এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

ধানের শত্রু বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকা দমন ব্যবস্থাপনা।

 ধানের শত্রু বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকা দমন ব্যবস্থাপনা।


ধানের অন্যতম শত্রু বাদামী গাছ ফড়িং। এটি কারেন্ট পোকা নামেও পরিচিত। এগুলোর গায়ের রঙ বাদামী বা গাঁড় বাদামী হয়ে থাকে। পূর্ণবয়স্ক পোকা লম্বা ও খাটো দু' ধরনের হয়ে থাকে। এগুলোর দেহ খুবই নরম এবং স্ত্রী পোকার পেট পুরুষ অপেক্ষা বেশি বড়। পূর্ণবয়স্ক পোকা ৩.৫ থেকে ৫.০ মিঃ মিঃ লম্বা হয়ে থাকে। লম্বা পাখা বিশিষ্ট পূর্ণবয়স্ক বাদামী ফড়িং গুলো প্রথমে ধান ক্ষেতে আক্রমণ করে। এরা পাতার খোলে এবং পাতার মধ্য শিরায় ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ৭ থেকে ৯ দিন সময় লাগে। বাচ্চা গুলো ৫ বার খোলস বদলায় এবং পূর্ণবয়স্ক ফড়িং এ পরিণত হতে ১৩ থেকে ১৫ দিন সময় নেয়।


জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমন:


*পোকার বংশবৃদ্ধি কম থাকতেই জৈবিক দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। 


* আক্রান্ত জমির পানি ৭-৮ দিনের জন্য সরিয়ে ফেলতে হবে। 


* আক্রমণ প্রবণ এলাকায় প্রতিরোধী জাত যেমন ব্রি ধান-২৮, ৩৩, ৩৫, বিনা ধান-৭ চাষ করা। 


* ধান গাছ হাত দিয়ে ভাগ-ভাগ করে ফাঁকা করে আলো বাতাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া। 


* আক্রান্ত জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ না করা। 

আক্রমণ প্রবণ এলাকায় ২৫ সেমি দূরে-দূরে চারা রোপন করতে হবে। 


* সর্বোপরি আলোর ফাঁদ ব্যাবহার করে জমিতে হাঁস ছেড়ে দেওয়া, ক্ষেতে ডালপালা পুঁতে বা জমিতে উপকারী পোকার আক্রমণ বাড়ানো।


রাসায়নিক দমন ব্যবস্থাপনা:


শতকরা ৫০ ভাগ ধান গাছে ২-৪টি ডিমওয়ালা স্ত্রী পোকা অথবা ১০টি বাচ্চা পোকা প্রতি গোছায় পাওয়া গেলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা। যেমন: আইসোপ্রোকার্ব গ্রুপের কীটনাশক যেমন: মিপসিন বা সপসিন ২.৬ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা । ( ১০ লিটার পানিতে ২৬ গ্রাম মিপসিন বা সপসিন মেশালে ৫ শতাংশ জমি স্প্রে করা যাবে।) অথবা পাইমেট্রোজিন+নিটেনপাইরাম জাতীয় কীটনাশক ( যেমন- পাইরাজিন, হপারশট, পাইটাফ, প্লেনাম ইত্যাদি) অথবা ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ইমিটাফ ১২৫ মিলি/ হেক্টর (০.২৫ মিলি/ লি) হারে বা ইমপেল (০.৫ মিলি/ লি) হারে অথবা ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ক্লাসিক ২ মিলি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে গাছের গোঁড়ায় স্প্রে করা। বাদামী গাছ ফড়িং গাছের গোঁড়ায় থাকে এ জন্য স্প্রে দ্বারা গাছে কীটনাশক ঔষধ ছিটানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গাছের গোড়া ভালো ভাবে ভিজেয়ে স্প্রে করতে হবে।


করনীয়:


১। যে সব এলাকায় সব সময় বাদামী গাছফড়িং এর উপদ্রব হয় সে সব এলাকায় তাড়াতাড়ি পাকে ( যেমন: বিনাধান-৭ বা ব্রি ধান৩৩ ) এমন জাতের ধান চাষ করুন । 


২। চারা থেকে চারা ৩০ সে.মি ও লাইন থেকে লাইন ৪০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাগান। 


৩। জমিতে সুষম পরিমাণে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহারের জন্য এনপিকে গুটি প্রয়োগ করুন ।


৪। ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।

MD. MONSUR ALI PERSONAL: ছাগল পালন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি লাভজনক ও...

MD. MONSUR ALI PERSONAL: ছাগল পালন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি লাভজনক ও...:  ছাগল পালন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি লাভজনক ও টেকসই কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ। নিচে ছাগল পালনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরা হলো: ১. কম খর...

ছাগল পালন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি লাভজনক ও টেকসই কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ।

 ছাগল পালন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি লাভজনক ও টেকসই কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ। নিচে ছাগল পালনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরা হলো:


১. কম খরচে বেশি লাভ

ছাগল পালন শুরু করতে গরু বা মহিষের মতো বড় পশুর তুলনায় অনেক কম বিনিয়োগ লাগে। অল্প পুঁজি নিয়ে সহজেই ছাগল খামার গড়া যায়।


২. দ্রুত বংশবৃদ্ধি

ছাগল বছরে ২ বার বাচ্চা দেয় এবং একবারে সাধারণত ২-৩টি করে বাচ্চা হয়। ফলে খুব দ্রুত একটা বড় খামার গড়ে তোলা সম্ভব।


৩. কম জায়গায় পালনযোগ্য

ছাগল পালনে বিশাল জায়গার দরকার হয় না। অল্প জায়গায় ঘর করে ও চারার ব্যবস্থা করে ছাগল পালন করা যায়, বিশেষ করে গ্রামের পাশাপাশি শহরের পাশ্ববর্তী এলাকাতেও।


৪. খাদ্য ব্যবস্থাপনা সহজ

ছাগল তুলনামূলকভাবে সহজে খাবার গ্রহণ করে। ঘাস, লতা-পাতা, গাছের পাতা ইত্যাদি খেয়েই তারা বাঁচতে পারে। ফিড খরচ কম, আবার ঘাস চাষ করেও খাবারের জোগান নিশ্চিত করা যায়।


 ৫. মাংস ও দুধে চাহিদা বেশি

বাংলাদেশে ছাগলের মাংসের চাহিদা সবসময়ই বেশি। এটি সুস্বাদু ও তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত। আবার কিছু জাতের ছাগল দুধও দেয়, যেমন জামুনাপাড়ি, সুড়াহি ইত্যাদি।


 ৬. ঔষধি ও প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহৃত হয়

ছাগলের দুধ ও মলমূত্র থেকে কিছু আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ঔষধ প্রস্তুত হয়। কিছু প্রসাধনী পণ্যে ছাগলের দুধ ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে বিদেশে।


 ৭. ঈদুল আজহায় বাড়তি আয়

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ছাগল পালন করলে একবারেই বড় অঙ্কের আয় করা যায়। কোরবানির সময় ছাগলের দাম বাড়ে এবং ভালো মানের ছাগল বিক্রি করে ভালো লাভ হয়।


৮. বেকারত্ব দূরীকরণে সহায়ক

ছাগল পালন এককভাবে বা সমবায় ভিত্তিতে শুরু করে একজন বেকার যুবক বা নারী নিজেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারেন। এটা পরিবারকেও স্বনির্ভর করে।


 ৯. জৈব সার উৎপাদন

ছাগলের বিষ্ঠা জৈব সার হিসেবে কৃষি জমিতে ব্যবহার করা যায়, যা মাটির উর্বরতা বাড়ায় এবং রাসায়নিক সার নির্ভরতা কমায়।


 ১০. রপ্তানির সম্ভাবনা

ভালো জাতের ছাগল বা তাদের মাংস বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ছাগলের মাংসের চাহিদা আছে।


আপনি যদি স্বল্প পুঁজিতে লাভজনক কোনো উদ্যোগ খুঁজে থাকেন, তবে ছাগল পালন হতে পারে একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত।


#কৃষি 

#বাংলাদেশ 

#ছাগলের_খামার 

#কালেক্টেড

কালান্তর/নারী)                  __রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

 সাইকিয়াট্রিস্ট: আপনার পেশা কী?


রোগী: আমি একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট্যান্ট।


সাইকিয়াট্রিস্ট: আপনার স্ত্রী কী করেন?


রোগী: সে কিছু করে না, সে গৃহিণী।


সাইকিয়াট্রিস্ট: সকালের নাস্তা কে বানায়?


রোগী: আমার স্ত্রী, কারণ সে কিছু করে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: সকাল কয়টায় ওঠেন আপনার স্ত্রী?


রোগী: ভোর পাঁচটার দিকেই উঠে যায় সে, ঘরদোর ঝাড়ু দিয়ে তারপর নাস্তা বানাতে হয়। এ কিছু না, কারণ সে কোনো কাজ করে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আসতে হয় না?


রোগী: হয়। আমার স্ত্রী নিয়ে যায়, নিয়ে আসেও সে-ই। কারণ, সে কিছু করে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আপনার স্ত্রী ওখানেই বসে থাকেন?


রোগী: না না। ওখানে বসে থাকলে বাজার করবে কে? বাজার শেষ করে বাড়ি যায় সে, তারপর রান্নাবান্না করে, জামাকাপড় ধোয়। আপনাকে তো বললামই, সে কিছু করে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরে কী করেন আপনি?


রোগী: বিশ্রাম নিই। কারণ, সারাদিনের কাজের ধকলে শরীর আর কুলিয়ে ওঠে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: আপনার স্ত্রী কী করেন তখন?


রোগী: আমার জন্য চা বানায়, বাচ্চাদের পড়তে বসায়, তারপর রাতের খাবার রাঁধে। রাতের খাওয়া শেষে থালাবাটি ধুয়ে বাচ্চাদের ঘুম পাড়ায়। এসব করতে তার সমস্যা হয় না, কারণ সে কোনো কাজ করে না।


সাইকিয়াট্রিস্ট: এবার আপনার সমস্যাটি বলুন। দেখি আমি কী করতে পারি।


রোগী: কাজ শেষে ঘরে ফিরে স্ত্রীর বেকার জীবনের সুখ দেখে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি। এ কি স্বাভাবিক ঈর্ষাকাতরতা? নাকি কোনো রোগ?


সাইকিয়াট্রিস্ট: এটা অসুস্থতা। এর নিরাময় খুবই সহজ, যদি আমার প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করেন। আগামী এক সপ্তাহ আপনি কাজ থেকে একটু আগে বেরুবেন, তারপর আমার দেওয়া এই তালিকার মানুষগুলোর সবাইকে, দৈনিক একজন করে খুঁজে বের করে, তাদের কর্মকাণ্ড মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করবেন। সবার কাজ দেখা শেষ হলে, আমার কাছে আসবেন আবার; যদি আসার প্রয়োজন আছে মনে করেন তো! এই নিন তালিকা:


১ম দিন- অফিসের পিয়ন

২য় দিন- হাসপাতালের নার্স

৩য় দিন- কাজের মেয়ে

৪র্থ দিন- বাচ্চাদের আয়া

৫ম দিন- রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি

৬ষ্ঠ দিন- ধোপা

৭ম দিন- ঝাড়ুদার


এক সপ্তাহ পর ওই ভদ্রলোক আর আসেননি মানসিক ডাক্তারের চেম্বারে।


যে কাজে অসুস্থতার জন্য ছুটি নেই, যে কাজে সাপ্তাহিক বন্ধ নেই, যে কাজে দৈনিক ৮ ঘণ্টার নিয়ম নেই, যে কাজে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা অন-কল হাজিরা দিতে হয়, সেই সনদবিহীন কাজটির সাহায্য পেয়েই আমি আপনি আমরা সবাই নিশ্চিন্ত থাকি।


"আপনি কোনো কাজ করেন, নাকি স্রেফ হাউজওয়াইফ?" — ভেতরে ন্যুনতম শিক্ষা থাকলে কোনো নারীকে এই প্রশ্নটি আর করবেন না আজকের পর থেকে।


"গৃহিণীরূপে জননীরূপে মেয়েদের 

যে-কাজ সে তার আপন কাজ,

        সে তার স্বভাবসঙ্গত"


.                    (কালান্তর/নারী) 

                __রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 🌹🙏

এক রাজা ছিলেন, যার ছিল চারজন স্ত্রী।

 এক রাজা ছিলেন, যার ছিল চারজন স্ত্রী।


চতুর্থ স্ত্রীকে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। সোনা, হীরা, দামি পোশাক—সব দিয়ে সাজাতেন তাকে। সবসময় তার খেয়াল রাখতেন।


তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন রূপসী ও আকর্ষণীয়। রাজা তাকে নিয়েই গর্ব করতেন, কিন্তু মনে মনে ভয়ও করতেন—এই স্ত্রী হয়তো একদিন কাউকে ভালোবেসে তাকে ছেড়ে চলে যাবে।


দ্বিতীয় স্ত্রী সবসময় রাজার পাশে ছিলেন। সুখে-দুঃখে পাশে থেকে সাহায্য করতেন, বিশ্বাসযোগ্য ছিলেন, কিন্তু ভালোবাসার জায়গায় তিনি তেমন গুরুত্ব পাননি।


প্রথম স্ত্রী ছিলেন সবচেয়ে অবহেলিত। তিনি নীরবে সব সহ্য করতেন, রাজাকে সবসময় ভালোবেসে পাশে থাকতেন, কিন্তু কখনোই তার প্রাপ্য ভালোবাসা পাননি।


একদিন রাজা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বুঝলেন, সময় ফুরিয়ে এসেছে। তখন ভাবলেন, মৃত্যুর পরে কে তার সঙ্গী হবে?


প্রথমে চতুর্থ স্ত্রীকে বললেন,

“তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছি, তুমি কি আমার সঙ্গে যাবে?”

সে স্পষ্ট বলল, “না, একদম না!”—এবং চলে গেল।


এরপর তৃতীয় স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন। সে বলল,

“আমি কেবল মৃত্যুর দিন পর্যন্ত থাকতে পারি, এরপর আমি নতুন জীবন শুরু করব।”


দ্বিতীয় স্ত্রী বলল,

“আমি তোমার কবর পর্যন্ত যাব, কিন্তু সেখানেই আমার পথ শেষ।”


হঠাৎ রাজা শুনলেন, কারও শান্ত কণ্ঠস্বর—

“আমি তোমার সঙ্গে যাব, যেখানেই যাও না কেন।”


রাজা অবাক হয়ে দেখলেন, সেই কণ্ঠ প্রথম স্ত্রীর।

তাকে এতটাই ক্লান্ত, দুর্বল আর অবহেলিত দেখাচ্ছিল যে, রাজার চোখে জল এসে গেল।


তিনি বললেন,

“আমি যদি তোমার যত্ন নিতাম! আজ বুঝছি, আসলে তুমিই ছিলে সবচেয়ে আপন!”


গল্পের শিক্ষাঃ


এই চার স্ত্রীর প্রতিটি আমাদের জীবনের একেকটি প্রতীক—


চতুর্থ স্ত্রী হলো আমাদের শরীর, যাকে আমরা সবচেয়ে বেশি যত্ন নিই, সাজাই; কিন্তু মৃত্যুর পর এটাই আমাদের প্রথম ছেড়ে যায়।


তৃতীয় স্ত্রী হলো সম্পদ, যেটা মৃত্যুর পর অন্যের হয়ে যায়।


দ্বিতীয় স্ত্রী হলো পরিবার ও বন্ধু, যারা কেবল কবর পর্যন্তই আমাদের সঙ্গে থাকে।


আর প্রথম স্ত্রী হলো আমাদের আত্মা, যাকে আমরা সবচেয়ে বেশি অবহেলা করি, অথচ মৃত্যুর পরে একমাত্র ওটাই আমাদের সঙ্গে থাকে।


জীবনে ব্যস্ততা থাকবেই, কিন্তু আত্মার যত্ন নিতে ভুলবেন না। কারণ সেই আত্মাই আপনার চিরসঙ্গী,,,,

Nusrat Chowdhury 

#viralpost #fb #foryouシ #viralpost2025シ #viralpost2025 #views1m #everyoneシ゚ #story #storytelling #storytime

ভুলের  ভুলভুলাইয়া খেলা 

 ভুলের 

ভুলভুলাইয়া খেলা 


দুধ খারাপ হলে দই হয়ে যায়। দই দুধের চেয়ে দামি। যদি এটা আরো খারাপ হয়, এটা পনির হয়ে যায়। দই এবং দুধের চেয়ে পনিরের মূল্য অনেক বেশি।


আর আঙুরের রস টক হলে তা ওয়াইনে রূপান্তরিত হয়, যা আঙ্গুর রসের চেয়েও দামী। তুমি খারাপ না কারণ তুমি ভুল করেছ। ভুল হল সেই অভিজ্ঞতা যা আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে আরো মূল্যবান করে তোলে।


ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ভুল করেছেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে।টমাস আলভা এডিসন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনি জীবনে ভুল করেছেন? তিনি বলছিলেন, 'অসংখ্যবার!' তা শুনে প্রশ্নকর্তা বলেছিলেন, 'তাহলে তো আপনার মাথায় বুদ্ধি কম?' উত্তরে এডিসন যে উত্তর করেছিলেন তা এমন, 'মাথায় বুদ্ধি কম ছিলো কিন্তু অসংখ্যবার ভুল করার কারণে তা বেড়ে অসংখ্য গুণ হয়ে গিয়েছে!'


ব্যাপারটা এমন, প্রতিবার ভুলের পর এডিসন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতেন । এভাবে সৃষ্ট সফল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে।


কানাডিয়ান বিখ্যাত লেখক রবিন শর্মা বলেছিলেন, 'ভুল বলে কিছু নেই সবই নতুন শিক্ষা।'


বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'কেউ যদি বলে সে কখনো ভুল করেনি, তার মানে সে কখনো চেষ্টাই করেনি।'


'How to change a life' বইটি একবার দ্বিতীয় সংস্করণে নামের ভুলে 'How to change a wife' হয়ে বের হয়েছিলো, তারপর তা বেস্ট সেলার !


কথায় আছে, মাঝে মাঝে ভুল বলো নাহলে তুমি বুঝতে পারবে না লোকে তোমার কথা শুনছে কি না !


মাঝে মাঝে ভুল লিখো তাহলে যে তোমাকে জিন্দেগীতে কমেন্ট করবে না বলে পণ করেছে সে ও কমেন্ট করবে।


বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, 'উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের একটি সমন্বিত পক্রিয়া।'


বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, 'নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।'


কলিন পাওয়েলের মতে, 'যোগ্য নেতা জন্ম নেয় না তৈরী হয় চেষ্টা, ভুল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।'


অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ মাইকেল জর্ডান বলেছিলেন, 'আমি অসংখ্যবার ভুল করেছি এবং ফেইল করেছি বলে আমি আজ সফল।'


হেনরি ফোর্ড বলেছিলেন, 'ভুল হলো একমাত্র সুযোগ যার মাধ্যমে নতুন করে শুরু করার আরো সুযোগ পাবেন।'


এক প্রেমিকের ভাষ্য, 'ভুল মানুষের প্রেমে পড়া মানে আরেকটি শুদ্ধ মানুষের প্রেমে পড়ার অন্যতম সুযোগ।'


কথায় আছে, সত্যিকার মানুষ কখনো নির্ভুল হতে পারে না!


যদি সবকিছু নির্ভুল থাকে তাহলে তুমি কখনো কিছু শিখতে পারবে না!


পেন্সিল মানসিকতা হওয়ার চেষ্টা করো, যাতে ভুল হলে পিছন দিয়ে ঘষে মুছে নতুন করে চেষ্টা করার সুযোগ থাকবে! মুছা না গেলে চিত্র হয় না!


কলম মানসিকতার মানুষগুলো নিজেকে নির্ভুল ভাবে ! তাই কলম দিয়ে সুন্দর চিত্র হয় না!


তাই আসুন আমরা ভুল কে ভুলে গিয়ে আবার নতুনভাবে চেষ্টা করে ফুলের মত জীবন গড়ি।

আপনার ভুলগুলিকে আপনাকে নীচে নামাতে দেবেন না। এটি অনুশীলন নয় যা নিখুঁত করে তোলে। আমরা ভুল থেকে শিখি যা নিখুঁত করে তোলে!


সৌজন্যে আঞ্জুমান আরা

কালোজিরা দিয়ে ৮টি জটিল রোগের চিকিৎসা করুন ঘরে বসেই

 ✅ কালোজিরা দিয়ে ৮টি জটিল রোগের চিকিৎসা করুন ঘরে বসেই। যাঁরা মোটা হতে চান, তাঁদের জন্য কালোজিরা যথাযোগ্য পথ্য। আবার যাঁদের শরীরে পানি জমে হাত-পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের পানি জমতে বাধা দেয়। কালোজিরা শরীরের জন্য খুব জরুরি। 


সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালোজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে। 


কালোজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না। 


আমাদের মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। 


কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। 


দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।

ফিটকিরির এত গুণ জানতেন কি? জেনে নিন।

 ✅ ফিটকিরির এত গুণ জানতেন কি? জেনে নিন।

ফিটকিরির এত গুণ – তখন তো আর এখনকার মতো ফিল্টার ছিল না। বাড়ির বয়স্ক মানুষটিকে দেখা যেত, জলে এক টুকরো ফিটকিরি ফেলে নিশ্চিন্ত হতেন। জল পরিস্রুত হয়ে, নোংরা থিতিয়ে পড়ত নীচে। বা, দাড়ি কাটতে গিয়ে ব্লেডে গালটা আচমকা কেটে গেলে, স্যাভলন বা কোনও আফটারসেভের খোঁজ পড়ত না। হাতের কাছে থাকা ফিটকিরির ডেলা গালে ঘষে নিতেন। ব্যস, রক্ত বন্ধ। এমন প্রচুর গুণ কিন্তু রয়েছেফটকিরির।


সর্বঘটের কাঁঠালি কলা: তা আপনি বলতেই পারেন। আগে তো বাড়ির মেয়েরা রূপচর্চা করতেও ফটকিরি ব্যবহার করতেন। তার কারণ, বলিরেখা পড়তে দেয় না। তা ছাড়া, যেহেতু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, তাই দাঁতের রোগেও কিন্তুফিটকিরিভালো কাজ দেয়।


আঙুলে হাজা: অতিরিক্ত জল ঘাঁটার কারণে হাতে হাজা হলে, বা, পায়ের পাতা ফুললে, নিশ্চিন্তে ফটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এক টুকরো ফটকিরি জলে ফেলে, জলটা ভালো করে গরম করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে, পা চুবিয়ে রাখুন। দুরন্ত আরাম পাবেন।


হঠাৎ রক্ত: দাড়ি কাটতে গিয়ে গালটা কেটে গেলে, সেলুনে এখনও ফটকিরি ঘষে দেয়। যদি, গাল কাটাই নয়, যে কোনও আঘাতে রক্তপাত হলে, সেখানে ফটকিরি চূর্ণ করে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত বেরোনো বন্ধ হবে।


টনসিলে আরাম: ঠান্ডা লেগে গলায় ব্যথা হলে বা গ্ল্যান্ড ফুললে, গরম জলে এক চিমটে নুন ও ফটকিরি চূর্ণ মিশিয়ে, দিনে কয়েকবার গার্গেল করুন। স্বস্তি পাবেন।


ব্রন-ফুসকুড়ি: মুখে ব্রন-ফুসকুড়ি হচ্ছে? মুখ ড্রাই হয়ে, চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে? চিন্তা করবেন না। ভালো করে মুখ ধুয়ে নিয়ে, সারা মুখে অনেকক্ষণ ধরে ফটকিরি ঘষুন। বা ফটকিরি চূর্ণ জলে গুলে, মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে, কিছুক্ষণ পর মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে কিছু দিন করলে, মুখে ঊজ্জ্বলতা ফিরবে। ব্রন-ফুসকুড়ির হাত থেকেও মুক্তি পাবেন।


দাঁতে যন্ত্রণা: দাঁতের যন্ত্রণায় ভুগেছেন? বা, মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? সব মাজনে চেষ্টা করেও, মুখের গন্ধ যাচ্ছে না? তাই কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না? আপনাকে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে ফটকিরি। গরম জলে ফটকিরি গুলে নিয়ে, কুলকুচি করুন। আপনি দাঁতের যন্ত্রণার হাত থেকে নিশ্চিতভাবেই মুক্তি পাবেন। মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে লজ্জায় পড়তে হবে না

টবে পেয়ারা চাষ পদ্ধতি।

 টবে পেয়ারা চাষ পদ্ধতি।


পেয়ারা একটি জনপ্রিয় প্রিয় ফল। বর্তমানে সারা বছরই পেয়ারা পাওয়া যায়। টবে/ ছাদে রোপন এর অনেক ভাল ফলন পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই ছাদে পেয়ারা চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে।


পেয়ারার জাত: 


বাংলাদেশের চাষ উপযোগী অনেকগুলো জাত আছে পেয়ারার। সকল জাতের পেয়ারাই ছাদেও চাষ করা সম্ভব। এর মধ্যে এফটিআইপি বাউ পেয়ারা-১ (মিষ্টি), এফটিআইপি বাউ পেয়ারা-৪ (আপেল), এফটিআইপি বাউ পেয়ারা-৫ (ওভাল), এফটিআইপি বাউ পেয়ারা-৬ (জেলি) এবং থাই পেয়ারা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ইপসা -১ এবং ইপসা -২ পেয়ারাও ভাল জাতের পেয়ারা।


টবে ও মাটি প্রস্তুতকনণ:


ছাদে বাগানের জন্য ২০ ইঞ্চি ড্রাম বা টব সংগ্রহ করতে হবে। ড্রামের তলায় ৩-৫ টি ছিদ্র করে নিতে হবে। যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। টব বা ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ইটের শুড়কি ও ১ ইঞ্চি পরিমাণ বালু দিতে হবে।


টবে পেয়ারা রোপনের জন্য দুই ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, দুই ভাগ জৈব সার,  এক ভাগ কোকোপিট, হাফ কেজি সরিষার খৈল, ২৫০ গ্রাম হাড় গুড়ো এবং  ৫০ গ্রাম এমওপি,  ৫০ টিএসসি  সার একসাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার ২৫ দিন রেখে দিন, এর মধ্যে কয়েক দিন পর পর মাটি গুলো উলটে-পালটে দিন। ২৫ দিন পর পছন্দের পেয়ারা গাছটি টবে সুন্দর করে বসিয়ে দিয়ে টবে ভরপুর পানি দিন।


অন্যন্য পরিচর্যা:


প্রতিমাসে ২ মুঠো সরিষার খৈল ১ চামচ ইউরিয়া ২ চামচ হাড় গুড়ো এবং ১ চামচ পটাশ ভাল করে মিশিয়ে টবে প্রয়োগ করুন। এতেই আপনার শখের পেয়ারা সুন্দর করে বেড়ে উঠবে।


এ ছাড়া মাঝে মাঝে সরিষার খৈল ভেজানো পানি দেওয়া যেতে পারে।


ডাল-পালা ছাটাই: 


গাছ লাগানোর ২ বছর পর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে পেয়ারার ডাল কেটে দিতে হবে। ছাদের গাছকে যতটা সম্ভব ছোট রাখতে হবে। ডাল পালা বড় হলে ফলন কম হবে। গাছকে ছোট রাখলেই ছাদের গাছে অধিক ফলন পাওয়া যায়।


টিপস:


গাছে যদি প্রচুর ফল আনতে চাও তাহলে জিঙ্ক এবং বোরোন মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে গাছে স্প্রে করতে হবে। বাজারে জিঙ্ক এবং বোরোন মাইক্রো নিউট্রিয়েন্স নামে পাবেন। ১ লিটার পানিতে ৩০ ফোটা দিয়ে ঐ মাস গুলোতে স্প্রে করতে হবে।


পেয়ারা গাছে সাধারণত বছরে তিনবার ফুল আসতে দেখা যায়। এ কারণে ফাল্গুন-আষাঢ় ও কার্তিক মাসে কাছে আলাদা কিছু সার প্রয়োগ করতে হয় । পঁচা গোবর ২ কেজি, ইউরিয়া ৫০ গ্ৰাম, ফসফরাস ৮০ গ্ৰাম এবং পটাশ ৫০ গ্ৰাম পেয়ারা গাছের গোড়া থেকে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।

জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সেরা কিছু খাদ্য

 জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সেরা কিছু খাদ্য 👇


জরায়ু মুখের ক্যান্সারের কারনে প্রতিবছর অনেক প্রান ঝরে যায়। আমাদের দেশে ক্যান্সার এর কারনে মৃত্যুর জন্য এটি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আগে এটি প্রথম অবস্থানে ছিল, বর্তমানে টিকা আবিষ্কার ও সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।


বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয় এবং এদের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার রোগী মৃত্যুবরণ করে। অর্থাৎ যতজন রোগী শনাক্ত হয়, তার প্রায় অর্ধেকই মৃত্যুবরণ করে। তবে আশার কথা এই যে সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে জরায়ুমুখের ক্যানসার সম্পূর্ণ রূপে ভালো হয়ে যায় এবং এটিই একমাত্র ক্যানসার, যার টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।


তাই এই ক্যান্সার রুখতে আমাদের আগে থেকেই সচেতন হতে হবে কারন এর প্রতিকার সম্ভব না হলেও প্রতিরোধ সম্ভব।


প্রতিরোধ করতে কি খাবো:


 ফ্লাভিনয়েডস: ফ্ল্যাভোনয়েড হল কালারফুল ফল এবং সবজির রাসায়নিক যৌগ যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষার একটি প্রধান উৎস বলে মনে করা হয়। ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ খাবারের কয়েকটি উদাহরণ হলো:


আপেল, কালো শিম, ব্রকলি, বাঁধাকপি, টমেটো, রসুন, লেটুস, মটরশুটি, পেঁয়াজ, সয়া, পালং শাক


ফোলেট বা ফলিক এসিড (ভিটামিন বি৯):


গবেষণায় দেখা গেছে যে ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার (একটি জলে দ্রবণীয় বি ভিটামিন) সার্ভিকাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ফোলেট সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে:


অ্যাভোকাডোস, ছোলা, সিরিয়াল (ওটস, বার্লি) এবং রুটি, মসুর ডাল, কমলার শরবত, লেটুস, স্ট্রবেরি


ক্যান্সার প্রতিরোধে যেসব খাবার খাবেন


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সালে বিশ্বের ৯.৬ মিলিয়ন মানুষ ক্যানসারের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যেক বছর নতুন করে ক্যানসার আক্রান্ত হচ্ছেন তিন লক্ষ মানুষ। কিন্তু প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন করতে পারলে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে ক্যানসারকে। এই মারাত্মক অসুখ প্রতিরোধ করার উপায় সম্পর্কে আমাদের সবার জানা দরকার।


কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে, অন্য দিকে বেশ কিছু খাবার আছে যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে জোরদার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।


প্রাচীন ধারণা অনুযায়ী, নিরামিষ খাবার শরীরকে সুস্থ রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। পুষ্টি বিজ্ঞানীরাও আজ সে কথা মানেন। পেয়ারা, আম, জাম, আপেল, কলা-সহ যে কোনও টাটকা ফলমূল ও বিট, কুমড়ো, টোম্যাটো, ঢেঁড়সের মত সবজি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করে।


প্রতিদিনই যে সবজি ও ফল খেতে হবে তা নয়, চেষ্টা করবেন রোজের খাবারের তালিকায় মৌসুমি সবজি ও ফল রাখার। ক্যানসার প্রতিরোধসহ আমাদের সামগ্রিকভাবে ভাল রাখতে সাহায্য করে এমন কিছু ফল ও সবজি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-


কলা: বছরের প্রতিটি সময় কলা পাওয়া যায়। অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে রোজ কলা খাওয়া যেতে পারে। সেলেনিয়ামের সক্রিয় যৌগের এক শক্তিশালী উৎস এই ফল। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে মজবুত করার পাশাপাশি ক্যানসার কোষ বিনষ্ট করতে পারে ।


আপেল: দাম বেশি হলেও সারা বছরই এই ফল বাজারে পাওয়া যায়। এতে আছে প্রোসায়ানিডিনস, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে কার্যকর।


ডালিম বা বেদানা: ডালিমে থাকে ফলিফেনল নামে এক যৌগ, যা ক্যানসার সৃষ্টকারী কোষ ধ্বংস করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।


আঙুর: আঙুরে আছে রেসভেরাট্রল, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।


কমলালেবু: এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ক্যানসার ফাইটার। কমলালেবুর কোয়ায় থাকা ২_হাইড্রক্সিফ্ল্যাভনয়েড (২_এইচএফ) স্তন ও ফুসফুস ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


টমেটো: টমেটোতে থাকে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসারের মহা শত্রু। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে টমেটো রাখতে ভুলবেন না। 


ব্রকোলি: এই সবজি এখন আমাদের দেশেও সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। এই সবুজ রঙের সবজিটি ইনডোল-৩ কারবিনোল নামক ফাইটোকেমিক্যালসের এক অন্যতম ভাণ্ডার। এই উপাদানটি ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে পারে।


বিট: এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা সায়ানিন। যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।


নটে শাক: যার বিজ্ঞানসম্মত নাম অ্যামারান্থাস ভিরিডি‌ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যানসাররোধক।


ফুলকপি : যেসব লোক ফুলকপি ও বাঁধাকপি জাতীয় খাবার বেশি খায় তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। ইউরোপীয় গবেষণা অনুযায়ী, যারা এ জাতীয় খাবার বেশি খায় তাদের কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে।


রসুন : এই তীব্র কটু ঔষধি অ্যালাইল সালফার যৌগ যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেম তৈরি করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে রসুন কোলন ক্যান্সারের কম ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রসুন হার্টের জন্যও খুবই উপকারী।


নিয়মিত বাদাম খান : বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। যারা প্রতিনিয়ত বাদাম খান তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি এমনিতেই কমে যায়। কারণ বাদাম শ্বসনতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে ক্যান্সারের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যেহেতু বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার হতে পারে,তাই বাদাম শুধু সামান্য কিছু কারণের ঝুঁকি কমাতে পারে।


অ্যালকোহল পরিহার করুন : অতিরিক্ত অ্যালকোহল মুখ, গলা, খাদ্যনালী, এবং স্বরযন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।তাই অ্যালকোহল পুরোপুরি পরিহার করতে হবে।


ক্যারোটিনয়েড:


কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন এ-এর উৎস ক্যারোটিনয়েড জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধে সহায়ক। উপরের তালিকায় ফল, শাকসবজি এবং মটরশুটি ছাড়াও, আপনি আপনার ডায়েটে কমলা, গাজর, মিষ্টি আলু, কুমড়া এবং শীতকালীন সতেজ সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।


এছাড়াও নিয়মিত খেতে পারেন:


১. হলুদ


২. ভিটামিন সি


৩. ওমেগা ৩


৪.  ভিটামিন ডি


দেহে কোনো পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি থাকলে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন ও সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করুন।


খাবার প্রতিরোধ এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এর পাশাপাশি আপনাকে আরো কয়েকটি জিনিস মেনে চলতে হবে।


১৬ বছরের আগে কোনো মেয়ের বিয়ে না দেওয়া, জন্মনিয়ন্ত্রক পিল ৫ বছরের বেশি সময় ধরে সেবন না করা,


বহুগামিতা রোধ


ধূমপান বন্ধ,


সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ কিংবা অপরিচ্ছন্নতার কারণেও জরায়ুমুখের ক্যানসার হয়ে থাকে।


ক্যান্সার রাতারাতি হয় না।দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারার ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।তবে আপনি চাইলেই এখন এ ঝুঁকি কমাতে পারেন। তারজন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না। শুধু আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে কিছু খাবার। তাহলে জেনে নিন ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার সম্পর্কে।


বসে থাকার অভ্যাস কমাতে হবে : একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে যারা দিনের বেশির ভাগ সময় বসে কাটায় তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে ২৪ শতাংশ বেশি। তাই একটানা বসে না থেকে এক ঘন্টায় অন্তত কয়েক মিনিটের জন্য হলেও চারপাশে পায়চারি করাতে হবে।বংশগত কারণে অনেকের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। দ্বিতীয়ত, জীবনযাত্রায় অনিয়মের কারণেও ক্যান্সার হতে পারে। কেউ যদি সময়মতো না খায়, পরিমাণমতো না ঘুমায় তাতে তার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর এই ওজন বাড়ার ফলে ক্যান্সার  হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তৃতীয়ত, অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। যেমন ধরুণ যেসব খাবারে নানা ধরনের রং বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়, ফরমালিন ব্যবহার করা হয় এমন খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। খাবার ঠিকমতো সংরক্ষণ না করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। সোজা কথায় সচেতনতার অভাবে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়ে।


এগুলো সচেতনতা মুলক পোষ্ট পছন্দ হলে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। 

#হেকিমি_দাওয়াখানা

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...