মাণ করবে, যাতে এক ইমামের কিরাতের সঙ্গে অন্য মসজিদের ইমামের কিরাত সাংঘর্ষিক না হয়। তবে উভয় মসজিদের মাঝখানে যদি কেবল একটি দেয়াল থাকে, তবু উভয় স্থানে পৃথক জামাত আদায় করা বৈধ। (ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৪/৪১০)


মসজিদে জেরার বা জেদবশত মসজিদ নির্মাণ : 

মসজিদে জেরারের সংজ্ঞা হলো, যে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে লোক দেখানোর জন্য, লৌকিকতা প্রদর্শনের জন্য বা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কিংবা অপবিত্র ও অবৈধ অর্থে যেটি নির্মাণ করা হয়েছে, শরিয়ত মতে তা মসজিদে জেরারের অন্তর্ভুক্ত (মাদারেকুত তানজিল : ২/১১১)। তবে হ্যাঁ, স্বাভাবিক নিয়ম মেনে, ওয়াক্ফ করে এক মসজিদের পাশে অন্য মসজিদ নির্মাণ করা হলে অনুচিত হলেও সেখানে নামাজ আদায় বৈধ। (তানবিরুল আবসার : ৪/৩৫১-৩৫২) 

অনুগল্প অতীত

আমার যখন বিয়ে হয় তখন আমি কেবল দশম শ্রেনির ছাত্রী। আমার বাবা ছিলো না, এমন না যে সে অন্যত্র ছিলেন বা বিয়ে করছেন। যখন আমি দ্বিতীয় শ্রেনিতে পড়ি তখন সে স্টোক করে মারা যান। আমরা ছিলাম চার বোন। আমার বড় তিন জন। আমার মা বড় তিন জনকে বিয়ে দিয়ে মা*রা গেলেও আমার কোনো ব্যাবস্থাই তিনি করে যেতে পারেন নি। বাবার মৃত্যুর পড়ে বোনেরা যতটুকু আদর ভালোবাসা দিতো, মা মারা যাওয়ার পর তা যেনো কর্পুরের মতো উবে যায়। তখন শুরু হয়েচিলো আমার জিবনের চরম খেলা। মাসের দশ দিন এক বোনের বাড়ি তো বাকি দশ দিন আরেক জনের বাড়ি। না তাদের বাড়িতে আমি নাইয়োর যেতাম না। তাদের ছেলে মেয়ে লালন পালনের জন্য, সংসারের ভারি কাজ গুলো করানোর জন্য তাদের বাড়িতে থাকতাম। বিনিময়ে তারা হয়তো আমার হাত খরচ টা চালাতো। এমনি একদিন বিকেলে যখন স্কুল থেকে ফিরেছি, আমার বড় বুবু রুবি আমার হাতে একটা শাড়ি দিয়ে বললো যাতো এইটা পড়ে আয়। 

বুবু আমি তো শাড়ি পড়বার পারি না। 

আইচ্ছা দারা তোরে আমি পড়াই দেই, মাজার বুবুর কথা শুনে পিছনে তাকালাম। 

আমি শাড়ি পরমু কেন বুবু। আইজকা কি বাড়িত কনো অনুষ্ঠান নাকি। তখন আমার সেজো বুবু বলে কেন রে রুমি আইজকা তোর বিয়া। 

রুবি বুবু মেজো বুবুকে তাগাদা দিয়ে বললো যা হালিমা ওরে তারাতাড়ি রেডি করা মেহমান রা সেই কহন থেইকা বইসা আছে। 

বোনেদের কথায় আমার মুখটা চুপসে গিয়েছিলো৷ বুক ভরা সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যেনো চুরমার হয়ে যাচ্ছিলো। চাইলেও সেই দিন মুখ ফুটে বলতে পারি নি আমি বিয়ে করবো না বুবু। আমি পড়তে চাই । 

হালিমা বুবু আমাকে সুন্দর করে শাড়ি পড়িয়ে হাতে শরবতের ট্রেটা দিয়ে বলেছিলো যা হেদের আপ্যায়ন কর। যাইয়া সুন্দর কইরা ছালাম দিবি। বুল যেনো না হয়। 

বোনের কথায় সে দিন শুধু ঘাড় নারিয়ে স্বিকার করেছিলাম।

এরপর সব ঘটনা কেমন দ্রুতই ঘটে গেলো। ছেলের বোন আমার হাটা দেখলো, মাথার চুল খুলে দেখলো। আমার কোমর ছাওয়া চুল দেখে সেইদিন পাত্রের বোন আমাকে পছন্দ করেছিলো। পাত্রের কাকি যখন বলরো তা রান্না কেমন পারো, তখন আমার বোন জামাই বলেছিলো আমার শালি একদম খাসা সোনার টুকরা। সব রানবার পারে। পিঠা পায়েস, কসা মাংস সব। আমাগো বাড়ির রান্দন তো ওই করে। 

আমি তখনো পাত্রের দিকে তাকিয়ে দেখিনি। 

মাগড়িবের কিছু পড়ে আমার আর জামিলের বিয়ে পড়ানোর জন্য কাজি আসে। কাজি যখন কবুল বলতে বলে তখন আমি জিবনের হিসাব মিলাতে ব্যাস্ত। আমার জিবনটা এমন কেনো। 

বোনের নিম্ন সরের ধমকে আমার হুশ হয়। 

এই রিমি কবুল বলস না ক্যান? 

ধীরে ধীরে তিন বার কবুল বলে দেই। 

আমার জন্য যে এরা এতটুকুই করেছে নেটাই তো অনেক। 

বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে বোনেরা খুব সুন্দর করে বুজিয়ে বলে দেয় স্বামির সাথে কি করতে হবে। তার সব কথা যেনো মেনে চলি। কোনো প্রতিবাদ যেনো না করি।

কাঠের পুতুলের মতো আমি শুধু শুনেছিলাম। 

স্বামী মানে আমার কাছে তখন বিষাক্ত কিছু। কিন্তু আমার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল প্রমানিত হয়। যখন সে রুমে ডুকেই বলে, একি তুমি এখনো এই সব ভারী কাপড় পড়ে আছো কেন। যাও চেন্জ করে আসো। 

তার দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেকেছিলাম সেই প্রথম বার। 

ওভাবে তাকিয়ে আছো কেন, অনেক দেখতে পাবে আমায়। তোমার ব্যাক্তিগত সম্পত্তি আমি, কেউ কেড়ে নিবে না। এখন যাও তাড়াতিড়ি ফ্রেশ হয়ে এসো। 

সেই দিন থেকেই বদলাতে শুরু করেছিলো আমার জিবনের মরিচীকা ধরা চাঁকা।  

ধীরে ধীরে সেই শ্যামপুরুষের ভালোবাসায় আটকা পড়ি আমি। আমাদের মধ্যে বন্ধু, প্রেম, ভালোবাসা সবি তৈরি করে দিয়েছিলেন উপড়ওয়ালা। বড্ড পাগল ছিলো আমার জন্য।

বিয়ের রাতে যেখানে সব পুরুষ নিজের চাহিদা মিটাতে ব্যাস্ত থাকে সেখানে জামিল আমার রেজাল্ট শিট গুলো দেখে বলেছিলো তুমি তো অনেক মেধাবী ছাত্রী। তুমি কি আরো পড়তে চাও। 

ছোট করে হু বলতেই তিনি ব্যাস্ত হয়ে পড়েন ঢাকার উত্তরা ক্যান্টমেন্ট স্কুলে আমার এডমিশনের জন্য। সে দিন সারা রাত সে ল্যাপটপে বসে ছিলেন। যেখানে আমি পড়াশোনার সব স্বপ্ন ছেড়ে দিয়ে ছিলাম সে যেনো নতুন করে আমাকে বাচতে শিখালো। 

নতুন এক ভোর উপহাড় দিয়েচিলো সে আমায়। 

সে আমকর জন্য এতটাই পাগল ছিলো যে কখনো এক দিনের বেশি আমি আমার বাড়িতে থাকতে পারি নি। আমার সব বিষয়ে তার এতো বেশি খেয়াল ছিলো যা কখনো বলে বুঝানো যাবে না। আমার চুলে নিয়ম করে তেল দিয়ে দিতেন। রাতে বাসায় ফিরে চুল বেনুনী করে দিতেন। 

তার ছোয়ায়ই আমি গ্রাম্য রিমি থেকে তৈরি হয়েছি আজকের এই প্রতিবাদি রিমি। 

লেবার পেইন নিয়ে এই সবি ভাবছিলাম আমি। মানুষটার মুখ একদম শুকিয়ে গেছে যেনো আমার না তারি ব্যাথা করছে। আমার চাইতে বেশি ছটফট জামিল ই বেশি করছে। 

একবার আমার কাছে আসছে তো একবার নার্সের কাছে যাচ্ছে। 

নার্স যখন জানালো বেবি নরমালে হবেনা, তখন জামিলের মুখে আধার নেমে এসেছে যেনো। ডক্টরের কাছে রিকোয়েস্ট করে সেও আমার সঙ্গে অটিতে ছিলো। ওটির প্রতিটা মূহুর্ত সে ছটফট করে কাটিয়েছে। এর পর আসে সেই কাক্ষিত সময় যখন আমার মেয়ে জন্ম হয়।

আমার মেয়ে যখন চিৎকার করে কাদছিলো তখন জামিল আমাকে আর মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বললো, তুমি আমার জীবনের শ্রেষ্ট সম্পদ উপহার । তোমাকে হারানোর ভয় আমাকে কুরে করে শেষ করে দিচ্ছিলো। 

                 

             ----------------সমাপ্ত------------------------

জমজম কূপের পানির রহস্য

জান্নাত থেকে আসছে 

জমজম কূপের পানি!

২৪ জন ডুবুরি জম জম কূপের তলদেশে গিয়ে নিয়ে এলেন অজানা তথ্য!!

আল্লাহ পাকের কুদরত দেখে অবাক বিজ্ঞানীরা !

ষাটের দশকের কথা। তখন ছিল বাদশাহ্ খালেদের

শাসনামল। ওই সময় আধুনিক যন্ত্রপাতির দিয়ে পরিষ্কার কারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল জম জম কূপটি। 

জম জম কূপটি পরিষ্কারের কাজ তত্বাবধান করেন প্রকৌশলী "ইয়াহইয়া কোশক"

তার প্রদত্ত বিবরণ থেকে বলা যায়, বড় ধরনের কয়েকটি পাথরের তলদেশ থেকে প্রবল বেগে পানি উৎসারিত হচ্ছে। সবচাইতে বড় পাথরের উপর স্পষ্ট আরবী হরফে “বিসমিল্লাহ্” কথাটি উৎকলিত রয়েছে। 

রাসুলুল্লাহর (সাঃ) এর দাদা আবদুল মুত্তালিব-এর সময় কূপের গভীরতা ছিল মাত্র ১৪ ফুট। খলিফা মামুনুর রশীদের আমলে পুনরায় খনন করা হয় এই জম জম কূপ।

এ সময় পানির নিঃসরণ খুব বেড়ে গিয়েছিল। এমনকি কূপের বাইরে পানি উপচে পড়া শুরু করেছিল। দীর্ঘ

কয়েক শতাব্দী পর সৌদি সরকার আধুনিক মেশিনের

সাহায্যে কূপ পুনঃখনন করেন।

২৪ জন ডুবুরি কূপের তলদেশে গিয়েছিলেন তা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করার জন্য। 

ডুবুরিরা দেখেন, সেখানে রং-বেরংয়ের মাটির স্তর জমাট বেঁধে আছে।আর অবিরাম নির্গত পানিকে পরিশোধন করছে। তারা আল্লাহর এ কুদরত দেখে বিস্মিত হয়ে যান!

বর্তমানে জম জম কূপের গভীরতা ৫১ ফুট।

এক নজরে জম জম কূপঃ

▪️আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল।

▪️ভারী পানি উত্তোলনের মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০

লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির

সূচনাকালের ন্যায়।

▪️পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি, জন্মায়নি কোন ছত্রাক

বা শৈবাল।

▪️সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে, মাত্র ১১ মিনিটেই

আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।

▪️এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি, সৃষ্টির পর থেকে একই রকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব মউসুমে ব্যবহার ক’য়েক গুন বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।

▪️সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।

▪️এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অন্যান্য পানির থেকে বেশী, এজন্য এই পানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এই পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।

▪️এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান বেশী থাকার কারণে

▪️এতে কোন জীবানু জন্মায় না ।

▪️এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

#সুবহানআল্লাহ। 

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...