এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

প্রাচীন যুগে চীনারা যখন শান্তিতে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিল তখন তারা গ্রেট ওয়াল নির্মাণ করলো

 প্রাচীন যুগে চীনারা যখন শান্তিতে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিল তখন তারা গ্রেট ওয়াল নির্মাণ করলো। চীনারা ভেবেছিল এটার উচ্চতার জন্য কেউ টপকে তাদের আক্রমণ করতে পারবে না।

গ্রেট ওয়াল নির্মাণের প্রথম একশো বছরের মধ্যেই চীনারা তিন বার আক্রান্ত হয়। আশ্চর্যের বিষয় কোনোবারই আক্রমণকারীদের দেওয়াল টপকানোর বা ভাঙার প্রয়োজন হয় নাই। কারণ প্রত্যেকবারই আক্রমণকারীরা দেওয়াল পাহারারত রক্ষীদের উৎকোচ দিয়ে সামনের গেট দিয়ে ঢুকে গেছে। চীনারা অনেক পরিশ্রম করে মজবুত দেওয়াল তৈরি করেছিল। কিন্তু তারা দেওয়াল পাহারা দেওয়া রক্ষীদের চরিত্র মজবুত করার জন্য কোন পরিশ্রমই করেনি। 


তাহলে দেখা যাচ্ছে দেওয়াল মজবুত করার থেকে চরিত্র মজবুত করার প্রশ্নটিই আগে আসে। শুধু দেওয়াল মজবুত করার ফলাফল শূন্য।


তাই অনেক আগেই একজন প্রাচ‍্যদেশীয় দার্শনিক বলে গেছেন তুমি যদি কোন সভ্যতা ধ্বংস করতে চাও তাহলে তিনটি কাজ কর-


(ক) যে জাতিকে পদানত করতে চাও তার পারিবারিক গঠন আগে ধ্বংস করো। পারিবারিক গঠন ধ্বংস করতে হলে সংসারে মায়ের ভূমিকাকে খাটো করে দেখাও যাতে সে গৃহবধূ পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে।


(খ) শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দাও। এটা করতে হলে শিক্ষককে প্রাধান্য দিও না। সমাজে তার অবস্থান নিচু করে দেখাও যাতে তার ছাত্ররাই তাকে উপহাস করে।


(গ) তরুণ সমাজ যেন অনুসরণ করার মত কোন রোল মডেল না পায়। তাই তাদের জ্ঞানীদের নানাভাবে অপমান কর। রোল মডেলদের নামে অসংখ্য মিথ্যা কুৎসা রটাও যাতে তরুণ সমাজ তাদের অনুসরণ করতে দ্বিধাবোধ করে।

সংগৃহিত

জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের উপকারিতা 

 কৃষিতে জৈব বালাইনাশক, পর্ব- ১.


জৈব উৎস বিশেষ করে উদ্ভিদ/উদ্ভিদাংশ থেকে উৎপন্ন বালাইনাশক জৈব বালাইনাশক বলে। আমাদের দেশ আয়তনে ছোট হলেও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে খুবই সমৃদ্ধ। আবহমানকাল থেকেই মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় গাছ-গাছালি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমনকি কৃষি ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণেও গাছ-গাছড়ার ব্যবহার ঐতিহ্য সুদীর্ঘ কালের।


নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব হওয়ার ফলে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে।


জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের উপকারিতা :


১. উদ্ভিজ্জ বালাইনাশক পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না।


২. জৈব বালাইনাশক প্রভাবে ক্ষতিকর পোকার বৃদ্ধি ব্যহত হলেও উপকারী পোকামাকড়ের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই।


৩. মাটির অনুজীব ও কেঁচোর উপর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই।


৪. মাছ, পাখি ও গবাদি পশুর উপর কোন বিষক্রিয়া নাই।


৫. জমিতে স্প্রে করার সাথে সাথে ফসল তোলা ও ব্যবহার করা যায়।


৬. জৈব বালাইনাশকের কোন দীর্ঘ মেয়াদী অবশিষ্টাংশ বিদ্যমান থাকে না বলে পরিবেশের জন্য নিরাপদ।


ভেষজ বালাইনাশকসমূহ:


১. নিমের পাতা, ছাল ও কাপড় কাচা সাবান দ্বারা: 


দুই কেজি নিমের পাতা, ১.৫ কেজি নিমের ছাল শিল পাটায় একটু থেতলে নিন। থেতলানো পাতা, ছাল এবং ৫০ গ্রাম গুড়া সাবান একটি পাত্রে দিয়ে ৫ লিটার পানি মিশ্রিত করুন। জ্বাল দিয়ে ৫ লিটার পানিকে কমিয়ে ১ লিটার বানিয়ে ঠান্ডা করে ছেকে নিন। ৯ লিটার পানি যোগ করে স্প্রে করুন। এতে সকল প্রকার মাছি পোকা, বিটল জাতীয় পোকা, কীড়া ও বিছা পোকা দমন করা যায়।


২. নিম পাতার গুড়া দ্বারা: 


নিম পাতা ছায়ায় বিছিয়ে দু/এক সপ্তাহ শুকাতে হবে। শুকনা পাতা ভাল করে গুড়া করতে হবে। প্রতি ৫০ কেজি বীজ সংরক্ষণের জন্য ১ কেজি গুড়া মিশাতে হবে। সংরক্ষনের মেয়াদ বাড়াতে হলে সমপরিমাণ ধুতরা পাতার গুড়া একই রকম মিশাতে হবে। এতে গুদামজাত ফসলের পোকা দমন হয়।


৩. নিম বীজ দ্বারা: 


এক কেজি নিম বীজ ছায়ায় শুকিয়ে খোসা ছড়িয়ে নিন। বীজ পিষে মলমের মত তৈরী করুন। এর সাথে ৭৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশান। মিশ্রণটি ১০০ লিটার পানি মিশালে ২% দ্রবণ তৈরী হবে। দ্রবণ এক রাত রেখে দিন। এরপর ৭০-৮০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ২/৩ ঘন্টা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে জমিতে ব্যবহার করুন। এতে পাতা মোড়ানো পোকাসহ বিভিন্ন ধরণের কীড়া ও গান্ধী পোকা দমন করা যায়। ইহা কৃমিনাশকের কাজ করে।


৪. মেহগনি বীজ: 


৮-১০ টি কাচা মেহগনি বীজের ফলের সাদা অংশ কুচি কুচি করে কেটে ৭ দিন ভিজিয়ে রেখে ছেকে ৫০ গ্রাম কাপড় পরিষ্কার করা পাউডার মিশিয়ে স্প্রে করুন। বাদামী গাছ ফড়িং, মাজরা, পাতা মোড়ানো ও ডায়ামন্ড ব্যাক মথ দমন করা যায়।


৫. তামাক পাতা দ্বারা: 


এক কেজি কাচা তামাক পাতা ১০ লিটার পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে কচলিয়ে নিন। ছেকে ব্যবহার করুন অথবা বড় আকারের ১০ টি শুকনা পাতা ১০ লিটার পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে ছেকে নিয়ে ব্যবহার করুন। মাইট ও জেসিড দমন করা যায়।


৬. বিষকাটালী ও ঢোল কলমী দ্বারা: 


বিষকাটালী বা ঢোল কলমীর পাতা, কান্ড (পেষানো) ১ কেজি, ১০ লিটার পানিতে ভিজিয়ে ঢেকে স্প্রে করুন। এতে এফিড, মাছি, পাতা ও ফলখেকো কীড়া দমন করা যায়।


৭. টমেটো গাছ দ্বারা: 


এক কেজি কান্ড ও পাতা ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট জ্বাল দিন। ছেকে নিয়ে স্প্রে করুন। এতে কান্ড পাতার শোষক পোকা লার্ভা দমন হয়।


৮. কালো কচুর পাতা দ্বারা: 


এক কেজি কালো কচুর পাতা ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩০ মিনিট সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা করে ছেকে ব্যবহার করুন। এতে কীড়া, বাদামী গাছ ফড়িং, পাতা শোষক পোকা দমন হয়।

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ৩০-০৪-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ৩০-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ - সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে অপকৌশল গ্রহণ করায় সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে বিএনপি - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের। 


মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর কোনো নতুন অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংককে অর্থায়ন বাড়ানোর আহ্বান অর্থমন্ত্রীর। 


চলমান তাপ প্রবাহের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট। 


গাজায় যুদ্ধবিরতির ইসরাইলি প্রস্তাব গ্রহণের জন্য হামাসের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ‍যুক্তরাজ্যের আহ্বান।


সিলেটে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারতের নারী দলের মধ্যে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আজ।

মানব ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রাচীনতম খেলনা ইয়ো-ইয়ো! প্রথমটি কী?

 মানব ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রাচীনতম খেলনা ইয়ো-ইয়ো! প্রথমটি কী?


ইয়ো-ইয়ো একটি খেলনা যাতে দুটি ডিস্কের সাথে যুক্ত একটি এক্সেল থাকে ও স্পুলের মতো এক্সেলের চারপাশে একটি স্ট্রিং লুপ থাকে। ৪৪০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি গ্রিক ফুলদানির পেইন্টিংএ এক ছেলেকে ইয়ো-ইয়ো নিয়ে খেলতে দেখা যায়। সে হিসেবে ধারণা করা হয় এর উদ্ভব হয়তো গ্রিসে।


তবে অনেকের মতে, আরও অনেক আগে ইয়ো-ইয়োর উৎপত্তি হয়েছিল চীনে। এর উৎপত্তি ফিলিপাইনে বলেও অনেক জোরালো যুক্তি রয়েছে। কারণ এটি ফিলিপাইনের স্থানীয় ভাষা তাগালগের একটি শব্দ যার অর্থ "ফিরে এসো"। ফিলিপাইনে এটি ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহৃত হয়েছিল। তাদের সংস্করণটি ধারালো প্রান্ত ও স্টাডসহ বড় ছিল এবং শিকারের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য মোটা বিশ-ফুট দড়ির সাথে যুক্ত ছিল।


ইয়ো-ইয়োকে ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রাচীনতম খেলনা হিসাবে বিবেচনা করা হয়, সবচেয়ে পুরানো খেলনা- পুতুল। প্রাচীন গ্রিসে, এটি কাঠ, ধাতু ও টেরাকোটা দিয়ে তৈরি হতো। গ্রিকরা দেবতাদের ছবি দিয়ে ইয়ো-ইয়োর দুটি অংশকে সজ্জিত করতো। যৌবনে প্রবেশের চিহ্ন হিসেবে গ্রিক শিশুরা প্রায়ই খেলনাটি পারিবারিক বেদিতে রেখে দিতো।


খেলনাটি আঠারো শতকে ফ্রান্সে আসে। সম্ভবত চীন থেকে ফিরে আসা মিশনারিরা এনেছিল এবং অভিজাতদের মধ্যে এটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। সেই সময়ে সপ্তদশ লুই'র চারবছর বয়সী পেইন্টিংএ ইয়ো-ইয়ো দেখা যায়। ১৮শতকের শেষ দিকে, খেলনাটি কাচ ও হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি করা হতো যাকে "জুজু ডি নরম্যান্ডি" বলা হতো। ফ্রান্স থেকে এটি ইংল্যান্ডের অভিজাত শ্রেণির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ইংরেজরা একে ব্যান্ডালোর ও কুইজ নামেও ডাকতো। সে সময়ের ছবিতে দেখা যায় সৈন্য, অভিজাত এমনকি রাজারাও এটি নিয়ে খেলছে। প্রিন্স অফ ওয়েলসের ইয়ো-ইয়োর সাথে একটি চিত্র মুদ্রিত দেখা যায়। 


যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৬০ এর দশকে ইয়ো-ইয়ো দিয়ে খেলা শুরু হলেও ১৯২০ সালে ইয়ো-ইয়ো শব্দটি প্রথম ব্যবহার করে। পেড্রো ফ্লোরেস নামক একজন ফিলিপিন্স অভিবাসী ক্যালিফোর্নিয়ায় তার ছোট কারখানায় ফ্লোরেস নামে প্রথম খেলনা ইয়ো-ইয়ো তৈরি করে। পরে ডানকান ফ্লোরেস এটি ১৯২৯ সালে পেড্রো ফ্লোরেস থেকে এর স্বত্ব কিনে নেন ও ইয়ো-ইয়ো নামটি ট্রেডমার্ক করেন। ইয়ো-ইয়ো প্রযুক্তিতে ডানকানের প্রথম অবদান ছিল স্লিপ স্ট্রিং, যা একটি গিঁটের পরিবর্তে অক্ষের চারপাশে স্লাইডিং লুপ নিয়ে গঠিত।


ডোনাল্ড ডানকান সংবাদপত্রে বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য উইলিয়াম হার্স্টের সাথে একটি চুক্তি করেন। বিনিময়ে, ডানকান প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ও প্রবেশকারীদের প্রবেশ ফি হিসাবে সংবাদপত্রের নতুন সদস্য আনার শর্ত আরোপ করেন। ডানকানের প্রথম দিকের মিডিয়া প্রচারণা এতটাই সফল ছিল যে শুধুমাত্র ফিলাডেলফিয়াতেই, ১৯৩১ সালে এক মাসব্যাপী প্রচারণার সময় তিন মিলিয়ন ইউনিট ইয়ো-ইয়ো বিক্রি হয়েছিল। 


ইয়ো-ইয়ো বিক্রয় ১৯৬২ সালে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যখন ডানকান এর ৪৫ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি করেছিল। পরে ফ্ল্যাম্বিউ প্লাস্টিক কোম্পানি ডানকান নামটিসহ কোম্পানির সমস্ত ট্রেডমার্ক কিনে নেয়, তারা দ্রুত তাদের সমস্ত প্লাস্টিক ইয়ো-ইয়ো-এর ডিজাইন তৈরি করে। ইয়ো-ইয়ো আজও চলছে, এর সর্বশেষ সম্মান হলো মহাকাশের প্রথম খেলনা।


ছবি: ৪৪০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি গ্রিক ফুলদানির পেইন্টিংএ এক ছেলে ইয়ো-ইয়ো নিয়ে খেলছে।



সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

এক  সময় ময়মনসিংহের প্রতিটি গ্রামেই ফক্সটেইল মিলেট বা কাউনের চাষ হতো

 এক সময় ময়মনসিংহের প্রতিটি গ্রামেই ফক্সটেইল মিলেট বা কাউনের চাষ হতো। কাউন ছিলো গরীবের খাবার। কাউন চালের ভাত এবং জাউ বেশ জনপ্রিয় ছিল। চৈত্র বৈশাখ মাসে ক্ষেতে ক্ষেতে কাউনের ছড়া দুলতো। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ইরি,বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়। এরপর থেকে ক্রমেই কমতে থাকে কাউন চাষ। ইরি বোরো চাষ যত বিস্তার লাভ করে কাউনের চালের চাহিদাও পড়তে থাকে। কৃষকেরা ততই কাউন চাষ কমিয়ে দেয়। কাউনের চাল বাজারে সহজলভ্য হলে অগণিত মানুষ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অবেসিটি, অভারওয়েট ইত্যাদি ভয়াবহ সমস্যা থেকে প্রতিকার পাবে।


গরিবদের খাবার কাউন এখন উচ্চ দামে বিক্রি হয়।কাউনের চাল এখন ধনীদের বিলাসী খাবারে পরিণত হয়েছে। কাউন চাষে আবার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ এখানে খরচ কম লাভ বেশি। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এক বিঘা জমিতে কাউন চাষে মোট ব্যয় হয় ৭-৮ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমিতে উৎপাদন হয় ১৫-১৮ মণ। ফসল পরিপক্ব হতে সময় লাগে প্রায় তিন মাস। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে কাউনের চাষ হয়ে থাকে। প্রায় সব ধরণের মাটিতেই কাউনের চাষ করা যায়। তবে পানি জমে না এরকম বেলে দো-আঁশ মাটিতে ফলন ভালো হয়। 


জোয়ার, বাজরা, রাগি, শ্যামাচাল, কাউন, চিনা, ঢেমসি ইত্যাদি দানাশস্যগুলোকে মিলেট বলা হয়। মিলেট গ্লুটেন মুক্ত, ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রতিকূল ও শুষ্ক পরিবেশে এই ফসল আবাদ হতে পারে। অল্প বৃষ্টিপাতে অনুর্বর মাটিতেও মিলেটের ফলন ভাল হয়! তাই একে বলা হয় 'অলৌকিক শস্য' বা 'মিরাকল মিলেট'। এই ফসলের উৎপাদন রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীল নয়। গম ও ধানের চেয়ে মিলেট প্রায় ৩-৫ গুণ বেশি পুষ্টিকর। ভারতের হরপ্পা সভ্যতার যুগে, চীনের নবপ্রস্তরযুগে ও কোরিয়ার মুমুন যুগে খাদ্যশস্য হিসেবে মিলেট চাষ হতো। অনুমান করা হয় প্রাগৈতিহাসিক যুগে ধানের চেয়ে মিলেট চাষই বেশি হতো।


ফক্সটেইল মিলেট হিন্দিতে কাংনি নামে পরিচিত। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ১৬ রকমের মিলেট চাষ হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- সরঘাম (জোয়ার), পার্ল মিলেট (বাজরা), ফিংগার মিলেট (রাগি), বার্নইয়ার্ড মিলেট (শ্যামা চাল), ফক্সটেল মিলেট (কাউন চাল), বাকহুইট (কুট্টু), লিটল মিলেট (কুটকি), প্রোসো মিলেট (চীনা), কোডো মিলেট (কোড়ো), অ্যামারান্থাস (চৌলাই), ব্রাউনটপ মিলেট ইত্যাদি। গুজরাট, রাজস্থান সহ ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে মিলেট থেকে তৈরি খাবার খাওয়ার চল বেশি।


বিস্কুট, পোরিজ, উপমা, খিচুড়ি, পোহা এবং সালাদ তৈরি করা যায় কাউন দিয়ে। অতিথি আপ্যায়নে, উৎসব-পার্বণে কাউনের পায়েশের বেশ প্রচলন আছে। কাউনের চালে নানা রকমের রেসিপি তৈরি করা যায়। সাধারন চালের মতই কাউনের চাল দিয়ে পোলাও, বিরিয়ানী, ভাত, জাউ, খিচুরি, পায়েশ, বেকারিজ ইত্যাদি করা যায়। এই খাবারগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। বিশেষ করে কাউনের পায়েস খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। কাউন চালের ভাত খেতে খুব সুস্বাদু। এই ভাত সবজি সিদ্ধ দিয়ে খেলে পরম তৃপ্তি পাওয়া যায়। ভাতের স্বাদের কারণে উপকরণ হিসাবে তরিতরকারী, মাছ-মাংস কম খেলেও তৃপ্তি আসে।


ফক্সটেইল মিলেট রান্না করার পদ্ধতি—

• মিলেট ভুল পদ্ধতিতে রান্না করলে অনেক সময় লাগবে। আর প্রেশার কুকারে বহুবার সিটি দিয়েও শক্তই থেকে যাবে। চাল বা গম ভিত্তিক খাবার রান্না করতে কম সময় লাগে। আর মিলেটের ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগাই স্বাভাবিক। একটি পাত্রে মিলেট নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে পারলে খুব ভাল। আগের রাত থেকে ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। রান্নার সময় কমিয়ে আনার জন্য দানাশস্য ভিজিয়ে রাখা জরুরি।

• কাউনের পায়েস শিশুদের সবচেয়ে পছন্দের খাবার। 

পায়েসের জন্য নিতে হবে কাউন চাল ৩৫ গ্রাম, দুধ ১ কেজি, গুড় পরিমাণমতো ও ঘি এক টেবিল চামচ। কাউনের চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে ছয় ঘণ্টা। এরপর দুধ ফুটিয়ে তাতে ভিজানো চাল ছেড়ে দিন। চাল ফুটে গেলে গুড় দিতে হবে। শেষে ঘি দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে ভালোমতো নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। পায়েস ঠান্ডা করে কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। 

• কাউনের মাখা ভাত তৈরির জন্য পোলাওয়ের মতো করে অল্প তেলে কাউন চাল ভেজে নিয়ে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, হলুদ, লবণ দিয়ে রান্না করুন। এরপর ঠান্ডা করে থেতো করা রসুন, ভাজা শুকনামরিচ আর সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। বিভিন্নরকম ভর্তা, ডিম ভাজি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন মজাদার কাউন চালের মাখা ভাত।


ফক্সটেইল মিলেট এর উপকারিতা—

• ফক্সটেইল মিলেট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।

• উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিনের একটি ভাল উৎস মিলেট। পাশাপাশি এটিতে নিরামিষাশীদের জন্য দরকারী আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং ভিটামিন রয়েছে।

• কাউন হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

• কাউনের গ্লাইসেমিক সূচক নিম্ন। অর্থাৎ খাওয়ার পর রক্ত ​​প্রবাহে গ্লুকোজ ছেড়ে দেয় ধীরে ধীরে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী খাদ্য।

• কাউনের ফাইবার উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

• কাউনে ক্যালসিয়াম, জিংক, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে যা সুস্থ হাড় ও দাঁত এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

• গ্লুটেন ইনটলারেন্ট ব্যক্তি বা যারা গ্লুটেন-মুক্ত ডায়েট ফলো করে তাদের জন্য কাউন একটি চমৎকার অপশন।

• কাউনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। ইনফেকশন, হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়।

• ফক্সটেইল মিলেট ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনোলিক যৌগ সমৃদ্ধ যা শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলোকে নিউট্রালাইজ করতে সাহায্য করে। 

• মিলেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম,পটাসিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, নিয়াসিন, লেসিথিন ইত্যাদি রয়েছে। তাই নিয়মিত খেলে অপুষ্টি দূর হয়। 

• মিলেটে গ্লুটেন থাকে না। তাই শরীরে বাড়তি মেদ জমে না। মিলেট ওজন, বিএমআই এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

• কাউন সহজে হজমযোগ্য সুপারফুড। কাউনের চালে আঁশ বেশি। তাই যেকোনো খাবার বানিয়ে খেলে পাকস্থলী ভালো থাকে।

• কাউনের চালে পর্যাপ্ত পরিমাণ মিনারেলস থাকায় নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারি খাদ্য।

• ডায়াবেটিক রোগীর ঘনঘন খাওয়ার বদঅভ্যাস থাকে। ঘনঘন খাওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে ডায়েটে কাউনের চাল রাখুন। আঁশযুক্ত শস্যদানা একবার খেলে দীর্ঘক্ষণ শক্তি সরবরাহ করে। 

• গর্ভবর্তী মহিলাদের শরীরে আয়রনের অভাব দেখা যায়। কাউনের চালে আয়রন থাকে যা আয়রনের অভাব দূর করে।

• শারীরিক সৌন্দর্য ও ওজন ঠিক রাখার জন্য কাউনের চাল রোজকার ডায়েটে রাখুন। ফক্সটেইল মিলেট শরীর-মন সতেজ ও প্রানবন্ত রাখে। 

• কাউনের চাল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। যাদের সকালটা অনেক কষ্টের হয় তাদের জন্য কাউন চালের খাবার ভীষণ উপকারী।

• কাউনের চাল এনার্জির ঘাটতি পূরণ করে। শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন। যা রোজ সকালের নাস্তায় কাউনের তৈরী খাবার খেলে সহজেই পাওয়া যায়।


ফক্সটেইল মিলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা—

• মিলেটে কারো কারো অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা থাকতে পারে। ফক্সটেইল মিলেট খেলে যদি চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাস নিতে অসুবিধা এসব হয় তাহলে হেলথকেয়ার প্রফেশনালের পরামর্শ নিন।

• কাউনে ফাইটিক অ্যাসিড এবং ট্যানিনের মতো অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা শরীরের পুষ্টি শোষণে বাধা দিতে পারে। ভিজানো, গাঁজানো কিংবা রান্না করলেই এ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টগুলো আর থাকেনা। 

• মিলেটের গোইট্রোজেনিক ইফেক্ট থাকতে পারে। ফক্সটেইল মিলেটে গয়ট্রোজেন থাকে। এই যৌগগুলি থাইরয়েড ফাংশনে হস্তক্ষেপ করতে পারে। যদি কারো থাইরয়েড রোগ থাকে তাহলে ডায়েটে মিলেট অন্তর্ভুক্ত করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।

• বাচ্চাদের জন্য যখন কাউন চালের রেসিপি করবেন সেগুলোতে সাদা লবণ, সাদা চিনি যোগ করবেন না। কাউনের তৈরি খাবার থেকে শিশুদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে।



জীবন চলার পথে কথা গুলো কাজে লাগবে-

 ★জীবন চলার পথে কথা গুলো কাজে লাগবে---

১. কখনো বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল টিপবেন না। কখন নিয়ে যাবে,

টের পাবেন না।

-

২. রিকশাতে বসে কোলে ব্যাগ রাখবেন না। পাশ থেকে মটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে করে এসে হ্যাচকা টান দেবে।

-

৩. রাস্তায় কিছু খাবেন না, কিছুই না। দূরপাল্লার যাত্রা হলে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসুন অথবা প্যাকেটজাত কিছু খান।

পাশের যাত্রী কিছু দিলে খান না, তাতে কি?

হয়তো যে পানি বা ডাব কিনলেন, বা

অন্যকিছু তাতেই থাকতে পারে ঔষধ।

-

৪. ট্রেন জার্নিতে দরজার পাশে, দুই বগির পাশে দাড়াবেন না। কিংবা যতোই ভালো লাগুক দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবেন না। ট্রেনের ছাদে চলাচল যতোই রোমান্টিক লাগুক, যে গ্যাং গুলো ছিনতাই করে, তারা খুবই নির্দয় এবং বেপরোয়া। অনেক

যাত্রীর লাশ পাওয়া যায় সারাদেশের ট্রেন লাইনের আশেপাশে। বেশিরভাগই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন

করে ফেলা হয়।

-

৫. কপাল খারাপ হলে ছিনত্যাইয়ের শিকার হবেন। ধরা যাক হলেন। কি করবেন ? ছিনতাইকারী বেশ কয়েকজন। আপনি একা, চারপাশে কেউ নেই। আপনাকে ঘেরাও করে রেখেছে। আপনার পকেটে দামী ফোন। এসবক্ষেত্রে ভালো হয় ফোনের মায়া ত্যাগ করা। কারণ যারা ছিনতাইকারী তাদের বেশিরভাগই নেশাগ্রস্থ।

আপনার জীবনের দাম পৃথিবীর যেকোনো দামী ফোনের চেয়েও অনেক বেশি।

-

৬. বান্ধবী বা মেয়ে বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্ট বা পার্কে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখবেন আপনার চারপাশে একদল ছেলের আবির্ভাব। এরা কিন্তু একটা গ্যাং।

দেখবেন আপনাদের নিয়ে নানান রকম আজে বাজে কথা বলছে, বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে ওরা চাইছেই আপনাকে উত্তেজিত করে একটা

ঝামেলায় বাধাতে।

এতে ওদের লাভ, সেটা

কিরকম ?

ধরাযাক আপনি মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ালেন। ওরা আপনাকে অপমান করেছে বলে আপনি পাল্টা কিছু বললেন বা করলেন। এই পেয়ে

গেলো সুযোগ। ওরা তখন বাইরে থেকে নেতা গোছের কাউকে ধরে আনবে। যিনি এসেই আপনাকে আপনার বান্ধবীর সামনেই নানান

রকমভাবে জেরা করবে। তারপর বিচারে আপনাকেই দোষী বানিয়ে দেবে।

অত:পর মিটমাট করার নাম করে আপনার কাছ থেকে জরিমানা

বাবদ টাকা পয়সা কিংবা দামী ঘড়ি, ফোন অথবা ল্যাপটপটা রেখে দেবে। তাই এসব জায়গায় কথা বাড়ানো

মানেই ঝামেলা ডেকে আনা। আর নির্জন জায়গা হলে এদের দেখা মাত্রই সরে পড়ুন।

-

৭. ভোররাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সাহস দেখিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে যাবেন না। বাসস্টপে বা ট্রেন স্টেশনেই অপেক্ষা করুন। সকালে যখন রাস্তায় যথেস্ট মানুষ থাকবে তখন বের হন।

-

৮. ট্রেন স্টেশনে বা সদরঘাটে নিজে নিজে বয়ে নিয়ে যেতে পারেন না এমন বোঝা নিয়ে এসেছেন তো মরেছেন। মাথায় করে পৌঁছেব দেয়ার নামে আপনার কাছ থেকে চাদার মতো

৪০০-৫০০ টাকা খসিয়ে ছাড়বে কুলিরা। তাই সাবধানে থাকুন,

দরদাম করে তারপর কুলি ঠিক করুন।

-

৯. নিউমার্কেট বা নীলক্ষেতের মত জায়গায় কেনা কাটা করতে গেলে খুবই সাবধান। কৌতুহলের

বশে কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলেও

এখানে আপনাকে পাল্টা দাম বলার জন্য জোরাজুরি করবে। মনে রাখবেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে লাভ নাই, এখানকার দোকানীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করে।

-

১০. বাসে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে মোবাইল, মানিব্যাগ এসব কিছু রাখা নিরাপদ না।

দেখবেন ভিড়ের মাঝে বাসে ওঠতেছেন যে কেউ টান মেরে নিয়ে যেতে পারে টের ও পাবেন না। তাই সামনের পকেটে এসব জিনিস রাখুন।

-

১১. বাণিজ্যমেলা, চিড়িয়াখানা, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা শিশুপার্কে গিয়ে দাম খুব ভালো করে না জেনে কিচ্ছু খাবেন না। দেখা যাবে একটা সিংগাড়া কিংবা আধা প্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে ৪০০-৫০০টাকার বিল ধরিয়ে

দেবে আপনাকে।

-

১২. রাতে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। ছিনত্যাইকারী ধরলেতো কথাই নেই। এমনকি ‌( কিছু বিপদগামী)পুলিশ ( সক‌লেই  নয় )ধরলেও বিপদ। যতই নির্দোষ হন, পুলিশ যদি বুঝতে না চায়

আর আপনাকে আটকে রাখার নিয়ত যদি থাকে, তাহলে আপনার কিছুই করার থাকবে না।

-

১৩. বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন, হঠাৎ একটা মাইক্রোবাস এসে থামলো আপনার সামনে। সেটা প্রাইভেট গাড়িও হতে পারে। আপনাকে চালক

বলবে সে গ্যারেজে ফেরার পথে বাড়তি কিছু ‘ট্রিপ’ নিচ্ছে। খুব অল্প ভাড়ায় আপনাকে পৌছে দেবার কথা বলবে। আপনি উঠবেন না। মেয়ে

হলেতো আরো আগে না।

-

১৪. রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ ভদ্রবেশি কেউ এসে, সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে বা বয়ষ্ক পুরুষ কিংবা মহিলা, আপনার ফোন চাইলো।

বললো, উনার কোন একটা সমস্যার কথা, এক্ষুনি একটা ফোন দিতে হবে কাউকে। আপনি বিশ্বাস করে ফোনটা দিলেন, দেখবেন পরক্ষণেই হুট

করে বাইকে উঠে হাওয়া।

-

১৫. সাথে সবসময় আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে রাখুন। বিপদে পড়লে খুব কাজে দেয়। হয়তো কোনো দূর্ঘটনা ঘটেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, তখন যারা

উদ্ধার কাজে আসবে তারা আপনার পরিবার পরিজনকে জানাতে পারবে।

-

১৬. নতুন বিবাহিত হলে এবং স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এলে কাবিননামার ছবি মোবাইলে তুলে রাখুন। কখন কোন কাজে লেগে যাবে বুঝতেও

পারবেন না।

 সবচেয়ে বড় কথা, সবসময় সতর্ক

থাকুন, চোখ কান খোলা রাখুন।

মনে রাখবেন, দোয়া পড়ে বাহির হবেন।


আপনার নিরাপত্তা আপনারই হাতে।

এই বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন।


নিজে সতর্ক ও সচেতন থাকুন এবং অন্যকেও সতর্ক ও সচেতন করুন।


 শিক্ষা ও তথ্য কেন্দ্র


( সংগৃহীত )

শরীর_ব্যবসার অজানা দিক নিয়ে লিখবো বলেছিলাম। 

 শরীর_ব্যবসার অজানা দিক নিয়ে লিখবো বলেছিলাম। 

শুরুটা আমার পছন্দের প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার ইতিহাস দিয়েই করা যাক। আজ রইলো প্রাচীন মিশরের শরীর ব্যবসার কিছু অজানা তথ্য। 


#প্রথম_পর্ব


আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগেই প্রাচীন মিশরীয়রা জন্মনিয়ন্ত্রণের বেশ কিছু পন্থা আবিষ্কার করেছিল। আসলে প্রাচীন মিশরীয় সমাজে অবাধ যৌন স্বাধীনতা উপভোগ করার জন্যে এই পন্থা আবিষ্কারে তারা একরকম বাধ্যই হয়েছিল। এই পন্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল মধু আর সোডিয়াম বাই কার্বনেটের এক বিশেষ মিশ্রণ। যৌন মিলনের আগে এই বিশেষ মিশ্রণ নারী দেহের যৌনাঙ্গের ভেতরে প্রলেপের মতন করে লাগানো হতো।


সেই প্রাচীন কালেই এলিট ক্লাসের মিশরীয় নারীরা যৌনতার বিষয়ে যথেষ্ট আধুনিক ছিলেন। শোনা যায় প্রথম যৌবনে ক্লিওপেট্রা নাকি নিজের একাকিত্ব দূর করতে এক রকম ভাইব্রেটর ব্যবহার করতেন। প্যাপিরাস পাতা দিয়ে বানানো এক ধরণের সরু ঠোঙার ভেতরে অসংখ্য জীবন্ত মৌমাছি ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। মৌমাছিদের গুঞ্জনের ফলে যে কম্পনের সৃষ্টি হয় তাকে নিজের শরীরে উপভোগ করতেন ক্লিওপেট্রা।


প্রাচীন মিশরীয় সমাজ যৌনতা প্রসঙ্গে এতটাই আধুনিক ছিল যে অন্যান্য সভ্যতাগুলোর মতন তারা নারীর কুমারিত্ব নিয়ে বিশেষ বিব্রত হতো না। প্রাচীন মিশরীয় শব্দমালায় ‘ভার্জিন’ বলে কোনও শব্দের উল্লেখই পাওয়া যায় না। বিবাহের সময়ও প্রাচীন মিশরের পুরুষরা নারীদের কুমারিত্ব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাত না। বিবাহের আগে কোনও নারী যদি স্যাক্রেড প্রস্টিটিউশনের সঙ্গে জড়িত থাকতো তবে তাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হতো। 

 প্রাচীন মিশরে বিবাহের আগে শারীরিক মিলনকে সহজভাবে দেখা হলেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বেশ ঘৃণ্য কাজের মধ্যেই পড়তো, বিশেষ করে নারীর ক্ষেত্রে। বিবাহের পর অন্য পুরুষের সঙ্গে শারীরিক মিলনের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির উদাহরণও রয়েছে প্রাচীন মিশরীয় ইতিহাসে। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও সেই শাস্তি ছিল বেশ লঘু।


প্রাচীন মিশরে ডিভোর্সের প্রথা প্রচলিত থাকলেও তা চাইলেই সম্ভব হতো না। মূলত দুটি কারণে ডিভোর্সকে মেনে নিত প্রাচীন মিশরীয় সমাজ। সন্তানহীনতা এবং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া ছিল সেই দুটি কারণ।


পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম ওরাল সেক্স’এর উদাহরণ কিন্তু প্রাচীন মিশরীয় মাইথোলজিতেই খুঁজে পাওয়া যায়। দেবতা সেথ তার ভাই দেবতা ওসাইরিসকে খুন করেছিলেন তাদের হাফ সিস্টার দেবী আইসিস’কে পাবার জন্যে। ওসাইরিসকে খুন করার পর তার শরীরকে অসংখ্য টুকরো করে নীল নদের উপত্যকায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দেবতা সেথ। দেবী আইসিস অবশ্য নিজের ভালোবাসার মানুষ ওসাইরিসকে পুনরায় বাঁচিয়ে তুলেছিলেন। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি নীল নদের বিস্তীর্ণ উপত্যকা জুড়ে ওসাইরিসের শরীরের অংশ খুঁজে একত্রিত করেছিলেন। তবে সব কিছু খুঁজে পেলেও ওসাইরিসের যৌনাঙ্গ খুঁজে পাননি তিনি। ফলে ওসাইরিসের শরীরে প্রাণের সঞ্চার সম্ভব হচ্ছিল না। তখন দেবী আইসিস নীল নদের তীরের পবিত্র মাটি দিয়ে একটি পুরুষাঙ্গ বানান। তারপর মাটির তৈরি সেই পুরুষাঙ্গকে নিজের দুই ঠোঁটের মাঝে রেখে তাতে উষ্ণতা প্রদান করেন এবং তা ওসাইরিসের শরীরে সঠিক জায়গায় স্থাপন করেন। সঙ্গে সঙ্গে দেবতা ওসাইরিস যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন এবং তার শরীরে প্রাণের সঞ্চার হয়।


প্রাচীন মিশরে যৌনাঙ্গের মতন দেখতে অ্যামুলেট পরিধান করার রীতি ছিল। সাধারণত দেবতার মন্দিরে স্যাক্রেড প্রস্টিটিউশনের সঙ্গে যুক্ত নারীরা দেবতার যৌনাঙ্গের আকৃতির অ্যামুলেট পরতেন তাদের দুই বাহুতে।


চলবে...


 তথ্য ও রচনা -©️ বিশ্বজিৎ সাহা

মাটির প্রকারভেদঃ,,,,,,,,

 👉🏻কোন মাটিতে কি ফসল ভালো হয় 🪔

মাটির প্রকারভেদঃ


মাটি প্রধানত ৩ প্রকার:-


১। এঁটেল মাটি

২। বেলে মাটি

৩। দোআঁশ মাটি


মাটির বৈশিষ্ট্য নিম্ন্রুপঃ


১। এঁটেল মাটি

ক) এটেল মাটিতে বালু অপেক্ষা পলি ও কাদার ভাগ বেশি থাকে।

খ) এ কাদা মাটি খুব নরম, দানা খুব ছোট ও মিহি।

গ) ও মাটি বেশি পানি ধরে রাখতে পারে।

ঘ) এ মাটিতে ভালভাবে বাতাস চলাচল করতে পারেনা।

ঙ) এ মাটি সব ফসলের জন্য তেমন উপকারী নয়, তবে ধান চাষ করা যায়।


২।বেলে মাটি

ক) বেলে মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকে।

খ) এ মাটির পানি ধারন ক্ষমতা কম।

গ) বেলে মাটিতে ফসল তেমন ভাল হয় না তবে তরমুজ শসা, বাঙ্গী, চীনাবাদাম, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ভাল জন্মে।


৩। দোআঁশ মাটি

ক) দোআঁশ মাটিতে বালি, পলি ও কাদা সম পরিমানে থাকে।

খ) এ মাটির পানি ধারন ক্ষমতা মাঝারী।

গ) চাষাবাদের জন্য দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। এ মাটিতে ধান, পাট, গম, পিয়াজ, মরিচ, ভূট্টা, আলু, শাকসবজি ইত্যাদি ভাল জন্মে।

,,,,,,,,,,,,

বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক সারের কাজ।


আমরা কৃষি জমিতে সবাই বিভিন্ন রকম সার ব্যবহার করি। কিন্তু কোন সার ফসলের জন্য কি কাজ করে তা আমরা অনেকে জানি আবার  জানি না, এমনকি জানার চেষ্টাও করিনা। কিন্তু ভাল ফসল উৎপাদনের জন্য এটা জানা খুবই জরুরী। নিচে কোন প্রকার রাসায়নিক সারের কি কাজ তা সংক্ষেপে তুলে ধরলাম। 


#ইউরিয়া:


ইউরিয়া সার গাছের ডালপালা, কান্ড ও পত্রের বৃদ্ধি সাধন করে। এই সার গাছপালাকে গাঢ় সবুজ রং প্রদান করে। এর নাইট্রোজেন পাতার সবুজ কণিকা বা ক্লোরফিলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং উদ্ভিদের প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে।


#টিএসপি:


টিএসপি, ডিএপি বা ফসফেট জাতীয় সারের ফসফরাস গাছের প্রথম পর্যায়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এছাড়া উদ্ভিদের জীবকোষের বিভাজনে অংশগ্রহণ করে এবং গাছের মূল বা শিকড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়া সময় মতো গাছকে ফুল ও ফলে শোভিত করে এবং ফলের পরিপক্কতা ত্বরান্বিত করে। 


#পটাশ:


এমপি সার বা পটাশ সারের পটাশিয়াম পাতার ক্লোরফিল তৈরির অবিচ্ছেদ্য অংশ যা শর্করা প্রস্তুতিতে সহায়তা এবং সেগুলির দেহাভ্যন্তরে চলাচলের পথ সুগম করে। এই সার নাইট্রোজেনের কার্যকারিতার পরিপূরক এবং পোকামাকড় ও রোগবালাই থেকে গাছকে রক্ষা করে। এই সার গাছের খরা সহিঞ্চুতা বাড়ায়, গাছকে মজবুত করে।


#জিপসাম:


জিপসাম সারের মধ্যে থাকা সালফার নাইট্রোজেন আত্মকরণে সহায়তা করে। এই সার প্রোটিন প্রস্তুতিতে অংশ গ্রহণ করে, তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সালফার ভিটামিন ও কো-এনজাইমের উপাদান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। 


#জিংক_সালফেট:


জিংক সালফেটের জিংক প্রোটিন প্রস্তুতিতে সহায়তা করে এবং হরমোনের কার্যকারিতার জন্য সহায়তা করে।


#বোরাক্স:


বোরাক্সের বোরন ফলের বিকৃতি রোধ করে এবং ফুল ফল ধারণে সাহায্য করে।


কিভাবে বুঝবেন আপনার জমির দলিল বৈধ কি না

 কিভাবে বুঝবেন আপনার জমির দলিল বৈধ কি না?


জমি কেনা বা বিক্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন, এবং এর সাথে জড়িত আইনি প্রক্রিয়াগুলি বোঝা জরুরি। জমির দলিল হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা মালিকানার অধিকার প্রমাণ করে। তাই, জমি কেনার আগে দলিলটি সঠিকভাবে যাচাই করে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


জমি কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ, এবং আইনি জটিলতা এড়াতে জমির দলিলের বৈধতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। একটি জমির দলিল বৈধ কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।


১. দলিলের মূল কপি পরীক্ষা করুন:


👉নিশ্চিত করুন যে দলিলটি সঠিকভাবে সাব-রেজিস্ট্রারের দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং সিল করা আছে।

👉দলিলের মূল কপিতে থাকা ছবি এবং মালিকের বর্তমান ছবি মিলে যাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।

👉দলিলের সকল পাতায় সঠিকভাবে স্ট্যাম্প লাগানো আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।


২. দলিলের তথ্য যাচাই করুন:


👉দলিলে উল্লেখিত মালিকের নাম, ঠিকানা, জমির পরিমাণ, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ইত্যাদি তথ্য সঠিক কিনা তা খতিয়ান, দাগ খতিয়ান, এবং সরকারি রেকর্ডের সাথে মিলিয়ে দেখুন।

👉দলিলে উল্লেখিত সাক্ষীদের নাম এবং ঠিকানা সঠিক কিনা তা যাচাই করুন।


৩. আইনি পরামর্শ নিন:


👉একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া জমির দলিলের বৈধতা নিশ্চিত করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

👉আইনজীবী দলিলের সকল দিক বিশ্লেষণ করে আপনাকে দলিলটি বৈধ কিনা তা জানাতে পারবেন।


৪. অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করুন:

👉সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে জমির দলিলের তথ্য অনলাইনে যাচাই করতে পারেন।

👉কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও জমির দলিলের বৈধতা যাচাই করার সার্ভিস প্রদান করে।


৫. সতর্কতা অবলম্বন করুন:


👉দলিলের বৈধতা সম্পর্কে কোন সন্দেহ থাকলে দলিলটি ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন।

অসৎ ব্যক্তিদের প্রতারণার শিকার হতে সাবধান থাকুন।

👉জমি কেনার আগে জমির দলিলের বৈধতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি একটি জমির দলিল বৈধ কিনা তা নির্ধারণ করতে পারবেন।


জমির দলিল বৈধ কিনা তা বোঝার জন্য কিছু প্রশ্ন ও উত্তর


১) দলিলে কি সকল প্রয়োজনীয় তথ্য আছে?


দলিলে জমির মালিকের নাম, ঠিকানা, জমির পরিমাণ, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, মৌজা, উপজেলা, জেলা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে কিনা?

,👉দলিলের সাক্ষীদের নাম, ঠিকানা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে কিনা?

👉দলিলের স্বাক্ষর ও তারিখ স্পষ্টভাবে আছে কিনা?


২) দলিলের স্ট্যাম্প ও রেজিস্ট্রেশন


👉দলিলে সরকার নির্ধারিত স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে কিনা?

👉দলিলটি সঠিকভাবে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে কিনা?

রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ও তারিখ স্পষ্টভাবে আছে কিনা?


৩) দলিলের মালিকানার ধরণ।


👉দলিলের মাধ্যমে মালিকানা কিভাবে অর্জিত হয়েছে (উত্তরাধিকার, ক্রয়, বিনিময়, দান ইত্যাদি)?

👉মালিকানার ধরণ কি (মালিকানা, দখল, ভাগচাষ ইত্যাদি)?

👉মালিকানার কোনো শর্ত বা বাধা আছে কিনা?


৪) জমির অবস্থা


👉জমি কি বাস্তবে বিদ্যমান?

👉জমির মালিকানা বিতর্কমুক্ত কিনা?

👉জমির উপর কোনো ঋণ বা বন্ধক আছে কিনা?


৫) আইনি পরামর্শ

জমির দলিল বৈধ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।


৬. দলিলের বয়স:

প্রশ্ন: কত বছরের পুরোনো দলিল বৈধ?

উত্তর: দলিলের বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। তবে, 1976 সালের আগের দলিলগুলো "পুরাতন দলিল" হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বৈধতা যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই প্রয়োজন হতে পারে।


৭. দলিলের ধরন:

প্রশ্ন: কত ধরণের জমির দলিল আছে?

উত্তর: বাংলাদেশে 4 ধরণের জমির দলিল আছে:

°দাগ নম্বর খতিয়ান

°মৌজা খতিয়ান

°সিএস খতিয়ান

°আরএস খতিয়ান


৮. দলিলের মালিকানা:


প্রশ্ন: দলিলে একাধিক মালিকের নাম থাকলে কী করবেন?

উত্তর: সকল মালিকের সম্মতি ছাড়া জমি বিক্রি করা যাবে না। মালিকানা পরিবর্তনের জন্য সকলের স্বাক্ষর এবং সম্মতি প্রয়োজন।


৯. দলিলের মিউটেশন:


প্রশ্ন: মিউটেশন কী?

উত্তর: মিউটেশন হলো জমির মালিকানা পরিবর্তনের নথিভুক্তি প্রক্রিয়া। নতুন মালিকের নাম খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মিউটেশন করা আবশ্যক।


১০. দলিলের জালিয়াতি:

প্রশ্ন: জাল দলিলের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?

উত্তর: জাল দলিলে ভুল বানান, অস্পষ্ট তথ্য, মিথ্যা স্বাক্ষর, এবং অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে।


১১. দলিল যাচাই:

প্রশ্ন: জমির দলিল যাচাই করার সর্বোত্তম উপায় কী?

উত্তর: সাব-রেজিস্ট্রার অফিস: আপনি যেখানে জমি অবস্থিত সেখানকার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিলের মূল কপি এবং খতিয়ানের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন।


ভূমি অফিস: আপনি যেখানে জমি অবস্থিত সেখানকার ভূমি অফিসে গিয়ে দলিলের তথ্য অনলাইনে যাচাই করতে পারেন।

আইনজীবীর পরামর্শ: একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া জমির দলিলের বৈধতা যাচাই করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।


বি:দ্র: তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রাখুন।


সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ২৯-০৪-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ২৯-০৪-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় আজ মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ - প্রভাতি শাখায় ক্লাশ হওয়ায় খোলা থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।


কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন  দেখতে পায় না - শহীদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। 


বিদেশে বসে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সেদেশের আইনে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। 


গতকাল আইপিএল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং চেন্নাই সুপার কিংস-এর নিজ নিজ খেলায় জয়লাভ।

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...