এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

শখ করে একমাত্র ছেলেকে বিয়ে দিয়ে আনলাম, বিয়ের ১০ দিন যেতে না যেতেই দেখি আমার ছেলে আর আগের মত নেই

 শখ করে একমাত্র ছেলেকে বিয়ে দিয়ে আনলাম, বিয়ের ১০ দিন যেতে না যেতেই দেখি আমার ছেলে আর আগের মত নেই! আমার বয়স ৬০ চলছে। আমি সরকারি চাকুরীজীবী ছিলাম। যে ছেলে অফিস থেকে এসে সবার আগে আমাকে খুঁজতো, ঐ ছেলে এখন মায়ের খোঁজ না নিয়ে সবার আগে বউকে খোঁজে। সারাক্ষণ বউয়ের সাথে সময় কাটায়, বউকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয় কিন্তু মা খেলো কিনা তা খোঁজ নেয়না।  


বিয়ের আগে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে আগে মা এবং বোনকে নিয়ে যেতো, বলতো মা বন্ধুদের নিয়ে যেতে ভালো লাগেনা তোমরা চলো😢 কিন্তু এখন আমার সে ছেলে মা বাবা,বোনকে নিয়ে যাওয়াতো দূরের কথা -বউকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে গেলে মায়ের অনুমতিটাও নেয়না। বউকে নিয়ে বিয়ের এক মাস পর হানিমুনে গেলো কিন্তু আমার অনুমতি নেয়নি 🙂 সারাদিন বউ, বউ করতে ব্যস্ত। ছেলেকেতো আমি পেটে ধরেছি, ছেলের ভালো মন্দ আমি নিশ্চয় বউয়ের থেকে ভালো বুঝি? কিন্তু না সবকিছু এখন বউ ভালো বোঝে। 


বউ পেয়ে এখন মাকে অপমান করে! আমার ছেলে কখনো বেগুন খেতোনা। বেগুন রান্না করলে রাগে খাবার খেতোনা, এখন বউ বেগুন পছন্দ করে বলে ছেলে আমার বেগুন খাই। একদিন বউ বেগুন ভাজি করেছে, আমি বললাম বউমা রাহাত বেগুন খায়না , বউ বলে খাবে মা। আমি বললাম খাবেনা খায়না ও, ছেলে এসে সে বেগুন খেলো তো খেলোই, উল্টো কত প্রশংসা!  ঐদিন অপমান করলো ছেলে আমাকে 🙂বোঝালো মা কিছু জানেইনা। বউ পাওয়ার পেয়ে গেলো আরো।


বিয়ের ৪ মাসের মাথায় ছেলে আমাকে বলে মা তুমি কি আমাদের সুখ দেখলে কষ্ট পাও? আমি বললাম নাতো কেন? রাহাত বলে - মা তুমি সব সময় তোমার সাথে বউকে তুলনা কেন করো? আমাদের জীবন আমরা যা ইচ্ছে করি, তুমি সবকিছুতে আগের মত কেন করো? আমি কি ছোট মানুষ? আমরা ঘুরতে গেলে তোমার অনুমতি নিতে হবে, আমি কি খাবো তা অনুমতি নিতে হবে, বউ কি রান্না করবে সেটাও কেন তোমার থেকে অনুমতি নিতে হবে? সংসার কি ওর না? 


এরপর ছেলে আমার বউ নিয়ে আলাদা হয়ে গেছে। আলাদা বাসা। আমি কি করেছি আপনারা বলুন আমিতো মা, আমি কি ছেলের ক্ষতি চাই? ছেলের বউরা বিয়ে করে এসেই মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করে। 


নোট- আমি রাহাতের ছোট বোন লিখছি, আমার মায়ের হয়ে আপনাদের লিখে পাঠালাম, শাশুড়ীরা এফ**বি চালায়না বলে তারা খারাপ তা কিন্তু না! শাশুড়ীদের সাথেও অন্যায় করে বউয়েরা সব সময়। ছেলেদের আলাদা করেও বউয়েরায়।


লেখা: Afsanah Khan.


#collected

ছাদের টবে বোরন সার প্রয়োগের মাত্রা বা পরিমাণ।

 ছাদের টবে বোরন সার প্রয়োগের মাত্রা বা পরিমাণ।


🍂বোরনের অভাবজনিত লক্ষণ:


বোরন সারের  অভাবে পাতা খর্বকায় ও কোঁকড়ানো হয় এবং নেতিয়ে পড়ে। কান্ড ও পাতার বোঁটা এবং ফল ফেটে যায়। শিকড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কান্ডের তগ্রকোস বা কচি কান্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। পরাগায়ন, ফুল ও ফলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ফুল, ফল ঝরে পড়ে ও ফল বিকৃত হয়। আলু ও বিভিন্ন ফলের উপর বিবর্ণ দাগ পড়ে। উদ্ভিদ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়। বীজের সংখ্যা খুব কমে যায়। ফল ফেটে যায়। 

এছাড়া বোরন সার ডাল ও তেল জাতীয় দানাদার ফলের দানার গঠনে এবং ফলন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আলুকে দাঁদ রোগ থেকে রক্ষা করে এবং ধানে চিটা হওয়া ও দাগ পড়া কমে যায়।


🌱🍃প্রয়োগ পদ্ধিতি: মাটিতে এবং পাতায় স্প্রে দুইভাবেই প্রয়োগ করা যায়। সার/বালু/ছাই/মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে জমি তৈরির শেষ চাষে প্রয়োগ করতে হবে। ফসলে বোরনের অভাব দেখা দিলে মাত্রানুযায়ী পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করা যেতে পারে।


🍃🌱মাটিতে প্রয়োগের ক্ষেত্রে:


সাধারণত ফলগাছে ফুল আসার পূর্বে বোরন সার প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যাবে। ছাদবগানের জন্য ছোট টবে ১/২ চা চামচ, বড় টবে ১ চা চামচ এবং হাফড্রামে ১ টেবিল চামচ দিতে হবে। এক্ষেত্রে টবের উপরের মাটি এক/দেড় ইঞ্চি তুলে টবের ভিতরের মাটির সাথে সার ভালো করে মিশানোর পরে ঐ তুলে রাখা মাটিগুলো ঝুরঝুরে করে  ভালোভাবে টবে ঢেকে দিতে হবে।


💧স্প্রে প্রয়োগ মাত্রা: 


গাছ রোপণের ২০-২২ দিন পর প্রতি লিটার পানিতে ১-১.৫ গ্রাম বোরন মিশিয়ে স্প্রে করুন। ১৫ দিন অন্তর অন্তর দুই বার প্রয়োজনে ৩য় বার স্প্রে করলে ফুল ও কচি ফল ঝরে পড়া সমস্যা কমে যায়।


🍃🌱ফল বৃদ্ধির সময় লিবরেল জিংক বা বাজারে প্রাপ্ত অন্যান্য জিংক ১ গ্রাম/লিটার এবং বোরন বা  সলুবোর বোরন (বোরাক্স/ বরিক এসিড) অথবা বাজারে প্রাপ্ত অন্যান্য বোরন সার ১ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে ২০-২২ দিন পর প্রথমবার এবং ৪০-৪৫ দিন পর ২য় বার স্প্রে করলে ফল ঝরে পড়া ও ফাটা উভয় সমস্যা কমে যায়।


যেসব গাছে ১২ মাস ফল থাকে সেসব গাছে ২ মাস পর পর বোরন সার স্প্রে করতে হবে। সেসব গাছ বছরে একবার ফল দেয় ঐ গাছে ফুল আসার এক মাস আগে বোরন প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়।


🛑পন্যটি আমাদের কাছে পাবেন। 


#ছাদবাগান #garden #ছাদকৃষি #roofgarden #foryouシ #gardening #সার

আমে ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্ল্যাক স্পট রোগ (Bacterial Black Spot - BBS) আমচাষিদের জন্য সতর্কবার্তা ও করণীয়

 আমে ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্ল্যাক স্পট রোগ (Bacterial Black Spot - BBS) আমচাষিদের জন্য সতর্কবার্তা ও করণীয়



✅ রোগের কারণ: 

এই রোগটি Xanthomonas citri pv. mangiferaeindicae নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়, যা প্রধানত আম গাছে আক্রমণ করে।


✅ রোগের যেসব লক্ষণসমূহ দেখা যায়:  

• পাতায় ছোট ছোট পানির ফোঁটার মতো বাদামী থেকে কালচে দাগ 

• কচি ডালে ফাটল এবং জমাটবাঁধা রেজিন 

• ফলের গায়ে কালো ছোট দাগ, যা ধীরে ধীরে গভীর হয়

• দাগের চারপাশে উঁচু অংশ তৈরি হয় এবং ফল বিকৃত আকার ধারণ করে

• গুরুতর সংক্রমণে ফল ঝরে পড়ে


✅ যেভাবে এই রোগ বিস্তার লাভ করে:  

• বৃষ্টির পানি, বাতাস ও কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ছড়ায় 

• উচ্চ আর্দ্রতা ও মাঝারি তাপমাত্রা (২০–৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এই রোগের জন্য অনুকূল


✅ ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি (অভ্যাস + স্প্রে গাইডলাইন)


১. বাগান ব্যবস্থাপনা:

• আক্রান্ত ডাল, পাতা ও ফল দ্রুত ছাঁটাই করে পুড়িয়ে ফেলুন

• ছাঁটাই সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করুন (যেমন ব্লিচ দ্রবণে চুবিয়ে)

• বাগানের সুষম বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন  

• বেশি নাইট্রোজেন সার ব্যবহার পরিহার করুন


২. রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ (স্প্রে পদ্ধতি):


🔺ক) কপারযুক্ত ব্যাকটেরিসাইড স্প্রে: 

• Copper hydroxide (যেমন চ্যাম্পিয়ন বা সমমানের ব্র্যান্ড)

• ডোজ: ২.৫ গ্রাম/লিটার পানি  

• যে সময় স্প্রে করবেন:  

      ° ফুল আসার আগে (pre-flowering stage)

      ° ফল আসার পরে (fruit set stage)

      ° ফল বৃদ্ধি পর্যায়ে (১৫ দিন পরপর, সর্বমোট ৩-৪ বার)


✅ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ  

• স্প্রে করার সময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকলে বেশি কার্যকর হয়

• রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত স্প্রে শুরু করুন

• একই রাসায়নিক বারবার ব্যবহার না করে পরিবর্তন করে ব্যবহার করুন

• সবসময় নির্দেশনা অনুযায়ী ডোজ মেনে চলুন


✅ শেষ কথা: 

উপযুক্ত সময়ে নিয়মিত ছাঁটাই ও সঠিক স্প্রে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে আমের ফলন ও গুণগত মান রক্ষা করা সম্ভব। তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন। 


❤️ এই পোস্টটি কৃষক ভাইদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন। আপনার একটি শেয়ার বাঁচাতে পারে অনেকের ফলনের ক্ষতি! 

================

কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে দিন। 

======================

কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি 

কৃষিতেই আছে আমাদের মুক্তি।

ধন্যবাদ ❤️ 

Md. Gaushoul Agam 

SA Horticulture Officer

Horticulture Center, Baradi Meherpur.

==========================

বিঃদ্রঃ

🛑 Copyright Reserved by©️ @Horticulture Center  

🛑 Sharing Allowed Only. Do not copy this content. Unauthorized reproduction may result in action under copyright law. 

============================


 #highlights #followers #agriculture #mangodisease #viralpost #highlightseveryonefollowers2025

ভাত থেকে পূর্ন পুষ্টি পেতে আঁশযুক্ত চাল খাবেন, সুগারের লেবেল বাড়াতে সাদা চাল খাবেন। 

 ভাত থেকে পূর্ন পুষ্টি পেতে আঁশযুক্ত চাল খাবেন, সুগারের লেবেল বাড়াতে সাদা চাল খাবেন। 

এই নিয়ে Haal Fashion আলমগীর আলম ভাইয়ের লেখা

আপনিই ঠিক করুন, কোনটা খাবেন, সাদা না আঁশযুক্ত চাল?

বাঙালির ভাত ছাড়া চলে না। কিন্তু সেই ভাতেও ঢুকেছে নানা কিছু। চাল আর আগের মতো নেই। চাল নিয়ে তাই অভাব নেই বিড়ম্বনার। তবু জেনে রাখা ভালো, কোন চাল কার জন্য আদর্শ।

আমরা ভেতো বাঙালি। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। ধান থেকে ভাত আর সেই ভাত থালায় আসা পর্যন্ত কয়েকটি ধাপ পার করে আসতে হয়। আমাদের ভেতর প্রচুর আলোচনা আছে যে লাল চাল খান, সাদা চাল বাদ দেন। আসলে সাদা চাল আর আঁশযুক্ত লাল চালের মধ্যে অনেক কিছুরই ফারাক আছে। আবার সাদা চাল যে একদমই ভালো নয়, সেটাও ঠিক নয়। বিষয়টি বোঝার জন্য কিছু তথ্য দেওয়া হলো। এতে করে আপনার পরিবারের জন্য চাল বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ হবে।

প্রক্রিয়াকরণের কারণে চালের গুণ!

সাদা চাল: ধান থেকে চাল তৈরির সময় মিলিং ও পলিশিং প্রক্রিয়ায় বাইরের আঁশ (bran), জীবাণু (germ), এবং কখনো কখনো অ্যালিউরন স্তর (aleurone layer) সরিয়ে ফেলা হয়। এটি চালকে সাদা, মসৃণ এবং দ্রুত রান্নার উপযোগী করে, কিন্তু পুষ্টি উপাদানের বড় অংশ হারিয়ে যায়।

আঁশযুক্ত চাল: কেবল বাইরের খোসা (husk) সরানো হয়, কিন্তু আঁশ ও জীবাণু অক্ষত থাকে। এটি ব্রাউন রাইস, লাল বা কালো হতে পারে। যার রং আঁশে থাকা উপাদানের ওপর নির্ভর করে। এসব স্তরই এটিকে পুষ্টির দিক থেকে সমৃদ্ধ করে।

পুষ্টি উপাদানের তুলনা

কার্বোহাইড্রেট ও গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই)

• সাদা চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ২৮৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, যার বেশির ভাগই সাধারণ শর্করা। এর জিআই ৭০৮৯। অর্থাৎ, এটি দ্রুত হজম হয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়। এটি ইনসুলিন স্পাইক সৃষ্টি করতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সমস্যা হতে পারে।

• আঁশযুক্ত চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে ২৩২৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, কিন্তু আঁশের উপস্থিতির কারণে হজম হয় ধীরে। জিআই ৫০৫৫, যা রক্তে শর্করা ধীরে ধীরে বাড়ায় এবং ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া স্থিতিশীল রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন জিআইয়ের খাবার দীর্ঘ মেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

আঁশ

• সাদা চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ০.৪০৬ গ্রাম আঁশ। এটি হজম দ্রুত করে, কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী নয়।

• আঁশযুক্ত চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৮৩৫গ্রাম আঁশ (ব্রাউন রাইসে ১.৮ গ্রাম, লাল চালে আরও বেশি হতে পারে)। আঁশ অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি দেয়, কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।

ভিটামিন

• সাদা চাল: প্রক্রিয়াকরণে বি ভিটামিন (B1, B3, B6) অনেকটাই হারিয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, থায়ামিন (B1) প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ০.০৭ মিলিগ্রাম থাকে। তবে ফর্টিফায়েড সাদা চালে কৃত্রিমভাবে এগুলো যোগ করা হয় (যেমন ০.২০৪ মিলিগ্রাম)।

• আঁশযুক্ত চাল: প্রাকৃতিকভাবে বি ভিটামিনসমৃদ্ধ। থায়ামিন ০.৪ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন (B3) ৪.৩ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন B6 ০.৫ মিলিগ্রাম থাকে। এগুলো শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা এবং লাল রক্তকণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ।

খনিজ

• সাদা চাল: ম্যাগনেসিয়াম (২৫ মিলিগ্রাম), ফসফরাস (৪৩ মিলিগ্রাম) ও আয়রন (০.৮ মিলিগ্রাম) কম থাকে। প্রক্রিয়াকরণে এগুলোর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ হারিয়ে যায়।

• আঁশযুক্ত চাল: ম্যাগনেসিয়াম (৮৪ মিলিগ্রাম), ফসফরাস (১৫০ মিলিগ্রাম), আয়রন (১.৫ মিলিগ্রাম) ও ম্যাঙ্গানিজ (১.১ মিলিগ্রাম) বেশি। ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য ও বিপাকের জন্য, আয়রন রক্তাল্পতা প্রতিরোধে এবং ম্যাঙ্গানিজ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট এনজাইমের কার্যকারিতায় সহায়ক।

অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট

• সাদা চাল: প্রায় কোনো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে না।

• আঁশযুক্ত চাল: ফেনলিক যৌগ (যেমন ফেরুলিক অ্যাসিড), ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্থোসায়ানিন (লাল/কালো চালে) থাকে। উদাহরণস্বরূপ, লাল চালে অ্যান্থোসায়ানিন প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম হতে পারে, যা প্রদাহবিরোধী এবং ক্যানসারপ্রতিরোধী।

প্রোটিন

• সাদা চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে ২.৭ গ্রাম প্রোটিন।

• আঁশযুক্ত চাল: প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৩.৫ গ্রাম। পার্থক্য কম, তবে আঁশযুক্ত চালে অ্যামিনো অ্যাসিডের গুণগত মান কিছুটা ভালো।

ফ্যাট

• সাদা চাল: প্রায় ০.৩ গ্রাম (বেশির ভাগই স্যাচুরেটেড ফ্যাট)।

• আঁশযুক্ত চাল: ০.৯১ গ্রাম (অধিকাংশই অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো)।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রভাব

• ডায়াবেটিস: ২০১০ সালে আর্কাইভস অব ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, সপ্তাহে পাঁচবার সাদা চাল খাওয়ার তুলনায় আঁশযুক্ত চাল খেলে টাইপ–টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬% কমে।

• হৃদ্‌রোগ: আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন (২০১৬) অনুসারে, আঁশযুক্ত চালে থাকা আঁশ ও ম্যাগনেসিয়াম এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হ্রাস করে।

• ওজন নিয়ন্ত্রণ: আঁশের কারণে আঁশযুক্ত চাল বেশি তৃপ্তি দেয়, যা ক্যালরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে। ২০১৮ সালের নিউট্রিশন রিভিউয়ের একটি সমীক্ষায় এটি নিশ্চিত হয়েছে।

• অন্ত্রের স্বাস্থ্য: আঁশ অন্ত্রে প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, যা গাট মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য রক্ষা করে।

সুবিধা ও অসুবিধা

সাদা চাল

সুবিধা: দ্রুত রান্না হয়, মিষ্টি স্বাদ, হজমে সহজ।

অসুবিধা: পুষ্টি কম, উচ্চ জিআই, দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

আঁশযুক্ত চাল

সুবিধা: পুষ্টিসমৃদ্ধ, দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

অসুবিধা: রান্নায় সময় বেশি লাগে, স্বাদে কিছুটা কড়া, হজমে সময় লাগে।

কার জন্য কোনটি উপযোগী?

সাদা চাল: শিশু, বয়স্ক বা দুর্বল হজমশক্তির মানুষ ও অসুস্থ ব্যক্তি এবং যাঁরা দ্রুত শক্তি চান, তাঁদের জন্য উপযোগী।

আঁশযুক্ত চাল: ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ বা ওজন নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের জন্য উপযোগী।

আপনার খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের ওপর ভিত্তি করে এগুলো বেছে নিতে পারেন।

লেখক: খাদ্য ও পথ্যবিশেষজ্ঞ; 

প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

#alamgiralam

#আলমগীরআলম

#lifestyle

#seeds

#yogalifestyle

#oil

#rice

বাংলা ইলম একাডেমির সাথে এখনই ইসলামিক জ্ঞান অন্বেষণের যাত্রা শুরু করুন।

 বাংলা ইলম একাডেমির সাথে এখনই ইসলামিক জ্ঞান অন্বেষণের যাত্রা শুরু করুন।

আপনি কি কোনও খরচ ছাড়াই নিয়মতান্ত্রিক এবং ব্যবহারিক উপায়ে ইসলামী জ্ঞান অর্জন করতে চান? বাংলা ইলম একাডেমি আপনাকে এই অনন্য সুযোগটি দিচ্ছে! আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমটি বিশেষভাবে তাদের সকলের জন্য তৈরি করা হয়েছে যারা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, দূরশিক্ষণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে  শরিয়ার ইলম শিখতে চান।

এই প্রোগ্রামটিতে ৮টি বিশেষায়িত ডিপ্লোমা রয়েছে, প্রতিটি ডিপ্লোমাতে বিভিন্ন ধর্মীয় ইলমের ১০টি শিক্ষামূলক কোর্স রয়েছে। অধ্যয়নের সময়কাল দুই বছর, ৪টি সেমিস্টারে বিভক্ত, যা আপনাকে ইচ্ছাকৃত এবং পদ্ধতিগত ধাপে শেখার সুযোগ দেয়।

আমরা কৃতি শিক্ষার্থীদের জন্য মূল্যবান নগদ পুরষ্কারসহ সেমিস্টারের শেষের প্রতিযোগিতাও অফার করি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে জ্ঞান উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণার দাবি রাখে।

এই অগ্রণী কর্মসূচির অংশ হোন এবং জ্ঞান ও উৎকর্ষের দিকে আপনার যাত্রা শুরু করতে এখনই বাংলা ইলম একাডেমিতে নিবন্ধন করুন।

📌 লিংকে নিবন্ধন করে আমাদের সাথে যোগ দিন

https://www.elmacademy-bn.com/bn/housing

রোগীদের কাছে দেবী শেঠি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কার্যত 'ম্যাজিশিয়ান'

 রোগীদের কাছে দেবী শেঠি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কার্যত 'ম্যাজিশিয়ান'। মেডিক্যাল সায়েন্স তাঁর ট্রিটমেন্ট একের পর এক রোগীকে নয়া জীবনদান করেছে। একবার তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেলে জটিল থেকে জটিলতর সমস্যা মিটে যাবে বলেই বিশ্বাস করেন রোগীরা। অনেকেই চান তাঁর থেকে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু, এত বড় মাপের চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া কি মুখের কথা?


কী ভাবে মিলবে দেবী শেঠির অ্যাপয়েন্টমেন্ট?


কারওই অজানা নয়, ড: দেবী শেঠি নায়ারণা হেলথের চেয়ারম্যান। তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্ত তথ্য পাওয়া যায় এই সংস্থার ওয়েবসাইটে। narayanahealth.org-তে গিয়ে https://internationalpatientcare.narayanahealth.org/enquire-about-appointment-dr-devi-prasad-shetty বিভাগে ক্লিক করতে হবে।


ড: দেবী শেঠির অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, প্রশ্নের জন্য info.international@nhhospitals.org-এই ইমেল আইডিতে মেল করা যাবে। এ ছাড়াও ভিডিয়ো কনসাল্টেশনের মাধ্যমেও এই চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ পাওয়া যায়। তার জন্য https://narayana.health/ocaapp/video-consult/doctors/specialty/cardiacsciences সাইটটিতে লগ ইন করতে হবে। পাশাপাশি, Narayana health-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে দেবী প্রসাদ শেঠির অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য Enquire now বলে একটি অপশন পাবেন। সেখানে নিজের নাম, ইমেল, মোবাইল নম্বর, কোন শহরের বাসিন্দা এবং কোন হাসপাতালে দেখাতে চান এই যাবতীয় তথ্য দিয়ে Submit অপশনে ক্লিক করলেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।


অন্যদিকে, সরাসরি ড: দেবী শেঠির সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে গেলে প্রথম নারায়ণা হেলথের আওতায় থাকা হাসপাতালগুলির যে কোনও একজন কার্ডিওলজিস্টকে দেখাতে হবে। যে কোনও শহরের নারায়ণা হাসপাতাল থেকেই কার্ডিওলজিস্ট দেখানো যাবে। তাঁর পরামর্শ মোতাবেক এরপর ড: দেবী শেঠির সঙ্গে কনসাল্ট করা যাবে। সে ক্ষেত্রে শারীরিক পরিস্থিতি এবং মেডিক্যাল হিস্ট্রি দেখে তবেই সেই রোগীকে ড: দেবী শেঠির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় একটি বিশেষজ্ঞ টিম। ভিন্ন শহর থেকে ড: দেবী প্রসাদ শেঠির ভিডিয়ো কনসাল্টেশনের অপশনও থাকে।

সাক্ষাৎকারঃ:প্রকৌশলী রুহুল আমিন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

 সাক্ষাৎকারঃ 

🔸শিক্ষাবার্তা: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করায় আপনাকে শিক্ষা বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।


🔸 প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শিক্ষাবার্তার সকলকে ধন্যবাদ।


🔸 শিক্ষাবার্তা: কারিগরি শিক্ষার আশানুরূপ সাফল্য না হওয়ার পিছনে কি কারন থাকতে পারে বলে আপনি মনে করেন?


🔸 প্রকৌশলী রুহুল আমিন: আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ এখনও কারিগরি শিক্ষার সুফল জানেনা। তাদের সন্তানদের কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি করতে অনিহা প্রকাশ করেন। আমি আগেই সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তনের জন্য কাজ করবো। প্রয়োজনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মাননীয় সচিব মহোদয়কে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় করবো। তাদেরকে কারিগরি শিক্ষার সুফল সম্পর্কে বুঝাতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহে প্রচার ও প্রচারণা চালাবো।


🔸 শিক্ষাবার্তা: বিগত কয়েক বছরে আশানুরূপ শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ার পিছনে কি কারন থাকতে পারে বলে আপনি মনে করেন?


🔸 প্রকৌশলী রুহুল আমিন: আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ এখনও কারিগরি শিক্ষার পুরোপুরি সুফল পাচ্ছেনা। তাই তাদের সন্তানদের এ শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করাতে পারেনি।


🔸 শিক্ষাবার্তা: বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারিক ক্লাসের অবস্থা খুব করুন। এ ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা কী হতে পারে?


🔸 প্রকৌশলী রুহুল আমিন: আমাদের দেশের বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধিকাংশ জায়গায় ব্যবহারিক ক্লাসরুম নাই। অবকাঠামো নাই। তাই ব্যবহারিকের কোনো মালামালও নাই। আমি এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারি বরাদ্দের ব্যাপারে চেষ্টা করবো।


🔸 শিক্ষাবার্তা: সিলেবাসের কোনো পরিবর্তন করবেন কী?


🔸 প্রকৌশলী রুহুল আমিন: অবশ্যই। আমরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং শিল্প কারখানার চাহিদা অনুযায়ী জনবল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আমি ইতোমধ্যে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চেহারা পাল্টিয়ে দিয়েছি। আমার সততা ও শ্রমের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষায় পরিবর্তন আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমার মা ২০১৯ সালে “রত্নগর্ভা” মায়ের পুরস্কার পেয়েছিল। আমার ৯ ভাই বোনের মধ্যে মাত্র ২ জন গ্রাজুয়েট। বাকিরা আরো শিক্ষিত। ২ জন ডক্টরেট। সবাই তাদের সততা,মেধা ও শ্রম দিয়ে নিজ নিজ জায়গায় সফল। আমিও আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।


🔸 শিক্ষাবার্তা: বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে আপনার প্রচেষ্টা কি থাকবে?


🔸 প্রকৌশলী রুহুল আমিন: আমি বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষাকে আধুনিক ও বিশ্বমানের গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এ ক্ষেত্রে আপনাদের (মিডিয়ার) ভূমিকাও জরুরি। আপনারা এ শিক্ষার প্রসারে ইতিবাচক সংবাদ তুলে ধরবেন। গ্রামাঞ্চলের লোকজনকে সচেতন করতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ শিক্ষার সাথে জড়িত সকলের আন্তরিকতা ও শিক্ষকদের আরো বেশি দায়িত্বশীলতা কারিগরি শিক্ষার প্রসারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাই আমি সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাবো। 


🔸 শিক্ষাবার্তা: আপনার ইতিবাচক মনোভাব ও কারিগরির শিক্ষার প্রতি আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ।


🔸 প্রকৌশলী রুহুল আমিন: আপনাকেও ধন্যবাদ।


©সংগৃহীত


Subscribe: youtube.com/@BarishalPolytechnicInstitute?sub_confirmation=1


বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-Barishal Polytechnic Institute

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

টোকিওর আকাশচুম্বী অফিস ভবনের এক কোণে হাজিমে স্যান তার ল্যাপটপের সামনে বসে আছেন।

 টোকিওর আকাশচুম্বী অফিস ভবনের এক কোণে হাজিমে স্যান তার ল্যাপটপের সামনে বসে আছেন। গত রাত তিনি অফিসের একটি জরুরি প্রজেক্ট শেষ করতে প্রায় সাড়ে তিনটে পর্যন্ত জেগে ছিলেন। এখন সকাল ১১টা—চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসছে। কিন্তু তিনি চিন্তিত নন। কারণ তিনি জানেন, তার কর্মস্থল—টোয়োটা মোটরস—এখানে কর্মীদের অফিসে ঘুমানোকে দুর্বলতা না ভেবে সম্মানের চোখে দেখা হয়।  


হাজিমে স্যান ডেস্কেই মাথা হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। তার পাশের সহকর্মী মিয়ামোতো স্যান তা দেখেও বিরক্ত হলেন না, বরং নিজের কাজ চালিয়ে গেলেন নিঃশব্দে। কারণ জাপানি সংস্কৃতিতে এই দৃশ্য সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এটাকে বলা হয় "ইনেমুরি" (居眠り)—অফিসে সংক্ষিপ্ত ঘুম, যা কর্মীর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।  


কেন জাপানি কোম্পানিগুলো কর্মীদের ঘুমাতে উৎসাহিত করে? বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি মিতসুবিশি, সনি, প্যানাসনিক বা হিতাচি -র মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অফিসে বিশ্রাম কক্ষ (nap pods) এবং নিরিবিলি সোফার ব্যবস্থা রেখেছে। গবেষণা বলছে, মাত্র ২০-৩০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ:


✔ স্মৃতিশক্তি ২০-৩০% বাড়ায়,  

✔ সৃজনশীলতা উন্নত করে,  

✔ স্ট্রেস কমিয়ে মনোযোগ বাড়ায়।  


মনোবিজ্ঞান বলছে, ২০-৩০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ সৃজনশীলতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ায়। জাপানি সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয়, একজন কর্মী যদি অফিসে ঘুমান, তার মানে তিনি হয়তো বাড়িতে অতিরিক্ত সময় দিয়ে কাজ করেছেন বা পরিবারের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন অথবা অফিসে অতিরিক্ত কাজ করেছেন। যেটাই হোক না কেন, সেজন্য ঘুম ভাঙার পর তাকে তিরস্কার না করে উৎসাহ দেওয়া হয়।  


এশিয়ার অন্যান্য দেশে, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা বা এমনকি পশ্চিমা বিশ্বে, কর্মক্ষেত্রে ঘুম নিয়ে আছে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি। এমন কি আমাদের দেশেও। বেশিরভাগ দেশেই অফিসে ঘুমানোকে অপেশাদারিত্ব মনে করা হয়। কিন্তু জাপান দেখিয়েছে, কর্মীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। টোয়োটা বা মিতসুবিশির মতো কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদের বলছে, "ঘুমাও যখন প্রয়োজন, আমরা তোমাকে বিশ্বাস করি।"


হাজিমে স্যান ২০ মিনিট ঘুমিয়ে উঠলেন। তার মস্তিষ্ক এখন সতেজ, কাজের গতি দ্বিগুণ। বিকেলে যখন তিনি তার ছোট মেয়েকে স্কুল থেকে নিতে যাবেন, তখন আর ক্লান্তিতে চোখ ঢুলবে না অথবা বাসায় ফিরে শিশু মেয়েটির সাথে খেলার সময়‌ও এবার তার ধৈর্য কমবে না। কারণ, অফিসের সেই ছোট্ট ঘুমটাই তাকে দিয়েছে নতুন শক্তি। কারণ, তার কোম্পানি তাকে একটি ছোট ঘুমের অধিকার দিয়েছে। আবারো বলছি, সুযোগ নয় - অধিকার দিয়েছে —যা তাকে কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিগত জীবনে সফল করে তুলেছে।  


আপনার কী মনে হয়? আমাদের সমাজে কি এই চিন্তাধারা গ্রহণ করা উচিত? নাকি অফিসে ঘুমানোর অর্থই হলো "আলসেমি" এবং তার চাকরি চলে যাওয়া উচিৎ? মন্তব্যে জানান


শেখ মাসুদ পারভেজ

Shaikh Masud Pervez 


#Japan #Worklife #Inemuri #LaborRights #Productivity ©️

৫০টা ফ্রি AI টুল — আপনার কাজ করবে ১০ গুণ দ্রুত!

 ৫০টা ফ্রি AI টুল — আপনার কাজ করবে ১০ গুণ দ্রুত!

এগুলো জানলে আপনি সামনে এগিয়ে থাকবেন, না জানলে পিছিয়ে পড়বেন।

ডিজাইন, কনটেন্ট, ভিডিও এডিট, মার্কেটিং—সব কিছুই অটো!


(সেভ করে রাখুন, কাজে লাগবেই!)👍


নিচে ৫০টি ফ্রি AI টুলের তালিকা দেওয়া হলো — 


 1. ChatGPT – যেকোনো লেখা বা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।

 2. Canva AI – ডিজাইন তৈরি ও কনটেন্ট সাজাতে AI সহায়তা।

 3. Pictory – লেখা থেকে অটো ভিডিও তৈরি করে।

 4. Copy. ai – মার্কেটিং কপিরাইটিং বা ব্লগ লেখে।

 5. Jasper AI – ব্লগ, বিজ্ঞাপন, ইমেইল লেখায় সাহায্য করে।

 6. Grammarly – ইংরেজি লেখার ভুল ধরিয়ে সংশোধন করে।

 7. Quillbot – লেখাকে রি-রাইট বা প্যারাফ্রেজ করে।

 8. Synthesia – AI এভাটার দিয়ে ভিডিও বানায়।

 9. Looka – লোগো ও ব্র্যান্ড ডিজাইন করে।

 10. Remove. bg – ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে এক ক্লিকে।

 11. Leonardo AI – কল্পনাশক্তির ইমেজ ডিজাইন করে।

 12. Durable – কয়েক সেকেন্ডে ওয়েবসাইট তৈরি করে।

 13. SlidesAI – লেখা থেকে অটো স্লাইড প্রেজেন্টেশন বানায়।

 14. Runway ML – ভিডিও এডিটিং ও AI ভিজ্যুয়াল এফেক্টে সাহায্য করে।

 15. Tome – স্টোরি-বেইজড প্রেজেন্টেশন তৈরি করে।

 16. Notion AI – নোট নেয়া, টাস্ক ম্যানেজমেন্ট ও লেখায় সাহায্য করে।

 17. Krisp – কলের ব্যাকগ্রাউন্ড নোইজ রিমুভ করে।

 18. Cleanup. pictures – ছবির অবাঞ্চিত জিনিস মুছে ফেলে।

 19. Replika – AI ভার্চুয়াল বন্ধু বা চ্যাট সঙ্গী।

 20. Soundraw – AI দিয়ে অরিজিনাল মিউজিক তৈরি করে।

 21. Beatoven – ভিডিও/পডকাস্টের জন্য মিউজিক তৈরি করে।

 22. Voicemod – ভয়েস চেঞ্জ বা ভয়েস ইফেক্টে ইউজ হয়।

 23. Lumen5 – ব্লগ থেকে ভিডিও কনভার্ট করে।

 24. Descript – ভিডিও এডিট করে টেক্সট দিয়ে।

 25. Kaiber – AI দিয়ে ভিডিও অ্যানিমেশন বানায়।

 26. AutoDraw – হ্যান্ড-ড্রয়িংকে পারফেক্ট ডিজাইনে রূপ দেয়।

 27. ElevenLabs – রিয়েলিস্টিক ভয়েস জেনারেশন করে।

 28. Heygen – AI স্পোকেন ভিডিও বানায় ফেস ও ভয়েস দিয়ে।

 29. Writesonic – কনটেন্ট রাইটিং ও কপি তৈরি করে।

 30. Play. ht – ব্লগ বা লেখাকে ভয়েসে পরিণত করে।

 31. Papercup – ভিডিওর ভয়েস অন্য ভাষায় ডাব করে।

 32. AI Dungeon – ইন্টার‍্যাকটিভ গল্প বানায়।

 33. TTSMaker – লেখা থেকে স্পিচ জেনারেট করে।

 34. Magic Eraser – ছবির অবজেক্ট সরিয়ে ক্লিন ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়।

 35. Designs. ai – লোগো, ভিডিও, অডিও সব তৈরি করতে পারে।

 36. Midjourney – কমান্ড থেকে ইমেজ তৈরি করে।

 37. TinyWow – ডকুমেন্ট, ভিডিও, পিডিএফ টুলস ফ্রি অফার করে।

 38. ChatPDF – যেকোনো PDF পড়ে আপনাকে সারাংশ দেয়।

 39. Scalenut – SEO কনটেন্ট ও ব্লগ প্ল্যান করে।

 40. INK – SEO, রাইটিং, মার্কেটিং একসাথে করে।

 41. DeepL – প্রোফেশনাল লেভেলের ট্রান্সলেশন দেয়।

 42. OpenArt – AI আর্ট ও ইমেজ তৈরি করে।

 43. NameSnack – AI দিয়ে বিজনেস নাম সাজেস্ট করে।

 44. Tidio – AI চ্যাটবট তৈরি করে ওয়েবসাইটের জন্য।

 45. FormX. ai – স্ক্যান করা ডকুমেন্ট থেকে ডেটা এক্সট্রাক্ট করে।

 46. Murf. ai – প্রফেশনাল ভয়েসওভার তৈরি করে।

 47. Zyro AI Writer – ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট লেখায় ব্যবহার হয়।

 48. Hugging Face – বিভিন্ন ধরনের NLP ও AI টুলস হোস্ট করে।

 49. Adobe Firefly – AI দিয়ে ইমেজ ও ডিজাইন তৈরি করে।

 50. Illustroke – লেখা থেকে SVG ইলাস্ট্রেশন তৈরি করে।

বীরপুরুষ  __রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (শিশু কাব্যগ্রন্থ)  

 বীরপুরুষ 

__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (শিশু কাব্যগ্রন্থ)  

মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে

মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।


তুমি যাচ্ছ পালকিতে, মা, চ’ড়ে

দরজা দুটো একটুকু ফাঁক ক’রে,

আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার ‘পরে

টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে।

রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে

রাঙা ধূলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে।


সন্ধ্যে হল, সূর্য নামে পাটে,

এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে।

ধূ ধূ করে যে দিক-পানে চাই,

কোনোখানে জনমানব নাই,

তুমি যেন আপন-মনে তাই

ভয় পেয়েছ-ভাবছ, ‘এলেম কোথা।’

আমি বলছি, ‘ভয় কোরো না মা গো,

ওই দেখা যায় মরা নদীর সোঁতা।’


আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে-

অন্ধকারে দেখা যায় না ভালো।

তুমি যেন বললে আমায় ডেকে,

‘দিঘির ধারে ওই-যে কিসের আলো!’

এমন সময় ‘হাঁরে রে রে রে রে’


ওই – যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে!

তুমি ভয়ে পালকিতে এক কোণে

ঠাকুর-দেবতা স্মরণ করছ মনে,

বেয়ারাগুলো পাশের কাঁটাবনে

আমি যেন তোমায় বলছি ডেকে,

‘আমি আছি, ভয় কেন, মা, করো!’


তুমি বললে, ‘যাস নে খোকা ওরে,’

আমি বলি, ‘দেখো-নাচুপ করে।’

ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে,

কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে

শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা।

কত লোক যে পালিয়ে গেল ভয়ে,

কত লোকের মাথা পড়ল কাটা।।


এত লোকের সঙ্গে লড়াই ক’রে,

ভাবছ খোকা গেলই বুঝি মরে।

আমি তখন রক্ত মেখে ঘেমে

বলছি এসে, ‘লড়াই গেছে থেমে,’

তুমি শুনে পালকি থেকে নেমে

চুমো খেয়ে নিচ্ছ আমায় কোলে

বলছ, ‘ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল’

কী দুর্দশাই হত তা না হলে!’

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...