এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫

গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ

 গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ

গর্ভধারণের চার–পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত বমির ভাব বেশি দেখা যায়। সাধারণত সকালবেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর বমিভাব বা বমি বেশি হয়ে থাকে বলে একে মর্নিং সিকনেস বলে।


লেখা: ব্রি. জেনারেল (অব.) ডা. আঞ্জুমান আরা বেগম


কোনো মাসে পিরিয়ড না হওয়াকেই গর্ভধারণের প্রথম লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়; কিন্তু অনেক সময় পিরিয়ডের হিসাব রাখা সম্ভব হয় না বা পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও অনেকে গর্ভধারণ করেন। এ ছাড়া এ সময় শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন ও লক্ষণ দেখা দেয়। 


বমি বমি ভাব বা গা গোলানো গর্ভধারণের প্রথম দিকের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। গর্ভধারণের চার–পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত বমির ভাব বেশি দেখা যায়। সাধারণত সকালবেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর বমিভাব বা বমি বেশি হয়ে থাকে বলে একে মর্নিং সিকনেস বলে। 


গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহে অথবা তারপর থেকে স্তন ফুলে যাওয়া, ভারী হওয়া অথবা স্তনে ব্যথা অনুভূত হওয়া;


ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ। সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের জন্য এমন হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্রমণের কারণেও এমন হতে পারে। 


শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। সাধারণত গর্ভধারণকালে শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তবে সর্দি, কাশি বা অন্যান্য রোগের সংক্রমণেও শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। 


ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হওয়া। শরীরে বিভিন্ন হরমোনের তারতম্য, ক্ষুধামান্দ্য ও কম খাওয়ার কারণে এই দুর্বলতা হতে পারে। 


গর্ভাবস্থায় কখনো কখনো অনিয়মিত রক্তপাত, স্পটিং ও তলপেটে ব্যথা হতে পারে। এসব লক্ষণ অনেক সময় গর্ভপাত, অ্যাক্টপিক প্রেগন্যান্সি ও মোলার প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রেও দেখা যায়। 


গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ক্ষুধামান্দ্য ও অরুচির সমস্যায় ভোগেন অধিকাংশ নারী। পছন্দের খাবারও অনেকে স্বাভাবিকভাবে খেতে পারেন না। সাধারণত শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই এ ধরনের সমস্যা হয়। 


ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব করেন অনেকে। গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ সময় কিডনি অধিক পরিমাণে তরল নিঃসরণ করতে শুরু করে। অন্যদিকে জরায়ুর আয়তন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাবের থলির ওপর চাপ পড়ে, ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। 


গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য। শরীরে হরমোনের প্রভাবে পরিপাক কাজে ধীরতা, অপর্যাপ্ত পানি, শাকসবজি ও খাদ্য গ্রহণ অন্যতম কারণ। 


মাথাব্যথা অনুভূত হওয়া। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে রক্ত সঞ্চালন ও হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে এমন হতে পারে।


করণীয় কী 

গর্ভধারণের লক্ষণ দেখা দিলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নিশ্চিত হোন। 


চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন ও নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ নিন। 


অল্প মাত্রার লক্ষণ ঘরোয়া উপায়ে সমাধানের চেষ্টা করুন।


খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনুন, যেমন কাঁচা ও কম সেদ্ধ খাবার, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন। ধূমপান, অতিরিক্ত চা ও কফি পান, মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। 


লক্ষণগুলোর তীব্রতা বেশি হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


ব্রি. জেনারেল (অব.) ডা. আঞ্জুমান আরা বেগম, অধ্যাপক,  স্ত্রীরোগ, প্রসূতিবিদ্যা ও বন্ধ্যত্ব রোগবিশেষজ্ঞ সার্জন, আলোক মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার, মিরপুর ৬, ঢাকা

নারীদের জরায়ুতে সিস্ট কেন হয়, লক্ষণ ও করণীয় ঃ

 নারীদের জরায়ুতে সিস্ট কেন হয়, লক্ষণ ও করণীয় ঃ

====================================


জরায়ুর সিস্ট বা ফোঁড়া বর্তমানে একটি বহুল পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। নারী স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এই সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। অনেক সময় অবিবাহিত কিশোরীরাও এই সমস্যায় ভুগে থাকে। 


ওভারি বা ডিম্বাশয় হচ্ছে জরায়ুর দুই পাশে অবস্থিত দুটি ছোট গ্রন্থি, যা থেকে নারীদের হরমোন নিঃসরণ হয় এবং ডিম্বাণু পরিস্ফুটন হয়। ছোট ছোট সিস্ট পুঁতির মালার মতো ওভারি বা ডিম্বাশয়কে ঘিরে রাখে। এই সিস্টের জন্য ওভারির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।


 ওভারিয়ান সিস্ট হলো ওভারিতে পানিপূর্ণ থলে। ঋতুবতী মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সিস্ট দেখা যায়। ওভারিয়ান সিস্ট অনেক রকম হয়ে থাকে, সবচেয়ে বেশি হয় সিম্পল বা ফাংশনাল সিস্ট। ওভারি থেকে কোনো কারণে ডিম্বস্ফুটন না হলে অথবা ডিম্বস্ফুটন হওয়ার পরও ফলিকলগুলো চুপসে না গেলে সিস্ট তৈরি হতে পারে। ফাংশনাল সিস্ট ছাড়াও ওভারিতে আরও অনেক রকম সিস্ট হতে পারে, যেমন;


পলিসিস্টিক ওভারি : 

অনেক দিন ধরে ক্রমাগত ডিম্বস্ফুটন না হলে ওভারিতে ফলিকলগুলো জমতে থাকে। এর সংখ্যা ১০ বা এর অধিক হলে পলিসিস্টিক ওভারি বলা হয়।


এন্ডমেট্রিওটিক সিস্ট : 

এই সিস্ট থাকলে মাসিকের সময় অনেক পেইন হয় এবং রোগী বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগে থাকে।


ডারময়েড সিস্ট : 

এটি এক ধরনের ওভারিয়ান টিউমার, যাতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গের মতো টিস্যু থাকে। শুনতে অবাক লাগবে, কিন্তু এ ধরনের সিস্টে থাকতে পারে দাঁত, চুল ইত্যাদিও।


ওভারিয়ান সিস্ট রোগের কারণ

=======================

অনিয়মিত যৌন জীবন, হরমোনের সমস্যা, অল্পবয়সে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার কারণে সিস্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালে এ সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া দেরিতে বিয়ে, দেরিতে সন্তান নেওয়ার কারণেও এ সমস্যা হতে পারে।


 কিছু সিস্ট আছে, যা ক্যান্সারিয়াস (ম্যালিগন্যান্ট) হয়। সাধারণ কিছু লক্ষণের মাধ্যমে এ রোগ প্রকাশ পায়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে যদি এ রোগের চিকিৎসা শুরু করা যায়, তবে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে তার আগে আমাদের সিস্ট হওয়ার লক্ষণগুলো জানতে হবে।


 এই রোগের লক্ষণ-

===============

 অনিয়মিত ঋতুস্রাব, মাসিকের সময় মারাত্মক ব্যথা, তলপেট ফুলে যাওয়া, ব্যথা প্রস্রাবে সমস্যা, বমিভাব, সিস্টের ইনফেকশন, তলপেটে ব্যথার সঙ্গে হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি পায়। তবে যদি ক্যান্সার দেখা দেয় তা হলে ওজন কমে যাবে।


 ওভারিতে সিস্ট দেখা দিলে ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া ওভারিয়ান সিস্ট হলে পেট ফাঁপা, বুক জ্বালাপোড়াও হয়ে থাকে। এই রোগ হলে পিঠে চাপ পড়ে এবং তা থেকে ব্যথা সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ এ কারণে থাইয়ে ব্যথা অনুভব করে থাকেন।


 চিকিৎসা

=========

ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে বিয়ে করা এবং সন্তান নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


যদি বংশে কারও সিস্ট থাকে, তবে ঝুঁকি বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে সন্তান গ্রহণের পর ডিম্বাশয় ফেলে দেওয়া যেতে পারে।


মেয়েদের মাসিকের সময় ওভারি থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন নামে দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়। এগুলো মাসিকের পর্দার ওপরে কাজ করে। ঠিক এই হরমোনগুলোই এন্ডোমেট্রিওসিসের স্পটের ওপরে কাজ করে। এক্ষেত্রে ওরাল পিলে যে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন আসে সেটিই এন্ডোমেট্রিওসিসের স্পটের ওপরে কাজ করে। ফলে ওভারি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, সেটি মাসিকের পর্দার ওপরেই ঠিকমতো কাজ করে। তাই অবিবাহিত কিশোরীকে ওরাল পিল দিলে ভয়ের কিছু নেই। আর বিয়ের পর যদি বাচ্চা নিতে না চান, সেক্ষত্রেও ওরাল পিল ভালো কাজ করবে। একই সঙ্গে দুটি কাজ করবে।

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫

এক জঙ্গলে চারটি গরু আর একটি সিংহ বাস করত।

 এক জঙ্গলে চারটি গরু

আর একটি সিংহ বাস করত।


মোটামুটি ভালোভাবেই দিন যাচ্ছিল গরুগুলোর, কিন্তু প্রতিদিনের একটা-ই চ্যালেঞ্জ পার করে দিন কাটাতে হয় তাদের।

চ্যালেঞ্জটি হলো একতাবদ্ধ হয়ে সিংহের আক্রমন থেকে নিজেদের রক্ষা করা। 


সিংহটি তাদের নানান ভাবে আক্রমন করে কিন্তু একজনকে আক্রমন করলে অন্য গরু সিং বাড়িয়ে ছুটে আসে, সিংহ তাই আক্রমনের সাহস পায়না। 

এই তিক্ত অভিজ্ঞতার ফলে সিংহ একটা ফন্দি আঁটলো, যে করেই হোক, ওদের ঐক্য ভাংগতে হবে।


পরিকল্পনা মোতাবেক,পরের দিন গরু গুলোর কাছে যেয়ে বললো..তোমরা প্রতিদিন যখন গভীর জঙ্গলে লুকাও তখনও আমি তোমাদেরকে খুঁজে বের করতে পারি শুধু একটা কারনে। 

আর সেটা হলো তোমাদের মধ্যে ওই যে সাদা রঙের গরুটা রয়েছে, ও'র গায়ের রঙ সাদা হওয়ার কারনে আমি রাতের বেলায়ও তোমাদের পুরো দলের সন্ধান পেয়ে যাই। 


পরের দিন তিনটি কালো গরু এক সাথে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিলো এই আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার একটা-ই উপায়, আর তা হচ্ছে ওই সাদা গরুকে তাদের দল থেকে আলাদা করে দেয়া। 

যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ।

পরের দিন সাদা গরুটাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হলো, আর সিংহ গরুটাকে একা পেয়ে খেয়ে ফেলল।


কালো গরুগুলো দুরে দাঁড়িয়ে তা দেখল।

 কোনরকম উচ্চবাচ্য করল না।

 মনে মনে একটু খুশিই হলো আর আর ভাবতে লাগলো সমস্যা সৃষ্টিকারীই শেষ। 

এবার শান্তি।


কিছু দিন পর, সিংহ আবার আক্রমন শুরু করলো, তার পরের টার্গেট কালো তিনটা গরুর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল গরুটা।

সে ফন্দি মোতাবেক দুর্বলটাকেই আক্রমন করল। 

আগে চারটা গরু থাকার কারনে চারদিক থেকে আক্রমন প্রতিহত করা যেত এখন বাকি গরু দুইটা থাকাতে অনেক রিস্ক নিয়েই আক্রমন হয়। 


এরপর থেকে সিংহ শুধু দুর্বল গরুকেই আক্রমন করতে লাগল। 

দিনদশেক পর সিংহ ফন্দি করে গরুগুলোর কাছে যেয়ে বলল, দেখ তোমাদের মধ্যে বড় ও শক্তিশালী গরু দুইটা আক্রমন করার শক্তি আমার নেই, তবে আমি যতদিন আছি এই দুর্বল গুরুকে প্রতিদিন আক্রমন করব , 

ও'র জন্য তোমরা প্রতিদিন কষ্ট করো কেন। 

তোমাদের সাথে তো আমার কোন সমস্যা নেই। 


শক্তিশালী গরু দুজন মিটিং করে বলল, সিংহতো ঠিকই বলেছে, ও তো শুধু ঐ  একজনকেই প্রতি দিন আক্রমন করে, তাহলে ও'র জন্য আমরা কো প্রতিদিন এভাবে কষ্ট করব আর ছোটাছুটি করব।

গরু দুটো তখন দুর্বল গরুটাকে একঘরে করে আলাদা করে দিলো। 

সিংহ দেখল, তাদের ফন্দিতে কাজ হয়েছে। 

সে সুযোগ পেয়ে খেয়ে চট করে ধরে ফেলল দুর্বল গরুটিকে।


 তাকে বধ করার পর বাকি রইলো দুইটা গরু। 

যাদের একজনকে আক্রমন করলে প্রতিহত করবে মাত্র একজন। 

এটা কোনো ব্যপার না।

পরের দিন সিংহ যখন আক্রমন করল, তখন বাকি গরুটা এতো সাহস পেলনা বরং অন্য গরুকে একা ফেলে সে দৌড় দিলো।

 সিংহ তিননম্বর গরুকেও মহানন্দে খেয়ে ফেলল।

বাকি রইলো মাত্র একটা, এটা সেই বেশী চালাক গরুটা। 

সপ্তাহ খানেক পর সিংহের যখন আবার ক্ষুধা লাগলো, তখন সে শুরু করল তার মিশন।

 সে একাকী গরুকে আক্রমন করল। 

গরুটা দৌড় দিলো অনেক দৌড়ানোর পর অবশেষে সে হাঁপাতে লাগলো দুর্বল হয়ে পড়ে গেলো একটি খাদে।


সিংহ যখন খাদের কাছে অগ্রসর হলো, তখন

মৃত্যুর ঠিক পূর্ব মুহুর্তে সেই শক্তিশালী চালাক গরুটার দু-চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগল। 

বলতে লাগলো, আমার মৃত্যু তো আজকে হচ্ছেনা, আমার মৃত্যু সেই দিন-ই হয়ে গিয়েছিল যেদিন সাদা গরুটাকে আমাদের সামনে খাওয়া হয়েছিল আর আমরা প্রতিরোধ না করে তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম।


সিংহটি ঠাট্টা করে বলতে লাগল, হ্যাঁ ঠিক বুঝেছো কিন্তু একটু দেরী করে বুঝেছো এই যা।

আজকে তোমার শুধু আফসোস করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। 

এরপর সিংহটি তার শিকারকে খেয়ে সাবাড় করে দিলো। 

আজ আমাদের দেশের মানুষগুলোও এমন'টাই করে যাচ্ছে ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে।সংগৃহীত

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ০৬-০৪-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ০৬-০৪-২০২৫ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের বিষয়ে উপদেষ্টা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত - এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের কাছে সরাসরি বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।


যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে দুশ্চিন্তার করার কোন কারণ নেই - বললেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ডক্টর খলিলুর রহমান।


ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন দিকচিহ্ন তৈরি করতে চায় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানালেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না।


জাতিগত বিভেদ না করে সম্প্রীতি বজায় রেখে সহাবস্থানের মাধ্যমে বসবাস করতে সকলের প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার আহ্বান। 


পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা নয় দিনের ছুটি শেষে আজ খুলছে সব সরকারি, বেসরকারি অফিস।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ।


পাকিস্তানের লাহোরে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাই পর্বের প্রস্তুতি ম্যাচে আজ স্কটল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ ০৬-০৪-২০২৪ 

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ ০৬-০৪-২০২৪ 


আজকের সংবাদ শিরোনাম


বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের বিষয়ে উপদেষ্টা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত - এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের কাছে সরাসরি বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। 


যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে দুশ্চিন্তার করার কোন কারণ নেই - বললেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ডক্টর খলিলুর রহমান। 


ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন দিকচিহ্ন তৈরি করতে চায় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানালেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না।


 জাতিগত বিভেদ না করে সম্প্রীতি বজায় রেখে সহাবস্থানের মাধ্যমে বসবাস করতে সকলের প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার আহ্বান। 


পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা নয় দিনের ছুটি শেষে আজ খুলছে সব সরকারি, বেসরকারি অফিস। 


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ। 


পাকিস্তানের লাহোরে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাই পর্বের প্রস্তুতি ম্যাচে আজ স্কটল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

সালমান শাহ্ অভিনীত সিনেমার নাম, পোস্টার ও মুক্তির তারিখ:-

 সালমান শাহ্ অভিনীত সিনেমার নাম, পোস্টার ও মুক্তির তারিখ:-

● কেয়ামত থেকে কেয়ামত – ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ

● তুমি আমার – ১৯৯৪ সালের ২২ মে

● অন্তরে অন্তরে – ১৯৯৪ সালের ১০ জুন

● সুজন সখী – ১৯৯৪ সালের ১২ আগস্ট

● বিক্ষোভ – ১৯৯৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর

● স্নেহ – ১৯৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর

● প্রেমযুদ্ধ – ১৯৯৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর

● কন্যাদান – ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ

● দেনমোহর – ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ

● স্বপ্নের ঠিকানা – ১৯৯৫ সালের ১১ মে

● আঞ্জুমান – ১৯৯৫ সালের ১৮ আগস্ট

● মহামিলন – ১৯৯৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর

● আশা ভালোবাসা – ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর

● বিচার হবে- ১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি

● এই ঘর এই সংসার – ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল

● প্রিয়জন – ১৯৯৬ সালের ১৪ জুন

● তোমাকে চাই – ১৯৯৬ সালের ২১ জুন

● স্বপ্নের পৃথিবী – ১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই

● সত্যের মৃত্যু নেই – ১৯৯৬ সালের ৪ অক্টোবর

● জীবন সংসার – ১৯৯৬ সালের ১৮ অক্টোবর

● মায়ের অধিকার – ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর

● চাওয়া থেকে পাওয়া – ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর

● প্রেম পিয়াসী – ১৯৯৭ সালের ১৮ এপ্রিল

● স্বপ্নের নায়ক – ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই

● শুধু তুমি – ১৯৯৭ সালের ১৮ জুলাই

● আনন্দ অশ্রু – ১৯৯৭ সালের ১ আগস্ট

● বুকের ভেতর আগুন – ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্ব

তিনি ৮ টি নাটক এ অভিনয় করেছেন-

১. পাথর সময়

২. ইতিকথা

৩. আকাশ ছোঁয়া

৪. দোয়েল

৫. সব পাখি ঘরে ফেরে

৬. সৈকতে সারস

৭. নয়ন

৮. স্বপ্নের পৃথিবী।

বিশ্বসাহিত্য ভাষণ’ একটি লম্বা সিরিজ।,,,,,,, মহিউদ্দিন মোহাম্মদ  ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫  যুক্তরাষ্ট্র

 “এ বইটি লিখতে চাই নি, কিন্তু লিখতে হয়েছে। যেতে হয়েছে বিপুল শ্রমের ভেতর দিয়ে। যোগাড় করতে হয়েছে শতো শতো বই। পড়তে হয়েছে নানা আজেবাজে পৃষ্ঠা। কাজটা উপভোগ করি নি। বিরক্ত হয়েছি ঢের, কিন্তু সহ্য করেছি, কারণ বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক দারিদ্র্য এভারেস্টের চেয়ে উঁচু। বাংলা ভাষায় রুমিসাহিত্যের নির্মোহ বিশ্লেষণ নেই বললেই চলে। যা আছে, তা গরিব ভক্তমণ্ডলীর হামদ-নাত, স্তুতিকিতাব, ও সেজদা। কিচ্ছারুমির আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে আসল রুমি। তৈরি হয়েছে রূপকথার জঙ্গল। ঘটানো হয়েছে সুপারহিউম্যানাইজেশন। পছন্দের লোককে অতিমানব ও অপছন্দের লোককে অতিশয়তান করা মানুষজাতির পুরাতন রোগ। রুমিসাহিত্য এ রোগের প্রসিদ্ধ শিকার। বর্ণরোগী যেমন বস্তুর আসল রঙ দেখতে পায় না, রুমিভক্তরাও তেমনি রুমির মানব রূপ স্বীকার করতে চায় না। ‘নবী রুমি’-র খোলস ভেঙে ‘মানুষ রুমী’ বের করে আনাই বইটির বড় লক্ষ্য।


রুমিকে ঘিরে একটি অক্ষ তৈরি হয়েছে। অ্যাক্সিস অভ সুফি লিটারেচার। ফলে অনিবার্যভাবে, ভাষণে ফরিদুদ্দিন আত্তার, সানাই গজনভী, শামস তাবরিজি, হাফিজ, সাদি, হাল্লাজ, বায়েজিদ, তাঁদের প্রসঙ্গ এসেছে। সুফিবাদের উৎস ও প্রাচীন ধোঁয়াশাবাদের সাথে এর সম্পর্ক, অন্য ধর্মগুলোর সাথে কোলাকুলি, এ বিষয়গুলোও এসেছে। ‘অশালীন’ জিনিসপত্রও আলোচনা করতে হয়েছে, এড়ানো যায় নি (যেমন— সুফিদের যৌনজীবন ও রুমিযুগের সমকামিতা)।


ভাষণটির বহু বাক্য পাঠককে বিব্রত করবে। অনেকে হোঁচট খাবে, ভাববে, মনে হয় মহিউদ্দিন মোহাম্মদ বানিয়ে বলেছেন। এ কারণে পাদটীকায় মূল উৎস থেকে নেওয়া বক্তব্য হুবহু উদ্ধৃত করেছি। কম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্যসমূহও টীকায় পরিবেশন করেছি।


রুমিকে জানার প্রধান ও গৌণ উৎসগুলো, যেগুলোয় ভর দিয়ে দাঁড় করিয়েছি নিজস্ব পর্যবেক্ষণ, সেগুলোর তালিকা ‘রুমিসূত্র: প্রাইমারি লিটারেচার’ ও ‘রুমিসূত্র: সেকেন্ডারি লিটারেচার’ নামে ভাষণের শেষদিকে উল্লেখ করেছি। ‘কম্পারেটিভ লিটারেচার’ নামে আরেকটি তালিকা দিয়েছি, যেগুলো রুমিসাহিত্যের তুলনামূলক মূল্যায়নে সাহায্য করেছে। মাসনভি ও দিওয়ানের ৫০টি কাব্যগল্প ও গজল বাছাই করেছিলাম, ভেবেছিলাম ‘নির্বাচিত রুমি’ শিরোনামে যুক্ত করবো, কিন্তু দেখা গেলো— পৃষ্ঠা বেড়ে যাচ্ছে কয়েকশো। তাই বাদ দেয়া হলো। 


রুমির জীবন ও পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর টাইমলাইন বইয়ের শেষে ‘রুমিপঞ্জী’ নামে যুক্ত করেছি। ‘মৌলভি তরিকাপঞ্জী’ নামে আরেকটি টাইমলাইন দিয়েছি, যেখানে রুমির আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী বা পীরবংশের বর্ণনা আছে। এ দুটি পঞ্জীতে আগে চোখ বুলিয়ে নিলে ভাষণটি বুঝতে সুবিধা হবে।


কয়েকজন অধ্যাপক ভাষণটিকে ‘পিএইচডি থিসিস’ হিশেবে জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, বইটি একাই তিনটি পিএইচডি পেতে পারে। আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। ভুঁইফোঁড় সন্দর্ভওয়ালাদের কাতারে নামিয়ে সৃষ্টিকর্মটিকে অপমান করা ঠিক হবে না।


‘বিশ্বসাহিত্য ভাষণ’ একটি লম্বা সিরিজ। এর কিছু খণ্ডের সংক্ষিপ্ত ও পপুলার সংস্করণ ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছিলো, পেয়েছিলো তুমুল জনপ্রিয়তা। কিন্তু টীকা ও ভাষণদৈর্ঘ্য ফেসবুকের উপযোগী না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ স্কলারলি সংস্করণের সাথে পাঠকদের পরিচয় করানো সম্ভব হয় নি। আমি আনন্দিত যে, জালালুদ্দিন রুমি খণ্ডের মধ্য দিয়ে ‘বিশ্বসাহিত্য ভাষণ’-এর পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শুরু হয়েছে। আশা করি সাধারণ পাঠক, ছাত্র/ছাত্রী, ও শিক্ষকরা ভাষণটি থেকে উপকৃত হবেন। সাহিত্যকে দেখতে শিখবেন নতুন দৃষ্টিতে।”


.


— মহিউদ্দিন মোহাম্মদ 

২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ 

যুক্তরাষ্ট্র

শুভ জন্মদিন লিভিং লিজেন্ড,,,,,,কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। 

 🙏 শুভ জন্মদিন লিভিং লিজেন্ড 🙏


নয়াদিল্লির এক তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারে ১৯৫৮ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্মেছিলেন যিনি, তিনি আজ ভারতীয় সঙ্গীতজগতের এক অবিস্মরণীয় নাম—কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। 


জন্মের পরে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল সারদা। বাবা টি. এস. কৃষ্ণমূর্তি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রকের কর্মী, আর মা ছিলেন একজন সংস্কৃতিপ্রেমী। ছোটবেলা থেকেই দু’টি ভিন্ন সংস্কৃতির ছোঁয়া লেগেছিল তাঁর জীবনে। জন্মদাত্রী মা তাঁকে পরিচিত করিয়েছিলেন তামিল কালচারের সঙ্গে, আর পালিকা মায়ের অনুপ্রেরণায় তাঁর জীবনে জায়গা করে নেয় রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং বাঙালি সংস্কৃতির নানা রঙ।


শৈশব থেকেই কবিতা কৃষ্ণমূর্তির মধ্যে সঙ্গীতের প্রতি এক গভীর টান ছিল। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক অর্জন করেন। তাঁর তালিম শুরু হয়েছিল ধ্রুপদী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে, এবং সেইসঙ্গে তিনি হাতে খড়ি নেন রবীন্দ্রসঙ্গীতেও। এর ফলে সঙ্গীতের প্রতি তাঁর একটি বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে তাঁর কণ্ঠে বহুবিধ ঘরানার সুর মেলাতে সাহায্য করেছিল।


কলেজ জীবনের সময় মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত অংশ নিতেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন সঙ্গীতশিল্পী রাণু মুখোপাধ্যায়। রাণু তাঁকে নিয়ে যান তাঁর বাবা, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় তাঁর কণ্ঠ শুনে এতটাই মুগ্ধ হন যে, তাঁকে নিজের অনুষ্ঠানে গাইবার সুযোগ দেন। সেই সুযোগই কবিতার সঙ্গীতজীবনের প্রথম সোপান হয়ে ওঠে।


এরপর মান্না দে-র সান্নিধ্যে আসেন কবিতা। মান্না দে তাঁর প্রতিভা দেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতে সুযোগ করে দেন। হিন্দি ছবিতে তাঁর প্রথম প্লেব্যাকের সুযোগ আসে ১৯৭৮ সালে, গিরিশ কারনাডের কন্নড় ছবি ‘ওন্দানন্দু কালাদাল্লি’-তে। এরপর লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলালের সুরে বলিউডে একাধিক সুপারহিট গানের মধ্যে দিয়ে তিনি পা রাখেন মুম্বইয়ের প্লেব্যাক জগতে।


১৯৮৫ সালে ‘পেয়ার ঝুকতা নহি’ ছবিতে তাঁর গাওয়া গান জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর একে একে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’, ‘ইয়ারানা’, ‘অগ্নিসাক্ষী’, এবং ‘খামোশি’-র মতো ছবিতে তাঁর গান শ্রোতাদের মন জয় করে। ‘হাওয়া হাওয়াই’, ‘ডোলা রে ডোলা’, ‘আজ ম্যায় উপার’, ‘মেরা পিয়া ঘর আয়া’, ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর মতো গানে তাঁর কণ্ঠ যেন জাদুর মতো শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছিল।


কবিতা শুধু হিন্দি নয়, বাংলা, তামিল, তেলুগু, মরাঠি, উর্দু, কন্নড়, গুজরাটি এবং মালয়ালম ভাষাতেও গান গেয়েছেন। তাঁর গানে ধ্রুপদী সঙ্গীত থেকে শুরু করে আধুনিকতার মিশেল ছিল স্পষ্ট। এমনকি দূরদর্শনের ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত’, এবং ‘আলিফ লায়লা’ সিরিজেও তিনি গান গেয়েছেন।


তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও সঙ্গীতের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। প্রখ্যাত বেহালা শিল্পী ড. এল সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কবিতা। তাঁর স্বামী ও পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে একটি সুখী ও সুরময় জীবন যাপন করছেন তিনি।


আজ কবিতা কৃষ্ণমূর্তির জন্মদিনে আমরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। তিনি যে কেবলমাত্র একজন গায়িকা নন, তিনি ভারতীয় সঙ্গীতের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁর কণ্ঠ আমাদের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, আমাদের স্মৃতির গভীরে জায়গা করে নেয়।


“কিছু কথা ॥ কিছু সুর” পরিবারের পক্ষ থেকে কবিতা কৃষ্ণমূর্তিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। সুরের জগতে তিনি আরও অনেক বছর এইভাবে আলো ছড়িয়ে যান—এটাই আমাদের কামনা। 🎶✨

____________________________

©️ কিছু কথা ॥ কিছু সুর

রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫

বিকল্প নোবেল থেকে এবার আসল নোবেলের দৌড়ে চলে এল হোমিওপ্যাথি!  ডাঃ সাদ হোমিওপ্যাথি (সাদ) ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বিকল্প নোবেল থেকে এবার আসল নোবেলের দৌড়ে চলে এল হোমিওপ্যাথি! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। হোমিওপ্যাথি নিয়ে বহু বিতর্ক থাকলেও, অনেক বিজ্ঞানী একে সিউডোসায়েন্স বলে দাগিয়ে দিলেও, খোদ নোবেল কমিটি কিন্তু হোমিওপ্যাথিকে বিজ্ঞান বলেই মনে করছে। এ বছরের নোবেল মনোনয়নে নাম উঠে এসেছে  বিশ্ববন্দিত গ্রীক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ড. জর্জ ভিথুলকাসের নাম, যিনি ১৯৯৬ সালে Right Livelihood Award (অর্থাৎ ‘বিকল্প নোবেল’) পেয়েছিলেন। বিকল্প নোবেল থেকে এবার সরাসরি ঢুকে পড়েছেন আসল নোবেলের অন্দরমহলে।ভিথুলকাসের কোয়ান্টাম তত্ত্বের আলোকে হোমিওপ্যাথি, পদার্থবিদ্যা আর চিকিৎসা দুই ক্ষেত্রেই আমূল পরিবর্তন এনেছে। তাঁর গবেষণা দেখিয়েছে, মানবদেহে রোগ দেখা দেয় যখন ইলেকট্রনের স্পিনে অস্থিরতা আসে। ঠিকঠাক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেই স্পিনকে 'রিসেট' করতে পারে, কারণ তা কোয়ান্টাম-লেভেলে একধরনের ‘রেজোন্যান্ট ফোর্স’ তৈরি করে।

কিন্তু এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির অসীম লঘুকরণ তত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকেই বলেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এত লঘু করা হয় যে তাতে ওষুধের কোন অস্তিত্ব থাকেনা। কিন্তু ভিথুলকাসের কাজ দেখিয়েছে, প্রতিটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধে থাকা জলের কণায় একধরনের Quantum Dot তৈরি হয়, যা ওই নির্দিষ্ট রোগতত্ত্বের সঙ্গে Quantum Entanglement তৈরি করে। তাই, রোগীর দেহে ঠিক জায়গায় ঠিক পরিমাণে ‘জলীয় স্মৃতি’ পৌঁছয়—এবং ইলেকট্রন স্পিন সঠিক অবস্থানে ফিরে যায়। এই তত্ত্ব এখন বিভিন্ন পরীক্ষায় সঠিক প্রমাণিত হচ্ছে। ফলে হোমিওপ্যাথিক  ওষুধ শুধু এক ফোঁটা ওষুধ নয়, তা আসলে একধরনের Nano-entangled quantum device!

যদিও বহু পদার্থবিদ এই দাবিকে এখনো  ‘ফ্যান্টাসি’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন, কিন্তু অনেক পদার্থবিদ একে প্রমাণিত সত্য বলে মানছেন, আর সেজন্যেই ভিথুলকাসের এই যুগান্তকারী কাজকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করবার জন্য দাবী উঠেছে। যেমন, এই খবরে একজন উৎসাহী পার্টিকেল ফিজিক্স গবেষক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার)  বলেছেন, নতুন পার্টিকেল খুঁজতে CERN-র আগে হয়তো আমাদের হোমিওপ্যাথিক ওষুধে মনোনিবেশ করা উচিৎ। উচ্ছ্বসিত শিল্প মহলও। "জল সব কথা মনে রাখে। আমরা শুধু তাকে কোয়ান্টাম ভাষায় কথা বলাই শিখিয়েছি। অনেকে অবিশ্বাস করত, কিন্তু ডা: ভিথুলকাসের স্বীকৃতি তাদের মুখ বন্ধ করে দিল।" বললেন তরুণ উদ্ভাবক এবং ‘Quantica 200C’ নামক স্টার্টআপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, অর্ক ল্যাজারিডিস। Quantica 200C এমন এক হাই-টেক হোমিওপ্যাথি কোম্পানি, যারা দাবি করছে তারা Quantum Dot প্রযুক্তির মাধ্যমে বানাচ্ছে হোমিওপ্যাথিক ‘ন্যানো-মেডিসিন’, যেটা শরীরের স্পেসিফিক রোগ-ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে Quantum Entanglement তৈরি করে। অর্ক বললেন, "শরীর তো একটা ফ্রিকোয়েন্সি মেশিন, নয় কি?  হোমিওপ্যাথি শুধু সেই ফ্রিকোয়েন্সিকে টিউন করে  কোয়ান্টাম ডট দিয়ে। আর জলের স্মৃতির জন্য আমাদের দেহের বিভিন্ন কোয়ান্টাম প্যাটার্ণ সেভ হয়ে থাকে। রোগীর প্যাটার্ণের সঙ্গে যেটা মেলে, সেটা তখন কাজ করে, রোগীকে সুস্থ করে! 

তবে এত বড় স্বীকৃতির মধ্যেও জন্ম নিয়েছে নতুন বিতর্ক। হোমিওপ্যাথি যাঁরা বিশ্বাস করেননা এরকম অনেকেই ব্যঙ্গে ভরিয়ে দিচ্ছেন সামাজিক মাধ্যমে। কেউ বলছেন, “নোবেল কমিটিও এবার dilute হয়ে গেল! আবার কেউ লিখেছেন, “কোয়ান্টাম স্পিন না ঘুরুক, এই মনোনয়নে আমার মাথাটা ঘুরছে ঠিকই।”

তবে এ বছরের পদার্থবিদ্যা বা মেডিসিনে কোন একটায় ড. জর্জ ভিথুলকাস নোবেল পান কিনা, সেটার দিকে তাকিয়ে এখন গোটা বিশ্ব! 

(আনন্দবাজার থেকে কপি করা)

২০২৫ এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা।  OmR Sheet নিয়ে কিছু কথা:

 ২০২৫ এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা। 

OmR Sheet নিয়ে কিছু কথা:



রীক্ষার্থীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা। 

OmR Sheet নিয়ে কিছু কথা:


১. ওএমআর শিট পূরণ করার সময় কলম ব্যবহারে সাবধান হতে হবে বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে।

 

২.ওয়েমার শিটে যে অংশটুকু শিক্ষার্থীদের জন্য সেখানে শুধু লিখতে হবে বাকি অংশে কোন চিহ্ন বা কোন কিছু লেখা যাবে না ।


৩. রোল নাম্বার, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ও প্রশ্নের সেট ইত্যাদি বিষয়গুলো সুন্দর ভাবে পূরণ করতে হবে কোন কাটাছেঁড়া করা যাবে না।


৪.সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বৃত্ত ভরাট করার সময়ের  আগে রোল ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর এর খালিঘরে লিখে নিতে হবে বারবার দেখতে হবে কোন ভুল হয়েছে কিনা পরীক্ষার পেপার জমা দেওয়ার আগে একবার দেখে নিতে হবে ।

কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হলে কক্ষ এ দায়িত্বরত শিক্ষক কে বলবে।


৫.উত্তর পত্র বা ওএমআর এর কোন অংশে দাগ  দেওয়া যাবেনা ।


৬.ওএমআর শিট কোনরকম ভাবে ভাঁজ করা যাবেনা তাহলে মেশিনে সেটা কাজ করবেনা ।


সর্বোপরি কক্ষ এ দায়িত্বরত শিক্ষকের সাথে সৌহার্দপূর্ণ ব্যবহার করবে।


Post:Collect 💟


সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...