এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ - ০৮-১২-২০২৪

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ - ০৮-১২-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম


দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ---- ইসলামপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে রাজধানী দামেস্ক।

        

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার। 

        

আগামীকাল ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতগণ।

        

কোনো বিদেশীকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে থাকতে দেওয়া হবে না --- হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার।

      

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য অচলাবস্থা নিরসনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আশাবাদ।

 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোর স্মারকলিপি প্রদান ও পদযাত্রা কর্মসূচি পালন। 

      

এবং দুবাইয়ে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটের শিরোপা জিতে নিলো বাংলাদেশ।

আসুন একটু হেসে নিই,,,,,,,

 আসুন একটু হেসে নিই ।  😁😁😁😁


বাসে গাদাগাদি ভিড়। এক ভদ্রলোক একটি দামী স্যুটকেস নিয়ে উঠলেন। অধ্যাপক টাইপ চেহারা।


প্রশ্ন করলেন-"আচ্ছা, পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ কী?"


সকলেই চুপ করে শুনতে থাকলেন তার কথা। কেউ কোনও কথা বলছেন না দেখে তিনি আবার শুরু করলেন -


"পলাশীর প্রান্তরে সেদিন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্য ছিল অনেক। লর্ড ক্লাইভের সৈন্য অল্পসংখ্যক থাকা সত্ত্বেও নবাব পরাজিত হয়েছিলেন। আপনারা বলবেন যে জগৎ শেঠ, মীর জাফরদের গাদ্দারির কারণে নবাব পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু এই ইতিহাস সবটাই সত্য নয়। সত্য ইতিহাস জানতে হবে।"


একজন কৌতূহলী যাত্রী জানতে চাইলেন -- "তবে সত্য ইতিহাসটা কী?"


"সত্য ইতিহাস আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। ক্লাইভ দূরবীন দিয়ে নবাবের সৈন্যদের গতিবিধি লক্ষ্য করলেন। পলাশীর আম বাগান তখন শূন্য। মীর জাফর তার আয়ত্ত্বাধীন সৈন্য নিয়ে কেটে পড়েছে। ক্লাইভ তো অবাক। নবাবের সৈন্যরা তবে গেল কোথায়? নিশ্চয়ই কোনও চাল চেলেছে।


হঠাৎ নজর পড়ল আমগাছের দিকে। একটি ডাল নড়ে উঠল। ক্লাইভ এবার দেখল যে, নবাবের সৈন্যরা আম গাছের ডালে ডালে বসে আছে। নিচ দিয়ে যেতে গেলেই তারা গেরিলা আক্রমণ করবে বলে প্রস্তুত।


ক্লাইভ কাছাকাছি না গিয়ে দূর থেকে কামান আর বন্দুক তাক করল। ফলন্ত গাছ থেকে আমের সাথে সাথে টুপটুপ করে ঝরে পড়তে লাগল নবাবের সৈন্য। আহ্!"


ভদ্রলোকের বলার ভঙ্গিতে যাদু ছিল। সকলেই মন দিয়ে শুনছিলেন তার কথা। তিনি আবার বলে উঠলেন-


"নবাবের সৈন্যরা সকলেই ইংরেজদের হাতে মারা পড়লেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে। আম গাছের ডাল সেদিন নড়ে উঠল কেন? কী ছিল ষড়যন্ত্র?"


যাত্রীদের সকলের মনে প্রশ্ন জেগে উঠল। তাই তো, আম গাছের ডাল নড়ে উঠল কেন? গাছের ডাল না নড়লে তো ক্লাইভের নজরে আসত না সৈন্যদের অবস্থান!


ভদ্রলোক বললেন, "কেন নড়ে উঠেছিল গাছের ডাল? কে বলতে পারবেন?"


যথারীতি সকলেই চুপ করে থাকলেন। ভাবগতিক এমন যে, "আমরা জানি না, আপনিই বরং বলে দিন।"


তিনি তখন স্যুটকেস খুললেন। একটি জিনিস বের করে সকলকে দেখিয়ে বললেন -


"ডাল নড়ে ওঠার কারণ ছিল- চুলকানি, দাউদ, চর্মরোগ। বড় মারাত্মক এই রোগ, বুঝলেন? নবাবের এক সৈন্যের ছিল চুলকানি। এই চুলকানির জন্যই সেদিন ডাল নড়ে উঠেছিল। ডাল না নড়লে ক্লাইভ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।


*** আর তাই আমি এনেছি চুলকানির মলম। দাম মাত্র ত্রিশ টাকা!!

☺️😃😃

Collected

জীবনানন্দ দাশ, যিনি জন্মেছিলেন এক উচ্চবংশে, কিন্তু পুরো জীবন কাটিয়ে দিলেন হতদরিদ্রতার আঁধারে

 ❣💕 জীবনানন্দ দাশ, যিনি জন্মেছিলেন এক উচ্চবংশে, কিন্তু পুরো জীবন কাটিয়ে দিলেন হতদরিদ্রতার আঁধারে। বিয়ে করলেন লাবণ্যকে, যে হয়তো ঘরমুখো ছিল, কিন্তু স্বপ্ন ছিল তার আকাশছোঁয়া। চাকরিবিহীন জীবন আর স্ত্রীর সাথে বন্ধনহীন সম্পর্কের মাঝেও  জীবনানন্দ খুঁজে বেড়ালেন এমন একজন, যে তার মনের গভীরে পৌঁছাতে পারবে, অন্ধকারে আলো ছড়িয়ে দিবে। এই হাহাকার আর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে লিখলেন বনলতা সেন। 

আর রবীন্দ্রনাথ ? চারদিকে তার গুণগান, নোবেল পুরস্কারের জয়জয়কার। কিন্তু মানুষ তখন তাকে বুঝলো না, প্রশান্তির বদলে দিলো অপমান—এতো বেদনার ভেতর দিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছিলেন হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কবিতা । একই সময়ে কেন আমাদের কবি মেসে ছারপোকার কামড় সহ্য করে, ক্ষুধার তাড়নায় চড়ুই পাখির ফেলে যাওয়া বিস্কুট খাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে গল্প লিখে গেলো ?

নিজের সফলতা দেখে যেতে না পারলেও মায়ের কথা জীবনানন্দ রেখেছেন—কুসুমকুমারী দাশ, যিনি বড় হওয়ার মানে বুঝিয়েছিলেন কাজের মাধ্যমে, কথায় নয়। মনের মধ্যে বিষন্নতা আর সংসারের টানাটানির পরেও বাংলার মাটি আর হৃদয়ের সঙ্গে তার প্রেম ছিল অফুরন্ত। কখনো সুদর্শন, আবার কখনো লক্ষ্মীপেঁচা হয়ে এই বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। অবিশ্বাস্যভাবে, পৃথিবীতে ট্রাম দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া একমাত্র মানুষ জীবনানন্দই। এখন তিনি স্বেচ্ছায় প্রাণ দিলেন নাকি আসলেই দুর্ঘটনার শিকার ? আজ ঠিক সেই প্রহেলিকার দিন। তার নামের মধ্যে লুকিয়ে আছে জীবন আর আনন্দ, কিন্তু সারা জীবন কী পেলেন তিনি—দুঃখ ছাড়া ?

There is a movie called 'Grave Of The Fireflies.' There is a dialogue there " Why do fireflies have to die so soon?"

এর উত্তর কিন্তু কেও জানে না কিন্তু আমাদেরই এক বাঙালি ৭০ বছর আগে এর উত্তর দিয়ে গেছে। তিনি আমাদের বিষন্নতার কবি--

 ''পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,

 প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন 

 মরে যেতে হয়" (দুজন - বনলতা সেন)। ❣️💕💞            সংগৃহীত

কেন পড়বেন বই? বই পড়ে কী লাভ, বিজ্ঞান কী বলে?

 কেন পড়বেন বই?

বই পড়ে কী লাভ, বিজ্ঞান কী বলে?

বই পড়ে কী লাভ—এ প্রশ্ন করলে যিনি বই পড়তে  অভ্যস্ত নন, তিনিও আপনার দিকে বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকাবেন। আসলে বই পড়ার  ইতিবাচক দিক এতটাই প্রতিষ্ঠিত একটা ব্যাপার, এটা নিয়ে দ্বিমত করার মানুষ  পাওয়া কঠিন।

বই পড়লে জ্ঞান বাড়ে, মান বাড়ে—এটা সত্যি। কিন্তু বই পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিজ্ঞান কী বলে? সেটা নিয়ে আমরা কি ভেবেছি?

বই পড়ার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো নিজের তথ্যভাণ্ডার সম্মৃদ্ধ করা।

স্কুলের পাঠবইগুলো যেমন আমাদের বিজ্ঞান, ইতিহাস বা অঙ্ক শেখায়, ঠিক  তেমনি গল্পের বই আমাদের কল্পনাশক্তি বাড়ায়। বিজ্ঞান, সাহিত্য,  সমাজবিজ্ঞানসহ বিচিত্র সব বই পড়লে নতুন তথ্য জানার পাশাপাশি আমাদের  দৃষ্টিভঙ্গি আরও বিস্তৃত হয়। কানাডার ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞাতার  প্রেক্ষীতে বলেন, ‘যারা বেশি বেশি গল্প-উপন্যাস পড়েন, অন্যদের  মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বোঝা তাঁদের পক্ষে সহজ। এই ব্যাপারটা আমাদের সামাজিক  দক্ষতায় উন্নতি ঘটায়।

বই মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। এটাকে মস্তিষ্কের এক ধরনের ব্যায়াম বলা  যায়।  তাই নিয়মিত বই পড়লে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে, চিন্তা করার ক্ষমতা  উন্নত হয় এবং স্মৃতিশক্তি শাণিত হয়ে ওঠে। ফলে অনেক বেশি মনোযোগী ও  বিশ্লেষণী দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে বই।

বই মানসিক চাপ কমাতে বড় ভূমিকা রাখে। মজার গল্প বা রোমাঞ্চকর উপন্যাস  পড়ার সময় মানুষ  সেই গল্পের মধ্যে ডুবে যায়। এটা বাস্তব জীবনের চাপ থেকে  মুক্তি দেয়, মনকে প্রশান্ত করে। সুতরাং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বই পড়া  খুবই উপকারি একটা অভ্যাস।

কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মনোবিজ্ঞানী কিথ ওকলে সাহিত্য এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন।

তাঁর গবেষণা বলছে, উপন্যাস বা গল্পের বই পড়া মানুষের সহানুভূতিশীলতা এবং  সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং বাস্তব জীবনে সম্পর্কগুলোকে আরও  সুসংহত করতে সহায়ক হয়।’

বই পড়লে বাড়ে কল্পনাশক্তিও। পাঠক গল্পের চরিত্রগুলোকে কল্পনা করতে  শেখে, গল্পের দৃশ্যগুলো মনে মনে তৈরি করে ফেলে। এই কল্পনাশক্তেই পারে সেই  পাঠকের ভেতর সৃজনশীলতা গড়ে তুলতে সহায়ক হয়।

বই পড়লে নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হয় পাঠক। এতে ভাষাগত দক্ষতা  বাড়ে। বিশেষ করে যখন অন্য ভাষার বই পড় হয়, তখন সেই ভাষার নিয়ম-কানুনও  আমাদের জানা সহজ হয়।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সের গবেষক এমিলি শ্যুট দেখিয়েছেন,  মাত্র ৬ মিনিট বই পড়লে মানসিক চাপ ৬৮ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। তিনি  বলেন, ‘বই পড়া শুধু মনের প্রশান্তিই দেয় না, এটি আমাদের শারীরিক চাপও  কমিয়ে দেয় এবং মস্তিষ্ককে শিথিল রাখে।’

একটি বই শেষ করতে ধৈর্য ও মনোযোগের প্রয়োজন হয়। বই পড়ার অভ্যাস ধীরে ধীরে মানুষের মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বই পড়া ব্যাপরটা নিজের সঙ্গে নিজের সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়। অনেক  সময় মানুষ একা একটুখানি সময় কাটাতে চায়। কিন্তু একাকীত্ব আবার একঘেয়েমি ও  মানসিকভাবে হমাশগ্রস্ত করে তুলতে পারে। কিন্তু বই পড়লে তেমনটা হয় না কখনো।  তাই একাকী মুহূর্তগুলোতে বই ভালো সঙ্গীর ভূমিকা নেয়।

বই পড়ার অভ্যাস জ্ঞান ও বুদ্ধিকে যেমন শাণিত করতে সাহায্য করে, তেমনি  ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার প্রেরণাও বই থেকে পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন একটু  হলেও বই পড়ার চেষ্টা করা উচিত।

সূত্র: সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান মাইন্ড!

ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করার অনুরোধ রইলো!

ধন্যবাদ! ❤️


ধানের বীজ ১০০% অংকুরিত করার নিয়ম সমূহ :-

 ধানের বীজ ১০০% অংকুরিত করার নিয়ম সমূহ :-


প্রাক-অঙ্কুরিতকরণ - ১২-২৪ ঘন্টা বা বীজের শেষে ছোট অঙ্কুর দেখা না যাওয়া পর্যন্ত বীজগুলিকে পানিতে ডুবিয়ে রাখুন । ঠান্ডা আবহাওয়ায়, বীজ ১২-৪৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ব্যাগের চারপাশে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন ছায়াময় জায়গায় ২-২৪ ঘন্টার জন্য বীজটি ব্যাগে করে শুকিয়ে নিন।


ধান বৃদ্ধির জন্য সর্বোত্তম তাপমাত্রা ২৫-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পর্যাপ্ত রোদ প্রয়োজন এতে রোপণের পর ধানের গুণমান ভাল হয়।


সুস্থ ও সবল চারা পাওয়ার জন্য বীজ নির্বাচন এবং অঙ্কুরোদগম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

★ এখানে ধানের বীজের অঙ্কুরোদগমের জন্য কিছু টিপস রয়েছে:


★ ধানের বীজ ক্রয় আনার পর বীজ প্যাকেট হতে বের করে ৩-৫ দিনের জন্য ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন,

অথবা:- ১-২ দিনের জন্য সূর্যের আলোতে শুকিয়ে নিন |

অথবা:- ১-৪ ঘন্টা শুকিয়ে নিলে বীজের সুপ্ততা ভাঙবে এতে দ্রত অংকুরিত হবে।


• বীজ ধানের অপূর্ণ শষ্য / চিটা দানা অপসারণ করতে উইনোনিং বা পানিতে ভিজিয়ে পুষ্ট দানা বাছাই করে পরবর্তীতে বীজ শোধন করে ভিজিয়ে দিন |


• শক্ত খোসার কারণে অঙ্কুরোদগম বাড়ানোর জন্য ধানের বীজকে কয়েকদিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ ভিজানোর সময়কাল বাইরের বায়ুর তাপমাত্রা দ্বারা প্রভাবিত হয়। ১৪-২০°C এর মধ্যে বীজ ভিজিয়ে রাখতে ৪-৫দিন সময় লাগে; উচ্চ তাপমাত্রায়, যেমন ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ভেজানো সম্পূর্ণ করতে মাত্র ১-২ দিন সময় লাগে। বীজ যতটা সম্ভব প্রবাহিত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পানির উৎস না থাকলে দিনে ২-৩ বার পানি পরিবর্তন করতে হবে।


• বীজ ভিজিয়ে রাখার পর সেগুলো বের করে চটের বস্তা / নরম কাপড় এছাড়াও চটের বস্তা দিয়ে তার উপরে কচুর পাতা / কলার পাতা দিয়ে ধানের বীজগুলো মুড়িয়ে দিতে হবে তাহলে দ্রুত অংকুরিত হবে এছাড়াও ১৫-২০ সেন্টিমিটার চারা তৈরি হলে বীজতলায় বীজ বপন করতে পারেন |


মন্তব্য: বিশেষ করে শক্ত খোসা বা শক্তিশালী সুপ্ততা সহ কিছু ধানের বীজের জন্য, অঙ্কুরোদগম হার বাড়ানোর জন্য বীজ ভেজানোর সময় অ্যাসিটিক অ্যাসিড যোগ করা যেতে পারে। বীজ ভিজানোর জন্য ২০-গুণ মিশ্রিত গৃহস্থালী ফলের ভিনেগার বা চালের ভিনেগার যোগ করা সাহায্য করতে পারে।


★ ধানের বীজ শোধন করার নিয়ম:-

★ কারবেনডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক দিয়েও বীজ শোধন করা যায়। 

৩গ্রাম ছত্রাকনাশক ১লিটার পানিতে মিশিয়ে সেখানে ১কেজি ধান দিয়ে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে কয়েকঘন্টা রেখে দিলেই বীজ শোধন হয়ে যাবে |


প্রচারে:- কৃষি জানালা


#agriculture #নাঈম_এগ্রো_সীডস #ব্রিধান_১০৮ #rice #কৃষি #বোরোধানচাষ #বোরোধানচাষ

৩ ডিসেম্বর, শিল্পী নন্দলাল বসুর জন্মদিন। তাঁর সম্পর্কে লিখছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 ৩ ডিসেম্বর, শিল্পী নন্দলাল বসুর জন্মদিন। তাঁর সম্পর্কে লিখছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


জীবনীশক্তির এই অস্থিরতা নন্দলালের প্রকৃতিসিদ্ধ...


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


স্পিনোজা ছিলেন তত্ত্বজ্ঞানী, তাঁর তত্ত্ববিচারকে তাঁর ব্যক্তিগত পরিচয় থেকে স্বতন্ত্র করে দেখা যেতে পারে। কিন্তু যদি মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয় তবে তাঁর রচনা আমাদের কাছে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। প্রথম বয়সেই সমাজ তাঁকে নির্মমভাবে ত্যাগ করেছে কিন্তু কঠিন দুঃখেও সত্যকে তিনি ত্যাগ করেন নি। সমস্ত জীবন সামান্য কয় পয়সায় তাঁর দিন চলত; ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই তাঁকে মোটা অঙ্কের পেনসন দেবার প্রস্তাব করেছিলেন, শর্ত ছিল এই যে তাঁর একটি বই রাজার নামে উৎসর্গ করতে হবে। স্পিনোজা রাজি হলেন না। তাঁর কোনো বন্ধু মৃত্যুকালে আপন সম্পত্তি তাঁকে উইল করে দেন, সে সম্পত্তি তিনি গ্রহণ না করে দাতার ভাইকে দিয়ে দেন। তিনি যে তত্ত্বজ্ঞানী ছিলেন, আর তিনি যে মানুষ ছিলেন এ দুটোকে এক কোঠায় মিলিয়ে দেখলে তাঁর সত্য সাধনার যথার্থ স্বরূপটি পাওয়া যায়, বোঝা যায় কেবলমাত্র তার্কিক বুদ্ধি থেকে তার উদ্ভব নয়, তাঁর সম্পূর্ণ স্বভাব থেকে তার উপলব্ধি ও প্রকাশ।


শিল্পকলায় রসসাহিত্যে মানুষের স্বভাবের সঙ্গে মানুষের রচনার সম্বন্ধ বোধ করি আরো ঘনিষ্ঠ। সব সময়ে তাদের একত্র করে দেখবার সুযোগ পাই নে। যদি পাওয়া যায় তবে তাদের কর্মের অকৃত্রিম সত্যতা সম্বন্ধে আমাদের ধারণা স্পষ্ট হতে পারে। স্বভাবকবিকে স্বভাবশিল্পীকে কেবল যে আমরা দেখি তাদের লেখায়, তাদের হাতের কাজে তা নয়, দেখা যায় তাদের ব্যবহারে, তাদের দিনযাত্রায়, তাদের জীবনের প্রাত্যহিক ভাষায় ও ভঙ্গিতে।


চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর নাম আমাদের দেশের অনেকেরই জানা আছে। নিঃসন্দেহে আপন আপন রুচি মেজাজ শিক্ষা ও প্রথাগত অভ্যাস অনুসারে তাঁর ছবির বিচার অনেকে অনেক রকম করে থাকেন। এরকম ক্ষেত্রে মতের ঐক্য কখনো সত্য হতে পারে না, বস্তুত প্রতিকূলতাই অনেক সময়ে শ্রেষ্ঠতার প্রমাণরূপে দাঁড়ায়। কিন্তু নিকট থেকে নানা অবস্থায় মানুষটিকে ভালো করে জানবার সুযোগ আমি পেয়েছি। এই সুযোগে যে-মানুষটি ছবি আঁকেন তাঁকে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা করেছি বলেই তাঁর ছবিকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করতে পেরেছি। এই শ্রদ্ধায় যে-দৃষ্টিকে শক্তি দেয় সেই দৃষ্টি প্রত্যক্ষের গভীরে প্রবেশ করে।


নন্দলালকে সঙ্গে করে নিয়ে একদিন চীনে জাপানে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলুম। আমার সঙ্গে ছিলেন আমার ইংরেজ বন্ধু এল্‌ম্‌হর্স্ট। তিনি বলেছিলেন, নন্দলালের সঙ্গ একটা এডুকেশন। তাঁর সেই কথাটি একেবারেই যথার্থ। নন্দলালের শিল্পদৃষ্টি অত্যন্ত খাঁটি, তাঁর বিচার-শক্তি অন্তর্দর্শী একদল লোক আছে আর্টকে যারা কৃত্রিম শ্রেণীতে সীমাবদ্ধ করে দেখতে না পারলে দিশেহারা হয়ে যায়। এইরকম করে দেখা খোঁড়া মানুষের লাঠি ধরে চলার মতো, একটা বাঁধা বাহ্য আদর্শের উপর ভর দিয়ে নজির মিলিয়ে বিচার করা। এইরকমের যাচাই-প্রণালী ম্যুজিয়ম সাজানোর কাজে লাগে। যে জিনিস মরে গেছে তার সীমা পাওয়া যায়, তার সমস্ত পরিচয়কে নিঃশেষে সংগ্রহ করা সহজ, তাই বিশেষ ছাপ মেরে তাকে কোঠায় বিভক্ত করা চলে। কিন্তু যে আর্ট অতীত ইতিহাসের স্মৃতিভাণ্ডারের নিশ্চল পদার্থ নয়, সজীব বর্তমানের সঙ্গে যার নাড়ীর সম্বন্ধ, তার প্রবণতা ভবিষ্যতের দিকে; সে চলেছে, সে এগোচ্ছে, তার সম্ভূতির শেষ হয় নি, তার সত্তার পাকা দলিলে অন্তিম স্বাক্ষর পড়ে নি। আর্টের রাজ্যে যারা সনাতনীর দল তারা মৃতের লক্ষণ মিলিয়ে জীবিতের জন্যে শ্রেণীবিভাগের বাতায়নহীন কবর তৈরি করে। নন্দলাল সে জাতের লোক নন, আর্ট তাঁর পক্ষে সজীব পদার্থ। তাকে তিনি স্পর্শ দিয়ে দৃষ্টি দিয়ে দরদ দিয়ে জানেন, সেইজন্যই তাঁর সঙ্গ এডুকেশন। যারা ছাত্ররূপে তাঁর কাছে আসবার সুযোগ পেয়েছে তাদের আমি ভাগ্যবান বলে মনে করি - তার এমন কোনো ছাত্র নেই এ কথা যে না অনুভব করেছে এবং স্বীকার না করে। এ সম্বন্ধে তিনি তাঁর নিজের গুরু অবনীন্দ্রনাথের প্রেরণা আপন স্বভাব থেকেই পেয়েছেন সহজে। ছাত্রের অন্তর্নিহিত শক্তিকে বাহিরের কোনো সনাতন ছাঁচে ঢালাই করবার চেষ্টা তিনি কখনোই করেন না; সেই শক্তিকে তাঁর নিজের পথে তিনি মুক্তি দিতে চান এবং তাতে তিনি কৃতকার্য হন যেহেতু তাঁর নিজের মধ্যেই সেই মুক্তি আছে।


কিছুদিন হল, বোম্বায়ে নন্দলাল তাঁর বর্তমান ছাত্রদের একটি প্রদর্শনী খুলেছিলেন। সকলেই জানেন, সেখানে একটি স্কুল অফ আর্টস আছে, এবং এ কথাও বোধ হয় অনেকের জানা আছে, সেই স্কুলের অনুবর্তীরা আমাদের এদিককার ছবির প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করে লেখালেখি করে আসছেন। তাঁদের নালিশ এই যে, আমাদের শিল্পসৃষ্টিতে আমরা একটা পুরাতন চালের ভঙ্গিমা সৃষ্টি করেছি, সে কেবল সস্তায় চোখ ভোলাবার ফন্দি, বাস্তব সংসারের প্রাণবৈচিত্র্য তার মধ্যে নেই। আমরা কাগজেপত্রে কোনো প্রতিবাদ করি নি - ছবিগুলি দেখানো হল। এতদিন যা বলে তাঁরা বিদ্রূপ করে এসেছেন, প্রত্যক্ষ দেখতে পেলেন তার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ প্রমাণ। দেখলেন বিচিত্র ছবি, তাতে বিচিত্র চিত্তের প্রকাশ, বিচিত্র হাতের ছাঁদে, তাতে না আছে সাবেক কালের নকল না আছে আধুনিকের; তা ছাড়া কোনো ছবিতেই চল্‌তি বাজারদরের প্রতি লক্ষ্যমাত্র নেই।


যে নদীতে স্রোত অল্প সে জড়ো করে তোলে শৈবালদামের ব্যূহ, তার সামনের পথ যায় রুদ্ধ হয়ে। তেমন শিল্পী সাহিত্যিক অনেক আছে যারা আপন অভ্যাস এবং মুদ্রাভঙ্গির দ্বারা আপন অচল সীমা রচনা করে তোলে। তাদের কর্মে প্রশংসাযোগ্য গুণ থাকতে পারে কিন্তু সে আর বাঁক ফেরে না, এগোতে চায় না, ক্রমাগত আপনারই নকল আপনি করতে থাকে, নিজেরই কৃতকর্ম থেকে তার নিরন্তর নিজের চুরি চলে।


আপন প্রতিভার যাত্রাপথে অভ্যাসের জড়ত্ব দ্বারা এই সীমাবন্ধন নন্দলাল কিছুতেই সহ্য করতে পারেন না আমি তা জানি। আপনার মধ্যে তাঁর এই বিদ্রোহ কতদিন দেখে আসছি। সর্বত্রই এই বিদ্রোহ সৃষ্টিশক্তির অন্তর্গত। যথার্থ সৃষ্টি বাঁধা রাস্তায় চলে না, প্রলয়শক্তি কেবলই তার পথ তৈরি করতে থাকে। সৃষ্টিকার্যে জীবনীশক্তির এই অস্থিরতা নন্দলালের প্রকৃতিসিদ্ধ। কোনো একটা আড্ডায় পৌঁছে আর চলবেন না, কেবল কেদারায় বসে পা দোলাবেন, তাঁর ভাগ্যলিপিতে তা লেখে না। যদি তাঁর পক্ষে সেটা সম্ভবপর হত তা হলে বাজারে তাঁর পসার জমে উঠত। যারা বাঁধা খরিদ্‌দার তাদের বিচারবুদ্ধি অচল শক্তিতে খুঁটিতে বাঁধা। তাদের দর-যাচাই প্রণালী অভ্যস্ত আদর্শ মিলিয়ে। সেই আদর্শের বাইরে নিজের রুচিকে ছাড়া দিতে তারা ভয় পায়, তাদের ভালো লাগার পরিমাণ জনশ্রুতির পরিমাণের অনুসারী। আর্টিস্টের কাজ সম্বন্ধে জনসাধারণের ভালো লাগার অভ্যাস জমে উঠতে সময় লাগে। একবার জমে উঠলে সেই ধারার অনুবর্তন করলে আর্টিস্টের আপদ থাকে না। কিন্তু যে আত্মবিদ্রোহী শিল্পী আপন তুলির অভ্যাসকে ক্ষণে ক্ষণে ভাঙতে থাকে, আর যাই হোক, হাটে-বাজারে তাকে বারে বারে ঠকতে হবে। তা হোক, বাজারে ঠকা ভালো, নিজেকে ঠকানো তো ভালো নয়। আমি নিশ্চিত জানি, নন্দলাল সেই নিজেকে ঠকাতে অবজ্ঞা করে, তাতে তাঁর লোকসান যদি হয় তো হোক। অমুক বই বা অমুক ছবি পর্যন্ত লেখক বা শিল্পীর উৎকর্ষের সীমা - বাজারে এমন জনরব মাঝে মাঝে ওঠে, অনেক সময়ে তার অর্থ এই দাঁড়ায় যে, লোকের অভ্যস্ত বরাদ্দে বিঘ্ন ঘটেছে। সাধারণের অভ্যাসের বাঁধা জোগানদার হবার লোভ সামলাতে না পারলে সেই লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। আর যাই হোক সেই পাপলোভের আশঙ্কা নন্দলালের একেবারেই নেই। তাঁর  লেখনী নিজের অতীত কালকে ছাড়িয়ে চলবার যাত্রিণী। বিশ্বসৃষ্টির যাত্রাপথ তো সেই দিকেই, তার অভিসার অন্তহীনের আহ্বানে।


আর্টিস্টের স্বকীয় আভিজাত্যের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর চরিত্রে তাঁর জীবনে। আমরা বারংবার তার প্রমাণ পেয়ে থাকি নন্দলালের স্বভাবে। প্রথম দেখতে পাই আর্টের প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ নির্লোভ নিষ্ঠা। যদি বিষয়বুদ্ধির দিকে তাঁর আকাঙক্ষার দৌড় থাকত, তা হলে সেই পথে অবস্থার উন্নতি হবার সুযোগ তাঁর যথেষ্ট ছিল। প্রতিভার সাচ্চাদাম-যাচাইয়ের পরীক্ষক ইন্দ্রদেব শিল্প-সাধকদের তপস্যার সম্মুখে রজত নূপুরনিক্কণের মোহজাল বিস্তার করে থাকেন, সরস্বতীর প্রসাদস্পর্শ সেই লোভ থেকে রক্ষা করে, দেবী অর্থের বন্ধন থেকে উদ্ধার করে সার্থকতার মুক্তিবর দেন। সেই মুক্তিলোকে বিরাজ করেন নন্দলাল, তাঁর ভয় নেই।


তাঁর স্বাভাবিক আভিজাত্যের আর-একটি লক্ষণ দেখা যায়, সে তাঁর অবিচলিত ধৈর্য। বন্ধুর মুখের অন্যায় নিন্দাতেও তাঁর প্রসন্নতা ক্ষুণ্ন হয় নি তার দৃষ্টান্ত দেখেছি। যারা তাঁকে জানে এমনতরো ঘটনায় তারাই দুঃখ পেয়েছে, কিন্তু তিনি অতি সহজেই ক্ষমা করতে পেরেছেন। এতে তাঁর অন্তরের ঐশ্বর্য সপ্রমাণ করে। তাঁর মন গরীব নয়। তাঁর সমব্যবসায়ীর কারো প্রতি ঈর্ষার আভাসমাত্র তাঁর ব্যবহারে প্রকাশ পায় নি। যাকে যার দেয় সেটি চুকিয়ে দিতে গেলে নিজের যশে কম পড়বার আশঙ্কা কোনোদিন তাঁকে ছোটো হতে দেয় নি। নিজের সম্বন্ধে ও পরের সম্বন্ধে তিনি সত্য; নিজেকে ঠকান না ও পরকে বঞ্চিত করেন না। এর থেকে দেখতে পেয়েছি নিজের রচনায় যেমন, নিজের স্বভাবেও তিনি তেমনি শিল্পী, ক্ষুদ্রতার ত্রুটি স্বভাবতই কোথাও রাখতে চান না।


শিল্পী ও মানুষকে একত্র জড়িত করে আমি নন্দলালকে নিকটে দেখেছি। বুদ্ধি, হৃদয়, নৈপুণ্য অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টির এরকম সমাবেশ অল্পই দেখা যায়। তাঁর ছাত্র, যারা তাঁর কাছে শিক্ষা পাচ্ছে, তারা এ কথা অনুভব করে এবং তাঁর বন্ধু যারা তাঁকে প্রত্যহ সংসারের ছোটো বড়ো নানা ব্যাপারে দেখতে পায় তারা তাঁর ঔদার্যে ও চিত্তের গভীরতায় তাঁর প্রতি আকৃষ্ট। নিজের ও তাঁদের হয়ে এই কথাটি জানাবার আকাঙক্ষা আমার এই লেখায় প্রকাশ পেয়েছে। এরকম প্রশংসার তিনি কোনো অপেক্ষা করেন না, কিন্তু আমার নিজের মনে এর প্রেরণা অনুভব করি।


(বিচিত্রা, চৈত্র, ১৩৪০)

জীবনানন্দ দাশ তাঁর ডায়েরিতে লিখছেন:,,, জীবনানন্দদাশ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জীবনানন্দ দাশ তাঁর ডায়েরিতে লিখছেন:


'যখন আমি আমার পরিত্যক্ত ছোট্ট মেয়েটির কথা ভাবি,উদলা,টুরটুর করে হাঁটছে, এবং সকলের দিকে তাকাচ্ছে, যেখানে সব্বাই সহানুভূতিহীন, আমার চোখের জল বাধ মানে না।'


কবিতায় লিখছেন:


'আমার এ ছোটো মেয়ে --সব শেষ মেয়ে এই

শুয়ে আছে বিছানার পাশে--...

ভুলে যাই ওর কথা --আমার প্রথম মেয়ে সেই

মেঘ দিয়ে ভেসে আসে যেন

বলে এসে:'বাবা,তুমি ভালো আছো? ভালো আছো?---ভালবাস?'

হাতখানা ধরি তার:ধোঁয়া শুধু

কাপড়ের মতো শাদা মুখখানা কেন!...

তবু তারে চাই আমি --তারে শুধু--পৃথিবীতে আর কিছু নয়...'


চিদানন্দ দাশগুপ্তকে চিঠিতে দুঃখ করে  সন্তানের পরীক্ষায় ব্যর্থতার কথা জানাচ্ছেন।নিজের সন্তান কুশ্রী  হওয়ার জন্য নিজের চেহারাকে দায়ী করছেন।


মেয়ে মঞ্জুশ্রী (১৯৩১-৯৫) যেন কক্ষপথ হারা কোনও গ্রহ।জীবনটাকে কোনওদিনই জুতসই করে বুনতে পারলেন না।ট্রেন থেকে নামার সময় ভুলে গিয়ে বাবার অনেকগুলো খাতা হারিয়ে ফেললেন, অনেক খাতা বন্ধুবান্ধবদের দিয়ে আর ফেরত নিলেন না। 


আবার বাবাকে নিয়ে পি.এইচ.ডি.ও শুরু করলেন।থিসিসটা পড়তে পড়তে বুকে পাথর চেপে বসে। দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে মৃত বাবার সম্পর্কে সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করছেন।


বাবার মতো কোনও চাকরিই টিকিয়ে রাখতেন পারতেন না।জার্মানির বন শহর থেকে কাশ্মীর-পঞ্জাব কোথাও থিতু হতে পারেননি।সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে বাংলা অকাদেমি থেকে রবীন্দ্র ভারতী কোথায় না চাকরি করেছেন!ব্যক্তিগত জীবনে অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও, এমনকি বিয়ে করলেও, কোথাও স্থায়ীভাবে নোঙর ফেলতে পারেননি। কবিতা লিখতেন যে মেয়েটি!


বাউলমনে মঞ্জুশ্রী যেদিন মারা গেলেন,শুনেছি সামান্য টাকার জন্য তাঁকে দাহ করা যাচ্ছিল না। শ্রদ্ধেয় সুমিতা চক্রবর্তীর সহযোগিতায় তা শেষ অবধি সম্পন্ন হয়।


হ্যাঁ, জীবনানন্দ দাশের মেয়ের এই করুণ পরিণতি। ছেলে তো আগেই কোনও মানসিক কেন্দ্র হয়ে পিজি হাসপাতালে  রোগভোগে মারা গেছেন।


কবির বড়ো আদরের মেয়ে ছিল মঞ্জু।ডায়েরির পাতায় পাতায় তার সাক্ষ্য। 


কে একটি ছোট মেয়ে 'বাবা''বাবা' ব'লে ডাকে...মঞ্জুর মতো শোনায়।


শাদা চাদরের মতো বাতাসেরে জড়াল সে একবার...


সংগৃহিত

কখনো বিষ্ণু দে , কখনো যামিনী রায় , এই  নিয়ে তর্কটা চলতো' ..... দুটি পাতা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 'কখনো বিষ্ণু দে , কখনো যামিনী রায় , এই  নিয়ে তর্কটা চলতো' .....


যতদিন বাঙালি থাকবে, থাকবে তাদের কবিতা-কফি হাউজ এবং থাকবেন তিনি…


আজ কবি বিষ্ণু দে'র ৪৩-তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। 


নামে হিন্দু ত্রিদেবতার একজন ৷ ব্যক্তিগত জীবনে গভীর ভাবে প্রভাবিত মার্ক্সীয় দর্শনে ৷ রবীন্দ্রোত্তর যুগে বাংলা সাহিত্যে কল্লোল গোষ্ঠীর অন্যতম বলিষ্ঠ কলম তিনি ৷ তিনি কবি বিষ্ণু দে।


বিখ্যাত শ্যামাচরণ দে বিশ্বাসের (কলেজস্ট্রিট , বইপাড়ার শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট) পরিবারে জন্ম ৷


বিষ্ণু দে শুধু একজন প্রখ্যাত কবি নন ৷ আধুনিক ও উত্তর আধুনিক যুগে তিনি ছিলেন গদ্যকার,অনুবাদক, শিক্ষাবিদ এবং শিল্প সমালোচক ৷  


তিনি বাংলা সাহিত্যে একের পর এক ফুল ফুটিয়েছেন ৷ আর অধ্যাপনা করেছেন ইংরেজি সাহিত্যের ৷


দেশজ এবং বিশ্বসাহিত্যের ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটেছিল তাঁর কাব্যে ৷ একদিকে ইউরোপীয় আধুনিক কবিদের প্রভাব , অন্যদিকে মার্ক্সীয় দর্শন ও বিশ্বাস ৷ তবে জীবনের এক পর্বে দোলাচলে কাটিয়েছেন কমিউনিস্ট নেতাদের প্রতি আস্থাহীনতা থেকেও ; যা ধরা পড়েছে তাঁর বেশ কিছু কবিতায় ৷


রাজনৈতিক-সামাজিক সচেতনতা লৌকিক জীবনচর্চা ইতিহাসবোধ‚ বিশ্ব ও মানবিকবোধ তাঁর কবিতার প্রধান উপজীব্য ৷ তাঁর কাব্যগ্রন্হ  'স্মৃতি সত্ত্বা ও ভবিষ্যৎ বাংলা কাব্যে নতুন ধারার সূচনা করে ৷ এই রচনাই ১৯৬৫ সালে এনে দেয় সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৭১ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার ৷


দেশভাগ পরবর্তী সময়ে ১৯৪৭ সালে কলকাতার নামী সাহিত্যিকদের সঙ্গে মিলে গড়ে তোলেন Anti-Fascist Writers and Artists Association ; সেইসঙ্গে যুক্ত ছিলেন Calcutta Group Centre, Soviet Friendship Association, Pragati Lekhak Shilpi Sangha, Indian People's Theatre Association-এর সঙ্গেও ৷


চিত্রশিল্পী যামিনী রায় ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ৷ সেই সখ্যতা থেকেই কবির কলম হয়ে ওঠে চিত্র সমালোচক ৷ বিষ্ণু দে লেখেন বেশ কিছু অন্যধারার বই ৷ ১৯৫৮ সালে ‘The Paintings of Rabindranath Tagore’‚ ১৯৫৯ সালে ‘India and Modern Art’ এবং  ‘Art of Jamini Roy’ .


১৯৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রয়াত হন ৭৩ বছর বয়সে ৷


যতদিন বাঙালি থাকবে‚ থাকবে তাদের কফি হাউজ এবং বিষ্ণু দে ৷ তিনিই তো আমাদের আধুনিক বৈষ্ণব পদাবলীকার ৷ যে পদাবলীতে সবার উপরে কাব্যপ্রেম সত্য

বাবারাও সিঙ্গেল মাদার হয়....,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে সবেমাত্র নিজের ঘরে এসে ফ্যানটা চালিয়ে বসেছি। এমন সময়  রুপু এসে আমার গলা জড়িয়ে ধরে ঝুলে পড়ল। রুপু হল রূপকথা, আমার ছয় বছরের ভাইঝি। বাড়ির সকলের চোখের মণি। আমি ভ্রু তুলে জিজ্ঞাসা করলাম - " কি খবর রুপু সোনা? আজ সারাদিন  কতটা দুষ্টুমি করেছ শুনি একটু?" 

সে যেন এই প্রশ্নের অপেক্ষাতেই ছিল। আধো আধো করে বলল - " শোনো পিপি, পাপাকে বলে দিও,পাপার সঙ্গে আমার কোনো কথাই নেই। পাপার সঙ্গে আড়ি আড়ি আড়ি, কাল যাব বাড়ি করে দিয়েছি"।

আমি ছদ্ম আশ্চর্য হওয়ার অভিনয় করে বললাম " আচ্ছা ! এ তো ভীষণ বড় ধরনের সমস্যা মনে হচ্ছে ! তা কি হয়েছে সেটা তো বলো। আড়ি কেন বাবার সঙ্গে?"

এমন সময় আমার মা ঢুকল, হাতে একটা কাঁচের গ্লাসে দুধ নিয়ে। রুপু দেখেই ঘরময় ছুটোছুটি শুরু করে দিল।দুধ তার ভারী অপছন্দ। মা বলল, " দেখেছিস তো, সারাটাদিন আমার ওপর দিয়ে কি যে যায় ! সত্তর পেরিয়ে গেছে আমার, সারা শরীরে ব্যথা শূলো,রোগবালাই, নানানরকম টেনশন নিয়ে আর পারি বল্ এই মেয়ে নিয়ে দৌড়োদৌড়ি করতে? আমার কি আর সে বয়স আছে? নিজের মা তো গা ঝেড়ে ফেলে দিব্যি দায়সারা হয়ে গেল, আর আমার হয়েছে যত্ত জ্বালা...সেই বিকেল থেকে এই দুধের গ্লাস নিয়ে ঝামেলা চলছে। বাবু স্কুল থেকে এসে একটু জোর গলায় বকতেই মেয়ের রাগ হয়ে গেছে! এইটুকু মেয়ের বেলায় নেই, রাগের ঠেলায় জগত অন্ধকার !"

মায়ের কথা শেষ না হতেই রুপু ঘাড় ঘুড়িয়ে এদিকে ফিরল। পায়ে পায়ে খাটের পিছন থেকে আমার কোলের কাছে এসে দাঁড়িয়ে বলল - " থাম্মাম?ও থাম্মাম, দুধটা দাও। আমি আর দুষ্টু করব না।" বলে মায়ের থেকে গ্লাসটা নিয়ে একহাতে নাক টিপে কোনোরকমে দুধটা গলাধঃকরণ করল। আমি বুঝতে পারলাম কি তীব্র সেনসিটিভ হয়ে গেছে একরত্তি মেয়েটা! কিছু বোঝেনা, কিছু জানেনা, অথচ মায়ের নাম শুনে একটা অপরাধবোধ কাজ করে নিজের প্রতি.....। 

মা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে ওকে কোলের কাছে টেনে নিলাম, মাথায় হাত বুলিয়ে আস্তে আস্তে জিজ্ঞেস করলাম, " রুপুসোনার কি মায়ের কথা মনে পড়ছে? একটু কথা বলবে নাকি মায়ের সঙ্গে?ফোন করে দেব?" 

মেয়েটা জোরে জোরে মাথা নেড়ে  বলল " না না পিপি, বাবা বকা দেবে। আর মা তো আমার সঙ্গে ভালো করে কথা বলেনা। মা কোনোদিন আমাকে ফোনও করে না।" কিছুক্ষণ মাটির দিকে তাকিয়ে থেকে আবার বলল, "পিপি আমার স্কুলে গেলে না মায়ের জন্য খুব মনকেমন করে জানো। স্কুলে সবার মা নিতে আসে। আমার তো দাদুন যায়। হ্যাপি বার্থ ডে তে আমার মা- কে খুব দেখতে ইচ্ছে করে"..বলে ঠোঁট ফোলাতে গিয়েও সামলে নিল...আমিও দীর্ঘশ্বাসটা চেপে গেলাম। মেয়েটা কবে এত বড় হল!

আমরা দুই ভাইবোন। দাদা আমার থেকে আট বছরের বড়, হাইস্কুল টিচার। বিয়ে হয়েছিল  প্রায় বছর দশেক আগে। বৌদি প্রফেশনালি  থিয়েটার করত।ষ্টেজ শো, রিহার্শাল, ওয়ার্কশপ, দূর দূরান্তে শো করার জন্য জন্মের পর থেকেই রুপু প্রায় মা ছাড়া। প্রফেশনের পাশাপাশি প্যাশন বলে আমরাও বৌদিকে সবসময় সাপোর্ট দিতাম।  দাদাই মেয়েকে প্রায় একা হাতে সামলেছে।মা বিরক্ত হত বলে মেয়ের সমস্ত দায়িত্ব দাদা খুশিমনে পালন করত।ওর খাবার তৈরী করা থেকে খাবার খাওয়ানো,ন্যাপি বদলানো থেকে ফিডিং বোতল পরিষ্কার করা, রাতের পর রাত জাগা, জ্বোরো কপালে জলপট্টি দিয়ে, সারারাত টেম্পারেচার মেপে সকালে ঘুম চোখে উঠে নাকেমুখে গুঁজে স্কুলে দৌড়ত। হাঁসফাঁস করে ফিরেই আবার মেয়ে নিয়ে পড়ে থাকত। ওর জ্বর,পেটব্যথা,বদহজমে কোথায় কখন কি ওষুধ আছে, কোনটা দরকার সব ছিল  দাদার কণ্ঠস্থ। টলমল পায়ে মেয়েকে হাঁটতে শেখানো থেকে শুরু করে ঘোড়া ঘোড়া খেলায় ঘোড়া হওয়া, মেয়ের হাতেখড়ি দেওয়ানো থেকে সরস্বতী পুজোয় প্রথম শাড়ি পড়ানো,চুল বেঁধে দেওয়া সবতেই দাদা সিদ্ধহস্ত। মেয়েরা তো মাতৃত্বকালীন ছুটি থেকে শুরু করে চাইল্ড কেয়ার লিভের সুবিধা পায়। কিন্তু বাবা আর মায়ের জোড়াদায়িত্বের মধ্যে পড়ে দাদাকে কখনও কখনও হাফ পে লিভ নিয়েও সামলাতে হয়েছে।  সারাদিন ক্লাস করে স্কুল থেকে সন্ধ্যায় ফিরে মাঝরাত পর্যন্ত যখন গল্প বলে ঘুম পাড়াত,তখন বৌদির প্রোডাকশনের গাড়ি দাঁড়াত দরজার সামনে। গাড়ির শব্দে প্রায় ঘুমিয়ে যাওয়া মেয়ে জেগে উঠে দৌড়ে যেত সদর দরজায়। কিন্তু সারাদিন পর একরত্তি মেয়েটা মায়ের একটু আদর পেতে চেয়েও পেত শুধু বকাবকি, অবজ্ঞা আর অবহেলা। মুখ চুন করে ফিরত বাবার সঙ্গে শোওয়ার ঘরে। তারপর ভোররাত পর্যন্ত আমরা শুনতে পেতাম দুজনের তর্কাতর্কি,দোষারোপ। এভাবেই একসময় বোঝা গেল আর চলছেনা। 'দ্য ম্যারেজ ইস ওভার' বলে বৌদি আলাদা হয়ে চলে গেল অন্য ফ্ল্যাটে, অন্য জীবনে, মেয়ের জন্য বিন্দুমাত্র ভাবনা না রেখে, মাতৃত্বের একফোঁটা দাবী না করেই....কিন্তু ম্যারেজ ওভার হলেও মেয়েকে ফেলে দিতে পারেনি তার বাবা।ঐ মেয়ে আঁকড়ে পরে রইল দাদা। 

  কলিং বেলের শব্দে আমার চিন্তার তাল কাটল। উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম। দাদা বাজার করে ফিরেছে। সকালে আমরা দুজনেই বেরই বলে মা কে বাজারটা রাতেই করে দিতে হয়। দেখলাম দাদার গায়ের টি শার্ট ঘামে ভিজে জবজবে, চোখমুখ লাল হয়ে গেছে। দাদা ব্যাগটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে একটা মিল্কি বার নিয়ে রুপুকে দিতে গেল। রুপু ঠোঁট ফুলিয়ে পিছনে ঘুরে দাঁড়াল। দাদাও নাছোড়বান্দা। একটুও রেগে না গিয়ে,একফোঁটাও ধৈর্য্য না হারিয়ে ঠিক এদিক সেদিক করে বুঝিয়ে মেয়েকে কাছে টেনে নিল। কিছুক্ষণ পর আমি রান্নাঘরে চা করতে করতে শুনতে পেলাম বাপ - বেটির খলবল করে কথা বলার আওয়াজ। মান-অভিমান ভাঙার পালা চলছে তাহলে......

প্রচণ্ড  ভালোলাগা আর শান্তিতে মনটা হঠাৎ যেন ভালো হয়ে গেল। আমাদের চারপাশে কত মা আছে যারা সন্তানকে মানুষ করছে একেবারে একা হাতে, একার জোরে। তাদের গল্প তো হামেশাই হয়। কিন্তু যেসব বাবারা নীরবে নিশ্চুপে মায়ের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে একান্তে, তারা খবরে আসেনা। মা গর্ভধারণ করে আর পৃথিবীর আলো দেখায় বলেই সে মা, এটা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু শুধু জন্ম দিলেই তো মা হওয়া যায় না! বরং তার পরবর্তী কর্মগুলোর মধ্যে দিয়েই আস্তে আস্তে মা হয়ে উঠতে হয়। তাই সেইসব বাবাদের সিঙ্গেল ফাদার নয় বরং  সিঙ্গেল মাদার বলা হোক, যারা মায়ের মত কঠিন কাজকেও সহজ করে নিয়েছে শুধুমাত্র সন্তানকে ভালোবেসে.....কথায় বলে, মা হওয়া কি মুখের কথা!!

ছোট ছোট ফুলগুলো তো পৃথিবীতে নিজেরা আসেনি, আনা হয়েছে বলেই না ওরা এসেছে। পৃথিবীকে রঙিন করেছে। ওদের ভালোবাসুন। সেইসব বাবাদের পাশে থাকুন।কারণ সত্যিই মা হওয়া মুখের কথা নয়।আমরা সবাই দূরে ঠেলে দিলে ওরা যে অসহায় হয়ে যাবে। মরে যাবে সবুজ শৈশবটা। নিজেদের সমস্যা,জটিলতার দায়ভার ওদের ওপর চাপাবেন না। ওদের কাঁধ যে বড্ড নরম। বড্ড অপরিনত। ওরা বইতে পারবেনা। এরাই একদিন মহীরুহ হয়ে বৃদ্ধ বয়সে ছায়া দেবে আপনাকে আমাকে... আমাদের সকলকে।


.বাবারাও সিঙ্গেল মাদার হয়....

🖋 কলমে পার্বতী মোদক

শঙ্খমালা — জীবনানন্দ দাশ 

 শঙ্খমালা

— জীবনানন্দ দাশ 


কান্তারের পথ ছেড়ে সন্ধ্যার আঁধারে

সে কে এক নারী এসে ডাকিল আমারে,

বলিল, তোমারে চাই: বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ

খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি— কুয়াশার পাখ্‌নায়—

সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে-আলোক

জোনাকির দেহ হ‌তে— খুঁজেছি তোমাকে সেইখানে—

ধূসর পেঁচার মতো ডানা মেলে অঘ্রাণের অন্ধকারে

ধানসিড়ি বেয়ে-বেয়ে

সোনার সিঁড়ির মতো ধানে আর ধানে

তোমারে খুঁজেছি আমি নির্জন পেঁচার মতো প্রাণে।


দেখিলাম দেহ তার বিমর্ষ পাখির রঙে ভরা:

সন্ধ্যার আঁধারে ভিজে শিরীষের ডালে যেই পাখি দেয় ধরা—

বাঁকা চাঁদ থাকে যার মাথার উপর,

শিং-এর মতন বাঁকা নীল চাঁদ শোনে যার স্বর।


কড়ির মতন শাদা মুখ তার,

দুইখানা হাত তার হিম;

চোখে তার হিজল কাঠের রক্তিম

চিতা জ্বলে: দখিন শিয়রে মাথা শঙ্খমালা যেন পুড়ে যায়

সে-আগুনে হায়।


চোখে তার

যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার;

স্তন তার

করুণ শঙ্খের মতো— দুধে আৰ্দ্র— কবেকার শঙ্খিনীমালার;

এ-পৃথিবী একবার পায় তারে, পায়নাকো আর।

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...