এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪

আম তিনটি দেশের জাতীয় ফল এটি

১.তিনটি দেশের জাতীয় ফল এটি। পাকিস্তান, ভারত আর ফিলিপাইনের জাতীয় ফল আম। আর বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ হলো আম গাছ।

২.  আমের রয়েছে শত শত জাত। বহু বৈচিত্র্যময় জাতের আম রয়েছে অঞ্চল ভেদে এমনকি রয়েছে স্বতন্ত্র জাত। কোনটা রসালো আর মিষ্টি, কোনটা টক, কোনটা আনারসের মতো স্বাদের, আবার সুপারমার্কেট প্রায়শই এমন আমও কিনতে পাওয়া যায় যেগুলো মিশ্র স্বাদের।

৩. ম্যাঙ্গো শব্দটির উৎপত্তি ভারতে। ইংরেজিতে ম্যাঙ্গো শব্দটি সম্ভবত তামিল 'ম্যানকেই' কিংবা তামিল 'মানগা' শব্দ থেকে এসেছে। যখন পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ ভারতে বসতি স্থাপন করে, তারা নাম হিসেবে 'ম্যাংগা' শব্দটি গ্রহণ করে।

৪. সারাবিশ্বে প্রায় ৪ কোটি ৬০ মিলিয়ন টন আম উৎপন্ন হয়। প্রায় সবই টমি এটকিন্স জাতের আম। এগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়, আকারে বড় এবং রঙও সুন্দর, অনেক ধরনের ছত্রাক প্রতিরোধী আর সহজে নষ্টও হয় না এবং দীর্ঘ সময় সুপারমার্কেটে সাজিয়ে রাখা যায়। আর এইসব বৈশিষ্ট্যের জন্যেই এগুলো সারা পৃথিবীজুড়ে রপ্তানি হয়।

৫. পৃথিবী জুড়েই আম পাওয়া যায়। সুপারমার্কেটগুলো বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চল থেকেই আম সংগ্রহ করে থাকে। বছরের শুরুর দিকে আম আসে পেরু থেকে, এরপর পশ্চিম আফ্রিকা আর তারপর আসে ইসরায়েল থেকে। মিশর থেকে আম আসে বছরের তৃতীয় ভাগে আর তারপর আমের উৎস হলো ব্রাজিল।

৬. বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আম উৎপন্ন হয় ভারতে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে বছরে ১ কোটি ৮০ লাখ টন আম উৎপন্ন হয়- যা কিনা বিশ্বের মোট আম উৎপাদনের ৪০%। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্যে এক শতাংশেরও কম আম তারা যোগান দেয়, বেশিরভাগ দেশটির অভ্যন্তরীণ চাহিদাতেই লেগে যায়।

৭. ভারতে প্রথম আম জন্মে পাঁচ হাজার বছর আগে। হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে ভারত এবং মিয়ানমারে প্রথম বন্য আম উৎপন্ন হয় বলে মনে করা হয়। আর প্রথম পাঁচ হাজার বছর আগে আমের চাষ করা হয় ভারতের দক্ষিণ অংশ, মিয়ানমার এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে (বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপপুঞ্জ)।

৮. আমের বিশ্ব ভ্রমণ। আমের উদ্ভব এশিয়ায়, কিন্তু এখন পুরো পৃথিবী জুড়েই আম দেখা যায়।

বলা হয় যে, ১০ম শতাব্দীর শুরুর দিকে আফ্রিকাতে আমের চাষ হয়। ১৪শ শতাব্দীর উত্তর আফ্রিকার মহান পর্যটক ও পণ্ডিত ইবনে বতুতার লেখাতে আমের বিবরণ পাওয়া যায়, তিনি মোগাদিসুতে আম দেখেছেন বলে উল্লেখ করেন। বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে আম জন্মে ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, ব্রাজিল এমনকি আন্দিজের উষ্ণতম অঞ্চল যেমন পেরুতে। স্পেন হলো একমাত্র ইউরোপীয় দেশ যেখান আম জন্মে- মালাগার তুষারপাত মুক্ত এলাকায়।

৯. সবচেয়ে প্রাচীন আম গাছটি বেঁচে আছে শতাব্দী পর শতাব্দী জুড়ে। বয়স প্রায় ৩০০ বছর। মধ্য ভারতের পূর্ব কান্দেশে আছে গাছটি, আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে প্রাচীনতম গাছটিতে ফল দিচ্ছে!

১০. কাজু বাদাম এবং পেস্তা বাদামের সাথে আমের মিল রয়েছে। আম ড্রুপ জাতীয় ফল: এ ধরনের ফল রসালো এবং পাতলা আবরণ যুক্ত হয়, এর মধ্যভাগে থাকে শক্ত যাকে বলে এন্ডোক্রাপ যেখানে ফলটির বীজ থাকে।

জলপাই, খেজুর এবং চেরিও ড্রুপ জাতীয়। এমনকি যতই বাদাম বলা হোক- কাজু এবং পেস্তাও এই ড্রুপ জাতীয়ই, তাদের কে আমের দু:সম্পর্কের আত্মীয় বলা যায়।

১১. বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্যে আম গাছ খুব পবিত্র। বলা হয়, বুদ্ধ তাঁর সঙ্গী সন্ন্যাসীদের নিয়ে এক শান্তিময় আম বাগানে বসে ধ্যানরত ছিলেন এবং সেখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন।

এরপর থেকে বৌদ্ধদের কাছে আম গাছ পবিত্র বৃক্ষ হিসেবে বিবেচিত হয়।

১২. আম আপনার জন্যে খুবই উপকারী। এক কাপ আমে থাকে ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, যুক্তরাজ্যে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস-এর প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯ থেকে ৬৪ বছরের পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৪০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত খাদ্যতালিকায় যা ৬০ মিলিগ্রাম।

আমে রয়েছে ২০ টি ভিন্ন ভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ, যার মধ্যে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি এর একটি উপাদান ফোলাইট থাকে। আর আছে প্রচুর আঁশ।

১৩. গিনেস বুক এর বিশ্ব রেকর্ড বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমটির ওজন ৩.৪৩৫ কেজি আর দৈর্ঘ্য ৩০.৪৮ সেন্টি মিটার, পরিধি ৪৯.৫৩ সেমি এবং প্রস্থ ছিল ১৭.১৮ সেমি। ২০০৯ সালে ফিলিপাইনের সার্জিও ও মারিয়া সিকোরো বোডিওনগানের বাগানে আমটি হয়েছিল,,,


সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ০৯-০৬-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ০৯-০৬-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আজ যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।


উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকারের পাশাপাশি লায়ন সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির।


এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পূর্ববর্তী উচ্চ গতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে ফিরিয়ে নেয়া - বাজেটোত্তর আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়ায় জানালেন দলের সাধারণ সম্পাদক।


‘স্মার্ট ভূমি সেবা, স্মার্ট নাগরিক’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে চলছে ভূমি সেবা সপ্তাহ - এখন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে পহেলা জুলাই থেকে ৩০ শে জুন - জানালেন ভূমিমন্ত্রী।


দেশে আজ ভোট গ্রহণ করা হবে ১৯টি উপজেলা পরিষদের।


গাজা থেকে চার জিম্মিকে উদ্ধারের সময় এক অভিযানে দুইশোর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত।


আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার নিজ নিজ ম্যাচে জয়লাভ - আজ রাতে পরষ্পরের মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।

শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪

যশোর জেলার  ইতিহাস,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🌿♥️যশোর জেলার  ইতিহাস♥️ 🌿


১৭৮১ খ্রীষ্টাব্দের ৭ জুন। তখনও প্রকৃতি বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানায়নি। আবহাওয়া শুষ্ক, বাতাসে গুমোট ভাব। তাপমাত্রাও অসহনীয়। এই নরকযন্ত্রনা সহ্য করার ক্ষমতা সাদা চামড়ার ইউরোপীয় সাহেবদের থাকার কথা নয়। তবুও এই ধরনের পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করেই টিলম্যান হেঙ্কেল ওই দিন সকালে মুড়লীতে তাঁর অফিসের প্রথম কর্মদিবস শুরু করলেন। কলকাতায় দীর্ঘদিন থাকা হেঙ্কেল মুড়লীতে আসতে উৎসাহী হয়েছিলেন লোভনীয় বেতন এবং অন্যান্য সুবিধার জন্য। পদমর্যাদাও কম নয় একাধারে জজ ও ম্যাজিষ্ট্রেট। তাছাড়া স্বয়ং গবর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেষ্টিংস তাঁকে পছন্দ করে দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন পরীক্ষামূলকভাবে একটি নতুন প্রশাসনিক পদ্ধতি চালুর জন্য। এটি হেঙ্কেলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জও। আর তিনি নিজের জীবনের শূন্য থেকে অনেক উপরে উঠে এসেছেন চ্যালেঞ্জকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পেরেছেন বলেই। নতুন কর্মস্থলে হেঙ্কেল সহকারী হিসাবে পছন্দ করে নিয়ে এসেছেন রিচার্ড রোককে। রোকও কাজে যোগদান করেছেন একই দিন। যশোরের জেলা জজ ও ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে টিলম্যান হেঙ্কেলের কাজে যোগদানের মধ্য দিয়ে এভাবে ইতিহাসে একটি নতুন প্রশাসনিক কাঠামোর শুরু। এ কারণে এদেশের জেলা প্রশাসনের ইতিহাসে ১৭৮১ খ্রীষ্টাব্দের ৭ জুন একটি মাইলফলক।

টিলম্যান হেঙ্কেল যশোরের প্রথম জজ ও ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে তার কার্যালয় স্থাপন করেছিলেন মুড়লীতে। সেটি ছিল অতীত ইতিহাস সমৃদ্ধ।  দ্বিতীয় চন্ডগুপ্তের আমলে(খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতক) চীনা পর্যটক ফা-হিয়েন ও মহারাজ হর্ষবর্ধনের শাসনকালে (৬ষ্ঠ শতক) ইউয়ান চোয়েন ভারতবর্ষ সফর করেন। তাঁদের বর্ণনায় প্রমান মেলে মুড়লীতে ছিল বৌদ্ধ মঠ। প্রাচীন সমস্ত মানচিত্রে অবস্থান থাকা মুড়লীকে ঐতিহাসিক ক্যানিংহাম বলেছেন, সমতট রাজ্যের রাজধানী ছিল স্থানটি। পাঠান এবং মুঘল আমলেও মুড়লী বিখ্যাত ছিল দানবীর হাজী মুহসীনের স্মৃতিধন্যও। বির্তক যাই থাক না কেন ভৈরব নদীর তীরে যশোর শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে পৌরসভাভুক্ত মুড়লী সেদিন ছিল জেলা কার্যালয় স্থাপনের উপযুক্ত স্থান। হেঙ্কেল ১৭৮১ খ্রীষ্টাব্দের ৭ জুন মুড়লীতে তাঁর কার্যালয় বসান। ১৭৮৯ তে তিনি বদলী হয়ে গেলে তাঁর সহকারী রিচার্ড রোক যশোরের দ্বিতীয় জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জজের দায়িত্ব পান। ১৭৯৩ খ্রীষ্টাব্দে বদলীর আগে তিনি মুড়লীতে কার্যালয় সরিয়ে আনেন সাহেবগঞ্জ এলাকায়।বর্তমান জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের কাছে। যশোর জেলার জন্য প্রথম কালেক্টরেট ভবন তৈরি হয় ১৮০১ খ্রীষ্টাব্দে। সাহেবগঞ্জ নামটিও এখন আর উচ্চারিত হয়, এর পাশেই ছিল কসবা। এটি এখন পুরাতন কসবা নামে পরিচিত। ৮৫ বছর ওই কালেক্টরেটটি দায়িত্ব পালন করে। এরপর ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে বর্তমান কালেক্টরেট ভবনটি একতলা হিসাবে নির্মিত হয়েছিল তখনকার ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬শ’ ৭৯ টাকা ব্যয়ে। বাংলায় দীর্ঘতম এই ভবনটি ছিল সেই সময়ে দর্শনীয় এবং তা ৩৬০ দরজা’র ঘর নামে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ছিল দীর্ঘকাল। মুলকাঠামো ও সৌষ্ঠব বজায় রেখে ১৯৮২ খ্রীষ্টাব্দে এটিকে দোতলায় পরিণত করা হয়। সেটি এখনও বাংলাদেশের  অত্যতম দর্শনীয় ভবন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় যশোরের ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন। ১৮৬০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বঙ্কিম চন্দ্র যশোরে ছিলেন। তিনি অফিস করতেন যশোরের পুরাতন যে রেজিষ্ট্রি অফিস আছে সেখানে।

যশোরকে কেন নতুন জেলার কেন্দ্রস্থল হিসাবে বেছে নেয়া হয়েছিল ? প্রশ্নটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। আসলে বর্তমান যশোর শহরেকে জেলা কেন্দ্র হিসাবে মনোনীত করার পিছরে ছিল অনেক কারণ এবং এটি কিছুটা মুঘল শাসনের ধারাবারিকতার ফলও বলা যায়। যশোর যে প্রাচীন জনপদ, তার স্বীকৃতি আছে ইতিহাসে। তবে রাজা প্রতাপাদিত্য ১৫৮৪ খ্রীষ্টাব্দে ক্ষমতা গ্রহনের পর যে যশোর রাজ্যের আনুষ্ঠানিক জন্ম দেন, তার কেন্দ্র বিন্দু ছিল বা রাজধানী ছিল বর্তমান সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ‘ধুমঘাট’ নামক স্থানে। প্রতাপের মুঘল বাহিনীর হাতে পরাজয়ের পর ফৌজদাররা (মুঘল) ধুমঘাটে কিছু কাল অবস্থানের পর শাসন কেন্দ্র সরিয়ে আনেন ১৬৪৯ খ্রীষ্টাব্দে বর্তমান যাশোরের কেশবপুরের কপোতাক্ষ ভদ্রা নদীর সঙ্গম স্থলে মীর্জানগরে। বাংলা কোম্পনী শাসনে গেলে সব দিক বিবেচনায় তাঁরা বর্তমান যশোরকে ভবিষ্যত শাসন কেন্দ্র বানতে সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ কলকাতার সঙ্গে সড়ক ও নৌ পথের যোগাযোগ ব্যবস্থ থাকা। গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড কলকাতা হয়ে যশোর ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল সোনারগাঁ। যদিও তা ছিল চলাচলের অযোগ্য, তবুও সেই  পথে যাতায়াত চালু ছিল। যশোর থেকে ভৈরব হয়ে কপোতাক্ষ-মাখাভাঙ্গা-চুর্নী নদী দিয়ে ভাগীরথী (গঙ্গা) পথে কলকাতা যাওয়া যেত এবং এ নৌপথ তখন ছিল নাব্য। যশোর নামকরণ নিয়ে নানা মতভেদ আছে। এর মধ্যে একটি যুক্তি অনেকের কাছে গুরুত্বপুর্ণ। সেটি হলো চতুর্দশ শতাব্দীতে খান জাহান আলী বাগেরহাট যাবার পথে যশোরে অবস্থান করেন এবং ভৈরব নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু বানান রশি দিয়ে। ফারসী শব্দ ‘জসর’ অর্থে সেতু। জেলা কেন্দ্র স্থাপন হওয়ায় যশোরে বিট্রিশরা ছাড়াও প্রচুর ইউরোপীয় আসেন। ১৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দে ভোলানাথ চন্দ্র নামের এক পর্যটক কলকাতা থেকে যশোর ভ্রমন করেন এবং লেখেন শহরের স্থায়ী বাসিন্দারা হলেন আমলা, মোক্তার, দোকানদার ও শ্রমিকগন। শহরের মহিলাদের মধ্যে আছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাইপ্রাসের অধিবাসী। এটি অস্বাস্থ্যকর স্থানও। প্রচুর লোক ম্যালেরিয়াতে মারা যান। খ্রীষ্টান সমাধিতে শুয়ে থাকা বিশিষ্ট সরকারী কর্মকর্তাদের নামও তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। 

প্রথম জেলা হিসাবে যশোরের অধীন বর্তমান খুলনা, ফরিদপুর, পাবনা, নদীয়া ও ২৪ পরগনা জেলার অধিকাংশ এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। বার বার এর সীমানা বদল হয়েছে। ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে যশোরের মহাকুমা খুলনা পৃথক হয়ে জেলা হয়। দেশ ভাগের সময় বনগাঁ মহাকুমাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২৪ পরগনার সাথে। সর্বশেষ ১৯৮৪ খ্রীষ্টাব্দে যশোরের ৪ টি মহাকুমাই পরিণত হয় জেলায়। যশোরের বকচরের জমিদার দানবীর কালীপোদ্দার যশোর-চাকদহ(নদীয়া) সড়ক নির্মান করেন। যশোর-বনগাঁ থেকে কলকাতা অংশ, যেটি ছিল গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের ধবংসাবশেষ, সেটিও নির্মান ও সংস্কারে সহযোগিতা করেন তিনি। কলকাতায় ‘যশোর রোড’ এখনও এর সাক্ষ্য দেয়। আঠারো শতকে রেল পথ যশোরকে কলকাতার সাথে যুক্ত করে। ১৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দে যশোর থেকে একটি রেল শাখা দর্শনার সাথে যুক্ত হয়।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় যশোরে তৈরি হয় বিমানবন্দর ও বিমান ঘাঁটি। যশোরের সাংস্কৃতিক জীবনও সমৃদ্ধ। ১৮৫৪ খ্রীষ্টাব্দে এখানে স্থাপিত হয় পাবলিক লাইব্রেরি, যা ভারতবর্ষ তথা বাংলার প্রাচীন লাইব্রেরির একটি। যশোর জন্ম দিয়েছে বহুখ্যাতিমান সন্তানকে, যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। প্রজা বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, তেভাগার সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রতিটি ক্ষেত্রেও যশোর পালন করেছে অগ্রণী ভুমিকা। ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর যশোর পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছিল এবং এটি প্রথম কোন মুক্ত জেলা শহর। প্রথম স্থাপিত জেলা প্রথম মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করার মর্যাদা পাওয়া দুর্লভই বটে। বাংলাদেশের প্রথম পর্যায়ে গঠিত পৌর সভা গুলোর একটি হলো যশোর, যেটি ১৮৬৪ খ্রীষ্টাব্দের ১ আগস্ট স্থাপিত। পদাধিকার বলে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মি: ই ডব্লিউ মালোনী পৌর সভার প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। বর্তমান পৌরমেয়র হায়দার গনি খান পলাশ । টিলম্যান হেঙ্কেল দিয়ে যে জেলার জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যকাল শুরু, সেই জেলায় এখন জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন জনাব মো: আবরাউল হাছান মজুমদার । 


সাজেদ ভাই

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বাগবাজার, কলিকাতা,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া,,,

 বাগবাজার, কলিকাতা

==============

"বাগবাজার " - কলিকাতার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি বহু প্রাচীন বর্ধিষ্ণু অঞ্চল । এই অঞ্চলটি কলকাতা তথা বাংলা তথা ভারতের অন্যতম পীঠস্থান। এই অঞ্চলের সাথে বহু মনিষীর সংযোগ ঘটছে। কেউ বা এখানে জন্মেছেন, কেউ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থেকেছেন, কেউ বা জীবনের অনেকটা সময় এখানেই অতিবাহিত করেছে।  

* সারদা মা (১৮৫৩ - ১৯২০) 

* রামকৃষ্ণ (১৮৩৬ - ১৮৮৬)

* বিবেকানন্দ  (১৮৬৩ - ১৯০২) 

* নিবেদিতা (১৮৬৭  - ১৯১১) 

* গিরিশচন্দ্র ঘোষ (প্রখ্যাত নট ও নাট্যকার) (১৮৪৪ - ১৯১২) 

* বলরাম বসু – (শ্রীরামকৃষ্ণের বিশিষ্ট ভক্ত) ( ১৮৪২ - ১৮৯০)

* নন্দলাল বসু - স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী (১৮৮২ - ১৯৬৬) 

* নগেন্দ্রনাথ বসু (১৮৬৬-১৯৩৮)

 - বিশ্বকোষ নামক বাংলা জ্ঞানকোষ রচয়িতা, বাগবাজারের ৮ নং কাঁটাপুকুর বাইলেনে তাঁর নিবাস ছিল। এখানেই তিনি তাঁর গ্রন্থটি রচনা করেন। কলকাতা পৌরসংস্থা তাঁর সম্মানে এই লেনটি বিশ্বকোষ লেন নামে উৎসর্গ করেছে। সম্ভবত এটিই পৃথিবীর একমাত্র বইয়ের নামে রাস্তা।

* মোহনচাঁদ বসু ( নিধুবাবুর শিষ্য। উনিশ শতকে বাগবাজারে বাস করতেন। বাংলা আখড়াই গানে খেউড় উদ্ভাবন তিনিই করেন।)

* ভোলা ময়রা (আঠারো-উনিশ শতক )  স্বনামধন্য কবিয়াল ও বাগবাজারের  মিষ্টান্ন বিক্রেতা (রসগোল্লার উদ্ভাবক ও ) 

ইত্যাদি ইত্যাদি ।

-

ময়মনসিংহের মুগ ভালো, খুলনার ভালো কই।

ঢাকার ভালো পাতাক্ষীর, বাঁকুড়ার ভালো দই।।

কৃষ্ণনগরের ময়রা ভালো, মালদহের ভালো আম।

উলোর ভালো বাঁদর পুরুষ, মুর্শিদাবাদের জাম।।

রংপুরের শ্বশুর ভালো, রাজশাহীর জামাই।

নোয়াখালির নৌকা ভালো, চট্টগ্রামের ধাই।।

দিনাজপুরের কায়েত ভালো, হাবড়ার ভালো শুঁড়ি।

পাবনা জেলার বৈষ্ণব ভালো, ফরিদপুরের মুড়ি।।

বর্ধমানের চাষী ভালো, চব্বিশ পরগণার গোপ।

গুপ্তিপাড়ার মেয়ে ভালো, শীঘ্র-বংশলোপ।।

হুগলির ভালো কোটাল লেঠেল, বীরভূমের ভালো বোল।

ঢাকের বাদ্য থামলেই ভালো, হরি হরি বোল।।

−ভোলা ময়রা

* নবীন চন্দ্র দাস (ভোলা ময়রার নাতী) (১৮৪৫ - ১৮২৫) - স্বনামধন্য  মিষ্টান্ন বিক্রেতা (  শোনা যায় ইতি প্রথম  রসগোল্লা বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন) 

***********************************************************************

এছাড়া অসংখ্য নাম আর ইতিহাস জড়িয়ে আছে বাগবাজারের সাথে লিখে শেষ করা যাবে না।

***********************************************************************

অনেকের মতে ব্রিটিশ আমলে বাগবাজার এ বিশাল “বাগ” (বাগান/ উদ্যান) ছিল, সেই “বাগ” থেকে বাগবাজার শব্দটির উদ্ভব। তবে ভাষাতাত্ত্বিক সুকুমার সেন মনে করেন বাগবাজার শব্দটি ‘বাঁক বাজার’ শব্দের অপভ্রংশ। কারণ এই অঞ্চলের নিকটে হুগলি নদীর একটি প্রকাণ্ড বাঁক অবস্থিত।

বাগবাজার একসময় ছিল সুতানুটি গ্রামের অন্তর্ভুক্ত বর্ধিষ্ণু অঞ্চল । এই অঞ্চল ছিল বসু ও পাল পরিবারের আবাসভূমি। এই বসু পরিবারে অন্যতম ধনাঢ্য ব্যক্তিত্ব নন্দলাল বসু ব্রিটিশদের আগমনের অনেক আগেই সুতানুটিতে আসেন। ডিহি কলকাতা গ্রামে বসতি স্থাপনের পর সুতানুটি অঞ্চল ধীরে ধীরে ইংরেজ কর্তৃক পরিত্যক্ত হয়। এই অঞ্চলের উত্তরভাগে পেরিনস গার্ডেন নামে একটি প্রমোদ উদ্যান ছিল । কলকাতার আদিযুগে কোম্পানির গণ্যমান্য কর্মচারীরা একসময় সস্ত্রীক এই উদ্যানে আমোদ প্রমোদ করতে আসতেন বলে জানা যায়। ১৭৪৬ সাল নাগাদ এই উদ্যানে ইংরেজ যাতায়াত উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৭৫২ সালে ২৫,০০০ টাকায় এই উদ্যানটি বিক্রি হয়ে যায়। যাঁর নামে এই উদ্যান, সেই ক্যাপ্টেন পেরিন ছিলেন বহু জাহাজের মালিক। 

১৭৫৪ সালে কর্নেল সি এফ স্কট এই অঞ্চলের উত্তর ভাগে একটি বারুদ উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছিলেন।

কলকাতার অন্যতম ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী জমিদার ‘ব্ল্যাক জমিদার’ নামে পরিচিত গোবিন্দরাম মিত্রের পুত্র রঘু মিত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালেই বাগবাজারের বিখ্যাত বাগবাজার ঘাটটি নির্মাণ করান। ১৭৫৬ সালের ২০শে জুন তারিখে বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলা কলকাতা আক্রমণ করলে বাগবাজারের অদূরেই কোম্পানির সঙ্গে তাঁর বিখ্যাত লালদিঘির যুদ্ধটি ঘটে। এই যুদ্ধে সিরাজ জয়লাভ করেন ও কলকাতা অধিকার করে নেন।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে কলকাতার যে বিশিষ্ট মানুষটির সঙ্গে বাগবাজারের নাম ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়ে, তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ। সম্ভবত ১৮৭৭ সালে প্রথমবার তিনি বাগবাজারে এসেছিলেন। ৪০, বোসপাড়া লেনে (বর্তমান নাম মা সারদামণি সরণি) কালীনাথ বসুর পৈত্রিক বাসভবনে তিনি আসেন। এখানেই হরিনাথ চট্টোপাধ্যায় (পরবর্তীকালে স্বামী তুরীয়ানন্দ), গদাধর ঘটক (গঙ্গোপাধ্যায়) (পরবর্তীকালে স্বামী অখণ্ডানন্দ) ও বিশিষ্ট নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে।

রামকৃষ্ণ মিশনের সংঘ-জননী সারদা দেবীর কলকাতায় বসবাসের সুবিধার জন্য মিশন বাগবাজারেই তাঁর জন্য একটি সুউচ্চ তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। বর্তমানে এই বাড়িটি ‘মায়ের বাড়ি’ নামে পরিচিত এবং মিশনের বাংলা মুখপত্র উদ্বোধন পত্রিকার কার্যালয়। এই বাড়ি থেকে দূরে মারাঠা খাল ও গঙ্গার মিলনস্থলটি দেখা যায়। বাড়ি সম্মুখস্থ রাস্তাটির নাম মুখার্জ্জী লেন থেকে পরিবর্তিত করে উদ্বোধন লেন করা হয়েছে। বাড়ির দক্ষিণে কাশী মিত্র শ্মশানঘাট ও শ্মশানেশ্বর শিব মন্দির অবস্থিত।

বাগবাজার অঞ্চলের উত্তরে বাগবাজার খাল (মারহাট্টা/মারাঠা ডিচ) , পূর্বে শ্যামবাজার, দক্ষিণে শোভাবাজার ও কুমারটুলি এবং পশ্চিমে প্রবাহিত হুগলি নদী। সুপ্রাচীন চিৎপুর রোড (বর্তমান নাম রবীন্দ্র সরণি) সুদীর্ঘকাল ধরেই বাগবাজার অঞ্চলের জীবনরেখা। সাবর্ণ রায়চৌধুরী নির্মিত হালিশহর থেকে বেহালা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি তীর্থপথের (এই নিয়ে পূর্বেই অনেক আলোচনা করা হয়ে গেছে) উপরে এই রাস্তা নির্মিত হয়েছিল। ১৯০৪ সালে এই পথ ধরেই ট্রামলাইন বাগবাজার অবধি বিস্তৃত করা হয়।

বাগবাজার বাংলার বহু কৃতি সন্তানের বাসভূমি। তাছাড়া কলকাতার সংস্কৃতি আন্দোলনের সঙ্গেও এই অঞ্চলের নাম বিশেষভাবে জড়িত। ১২৫ বছরের পুরনো বাগবাজার রিডিং লাইব্রেরিটি শহরের অন্যতম প্রাচীন লাইব্রেরি। বাগবাজার সার্বজনীন সুপ্রাচীন দুর্গাপূজাও কলকাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় বারোয়ারি দুর্গাপূজা। এই পূজাটিও বাগবাজার স্ট্রিটেই অনুষ্ঠিত হয়।

রামকৃষ্ণ ভক্তসমাজ এই অঞ্চলের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করেন। বাংলা সাহিত্যেও এই অঞ্চলের বহু উল্লেখ পাওয়া যায়। বিশেষত আলালের ঘরের দুলাল গ্রন্থে প্যারীচাঁদ মিত্র বাগবাজার ঘাটে স্নানরতা মেয়েদের কথোপকথনের একটি মনোজ্ঞ বর্ণনা দিয়েছেন।

তথ্য সূত্রঃ 

বাংলা স্থাননাম, সুকুমার সেন, আনন্দ পাবলিশার্স

আলালের ঘরের দুলাল : বসুমতী কর্পোরেশন লিমিটেড (কলকাতা) সংস্করণ

ইত্যাদি, ইত্যাদি।


সংগৃহিত

Copypaste

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 




সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ০৮-০৬-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ০৮-০৬-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস পালিত - জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন - বাঙালি জাতিকে ছয় দফার মধ্যদিয়েই স্বাধীনতার দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু - বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সরকার বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি মাথায় রেখে জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো পূরণের লক্ষ্যেই বাজেট প্রণয়ন করেছে - আগামী অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বললেন শেখ হাসিনা।


নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ নয়াদিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সরকার গৃহীত ব্যবস্থায় সামনের দিনগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে - বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আশাবাদ অর্থমন্ত্রীর।


আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দ্রব্যমূল্য হ্রাসের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। 


আগামী ১৭ই জুন দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা ।


সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের নির্যাতনকারী দেশ হিসেবে ইসরাইলকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ।


যুক্তরাষ্ট্রে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন শ্রীলঙ্কার মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ।

জমির হিসাব,,,,,

 ১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট।

১ কাঠা = ৮০ বর্গগজ।

১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ।

১ কাঠা = ১৬ ছটাক।

২০ কাঠা = ১ বিঘা।

৬০.৫ কাঠা = ১ একর।

=========================

১ একর = ১০০ শতাংশ।

১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক।

১ একর = ৬০.৫ কাঠা।

=========================

১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট।

১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ।

১ বিঘা = ২০ কাঠা ।

১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ।

=========================

১ শতাংশ =৪৩৫ বর্গফুট ৬৫.৪৫ বর্গ ইঞ্চি।

১ শতাংশ = ১০০ অযুতাংশ।

৫ শতাংশ = ৩ কাঠা। = ১৩০৬.৮ বর্গফুট ।

=========================

১ অযুতাংশ = ৪ বর্গফুট ৫২.৩৬ বর্গ ইঞ্চি।

১ ছটাক = ৪৫ বর্গফুট।

=========================

চট্টগ্রামের অধিবাসীদের জন্য নিচের হিসাবটা উপযোগী।

১ কানি = ১৬,৯৯০ বর্গফুট।

১ কানি = ৩৯ শতাংশ।

১ কানি = ২৩.৫ কাঠা।

১ কানি = ২০ গন্ডা।

=========================

১ গন্ডা = ৮৭১ বর্গফুট।

১ গন্ডা = ২ শতাংশ।

১ গন্ডা = ১.২১ কাঠা।

২০ গন্ডা = ১ কানি ।

=========================

কানিঃ

কানি দুই প্রকার। যথা- (ক) কাচ্চা কানি (খ) সাই কানি

কাচ্চা কানি

: ৪০ শতকে এক বাচ্চা কানি। কাচ্চা কানি ৪০ শতকে হয় বলে একে ৪০ শতকের কানিও বলা হয়।

সাই কানিঃ

এই কানি কোথাও ১২০ শতকে ধরা হয়। আবার কোথাও কোথাও ১৬০ শতকেও ধরা হয়।

কানি গন্ডার সাথে বিভিন্ন প্রকারের পরিমাপের তুলনা

২ কানি ১০ গন্ডা (৪০ শতকের কানিতে) = ১ একর

১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট

১ কানি = ১৯৩৬ বর্গগজ

১ কানি = ১৬১৯ বর্গমিটার

১ কানি = ৪০ বর্গ লিঙ্ক

১ একর = ১০ বর্গ চেইন

১ একর = ১০০ শতক

১ একর = ৪,০৪৭ বর্গমিটার

১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক

১ একর = ৬০.৫ কাঠা

১ শতক = ১ গন্ডা বা ৪৩২.৬ বর্গফুট

বিঘা-কাঠার হিসাব

১ বিঘা = (৮০ হাত × ৮০ হাত) ৬৪০০ বর্গহাত

১ বিঘা = ২০ কাঠা

১ কাঠা = ১৬ ছটাক

১ ছটাক = ২০ গন্ডা

উপরোক্ত পরিমাপ পদ্ধতির মাধ্যমে এবার আপনি খুব সহজেই হিসাব করতে পারবেন আপনার ফ্ল্যাটটির পরিমাপ। তারপরও আপনাদের সুবিধার্থে আরও সহজভাবে তুলে ধরা হলো।

* ৩ কাঠার প্লটে মোট জমির পরিমাপ হয়= ২১৬০ বর্গফুট।

* ৫ কাঠার প্লটে মোট জমির পরিমাপ হয়= ৩৬০০ বর্গফুট।

* ১০ কাঠার প্লটে মোট জমির পরিমাপ হয়= ৭২০০ বর্গফুট।

এই হিসাব পদ্ধতির মাধ্যমে এবার আপনি ঠিক করুন আপনি আপনার জায়গায় কোন আয়তনের ফ্ল্যাট নির্মাণ করবেন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, রাজউক ইমারত নির্মাণ আইনে মোট জমির এক তৃতীয়াংশ জায়গা খালি রাখতে হয় রাস্তা, ড্রেন ও আলো বাতাসের জন্য।

আর যারা রেডি ফ্ল্যাট কিনবেন তারা এই হিসাবটি জেনে রাখুন। কেননা ফ্ল্যাট বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্ল্যাটের মোট আয়তন ছাড়াও সিড়ি, ফ্ল্যাটের সামনে, পিছনে, সাইডের খালি জায়গাও ফ্লাটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে থাকে। যেমন –

* আপনি যদি ৯০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কেনেন তাহলে আপনার মূল ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৬০০ থেকে ৬৫০ বর্গফুট।

* আর যদি ১২০০ বর্গফুট হয় সেক্ষেত্রে ৭৮০ থেকে ৮৫০ বর্গফুট হবে আপনার মূল ফ্ল্যাটের আয়তন।

* ১৬০০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে সব কিছু বাদ দিয়ে মূল ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১২০০ থেকে ১২৫০ বর্গফুট


সংগৃহীত পোস্ট।



সংসারের টুকিটাকি টিপস:,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সংসারের টুকিটাকি টিপস:


১। সাদা মোজা ধোয়ার জন্য গুড়া সাবানের সঙ্গে ১ চা চামচ সাদা সিরকা মিশিয়ে নিন। এতে মোজা যেমন সাদা হবে তেমনি মোলায়েম থাকবে।


২। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে ১ চামচ বরিক পাউডার মিশিয়ে দিন। এতে ধোয়ার পর কাপড় সব একসঙ্গে জট পাকাবে না।


৩। সাদা কাপড় থেকে হালকা কোন দাগ তোলার জন্য কাপড় ধোয়ার পর ২টি পাতি লেবুর রস আধা বালতি পানিতে মিশিয়ে ভিজা কাপড় ডুবিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর তুলে না নিংড়ে মেলে দিন।


৪। বলপেনের দাগ কাপড় থেকে তুলতে চাইলে কাচা মরিচের রস ঘষে ঘষে দাগের ওপর লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া সাবান দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন। দাগ চলে যাবে।


৫। তেল চিটচিটে তাক বা কাঠের র‍্যাক পরিষ্কার করা জন্য ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মসলিনের কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে নিন। তাকগুলো চমৎকার হয়ে উঠবে।


৬। ওয়াশ বেসিন বা সিল্ক বেসিন পরিষ্কার করার জন্য খানিকটা ফ্ল্যাট সোডা যেমন কোক-পেপসি ইত্যাদি ঢেলে দিন। ৫ মিনিট পর মুছুন। দেখুন কেমন নতুনের মত চকচকে হয়ে উঠেছে।


৭। হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া ও কালো দাগ তোলার জন্য সিরিষ কাগজে গুঁড়া সাবান লাগিয়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে নিন। পোড়া দাগ চলে যাবে।


৮। পুরোনো হাঁড়ি থেকে তেল কালির দাগ তোলার জন্য চা পাতা বা কফি দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে যাবে।


৯। মশা, মাছি ও পিপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘর মোছার পানিতে সামান্য ডিজেল মিশিয়ে নিন। উপদ্রব বন্ধ হয়ে যাবে।


১০। ঘরের মেঝে বা যেকোন মোজাইক পরিষ্কার করার জন্য পানিতে কেরোসিন মিশিয়ে নিন ও এই পানি দিয়ে ঘর মুছে নিন। এতে মেঝে চকচক করবে।


১১। রান্নাঘরের কেবিনেট বা কাউন্টার যদি মার্বেল পাথরের হয় তাহলে পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা পানিতে গুলে রাতে লাগিয়ে রাখুন। সকালে পানিতে সাদা সিরকা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সব দাগ চলে যাবে।


১২। রান্নাঘর থেকে পোড়া বা যেকোন গন্ধ দূর করতে চাইলে একটি পাত্রে কিছুটা সিরকা চুলায় চাপান। শুকান অবধি জ্বাল করুন।


১৩। বারান্দা বা জানালার গ্রিল পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর আধা কাপ কেরোসিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ তুলোয় দিয়ে লাগিয়ে নিন। এতে গ্রিলে ময়লা বা জং লাগবে না।


১৪। বাসনকোসনে কোন কিছুর কষ লাগলে টক দই বা দুধের সর দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিলে দাগ দূর হয়ে যাবে।


১৫। চিনেমাটির পাত্রে দাগ পড়লে লবণ পানি দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।


১৬। নারকেল ভাংগার পূর্বে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান দু'ভাগে ভেঙে যাবে।


১৭। সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভাল ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


১৮। পাটালী গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির মাঝে রাখুন।


১৯। আদা টাটকা রাখার জন্য বালির মাঝে রেখে দিন।


২০। ঘি-এ সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।


২১। বিস্কুট টাটকা এবং মচমচে রাখার জন্য কৌটার মাঝে এক চামুচ চিনি অথবা ব্লটিং পেপার রেখে দিন।


২২। অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


২৩। রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার সাথে ক'ফোটা লেবুর রস মিসিয়ে দিন, দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।


২৪। সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেয়াই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও রান্নার পরও রঙ ঠিক থাকে।


২৫। কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময়, যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবন দিল। তাহলে আর তেল ছিটবেনা।


২৬। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।


২৭। চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।


২৮। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।


২৯। ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন। তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।


৩০। কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।


৩১। অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করতে গিয়ে তা পাতলা হয়ে যায়। তখন দুটো আলু সেদ্ধ করে স্যুপে মিশিয়ে ফোটালে স্যুপ ঘন হবে।


৩২। আলু ও ডিম একসঙ্গে সেদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সেদ্ধ তাড়াতাড়ি হয়।

#Copy

উইলবার রাইটঃ উড়োজাহাজের অন্যতম উদ্ভাবক,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 উইলবার রাইটঃ

উড়োজাহাজের অন্যতম উদ্ভাবক

উড়োজাহাজের অন্যতম উদ্ভাবক উইলবার রাইট ১৮৬৭ সালের ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানার মিলভিলে জন্মগ্রহণ করেন।উইলবার রাইট একজন মার্কিন প্রকৌশলী। তিনি সবার কাছে পরিচিত উড়োজাহাজ তৈরির জনক হিসেবে। 


উইলবার রাইটের সহযোগিতা করেন তার ভাই অরভিল রাইট। মানুষের পাখি হয়ে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন তারা দুজন।


ভাই অরভিল রাইটের সঙ্গে মিলে তিনি ১৯০৩ সালে ১৭ ডিসেম্বর প্রথম নিয়ন্ত্রিত, শক্তিসম্পন্ন, বাতাসের চেয়ে ভারী, সুস্থিত মানুষ-বহনযোগ্য উড়োজাহাজ তৈরি করেন।


 পরবর্তী দু’বছর তারা এ যন্ত্রটিকে অনড়-পাখাবিশিষ্ট উড়োজাহাজে রূপান্তরিত করেন। তাদের আবিষ্কৃত উড়োজাহজ নিয়ন্ত্রকের সাহায্যেই প্রথম অনড়-পাখাবিশিষ্ট উড়োজাহাজ নির্মাণ সম্ভবপর হয়।


উইলবার রাইটের পিতা মিল্টন রাইট ছিলেন যাজক। ভাই অরভিলের মতো উইলবারও ছিলেন অবিবাহিত। হাই স্কুলে পড়লেও কোনো ডিপ্লোমা নেওয়া সম্ভব হয়নি উইলবারের। আইস স্ক্যাটিং খেলতে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়ে তিনি তার সামনের দুটো দাঁত হারিয়েছিলেন।


যে উড়োজাহাজ আবিষ্কারের জন্য দুই ভাইয়ের এতো খ্যাতি, প্রকৃতপক্ষে তার চিন্তাভাবনা শুরু হয় ১৮৯৬ সাল থেকে। একজন জার্মান ইঞ্জিনিয়ার অটো লিলিয়েনথাল কয়েক বছর ধরে উড়ন্ত যান নিয়ে গবেষণা করেন। তার তৈরি যান আকাশে উড়লেও তাতে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।


১৮৯৬ সালে লিলিয়েনথালের আকস্মিক মৃত্যুতে গবেষণার কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে লিলিয়েনথালের তৈরি উড়ন্ত যানের নকশা ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাইট ভ্রাতৃদ্বয় দেখলেন একদিকে যেমন তা অসম্পূর্ণ এবং ভুলক্রটিতে ভরা।


 প্রতিটি নকশার বিবরণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে তারা বুঝতে পারলেন শুধু বাতাসের গতিবেগে একে বেশিদূর চালনা করা যাবে না, প্রয়োজন শক্তিচালিত ইঞ্জিনের যা একমাত্র পারবে উড়ন্ত যানকে গতি দিতে।


 কিন্তু কেমন হবে সেই ইঞ্জিন, তার প্রকৃতি কিছুতেই নির্ধারণ করতে পারেন না দুই ভাই। চলছে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রতিবারেই সব প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পরিণত হয়। এক এক সময় হতাশায় ভেঙে পড়েন দুজনে। আবার নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েন।


 যে কোনো মূল্যেই হোক সাফল্য তাদের অর্জন করতেই হবে। কিছুদিন পর তারা বুঝতে পারলেন এভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রকৃত সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন আরও জ্ঞানার্জন ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা। আর পরিপূর্ণ জ্ঞান না হলে সম্পূর্ণ সাফল্য অর্জন অসম্ভব।


 শুরু হলো ব্যাপক অধ্যয়ন আর অধ্যবসায়। দুই ভাইয়ের মনের মধ্যে জেগে উঠেছিল স্বপ্ন, এমন যন্ত্র তৈরি করতে হবে যাতে মানুষ শূন্য আকাশে ভেসে যাবে। আর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে দুই ভাই ছোট একটি কারখানা তৈরি করলেন।


 দীর্ঘ এক বছরের সাধনায় তৈরি হলো এক বিশাল গ্লাইডার বা উড়ন্ত যান। এতদিন যে ধরনের গ্লাইডার তৈরি হতো এটি তার চেয়ে একেবারে স্বতন্ত্র।এই গ্লাইডার বাতাসে ভারসাম্য রেখে সহজেই উড়তে সক্ষম হবে। গ্লাইডারের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে দুই ভাই তৈরি করলেন দুই পাখাবিশিষ্ট ছোট বিমান। 


এ বিমানের সামনে ও পেছনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি ছোট যন্ত্র সংযোজন করা হলো। এর নাম এলিভেটর। মূলত এই এলিভেটরের সাহায্যে পাইলট কোনো বিমানকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারবে। তারা আবার শুরু করলেন তাদের কর্মতৎপরতা।


 এবার তাদের মূল লক্ষ্য কীভাবে গ্লাইডারকে শক্তিচালিত করা যায়। বিভিন্ন ইঞ্জিন দিয়ে পরীক্ষা করার পর দেখা যায় একমাত্র পেট্রোলচালিত ছোট ইঞ্জিনই বিমান চালানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।

প্রতি তিন পাউন্ড ওজনের জন্য এক অশ্বশক্তিসম্পন্ন ইঞ্জিন প্রয়োজন।


 এজন্য অরভিল এবং উইলবার রাইট ইঞ্জিন তৈরির কাজে হাত দিলেন। কয়েক মাসের চেষ্টায় তৈরি হলো বিমানে ব্যবহারের উপযুক্ত ইঞ্জিন। প্রত্যাশিত সেই দিনটি এলো, ১৭ ডিসেম্বর ১৯০৩ সাল। তারপর সব শক্তি দিয়ে উড়ন্ত যানকে ঠেলতে শুরু করলেন। অবাক হয়ে গেল তাদের ঘিরে থাকা লোকজন।


তাদের অবাক দৃষ্টির সামনে দিয়েই সামান্য দূর গিয়েই বাতাসের বুক চিরে শূন্যে উড়ে চলল প্রথম বিমান। কিছুদূর গিয়ে একবার পাক খেল। তারপর ধীরে ধীরে মাটিতে নেমে এলো। প্রায় ১২ সেকেন্ড আকাশে ভেসেছিল রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের প্রথম অ্যারোপ্লেন।


 তবে মানুষবাহী পূর্ণাঙ্গ প্লেন তৈরি করেছিলেন ১৯১০-১১ সালের দিকে। সেই বিমানে একটি পরিবার আকাশে উড়েছিল। এই বিমান যাত্রাই নতুন যুগের সূচনা করেছিল।


১৯১২ সালের ৩০ মে ওহাইয়োর ডেটনে পরলোকগমন করেন উইলবার রাইট।



ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসঃ,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসঃ


ভারতের ইতিহাস বলতে মূলত খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দ থেকে খ্রিষ্টীয় বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন -মধ্যযুগীয় ও প্রাক-আধুনিক কালের ইতিহাসকেই বোঝানো হয়। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় দশ লক্ষ(?) বছর আগে উক্ত ভূখণ্ডে প্রথম মানববসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়।


তবে ভারতের জ্ঞাত ইতিহাসের সূচনা হয় ৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ ও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে। পরবর্তী হরপ্পা যুগের সময়কাল ২৬০০ – ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সূচনায় এই ব্রোঞ্জযুগীয় সভ্যতার পতন ঘটে। সূচনা হয় লৌহ-নির্ভর বৈদিক যুগের।

এই যুগেই সমগ্র গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে মহাজনপদ নামে পরিচিত ১৬টি প্রধান প্রধান রাজ্য-তথা-জনবসতির উত্থান ঘটে। এই জনপদগুলির অধিকাংশই রাজতান্ত্রিক হলেও এদের মধ্যে "লিচ্ছিবি" ছিল গণতান্ত্রিক। এই জনপদের মধ্যে অন্যতম ছিল মগধ।

খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে মগধে জন্মগ্রহণ করেন মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধ; পরবর্তীকালে যাঁরা ভারতের জনসাধারণের মধ্যে শ্রমণ ধর্মদর্শন প্রচার করেন।


ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসঃ


দক্ষিণ এশিয়া

• প্রস্তর যুগ ৭০,০০০-৩৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব

• মেহেরগড় ৭০০০-৩৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব

• হরপ্পা ও মহেঞ্জদর সভ্যতা ৩৩০০-১৭০০খ্রীষ্টপূর্ব

• হরপ্পা সংস্কৃতি ১৭০০-১৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব

. বৈদিক যুগ ১৫০০-৫০০ খ্রীষ্টপূর্ব

. লৌহ যুগ ১২০০-৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব

• ষোড়শ মহাজনপদ ৭০০-৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব

• মগধ সাম্রাজ্য ৫৪৫খ্রীষ্টপূর্ব

• মৌর্য সাম্রাজ্য ৩২১-১৮৪খ্রীষ্টপূর্ব

• মধ্যকালীন রাজ্যসমূহ ২৫০ খ্রীষ্টপূর্ব

• চোল সাম্রাজ্য ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব

• সাতবাহন সাম্রাজ্য  ২৩০খ্রীষ্টপূর্ব

• কুষাণ সাম্রাজ্য৬০-২৪০ খ্রীষ্টাব্দ

• বাকাটক সাম্রাজ্য ২৫০-৫০০ খ্রীষ্টাব্দ

• গুপ্ত সাম্রাজ্য ২৮০-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ

• পাল সাম্রাজ্য ৭৫০-১১৭৪ খ্রীষ্টাব্দ

• রাষ্ট্রকুট ৭৫৩-৯৮২

• ইসলামের ভারত বিজয় ৭১২

• সুলতানী আমল ১২০৬-১৫৯৬

• দিল্লি সালতানাত ১২০৬-১৫২৬

• দক্ষিণাত্য সালতানাত ১৪৯০-১৫৯৬

• হৈসল সাম্রাজ্য ১০৪০-১৩৪৬

• কাকতীয় সাম্রাজ্য ১০৮৩-১৩২৩

• আহমন সাম্রাজ্য ১২২৮-১৮২৬

. বিজয়নগর সাম্রাজ্য ১৩৩৬-১৬৪৬

. মুঘল সাম্রাজ্য ১৫২৬-১৮৫৮

. মারাঠা সাম্রাজ্য ১৬৭৪-১৮১৮

. শিখ রাষ্ট্র ১৭১৬-১৮৪৯

. শিখ সাম্রাজ্য ১৭৯৯-১৮৪৯

. ব্রিটিশ ভারত ১৮৫৮–১৯৪৭

. ভারত ভাগ ১৯৪৭

. স্বাধীন ভারত ১৯৪৭–বর্তমান 

. জাতীয় ইতিহাসঃ

. বাংলাদেশ • ভুটান • ভারত

. মালদ্বীপ • নেপাল • পাকিস্তান • শ্রীলঙ্কা

. আঞ্চলিক ইতিহাস

. আসাম • বেলুচিস্তান • বঙ্গ

. হিমাচল প্রদেশ • উড়িষ্যা • পাকিস্তানের অঞ্চল সমূহ

. পাঞ্জাব • দক্ষিণ ভারত • তিব্বত

. বিশেষায়িত ইতিহাস

. টঙ্কন • রাজবংশ • অর্থনীতি ভারততত্ত্ব

• ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাস • সাহিত্য • নৌসেনা

• সেনা • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি • সময়রেখা


এই বাক্সটি: দেখুনসম্পাদনা

এই নিবন্ধটি ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পূর্ববর্তী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস-সম্পর্কিত। ১৯৪৭-পরবর্তী ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস নিবন্ধটি।

এছাড়া পাকিস্তান বা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন যথাক্রমে পাকিস্তানের ইতিহাস ও বাংলাদেশের ইতিহাস। দক্ষিণ ভারত, অবিভক্ত বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন যথাক্রমে দক্ষিণ ভারতের ইতিহাস, বাংলার ইতিহাস ও পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস।


অব্যবহিত পরবর্তীতেই একাধিক বৈদেশিক শাসনে আওতায় চলে আসে উত্তর-পূর্বের এই অঞ্চল। এগুলির মধ্যে ৫৪৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ প্রতিষ্ঠিত হখামনি পারসিক সাম্রাজ্য ৩২৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ মহামতি আলেকজান্ডারের রাজত্বকাল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া পাঞ্জাব ও গান্ধার অঞ্চলে ব্যাকট্রিয়ার প্রথম ডিমেট্রিয়াস কর্তৃক ১৮৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে স্থাপন করেন ইন্দো-গ্রিক রাজ্য। প্রথম মিনান্ডারের আমলে গ্রিকো-বৌদ্ধ যুগে এই রাজ্য বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির চরমে পৌঁছায়।


খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় ও চতুর্থ শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে উপমহাদেশে রাজনৈতিক ঐক্য সাধিত হয়। পরবর্তী দশ শতাব্দীকালে একাধিক ক্ষুদ্রকায় রাজ্য ভারতের বিভিন্ন অংশ শাসন করে। চতুর্থ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর ভারত পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয় এবং পরবর্তী প্রায় দুই শতাব্দীকাল গুপ্ত সাম্রাজ্যের যাবৎ এই ঐক্য বজায় থাকে। এই যুগটি ছিল হিন্দুধর্মসংস্কৃতির পুনর্জাগরণের কাল।

ভারতের ইতিহাসে এই যুগ "ভারতের সুবর্ণ যুগ" নামে অভিহিত । এই সময় ও পরবর্তী কয়েক শতাব্দীতে দক্ষিণ ভারতে রাজত্ব করেন চালুক্য, চোল, পল্লব ও পাণ্ড্য রাজন্যবর্গ। তাদের রাজত্বকাল দক্ষিণ ভারতের নিজস্ব এক সুবর্ণ যুগের জন্ম দেয়।

এই সময়ই ভারতীয় সভ্যতা, প্রশাসন, সংস্কৃতি তথা হিন্দু ও বৌদ্ধধর্ম এশিয়ার অধিকাংশ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ৭৭ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ কেরলের সঙ্গে রোমান সাম্রাজ্যের সামুদ্রিক বাণিজ্যের কথাও জানা যায়।


৭১২ খ্রিষ্টাব্দে আরব সেনানায়ক মুহাম্মদ বিন কাশিম দক্ষিণ পাঞ্জাবের সিন্ধ ও উত্তর পাঞ্জাবের মুলতান অধিকার করে নিলে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমান শাসনের সূচনা ঘটে।এই অভিযানের ফলে দশম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মধ্য এশিয়া থেকে সংগঠিত একাধিক অভিযানের ভিত্তিভূমি সজ্জিত করে।

এরই ফলস্রুতিতে ভারতীয় উপমহাদেশে দিল্লি সুলতানি ও মুঘল সাম্রাজ্যের মতো মুসলমানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়। মুঘল শাসনে উপমহাদেশের প্রায় সমগ্র উত্তরাঞ্চলটি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।

মুঘল শাসকরা ভারতে মধ্যপ্রাচ্যের শিল্প ও স্থাপত্যকলার প্রবর্তন ঘটান। মুঘলদের সমকালেই দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্ব পশ্চিম ভারতে বিজয়নগর সাম্রাজ্য, অহোম রাজ্য এবং বাংলা, মারাঠা সাম্রাজ্য ও একাধিক রাজপুত রাজ্যের মতো বেশ কিছু স্বাধীন রাজ্যের উন্মেষ ঘটে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ধীরে ধীরে মুঘলদের পতন শুরু হয়।

এর ফলে আফগান, বালুচ ও শিখরা উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয়।অবশেষে ব্রিটিশরা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার উপরে নিজেদের শাসন কায়েম করে।


অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ও পরবর্তী শতাব্দীতে ধীরে ধীরে ভারত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে চলে যায়। ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের নামে অভিহিত সিপাহী বিদ্রোহেরপ্রেক্ষিতে কোম্পানির শাসনে অসন্তুষ্ট ব্রিটিশ সরকার সরাসরি ভারতকে ব্রিটিশ রাজের প্রত্যক্ষ শাসনে নিয়ে আসেন।

এই সময়টি ছিল ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অবনমনের এক অধ্যায়। যদিও পাশ্চাত্য আধুনিক শিক্ষার প্রসার এই যুগেই বাংলার মাটিতে নবজাগরণের জন্ম দেয়।


বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দেশব্যাপী এক স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেয়। অবশেষে, ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ গ্রেট ব্রিটেনের অধীনতাপাশ ছিন্ন করে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভক্ত হয়।

উপমহাদেশের পূর্ব ও পশ্চিমাংশের মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি নিয়ে পাকিস্তান ও অবশিষ্ট অঞ্চল ভারতীয় প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত হয়। পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্ম-প্রতিষ্ঠা করে।


প্রাগৈতিহাসিক যুগ

বৈদিক ও বেদোত্তর যুগঃ


লিচ্ছবি রাজ্যের রাজধানী বৈশালী। লিচ্ছবি ছিল অরোয়াদের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় গণতান্ত্রিক রাজ্য।

বৈদিক সংস্কৃতে মৌখিকভাবে রচিত হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বেদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আর্য সভ্যতাই ছিল বৈদিক যুগের ভিত্তি।

বেদ বিশ্বের প্রাচীনতম প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির অন্যতম। এই গ্রন্থ মেসোপটেমিয়া ও প্রাচীন মিশরের ধর্মগ্রন্থগুলির সমসাময়িক।

বৈদিক যুগের সময়কাল ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই সময়েই হিন্দুধর্ম ও প্রাচীন ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদানের মূল ভিত্তিগুলি স্থাপিত হয়। গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সমগ্র উত্তর ভারতে বৈদিক সভ্যতাকে ছড়িয়ে দেয় আর্যরা।

ভারতীয় উপমহাদেশে ইন্দো-আর্যভাষী উপজাতিগুলির অনুপ্রবেশের ফলে প্রাগৈতিহাসিক পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটে এবং বিদ্যমান স্থানীয় সভ্যতার উপরেই স্থাপিত হয় বৈদিক সভ্যতা। স্থানীয় বাসিন্দারা আর্যদের কাছে দস্যু নামে পরিচিত হয়।


আদি বৈদিক সমাজ ছিল গ্রামকেন্দ্রিক। ফলত এই যুগে পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতার নগরায়ণের ধারণাটি পরিত্যক্ত হয়।ঋগ্বেদোত্তর যুগে, আর্য সমাজ অধিকতর কৃষিভিত্তিক হয়ে পড়ে এবং এই সময়েই সমাজে বর্ণাশ্রম প্রথার উদ্ভব ঘটে।

মনে করা হয়, হিন্দুদের আদি ধর্মগ্রন্থ বেদ ছাড়াও সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারতের আদি সূত্রগুলি এই যুগেই নিহিত ছিল।

বিভিন্ন পুরাতাত্ত্বিক খননের ফলে প্রাপ্ত মৃৎপাত্রগুলিতে আদি ইন্দো-আর্য সভ্যতার কিছু নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া যায়। 

প্রাচীন ভারতের কুরু রাজ্যে,  কৃষ্ণ ও রক্ত ধাতব ও চিত্রিত ধূসর ধাতব সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে উত্তর-পশ্চিম ভারতে লৌহ যুগের সুচনা হয়।


এই সময়ে রচিত অথর্ববেদে প্রথম লৌহের উল্লেখ মেলে। উক্ত গ্রন্থে লৌহকে "শ্যাম অয়স" বা কালো ধাতু বলে চিহ্নিত করা হয়। চিত্রিত ধূসর ধাতব সভ্যতা উত্তর ভারতে ১১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

বৈদিক যুগেই ভারতে বৈশালীর মতো একাধিক গণরাজ্য স্থাপিত হয়। এগুলি খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী এমনকি কোনো কোনো অঞ্চলে চতুর্থ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্তও স্থায়ী হয়েছিল।


এই যুগের পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে রাজ্যস্থাপন ও রাজ্যবিস্তারের সংগ্রাম শুরু হয়। এই রাজ্যগুলিই পরিচিত হয় মহাজনপদ নামে।

( সংগৃহীত )

আকিনজি" বর্তমান আধুনিক তুরস্কের সেনাবাহিনীর পরীক্ষিত সবচেয়ে শক্তিশালী মানববিহীন আকাশযান (ড্রোন)

 "আকিনজি" বর্তমান আধুনিক তুরস্কের সেনাবাহিনীর পরীক্ষিত সবচেয়ে শক্তিশালী মানববিহীন আকাশযান (ড্রোন)। আকিনজি এখন পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র পাইলটবিহীন আকাশযান যা আকাশ থেকে আকাশে, আকাশ থেকে ভূমিতে এবং আকাশ থেকে সাগরে (এন্টি শীপ মিসাইল বহনকারী ড্রোন) হামলা চালাতে সক্ষম। বিভিন্ন যুদ্ধে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন পাইলটবিহীন এই আকাশযান। তুরস্কের টেক জায়ান্ট বায়কার টেকনোলজিস তৈরি করছে শক্তিশালী এই টেকটিক্যাল পাইলটবিহীন আকাশযান (ড্রোন)।  কিন্তু কথা হচ্ছে কেন শক্তিশালী ড্রোনের নাম আকিনজি হলো? কে বা কারা ছিল এই আকিনজি? কি ছিল তার বা তাদের পরিচয়? 


আমরা আজকে আকিনজি সম্পর্কে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানতে চেষ্টা করব।


আকিনজি একটি তুর্কি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে - আক্রমণকারী। আকিনজি বাহিনী ছিলো উসমানী খেলাফতের এক নির্ভীক বাহিনীর নাম। তুর্কি সাহিত্যে যাদের বীরত্ব আর সাহসিকতা নিয়ে লেখা হয়েছে অসংখ্য কবিতা আর গল্প। বিভিন্ন তুর্কি গোষ্ঠির সমন্বয়ে গঠিত এই বাহিনী উসমানীয় সেনাবাহিনীর নিয়মিত অংশ ছিলো না। এরা ছিল উসমানীয় সেনাবাহিনীর অনিয়মিত লাইট ক্যাভালরি বা ঘোড় সওয়ারী যোদ্ধা। হালকা অস্ত্রে সজ্জিত এই অশ্বারোহী বাহিনীর ছিলো ক্রুসেডার টেমপ্লার আর নাইটদের জন্য যমদূতের মতো। উসমানীয় খিলাফতে কখনোই যোদ্ধার অভাব ছিল না, সামর্থ্যবানরা সবসময় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে আমীরের নেতৃত্বে যুদ্ধ করার সুযোগ খুঁজতো। তাই এই বিপুল সংখ্যক মানুষগুলোকে রাষ্ট্রের উপকারের কাজে লাগাতে গঠন করা হয় আকিনজি বাহিনী।


আকিনজি বাহিনী উসমানীয় খিলাফতের নিয়মিত বাহিনী ছিল না। তারা ছিল উসমানীয় খিলাফতের "সীমান্তের আক্রমণকারী" বাহিনী। এরা শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করে গণিমতের অংশ লাভ করতো। আকিনজি বাহিনীকে তুলনা করা হতো "গমভর্তি মাঠে কাস্তের মত"। অর্থাৎ যুদ্ধের ময়দানে এরা এতটাই দুর্ধর্ষ হয়ে যেত যে "শত্রুরা এদের ভয়ে মাঠভর্তি গম হয়ে যেত, আর আকিনজি বাহিনী হয় যেত সেই গম কাটার ধারালো কাস্তে"। 


আকিনজি বাহিনী মিলি এট্যাক (হাড্ডাহাড্ডি লড়াই) ও তীরন্দাজীতে সিদ্ধহস্ত ছিল। যুদ্ধের ময়দানে যখন শত্রুরা এদের পিছু করত, তখন এরা চলন্ত ঘোড়া থেকে পিছন ফিরে তীর ছুঁড়তে পারতো। যুদ্ধক্ষেত্রে আকিনজি বাহিনী লাইট ক্যাভালরি হলেও প্রায়ই দেখা যেত তারা ক্ষিপ্রতায় ও ধ্বংসাত্মক আক্রমণে হেভি ক্যাভালরিকে ছাড়িয়ে গেছে। অনেক যুদ্ধে হেভি ক্যাভালরিকে আক্রমণে আসতেই হতো না। 


আকিনজি বাহিনীর ঘোড়াগুলোকে আলাদা করে ট্রেনিং ও ব্রিডিং করানো হতো। যার ফলে তাদের ঘোড়াগুলো ছিল অন্যান্য ঘোড়া থেকে আলাদা। আকিনজিদের ঘোড়াগুলোর ক্ষিপ্রতা হতো অনেক বেশি। আকিনজিরা যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতো কুড়াল, বল্লম, ঢাল, তলোয়ার, তীর ও ধনুক। এত অস্ত্র ব্যবহার করার কারণ হলো আকিনজিরা যুদ্ধক্ষেত্রে সবার আগে মিলি এট্যাক (হাড্ডাহাড্ডি লড়াই) করতো। উসমানীয় সাম্রাজ্যে কোন কোন যুদ্ধে হেভি ক্যাভালরি প্রয়োগই হতো না, কারণ আকিনজিরাই যথেষ্ট ছিল। উদাহরণ স্বরূপ ১৪৯৩ সালের "কারবাভার যুদ্ধ" এর কথা উল্লেখ করা যায়। 


" কারবাভার যুদ্ধ -

উসমানীয় খলিফা দ্বিতীয় বায়েজিদের আমলে ৯ সেপ্টেম্বর ১৪৯৩ সালে ক্রোয়েশিয়া সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনীর সাথে এই যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো যখন ক্রোয়েশিয়া স্বেচ্ছায় হাঙ্গেরি সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত হয়। প্রাচীন ইতিহাসবিদরা এই যুদ্ধকে ক্রোয়েশীয় রাজ্যের প্রথম বিলুপ্তি হিসাবে বর্ণনা করেছেন। কারভাবার এই মাঠটি ক্রোয়েশিয়ার লিকা অঞ্চলের একটি অংশ। উসমানী বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন বসনিয়ার সানজাক-বে (স্থানীয় গভর্নর ও সেনানায়ক) হাদিম ইয়াকুব পাশা। এবং ক্রোয়েশিয়ান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার উচ্চপদস্থ সামরিক প্রশাসক এমেরিক ডেরেনচিন- যিনি রাজা ভ্লাদিসলাস দ্বিতীয় জাগিলোর অধীনে ছিলেন। ১৪৯৩ সালের গ্রীষ্মের শুরুতে, উসমানীয় সেনাবাহিনী ক্রোয়েশিয়ার মধ্য দিয়ে কার্নিওলা এবং স্টাইরিয়াতে অভিযান চালায়। উসমানীয় সেনাবাহিনী গোরিকার সংকীর্ণ পর্বতের গিরিপথ দিয়ে কারভাবার মাঠে প্রবেশ করেছিল। সেনাপতিদের সাথে একটি বৈঠকের পর, হাদিম ইয়াকুব পাশা প্রায় ৩ হাজার আকিনজি অশ্বারোহী সৈন্যকে কারভাবার মাঠের কাছে একটি জঙ্গলে শত্রুকে গোপনে আক্রমণের জন্য অ্যামবুশ স্থাপন করতে পাঠান। যদিও এটি ছিলো উন্মুক্ত সমভূমির যুদ্ধ। 


ওদিকে ক্রোয়েশিয়ান সেনাবাহিনীকে প্রাথমিকভাবে কারভাবার মাঠের পূর্ব অংশের ঢালে মোতায়েন করা হয়েছিল। ক্রোয়েশিয়ান সেনাবাহিনী তিনটি দলে বিভক্ত ছিল। প্রথমটি ফ্রাঞ্জো বেরিসলাভিচের নেতৃত্বে স্লাভোনিয়ার সৈন্যদের নিয়ে গঠিত, দ্বিতীয়টি ইভান ফ্রাঙ্কোপান সেটিনস্কির অধীনে ছিল, এবং তৃতীয়টি নিকোলা ষষ্ঠ ফ্রাঙ্কোপ্যান এবং বার্নার্ডিন ফ্রাঙ্কোপ্যানের নেতৃত্বে ছিল। ক্রোয়েশিয়ান পদাতিক এবং অশ্বারোহী বাহিনী তিনটি বিভাগেই সমানভাবে বিভক্ত করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার ছিলেন ব্যান এমেরিক ডেরেনচিন। উসমানীয় সেনাবাহিনীকেও তিনটি দলে বিন্যস্ত করা হয়েছিল। প্রথমটির পরিচালনায় ছিলেন বেক্রুশেভাকের গভর্নর ইসমাইল বে, দ্বিতীয়টি ছিলো উসকুপের সানজাক মেহমেদ বে’র নেতৃত্বে, আর মাঝখানের দলটি হাদিম ইয়াকুপ পাশার অধীনে ছিল। বসনিয়ার রাজা স্টিফেন থমাসের পুত্র ইশাক বে ক্রালোগলুও উসমানীয় খেলাফতের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। উসমানীয় সেনাপতির পরিকল্পনা ছিল ক্রোয়েশিয়ান বাহিনীকে আরও পশ্চিমে বনের পাশে নিয়ে যাওয়া যেখানে তারা একটি অ্যামবুশ স্থাপন করেছিল। ইসমাইলের ডান পাশের বাহিনী প্রথম আক্রমণ চালালে ক্রোয়েশিয়ান বাহিনী বাম দিকে এগিয়ে যায়। ক্রোয়েশিয়ান সেনাবাহিনী এরপর ঢাল ছেড়ে উসমানীয় সেনাদের দিকে ছুটে গেলে খোলা মাঠে যুদ্ধ শুরু হয়। 


যুদ্ধটি তলোয়ার দিয়ে হাতাহাতির পর্যায়ে হয়েছিল, তীর-ধনুক ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। উসমানীয় বাহিনী প্রথমে পিছু হঠে, এবং একটি পরিকল্পিত পশ্চাদপসরণ শুরু করে। যা ক্রোয়েশিয়ান সেনাবাহিনীকে তাড়া করার জন্য প্রলুব্ধ করে নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যায়। কারভাবার মাঠের জঙ্গল এলাকায় অবস্থিত ৩,০০০ অশ্বারোহী আকিনজি কারভাবার নদী অতিক্রম করে এবং ক্রোয়েশিয়ান পেছন দিকে আক্রমণ চালায়। তারপরে হাদিম ইয়াকুপ পাশার মূল সেনাবাহিনী সম্মুখ আক্রমণ শুরু করে। একইভাবে ক্রোয়েশিয়ান সেনাবাহিনীকে সামনে, পেছন এবং ডান দিক থেকে আক্রমণ করা হয়েছিল। বার্নার্ডিন ফ্রাঙ্কোপানের ক্রোয়েশিয়ান বাহিনীর বাম অংশ তুর্কি হালকা অশ্বারোহী আকিনজি বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে পারেনি এবং পিছু হটতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ান পদাতিক বাহিনীর অধিকাংশই ঘেরাও হয়ে যায় এবং পিছু হটার সুযোগও পায়নি। ক্রোয়েশিয়ান সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ পরাজয়ের সম্মুখীন হয় এবং শুধুমাত্র অল্প সংখ্যক পুরুষই নিকটবর্তী দুর্গে ঘেরা শহর উদবিনায় নিরাপদে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। সকাল প্রায় ৯ টার দিকে যুদ্ধ শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়। ইতিহাসবিদ এইচ ই এফেন্দির মতে, যুদ্ধের একটি আশ্চর্য ঘটনা হচ্ছে ক্রোয়েশিয়ান সেনাপতি ডেরেনচিন একজন আকিনজি সেনার সাথে মল্লযুদ্ধে নামেন, যিনি তাকে তার ঘোড়া থেকে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃসাহসী আকিনজি গেরিলা ডেরেনচিনের হাত ও গলায় দড়ি বেঁধে পাশার কাছে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। পাশা তখন ডেরেনচিনকে বেঁধে নিহত ও বন্দী ক্রোয়েশিয়ান সৈন্যদের পাশে হাটিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ডেরেনচিন বন্দী অবস্থায় মারা যান। তার ভাই এবং তার পুত্র পাভাও এই যুদ্ধে নিহত হন। নিকোলা ষষ্ঠ ফ্রাঙ্কোপান ট্রাজাকিকেও বন্দী করা হয়েছিল, কিন্তু মুক্তিপণ দিয়ে তিনি ছাড়া পেয়েছিলেন। "


কোন এলাকায় যুদ্ধ শুরু হলে সেই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়তো। আর এই কাজে আকিনজিরা ছিল সিদ্ধহস্ত। কারণ আকিনজিরা‌ ছিল খুবই সতর্ক ও সচল। 


আকিনজিরা শত্রুর এলাকায় ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলা করে দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে পারঙম ছিল। অনেক সময় শত্রু বাহিনীর সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য আকিনজিদের ব্যবহার করা হতো। আকিনজিরা হঠাৎ করে আক্রমণ করে শত্র বাহিনীর সরবরাহ ব্যবস্থা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ, ঔষধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা মাটির সাথে মিশিয়ে দিত। শত্রুর বাণিজ্যিক পথে আক্রমণ পরিচালনা করতেও দক্ষ ছিল আকিনজি বাহিনী। 


কিছু তুর্কি বংশোদ্ভূত যারা আকিনজি বাহিনীতে কাজ করেছিল তারা হলো - "মালকোশোগলু, তুরহানলি, ওমেরলি, এভ্রেনোসওগলু ও মিহালি "। 


বায়কার টেকনোলজিস মূলত উসমানীয় খিলাফত সমকালীন সময়ে তুর্কিদের শৌর্য বীর্যের পরিচয় সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তার সমরাস্ত্রের নাম ইতিহাস থেকে তুলে এনেছে। এই সকল নামের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে চায় উসমানীয় খিলাফতের ঐতিহ্য। এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ বটে।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...