এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫

জীবনের সবকিছু এলোমেলো লাগলে কী করবেন? 

 জীবনের সবকিছু এলোমেলো লাগলে কী করবেন? 


ধরুন আপনি জীবন নিয়ে খুব একটা খুশি নন। মনে হচ্ছে কোথাও আটকে আছেন? 


কী করবেন তখন? কীভাবে এই ‘আটকে যাওয়া’ থেকে বেরিয়ে আসবেন? আপনার উত্তর একটাই—জানার চেষ্টা।


জীবনে যে পর্যায়েই থাকুন না কেন, সব সমস্যার সমাধান আছে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সঠিক ধাপ এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি।


চলুন, ধাপে ধাপে বিষয়টি বুঝি।


১. আপনি যদি হারিয়ে যান, সমাধান হলো শিক্ষা।


কখনো কি লক্ষ্য করেছেন, যখন আপনি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হন, তখন আপনার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হয় জানার অভাব? তাই যদি হারিয়ে যান, প্রথমে শিখুন। জানতে শুরু করুন। বই পড়ুন, লোকের সাথে কথা বলুন, ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করুন। জানাটাই আলো, যা আপনাকে পথ দেখাবে।


২. আপনি যদি শিখে যান, সমাধান হলো কাজে নামা।


জ্ঞান যদি শুধু মস্তিষ্কেই থাকে, তবে তা মূল্যহীন। কাজেই, শিখে ফেললে এখন দরকার বাস্তবজীবনে তার প্রয়োগ। শুধু পরিকল্পনা করে বসে থাকলে হবে না, এক পা সামনে বাড়াতে হবে।


৩. আপনি যদি কাজ শুরু করেন, সমাধান হলো লেগে থাকা।


শুরু করা সহজ, কিন্তু মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়া সহজতর। এটাই সবচেয়ে বড় ভুল। কাজ করুন ধৈর্য ধরে। মনে রাখবেন, সফলতা তাদেরই ধরা দেয় যারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে।


৪. আপনি যদি লেগে থাকেন, সমাধান হলো নতুন কিছু চেষ্টা করা।


যদি দেখেন পুরনো পথে কাজ হচ্ছে না, তাহলে নতুন পথ খুঁজুন। আপনার চারপাশে তাকান। পরিস্থিতি বুঝুন। নতুন কিছু করার সাহস অর্জন করুন।


জীবনটা আসলে এক দীর্ঘ পরীক্ষার মতো। যেখানে প্রতিটি ধাপের জন্য আলাদা সমাধান আছে। হারিয়ে গেলে জানতে হবে। শিখে গেলে কাজে নামতে হবে। কাজ শুরু করলে লেগে থাকতে হবে। আর লেগে থাকলে কখনো কখনো পুরাতন নিয়ম ভেঙে নতুন নিয়ম তৈরি করতে হবে।


তাই আপনার জীবন কোথাও আটকে থাকলে থেমে যাবেন না। 


শেখা, কাজ, লেগে থাকা, আর নতুন কিছু করার সাহস—এগুলো আপনাকে যেকোনো সমস্যার সমাধান এনে দেবে......

You just have to follow the process....

মোল্লা নাসিরুদ্দিনের উল্টো গাধার গল্প" 

 "মোল্লা নাসিরুদ্দিনের উল্টো গাধার গল্প" 


সকালের দিকে গ্রামের লোকজন দেখলো —মোল্লা নাসিরুদ্দিন গাধায় চড়ে যাচ্ছেন। মোল্লা তো প্রতিদিনই গাধার পিঠে চড়েন- আজকে সবাই তাকিয়ে আছে কেন?


তাকিয়ে থাকার কারণ মোল্লা নাসিরউদ্দিন তার চিরচেনা, অদ্ভুত ভঙ্গিতে—গাধার পিঠে বসে আছেন ঠিকই, কিন্তু মুখটা উল্টোদিকে করে বসা, লেজের দিকে।


লোক হেসে উঠল, “এই মোল্লা! তুমি উল্টো হয়ে চড়ে আছো কেন? পাগল হয়ে গেলা নাকি?”


নাসরুদ্দিন এক চিলতে হাসি নিয়ে জবাব দিলেন, “আমি ঠিকই আছি। গাধাটাই ভুল দিকে মুখ করে আছে।”


হাসির হো হো পড়ে গেল। তবু এক তরুণ, একটু জ্ঞানী সাজতে চেয়ে প্রশ্ন করল— “তুমি সামনে না তাকিয়ে কোথায় যাচ্ছো, তা বোঝো কীভাবে?”


নাসরুদ্দিন এবার একটু গম্ভীর হলেন। নরম স্বরে বললেন—


“আমি কোথায় যাচ্ছি তা দেখার দরকার নেই। আমার জানা দরকার, আমি কোথা থেকে এসেছি। কারণ ভুলটা তো সামনের পথে নয়, পেছনে ফেলে আসা পদচিহ্নে লুকানো থাকে।”

-


সুফি দর্শন বলে এই গল্পের ভেতরে একটা গভীর সত্য লুকানো আছে— নাসরুদ্দিনের গাধার পিঠ  চড়া আসলে নিজের নফস বা অহংকারকে চালানোর প্রতীক, আর সেই গাধায় পেছন ফিরে বসা মানে নিজ অতীত, ভুল এবং অভ্যস্ত আত্মপ্রবঞ্চনাকে খোলা চোখে দেখা। এইভাবে, তিনি যেন জানান দেন—নিজেকে চেনার পথটা কখনো কখনো সমাজের চোখে অদ্ভুত লাগে, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান ঠিক সেই অদ্ভুত কাজের মধ্যেই অপেক্ষা করে।


আমরা বারবার বলি অদ্ভুত এক উটের পিঠে দেশ চলছে। সেই চলার পথটাকে শুধরে নেয়ার একটা ভালো উপায় হতে পারে মাঝেমধ্যে উটের পিঠে উল্টো হয়ে বসে অতীতে ফেলে আসা পথের ভুলগুলোকে চিনে নেয়া- যেন সোজা হয়ে চলার সময় পুরাতন অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায়।


- সংগৃহীত

শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫

রাইস কুকারে রান্নার ডিটেইলস জেনে নিন রান্নাঘরে কাজে আসবে।

 রাইস কুকারে রান্নার ডিটেইলস জেনে নিন রান্নাঘরে কাজে আসবে।


🍲 রাইস কুকারে ভাত রান্নার নিয়মঃ


প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে এবং পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে রাইস কুকারের ঢাকনা খোলা অবস্থায় চাল দিয়ে দিতে হবে। চাল দেওয়া হয়ে গেলে রাইস কুকারের ঢাকনাটি বন্ধ করে দিতে হবে এবং সুইচ অন করে দিতে হবে। তাহলে ২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে ভাত রান্না হয়ে যাবে। অনেকেই রাইস কুকারে চাল ও পানির অনুপাত কেমন হবে জানতে চান সাধারণভাবে আপনারা ভাত রান্না করার সময় যে পরিমাণ পানি দিয়ে থাকেন তার থেকে একটু কম পানি দিলেও রাইস কুকারে হবে। অর্থাৎ চাল যে পরিমাণে দিবেন তার দ্বিগুণ পানি দিতে হবে।


রাইস কুকারে ভাত পুড়ে যায় কেন বা কি কারণে এই সমস্যাটার সৃষ্টি হয়ে থাকে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। যদি অতিরিক্ত সময় ধরে রাইস কুকারে রান্না বসিয়ে থাকেন অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও যদি ভাত না নামিয়ে থাকেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ভাত পুড়ে যেতে পারে। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কম পানি দেওয়ার কারণেও ভাত পুড়ে যেতে পারে। আশা করি রাইস কুকারে কিভাবে ভাত রান্না করে এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।


শেয়ার করে রাখুন কখনো কাজে লাগতে পারে।


১.৮ লিটার রাইস কুকারে কতটুকু চাল রান্না করা যায়


অনেকেই ১.৮ লিটার রাইস কুকারে কতটুকু চাল রান্না করা যায় এটা নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। বর্তমান বাজারে যে ১.৮ লিটারের রাইস কুকার গুলি পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো ব্যবহার করে আপনারা চাইলে একবারে দেড় কেজি পর্যন্ত চাল দিয়ে রান্না বসাতে পারেন।


রাইস কুকারে ভাত রান্না করতে কত সময় লাগে


রাইস কুকারে ভাত রান্না করতে সাধারণত ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগে থাকে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সময় একটু বেশিও লাগতে পারে। এটা অনেকটা রাইস কুকারের ধারণক্ষমতা ও ক্যাপাসিটির ওপর নির্ভর করে থাকে। তবে যে কোন রাইস কুকারে ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে রান্না হয়ে যায়। রান্না শেষ হয়ে গেলে ওয়ার্ম দিয়ে থাকে তখন সুইচ অফ করে ভাত নামিয়ে নিতে হয়।


🍲🍲🍲 রাইস কুকারে ভাত ছাড়াও অন্যান্য কিছু রান্না করা যায়। যেমন রাইস কুকার ব্যবহার করে আপনারা ডাল সিদ্ধ করতে পারেন, ডিম সিদ্ধ করতে পারেন, পোলাও ও খিচুড়ি রান্না করতে পারেন, তাছাড়া মাছ-মাংস ও রান্না করা যেতে পারে। নিচে রাইস কুকার ব্যবহার করে কিভাবে এই রান্না গুলো করা হয় সে বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হলোঃ-


🍲🍲🍲 রাইস কুকারে পোলাও রান্নার নিয়মঃ

রাইস কুকারে রান্না করার জন্য পোলাও চাল ধুয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।তারপরে রাইস কুকারের ঢাকনা খোলা অবস্থায় ঘি ঢেলে কুকারটি চালু করে দিতে হবে। তেল কিছুটা গরম হয়ে গেলে গরম মসলা ও কিছু পিয়াজ দিয়ে হালকা বাদামী করে পোলাওয়ের চাল দিয়ে রাইস কুকারের চামচ দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। চাল হালকা ভেজে পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে চালের পরিমাণ এর দ্বিগুনর বেশি পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তারপরে রাইস কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দিতে হবে। রান্না হয়ে গেলে রাইস কুকারেরওয়ার্ম চলে আসবে আপনি তখন চাইলে রাইস কুকার থেকে পোলাও বাহির করে নিতে পারেন।


🍲🍲🍲 রাইস কুকার দিয়ে সবজি সেদ্ধ করার নিয়মঃ

রাইস কুকারের সাথে ঝাকার মতো একটি স্টিমার থাকে। এই ঝাকার সাহায্যে যেকোনো ধরনের সবজি খুব সহজেই সিদ্ধ করে নেওয়া যায়। প্রথমে সবজি টুকরা টুকরা করে কেটে নিতে হবে তারপরে ঝাকার উপরে দিয়ে রাইস কুকার চালু করে সিদ্ধ করে নিতে হবে।


🍲🍲🍲 রাইস কুকার দিয়ে মাছ রান্না করার নিয়ম: 

রাইস কুকারে মাছ রান্না করার জন্য প্রথমে কয়েক টুকরা মাছ ধুয়ে এর সাথে হলুদ ও মরিচের গুঁড়া মাখিয়ে কিছু সময় রেখে দিতে হবে। যদি ভেজে রান্না করতে চান তেল গরম করে মাছ ভেজে উঠিয়ে নিন।


মাছ ভাজা তেলে নরমাল চুলায় যেভাবে রান্না করি সেভাবে রান্না করতে পারেন অথবা সব উপকরন মিশিয়ে মাখা তরকারি হিসেবে রাইস কুকারে বসিয়ে দিতে পারেন। নির্দিষ্ট সময় শেষে মাছ রান্না হয়ে আসলে ঢাকনা খুলে কয়েকটি কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিবেন একদম নরমাল চুলোয় রান্নার মত হবে। এবং কষানো থেকে মাখানো তরকারির টেষ্ট অনেক ভালো হয়। 


রান্না করার পদ্ধতি সব রাইস কুকারেই একই। কোন কোন রাইস কুকারে রান্না শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ওয়ার্ম সুবিধা থাকে আর কোন কোন রাইস কুকারে থাকে না। তাছাড়া উপরে ভাত রান্না করার নিয়ম, তরকারি রান্না করার নিয়ম ও সবজি সেদ্ধ করার নিয়ম সহ আরো অনেক কিছু দেওয়া হয়েছে আপনারা চাইলে এই নিয়মে যেকোনো রাইস কুকার ব্যবহার করে রান্না করে ফেলতে পারেন।


শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা রাইস কুকার ব্যবহারের নিয়ম বা কিভাবে রাইস কুকার ব্যবহার করে রান্না করা যায় এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন।


যদি মনে করেন একটু হলেও উপকার হয়েছে প্লিজ আমার Sakiar Rannaghor পেজটি ফলো করে দিন। লাইক দিয়ে সাথে থাকুন। পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন।🙏


ছবির কপিরাইটই : Sakiar Rannaghor

#fyp #Amazing #new #tips #ricecooker

নামাজে আমরা যা বলি, তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা!!

 🕋নামাজে আমরা যা বলি, তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা!!


◾নিয়্যাত করার পর, নামাজের মধ্যে আমরা কি পড়ি, বা বলছি...


১ ) নামাজে দাড়িয়েই প্রথমে আমরা বলি ”আল্লাহু আকবার’

অর্থ – আল্লাহ্ মহান!


২ ) তারপর পড়ি সানা। সানায় আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি নিজের জন্য দুয়া করি।


সানা :

”সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারাকাস্মুকা ওয়া তা’আলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি পাক-পবিত্র , তোমারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, তোমার নাম বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ, তুমি ছাড়া অন্য কেহ উপাস্য নাই।


৩ ) তারপর আমরা শয়তানের প্রতারনা থেকে আশ্রয় চাই এবং বলি,

আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্ব-নির রজিম।

অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।


৪ ) আল্লাহর পবিত্র নাম দিয়ে আল্লাহর দয়া করুণার গুন দিয়ে নামাজ এগিয়ে নিয়ে যাই। এবং বলি, ’বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’

অর্থঃ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।


৫ ) এরপর আমরা সূরা ফাতেহা দিয়ে নামাজ শুরু করি ( ২ রাকাত / ৪ রাকাত, ফরয/ সুন্নতের নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়ি)


৬ ) আমরা রুকুতে আল্লাহ্ -র উদ্দেশ্যে শরীর অর্ধেক ঝুঁকিয়ে দিয়ে মাথা নুয়িয়ে দিয়ে আল্লাহর প্রশংসা করি এবং ক্ষমা চাই, তিনবার বলি, সুবাহানা রব্বি-আল আজিম / সুবহানা রব্বিয়াল আজিম ওয়া বিহামদিহি

অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি।


৭ ) তারপর রুকু থেকে উঠে আমরা বলি

> সামি আল্লাহু লিমান হামিদা

অর্থ : আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে।


তারপর পরই আমরা আবার আল্লাহর প্রশংসা করে বলি-

>আল্লাহুম্মা ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’

অর্থ : হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই।


৮ ) তারপর আমরা সমস্ত শরীর নুয়িয়ে দিয়ে মাথাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়ে আল্লাহর নিকট সিজদা দেই।

বি: দ্র: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করে, আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লেখেন ও তার একটি পাপ দূর করে দেন এবং তার মর্যাদার স্তর একটি বৃদ্ধি করে দেন।‘


তিনবার বলি ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’

অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি


৯ ) দুই সিজদার মাঝখানে আমরা বলি, ”আল্লাহুম্মাগ ফিরলি,ওয়ার হামনী, ওয়াহদীনি, ওয়া আফিনী, ওয়ার-ঝুকনী”

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমায় মাফ কর, আমাকে রহম কর, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে শান্তি দান কর এবং আমাকে রিজিক দাও।


১০ ) এভাবে নামাজ শেষে, মধ্য (২ রাকাত, ৪ রাকাত ভিত্তিতে) বৈঠক আর শেষ বৈঠকে তাশাহুদে, আল্লাহর প্রশংসা করি। রাসুল (সাঃ) এর প্রতি দুরুদ পেশ করে নিজেদের জন্য দুয়া করি। দুআ মাসুরা পড়ি।


🔹তাশাহুদ :

‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু, ওয়াত্ তাইয়িবাতু। আস্সালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন। আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্হাদু আননা মুহাম্মাদান আদুহু ওয়া রসুলুহু।


অর্থঃ “সকল তাযীম ও সম্মান আল্লাহর জন্য, সকল সালাত আল্লাহর জন্য এবং সকল ভাল কথা ও কর্মও আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপানার প্রতি শান্তি, আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের উপরে এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল।”


🔹দুরুদ :


আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইবরহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারক্তা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইবরহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ”।


অর্থ: “ হে আল্লাহ! আপনি নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ও উনার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপভাবে আপনি ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত সম্মানিত।”


🔹দুআ মাসুরা :

আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি যুলমান কাছিরা, ওয়ালা ইয়াগ ফিরূজ যুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রহিম।


অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার উপর অত্যাধিক অন্যায় করেছি গুনাহ করেছি এবং তুমি ব্যতীত পাপ ক্ষমা করার কেউ নেই। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। ক্ষমা একমাত্র তোমার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আমার প্রতি রহম কর। নিশ্চই তুমি ক্ষমাশীল দয়ালু ।


১১ ) ২ কাঁধে সালাম দিয়ে আমরা নামাজ শেষ করি।


১২)  মুসলিম উম্মাহ এর জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া।

ব্যস্ততার কারনে হোক বা তাড়াহুড়োর কারনে হোক, বা যে কোন কারনেই হোক আমরা সব সময় নামাজে গভীর মনোযোগ দিতে ব্যার্থ হই। কিন্তু সব সময় না পারি মাঝে মাঝে তো আমরা মনোযোগ দিতে পারি। তা-ই না ?


এই মনোযোগ বিষয়টা কাজ করবে, যখন আমরা বুঝব যে, নামাজে আমরা কি বলছি।


যখন আমরা নামাজে ব্যবহৃত শব্দ বাক্যগুলোর অর্থ বুঝব বা অনুভব করব তখন মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ঘটবে এবং আমাদের সাহায্য করবে নামাজকে আরও বেশি সুন্দর ও খাঁটি করতে।


এরজন্য যে সম্পুর্ন অর্থ মুখস্ত করতে হবে তাও নয়। যদি শুধুমাত্র জানা থাকে এই কিছু অর্থ তাহলেই তা কাজ করবে অসাধারণ ভাবে, ইন-শা- আল্লাহ্।

জীবন বিমা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সম্মানিত আগ্রহী বীমা গ্রাহক, সরকারি জীবন বীমা কর্পোরেশনের (জীবীক) পক্ষ হতে আপনাকে জানাই সুস্বাগতম্। সরকারি জীবন বীমা কর্পোরেশন, বীমা করলে বেশ কতিপয় সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। তিন কিস্তি বীমা স্কীম, বহু কিস্তি বীমা, পেনশন বীমা, শিক্ষা ও বিবাহ বীমা, শিশু নিরাপত্তা বীমা, ট্রিপল প্রটেকশন বীমা, প্রবাসী কল্যাণ বীমা, Fixed Deposit Scheme ইত্যাদি…….  


জীবন বীমা কর্পোরেশন (জীবীক) সম্পূর্ণরূপে সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক, তেমনি জীবন বীমা কর্পোরেশনও। তাই জীবন বীমা কর্পোরেশনে অর্থ সঞ্চয় করা নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। জীবন বীমা হলো জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ ও মেয়াদি চুক্তি। 


আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, মানুষের জীবনের মূল্য ১০ লক্ষ, ২০ লক্ষ ৩০ লক্ষ ৫০ লক্ষ বা ১ কোটি টাকা নয়, প্রতিটি মানুষের মূল্য-অমূল্য অর্থাৎ মূল্য দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। তবে যার যার সদিচ্ছা ও সামর্থ্য অনুযায়ী বীমা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। আপনি স্বীয় সামর্থ্য অনুযায়ী নিজে বীমা স্কীম গ্রহন করুন এবং পাশাপাশি আপনার প্রিয়জনদের সরকারি জীবন বীমা উপহার দিন। 


সরকারি জীবন বীমায় বিনিয়োগ সবচাইতে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত বিনিয়োগ। আপনার ফ্ল্যাট, বাড়ি, গাড়ি, জায়গা-জমি, সঞ্চয়পত্র, ফিক্সড ডিপোজিট, ব্যাংক ব্যালেন্স এসব নিয়ে আলোচনায় আসে, কিন্তু বীমায় কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন এটা কোন আলোচনায় আসে না। সরকারি জীবন বীমায় বীমা অংক বিভিন্ন মেয়াদে ৫ লক্ষ- ১০ লক্ষ টাকা হতে শুরু করে ০১ কোটি টাকা বা তদুর্ধ আনলিমিটেড টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। 


সরকারি জীবন বীমা করলে, যারা আয়কর প্রদান করেন, প্রতি বছর কমপক্ষে ১৫% আয়কর মওকুফ, জীবনের ঝুঁকি গ্রহণসহ কতিপয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। 


আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, প্রতি মাসে প্রায় ২০,০০০/- ২৫,০০০/- জমা দিয়ে জীবীকের কতিপয় বীমা স্কীমে কোটিপতি বা তদুর্ধ আনলিমিটেড বীমা স্কীম সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রহন করতে পারবেন। সেইসাথে পাচ্ছেন এক কিস্তি প্রিমিয়াম জমা দিয়ে কোটি টাকা বা তদুর্ধ রিক্স কাভারেজ, প্রতিবছর টেক্স রিবেট, যা ব্যাংকে রাখলে রিক্স কাভারেজ ও টেক্স রিবেট পাবেন না। নিশ্চিন্ত সঞ্চয় ও বার্ধক্যে পারিবারিক সুরক্ষা-নিরাপত্তা। তিন বছর বীমা চালানোর পর বীমা একাউন্ট হতে প্রয়োজনে ৭০% - ৯০% পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। বীমা স্কীমগুলো হচ্ছে- ১. তিন কিস্তি বীমা ২. বহু কিস্তি বীমা, ৩. পেনশন বীমা, ৪. মেয়াদী বীমা, ৫. শিক্ষা ও বিবাহ বীমা, ৬. শিশু নিরাপত্তা বীমা ইত্যাদি। এছাড়াও Fixed Deposit Scheme বা “একক প্রিমিয়াম পলিসি” তালিকা ১৭ রয়েছে, এতে বীমা গ্রাহক জীবনের ঝুঁকি নিরাপত্তাসহ ১০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা রয়েছে। এ বীমাতে ১০ লক্ষ, ২০ লক্ষ, ৫০ লক্ষ, ১ কোটি, ২ কোটি বা আনলিমিটেড টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। 


আমাদের ৩০ প্রকারের অধিক বীমা স্কীম রয়েছে। ১ দিনের শিশু থেকে শুরু করে ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত যে কেউ অনায়াসে সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত বীমা করতে পারবেন। 


উদাহরণঃ

======

উদাহরণ স্বরূপঃ পেনশন বীমা স্কীম, তালিকা নং ৬০; ৩৪ বা ৩৫ বছর বয়সের কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে প্রায় ১৯,০০০/- হতে ২০,০০০/- টাকা করে জমা রাখলে ৫৫ বছর বয়সে এককালীন পাবেন প্রায় ১ কোটি ০৫ লক্ষ টাকা অথবা প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মাসিক পেনশন, যা ৫৫ বছর বয়স হতে পর্যায়ক্রমে ১০, ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদের জন্য মাসিক পেনশন নিতে পারবেন। ১,২০,০০০/- টাকা প্রতি মাসে পেনশন পেলে ২০ বছরে মোট পাবেন ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। মেয়াদ পূর্তির সময় বোনাস রেইট বাড়লে এককালীন টাকা অথবা মাসিক পেনশন আরো বেশি পাবেন। এ মাসিক পেনশন আপনার ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসে অটোমেটিক ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এককিস্তি প্রিমিয়াম জমা দিলে বীমা ঝুঁকি ১ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে আর্থিক নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার জন্য পেনশন বীমা স্কীম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বীমা আরম্ভকালীন বয়স ২০-৬০ বছর। মাসিক পেনশন প্রাপ্তির বয়স শুরু ৫৫-৬৫ বছর হতে। শুধুমাত্র ব্যবসায়ী ও বেসরকারি কর্মকর্তাগণ এই বীমা গ্রহণ করবেন তা নয়, সরকারি কর্মকর্তাগণও এই বীমা স্কীম গ্রহন করতে পারবেন। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড।


উদাহরণ স্বরূপঃ তিন কিস্তি বীমা স্কীম, তালিকা নং ০৫; তিন কিস্তি বীমার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বীমাকৃত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনি বীমা অংকের ৫০% টাকা বোনাস বা লভ্যাংশ হিসেবে ফেরত পাচ্ছেন। ধরুন ৩০ বা ৩১ বছর বয়সের কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে প্রায় ২৪,০০০/- হতে ২৫,০০০/- টাকা করে জমা রাখলে ১৮ বা ২১ বছর মেয়াদে ৪৮/৫১ বছর বয়সে সর্বমোট পাবেন প্রায় ১ কোটি টাকা। যা আপনাকে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। ৬/৭ বছর পরে পাবেন ১২.৫ লক্ষ টাকা, পরবর্তী ৬/৭ বছর পরে পাবেন ১২.৫ লক্ষ টাকা এবং মেয়াদান্তে ৬/৭ বছর পরে পাবেন বোনাস বা লভ্যাংশসহ প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। তিন কিস্তি বীমায় ১ম কিস্তির প্রাপ্ত অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে যে লভ্যাংশ পাওয়া যায় তা দিয়েই বীমার পরবর্তি প্রিমিয়ামগুলো দেয়া সম্ভব । বীমা আরম্ভের বয়স ২০ হতে ৫০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ কোন ব্যাক্তির বয়স ৫০ বছর পার হয়ে গেলে আর উক্ত বীমা গ্রহন করতে পারবেন না। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড। 


উদাহরণ স্বরূপঃ বহু কিস্তি বীমা স্কীম, তালিকা নং ০৬, বহু কিস্তি বীমার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বীমাকৃত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনি বীমা অংকের ৮০% টাকা বোনাস বা লভ্যাংশ হিসেবে ফেরত পাচ্ছেন। ধরুন ৩০ বা ৩১ বছর বয়সের কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে প্রায় ২২,০০০/- হতে ২৪,০০০/- টাকা করে জমা রাখলে ২০ বছর মেয়াদে ৫০/৫১ বছর বয়সে সর্বমোট পাবেন প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ+ টাকা। যা আপনাকে ৮ ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রথম ৪ বছর পরে পাবেন ৫ লক্ষ টাকা, পরবর্তী ২ বছর পর পর পাবেন ৫ লক্ষ টাকা করে এবং মেয়াদান্তে বোনাস বা লভ্যাংশসহ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। বার বার কিস্তির প্রাপ্ত অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে যে লভ্যাংশ পাওয়া যায় তা দিয়েই বীমার পরবর্তি প্রিমিয়ামগুলো দেয়া সম্ভব । । বীমা আরম্ভের বয়স ২০-৫০ বছর। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড। 


উদাহরণ স্বরূপঃ শিশু নিরাপত্তা বীমা, তালিকা ০৯, এই বীমা পরিকল্পনা যুগ্মভাবে প্রিমিয়ামদাতা (পিতা/মাতা) ও শিশুর জীবনের উপর দেয়া হয়। শিশুর মেয়াদ-পূর্তিকালীন বয়স ১৮ হতে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এই বীমা সর্বনিম্ন ৬ মাস শিশুর জন্য নেয়া যেতে পারে এবং ৮ থেকে ২৪ বছর মেয়াদের । যদি মেয়াদ-পূর্তির পূর্বে প্রিমিয়ামদাতার মৃত্যু হয় তাহলে মৃত্যুর দিন থেকে মেয়াদ-পূর্তি পর্যন্ত দেয় প্রিমিয়াম মওকুফ হয়ে যায়। এক কোটি টাকার বীমা মূল্যের জন্য বার্ষিক ১০,০০,০০০ টাকা হারে মৃত্যুকাল হতে শুরু করে মেয়াদ-পূর্তি পর্যন্ত এবং মেয়াদান্তে এক কোটি টাকা+ অর্পিত বোনাসসহ বীমার সম্পূর্ণ টাকা প্রদান করা হয়। যদি মেয়াদ-পূর্তির পূর্বে শিশুর মৃত্যু হয় তাহলে তালিকা অনুসারে বীমার টাকা প্রিমিয়ামদাতাকে দেওয়া হয়। এ শিশু নিরাপত্তা বীমাটি মূলতঃ ডাবল ডিফেন্স বীমা , অর্থাৎ শিশু ও শিশুর অভিবাবক উভয়ের সুরক্ষা বীমা। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড।


বর্তমানে সবকিছুই অনলাইন। এ দেশের নাগরিক শুধুমাত্র ঢাকা জেলা বা ঢাকায় অবস্থানকারী হতে হবে, তা নয়; সমগ্র বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত হতে অথবা বিদেশ হতেও অনায়াসে আমাদের মতিঝিল শাখায় বীমা করতে পারবেন। আমাদের মতিঝিল শাখা, ঢাকায় বীমা করতে আগ্রহী হলে ১. এনআইডি অনুযায়ী আপনার নাম, ২. জন্ম তারিখ এবং ৩. আপনার পেশা, ৪. কর্মস্থল ও ৫. মাসিক বা ষান্মাসিক (প্রতি ৬ মাসে) কত টাকা সঞ্চয় করতে আগ্রহী তা 01749108456, এ WhatsApp নাম্বারে sms দিয়ে উল্লেখ করুন। আমরা আপনার জন্য উপযুক্ত সম্ভাব্য একটি বা দুইটি বীমা স্কীম পাঠাবো যা হতে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং উপযুক্ত বীমা স্কীমটি গ্রহণ করতে পারবেন। 


সরকারি জীবন বীমা কর্পোরেশন এর লক্ষ্যমাত্রা- আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ১ বছরের শিশু হতে শুরু করে ৬২ বছরের সকল ব্যক্তিকে পর্যায়ক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত বীমা সেবার আওতায় নিয়ে আসা; যাতে করে প্রতিটি মানুষের জীবন-যাপনে নিশ্চিন্ত সঞ্চয় ও ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার আওতাধীন থাকে।


উন্নত দেশগুলোসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে জীবন বীমা কার্যক্রমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বাংলাদেশে জীবন বীমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সেবা ও বিপদে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য যতটা সম্ভব সঞ্চয় করুন এবং নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত জীবনযাপন করুন।


ধন্যবাদান্তে- 

মানস আচার্য (অপু)। 

০১৭৪৯১০৮৪৫৬, ০১৬০১৩২১৪৬৫, 

ই-মেইলঃ jbc.jibanbima.bd@gmail.com 

জীবন বীমা কর্পোরেশন

ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, জীবীক মতিঝিল ব্রাঞ্চ ৬৭০, 

১১৫-১২০ বা/এ, মতিঝিল, ঢাকা ১০০০।

ডায়াবেটিস এটা কি আসলেই কোনো রোগ

 ♦️ ডায়াবেটিস এটা কি আসলেই কোনো রোগ? 


একজন সুস্থ মানুষের রক্তের Glucose এর মাত্রা স্বাভাবিক থাকে, রক্তে Glucose এর মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে ডায়াবেটিস এর রুগী বলা হয়, কিন্তু কি কারণে এটা বেড়েছে সেটা বুঝিয়ে বলা হয় না, এটা একটা রোগ তাই ওষুধ খেতে পরামর্শ দেয়া হয়, আর সাথে ডায়েট চার্ট দেয়া হয় মুলত ৬ বেলা খেতে বলা হয়, যার একটা মুল অংশ শর্করা যা রক্তে চিনি হিসাবে শোষিত হয় অর্থাৎ ওষুধ খাবে আর বার বার চিনি খাবে, এটাই চিকিৎসা এটা চলবে … দিন দিন ওষুধ বাড়বে, পরে INSULIN লাগবে এভাবেই আজীবন চলতে হবে এবং ওষুধ খেতে খেতে, ইন্সুলিন নিতে নিতে আপনি কবরে যাবেন, এর থেকে মুক্তি নেই এই রোগ কোনদিন ভালো হবে না তি ভয়ংকর ???!!!


কি হতাশাজন একটা পরিস্থিতি অথচ Type 2 ডায়াবেটিস এটা কোনো রোগ না, সহজ ভাবে বললে কোষে জায়গা নেই, রক্তের চিনি কোষে ঢুকতে বাধা পায়, তাই রক্তের চিনি বেড়ে যায়। যেহেতু আমরা বার বার এমন খাবার খাই, যেগুলো খেলে রক্তের চিনি বেড়ে যায়, যেমন ভাত,রুটি, ফল, দুধ ইত্যাদি ।


কোষে জায়গা নেই কেন ? 


কারন আমরা বার বার খাই সত‍্যি, তবে সেটাকে ব‍্যায়াম বা কায়িক শ্রমের মাধ‍্যমে বার্ন করি না বা ব্যবহার করি না, তাই কোষে overload হয়, অতিরিক্ত চর্বি জমে যায় ।


কোষ খালি করবো কিভাবে?


আমরা যদি কোষ খালি করি তো রক্তের চিনি সহজে কোষে ডুকবে আর ডায়াবেটিস থাকবে না তাই এটা আসলেই কোনো রোগ না বরং Lifestyle, আমরা যদি কোষ খালি রাখি এটা হতেই পারে না। আমরা পরিমিত আহার করলে, রোজা রাখলে আর নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানসিক প্রশান্তির চর্চা করলে পর্যাপ্ত ঘুমালে এই সমস্যা হবে না ।


এতো সহজ সমাধান!!!!


দেখেন কতো সহজ সমাধান অথচ আমরা কতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছি, নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছি শুধুমাত্র Lifestyle না বোঝার কারণে এটা সত্যি খুবই দুঃখজনক ॥


Dr. Md. Jahangir Kabir 

শেয়ার করুন যেন আরও একজন মানুষ ওষুধ মুক্ত জীবনে ফিরে আসতে পারে।

চীনের বর্তমান প্রে’সিডেন্ট X’i Jin’g Pin’g এর ভা’ষ্যে : আমার বাবার দেওয়া তিনটে উপদেশ আমাকে আজ এখানে পৌঁছে দিয়েছে।

 চীনের বর্তমান প্রে’সিডেন্ট X’i Jin’g Pin’g এর ভা’ষ্যে :


আমার বাবার দেওয়া তিনটে উপদেশ আমাকে আজ এখানে পৌঁছে দিয়েছে।


ছোটবেলায় আমি খুব স্বার্থপর ছিলাম। সবকিছুতেই নিজের সুবিধে আর লাভটা বুঝে নেবার চেষ্টা করতাম। আমার এই দোষের জন্য আস্তে আস্তে আমার বন্ধুর সংখ্যা কমতে শুরু করল। শেষে অবস্থা এমন হোলো যে আমার আর কোনো বন্ধুই অবশিষ্ট রইল না। কিন্তু, সেই অপরিনত বয়েসে আমি এর জন্য নিজেকে দায়ী না করে সিদ্ধান্ত নিলাম আমার বন্ধুরা আসলে হিংসুটে। ওরা আমার ভাল দেখতে পারে না। আমার বাবা সবই লক্ষ করতেন, মুখে কিছু না বললেও।


একদিন রাতে বাড়ি ফিরে দেখি, বাবা আমার জন্য খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছেন। টেবিলে রাখা আছে রান্না করা ন্যুডলের দুটি ডিশ। একটা ডিশে সেদ্ধ ন্যুডলের ওপর রাখা একটি খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম। অন্য ডিশটিতে শুধু  ন্যুডলসের যে কোনো একটি ডিশ বেছে নিতে বললেন বাবা। 


স্বাভাবিক ভাবেই আমি ডিম সমেত ডিশটাই উঠিয়ে নিলাম। সেই সব দিনে চীনে ডিম ছিল এক দুস্প্রাপ্য জিনিস। উৎসবের দিন ছাড়া কারো বাড়িতে ডিম খাবার কথা তখন ভাবা যেত না। খাওয়া শুরু করবার পর দেখা গেল বাবার ডিশে ন্যুডলসের তলায় আসলে লুকিয়ে রাখা আছে দুটো ডিম। আমার এত দুঃখ লাগছিল তখন। কেন যে তাড়াহুড়ো করে বাছতে গেলাম। 


বাবা আমাকে দেখছিলেন। খাবার পর মৃদু হেসে বললেন, "মনে রেখো, তোমার চোখ যা দেখে, সেটা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে। শুধু চোখে দেখে যদি মানুষ বা কোনো পরিস্থিতিকে বিচার করে সিদ্ধান্ত নাও, ঠকে যাবার সম্ভবনা থাকবে।"


পর দিন আমার বাবা আবার খাবার টেবিলে ন্যুডলস ভর্তি দুটো ডিশ রেখে আমাকে খেতে ডাকলেন। আগের দিনের মত এবারেও একটাতে ডিম আছে, আর একটাতে নেই। আমাকে যে কোনো একটি ডিশ বেছে নিতে বলা হোলো। আমি আগের অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছি, চোখ যা দেখে তা সত্যি নাও হতে পারে। আমি ডিম ছাড়া ডিশটিই বেছে নিলাম। কিন্তু খেতে গিয়ে দেখলাম, ভেতরে কোনো ডিমই নেই।


বাবা আমার দিকে তাকিয়ে আবার হাসলেন। 

"অভিজ্ঞতা সব সময় সঠিক পথ দেখায় না। জীবন বড় বিচিত্র। জীবনে চলার পথে বহুবার আমাদের মরীচিকার সামনে পরতে হয়। এর থেকে উত্তরন অসম্ভব। জীবন যেটা তোমাকে দিয়েছে, সেটা মেনে নিলে কষ্ট কম পাবে। তোমার অভিজ্ঞতা এবং বুদ্ধিমত্তা তুমি অবশ্যই কাজে লাগাবে, কিন্তু শেষ কথা জীবনই বলবে।" 


তৃতীয় দিনে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আগের দিনের মতই এবারেও একটাতে ডিম আছে, আর একটাতে নেই। 


তবে একটা ব্যাপার এবার একটু অন্য রকম হলো।


এবার আমি বাবাকে বললাম, আগে তুমি নাও। তার পর আমি। কারন তুমি বাড়ির সবার বড়, এই সংসার তোমার রোজগারে চলে। তোমার অধিকার সবার আগে। 


কথাগুলো শুনে বাবার মুখে উজ্জ্বল হাসি ফুটে উঠল, মুখে কিছু বললেন না যদিও।


খাওয়া শুরু করবার পর আমি দেখলাম ন্যুডলসে র নীচে আমার ডিশে দুটো ডিম। খাবার পর বাবা আমাকে কাছে ডাকলেন। সস্নেহে আমার হাত ধরে বললেন, "মনে রেখো, কৃতজ্ঞতা এবং ঋণ স্বীকার করা মানুষের শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তুমি জীবনে যদি অন্যের জন্য ভাব, অন্যকে দাও, জীবনও তোমার কথা ভাববে, তোমাকে আরো বহুগুণে ফিরিয়ে দেবে।


বাবার এই তিনটে উপদেশ আমি আজীবন মনে রেখেছি, এবং মেনে চলেছি।


কি আশ্চর্য , সত্যি জীবন আমাকে বহু গুণ ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি আজ যেখানে আছি, সেটা জীবনের দান ছাড়া আর কি?


সংগৃহিত

মাগুরায় হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করতে এসে,মাগুরায় সদর থানা পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছে ৩ জন। azizul islam ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মাগুরা প্রতিনিধি।

মাগুরায় হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করতে এসে,মাগুরায় সদর থানা পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছে ৩ জন।


তাদের তিন জনের বাড়ি মাগুরা সদরের বেরইল গ্রামে।তারা হলেন রিয়া খাতুন ও তার মা পপি বেগম ও প্রতিবেশী লিপি খাতুন।গত মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় মাধ্যমে ঐ তরুনী বলেন,একই গ্রামের ইমরুল ও হাসান এবং তাদের সাথে থাকা আরেক জন ঈদের দিন ঘুরে বেড়ানোর সময় তাকে মুখ বেঁধে বাগানে নিয়ে তার উপর নির্যাতন করে সারা রাত তিনজন মিলে ধর্ষণ করে,একেকজন তাকে ৩-৪বার করে তাকে ধর্ষণ করে,তাদের ফাঁশিও চাওয়া হয় ঐ ভিডিও বার্তায়।এ বিষয়ে তারা থানায় এসেছিলো মামলা করতে। তবে যে ভিডিও রিয়া দিয়েছে,সেখানে শোনা যাচ্ছে সামনে থেকে কোনো এক মহিলা তাকে সকল কিছু শিখিয়ে দিচ্ছেন,যেটা ঐ ভিডিওতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।এই ধর্ষণের ঘটনায় যে দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই দুই হলো গত ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা শরিফুলের আপন ছোট ভাই ও চাচাতো ভাই।আর এই শরিফুল হত্যা মামলার ৮নং আসামি মনিরুল।এই মনিরুলের স্ত্রী হলো লিপি খাতুন।ভিডিও বার্তায় এই লিপি-ই ঐ তরুণীকে সব কিছু শিখিয়ে দিচ্ছেন বলে জানান নিহত শরিফুলের পিতা আকবর মেম্বার। এ বিষয়ে হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বলেন,ঐ মেয়েটা একটি গঙ্গারামপুর একটি ছেলে সাথে ঈদের দিন চলে যায়,যেটা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে শালিস হয়,যে ছেলেটা সাথে যায় সে ছেলেটা আমাদের চাচা তোতা মিয়ার আত্মীয়,চাচা আমাকে ও ইমরুল ভাইকে নিয়ে ঐ শালিসে যায়,সেখানে শালিস শেষে মেয়েকে তার মার কাছে এবং ছেলেকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে ভিডিও ও স্টাম্প করে রাখে তারা,এতটুকু-ই জানি পরে দেখি সে আমাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের কথা বলছে।এদিকে এ ঘটনার সত্য মিথ্যা যাচাই-বাছাই করতে রিয়া যে ছেলে সাথে ঈদের দিন গিয়েছিল তাকেসহ যাদের আনা হয়েছে,তাদেরও কোর্টে চালান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনেরা,কতজন আটক এবং তাদের কি করা হবে এসকল বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো কিছুই স্পষ্ট করছেন না।

এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো:আইয়ুব আলী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,তারা যে মিথ্যা মামলা করতে এসেছিলো এটা আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়েছি।


নিউজটি শেয়ার করুন

সুখপাখি_তার_সন্ধ্যাতারা— ১ লেখনিতে— #রামিশা_আঞ্জুম_বুশরা

“আয় মা/গী! আমার সাথে আয়। এলাকার লোকেরে দেখাবি আমার স্বামী তোরে কোনে কোনে আদর দিছে। আয়!”


“ছাড়ো আপা। দোহাই লাগে আল্লাহ'র।”


“না না, কেরে ছাড়তাম? আমার স্বামীর নামে ওতো বড় অভিযোগ উঠাছত এহন প্রমাণ দিবি না? তোরে দেহাইতেই হইবো!”


পাশের বাড়ির ওমন কথাবার্তা শুনে পিঠা বানানো রেখে দৌড়ে সে বাড়িতে চলে গেল মা-কাকিমারা। কিন্তু আমি কিংবা আমার বোনেরা উঠে যাওয়ার সাহস পেলাম না। পারিবারিক শিক্ষা টা একটু খানি বেশিই! কথিত আছে, ‘মা-কাকিমা'রা কথা বললে সেথায় থাকতে নেই।’ তাই আমিসহ সকলেই পূর্ণ মনযোগ দিলাম পিঠা বানাতে।


মনযোগের ব্যাঘাত ঘটলো যখন, তাদের মারধর আমাদের বাড়িতে এসে পৌঁছুলো। তাসলি কাকি শিখা কাকির চুলের মুঠি ধরে টেনে টেনে আমাদের উঠোনে আনছেন। আমরা বোনেরা সবাই উঠে গিয়ে জানালা, পর্দা আর দরজার আড়ালে দাড়ালাম। ফাক ফোকড় দিয়ে বাহিরের ঘটনা দেখতে থাকলাম। পাশেই ওনার স্বামী হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছেন আর বলছেন,


“হয়েছে তাসলি! আর মেরো না। ও যেহেতু সবাইকে দেখাতে চাচ্ছেনা তখন ধরে নাও আসলেই আমি ওটা করিনি। ছেড়ে দাও তাসলি।”


“না! ও তো নিজের মুখে স্বীকার করেনি। আগে স্বীকার করুক, তারপর ওকে আমি ছাড়বো। সাহস কত বড়! আমার স্বামীর ভাগ নিতে চায়! কলিজা কেটে কুত্তাকে খেতে দেবো আমি। ”


তাসলি কাকি রিতীমত কাঁপছে। গাঁয়ের প্রচণ্ড রাগী মহিলাদের মধ্যে ওনার নাম টপে। আর ওনার স্বামী কে নিয়েই কিনা অভিযোগ! তাসলি কাকি একটু বেখেয়ালি হতেই শিখা কাকি একটা ঝাড়া মেড়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলেন। গা থেকে সরে যাওয়া ওড়না টা আগে ঠিক করে নিলেন। তারপর এলোমেলো চুলগুলো পেছন দিকে নিয়ে বড় একটা শ্বাস নিলেন। মাথা দুএকবার উপর-নিচ করে চেচিয়ে বললেন,


“কেন আমি স্বীকার করবো না তোমার স্বামী আমাকে ভোগ করেছে তাও আমার স্বামীর অনুপস্থিতি তে, আমার অনুমতি ছাডা!”


তেঁতে এগিয়ে আসে তাসলি কাকি। শিখা কাকির মুখে পিঞ্জা মেরে বলে,


“আরেকটা কথা বলবি তো তোর জিভটাই টেনে ছিড়ে ফেলবো। বে/শ্যা কোথাকার! তোর অনুমতি ছাড়া না? তুই যে কি ন/ডি এইডা কি কেউ জানেনা? আমার স্বামীরেই কেন টার্গেট করসোস এইডা ক! আজকা কারণ না কইয়্যা তুই যাইতে পারবিনা। ”


মুহূর্তের মধ্যেই শিখা কাকির চোখ টলমল করে উঠলো। তবুও নিজেকে শামলে নিয়ে নিজের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করলেন। কিন্তু লাভ হলোনা, ছুটতে পারলেন না তাসলি কাকির থেকে। ওনার হাত ছিল মুক্ত অবস্থায়। একে অপরকে ঠেলতে ঠেলতে আমাদের রান্নাঘরের কাছছায় এসে পড়েছিলো ওনারা। পাশের রাখা ছিল শক্ত-পোক্ত বাশের চুঙ্গি। যেটা শিখা খালা নিজের আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করলেন। এক হাতে ওটা উঠিয়ে তাসলি কাকির মোটাসোটা পেটে মেরে বসলেন। মারার সাথে সাথেই ওনি নিজের পেটে হাত দিতে গিয়ে শিখা কে ছেড়ে দিয়ে মাটিয়ে পড়তে লাগলেন। তখনই ওনার স্বামী বাদল কাক ধরে নিলেন। আমার মা-চাচিরা এসে শিখা কাকিকে আটকে নিতে আসলেন। তখনই সবাইকে থামিয়ে দিয়ে ক্রোধের আগুনে জ্বলে উঠে শিখা কাকি বলে উঠলেন,


“কেউ আমার ধারে কাছে আসবেন না। আমি নিজেকে বাঁচানোর জন্য শুধুমাত্র এই মহিলা কে আঘাত করেছি।”


“এই শালী! তুই আমার বউয়ের পেটে কেন দিছত? তুই জানোস না ওয় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।”


তাসলি কাকির স্বামী অর্থাৎ বাদল কাকার এমন কথায় আশেপাশের কয়েকটা পুরুষ আর মহিলা লোক তাল মেলালেন। ‘হ শিখা, কামডা তুমি ভালা করছো না।’

সবার এমন ভাব দেখে শিখা কাকি মুখের দলা থুথুটা প্রথমে মাটিতে আর তারপর বাদল কাকার মুখে মারলেন। এদিকে তাসলি এতক্ষণ ব্যাথ্যায় গড়াগড়ি করলেও থুথু মারার পর থেমে যায়। মূলত শিখা তাকে কম জোর দিয়েই মেরেছিল, কিন্তু গ্রামবাসীদের নিকট প্রমাণের জন্য ব্যাথার নাটক করছিল। কিন্তু মেয়েটার থুথু ফেলায় অবাক হয়ে নিজেকে থামিয়ে নেয় তাসলি। শহুরে মেয়েগুলোর এই সাহস ও থাকে? না! সে তো জানতো এমন বুকের পাটা কেবল এই গ্রামে তারই আছে। কিন্তু...


তখনই শিখার জ্বালাময়ী কথা কানে এলো,


“প্রথম থুথুটা উপস্থিত সবাইকে দিলাম। এই যে! এই মহিলা তাসলি। আমাকে যে এতক্ষণ ধরে আমার শরীরে মারছিল, চুলের মুঠি ধরে ওদিকে থেকে টানতে টানতে এদিকটায় আনলো কই আপনাদের থেকে একটা মানুষ ও তো এগিয়ে আসেন নি! আর যেই আমি আমার আত্মরক্ষার জন্য ওনাকে মারলাম ওমনি আপনারা আমাকে জোঁকের মতো ধরতে আসলেন?”


“এই মাইয়্যা। তুমি এল্লায়গা ওর পেডে মারবা? ওর বাচ্চাডার যদি কিছু হইয়্যা যায়?”


“ওরেহ বাবা! ওনার বাচ্চা পেটে কিন্তু কই ওনার স্বভাবে তো তার ছি'ড়ি দেখতে পেলাম না? ওনি তো দিব্যি এই মোটাসোটা পেট নিয়ে যেভবে পারছিলেন আমাকে মারছিলেন। আর পেটে না দিয়ে আর কোথায় দেব? কোথায় দিলে ওনি থামতেন? আর সরি টু সে ওনি তো আর পুরুষ না যে অণ্ডকোষ বরাবর মেরে দেবো। তাইনা?”


“আহা, মাইয়্যা কয় কি। ছিঃছিঃ। আসলেই শহুরে মাইয়্যার কোনো লাজ নাই। ছেহ! ”


তখনই বাদল উঠে আসতে নিচ্ছিলো। যা দেখে শিখা কাকি বলে,


“কুত্তার/বাচ্চা! আর এদিকে আসবি না। এখন যা বলার, যা করার তা কেবল আমিই করবো!”


শিখা কাকির এতো বড় ধমকে বাদল কাকা থেমে যান। শিখা কাকি আবারো বলতে শুরু করেন,


“ আচ্ছা, আমার প্রতি আপনাদের এতো ক্রোধ আর আক্রোশ কেন? বলতে পারেন? কেবল মাস্টার্স পড়ুয়া মেয়ে বলে? অধিক পড়ালেখা শহুরে মেয়ে বলে?”


উত্তর দেয়না কেউ! ইতোমধ্যে অনেকেই যেতে শুরু করেছে। যা নজর এড়ায় নি শিখা কাকির।


“ সেই তো! যখন আমার দিকে আঙুল তুলবে তখন দাঁড়িয়ে কেবল তামাশা দেখবেন। তাকে নডি/ বে/শ্যা বলে আখ্যা যে দেবে? সেটা উপভোগ করবেন। কিন্তু যখন সেই ন/ডি আর বে/শ্যা মুখ খুলে সত্যর জানান দেবার জন্য তখনই তাকে আপনারা এড়িয়ে চলেন। কেন বলতে পারবেন? ধর্ষ/ণ হলেই কেন নারীর দোষ হবে? কেন নারী লুকিয়ে থেকে চোখের পানি ফেলবে। অধিকার কি পুরুষেরা নিয়ে বসেছে? এই যে আপনারা আমাকে এতোক্ষণ খারাপ মহিলার আখ্যা দিলেন! আমি তো এই গ্রামে আজ না সেই ষোলো বছর ধরে থাকি, কখনো দেখেছেন উলটা পালটা কিছু করতে? কোনো ব্যাট্যাছেলেকে চোখ টিপ দিতে? অসৎ কথা বার্তা বলাতে? না! কেউ দেখেন নি। অথচ আমি এই গ্রামে থেকেই আমার লেখাপড়ার সমাপ্তি টেনেছি। কই কোনো ছেলে বন্ধুকে তো বাসায় আনিনি। তবে আজ কেন অভিযোগ আমার উপর দিচ্ছেন? ”


“এই পঁচা মাইয়্যা। চুপ থাহো! লাজ শরম নাইগা এমনে কথা কও। থামো! বাড়িতে আরো পোলাপান আছে, ওগোলার মাথায় তো গু-গোবর ঢুকাইতাসোও।”


মুখ থেকে পানের পিক ফেলে দাদি এই কথাটা বললেন। শিখা কাকি তাচ্ছিল্যের সাথে হাসলেন।


“কি আজব! আপনিও কিন্তু মহিলা। আজ যদি এটা আপনার সাথে হতো? হ্যাঁ হয়তো আমার মতোন এইভাবে কথা বলতেন না সেরকম সাহস আপনাদের নেই কিন্তু লুকিয়ে ছুড়িয়ে এই ব্যাথ্যা আর যন্ত্রণা তো বইতেন। তাই নয় কি? এই যে বাদল! ও আমার ধর্ষ/ক। জোর করে আমায় ধর্ষ/ণ করেছে। আমার স্বামী দুদিনের জন্য গিয়েছিলেন শহরে। আর সেই সুযোগটা নিতেই জানো/য়ার টা এসেছিল আমার বাড়ি। পানি খাওয়ার অযুহাতে আমাকে ঘরে পাঠায় আর নিজেও ঘরে ঢুকে পড়ে। আমি অনেক চেঁচিয়েছিলাম কিন্তু কেউ আমাকে সাহায্য করতে আসেনি। আমার সামনে ভিটের রোজিনা আপাকে জিজ্ঞাসা করেন? সে আমার চিৎকারের আওয়াজ শুনেছিল। ”


কথা শেষ করেই শিখা কাকি এগিয়ে গেলেন তার বয়সের থেকে একটু ছোট একটা মহিলার দিকে। বোধহয় ওনিই রোজিনা।


“আপা? সেদিন না আমায় বাঁচাতে পারোনি। আজ বাঁচাতে হবেনা শুধু জবান টুকুনিও দাও?”


তখন বাদল লোকটা এগিয়ে আসে। ততক্ষণে তাসলি কাকি উঠে দাড়িয়েছে।


“এই এই! ও কি বলবে রে? তুই এই যে এতোক্ষণ বড় বড় কথা কইলি কি ভাবছোস? ওরা তোরে বিশ্বাস কইর‍্যা নিবো? শোন! নিজের ইজ্জত ফুরাইছোস এহন যাইয়া ঘরের কোণে কান! পুস্তকের জ্ঞান নিতে আইসে না কেউ! যা!”


বলেই একটা ধাক্কা মেরে দেয় শিখা কাকির কাঁধে। পুরুষালি ধাক্কায় কাকি কয়েক হাত দূরে চলে যান। কিন্তু পাত্তা দিলেন না বাদল লোকটার কথা। এগিয়ে আসে আবার রোজিনার কাছে। গা ঝাকিয়ে ফের একই কথা বলে। রোজিনা চোখ তুলে চায়। বড় একটা ঢোক গিলে আস্তে করে শিখা কাকির হাত থেকে নিজের হাত টা ছাড়িয়ে নেয়।


“মধ্যিখানে আমারে ফাসাইতেছোও কেন আপা? আমি তো কিছু শুনিই নাই! তোমারে তো আপা ডাকি, তাই বইলা এই মূল্য দেছাও?”


শিখা কাকি দু'পা পিছিয়ে যান। এ কি শুনছেন তিনি! তার চোখে যেন অবিশ্বাস্যের জটলা মেঘ ধরা দিল। ফের এগিয়ে এসে রোজিনার গা ঝাঁকান।


“রোজিনা! মিথ্যে বলতাছো কেন? কে তোমারে মিথ্যা কইতে কইছে। কও আমারে? তোমার একটা জবান সব বিশ্বাস করাইবো। কও? তুমি চাওনা এই ধর্ষকের শাস্তি হোক?”


রোজিনা মহিলাটা ফের একই কাজ করলেন। হাত টা ঝাড়া মেড়ে দূরত্ব বাড়ালেন। শিখা কাকি বোধহয় বুঝতে পারছেন, হুট করে কাছের কেউ বদলে গেলে ঠিক কতটা কষ্ট হয়!


এইসব কথাবার্তা শুনে এক এক করে সবাই শিখা কাকি কে যা নয় তাই বলে চলে গেল। একজন তো ওনাকে পাগল আখ্যা দিয়ে তবেই খ্যান্ত হলেন! তবে যাওয়ার আগে তাসলি কাকি বাদল কাকার হাত ধরে এগিয়ে এসে তাকে হাটুর পেছনে লা/থি মেরে চলে যান। শিখা কাকি ওভাবেই পড়ে রইলো মাটিতে। তার চোখ দুটো থেকে অশ্রুর বৃষ্টি হচ্ছে, যা মাটি শুষে নিচ্ছে পরম ইচ্ছেয়। শিখা কাকি সেদিকে চেয়ে আছেন। বোধহয় তিনি ভাবছেন তার বয়ে আসা দুঃখ টাকেও যদি এই মাটিটা শুষে নিতে পারতো?


এক পর্যায়ে পরিবেশ টা শান্ত হলো। আমার মা কেবল ওনার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। কল পাড়ে রাখা ধোয়া থালা-বাসন গুলো উঠিয়ে এক এক করে রান্নাঘরের চালে রাখতে থাকলেন। রোদের তাপে পানিটা শুকিয়ে যাবে বলে। আমরাও তখন আড়াল থেকে বেড়িয়ে পড়লাম। শিখা কাকির দিকে একপল তাকিয়ে পেতে রাখা মোড়াটায় বসলাম। কাকি'মা রা ইতামধ্যে এদিকেই এগিয়ে আসছেন। জুঁই কাকি বড় করে হাঁক ছাড়লেন,


“খবরদার! এখানকার কথা বাপ-চাচাদের কানে নিবিনা আর না তো বলে কয়ে বেড়াবি। এখানে কিছুই হয়নি।”


কাকির কথায় প্রতিবাদী আমিটা জেগে উঠলো। গলা উঁচিয়ে বললাম,


“তবে…”


“ শোনো উষাসী! দস্যিপনা বন্ধ করে পিঠেয় মনযোগ দাও! দুদিন পর ভাই আসলো বলে! আর কি লজিক ফলিক না বলো? ধরে নাও এইটা দুঃস্বপ্ন! উম...! ঘটনা তো হলো এক ঘন্টা। তো মস্তিষ্ক থেকে এই এক ঘন্টা মুছে ফেলো। ”


মায়ের কথায় চুপ মেরে গেলাম। এই একটা মানুষ যাকে আমি জম্মের ভয় পাই! হঠাৎই খেয়াল হলো শিখা কাকি বাড়ির বাইরের দিকে ছুট লাগালেন। মা-কাকি রা'ও সেটা লক্ষ্য করলেন। আর আমি চিন্তিত হয়ে উঠলাম মুহূর্তেই! বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেলাম। উদ্বিগ্ন হয়ে মাকে শোধালাম,


“কাকি ওভাবে ছুট লাগালেন কেন? ”


“গেছে যাক! নিজের কাজ করো। অন্যের কিছুতে মনযোগ দিবে না একদম!”


কেন জানি মায়ের কথা শুনতে ইচ্ছে হলো না। ধুকপুক ধুকপুক করা উদর নিয়েই আমিও ছুট লাগালাম শিখা কাকির পথ অনুসরণ করে।


#সুখপাখি_তার_সন্ধ্যাতারা— ১

লেখনিতে— #রামিশা_আঞ্জুম_বুশরা


চলবে...

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৯-০৩-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৯-০৩-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


বেইজিং এ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর বৈঠক --- বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে সহায়তায় চীনের প্রতি আহ্বান।   জলপ্রবাহ সংক্রান্ত পূর্বাভাস এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত বাংলাদেশ ও চীন --- বেইজিং এ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ। 

 ঢাকা ও বেইজিং এর মধ্যে ৯ চুক্তি স্বাক্ষর।  

 

ঈদের টানা ৯ দিনের ছুটিতে রাজধানী ছাড়া অব্যাহত রয়েছে নগরবাসীর --- অনেকেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শেষ মুহুর্তের কেনাকাটায়।  

 

জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান বিএনপি মহাসচিবের।  

 

 শক্তিশালী সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে অন্তত একশো ৫১ জনের প্রাণহানি।  


এবং নেপিয়ারে তিন ম্যাচ একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজের প্রথমটিতে আজ মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তান।

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...