এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

মনির স্যারের ম্যাসেজ 05/10/2024

 

আপনারা যারা পুরনো ভাই আছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
আপনারা যখন নতুন কোন ভাইদেরকে ট্রেনিং করাবেন অবশ্যই তাদেরকে ভালো ভালো দোকানে গিয়ে মাপ নিয়ে দেখাবেন এবং কয়েকটি জায়গায় মাপ নেওয়া যায় সেই দোকানগুলো তে নিয়ে যাবেন।
নতুন ভাইদেরকে ভালোমতো শিখিয়ে দিবেন কিভাবে মাপ নিতে হয় কিভাবে শীটে সবকিছু লিখতে হয়।
কোনভাবেই যেন একটি দোকান কি দুইটা অথবা তিনটি দোকান তৈরি করে না দিয়ে পাঠাই এসব দিক ভালোমতো বুঝিয়ে দিবেন এবং সতর্ক করে দিবেন।
সকাল ৯ টার মধ্যে মার্কেটে পৌঁছাতে বলবেন এবং বিকাল ৫ টার পরে মার্কেটে কাজ শেষ করার পরে আমাদের কোম্পানি নিয়ম অনুযায়ী ছেড়ে দিবেন।
আপনাদের কাছে যখন একজন ট্রেনিংয়ের জন্য যাই বুঝতে হবে আপনাদেরকে যে আপনাদেরকে কোম্পানি দায়িত্ববান ব্যক্তি মনে করেছে এই কারণেই আপনাদের কাছে নতুন কাউকে ট্রেনিং এর জন্য পাঠিয়েছে।
অবশ্যই কোম্পানির নিয়ম-কানুন গুলো ভালোমতো বুঝিয়ে বলবেন ভালোমতো কাজ করতে শেখাবেন।
কোন ধরনের নেগেটিভ কথাবাত্রা নতুন ভাইদের সাথে বলবেন না এমন কিছু বলবেন না যে তারা কাজ করতে আগ্রহী না হয়ে বরং চাকরি ছেড়ে দিতে চাই।
আপনারা সিনিয়র ভাই আপনাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক করে দেয়া হলো আপনার কাছে যে নতুন ভাবে যাবে তাকে এমনভাবে কাজগুলো শিখিয়ে দিবেন যেন ভবিষ্যতে সে কাজগুলো করে সে ভালো কিছু অর্জন করতে পারে।
আশা করি আমার কথাগুলো আপনাদের মনে থাকবে।
নতুন ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
মেজারমেন্ট নেওয়ার সময় কিছু নিয়ম-কানুন ফলো করবেন সেগুলো হচ্ছে...

১. অবশ্যই যেন দোকানটি ভালো মানের হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন এবং দোকানে কয়েক জায়গায় কাজ করা যায় সেসব দোকান দেখে মেজারমেন্ট কালেকশন করবেন।


2. যখন মেজারমেন্ট কালেকশন করে সিটে লিখে পাঠাবেন আমাদের কাছে তখন অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যেন নাম এবং মোবাইল নাম্বার ঠিক থাকে এবং মেজারমেন্ট গুলো যেন ঠিকভাবে লেখা থাকে।


3. কোনভাবেই যেন কোন দোকানের মোবাইল নাম্বার মিস না হয় এবং প্রতিটা দোকানের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।


4. কোনভাবেই একটি দোকানকে দুইটি অথবা তিনটি করে মেজারমেন্ট লিখে পাঠাবেন না।


5. আপনারা যে মেজারমেন্ট গুলো আমাদের কাছে লিখে পাঠাচ্ছেন সেগুলো আমরা টাইপিং করে হেড অফিসের মাধ্যমে আপনাদের কাছে ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে পাঠিয়ে দেব।


6. পর্যায়ক্রমে আপনারা যখন মার্কেটে স্টিকারগুলো লাগিয়ে ফেলবেন তারপরে যেকোনো সময় আপনাদের মার্কেট অডিট হবে অডিটের সময় যে সকল ওয়ার কোয়াটারে কাজ করেছেন সে দোকানগুলোতে যাওয়া হবে এবং দেখা হবে কিভাবে কাজ করেছেন ঠিকমতো কাজ করেছেন কিনা।


সতর্ক সহকারে কাজ করেন এবং সব সময় সত্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করবেন কোন ধরনের চুরি অথবা মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না।
যেকোনো সমস্যা হলে আমাকে ফোন করবেন অথবা যে ভাইয়ের কাছে ট্রেনিং করেছেন তার সাথে পরামর্শ করবেন।

২য় মেসেজ

আসসালামু আলাইকুম সকল ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি...

ভাই আপনারা যে সকল মেজারমেন্ট দিয়ে পাঠান আমাদের কাছে সেগুলো আমরা আপনাদের মত করেই টাইপিং করে আপনাদের কাছে দিয়ে পাঠাই। 


একটি জিনিস সবসময়ই লক্ষ্য রাখবেন কোনক্রমেই যেন স্টিকার নষ্ট না হয়। 

কোনভাবেই কোন স্টিকার ফেলে দিবেন না স্টিকার নষ্ট করবেন না। 


যদি কোন দোকান বন্ধ হয়ে যাই বা স্টিকার লাগাতে না দেই সে ক্ষেত্রে আপনারা সেই স্টিকারটি অন্য দোকানে লাগানোর ব্যবস্থা করবেন।

স্টিকার গুলো হচ্ছে আমাদের কোম্পানির সম্পদ স্টিকারগুলো তৈরি করতে অনেক খরচ হয় শুধু স্টিকার তৈরীর খরচ নয় এগুলো ডেলিভারি করতে এবং এগুলো তৈরি করতে বিভিন্ন পর্যায়ের লোক নিয়োগ করা আছে তাদেরকে কোম্পানির থেকে বেতন দিতে হয়।

 

বিশেষভাবে আপনাদেরকে অনুরোধ জানাবো আপনারা কোনক্রমে স্টিকার নষ্ট করবেন না।

আপনাদের যদি কাজ করতে সমস্যা হয় আমাকে বলবেন আমি আপনাদেরকে মার্কেটে রেস্ট করার ব্যবস্থা করে দিব প্রয়োজনের স্যার কে বলে আপনাদেরকে ছুটির ব্যবস্থা করে দিব কিন্তু গা আসলে কি করে কোন দোকানের স্টিকার ফেলে দিবেন না বা নষ্ট করে দিবেন না ভাই।


সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ : ০৫-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ : ০৫-১০-২০২৪

আজকের সংবাদ শিরোনাম


 আজ থেকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ --- আলোচনায় স্থান পাবে রাষ্ট্র সংস্কারে নবগঠিত ছয়টি কমিশন।

     

 অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন।

         

 প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম-এর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, ঢাকা-কুয়ালালামপুর সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার অঙ্গীকার।

   

 কে কোন্ ধর্ম পালন করবে কিংবা কোন্ দল করবে সেটা তার নিজের পছন্দ, দল বা ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে আর বিভক্ত হতে দেওয়া হবে না --- বললেন জামায়াতে ইসলামের আমীর।

     

 সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডাক্তার এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ইন্তেকাল।

       

 হাইতির মধ্যাঞ্চলের একটি শহরে সশস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৭০ জনের প্রাণহানি।

      

 এবং শারজায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ০৪-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ০৪-১০-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম


দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে দিনব্যাপী সফরে আজ ঢাকা আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

         

বন্দী বিনিময়ে মালদ্বীপের সঙ্গে চুক্তির খসড়া ও কাতারের সঙ্গে চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন।  

         

আসন্ন ডি-এইট সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালো মিশর।

     

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ইইউসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি।

       

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার --- মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার।

       

আজ থেকে পূজা মণ্ডপসমূহে দায়িত্ব পালন করবেন ৮৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

       

পশ্চিম তীরের তুলকারাম শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় ১৬ জন নিহত।

        

এবং নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত।

বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -০৩-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -০৩-১০-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


ছয়টি সংস্কার কমিশন এবং দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগামী শনিবার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।


ইতালি বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা এবং সেদেশে আনুষ্ঠানিক অভিবাসনের জন্য একসাথে কাজ করতে আগ্রহী।


বাংলাদেশ টেলিভিশনকে জনগণের মিডিয়া হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশ তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার।


সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স-সীমা বাড়ানোর যৌক্তিকতা রয়েছে - বলেছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান।


বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে ইসরাইলী বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত।


আজ শারজায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।


বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -০২-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -০২-১০-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ - ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতকে বললেন প্রধান উপদেষ্টা। 


আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।


 ঢাকায় সুপারশপে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ - রাজধানীতে বিমান বন্দরের আশপাশে তিন কিলোমিটার নীরব এলাকা ঘোষণা - বন্ধ থাকবে যানবাহনে হর্ণ বাজানো। 


এবারের দুর্গোৎসব আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় নির্বিঘ্ন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে - বকেয়া বেতন না দিলে মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা - জানালেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।


ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান - পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারী তেলআবিবের।


আজ আবুধাবীতে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মোকাবেলা করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪

স্ত্রী’র মন ভালো রাখার উপায়ঃ,,,,,,,,,,,,

 ❤️‍🩹স্ত্রী’র মন ভালো রাখার উপায়ঃ


❤️★আপনার স্ত্রীর যদি ঘন ঘন মুড সুইং হয়,তবে তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন।যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন,তার মন বুঝার চেষ্টা করুন।আপনার সামান্য একটু আন্তরিকতা তার মন ভালো করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট!


★সারাদিন বাসায় বসে থাকতে থাকতে তার হয়তো একঘেয়েমি লাগতে পারে!তাই অন্তত ছুটির দিনগুলোতে এমন কোথাও তাকে নিয়ে ঘুরতে যান,যেখানে দু'জন একান্ত সময় কাটাতে পারবেন।কেননা প্রিয়জনের সাথে সময় কাটালে মানুষের বিষন্নতা দূর হয়ে যায়!


🌺★দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী’র;মাঝে মাঝে রাগ-অভিমান হওয়াটাই স্বাভাবিক।তবে স্ত্রী অভিমান করলে,বাসায় ফেরার পথে তার জন্য একটি গোলাপ আর কিছু চকলেট সাথে নিয়ে যেতে পারেন। গোলাপ আর চকলেট দেখে অন্তত সে আর রাগ করে থাকতে পারবে না!


★স্ত্রী যদি রোমান্টিকতা পছন্দ করেন,তবে তার সাথে খুনসুটি দুষ্টুমি করুন, রান্নার সময় চুপিচুপি পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে তাকে বিরক্ত করুন। সে উপভোগ করবে!


★জোছনা রাতে দুজন চাঁদ দেখতে পারেন,সেই সাথে তার সাথে সুখ-দুঃখের মিষ্টি মিষ্টি গল্প করলেও কিন্তু মন্দ হবে না।তার যতই মন খারাপ থাক,আপনার এমন রোমান্টিকতায় সে মুগ্ধ হয়ে যাবে!


★স্ত্রী অসুস্থ থাকলে অন্তত ওষুধ খাওয়ানোর দায়িত্বটা নিজেই বহন করুন।কেননা অসুস্থ থাকলে কোনো কিছু ভালো লাগে না,ওষুধ খাওয়ার কথা ভুলে যাওয়ারই সম্ভাবনা থাকে।তাই নিয়ম করে আপনিই সে ক'টা দিন তাকে ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিন কিংবা পাশে থাকলে নিজেই খাওয়ান!


★তার বিশেষ দিনগুলোতে(পিরিয়ড+প্রেগনেন্সি+শারীরিক অসুস্থতায়)তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন।শত ব্যস্ততার পরেও তার ঘন ঘন খোঁজ নিন।তার খেঁয়াল রাখুন।তার সাথে অন্তত এই সময়গুলোতে বাজে ব্যবহার করবেন না।আপনাকে এই সময়গুলোতে হতে হবে সহনশীল!তাকে বুঝতে হবে,তাকেও বুঝাতে হবে।আন্তরিকতার সাথে তার সাথে মিশতে হবে!তার ঠিক কি করলে মন ভালো হবে,সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।


মনে রাখবেন,

আপনার শত ব্যস্ততার মাঝেও স্ত্রীর জন্য সময়,যত্ন আর ভালোবাসাই পারে তার মন ভালো রাখতে।যা কখনোই স্ত্রীকে টাকার পাহাড়ে শুইয়ে রাখলেও পারবেন না।দাম্পত্য জীবনে টাকার চাইতে বেশি জরুরি দুজনের বোঝাপড়া,আন্তরিকতা আর পরস্পরের ইতিবাচক মনোভাব।


জীবন সঙ্গীর পিছনে শুধু টাকা ব্যয় করার চেয়ে সময় ব্যয় করাটা বেশি জরুরি। কেননা টাকা দিয়ে কেবল সৌখিন চাহিদা পূরণ করা যায়,তবে মনে পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে দাম্পত্য জীবন পার করা যায় না!

#সংগৃহিত

লর্ড ক্লাইড,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রিচার্ড ক্লাইভ ছেলেকে পাঠালেন এক বন্ধুর কাছে। লন্ডনে। সেই বন্ধু একটি কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর। বেশ প্রভাবশালী। চিঠি লিখে রিচার্ড বললেন, আমার ছেলেকে পাঠাচ্ছি। যদি সম্ভব হয় কোনো একটি কাজ দেওয়া যায় নাকি দেখ। রিচার্ড লন্ডন থেকে দূরে থাকেন। একটি গ্রামীণ জনপদ, শ্রপশায়ার। রিচার্ড ছেলেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। চূড়ান্ত দুর্বিনীত, অসহিষ্ণু। দলবল জুটিয়ে স্থানীয় গ্রামের দোকানগুলিকে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করে। দ্রুত একটা কাজে ঢুকিয়ে দেয়া ভালো। রিচার্ডের ছেলের বয়স মাত্র ১৭। ১৭৪২ সালের ১৫ ডিসেম্বর সেই ছেলেটি লন্ডনে এসে সেই কোম্পানির দপ্তরে প্রথমবার ঢুকল একজন চাকরিপ্রার্থী হিসেবে। তাকে যে পদে নেয়া হলো, সেই পদের নাম ‘রাইটার।’ সবচেয়ে নিচুতলার কাজ বলা যায়। সামান্য বেতন। তবে যেতে হবে অন্য দেশে। কোম্পানির কাজকর্ম ওই দেশেই বেশি। কোন দেশে যেতে হবে? জানতে চাইল ছেলেটি। বলা হয় ইন্ডিয়া। সে বলল, আমি রাজি। কবে যেতে হবে? তিন মাস পর। রিচার্ড ক্লাইভের ১৭ বছরের সেই ছেলেটির নাম রবার্ট ক্লাইভ। আর যে কোম্পানির সবচেয়ে কম বেতনের ‘রাইটার’ পদে সে চাকরি পেল, সেই সংস্থার নাম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ১০ মার্চ ১৭৪৩। রবার্ট ক্লাইভ নামে ১৭ বছরের তরুণ ইন্ডিয়াগামী জাহাজে চেপে বসল।


মাদ্রাজে জাহাজ থেকে নেমে প্রথম দর্শনেই এই দেশটাকে সে অপছন্দ করল। কাজে যোগ দেয়ার পর ক্লাইভের ডিপ্রেশন এতটাই বেড়ে যায় যে, এক বছরের মধ্যে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে একদিন। রবার্টের একটি গুণ আচমকা প্রকাশ পেল। এতদিন তাকে কেউ সিরিয়াসলি নেয়নি। কিন্তু আচমকা ১৭৫১ সালে ফ্রেঞ্চ বাহিনীর বিরুদ্ধে অ্যাটাকে যাওয়া হবে বলে জনিয়ে রবার্ট সকলকে অবাক করে দিলো। একাই নেতৃত্ব দিলো প্রায় ৩০০ সিপাহির। আর যুদ্ধটা জিতেও গেল। আবার পরের বছর আরো বড় একটা জয়। রবার্টের কৃতিত্বে ফ্রেঞ্চ বাহিনী সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত ত্রিচিনোপল্লিতে। এই বিপুল সাফল্যের জন্য রবার্ট ক্লাইভকে কোম্পানি কমিশনারির কোয়ার্টার মাস্টারি পদে প্রোমোশন দিলো। যা সাংঘাতিক উচ্চপদই শুধু নয়, পুরস্কার ও ভাতা হিসেবে তার আয় হলো ৪০ হাজার পাউন্ড (আজকের দিকে ৪০ লক্ষ পাউন্ড)। মাত্র ১০ বছরের মধ্যে একটি সাফল্যময় জীবন। বয়স ২৭। অ্যাস্ট্রোনমাল রয়্যালের বোন মার্গারেট ম্যাসকেলিনকে বিয়ে করলেন ক্লাইভ। এবার ভারতকে বিদায় জানানোর পালা। বিপুল সম্পত্তি। সফল জীবন। আর কী চাই! ২৩ মার্চ ১৭৫৩। বম্বে ক্যাসল নামের একটি জাহাজে চেপে রবার্ট আর মার্গারিট ফিরে গেলেন লন্ডন।


কিন্তু নিয়তি অন্যরকম এক চিত্রনাট্য তৈরি করেছিল ক্লাইভের জন্য। ভারতবর্ষের জন্যও। ঠিক ১৮ মাস পর আবার তাকে ফিরতে হলো। কারণ, ফরাসিরা আবার মারাত্মক আগ্রাসী হয়ে উঠেছে সেখানে। কোম্পানির কাজকর্ম ধ্বংস হয়ে যাবে ফরাসিদের অত্যাচারে। অতএব ক্লাইভ ছাড়া আর কে যাবে? যে ছেলেটি সামান্য রাইটারের চাকরি নিয়ে ভারত গিয়েছিল ১৭৪৩ সালে, এবার তা কেই পাঠানো হচ্ছে মাদ্রাজের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে। ১৭৫৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ক্লাইভ যখন ভারতে দ্বিতীয়বার এলেন, তখন মাদ্রাজ নয়, অন্য একটি শহর হয়ে উঠেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সবচেয়ে বড় বাণিজ্যকেন্দ্র। ২ লক্ষ জনসংখ্যার ওই শহরটির নাম কলকাতা। ইংল্যান্ডের ৬৫ শতাংশ টেক্সটাইল আমদানি হতো এই বেঙ্গল নামক প্রদেশ থেকে। বছরে যে শহর পেত ১ লক্ষ ৮০ হাজার পাউন্ড। আর্মেনিয়ানদের ন্যাজারাথ, ফোর্ট উইলিয়ম নামের কেল্লার উচ্চ মিনার, গভর্নর রজার্স ড্রেকের আবাস অট্টালিকা, হাসপাতাল, বিরাট এক জলের ট্যাঙ্ক। এ এক উজ্জ্বল শহর হয়ে ওঠার লক্ষণ দেখাচ্ছে। শান্তিপুর, কাটোয়া, গলাগোড়, হরিপাল, ক্ষীরপাই, মালদহ, সোনামুখী, ধনেখালি ইত্যাদি বিস্তীর্ণ জনপদে ছড়িয়ে থাকা রেশম আর সুতোর ব্যবসায় বছরে ১৩ লক্ষ টাকা টার্নওভার ছিল। গ্লাস, সিন্দুক, নারিকেল দড়ি, তামাকু, আতসবাজি, শাল ও সেগুন কাঠ, মেটেসিন্দুর, তুঁতে, পুরনো লোহা ইত্যাদির দোকান এবং কারখানা ছিল বৃহত্তর কলকাতা জুড়ে। প্রতি বৃহস্পতিবার এবং রোববার সুতানটি আর শোভাবাজারে বসত বিপুল এক আর্থিক লেনদেনের বাজার।


এহেন সম্পদশালী একটি রাজ্যের শাসক অবশ্য থাকতেন কলকাতা থেকে দূরে। মুর্শিদাবাদে। নাম আলিবর্দি খাঁ। বস্তুত যার আমলে শেষবার বাংলা দেখেছিল অর্থনৈতিক উন্নতির একটি উল্লেখযোগ্য রূপরেখা। মারাঠি শাসক রঘুজি ভোঁসলের লেঠেলবাহিনী ভাস্কর পণ্ডিতদের মতো নির্মম ডাকাত... সেই বর্গিদের চরম ১৭৪১ থেকে ১০ বছর ধরে অত্যাচারে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঙালি। মৃত্যু হয় ৪ লক্ষাধিক মানুষের। কতটা নিষ্ঠুরতা? গোটা গ্রাম ঘিরে টাকাপয়সা লুট করাতেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রাণভয়ে পালানো গ্রামবাসীদের তাড়া করে গলায় ঘোড়ার পা তুলে চাপ দিয়ে দিয়ে মেরে ফেলা। বাঙালির দুর্ভাগ্য তাড়া করে বেরিয়েছে বারংবার। চৌথ হিসেবে বর্গিদের অগাধ অর্থ প্রদান করে নিষ্কৃতি মিলেছিল। কিন্তু মারাঠা তথা বর্গিদের এই লুটতরাজ বস্তুত বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছিল। সেই অত্যাচার সত্ত্বেও বাংলা আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে ১৭৫২ সাল থেকে। সবেমাত্র আরো একবার মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়েছিল আলিবর্দি খাঁয়ের শাসনসকালে। ১৭২০ সালের তুলনায় তার আমলে বাংলার রাজস্ব বেড়েছিল অন্তত ৪০ শতাংশ। কতটা শস্যসম্পদে পরিপূর্ণ ছিল বাংলা?


শুধুমাত্র একটি বাজারের কথা জানা যাক। কাশিমবাজারের নিকটবর্তী ওই বাজারেই বছরে ৭ লক্ষ টন ধানচালের ক্রয়বিক্রয় হতো। চিনি, বস্ত্র, আফিম, তুঁতে বিদেশে রফতানির প্রধান কেন্দ্রই ছিল বাংলা। তন্তুবায় এবং মসলিন নির্মাতা অন্তত লক্ষাধিক ছিল বাংলাজুড়ে। যা ব্রিটেন থেকে পশ্চিম এশিয়া... সর্বত্র বিক্রি হতো। এহেন এক সম্পদশালী বাংলার সবচেয়ে বড় ভরসাস্থল ছিলেন আলিবর্দি খাঁ।

* * *

১৭৫৬ সালের মার্চ মাসে আলিবর্দি খাঁয়ের হঠাৎ একটা স্ট্রোক হলো। প্রথম সাত দিন তিনি গোটা শরীর নাড়াতে পারছিলেন না। সম্পূর্ণ পঙ্গু। একটানা চিকিৎসার পরও সম্পূর্ণ সুস্থ হলেন না নবাব। কিছুটা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েই রইলেন। ঠিক সেরকমই সময় তিনি দু’টি খবর পেলেন। প্রথমত, কর্ণাট প্রদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কীভাবে মোগল নবাবদের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বস্তুত হাতের পুতুল করে ফেলেছে। আর দ্বিতীয় সংবাদ হলো, কোম্পানি কলকাতায় কিছু কিছু এলাকায় হঠাৎ নতুন বিল্ডিং তৈরি করছে, কেল্লা মেরামত করছে এবং প্রাচীর নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছে। হঠাৎ কলকাতায় প্রাচীর কেন? এরা তো ব্যবসা করবে? এদের এই অধিকার তো দেয়া হয়নি!


আলিবর্দি খাঁ তাঁর এক কর্মচারী নারায়ণ সিংকে বললেন, গিয়ে গভর্নরকে বল এসব আমরা সহ্য করব না। সব কাজ বন্ধ করতে হবে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর রজার ড্রেককে সেই বার্তা দিতে গেলেন নারায়ণ সিং। আর তিনি ফিরে আসার আগেই ৯ এপ্রিল ১৭৫৬ আলিবর্দি খাঁয়ের জীবনাবসান হলো। বিকেলে দাদুর মৃত্যু হয়েছে। সেই রাতেই সিরাজউদ্দৌল্লাহ মাসি ঘসেটি বেগমের প্রাসাদ আক্রমণ করে সর্বস্ব লুটপাট করলেন। আর পরের মাসে বিপুল সেনাবাহিনী নিয়ে চললেন পূর্ণিয়া। সেখানে তার এক সম্পর্কিত ভাই থাকে। তাকে পরাস্ত ও হত্যা করতে। কারণ সিরাজের লক্ষ্য, সিংহাসন যেন কণ্টকহীন হয়। পুর্ণিয়া যাওয়ার পথেই আচমকা সেই নারায়ন সিং ফিরে এলো প্রায় কাঁদতে কাঁদতে। তার অভিযোগ, কোম্পানির গভর্নর রজার্স ড্রেক যাচ্ছেতাই অপমান করেছে তাকে। এমনকী আটকে রেখে দিয়েছিল এতদিন। শুনে সিরাজ এক মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলেন, গোরাদের শিক্ষা দেয়া দরকার। তিনি গোটা সেনাবাহিনীর মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। কাশিমবাজারে কোম্পানির ফ্যাক্টরি আক্রমণ করলেন। এবং সেখানে ঢুকে কোম্পানির সেপাইদের কচুকাটা করে সোজা কারখানা, ট্রেজারি, অফিস দখল করে নিলেন। কাশিমবাজার ফ্যাক্টরির দায়িত্বে থাকা উইলিয়ম ওয়াটস হাতজোড় করে নবাবের পায়ের কাছে বসে বলেছিলেন, আমি আপনার গোলাম। আমরা আপনার গোলাম। সেই শুরু হলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে নবাব সিরাজের প্রত্যক্ষ বিরোধ। কোম্পানির কাশিমবাজার কারখানার এই পরাজয় এবং আত্মসমর্পণ দেখে তখন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কাঁপছিলেন এক কর্মী। মাত্র ২৪ বছর বয়স যুবকের। তার নাম ছিল ওয়ারেন হেস্টিংস!

এরপর সিরাজউদ্দৌল্লার কলকাতা আক্রমণ, কলকাতাকে রক্ষা করতে মাদ্রাজ থেকে রবার্ট ক্লাইভের আগমন, ফলতায় এসে ঘুঁটি সাজিয়ে পুনরায় কলকাতা ফোর্ট দখল করা এবং নবাবের বিরুদ্ধে একঝাঁক বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে চক্রান্তকাহিনী, পলাশীর যুদ্ধ, সিরাজের মৃত্যু, মিরজাফর হয়ে মিরকাশিমের হাতে রাজ্যপাট আসা... এসব কাহিনী বহুচর্চিত। সেই বিস্তারিত বিবরণ এই প্রতিবেদনের প্রতিপাদ্য নয়। শুধু মনে রাখা দরকার যে, ১৭৫৪ সালে গোটা মোগল সাম্রাজ্য এবং ব্রিটিশ কোম্পানির কাছে সবচেয়ে স্বর্ণোজ্জ্বল, সম্পদশালী রাজ্য বেঙ্গল মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে ১৭৬৮ সালে হঠাৎ কীভাবে এক ইতিহাসের অন্ধকারে প্রবেশ করল। সেই অন্ধকারের জন্য শুধু‌ই খরা, অনাবৃষ্টি দায়ী নয়। তার থেকেও বেশি দায়ী অপরিসীম কোষাগার লুণ্ঠন। ১৭৫৭ সালে সিরাজের ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ গোটা শহরে ঘোরানোর পর ৭ জুলাই এই যুদ্ধে কোম্পানির সহায়তার পেমেন্ট হিসেবে ক্লাইভ একাই পেয়েছিলেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার পাউন্ড। প্রথম ইনস্টলমেন্ট হিসেবে ৭৫ লক্ষ। কয়েক কোম্পানি সেনা এবং ২০০ নবাবী বজরা নিয়ে কাটোয়া, চন্দননগর হয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন ক্লাইভের অ্যাসিস্ট্যান্ট লুক স্ক্র্যাফটন। ১০০টি নৌকায় ছিল ৭৫০টি সিন্দুক। শুধুই বাংলার টাকা। এছাড়া পলাশীর যুদ্ধের পর নতুন নবাব মিরজাফর কোম্পানিকে দিয়েছিলেন ১২ লক্ষ ৩৮ হাজার পাউন্ড। যার মধ্যে একা ক্লাইভের তহবিলে গিয়েছিল ১ লক্ষ ৭০ হাজার পাউন্ড। ১৭৫৭ থেকে ১৭৬৫ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের নবাবের কোষাগার থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে গিয়েছিল প্রায় ২২ লক্ষ পাউন্ড। আজকের দিনে হিসেব করলে কত? ক্লাইভ দফায় দফায় ইংল্যান্ড ফিরেছেন আবার এসেছেন। শুধু ক্লাইভ? কলকাতার তাবৎ বাবু, মহতাব রাই নামের জগৎশেঠ, এমনকী কলকাতার বিখ্যাত বাবুদের পালিত গণিকারা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেয়েছিল হাজার হাজার টাকা। বস্তুত বাংলার জেলে, চাষি, তন্তুবায়, রাজমিস্ত্রী, কর্মকার, স্বর্ণকারদের ঘামঝরানো আয়ের টাকা লুটতরাজ হয়ে গিয়েছে বছরের পর বছর। তারপর এলো অন্ধকারের কালো মেঘ।


রবার্ট ক্লাইভ, ১ম ব্যারন ক্লাইভ , কেবি , এফআরএস 

(২৯ সেপ্টেম্বর ১৭২৫ - ২২ নভেম্বর ১৭৭৪)

----------------------------------------------------

১৭২৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ সেপ্টেম্বর, ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের শ্রোপশায়ার (Shropshire) কাউন্টির উত্তরাংশের মার্কেট ড্রাইটোন (Market Drayton) নামক শহরের ক্লাইভ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রবার্ট। তার বাবার নাম ছিল রিচার্ড ক্লাইভ এবং মায়ের নাম রেবেকা গ্যাসকেল ক্লাইভ। রবার্ট ক্লাইভ ছিলেন তার পিতামাতার ১৩টি সন্তানের মধ্যে (৭ কন্যা ও ৬ পুত্র) বড়। শৈশবে তিনি তার খালার কাছে প্রতিপালিত হন। রবার্টের ৯ বছর বয়সে তার খালার মৃত্যু হয়।

তার বাবা তাকে প্রথমে মার্কেট ড্রাইটোন গ্রামার স্কুলে ভর্তি করে দেন। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তোলে, পরে তার বাবা তাকে লণ্ডনের মার্চেন্ট টেইলরস স্কুলে ভর্তি করে দেন। এখানেও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য বহিস্কৃত হলে তাকে হার্টফোর্ডশায়ারের একটি স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হয়। এই স্কুল থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করতে সক্ষম হন। স্কলারশিপ না পাওয়ায় তার পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এই সময় তিনি নিজের মতো করে লেখাপড়া করতে থাকেন।

রবার্টের বাবা তাকে ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি-তে একটি লেখকের চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। 

রবার্ট ক্লাইভ সামান্য কেরানি হিসেবে ১৭৪৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে যোগ দেন এবং একই বছরে কোম্পানির ব্যবসার কাজে ভারতে আগমন করেন।

ভারতে কিছু দিন চাকরির পর তিনি নিজ দেশে ফিরে যান এবং সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধে অংশ নেন। 

দ্বিতীয়বার তিনি ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে ভারতে আসেন ১৭৫৬ সালে।

এই যাত্রায় ভারতে এসেই তিনি ভারতবর্ষ তথা বাংলা বিহার উড়িষ্যায় ব্রিটিশ আধিপত্য বিস্তারে কূটকৌশল চালাতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় পলাশীর যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করে মীর জাফর এবং তার মিত্ররা। 

নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যু এবং মীর জাফরের ক্ষমতাগ্রহণের ঘটনা ঘটলেও প্রকৃতপক্ষে অস্তমিত হয় বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। আর উত্থান ঘটে লর্ড ক্লাইভ তথা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের। 

পলাশীর যুদ্ধের ১০ বছর পর ১৭৬৭ সালে ক্লাইভ ইংল্যান্ড ফিরে যান। কিন্তু ভারতে রেখে যান ঘুষ, দুর্নীতি, সম্পদ আত্মসাত, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, দুর্বৃত্তায়ন আর অপরাজনীতির এক জঘন্য ইতিহাস। 

তার দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে ১৭৭২ সালে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট তার দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে বাধ্য হয়।

এতে করে একে একে তার দুর্নীতির তথ্য বেরুতে থাকে। আত্মসম্মানের কথা বিবেচনা করে তিনি সব সম্পদের বিনিময়ে তদন্ত বন্ধ তথা তার সম্মান রক্ষার করুণ আর্তনাদ জানান।

তবুও চলতে থাকে তদন্ত,

এতে অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেলে ১৭৭৪ সালের ২২ নভেম্বর আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। কোনও সুইসাইড নোট লিখে যাননি ক্লাইভ। আত্মহত্যার জন্য তিনি নিজের শরীরে ছুরি চালান বা নিজেই নিজের গলায় ছুরি ঢুকিয়ে দেন বলে প্রচলিত আছে। যদিও তার পরিবার একথা অস্বীকার করেন। তবে সম্মান রক্ষার্থে কেউ কেউ প্রচার করেন, অতিরিক্ত আফিম বা মাদক গ্রহণ অথবা হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যু ঘটে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে।

তাকে সমাহিত করা হয়েছিল রাতের বেলা গোপনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। তার কবরে পরিচিতিমূলক কোনও ফলক বা চিহ্নও রাখা হয়নি। ১৭৭৪ সালে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট ক্লাইভ যখন আত্মহত্যা করেন, তিনি তখন ইংল্যান্ডের অন্যতম ঘৃণ্য ব্যক্তিদের একজন। ব্যাপকভাবে নিন্দিত ব্যক্তি ছিলেন তিনি।

তবে মরেও বেঁচে আছে লর্ড ক্লাইভ এক ঘৃণিত বিদেশি প্রভুর আদলে।


সূত্র : বর্তমান


সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -০১-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -০১-১০-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম - এনপিআর-এর সঙ্গে সাক্ষাতকারে একটি নতুন জাতির স্বপ্ন দেখার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।


আজ থেকে শপিংমলগুলোতে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ।


ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক বর্জ্য সংকট মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার। 


সাইবার আইনে দায়ের হওয়া 'স্পিচ অফেন্স' মামলাসমূহ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত - মুক্তি পাবেন গ্রেপ্তারকৃতরা।


সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের যৌক্তিক বয়সসীমা নির্ধারণে কমিটি গঠন করেছে সরকার।


সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তদন্তে উচ্চ ক্ষমতার টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের।


লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থলে সীমিত আকারে স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরাইল।


কানপুরে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে গতকালের ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করবে বাংলাদেশ।

মুসলমান হওয়ার পরও অনেক মানুষ জান্নাতে যাবে না কিছু গোনাহের কারণে।

 মুসলমান হওয়ার পরও অনেক মানুষ জান্নাতে যাবে না কিছু গোনাহের কারণে। এগুলো হলো


১. হারাম খাদ্য ভক্ষণকারী জান্নাতে যাবে না। সুনানে বায়হাকি : ৫৫২০


২. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না। সহিহ্ বোখারি : ৫৫২৫


৩. প্রতিবেশীকে কষ্ট দানকারী জান্নাতে যাবে না। সহিহ্ মুসলিম : ৬৬


৪. মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান ও দাইয়ুস জান্নাতে যাবে না। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তিন শ্রেণির লোক জান্নাতে যাবে না। মাতা-পিতার অবাধ্য, দাইয়ুস (যে তার স্ত্রী-বোন প্রমুখ অধীনস্থ নারীকে বেপর্দা চলাফেরায় বাধা দেয় না) এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী।’ মুসতাদরাকে হাকেম : ২২৬


৫. অশ্লীলভাষী ও উগ্র মেজাজি জান্নাতে যাবে না। সুনানে আবু দাউদ : ৪১৬৮


৬. প্রতারণাকারী শাসক জান্নাতে যাবে না। সহিহ্ বোখারি : ৬৬১৮


৭. অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী জান্নাতে যাবে না। যদিও (আত্মসাৎকৃত সম্পদ) পিপুলগাছের একটি ছোট ডাল হোক না কেন। সহিহ্ মুসলিম : ১৯৬


৮. খোঁটা দানকারী, অবাধ্য সন্তান ও মদ্যপানকারী জান্নাতে যাবে না। সুনানে নাসায়ি : ৫৫৭৭


৯. চোগলখোর জান্নাতে যাবে না। সহিহ্ মুসলিম : ১৫১


১০. অন্য পিতার সঙ্গে সম্বন্ধকারী জান্নাতে যাবে না। অর্থাৎ নিজেকে যে অন্য পিতার সন্তান বলে পরিচয় দেয়, তার জন্য জান্নাত হারাম। সহিহ্ বোখারি : ৬২৬৯


১১. গর্ব-অহংকারকারী জান্নাতে যাবে না। যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার রয়েছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। সহিহ্ মুসলিম : ১৩১


১২. হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাফরমান জান্নাতে যাবে না। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে আমার আনুগত্য করে, সে জান্নাতে যাবে। আর যে আমার নাফরমানি করে, সে (জান্নাতে যেতে) অস্বীকার করেছে।’ সহিহ্ বোখারি : ৬৭৩৭


১৩. দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে ইলম অর্জনকারী জান্নাতে যাবে না। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ইলম দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা হয়, সেই ইলম যে ব্যক্তি দুনিয়াবি কোনো স্বার্থ-সম্পদ হাসিলের উদ্দেশ্যে শিক্ষা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ সুনানে আবু দাউদ : ৩১৭৯


১৪. অকারণে তালাক কামনাকারী নারী জান্নাতে যাবে না। সুনানে তিরমিজি : ১১০৮


১৫. কালো কলপ ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে না। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘শেষ যুগে কিছু লোক কবুতরের সিনার মতো কালো কলপ ব্যবহার করবে। তারা জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ সুনানে নাসায়ি : ৪৯৮৮


১৬. লৌকিকতা প্রদর্শনকারী জান্নাতে যাবে না। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম একজন শহীদকে ডাকা হবে। অতঃপর একজন কারিকে। তারপর একজন দানশীল ব্যক্তিকে হাজির করা হবে। প্রত্যেককে তার কৃতকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। অতঃপর শহীদকে বীর বাহাদুর উপাধি লাভের উদ্দেশ্যে জিহাদ করার অপরাধে, কারি সাহেবকে বড় কারির উপাধি ও সুখ্যাতি লাভের জন্য কিরাত শেখার অপরাধে এবং দানশীলকে বড় দাতা উপাধি লাভের নিয়তে দান-সদকা করার অপরাধে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ সহিহ্ মুসলিম : ৩৫২৭


১৭. ওয়ারিশকে বঞ্চিতকারী জান্নাতে যাবে না। হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো ওয়ারিশকে তার অংশ থেকে বঞ্চিত করল, আল্লাহ তাকে জান্নাতের অংশ থেকে বঞ্চিত করবেন।’ সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৬৯৪



স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম?,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🌻 প্রশ্ন:- স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম?


➜অনেকে স্ত্রীর সাথে সুন্নাত তরিকায় কি কিভাবে সহবাস করবো জানতে চেয়েছেন

সে জন্য অনেকেরই দরকারী মনে করে পোষ্ট লেখলাম। কেননা ইসলামি যৌন বিজ্ঞান সম্পর্কে বর্তমান সমাজের অনেকই অজ্ঞ! যেগুলির কারনে মানুষ অহরহ পাপ না জেনে পাপ কাজ করছে। সঠিক মাত্রা ও ব্যবহার পদ্ধতি না জানার কারনে তৈরি হচ্ছে নানাবিধ যৌন রোগ যার কারনই আমাদের গোপন থেকে যায়। যাই হোক মুল কথায় ফিরছি।


🌻উত্তর: সহবাসের সঠিক নিয়ম হলো স্ত্রী নিচে থাকবে আর স্বামী ঠিক তার উপরি ভাবে থেকে সহবাস করবে। মহান আল্লাহ তায়ালা সহবাসের নিয়ম এভাবেই সুরা আরাফের ১৮৯ নম্বর আয়াতে

বলেছেন


ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺗَﻐَﺸَّﺎﻫَﺎ ﺣَﻤَﻠَﺖْ ﺣَﻤْﻼً ﺧَﻔِﻴﻔًﺎ ﻓَﻤَﺮَّﺕْ ﺑِﻪِ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺃَﺛْﻘَﻠَﺖ ﺩَّﻋَﻮَﺍ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺭَﺑَّﻬُﻤَﺎ ﻟَﺌِﻦْ ﺁﺗَﻴْﺘَﻨَﺎ ﺻَﺎﻟِﺤﺎً ﻟَّﻨَﻜُﻮﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﺎﻛِﺮِﻳﻦَ 


অনুবাদ:- অতঃপর পুরুষ যখন নারীকে আবৃত করল, তখন, সে গর্ভবতী হল। অতি হালকা গর্ভ। সে তাই নিয়ে চলাফেরা করতে থাকল। ( সুরা অারাফ: ১৮৯ অংশ)

বিজ্ঞ ডাক্তারগন এটিই বার বার বলে থাকেন।

বিধায় স্পষ্ট নিয়ম হলো স্ত্রী নিচে থাকবে স্বামী উপরে থাকবে। আর তাতেই স্ত্রী গর্ভধারন করবে।


🍁সতর্কতা :- এমন যেন না হয় যে স্ত্রী স্বামীর উপর থেকে বসে সহবাস করছে আর সে সময় স্বামীর বীর্যপাত হয়ে গেল। তাহলে ডাক্তারী চিকিৎসা মতে তখন বীর্য পুরো বের হয় না ভেতরে বিশেষ জায়গায় থেকে যায় আর তাতে পুরুষের ভেতর পাথর তৈরি হয়ে বড় ধরনের রোগ হবার অাশংকা থাকে। তাছাডা স্ত্রী গর্ভধারণও করেনা।যদিও ইদানিং অনেক নিয়ম নেটে দেখানো হয় এ গুলো সঠিক নিয়ম নয় এগুলোতে প্রশান্তি নেই।

সহবাসের আরো কিছু সুন্নত নিয়ম হলো।


১/ স্ত্রী সহবাসের আগে ভাল করে দাতঁ ব্রাশ বা মিসওয়াক করবে।


২/ স্বামীও ভাল করে দাঁত মেসওয়াক বা ব্রাশ করবে। সিগারেট বা কোন বদ নেশার দুর্গন্ধ নিয়ে স্ত্রীর কাছে যাবে না।


৩/ স্বামী স্ত্রী সহবাসের পুর্বে উভয় ওজু করে নিবে


৪/ বিসমিল্লাহ বলে আরম্ভ করা মুস্তাহাব।


শুরুতে ভুলে গেলে বীর্যপাত হবার পর বিসমিল্লাহ পড়বে ।


৫/ স্ত্রীগণ শরীরে সুগন্ধি টেলকম পাউডার বা সুগন্ধি লাগিয়ে নিবে। স্বামীও আতর বা সুগন্ধি লাগিয়ে নিবে ।


৬/ সহবাসের সময় কেবলা মুখি হয়ে করবেনা।


৭/ সহবাসের সময় একেবারে উলঙ্গ হয়ে পড়বেনা। যদি তৃপ্তি না আসে তাহলে উপরে কোন কাপড় বা চাদর দিয়ে ঢেকে নিবে।


৮/ বীর্যপাত হয়ে গেলে সাথে সাথে স্ত্রীর উপর থেকে নেমে পড়বেনা। বরং কিছু সময় তার উপর শুয়ে থাকবে। আবার পুরো শরিরের ভর তার উপর ছেড়ে দিবে না যাতে তার কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা সুন্নত।


৮/স্ত্রী-সহবাসের আগে এই দোয়া পড়তে হয়।

আরবি দোয়া

« ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺟَﻨِّﺒْﻨَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ، ﻭَﺟَﻨِّﺐِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﺭَﺯَﻗْﺘَﻨَﺎ ».

বাংরা উচ্চারণ বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রযাকতানা।

বাংলা অর্থ আল্লাহ্র নামে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং আমাদেরকে আপনি যে সন্তান দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন।

[বুখারী ৬/১৪১, নং ১৪১; মুসলিম ২/১০২৮, নং ১৪৩৪।]


৯/ কোন ভাবেই পায়ূ পথে সঙ্গমের চিন্তা ও করবে না এটা মহাপাপ, যেটা কোরআন হাদিসে কঠিন ভাবে নিষেধ করা হয়েছে।তা ছাডা ডাক্তারী সাইন্স মতে উভয়ের এমন কঠিন ব্যধির আশংকা রয়েছে যার চিকিৎসা পৃথিবীর কোন ডাক্তার ও করতে পারবে না।

তাই সাবধান!


১০/ কোন অবস্থায় নেশা জাতীয় খাদ্যে বা পানীয় খেয়ে বা পান করে সহবাস করবে না।


১১/ কারো সামনে এমনকি নিজের আড়াই/ তিন বছরের জাগ্রত শিশুর সামনে ও নয়।


ইসলাম শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, নয়


প্রতিটি কাজের সাথে গভীর ভাবে জড়িয়ে আছে। ইসলামের হুকুম আহকাম ও নিয়ম কানুন তাই চলুন।

প্রিয় নবী (সা.)  আমাদের সব কিছু শিখিয়ে গেছেন, সেই ভাবে জীবন যাপন করি, জান্নাতি মানুষদের অনুসরণ করে। আমরা ও যেনো জান্নাতি হতে পারি। আমাদের সমস্ত মুসলমানদের সেই তাওফিক দান করুন, আমিন 🤲

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...