এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫

সন্তানের জন্য লেখা অসাধারন এক চিঠি।

 "সন্তানের জন্য লেখা অসাধারন এক চিঠি।

—————————————————————

প্রিয় সন্তান,

আমি তোমাকে ৩ টি কারনে এই চিঠিটি লিখছি...


১। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।

২। আমি, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, অন্য কেউ বলবে না।

৩। যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা- এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।


জীবনে চলার পথে এগুলো মনে রাখার চেষ্টা কোরো: -

 

যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখোনা। কারন, তোমার মা এবং আমি ছাড়া, তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে - তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা। 


তবে তোমার সতর্ক থাকতে হবে এজন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো- তার মানে এই নয় যে সে সবসময়ই ভালো থাকবে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকে প্রকৃত বন্ধু ভেবোনা।


জীবনে কিছুই কিংবা কেউই "অপরিহার্য" নয়, যা তোমার পেতেই হবে। একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে, তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে - বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কিছু হারাবে, কিংবা তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবেনা। 

 

জীবন সংক্ষিপ্ত। আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে, ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে। 


ভালবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের মেজাজ আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে। যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায়, ধৈর্য্য ধরো, সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে। কখনো প্রেম-ভালবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্য্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেনা, আবার ভালবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায়ও অতিরঞ্জিত হবে না।


অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিলনা- এর অর্থ এই নয় যে তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষালাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে! তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করোনা কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র। কেউ ছেঁড়া কাঁথা থেকে লাখ টাকার অধিকারী হতেই পারে, তবে এজন্য তাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।


আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে। আবার আমিও তোমার সারাজীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাবনা। যখনি তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখনি আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর, তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে, নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে; গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে। 


তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করোনা। মানুষের সাথে ভালো আচরন করবে, তবে অন্যরাও তোমার সাথে ভালো থাকবে- তা প্রত্যাশা করবেনা। যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে। 


আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি। তার মানে হলো এই যে- যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিনামূল্যে কোথাও কিছু জুটবে না। 

 

তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো- সেটা কোন ব্যাপার না। বরং চলো আমরা আমাদের একসাথে কাটানো মুহুর্তগুলো উপভোগ করি মূল্যায়ন করি। 

——————

“ভালোবাসা সহ!"

(সংগ্রহীত)

টমাস বাটার স্বপ্ন আজ সারা বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের পায়ে"

 "টমাস বাটার স্বপ্ন আজ সারা বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের পায়ে"


বাটা – নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মানসম্পন্ন আর টেকসই জুতার ছবি। তবে এই বিখ্যাত কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়েছিল একদম সাদামাটা ভাবে।


শুরুটা ১৮৯৪ সালে চেক প্রজাতন্ত্রের (তৎকালীন অস্ট্রো-হাঙ্গেরি) একটি ছোট শহর Zlín-এ, তিন ভাইবোন – টমাস বাটা, অ্যানা বাটা এবং অ্যান্টনিন বাটা – মাত্র ৮০০ ডলার পুঁজি নিয়ে শুরু করেন একটি ছোট জুতা কারখানা। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল সস্তা কিন্তু টেকসই জুতা তৈরি করা, যেন সাধারণ মানুষ সহজে কিনতে পারে।


টমাস বাটার দূরদর্শী নেতৃত্বে কোম্পানি দ্রুত বাড়তে থাকে। তিনি আধুনিক উৎপাদন পদ্ধতি, মেশিন ব্যবহার এবং শ্রমিকদের ভালো জীবনযাত্রার দিকে মনোযোগ দেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বাটা সেনাবাহিনীর জন্য বড় পরিমাণে জুতা সরবরাহ করে এবং বিপুল লাভ করে।


১৯২০-এর দশকে বাটা ইউরোপ ছাড়িয়ে বিভিন্ন মহাদেশে কারখানা ও দোকান স্থাপন শুরু করে। ১৯৩১ সালে ভারত এবং পরে পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ অনেক দেশে বাটা বিস্তৃত হয়।


১৯৬২ সালে বাটা বাংলাদেশের টঙ্গীতে তাদের প্রথম কারখানা স্থাপন করে। তখন থেকেই এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় জুতা ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে।


বর্তমানে বাটা বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে ব্যবসা করে এবং তাদের জুতা বিক্রির সংখ্যা বছরে কয়েক কোটি। ১২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাটা বিশ্বজুড়ে মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে রয়েছে।


টমাস বাটা শুধু একজন ব্যবসায়ী নন, তিনি ছিলেন এক মহান দূরদর্শীতা সম্পন্ন মানুষ । তার স্বপ্ন আর কঠোর পরিশ্রমই আজকের এই বিশাল বাটার ভিত্তি।

গ্রেডেশন টেস্ট এর বিস্তারিতঃ

 গ্রেডেশন টেস্ট এর বিস্তারিতঃ

=================

গ্রেডেশন টেস্ট হল নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত উপকরণ যেমন বালি, পাথর, বা কংক্রিটের উপাদানগুলোর আকারের বন্টন (particle size distribution) নির্ধারণের একটি পরীক্ষা। এটি নিশ্চিত করে যে উপকরণটি নির্মাণে ব্যবহারের জন্য মানসম্মত কি না।


নিচে গ্রেডেশন টেস্টের বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো:


গ্রেডেশন টেস্টের উদ্দেশ্যঃ

কংক্রিট বা রাস্তার কাজের জন্য উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন করা।

উপকরণের আকারের বন্টন সঠিক কি না তা যাচাই করা।

কংক্রিট, অ্যাসফাল্ট মিক্সচার বা রাস্তার স্তরে উপকরণের 

কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।

মিক্স ডিজাইনের জন্য উপকরণের আকার নির্ধারণ।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি


সিভ সেট (Sieve Set): বিভিন্ন আকারের জালের (mesh) চালনি।

ওজন মাপার যন্ত্র: উপকরণের ওজন সঠিকভাবে মাপার জন্য।

মেকানিক্যাল শেকার: চালনিগুলোতে উপকরণ ঝাঁকানোর জন্য।

ওভেন: উপকরণ শুকানোর জন্য।

ট্রে এবং ব্রাশ: পরীক্ষার সময় পরিষ্কার করার জন্য।


পরীক্ষার প্রক্রিয়াঃ

১. নমুনা প্রস্তুত করা

উপকরণ শুকনো এবং নির্দিষ্ট ওজনের (সাধারণত ৫০০ গ্রাম থেকে ৫ কেজি)।

ওভেনে শুকিয়ে আর্দ্রতা সরিয়ে নেওয়া হয়।


২. চালনি (Sieve) সেটআপ করা

চালনিগুলো আকার অনুযায়ী সাজানো হয়, যেখানে বড় গর্ত উপরে এবং ছোট গর্ত নিচে।

সাধারণ চালনিগুলোর আকার:

40 mm, 20 mm, 10 mm, 4.75 mm, 2.36 mm, 1.18 mm, 600 µm, 300 µm, 150 µm।


৩. উপকরণ ঝাঁকানো (Sieving Process)

শুকনো উপকরণ সিভ সেটের উপরে রাখা হয়।

মেকানিক্যাল শেকার বা হাতে চালনিগুলো ঝাঁকানো হয় (সাধারণত ১০-১৫ মিনিট)।


৪. চালনিতে থাকা উপকরণের ওজন মাপা

প্রতিটি চালনিতে আটকে থাকা উপকরণ আলাদা করে ওজন করা হয়।

নিচের ট্রেতে জমা হওয়া উপকরণেরও ওজন নেওয়া হয়।


৫. আকারের বন্টন নির্ধারণ

প্রতিটি চালনিতে থাকা উপকরণের ওজন শতাংশ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

গ্রাফে আকারের বন্টন প্রদর্শন করা হয়।


গ্রেডেশন টেস্টের ফলাফল নির্ধারণঃ

১. কিউমুলেটিভ শতাংশ গণনা

প্রতিটি চালনিতে জমা হওয়া উপকরণের ওজনের শতকরা হার নির্ণয় করা হয়।

কিউমুলেটিভ পার্সেন্টেজ ফাইনার (Cumulative Percentage Finer) বের করা হয়।


২. গ্রাফ তৈরি

x-অক্ষ: চালনির আকার (log scale)।

y-অক্ষ: কিউমুলেটিভ শতাংশ।


৩. গ্রেডেশন অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাস

ওয়েল গ্রেডেড: সব আকারের কণার সুষম মিশ্রণ।

পুয়ারলি গ্রেডেড: কিছু নির্দিষ্ট আকারের কণার আধিক্য।

গ্যাপ গ্রেডেড: কিছু আকার সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।


গ্রেডেশন টেস্টের ধরণঃ

কোর্স এগ্রিগেটের জন্য: পাথর বা বড় কণার উপকরণ।

ফাইন এগ্রিগেটের জন্য: বালি বা ছোট কণার উপকরণ।

ফুলার গ্রেডেশন (Fuller’s Curve): মিক্সচারের আদর্শ আকার নির্ধারণ।


গ্রেডেশন টেস্টের ব্যবহার ও মানদণ্ডঃ

রাস্তা নির্মাণ:

উপকরণ সঠিকভাবে কমপ্যাক্ট এবং স্থিতিশীল হওয়া নিশ্চিত করা।

কংক্রিট:

ফাঁকা স্থান (voids) কমানো এবং শক্তি বৃদ্ধি করা।

ড্রেনেজ উপকরণ:

পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা।


সুবিধাঃ

মিক্স ডিজাইন সঠিকভাবে নির্ধারণ।

উপকরণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।

নির্মাণ কাজের গুণগত মান বাড়ানো।


সীমাবদ্ধতাঃ

সময়সাপেক্ষ এবং সতর্কভাবে করতে হয়।

মেকানিক্যাল শেকার না থাকলে নির্ভুলতা কমে যেতে পারে।


#naeemcivilnote #test #engineering #construction #everyoneシ゚ #effective #students

চলুন আজ গল্প করি এক সাহসী ছাগল জাত নিয়ে—স্প্যানিশ ছাগল।

 চলুন আজ গল্প করি এক সাহসী ছাগল জাত নিয়ে—স্প্যানিশ ছাগল।

না, ওরা স্প্যানিশ গিটার বাজায় না, কিন্তু ওদের জীবনে এক ছন্দ আছে।

⛰️ কঠিন পরিবেশ, কাঁটাঝোপের খাদ্য, জলবায়ুর দাপট—সব কিছুর মাঝেই ওরা বাঁচে, বেড়ে ওঠে, আর আপনাকে দেয় ‍মাংস আর মুক্তির স্বপ্ন।


🐐 কোথা থেকে এলো স্প্যানিশ ছাগল?

এই জাতের জন্ম স্পেনে, কিন্তু তারপরে এটি আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে এমন এক রূপ ধারণ করে, যাকে আজ আমরা বলি “স্প্যানিশ মিট গোট”।

এরা দেখতে আকর্ষণীয় না হলেও, এদের রয়েছে এক অতুলনীয় সহনশীলতা ও টিকে থাকার ক্ষমতা।


🌾 খেতে কেমন লাগে?

আপনি যদি ভাবেন ছাগলের পেছনে হাজার টাকার খাবার খরচ করতে পারবেন না, তাহলে স্প্যানিশ ছাগল আপনার জন্য।

ওরা ঝোপঝাড়, আগাছা, এমনকি কাঁটাগাছও খায়!

সেইসাথে খুব বেশি যত্নও চায় না। অন্য জাতের ছাগল যেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে সামান্য আবহাওয়ার পরিবর্তনে, স্প্যানিশ ছাগল সেখানে দিব্যি মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়ায়।


⚖️ ওজন ও আকৃতি

প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ছাগল (বাকরী): ৭০–৮৫ কেজি


প্রাপ্তবয়স্ক নারী ছাগল (মাদি): ৫০–৬০ কেজি


শিশু খাসি বা বাচ্চা সাধারণত ৪–৬ মাস বয়সে বাজারজাত করা যায়, তখন ওজন থাকে ২০–৩০ কেজির মধ্যে।


🍼 দুধ? সামান্যই...

এ জাত দুধের জন্য নয়, বরং মাংসের জন্য।

দিনে গড়ে ২০০–৩০০ মিলি দুধ দেয়, সেটিও শুধু বাচ্চার খোরাক হিসেবে।


👶 প্রজনন ও গর্ভধারণকাল

স্প্যানিশ ছাগলের প্রজননক্ষমতা চমৎকার।


গর্ভকাল: ১৪৫–১৫০ দিন


বছরে দুইবার বাচ্চা দিতে সক্ষম


একবারে ১–৩টি বাচ্চা হয়


বাচ্চা প্রতিপালনে মা ছাগলের মায়ের মতো যত্ন থাকে


🏷️ দাম ও কোথায় পাবেন?

বাংলাদেশে এখনও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েনি, তবে কিছু উন্নত খামার—যেমন রুরাল ফার্মস, জয় ফার্ম, বা ব্রিডিং হাউস—কিছু পরিমাণে এই জাত আমদানি করেছে।


দাম:


বাচ্চা (৩–৪ মাস): ৮,০০০–১৫,০০০ টাকা


প্রাপ্তবয়স্ক: ২০,০০০–৪০,০০০ টাকা


উন্নত প্রজনন ক্ষমতাসম্পন্ন পুরুষ: ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে


🌟 কেন আপনি এই জাত নির্বাচন করবেন?

✅ কম খরচে বড় লাভ

✅ রুক্ষ এলাকায় সহজে পালনযোগ্য

✅ স্বল্প যত্নে দ্রুত বাড়ে

✅ বাজারে মাংসের চাহিদা অনেক


💡 আপনার জন্য একটুখানি পরামর্শ

যদি আপনার বাড়িতে একটু জায়গা থাকে, কিংবা গ্রামে থাকেন এবং ইনকাম বাড়াতে চান, তবে স্প্যানিশ ছাগল হতে পারে আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধুর মতো।

খাবারে সাশ্রয়, রোগপ্রতিরোধে শক্তিশালী, আর বাজারে চাহিদা—সব মিলিয়ে এটি নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এক স্বর্ণ সুযোগ।

ধনী হতে চাইলে  ইলন মাস্কের পরামর্শ

 #ইলন মাস্কের পরামর্শ।

ধনী হতে চাইলে জীবনে ইতিবাচক চিন্তা ও কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই। এর পাশপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। জেনে নিন কী কী-


আয়ের একাধিক রাস্তা খুঁজুন


অর্থ উপার্জনের জন্য শুধু একটি নির্দিষ্ট কাজকে প্রাধান্য দেবেন না। ধরুন, চাকরির পাশাপাশি ছোটখাট ব্যবসা শুরু করুন। যা আপনাকে আরও উপার্জনে সহায়তা করবে।


উচ্চকাঙ্খী মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিন


উচ্চাকাঙ্খী মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করুন। এতে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। ফলে লক্ষ্য পূরে আরও এগিয়ে যেতে পারবেন।


বড় বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন


ছোটখাট বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে বরং সব সময় বড় বিষয় নিয়ে ভাবুন। আপনার স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে কী কী করণীয় সে বিষয়ে চিন্তার পরিধি আরও বাড়ান।


বিনিয়োগ করুন


বিভিন্ন কাজে অর্থ বিনিয়োগ করার মাধ্যমেও আপনি ভবিষতে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। যা এক সময় আপনার ধনী হওয়া স্বপ্ন পূরণ করবে। যদিও বিনিয়োগে ঝুঁকি থাকে লস হওয়ার, তবে সাফল্য পেতে হলে তো ঝুঁকি একটু নিতেই হবে!


মিতব্যায়ী হন


অর্থ সঞ্চয়ের একমাত্র উপায় হলো মিলব্যায়ীতা। আপনি যতটা বুঝে শুনে কম খরচ করতে পারবেন, ততই অর্থ জমাতে পারবেন। তাই বাজেট করে চলুন। বিশ্বের যত ধনী ব্যক্তি আছেন, তারাও প্রয়োজন ছাড়া বেশি অর্থ ব্যায়ে বিশ্বাসী নন।


সকালে ঘুম থেকে উঠুন


ধনী হতে চাইলে জীবনধারাও সঠিক ও সুস্থ রাখতে হবে। এজন্য সকালে ঘুম থেকে উঠুন দ্রুত, এরপর করুন শরীরচর্চা।


মনে রাখবেন, সুষ্ঠু জীবনযাত্রার মাধ্যমে আপনি যেমন শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন, ঠিক তেমনই মনকেও লক্ষ্য পূরণে কাজ করার জন্য উৎসাহী করতে পারবেন।


লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন


ধনী হওয়ার স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন। আর সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যান নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে। আপনার লক্ষ্য যতটা বাস্তবাদী হবে, ততটাই আপনি সফলতার পথে এগিয়ে যাবেন।


ঋণ পরিশোধ করুন


ধনী ব্যক্তিরাও তাদের ঋণ পরিশোধের বিষয়ে খুব সতর্ক থাকেন। যত দ্রুত সম্ভব ঋণের বোঝা হালকা করুন। না হলে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।


আরাম-আয়েশ ত্যাগ করুন


ধনী হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধনী ব্যক্তিরা সর্বদা কাজ নিয়ে ভাবেন, এজন্য তারা আরাম-আয়েশের জীবন পছন্দ করেন না।


সংগৃহীত

Chatgaiya Nezam 

#এসোসত্যবলারঅভ্যাসকরি #chatgaiyanezam #BNPMediaCell #allfollowers

ঘরে তৈরি নোগাট বার তৈরির রেসিপি-

 ঘরে তৈরি নোগাট বার তৈরির রেসিপি-


উপকরণ:

 * ১ কাপ চিনি

 * ১/২ কাপ মধু

 * ১/৪ কাপ জল

 * ২ টি ডিমের সাদা অংশ

 * ১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

 * ১/২ কাপ বাদাম (কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তা ইত্যাদি)

 * ১/২ কাপ শুকনো ফল (কিশমিশ, খেজুর, এপ্রিকট ইত্যাদি)

 * ১ চিমটি লবণ


প্রস্তুত প্রণালী:

১.  প্রস্তুতি:

* একটি বেকিং ট্রেতে পার্চমেন্ট পেপার বিছিয়ে নিন।

* বাদাম ও শুকনো ফলগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।


২.  সিরার প্রস্তুতি:

* একটি মাঝারি আকারের সসপ্যানে চিনি, মধু ও জল মিশিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করুন।

* মিশ্রণটি ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না চিনি পুরোপুরি গলে যায়।

* মিশ্রণটি ফুটে উঠলে, একটি ক্যান্ডি থার্মোমিটার ব্যবহার করে তাপমাত্রা ১১৮-১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২৪৪-২৪৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত পৌঁছানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যদি ক্যান্ডি থার্মোমিটার না থাকে, তাহলে অল্প একটু সিরা ঠান্ডা জলে ফেলে দেখুন, এটা নরম বলের মতো হলে বুঝবেন সিরা তৈরি।


৩.  ডিমের সাদা অংশ ফেটানো:

* একটি পরিষ্কার পাত্রে ডিমের সাদা অংশ ও লবণ নিয়ে ইলেকট্রিক বিটার দিয়ে ফোম তৈরি হওয়া পর্যন্ত ফেটিয়ে নিন।

* ডিমের সাদা অংশ ফোম হয়ে গেলে, গরম সিরা ধীরে ধীরে ডিমের সাদা অংশের সাথে মেশান, ক্রমাগত বিট করতে থাকুন।

* মিশ্রণটি ঘন ও চকচকে হওয়া পর্যন্ত বিট করতে থাকুন।


৪.  নোগাট তৈরি:

* মিশ্রণে ভ্যানিলা এসেন্স, বাদাম ও শুকনো ফল মিশিয়ে নিন।

* মিশ্রণটি দ্রুত পার্চমেন্ট পেপার বিছানো বেকিং ট্রেতে ঢেলে দিন।

* স্প্যাচুলা বা হাতে সামান্য তেল মাখিয়ে মিশ্রণটি সমানভাবে ছড়িয়ে দিন।


৫.  ঠান্ডা করা ও কাটা:

* নোগাট বারটি ঘরের তাপমাত্রায় কমপক্ষে ২-৩ ঘন্টা বা সারারাত ঠান্ডা হতে দিন।

* ঠান্ডা হয়ে গেলে, ধারালো ছুরি দিয়ে পছন্দসই আকারে কেটে নিন।


৬. পরিবেশন:

* ঘরে তৈরি নোগাট বার পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

কিছু টিপস:

 * বাদাম ও শুকনো ফলগুলো হালকা করে ভেজে নিলে স্বাদ আরও ভালো হয়।

 * নোগাট বারগুলো এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন।

 * আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও শুকনো ফল ব্যবহার করতে পারেন।

 * আপনি যদি চান তাহলে চকোলেট গলিয়ে নোগাট বারের উপরে ছড়িয়ে দিতে পারেন।


এই সহজ রেসিপি অনুসরণ করে আপনি ঘরেই সুস্বাদু নোগাট বার তৈরি করতে পারবেন। উপভোগ করুন!

সফদার ডাক্তার 

 সফদার ডাক্তার মাথাভরা টাক তার

খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে,

চেয়ারেতে রাতদিন বসে গোণে দুই-তিন

পড়ে বই আলোটারে নিভিয়ে।

ইয়া বড় গোঁফ তার, নাই যার জুড়িদার

শুলে তার ভুঁড়ি ঠেকে আকাশে,

নুন দিয়ে খায় পান, সারাক্ষণ গায় গান

বুদ্ধিতে অতি বড় পাকা সে।


রোগী এলে ঘরে তার, খুশিতে সে চারবার

কষে দেয় ডন আর কুস্তি,

তারপর রোগীটারে গোটা দুই চাঁটি মারে

যেন তার সাথে কত দুস্তি।


ম্যালেরিয় হলে কারো নাহি আর নিস্তার

ধরে তারে কেঁচো দেয় গিলিয়ে,

আমাশয় হলে পরে দুই হাতে কান ধরে

পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।

কলেরার রোগী এলে, দুপুরের রোদে ফেলে

দেয় তারে কুইনিন খাইয়ে,

তারপর দুই টিন পচা জলে তারপিন

ঢেলে তারে দেয় শুধু নাইয়ে।


ডাক্তার সফদার, নাম ডাক খুব তার

নামে গাঁও থরথরি কম্প,

নাম শুনে রোগী সব করে জোর কলরব

পিঠটান দিয়ে দেয় লম্ফ।

একদিন সককালে ঘটল কি জঞ্জাল

ডাক্তার ধরে এসে পুলিশে,

হাত-কড়া দিয়ে হাতে নিয়ে যায় থানাতে

তারিখটা আষাঢ়ের উনিশে।


কবিতাটি পড়ার আগে তার সম্পর্কে একটু জেনে নেই। 

চল্লিশের দশকে লেখা কবিতাটি গ্রামের পাঠশালায় পড়ে শিখে আজ অনেকেই শহরের শিক্ষক হয়েছেন, তবুও জানা হলোনা সেই সফদার ডাক্তারের স্রষ্টা কে।কার কলম থেকে নিঃসৃত এই কাব্যরস।জ্বি হ্যা তিনি কবি হোসনে আরা।অনেকেই চেনেন না। তিনিও আজ আর নেই। কিন্তু কবিতাটি থাকবে বহুকাল। প্রজন্ন থেকে প্রজন্মের চীরচেনা সফদার ডাক্তার -

#collected

নিজের দায়িত্ব এড়াতে ৫ বছর বয়সে বাবা আমাকে ও মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল

 নিজের দায়িত্ব এড়াতে ৫ বছর বয়সে বাবা আমাকে ও মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। আমার আর মায়ের খরচটা না নাকি তার পক্ষে চালানো সম্ভব ছিল না। তাই সে আমাদের একা ফেলে চলে যায়। মা একটা এনজিওতে চাকরি করতো তা দিয়ে যা রোজকার হতো তা দিয়ে আমার পড়াশোনা আর খাওয়া খরচ চালাত। ছোট্ট একটা টিনশেড এর ঘরে থাকতাম আমরা। বাবা ছেড়ে যাওয়ার পর বাড়িওয়ালা দয়া করে তাদের পুরনো এই টিনশেডের ঘরে আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু আমার বয়স যখন ১২ তখন মাও আমাকে একা করে চলে যায় না ফেরার দেশে। সে নিজের মুক্তি ঠিকই করে নেয় কিন্তু আমাকে ফেলে রেখে যায় একা করে। মা মারা যাওয়ার পর খুব ভেঙে পড়েছিলাম। মা ছাড়া তো আমার আর কেউই ছিল না। চিত্কার করে কেঁদে ছিলাম সেদিন। কেঁদে কেঁদে মাকে অভিযোগ করেছিলাম স্বার্থপরের মত সে কেন আমাকে রেখে একা চলে গেল। তার সাথে করে তো সে আমাকেও নিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু আমার সে কান্নায় কোন কিছুই বদলাল না। না মা ফিরে এসেছিল আর না আমাকে নিয়ে গিয়েছিল তার কাছে।

এরপর বড় মামা এসে আমাকে নিয়ে যায়। মামার ওখানে থাকতে শুরু করি। মামাতো দুই ভাই বোনের সাথে আমার খুব একটা বনত না। কোন এক অজানা কারণে তারা আমাকে পছন্দ করত না। আসতে যেতে তাদের কাছে কথা শুনতে হত। মামা মামি অবশ্য কখনো কিছু বলেনি তবে মামি যে আমাকে খুব একটা পছন্দ করত না সেটা বুঝতে পারতাম। তবে এসবের মধ্যে আমার পড়াশোনাটা মামা বন্ধ করেনি। গ্রামের একটা স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিল। পড়াশোনা ভালো হওয়ায় শিক্ষকরাও আমাকে অনেক সহযোগিতা করত। আমাকে তারা ফ্রিতে টিউশনি করাত।


এভাবেই কাটতে লাগলো এক দুই তিন করে পুরো পাঁচটি বছর। এখন আমার বয়স ১৭। এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলো কিছুদিন আগেই। ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেছে। ভালো রেজাল্ট করেছি ৪.৮০। রেজাল্ট পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলাম, ভেবেছিলাম এবার কলেজে উঠব। পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাড়াবো, আরো অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু আমার স্বপ্নকে ভেঙে দিয়ে মামা আমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলো। মামাকে বিয়েতে না করার সাধ্য আমার নেই। এতটা বছর তারা আমাকে খাইয়ে-পরিয়ে চলছে। আর কতই বা তারা করবে? নিজের কাছেও খারাপ লাগে অন্যের ঘাড়ে বসে ভাবে খেতে। কিন্তু আমার যে কিছু করার নেই। তাই মামা বলাতেই বিয়েতে রাজি হয়ে যাই। আমি রাজি হওয়াতে মামা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। সে হয়তো ভেবেছিল আমি এত তাড়াতাড়ি বিয়েতে রাজি হব না। আমি রাজি হওয়ায় মামীও যেন অনেক খুশি হয়ে গেল। তাদের এই খুশি দেখেই আমার ভালো লেগেছিল। মানুষগুলো তো আমার জন্য কম করল না। সামান্য বিয়ে করাতে যদি তারা এত খুশি হয় তাহলে আমি চোখ বন্ধ করে এ বিয়ে করে নেব।


-------------------


পাত্রপক্ষের সামনে মাথা নিচু করে বসে আছি। বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন মাথার ভেতর ঘুরছে। ভয় ভয়ও লাগছে এইভেবে যদি তারা আমাকে পছন্দ না করে? তাহলে তো মামা মামী খুব কষ্ট পাবেন। এসব যখনই ভাবছিলাম তখনই কানে আসলো একজন খুব মিষ্টি করে বলছেন'


-'মাশআল্লাহ! মেয়ে ভারি সুন্দর। তো মা কি নাম তোমার?' 

এক প্রশ্নে আমি আলতো কন্ঠে উত্তর দেই,


-'তাহিয়ান ইসলাম তাহি।'

-'বাহ ভাবি! তোমার মত তোমার নামটাও খুব মিষ্টি।' 

পাশ থেকে অল্প বয়সী একটি মেয়ে বলে উঠলো। আমি তখনও লজ্জা আর ভয়ে জড়সড় হয়ে বসে আছি।


-'আমাদের মেয়েকে খুব পছন্দ হয়েছে ভাইজান। আপনাদের যদি আমাদের ছেলে পছন্দ হয়ে থাকে এবং আর কোন আপত্তি না থাকে তাহলে আমরা আজি মেয়েকে নিজেদের ঘরে তুলে নিতাম। ঘরের লক্ষী ঘরে তুলতে বেশি দেরি করতে চাইনা।'


এমন কথা শুনে আমি আস্তে করে মাথা তুলে সামনের দিকে তাকালাম। দেখলাম মাঝ বয়সী একজন সুন্দরী মহিলা বসে আছেন। মিষ্টি করে হেসে তিনি মামার সাথে কথা বলছেন বিয়ের ব্যাপারে। মনে মনে ভাবলাম এটাই বুঝি আমার শাশুড়ি! কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মাথা আবার নিচু করে নিলাম। এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে তারা কী মনে করবে তাই ভেবে।


-'ছেলেকে আর নতুন করে কি দেখব আপা। রাহাতকে তো আমরা আগে থেকেই চিনি। আমাদের ওকে এমনিতেই পছন্দ। নতুন করে আর দেখতে হবে না। আর বিয়ে তেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এখন থেকে তাহি আপনাদের মেয়ে। আপনাদের যখন ইচ্ছা তখনই নিয়ে যেতে পারেন। আপনারা চাইলে আজই বিয়েটা হোক আমাদের এতে কোন আপত্তি নেই।'


মামার এমন উত্তরের তারা সবাই সন্তুষ্ট হলেন। ছেলে যেহেতু তাদের সাথে আসেনি তাই ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করতে হলো। অবশেষে পাত্র কাজিসহ আরো দু তিনজন ব্যক্তি এসে হাজির হলেন। প্রায় রাত ৮ টার দিকে আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। তবে এখনো আমি আমার স্বামীকে দেখি নি। দেখার সুযোগটা হয়ে ওঠেনি তবে মামীর মুখে শুনেছি সে দেখতে নাকি যথেষ্ট সুদর্শন। মামি এটাও বলেছে আমার বিয়ে খুব ধনী পরিবারে হয়েছে। হ্যাঁ সে দিন আমি যখন স্কুলে যাচ্ছিলাম তখন রাস্তায় আমার শাশুড়ি মা আমাকে দেখেছিলেন। তখনই নাকি তার অনেক পছন্দ হয়েছিল আমাকে। এরপর খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে আমার ব্যাপারে। তারপরে সে নিজেই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন মামার কাছে। বাকিটা তো আপনারা জানেন।


রাত দশটার দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমার শাশুড়ি আমাকে বলে রেডি হয়ে নেওয়ার জন্য। আজি তারা আমাকে নিয়ে যেতে চান। মামা তাদের সবাইকে অনেক রিকুয়েস্ট করে আজ রাতটা থেকে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা থাকতে পারবে না। রাহাত মানে আমার স্বামী তিনি আর্মি অফিসার। আজ বিয়ের জন্য সে একদিনের ছুটি নিয়েছিল। যেহেতু এখান থেকে শহরে যেতে হবে আমাদের সেহেতু প্রায় সাত-আট ঘণ্টা জার্নি করতে হবে। তাই তারা এই রাতেই বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মামাও এখানে আর কিছু বলতে পারেন না। তবে আমি চলে আসার সময় মামা আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছিলেন। মামির চোখেও আমি প্রথমবার নিজের জন্য পানি দেখেছিলাম। একদিন তার কাছে থাকায় হয়তো মায়া জন্মে গিয়েছিল। মামা মামিকে সালাম করে তাদের থেকে বিদায় নিয়ে আমিও রওনা দেই নিজের নতুন গন্তব্যে।


গাড়িতে বসে আছি, পাশেই আমার সদ্য বিবাহিত স্বামী ড্রাইভ করছেন। এই গাড়িতে শুধুমাত্র আমরা দুজনে আছি বাকিরা অন্য একটা গাড়িতে করে আসছেন। আমার খুব আফসোস হচ্ছে কারন আমি এখনো আমার বিয়ে করা বরের মুখ দেখতে পাইনি। আড়চোখে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম কিন্তু অন্ধকারে ঠিকভাবে কিছুই বুঝতে পারলাম না। হঠাৎ করেই রাহাত গাড়ির ভেতর লাইট অন করে দিল।


-'আমাকে দেখতে চাইছো সেটা আমাকে বললেই হত! তাহলে আগেই লাইট অন করে দিতাম।'


হঠাৎ এ হেন কথায় আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। হাতেনাতে ভাবে ধরা পড়ে যাব কোনোভাবেই বুঝতে পারিনি। লজ্জায় মাথা কাটা গেল। লোকটা কি করে বুঝবো যে আমি তাকে আর চোখে দেখছিলাম! অন্ধকারের জন্য আমিতো দেখতে পাইনি তাকে তাহলে সেই করে দেখল আমি তাকেই দেখছিলাম!


চলবে…….. ( কমেন্ট বক্সে পরবর্তী পর্বের লিংক দেওয়া আছে) 


সূচনা পর্ব

শ্যামাবতি

লাবিবা আল তাসফি

গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিগর্ভবতী মায়ের পুষ্টি

 গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিগর্ভবতী মায়ের পুষ্টি


স্বাভাবিক অবস্থায় একটি শিশু ২৮০ দিন বা নয় মাস ১০ দিন মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠার পর পৃথিবীর আলো দেখতে পায়। এই সময়ে তার বেড়ে ওঠা ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ নির্ভর করে মায়ের কাছ থেকে পাওয়া পুষ্টির ওপর। গর্ভাবস্থায় অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ এবং অপুষ্টির কারণে একদিকে যেমন কম ওজনের ও অপুষ্ট শিশু জন্মগ্রহণ করে, তেমনি মায়েরও রক্তশূন্যতা, আমিষের অভাব, দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এ সময় তাই হবু মায়ের খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। তাই প্রতিদিনের সুষম খাদ্য পরিকল্পনা করার সময় কিছু বিশেষ উপাদানের দিকে লক্ষ রাখা উচিত মায়েদের।

আমিষ: স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি আমিষ দরকার হয় এ সময়। ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধি, স্তনগ্রন্থীর বৃদ্ধি ইত্যাদি নিশ্চিত করতে আমিষ প্রয়োজন। দৈনিক ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম আমিষ দরকার হবে এ সময়। এই আমিষের মূল উৎস হবে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, ডাল ও সিমের বিচি।

লৌহ: স্বাভাবিক অবস্থায় একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর দৈনিক ৩০ গ্রাম লৌহ বা আয়রন দরকার হয়, কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে দরকার হয় দৈনিক ৩৮ গ্রাম। লৌহ অনেক পরিমাণে পাওয়া যাবে কলিজা, শুকনো ফল, সবুজ সবজি, কালো কচুশাক, পালংশাক, লালশাক, টেংরা মাছ, বিট, গুড়, খেজুর, সফেদা ও টক ফলমূল ইত্যাদিতে।


ফলিক অ্যাসিড: ফলিক অ্যাসিডের অভাবে মায়েদের রক্তস্বল্পতা হতে পারে। এ ছাড়া ফলিক অ্যাসিড সন্তানের জন্মগত বিকলাঙ্গতা প্রতিরোধ করে। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে চার গুণ বেশি ফলিক অ্যাসিড খাওয়া উচিত। পালংশাক, লেটুস, কলিজা, শুকনো সিমের বিচি, ডিম, ডাল, দুধ ইত্যাদি ফলিক অ্যাসিডের উৎস।


ক্যালসিয়াম: নবজাতকের হাড় ও দাঁত গঠনের জন্য শেষ তিন মাসে প্রচুর ক্যালসিয়াম দরকার হয়। একজন গর্ভবতী নারীর দৈনিক অন্তত এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খেতে হবে। দুধ ও দই ক্যালসিয়ামের একটি আদর্শ উৎস। এ ছাড়া ডাল, সরিষাশাক, বাঁধাকপি, শালগম, বিট, বাদাম, মাছ এবং ফলের মধ্যে কমলা ও আঙুরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অনেক।


প্রধান পুষ্টিবিদ, বারডেম হাসপতাল

মুচির গল্প

 মুচির গল্প


একটি শহরে এক মুচি থাকত। তার একটি ছোট দোকান ছিল, যা তার বাড়ির একদম পাশে অবস্থিত ছিল। সেখানেই সে নিজের হাতে জুতো তৈরি করত এবং সেই জুতো বিক্রি করে যা আয় হতো, তাই দিয়ে সে তার পরিবার চালাত।


মুচি অত্যন্ত পরিশ্রম আর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করত, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার জুতো কেনার লোকজন কমে যেতে লাগল। বাধ্য হয়ে তাকে নিজের বানানো জুতো খুব কম দামে বিক্রি করতে হতো। এতে তার সঞ্চিত টাকাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে গেল। এমনকি পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হলো যে তাকে সংসার চালাতে তার স্ত্রীর গয়না পর্যন্ত বিক্রি করতে হল।


এই পরিস্থিতিতে মুচি খুবই হতাশ হয়ে পড়ল। তাকে দুঃখে ডুবে থাকতে দেখে তার স্ত্রী তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলত, “উপরওয়ালা সবকিছু দেখছে, বিশ্বাস রাখো, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। ভগবান নিশ্চয়ই আমাদের সাহায্য করবে।” স্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে মুচি কৃত্রিম হাসি দিত ঠিকই, কিন্তু ভিতরে ভিতরে সে চিন্তায় ডুবে যেত।


এক সময় এমন এল যখন তার দোকানে মাত্র একটি জোড়া জুতোই অবশিষ্ট রইল। নতুন করে জুতো বানানোর মত উপকরণও আর ছিল না। সেই একটি জোড়া জুতোও কেউ কিনতে আসছিল না। অনেকদিন অপেক্ষা করার পর মুচি সেই জুতো নিয়ে বাজারে গেল।


বাজারে গিয়ে সেই জুতো সে বিক্রি করতে সক্ষম হলো। পাওয়া টাকা দিয়ে সে সংসারের কিছু জরুরি জিনিসপত্র কিনল এবং বাড়ি ফেরার পথে তার চোখে পড়ল এক বৃদ্ধা, যিনি খুবই দুর্বল ও ক্ষুধার্ত ছিলেন। মুচি তার প্রতি দয়া করে কিছু টাকা তাঁকে দিয়ে দিল।


এদিকে তার কাছে আর কোনো উপকরণ অবশিষ্ট ছিল না। সে দোকানে ফিরে এলো এবং দেখতে পেল এক কোণায় একটি চামড়ার টুকরো পড়ে আছে। সেই টুকরো থেকে কেবল একটি জোড়া জুতোই বানানো সম্ভব। তাই সে চামড়া কেটে রেখে দিল এবং ভাবল পরের দিন আলো হলে তা দিয়ে জুতো বানাবে।


পরদিন সকালে দোকানে এসে মুচি দেখল, যেখানে সে চামড়ার টুকরো কেটে রেখেছিল, সেখানে এখন একটি সুন্দর জুতো জোড়া তৈরি হয়ে রয়েছে! জুতোটি এতটাই সুন্দর ছিল যে মুচি বিস্মিত হয়ে গেল। সে সঙ্গে সঙ্গেই সেটি নিয়ে বাজারে গেল এবং ভালো দাম পেল। সেই টাকা দিয়ে কিছু দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করল এবং বাকিটা দিয়ে আবার জুতো বানানোর উপকরণ কিনে নিল।


সেদিন রাতে সে আরও দুই জোড়া জুতোর জন্য চামড়া কেটে রেখে দিল। পরদিন সকালে আবার দোকানে গিয়ে সে দেখল, ঠিক যেমন আগেরদিন হয়েছিল, এবারও দুই জোড়া সুন্দর জুতো প্রস্তুত রয়েছে।


এইভাবে প্রতিদিন সে চামড়া কেটে রেখে যেত এবং সকালে তৈরি জুতো পেত। এরপর সেগুলো বিক্রি করত। এভাবে তার অবস্থা ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠল। একদিন মুচির স্ত্রী বলল, “চলো দেখি তো, রাতে কে এসে আমাদের জন্য এত সুন্দর জুতো বানিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।”


তারা সেই রাতে দোকানে লুকিয়ে রইল। কিছুক্ষণ পর তারা দেখল, তিনটি ছোট আকারের বামন (ডুয়ার্ফ) দোকানে ঢুকছে জানালার পথ ধরে এবং হাসিখুশি মেজাজে জুতো বানানো শুরু করল। রাতভর তারা কাজ করল এবং সকালে আবার চলে গেল।


এই ঘটনা দেখে মুচি ও তার স্ত্রী সিদ্ধান্ত নিল, যে এই তিন বামনের জন্য কিছু উপহার দিতে হবে। মুচি তার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইল, “তাদের জন্য কী উপহার দেওয়া যায়?”


তার স্ত্রী বলল, “তুমি খেয়াল করেছ, তাদের জামাকাপড় আর জুতো অনেক পুরনো। আমি তাদের জন্য নতুন জামা বানিয়ে দেব, আর তুমি নতুন জুতো তৈরি করে দাও।”


পরদিন তারা তিন বামনের জন্য সুন্দর করে জামাকাপড় এবং জুতো তৈরি করল এবং দোকানে রেখে দিল, তবে চামড়া আর রাখল না। সেই রাতে তিন বামন যখন দোকানে এল, তারা নিজেরা উপহারের জুতো ও পোশাক দেখে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল। সবকিছু পরে তারা নাচতে নাচতে চলে গেল।


এরপর কয়েকদিন মুচি লক্ষ করল, চামড়া যেমন ছিল তেমনই পড়ে আছে। তখন সে বুঝে গেল, এখন আর বামনেরা আসবে না। তার অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো হয়ে গেছে এবং এখন তাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।


এই সময়ে মুচির হাতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা এসে গেছে। সে জানত মানুষ কেমন জুতো পছন্দ করে। সেই অনুযায়ী সে নিজের তৈরি করা জুতো বাজারে বিক্রি করতে লাগল, যা মানুষ খুব পছন্দ করতে লাগল। তার কাজ আবার চলতে লাগল এবং সে স্বাবলম্বী হয়ে উঠল।


গল্প থেকে শিক্ষা:

অন্যের সাহায্য পেলে তার কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত এবং তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের পথে চলা উচিত, কেবল তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া ঠিক নয়।

 #niosnews #motivationalstories #InspirationalStory #motivationalpost #motivationalwords #motivationalsotry #inspiration #inspirationalquotes #motivationalquotes #inspirational #motivation #motivationalstory

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...