এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ১৬-০৪-২০২৪ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ১৬-০৪-২০২৪ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর দেশের কোনো খাত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে সকল সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার।


চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে বিএনপি।


আউটসোর্সিং কর্মীদের জন্য নববর্ষের উপহার হিসেবে ‘আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০২৫’ প্রণয়ন করেছে সরকার।


‘জাতীয় সনদ’ রাষ্ট্রীয় সংস্কারে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে - জানালেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি।


আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চালের দাম নাগালের মধ্যে আসবে - আশাবাদ বাণিজ্য উপদেষ্টার।


প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে মামলায় শেখ হাসিনা ও তার ছেলেসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।


গাজায় যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে হামাসকে নিরস্ত্র করার ইসরাইলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি।


লাহোরে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডকে ৩৪ রানে হারালো বাংলাদেশ।

১০ টা ফেইসবুক গল্প


 গল্প ১: নিজের মুক্তি


রুবিনা প্রতিদিন মনে মনে তাকে অভিশাপ দিত, যে একদিন তার জীবনের সব ভরসা ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু বছরখানেক পর, যখন নিজেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ল, বুঝতে পারল—এই ক্রোধ আসলে নিজেরই ক্ষতি করছে। একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সে বলল, “আমি তোকে ক্ষমা করলাম, কারণ আমি নিজেকে ভালোবাসি।” সেদিনই সে সত্যিকারের মুক্তি পেল।


---


গল্প ২: সিদ্ধান্তের শুরু


রফিকের ছোট ভাই তার ব্যবসার সব টাকা আত্মসাৎ করেছিল। কেউ বলল, “ক্ষমা কর, মন শান্ত হবে।” রফিক বলল, “আমার মন তো এখনও জ্বলছে।” কিন্তু একদিন বসে সে ভাবল—“আমি কি সারাজীবন এই ক্ষোভ নিয়ে বাঁচব?” ঠিক তখনই সে নিজেকে বলল, “তুমি এখনও প্রস্তুত নও, কিন্তু আজ একটা সিদ্ধান্ত নাও।” সেদিন থেকে তার অন্তর ধীরে ধীরে নরম হতে শুরু করল।


---


গল্প ৩: দূরত্বের মাঝেও শান্তি


সালমা তার বান্ধবী রুবিকে ভালোবেসেই আপন করেছিল। কিন্তু রুবি তার গোপন কথা ফাঁস করে দিয়েছিল একদিন। সালমা দুঃখে পুড়লেও তার ভেতরের রাগকে একদিন ক্ষমায় রূপ দিল। তবে সম্পর্কটা আর আগের মতো হয়নি। সালমা জানত—ক্ষমা মানেই সম্পর্ক জোড়া লাগানো নয়, বরং নিজের শান্তির জন্য দূরত্বও জরুরি।


---


গল্প ৪: তিক্ততার বিষ


তৌফিকের বাবা চলে গিয়েছিলেন ছোটবেলায়। মা একা বড় করেছেন, কিন্তু তৌফিক সবসময় বাবার প্রতি রাগ পুষে রেখেছিল। সেই রাগ তার প্রতিটি সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে লাগল। একদিন সে উপলব্ধি করল—এই অপূর্ণতা আর অভিযোগ তার বর্তমানকে পুড়িয়ে দিচ্ছে। সেদিন সে নিজের ভেতরের সেই “অভিমানী ছেলেটিকে” ক্ষমা করে দিল।


---


গল্প ৫: দুর্বল নয়, মানবিক


রুবাইয়া নিজের স্বামীর প্রতি কখনোই পুরোপুরি ক্ষমা করতে পারছিল না। চারপাশের সবাই বলত, “তুমি তো এত শিক্ষিতা, এত শক্ত মেয়ে!” সে ভাবত, “তবে কেন আমার পক্ষে ক্ষমা করা এত কঠিন?” পরে সে বুঝেছিল, ক্ষমা করতে না পারা দুর্বলতা নয়, বরং এটি একটি গভীর যাত্রার শুরু।


---


গল্প ৬: সীমানার দেয়াল


মাহিরা তার ভাইকে ভালোবাসত, কিন্তু সে বারবার ঠকিয়েছে। একদিন সে বলল, “আমি তোকে ক্ষমা করলাম, কিন্তু এবার আর আমার ঘরের চাবি তোকে দেব না।” ক্ষমার সাথে সে একটাও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস শিখল—“না” বলা মানেই সম্পর্ক শেষ করা নয়, বরং নিজেকে সম্মান করা।


---


গল্প ৭: ন্যায়বিচার না পেলেও এগিয়ে যাওয়া


ইমরান অফিসে অন্যায়ের শিকার হয়েছিল। যারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলেছিল, তাদের কোনো শাস্তিও হয়নি। কিন্তু একদিন সে বলল, “আমি প্রতিশোধ নেব না। এই পেছনে তাকিয়ে থাকলে আমি নিজেই পেছনে পড়ে যাব।” সে নিজেকে ক্ষমা করল, অন্যদের নয়—কারণ ন্যায় না পেলেও তার জীবনে শান্তি দরকার।


---


গল্প ৮: প্রতিদিন একটুখানি


জাহানারা তার মেয়ের ভুলকে ক্ষমা করতে চেয়েও পারছিল না। সে ঠিক করল, প্রতিদিন মেয়ের ছবি দেখে একবার বলবে, “আমি তোমাকে ক্ষমা করতে চাই।” প্রথম দিন কিছু অনুভব হয়নি। দ্বিতীয় দিন, চোখ ভিজে গিয়েছিল। তৃতীয় দিন, বুকে একটু প্রশান্তি নেমেছিল। সে বুঝেছিল—ক্ষমা একবারে হয় না, প্রতিদিন একটু একটু করে হয়।


---


গল্প ৯: নির্জনতায় ভরসা


রেহেনা অনেক চেষ্টা করেও শান্তি পাচ্ছিল না। একদিন সে মসজিদের নির্জন কোণে বসে শুধু বলল, “হে আল্লাহ, আমি আর পারছি না। তুমি পারো?” সেই ক্ষণেই যেন তার ভেতরের কান্না থেমে গিয়ে এক ধরণের অবর্ণনীয় প্রশান্তি নেমে এলো। সে বুঝল—যেখানে শক্তি শেষ, সেখানেই বিশ্বাস শুরু হয়।


---


গল্প ১০: ক্ষত নয়, স্মৃতি


জিয়াউল এখনও ভুলতে পারেনি ছোটবেলার নির্যাতন। কিন্তু একদিন একটা অনুষ্ঠানে সে বলল, “আমি সেই মানুষদের ক্ষমা করেছি, কিন্তু ভুলিনি। কারণ আমার ক্ষত আমাকে মানুষ করেছে। এখন আর সেটা রক্ত দেয় না, বরং শক্তি জোগায়।” সেই দিন তার ভেতরের কষ্ট মুছে না গেলেও, তার জীবনের নিয়ন্ত্রণে আর ছিল না।

আদর্শ ফার্মেসী

নারিকেল গাছের পরিচর্যা ও সার ব্যবস্থাপনা

 নারিকেল গাছের পরিচর্যা ও সার ব্যবস্থাপনা🌴


একটি সুস্থ ও ফলদায়ী নারিকেল গাছের জন্য সঠিক পরিচর্যা এবং নিয়মিত সার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো বয়সের নারিকেল গাছে বছরে দুই কিস্তিতে সার প্রয়োগ করতে হয়।


✅ প্রথম কিস্তি: বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে (অর্ধেক সার)

✅ দ্বিতীয় কিস্তি: আশ্বিন মাসে (বাকি অর্ধেক সার)


🔷🔷সার প্রয়োগের পদ্ধতি:

গাছের গোড়া থেকে ১ মিটার দূরে এবং ১-২.৫ মিটার পরিধির মধ্যে ২০-৩০ সেমি গভীরে সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োগের পর মাটি কুপিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে।


🔷🔷বয়স অনুযায়ী সার প্রয়োগের হার


🔻 ১-৪ বছর:

পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ১০ কেজি

ইউরিয়া: ২০০ গ্রাম

টিএসপি: ১০০ গ্রাম

এমওপি: ৪০০ গ্রাম

জিপসাম: ১০০ গ্রাম

জিংক সালফেট: ৪০ গ্রাম

বোরিক এসিড: ১০ গ্রাম


🔻৫-৭ বছর:

পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ১৫ কেজি

ইউরিয়া: ৪০০ গ্রাম

টিএসপি: ২০০ গ্রাম

এমওপি: ৮০০ গ্রাম

জিপসাম: ২০০ গ্রাম

জিংক সালফেট: ৬০ গ্রাম

বোরিক এসিড: ১৫ গ্রাম


🔻 ৮-১০ বছর:

পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ২০ কেজি

ইউরিয়া: ৮০০ গ্রাম

টিএসপি: ৪০০ গ্রাম

এমওপি: ১৫০০ গ্রাম

জিপসাম: ২৫০ গ্রাম

জিংক সালফেট: ৮০ গ্রাম

বোরিক এসিড: ২০ গ্রাম


 🔻১১-১৫ বছর:

পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ২৫ কেজি

ইউরিয়া: ১০০০ গ্রাম

টিএসপি: ৫০০ গ্রাম

এমওপি: ২০০০ গ্রাম

জিপসাম: ৩৫০ গ্রাম

জিংক সালফেট: ১০০ গ্রাম

বোরিক এসিড: ৩০ গ্রাম


🔻 ১৬-২০ বছর:

পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ৩০ কেজি

ইউরিয়া: ১২০০ গ্রাম

টিএসপি: ৬০০ গ্রাম

এমওপি: ২৫০০ গ্রাম

জিপসাম: ৪০০ গ্রাম

জিংক সালফেট: ১৫০ গ্রাম

বোরিক এসিড: ৪০ গ্রাম


🔻২০ বছর বা তার ঊর্ধ্ব:

পঁচা গোবর/ভার্মি কম্পোস্ট: ৪০ কেজি

ইউরিয়া: ১৫০০ গ্রাম

টিএসপি: ৭৫০ গ্রাম

এমওপি: ৩০০০ গ্রাম

জিপসাম: ৫০০ গ্রাম

জিংক সালফেট: ২০০ গ্রাম

বোরিক এসিড: ৫০ গ্রাম


🔎 গাছের সুস্থতার লক্ষণ


✅ একটি সুস্থ নারিকেল গাছে ৩২-৪০টি পাতা থাকবে।

✅ প্রতি মাসে নতুন একটি পাতা বের হয়, যা প্রায় ৩ বছর পর্যন্ত টিকে থাকে।

✅ পাতা ২৫টির নিচে নামলে বুঝতে হবে গাছটি পুষ্টির অভাবে দুর্বল।

✅ পাতার সংখ্যা ২০টির নিচে নেমে গেলে গাছে ফুল-ফল আসা বন্ধ হয়ে যাবে।


💠💠 সঠিক যত্ন ও পরিচর্যায় নারিকেল গাছ দেবে উন্নত ফলন ও দীর্ঘস্থায়ী উৎপাদন।


@highlight The natural beauty

প্রশান্ত মহাসাগরের উপর অবস্থিত রহস্যময় দ্বীপ নানমাদল

 " প্রশান্ত মহাসাগরের উপর অবস্থিত রহস্যময় দ্বীপ নানমাদল, এখানে অবস্থিত প্রাচীন পাথরের কিছু নিদর্শন যা দ্বীপটিকে রহস্যময় করে তুলেছে। "


🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺


❤️❤️নান মাদল বিশ্বের বহু প্রাচীন এক শহর। তবে এই প্রাচীন শহরটি অন্য সব প্রাচীন শহরগুলোর চেয়ে কিছুটা আলাদা। প্রশান্ত মহাসাগরের একটি প্রবাল প্রাচীরের উপর দিব্যি ভেসে আছে শহরটি। তাই শহরটি ‘প্যাসিফিকের ভেনিস’ বা ‘ভেনিস অব মাইক্রোনেশিয়া’ হিসেবেও বেশ পরিচিত। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে হাজারেরও বেশি দ্বীপ জড়ো হয়ে তৈরি হয়েছে বিশাল আকারের এক দ্বীপপুঞ্জ, যার নাম মাইক্রোশিয়া। সেই মাইক্রোশিয়া দ্বীপপুঞ্জের পনপেই নামের দ্বীপটির পূর্ব দিকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে এক রহস্যময় দ্বীপ ‘নান মাদল’।💚💚


💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠


❤️❤️নান মাদল নামের অর্থ মাঝখানের জায়গা। এই জায়গাটির চারদিকে এত খাল পরস্পরের সাথে যুক্ত রয়েছে যেন মনে হয় একটি খাল আরেকটির সাথে কাটাকুটি খেলেছে। সেজন্যই দ্বীপটির নাম নান মাদল রাখা হয়েছে বলে অনেক গবেষকই মনে করেন। দ্বীপগুলোর দৈর্ঘ্য এক মাইল এবং প্রস্থে আধ মাইলের মতো। লেগুনের মধ্যে অবস্থিত নান মাদলকে ঘিরে রয়েছে প্রায় একশোর মতো ছোট-বড় দ্বীপ। আবার এসব দ্বীপের বেশ কয়েকটি খালের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত।💚💚


💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠


❤️❤️তবে পুরো শহরটা কিন্তু চীনের প্রাচীর বা মিশরের পিরামিডের চেয়েও কয়েকগুন বড়। শহরটির চারদিকে রয়েছে দেড় কিলোমিটার লম্বা ও আধ কিলোমিটার চওড়া পাথরের প্রাচীর। এই পাথরগুলোই শহরটিকে রহস্যময় করে তুলেছে। নান মাদল শহরের একেকটি পাথরের ওজন পঞ্চাশ টনের কাছাকাছি, যেখানে পিরামিডের একটি পাথরের ওজন তিন টনের মতো। শহরে পাথরের তৈরি বেশ কয়েকটি নান্দনিক শিল্পকর্ম এখনও পর্যটকদের অভিভূত করে। এই বিস্ময়কর পাথরগুলো কীভাবে তৈরি হয়েছে, তা আজও রহস্যে ঘেরা।💚💚 


💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠


❤️❤️দ্বীপটির চতুর্দিক সমুদ্রবেষ্টিত। তাই সমুদ্রের মধ্যে ওরকম পাথরগাঁথা শহর বেশ অভাবনীয় এবং অকল্পনীয়ও বটে।দ্বীপটির কাছাকাছি কোনো ধরনের খনিও নেই, যার থেকে ধারণা করা যেতে পারে যে, পাথরগুলো খনি থেকে এসেছে। তাই কেউ কেউ বলছেন, এই বিস্ময়কর পাথরগুলো হয়তো জলে ভেসে আসতে পারে। কিন্তু এত বড় আর ভারী পাথরগুলো জলে কীভাবে ভেসে আসতে পারে, তা-ও বিশ্বসযোগ্য নয়। স্থানীয় লোকজন ভাবেন, কোনো অলৌকিক শক্তি বা কালো জাদুর প্রভাবে কেউ পাথরগুলোকে এখানে নিয়ে এসেছে, আর তা না হলে মানুষের কোনো পূর্বসূরিরই কাজ এটি।💚💚


💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠


❤️❤️পাথরের তৈরি এক বিশালকার স্তম্ভ দ্বীপটিকে করে তুলেছে আরও রহস্যময়। দেখতে মনে হবে যেন কোনো দৈত্য শহরটিকে পাহারা দিচ্ছে। এই পাথরের স্তম্ভটি দ্বীপের ১৬ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। হাজার হাজার শ্রমিকের শত শত বছরের নিরলস চেষ্টায় এই অসাধারণ নির্মাণ কাজ পরিচালিত হয়েছে বলে পুরাতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন।নান মাদল বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত এক নগরী। শহরটির ধ্বংসস্তুপ পরীক্ষা দেখা যায়, তা প্রায় ৯০০ বছরের পুরনো। ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরটিকে ঘিরে রয়েছে অসংখ্য মন্দিরের ভগ্নস্তুপ, প্রাচীন সমাধি এবং স্নানঘর, যেখানে জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা ছিল।💚💚


💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠


❤️❤️এখানকার পাথরের তৈরি বিভিন্ন স্থাপনার সাথে মায়া ও অ্যাজটেকদের তৈরি উপাসনা কেন্দ্রের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। উপাসনা কেন্দ্রটি দ্বীপ থেকে বেশ উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে, যা বেশ অবাক করার মতো। এই উপাসনালয়ের মাঝের উঁচু পাথরের বেদি থেকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করা হতো বলে ধারণা করা হয়। তখনকার নান মাদলের অধিবাসীরা ভালো ফসলের জন্য দেবতা ননিশন শাহপোর নিকট তাদের অপার ভক্তি ও সম্মান জানাতেন।💚💚


💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠


❤️❤️নান মাদলের উপাসনা কেন্দ্র এবং রাজাদের নিবাসস্থল উনিশ শতকের দিকে পরিত্যক্ত হয় বলে অনুমান করা হয়। শহরটি পঞ্চদশ শতকের দিকে ঐশ্বর্যহীন হতে থাকে এবং উনিশ শতকের দিকে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়। ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নান মাদলকে জাতীয় ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করে। আর ইউনেস্কো নান মাদলকে বিশ্ব ঐতিহ্যের এক অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ঐতিহাসিক নান মাদল দেখতে তাই পর্যটকদের আগমন সারা বছরই লেগে  থাকে।💚💚


💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠


✴️✴️✴️স্থিরচিত্র সৌজন্যে::-- wikimedia.org 


#জ্ঞানওবিজ্ঞান #জ্ঞানওবিজ্ঞানফেসবুকপেজ #fbviral

#fbpost #fbpost2025 #unbelievable #amazing #amazingfacts #unknown #unknownfacts #quiz #quiztime #generalknowledge #Island #PacificOcean #Nanmadal #rock #IslandofRock #USA #UNESCOWorldHeritage

খাতা ছাড়াও নোট হবে 'গুগল কিপ' এ

 খাতা ছাড়াও নোট হবে 'গুগল কিপ' এ 🌐


মোবাইল জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। এর যথাযথ ব্যবহার শিক্ষার্থীদের নানাভাবে উপকৃত করতে পারে। পড়াশোনার সহায়ক প্রয়োজনীয় মোবাইল অ্যাপস নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।


মিলবে গণিত সমাধান


গণিত সমাধানের জন্য ‘ফটোম্যাথ’ অ্যাপস দারুণ কার্যকরী। গণিতের কোনো একটি অঙ্ক বুঝতে সমস্যা হচ্ছে? সঙ্গে সঙ্গে সেটির ছবি তুলে এই অ্যাপসে দিলেই অঙ্কটির সমাধান করে দেবে। শুধু সমাধান নয়, ধাপে ধাপে আপনাকে বুঝিয়ে দেবে, অঙ্কটি কীভাবে সমাধান করা হয়েছে। এই অ্যাপ একজন টিউটরের ভূমিকা পালন করে থাকে। প্লে-স্টোর থেকে এই অ্যাপ ফ্রি ইনস্টল করতে পারবেন।


ইংরেজি শেখা সহজ


আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি শিখতেই হয়। মোবাইলের অ্যাপস ব্যবহার করে সেটি আরও সহজ। ইংরেজি বলতে, লিখতে এবং পড়ে বোঝার জন্য শব্দের অর্থ জানতে হয়। অনেক সময় কঠিন কঠিন শব্দ থাকে; ফলে ইংরেজিকে অনেকে ভয় পায়। কিন্তু ‘ইংলিশ বাংলা ডিকশনারি’ অ্যাপ ব্যবহারে মুহূর্তের মধ্যে শব্দের অর্থ জানা যায়। এ ছাড়া ‘অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ইংলিশ’, ‘ডিকশনারি-মেরিয়াম ওয়েবস্টার’—এই দুটি অ্যাপের মাধ্যমে ইংরেজি শব্দের অর্থসহ সঠিক উচ্চারণ পাওয়া যায়। নতুন নতুন শব্দ শেখা যায় এবং শেখা শব্দগুলোর ওপর পরীক্ষাও দেওয়া যায়। এ ছাড়া হ্যালো ইংলিশ অ্যাপস দ্বারা ধাপে ধাপে ইংরেজি শেখা যায়।


ডকুমেন্টস থাকবে মোবাইলে


অনেক সময় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন হয় বিভিন্ন নোট ও গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ফটোকপি করার। সে ক্ষেত্রে ‘ক্যাম স্ক্যানার’ অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে সহজে স্ক্যান করা যায়। এ ক্ষেত্রে আপনার মোবাইলটি হয়ে উঠতে পারে একটা পোর্টেবল স্ক্যানার মেশিন! এটিতে পিডিএফ, ইমেজ প্রভৃতি আকারে সেভ করে রাখা যায়। পরে কম্পিউটারের প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করেও নেওয়া যায়। তাই কোনো ডকুমেন্ট বা নোট হারানোর ভয় নেই। ক্যাম স্ক্যানারের মতো আরও বেশ কিছু স্ক্যান করার অ্যাপস আছে। গুগল প্লে-স্টোরে সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে। সেখান থেকে যেটি পছন্দ হয়, সেটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শুধু শিক্ষার্থী নয়, একজন চাকরিজীবী বা সাধারণ মানুষও এই অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন ডকুমেন্ট সেভ করে রাখতে পারেন।


খাতা ছাড়াও নোট হবে


শিক্ষার্থীরা সাধারণত খাতায় নোট করে থাকেন। কিন্তু খাতা ছাড়াও মোবাইল ফোনের অ্যাপস ব্যবহার করে নোট করা যায়। ‘গুগল কিপ’ অ্যাপস নোট করার জন্য ব্যবহার করা যায়। এ অ্যাপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, নোট হারানোর ভ&য় নেই। গুগলের সঙ্গেই এটি লিংকড হয়ে যায়। অ্যাপস ডিলিট হয়ে গেলেও আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে নোট থেকে যাবে। এই অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি ইমেজ নোট, ভয়েস নোট, ড্রয়িং নোট, অ্যালার্ট সিস্টেম, লিস্ট এবং সুন্দর ডিজাইন করতে পারবেন। এই অ্যাপসের সুবিধার শেষ নেই। আপনি যদি অফলাইনে থাকা অবস্থায় কিছু নোট করেন, পরবর্তী সময়ে আপনি অনলাইনে গেলে সেটি অটো গুগল ক্লাউডে সেভ হয়ে থাকবে। নানান রকম সুবিধার কারণে এই অ্যাপ বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়। পড়াশোনাকে সহজ করতে এ রকম বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে সুবিধা নিতেই পারেন।

.

তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা, ১৫/০৭/২০২৪ খ্রি.

তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা,,,,শান্তনু কুমার পাল টুটুল স্যার রংপুর সরকারি সিটি কলেজ।

 ‘’ তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা “


ছবিটি একটু ভালো করে দেখুন তো! আমি এই তাজহাট জমিদার বাড়িতে গেলে সবকিছু খুঁটিয়ে দেখার পাশাপাশি এই উত্তরাধিকার ফলকটির কাছে গিয়ে থমকে দাঁড়াই। দীর্ঘনিশ্বাসও বেরিয়ে আসে। 


এই ফলকের কেউ আর জীবিত নাই। সবাই ছবি হয়ে গেছেন! একটা সময় কত দাপটের সাথে ছিলেন সবাই। তাদের কত শখ, সাধের এই ইমারতে এখন হাজারো অচেনা মানুষের পদচারণা! 


আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করুন। চার পাঁচ প্রজন্ম বাদেই এই বিশাল জমিদারির মালিক হয়ে গেলো অন্য রক্তের একজন (মামা)। আর তারপর!?  তারপর পালিত পুত্র ও তাঁর বংশধরেরা! এখন সেখানে আমাদের মতো সাধারণ দর্শনার্থী ঘুরে বেড়ায় যত্রতত্র! 


কি বিচিত্র এই পৃথিবীতে বাস করছি আমরা !  এতো কিছু দেখেও আমরা কিছু কিছু শিখি? না, শিখি নাই। সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছি তারপরও! কেন?  কি জন্য?  কার জন্য? 


এসব কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম। হাজার চেষ্টাতেও তা কেউ খন্ডাতে পারবে না।


কারমাইকেল কলেজের শত বিঘা জমি যাঁরা দান করেছিলেন, তাঁদের উত্তরসূরীদের কাছে এখন বসতভিটা আর সামান্য কিছু জমি ছাড়া অবশিষ্ট কিছু নেই। 


রংপুরের পালপাড়ার অর্ধেকের বেশি অংশ জুড়ে ছিল আমার দাদুর জমি। কুকরুলে ছিল শত দোন ( ১ দোন = ২৪ শতক)  আবাদি জমি। এখন শুধুমাত্র বসত ভিটা ছাড়া কিচ্ছুটি নেই।


‘’ তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা’’ মত আমি পালপাড়ায় গেলে অবাক বিস্ময়ে অট্টালিকাগুলোর দিকে চেয়ে থাকি! যে বিস্তীর্ণ জমিগুলো ছিলো আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি, দৌড়ঝাপ করে যেখানে কেটেছে আমাদের শৈশব , সেখানে এখন একদম অচেনা, অজানা শত মানুষের বসতি! 


আমরা শুধু বর্তমান দেখি। অতীত থেকে শিক্ষা নিই না। ভবিষ্যতকে নিরাপদ করার আকাঙ্খায় সৎ-অসৎ কিংবা বৈধ-অবৈধ উপায়ে সম্পদ, বাড়িঘরের পাহাড় গড়তে চাই। আমরা এভাবে বেঁচেও শান্তি পাচ্ছি না, মরেও শান্তি পাবো না। আপনার গড়ে তোলা শত কোটি টাকার অট্টালিকায় বাস করবে আপনার অচেনা কেউ!


©শান্তনু কুমার পাল টুটুল স্যার

রংপুর সরকারি সিটি কলেজ।

চিরায়ত বাংলার নৌকা শিল্প: কত বিচিত্র ধরনের নৌকা ছিল আমাদের!

 ✅ চিরায়ত বাংলার নৌকা শিল্প: কত বিচিত্র ধরনের নৌকা ছিল আমাদের!



বাংলাদেশে নৌকা একটি প্রাচীন বাহন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে নৌকা এখনও স্থানীয় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। টণ্য পরিবহনের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। গঠনশৈলী ও পরিবহনের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের নৌকার প্রচলন ছিল, কিছু কিছু এখনও রয়েছে। এগুলো নিয়ে আজকের আয়োজন-


ডিঙ্গি: 

আকারে ছোট এ নৌকা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এটি নদী পারাপার বা অল্প পরিমাণ পণ্য পরিবহনে কাজে লাগে। আকারে ছোট বলে এটি চালাতে একজন মাঝিই যথেষ্ট। মাঝে মাঝে এতে পালও লাগানো হয়। নদী তীর বা হাওর-বাওরের প্রায় সকল মানুষ এই নৌকাটি ব্যবহার করেন।


কোষা: 

চরাঞ্চলে বা বিলে বর্ষায় কোষা দেখা যায়। অন্যান্য নৌকার মতো এর গলুইয়ের কাঠ বড় থাকে না। অঞ্চল বিশেষে এর আকার কমবেশি হয়। কোষা পারিবারিক নৌকা হিসেবে হাটবাজারসহ স্বল্প দূরত্বে চলাচলের কাজে লাগে। একটি আদর্শ কোষা নৌকায় ৮জন যাত্রী বহন করা যায়। এতে ছই থাকে না। এটি বৈঠা দিয়ে চালানো হয়, তবে অগভীর জলে লগি ব্যবহার করে চালানো যায়। ভারি ও বেশি ওজন বহনের উপযোগী কোষাকে বলা হয় ‘ঘাসী নৌকা’।


ডোঙা: 

তালগাছের কাণ্ড কুঁদে বানানো ডোঙা বেশ টেকসই। এতে খুব বেশি মানুষ বা মালামাল নেওয়া যায় না। পার্শ্বদেশ বা বিস্তার এতই কম যে, এতে পাশাপাশি দু’জন বসা কষ্টসাধ্য। একটু বেসামাল হলে,ডোঙ্গা উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। ডোঙায় দাঁড়লে যাতে তলা ফেঁসে না যায়, সেজন্য এর তলদেশ বেশ মোটা রাখা হয়। তাল গাছের কাণ্ড সহজে পচে না বলে ডোঙা কয়েক বছর ব্যবহার করা যায়।


সাম্পান: 

সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে বেড়ায় সাম্পান। চট্টগ্রাম ও কুতুবদিয়া এলাকায় সাম্পান নৌকা বেশি দেখা যায়। এ নৌকাগুলির সামনের দিকটা উঁচু আর বাঁকানো, পেছনটা থাকে সোজা। প্রয়োজনে এর সঙ্গে পাল থাকে আবার কখনও থাকে না। একমাঝি চালিত এই নৌকাটি মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহার হয়। এক সময় বড় আকারের সাম্পানও দেখা গেলেও এখন তা বিলুপ্ত। সাতজন মাঝি থাকতো আর থাকতো ৩কোণা আকারের ৩টি করে পাল।


বজরা: 

আগের দিনে ধনী লোকেরা শখ করে নৌকা ভ্রমণে যেতেন। তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিল ‘বজরা’। বজরাতে তারা এক রকম ঘরবাড়ি বানিয়ে নিতেন। ফলে এতে খাবার দাবারসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাই থাকতো। কোনটিতে আবার পালও থাকতো। এতে থাকতো চারজন করে মাঝি। বজরা মূলত সিরাজগঞ্জ ও পাবনা অঞ্চলে দেখা যেত।


গয়না: 

গয়না আকৃতিতে মাঝারি। এটি কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে বেশি দেখা যেত। মূলত যাত্রী পারাপারের কাজেই এদের ব্যবহার করা হতো। একসঙ্গে প্রায় ২৫-৩০ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা ছিল এই নৌকার। রাজশাহী অঞ্চলে এর থেকেও বড় আকারের গয়না নৌকা পাওয়া যেতো। এরা আকারে যেমন বড় তেমনি এই নৌকায় বেশি সংখ্যক যাত্রীও উঠতে পারতো। বর্তমানে এই নৌকাও বিলুপ্তির পথে।


বাইচের নৌকা: 

বাইচের নৌকা লম্বায় দেড়শ থেকে দুইশ ফুট পর্যন্ত হয়। প্রতিযোগিতার সময় এতে পঁচিশ থেকে একশ জন পর্যন্ত মাঝি থাকে। আগে নবাব বাদশাহরা বাইচের আয়োজন করতেন। এইসব বাইচের নৌকার আবার সুন্দর সুন্দর নাম দেওয়া হতো, যেমন- পঙ্খীরাজ, ঝড়ের পাখি, দ্বীপরাজ, সোনার তরী ইত্যাদি। কিশোরগঞ্জ, পাবনা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে এসব নৌকা ছিল।


বাচারি নৌকা​: 

বাচারি নামের নৌকাটিও বাণিজ্যিক নৌকা ছিল। ৪০ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম বাছারি গত কয়েক দশক আগেই বিলুপ্তির পাতায় চলে গেছে।


বাতনাই: 

এর অপর নাম ‘পদি’। এটি মালবাহী বজরার একটি সংস্করণ। খুলনা অঞ্চলে মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই বজরাগুলো অনেক বড় হয়। বর্তমানে এই বজরা আর দেখা যায় না। যান্ত্রিক নৌকার ব্যবহারের কারণে এ নৌকার ব্যবহার অনেক কমে গেছে। এ নৌকার বড় খরচ ছিল এর লোকবল। এটা এতটাই ভারি হতো যে এটি চালাতে ১৭-১৮ জন মাঝি লাগতো।


ময়ূরপঙ্খী: 

রাজা বাদশাহদের শৌখিন নৌকার নাম হলো ‘ময়ূরপঙ্খী’। এর সামনের দিকটা দেখতে ময়ূরের মতো বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ময়ূরপঙ্খী’। এই নৌকা চালাতে প্রয়োজন হয় চারজন মাঝির। নৌকায় থাকতো দুটো করে পাল।


বালার: 

কুষ্টিয়া অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রাচীনকাল থেকে এখনও নৌকা ব্যবহার হয়ে আসছে। সেখানে বিখ্যাত নৌকার নাম হলো ‘বালার’। এ নৌকাগুলি আকারে অনেক বড় হয় এবং প্রায় ১২-৫৬ টন মালামাল বহন করতে পারে। আর বৈঠা বায় ১০-১২ জন মাঝি। এ ধরনের নৌকায় পাল থাকে দুটো।


পানসী: 

নৌকায় চড়ে দূরে কোথাও যাওয়ার একমাত্র ও অন্যতম মাধ্যম ছিল পালতোলা পানসি। পানসীতে চড়ে মাঝি মাল্লার ভাটিয়ালি, মুর্শিদী আর মারফতি গান গেয়ে মন কেড়ে নিতো যাত্রীদের। বরিশাল অঞ্চলে এটি প্রচুর দেখা যেতো। কালের বিবর্তনে পানসি নৌকা প্রায় হারিয়ে গেছে।


পাতাম: 

এক ধরনের যুগল নৌকা। দুটি নৌকাকে পাশাপাশি রেখে ‘পাতাম’ নামক লোহার কাঠাটা দিয়ে যুক্ত করে এ যুগল নৌকা তৈরি করা হয়। একে অনেক সময় জোড়া নাও বলে। এ নৌকা মূলত মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এতে মাঝি ছাড়া ৪জন দাঁড়টানা লোক থাকে। এতে একটি পাল খাটানোর ব্যবস্থা থাকে। এক সময় এই নৌকা সিলেট ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে দেখা যেতো। এখন বিলুপ্তপ্রায়।


ছুঁইওয়ালা বা একমালাই: 

পালতোলা পানসির মতো ছুঁইওয়ালা একমালাই ছিলো দূরপাল্লার নৌকা। বরিশালের দুশুমি গ্রাম ও আশপাশের এলাকাসহ উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের সদস্যরা ছুঁইওয়ালা নৌকার মাঝি হিসেবে বাপদাদার পেশাকে এখনো আঁকড়ে ধরে রেখেছে।


মলার নৌকা: 

পাবনা অঞ্চলে একসময় তৈরি হতো মলার নৌকা। এটাও মূলত মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হতো। ১২ থেকে ৫৬ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম এ নৌকায় পাল থাকে দু’টি, দাঁড় ছয়টি। এ ধরনের নৌকাও এখন বিলুপ্তির পথে।


বালার নৌকা: 

কুষ্টিয়া অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নৌকা ছিল বালার। এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রাচীনকাল থেকে এ নৌকা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নৌকাগুলো আকারে বড় হয়, যা দৈর্ঘ্যে ১২-১৮ মিটার হয়ে থাকে। বৈঠা বায় ১০-১২ জন মাঝি। এ নৌকায় পাল থাকে দুটো।


ইলশা নৌকা: 

ইলিশ মাছ আহরণে জেলেরা এই নৌকা ব্যবহার করে থাকে বলে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। এসব নৌকাও পাল লাগানো থাকে।


সওদাগরী নৌকা: 

ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সওদাগরগণ এই নৌকা ব্যবহার করে দেশ দেশান্তরে ঘুরে বেড়াতেন। এসব নৌকায় বহু জন বহন করার ক্ষমতা ছিল। এতেও পাল লাগানো হতো। যা এখন বিলুপ্ত।


তথ্যসূত্র:

১. বাংলাপিডিয়া

২. বাংলাদেশের নৌকা, এম এ তাহের

৩. বার্জ ফর বাংলাদেশ, ইভ মার

৪. নৌকার সাতকাহন: বাংলাদেশের

 নৌকার যতো মজার নাম।

 

#ইতিহাস #নৌকা #trend #highlights #friends #followers #trending #virals #fbreels #reelsfb #foryou


 (সংগৃহীত তথ্য)

চার্লি চ্যাপলিন।

 ১৯৭২ সালে ৮৩ বছর বয়সে যখন অস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন , টানা বারো মিনিট হাততালির ঝড় বয়ে যায় অস্কার মঞ্চে। অস্কারের ইতিহাসে সেটাই ছিল দীর্ঘতম অভ্যর্থনা। আবেগে প্রায় কিছুই তিনি বলতে পারেননি সে দিন। 


ব্রিটিশ এই কিংবদন্তি মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে কুড়ানো তুমুল জনপ্রিয়তাকে সঙ্গী করে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেই দেশ কত চেয়েছে তাকে নাগরিকত্ব দিতে। তিনি নেননি। তিনি কখনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে চাননি। পরে যুক্তরাষ্ট্র একসময় 'কমিউনিস্ট' বলে 'গালি দিয়ে' তার জন্য দরজা বন্ধ করে দেয়। তাই বাকি জীবন কাটানোর জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডকে। 


যখন খ্যাতির শীর্ষে তখন একবার দুই দিনের জন্য জন্মভূমি ইংল্যান্ডে গেলেন। আর এই সময়ের মধ্যে ঘটে গেল অবাক কাণ্ড। মাত্র দু’দিনে তাঁর কাছে প্রায় ৭৩ হাজার চিঠি আসে !


তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, তাঁর কাছে সৌন্দর্য মানে নর্দমায় ভেসে যাওয়া একটা গোলাপ ফুল। এই যে বীভৎস দ্বন্দ্ব থেকে সৃষ্টি হওয়া সৌন্দর্য, এখানেই বাস্তবতার সব নিষ্ঠুর দরজা খুলে যায়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি দুঃসহ শৈশব বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন। যেখানে তাঁর মাতাল বাবা, মাকে নির্যাতন করত ছোট্ট শিশুটির সামনেই। একসময় সেই বাবা মাকে ছেড়ে যায়, তাতে সামান্য সময়ের জন্য হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন । কিন্তু কতক্ষণের জন্য? পরেরবার খিদে লাগার আগেপর্যন্ত! 


মা কখনও সস্তা নাটকে অভিনয় করতেন, কখনও সেলাই করতেন, কখনও বা মা–ছেলে মিলে ভিক্ষা করতেন। কখনও নরম নিষ্পাপ হাতে দিব্যি চুরি করতেন। এর মাঝেই অসুখে পড়ে ভুগে মারা যান মা। আর তাঁর নির্বাক কমেডি নাড়া দিতে থাকে সমগ্র ইংল্যান্ডকে। তাই তো তিনি বলেছেন, সত্যিকারের কমেডি তখনই করা যায়, যখন নিজের সব দুঃখ, বঞ্চনা সফলভাবে গিলে ফেলা যায়। 


আর তাঁর জনপ্রিয়তা ?


রাশিয়ার এক ভক্ত নভোবিজ্ঞানী তাঁর আবিষ্কৃত উপগ্রহের নাম রাখেন ৩৬২৩ চ্যাপলিন ! আর এদিকে জাঁদরেল চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ লুক গদার চ্যাপলিনকে তুলনা করেছিলেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির সঙ্গে।


তিনি কমেডিয়ান নন, অভিনেতা নন, সব ছাপিয়ে তিনি মহান শিল্পীর ঢিলেঢালা কোট গায়ে এক তুখোড় বিপ্লবী। তিনি চার্লি চ্যাপলিন।

ধ্রুবতারা ধ্রুব নয় - তা নিজেও পরিবর্তিত হয়

 ধ্রুবতারা ধ্রুব নয় - তা নিজেও পরিবর্তিত হয়


ধ্রুবতারা - নামটি শুনলেই উত্তর দিগন্তের খুব স্বপ্লোজ্জ্বল মিটিমিটি করে জ্বলতে থাকা একটি তারার কথা মনে হয়। সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই এ তারাটি খুব বিখ্যাত, পরিচিত। কারণ, রাতের আকাশে অন্য সকল তারাদেরকে আমরা স্হান পরিবর্তন করতে দেখলেও, এটিই একমাত্র তারা যাকে খালি চোখে স্হান পরিবর্তন করতে দেখা যায় না। তাই, রাতের অন্ধকার, গহীন জঙ্গল কিংবা অন্ধকার গভীর মহাসাগরে নাবিকরা এ ধ্রুবতারাকে লক্ষ্য করে দিক চিহ্নিত করে যাত্রা করতেন। যুগের পর যুগ কিংবা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধ্রুবতারাকে অপরিবর্তিত দেখালেও কালের পরিক্রমায় ধ্রুবতারারও স্হান পরিবর্তিত হয়। শুধু তাই না, ধ্রুবতারারুপে যে তারা দেখি সেখানে অন্য তারাও চলে আসে! কিভাবে, তা জানার আগে প্রথমে কিছু বিষয় সম্পর্কে দেখি।


ধ্রুবতারার পরিচয়


রাতের আকাশে অন্য সকল তারার মতোই ধ্রুবতারাও একটি সাধারণ তারা ই। এর ইংরেজী নাম Polaris এবং এটি উরসা মাইনর নক্ষত্রমন্ডলের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা বিধায় সে হিসেবে এর নাম আলফা উরসা মাইনোরিস। এর বাংলা নাম ধ্রুবতারা দেবার কারণ হলো, এর অপরিবর্তনীয় ধ্রুব অবস্হান। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪৪০ আলোকবর্ষ। এটি আকারে ও ভরে প্রায় আমাদের সূর্যের মতোই। তবে এর পৃষ্ঠ তাপমাত্রা সে তুলনায় খানিকটা বেশি। তাই মোটের উপর এর উজ্জ্বলতা সূর্যাপেক্ষা খানিকটা বেশি।


ধ্রুবতারা কেন ধ্রুব? কেন একে সর্বদা একই স্হানে দেখা যায়?


আমরা আকাশের সকল তারাকেই পূর্ব আকাশে উদীত হয়ে পশ্চিম আকাশে অস্ত যেতে দেখি কেন? কারণ, পৃথিবী তার নিজ অক্ষে ক্রমাগত পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে। একই সাথে পৃথিবীপৃষ্ঠ গোলাকার হওয়ায় আমরা বিষুবীয় অঞ্চল থেকে যেসব তারাদের খাঁড়া মাথার উপর দিয়ে অতিক্রম করতে দেখি, যদি উত্তর মেরুর দিকে অগ্রসর হতে থাকি, তবে সেসব তারাদেরাে ক্রমেই দক্ষিণ দিকে হেলে আকাশ অতিক্রম করতে দেখবো। একইভাবে, যদি দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হই, তবে তাদেরকে উত্তর আকাশে হেলে অতিক্রম করতে দেখবো। এখন, যদি আমরা বিষুবী অঞ্চল হতে ক্রমেই উত্তর দিকে যেতে থাকি এবং একেবারে পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের উত্তর মেরুবিন্দুতে পৌঁছে যাই, তবে দেখবে ধ্রুবতারা ঠিক আমাদের মাথার উপরে এবং তার চারপাশে তাকে কেন্দ্র করেই সকল তারারা যেন ঘুরছে।


এর অর্থ হচ্ছে, পৃথিবী নিজ অক্ষে ঘুরার কারণে তার ঘূর্ণন অক্ষ মহাশূণ্যের দিকে ঠিক সে বরাবর মুখ করে রয়েছে, যে বরাবর পোলারিস অবস্থিত। অন্যকথায়, আমাদের স্বাপেক্ষে ধ্রুবতারার অবস্হান মহাশূণ্যে এমন জায়গায়, পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের উত্তর মেরু যেন ঠিক সে বরাবরই মুখ করে রয়েছে। তাই, আমাদের চোখে ইল্যুশন আকারে ধ্রুবতারাকে অপরিবর্তনীয় অবস্হায় অবস্থান করতে দেখায় এবং এ কারণেই এর বাংলা নাম ধ্রুবতারা।


ধ্রুবতারা কি আকাশে সত্যিই স্হির?

উত্তর হচ্ছে, না। ধ্রুবতারাকে একটি বৃত্তাকার পথে ঘুরতে দেখায়। কিন্তু তা খুবই খুবই ক্ষুদ্র পথে। পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের উত্তর মেরু বিন্দু মহাশূণ্যের দিকে ঠিক যে রেখা বা, বিন্দু বরাবর অবস্থিত, ধ্রুবতারা সে বিন্দু হতে প্রায় ০.৭° দূরে অবস্থিত। উদাহরণস্বরূপ, আমরা রাতের আকাশে চাঁদকে যে গোলাকার চাকতির আকারে দেখি, তার ব্যাস প্রায় ০.৫°। অর্থ্যাৎ, যদি আমরা ধরি, দৃশ্যমান চাঁদের ব্যাসের এক প্রান্ত বরাবর পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের উত্তর মেরুরেখা অবস্হিত, তবে ধ্রুবতারার অবস্হান হবে চাঁদের ব্যাসের অপর প্রান্ত থেকেও খানিকটা দূরে। প্রতিদিন তাই পৃথিবী নিজ অক্ষে ঘুরার কারণে ধ্রুবতারাও আকাশে একটি বৃত্তাকার পথে আবর্তন করে। তবে খালি চোখে এটি বোঝা যায় না। কারণ, এ পথ খুবই ক্ষুদ্র। তবে স্টার ট্রেইল ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বোঝা যায়।


কিন্তু মজার বিষয় হলো, ধ্রুবতারার নিজের অবস্হানও ধ্রুব নয়! প্রায় ২৭,০০০ বছর পর পর তার স্হান পরিবর্তিত হয়। অর্থ্যাৎ, প্রতি ২৭,০০০ বছর পর পর ধ্রুবতারা নামে আমরা যে তারা দেখি, সেখানেই অন্য তারাকে ধ্রুবতারারুপে দেখা যায়। কিভাবে ও কেন তা ঘটে, সে সম্পর্কে পরবর্তী পোষ্টে আলোচনা করা হবে।


বিষয়টি আমার প্রকাশিত জ্যোতির্বিজ্ঞানে হাতেখড়ি বই থেকে নেয়া।

দিনাজপুরের ঘুঘুডাঙ্গা ইউনিয়নের বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে

 ⛔তিনটি হাড়ি⛔


(✍️দিনাজপুরের ঘুঘুডাঙ্গা ইউনিয়নের বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে✍️)


দিনাজপুর জেলার ঘুঘুডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর পাশে এক অখ্যাত গ্রাম—ভোঁপাড়ী। মানুষের মুখে মুখে ফেরে এই গ্রামের এক পোড়োবাড়ির ভয়াল গল্প। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে এখানে ঘটে গিয়েছিল এমন একটি ঘটনা, যা রাত হলেই বাতাসে চাপা কান্না আর ফিসফাস হয়ে ফিরে আসে। আর সেই গল্পের কেন্দ্রবিন্দু—তিনটি হাড়ি এবং তাতে বন্দি তিনটি জীন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের গবেষক রফিকুল হক লোককাহিনি ও গ্রামীণ তন্ত্র-মন্ত্র নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তার সঙ্গে ছিল দুই ছাত্র, তানিম ও মারুফ। তারা খবর পান, দিনাজপুরের ঘুঘুডাঙ্গা ইউনিয়নের ভোঁপাড়ী গ্রামে একটি পোড়োবাড়ি আছে যেখানে নাকি তিনটি জীন বন্দি।


গ্রামে পৌঁছে তারা সাক্ষাৎ পান বৃদ্ধ আজাহার আলীর সাথে। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি ১৯৭২ সালের সেই অভিশপ্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তার চোখে যেন ধরা পড়ে সত্তর বছরের হতভাগ্য ইতিহাস। তিনি বলেন:


> “ওই হাড়িগুলো কেউ ছোঁয় না। খোদা কসম, যেই ছুঁয়েছে, তার আর দুনিয়ায় ফেরা হয়নি। ওদের নাম নিলেও শরীর কাঁপে। হাড়ির ভেতরে বন্দি করা হয়েছে তিনটা জীন—ইবলিস, হাফসা আর রায়ান। ওরা একেকজন একেক রকম বিভীষিকার প্রতীক।”


রফিকুল এই সাবধানবাণীকে গবেষণার অতিরঞ্জন ভেবে উড়িয়ে দেন। তারা সেদিন রাতে পোড়োবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গ্রামের লোকেরা বারবার নিষেধ করলেও তিনজনের কৌতূহল ছিল দমে যাওয়ার নয়।


পোড়োবাড়ির রান্নাঘরে তারা খুঁজে পান তিনটি মাটির হাড়ি। প্রতিটির গায়ে খোদাই করা আছে জটিল আরবি লিপি, কুফরি মন্ত্র ও প্রতিটি জীনের নাম। সেই সাথে প্রতিটি হাড়ির ঢাকনার ওপরে একটি সিলমোহর খোদাই করা ছিল—একটি চোখ, একটি সাপ ও একটি থুতনিবিহীন মুখ।


আজাহার আলী ব্যাখ্যা করেন, “এই প্রতীকগুলো জীনদের ক্ষমতা বোঝায়। চোখ প্রতীক ইবলিসের—সে মানুষের অন্তরের ঘৃণা ও লোভ দেখে। সাপ প্রতীক হাফসার—সে কাম ও মায়ার বিষ ছড়ায়। আর থুতনিবিহীন মুখ রায়ানের—কারণ সে কণ্ঠরুদ্ধ মৃত্যুর প্রতীক।”


তারা একে একে খুলে ফেলে তিনটি হাড়ির ঢাকনা। বাতাস হঠাৎ ভারী হয়ে ওঠে, আর ঘরের মোমবাতির আলো নিভে যায়।


ইবলিস—আগুনের জীন, ছিল মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন আগ্নেয়গিরির গুহায়। সে একসময় এক রাজাকে হিংস্র করে তুলেছিল, যার ফলে এক রাতেই ৩০০ মানুষ মারা যায়।


হাফসা—সুন্দরী নারীজীন, একসময় একজন তুর্কি সুফি সাধকের শিষ্যবেশে ঢুকে তার জীবন ধ্বংস করে দেয়। সে বিভ্রান্তির দেবী, পুরুষদের মন থেকে সংসারের ভালোবাসা শুষে নেয়।


রায়ান—ছায়ার জীন, ছিল পারস্যের এক সমাধিতে। একবার সে একজন শিশুকে প্রতি রাতে স্বপ্নে এসে কাঁদতে বাধ্য করেছিল। ৩৬ দিন পরে সেই শিশু ঘুমেই মারা যায়।


এই তিন জীনকে বন্দি করেছিলেন আফগান তান্ত্রিক আল-খাত্তাব। তিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শেষে গ্রামে এসে গোপন সাধনায় লিপ্ত হন। সাত রাতের কুফরি মন্ত্রে, নিজের রক্ত দিয়ে বানান তিনটি সিলমোহর। তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, “এই মুদ্রা না ভাঙা পর্যন্ত ওরা বন্দি থাকবে। তবে যারা এগুলো ভাঙবে, তারাই হবে ওদের পরবর্তী বাসস্থান।”


রাত ৩টার দিকে পোড়োবাড়ি কেঁপে ওঠে। তানিম চিৎকার করে বলে, “আমার চোখ! আমি দেখতে পাচ্ছি আগুন!” তার মুখ গলে যায়, হাড় বেরিয়ে পড়ে। মারুফ খালি চোখে দেখে হাফসাকে, তার হাত ধরে সে এগোয় এবং বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেয়। তার দেহ খুঁজে পাওয়া যায় দিঘির পাশে, ঠোঁটে হাসি।


রফিকুল অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় বটগাছের নিচে। তার জ্ঞান ফিরে আসে পরবর্তী সপ্তাহে, কিন্তু সে তখন ছিল দিনাজপুর মানসিক হাসপাতালে।


ডা. শওকত হাসান, যিনি তখন হাসপাতালের ইনচার্জ ছিলেন, জানান:


> “রফিকুল সারা দিন দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকত। সে বারবার বলে, ‘ওরা এখন আমার ভিতরে... আমার চোখ দিয়ে দেখছে... আমার কণ্ঠ দিয়ে বলছে।’ আমরা তাকে থেরাপি দিয়েছি, কিন্তু কিছুদিন পর সে সম্পূর্ণ নির্বাক হয়ে যায়। শুধু মাঝে মাঝে সে হাড়ির মতো ঠোঁট গোল করে ফুঁ দেয়, যেন কিছু ফেরাচ্ছে।”


রহিম চাচা:


> “আমার বাবা বলত, রাতে ওই বাড়ির জানালা থেকে এক শিশু হাত বাড়িয়ে দিত। কিন্তু সেখানে তো কেউ থাকে না। ১৯৯১ সালে আমার মামা ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার পর পাগল হয়ে যায়।”


হাজেরা খালা:


> “আমরা ছোট থাকতে রাতে হাড়ির ঢাকনা খুলে হালকা আওয়াজ পেতাম। মা বলতেন, ‘চুপ করো, হাফসা গান ধরেছে।’”


মৃত গোরস্থান পাহারাদারের ছেলে, জব্বার:


> “আমার আব্বা বলতেন, ওই পোড়োবাড়ির ভেতরে তিনটা ছায়া হাটে। তারা নাম ধরে ডাকে। একবার তুমি সাড়া দিলে, আর ফিরে আসা হয় না।”


ভোঁপাড়ী গ্রামের লোকেরা জানে, এই ঘটনা বানানো নয়। তার প্রমাণ—আজও কেউ পোড়োবাড়ির পাশ দিয়ে যায় না। বাড়ির দেয়ালে রক্তে লেখা দেখা যায় আরবি শব্দ—"اخرج من هنا" (এখান থেকে চলে যাও)। রাত নামলেই বাতাস ভারী হয়ে ওঠে, এবং তিনটি হাড়ির গল্প আবার নিঃশব্দে ফিরে আসে।


আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটনা আছে, যেগুলো বিশ্বাস হওয়ার মতো নয়। কিন্তু বিশ্বাস করা না করা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার।


যার সাথে ঘটে, শুধু সে-ই জানে—ভয়ের গভীরতা কতটা হতে পারে।


#সংগৃহীত

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

  নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসু...