এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

বেগুন চাষী ভাইদের জন্য রোগ বালাই নিয়ে  গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শঃ,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বেগুন চাষী ভাইদের জন্য রোগ বালাই নিয়ে  গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শঃ


##  বেগুন চাষের জন্য ভালো মানের বীজ সংগ্রহ করা, সুষম সার ব্যবহার করা, সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা ( গাছ থেকে গাছের দুরত্ব ২ ফুট এবং সারি থেকে সারি দুরত্ব ২.৫-৩ ফুট , বেডের উচ্চতা ৬ ইঞ্চি । পানির বিষয়  সবসময় সর্তক  থাকবেন যাতে ক্ষেতে পানি জমে না থাকে ।


## শিডিউল স্প্রে :


১. চারা মুল জমিতে লাগানোর ৪/৫ দিন পরে কার্বেন্ডিজম (2gm/L) গ্রুপের ছত্রাকনাশক  স্প্রে করবেন ।

২. চারা রোপনের ৭ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে ১ বার করে  ইমিডাক্লোরোপ্রিড (1ml/L) গ্রুপের কীটনাশক + কার্বেন্ডিজম (1.5gm/L) গ্রুপের ছত্রাকনাশক   স্প্রে করবেন ।

৩.চারা লাগানোর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে হলুদ রঙের ফাঁদ  শতাংশ প্রতি ১/২ টি দিবেন ।

৪.চারা লাগানোর ২৫ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে  বিএসএফবি-ফেরো ফাঁদ শতাংশ প্রতি ১/২ টি দিবেন ।( জিগ- জাগ পদ্ধতি মানে 'Z')

৫. চারা লাগানোর ৩০ দিনে পরে [এমামেকটিন বেনজোয়েট( 1gm/L)+থায়ামেথাক্সাম ক্লোরানট্টানিলিপ্রোল(0.5ml/L)] অথবা  [সাইপারমেথ্রিন+ক্লোরপাইরিফস (1ml/L)] অথবা কারটাপ (2gm/L) অথবা সাইপারমেথ্রিন (1ml/L) অথবা ডেল্টামেথ্রিন (1ml/L) গ্রুপের  কীটনাশক প্রতি সপ্তাহে ১ বার স্প্রে করুন । 

৬. চারা লাগানোর ৩০ দিন পর থেকে ১০/১৫ দিন পর পর ১ বার করে  ইমিডাক্লোরোপ্রিড (1ml/L) গ্রুপের কীটনাশক + কার্বেন্ডিজম (2gm/L) গ্রুপের ছত্রাকনাশক   স্প্রে করবেন ।

৭. চারা লাগানোর ৩০ দিন পর থেকে ১২/১৫ দিন পর পর ১ বার করে [কার্বেন্ডিজম (2gm/L)+স্ট্রেপটোমাইসিন সালফেট(0.2gm/L)] অথবা  [কার্বেন্ডিজম (2gm/L)+(বিসমার্থিওজল+কাসুগামাইসিন(2gm/L)] গ্রুপের ছত্রাকনাশক  স্প্রে করবেন । 


[বি:দ্র: এভাবে স্প্রে করলে আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন, ইন শা আল্লাহ ।   ছত্রাকনাশক&কীটনাশক মাত্রা কোম্পানি অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে]


##বেগুন গাছের রোগের জন্য  গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:


১. চারা অবস্থায় গোড়া পচাঁ রোগ হলে কার্বেন্ডিজম (2gm/L) অথবা [ম্যানকোজেব+মেটালেক্সিল](1.5gm/L) গ্রুপের ছত্রাকনাশক  স্প্রে করবেন ।

২.বেগুন গাছে ক্ষুদে/তুলসি পাতা রোগের জন্য  অথবা ভাইরাসজনিত মোজাইক ভাইরাসের জন্য ---  ক্ষেতে ১-৫% গাছ দেখলে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলুন, তারপর শোষক পোকা এদের বাহক তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড (1ml/L) গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করুন।

৩.বেগুন গাছে লাল মাকড়ের জন্য ----  ডিমসহ আক্রান্ত গাছের ডাল/পাতা কেটে ফেলুন , জৈব সার পরিমিত দিবেন , এবং মাকড়নাশক এবামেকটিন(1ml/L) গ্রুপের কীটনাশক  এবং সালফারযুক্ত মাকড়নাশক থিওভিট/কুমুলাস (2.0-2.5gm/L) স্প্রে করুন। 

৪. বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার জন্য ------  লক্ষণ: চারা লাগানোর ৩০ দিন পর এ পোকার লক্ষণ প্রকাশ পায়, তবে বেগুনে ফুল আসার পরে আক্রমণ মাত্রা বাড়তে থাকে এবং ফল আসার পূ্র্বে কচি ডগায় আক্রমণ করে পরে ফলে আক্রমণ করে ।এই পোকার আক্রমণ গ্রীষ্মকালে বেশি হয় ।---সমাধান: .চারা লাগানোর ২৫ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে  বিএসএফবি-ফেরো ফাঁদ শতাংশ প্রতি ১/২ টি দিবেন । তারপর সপ্তাহে ১ বার পোকা আক্রান্ত ডগা ও ফল বাছাই করে বিনষ্ট করা ।[এমামেকটিন বেনজোয়েট( 1gm/L)+থায়ামেথাক্সাম ক্লোরানট্টানিলিপ্রোল(0.5ml/L)] অথবা  [সাইপারমেথ্রিন+ক্লোরপাইরিফস (1ml/L)] অথবা কারটাপ (2gm/L) অথবা সাইপারমেথ্রিন (1ml/L) অথবা ডেল্টামেথ্রিন (1ml/L) গ্রুপের  কীটনাশক প্রতি সপ্তাহে ১ বার স্প্রে করুন ।

৫.বেগুন গাছে কাঁঠালে পোকা & বিটল পোকা আক্রমণ করলে কার্বারিল (2gm/L) ) গ্রুপের  কীটনাশক  স্প্রে করুন ।

৬.শোষক জাতীয় পোকার জন্য কিছু জৈব পদ্ধতি :  চারা লাগানোর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে হলুদ রঙের ফাঁদ  শতাংশ প্রতি ১/২ টি দিবেন । শুকনা ছাই ছিটিয়ে দিবেন । শস্য ফাঁদ –বেগুন ক্ষেতের চারপাশে ঢেঁড়স/ভুট্ট গাছ লাগাতে পারেন । তামাড় গুড়া ১০ গ্রাম + সাবানের ৫ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে  স্প্রে করুন ।প্রতি গাছে ৩৫-৪৫ পোকা বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড (1ml/L) অথবা ডাইমেথোয়েট (1ml/L) গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করুন ।

৭.বেগুন গাছে ছাতরা পোকার জন্য ডাইমেথোয়েট (2ml/L) গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করুন

৮. বেগুন গাছে সাদা মাছির জন্য  ইমিডাক্লোরোপ্রিড (1ml/L) অথবা ডাইমেথোয়েট (1ml/L) গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করুন ।

৯.বেগুনের পাউডারী মিলডিউ রোগের জন্য---  কার্বেন্ডিজম (2gm/L) অথবা [ম্যানকোজেব+মেটালেক্সিল](1.5gm/L) গ্রুপের ছত্রাকনাশক  স্প্রে করবেন ।

১০. বেগুনের হোয়াইট মোল্ট রোগের জন্য----  [ম্যানকোজেব+ফেনামিডন (2gm/L) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: সিকিউর2gm/L  স্প্রে করবেন ।

১১.বেগুনের ফোমোপসিস রোগের জন্য--- প্রপিকোনাজল (0.5ml/L)গ্রুপের ছত্রাকনাশক স্প্রে করুন  ৮-১০ দিন দিন পর পর তিন বার ।

১২. পাতা, ফুল,ফল,পত্রবৃন্ত,বৃন্ত পচা রোধের জন্য ম্যানকোজেব/ কার্বেন্ডিজম (2gm/L) গ্রুপের ছত্রাকনাশক  স্প্রে করবেন ।

১৩. ফুল,ফল বৃদ্ধির জন্য  [ চিলেকেট জিংক (1gm/L) + সলুবোর বোরন (2gm/L)] অথবা  Nitrobenzene গ্রুপের (ফ্লোরা 2ml/L) গ্রুপের মাইক্রোনিউট্রিয়েন ।

১৩. মুলে নেমাটোডা আক্রমণ করলে এটা পরিচর্যা করতে হবে জমি তৈরির সময় করতে হবে চারা লাগানোর ১৫ দিন আগে শতাংশ প্রতি ৮০-৮৫ গ্রাম হারে ব্লিচিং পাউডার ছাই বা বালুর সাথে মিশিয়ে মাটির সাথে ভালোভাবে ছিটিয়ে দিন  এবং জমি তৈরির সময় শতাংশ প্রতি ১২০-১৩৫ গ্রাম হারে কার্বোফুরন গ্রুপর কীটনাশক ছাই বা বালুর সাথে মিশিয়ে মাটির সাথে ভালোভাবে ছিটিয়ে দিন ।

১৪. ছত্রাকের কারনে বেগুন গাছ ঢলে পড়লে কার্বেন্ডিজম (2gm/L)/কপার-অক্সিক্লোরাইড(2gm/L) গ্রুপের ছত্রাকনাশক গোড়ায়  স্প্রে করবেন ।

১৫.ব্যাকটেরিয়ার কারণে বেগুন গাছ ঢলে পড়লে  [স্ট্রেপটোমাইসিন সালফেট(0.2gm/L)] অথবা  [(বিসমার্থিওজল+কাসুগামাইসিন(2gm/L)] অথবা ক্লোরো আইসো ব্রোমাইন সায়ানুয়িক এসিড গ্রুপের ব্যাকটেরিয়ানাশক গোড়ায়   স্প্রে করবেন ।


বি:দ্র:- আবহাওয়া ও তাপমাত্রার তারতম্য ভেদে স্প্রে সিডিউল এর পরিবর্তন হতে পারে। এজন্য নিকটস্থ কৃষি অফিস বা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখা।


কৃষিবিদ আব্দুল কাইয়ুম 

গবেষক 

এ আর মালিক সীডস।




ফলনঃ হেক্টরপ্রতি ১৬ থেকে ১৭ টন। নতুন কোন ভালো জাত থাকলে কমেন্টে।,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 #বরবটি_কিভাবে_আবাদ_চাষাবাদ_করবেন:


#জলবায়ুঃ

অপেক্ষাকৃত উচ্চ তাপমাত্রায় বরবটি ভালো জন্মে। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় বরবটি গাছ ভালো জন্মে। 


#মাটিঃ

দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি বরবটি চাষের জন্য উপযোগী। মাটির পিএইচ ৫.৫ থেকে ৭.৫-এর মধ্যে হলে সেসব মাটিতে বরবটি চাষ করা যায়।


বীজ বপনের সময়ঃ

বরবটির বীজ বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে উপযুক্ত সময়। 

তবে আশ্বিন-কার্তিক মাসেও বীজ বপন করা যায়।


#বরবরি_জাতঃ

নাইস গ্রীন/ বান্টি/ লালতীর -১০৭০/শক্তি / কেগরনাটকি/আলো/ তন্নী/বারি বরবটি-১/সবুজ সংকেত/কেগর নাটকী/ গ্রীন ফিল্ড/ ইউনাইটেড-৫৮/ ইউনাইটেড-৫৭০/ /স্টিকলেস/গ্রীণ-১১২০/বরবটি-৫০৫


#জমি_তৈরিঃ

জমি পরিষ্কার করে ৪ থেকে ৫টি চাষ ও মই দিয়ে ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে। সার মিশিয়ে জমি সমান করার পর তা বেড আকারে খন্ড করতে হবে। 


#বেড তৈরিঃ

বেডের আকার হবে ১ মিটার চওড়া ও জমির দৈর্ঘ্য অনুযায়ী লম্বা। প্রতি বেডের মাঝে ৫০ সেন্টিমিটার চওড়া নালা থাকবে। নালার গভীরতা হবে ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার। নালার মাটি তুলে দুপাশের বেড উঁচু করে দিতে হবে। প্রতি বেডের মাঝে ৬০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে জোড়া সারি দাগ টানতে হবে। 


#বীজ_বপনঃ

 সারিতে ৩০ সেন্টিমিটার পর পর ১টি করে বীজ বুনে দিতে হবে। একই সময় পলিব্যাগে কিছু চারা তৈরি করে রাখলে যেসব জায়গায় বীজ গজাবে না সেসব ফাঁকা জায়গায় পলিব্যাগের চারা রোপণ করে পূরণ করা যাবে। মার্চ থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে সাধারণত বরবটির বীজ বোনা হয়।


#বীজ হারঃ

শতক প্রতি ৪০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন।


#রোপণ দূরত্বঃ

বরবটি সারি থেকে সারি ৬০ সেন্টিমিটার দূরত্বে বীজ/চারা ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে বীজ বুনতে হয়।


#সার পরিমান

প্রতি শতকে সারের পরিমান:

গোবর ৪০ কেজি

ইউরিয়া ৮০০ গ্রাম 

টিএসপি ৮০০ গ্রাম 

পটাশ ৭৫০ গ্রাম 

জিপসাম ৩০০ গ্রাম

জিংক ৩০ গ্রাম 

বোরন ৩০ গ্রাম 


বিঘা প্রতি ৩৩ শতকে সারের পরিমান:

গোবর ৪০ কেজি

ইউরিয়া ২৫ কেজি

টিএসপি ২৫ কেজি

পটাশ ২২ কেজি

জিপসাম ১০ কেজি

জিংক ১ কেজি

বোরন ১ কেজি


#সার_প্রয়োগ_পদ্ধতিঃ

জমি তৈরির সময় সম্পূর্ণ গোবর সার, টিএসপি, জিপসাম, বোরন, জিংক অক্সাইড এবং ১/৩ ভাগ এমওপি সার বীজ বপনের পূর্বে জমির সাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে । পরবর্তীতে ইউরিয়া এবং এমওপি সার বীজ বপনের ২০ এবং ৪০ দিন পর অর্থাৎ চারার বৃদ্ধি পর্যায়ে, ফুল- ফল ধরার সময় দুই ভাগ করে প্রয়োগ করতে হবে।


#সেচঃ

জমিতে পানির যাতে অভাব না হয় সেজন্য প্রয়োজন অনুসারে শুকনার সময় সেচ দিতে হবে। নালার মধ্যে পানি ঢুকিয়ে সেচ দিলে গাছের শিকড় সে পানি টেনে নিতে পারে। 


#পানি_নিষ্কাশনঃ

বৃষ্টির পানি যাতে আটকে না থাকে সেজন্য নালার আগাছাও পরিষ্কার করে দিতে হবে ।


#আগাছা_পরিষ্কারঃ


জমি সব সময় আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশেষ করে গাছের গোড়ার আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে।


#বাউনি_দেয়াঃ


চারা বড় হলে মাচা বা বাউনি দিতে হবে। ঠিকমতো বাইতে পারলে বীজ বোনার ৪০-৪৫ দিন পরই ফুল-ফল ধরে। না হলে ফল ধরতে দেরি হয়ে যায়। প্রতি বেডের ঠিক মাঝখানে বা বরবটির দুটির সারির মাঝে বেডের দুপাশে ১.৫ মিটার লম্বা দুটি বাঁশের খুঁটি পুঁতে তার মাথায় শক্ত জিআই তার টেনে বাউনির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সারিতে প্রতি দুটি বরবটি গাছের মাঝে একটি করে কাঠি বা কঞ্চি পুঁতে সেসব কাঠির মাথা জিআই তারের সাথে ইংরেজী ‘এ’ অক্ষরের মতো বেঁধে তার সাথে গাছ লতিয়ে দেয়া যেতে পারে। বরবটির জন্য বাউনি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বরবটির লতা যত বেশি মুক্তভাবে বাইতে পারে তত বেশি ফলন বাড়ে।


#ফসল তোলাঃ

বীজ বোনার ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর থেকেই বরবটি তোলা শুরু করা যায়। হাত দিয়ে বোঁটা ছিঁড়ে বরবটি তোলা যায়। তবে ছুরি দিয়ে বোঁটা কেটে তোলা ভালো। এতে গাছের ক্ষতি কম হয়। কচি অবস্থায় ফল তুলতে হবে। যখন দেখা যাবে ফলে বীজ গঠিত হয়েছে কিন্তু বীজ পুষ্ট ও পরিপূর্ণভাবে বড় হয়নি, খোসার রং স্বাভাবিক সবুজ আছে, বরবটির খোসা মসৃণ আছে, বীজ ফুলে যাওয়ায় বরবটি গিঁট গিঁট ও কুঁচকানো হয়নি এরূপ অবস্থায় বরবটি তুলতে হবে।


#ফলনঃ

হেক্টরপ্রতি ১৬ থেকে ১৭ টন।


নতুন কোন ভালো জাত থাকলে কমেন্টে জানাবেন


মোঃ ফরিদুল ইসলাম 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা

ব্লকঃ ভোটমারী,কালিগঞ্জ, লালমনিরহাট।



বাণিজ্যিক বেগুন চাষাবাদ সংক্ষিপ্ত কৌশল:,,,,, চাষাবাদ chasabad ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বাণিজ্যিক বেগুন চাষাবাদ সংক্ষিপ্ত কৌশল:


বেগুন চারা গুলো ছোট অবস্থায় নিচের দিকে পাশের শাখা ছাটাই করে দিতে হবে।


ঠিক গোড়া হতে বেশি ডালপালা  ছড়িয়ে গেলে মালচিং করা বেডে পরিচর্যা করতে সমস্যা হয়।


১ ফুট  এর মধ্যে কোন পার্শ্ব শাখা রাখা যাবে না। 

এতে ফলন কম হবে না বরং বেশি হবে, গাছ ও মোটা হবে বেশি। 


যেমন আপনার গাছের ফল যত কম সংখ্যায় কেজি হবে বাজারে এর চাহিদা তত বেশি হবে।


বেগুনের ফুল যা হবে সবই টিকবে বিশেষ করে  পাতার উপর নিচে স্প্রে করতে সহজ হবে।


আমরা সবাই জানি  গাছের পাতার নিচে সবচেয়ে বেশি পোকামাকড়  অবস্থান করে এজন্য বালাইনাশক স্প্রে করার সময় পাতার উপর নিচে স্প্রে জরুরি।


পুরনো মালচিং তুলে মাটি আলগা করে নিজের রেডি করা জৈব সার শতাংশ প্রতি ১৫ কেজি + টি এস পি ৬০০ গ্রাম + পটাস ৫০০ গ্রাম + জিপসাম ৩০০ গ্রাম  + বোরন ৪০ গ্রাম হারে মিশিয়ে বেডে দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।


মাটিতে জো এলে শতাংশ প্রতি বায়োডারমা পাউডার ৪০ গ্রাম হারে ছাইয়ের সাথে ছিটিয়ে   আঁচড়া টেনে মাটি সমান করে মালচিং করে ৩ দিন পর চারা রোপন করতে হবে। 


চারা রোপণ করার ১২ দিন  পর চারার গুড়ার মাটি আলগা করে মালচিং ছিদ্র কিনারা দিয়ে একটু করে ডেপ সার দিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে পর দিন সেচ দিলে চারা বেশ সতেজ হবে। 


বালাই নাশক: চারা রোপণ করার ৭ দিন পর বায়ো শিল্ড জৈব  ছএাক নাশক লিটার প্রতি ১ মিলি হারে + বায়ো ক্লিন ১ মিলি হারে স্প্রে দেওয়া হলো এবং ২৫ দিন বয়স হলে এগুলোর সাথে বায়োটিন ১ মিলি হারে + করে দিতে হবে। 


গাছের অবস্থা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে এজন্য নিয়মিত গাছ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।


গাছে সমস্যা লেগে ১২ টা বেজে গেল আর পরে একটার পর একটা বিষ দিয়ে তেমন কাজে আসবে না।


 সবচেয়ে জরুরি গাছের খাদ্য ঘাটতি যেন না হয় তা নজর রাখা।  আর খাদ্য ঘাটতি না হবার সহজ কৌশল হলো পর্যাপ্ত জৈব সার দেয়া।


আমরা জানি জৈব সারে গাছের মূল পুষ্টি উপাদানের সবগুলোই থাকে।


তথ্য গুলো যদি ভালো লাগে কপি নয় শেয়ার করে রেখে দিন কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ। 

আজকের মত এটুকুই।


©️ মোশতাক মৃধা

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 




বারমাসি ও হাইব্রিট ২১ প্রকার বীজ প্যাকেজ,,,,,,,,,,, অরন্য সিড ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🪴 বারমাসি ও হাইব্রিট ২১ প্রকার বীজ প্যাকেজ  🪴

👉দামঃ২৬০ টাকা,ডেলিভারী চার্জ ফ্রী.


🪴৯৮% বিশুদ্ধতা,জার্মিনেট রেটঃ ৯০%🪴


👉যারা অনলাইন থেকে বীজ কিনে বার বার প্রতারিত হয়েছে। তাদের জন্য এই অফার।


🪴আপনাদের জন্য যা যা আছে🪴


০১)🌲Hybrid🌲বারমাসি বুলেট মরিচ (ভারত মাতা)-১০টি বীজ।


০২)🌲Hybrid)🌲ক্যাপসিকাম (গ্রীণ/ইয়োলো/রেড/মালিক সীডস/Lifeng সীড)-১০টি বীজ।


০৩)🌲Hybrid+Variety🌲বারমাসি মিস্টি কুমড়া (সুইট কিং/মায়াবী/লাল তীর)-১০ টি বীজ।


০৪)🌲Hybrid🌲বার মাসি টমেটো (গুরু ইন্ডিয়ান/মহাবীর)-১০ টি বীজ।


০৫)🌲Hybrid+Variety🌲বারমাসি লাউ (হাজারী) - ১০ টি বীজ।


০৬)🌲Hybrid+🌲বার মাসি ধুন্দুল(আর্তি /মালিক সীডস/সুন্দরী) ৩ পিস।


০৭)🌲Hybrid🌲মরক্কো ধনিয়া পাতা (সুগন্ধী সুপার গ্রীণ)-১০+ বীজ।


০৮)🌲Hybrid🌲সাদা বেগুন বারমাসি -০৫ পিস।


০৯)🌲Variety🌲 শসা (গ্রীণ বার্ডস/মালিক সীডস)-১০ পিস।


১০)🌲Variety🌲 করলা(টিয়া/টিয়া সুপার /মালিক সীডস-৪+৬=১০ টি বীজ।


১১)🌲Hybrid🌲বারমাসি বেগুন প্রীতম(মালিক সীডস/লাল তীর)-১০ টি বীজ।


১২)🌲Hybrid🌲বেগুন (Black Ball/Green Ball/দেবগিরি/মালিক সীডস-১০ টি বীজ।


১৩)🌲Hybrid🌲মরিচ (নন্দীনী / বিজয় প্লাস/জেনিথ সীডস/মল্লিকা সীডস)-১০ টি বীজ।


১৪)🌲Variety🌲 ডেড়শ (সুপার সুমি/ইস্পাহানি/এ সি আই)-২০টি বীজ।


১৫)🌲বরবটি লং গ্রীণ🌲(ইস্পাহানী/এ সি আই/মালিক সীডস)-১০ পিস।


১৬))🌲Variety🌲 জালি(জালি রাজ/ইস্পাহানী/বুলেট/সুপার কুইন/এ সি আই)-১০ টি বীজ।


১৭)বারমাসি পেপে (টেস্টি/রেড লেডি / গ্রীণ লেডি/দেবগিরি)-২০টি বীজ।


১৮)পেয়াজ (লাল তীর/তাহেরপুরী)-৩০+ বীজ।


১৯)পুই শাক -২০+ টি বীজ । 


২০) ধুন্দুল সুন্দরী  (/মালিক সীডস/সুন্দরী)-১০ পিস।


২১)ডাটা শাক (গ্রীণ/বাসন্তী)-০১ জিপার প্যাক।


⏩ এই কম্বো মূল্য = ২৬০টাকা।


⏩ বিভিন্ন কোম্পানির বাছাইকৃত সেরা জাত গুলির সমন্বয়ে এই প্যাকেজ। 


 

⏩ প্রতি আইটেম বীজ জিপার প্যাকেটে আলাদাভাবে নাম লিখে দেয়া হবে


 ⏩ কৃষি বাঁচলে বাঁচবে দেশ সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হই। বাড়ির আঙ্গিনায়, বেলকনি,বাড়ির ছাদে নিজের চাহিদা অনুযায়ী চারা রোপন করি।আমরা দিচ্ছি A গ্রেট এর বীচ ও হাইব্রিট বীচ।


🚛 শহর ও গ্রামের যেকোন জায়গা থেকে অর্ডার করতে পারেন। আপনার ঠিকানায় পৌছে দেয়া হবে। অগ্রীম পেমেন্ট করতে হবেনা। পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধ করার সুবিধা রয়েছে।


📩 অর্ডার কনফার্ম করতে আপনার নাম, বিস্তারিত ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দিন।


📞 01609274889

অরন্য সিড ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

গাছের পাতা কুকড়ে যায়??,,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গাছের পাতা কুকড়ে যায়??


অনেকেই মরিচ,টমেটো, শিম, বরবটি পেপে বা অন্যান্য  গাছের পাতা কোকড়ানো এর

 জন্য কাংখিত ফলন পান না তাদের জন্য কার্যকরী কীটনাশক। ১০০% পরীক্ষিত।  


মূলত থ্রিপিস, সাদা মাছি পোকা ও মাকড়ের আক্রমণ হলে এমন হয়।


আক্রমণ রোধে ইমিডাক্লোপিড গ্রুপের কীটনাশক ইমিটাফ

এবামেক্টিন গ্রুপের কীটনাশক ভেকটিন ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায় ।


ব্যবহারবিধিঃ ১ লিটার পানিতে ইমিটাফ. ০.৫ মিলি(হাফ মিলি) ও ভেক্টিন ১ মিলি  একসাথে মিশিয়ে স্প্রে করে দিবেন সব গাছে পাতায় বিকালে বা রাতে। দুইটা এক সাথেই দিতে হবে। 


আক্রান্ত গাছে পাতায় ৩  দিন পর পর কয়েকবার  স্প্রে করে দিবেন।

সুস্থ্য হলে  প্রতি ১৫ দিন পর পর নিয়মিত একবার  স্প্রে করে দিবেন। তাইলে আর কোকড়াবে না। 


🔴দামঃ ইমিটাফ ১০০ টাকা

             ভেকটিন ১০০ টাকা।


লোকেশন অনুযায়ী ডেলিভারি চার্জ।


সারা দেশে হোম ডেলিভারি দেয়া যাবে।




গরীব স্কুল ছাত্রী ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্প

 স্যার একটা কথা কমু?

-কি বল?

-আইজ আমারে সারে ১২টায় ছুটি দেবেন?

-কেন? কি করবা?

-বাসায় গিয়া ভাত খামু, পেটে খুব ক্ষিধা লাগছে।

-কেন সকালে খেয়ে আসোনি?

-জ্বি না।

-কেন?

-তরকারি নাই। আর লবণ দিয়া ভাত খাইতে পারি না।

তাই খাইতে পারি নাই।

কথাটা শুনতেই বুকের মধ্যে কেমন যেন

লাগলো স্যারের?

-রাতে কি খেয়েছো?

-গরম ভাতে পানি দিয়া ডাল মনে করে ভাত।

-এখন কি দিয়ে খাবে?

-মায় কইছে ইস্কুল ছুটির পর গেলে কচু

রাইন্ধা রাখব। হেইডা দিয়া মজা কইরা ভাত খামু।

মায় খুব মজা কইরা কচু রানবার পারে।

কখন যে চোখটা ঝাপসা হয়ে আসল বুঝতে পারিনি।

একদিন তোমার মায়ের হাতের রান্না করা কচু

খেয়ে আসব। নিবা তোমার বাসায়?

যাইবেন স্যার সত্য?

হ্যাঁ যাব। যাও বাসায় গিয়ে পেট ভরে ভাত খাও।

মুখে পৃথিবী জয় করা হাসি নিয়ে বই হাতে নিয়ে তার

চলে যাওয়ার দিকে মন্ত্র মুগ্ধের মত তাকিয়ে

রইলাম।

তরকারির জন্য ভাত খেতে পারছে না। অথচ

আমাদের এই সমাজে কত মানুষ আছে যাদের

খাবারের মেনুতে কত আইটেম থাকে। যা তারা

খেয়ে শেষ করতে পারে

না। উচ্ছিষ্ট অংশ চলে যায় ডাস্টবিনে। এমন অনেক

বাবা মা আছেন যারা ছেলেকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে

পড়ান। গাড়ি করে নিয়ে যান। ছেলের কত আবদার!

সব পূরণ করতে ব্যস্ত। অথচ রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষ

গুলোর দিকে ফিরেও তাকান না। তাকাবেন কেন??

তাকালেই তো ঘাড়ে এসে পড়বে। আমরা তো

নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। হাজার টাকার বডি স্প্রে

গায়ে দিয়ে ঘুরে

বেড়াই। ঈদ আসলে ব্যস্ত হয়ে পড়ি শপিং নামক

টাকা উড়ানোর খেলায়। কেউ পাখি,কেউ কিরণমালা,

কেউ শীলা কি জাওয়ানি নামক উদ্ভট সব পোশাক

কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু বুঝতে চাই না এই

বাইরের পোশাক গুলোতে আমাকে কি মানাচ্ছে?

অথচ একটা গরীব লোক এসে বলছে-দুইটা টাকা

দেন। তখন বলি-ভাংতি নাই। মাফ কর। গার্লফ্রেন্ডকে

নিয়ে চাইনিজ এ

অনেক-ই যায়। কত টাকা খরচ হয় হিসাব রাখে না অথচ

গরীব রিক্সাচালক যখন বলে-পাঁচটা টাকা বাড়াইয়া দেন।

তখন তার গায়ে হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করে না। ঐ

গরীব লোক গুলোর অপরাধ কি?

অপরাধ একটাই যে সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে গরীবের

ঘরে জন্ম দিয়েছেন। আর আপনাকে সোনার

চামচ মুখে দিয়ে কোন ধনী বাবার ঘরে।


আসুন আমাদের যাদের সামর্থ্য রয়েছে আমরা এদের পাশে দাড়াই, আমাদের  টাকা থেকে কিছু অংশ দিয়ে ওদের জন্য কিছু করি🙂আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দিন 💝

 আমিন।-ধ্রুব।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


জীবনের গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বিয়ের ১৩ বছর পরে ও যখন সন্তান হচ্ছিলো না। তখন আমার স্বামী ২য় বিবাহ করেন। এবং সে মাসেই টেস্ট করে জানতে পারলাম আমি গর্ভধারণ করেছি।। 


ওই মূহুর্তে আমার মনে হয়েছে আল্লাহ দিলে যখন আর ১ টা মাস আগে দিতে। 

খুব ভেঙে পড়েছিলাম আমি। বুঝতে পারছিলাম না কি করবো৷ 

আমার মা কে বলেছি। তিনি বলেছেন পাশে আছি যা মনে হয় করো তুমি।।


ও বিয়ে করার পর আমাকে বলেছে তোমার ইচ্ছে হলে এখানে ও থাকতে পারো। 

আবার তোমার বাবার বাড়ি ও থাকতো পারো। 

আমার দরজা সবসময় তোমার জন্য খোলা। 

বিয়ে করার পর আমি বাবার বাড়ি যায় কিন্তুু ওখানে ঘুম আসতো না। কোনো কিছু শান্তি লাগতো না।আশেপাশে চাচীদের, আত্মীয় স্বজন এবং প্রতিবেশীদের কথা শুনে খারাপ লাগতো। 

আমাকে সরাসরি কিছু বলতো না তবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলতো। 

বাপের বাড়িতে আমার কদর কমে যায় একদম। 

ওখানে ২ দিন থাকার পর আবার চলে আসি। 

এখানে আসলে কলিজা ফেটে যেতো। আমার স্বামীকে অন্য কেউ জড়িয়ে ধরছে নাস্তা দিচেছ। আমার সংসার টা সামলাচ্ছে। 

আমার সাথে শশুর বাড়ির সবাই কথা বলা কমিয়ে দিলো। সবাই নতুন বউকে টাকে নিয়ে মাতামাতি করতো। 

আর আমি রুমে দরজা বন্ধ করে বসে থাকতাম।। 


তখন মনে হতো বাপের বাড়ি চলে যায়। 

এখানে কয়েকদিন থাকার পর বাপের বাড়ি গেলে সেখানে ও ভালো লাগতো না। 

আবার একা একা চলে আসতাম। কান্না ও আসতো না আমার।নামাজ কালামে ও মন বসতো না। 

আমার শাশুড়ী বলতো তুই চলে যা।

সবাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতো চলে যাও।


গর্ভধারণ  এর বিষয় টা প্রায় ১৫ দিনের এর মতো কাউকে বলিনি। 

১৫ দিন পর আমার স্বামীকে জানাই।।  

তিনি শুনার পর খুশি হলেন এবং বললেন আমার মোটামুটি সামর্থ্য আছে। আমি দুজনকেই চালাতে পারবো অসুবিধা নাই।। 

তুমি আমার বড় বউ আর ও ছোট বউ। তোমরা দুজনেই থাকো আমার জীবনে।। 

তোমাদের অনেক ভালোবাসি। তোমাদের ছাড়া আমি বাচবো না। 

 

আমি মনে মনে হেসে বলি হারামজাদা তুই আমাকে ছাড়া ঠিকই বাঁচবি শুধু ওরে ছাড়া বাঁচবি সেটা বল। 


তারপর উনি ভাগ করলেন আমার সাথে সপ্তাহে ২ দিন থাকবেন এবং নতুন বউয়ের সাথে বাকি দিন রাএি যাপন করবেন। 

আমার ভাগে বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার গুলো পড়ে ছিলো। 

বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার আসলে আমি আমার বাপের বাড়ি চলে যেতাম।। 

আমি স্বামীকে খুব ভালোবাসি।।তবে এখনকার এই চেহারা  মানুষ টাকে না।


আমার কান্না আসতো না। তবে আমার বিয়ের ছবিগুলো নিলে কান্না আসতো মাঝে মাঝে। আমি বউ সাজ অবস্থায় পাশের শেরওয়ানি পরিহিত স্বামীটাকে অনেক ভালোবাসি। 

আমি তাকে ফিরে পেতে চাই।। 

সুন্দর সময় ছিলো আমাদের জীবনটাতে কিন্তুু একটা সন্তান এর জন্য হাহাকার ছিলো।। 


সময়ের সাথে মানুষের চেহারা, চামড়া,একই থাকলে ও  চামড়ার ভিতরের নফস টা বদলে গিয়েছে। 

ঘৃণা হয়।। 


আমি খেতাম না কেমন শুকিয়ে কালো হয়ে গিয়েছিলাম। মার কাছে গেলে মা ফলমূল খাওয়াতো। আমি খেতাম না।। 

আমার শাশুড়ী তো নতুন বউ ছাড়া কিছু বুঝতো না। আর ননদ ননস গুলো তো আরো বাড়ে।। তাদের নতুন ভাইয়ের বউ অনেক ভালো বউ। 

আজীবন আমি রেঁধে বেড়ে খাওয়াইছি সেটার কোন মূল্যা নাই। 

যে পাতে খেয়েছে সে পাতে মলমূত্র ত্যাগ করেছে এরকম একটা অবস্থা।। 


আমার স্বামী নতুন বউকে নিয়ে ঘুরতে যেতো।। প্রায় সময়ই আর আমি সেটা দেখতাম। কান্না একটু ও আসতো না। 

আমাকে জিজ্ঞেস ও করতো না,,  তোমার কি খেতে মন চাই বা তুমি কি খাবে। 

ওহ ভালো কথা আমার রান্না কেউ খেতো না। কারণ আমার রান্না মজা নাই আমি রান্না করতে জানি না। 

এজন্য নতুন বউ আমার শাশুড়ী দের সাহায্য নিয়ে রান্না করতো। 

আর আমি রুমে বসে বসে টাইমে টাইমে খেতাম। 

আর মানুষ কে বলে বেড়াতো আমাকে অনেক সুখে রাখছে। 


নতুন বউ বয়সে আমার চেয়ে অনেক ছোট। একদিন ও কে বলি বোন বৃষ্টি আসতেছে ছাদ থেকে কাপড়গুলো নিয়ে আয়। 

আমার স্বামী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছে কারণ আমি তার নতুন বউকে কেন তুই করে বলেছি।।। 


আল্লাহর গজব পড়ুক এমন স্বামীর উপর।। 


আমি বুঝতেছিলাম না তখন কি করবো। 

দেখতে দেখতে আমার ডেলিভারি টাইম আসে।। যেদিন আমার পেইন উঠে ওইদিন আমার স্বামী তার নতুন বউয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। তখন মোবাইল এত সহজলভ্য ছিলো না।। 

তাই খবর দিতে পারি নাই। 

আমার এক চাচাত জা আমাকে মেডিকেল নিয়ে যায়। আমার সাথে আর কেউ যায় নি। 

কারণ আমার শাশুড়ী বুড়ো মানুষ উনি নাকি কিছু চিনে না। 

আর আমার ননদ ননস এর জামাইরা বিজি এজন্য। 


 আমার  ডেলিভারির খরচ আমার মা বহন করে।।

আমি নরমালে ২ টি জমজ পুএ সন্তান এর জন্ম দি।।

সরকারি মেডিকেল এ ৩ দিন থাকার পর আমি আমার বাপের বাড়ি যায়। 

মেডিকেল এ তিন দিন ছিলাম আমাকে শশুর বাড়ি একটা কু*ওা ও দেখতে আসে নাই। 

এক বেলা ভাত নিয়ে। 


আমি বাপের বাড়ি যাওয়ার ৭ দিন পর আমার জামাই খবর পাঠায় বাচ্চা দের নিয়ে ওদের ওখানে যেতে। 


আমার জামাইর থেকে শরম লাগতেছে আমার বাড়িতে আসতে।। 


আমি যায় না। আমি বলি এখন যাবো না আরো কয়েকদিন পর যাবো। 

 ৯ দিন পার হওয়ার পরে ও আমি নাম রাখি নাই বাচ্চাদের। মনে করছি শশুর বাড়ির লোকেরা আসলে তখন রাখবো। 

কিন্তুু কেউ আসে নাই। পরে আমার এক চাচা উনি মৌলভী। 

উনি আমার বাচ্চা দের নাম রেখে দেয়।। কোনো আয়োজন অনুষ্ঠান ছাড়া। 

আমার বাপের বাড়িতে সবাই ছি ছি করে। বলে বাচ্চা হয়েছে এত বছর পর অথচ কেউ দেখতে আসে না। 

আমার বাপের বাড়িতে আমার মূল্যায়ন একদম কমে যায়। 

আমাকে তেমন কেউ সাহায্য করতো না। বাচ্চা দের কাঁথা,জামা কাপড় সব আমি ধুয়তাম।। 

মা ও কেমন যেন অবহেলা করতো।। 


আমার বাচ্চাদের কেউ এক জোড়া কাপড় পযন্ত কিনে দেয় নি।। 

পরে আমার১ ভরি গয়না বিক্রি করে বাচ্চা দের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো কিনি। 

মার বাড়ি ২০ দিন থাকার পর আমি চলে যায় শশুর বাড়ি। 

কারণ এখানে আমি বাচ্চা দের খরচ বহন করতে পারছিলাম না এজন্য।। 

শশুর বাড়িতে যাওয়ার পর আমার স্বামী বাচ্চাদের কোলে নেয়। 

আমার জামাইর নতুন বউকে ডেকে বলে দেখো তোমার ছেলেদের। 

তার কোলে দিয়ে বলে এগুলো এখন থেকে তোমার সন্তান অবহেলা করো না। 

আমি ওর কোল থেকে আমার বাচ্চা কেড়ে নিতে গিয়ে আমার ছোট বাচ্চা টা নিচে পড়ে যায়।। 

আর সাথে সাথে কান্না করে উঠে। 

আমার স্বামী ওই অবস্থায় আমাকে গালাগালি করে চুল ধরে পিঠের মধ্যে অনেক গুলো ঘুষি মারে। 

আমি কান্না করতে করতে বলি আমার বাচ্চা এগুলো আর কারো বাচ্চা না।। 

আমাকে কেউ একটু ধরতে ও আসে নাই যখন মারছিলো।।। 


মানুষ কতটা অমানুষ এ রুপ নেয় তা আমার স্বামীকে না দেখলে বুঝতাম না।। 


তারপর ওরা চলে যায় আমার রুম থেকে।। আমি আমার বাচ্চা দের নিয়ে অনেক কান্না করে বলি তোদের  মা আছে আমি মরি নাই। 

তোদের আমি ভালোবাসি।। 


কয়েকদিন পর আমার স্বামী যখন আমার রুমে আসে তখন বলি আমার ছেলেদের আকিকা করাবে না। 

উনি বলে এখন টাকা নাই পরে করবো। ওদের মুসলমানির সময়।। 


তারপর বাচ্চাদের আদর করতে করতে আমার দিকে তাকিয়ে বলে কেমন বুড়া হয়ে গেছো। তোমার দিকে তাকাতে ও ঘৃণা লাগে। পেট টা কত বড় হয়ে গেছে।। 

কেমন যেন আমার নানী নানী টাইপ হয়ে গেছো।। 


আমি হেঁসে হেঁসে বলি আমার কথা বাদ দাও নাতি।। তোমার নতুন বউ নিয়ে সুখে থাকো।। 


সে হেঁসে বলে মাশাআল্লাহ আমার নতুন বউ আকাশের চাঁদ।। 

আমি বলি আল্লাহ তোমাদের আরো সুখ দিক।। 


আমি বলি আমার বাচ্চাদের টিকা দিতে হবে কালকে।। 

বলে আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে যাবো।। 


পরেরদিন ও আর ওর নতুন বউ রেডি হয়ে আসে।। আমার বাচ্চাদের নিতে। 

আমি বলি তোদের হাতে তো আমি বাচ্চা ছাড়বো না। আমার বাচ্চা আমি নিয়ে যাবো । 

আমি বাচ্চার মা। 


তখন আমার স্বামী আমাকে বলে তোমার সাথে বাহিরে যেতে আমার শরম লাগে।। 


আমি কিছু বলি না। বলি টাকা দাও আমার বাচ্চাকে আমি নিয়ে যাবো। 

পরে আমাকে ৬০ টাকা দেয়। 

আমি সরকারি মেডিকেল এ নিয়ে টিকা দিয়ে আসি। 

২ বাচ্চা একসাথে কোলে নিয়ে যায় আমার সাথে কেউ যায় না। 

মেডিকেল এর এক আয়া টিকা দেওয়ার সময় সাহায্য করে আমাকে। 

মেডিকেল এ আমার অনেক সময় লাগে। কারণ টিকা দেওয়ার ফলে বাচ্চারা অনেক কাঁদছিলো। 

সবাই বলতেছিলো আমি একা কেন। 

কেউ সাথে আসে নাই কেন।। 

অনেক কষ্টে বাচ্চা দের নিয়ে বাসায় আসি হেঁটে হেঁটে। 

কারণ আসার আর গাড়ি ভাড়া ছিলো না। 

২০ মিনিট হাটতে হয়েছিলো বাচ্চা ২ টা নিয়ে।। 

যাওয়ার সময় ১০ টাকা দিয়ে রিকশা করে গিয়েছি। 

আর একটা টিকার দাম২৫ টাকা।। 

২ জনের ৫০ টাকা নিয়েছে।। 


বাসায় এসে বাচ্চাদের রেখে একটু বাথরুমে যায়। বাথরুম থেকে শুনতে পায় আমার স্বামী আমার শাশুড়ী কে বলছে দুধ রোজ নিতে। 

কারণ আমার স্বামীর নতুন বউ গর্ভধারণ করেছে।। 


আমি বাথরুম থেকে বেড়িয়ে অনেক হাসি বাচ্চা দের কোলে নিয়ে।

রুমে এসে আমার স্বামী আমাকে বকা দিচ্ছে কারণ বাচ্চারা কাঁদছে কেন।

আমি নাকি মা হওয়ার যোগ্যতা রাখি না। আল্লাহ ভুল করে আমি ভুল মানুষকে বাচ্চা দান করছে।  

কারণ আমার বাচ্চারা কাঁদছে টিকার ব্যাথায়। 

সে একটু মায়া মহব্বত ও দেখালো না। 


আমার নিয়তি এতটা খারাপ.... 


চলবে....


অবহেলা 

১ম খন্ড 

Nusrat 

সত্য ঘটনা অবলম্বন.....


নেক্সট পার্টগুলো সবার আগে আইডি তে দেওয়া হবে নিল লেখায় চাপ দিয়ে আইডি ফলো করুন 👉 Mohammad Murad Hossain


১৮ প্রকার উন্নত জাতের শবজি পাচ্ছেন ১২১ টাকায়,,,,,, শিকদার সিডস ১ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 😍 ১৮ প্রকার উন্নতজাতে

















র সবজির বীজ   পাচ্ছেন মাত্র ১২১ টাকায়,,,,,, 


👉👉 সারাবাংলাদেশে ক্যাশঅন হোমডেলিভারী চার্জ মাত্র ৫৯ টাকা 🥰🥰🥰


👉👉 যা যা থাকছে,,,, 


👉 ক্যাপসিকামের বীজ ৭ পিস,,,  


👉 ( হাইব্রিড )  পেপের বীজ ১০ পিস,,,,


👉 ( হাইব্রিড )  বেগুনের বীজ ১৫ পিস,,,


👉 ( হাইব্রিড )  লাউয়ের বীজ ৫ পিস,,,,


👉 ( হাইব্রিড )  কুমড়ার বীজ ৫ পিস,,,,


👉 ( হাইব্রিড )  শশার বীজ ১০ পিস,,,


👉 ( হাইব্রিড )  টমেটার বীজ ১৫ পিস,,,  


👉( হাইব্রিড )  বরবটীর বীজ ৭ পিস,,,  


👉 চালকুমড়ার বীজ ৫ পিস,,,,


👉(  নওগার ) খিরাইয়ের বীজ ১০ পিস,,, 


👉 ( হাইব্রিড )  করল্লার বীজ ৫ পিস,,,  


👉 ( বড়সাইজের )  ঝিঙ্গার বীজ ৫ পিস,,,


👉 ( ফরিদপুরী )  পিয়াজের বীজ ৩০ পিস,,,


👉 ( মোটাডগা )  পুইশাকের বীজ ২০ পিস,,,


👉 ( হাইব্রিড )  ঢেঁড়সের বীজ ২০ পিস,,,


👉 ( হাইব্রিড )  মরিচের বীজ ১০ পিস,,,


👉 ( হাইব্রিড )  ধুন্দলের বীজ ৫ পিস,,,, 


👉 চিচিংগার বীজ ৫ পিস,,,


সবগুলো বীজ আলাদা আলাদা জিপার পলিতে প্যাকিং করা থাকবে ইনশাআল্লাহ ,,,,,,


👉 এছাড়া অর্ডার করলেই পাচ্ছেন আকর্ষনীয়  গিফট 😍


( তাই আর দেরি কেন অর্ডার করতে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, সহ পেজে মেছেজ করুন।  হোমডেলিভারী চার্জ ৫৯ টাকা 🥰 )


















বিশ্বাস ও আশা ----কাজী নজরুল ইসলাম,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বিশ্বাস ও আশা

----কাজী নজরুল ইসলাম


 বিশ্বাস আর আশা যার নাই, যেয়ো না তাহার কাছে

নড়াচড়া করে, তবুও সে মড়া, জ্যান্তে সে মরিয়াছে।

শয়তান তারে শেষ করিয়াছে, ইমান লয়েছে কেড়ে,

পরাণ গিয়াছে মৃত্যুপুরীতে ভয়ে তার দেহ ছেড়ে।

 

থাকুক অভাব দারিদ্র্য ঋণ রোগ শোক লাঞ্ছনা,

যুদ্ধ না ক’রে তাহাদের সাথে নিরাশায় মরিও না।

ভিতরে শত্রু ভয়ের ভ্রান্তি মিথ্যা ও অহেতুক

নিরাশায় হয় পরাজয় যার তাহার নিত্য দুখ।

 

“হয়ত কী হবে” এই ভেবে যারা ঘরে ব’সে কাঁপে ভয়ে,

জীবনের রণে নিত্য তারাই আছে পরাজিত হয়ে।

তারাই বন্দী হয়ে আছে গ্লানি অধীনতা কারাগারে;

তারাই নিত্য জ্বালায় পিত্ত অসহায় অবিচারে!

 

এরা আকারণ ভয়ে ভীত, এরা দুর্বল নির্বোধ,

ইহাদের দেখে দুঃখের চেয়ে জাগে মনে বেশী ক্রোধ।

এরা নির্বোধ, না ক’রে কিছুই জিভ মেলে প’ড়ে আছে,

গোরস্তানেও ফুল ফোটে, ফুল ফোটে না এ মরা গাছে।

 

এদের মুক্তি অদৃষ্টবাদ, ব’সে ব’সে ভাবে একা,

‘এ মোর নিয়তি’ বদলানো নাহি যায় কপালের লেখা!

পৌরুষ এরা মানে না, নিজেরে দেয় শুধু ধিক্কার,

দুর্ভাগ্যের সাথে নাহি লড়ে মেনেছে ইহারা হার।

 

এরা জড়, এরা ব্যাধিগ্রস্ত, মিশো না এদের সাথে,

মৃত্যুর উচ্ছিষ্ট আবর্জনা এরা দুনিয়াতে।

এদের ভিতরে ব্যাধি, ইহাদের দশদিক তমোময়,

চোখ বুঁজে থাকে, আলো দেখিয়াও বলে, ‘ইহা আলো নয়।’

 

প্রবল অটল বিশ্বাস যার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে,

যৌবন আর জীবনের ঢেউ কল-তরঙ্গে আসে,

মরা মৃত্তিকা করে প্রাণায়িত শস্যে কুসুমে ফলে,

কোনো বাধা তার রুধে না ক পথ, কেবল সুমুখে চলে।

 

চির-নির্ভয়, পরাজয় তার জয়ের স্বর্গ-সিঁড়ি,

আশার আলোক দেখে তত, যত আসে দুর্দিন ঘিরি’।

সেই পাইয়াছে পরম আশার আলো, যায়ো তারি কাছে,

তাহারি নিকটে ম্রিত্তুঞ্জয়ী আভয়-কবচ আছে।

 

যারা বৃহতের কল্পনা করে, মহৎ স্বপ্ন দেখে,

তারাই মহৎ কল্যাণ এই ধরায় এনেছে ডেকে।

আসম্ভবের অভিযান-পথ তারাই দেখায় নরে,

সর্বসৃষ্টি ফেরেশতারেও তারা বশীভূত করে।

 

আত্মা থাকিতে দেহে যারা সহে আত্ম- নির্যাতন,

নির্যাতকেরে বধিতে যাহারা করে না পরাণ-পণ,

তাহারা বদ্ধ জীব পশু সন, তাহারা মানুষ নয়,

তাদেরই নিরাশা মানুষের আশা ভরসা করিছে লয়।

 

হাত-পা পাইয়া কর্ম করে না কূর্ম-ধর্মী হয়ে,

রহে কাদা-জলে মুখ লুকাইয়া আঁধার বিবরে ভয়ে,

তাহারা মানব-ধর্ম ত্যজিয়া জড়ের ধর্ম লয়,

তাদের গোরস্তান শ্মশানে, আমাদের কেহ নয়।

 

আমি বলি শোনো মানুষ! পূর্ণ হওয়ার সাধনা করো,

দেখিবে তাহারি প্রতাপে বিশ্ব কাঁপিতেছে থরোথরো!

ইহা আল্লার বাণী যে, মানুষ যাহা চায় তাহা পায়,

এই মানুষের হাত পা চক্ষু আল্লার হয়ে যায়!

 

চাওয়া যদি হয় বৃহৎ, বৃহৎ সাধনাও তার হয়,

তাহারি দুয়ারে প্রতীক্ষা করে নিত্য সর্বজয়।

অধৈর্য নাহি আসে কোনো মহাবিপদে সে সেনানীর,

অটল শান্ত সমাহিত সেই অগ্রনায়ক বীর।

 

নিরানন্দের মাঝে আল্লার আনন্দ সেই আনে,

চাঁদের মতন তার প্রেম জনগণ-সমুদ্রে টানে।

অসম সাহস বুকে তার আসে আভিয় সঙ্গ ক’রে,

নিত্য জয়ের পথে চলো সেই পথিকের হাত ধ’রে।

 

পূর্ণ পরম বিশ্বাসী হও, যাহা চাও পাবে তাই;

তাহারে ছুঁয়ো না, সেই মরিয়াছে, বিশ্বাস যার নাই।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


আজ থেকে ১২০ বছর আগে, ১ টাকার মূল‍্য কতো ছিলো ভাবতে পারেন?,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আজ থেকে ১২০ বছর আগে, ১ টাকার মূল‍্য কতো ছিলো ভাবতে পারেন? —আজকের দিনের আনুমানিক কয়েকশ টাকা। 


১২০ বছর আগে, খাজা সলিমুল্লাহ ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দান করেছিলেন বুয়েটের (BUET) জন‍্য। তখন সেটার নাম বুয়েট ছিলো না। ছিলো ঢাকা সার্ভে স্কুল। সেটাকে তিনি রূপ দিলেন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে। (খাজা সলিমুল্লাহার বাবার নাম ছিলো আহসানউল্লাহ) 


১৯০৮ সালে পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক সভায় বিনা বেতনে বাধ‍্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার দাবি তুলেন তিনি। —চিন্তা করা যায়! 


পূর্ব বাংলায় কোন ইউনিভার্সিটি নেই। সলিমুল্লাহ সেটা মানতে পারলেন না। কি করা যায়, সে নিয়ে ভাবতে থাকলেন। ১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি, তখনকার ভাইস রয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় আসেন। হার্ডিঞ্জের সামনে দাবি নিয়ে দাঁড়ানোর মতো সাহস পূর্ব বাংলায় যদি কারো থাকে, সেটা একমাত্র সলিমুল্লাহর। তার বয়স তখন চল্লিশ বছর। সে সময়ের ১৯ জন প্রখ‍্যাত মুসলিম লিডার নিয়ে তিনি হার্ডিঞ্জের সাথে দেখা করেন। বিশ্ববিদ‍্যালয়ের প্রথম দাবি তুলেন। সেই ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো। 


সলিমুল্লাহ ছিলেন আদ‍্যোপান্ত শিক্ষানুরাগী। পূর্ব বাংলায় শিক্ষার বিস্তারের জন‍্য, পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্ঠিকে শিক্ষিত করার লক্ষ‍্যে তিনি বহু বৃত্তি, বহু প্রকল্প চালু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা এবং ঢাকা সার্ভে স্কুলকে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে রূপ দেয়া ছিলো তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ‍্য অবদান। 


শিক্ষাকে যদি জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়, তাহলে পূর্ব বাংলার সেই মেরুদণ্ড তৈরিতে সলিমুল্লাহর চেয়ে বড়ো ভূমিকা সম্ভবত বিংশ শতকে খুব বেশি কেউ রাখেনি। অথচ সেই মানুষটাকে নিয়ে আমাদের সমাজে তেমন আলোচনা দেখি না। স্মরণসভা দেখি না। কষ্ট হয় কিছুটা! 


মাত্র ৪৩-৪৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। আরো কিছুদিন বেঁচে থাকলে হয়তো পূর্ব বাংলার শিক্ষার জন‍্য আরো বহুকিছু করে যেতেন। 


নবাব স‍্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুরের মৃত‍্যুবার্ষিকী আজ (১৬ জানুয়ারি)। তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতাকবিরাজ সঞ্জয় দত্ত  আয়ুর্বেদিক এন্ড হারবাল চিকিৎসক

 🥬সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতা 🌴 🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲 হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে বলা হয়েছে আসমা বিনেত উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত।...