এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ ২৬-০২-২০২৫ খ্রি:। 

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ ২৬-০২-২০২৫ খ্রি:। 


আজকের শিরোনাম:


হজ যাত্রাকে সহজ ও নিরাপদ করতে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার।


পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে দেশে প্রথমবারের মতো 'জাতীয় শহীদ সেনা দিবস' পালিত - শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন।


অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রবণতা চিরতরে রোধ করতে স্টারলিংককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে - বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।


পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা - গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করাই পদত্যাগের উদ্দেশ্য - বললেন নাহিদ ইসলাম।


২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বরখাস্ত হওয়া ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় সুপ্রিম কোর্টের।


খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন।


আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আজ লাহোরে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২৫-০২-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৮-০৫-২০২৫ খ্রি:।(২৫/০২/২০২৫)

আজকের শিরোনাম:


পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে দেশে প্রথমবারের মতো 'জাতীয় শহীদ সেনা দিবস' পালিত --- শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন।


পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে গঠিত কমিশন তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে  --- জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রবণতা চিরতরে রোধ করতে স্টারলিংককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে --- বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।


পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা --- বললেন,          গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করাই পদত্যাগের উদ্দেশ্য।


২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বরখাস্ত হওয়া ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় সুপ্রিম কোর্টের।


ইসরাইলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নস্যাতের অভিযোগ করলো হামাস।


এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল --- আগামীকাল লাহোরে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান।

ভালো থাকুক বাঙালি,,,,,লিখেছেন প্রদীপ আচার্য্য।

 ঝোলে ঝালে অম্বলে

লেপ কাঁথা কম্বলে,

বোনাসের সম্বলে              বাঙালী

 

 সরকারি চাকুরে

বাবা জ্যাঠা কাকু-রে

আর রবি ঠাকুরের           বাঙালী


সিল্ক আর কটনে

মুরগি ও মটনে

অঘটনে ঘটনে                   বাঙালী

 

বোশেখের পচা ঘামে

কাসুন্দি কাঁচা আমে 

নুন মাখা কালোজামে      বাঙালী


টিভি চাই বেডরুমে

এক্সপার্ট ভাত-ঘুমে

গলা ছাড়ে বাথরুমে          বাঙালী


খাসা অনুসরণে

পাকা অনুকরণে  

পোশাকের ধরণে              বাঙালী


মুখপোড়া মিনসে

নেই আর দিন সে

ধুতি ছেড়ে জীনসে            বাঙালী


হাই হিল চটিতে

দাঁ আর বটিতে

বাঙাল আর ঘটিতে           বাঙালী


মিঠে কড়া বুলিতে

পিঠে আর পুলিতে

ঠাকুমার ঝুলিতে                বাঙালী


ফেবারিট সানডে

ক্রিকেটে ওয়ানডে

গোল খেয়ে কাঁদে ঐ          বাঙালী


সন্ত্রাস ভীতিতে

চোখা রাজনীতিতে

আর সম্প্রীতিতে                 বাঙালী 


দাঁড়ি কমা হসন্তে

বেহাগ আর বসন্তে

মান্না ও হেমন্তে                    বাঙালী


আমি তুমি আর কে 

অন্ধকারে কার কে

ময়দানে পার্কে                     বাঙালী


ভয় খুনোখুনিতে

পিকে আর চুনীতে

হুজুগে ও নাচুনীতে              বাঙালী


ওল্ড এজ হোমে হায়!

বাবা মাকে কে পাঠায়

ভিটে বেচে ফ্ল্যাটে যায়         বাঙালী


রাগে মুখ ভার করে

দুয়ে দুয়ে চার করে

মাসান্তে ধার করে                 বাঙালী


গিন্নির ঘ্যান্ ঘ্যান্ 

শুধু খরচের প্ল্যান

সত্যজিতের ফ্যান                 বাঙালী


মরে না হতোদ্যমে

ভাঁটা নেই উদ্যমে

সুচিত্রা উত্তমে                        বাঙালী


পালা লোমহর্ষক

চিত্ত আকর্ষক

যাত্রার দর্শক                          বাঙালী


কৌতুক ও নকশায়

ঠাট্টা ও তামাশায়

অম্ল ও আমাশায়                    বাঙালী


হাসি হাততালিতে

সু-রসের ডালিতে 

মুজতবা আলী-তে                 বাঙালী


কবিতার বারোমাসে

সুনীল শক্তি আসে

জীবনানন্দ দাসে                  বাঙালী


নবাবের শিষ্য

ট্যাঁক ফাকা নিঃস্ব

মুখে মারে বিশ্ব                 বাঙালী


ভাবখানা সব জানে

থাকা চাই সব খানে

তবু তো নোবেল আনে          বাঙালী ।।


লিখেছেন প্রদীপ আচার্য্য।


ভালো থাকুক বাঙালি ❤️ 


#everyoneシ゚

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু করনীয়।

 নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু করনীয়।

এই দেশ বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই নিচের ১২ টা নিয়ম মেনে চলুন।

১: প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যায়ই বের হবেন না।

২: রাতে ঘুমানোর পূর্বে দরজা জানালা সব চেক করে তারপর ঘুমান।

৩: বেশি টাকা সঙ্গে রাখবেন না।

৪: প্রয়োজন ছাড়া এটিএম কার্ড সাথে রাখবেন না।

৫: মহিলারা গহনা পড়ে বাড়ি থেকে বের হবেন না।

৬: রাস্তায় প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার করবেন না।

৭: বাসে উঠলে জানালার পাশে না বসার চেষ্টা করুন,বসলেও জানালা বন্ধ রাখুন।

৮: নির্জন রাস্তায় একা একা কোথায় ও যাবেন না।

৯: কোন গাড়ি চালক এসে যদি বলে চলেন আমি যাব টাকা কম দিয়েন তার সাথে যাবেন না।

১০: কেউ কিছু দিলে ধরবেন না খাবেন না।

১১: আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার জীবনের ঝুঁকি আছে তাহলে গাড়ি থামিয়ে নেমে দৌড় দিন।

১২: সব সময় নিজেকে একটিব রাখুন এবং চারিদিকে খেয়াল রাখুন।।

 ধন্যবাদ।

উপদেশমূলক গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জঙ্গলের রাজা বাঘ মশাই ঢাকঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দিলো - "কোনো শিশুকে নিরক্ষর রাখা চলবে না।। সবার জন্য যথাযথ শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে।।" 


সব ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে হবে।। পড়াশুনা শেষ হলে,, সবাইকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।। 


সব বাচ্ছারা স্কুলে এ্যডমিশন হয়ে গেলো।। রাজামশাইয়ের পার্সোনাল স্কুল ,, সবাইকে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া হবে।। 


শুরু হলো সর্ব শিক্ষা অভিযান!!


হাতির বাচ্চা স্কুলে এলো।‌। বাঁদর,, মাছ,, কচ্ছপ,, বিড়াল,,উঁট ,, জিরাফ,, সবার বাচ্ছা স্কুলে পৌঁছে গেলো।। 


শুরু হলো ধুমধাম করে পড়াশোনা।‌। 


"ফাষ্ট ইউনিট টেষ্ট" হলো।। হাতির বাচ্ছা ফেল।। 


- "কোন সাবজেক্টে ফেল ??" হাতি এসে প্রশ্ন করে।‌। 


-- "গাছে ওঠা" সাবজেক্টে ফেল করেছে।।" 


হাতি পড়লো মহা চিন্তায়।। তার ছেলে ফেল ?? এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।।


শুরু হলো খোঁজাখুঁজি,, ভালো টিউটর পেতেই হবে।। সন্তানের শিক্ষার ব্যাপারে কোনো রকম কম্প্রোমাইজ করা যাবে না।। 


হাতির এখন একটাই টেনশন,, যেভাবেই হোক,, ছেলেকে গাছে চড়া শেখাতে হবে !! "গাছে ওঠা' সাবজেক্টে টপার করে তুলতে হবে।। 


ফাষ্ট সেশন অতিক্রান্ত।। ফাইনাল রেজাল্ট আউট হলো।। দেখা গেলো - হাতি,, উঁট,, জিরাফ,, মাছ,, সবার বাচ্ছা ফেল।। বাঁদরের বাচ্ছা টপার হয়ে গেছে।। 


প্রকাশ্য মঞ্চে বিভিন্ন গেষ্টদের আমন্ত্রিত করে,, বিরাট অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলো।। সেখানে টপার হিসাবে বাঁদরের বাচ্ছার গলায় মেডেল পরিয়ে দেওয়া হলো।। 


বাঁদর আনন্দে আত্মহারা।। তার ছেলে টপার হয়েছে।। এ গাছ থেকে সে গাছে,, কি ভীষণ লাফালাফি করে চলেছে।। 


চুড়ান্ত অপমানিত হয়ে হাতি,, উঁট,, জিরাফ,, নিজ নিজ সন্তানকে দারুণ পিটুনি দিলো।। এতো টিউশন,, এতো খরচ,, এর পরেও চূড়ান্ত অসম্মান!! 

তারা মেনে নিতে পারলো না।। 


-- "ফাঁকিবাজ,, এতো চেষ্টা করেও তোর দ্বারা গাছে চড়া সম্ভব হলো না ?? নিকম্মা কোথাকার।। শেখ,, বাঁদরের বাচ্ছার কাছে শিক্ষা নে,, কিভাবে গাছে চড়তে হয়।।" 


ফেল কিন্তু মাছের ছেলেও হয়ে গেছে।। সে আবার প্রত্যেক সাবজেক্টে ফেল,, কেবলমাত্র "সাঁতার" কাটা ছাড়া।। 


প্রিন্সিপাল বললো -- "আপনার সন্তানের এ্যটেন্ডেন্স প্রবলেম।। পাঁচ  মিনিটের বেশী ক্লাসে থাকতে পারে না।।" 


মাছ নিজের সন্তানের দিকে ক্রোধান্বিত হয়ে তাকিয়ে রইলো।। 


বাচ্ছা বলে --" মা-গো,, দম নিতে পারি না,, ভীষণ কষ্ট হয়।। আমার জন্য জলের মধ্যে কোনো স্কুল দেখলে হতো না ??"


মাছ বলে -- "চুপ কর বেয়াদব।। এতো ভালো স্কুল আর কোথাও খুঁজে পাবি না।। পড়াশোনায় মন দে,, স্কুল নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না।।" 


হাতি,, উঁট,, জিরাফ,, নিজের নিজের ফেলিওর বাচ্ছাকে পিটুনি দিতে দিতে বাড়ি ফিরে চলেছে।। পথিমধ্যে বুড়ো খেঁকশিয়ালের সঙ্গে দেখা।। 


শিয়াল বলে -- "আহা,, তোমরা মারো কেনো,, ছোট ছোট বাচ্ছাদের ??" 


উঁট বলে - "মেরেই ফেলবো একে।। আমার মানসম্মান কিছু বজায় রাখলো না।।" 


শিয়াল বলে -- "কি হয়েছে সেটা তো বলো ??" 


হাতি বলে -- "এত বড়ো শরীর নিয়ে,, গাছে চড়তে পারলো না।। বাঁদরের ছেলে টপার হলো,, মান ইজ্জত কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না।।" 


শিয়াল অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।।

-- "আচ্ছা,, তোমরা গাছে চড়তে পারো?? " 


জিরাফ বলে -- "আমরা তো নিরক্ষর।। তখন এসব স্কুল-টুল ছিলো না।। থাকলে শিখে নিতাম,, অবশ্যই গাছে চড়তে পারতাম।।" 


শিয়াল বলো -- "তোমাদের গাছে চড়ার কি প্রয়োজন সেটাই বুঝতে পারলাম না‌।। শোনো হাতি,, তুমি নিজের বিশালাকার শুঁড় উঠিয়ে ধরো,, গাছের সবচেয়ে বড়ো ফলটি পেড়ে ভক্ষণ করো।। তোমার গাছে ওঠা লাগবে না।।"


-- "উঁট ভাই,, তোমার অনেক উঁচু ঘাড় রয়েছে।। ঘাড় বাড়িয়ে দাও,, গাছের সর্বশ্রেষ্ঠ ফল,, পাতা পেড়ে খাও।।" 


-- "বোন মাছ,, তোমার সন্তানকে নদীর স্কুলে ভর্তি করে দাও।। ওকে মনভরে সাঁতার কাটতে শেখাও।। দেখবে,, একদিন তোমার ছেলে নদী অতিক্রম করে সমুদ্রে পাড়ি দেবে।। সাত সমুদ্র পার করে,, তোমার নাম উজ্জ্বল করে দেবো।। ওকে রাজার স্কুলে মোটেও পাঠিও না।। ও মারা যাবে।।" 


❇️❇️❇️❇️❇️❇️❇️❇️


মনে রাখতে হবে,, *শিক্ষা আপনার সন্তানের জন্য,, শিক্ষার জন্য আপনার সন্তান নয়*

 প্রত্যেক শিশুর মধ্যেই কিছু না কিছু স্পেশালিটি আছে ।

আমাদের দায়িত্ব হলো, সেটা খুঁজে বের করা। তাকে সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়া। তাহলেই দেখবেন,, সে নিজেই নিজের গন্তব্য খুঁজে নেবে।


হাতির বাচ্ছাকে জোর করে গাছে চড়াতে যাবেন না। মনে রাখবেন , মাছের বাচ্ছা জল বিহীন স্কুলে গেলে দম ফেটে মারা যাবে।


শিক্ষা-দীক্ষা , খেলা-ধুলা, নাচ-গান, শিল্প-কলা, অভিনয়, ব্যাবসা,যে কোনো ক্ষেত্রেই হোক, সন্তানের প্রতিভার মূল্যায়ন করে নিন।‌ ওদের ইচ্ছেগুলো চিনে নিন, ওদের প্রতিভার মূল্য দিন।


আপনার দায়িত্ব শুধু একটাই, *সন্তানকে সদাচারণ, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও মানবতার শিক্ষা দিয়ে যাওয়া।*


লেখাটি সংগৃহীত

বোনদের জন্য উপদেশ,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সামনের কিছুদিন একটু সাবধানে সাবধানে থাকবেন, বেঁচে থাকবেন। বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে যাঁরা থাকেন। 


 আগামী কিছুদিন বড় বড় শহরগুলোতে অপ*রাধপ্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাবে বলে ধারনা করছেন অপ*রাধ বিশেষজ্ঞরা। তাই কিছু সত*র্কতা অবলম্বন করলে, এই সময়ে নিজেকে সেফ রাখতে পারবেন। 

 

 ১. সন্ধ্যের পর খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকলে বাসা থেকে বের হবেন না।

 

 ২. রাতে দরজা, জানালা খুব ভালোভাবে চেক করে নেবেন, বন্ধ করেছেন কি না। দরজা বা জানালা কিংবা বারান্দায় দূর্বল কোনো স্ট্রাকচার থাকলে তা মেরামত করে নিন।

 

 ৩. এক দুই হাজারের বেশি ক্যাশ টাকা নিয়ে দিনে বা রাতে বাইরে হাঁটবেন না, সেটা যত স্বল্প দূরত্বেরই হোক না কেন।

 

 ৪. আপনার ব্যাংক কার্ড একান্তই প্রয়োজন না হলে সাথে রাখবেন না। কার্ডে যদি এনএফসি সার্ভিস এনাবল করা থাকে তবে ব্যাংকে কল করে তা বন্ধ করে নিন।

 

 ৫. দামী ফোন, ল্যাপটপ, প্যাড, ক্যামেরা বা অন্য কোনো দামী ডিভাইস নিয়ে বের হবেন না। আপাতত এগুলো বাসায় নিরাপদ জায়গায় রাখুন। 

 

 ৬. মহিলারা দামী হোক, কমদামী হোক, কোনো গহনা পরে বের হবেন না। বিশেষ করে, কানে। কান ছিঁড়ে গহনা নিয়ে যাবার  অসংখ্য রেকর্ড আছে।

 

 ৭. রাস্তায় ফোন বের করে টেপাটেপি করবেন না বা কথা বলবেন না।

 

 ৮. বাসে উঠলে জানালার পাশে না বসার চেষ্টা করবেন।

 

 ৯. উবার পাঠাওয়ে উঠলে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিছু লোক দামাদামি করে, ওদের সাথে রাইড নেবেন না।

 

 ১০. সিএনজিতে উঠলেও ফোন, ব্যাগ সাবধানে রাখুন। সিএনজির  পর্দা কেটে ছিন*তাই করতে দেখা গেছে অনেকগুলো।

 

 ১১. অপরচিত কারও সাথে একদম কথা বলবেন না।

 

 ১২. অপেক্ষাকৃত নির্জন রাস্তা দিয়ে কোনোভাবেই একা একা যাবেন না।

 

 ১৩. যদি মনে  হয় কেউ আপনাকে ফলো করছে, মানসম্মানের ভ*য় না করে দৌড়ে কোনো জনসমাগমে চলে যান। 

 

 ১৪. চিৎকার করে লোক ডেকে বা ৯৯৯ এ ফোন করে কোনো লাভ নেই। আমি নিজে এসব করে দেখেছি, কেউ আসে না। সবাই নীরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে দেখে শুধু।

 

 উপরোক্ত কথাগুলো আমি কাউকে আতংকিত করার জন্য বলিনি, জনসচেতনার জন্য অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। মনে রাখবেন, আপনি চিৎকার করে মরে গেলেও পাশের বাসা থেকে একজনও বেরিয়ে আসবে না। সবাই বরং দরজা জানালা ভালো করে বন্ধ করে দেবে।

 

 তাই নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে।

প্রচলিত কিছু বিদ'আত লিস্টঃ 

 🟥 প্রচলিত কিছু বিদ'আত লিস্টঃ 


যাদের জানা দরকার তারা জেনে নিন। যারা জেনে মানবেন না তারা তর্ক থেকে দূরে থাকেন।আর তর্ক করতে চাইলে দলিল নিয়ে আসেন।


❌ ওজু শেষ পশ্চিম আকাশের দিকে সাহাদাত আঙ্গুল তুলে দুআ বলা।

❌ দরুদে মাহি, দরুদে হাজারি, দরুদে লাঠি ইত্যাদি দরুদ পড়া।টট

❌ তিন বা পাঁচ লাখ কালেমা খতম করা। (মৃত্যু ব্যক্তির জন্য অথবা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য)।

❌ বিশেষ চাহিদা বা মনের আসা পুরনের জন্য ৪০ দিনের যে কোন আমল করা।

❌ দুআ ইউনুস খতম করা।

❌ কালেমা খতম করা।

❌মৃত ব্যক্তির পাশে বসে কুরআন খতম দেয়া।  

❌  দরূদে মুকাদ্দাস, দরূদে মাহী , দরূদে তাজ, দরূদে তুনাজ্জিনা, দরূদে নারী, দরূদে সায়াদাত, দরূদে কামালিয়া। আরো অনেক আছে।


❌ মিলাদ পড়া।

❌ শবে বরাত পালন করা।

❌ শবে মেহরাজ পালন করা।

❌ হুযুর ডেকে এনে কুরআন খতম পড়া।

❌ হুযুরদের ডেকে এনে খতমে ইউনুস পড়া।

❌হুজুর ডেকে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের খতম পড়া। 

     যেমনঃ- কালিমা খতম, দরুদ খতম।

❌ দল বেঁন্দে উচ্চসরে যিকির করা।

❌ নামাযে নাওয়াই তুআন পড়া।

❌ নামাযের মুছল্লায় ইন্নি ওয়াজজাহতু পড়া।

❌ ফরজ নামাজের পরে দল বদ্ধ ভাবে মুনাজাত করা।

❌ রোযার সময় নাওয়াতুআন আছুম্মাগাদাম পড়া।

❌ কদম বুসি করা।

❌ ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা । 

❌ শুক্রবার ৮০ বার নির্দ্দিষ্ট বানানো দরুদে পড়া।

❌ নাবী (সঃ) কে দাড়িয়ে সালাম দেয়া।

❌ নামাজ শেষে জাইনামাজে চুমু খাওয়া।

❌ ঔষধ খাওয়ার আগে "আল্লাহ্ শাফী..." বলা।

❌ বিবাহ বার্ষিকী পালন করা।

❌ মনগড়া প্রাত্যহিক নামায ও তার খেয়ালী সওয়াব

❌ বিভিন্ন মাসের খেয়ালী নামাজ পড়া

❌ ওজুর সময় প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করার সময় আলাদা আলাদা দুআ বলা।

❌ ওজুর পর সূরা কদর পড়া।

❌ আজানের দুআর সাথে "ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ" এই টুকু যোগ করা।

❌ ফজর নামাজের পর ১৯ বার ‘বিসমিল্লাহ’ বলা।

❌ তারাবিতে চার রাকাত অন্তর দোয়া পরা।

❌ তাওবা খতম করা।

❌ দলবেধে পারা ভাগ করে কোর-আন খতম।

❌ সাত সালাম।

❌ খতমে খাঞ্জেখান।

❌ আযান ইকামতের মধ্যে বা অন্য যেকোনো সময় রাসুল সা. এর নাম শুনলে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে লাগানো।

❌ সূরা ইয়াসিন খতম দেয়া।

❌ মাসিক/মেস্ন/পিরিয়ড অবস্থায় রোজা রাখা।

❌ রমজান মাসে কুরআন পড়ে অন্যর জন্য বক্সিয়ে দেয়া।


[রেফারেন্স নেই বলেই এসব বিদ'য়াত। 


বিদ'আতের রেফারেন্স হয়না।

যদি এগুলো সহীহ আমল হতো  তাহলে অবশ্যই এগুলোর রেফারেন্স থাকতো।]

শিক্ষামূলক পোস্ট ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "তুমি তোমার মায়ের সাথে যেমন আচরণ করো, জীবনও তোমার সাথে তেমন আচরণ করবে। মা হলেন ভালোবাসা ও জীবনের উৎস।"


একজন মা গঠিত হন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিয়ে—একটি ভালোবাসা, যা কেউই তোমাকে দিতে পারবে না। তাই তাকে বিচার কোরো না। কতোবার তুমি মায়ের পাশে বসে তার কথা শুনেছ? তার অতীত নিয়ে কখনো কথা বলেছ? হয়তো তিনি কখনোই তোমাকে বলেননি যে, তোমার আসার আগে তাকে কতটা দুঃসহ জীবন পার করতে হয়েছে।


হয়তো তিনি কখনো শেয়ার করেননি তার বুকের ভেতর জমে থাকা ক্ষতগুলো, সেই দাগগুলো, যা স্মৃতির আঘাতে বারবার নতুন হয়ে ওঠে... কষ্টময় শৈশব ও কৈশোরের অভিজ্ঞতা, সেই কঠিন মুহূর্তগুলো, যখন কেউ তাকে শোনেনি, তাকে অবহেলা করেছে। কঠিন সময়ের ছাপ পড়েছে তার মনে—রূঢ় কথা, দারিদ্র্য, ভয়, অবজ্ঞা ও নির্যাতনের অসংখ্য স্মৃতি।


তার হৃদয়ে হয়তো অজস্র দুঃখ লুকিয়ে আছে, যা তিনি তোমার সঙ্গে কখনোই শেয়ার করেননি—শুধু তোমার কাছে তার জীবনের ভুল দিকগুলো তুলে ধরতে চাননি বলে। ভালোবাসার জন্য তিনি তা বলেননি, বা হয়তো নীরবতাই ছিল তার একমাত্র আশ্রয়, যেন তিনি আর কষ্ট না পান।


তাকে সম্মান করো, ভালোবাসো, কারণ তিনি তোমার জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। তাকে ভালো রাখলে, তোমার জীবন আশীর্বাদ, শান্তি, আনন্দ, স্থিতিশীলতা, এবং দীর্ঘায়ুতে পরিপূর্ণ হবে।


এবং মনে রেখো—তুমি তোমার মায়ের সাথে যেমন আচরণ করো, অন্যরাও তোমার সাথে তেমনই আচরণ করবে। চারপাশের মানুষ তোমার কর্ম থেকে শিখবে, তোমার ভালোবাসা দেখবে।


একজন মা শুধু একজনই থাকেন—যদি তাকে এখন মূল্য না দাও, তাহলে একদিন আফসোসের দীর্ঘ রাতগুলো তোমাকে তাড়া করবে।


সেই রাতে তোমাকে ঘুমোতে দেবে না তোমার মা, বরং তোমার নিজেরই অমান্যতা ও অবজ্ঞার স্মৃতিগুলো তোমাকে তাড়া করে ফিরবে, তোমাকে শান্তিতে থাকতে দেবে না...

একটি_তুমিময়_বসন্ত_চাই  আরাধ্যা_আহনাফ_সূচি সূচনা_পর্ব  ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 -‘ অ্যাহ, লাগছে আমার .  . 


হঠাৎ কানে কারো শক্ত হাতের টান অনুভব করলো নৌমিতা। কানের দুল যেন কানের লতি ছিড়ে বেরিয়ে আসবে। ব্যাথা অনুভূত হওয়ায় মৃদু চিৎকার করল। অজান্তেই তার হাতটা চলে গেছে সেই শক্ত হাতের উপর। চেষ্টা করছে কানের উপরে থাকা হাতটা সরাতে। ব্যাথাতুর চোখ দুটো যখন আগ্রহ নিয়ে পেছন ফিরল তখনি অগ্নিমূর্তির  ন্যায় লাল টকটকে ক্ষিপ্র দৃষ্টির পুরুষটাকে দেখে হিম হয়ে গেলো। 


ধরফর করে উঠলো নৌমিতকার বুক। হঠাৎ ব্যাথাতুর ভাব টা চট করে বাতাসে মিলিয়ে গেল। চমকে উঠে ছিটকে সরে দুই কদম দূরত্ব রেখে দাঁড়ালো। চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেছে। গোলাপি বর্ণের চিকন ঠোঁট দুটো কিঞ্চিৎ ফাঁক হয়ে গেল। সে ভেবেছিলো তার বান্ধবী হবে হয়তো! লোকটার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে তাকে থামিয়ে দিল। ওই শক্ত হাতে কনুই চেপে ধরে টানতে টানতে পার্কের গেইট ক্রস করে গাড়ির দরজা খুলে সামনে দাঁড় করালো । লোকটি গমগমে স্বরে বললো -


—“ জলদি উঠে বস। ”


 চোখ মুখ কুঁচকে ব্যাথা সহ্য করছে নৌমিতা তরফদার নিমু । কিয়ৎক্ষন পর বাঁধন থেকে মুক্ত হলে রাগ দেখিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে , 


—“ এসব কী কুশান ভাই? পাবলিক প্লেসে এমন বিহেভ করছো কেন?”


চলতি পা দুটো থেমে গেল। উল্টো ঘুরে বড় কদমে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অপ্রকৃতিস্থ মেজাজে বলল-


—“ পাবলিক প্লেসে সিনক্রিয়েট করে জোঁকার সাজতে চাচ্ছি না। গাড়িতে বোস, কুইক.”

 

ভড়কে গেল নৌমিতা। অস্বাভাবিক মেজাজ দেখে তর্ক করার মতো দুঃসাহস আর দেখালো না নৌমিতা। এদিক সেদিক তাকিয়ে একটা শুকনো ঢোক গিলে বসে পড়ল গাড়িতে। বসার সাথে সাথে কুশান কর্কশ কণ্ঠে বললো -


--“ শাড়ি পড়ে পার্কে কেন এসেছিস? পেট দেখিয়ে ছেলেদের মাথা নষ্ট করার জন্য? এসব করার জন্য অজুহাত দেখিয়ে ঢাকায় এসেছিস। আমারই বাসায় থেকে এসব নোংরামি করবি, আর আমি সেগুলো টলারেট করবো ভাবলি কি করে? স্টুপিড। কালকের মধ্যে গ্রামে পাঠাবো তোকে। যদি নিজের ভালো চাস তো তাহলে আর একটা প্রশ্নও করবি না।”


ঘাবড়ে গেল নৌমিতা। ভয়টা গ্রামে পাঠাবে এই জায়গায় নয়, ভয়টা হচ্ছে অন্য জায়গায় । চুপচাপ বসে রইলো সে। কুশান আর এক সেকেন্ডও দেরি করলো না। রিভার্স গিয়ারে হাত রেখেই স্টার্ট দিল গাড়িটা। 


নৌমিতা এখনো আতঙ্কে রয়েছে।  কখন যে শাড়িটা সরে গেছিলো বুঝতেই পারেনি ও। সে তো পার্কের এক কিনারাই দাঁড়িয়ে ছিল কে আর দেখবে তাকে? ভুল হয়েছে একটা মাস্ক সাথে আনার দরকার ছিল তার। 


বিশ মিনিটের রাস্তা যেন হাওয়ার বেগে দশ মিনিটেই অতিক্রম করে ফেলেছে কুশান। নৌমিতা দুরুদুরু বুকে  গাড়ি থেকে নামলো। মনে মনে আওড়ালো -“ শুকরিয়া শুকরিয়া। গাড়িসহ আমি যে সহিসালামতে বেঁচে ফিরেছি এই অনেক!” 


ভীতু ভীতু মুখাবয়বে চোরা চোখে কুশানের পেছন পেছন যাচ্ছে। লিফটে উঠে পড়লো কুশান। মুখে হাসির ছিটেফোঁটাও নেই। নৌমিতা যেই না পা বাড়াবে অমনি আদেশের সুরে কঠিন গলায় কুশান বলে উঠে -


--“ ওখানেই দাঁড়া। তোর সঙ্গে একই লিফটে ওঠার কোন রুচি নেই আমার।”


নৌমিতা হতবাক, হতবুদ্ধি! পা টা সরিয়ে আনলো। লিফটের দরজা তখনোই বন্ধ হয়ে গেলো। তাকে রেখেই চলে গেছে কুশান। কোমড়ে হাত দিয়ে কলাপাতা রঙের শাড়িটা উঁচু করে ধরে বোকা বোকা গলায় বলে -


--“ তাহলে আমি কি দিয়ে যাবো? সিঁড়ি দিয়ে এই শাড়ি পড়ে আদৌও পাঁচতলায় পৌঁছানো সম্ভব? এই কুশান তরফদার এতো ভাব দেখায় কেমন করে? অসভ্য, ইতর, জাঁদরেল মার্কা লোক । আমার সঙ্গে এক লিফটে যেতে পারবি না তাহলে এক গাড়িতে আসলি কেন? নিয়ে আসারই বা কি দরকার ছিল! ঢং দেখে বাঁচি না যত্তসব। ”


 আট তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এ পাঁচতলার ফ্ল্যাটে থাকে নৌমিতার চাচা হানিফ তরফদার। গ্রাম থেকে  থেকে বেড়াতে এসেছে নৌমিতা তরফদার। চাচা চাকরির সূত্রে এখানে সপরিবারে থাকেন। উপলক্ষ ছাড়া গ্রামে তেমন যাতায়াত নেই তাদের৷ জেদ চেপে দুই তলা অবধি বিনা ঝা'মেলায় উঠতে সক্ষম হলো নৌমিতা। শাড়ি এখনো এলোমেলো হয়ে যায় নি। সেটা দেখে মনে মনে এক রাশ আনন্দ প্রকাশ করলো। 


আনমনে হাঁটার ধরুণ হঠাৎই হুমড়ি খেয়ে পড়লো ফ্লোরে! আকস্মিক শাড়িতে পা আঁটকে পড়ে যাওয়ায় ব্যাথা পেয়েছে ভীষণ। নাক মুখ কুঁচকে শাড়ি সামলিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। অমনি দু'তলার এক ভাড়াটিয়া ফিক করে হেঁসে দিল। মুখ তুলে তাকালো নৌমিতা। মেয়েটা সম্ভবত তার বড় হবে। মেয়েটা আবার হাঁসতে হাঁসতে ফ্লোরে গড়াগড়ি খাওয়ার উপক্রম।  রাগে, লজ্জায় দৃষ্টি নিচের দিকে রেখে উঠে দাঁড়ালো নৌমিতা। গ্রাম হলে নিশ্চিত ঝগড়া বাঁধিয়ে কিছু কড়া কথা শুনিয়ে দিত কিন্তু এখানে এমন টা করলে তার চাচার ইমেজ নষ্ট হবে। তাই ঠোঁট ফুলিয়ে দ্রুত লিফটে উঠে পড়ল। চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে তার আব্বাজানের কাছে যেতে ইচ্ছে করছে। সব হয়েছে ওই লোকটার জন্য!  তাদের বাসায় এসেছে বলে এতো অপমান! এর জবাব একদিন সে ঠিক দিয়ে দিবে। আজ না জানি এই হরিদাস পালের জন্য আর কি কি ঘটবে তার কপালে!


.

কলিংবেলের ভারিক্কি আওয়াজ সহ্য করতে না পেরে দ্রুত দরজা খুলে দিল কাইফা। দরজার সামনে দাঁড়ানো নৌমিতার ভয়াল দুর্দশা জনিত অবস্থা দেখে হা হয়ে গেল কাইফার মুখ৷ দরজাটা খুলতেই নৌমিতা ঝটপট ঢুকে পড়লো ঘরে। কেঁদে কেটে চোখের কাজল লেপ্টে একাকার! কাইফা চশমাটা ঠেলেঠুলে বিস্ময়ে বললো—


--“ নিমু আপু তোমার এই অবস্থা কি করে হলো? শাড়ি ওমন খোলা খোলা কেন... 


ঠোঁট কামড়ে কান্না চেপে রেখেছে ষোড়শী কিশোরী। যেতে যেতে চোখে পড়ল কুশান রুম থেকে বেরিয়ে তাকেই দেখছে আর মিটিমিটি হাঁসছে। পা দুটো অল্প সময়ের জন্য থামিয়ে কাইফার উদ্দেশ্যে বলল,


--“ রাস্তায় পাগলা কুকুরের দাওয়া খেয়েছি তো তাই এমন হয়েছে।”


কথা শেষে এক দন্ডও দাঁড়ালো না। কারণ দাঁড়ালে হয়তো ওই তীক্ষ্ণ, ধারালো চোখের চাহনীতে ভস্ম হয়ে যেত। ধারালো চোয়াল মুঠো করে দাঁত কটমটিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুশান। চেঁচিয়ে বলে উঠে -


--“ আম্মু .  . খিদে পেয়েছে ভাত দাও। ”


রুমে ঢুকেই দরজা আঁটকে ফ্রেশ হয়ে নিল নৌমিতা । একটা কালো রঙের থ্রিপিস পড়েছে। দরজাটা খোলার সাথে সাথে দুই বাটি নুডুলস নিয়ে হাজির হলো কাইফা। শ্যামবর্ণের মেয়ে কাইফা। এবার ক্লাসে এইট এ পড়ে। চশমাটা খোলে ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখলো। নৌমিতার মুখ এখনো গুমোট অন্ধকারে ছেয়ে আছে। কাইফা আঁটসাঁট বেঁধে বিছানায় বসে কৌতুহলপূর্ণ গলায় জিজ্ঞেস করলো -


--“ আপু তোমার বয়ফ্রেন্ড কখন এসেছিলো? কি কি কথা বললে? কেমন দেখতে তোমার . .।”


কথার মাঝখানে দাঁড়ি বসিয়ে দিল নৌমিতা - 


--“ আরে থাম তো তুই। জ্বালাস না। চুপ করে বসে থাক।”


মন খারাপ হয়ে গেল কাইফার। কিন্তু এতোটুকু আন্দাজ করতে পারলো - কোন না কোন গোলমাল নিশ্চিয়ই আছে। তাই আবারো কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বলল, 


--“ আপু তোমাদের কি দেখা হয় নি?”


এবার আর মুখ গুমরা করে থাকতে পারলো না নৌমিতা। বোন কে এসে জড়িয়ে ধরে একটু কাঁদলো। কাঁদতে কাঁদতে বলল, 


--“ আমায় এখন কোন প্রশ্ন করিস না। একটু কাঁদতে দে। আমি রাগ কন্ট্রোল করতে পারছি না রে বোন।”


নৌমিতা তার রাগ কে কখনো কন্ট্রোল করতে পারে না। আর সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ হয়তো কখনো ভাংচুর করে মিটে নয়তো কেঁদে! কিছুক্ষণ পর শান্ত হয়ে বলল, 


--“ দেখা হয়নি রে বোন। কি করে হবে? সানিয়ার সাথে কথা বলে তাকে বিদায় দিয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ও এখনো আসছে না দেখে কল দিতে যাবো অমনি তোর বিটকেল ভাইটা এসে হাজির।”


এতোটুকু বলে থামল ও । অপমানের কথাটা মনে হতেই বেলুনের মতো চুপসে গেল । ফোনটা হাতে নিল সে। ডাটা কানেক্ট করে অনলাইনে ঢুকতে ঢুকতে কাইফার আবারো প্রশ্ন -


--“ তুমি আমার ভাইকে বিটকেল বলো কেন আপু ?”


একহাতে ফোন ঘাঁটছে, অন্য হাতে নুডুলস'টুকু খালি পেটে চালান করছে নৌমিতা। 


--“ বিটকেল কে বিটকেল বলবো না তো কি কুমার বলবো? ওর একটা কটকটি মার্কা গার্লফ্রেন্ড আছে । তোর ভাই মাঝেমাঝে গ্রুপ ফটো আপলোড দেয় আর সব ছবিতে ওই কটকটি বিদ্যমান। কিরণমালা দেখিস নি? ওই নাটকের কটকটির যে বয়ফ্রেন্ড ছিল বিটকেল, তোর ভাই ওইটাই। ” 


ফিক করে হেঁসে দিল কাইফা। হাসি থামিয়ে আবারো জিজ্ঞেস করল -


--“ ভাইয়া তোমাকে সাথে করে নিয়ে এলো?”


--“ হুম ”


নুডুলসের বাটি থেকে অল্প একটু নুডুলস মুখে দিয়ে বোকাসোকা কণ্ঠে কাইফা আবারো বলল -


--“ ভাইয়ার সাথে গাড়ি দিয়ে এসেছো তাহলে কুকুরের দৌড়ানি কখন খেলে?”


--“ তোর বিটকেল ভাইয়ের সাথে থাকলে কি আমার কোন শান্তি আছে? ও নিজেই তো একটা কু. . . 


--“ কাইফা .  . কইফা .  . এক গ্লাস জুস দিয়ে যা।”


জোড় গলায় চেঁচিয়ে কুশান ডাকলো কাইফাকে। এতো জোড়ে চেচালো যে অন্যান্য ফ্ল্যাটে এই আওয়াজ অনায়সে পৌঁছে গেছে। কাইফা দ্রুত চলে গেল জোস বানাতে। 


বিরক্তিতে ভাঁজ পড়লো কপালে। নৌমিতা অনলাইনে ঢুকে অপেক্ষা করছে কখন তার প্রাণ প্রিয় পুরুষ টি তার মেসেজ সিন করবে। নিশ্চিয়ই অভিমান করেছে ও। দেখা টা হয়েও হলো না। সরি লিখে বিস্তারিত কারণসহ ব্যাখ্যা করে ছোটখাটো একটা অনুচ্ছেদ রচনা সেন্ট করলো। সাথে সাথেই সিন করলো ছেলেটা। তিন মাসের সম্পর্ক তাদের। ছেলেটার আচার-আচরণ, কথাবার্তার শালীনতা মুগ্ধ করে নৌমিতাকে। তাই তো অনলাইনে প্রেম করার মতো সাহস জুগিয়েছে মনে। বাড়ি থেকে বই মেলায় যাওয়ার বাহানা দিয়ে ওর সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। বইমেলায় গিয়ে পছন্দের লেখিকাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটাও ওর বহু দিনের ইচ্ছে। বলতে গেলে দুটো কারণেই তার এই ব্যস্ত নগরীতে পা রাখা। 


ওপাশ থেকে রিপ্লাই এলো —“ মাস্ক লাগিয়ে আসতে পারতে। আমি এসেছিলাম ঠিকই কিন্তু তখন তোমাকে ওই ছেলেটা হাত ধরে টেনে টেনে নিয়ে আসছিলো। তাই আর সামনের পথ বা'রাইনি। কাজিন সবারই থাকে তাই বলে সবার সামনে হাত ধরে টেনে নিয়ে আসাটা মোটেও স্বাভাবিক ঠেকছে না।”


চোখে জল চলে এলো নৌমিতার। নিশ্চিত ভুল বুঝেছে তাকে। বুঝবে নাই বা কেন? এমন হলে তো ভুল বুঝারই কথা। মনে মনে অসংখ্য কটু শব্দে রাগ ঝারলো কুশানের উপর। তারপর ছয়টা কান্নার ইমোজি সেন্ট করে আবারো ক্ষমা চাইলো। গললো বোধ হয় ছেলেটার মন। 


কয়েক কথা কাটাকাটি হবার পর ছেলেটার তরফ থেকে রিপ্লাই এলো --“ কাল বইমেলায় অন্যধারা প্যাভিলিয়নের সামনে দাঁড়িয়ে থেকো। আমি আসবো নিমাই। তোমাকে দূর থেকে হলেও এক নজর দেখতে আসবো! আজকের মতো অফলাইন হচ্ছি। কাল পরীক্ষা আছে। পড়তে বসবো।  ভালোবাসা নিমাই।”


দুটো লাভ ইমোজি যুক্ত করে চলে গেল। সে ভালোবেসে নৌমিতা কে নিমাই বলে ডাকে। এতোক্ষণে যখন বুকের উপর থেকে বোঝাটা নেমেছে তার। নৌমিতা এবার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে। আর তার ভালোবাসার মানুষ টি সে পড়ে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে।  স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে নৌমিতা। ফাঁকা ঘরেই একা একাই গান গাইতে আরম্ভ করলো। হুশ জ্ঞান যেন সব হারিয়ে ফেলেছে। তার গান গাওয়ার ভেতর হঠাৎ কেউ বলে উঠলো -


--“ মশার কণ্ঠও এর চেয়ে সুরেলা,  মধুর! গলা তো নয় যেন ফাঁটা বাঁশ - আকামের কথা বের হয় ঠাস ঠাস।”


আওয়াজের উৎস খুঁজতে গিয়ে কুশান কে দেখেই সাপের ন্যায় ফুঁসে উঠলো নৌমিতা। আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে খুব স্বাভাবিক শান্ত ভঙ্গিতে কানে ব্লুটুথ গুঁজতে গুঁজতে বেরিয়ে গেল কুশান। ভাবটা এমন যে এখানে কিছুই ঘটেনি! ব্লাশ করা চুলগুলো তে আবারো হাত বুলালো। এদিকে ষোড়শীর হৃদয়ে অপমানে দাউ দাউ করে জ্বলছে।


To be continue... 🦋


#একটি_তুমিময়_বসন্ত_চাই 

#আরাধ্যা_আহনাফ_সূচি

#সূচনা_পর্ব 


[ আসসালামু আলাইকুম। নতুন গল্প শুরু করেছি আবারো। এই গল্পটা খুব বেশি বড় হবে না। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের। 🍁]

প্রেমাঙ্গন লেখিকা:#রুবাইয়াত_রাহা  (ছদ্মনাম)  সূচনা পর্ব,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 (১৮+ এলার্ট)


একটানে ব্লাউজের পিছনের ফিতেটা খুল ফেললো এক যুবক।সাদা ধবধবে পেটে হাত দিয়ে চেপে ধরলো পুরুষটি। মেয়েটি কেঁপে উঠলো। বেনারসী শাড়িটি ছুড়ে ফেললো মাটিতে।মেয়েটি শিররনে জড়িয়ে ধরলো সামনে থাকা পুরুষটিকে।দুজন মানব মানবী একে অপরকে ঝাপটে জড়িয়ে আছে। পুরুষটির ঠোঁট মেয়েটির ঠোঁটের মাঝে সে যেন মধুসুধা পান করতে ব্যস্ত। মেয়েটি দম বন্ধ হয়ে আসছে ছাড়াতে চেয়েও পারছে না। শেষে বাঁধ্য হয়ে সেও রেসপন্স করতে শুরু করে।পুরুষটি পর পর শরীর থেকে সমস্ত বস্তু খুলে ফেলে দেয়। আদরের চাদরে মুড়িয়ে দেয় মেয়েটিকে।রাত যত গভীর হচ্ছে ভালোবাসা তত বেশি মধুর হয়


বন্ধ দরজার ভিতরে সদ্য বিবাহিত জুটি। ইরফান শেখ ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ইশারা শেখ। আজ তাদের বিয়ে হয় পারিবারিক ভাবে। ইরফান শেখ হলো এই বিশাল শেখ বাড়ির একমাত্র উওরাধিকারি।বাবা অদিত শেখ মা শাহিদা শেখ আর এ বাড়ির বড় কর্তা মানে ইরফানের দাদু আজান শেখ । তিনি নিজে পছন্দ করে নাতবউ এনেছেন। তার মতে মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন সুশীল মেয়ে এই শেখ বাড়ির বউ হওয়ার যোগ্যতা রাখে এজন্য তিনি খোঁজ খবর নিয়ে নাতীর জন্য মেয়ে এনেছেন যদি সে বড় ঘরের মেয়ে কিন্তু তার মধ্যে সুশীলতা আছে। ইরফান অত্যন্ত বাঁধ্য এবং অবাঁধ্য দুটোই তার মধ্যে বিরাজ করে।পজিশন অনুযায়ী সে বাঁধ্য অবাঁধ্যতা প্রকাশ করে।সে যদি বলে কোনো কাজ করবে না তবে তাকে দিয়ে কেউ করাতে পারবে না। ইরফান দাদুর কথা সবসময় মানে বলতে গেলে তার বাবার থেকেও বেশি এজন্য তো না দেখে দাদুর পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে আনলো কোনো কথা ছাড়াই।ইরফানের একটি বাজে অভ্যাস আছে তা হলো বারে গিয়ে মাঝে মধ্যে মেয়ে নিয়ে পার্টি করে নেশা করে বুদ হয়ে থাকে।এলকোহলের নেশার সাথে মেয়ের নেশাও ধরে তাকে এজন্যই তো কত মেয়ের সাথে সম্পর্ক তার ঠিক নেই। বাড়ি ফিরে মাতাল হয়ে এই খবর বাহিরের কেউ জানেনা একমাত্র শেখ বাড়ির কয়েকজনই জানে। এজন্য একপ্রকার বাঁধ্য হয়ে আজান শেখ নাতীর বিয়ে দেন। ঘরে বউ এনে যদি নাতী সেসব নেশা ছেড়ে দেন এই আশায়।  


ভোরের আলো ফুঁটতে চোখ মেললো ইরফান। চোখ মেলে প্রথম নজরে আসে তারই বুকের উপর ঘুমিয়ে থাকা এক পরীর উপর।কি অপরুপ সৌন্দর্য তার কাজল কালো আঁখি,যেন শরতের আকাশে একমুঠো কালো মেঘ।

ইরফানের নেশা ধরলো মেয়েটার চোখে দিকে তাকিয়ে থাকলে অবাঁধ্য মন অন্য কিছু চাইলো।ইরফান আর নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে ঘুমন্ত অবস্থায় ইশারাকে পাশে শুয়ে দিয়ে ঠোঁট আঁকড়ে ধরলো। ঠোঁট আঁকড়ে ধরায় ইশারা ধপ করে ঘুম পালিয়ে গেলো বুঝতে পারছে তার সাথে কি হচ্ছে। এমনি শরীরে ব্যথার তার মধ্যে স্বামীর ভালোবাসায় যেমন পাগল হলো তেমনি চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো কয়েক ফোঁটা সুখের জল।


সকাল ছয়টা ইশারা বিছানার একপাশে নগ্ন শরীর টাকে চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছে। ইরফান সবে গোসল করে বেরেলো। সাদা ধবধবে শরীরে দর্শমান চুল গুলো ভেজা। দুই হাত দিয়ে ঝাঁকাচ্ছে। ইশারাকে বিছানার কোনে বসে থাকতে দেখে তার সামনে আসে।


__গোসলে যাবে নাকি আমি নিয়ে যাবো?আমি গেলে কিন্তু গোসলের সাথে আরো অনেক কিছু করবো।

ইরফানের চোখে নেশা মুখে দুষ্টু হাঁসি।ইশারা ইরফানের কথার মানে বুঝতে পারলো।ও যেন লজ্জায় কুঁকড়ে গেলো।সদ্য কালকে বিয়ে হওয়া স্বামী এমন এমন কথা বলবে আগে জানা ছিলো না। সে তো বিয়ের আগে মানুষটাকে দেখেওনি বাবার আর্দেশ মতো বিয়ে করেছে। 

সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সুদর্শন পুরুষ তার স্বামী হলেও এসব কথা যেন তাকে লজ্জায় ফেলছে।


__মধুর রাত কেঁটে গেলো তবুও লজ্জা শেষ হয়নি?বাহ! আমি তো লজ্জা থাকার মতো কিছু রাখিনি তার পর এতো লজ্জা।


ইশারা বিছানা থেকে নামলো পা বাড়াতেই অনুভব করলো পুরো শরীর ব্যথায় জর্জরিত পা থেলে গেলো।ইরফান ভ্রু কুচকে তাকালো বুঝতে পারলো সমস্যা কি।

ইরফান ইশারার কাছে এগিয়ে এলো। হুট করে ইশারাকে কোলে তুলে নিলো। ইশারার মুখে এবার বুলি ফুঁটলো।


__ক কি করছেন নামান প্লিজ। 


ইরফানের মুখে হাঁসি। 


___ভয় নেই আজকের জন্য সমাপ্ত। তুমি তো বেশি সহ্য করতে পারছো না। শুধু গোসলে যাওয়ার জন্য এগিয়ে দিয়ে আসবো।ইশারা ইরফানের গলা জড়িয়ে আছে ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট চেপে আছে। ইরফান নিঃশব্দে হাঁসলো।


__মেয়ে আমি আমার অধিকার বুঝে নিতে জানি। তাই আমার ইচ্ছে হলে লুকিয়ে থেকেও লাভ হবে না। 

ইশারাকে আস্তে ওয়াশরুমের ভিতর নামিয়ে দেয়। 


__গোসল শেষে যেতে না পারলে ডাক দিও আমি নিয়ে যাবো।


__আমি যেতে পারবো। 


ইশারায় উওরে ইরফান কিছু বললো না শুধু তাকিয়ে রইলো মেয়েটার গোলাপি ঠোঁট আর কাজল কালো চোখের পানে।দরজায় কষাঘাতের জন্য ইরফানের নজর সরে যায় ইশারা ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। ইরফান রুমের দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলতে দেখা মিলে চাঁদনীর সম্পর্কে যে ইরফানের ভাবী হন ফুফাতো ভাইয়ের বউ।


____কি দেবরজী দরজা খুলছো না কি ব্যপ্যার বউ পেয়ে দিন দুনিয়া ভুলে গেলে।

কথাটা বলে চাঁদনী শাড়ির আঁচলে মুখ লুকিয়ে হাঁসতে থাকে।


__দিন দুনিয়া ভুললে তো আর দরজা খুলতাম না যদিও ইচ্ছে ছিলো না কিন্তু বাচ্চা বউয়ের ব্যপার বুঝোই তো।


তুমি এখানে কি করছো নাতবউ? 


আজান শেখ এর কথায় দুজনে তার পানে চায়।চাঁদনী আমতা আমতা করে উত্তর খুঁজে কিন্তু পায় না। 


__কি হলো উত্তর দেও?


চাঁদনী উত্তর দেওয়ার আগে ইরফান বলে উঠলো,


___দেখতে এসছিলো কি করছি তাই না ভাবিজি? 


চাঁদনী হ্যাঁ মিলালো,


__হ্যাঁ দাদু ডাকতে আসছিলাম মামিমা ডাকতে পাঠিয়েছিলো।


__তুমি এখান থেকে যাও তোমাকে না বলেছি ইরফানের আশে পাশে আসবে না। ওদিকে সাগর আছে ওকে দেখো ওর খাতির যত্ন করো। 


আজান শেখ এর গম্ভীর কন্ঠে চাঁদনী একটু ভয় পায়। তাই সে আড়ালে মুক বাঁকিয়ে চলে গেলো।


আজান শেখ চাঁদনীকে একটু না অনেকটা অপছন্দ করেন তার কারণ অবশ্য আছে।চাঁদনী তার মেয়ে আফিফার বড় ছেলের বউ।উনার দুই ছেলে সাগর আর স্বাধীন।স্বাধীননের বউ দিতি যাকে আজান শেখ অনেক ভালোবাসেন তার কারণ তার আচার আচরণ আর ভালো ব্যবহারের কারণে। দিতি খুব মিষ্টি মেয়ে। আর এক নাতনী আছেন নাম রুবাইয়া তাকে বেশ স্নেহ করেন।আফিফার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলে মেয়ে নিয়ে এই বাড়িতে উঠলে আজান শেখ আর যেতে দেয়নি।অকালে জামাই চলে যাওয়া মেয়ে আর নাতী নাতনিদের তিনি দেখে শুনে রেখেছেন। এখন তারা বড় হয়েছে সাগর আর  স্বাধীন কে নিজেদের অফিসে বসিয়ে দিয়েছেন অদিত শেখ এর সাথে অফিসের কাজ করে। আজান শেখ সব পারলেও ইরফান কে কাজে বসাতে পারলেন না। উনার কথা শুনলেও সব কথা শুনেন না। কিছু কথা শুনেন তার মধ্যে বিয়ে করেছে এটাই অনেক সে কথা শুনাতে আজান শেখ অনেক খুশি। ইশারা কে সব বুঝিয়ে দিতে হবে মেয়ে একটু নরম মনের আর অবুঝ বটে কিন্তু আমাকেই তাকে শক্ত করে গড়িয়ে তুলতে হবে। 


ইরফান রুমে নেই। ইশারা গোসল সেরে চুলের পানি মুচছে তখন আগমন ঘটে দিতির। ইশারা শুনেছে তিনি সম্পর্কে জা হন তাই এগিয়ে গেলো হাঁসি মুখ করে রাখলো। দিতি এসে চুলগুলো আঁচড়ে দিলো অনেক লম্বা চুল আঁচড়াতে তার ভীষণ মুসকিল হয় 

বাসায় হলে মা দিতো কিন্তু উনি কিভাবে যেন বুঝে গেলো আর কত সুন্দর না বলতেও আমার কাজ সহজ করে দিলো।এই বাড়ির মানুষ গুলো ভালো ভেবে ইশারার শান্তি অনুভব হলো।দিতি চুল আঁচড়ে দিতে দিতে বললো,

__শোনো মেয়ে আমি তোমার বড় বোনের মতো তাই একটা কথা বলছি আশে পাশে মানুষ তোমার ভালো চাওয়ার নাটক করবে তাই বলে গলে যেও না।মানুষ চিনতে জানো তো?


দিতির কথার আগা মাথা কিছু বুঝলো না সে মাথা নাড়ালো জানে না।


__তবে শিখে নেও আগে থেকে।কিছু মানুষ আপন সেজেও ছুরি চালাতে দ্বিধা করে না। কখনো কখনো আবার আপন মানুষ ও অভিনয় করে। 


দিতি চুল আঁচড়িয়ে দিয়ে ওর হাত ধরে বাহির হয়ে আসছে।

__বাহিরে অনেক মানুষ এসেছে নতুন বউ দেখতে তারা ইরফানের বউ দেখবে বলে অপেক্ষা করছে চলো।


ইশারা দিতির সাথে যাচ্ছে আর ওর একটু আগে বলা কথা গুলো বুঝার চেষ্টা করছে কিন্তু তার ওই সহজ সরল মাথায় ঢুকছে না আসলে আগে কখনো এতো কঠিন কথা শুনেনি। বাবা মা'র ছায়া তলে বড় হয়েছে সে আর এক ছোট বোন আছে তাদের সুখী পরিবার কখনো হিংসা, বিবাদ এসবের মধ্যে জড়ায়নি তাই বুঝেওনা এই আপন পর খেলা কি।


চলবে...............................?


#প্রেমাঙ্গন

লেখিকা:#রুবাইয়াত_রাহা  (ছদ্মনাম) 

সূচনা পর্ব


[এটা আমার লেখা প্রথম গল্প কেমন হয়েছে জানাবেন। আর যাদের এধরণের গল্প পছন্দ না তারা ইগনোর করবেন প্লিজ।

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...