এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫

এক লাফেই পার হওয়া যায় যে নদীর, বলছি উত্তরের ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে হুয়ালাই নদীর কথা। পৃথিবীর সবচেয়ে সরু নদী হিসেবে অফিসিয়াল স্বীকৃতি আছে যার

 এক লাফেই পার হওয়া যায় যে নদীর, বলছি উত্তরের ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে হুয়ালাই নদীর কথা। পৃথিবীর সবচেয়ে সরু নদী হিসেবে অফিসিয়াল স্বীকৃতি আছে যার। এর গড় প্রস্থ ১৫ সেন্টিমিটার। সবচেয়ে সরু পয়েন্টটি মাত্র ৪ সেন্টিমিটার চওড়া। তবে লম্বায় গুনে গুনে ১৭ কিলোমিটার।


নদী হতে যেসব শর্ত মানতে হয়, সেগুলো মেনেই নদীর মর্যাদা পেয়েছে হুয়ালাই। এক লাফে পার হওয়া যায় বলে এটাকে খাটো করে দেখার জো নেই। কারণ চীনা বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০ হাজার বছর ধরে হুয়ালাইতে পানির প্রবাহ একই রকম আছে। মাটির তলায় থাকা একটি স্রোত থেকেই এ নদীর উৎপত্তি। এরপর থেকে কখনই এর প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়নি, নদী শুকিয়েও যায়নি। নদীর পানি এঁকে বেঁকে গিয়ে পড়েছে হেক্সিগট্যান গ্রাসল্যান্ড ন্যাচার রিজার্ভের দালাই নুর লেকে।


সারাবছরই হুয়ালাইতে স্রোত থাকে। গভীরতা গড়পড়তায় ৫০ সেন্টিমিটার হলেও এর পানি একদম স্বচ্ছ। যা দিয়ে আশপাশে সেচের কাজ তো হয়ই, বুনো প্রাণীরাও আসে এর স্রোত থেকে পান করতে।






বাঙালি scandal-কে খুব ভয় করে । ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বাঙালি scandal-কে খুব ভয় করে ।


লক্ষ্য করলে দেখবেন, বাঙালিরা সবচেয়ে বেশি রোম্যান্টিক। ঘন ঘন প্রেমে পড়ে। ঘন ঘন ছ্যাঁকা খায়। ছ্যাঁকা খেলেই বাঙালি ছেলেরা রবীন্দ্রনাথ আর বাঙালি মেয়েরা তসলিমা নাসরিন হয়ে যায় । 


ছেলেদের কলমে তখন কান্না, আর মেয়েরা হয়ে ওঠে মারাত্মক পুরুষবিদ্বেষী। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে । কিন্তু ওই যে বলে – exception is not the example !


বাঙালিরা আসলে ভীতু জাতি । বাঙালিরা ভীষণ ইমেজের পরোয়া করে। যেমন, সিগারেট খাওয়া ছবি পোস্ট করবো বাড়ির বড়োরা কি ভাববে – এদিকে দেখা যাচ্ছে বড়োদের থোড়াই কেয়ার করে !


প্রেমিকার হাত ধরে ঘুরবো কে কি ভাববে – যেন মনে হয় দু'জনে খোলা রাস্তায় সেক্স করছে। একজন বিয়ে করা মেয়ে বা বিয়ে করা ছেলের প্রেমে পড়বো – লোকজন ছিঃ ছিঃ করবে। আর কিছু হলেই খালি বলবে– আমাদের সংস্কৃতিতে এসব নেই !


কার মেয়ে কার সাথে প্রেম করে (মেয়েটা উচ্ছন্নে গেছে), কার ছেলে পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খায় (বড়দের সামনে কিন্তু খাচ্ছে না আর সিগারেট একটি নিষিদ্ধ উপাদান নয়), কার বউ সারাদিন স্মার্ট ফোনে ব্যস্ত (ধরেই নেওয়া হলো কারো সাথে লটঘট চলছে), কে আজ একটু খোলামেলা পোশাকে বাইরে বেরোলো (মেয়েটা এক নম্বরের *****), বিবাহিত পুরুষ বা বিবাহিতা নারীর সাথে প্রেম (সংসার ভাঙছে) -ইত্যাদি বিষয়ে সবসময় কান খাড়া । 


‘আমাদের সময় এরকম ছিল না’ বলা লোকটিও দেখা যায় রাস্তায় হাঁটার সময় ছোট পোশাক পরা মেয়ে দেখে দিশা হারিয়ে ফেলে। 


রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরীর প্রেমকে জোর করে অস্বীকার করে দেওর-বৌদির স্নেহ প্রমাণ করবে, আর নিজেদের হাজার হাজার ইচ্ছেকে দমন করে রাখবে শুধু কেচ্ছা হবে এই ভয়ে।


খুব কম পুরুষ কোনও লাস্যময়ী মেয়েকে দেখলে নির্লিপ্ত থাকে, খুব কম পুরুষ ভিড়ে কোনও মেয়ের খোলা পিঠে, খোলা হাতে, খোলা কাঁধে বা কায়দা করে খোলা ঊরুতে চোখ না দিয়ে পারে না, খুব কম পুরুষ বিয়ের এক দশক পরেও স্ত্রী'র প্রতি একটা বন্য উন্মাদনা অনুভব করে – কিন্তু কেউ মুখে স্বীকার করবে না। তাহলে এমন জিনিস করা কেন যা স্বীকার করা যায় না ? এহেন নারীর সংখ্যাও কম নয় ।


“তোমায় খুব ভাল লাগে” বলে কায়দা করে তার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা না করে কিংবা “তোমায় ভালোবাসি” এরকম মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিছানায় শোয়ার ভান না করে সরাসরি বলতে শিখুন “আমার তোমার সাথে শুতে ইচ্ছে করছে”। সেটা অপরাধ নয়, পাপ নয়, অন্যায় নয়। 


শরীরের ইচ্ছে শরীরের চাহিদা শরীরের খিদেকে অস্বীকার না করে বরং সেটা মেনে নিন – বিকৃতি আসবে না।


আসলে আমরা জানিই না আমাদের সংস্কৃতি কাকে বলে। ভারতীয়দের এই সমস্যা আছে, বাঙালিদের আরও বেশি। পাশের বাড়িতে কি হচ্ছে আড়ি পেতে শোনা অথবা পর্দার আড়াল দিয়ে দেখা আমাদের অভ্যেস। আবার নিজের কিছু হলে আপ্রাণ ঢেকে রাখতে আমরা মরিয়া। কারণ লোকের কাছে মানহানী হওয়ার ভয়। 


আমরা কেমন যেন ভীতু, double standard ! যদি স্বীকার করতেই না পারলাম তাহলে কীসের সততা ? ধূমপান করা, মদ খাওয়া, রেড লাইট এরিয়াতে যাওয়া, সুন্দরী লাস্যময়ী কারো প্রেমে পড়া কিংবা সুপুরুষ কারো প্রেমে পড়া, হাত ধরে হাঁটা– যদি সাহস না থাকে তাহলে না করাই বাঞ্ছনীয় ।


আজকের টেক স্যাভি যুগে বাঙালি যেন ক্রমেই খোলসে ঢুকে যাচ্ছে । এখনো নাকি বাঙালিরা live in করতে গেলে ভয়ে কাঁপে, বান্ধবীকে বাড়ি নিয়ে আসার ভয়ে হিসি করে দেয় – আসলে সবেতেই কাজ করে পাপবোধ। সবেতেই ভাবে “খুব খারাপ কাজ করছি” – তবুও করে – আর যে কোনও বস্তুকেই রঙিন করে তোলার বদলে করে তোলে কলঙ্কিত। এটাই সমস্যা।


বুক চিতিয়ে কথা বলা, বুক চিতিয়ে দুঃসাহস দেখানো, বুক চিতিয়ে তথাকথিত scandalous হয়ে গর্বিত হওয়ার মতো বাঙালি দিনদিন কমে যাচ্ছে। বাঙালি দিনদিন ভীতু হচ্ছে, কাপুরুষ হচ্ছে, ভণ্ড হচ্ছে। এমন এক প্রেমিক জাতি বিপ্লবী জাতির এমন সঙ্কোচন – সত্যিই কষ্ট দেয় !


--সংগৃহিত

ছন্দে ছন্দে ৬৪ জেলার নাম.. ফেরদৌস আহমেদ ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ছন্দে সুরে বলছি আমি সকল জেলার নাম

তাল মেলাতে সবার আগে আসলো কুড়িগ্রাম। 


প্রধান জেলা ঢাকা থেকে একটুখানি দূর

এক জেলার নাম নরসিংদী আর একটা গাজীপুর । 


জয়পুরহাট ও লালমনিরহাট দুইটা জেলার নাম

রাজশাহীর নাম উজ্জ্বল করছে মিষ্টি স্বাদের আম। 


পাহাড় ঘেরা বান্দরবান ও সিলেট খাগড়াছড়ি

ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে এই অধমের বাড়ি । 


নেত্রকোনা সুনামগঞ্জে আছে ধানের মাঠ

সুন্দর বনের কাছে আছে খুলনা বাগেরহাট । 


ভোলা এবং বরিশালে আছি অনেক নদী

পাবনায় আছে পাগলা গারদ বগুড়াতে দধি । 


পাশাপাশি দুইটা জেলা টাঙ্গাইল জামালপুর

আরো দুইটা জেলা হল কুষ্টিয়া যশোর । 


মনের মত একটা জেলা নাম তার মাগুরা

দন্তন্য তে নারায়ণগঞ্জ নাটোর ও নওগাঁ । 


দন্তন্য তে আরো চারটি জেলা বলতে পারি

নবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী নড়াইল নীলফামারী ‌। 


গঞ্জ দিয়া মানিকগঞ্জ হয় আরো মুন্সিগঞ্জ

গোপালগঞ্জ হয় হবিগঞ্জ হয় আরো সিরাজগঞ্জ । 


চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কিন্তু গঞ্জ দিয়া ভাই

এদের ছাড়া বাংলাদেশে আর কোন গঞ্জ নাই । 


রংপুর এবং রাঙ্গামাটির নামটা রঙে রাঙা

নামের জন্য আরও সুন্দর চাঁদপুর চুয়াডাঙ্গা ‌। 


কক্সবাজার নামের জেলা আছে সাগর পাড়ে

পঞ্চগড়টা পড়ছে বন্ধু দেশের এক কিনারে । 


ফেনী জেলার নামটা মাত্র দুইটা অক্ষর দিয়া

সবচেয়ে বেশি অক্ষর লাগে লিখতে বি-বাড়িয়া । 


ছয়টা অক্ষর লিখতে লাগে মৌলভীবাজার

এদিক থেকে শরীয়তপুর সমান তাহার । 


শেষের দিকে এসে দেখি বসছে পুরের মেলা

নামের শেষে পুর লাগানো অনেকগুলো জেলা । 


পুর দিয়ে ভাই শেরপুর আছে আছে পিরোজপুর

মেহেরপুর ও মাদারীপুর আরো দিনাজপুর। 


ফরিদপুর ও লক্ষিপুর এই দুই টা জেলার সাথে 

পুরের পালা শেষ করিয়া গেলাম বরগুনাতে । 


আসার পথে কুমিল্লা ও ঝালকাঠি সহ

ঘুরে এলাম রাজবাড়ী তার সঙ্গে ঝিনাইদহ ‌। 


গাইবান্ধার নাম বাদে থাকে আর মাত্র এক হালি

তাদের মধ্যে একটা জেলার নাম পটুয়াখালী । 


এখন শুধু বাকি আছে তিনটা জেলার নাম

এদের মধ্যে একটা জায়গা হইল চট্টগ্রাম ‌। 


সাতক্ষীরায় আর ঠাকুরগাঁয়ে হইল এই গান শেষ

এদের নিয়েই গড়া আমার সোনার বাংলাদেশ । 


ছন্দে ছন্দে ৬৪ জেলার নাম..

ফেরদৌস আহমেদ


সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৮-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৮-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থাকছে না রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের - সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সকল পক্ষকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার।


বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তৃত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।


ন্যূনতম সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফায় ঐকমত্য বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের।


ন্যায়বিচারের স্বার্থে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে ভারত - আশাবাদ আইসিটি চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যানের।


যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশী সহায়তা বন্ধে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ।


মিরপুরে বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর নিজ নিজ খেলায় জয়লাভ।

খান আব্দুল গাফফার খান  নামটা বর্তমানে খুব একটা পরিচিত নাম নয়।,,,, উৎপল কান্তি ধর utpal Kanti dhor ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 # খান আব্দুল গাফফার খান 

নামটা বর্তমানে খুব একটা পরিচিত নাম নয়। 

৩১ শে আগস্ট, ১৯৩৪ বোলপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সাত সকালে যাত্রীদের কৌতূহল ছিল গুরুদেব কি শান্তিনিকেতন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন? কিন্তু তখন কলকাতা যাবার কোনও ট্রেন ছিল না। ট্রেন তো চলে গেলো। তাহলে? জানা গেল, তিনি একজন অতিথিকে রিসিভ করতে এসেছেন। 


কে সেই মান্যগণ্য অতিথি! যার জন্যে স্বয়ং গুরুদেব নিজে উপস্থিত স্টেশনে? 


বর্ধমানের দিক থেকে একটি ট্রেন এসে বোলপুরে থামল। দেখা গেল রেলগাড়ির একটি তৃতীয় শ্রেনির কামরা থেকে নামছেন এক দীর্ঘদেহী বলিষ্ঠ পাঠান যুবক। তাঁকে দেখা মাত্র রবীন্দ্রনাথ এগিয়ে গেলেন, ৪৪ বছর বয়স্ক যুবক নত হবার চেষ্টা করতেই ৭৩ বছরের কবিগুরু তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। 


খান যুবক না হলেও এমন কিছু মধ্যবয়স্ক নন তিনি। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথের চেয়েও দু বছরের ছোট। সেদিনের ওই মানুষটিই হলেন খান আব্দুল গাফফার খান। 


সর্বত্যাগী ফকির, খুব সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে রয়ে গিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়।

 

স্বাধীনতা আন্দোলনের সেই দিনগুলিতে ভারতের মানুষ তাঁকে চিনতেন ‘সীমান্ত গান্ধী’ হিসেবে। এই মানুষটি শান্তিনিকেতনের কথা শুনেছিলেন গান্ধিজির কাছে। শুনেছিলেন কবিগুরু বোলপুরের কাছে একটি গ্রামে গরীব মানুষের উন্নয়নের জন্যে একটি সংগঠন ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। পেশোয়ার থেকে তাই বড়ো পুত্র আব্দুল গনিকে পাঠিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে লেখাপড়া শিখতে। পুত্রের মাধ্যমে তাঁর সাথে রবীন্দ্রনাথের যোগসূত্র। ১৯৩৪ সালে হাজারিবাগ জেল থেকে মুক্তি পেতেই তিনি বাংলায় আসতে চেয়েছেন। তাঁর আন্তরিক ইচ্ছে কবিগুরুর সাথে একটিবার দেখা করার। 


প্রথমে পাটনা গিয়েছিলেন বাবু রাজেন্দ্রপ্রসাদের কাছে। তখন তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী একজন কংগ্রেস কর্মী। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। পাটনা থেকে শান্তিনিকেতনে খবর পাঠালেন- খান আবদুল গাফফার খান দেখা করতে চান রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। তাঁর আগ্রহ শ্রীনিকেতন সম্পর্কেও। 


স্টেশন থেকে কবিগুরু তাঁকে প্রথমে নিয়ে এলেন বিশ্বভারতীর লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে। সেখানে সমবেত আশ্রমিক, ছাত্রছাত্রী ও অন্যান্যদের সামনে ‘অতিথি’র পরিচয় করিয়ে বললেন, খান সাহেবের শান্তিনিকেতন সফর আশ্রমবাসীদের জীবনে স্মরণীয় ঘটনা। তিনি যখন কারান্তারালে গিয়েছেন, পুত্রকে পাঠিয়েছেন এখানে লেখাপড়া শেখার জন্য। এতেই প্রমাণ মেলে বিশ্বভারতীর প্রতি তাঁর কতখানি আস্থা ও মমত্ববোধ আছে। তাঁর অনুভুতি আমাদের স্পর্শ করেছে। 


গাফফার খান একদিনের বেশি শান্তিনিকেতনে থাকতে পারেন নি। একদিনেই তিনি শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতনের প্রতিটি বিভাগ ঘুরেছেন দেখেছেন, নিজের চোখে। পরের দিন শান্তিনিকেতন ত্যাগের আগে সকালে উদয়ন প্রাঙ্গণে কবি তাঁর সংবর্ধনার আয়োজন করেন। সেখানে বাংলা হরফে লেখা তাঁর ভাষণ কবি উর্দুতে পাঠ করেছিলেন। “থোরেসে অরসেকে লিয়ে অপ হামারে ইঁহা তসরিফ লায়ে হৈ ...।”


নিজের হাতে খসড়া করা সেই ভাষণে কবি বলেছিলেন, “অল্পক্ষণের জন্যে আপনি আমাদের মধ্যে এসেছেন। কিন্তু সেই সৌভাগ্যকে আমি অল্প বলে মনে করিনে। আমার নিবেদন এই যে, আমার এ কথাকে আপনি অত্যুক্তি বলে মনে করবেন না যে আপনার দর্শন আমাদের হৃদয়ের মধ্যে নতুন শাক্তি সঞ্চার করেছে। প্রেমের উপদেশ মুখে বলে ফল হয় না, যারা প্রেমিক তাদের সঙ্গই প্রেমের স্পর্শমান। তার স্পর্শে আমাদের অন্তরে যেটুকু ভালবাসা আছে তাঁর মুল্য বেড়ে যায়। 

অল্পক্ষণের জন্যে আপনাকে পেয়েছি কিন্তু এই ঘটনাকে ক্ষণের মাপ দিয়ে পরিমাপ কড়া যায় না। যে মহাপুরুষের হৃদয় সকল মানুষের জন্য, সকল দেশেই যাঁদের দেশ তাঁরা যে কালকে উপস্থিত মতো অধিকার করেন, তাঁকে অতিক্রম করেন, তাঁরা সকল কালের। এখানে আপনার ক্ষণিক উপস্থিতি আশ্রমের হৃদয়ে স্থায়ী হয়ে রইলো”। 


সংবর্ধনার উত্তরে গাফফার খান সেদিন বলেছিলেন, “গুরুদেব” তাঁকে যে আন্তরিক সংবর্ধনা জানিয়েছেন, তাতে তিনি অভিভুত। এখানে আশার আগে যা শুনেছিলেন, নিজের চোখে দেখে মনে হচ্ছে তাঁর চেয়েও মহৎ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কবি এখনে যে আদর্শ অনুসরন করেছেন, তাঁর ভিত্তিতে ভারত উন্নতির পথ খুঁজে পাবে। ধর্মের অপবাখ্যার মধ্য দিয়েই সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে, এর জন্যই ভারতের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতায় বাধা আসছে। 


গাফফার খান শান্তিনিকেতন থেকে চলে যাবার পর রবীন্দ্রনাথ একটি পত্রে তাঁর সম্পর্কে গান্ধিজিকে লিখেছিলেন- ‘এক অকপট সরলতার’ মানুষ। রবীন্দ্র প্রয়াণের খবর পেয়ে এই মানুষটি পেশোয়ার থেকে কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানিয়েছিলেন, 


 Peshaar 12th Aug. 1941

Dear Mr. Tagore,

 I am deeply grieved to hear of the sad demise of Gurudev. In him India has truly lost the greatest philosopher, poet and a nationalist. I heartily condole with you in your sad bereavement. May God bless his soul and give strength in your preasent trial. 

Yours sincerely, 

Abdul Ghaffar Khan


পঁইত্রিশ বছর পর গাফফার খান আবার শান্তিনিকেতন এসেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ৭৯। ক্লান্তিময় বার্ধক্য জাঁকিয়ে বসেছে শরীরে। পাকিস্থান সৃষ্টির ১৭ বছরের মধ্যে ১৫ বছর কেটেছে তাঁর কারাগারে। তিনি ‘হিন্দু ও বিশ্বাসঘাতক’ এই ছিল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। অধিকাংশ সময় নির্জন কারাগার, নয়ত নজরবন্দি। ১৯৬৪ সালে স্বেছা নির্বাসন বেছে নিয়েছিলেন আফগানিস্থানের একটি ছোট গ্রাম জালালাবাদে।স্থির করেছিলেন সেখানেই বাকি জীবন কাটাবেন রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধিজির জীবনদর্শন সম্বল করে। 


১৯৬৯ সালে গান্ধি জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়প্রকাশ নারায়ণ তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান।তিনি সে অনুরোধ অগ্রাহ্য করতে পারেন না। স্বাধীনতা প্রাপ্তির বাইশ বছর পর বিপর্যস্ত স্বপ্ন ও আদর্শ আর ভাঙা মন নিয়ে তিনি ভারতের মাটিতে পা রেখেছিলেন। দিল্লিতে নেহেরু কন্যা প্রিয় ইন্দুকে বলেছিলেন তাঁকে যেন শান্তিনিকেতন যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। 


শান্তিনিকেতন কেন?


মৃদু হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, কেন জানো? ১৯৩৪ সালে প্রথম যখন যাই, গুরুদেবের কাছ থেকে স্নেহ ভালবাসা পাবার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। 


১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯। আগের মতোই রেলের একটি তৃতীয় শ্রেনির কোচ মধ্যরাত্রে বোলপুর স্টেশনে এসেছিল তাঁকে নিয়ে। বাকি রাত সেটি সাইডিং-এ রেখে দেওয়া হয়। গাফফার খান সেখানেই ছিলেন। পরদিন ১৫ ডিসেম্বর সকাল আটটায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখার্জি তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যান শান্তিনিকেতনে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উদয়নের সেই ঘরে, যে ঘরে ৩৫ বছর আগে রবীন্দ্রসান্নিধ্যে কেটে ছিল তাঁর একটি দিন।

তারপর তাঁকে বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে চিরাচরিত ধারায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 


উত্তরে সেদিনও বলেছিলেন, ৩৫ বছর আগে আমি যখন প্রথম এখানে এসেছিলাম গুরুদেবের যে স্নেহ, ভালবাসা পেয়েছি তা আমার অন্তরে আজও বিরাজমান।


তিনি আশ্রমিকদের হোস্টেল, কলাভবন, বিচিত্রা দেখেন। বিচিত্রায় একটি কাঠ খোদাই মানবমূর্তির সামনে দাঁড়ালে তাঁর চোখ থেকে জল গড়িয়ে নামে। বারবার চোখ কচলে মূর্তিটি পরখ করেন। এ মূর্তি যে গড়েছেন তাঁর পুত্র নন্দলাল শিষ্য আবদুল গনি। 


তিনি ঘুরলেন শ্রীনিকেতন। বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁকে দেখতে। ছোট একটি বক্তৃতাও দেন। ফেরার পথে উপাচার্য কালিদাস ভট্টাচার্যর কাছে সাঁওতাল পল্লী দেখাবার অনুরোধ করলেন। 

তাঁকে নিয়ে যাওয়া হোল ভুবনডাঙ্গায়।


সাঁওতালদের সাথে গাফফার খান মিলিত হলেন। জানতে চাইলেন, স্বাধীনতার আগে যেমন আপনাদের দিন কাটত, তাঁর কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে? স্বাধীনতা কি আপনাদের জীবনের স্বাদ বদলে দিতে পেরেছে? 


দোভাষীর মাধ্যমে তিনি যে জবাব পেয়েছিলেন তাতে তাঁর মুখের হাসি মিলিয়ে গিয়েছিলো। হায় গুরুদেব! হায় স্বাধীনতা! 


বুক ভরা আক্ষেপে শুধু এক টুকরো শান্তি ছিল তাঁর শান্তিনিকেতন সফর। ১৯৮৮-র ২০ জানুয়ারি তিনি প্রয়াত হন।


কৃতজ্ঞতা স্বীকার::white Politics

রুচির রঙ্গরস ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 — এই বিট্টু, কোন কলেজে ভর্তি হলি?

— এই তো টেকনো ইন্ডিয়ায়।

— এহ, বেসরকারী কেন রে?

— আরে এইবার কলেজে ভর্তির ফর্ম ফিল আপটা কেমন যেন উল্টোপাল্টা টাইপের। তাই ভালো কলেজ পেলাম না। তাই বাধ্য হয়েই আর কি.. তুই কোন কলেজে পেলি?

— আমি তো সুরেন্দ্রনাথ কলেজে।

— বাঃ ভালোই। 

— ভালো আর কোথায়...তোর কলেজে কত্ত মেয়ে শালা। টেকনোতে হেব্বি হেব্বি মেয়ে পড়ে। আমি রুখা-সুখা থাকব।

— আহা চাপ নিস না। তোর লাইন আমি লাগিয়ে দেব। 

— এই নাহলে বন্ধু!! 


আহঃ, এটাই তো প্রেমে পড়ার বয়স। আঠেরো উনিশ বছর বয়স। নতুন কলেজ। চারদিকে প্রেম যেন উড়ে বেড়াচ্ছে। প্রেম আর পলিটিক্সে ঢোকার এই তো উত্তম বয়স। এই বয়সে কলেজে উঠে শুরু হয় ইউনিয়ন। আর ইউনিয়নের একটু বড় পদে গেলে নাকি মেয়েদের লাইন লেগে যায়। চলো ফিরে যাওয়া যাক ১১৬ বছর আগে। মেদনীপুরের কলেজিয়েট স্কুলের এক স্টুডেন্ট। সে রামকে যতটা না চেনে তার চেনে বেশি চেনে সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে, ওর স্কুলের হেডমাস্টার। ছেলেটার জীবনে প্রেম এনেছিল ওই মাষ্টারমশাই, দেশপ্রেম। এখনকার ছেলেমেয়েরা প্রেম বলতে যা বোঝে তার চেয়ে অবশ্য অনেক বেশি কিছু। যাইহোক। ওর জীবনে প্রেম তো এলো। আর আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে গেল ওর জীবনে। 

ইতিহাসের পাতায় সময়টা ১৯০৫ সাল, বাংলা মায়ের বুক চিরে দুভাগ করার জন্য ব্রিটিশ সরকার তখন প্রস্তুত। সারা বাংলায় চলছে বিপ্লব, বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন। পূর্ববঙ্গ ও আসামের গভর্নর 'ফুলার' বিপ্লবী সন্দেহে সাধারণ ভারতবাসীর উপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন। আর এদিকে  বাংলার গভর্নর 'ফ্রেজার' ও শোষণ আর অত্যাচারের দিক দিয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে ছিলেন না। বিপ্লবী 'যুগান্তর দলের' সদস্যরা এই দুই গভর্নর কে হত্যা করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এবার তাদের লক্ষ্য হয়ে ওঠে কলকাতা প্রেসিডেন্সির ম্যাজিস্ট্রেট,  অত্যাচারী 'কিংসফোর্ড'। কিংসফোর্ড বিপ্লবীদের মূল লক্ষ্য  হয়ে উঠেছেন এই সংবাদ পেয়েই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাকে তড়িঘড়ি মুজাফফরপুর বদলি করে দেয় কিন্তু বিপ্লবীরা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছুপা হননি।

৩০ শে এপ্রিল ১৯০৮ বিহারের মোজাফ্ফরপুরে রাত্রি আটটা ত্রিশ মিনিটে রাতের অন্ধকারে, এক হাতে বোমা এবং অন্য হাতে পিস্তল নিয়ে, ১৮ বছরের ছেলেটা কিংসফোর্ডকে হত্যা করার জন্য অপেক্ষা করছিল, সঙ্গে ছিল দীনেশ। যখন তারা দেখল কিংসফোর্ডের গাড়ি আসছে, তখন বোমা ছুঁড়ে মারল আর সঙ্গে সঙ্গেই সেই গাড়ি জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেদিন সেই গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিল না। সেইদিন সেই গাড়িতে ছিল, মিসেস কেনেডি ও তার কন্যা। ব্যস ইংরেজদের রাতের ঘুম উড়ে যায়। 

 সেই ছেলেটা আর দীনেশকে ধরার জন্য ইংরেজ সরকার একশত কুড়ি টাকা (বর্তমান মূল্যে প্রায় ১.২ কোটি) পুরস্কার ঘোষণা করে দেন। ছেলেটা এবং দীনেশ দুজনে আলাদা আলাদা রাস্তা অবলম্বন করলেন। কিন্তু তাঁরা দুজনেই ইংরেজদের কাছে ধরা পড়ে যান। ইংরেজদের হাতে পড়ার আগে দীনেশ পিস্তলের গুলিতে নিজেকে হত্যা করেন। তবুও ব্রিটিশ সরকারের হাতে ধরা দিলেন না। অন্য দিকে ছেলেটা ইংরেজদের কড়া পাহারা থাকা সত্ত্বেও পঁচিশ মাইল (প্রায় ৪০ কিমি) রাস্তা পায়ে হেঁটে ওয়াইনি রেল স্টেশনে এক চায়ের দোকানে জল খেতে ঢুকলে সেখানে তাকে দেখে ইংরেজদের সন্দেহ হয় এবং তাঁর দেহ তল্লাশি করে একটা পিস্তল ও ৩৭ রাউন্ড গুলি পায় এবং তাঁকে ইংরেজরা গ্রেফতার করে।

একটা কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার বয়সী ছেলের এতবড় সাহস!! আরেহ কোথায় সাহস দেখলেন? 

ধরা পড়ার পর বোমা নিক্ষেপের সমস্ত দায় নিজের ওপর নিয়ে নেয় ছেলেটা। অন্য কোন সহযোগীর নাম বা কোন গোপন তথ্য শত অত্যাচারেও প্রকাশ করেননি। মজফফরপুর আদালতে ছেলেটার বিচার কাজ শুরু হলো ০৮ জুন ১৯০৮। কিন্তু সারা পশ্চিমবাংলা থেকে কোন আইনজীবী মামলায় আসামী পক্ষের হয়ে কোন আইনজীবী আদালতে দাঁড়াতে সাহস পাননি। তখন পূর্ব বঙ্গ থেকে রংপুর বারের উকিল সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী, কুলকমল সেন ও নগেন্দ্রনাথ লাহিড়ী ছেলেটার পক্ষে মামলায় পরিচালনায় এগিয়ে আসেন।  ইতোমধ্যে বিচারকের অনুরোধে কালিদাস বসু নামে স্থানীয় এক আইনজীবী এগিয়ে আসেন আসামী পক্ষে। ৬ দিন চললো বিচার অনুষ্ঠান। বিচারের শুরুতেই ছেলেটা স্বীকার করে সবকিছু আর সব দোষ নিজের ঘাড়ে নেয়। ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারা অনুযায়ী প্রানদণ্ডের রায় শোনার পরে দেখা যায় ছেলেটার মুখে হাসি।  বিচারক কর্নডফ তাকে প্রশ্ন করেন, তাকে যে ফাঁসিতে মরতে হবে সেটা সে বুঝেছে কিনা? উত্তরে ছেলেটা শুধু হাসে। ১৯০৮ সালের ১১ আগষ্ট। ভোর চারটে। একজন পুলিশ তাকে জিজ্ঞেস করে:

-এখন ভোর চারটে। আর কিছুক্ষণ পরেই আপনার ফাঁসি হবে। ভয় করছে না?

- আমি গীতা পড়েছি। তাই মৃত্যুকে আমি ভয় করি না।


একজন আঠারো বছর আট মাসের ছেলের বলা। খুব ঔদ্ধত্য তাই না? আরেহ ঔদ্ধত্য কোথায় দেখলেন! ফাঁসিতে তোলার আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার শেষ ইচ্ছে কী? তার উত্তর ছিল, "আমি ভালো বোমা বানাতে পারি, মৃত্যুর আগে সারা ভারতবাসীকে সেটা শিখিয়ে দিয়ে যেতে চাই।

বিপ্লবীরা কোন দলের না, কোন গোত্রের না, যেখানে স্বৈরাচার সেখানেই বিপ্লবীরা সোচ্চার! ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতারা সব সময় ছিল, আছে। ওদের মেরে ফেললে বিপ্লব অবসম্ভবী! মৃত্যুঞ্জয়ীদের গুলি করে মারা যায় না তারা রক্তবীজের মত হাজার হাজার হয়ে ফিরে আসে।

.

.

. কলমে ✍️✍️✍️  সব্যসাচী 


সংগৃহীত


ছবি - 🖼️ অলোক ভট্টাচার্য।

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫

হিজাব কী? হিজাব শব্দটির বিবর্তিত অর্থ এখন এরকম— লজ্জাস্থান ঢেকে ও মুখ খোলা রেখে আরামদায়ক পোশাক-আশাক পরিধান করা

 যিনি নিকাব (বুরকা) পরেন, তিনি টেলিভিশনে অন্যকে কন্ঠ শোনাবেন কেন? যারা মুখ না দেখানোতে বিশ্বাস করেন, তারা কন্ঠ শোনানোতে বিশ্বাস করতে চান কেন? পরপুরুষ কন্ঠ শুনতে পারবে না— এটা ভুলে যেতে চায় কেন? চ্যানেল আই সঠিক কাজ করেছে। নিকাব আর হিজাব এক জিনিস নয়।


//


‘বুরকা’ ও ‘হিজাব’— এ দুটি বিষয়কে মুসলিমরা প্রায়ই গুলিয়ে ফেলে। ভাবে, হিজাব মানেই বুরকা। আসলে তা নয়। বুরকা হলো কোনো বিশেষ কারণে মাথা ও মুখ ঢেকে চলাফেরার পোশাক। বুরকার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। পৃথিবীতে ইসলাম আসার বহু আগে থেকেই বুরকা ছিলো। আরব পৌত্তলিকদের একটি অংশ বুরকা পরতো। বাইজেন্টিন নারীরাও বুরকা পরতো। সেদিক থেকে বুরকা মূলত অমুসলিমদের পোশাক। 


বুরকা প্রধানত পরা হতো— (ক) তীব্র রোদ ও বৈরি আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে; (খ) গুপ্তচরবৃত্তি, চৌর্যবৃত্তি, ও চোরাকারবারের সহায়ক পরিধেয় হিশেবে; (গ) সম্মানজনক নয়, এমন পেশায় নিয়োজিত নারীদের রক্ষাকবচ হিশেবে; (ঘ) হারেমখানায় স্ত্রীর মর্যাদা পান নি, এমন নারী ও যৌনদাসীদের পরিচয় আড়ালকারক হিশেবে; এবং (ঙ) নেকাব দ্বারা চোখের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে (কারণ আরব নারীদের চোখ সুন্দর ছিলো)।

 

তবে বুরকা শুধু মাথা বা মুখের হয় না। পায়েরও হয়। যেমন চীনা নারীরা পা দেখাতে চায় না। তাদের জন্য জুতা একপ্রকার বুরকা।


ইসলামের শুরুর দিকে ‘হিজাব’ বা ‘পর্দা’ বলতে আড়ালকারক চাদর ও দেয়াল বুঝাতো। তখন বহুকক্ষবিশিষ্ট ঘর-বাড়ি আরবে ছিলো না। মসজিদে এতেকাফের সময় চাদর টাঙ্গিয়ে যেভাবে আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়, সেভাবে হিজাব টাঙ্গিয়ে ঘরের ভেতর সাময়িক কক্ষ সৃষ্টি করা হতো। নবী যখন তাঁর ঘরে স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে একসাথে থাকতেন, তখন প্রায়ই সাহাবিরা গল্পগুজব করতে আসতো। দূর থেকে মেহমানরা দেখা-সাক্ষাৎ করতে আসতো। একটি ছোট ঘরে হুটহাট অপরিচিত মানুষজন আসায় নবী পরিবারের নারী সদস্যরা বিব্রত বোধ করতেন। এ জন্য হিজাব টাঙ্গিয়ে, অর্থাৎ ঘরের মাঝখানে চাদর-সদৃশ কাপড় টাঙ্গিয়ে, নারী সদস্যদের প্রাইভ্যাসি দেয়া হতো। 


কিন্তু নবীর ওফাতের পর হিজাব শব্দটিকে কোরানের বিভিন্ন আয়াতের সাথে মিশিয়ে এর অর্থ ও পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বিকৃত করা হয়েছে আসল রূপ। খিমার, জিলবাব, প্রভৃতি বিষয়কে হিজাবের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে। যে-আয়াতগুলো কেবল নবীর স্ত্রী-কন্যার জন্য প্রযোজ্য, সে-আয়াতগুলোকেও সাধারণ নারীদের ওপর চাপানো হয়েছে। এ কৃতিত্ব মতলববাজ ধর্মবণিকদের।


নবীর কোনো স্ত্রী ও কন্যা বুরকা পরতেন না। তাঁর স্ত্রী খাদিজা মুখ খোলা রেখে চলাফেরা করতেন। তিনি স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যও করতেন। নিয়মিত হাট-বাজারে যেতেন। ইসলামের নামে অতিরঞ্জিত কিছু পালন করা ইসলামসম্মত নয়। কোরানে কোথাও নারীদেরকে বুরকা পরতে নির্দেশ দেয়া হয় নি। বরং কিছু আয়াত পড়ে মনে হয়েছে, বুরকা একটি ইসলাম-বিরোধী পোশাক।


এই মুহুর্তে বিশ্বের অনেকগুলো দেশে বুরকা নিষিদ্ধ। কারণ আধুনিক রাষ্ট্রে বুরকা একটি গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি। বুরকা নিষিদ্ধ মানেই হিজাব নিষিদ্ধ নয়। ফ্রান্স বুরকা নিষিদ্ধ করেছে, যেরকম নিষিদ্ধ করেছে মরক্কোসহ আরও অনেক মুসলিম দেশ, কিন্তু এ দেশগুলো হিজাব নিষিদ্ধ করে নি। কোথাও “অমুক দেশ হিজাব নিষিদ্ধ করেছে”— এমন শোরগোল শুনলে বুঝতে হবে, মতলববাজরা ভুল তথ্য প্রচার করছে। সঠিক তথ্য হবে— অমুক দেশ বুরকা নিষিদ্ধ করেছে। ইসলামে হিজাব আছে, বুরকা নেই। 


সম্প্রতি লক্ষ করেছি, বাংলাদেশ পুলিশ প্রায়ই বুরকা পরা ইয়াবা ও গাঁজা-ব্যবসায়ী আটক করছে। ছেলেরা বুরকা পরে মেয়ে সেজে মাদক ব্যবসা করছে। সেদিক থেকে দেখলে বুরকা শুধু ইসলামবিরোধী পোশাক নয়, এটি একটি জনবিরোধী পোশাকও বটে। 


কেউ বুরকা পরতে চাইলে পরুক, এতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ চাহিবামাত্র তাকে নেকাব সরিয়ে মুখমণ্ডল প্রদর্শন করতে হবে। 'পরিচয় যাচাই' বা 'আইডি ভেরিফিকেশন' খুবই গুরুত্বপূর্ণ 'পাবলিক ইন্টারেস্ট'। আধুনিক রাষ্ট্রে মানুষের স্বাধীনতা অবাধ নয়। স্বাধীনতার সীমানা আছে। কারও ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় স্বাধীনতা 'পাবলিক ইন্টারেস্ট'-এর সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না। পাবলিক সিকিউরিটি, রুল অব ল, ফেয়ারনেস অব জাস্টিস— এ বিষয়গুলো রাষ্ট্রব্যবস্থার খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এগুলোকে ফাঁকি দিতে ধর্মীয় স্বাধীনতার দোহাই দেয়া গ্রহণযোগ্য নয়।


বুরকা নারীর ব্যক্তিত্বকেও নষ্ট করে। বুরকা পরা নারীদের অনেকেই 'লো সেল্ফ-ইস্টিম' বা হীনম্মন্যতায় ভোগেন। তাদের সাহস, মনোবল, ও আত্মবিশ্বাস কম থাকে। এ জন্য নারীদের উচিত, যথাসম্ভব বুরকা পরিহার করা। বুরকা ইসলামের কোনো অংশ নয়। একটি বিশেষ মহল বুরকাকে ইসলামি পোশাক বলে প্রচার করছে। বুরকা পরার সাথে আল্লাহকে পাওয়ার, বা বেহেশতে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। কাউকে বুরকা পরতে বাধ্য করা, বা সারাক্ষণ ধর্মের ভয়ে বুরকা পরা, এগুলো আল্লাহর পছন্দের কাজ নয়। নবীর জীবদ্দশায় মুসলিম নারীরা রঙিন ও জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক পরতেন। 


হিজাব কী? হিজাব শব্দটির বিবর্তিত অর্থ এখন এরকম— লজ্জাস্থান ঢেকে ও মুখ খোলা রেখে আরামদায়ক পোশাক-আশাক পরিধান করা। শাড়ি, সালওয়ার-কামিজ, প্যান্ট, টি-শার্ট, চাদর, স্কার্ট, ব্লাউজ, এগুলো সবই হিজাব। হিজাব মানেই চোখ-মুখ ঢেকে ফেলা নয়। খিমার, জিলবাব, যিনাতাহুন্না, এসবের সাথে চোখ-মুখ ঢাকার কোনো সম্পর্ক নেই।


—মহিউদ্দিন মোহাম্মদ 

পৃষ্ঠা ২৪-২৭, বই: মূর্তিভাঙা প্রকল্প


ছি: ছি: ননী -পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ ও মূল্যায়ন!,,,,গানটির ছত্রে ছত্রে বিষাদ। বিশ্বাস ভঙ্গের ক্রোধ ও বেদনা অথচ আমরা কত সহজে!

 ।। ছি: ছি: ননী -পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ ও মূল্যায়ন!।। 


ধন কে দেখলু তুই ননী সিনা মনকে চিনলু নাই। 

সুনাকে চিনলু বানাকে চিনলু মনুষ চিনলু নাই।

ধন নাই বলি মোর পাখে ননী তার কাছে উঠি গলু।

ধন আছে সিনা মন নাই তাকে তুই জানি না পারালু।গোটে দিন মিশা যগিদেলু নাহি কেড়ে কথা করি দেলু।

মুই গাঁ যা'ই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।

রে ছি ছি ছি ননী ছি ছি ছি।


***

সারেতে দিনরা সান হেইবা কাজে ফজল নেই রেলু

বানজারিনী মা'রা পাখে যাই নিয়ম করি রেলু 

গালাগালা যাক তোর হেবি বলি কেড়েকথা কহি রেলু 

মুই গাঁ যা'ই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।

রে ছি ছি ছি ননী ছি ছি ছি।

***


তোর কথা ধরি ঋণ বাড়ি ধারি সবোকথা করিথিলি,

মালি মুদি গুণ পামেদি পাজহাল সবকিছু দেই থিলি।

তাতে শ্রদ্ধ বলি রঙপাতা কানি, 

সঙ দেই রেলিঙ ঘরে, 

ভোজভাত লাগি, ছেলি মেন্ধা কিনি, রাখি দিলি আমার ঘরে,

নাশাই দেলু ননী সবই আশা মোরা,

ক্যা দুঃখ তুই দেলু,

মুই গাঁ যা'ই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।

রে ছি ছি ছি ননী ছি ছি ছি।


▪️▪️গানটি মূলত: উড়িয়ার একটি উপভাষায় রচিত, কোরাপুট- সম্বল পুরের আঞ্চলিক ভাষা। ▪️▪️

______________________________________________

(বাংলা) 


সম্পত্তি দেখলে মেয়ে কিন্তু মনটাকে দেখলে না তাকে চিনলে না।

সোনাদানাটাই  চিনলে কেবল, মানুষটাকে তার ভালোবাসাটা চিনলে না।

আমার কাছে ধন নেই বলে, আজ তার কাছে চলে যেতে পারলি!

ধনসম্পদ হয়তো আছে কিন্তু হৃদয় নেই তার;  তুমি বুঝতেও পারলে না!

একটা গোটা দিনও অপেক্ষা করতে পারলি না,এতো বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললি!

অথচ আমি যখন আমার গ্রাম থেকে ফিরলাম, তুমি কী করে সব ভুলে গেলে?

ওরে,  ছি ছি ছিরে  মেয়ে ছি ছি ছি, ধিক তোমারে।

***


সারাদিন সামর্থ্যের মধ্যে ছোট ছোট আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করতাম।

আমি তোমার মা-কে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলাম, ভালো রাখব।

অনেক বার বলেছি, আমার কাছে কেমন ছিলে তুমি

অথচ আমি যখন আমার গ্রাম থেকে ফিরলাম, তুমি কী করে সব ভুলে গেলে?

এটা লজ্জারে মেয়ে, ছিঃ ছিঃ 


***

তোমার জন্য এত ঋণ, বাড়ি অবধি বাঁধা রাখলাম।শুধু তোমায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে... 

তুমি যা চেয়েছ সবই করেছি।

তোমাকে সব রকম উপহার কিনে দিলাম।

রঙিন পাতায় ভালোবাসার স্মৃতি বুনেদিলাম। 

 ঘরেতে আমাদের বিয়ের ভোজ অনুষ্ঠানের জন্য একটি ছাগলও কিনে রাখলাম। 

অথচ এক লহমায় তুমি আমার সব আশা নষ্ট করে দিলে!

ননী, কেন তুমি আমাকে এই ব্যথা দিলে? কী দোষ ছিল আমার?  দারিদ্র?

আমি গ্রাম থেকে ফিরে দেখলাম, তুমি সব ভুলে গেছ?

তোকে ধিক্কার মেয়ে ধিক্কার.... 

তমোঘ্ন নস্কর 


    ~ গানটির ছত্রে ছত্রে বিষাদ। বিশ্বাস ভঙ্গের ক্রোধ ও বেদনা অথচ আমরা কত সহজে! 

লেখক, শিল্পী শুধু অর্থেই খুশি হন না। তিনি খুশি হন যথার্থ মূল্যায়নে। এ আমার তাঁর প্রতি ক্ষমা চাওয়া।🙏

আম গাছে মুকুল আসছেনা?শুধু নতুন পাতা বের হচ্ছে। নো টেনশন, জেনে নিন সমাধা

 আম গাছে মুকুল আসছেনা?শুধু নতুন পাতা বের হচ্ছে। নো টেনশন, জেনে নিন সমাধান । 🥭


 জানুয়ারি শেষের দিকে।ইতিমধ্যেই সকলের আম গাছগুলিতে মুকুল এসে গেছে কিন্তু আপনার বা অনেকের বাগানের বাকি গাছগুলোতে মুকুল আসবে আসবে করছে। তবে এখনো যদি আপনার আম গাছে  মুকুল না এসে থাকে, তাহলে টেনশনের কোন কারন নেই, ছোট্ট একটা পদক্ষেপ নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ ভালো কাজে আসবে । 

 জাতগত পার্থক্যের কারনে প্রত্যেকটা গাছে মুকুল আসার ধরন ও কিন্তু একটু আলাদা হয়ে থাকে । যেমন –


একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন কিছু আম গাছের পত্র মুকুলের কোল থেকে মুকুলটা হয় , যার কোন পাতা হয় না, পুরোটাই মুকুল নিয়ে বের হয়।

কিছু গাছে আবার আগে পাতা বের হয় , পাতা বের হওয়ার পর মুকুল আসতে শুরু করে।

কিছু কিছু গাছের ক্ষেত্রে আবার প্রচুর নতুন পাতা বের হয় , সাথে প্রত্যেকটা পাতার কোল থেকে মুকুল আসতে দেখা যায় ৷ মাঝে মাঝে কিছু গাছে মুকুলের মধ্যে খুব ছোট ছোট পাতা বের হয়। মুকুল যত বড় হয় ততই সেই পাতাগুলো শুকিয়ে ঝরে পড়ে যায় ।


সুতরাং যাদের গাছে এখন নতুন পাতা বের হচ্ছে, তাদের গাছ এখন গ্রোথ নিচ্ছে। নতুন গ্রোথ নিচ্ছে মানেই যে সেই গাছে মুকুল আসবে না তা কিন্তু নয়। আবার এই নয় যে, নতুন পাতা বেরোলে সব গাছে মুকুল আসবে। সেটা নির্ভর করে গাছের বয়স এবং গাছের গঠনের উপর ভিত্তি করে ।


তবে যাদের আমগাছ গুলো ফল দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিণত , তারপর ও নতুন পাতা বের হচ্ছে মুকুল না এসে , তাদেরও চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, মাঝে মাঝে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে গাছে মুকুলের পরিবর্তে নতুন পাতা আসে এবং মুকুল ও আগে পরে বের হয় । আপনার মুকুল না আসা আম গাছের বয়স যদি ৩ বছরের বেশি হয়ে থাকে সাথে গাছও যদি যথেষ্ট হেলদি থেকে থাকে , তাহলে সেই গাছে এবার ফল নেওয়া জন্য নিচের দেখানো নিয়মে চেষ্টা করতে পারেন সামান্য কিছু পরিচর্যার মাধ্যমে ।


পরিচর্যা গুলো হলো :


▪️প্রথমেই মনে রাখতে হবে সম্পূর্ণ গাছেই যদি নতুন ডাল বের হয়ে গিয়ে থাকলে, তাহলে গাছকে ফোর্স না করে আগামী বছরের অপেক্ষায় থাকলে ভালো হবে। 


▪️যে গাছ গুলোর মধ্যে কিছু কিছু ডালে নতুন পাতা সবে বের হতে শুরু করেছে এবং মুকুল এর দেখা নেই, সেই গাছের নতুন ডালের গোড়া থেকে ভাল করে কেটে দিন। কাটা জায়গায় ছত্রাক নাশক স্প্রে করে দিন ।


▪️বিগত ১৫ দিনের মধ্যে যদি কোনো PGR( plant growth regulator) স্প্রে না করে থাকেন, তাহলে এখন মিরাকুলান বা ফ্লোরা ১-২ বার স্প্রে করে দিন। মিরাকুলান হলে প্রতি লিটার জলে দুই এম এল এবং ফ্লোরা হলে প্রতি লিটার জলে  হাফ এম এল । তবে দুটোর যেকোনো একটি দু’বার ব্যাবহার করা যাবে না, বরং দুটো দুইবার পাল্টে পাল্টে স্প্রে করুন।


▪️ PGR স্প্রে করার দুইদিন পর হাফ চা চামচ পটাশিয়াম সালফেট এবং দুই গ্রাম বোরন মিশিয়ে ভালো করে স্প্রে করে দিতে হবে গোটা গাছে। সেইসঙ্গে এই মিশ্রণ মাটিতেও প্রয়োগ করতে হবে।


PGR টা আবার কি? 


 Pgr হল (Plant. Growth Regulator) অর্থাৎ সোজা বাংলায় বলতে গেলে গাছের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক। সহজ ভাষায় যাকে গাছের ভিটামিনও বলা যেতে পারে। যা অত্যন্ত কার্যক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ভিদ বৃদ্ধি উদ্দীপক যা গাছের ফলন বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়। 


আপাতত এইটুকু পরিচর্যায় যথেষ্ঠ, যার ফলে একটু দেরীতে হলেও আপনার গাছে মুকুল চলে আসবে ইনশাআল্লাহ ।


পরিশেষে, যদি মনে করেন লেখা গুলো বাগানীদের উপকারে আসবে, তাহলে ফেসবুকের পোস্ট টি শেয়ার করুন।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৭-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৭-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে যোগদানে প্রধান উপদেষ্টার সুইজারল্যান্ড সফর বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক অর্জন - সংবাদ ব্রিফিং-এ বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণে রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান আইন উপদেষ্টার।


ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হলে বিধি-বিধান ঠিক করে অক্টোবরের মধ্যে প্রস্তুতি নিতে হবে - জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।


ভারত ভিসা বন্ধ রাখায় চিকিৎসার জন্য চীন বাংলাদেশীদের জন্য বিকল্প হতে পারে - সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টার।


জানুয়ারির মধ্যেই সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বই পাবে - জানালেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।


ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে স্থানান্তরে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করলো জর্ডান ও মিশর।


মিরপুরে বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর জয় - আজ দুটি খেলা।

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...