এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

টাকার গুরুত্ব তখনই বোঝা যায়, যখন আপনার আদরের সন্তান দোকানে দাঁড়িয়ে একটা খেলনা বা পোশাক পছন্দ করে, কিন্তু আপনি সেটা কিনে দিতে ব্যর্থ হন!

 💸 টাকার গুরুত্ব তখনই বোঝা যায়, যখন আপনার আদরের সন্তান দোকানে দাঁড়িয়ে একটা খেলনা বা পোশাক পছন্দ করে, কিন্তু আপনি সেটা কিনে দিতে ব্যর্থ হন!


💸 টাকার গুরুত্ব তখনই বোঝা যায়, যখন কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখেন শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে আপনাকে কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।


💸 টাকার গুরুত্ব তখনই বোঝা যায়, যখন শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বুঝতে পারেন, আপনার তুলনায় অন্য জামাইকে বেশি আদর আপ্যায়ন করা হচ্ছে, কারণ সে ধনী।


💸 টাকার গুরুত্ব তখনই বোঝা যায়, আপনার স্ত্রীর ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো আপনি পূরণ করতে পারেন না, আর এজন্য সে আপনাকে উঠতে বসতে খোঁটা দেয়।


💸 পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে, বিল দেওয়ার সময় বুঝবেন টাকা কতটা জরুরি।


💸 যখন আপনার কাছে টাকা নেই বলে বন্ধুরাও আপনাকে মূল্যায়ন করে না, তখন উপলব্ধি করবেন কেন টাকা দরকার।


💸 যখন দেখবেন, আপনার টাকা নেই বিধায় আত্মীয়স্বজন আপনার সাথে দূরত্ব বজায় রেখে চলে, তখন স্পষ্ট হবে টাকার মূল্য।


💸 বিপদের সময় দেখবেন, আপনার টাকা কম বলে কেউ আপনার পাশে থাকে না, আপনার প্রতি সহানুভূতি দেখায় না! তখন সত্যিকার অর্থে বুঝবেন টাকার প্রয়োজনীয়তা।


💸 টাকার অভাবই মানুষকে শেখায় এর গুরুত্ব। তাই নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে হলে, টাকা কামাই করতে শিখুন। কারণ, জীবনের ৮০% সমস্যার সমাধান টাকা দিয়েই সম্ভব!

আবারও ইলন মাস্ক আলোচনায়! মাস্ক সম্প্রতি এমন একটি রোবট উন্মোচন করেছেন, যা বিশ্বজুড়ে বিস্ময় তৈরি করেছে। মাত্র ৫,০০০ ডলারের এই রোবটটি পেশাদার শেফদের চেয়েও ভালোভাবে খাবার রান্না করতে পারে। রোবটটির নাম Culina, এবং এটি মাস্কের নতুন একটি উদ্যোগ, যা টেসলার অধীনে ফুড টেকনোলজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে কাজ করছে।

 আবারও ইলন মাস্ক আলোচনায়! মাস্ক সম্প্রতি এমন একটি রোবট উন্মোচন করেছেন, যা বিশ্বজুড়ে বিস্ময় তৈরি করেছে। মাত্র ৫,০০০ ডলারের এই রোবটটি পেশাদার শেফদের চেয়েও ভালোভাবে খাবার রান্না করতে পারে।

রোবটটির নাম Culina, এবং এটি মাস্কের নতুন একটি উদ্যোগ, যা টেসলার অধীনে ফুড টেকনোলজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে কাজ করছে।


Culina একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কুকিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, যার মধ্যে রয়েছে উন্নত AI ও সুনির্দিষ্ট রোবটিক প্রযুক্তি। এটি ফ্রেঞ্চ পেস্ট্রি থেকে শুরু করে স্টেক পর্যন্ত সব ধরনের খাবার তৈরি করতে পারে। উচ্চ মানের সেন্সর, রোবোটিক বাহু এবং নানা ধরনের রান্নার কৌশল ব্যবহার করে Culina প্রতিটি খাবারকে নিখুঁতভাবে প্রস্তুত করে।


রোবটটির AI অ্যালগরিদম ব্যবহারকারীর রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী নিজেকে ক্রমাগত আপডেট করে, ফলে প্রতিবারই এটি ব্যক্তিগতকৃত খাবার পরিবেশন করতে সক্ষম।কর্মজীবীদের আর রান্না করার চিন্তা থাকবে না।

এখন কর্মজীবীদের অবসরে যাবার সময় এসেছে।


তথ্যসূত্র: 4techviews.net

গল্প: প্রাপ্তি কলমে: সরজিৎ ঘোষ Sarajit Ghosh ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ট্রেনে ফিরছিলাম। গিয়েছিলাম মেয়ের বিয়ের জন্য গয়না কিনতে। সঙ্গে আমার মেয়েও গিয়েছিল। সামনের মাসেই আমার ছোটো মেয়ের বিয়ে। আমার অবশ্য দুই মেয়ে। বড়ো মেয়ের বিয়ে হয়েছে তাও প্রায় সাত বছর হয়ে গেল। বছর দুয়েক হলো আমিও রিটায়ার করেছি। ছোটো মেয়ের ইচ্ছে বিয়ের সমস্ত গয়না কলকাতা থেকে কিনবে, আর আমাকে সঙ্গে যেতে হবে। আমি তবুও বললাম, 


-আমি গয়নার কি বুঝি বল তো! তোর মাকে নিয়ে যা‌।


আমার কথা শুনে ছোটো মেয়ে বলল,


-তোমাকেই যেতে হবে। তুমি বোঝো আর নাই বোঝো আমি কোনো কথা শুনব না। 


তবে এ ব্যাপারে আমার বড়ো মেয়ে অনেক আগে থেকেই বলেছিল, বোনের জন্য সমস্ত গয়না কলকাতা থেকেই নিও। তাহলে আমিও যেতে পারব তোমাদের সাথে।


আমার বড়ো মেয়ের বিয়ে হয়েছে বালিগঞ্জে। আমি আর আমার ছোটো মেয়ে তাই আগের দিন সন্ধ্যেয় চলে এসেছিলাম বড়ো মেয়ের বাড়িতে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া সেরে দুই মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে ছিলাম কেনাকাটা করতে। প্রথমে গড়িয়াহাট গিয়ে বিয়ের বেনারসীটা কেনা হয়, তারপর ওখান থেকে চলে যাই পি. সি.চন্দ্র জুয়েলার্সে। গয়না গাটি কেনাকাটা করে দোকান থেকে যখন বের হলাম তখন সাড়ে আটটা বেজে গেছে। বড় মেয়ে ওর বাড়ির দিকে রওনা দিল। আমি আর ছোটো মেয়ে ওখান থেকে ট্যাক্সি ধরে হাওড়া চলে আসি। হাওড়ায় এসে দেখি ন'টা বিয়াল্লিশের ট্রেনটা বেরিয়ে গেছে। পরের ট্রেন দশটা দশে। ওয়েট করা ছাড়া উপায় নেই। রাত তখন অনেকটাই হয়ে গেছে। 


যাইহোক, দশটা দশের ট্রেনটা ধরি। ট্রেনের মাঝামাঝি  একটা জেনারেল কামরায় উঠি। যখন ট্রেনে উঠি তখন ভালোই লোকজন ছিল। যাব এক ঘণ্টার বেশি রাস্তা। কর্ড লাইন বর্ধমান লোকাল। আস্তে আস্তে ভীড়টা কমতে লাগল। একটার পর একটা স্টেশন যত আসছে ততই কামরা ফাঁকা হতে লাগলো।অনেক ক্ষণ থেকে লক্ষ্য করছি কিছুটা দূরে বসে আছে দুটি ছেলে। তার মধ্যে একজনের পেশি বহুল তাকড়াই চেহারা। বয়স ত্রিশ পঁয়ত্রিশ হবে। গুণ্ডা টাইপের দেখতে। হাতে একটা বালা। মুখে রুমালটা বেঁধে রেখেছে। আমাদের দিকে বার বার তাকাচ্ছে। এই তাকানোটা আমার ঠিক ভালো ঠেকছিল না।ট্রেনের কামরা যখন ফাঁকা হয়ে গেল, তারপর থেকে ভয়টা আরো বেশি করতে লাগলো। ওদের তাকানো দেখে আমার কেমন যেন সন্দেহ হতে লাগল। গয়নার ব্যাগটা আমি কোলের ওপর রেখে চেপে ধরে বসে আছি। মনে মনে আমি সাহস দেখানোর চেষ্টা করছি। ওদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে আমি ভয় পাই না। এদিকে আমার মেয়েও পাশে বসে আছে। আমার মেয়েও ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আমাকে ফিস ফিস করে বলল, 


-বাবা খুব একটা ভালো দেখছি না। ভয় করছে ভীষণ। দিদির কথা শুনলেই ভালো হত। দিদি আজকের দিনটা থেকে যেতে বলেছিল, আর তুমি শুনলে না। চলো পরের কামরায় চলে যাই।এই কামরাতে একটাও লোক নেই।প্রাণে বাঁচতে পারব না না'হলে।


মেয়েকে ভরসা দিয়ে বললাম,


-তাই করতে হবে। পরের স্টেশনটা আসতে দে, ভয় পাস না। মনে সাহস রাখ।


হঠাৎ করেই ট্রেনটা সিগন্যাল না পেয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়ে গেল।ধূ ধূ মাঠ। কেউ কোত্থাও নেই। চারিদিক অন্ধকার। এদিকে আমার কাছে দশ লাখ টাকার মতো গয়না, বিয়ের দামী দামী শাড়ি, মনের ভিতর যে কি হচ্ছে বলে বোঝাতে পারব না।


তারপর দেখি ওই দুটি ছেলের মধ্যে ওই মোটাসোটা চেহারার ছেলেটি উঠে দাঁড়িয়ে আমাদের দিকেই তখন এগিয়ে আসছে।আমাদের কামরায় একটা লোকও নেই যে আমাদের সাহায্য করতে পারে। আমার মেয়ে ততক্ষণে ভয়ে জড়ো হয়ে আমার গা ঘেঁষে এসে বসেছে। চিৎকার করব না কি করব বুঝে উঠতে পারছি না। যা হবে হবে, মনে সাহসটুকু রেখেছি। তারপর ছেলেটি গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এসে আমার পা দুটো ছুঁয়ে প্রণাম করে বলে, 


-স্যার চিনতে পারছেন?


স্যার বলতেই তো আমি অবাক। আমি তখন মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছি।


-স্যার চিনতে পারছেন না? আসলে না চিনতে পারারই কথা।আজ কত দিন হলো স্কুল ছেড়েছি। আমাদের মনে রাখার মতো কোনো বৈশিষ্ট্যই তো নেই। তবে স্যার একটু মনে করুন আমাকে চিনতে পারবেন হয়তো। আমার ডাক নাম গদাই। আপনি গদা বলে ডাকতেন। 


-গদা? গদা মানে তুই সেই গদাই‌। দেখেছো কি কাণ্ড। একদম চিনতে পারিনি‌।


-আমি স্যার আপনাকে দেখেই চিনতে পেরেছি। তখন অনেক লোকজন ছিল বলে কাছে আসতে পারিনি। আপনাকে কি করে ভুলি স্যার। স্যার মনে আছে আমি একটা খুব খারাপ কাজ করেছিলাম। দীনুর ব্যাগ থেকে একদিন দশটাকা চুরি করেছিলাম। আমি চুরি করেছি এটা জেনেও সবার সামনে আপনি আমার নামটা বলে দেন নি। পরে আমাকে আলাদা করে ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আমি ওই কাজটা ঠিক করিনি।আমাকে শুধরে দিয়েছিলেন। আপনি সৎ হতে শিখিয়েছিলেন‌।মানুষ হতে বলেছিলেন। পড়াশোনায় ভালো ছিলাম না। তাই লেখা পড়া বেশি দূর এগোয় নি। কিন্তু সেদিন আপনার সেই শিক্ষা ভুলিনি।


গদাইয়ের কথা গুলো শুনতে শুনতে সেই কুড়ি বছর আগে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মুখ গুলো যেন আবার একবার মনে পড়ে গেল। মনে পড়ে গেল গদাই ঠিকই বলছে। চেহারাটা ভালো ছিল বলে আমি ওকে গদা বলতাম‌। গদা নামটা শুনে ও নিজে ফিকফিক করে হাসত তখন। সেদিনের সেই গদাই আজ কত বড়ো। অথচ আমি চিনতে পারিনি। আমি নিজে থেকেই জিজ্ঞেস করলাম, 


-কি করছিস এখন? 


-স্যার একটা মারুতি ভ্যান কিনেছি। এখন ওই গাড়িটাই চালাই। 


-বিয়ে করেছিস তো?


-না স্যার। বিয়ে করিনি। স্কুল ছাড়ার বছর তিনেক পর আমার বাবাও মারা গেল। আমার দুই বোন। আমি নিজে বোনেদের বিয়ে দিয়েছি। আর আপনি তো জানেন আমার মা যখন মারা গেল আমি তখন সিক্সে পড়ি। তারপর তো বাবা আবার বিয়ে করল।


সত্যিই তো গদাইয়ের  মা ছোটো বেলায় মারা গিয়েছিল। আরো সব কিছু যেন ছবির মতো পরিষ্কার হয়ে গেল। কত দিনের কথা আজ সব মনে পড়ে গেল।


-তাহলে এখন বাড়িতে কে কে আছেন? 


-আমি আর আমার মা। জানেন স্যার কখনো মনে হয়নি উনি আমার সৎ মা। আমাকে  খুব ভালো বাসে। আমি যত রাতেই বাড়ি ফিরি আমার জন্য জেগে বসে থাকবে। আমি বারণ করি কিন্তু শুনবেই না। বলে তুই ছাড়া আমার কে আছে? আমিও আমার মাকে খুব ভালোবাসি। পরের মাসে মাকে নিয়ে হরিদ্বার যাচ্ছি। আপনারাও চলুন না আমাদের সাথে!


-হ্যাঁ  নিশ্চয়ই যাব। আমার ছাত্র বলছে যখন তখন তো যেতেই হবে।


দূর থেকে মানুষকে দেখে অনেক কিছু ভুলভাল চিন্তা করে ফেলি। তারপর ভাবনা গুলো এলোমেলো হয়ে যায়। গদাই ফার্স্ট ,সেকেণ্ড, থার্ড কখনো হতে পারেনি, এক থেকে দশের মধ্যেও আসতে পারেনি। তার দায়িত্ব বোধ, কর্তব্য বোধ,শ্রদ্ধা, সম্মান, মায়ের প্রতি ভালোবাসায় প্রথম সারির অনেক ছেলেকেই ফেলে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়েছে। সব শিক্ষা কি বইয়ের পাতায় থাকে? জীবনের পাতায় অনেক শিক্ষা লুকিয়ে থাকে। কথা গুলো মনে মনে ভাবতে থাকি। এদিকে স্টেশন চলে আসতে দেখে গদাই বলল,


-স্যার নামবেন তো? 


সংবিৎ ফিরল গদাইয়ের কথায়। 'এক্ষুণি চলে এলাম। তোর সাথে কথা বলতে বলতে বুঝতেই পারিনি সময় কীভাবে কেটে গেল।'


-স্যার ভারী ব্যাগটা আমার হাতে দিন। আমি নিচ্ছি ওটা। 


ট্রেন থেকে নামি। বাড়ি আট-দশ মিনিটের হাঁটা পথ। তো হেঁটেই চলে যাব আমরা। গদাই বলল,


-স্যার দু মিনিট দাঁড়ান। স্টেশনের কাছেই আমার গাড়ি রাখা আছে আমি বাড়ি পৌঁছে দেব আপনাদের। 


-না না হেঁটেই চলে যাব‌।


-না স্যার আমার গাড়ি থাকতে হাঁটবেন কেন?


ভয় ভীতি দূরে সরে গিয়ে মনের ভিতর এক অন্য রকম আনন্দ হচ্ছে তখন। তারপর গদাই বাড়ি পর্যন্ত আমাদের পৌঁছে দিল।বাড়িতে ভিতরে আসার কথা বলতে  গদাই বলল,


-স্যার বাড়ি তো দেখে গেলাম‌। পরে একদিন আসব। 


গদাই গাড়িতে স্টার্ট দিতে শুরু করেছে, ঠিক সে সময়েই আমার ছোটো মেয়ে বলল,


-দাদা একটু দাঁড়াও। 


তারপর বাড়ির ভিতর থেকে বিয়ের কার্ডটা নিয়ে এসে গদাইয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,


-বিয়ের দিন সকাল থেকেই চলে এসো, আর কাকিমাকে সঙ্গে নিয়েই এসো। তোমার মতো আমার একটা দাদা থাকলে আমার আর চিন্তা কি। আজ থেকে তুমি আমার দাদা।


দাদা ডাক শুনে গদাই যে কতটা খুশী, সেই খুশীর ছাপ ফুটে উঠল গদাইয়ের চোখে মুখে। গদাই হাসি মুখে বলল,


-নিশ্চয়ই আসব। বোনের বিয়ে বলে কথা। জীবনে এও এক অনেক বড়ো পাওয়া, এমন সৌভাগ্য কত জনের হয়!


পড়াশোনায় হয়তো গদাই ভালো ছিল না। জীবনাচরণের শিক্ষায় সে শিক্ষিত। এমন কতো গদাই আছে তারা আজও শ্রদ্ধায় সম্মানে মাস্টারমশাই দিদিমণিদের অন্তর ভরিয়ে দিয়ে ভিতরটাকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। ভালো লাগায় নয়,  ভালোবাসায় মনটা ভরে যায়। আমরা হয়তো ছাত্র ছাত্রীদের সব সময় চিনতে পারি না। ছাত্র ছাত্রীরা কখনো ভুলে যায় না স্যার ম্যাডামদের। গাড়িটা স্টার্ট দিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকে গদাই। সম্মানের আলাদা  একটা সুবাস তো আছেই, তাতেই আজীবন ভরে থাকা যায়। মাস্টারমশাইদের জীবনে এটাই বোধহয়  সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি।


-:সমাপ্ত:-

(রিপোস্ট)

গল্প: প্রাপ্তি

কলমে: সরজিৎ ঘোষ Sarajit Ghosh

সেকালের কোলকাতায় সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ চড়ক হত বাগবাজারে

 সেকালের কোলকাতায় সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ চড়ক হত বাগবাজারে। যা ষোলো চড়কির চড়ক নামে খ্যাত ছিল। প্রাণকৃষ্ণ দত্ত ষোলো চড়কির চড়ক নিয়ে লিখে রেখে গিয়েছেন। ষোলো চড়কির ছিল চড়ক রামধন ঘোষের চড়ক। যা শেষবার হয়েছিল ১৮৫৪ বা ১৮৫৫ সালে। বসুবাটীর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে চড়কের আসর বসত। ১৬জন লোকের পিঠ ফুঁড়ে ঝুলিয়ে ঘোরানো হত। সে কারণেই নাম ষোলো চড়কি। মাচানের উপরে আবার একজনকে শিব সাজিয়ে বসানো হত।


বড়বাজারেও চড়ক হত। কোনও কোনও কলকাতা গবেষক মনে করেন, বুড়া বা বড়ো শিব থেকেই বড়বাজার নামটির জন্ম। এই বড়বাজারের চড়ক বিডন স্ট্রিটে উঠে এসেছিল। বিডন স্ট্রিটে চড়ক চালু করার নেপথ্য কারিগর ছিলেন সেকালের বিখ্যাত ধনী রামদুলাল দে সরকার। বড়বাজারে চড়ক বন্ধ হওয়ার পর নতুন বাজারের উলটোদিকের বিশাল মাঠে চড়ক শুরু করেছিলেন রামদুলাল। ইংরেজরা সেখানে পালকি স্ট্যান্ড বানানোয়, চড়কের জন্য নতুন জায়গার দরকার পড়ে। তখন রামদুলাল, নিজের জমিতে বিডন স্ট্রিটের মাঠে চড়ক শুরু করেন। ১৭৮০ সাল থেকে ছাতুবাবু বাজারের মাঠে চড়ক আরম্ভ হয়। ছাতুবাবু ও লাটুবাবু, রামদুলালের দুই ছেলে। প্রায় আড়াইশো বছর যাবৎ বহাল তবিয়তে বিডন স্ট্রিটের চড়ক চলছে। বর্তমান নাম অভেদানন্দ রোড হলেও, এখনও সে রাস্তা বিডন স্ট্রিট নামেই অধিক জনপ্রিয়। ভাগ্যের কী নিষ্ঠুর পরিহাস! কলকাতায় চড়ক বন্ধ করার যাবতীয় উদ্যোগের হোতা ছিলেন ছোটলাট সিসিল বিডন, তাঁর নামের রাস্তায় আজও চড়ক চলছে।

পোস্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দেবেন 🙏🙏 ধন্যবাদ 🌹🌹

Pappu Roy cyclist 


সংগৃহিত পোস্ট

ছন্দে ছন্দে সালফারের লক্ষন মনে রাখার সহজ কৌশল।

 🏖️সালফার-✴কবিতা-১✴ Sulpher🎋

ছন্দে ছন্দে সালফারের লক্ষন মনে রাখার সহজ কৌশল।


হলুদ বর্নের খনিজ ইহা

সহজে চোখে ধরে।

চর্ম রোগের কথা হলেই

সালফার মনে পড়ে।


সূঁচ ফুটানো, হুঁল ফুটানো

কুটকুটানি ব্যথা,

এসব ক্ষেত্রে চলে আসে 

সালফারেরই কথা।


অপরিষ্কার, অপরিছন্ন, নোংরা স্বভাব বটে

গোসল করতে অনিচ্ছা তার,সকল ক্ষেত্রে ঘটে।

মাথার তালু,হাতের তালু,পায়ের তলায় তাপ,

হঠাৎ করেই ঘুম ভেংগে যায় ,যখন মলের চাপ।


ঠোঁটের কালার রক্তবর্ণ

হাত, পা সরু বটে,

দিনের বেলা ঘুমিয়ে থেকে

রাত নির্ঘুম কাটে।


পুরো শরীর দুর্গন্ধময়,

আহার করে কম

তারপরেও খাই খাই স্বভাব

নেয়না একটু দম।


খিটখিটে,একগুয়ে, ক্রোধে ভরা মন

বিষাদমাখা,অগোছালো কাটে সারাটাক্ষন।

পরের দোষ খুজে বেড়ায়,ভুলোমন স্বভাব,

খুটিনাটিতে বকবকানি,সাহসের বেশ অভাব।


একসাথে অনেক ফোঁড়া কিংবা চর্মরোগ,

হাত বা পায়ে মামড়ি পরা চামড়া উঠা হোক।

এসব যাবে চলে,

সময়মত সালফারের ১টি ডোজ খেলে।


দুধ খাইতে মন চায় তার

খাইলে হয়না সহ্য।

মলত্যাগেও বেগ কমেনা,

কতই ধরে ধৈর্য্য।


চোখের সামনে কালো কালো দাগ

কিংবা কানের চুলকানি।

অশ্ব বলিও দূর হয়ে যায়

সত্য সবাই মানি।


স্বরভঙ্গ, সর্দিকাশি,বঙ্কাইটিস কমন

কাঁশতে কাঁশতে অনেকসময় করে ফেলে বমন।

কানে সদা সাই সাই আওয়াজ,চালাক রোগী অতি।

ছটফটানী থাকে যদি সালফারেতেই গতি।


🎍 উৎসাহ পেলে আরো লিখব 👻 🪡

🍂জটিল এবং কঠিন লক্ষনগুলো সহজে মনে রাখার অন্যতম একটি কৌশল হচ্ছে ছন্দে ছন্দে বা কবিতাগুচ্ছের মাধ্যমে। সে রকমই এক প্রচেষ্টায় এটি লেখাটি📍


🍃 Dr.Md.Forhad Hossain 

D.H.M.S(B.H.😎,DHAKA

Pdt(Hom)

Consultant:Homoeopathic  Medicine 

🍎চেম্বার:জার্মান হোমিও কেয়ার

তক্ষশীলা: হারিয়ে যাওয়া এক শহর ও বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।

 🌍 তক্ষশীলা: হারিয়ে যাওয়া এক শহর ও বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।


তক্ষশিলা ছিল বর্তমান পাকিস্তানের ইসলামাবাদ থেকে ৩২ কিমি দূরে অবস্থিত। পৌরাণিক কাহিনী মতে, দশরথের পৌত্র এবং ভরত গান্ধার জয় করে নিজের পুত্র তক্ষের নামানুসারে তক্ষশীলা নগর স্থাপন করেন। মহাভারত মতে, এই স্থান তখন গান্ধারের অন্তর্গত ছিল। অনেকের মতে এ স্থানে তক্ষ নামক এক জাতি বাস করতো। এই জাতির 114 এই স্থানের নাম হয়েছিল তক্ষখণ্ড। কালক্রমে নামটি তক্ষশীলা নামে পরিচিত হয়।


পারস্য সম্রাট কাইরাসের ৩য় উত্তরসূরী সম্রাট ১ম দারায়ুস এবং পরে জারেক্সিস এই অঞ্চলে আধিপত্য বজায় রাখেন। এ সময় এই অঞ্চলের অন্যান্য এলাকার সাথে তক্ষশিলাও পারস্য অধিকারে ছিল।


খ্রি.পূ ৩২৬ অব্দে আলেকজান্ডার সিন্ধু পার হয়ে তক্ষশিলায় প্রবেশ করেন। এ সময় তক্ষশিলার রাজা অম্ভি তার কাছে বশ্যতা স্বীকার করেন। আলেকজান্ডার তক্ষশিলা থেকে আরও পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ঝিলম নদী পার হয়ে পুরুর রাজ্য আক্রমণ করেছিলেন। ৪০৫ অব্দের দিকে চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়েন তক্ষশীলা পরিদর্শন করে এই স্থানকে পবিত্র এলাকা হিসাবে উল্লেখ করেন।


চন্দ্রগুপ্তের গুরু ও অর্থনীতিবিদ কৌটিল্যের পৃষ্ঠপোষকতায় তক্ষশিলায় রাজত্বের পত্তন করেন চন্দ্রগুপ্ত। চন্দ্রগুপ্ত তাঁর পুত্র বিন্দুসারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর তক্ষশীলাবাসী রাজশক্তির অত্যাচরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। বিন্দুসার কঠোরভাবে বিদ্রোহ দমন করেন। খ্রি.পূ. ২৭৩ অব্দের দিকে বিন্দুসার পুত্র অশোক রাজত্ব লাভ করলে তক্ষশিলা বৌদ্ধ সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। অশোক পাটালিপুত্র থেকে তক্ষশিলার ভিতরে ১৬০০ কিমি রাস্তা তৈরি করেন।


তক্ষশিলাকে বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের একটি বিবেচনা করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত ছাত্র ভর্তি হতো ১৬ বৎসর বয়সে। ১৮ বছর থেকে শেখানো হতো শিল্পকলা, তীর নিক্ষেপ, শিকার, আইন, চিকিৎসা এবং সমরবিদ্যা। উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রগুলো ছিল বেদ, ভাষা, ব্যাকরণ, দর্শন, চিকিৎসাশাস্ত্র, ধনুর্বিদ্যা, রাজনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, জ্যোতিঃশাস্ত্র, হিসাব বিজ্ঞান, গণিত, অর্থনীতি, সঙ্গীত ও হস্তশিল্প।


প্রায় ১০ হাজারের উপর ছাত্র-শিক্ষক ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রদের কাছ থেকে শিক্ষা এবং থাকা-খাওয়ার জন্য অর্থ নিতো বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু শিক্ষক ও বিশ্বদ্যালয়ের অন্যান্য খরচ আসতো রাজকোষ ও ছাত্রদের কাছ থেকে। দরিদ্র ছাত্ররা তক্ষশীলায় নানা রকম কাজ করে পড়াশুনার খরচ মেটাতো। এখানে নারী শিক্ষার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।


চাণক্য প্রকৃতপক্ষে প্রাচীন তক্ষশীলা বিহারের অর্থনীতি ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যক্ষ ছিলেন। এই বিজ্ঞ ও প্রতিভাধর ব্রাহ্মণের জন্ম সেকালের তক্ষশীলার 'চানকা' গ্রামে খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে , যা থেকে তার অপর নাম 'চানক্য এর উদ্ভব । বিষ্ণু গুপ্ত ও কৌটিল্য নামেও পরিচিত ছিলেন তিনি। 


আরেক মহামানব গৌতম বুদ্ধের চিকিৎসক, নাম জীবক কোমার ভচ্চ। বুদ্ধকে কয়েকবার তিনি দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে সারিয়ে তোলেন। চিকিৎসাবিদ্যায় পারদর্শিতা অর্জনের জন্য জীবক সেই সময়ের আয়ুর্বেদ শিক্ষার পীঠস্থান তক্ষশিলায় যান। সেখানে তিনি ছিলেন ৭ বছর। 


বিখ্যাত চিকিৎসক চরক তক্ষশীলার বিস্ময়কর অবদান। যোগসাধনা চর্চার জন্য তাকে চরক মুনিও ডাকে। তিনি বিখ্যাত চিকিৎসা শাস্ত্র “চরক সংহিতা” রচনা করেন। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এই বই এনে দিয়েছে বিপ্লব। প্রাচীন ভারতের চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রথম প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হয় “চরক সংহিতা”। 


প্রাচীন যুগের গান্ধার প্রদেশেরৎ তক্ষশিলার অধ্যাপকরা ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। খ্যাতনামা চিকিৎসক আত্রেয় এখানেই চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যাপনা করতেন। ঐতিহাসিকরা আত্রেয়কে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার পথিকৃৎ বলে থাকেন।


প্রখ্যাত সংস্কৃত ব্যাকরণ রচয়িতা পাণিনি। তিনি তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। পানিনি সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণবিদ এই বিদ্যান ।


তক্ষশিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে গেছে সাম্রাজ্যবাদী পারস্য, গ্রীক, রোমান, শক, কুষান, আক্রমণ। এসব আক্রমনে সৃষ্ট অস্থির রাজনৈতিক আগ্রাসনের সর্বশেষটি (৪৫০ খ্রি.) আসে হুনদের পক্ষ থেকে। এরপরই থেমে যায় তক্ষশিলার পথচলা।


সৌজন্যে: ঋষণা  রূপকথা

সুচিত্রা সেনের সকালের নাস্তা🌷

 সুচিত্রা সেনের সকালের নাস্তা🌷


সকালের নরম আলো যখন জানালার পর্দা ছুঁয়ে ঘরে পড়ে, তখন তার দিনটা শুরু হতো এক পরিমিত নাস্তার টেবিল দিয়ে।

চিরকাল রুচিশীল সুচিত্রা সেনের সকালের শুরুটা ছিল স্নিগ্ধ আর পরিপাটি—

 • হালকা লিকার চা, লেবু আর মধু মিশিয়ে

 • দু’টুকরো ব্রাউন টোস্ট, সামান্য মাখন লাগানো

 • মাঝে মাঝে সিদ্ধ ডিম

 • এক ছোট পাত্রে মৌরি বা শুকনো ফল


নাস্তা কখনোই ভারী নয়, বরং ছিল তার স্টাইলের মতোই মৃদু আর মার্জিত।


সুচিত্রা সেন—এক কিংবদন্তী, যাঁর সকালের নাস্তাও ছিল একরকম শিল্প।

চুপচাপ, নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্ত।

সবচেয়ে বড় পাতা জাতের উদ্ভিদগুলোর মধ্যে একটি হলো ভেন্না গাছ।

 সবচেয়ে বড় পাতা জাতের উদ্ভিদগুলোর মধ্যে একটি হলো ভেন্না গাছ।


ভেন্না বিনা চাষেই বর্ষাকালে গজায় এবং হেমন্ত ও শীতকালে ফুল ও ফল ধরা শুরু করে।গাছের বয়স দুই থেকে তিন মাস হলে শাখায় শাখায় ফুলের কাঁদি হয়। ভেন্না  তৈল তরকারি রান্না ও পিঠা তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। গরম ভাতের সাথে খেলে খাবারে রুচি বাড়ে। এ তেল নিয়মিত ব্যবহারে মাথা ঠাণ্ডা থাকে। শরীরের যেকোনো কালো দাগ বা আগুনে পোড়া দাগ মিলাতে এ তেল বিশেষ কার্যকরী।ডোবা-নালার নোংরা পচা পানিতে নামার আগে এ তেল শরীরে মেখে নিলে শরীর চুলকায় না এবং জোঁক কামড়ায় না। এর কাঁচা বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে বিশেষ কার্যকর। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা লাগলেও তেল গরম করে বুকে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।

গল্প: নষ্ট মেয়ে 18+ গল্প।ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পুরু* ষাঙ্গের প্রথম স্পর্শ! 

-পেয়েছিলাম ১৫ বছর বয়সে। যখনি যৌবনে পা রাখি ঠিক তখনি রাকিব আমাকে এক প্রকার জোর করেই  দ র্ষ*ন  করেছিলো। 


-রাকিব হচ্ছে  আমার মামাতো ভাই,  তো একদিন মায়ের কাছে বায়না ধরলাম মা আমি  মামার বাসায় ঘুরতে যাবো। 


-মা বলেছিলো না আমি  যখন যাবো তোকে সাথে নিয়েই যাবো।  কিন্তু  আমি  হার মানার পাত্রি ছিলাম না।  আমি  এক প্রকার জোর করেই  মামার বাসায় বেড়াতে আসি। 


- আসার সময়  মা শুধু  বলেছিলো যে মেয়ে বাবা মার কথা শুনে না যাই হোক আল্লাহ্  তার ভালো  করেনা।  এই কথাটি শুনে আমি হেসে বলেছিলাম।


- শগুনের দোয়ায় কি মা গরু মারা যায়।  এই কথাটি শোনার পরে মা আর কোন কথাই বলেনি।  তাই আমি  ও কোন প্রকার আর কথা না বাড়িয়ে মামার বাসায় চলে আসি। 


এসেই দেখি মামি বসে আছে। 


-আসসালামু  ওয়ালাইকুম মামি কেমন আছেন?


-ওয়ালাইকুম আসসালাম! আরে পাখি যে।  হঠাৎ  করে কোন খোজ খবর না দিয়েই আসলি যে। 


( ওহ হ‍্যা আমার নাম কিন্তু  পাখি বলতেই ভূলে গিয়েছিলাম ) 


পাখি: মামি মনটা ভিষন  খারাপ  ছিলো। বাসায় কিচ্ছু ভালো  লাগতেছিলো না মাকে বললাম মা মামা মামির বাসায় যাই।  তো মা বললো যে আমি যখন যাবো তখন সাথে নিয়ে যাবো।  আমি  বললাম না আমি  আজকেই যাবো। আর আজকেই আসলাম তাও আবার জোর করে। 


মামি :  হুম এসেছো খুব ভালো  করেছে।  এখানে থাকো দেখবা অটোমেটিক  মন ফ্রেশ হয়ে গেছে। 


পাখি : হুমম।  আচ্ছা  মামি রাকিব ভাইয়া কোথায়  দেখতেছি না যে। 


তো পাখির কথা শুনে ওর মামি রাকিব কে ডাকতেছে। 


মামি : রাকিব এই রাকিব বাহিরে আয় দেখ কে এসেছে।


একটু পরে রাকিব আসে। 


রাকিব : কি হয়েছে মা ডাকতেছো কেনো। 


মামি: পাখি এসেছে ওকে গেস্ট রুমে পাঠিয়ে দিলাম যা দেখা করে আয়। 


রাকিব : ঠিক আছে মা যাচ্ছি। 


এর পরে সোজা রাকিব গেস্ট রুমে চলে আসে। এসেই দেখে যে পাখি পোশাক  চেন্স করতেছে। এটা দেখে রাকিব একটু গালা হাসর দেয়। 


গালা হাসরের শব্দ পেয়ে পাখি চমকে উঠে আর নিজের পোশাক ভালো  করে। 


পাখি : ভাইয়া তুমি  কখন আসলে রুমে। 


রাকিব : এই তো এই মাত্র  আসলাম এসেই দেখি তুই.......?  থাক আর লজ্জা  পেতে হবে না। আমি কিচ্ছু দেখিনাই। 


রাকিবের এমন কথায় পাখি একটু লজ্জা  পেয়ে যায়। 


পাখি : হুমম ঠিক আছে।  তুমি  কেমন আছো। 


রাকিব : হুম ভালো  আছি রে তুই। 


পাখি: হুম ভালো  আছি আমি ও। তুমি  তো অনেক বড় হয়ে গেছো। 


রাকিব : তুই ও অনেক বড় হয়েছিস। আর অনেক সুন্দর  বটে হয়েছিস। 


পাখি :  থাক পাম দিতে হবে না আর। 


রাকিব : পাম না রে সত্যি  বলতেছি। মনে ত হয় 4/5 Bf  বানাইছিস। 


পাখি: আরে তুমি  কি যে বলো না। আমি ত এখনো ছোট্ট  প্রেমেই করিনাই। 


রাকিব : আচ্ছা  থাক পরে কথা হবে। তুই চেন্স কর সব কিছু আমি গেলাম আমার  রুমে। 


এর পরে রাকিব রুমে এসে ভাবতে থাকে পাখির সেই পোশাক চেন্স করার দৃশ্য । উফফ কি যে ভালো  লাগতেছিলো কেনো যে গালা হাসর দিতে গলাম।  আর এই চান্স কি কখনো পাবো।  কেমন করে হয় হোক পাখি কে পটাতেই হবে সেই জি*নিস হয়েছে দেখতে? 


এই ভবতেছে আর পরতেছে।  পরায় যেনো মনেই আসতেছে না পাখিকে দেখার পর থেকে। মাথায় শুধুমাত্র  একটা চিন্তাই  আসতেছে কেমন করে হয় হোক পাখির সাথে শারী*রিক  সম্পর্ক করতেই হবে?


-যেই ভাবা সেই কাজ। 


রাতে যখন সবাই খাওয়া দাওয়া করে  নিজ নিজ রুমে ঘুমিয়ে পরে এই ফাকে রাকিব ঠিক রাত যখন 12 টা বাজে  সোজা পাখির রুমে চলে যায়।   


-কিন্তু  গিয়ে দেখে দরজা লক করা ভিতর থেকে।  আবার নিজের রুমে এসে রাকিব এক্সট্রা যে চাবি থাকে ওই চাবি নিয়ে গিয়ে দরজার লক খুলে ভিতরে ডুকে।  


আবার লক করে দেয় যাতে কেউ বুজতে না পারে ভিতরে কেউ আছে। 


-তো ভিতরে এসে দেখে যে পাখি ঘুমের ঘোড়ে আছে।  এই অবস্থায়  যেনো পাখি কে একটি ঘুমন্ত পরি মনে হচ্ছিলো। 


এই সব দেখে রাকিব আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না। সোজা গিয়ে পাখির শরীরের  উপর উঠে পরে ইচ্ছে মতো পাখি কে কিস করতে থাকে গলায়, ঘাড়ে, বিভিন্ন  স্থানে।  যখনি পখির ঠোটে কিস করতে ধরেছে ঠিক তখনি পাখি জেগে উঠে। 


পাখি: এইইইইই  কে আপনি  আর আমার  রুমে কি করতেছেন। ছারুন আমাকে । 


পাখির এমন চিল্লাচিল্লি  শুনে রাকিব হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে আর বলতে থাকে। 


রাকিব : এই পাখি আমি রাকিব। 


পাখি : তুমি  আমার রুমে এসে কি করতেছো এই সব হ‍্যা  তোমার  লজ্জা  করে না। 


রাকিব : এই বেশি কথা বলিশ না। আমি যা করতেছি করতে দে না হলে। 


পাখি : না হলে কি হ‍্যা।  ছি: ছি : ছি : তোমার  মন মানুষিকতা এতোটাই খারাপ। 


রাকিব : চুপ কর যদা চুপ না করিশ তো। এখানেই মে*রে  ফেলবো  বালিশ চাপা দিয়ে।


পাখি : প্লিজ আমাকে ছেরে দাও।আমি তোমার  বোন হই। 


রাকিব : আবার কথা বলিশ।  আর একটি কথা বললে মে*রে ফেলবো বললাম? 


তো রাকিবের এমন কথায়  পাখিও ভিষন  ভয় পেয়ে যায়। কারন যেই ছেলের সাহস এই রকম সে পারে না এমন কোন কাজ নেই করতে। 


এর পরে পাখি আর একটি কথা ও বলে না চুপ চাপ কান্না  করতে থাকে আর এ দিকে রাকিব পাগলা কুত্তার মতো  পাখির সাথে শারীরিক  মেলা মেশা করতে থাকে। 


প্রায়  ১ ঘন্টা  পরে পাখি কে ছেরে দেয়। নিজের খায়েশ মিটিয়ে। 


রাকিব : এই কথা যদি কেউ জানে তোর খবর খারাপ আছে।  আর যদি ও বলিশ  তোর মান সন্মান সব যাবে আমার কিচ্ছু হবে না। মাথায় রাখিস এই কথা। 


এটা বলেই রাকিব আবার দরজা খুলে নিজের রুমে চলে আসে। 


পাখি যেনো এই সব বিশ্বাস  এই করতে পারতেছিলো না। কারন রাকিব কে অনক ভালো  ছেলে মনে করেছিলো। আর সেই ছেলেই কিনা ছি : ভাবতে লজ্জা  লাগতেছে। 


-পাখি মনে মনে ভেবে রাখে সকাল বেলায় মামি কে সব কিছু বলে দিবো।  এতে আর যাই হোক রাকিবের সাথে বিয়েটা হবে। না হলে এই মুখ কাওকে দেখাইতে পারবো না। 


এটা ভেবে সেই রাতে পাখি কোন রকমে ঘুমিয়ে পরে। 


-ত পরের দিন সকাল এলায় উঠেই পাখি সোজা মামির কাছে যায়। 


মামি : কি রে পাখি এত সকাল সকাল উঠলি যে। 


পাখি : মামি রাকিব ভাইয়া না। 


মামি : রাকিব কি করেছে দুষ্টুমি করেছে। 


পাখি : না মামি কাল রাতে ঘুম যাওয়ার পরে  রাকিব ভাইয়া আমার  রুমে এসে আমার  সাথে.... শারীরিক  মেলা মেশা করেছে। 


এটা শুনার পরে যেনো রাকিবের মা শরীর  এ 140° ভোল্টের  শর্ট খায়। 


মামি : এই কি বলেছিস এই সব মাথায় আছে তর হ‍্যা। আমার  ছেলের নামে মিথ্যা  অপোবাদ দিস লজ্জা  করতেছ না। তর রুম ত লক করা ছিলো রাকিব কেমনে ডুকবে হ‍্যা।   আর একসট্রা চাবি যেটা ওটা আমার  রুমেই আছে। 


পাখি : মামি বিশ্বাস  করো আমার  কথা। 


মামি: ওহ আমি  বুজে গেছি তর সব প্লান,  তুই অন্য  ছেলের সাথে রাত কাটাইছিস!  এখন পেটে বাচ্চা  আসবে কি করবি ভেবে না। পেয়ে আমাদের বাসায় এসেছিস আর আমার  ছেলেকে ফাসাইতে চাচ্ছিস?  এখন বুজলাম তর মা আসতে দেয়নি তবুও কেনো তুই জোর করে এসেছিস। 


পাখি : মামি এ সব কিচ্ছু না রাকিব......? 


মামি : এক দম চুপ তর মা বাবা কে ফোন দিয়ে ডাকতেছি ওয়েট। 


এর পরে রাকিবের মা পাখির মা বাবা কে ফোন দিয়ে সব টা খুলে বলে।  এই কথা শুনার পরে তো ওরাব অবাক হয়ে যায়। 


প্রায় 20 মিনিট পরে পাখির মা এসেই সোজা,,,,,,,,,, 


পরবর্তী  পর্বের জন্যে  অপেক্ষায়  থাকুন ধন্যবাদ ? ভূল তূটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে সবাই কমেন্ট এ জানাবেন  আশা করি ♥


গল্প: নষ্ট মেয়ে

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বই "তিন শূন্যের পৃথিবী" (Three Zeros World) মূলত একটি নতুন অর্থনৈতিক দর্শন তুলে ধরে, যা দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্ত একটি সমাজ তৈরির পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।

 ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বই "তিন শূন্যের পৃথিবী" (Three Zeros World) মূলত একটি নতুন অর্থনৈতিক দর্শন তুলে ধরে, যা দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্ত একটি সমাজ তৈরির পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।


মূল বক্তব্য ও ধারণা:


১. শূন্য দারিদ্র্য (Zero Poverty):

ড. ইউনূস বিশ্বাস করেন যে, প্রচলিত পুঁজিবাদী অর্থনীতি দরিদ্রদের সুবিধাবঞ্চিত রাখে। তিনি ক্ষুদ্রঋণ, সামাজিক ব্যবসা এবং স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার পথ দেখিয়েছেন।


২. শূন্য বেকারত্ব (Zero Unemployment):

তিনি প্রচলিত চাকরিনির্ভর মানসিকতা পরিবর্তন করে উদ্যোক্তা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন। তাঁর মতে, প্রত্যেক মানুষ উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং সঠিক সহায়তা পেলে তারা আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারে।


৩. শূন্য কার্বন নিঃসরণ (Zero Net Carbon Emission):

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য ড. ইউনূস পরিবেশবান্ধব ব্যবসা ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছেন। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সবুজ প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন।


বইটির মূল শিক্ষা:


✔ সামাজিক ব্যবসার শক্তি: প্রচলিত মুনাফাকেন্দ্রিক ব্যবসার পরিবর্তে সামাজিক কল্যাণকেন্দ্রিক ব্যবসার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

✔ উদ্যোক্তাবৃত্তির গুরুত্ব: চাকরির পেছনে না ছুটে স্বনির্ভর হওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

✔ টেকসই উন্নয়ন: পরিবেশ সংরক্ষণ ও সামাজিক উন্নয়ন একসঙ্গে করতে হবে।


"তিন শূন্যের পৃথিবী" বইটি মূলত একটি দার্শনিক ও বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, যেখানে সমাজের মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধানে নতুন অর্থনৈতিক মডেলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।


📨 অর্ডার করতে ইনবক্সে মেসেজ করুন।


#তিন_শূন্যের_পৃথিবী #মুহাম্মদ_ইউনূস #গ্রন্থনগর

সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতাকবিরাজ সঞ্জয় দত্ত  আয়ুর্বেদিক এন্ড হারবাল চিকিৎসক

 🥬সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতা 🌴 🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲 হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে বলা হয়েছে আসমা বিনেত উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত।...