এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২৭ - ০৩-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৭ - ০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে এশিয়ার দেশগুলোকে এক হতে হবে --- চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরামে বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


সম্মেলনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও যৌথ সমৃদ্ধির জন্য সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ তৈরি করতে এশীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানালেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।  


বাংলাদেশে আরও গম ও সার রপ্তানি করতে রাশিয়ার আগ্রহ।


আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর --- ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছেন এ রাত ।


আগামীকাল শুরু হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা নয় দিনের ছুটি --- প্রিয়জনের টানে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী।


জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদিত।


২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছে আদালত।


এবং গাজায় ইসরাইলের হামলা অব্যাহত -- ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত।

আমরা যা দেখি, তা আসলে ১৫ সেকেন্ড আগেই ঘটে গেছে—এই কথা শুনতে একটু অদ্ভুত লাগতে পারে, কি

 আমরা যা দেখি, তা আসলে ১৫ সেকেন্ড আগেই ঘটে গেছে—এই কথা শুনতে একটু অদ্ভুত লাগতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।  


যখন আমরা কোনো কিছুর দিকে তাকাই, তখন আসলে সেই বস্তু থেকে আলো বেরিয়ে এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়। চোখ সেই আলোকে গ্রহণ করে সেটাকে বৈদ্যুতিক সংকেতে পরিণত করে মস্তিষ্কে পাঠায়। এরপর মস্তিষ্ক সেই সংকেত বিশ্লেষণ করে আমাদের সামনে একটা ছবি তৈরি করে। এই পুরো প্রক্রিয়া খুব দ্রুত হয়, কিন্তু এতে সামান্য পরিমাণ সময় লেগে যায়। সাধারণত, আমাদের মস্তিষ্ক এবং চোখ একসঙ্গে কাজ করে মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যে পুরো বিষয়টি সম্পন্ন করে ফেলে, কিন্তু অনেক দূরের কোনো বস্তু দেখলে এই সময় অনেক বেশি হতে পারে।  


আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। যদি আমরা খুব কাছের কিছু দেখি, তাহলে তার আলো আমাদের চোখে আসতে খুবই কম সময় লাগে। কিন্তু যদি আমরা অনেক দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকাই, তাহলে তার আলো আমাদের কাছে পৌঁছাতে কিছুটা সময় নেয়। যেমন ধরো, সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় লাগে। অর্থাৎ, আমরা যে সূর্য দেখি, সেটি আসলে ৮ মিনিট আগের সূর্যের চেহারা।  


আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এত বড় সময়ের দেরি অনুভব হয় না, কারণ আমাদের চারপাশের বস্তুর আলো খুব দ্রুত আমাদের চোখে পৌঁছায় এবং মস্তিষ্কও খুব দ্রুত তথ্য বিশ্লেষণ করে ফেলে। তবে তত্ত্বগতভাবে, আমরা সবসময় অতীতকেই দেখি। আমাদের চোখ থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত সংকেত পৌঁছাতে এবং সেটাকে সম্পূর্ণরূপে বোঝাতে কিছুটা সময় লাগে। তাই আমরা যা কিছু দেখছি, তা আসলে একটু আগেই ঘটে গেছে।  


এটা এমন, যেন আমরা একটি লাইভ ভিডিও কল দেখছি, যেখানে ইন্টারনেট একটু স্লো, আর কিছু দৃশ্য আমাদের কাছে কয়েক সেকেন্ড দেরিতে পৌঁছাচ্ছে। বাস্তবে হয়তো এই দেরি ১৫ সেকেন্ড নয়, তবে কিছুটা দেরি যে হচ্ছে, তা বিজ্ঞান নিশ্চিত করে। মহাবিশ্বের বৃহৎ প্রেক্ষাপটে, আমরা আসলে অতীত দেখছি, বর্তমান নয়।

জানুন আর একজন মহাকাশচারীর অজানা কাহিনী

 জানুন আর একজন মহাকাশচারীর অজানা কাহিনী


পৃথিবীকে ৫ হাজার বার প্রদক্ষিণ করা এই মানুষ টার সাথে ৩১১ দিন ধরে কেউ যোগাযোগ করেনি। কারন এই মানুষটা যে দেশের নাগরিক ছিল সেই দেশ টাই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে উধাও হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই ৩১১ দিন ধরে ৫ হাজার বার পৃথিবীকে চক্কর কাটতে হয়েছিল। হতভাগা এই মহাকাশ চারির নাম সর্গেই কনস্ট্যানটিনোভিচ ক্রিকালেভ । প্রথম জীবনে যিনি ছিলেন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। পরবর্তীকালে তিনি রকেট সায়েন্টিস্ট হিসাবে যোগদান করেন,তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে । ধিরে ধিরে তিনি প্রশিক্ষন নিয়ে হয়ে উঠেন একজন মহাকাশচারি।মোটামুটি ভাবে আমরা সবাই জানি মহাকাশে প্রতিটি দেশেরই কিছু স্যাটেলাইট এবং কিছু দেশের স্পেসেস্টেশন থাকে, সেখানে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পৃথিবী থেকে ইঞ্জিনিয়ার দের মহাশূন্যে পাঠানো হয়।

সেই কারণে ১৯৯১ সালের মে মাসে ক্রিকালেভ কে পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে পাঠানো হয় MIR স্পেস স্টেশনটির রুটিন চেক আপের জন্য। ক্রিকালেভ মহাশূন্যে পারি দেয়ার সময় থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়ন জুরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। ফলে ক্রিকালেভ যে মাত্র পাঁচ মাসের জন্য মহাশূন্যে থাকতে গেছিল।কিন্তু দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ঝামেলা এবং বৈদেশিক চাপে ভেঙ্গে পড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন, তৈরি হয় রাশিয়ান ফেডারেশন নামে এক নতুন দেশ, যার ফলে আগের সমস্ত কাজকর্ম স্থগিত হয়ে যায়।ক্রিকালেভের কাছে শুধু একটাই রেডিও বার্তা পৌছায়, এখন আর কেউ তোমার মিশনের দায়িত্বে নেই। এবার যতদিন না নতুন করে কেউ তোমার সাথে যোগাযোগ করে তুমি অপেক্ষা করো। এর পর পৃথিবীর সাধে সম্পুর্ন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।এবার ভাবুন পৃথিবী থেকে ৪০০-৪৫০০ কিলোমিটার উপরে আপনি শুধু একা, কথা বলার কেউ নেই, আর কোনো দিন পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই।

          

      এদিকে খাবার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে, অক্সিজেন লেবেলও কমে আসছে, পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এবার ভাবুন রোজ ৪০০ কিলোমিটার উপর থেকে আপনি দিন ও রাত্রি হতে দেখছেন, প্রত্যেক দিন প্রায় ১৬ বার গোটা পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছেন,অথচ পৃথিবীর থেকে কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ টুকু করছে না।এমন নির্জন এবং ভয়ঙ্কর জেলখানায় ৩১১ দিন কাটিয়েছেন ক্রিকালেভ।

   

     এবার আসি এর কারণ কি ছিল? পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার সময় ক্রিকালেভ ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক কিন্তু মহাশূন্যে থাকা কালীন সময়ে ক্রিকালেভর দেশটাই উধাও হয়ে গেছিল । পৃথিবী থেকে একটা গোটা দেশ উধাও হয়ে যায়, তাই টেকনিক্যালি ক্রিকালেভর কোনো দেশেরই নাগরিকত্ব ছিল না, তাই তাকে ফিরিয়ে আনতে কেউই উদ্যোগ নেয়নি।সে প্রতিদিন পৃথিবীতে রেডিও সিগন্যাল পাঠাতো যাতে অপর প্রান্ত থেকে কেউ সারা দেয়। এই ভাবেই কেটে যাক প্রায় দশটা মাস।

        

    অবশেষে আচমকা পৃথিবী থেকে সারা আসে এবং ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে ৩১১   দিন মহাশূন্যে জেল কাটানোর পর পৃথিবীতে ফিরে আসেন। কিন্তু টানা প্রায় দশ মাস মহাশূন্যে থাকার ফলে ক্রিকালেভের চেহারা, ওজন, দৈহিক ক্ষমতা এবং মানসিক অবস্থা অনেকটাই পাল্টে যায়, প্রায় আট মাস সময় লেগেছে তাকে পুরোপুরি সুস্থ্য হতে।এর পরেও তিনি বহু বার মহাকাশে গেছেন। বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় অবসর জীবন যাপন করছেন।


#science #astronaut #radiostation #SunitaWilliams #spacestation 

#sergei_krikalev 

#sovietunion #india

#bengali #astronautsinspace #astronautlife #fbpost #viral

আসেন এক জমিদারের নাতির পারিবারিক কাহিনী শুনি।  

 আসেন এক জমিদারের নাতির পারিবারিক কাহিনী শুনি।  


সেই কথিত জমিদারের নাম তজির উদ্দিন, বাড়ি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলার ৩ নং আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে। এলাকার মানুষজন তাকে চিনতো “জুয়ারি তজির” নামে। তার নেশাই ছিলো জুয়া খেইলা বেড়ানো। তবে সেই জুয়া খেইলাও ভাগ্যের কোন খুব বেশি পরিবর্তন করতে পারেন নাই। ভিটে বাড়ি আর সাকুল্যে ৩/৪ বিঘা কৃষি জমিই ছিলো তার মোট সহায় সম্পত্তি। শেষ বয়সে অনেক কস্টে জীবন কাটাইসেন, কেননা তার ছয় সন্তানের কেউই তার দেখভাল করে নাই। 


তজির উদ্দিন ও তার স্ত্রী আকেদার তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলেদের নাম রাজু, সাজু এবং শাহজাহান। মাশাল্লাহ তিনজনের একজনেরও স্থায়ী আয় উপার্জনের কোন বন্দোবস্ত নাই। টুকটাকা কৃষিকাজ আর এদিক সেদিক দালালি করে জীবন ধারণ করতো। মান্ধাতার আমলের টিনের ঘরে ছিলো তাদের বসবাস। মেঝ পোলা সাজু মিয়ার ঘরেই জন্ম নেয় আমাদের আলোচিত জমিদারের নাতি সারজিস আলম। 


সারজিসের নানাবাড়ি নোয়াখালী। স্বভাবতই প্রশ্ন আসতে পারে সাজু মিয়া লক্ষীপুর থেকে নোয়াখালী গিয়ে কিভাবে বিয়ে করলো? আসলে সাজু মিয়া যায় নাই। সারজিসের নানা মক্তবের হুজুর হিসেবে সারজিসদের এলাকাতেই থাকতো। উনার মেয়ে বাকেরাকে বিয়ে করে সারজিসের বাবা। তবে বিয়েটা সাধারণ বিয়ে ছিলো না, ছিলো সালিশী বিয়া। কারণ সারজিস তখন তার মায়ের পেটে। আর গভীরে গেলাম না, বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই কাফি! 


সারজিসের বাবা চলতো মূলত দালালি করে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিএফ কার্ড, আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ি এসব পাইয়ে দিবে বলে এলাকার নিরীহ লোকজনের থেকে টাকা নিয়ে মেরে দেয়াই ছিল তার মূল পেশা। ভুক্তভোগী অনেকে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনও এর কাছে লিখিত অভিযোগও করসে এটা নিয়ে। এর পাশাপাশি লুচ্চামি এবং লাম্পট্যের জন্যও উনি বিখ্যাত। বছর দুয়েক আগেও ক্লাস নাইনের এক মেয়েকে চাপে পড়ে বিয়ে করে ঘরে তুলসিলো, কিছুদিন পর আবার তাড়িয়েও দিসে। 


সারজিস পড়াশোনা করসে পাল্টাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। বাপের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ক্লাস নাইনে থাকতেই এক মেয়ের সাথে ইটিশ পিটিশ করার কারণে সালিশ-দরবার তার বিরুদ্ধেও হইসিলো। এসএসসি পাশ করার পর মানুষজনের অনুদানের টাকায় বিএএফ শাহীন কলেজে পড়তে ঢাকায় আসে। কলেজে পড়াকালীন থাকতো মেসে, চারজন মিলে এক রুম শেয়ার করে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ৫ই আগস্ট পরবর্তী সেই জমিদারের নাতি সারজিসকে আপনারা সবাই চিনেন এবং জানেন।      


এবার সারজিসের বর্তমান হাল হকিকত নিয়ে কিছু বলি। ৫ই আগস্টের পর আলাদিনের চেরাগ পাওয়া সারজিসকে আর ঠেকায় কে? তার পরিবারকে পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় নিয়ে আসছে। তাদের ঢাকায় এখন দুইটা বাসা। একটা এলিফ্যান্ট রোডের তেলের পাম্পের পাশে এবং আরেকটা সেগুন বাগিচায়। কিছুদিন আগে বিয়ে করসে স্কুল পড়ুয়া এক মেয়েকে, স্বভাবতই যেটা বাল্যবিবাহ হবার কথা। এর আগে অবশ্য ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এক মেয়ের (সঙ্গত কারণেই নাম গোপন রাখলাম) সাথে দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক ছিলো, মেয়ের বাবার নাম হামিদুল। হাতে টাকা কড়ি আসার পর সেই মেয়েকে বাদ দিয়ে বাচ্চা এক মেয়েকে বিয়ে করসে। সার্বক্ষনিক চলাচল করে হাইব্রিড এস্কোয়ার ব্রান্ডনিউ গাড়িতে। মাঝে মাঝে ল্যান্ডক্রুজারেও চড়তে দেখা যায়। 


সারজিসের বাপ ও চাচাদের দাপটে এলাকার মানুষজনের নাভিশ্বাস উঠার অবস্থা। বিশেষত যারা অভিযোগ করসিলো সেই ভুক্তভোগীরা এলাকাছাড়া। সারজিসের বাপ তো এখন বড় লেভেলের দালাল। পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সচিবালয়ে নানান তদ্বির, টেন্ডারবাজি, কমিশন আর বদলি বাণিজ্য করেই দিন কাটে তার। সারজিসের দুই মামা সুজন আর সুমনও সারজিসের কল্যাণে করে পিঠে খাচ্ছে। আর নিজে কি পরিমান কামাইসে সেটার হিসাব বের হইতে বেশিদিন সময় লাগবে না। দেখা যাবে তাদের কেউই প্রকাশ কইরা দিল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে!  


এই হইলো আমাদের জমিদারের নাতি সারজিস আলমের আমলনামা। আর সে কিনা ফেসবুকে বক্তব্য দেয় তার দাদা যে পরিমাণ সম্পদ রেখে গেসে তা দিয়ে একটা ইলেকশনও করে ফেলতে পারবে! অল্প বয়সে একটা পোলা এতো বড় বাটপার কেমনে হয় সেটা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম। বাপের ঠিকুজি পাওয়ার পর সেই দ্বিধা ভঙ্গ হইসে। এ তো এক্কেরে বাপকা বেটা, সিপাইকা ঘোড়া। ভন্ডামি আর বাটপারি জন্মগত ভাবেই নিয়ে আসছে, বাকিটা ডাস্টবিন শফিকের ট্রেনিং!


(আপনি যা বলসেন তার প্রমাণ কি? উপরে ঠিকানা ঠিকুজি সব দেয়া আছে, ইচ্ছা থাকলেই খোঁজ নিতে পারবেন। আর নাইলে জমিদারের নাতিকে বলেন তার বাপ-দাদার ইনকাম ট্যাক্স ফাইলটা প্রকাশ করতে)

গোপন_টিপস: টমেটো, মরিচ, বেগুন, গোলাপ ইত্যাদি গাছকে শক্তিশালী ও অধিক ফলনশীল করার কৌশল:

 #গোপন_টিপস: টমেটো, মরিচ, বেগুন, গোলাপ ইত্যাদি গাছকে শক্তিশালী ও অধিক ফলনশীল করার কৌশল:

গাছের ভালো ফলনের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসায়নিক সার ব্যবহার না করেও আপনি সহজেই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে গাছের বৃদ্ধি ও উৎপাদন বাড়াতে পারেন। এখানে ব্যবহৃত প্রতিটি উপাদানের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং এদের উপকারিতা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো—

🧪 উপাদান ও তাদের ভূমিকা--

১. এপসম লবণ (Epsom Salt) - ১ টেবিল চামচ:

✅ কেন দরকার?
👉এপসম লবণ ম্যাগনেশিয়াম সালফেট (MgSO₄) সমৃদ্ধ। ম্যাগনেশিয়াম গাছের ক্লোরোফিল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা গাছের সবুজাভ ও সুস্থ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এছাড়া, এটি ফুল ও ফলের গুণমান বৃদ্ধি করে।

↗️ উপকারিতা:
✅ গাছের সবুজ রং বৃদ্ধি করে, কারণ ম্যাগনেশিয়াম ফটোসিন্থেসিসে সহায়ক।
✅ টমেটো ও মরিচ গাছে অধিক পরিমাণে ফুল ও ফল ধরতে সাহায্য করে।
✅ সালফার গাছের এনজাইম সক্রিয়তা বাড়িয়ে ফসলের গুণগত মান বৃদ্ধি করে।

২. বেকিং সোডা (Baking Soda) - ১ টেবিল চামচ:

✅ কেন দরকার?
👉 বেকিং সোডা মাটির অম্লতা (pH) সামান্য হ্রাস করে, যা ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে টমেটো ও বেগুনের পাতায় যে পাউডারি মিলডিউ, ব্লাইট ও ছত্রাকের আক্রমণ হয়, তা প্রতিরোধে এটি কার্যকর।

↗️ উপকারিতা:
✅ ছত্রাকজনিত রোগ কমায়।
✅ পাতা ও ফুলের রঙ সতেজ রাখে।
✅ মাটির অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি সহজে গ্রহণ করতে পারে।

৩. ডিমের খোসা (Crushed Eggshells) - ১ টেবিল চামচ:

✅ কেন দরকার?
ডিমের খোসায় প্রচুর ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO₃) থাকে, যা মাটির ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে এবং ব্লোসসম-এন্ড রট (Blossom End Rot) প্রতিরোধ করে।

↗️ উপকারিতা:
✅ ফলের পচন (ব্লোসসম-এন্ড রট) প্রতিরোধ করে।
✅ মাটির ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যা গাছের শিকড়কে মজবুত করে।
✅ এটি ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়, ফলে দীর্ঘ সময় ধরে মাটিতে পুষ্টি সরবরাহ করে।

৪. কলার খোসা (Banana Peel) - ১টি (চূর্ণ করে):

✅ কেন দরকার?
👉কলার খোসায় প্রচুর পটাশিয়াম (K) ও ফসফরাস (P) থাকে, যা গাছের ফুল ও ফল ধরার হার বাড়ায় এবং গাছকে রোগ প্রতিরোধী করে।

↗️ উপকারিতা:
✅ ফলন বৃদ্ধি করে, কারণ পটাশিয়াম গাছের শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
✅ গাছের শিকড়ের বৃদ্ধি উন্নত করে এবং মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
✅ ফসফরাস গাছের ফুল ধরার হার বাড়িয়ে দ্রুত ফল ধরতে সাহায্য করে।

৫. ২ লিটার পানি।

🔄 কিভাবে ব্যবহার করবেন?

1️⃣ সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
2️⃣ মিশ্রণটি ২৪ ঘণ্টা রেখে দিন, যাতে পুষ্টি ভালোভাবে পানির সাথে মিশে যায়।
3️⃣ প্রতি ২ সপ্তাহ পর পর গাছের গোড়ায় এই তরল সার ঢালুন।
4️⃣ সকালবেলা বা সন্ধ্যায় প্রয়োগ করুন, যাতে রোদে পুষ্টি নষ্ট না হয়।

🌱 অতিরিক্ত টিপস:

✅ মালচিং (Mulch) ব্যবহার করুন: গাছের গোড়ায় খড়, শুকনো পাতা বা কাঠের গুঁড়ো বিছিয়ে রাখলে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়।
✅ সঠিক জলসেচ দিন: বেশি পানি দিলে শিকড় পচে যেতে পারে, তাই নিয়ন্ত্রিতভাবে পানি দিন।
✅ গাছের পুরনো ও হলুদ পাতাগুলো ছেঁটে ফেলুন, যাতে বাতাস চলাচল ভালো হয় এবং রোগ কমে।
✅ টমেটো, মরিচ, ও বেগুন গাছে খুঁটি দিন, যাতে গাছের ডাল ভেঙে না যায়।

↗️এই প্রাকৃতিক সার কেন গুরুত্বপূর্ণ?

✅ এটি সম্পূর্ণ জৈবিক, ফলে মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হয় না।
✅ রাসায়নিক সারের তুলনায় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব।
✅ দীর্ঘমেয়াদে মাটির গুণমান বাড়ায় ও ফসলের স্বাদ উন্নত করে।
✅ ফলন বেশি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়।

↗️ উপসংহার:
এই প্রাকৃতিক সারটি টমেটো, মরিচ, বেগুন ইত্যাদি গাছের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এটি গাছের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফলন নিশ্চিত করে। নিয়মিত এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে আপনি সহজেই উচ্চ ফলনশীল, স্বাস্থ্যকর ও সুগন্ধি সবজি উৎপাদন করতে পারবেন!

আপনার সবজির বাগানে এই মিশ্রণ ব্যবহার করে দারুণ ফলাফল পেতে পারেন! 🌿🍅🫑🍆🧅

#প্রাকৃতিকসার #সবজিবাগান #জৈবসার #গার্ডেনিং #অর্গানিকফার্মিং @topfans #everyonefollowers

সকলের জন্য শুভ কামনা -- চাষা আলামিন জুয়েল।

চাঁদ নিয়ে কনফিউশন?

 চাঁদ নিয়ে কনফিউশন? 


তাহলে বলি, চাঁদ মূলত পৃথিবীর কক্ষপথে ৫ ডিগ্রী হেলে থাকে, তবে এই কক্ষপথ মাঝে মাঝে উপর নিচ করতে থাকে। মাঝে মাঝে যখন পৃথিবীর কক্ষপথ ও চাদের কক্ষপথ সমান্তরালে আসে তখন রাহু বা কেতু পয়েন্টে (০ ডিগ্রী বা ১৮০ ডিগ্রী এংগেল) পূর্ণগ্রহন বা চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়। 


বাদ বাকি সকল অবস্থানেই, সূর্য পৃথিবী চাঁদ অন্য একটা এংগেল করে থাকে,  ফলে চাদকে সর্বদাই সূর্যের উপরে বা নিচে দেখা যায়৷ 


চাঁদ সূর্যের মত পূব আকাশেই উদিত হয় এবং পশ্চিম আকাশে অস্ত যায়। তবে নতুন চাঁদ সূর্যের ৫৩ মিনিট পরে উদিত হয় এবং প্রতিদিন ৫৩ মিনিট করে পেছাতে থাকে। এভাবে করে প্রতিদিন চাঁদ ও সূর্যের উদয় অস্তের সময় পার্থক্য বাড়তে থাকে৷ 


আমি জানি এগুলা হুদা কথায় বোঝা কষ্টকর, ভিজুয়ালাইজেশন দেখাতে পারলে ভালো হত, ভবিষ্যতে একদিন দেখাবো ইন শা আল্লাহ। 


অমাবশ্যার দিন সূর্য আর চাঁদ প্রায় একই সময়ে অস্ত যায় এবং চাদের আলোকিত পৃষ্ঠ পৃথিবীর উলটো দিকে থাকায় চাঁদ দেখা পসিবল হয়না। 


দ্বিতীয় দিনে, চাঁদ প্রায় সূর্য ও পৃথিবীর সাথে ৮.৫ ডিগ্রী বা তার বেশী কোন করে থাকে এবং প্রায় ১ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আকাশে অবস্থান করতে পারে। এ সময় চাঁদ দেখা যায়। প্রশ্ন হল আমরাতো সবসময় চাঁদ দেখিনা,কেন? 


উত্তর জটিল, আসলেই জটিল। যাদের কল্পনা শক্তি প্রবল তারা অনুধাবন করতে পারেন। আমি কিন্ত বলেছি চাঁদ ও পৃথিবীর কক্ষপথ সাধারণত ৫ ডিগ্রী পর্যন্ত হেলে থাকা যা উপর নিচ (টিল্ডিং/শিফটিং করে) করতে থাকে। ফলে উপর থেকে নিচে ১০ ডিগ্রী পর্যন্ত কৌণিক ব্যবধান তৈরী হতে পারে। তাই চাঁদ সর্বোচ্চ ৫৩ মিনিট আগে/পরে ডুববে। অমাবশ্যার আগের দিনগুলিতে আগে আগে ডুবে আর পরের দিনগুলিতে পরে ডুবে৷  আবার এই হিসাব কিন্ত একদম শুরুর দিন এক্সাক্ট পয়েন্ট থেকেই হিসাব করা হয়েছে, কিন্ত সময় গণনার সূক্ষ্ম ব্যবধানে এটা প্রতিনিয়ত সামান্য করে পরিবর্তন হয়। তাই আজকে চাদের পজিশন কোথায় তার উপর ভিত্তি করে হিসাব নিকাশ করতে হবে। তাই সেই এংগুলার ডিস্টেন্স এর হিসেব অনুযায়ী ঠিক ৫৩ মিনিট হবে না তার কম বেশী হবে তা হিসাব করতে হবে। এইগুলা ৩ডি মডেলে বোঝা সহজ, আমার কথাগুলি অনেকের মাথার উপর দিয়ে যাবে। 


যাইহোক হিসেব করে দেখা গেছে, ৩০ তারিখে চাঁদ বাংলাদেশের আকাশে প্রায় ১ ঘন্টার উপর এবং আট ডিগ্রীর কাছাকাছি এংগেলে অবস্থান করবে, ফলে খুবই চিকন প্রস্থের একটা কম উজ্জ্বল চাঁদ দেখার সম্ভাবনা আছে৷ এই সম্ভাবনা প্রায় ৮০ ভাগ। একই দিনে সৌদী আরব আর পুরো মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। 


তবে একটা মজাদার ব্যাপার লক্ষ্য করা যাবে। আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় দীপ সমূহে ২৯ তারিখেই চাঁদ দেখার সম্ভাবনা পূরণ হতে চলেছে। কানাডা USA তে ২৯ তারিখ চাঁদ দেখার সম্ভাবনা প্রায় ৭০/৮০ ভাগ৷ ভালো কথা এই পার্সেন্টেজ সায়েন্টিফিক নয়, শুধু ধারণা দেয়ার জন্য বলা।


এই পোস্টে আপনারা ৩০ তারিখের এক্সাক্ট সময় ব্যবধান ও কৌনিক ব্যবধান কল্পনা করতে পারেন। 


যদি ২৯ তারিখে আমেরিকাতে চাঁদ দেখা যায় তবেতো অনেকেরই ৩০ তারিখে সৌদী আরবের আগে আগে ঈদ করতে হতে পারে। আপনারা রেডিতো?

সিঙ্গাপুরে একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পরীক্ষার আগে অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন, চিঠিটির বাংলায় অনুবাদ :

 সিঙ্গাপুরে একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল পরীক্ষার আগে অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন, চিঠিটির বাংলায় অনুবাদ :


প্রিয় অভিভাবক,

কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার সন্তানের পরীক্ষা শুরু হবে। আমি জানি, আপনারা খুব আশা করছেন যে, আপনাদের ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করবে।


👉একটা বিষয় মনে রাখবেন যে, যারা পরীক্ষা দিতে বসবে, তাদের মধ্যে একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে শিল্পী হবে, যার গণিত শেখার কোনো দরকার নেই।


👉একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হবে, যার ইতিহাস কিংবা ইংরেজি সাহিত্যে পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন নেই।


👉একজন সংগীতশিল্পী হবে, যে রসায়নে কত নম্বর পেয়েছে তাতে তাঁর ভবিষ্যতে কিছু আসে-যায় না ৷


👉একজন খেলোয়াড় হবে, তাঁর শারীরিক দক্ষতা পদার্থবিজ্ঞান থেকে বেশি জরুরি।


👉যদি আপনার ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পায়, সেটা হবে খুবই চমৎকার। কিন্তু যদি না পায়, তাহলে প্লিজ, তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস কিংবা সম্মানটুকু কেড়ে নেবেন না।


👉তাদেরকে বুঝিয়ে বলবেন যে, পরীক্ষার নম্বর নিয়ে যেন তারা মাথা না ঘামায়, এটা তো একটা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদেরকে জীবনে আরো অনেক বড় কিছু করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।


👉আপনি আপনার সন্তানকে আজই বলুন যে, সে পরীক্ষায় যত নম্বরই পাক, আপনি সব সময় তাকে ভালোবাসেন এবং কখনোই পরীক্ষার নম্বর দিয়ে তার বিচার করবেন না!


👉প্লিজ, এই কাজটি করুন, যখন এটা করবেন দেখবেন যে, আপনার সন্তান একদিন পৃথিবীটাকে জয় করবে!


👉একটি পরীক্ষা কিংবা একটি পরীক্ষায় কম নম্বর কখনোই তাদের স্বপ্ন কিংবা মেধা কেড়ে নিতে পারবে না ৷


👉প্লিজ, আরেকটা কথা মনে রাখবেন যে, এই পৃথিবীতে কেবল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার, প্রফেসর বা আইনজীবীরাই একমাত্ৰ সুখী মানুষ নন!

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কথাবার্তা কম রাখতে হবে।

 রমজান মাসের শেষ দশকে ই‘তিকাফের ফজিলত, নিয়ম ও পদ্ধতি

ই‘তিকাফ হলো ইবাদতের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট স্থানে নিজেকে সংযত রাখা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা। বিশেষ করে রমজান মাসের শেষ দশকে এটি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় আমল।


🌟 ই‘তিকাফের ফজিলত ও গুরুত্ব

✅ রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নত:


রাসুলুল্লাহ (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন (সহিহ বুখারি: 2026)।


মৃত্যুর বছর তিনি ২০ দিন ই‘তিকাফ করেন (সহিহ বুখারি: 2040)।


✅ লাইলাতুল কদর পাওয়ার সুযোগ:


শেষ দশকে লাইলাতুল কদর পাওয়া যায়, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ (সূরা কদর: ৩-৫)।


✅ গুনাহ মাফের সুযোগ:


ই‘তিকাফ করা ব্যক্তি দুনিয়ার ব্যস্ততা থেকে দূরে থেকে আল্লাহর ইবাদতে সময় কাটান, যা গুনাহ মাফের বড় সুযোগ।


✅ দুই ঈদের মধ্যে ই‘তিকাফ করলে জান্নাত লাভ:


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

"যে ব্যক্তি ঈদের দিন পর্যন্ত ই‘তিকাফ করবে, সে দুটি ঈদের মধ্যবর্তী সময় জান্নাতে কাটাবে।" (সহিহ ইবনে মাজাহ: ۱۷۸১)


📌 ই‘তিকাফের নিয়ম ও শর্তাবলি

✅ নিয়ত করা জরুরি:


আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ই‘তিকাফের সৎ নিয়ত করতে হবে।


✅ স্থান:


পুরুষদের জন্য মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও ই‘তিকাফ সহিহ নয় (সূরা বাকারা: ১৮৭)।


নারীরা নিজ ঘরের নির্ধারিত নামাজের স্থান বা কোনো নির্জন কক্ষ ই‘তিকাফের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।


✅ সময়সীমা:


ই‘তিকাফ রমজানের ২০ রমজান সূর্যাস্তের পর শুরু হয় এবং ৩০ রমজানের সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদ দেখার পর শেষ হয়।


✅ ইবাদত:


কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, দোয়া-দরুদ, জিকির-আজকার, ইস্তিগফার ও ইসলামী জ্ঞান চর্চা করা উত্তম।


✅ মসজিদ থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ (যদি প্রয়োজন না হয়):


ওজু, গোসল, প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না।


জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কথাবার্তা কম রাখতে হবে।


📖 ই‘তিকাফের পদ্ধতি (Step-by-Step Guide)

📌 ১. ই‘তিকাফের নিয়ত করুন

🕌 "আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রমজানের শেষ দশকের সুন্নত ই‘তিকাফ করার নিয়ত করছি।"


📌 ২. নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান করুন

✅ পুরুষদের জন্য মসজিদে নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়া এবং ইবাদতে মগ্ন থাকা।

✅ নারীদের জন্য নিজ ঘরের নির্দিষ্ট কক্ষে নির্জনে ইবাদত করা।


📌 ৩. অধিক ইবাদতে সময় ব্যয় করুন

📖 কুরআন তিলাওয়াত করুন।

🕋 অধিক পরিমাণে দোয়া ও ইস্তিগফার করুন।

🤲 বিশেষত লাইলাতুল কদরের রাতগুলোতে ইবাদতে মনোযোগ দিন।


📌 ৪. অহেতুক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকুন

🚫 অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, হাসি-ঠাট্টা, মোবাইল ব্যবহার পরিহার করুন।

🎧 যদি ইসলামিক লেকচার বা দোয়া শোনা হয়, তবে তা হালাল ও শিক্ষামূলক হতে হবে।


📌 ৫. নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ই‘তিকাফ পালন করুন

✅ ৩০ রমজানের সন্ধ্যায় বা ঈদের চাঁদ দেখার পর ই‘তিকাফ শেষ করুন।


🎯 উপসংহার

ই‘তিকাফ হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম সেরা উপায়। এটি আমাদের জীবনের গুনাহ মাফের, আত্মশুদ্ধির ও লাইলাতুল কদরের ফজিলত অর্জনের এক বিশাল সুযোগ। আমরা যেন সুন্নতের অনুসরণে রমজানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করি এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আল্লাহর ইবাদতে কাজে লাগাই।


🌟 আল্লাহ আমাদের সবাইকে ই‘তিকাফের মাধ্যমে গুনাহ মাফের সুযোগ দান করুন, আমিন! 🤲

অসম্মান :~ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য      চতুর্থ ও শেষ পর্ব

 অসম্মান :~ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য

     চতুর্থ ও শেষ পর্ব


আপনার মটকা চা তো ভালোই খেতে এর দাম কত ? অতনুর বাবা সবার কাছ থেকে দাম নিয়ে আমাদের দিকে ঘুরে বললেন ৩০ টাকা করে। হাতে ধরে রাখা মাটির গ্লাসটার দিকে তাকিয়ে বললাম, এই গ্লাসগুলো কি আপনি অর্ডার দিয়ে বানান ? ওপাশের টেবিল দুটো পরিষ্কার করতে করতে অতনুর বাবা বললেন, সাধারণত মৃৎশিল্পীদের কাছে চালু মাপের ভাঁড় আর গ্লাস থাকে, আমার এই গ্লাসগুলো ১০০ এম এল এর বলে স্পেশালি অর্ডার দিতে হয়। কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে গ্লাসে আবার চুমুক দিয়ে বললাম, আপনার একা হাতে দোকান সামলাতে অসুবিধা হয় না ? একা সামলাবো কেন গোপাল থাকে তো। সাথে সাথে জিজ্ঞেস করলাম গোপাল কে ? অতনুর বাবা বললেন, গোপাল আমার ছেলের মত ! ওই তো এই দোকান সামলায় !! অতনুর বাবার ছেলের মত কথা শুনে মা চা খাওয়া বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন আমি কিছু বুঝতে না পেরে বললাম, সে কোথায় ? অতনুর বাবা আমাদের দিকে ঘুরে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে বললেন, এখন ও ওর বাড়িতে, ১১ টার সময় ওকে ছেড়ে দিই আবার তিনটের দিকে আমি যখন বাড়ি যাই ও তার আগে এসে পাঁচটা পর্যন্ত একা দোকান সামলায় তারপর আমি আবার পাঁচটা সোয়া পাঁচটায় এসে দু'জনে মিলে রাত দশটা পর্যন্ত দোকান সামলাই।

চায়ের গ্লাসে পরপর দু'বার চুমুক দিয়ে একটু ভেবে বললাম, গোপালকে আপনার ছেলের মত বললেন আপনার নিজের কোন সন্তান নেই ! অতনুর বাবা আমার কথায় বোধহয় অসন্তুষ্ট হলেন তাই তিনি বললেন, আপনি হঠাৎ আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে জানতে চাইছেন কেন বলুন তো ? আমি তো আপনাকে চিনি না আগে কখনো দেখেছি বলেও তো মনে হয় না।

কথা ঘুরানোর জন্য তাড়াতাড়ি বললাম, না না ওই যে আপনি বললেন না আপনার ছেলের মত তাই হঠাৎ জিজ্ঞাসা করে ফেললাম কিছু মনে করবেন না বলে গ্লাসের বাকি চাটা শেষ করে পকেট থেকে ১০০ টাকা বার করে ওনার হাতে দিয়ে মাকে বললাম চলো যাই। মা তখনো আস্তে আস্তে চা খাচ্ছেন,

ভদ্রলোক চেয়ার থেকে উঠে টেবিলের ড্রয়ার টেনে ১০০ টাকার নোটটা সেখানে রেখে ৪০ টাকা হাতে নিয়ে ড্রয়ারটা বন্ধ করে বললেন, আমার ২৭ বছরের একটা ছেলে আছে যে সকাল সন্ধ্যে টিউশনি করে আবার টোটোও চালায় আর গোপালতো বলে বললেন, ও শুনতেও পায় না কথাও বলতে পারেনা বলে আমার হাতে চল্লিশ টাকা ফেরত দিয়ে বললেন, ২০২২ সালের পুজোর আগে ও আমার দোকানে এসেছিল কাজ চাইতে। তখন গোপালের বয়স ১৭-১৮ বছর হয়তো ছিল, ও হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে অনেক কিছু বলার চেষ্টা করছিল কিন্তু আমি ওর সেই বলা কথা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না বলে ওকে চলে যেতে বলি। ও তখন ওর পকেট থেকে একটা কাগজ আর পেন বার করে বেশ খানিকটা লিখে আমার হাতে সেটা ধরিয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো। দোকানে তখন খরিদ্দারের চাপটা কম ছিল বলে কাগজটা চোখের সামনে খুলে দেখি তাতে লেখা ছিল, আমি গোপাল, ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়েছি তারপর বাবা মারা গিয়েছিলেন বলে আর পড়া হয়নি। আজ দশ দিন ধরে মা খুব অসুস্থ হসপিটালের ডাক্তার দেখিয়েছি হসপিটাল থেকে যে ওষুধ দিয়েছে তাতে মার অসুখ সারছে না, বাজার থেকে যে ওষুধ কিনব তার টাকা নেই বাড়িতে খাবারও কিছু নেই ! আমি যেখানেই কাজ খুঁজতে যাচ্ছি কথা বলতে পারি না আর শুনতে পাই না বলে কেউ কাজ দিচ্ছে না !! আপনিও ফিরিয়ে দিলে মাকে বাঁচাতে পারবো না। কাগজটা সেদিন হাতে নিয়ে গোপালের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়েছিল, ২০২০ সালে আমার ছেলে অতনু তার মাকে হারিয়ে পাগলের মত হয়ে গিয়েছিল, অবশ্য তার কারণও ছিল বলে অতনুর বাবা বলতে লাগলেন, আমি বাইরে কাজ করতাম বলে বছরে তিন চারবার বড় জোর বাড়িতে আসতাম, ছেলের প্রকৃত গার্জিয়ান ছিল তার মা। আমাকে সব সময় দেখতো না বা দরকারের সময় পেতো না বলে ছেলের অভিমান ছিল আমার উপর !

সেই সব সময়ের সঙ্গী তার মা হঠাৎ করে করোনাতে মারা যাওয়াতে ছেলে আমার নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে মার ছবির সামনে রাত দিন বসে থাকতো !! ছেলের অবস্থা দেখে আমি বাইরের কাজ ছেড়ে দিয়ে আমার নিঃসন্তান বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাকে যখন বললাম, বিশ্বনাথ মারা যাবার পর (বিশ্বনাথ আমার ভগ্নিপতি) তোকে নিয়ে যেতে এসেছিলাম তখন তুই যেতে চাসনি।

আজ আমার অতনু তার মাকে হারিয়ে দিন দিন ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে, তুইতো ওর পিসিমা, আজ আর আমাকে ফিরিয়ে দিস না, চল বলে বোনের হাত দুটো ধরে বলেছিলাম, অতনু যদি তোর সন্তান হতো তাহলে এই সময় তুই তাকে অবহেলা করতে পারতিস ? সেদিন বোন আর কিছু না বলে কাপড়চোপড় গুছিয়ে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এসে সব সময় ছেলের পাশে থেকে তার সাথে কথা বলে বলে আস্তে আস্তে সেই ডিপ্রেশন থেকে তাকে বার করে আনতে পেরেছিল শুধুমাত্র উপরওয়ালা সহায় ছিলেন বলেই বলে অতনুর বাবা আবারো বললেন, সেদিন গোপালের মা দশ দিন ধরে অসুস্থ সেটা সত্যি কি মিথ্যে যাচাই না করেই গোপালের লেখা কাগজটা পড়ে ভেবেছিলাম, যার বাবা এমনিতেই নেই তার যদি মা না থাকে তাহলে সন্তানকে সামলাবে কে ! সেদিন হাজার টাকা গোপালের হাতে দিয়ে গোপালের লেখা কাগজটার উল্টো পিঠে লিখে দিয়েছিলাম, আগে বাড়িতে গিয়ে মাকে একটা ভালো ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাওয়াও তারপর চাল ডাল কিনে খাও, মা সুস্থ হয়ে উঠলে তখন তুমি কাজে এসো।

গোপাল সেদিন টাকাটা নিয়ে কাগজটা পড়ে কপালে ঠেকিয়ে ঝপ করে আমাকে একটা প্রণাম করে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কিসব খানিকটা বলে-টলে চলে গিয়েছিল।

চারদিন পর গোপালের কথা মাথা থেকে টোটালি আউট হয়ে গিয়েছিল, সেদিন সকাল ন'টা সাড়ে নটা হবে ঠিক পুজোর আগে বলে দোকানে চাপও বেশি আমি ব্যস্ততার সঙ্গে দোকানদারি করছি হঠাৎ দেখি গোপাল আমার দোকানের সামনে এসে পকেট থেকে একটা কাগজ বার করে আমার হাতে দিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রইল। দোকানে তখন খদ্দেররা একটার পর একটা অর্ডার দিচ্ছে আমি তার মধ্যেও কাগজটা খুলে দেখলাম তাতে লেখা ছিল, মা এখন অনেকটা সুস্থ আমি কি আজ থেকে কাজ করতে পারি ? সেদিন আমি হেসে যেই মাথা নেড়েছিলাম গোপাল সঙ্গে সঙ্গে সেদিনই কাজে লেগে গিয়েছিল।

সেই থেকে গোপাল রয়ে গেছে, ও এখন ভোর পাঁচটায় এসে নিজে দোকান খুলে সকালে যারা হাঁটতে বেরোয় কিংবা বাস ট্রেনের প্যাসেঞ্জারদের চা করে খাওয়ায়। আমি বাড়ির বাজার করে টিফিন খেয়ে গোপালের টিফিন নিয়ে দোকানের যা মালপত্র লাগে সেসব নিয়ে দোকানে আসি যখন তখন সাড়ে আটটা নটা বেজে যায়।

গোপাল টিফিন খাওয়ার পর দু'জনে একসঙ্গে এগারোটা পর্যন্ত দোকানদারি করে ওকে ছেড়ে দিই। তিনটের আগে ও এসে দোকান সামলায় আমি বাড়ি চলে যাই আবার পাঁচটার পর দোকানে এসে রাত দশটা পর্যন্ত একসঙ্গে দু'জনে সামলাই। বললাম গোপালকে কত টাকা দেন ?

নিঃসংকোচে অতনুর বাবা যেটা বললেন আমি আর মা শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না !

অতনুর বাবা বললেন, দোকানের বেচাকেনার বেশিরভাগটাই গোপাল করে বলে ওকে ১৩ হাজার টাকা করে দেই তবে নগদে ওর হাতে দেই মাসে ১১ হাজার আর দু হাজার করে প্রতিমাসে পোস্ট অফিসে ওর একটা পাঁচ বছরের রেকারিং অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছি সেখানে জমা দেই যাতে পাঁচ বছর পর ওই টাকাটা ওর কাজে লাগে। বললাম গোপালকি এখনো কাগজে লিখে লিখে তার বক্তব্য বলে ? অতনুর বাবা একটু হেসে বললেন, এখন ওর হাত নাড়া আর চোখের ইশারা দেখলেই বুঝতে পারি ও কি বলতে চায়।

অতনুর বাবার দিকে তাকিয়ে কথাগুলো চুপ করে শুনতে শুনতে মনে হলো, চায়ের দোকানের মালিক কিংবা টোটো চালায় বলে কাউকে অসম্মান করা উচিত না কারণ, আমরা জানিই না সমাজের প্রতি তাদের অবদান কতটা।

এইজন্যেই বোধহয় নন্দিনী বলেছিল, অতনুর বাবার সাথে একবার দেখা করতে।


মা উঠে দাঁড়িয়েছেন দেখে আমিও চেয়ার ছেড়ে উঠে চা খাওয়া মাটির গ্লাস দুটো নিয়ে দোকানের বাইরে রাখা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে সামনের টেবিলে রাখা জলের জগ নিয়ে হাত ধুয়ে মাকে দোকান থেকে যখন হাত ধরে নামাচ্ছি তখন অতনুর বাবা বললেন, চা যদি ভালো লেগে থাকে আবার আসবেন। অতনুর বাবার দিকে তাকিয়ে হেসে বললাম, এখন চা খেতে আপনার দোকানে প্রায়ই আসতে হবে। অতনুর বাবা কিছু না বুঝে হেসে বললেন, অবশ্যই আসবেন।

যেখানে অতনু আমাদের টোটো থেকে নামিয়ে দিয়েছিল সেই পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মা বললেন, অতনুর বাবার কথা শুনে তোর কি মনে হলো ? একটুখানি চুপ করে থেকে বললাম, দু'জনের কথা শোনার পর আমার মনে হয়েছে, বাবা এবং ছেলে দু'জন দু'জনকে খুবই ভালোবাসে কিন্তু সেটা কখনোই একে অন্যের সামনে প্রকাশ করে না ! সম্পর্কটা বোঝা যায় তখন যখন ওরা একে অন্যের ব্যাপারে অন্য কাউকে বলে !! এছাড়াও আমার মনে হয়েছে, দু'জনের মানসিকতাও খুব ভালো তার প্রমাণ, আজ অতনুর বাবার দোকানটা ছিল বলে গোপালের মত একটা ছেলের ভবিষ্যৎ...

মা আমাকে মাঝখানে থামিয়ে দিয়ে বললেন, সেটাতো ঠিকই কিন্তু বাড়িতে গিয়ে বৌমাকে কি বলবি ? কি আবার বলবো বলে বললাম, বলবো, এর আগে আমি নিজে যেসব ছেলের সম্বন্ধ নিয়ে এসেছিলাম এ ছেলে বা তার পরিবার তাদের থেকে অনেকাংশে ভালো বলে মিনুকে এও বলবো, তুমি তোমার মেয়ের সাথে কথা বলে বুধবারের জায়গায় দিন ১৫ সময় নিয়ে নাও, আমাদের একমাত্র মেয়ের বিয়েটা আমরা অনুষ্ঠান করেই করব আর কাল-পরশুর মধ্যে মেয়েকে বল অতনুর বাবা আর তার পিসিমাকে আসতে বিয়ের ফাইনাল কথা বলার জন্য।

         সমাপ্ত   

  ।সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৭-০৩-২০২৫ 

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৭-০৩-২০২৫ 


আজকের সংবাদ শিরোনাম


গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত।


জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা।


চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস --- আজ বোয়াও সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন প্রধান উপদেষ্টা।


পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ --- যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে  সারাদেশে পালিত হবে এ রাত।  


ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুততর সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।


একাত্তর আর চব্বিশ ভিন্ন নয়, বরং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একাত্তরের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে --- মন্তব্য এনসিপি আহ্বায়কের।


এবং যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গাড়ির ওপর নতুন কোরে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা।

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...