এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

চিলমারী উপজেলা নামকরণ 

 কুড়িগ্রাম জেলা পোস্ট ১১


চিলমারী উপজেলা


নামকরণ 

চিলমারী উপজেলার নামকরণ নিয়ে নানা জনশ্রুতি আর কিংবদন্তি ছড়িয়ে থাকায় কোনটি সঠিক তা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।  

আজ থেকে কয়েক বছর পূর্বে  চিলমারীর অধিকাংশ ভূ-খন্ডই ছিলো বালু দিয়ে ঢাকা।তখন এখানে প্রচুর চিনা বাদাম আবাদ হতো।এই কারণে নাকি এই এলাকার নামকরণ হয়েছিলো চীনামারী।এখানে মারী শব্দটির অর্থ জায়গা বা স্থান।সেই চীনামারী কালের পরিবর্তে আজকের চিলমারী শব্দে পরিণত হয়েছে।


আরো জানা জায় এককালে অত্র এলাকায় চিলা পাখির প্রচুর উপদ্রব দেখা দিয়েছিলো।ধানী বা আবাদী জমিতে দল বেঁধে চিল পাখও উড়ে আসতো। নষ্ট করতো হাজার হাজার একর আবাদী জমির ফসল।চিলের উপদ্রপে হাটে বাজারে বস্তিতে কেউ থাকতে পারতো না।সর্বত্রই চিল আতঙ্ক জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিলো।এসকল চিল পাখি ব্রক্ষ্মপুত্র উপকূলে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াতো,  বাস করতো বাঁশ ঝাড়ে,আম বাগান অথবা বটবৃক্ষের ডগায়।জনশ্রুতি রয়েছে যদি কোনো মানুষ ভুলেও একটি চিল পাখিকে হত্যা করেছে তো আর রক্ষা নেই।কোথা থেকে যেনো সঙ্গে সঙ্গে চলে আসতো হাজার হাজার চিল পাখি।ছয় সাত দিন ধরে অত্যাচার চলতো ঐ মানুষটির বাড়ীর উপর।

উপদ্রপের প্রতিকার চেয়ে তারা আবেদন করলো ব্রিটিশ সরকারের কাছে।ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত এলো চিল পাখিগুলোকে হত্যা করার।এই সিদ্ধান্তের বার্তাটি পৌঁছে গেলো কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়।তাই তারা সংবাদ পাওয়া মাত্র তীর ধনু নিয়ে দল বেঁধে ব্রিটিশ সরকারের প্রেরিত বন্দুকধারী সৈনিকের পিছু পিছু ছুটে এলো চিলমারী থানার মানুষগুলোকে চিল পাখির হাত থেকে নিস্তার দেওয়ার জন্য। দল বেঁধে মানুষের ঢল নামলো চিলমারী থানার আনাচে-কানাচে।দল বেঁধে তীর ধনু হাতে নিয়ে লোকজন যখন চিলমারীর দিকে ছুটে আসছিলো পথিমধ্যে অনেক না জানা লোক যখন দল বেঁধে এতগুলো লোককে আসতে দেখে জিজ্ঞেস করলো আপনারা এভাবে কোথায় যাচ্ছেন?  

তখন ঐ মিছিল থেকে একটি উত্তর ভেসে আসতো চলো চলো "চিল-মারী" শ্লোগানের মতো।এই শ্লোগান থেকেই নাকি চিলমারী শব্দের উৎপত্তি হয়েছে এবং এলাকার নামকরণ করা হয়েছে "চিলমারী"।


একসময় ব্রক্ষ্মপুত্র নদের উপকূল ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল এক নদী বন্দর।বড় নৌকা আর জল জাহাজ ভীরতো এই নদী বন্দরটিতে।মালামাল খালাস করা হতো আবার জাহাজে নতুন মাল ভরে পারি জমাতো অন্য বন্দরের পানে।ঐ সময় ব্রিটিশ প্রশাসন কর পরিশোধ করবার জন্য এই বন্দরটিতে একটি কাস্টম অফিস স্থাপন করেছিলেন।কাস্টম অফিসার যিনি ছিলেন তিনি কর পরিশোধ হওয়া মাত্রই মালের উপর সিল মেরে দিতেন।সেই সিল মারা দেখে অনেক অশিক্ষিত লোক তখন এই কাস্টম অফিসটিকে সিল-মারী অফিস হিসেবে চিনতো।এই সিল-মারী কালের বিবর্তনে আজকের চিলমারী নামকরণ হয়ে গেছে।লেখক মোস্তফা তোফায়েল হোসেন বলতে চেয়েছেন এই সিল মারার জায়গা থেকে চিলমারীর নামকরণ করা হয়েছে।


অবস্থান ও আয়তন

চিলমারী উপজেলার আয়তন ২২৪.৯৬ বর্গ কিলোমিটার। ২৫°২৬′ থেকে ২৫°৪০′ উত্তর অক্ষাংশ এবং  ৮৯°৩৮′ থেকে ৮৯°৪৮ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। 

উত্তরে উলিপুর উপজেলা, দক্ষিণে চর রাজিবপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলা, পশ্চিমে উলিপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। 

১৮৫০ সালে চিলমারী থানা গঠন করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। 


প্রশাসনিক অঞ্চল 

সংসদীয় এলাকা ১ টি, ইউনিয়ন ৬ টি, মৌজা ৪৮ টি, গ্রাম ১৩৩ টি। 


জনসংখ্যা 

চিলমারী উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১২২৮৪১ জন। পুরুষ ৫৯৪১৪ জন এবং মহিলা ৬৩৪২৭ জন।


যাতায়াত 

পাকা রাস্তা ২৫.৭৬ কিলোমিটার, আধা পাকা রাস্তা  ২.২৮ কিলোমিটার, কাঁচা রাস্তা ১১৩.৯ কিলোমিটার, রেলপথ ৩.৫ কিলোমিটার এবং নৌপথ ১৭ ন্যাটিক্যাল মাইল। 


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 

শিক্ষার গড় হার ৫০%, এখানে কলেজ রয়েছে ৪ টি,মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ টি,প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৬ টি,কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ টি,ভোকেশনাল স্কুল ৩ টি এবং মাদ্রাসা ৩০ টি 


ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান 

মসজিদ ১৪৫ টি,মন্দির ১০ টি।


সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান 

ক্লাব ১৫ টি,লাইব্রেরি ৪ টি,সিনেমা হল ১ টি,সংস্কৃতির সংগঠন ৪ টি,খেলার মাঠ ৬ টি।


নদ নদী ও জলাশয়

ব্রক্ষ্মপুত্র নদ, তিস্তা,উদনার বিল,চাচলার বিল,মাগুড়ার বিল,শৌলধুকরীর বিল,হরিন্যার বন্দ ও পেদি খেওয়ার বিল।


অর্থনীতি

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৭.৮৫%।আবাদি জমির পরিমাণ ১৫০০৩ একর।


অর্থকারী ফসল ধান,পাট,গম,সরিষা,আলু বাদাম তামাক, ভুট্টা, শাকসবজি ইত্যাদি। 


বিলুপ্ত প্রায় ফসল আলু,অড়হর।


প্রধান রপ্তানি দ্রব্য পাট


প্রধান ফল আম,কাঁঠাল, জাম,পেঁপে, কলা,পেয়ারা।


স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১ টি,উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১ টি,পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ৩ টি,মাতৃসদন ১ টি,ছিন্নমুকুল কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১ টি,কমিউনিটি ক্লিনিক ১২ টি।


পানীয় জলের উৎস 

চিলমারী উপজেলায় নলকূপ ৯৬.২%, ট্যাপ ০.১% এবং অন্যান্য ৩.৭%।


স্যানিটেশন 

এ উপজেলায় ৫৯.৩% পরিবার স্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন  ব্যবহার করে এবং ২৫.৯% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১৫.৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। 


বিদ্যুৎ ব্যবহার 

চিলমারী উপজেলায় সবকটি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুৎতায়ন কর্মসূচীর আওতাধীন। তবে ২৩.৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


হাট বাজার, মেলা 

হাট ৬ টি ও মেলা৪ টি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাঁচকোল হাট,রাণীগঞ্জ হাট,বালাবাড়ী হাট,জোরগাছ হাট এবং অষ্টমী মেলা,বালাবাড়ী মেলা,বারুনী মেলা,ও দুর্গাপূজার মেলা। 


শিল্প কারখানা 

স' মিল,ধানকল,ওয়েল্ডিং ইত্যাদি। 

কুটির শিল্প, স্বর্ণ শিল্প, মৃৎশিল্প,লৌহ শিল্প, পাট শিল্প,বুনন শিল্প,নকশীকাঁথা, কাঠের কাজ ও বাঁশের কাজ।


মৎস গবাদিপশু ও হাঁস মুরগির খামার

গবাদি পশুর খামার ৯ টি ও হাঁস মুরগির খামার ১৬ টি।


দর্শনীয় স্থান 

চিলমারী বন্দর, ব্রক্ষ্মপুত্র নদ, উদুনা-পুদুনা বিল,উষারাণীর বাড়ী( রাণীগঞ্জ), রাজার ঘাট(রাণীগঞ্জ), ভক্তিভিটের ঘাট(কাঁচকল),বাহারের ঘাট,আখালুর ঘাট,তেলিপাড়া ব্রিজ(হাইওয়ে),তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ( মুঘল আমল),কালী মন্দির ও শিব মন্দির। 


উল্লেখযোগ্য ঘটনা

 বিংশ শতাব্দীর শুরুতে এই উপজেলার বেশ সংখ্যক ব্যক্তি ব্রিটিশ বিরোধী স্বরাজ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন।এদের মধ্যে আবদুল মজিদ,পরেশ চন্দ্র মল্লিক,নরেনকুমার ঠাকুরের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়।পরেশচন্দ্র মল্লিক ধরা পরেন ও আন্দামানে নির্বাসিত হয়।

১৯৭১ সালের ২০ মে মুক্তিযুদ্ধে সময়  পাকসেনারা এ অঞ্চলের ৩০ জনকে ব্রক্ষ্মপুত্র নদের তীরে হত্যা করে।১৯৭১ সালের ১৭ ই অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চাঁদের নেতৃত্বে ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধার সাথে পাকবাহিনীর লড়াই হয়।এ লড়াইয়ে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং চিলমারী থানা মুক্তিযোদ্ধাদের দক্ষলে আসে।এই উপজেলার ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পাড়ে একটি বদ্ধভুমি রয়েছে।


এনজিও ব্রাক,কারিতাস,গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা। 


তথ্যসূত্র ও ছবি : গুগল, ইন্টারনেট

ইংরেজিতে Cox's Bazar বানানে কেন ('s) ব্যবহার করা হয়

 ইংরেজিতে Cox's Bazar বানানে কেন ('s) ব্যবহার করা হয় ❓


🗣 কক্সবাজারের প্রাচীন নাম ছিল ‘পালংকী’। একসময় এটি ‘প্যানোয়া’ নামে পরিচিত ছিল। প্যানোয়া শব্দের অর্থ ‘হলুদ ফুল’। অতীতে কক্সবাজারের আশপাশের এলাকা হলুদ ফুলে ঝকমক করতো। আধুনিক কক্সবাজারের নামকরণ হয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন "হিরাম কক্সের "নামানুসারে। তিনি এখানে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ‘কক্স সাহেবের বাজার’ নামে পরিচিতি পায়। সেখান থেকে ‘কক্সবাজার’ নামের উৎপত্তি। Cox's Bazar এ "s" ব্যবহার করা হয় কক্স সাহেবের বাজার এটা বোঝানোর জন্য। আরো ভেঙে বললে ধরি আপনার নাম করিম, আমি আপনার বাসায় বেড়াতে এসেছি, তখন কেউ আমায় ফোন করে জিজ্ঞেস করলো


- Where are you now?


উত্তরে আমি বললাম- At Karim's home.


এখানে "s" যুক্ত করা হয়েছে করিমের বাড়ি বা আপনার বাড়ি বোঝাতে। At Karim home বললে সেটা গ্রামাটিক্যালি শুদ্ধ হতো না। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।


১৪৬৯ সালের এই দিনে ইতালিয়ান দার্শনিক নিকোলো ম্যাকিয়াভ্যালি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন অন্যতম জনক।

 ১৪৬৯ সালের এই দিনে ইতালিয়ান দার্শনিক নিকোলো ম্যাকিয়াভ্যালি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন অন্যতম জনক।

********

মেকিয়াভেলি ইতালীয় রেনেসাঁর কূটনীতিক, দার্শনিক এবং জাতীয়তাবাদী লেখক

লিখেছেন - অনুপ সাদি

***

মেকিয়াভেলি বা নিক্কোলো দি বের্নার্দো দেই মাকিয়াভেল্লি বা নিকোলাই ম্যাকিয়াভেলী (ইংরেজি: Niccolò di Bernardo dei Machiavelli, ৩ মে, ১৪৬৯-২১ জুন, ১৫২৭) ছিলেন পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকের একজন ইতালীয় রেনেসাঁর কূটনীতিক, দার্শনিক এবং জাতীয়তাবাদী লেখক, যিনি ১৫১৩ খ্রিস্টাব্দে রচিত দ্য প্রিন্স বা রাষ্ট্রনায়ক গ্রন্থের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তাঁকে প্রায়শই আধুনিক রাজনৈতিক দর্শন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। ‘দ্য প্রিন্স’ মেকিয়াভেলির মৃত্যুর পাঁচ বৎসর পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর চিন্তাকে ভিত্তি করে মেকিয়াভেলিবাদ নামক চিন্তাধারার উৎপত্তি ঘটেছে।

সামন্তবাদী মধ্যযুগের শেষ পর্যায়ে ইউরোপে পুঁজিবাদের বিকাশের ভিত্তিতে ফ্রান্স, স্পেন ও জার্মানিতে জাতীয় রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হলেও ইতালি তখনও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সামন্ততান্ত্রিক রাজ্য ও স্বাধীন নগরে বিভক্ত। ইতালির জাতীয় ও সামাজিক স্বার্থ ইতালিতে ঐক্যবদ্ধ সুশাসিত রাষ্ট্রের গঠন অত্যাবশ্যক করে তুললেও একদিকে রোমের পোপের আপন ক্ষমতা বজায় রাখার ইচ্ছা, অপরদিকে ইতালির রাজ্যসমূহের পারস্পরিক ঈর্ষা ও দ্বন্দ্ব এবং ইউরোপের বৃহৎ রাষ্ট্রসমূহের হস্তক্ষেপে ইতালির ঐক্য বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। ইতালির এরূপ পটভূমিতে মেকিয়াভেলির রাজনৈতিক জীবন এবং তাঁর রাষ্ট্রীয় দর্শন রূপলাভ করে।

মেকিয়াভেলি ১৪৮৮ থেকে ১৫১২ সাল পর্য্যন্ত ইতালির রাজ্যগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর এ প্রচেষ্টা বাধাহীন ছিল না। সামন্ততান্ত্রিক শক্তি, যাজকতন্ত্র এবং বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তি ম্যাকিয়াভেলীর ঐক্যপ্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করে। এই সমস্ত শক্তির স্বার্থে ১৫১২ সালে ফ্লোরেন্স সরকার মেকিয়াভেলিকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে নির্বাসিত করে। এই ঘটনার পরবর্তীকালে মেকিয়াভেলি সক্রিয় রাজনীতিক জীবন হতে অবসর গ্রহণ করে রাজনীতিক রচনায় আত্মনিয়োগ করেন।

মেকিয়াভেলিবাদ প্রসঙ্গে

মেকিয়াভেলি ছিলেন উদীয়মান পুঁজিবাদী সমাজের প্রতিভূ। ইতালির সামাজিক ও জাতীয় বিকাশের জন্য জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তিনি আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। আর এই ঐক্য সাধনের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার যে বাস্তবনীতি তিনি ব্যাখ্যা করেন ‘ম্যাকিয়াভেলীর নীতি’ বলে তা প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। ‘ম্যাকিয়াভেলীর নীতি’ বলতে রাষ্ট্রের স্বার্থ সাধনের জন্য বিশেষ কোনো নৈতিকতায় আবদ্ধ না থেকে যা কিছু প্রয়োজন তাই সম্পন্ন করা বুঝায়।

আরো পড়ুন:  লেনিন ছিলেন বিশ শতকের ইউরোপের মহত্তম মানব এবং মার্কসবাদের উত্তরসূরি

মেকিয়াভেলি রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র পরিচালনা উভয়কে ধর্ম এবং নীতির বন্ধন থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। রাষ্ট্র মানুষেরেই সৃষ্টি, কোনো ঐশ্বরিক সত্তা নয়। এবং এর পরিচালনা মানুষের কল্যাণের জন্য। এক্ষেত্রে কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস বা নীতির বন্ধন রাষ্ট্রের জন্য অলঙ্ঘনীয় নয়। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে তার শাসন ব্যবস্থার চরিত্র যে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, এ সত্য ম্যাকিয়াভেলী উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি রাজতন্ত্রকে সর্বাধিক কাম্য শাসনব্যবস্থা বলেছিলেন। এর প্রধান কারণ, ইতালির অনৈক্য ও অরাজকতার অবস্থায় একচ্ছত্র রাজশক্তিকে তিনি প্রয়োজনীয় বোধ করেছিলেন। ইতালিকে শুধু ঐক্যবদ্ধ নয়, তাকে সম্প্রসারিত হতে হবে, বৃহৎ হতে হবে। কারণ ম্যাকিয়াভেলী মনে করতেন, ব্যক্তির ক্ষেত্রে যেমন, রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ও বিকাশ ও বৃদ্ধিতেই অস্তিত্ব। রাষ্ট্রকে ক্রমান্বয়ে বৃহৎ থেকে বৃহত্তর হতে হবে। অপররাজ্য গ্রাস করে হলেও তার সীমানাকে সম্প্রসারিত করতে হবে। এই বৃদ্ধিই রাষ্ট্রের জীবন। এই বৃদ্ধি যেখানে স্তব্ধ রাষ্ট্র সেখানে জড় এবং মৃতবৎ। রাষ্ট্রের বিরাট এলাকার উপর শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বজায় রাখার জন্য ম্যাকিয়াভেলী কূটকৌশল এবং শক্তিপ্রয়োগের উপর জোর দেন।

মেকিয়াভেলির মতে রাষ্ট্রে উত্তম শাসক সে যে শাসিত অর্থাৎ জনসাধারণের মধ্যে ভয় ও সমীহের ভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম। শাসক দয়ালু এবং দুর্বল হলে রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা এবং বিদ্রোহের উদ্ভব ঘটে। কাজেই শাসকের পক্ষে প্রশংসিত বা প্রিয় হওয়ার চেয়ে শ্রেয় হচ্ছে ভয়ের পাত্র হওয়া। ম্যাকিয়াভেলীর এরূপ বক্তব্যে তাঁর সমকালীন সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে।

মধ্যযুগীয় ধর্মীয় ব্যাখ্যার স্থানে ম্যাকিয়াভেলী রাষ্ট্রীয় সমস্যার বিচারে বাস্তব এবং ঐতিহাসিক পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। তাঁর রাজনীতিক সিদ্ধান্তসমূহ একদিকে যেমন তৎকালীন ইতালির ঐক্যসাধন এবং সামাজিক বিকাশে অগ্রসর শক্তির কাজ করেছে, তেমনি তাঁর নীতিহীনতা পরবর্তীকালে ইউরোপের ধনবাদী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদী এবং ফ্যাসিবাদী আগ্রাসী মনোভাব সৃষ্টিরও সহায়ক হয়েছে। মেকিয়াভেলির বিশেষ অবদান এই যে, এ পর্য্যন্ত রাষ্ট্রকে যেখানে অতিজাগতিক এবং ঐশ্বরিক সত্তা হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে সেখানে ম্যাকিয়াভেলী রাষ্ট্র যে মানুষের সৃষ্টি এবং মানুষের প্রয়োজনে তার ব্যবহার ও বিকাশ, এ সত্যকে তিনি মধ্যযুগের পটভূমিতে অগ্রগামীর সাহস নিয়ে প্রকাশ করেছেন।

আরো পড়ুন:  হেগেলবাদী রাষ্ট্রতত্ত্ব হচ্ছে হেগেলের রাষ্ট্রের স্বরূপ সম্পর্কে ভাববাদী মত

মেকিয়াভেলির জীবনকালে ইতালি রোম, ফ্লোরেন্স, মিলান, ভেনিস এবং নেপলস এরূপ পাঁচটি নগর রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল। এই রাষ্ট্রগুলির মধ্যে নিজ রাষ্ট্র ফ্লোরেন্স অর্থনীতি, রাজনীতি, শিল্প, সাহিত্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে ছিল সবচেয়ে অগ্রগামী, ইউরোপীয় নবজাগরণের অন্যতম কেন্দ্র।

শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মুকুট ( 1837 - 1857)

 শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মুকুট ( 1837 - 1857)



 1857 সালের ভারতীয় বিদ্রোহের পর, বাহাদুর শাহ জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং বার্মায় নির্বাসনে পাঠানো হয়।  দিল্লিতে, বাহাদুর শাহের দরবার থেকে গহনা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র সহ বিভিন্ন ধন-সম্পদ নিলামের মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি তুলে ধরা হয়েছিল।


 এই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে তিনটি উল্লেখযোগ্য টুকরা ছিল: সম্রাটের মুকুট এবং দুটি সিংহাসন চেয়ার।  এগুলি 38 তম রেজিমেন্ট অফ নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির (বেঙ্গল) মেজর রবার্ট টাইটলার দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, যিনি দিল্লি অবরোধে অংশ নিয়েছিলেন।


 1860 সালে ইংল্যান্ডে ফিরে আসার পর, টাইটলারকে বন্ড স্ট্রিট জুয়েলার্স দ্বারা মুকুটের জন্য £1,000 দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তার পরিবর্তে রাণী ভিক্টোরিয়াকে ধ্বংসাবশেষ উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন।


 ভারতের সেক্রেটারি অফ স্টেট স্যার চার্লস উড, প্রিন্স অ্যালবার্টের সাথে টাইটলারের ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কে চিঠি লিখেছিলেন।  তিনি মুকুটটিকে 'রত্ন দিয়ে সজ্জিত একটি সমৃদ্ধ মাথার খুলি-টুপি' হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, স্পষ্ট করে যে এটি একটি প্রচলিত মুকুট নয় বরং সম্রাটের হেডওয়্যারের একটি অংশ, যার চারপাশে পাগড়িটি আবৃত ছিল।


 ধ্বংসাবশেষের ঐতিহাসিক তাত্পর্য স্বীকার করে, প্রিন্স অ্যালবার্ট মুকুট এবং দুটি সিংহাসন চেয়ারের মালিকের প্রত্যাশা সম্পর্কে আরও বিশদ বিবরণের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।  পরবর্তীকালে, মুকুটটি রানী ভিক্টোরিয়ার পরিদর্শনের জন্য উইন্ডসরে পাঠানো হয় এবং মুকুট এবং সিংহাসন চেয়ার উভয়ই রানী ক্রয় করেন।


 500 পাউন্ডের প্রস্তাবিত মূল্য খুবই কম মনে করা সত্ত্বেও, ভারতে ফিরে আসার পর একটি অনুকূল অ্যাপয়েন্টমেন্টের আশায় টাইটলার বিক্রিতে সম্মত হন।  যাইহোক, এই ধরনের কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাস্তবায়িত হয়নি, টাইটলার এবং তার স্ত্রী হ্যারিয়েট টাইটলারকে এই লেনদেনের প্রতি অসন্তুষ্ট রেখে, হ্যারিয়েট টাইটলারের স্মৃতিকথায় উল্লেখ করা এমন একটি অনুভূতি যা কয়েক দশক ধরে স্থায়ী ছিল।


কী খেতে ভালোবাসতেন রবীন্দ্রনাথ??????

 কী খেতে ভালোবাসতেন রবীন্দ্রনাথ??????


 

রবীন্দ্রনাথের নামের সঙ্গে ‘খাদ্যরসিক’ শব্দটি অনেকেই বসান। কিন্তু আদতে রবীন্দ্রনাথ কোন খাবারটি পছন্দ করতেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না। তবে তিনি যে খাবারের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট বিবরণ পাওয়া যায়।


শোনা যায়, আম খেতে পছন্দ করতেন তিনি। তিনি নাকি জাপান যাওয়ার সময় আম সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। পুত্র রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন, একবার অসুস্থ হয়ে আমেরিকা যাওয়ার সময় মুম্বই বন্দর থেকে এক বাক্স আলফানসো আম কিনেছিলেন তাঁরা।


সে তো গেল ফল। এবার আসা যাক রান্না করা খাবারের তালিকায়। 


লেখক বনফুল সপরিবার গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে। শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের সময়ে। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন স্ত্রীর বানানো সন্দেশ। রবীন্দ্রনাথ বনফুলের হাতে সন্দেশের বাক্স দেখে বললেন, এটি কী? বনফুল বললেন, সন্দেশ। তিনি কৌটাটি খুলে রবীন্দ্রনাথের সামনে রাখলেন। রবীন্দ্রনাথও একটি সন্দেশ মুখে দিয়ে বিমোহিত হয়ে গেলেন। সন্দেশ খেতে খেতে বললেন, ‘বাংলাদেশে তো দুটি মাত্র রস-স্রষ্টা আছে। প্রথম দ্বারিক, দ্বিতীয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ যে তৃতীয় লোকের আবির্ভাব হল দেখছি।’


সেই একই সাক্ষাৎকারে রবীন্দ্রনাথ বনফুলকে বিকেলে দেখা করতে বললেন। বললেন, তোমার লেখা পড়ে মনে হয় তুমি ঝাল খেতে ভালোবাসো।

বিকেলে বড় বড় কাবলে মটরের ঘুগনি করলে কেমন হয়? ঘুগনির মাঝখানে একটা লাল লঙ্কা গোঁজা থাকবে। কী বল?’

বনফুলের সম্মতি না জানানোর কোনও কারণ ছিল না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের এই সূক্ষ্ম রসবোধ উড়িয়ে দেওয়ার নয়। বনফুলের লেখা পড়েই কি তিনি ধরে নিয়েছিলেন যে বনফুল ঝাল খেতে পছন্দ করেন? বনফুল কোথাও না কোথাও রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করেছিলেন। সেটা তাঁর নজরে পড়েছিল। সেদিনই তিনি বনফুলকে বলেছিলেন, ‘তোমার নাম হওয়া উচিত ছিলো বিছুটি। যা দু’-এক ঘা দিয়েছো, তার জ্বলুনি এখনও কমেনি।’

রবীন্দ্রসাহিত্যে কিংবা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন লেখকের স্মৃতিকথায়, জীবনীতে তাঁর খানাপিনা নিয়ে ভাবনার অনেক কিছু পাওয়া যায়। কিন্তু খুব কম জায়গায় পাওয়া যায় তাঁর খাদ্যদর্শন।

বনফুলের লেখা থেকে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ খেতে এবং খাওয়াতে ভালোবাসতেন। পুত্র রথীন্দ্রনাথও সে কথা লিখেছেন। ইন্দিরা দেবীও মোটামুটি কাছাকাছি কথাই লিখেছেন।তবে তাঁর খাদ্যদর্শনটি ধরতে পেরেছিলেন সম্ভবত রথীন্দ্রনাথই। 

রবীন্দ্রনাথের খামখেয়ালি সভার কথা মনে আছে। এর সভ্যরা প্রতি মাসে নিজেদের বাড়িতে সভার আয়োজন করতেন পালাক্রমে। সেখানে গান-কবিতা-অভিনয় ছাড়াও প্রচুর আড্ডা হত। তার সঙ্গ চলত খাওয়াদাওয়া। বেশ কয়েকবারই রবীন্দ্রনাথের পালা পড়েছিল নিজের বাড়িতে আড্ডা বসানোর।


রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘বাবার যেবার নিমন্ত্রণ করার পালা পড়ল, বাড়িতে হুলুস্থুল পড়ে গেল। মাকে ফরমাশ দিলেন খাওয়ানোর সম্পূর্ণ নতুন রকম ব্যবস্থা করতে হবে। মামুলি কিছুই থাকবে না, প্রত্যেকটি পদের বৈশিষ্ট্য থাকা চাই।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাবা মনে করতেন খাওয়াটা উপলক্ষ মাত্র, রান্না ভালো হলেই হল না— খাবার পাত্র, পরিবেশনের প্রণালী, ঘর সাজানো, সবই সুন্দর হওয়া চাই। যেখানে খাওয়ানো হবে তার পরিবেশে শিল্পীর হাতের পরিচয় থাকা চাই। মা রান্নার কথা ভাবতে লাগলেন, অন্যরা সাজানোর দিকে মন দিলেন।’

একই রকম বর্ণনা দিয়েছেন বনফুল। সেই যে বেশি করে লঙ্কা দিয়ে ঘুগনি খাওয়ার সময় যেদিন, সেদিন মূলত রবীন্দ্রনাথ আনুষ্ঠানিকভাবে বনফুলের পরিবারকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। উত্তরায়ণের একটি বারান্দাকে পর্দা দিয়ে ঘিরে খাবারের আয়োজন। অদ্ভুত সে আয়োজনের বর্ণনা দিয়েছেন বনফুল।

বনফুল জানাচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের পেছনে এমনকী তাঁর দেড় বছরের ছেলের বসার আসনের পেছনেও দাঁড়িয়েছিলেন একজন করে তত্ত্বাবধায়ক। খাবার নিশ্চয়ই ভালো ছিল। কিন্তু খাবার নিয়ে এই যে আয়োজন, সেটাই ছিল রবীন্দ্রনাথের খাদ্যদর্শন।

সংগৃহীত 

অতীতের পৃষ্ঠা থেকে শুভ জন্মদিনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৮৮৭ সালে কবির ২৬ বছর বয়সে তাঁর প্রথম জন্মদিন উৎসব পালন কবির ভাগ্নি সরলা দেবীর আত্মজীবনী ‘জীবনের ঝরাপাতা’ বইটিতে উল্লেখ করে গেছেন। আক্ষরিক অর্থে সেই থেকে পরিজনদের মধ্যে কবিগুরুর জন্মদিনের উৎসব আরম্ভ হল। এবং পরবর্তী বাইশ বছর ঠাকুরবাড়ির অন্দর মহলের আড়ালে ছিল কবির জন্মদিন। সেখানে হাতেগোনা কিছু মানুষ ছাড়া বাইরের কারও প্রবেশাধিকার ছিলো না। তবে জনসমক্ষে রবীন্দ্রজয়ন্তী প্রথম পালিত হয়েছিল ১৯১০ সালে শান্তিনিকেতনে। ‘আত্মীয়দের উৎসব’ এই আনুষ্ঠানিক নামে বিপুল উৎসাহে আশ্রমিকরা রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করেছিলেন। এরপর রবীন্দ্রজয়ন্তী প্রথমবার মহাসমারোহে পালিত হয়েছিল ১৯১২ সালে। সেই শান্তিনিকেতনেই। সে বছর পঞ্চাশ পূর্ণ করে একান্নতে পা দিয়েছিলেন কবি। রবীন্দ্রজয়ন্তীকে সফল করার জন্য বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রশান্ত মহলানবিশের নেতৃত্বে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন কলকাতার বেশ কিছু গুণীজন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন, সত্যেন দত্ত, সুকুমার রায় ও রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়। বেদ-উপনিষদ পাঠ করে এবং মালা পরিয়ে কবিকে বরণ করা হয়েছিল। তবে ১৯৩১ সালে, মহা সমারোহে উদযাপিত হয়েছিল কবির ৭০ তম জন্মজয়ন্তী। সেই রবীন্দ্রজয়ন্তীর মুখ্য উদ্যোক্তা ছিলেন অমল হোম। উদযাপন কমিটির সভাপতি ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু। কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, সুভাষচন্দ্র বসু, প্রশান্ত মহলানবিশ, সি.ভি.রমণ, রাজশেখর বসু, নজরুল ইসলাম, ইন্দিরা দেবী, কালিদাস নাগ, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রথিতযশা ব্যক্তিরা। কবির সম্বর্ধনা উপলক্ষে দুটি বই প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা আর ইংরেজিতে। ইংরেজি বইটির নামকরণ করেছিলেন রঁমা রঁলা। নাম দিয়েছিলেন,’গোল্ডেন বুক অফ টেগোর’। বইটিতে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নিবন্ধ লিখেছিলেন কবির গুণমুগ্ধ আইনস্টাইন, ন্যুট হামসুন, হ্যারল্ড ল্যাসকি’র মত বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিরা। আর ১৯৪১ সালের ৮ই মেতে অত্যন্ত অনাড়ম্বর ভাবে শান্তিনিকেতনে পালিত হয়েছিল বিশ্বকবির জীবনের শেষ রবীন্দ্রজয়ন্তী। শুভ জন্মদিনে স্মরণ করি তাঁর সেই বিখ্যাত উক্তি--- "মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক ‌ আমি তোমাদেরই লোক ; আর কিছু নয় এই হোক শেষ পরিচয় "।। তথ্যসূত্র ও ছবি নেট থেকে সংগৃহীত। সু ঘো।।

 অতীতের পৃষ্ঠা থেকে শুভ জন্মদিনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


১৮৮৭ সালে কবির ২৬ বছর বয়সে তাঁর প্রথম জন্মদিন উৎসব পালন কবির ভাগ্নি সরলা দেবীর আত্মজীবনী ‘জীবনের ঝরাপাতা’ বইটিতে উল্লেখ করে গেছেন।  

আক্ষরিক অর্থে সেই  থেকে পরিজনদের মধ্যে কবিগুরুর জন্মদিনের উৎসব আরম্ভ হল।

এবং পরবর্তী বাইশ বছর ঠাকুরবাড়ির অন্দর মহলের আড়ালে ছিল কবির জন্মদিন। সেখানে হাতেগোনা কিছু মানুষ ছাড়া বাইরের কারও প্রবেশাধিকার ছিলো না। তবে   জনসমক্ষে রবীন্দ্রজয়ন্তী প্রথম পালিত হয়েছিল ১৯১০ সালে শান্তিনিকেতনে। ‘আত্মীয়দের উৎসব’ এই আনুষ্ঠানিক নামে  বিপুল উৎসাহে আশ্রমিকরা রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করেছিলেন।

এরপর রবীন্দ্রজয়ন্তী প্রথমবার মহাসমারোহে পালিত হয়েছিল ১৯১২ সালে। সেই শান্তিনিকেতনেই। সে বছর পঞ্চাশ পূর্ণ করে একান্নতে পা দিয়েছিলেন কবি। রবীন্দ্রজয়ন্তীকে সফল করার জন্য বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রশান্ত মহলানবিশের নেতৃত্বে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন কলকাতার বেশ কিছু গুণীজন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন, সত্যেন দত্ত, সুকুমার রায় ও রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়। বেদ-উপনিষদ পাঠ করে এবং মালা পরিয়ে কবিকে বরণ করা হয়েছিল। 

তবে ১৯৩১ সালে, মহা সমারোহে উদযাপিত হয়েছিল কবির ৭০ তম জন্মজয়ন্তী।  সেই রবীন্দ্রজয়ন্তীর মুখ্য উদ্যোক্তা ছিলেন অমল হোম। উদযাপন কমিটির সভাপতি ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু। কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, সুভাষচন্দ্র বসু, প্রশান্ত মহলানবিশ, সি.ভি.রমণ, রাজশেখর বসু, নজরুল ইসলাম, ইন্দিরা দেবী, কালিদাস নাগ, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রথিতযশা ব্যক্তিরা। কবির সম্বর্ধনা উপলক্ষে দুটি বই প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা আর ইংরেজিতে। ইংরেজি বইটির নামকরণ করেছিলেন রঁমা রঁলা। নাম দিয়েছিলেন,’গোল্ডেন বুক অফ টেগোর’। বইটিতে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নিবন্ধ লিখেছিলেন কবির গুণমুগ্ধ আইনস্টাইন, ন্যুট হামসুন, হ্যারল্ড ল্যাসকি’র মত বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিরা।

আর ১৯৪১ সালের ৮ই মেতে অত্যন্ত অনাড়ম্বর ভাবে শান্তিনিকেতনে পালিত হয়েছিল বিশ্বকবির জীবনের শেষ রবীন্দ্রজয়ন্তী।

শুভ জন্মদিনে স্মরণ করি তাঁর সেই বিখ্যাত উক্তি---

"মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক

  ‌                 আমি তোমাদেরই লোক ;

    আর কিছু নয়

                 এই হোক শেষ পরিচয় "।।


তথ্যসূত্র ও ছবি নেট থেকে সংগৃহীত। সু ঘো।।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 (১) আমার এক ব্যাচমেট ছিলো, তার মা তাকে ছোটবেলা থেকে উঠতে বসতে সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট দিতো। পান থেকে চুন খসলে সেই মা তার সন্তানের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিতেন। মা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন, এরচেয়ে বড় শাস্তি একটা সন্তানের জন্য আর কিছু হতে পারে না।


ছোটবেলায় আমার সেই ব্যাচমেট এইটার কারণে পাগল পাগল হয়ে যেতো। স্কুলে যেয়ে দেখতাম, মা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে, এজন্য উদভ্রান্তের মত করে হা হুতাশ করতো। ছেলেটার দূর্বলতার সুযোগ এমনভাবে মা নিচ্ছেন, এটা দেখে আমার বেশ খারাপ লাগতো।


একটা লম্বা সময় যাওয়ার পরে আমার সেই ব্যাচমেট হুট করে আবিষ্কার করলো, কিছু হলেই তার মা যে তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে, বিষয়টা তার কাছে বেশ ভালোই লাগছে। নীরবতা এঞ্জয় করতে করতে সে রিল্যাক্স মুডে তার দৈনন্দিন কাজকর্ম করতো। তার দূর্বলতা এক্সপ্লয়েট করার চেষ্টায় রত তার মা কে সে ঘৃণা করে নিজে থেকেই কথাবার্তা বন্ধ করে দিলো। 


আমার সেই ব্যাচমেট এখন তার মায়ের সাথে কথা বলে না দীর্ঘদিন। জিজ্ঞেস করায় বলেছিলো, তার মায়ের থাকা না থাকায় তার আর কিছু যায় আসে না। 


(২) এক ছোটবোন ছিলো, বাচ্চা একটা ছেলেকে টিউশানি করাতো। বাচ্চাটাকে পড়াতে পড়াতে আমার ছোটবোন মায়ায় পড়ে গেলো, আপন ভাইয়ের মত আদর করতো। মাঝেমধ্যেই চকলেট, খেলনা এসব নিয়ে যেতো। বাচ্চাও আমার ছোটবোনকে ছাড়া কিছু বুঝতো না। বিষয়টা খেয়াল করলো সেই বাচ্চার মা। তিনি বিষয়টাকে এক্সপ্লয়েট করা শুরু করলেন। 


শুরুতে টাকাপয়সা দিতেন ভালোই, ফ্যামিলি ছিলো ধনী। এরপরে আন্টি তার সংসারের বিভিন্ন অসুবিধার অজুহাত দেখিয়ে টাকাপয়সা কমানো শুরু করলেন। যখন দেখলেন, বাচ্চাটার প্রতি মায়া থাকায় আমার ছোটবোন কম টাকায়ও পড়াচ্ছে, আন্টি টাকাপয়সা দিনকে দিন আরও কমিয়ে একেবারে বেয়ার মিনিমামে নিয়ে এলেন। এরপরে শুরু করলেন টাকা দেয়া নিয়ে টালবাহানা করা। অবস্থা এমন দাঁড়ালো, টিউশান করে যাতায়াত খরচই উঠছে না। 


আমার ছোটবোন হুট করে বুঝতে পারলো, যেই ফ্যামিলি ট্যুরে যায় ইন্দোনেশিয়ায়, তাদের সংসারের খরচ নাই, এইটা তো লজিকে মিলে না। বাচ্চাটার প্রতি তার মায়ার ব্যপারটা যে সেই মহিলা এক্সপ্লয়েট করেছে, এটা সে বুঝামাত্র টিউশানি ছেড়ে দিলো। 


সেই মহিলা আজও আমার ছোটবোনকে ফোন দেয় এসে টিউশানিটা আবার করানোর জন্য। এই দফায় টাকা দেয়া হবে শুরুর চেয়েও অনেক বেশী। আমার ছোটবোন আর কোনোদিন ওই বাসামুখো হয় নি। 


(৩) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক বন্ধু ছিলো, প্রেমিকার জন্য তার ভালোবাসা ছিলো হিমালয়সম। মেয়েটার রাগ ভাঙানোর জন্য সে একবার অরিজিনাল সুইস চকলেট কিনেছিলো নিজের খাবারের টাকা দিয়ে। সেই চকলেট কিনার পরে নিজে দুইদিন না খেয়ে ছিলো। 


সেই মেয়ে একবার তাকে ফোন দিয়ে জানালো, তাকে বিয়ের জন্য দেখতে এসেছে ব্যবসায়ীর ছেলে। সেই ছেলের অন্তরাত্মা পর্যন্ত নড়ে গেলো। সে মেয়েকে সারারাত পাগলের মত ফোন দিয়ে গেলো। হাত পা ধরে অনুরোধ করলো, মেয়েটা যেন বিয়ে ভেঙে দেয়। মেয়েটা বিয়ে ভেঙে দিলো ঠিকই, কিন্তু এই ঘটনায় মেয়েটা পেলো তীব্র মজা। 


এরপর থেকেই নাকি মেয়েকে দেখতে দুইদিন পরপর এডমিন ক্যাডার, পুলিশ ক্যাডার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, মেরিনার সবাই আসে। মেয়েটা এসব বলতো, আমার বন্ধুটা কাঁদতো, মেয়েটা মজা নিতো। 


ওয়ান ফাইন মর্নিং, আমার বন্ধু মেয়েটার এরকম এক ফোনের জবাবে নিস্পৃহ গলায় বললো, "তোমার অবশ্যই বিয়ে করে ফেলা উচিৎ। আমার জন্য এত ভালো ভালো প্রস্তাব পায়ে ঠেলা উচিৎ হচ্ছে না। বিয়ে করে সুখী হও তুমি।" 


আমার সেই বন্ধু পাশ করে চাকরি নিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে এখন সুখের সংসার করছে। তার সাবেক প্রেমিকার বিয়ে হয়নি আজও। 


ঘটনা এরকম প্রচুর আছে, আমি শুধু তিনটা বললাম। 


ভালোবাসা জিনিসটা আসলে যত্ন করার বিষয়। আদর দিয়ে, এফোর্ট দিয়ে আগলে রেখে লালন করে বড় করার বিষয়। ওটাকে এক্সপ্লয়েট করতে নাই, সুযোগ বুঝে ফায়দা তুলতে নাই। সেই দূর্বলতাকে পুঁজি করে ফায়দা তুলতে গেলে একসময় বিষয়টা হবে, সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্পের মত, আম ছালা সবই যাবে। কাজটা কখনো করবেন না। 


কারণ, যার ভালোবাসাকে আপনি দূর্বলতা ভেবে সুযোগ নিচ্ছেন, সে একদিন আপনার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে পাথরের মত শক্ত এবং পাহাড়ের মত অটল হয়ে যাবে। আপনি তার সামনে তড়পাতে তড়পাতে মারা গেলেও সে ফিরে তাকাবে না। আপনার থাকা না থাকায় তার কিছুই যাবে আসবে না। 


নিজেকে প্রশ্ন করেন, বিষয়টা কি ওর্থ ইট?


.

©️সংগৃহীত

সাধনা সেনবসু,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🎯 সাধনা সেনবসু🍁 অবিভক্ত বাংলার ভাগ্য বিড়ম্বিত এক নায়িকা। পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা সার্কেলের ঊনপঞ্চাশতম রানী, বাংলাদেশের একদা মন্ত্রী বিনীতা রায়ের বোন সাধনাকে শেষ বয়সে ভিক্ষে করতে হয়েছিলো। কোলকাতার পার্ক স্ট্রীটে আঁচলে মুখ ঢেকে তিনি যখন ইংরেজিতে "প্লিজ গিভ মি সাম মানি, পুওর লেডি স্যার, প্লিজ... " বলতে বলতে ভিক্ষে চাইছিলেন, যখন অনেক পথিকই ঔৎসুক্য নিয়ে এই বৃদ্ধার মুখ দেখে চেনার চেস্টা করছিলেন, তখন পেশাদার ভিক্ষুকেরা তাড়া করেছিলো এই নারী কে। পরদিন আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ঘটনাটি। সাধনার দাদা ব্রাহ্ম সমাজের পুরোধা ব্যাক্তিত্ব ব্রহ্মানন্দ কেশব চন্দ্র সেন, বাবা ব্যারিস্টার সরল চন্দ্র সেন। বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই নায়িকা দাদার প্রতিষ্ঠিত ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা শুরু করেন। পরে লোরেটো কনভেন্টে পড়াশোনা করেছিলেন। ছোট বোন নিলিনার বিয়ে হয়েছিলো আরেক রাজপরিবারে। ছোট বোনটি ঠুমরী গায়িকা। যিনি নয়না দেবী নামে খ্যাত। শৈশবেই মায়ের অনুপ্রেরণায় তিন বোন মিলে 'বিষানী' নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। সেখান থেকেই নাটকের সঙ্গে যোগাযোগ। পরিচয় মধু বসুর সঙ্গে। নাটকে অভিনয়ের সময় প্রণয় এবং বিয়ে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প নিয়ে নির্মিত "ডালিয়া" (১৯৩০) চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে। প্রথম ছবিতেই সবার নজর কেড়ে নেন। আগেই তিনি "আব্দুল্লাহ" নাটকে অভিনয় করেছিলেন। সেটি নিয়ে নির্মিত ছবিটি ব্যাপক ব্যাবসায়ীক সাফল্য পায়। তারপর বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে সর্বভারতীয় নায়িকা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। করেছেন একটি ইংরেজি ভাষার ছবিও। কানন দেবীর পর তিনি ছিলেন বাংলার দ্বিতীয় লাক্স তারকা। আরও কিছু সামগ্রীর মডেল হয়েছেন। সাধণার শেষ ছবি  'বিক্রমোর্বশী' মুক্তি পায় ১৯৫৪ সালে। ধ্রুপদী নাচ এবং গানে পারদর্শী এই বিখ্যাত নায়িকার শেষ জীবনটা কেন পেশাদার ভিক্ষুকের তাড়া খেয়ে কেটেছে তার কোন বিশ্বাসযোগ্য ব্যখ্যা কেউ লিখেনি। তবে, প্রায় সব লিখাতেই যা পাওয়া গেছে, এই অভিজাত পরিবারের মেয়েটি বড়ো অভিমানি এবং আত্মমর্যাদাশীল ছিলেন। নিজ আত্মীয় স্বজনের কাছে ছোট হতে চাননি। মধু বসুর মৃত্যুর পর উপার্জিত অর্থ বেহাত হয়ে যাওয়ায় এই অর্থকষ্টে পড়তে হয় তাঁকে। সাধনা সেন বসু ১৯১৪ সালের ২০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। বিনম্র শ্রদ্ধা এই ভাগ্য বিড়ম্বিত খ্যাতিমান নায়িকার প্রতি।

ছবিঃ সাধানা। সাবানের বিজ্ঞাপনে। বিনীতা, সাধনা ও নিলিনার সাংস্কৃতিক দল "বিষানী"র নৃত্য পরিবেশন।দালিয়া ছবিতে। আবদুল্লাহ ছবিতে।  


সংগৃহীত:

স্বরলিপি পদ্ধতি সম্পর্কিত আলোচনা,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 স্বরলিপি পদ্ধতি সম্পর্কিত আলোচনা 


স্বরলিপি হল সুর, তাল ও মাত্রা নির্দেশক কতগুলি চিহ্নের মাধ্যমে সঙ্গীতকে লিখিতভাবে প্রকাশ করার পদ্ধতি। ফলে সঙ্গীতের প্রচার ও সংরক্ষণ সহজ হয়েছে। 


১৮৬৮ সালে ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী দন্ডমাত্রিক নামে প্রথম স্বরলিপি উদ্ভাবন করেন। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮০ সালে কষিমাত্রিক স্বরলিপি প্রবর্তন করেন। ১৮৮৫ সালে প্রতিভা দেবী রেখামাত্রিক স্বরলিপি ব্যবহার করেন। পরে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম সংখ্যামাত্রিক এবং পরে ১৮৮৫ সালে আকারমাত্রিক স্বরলিপি উদ্ভাবন করেন। 


এছাড়াও কষিমাত্রিক, রেখামাত্রিক, দন্ডমাত্রিক এমন আরো স্বরলিপি পদ্ধতি রয়েছে তবে সেগুলো এখন তেমন কেউ ব্যবহার করেন না।


পন্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখন্ডে (১৮৬০-১৯৩৬) ভাতখন্ডে স্বরলিপি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তাছাড়া পন্ডিত বিষ্ণুদিগম্বর পলুস্কর এক নতুন স্বরলিপি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। উল্লিখিত বিভিন্ন ধরণের স্বরলিপির মধ্যে বর্তমানে আকারমাত্রিক পদ্ধতি ও ভাতখন্ডে পদ্ধতির স্বরলিপির প্রচলন বেশি। এ দুয়ের মধ্যে আবার বাংলাদেশে আকারমাত্রিক স্বরলিপিই বহুল প্রচলিত।


আকারমাত্রিক পদ্ধতিতে ষড়জ, ঋষভ  প্রভৃতি শুদ্ধ স্বরললকে লেখা হয় স র গ ম প ধ ন এভাবে, কিন্তু উচ্চারণ করা হয় সা রে গা মা পা ধা নি বলে। কোমল ঋষভ, গান্ধার প্রভৃতি স্বরকে লেখা হয় ঋ জ্ঞ দ ণ হিসেবে, কিন্তু উচ্চারণ করা হয় রে গা ধি নি বলে। কড়ি বা তীব্র স্বর লেখা হয় হ্ম এভাবে, কিন্তু উচ্চারিত হয় মা বলে। 


উদারা সপ্তকের স্বরের নিচে ‘হসন্ত’ (্) চিহ্ন দেওয়া হয়, যেমন স্ র্ গ্ ম্ প্ ধ্ ন্। মুদারা সপ্তকে কোনো চিহ্ন নেই, যেমন স র গ ম প ধ ন। তারা সপ্তকের স্বরের ওপরে ‘রেফ’ (র্) চিহ্ন দেওয়া হয়, যেমন র্স র্র র্গ র্ম র্প র্ধ র্ন। 


এক মাত্রার চিহ্ন একটি আ-কার (া), যেমন সা। এক মাত্রায় একাধিক স্বর হলে তা লেখা হয় সরা, সরগা, সরগমা ইত্যাদি এভাবে। অর্ধমাত্রার চিহ্ন ‘বিসর্গ’ (ঃ)। দুটি অর্ধমাত্রা বোঝাতে লেখা হয়  সরা। চারটি সিকিমাত্রা সরগমা। দুটি সিকিমাত্রা সরঃ। একটি অর্ধমাত্রা ও দুটি সিকিমাত্রা সঃ গরঃ। একটি দেড়মাত্রা ও একটি অর্ধমাত্রা মিলে হয় দুই মাত্রা রাঃ গঃ। স্পর্শ বা কণ্ মূল স্বরের আগে হলে সর এবং পরে হলে রগ লিখতে হয়। 


কোনো স্বরের মাথার ওপর ডবল দাঁড়ি (।। ) থাকলে সেখানে একবার থামতে হবে বা সেখান পর্যন্ত গাওয়ার পর গানের অন্য লাইন ধরতে হবে। পুনরাবৃত্তির চিহ্ন দ্বিতীয় বন্ধনী {} এবং স্বর বর্জনের চিহ্ন প্রথম বন্ধনী ( )। পুনরাবৃত্তির সময় কোনো স্বরের পরিবর্তন হলে স্বরের ওপর তৃতীয় বন্ধনী [ ] ব্যবহার করে তার ভেতর পরিবর্তিত স্বরগুলি লেখা হয়। অর্থাৎ প্রথমবার দ্বিতীয় বন্ধনীর স্বরগুলি গাওয়ার পর পুনরাবৃত্তির সময় তৃতীয় বন্ধনীর স্বরগুলি গাইতে হবে। মীড়ের চিহ্ন  ‘  ’,  যেমন গা  পা। স্বরের নিচে গানের কোনো অক্ষর থাকলে তার বাঁদিকে ‘হাইফেন’ (-) চিহ্ন এবং গানের পাশে ‘শূন্য’ (০) চিহ্ন দেওয়া হয়। স্বরের নিচে গানের হসন্তযুক্ত অক্ষর থাকলে তার বাঁদিকেও ‘হাইফেন’ (-) চিহ্ন বসে। 


তালের বিভাগকে বোঝানো হয় একটি ‘দাঁড়ি’ (। ) দিয়ে। তালের আরম্ভে এবং এক আবৃত্তি শেষ হলে দাঁড়ির বদলে একটি ‘রোমান দন্ড’ (I) চিহ্ন হিসেবে ব্যবহূত হয়। প্রত্যেক লাইন বা কলির আরম্ভে ও শেষে দুটি রোমান দন্ড (II) চিহ্ন থাকে। অর্থাৎ চিহ্নের পর স্থায়ীতে ফিরে আসতে হবে। গানের সমাপ্তিতে চারটি রোমান দন্ড (IIII) দেওয়া হয়। 


তালবিভাগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন তালচিহ্ন ১, ২, ৩ সংখ্যা দ্বারা বোঝানো হয়। ফাঁক বা খালির চিহ্ন শূন্য (০), সমের জন্য যোগ (+) চিহ্ন বা এক সংখ্যার ওপর  (১) লেখা হয়। গানের কথায় যুক্তাক্ষর থাকলে স্বরলিপিতে অনেক সময় উচ্চারণ অনুসারে ভেঙ্গে লেখা হয়।


ভাতখন্ডে পদ্ধতি  


এ পদ্ধতিতে সপ্তকের শুদ্ধ স্বরসমূহকে লেখা হয় সা রে গ ম প ধ নি হিসেবে। এতে কোনো প্রকার চিহ্ন থাকে না। কোমল স্বর রে গ ধ নি স্বরের নিচে সরল দাগ থাকে। কড়ি বা তীব্র স্বর মা-এর ওপরে থাকে খাড়া দন্ড। উদারা সপ্তকের স্বর সা র গ ম প ধ নি-র  নিচে থাকে বিন্দুচিহ্ন। মুদারা সপ্তকে কোনো চিহ্ন ব্যবহার করা হয় না, যেমন সা র গ ম প ধ নি। তারা সপ্তকের স্বর সা র গ ম প ধ নি-র ওপরে বিন্দুচিহ্ন থাকে। একমাত্রা সা-এ কোনো চিহ্ন নেই। অর্ধ মাত্রার চিহ্ন সারে-র নিচে থাকে অর্ধচন্দ্র চিহ্ন, অর্থাৎ এক মাত্রায় দুটি স্বর। সিকি মাত্রার ‘  ’, যেমন  সা রে গ মা। এক  মাত্রায়  চারটি স্বর, একটি স্বরে ১/৪ মাত্রা। ছয় ভাগের এক মাত্রা সা রে গ ম প ধ। এক মাত্রায় ছয়টি স্বর, একটি স্বরে ১/৬ মাত্রা। এক মাত্রার অন্তর্গত অনেক স্বর হতে পারে। স্বরকে দীর্ঘ করার জন্য ‘হাইফেন’ (-) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, যেমন সা - - রে। অর্থাৎ সা স্বরে তিন মাত্রা এবং রে স্বরে এক মাত্রা। গানের কথার অক্ষরকে দীর্ঘ করার জন্য ‘অবগ্রহ’ (ঝ) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, যেমন রা ঝ ঝ জা। সম-এর চিহ্ন স্বরের নিচে ‘গুণ’ (দ্ধ) চিহ্ন। ফাঁক বা খালি বোঝাতে ‘শূন্য’ (০) চিহ্ন বসে। তালির স্থানে তালের সংখ্যা  ১, ২, ৩ লেখা হয়। সম, তালি ও ফাঁক চিহ্ন স্বরের নিচে লেখা হয়। তালবিভাগ বোঝানোর জন্য ‘দাঁড়ি’ (। ) চিহ্ন ব্যবহূত হয়। মীড়ের চিহ্ন হচ্ছে ‘  ’। কণ্ বা স্পর্শ স্বরের চিহ্ন মূল স্বরের মাথার বাম পার্শ্বে ক্ষুদ্র স্বর লেখা হয়, যেমন গপ ধপ।  


Source : Banglapedia, Mobarak Hossain Khan

স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হলে কি কি সুবিধার প্রাপ্তি হয়

 😅😅 * স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হলে কি কি সুবিধার প্রাপ্তি হয় * 🌞🌞

🌞১) ঘুমের মধ্যে কোনো বাধা-বিঘ্ন আসে না যেমন... শুনছো লাইট বন্দ করো, পাখা বন্ধ করো, চাদর টা এদিকে দাও, এদিকে মুখ করো ইত্যাদি --এই টাইপের কোনো কথা হয় না ! 🌞🌞🌞 

🌞২) টাকা বাঁচে : ঝগড়া চলা কালীন সময়ে কোনো খরচ করতে হয় না ! কোনো সংসারের কাজ করতে হয় না ! 🌞🌞🌞🌞 

🌞৩) টেনশন থেকে মুক্তি.. কথা বন্ধ থাকার দরুন কিচ কিচ হয় না আর স্বামী টেনশন থেকে মুক্ত থাকে 🌞🌞🌞🌞 

🌞৪) আত্ম নির্ভরতা আসে.. যে কাজ নিজে করতে পারি সেই কাজ করি স্ত্রী র অপেক্ষা না করে! ঝগড়া চলা কালীন সময়ে সেই সব ছোট মোট কাজ যেমন জল নিজে নিয়ে খাওয়া, চান করে নিজে কাপড় নিয়ে পরা, নিজে চা তৈরী করে খাওয়া ইত্যাদি ! 🌞🌞🌞🌞 

🌞৫) অপিসের কাজে ব্যাঘাত হয় না ! ঝগড়া চলা কালীন সময়ে স্ত্রীর অযথা কল যেমন ওগো কি করছো, আজকে ভীষণ গরম,একলা একলা মন লাগছেনা... ইত্যাদি না আসার জন্য আপনি নিজের কাজ মনো যোগ সহকারে করতে পারবেন ! 🌞🌞🌞🌞 

🌞৬) তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার চিন্তা থেকে মুক্তি : বেশির ভাগ স্বামীদের অপিসে ছুটি হওয়ার সাথে সাথেই ফোন আসতে শুরু করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরবার জন্য ! ঝগড়া চলা কালীন সময়ে এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ! 🌞🌞🌞🌞 

🌞৭) আপনার মূল্য বৃদ্ধি করে : এটা মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা যে জিনিস টার অভাব হতে থাকে তার দাম বাড়ে ! যেমন বাজারে এখন পেঁয়াজ কম আর তার দাম বেশি ! আপনার উপস্থিতি কম হলে স্ত্রী আপনার মূল্য অনুভব করতে পারবে ! কিন্তু একটু সাবধান-বিনা পেঁয়াজে রান্নাও হয় 🌞🌞🌞🌞 

🌞৮) ভালোবাসা বাড়ে : স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াতে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়, কেননা দেখা গিয়েছে যে এক পশলা বৃষ্টির পর আবহাওয়া মনোরম হয়ে যায় !

এ ছাড়া আরও লাভ আছে কিন্তু সময় অভাবে লিখতে পারছিনা --- 

এই পরিপক্ষে আসুন আমরা সবাই মাসে একবার করে বাড়িতে ঝগড়া শুরু করি কিন্তু সাবধান এ রহস্য যেন প্রকাশ না হয় আর ঝগড়া আরম্ভ করার জন্য কোনো ফর্মুলা নাই তবে একটা প্রবাদ আছে --দুষ্টের ছলনার অভাব হয় না ----😂😂😜😜😂😂😄 

😂বিশেষ নির্দেশ : - 

১)ঝুঁকি এবং তার সম্ভাব্য ফলাফলের জন্য লেখক দায়ী নয় তবে যুদ্ধ বিরতির পর একটা পার্টি তো হতেই পারে । 

২)পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য লেখক দায়ী নয় ।😀😀😅😅 

৩] বীর এবং বীরাঙ্গনারা নিজের সামর্থ অনুযায়ী যুদ্ধ করবেন 😅😅 

অহেতুক নিজের ক্ষতি করবেন না 🌞🌞🌞🌞🌞

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...