এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

ফাইলে রিয়ার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ___


 📚 ফাইলে রিয়ার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা -


✍️ ফাইলেরিয়া (Filariasis) একধরনের পরজীবীঘটিত রোগ যা সাধারণত মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি Wuchereria bancrofti, Brugia malayi, বা Brugia timori নামক ফাইলেরিয়াল ওয়র্ম দ্বারা হয়। এটি প্রধানত লসিকা (lymphatic) সিস্টেমকে আক্রান্ত করে এবং ধীরে ধীরে হাত, পা, যৌনাঙ্গ প্রভৃতিতে ফোলা (elephantiasis) সৃষ্টি করতে পারে।


🩺 ফাইলেরিয়ার লক্ষণসমূহ:


* পা, হাত, অণ্ডকোষ, স্তন ইত্যাদি অঙ্গের অস্বাভাবিক ফোলা

* উচ্চ জ্বর (প্রায়শই সন্ধ্যাবেলা বাড়ে)

* কাঁপুনি ও ঘাম

* লসিকা গ্রন্থির ব্যথা (Lymphadenitis)

* ত্বকে ঘা বা সংক্রমণ

* দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে ত্বকে মোটা ও শক্ত পরিবর্তন

⚕️  ফাইলে রিয়ার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা-


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক এবং রোগীর সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে করা হয়। নিচে ফাইলেরিয়ার জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ হোমিও ঔষধ দেওয়া হলো:


🌿 1. Hydrocotyle Asiatica


* অতিরিক্ত লসিকাজনিত ফোলাভাব

* চামড়া মোটা হয়ে যাওয়া

* হস্ত ও পায়ে elephantiasis টাইপ ফোলা


🌿 2. Arsenicum Album


* ত্বকে ঘা, পুঁজ পড়া বা জ্বালাভাব

* রোগী দুর্বল, অস্থির ও উদ্বিগ্ন

* রাতের বেলায় জ্বর ও ফোলা বাড়ে


🌿 3. Silicea


* দীর্ঘস্থায়ী ফোলা ও পুঁজ পড়া

* শরীরে প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে কার্যকর

* ফিস্টুলা বা ঘা হলে উপকারী


🌿 4. Graphites


* মোটা, শুষ্ক, চামড়া সহ elephantiasis

* নির্গত তরলে আঠালো ভাব

* ত্বকে ফাটল, ফোড়া বা ঘা


🌿 5. Calcarea Fluorica


* কঠিন টিউমার টাইপ ফোলা

* চামড়া মোটা ও শক্ত

* ধীরে ধীরে হওয়া ফোলাভাব


 6. Thuja Occidentalis


* দীর্ঘস্থায়ী পরজীবী সংক্রমণে উপকারী

* লসিকা গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে

* অনাকাঙ্ক্ষিত ও বেমানান ফোলা হলে


 📝 পরামর্শ-


* ফাইলেরিয়া অনেক সময়ে দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাই চিকিৎসা দীর্ঘদিন চলতে পারে।

* চিকিৎসা শুরুর আগে হোমিওপ্যাথিক অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

* আক্রান্ত অংশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মশার কামড় থেকে বাঁচা অত্যাবশ্যক।


✍️ ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার, সভাপতি বাংলাদেশ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক ফোরাম, ইভা হোমিও হল, আশুলিয়া থানা বাসস্ট্যান্ড, বাইপাইল, সাভার, ঢাকা। মোবাইল নাম্বার 01716-651488

থানকুনি পাতার উপকারিতা

 👉👉থানকুনি পাতার উপকারিতা


👇👇👇👇(Centella Asiatica Benefits):


1. হজম শক্তি বাড়ায় ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে


2. লিভার পরিষ্কার করে


3. ত্বক উজ্জ্বল করে ও ব্রণ কমায়


4. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা হ্রাস করে


5. স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক


6. রক্ত পরিষ্কার করে


7. শরীর ঠান্ডা রাখে


8. ইনফ্লামেশন কমায়


9. পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে


10. রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে


✅ থানকুনি পাতার ৩০টি চমৎকার টিপস 🍃


🥗 স্বাস্থ্য ও খাবার:


1. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৫টি পাতা খেলে হজমশক্তি ভালো থাকে


2. থানকুনি পাতার রস খেলে পাইলসের উপকারে আসে


3. পাতার রস ১ চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে লিভার পরিষ্কার হয়


4. থানকুনি পাতা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেলে গ্যাস্ট্রিক দূর হয়


5. পাতার রস পান করলে ত্বকের ফুসকুড়ি কমে


6. পাতার রস নারকেল পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে


7. পাতার সঙ্গে কালোজিরা বাটা খেলে পেটের ব্যথা উপশম হয়


8. থানকুনি পাতার রস গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে ইউরিন ইনফেকশন কমে


9. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দিনে একবার থানকুনি পাতার রস উপকারী


10. মুখের দুর্গন্ধ কমাতে পাতার রস দিয়ে গার্গল করুন


💆‍♀️ রূপচর্চা ও ত্বক পরিচর্যা:


11. থানকুনি পাতা বেটে মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন


12. ব্রণর ওপর পাতার রস দিলে ব্রণ শুকিয়ে যায়


13. থানকুনি গুঁড়ো ও বেসনের মিশ্রণে স্ক্রাব তৈরি করুন


14. মাথার ত্বকে থানকুনি রস দিয়ে ম্যাসাজ করলে খুশকি কমে


15. চোখের নিচে কালো দাগে পাতার রস তুলো দিয়ে লাগান


16. পিগমেন্টেশন কমাতে সপ্তাহে ২ দিন পেস্ট ব্যবহার করুন


17. লিপ ডার্কনেস কমাতে পাতার রস লাগান রাতে


18. পা ফাটার উপরে পাতার বাটা দিয়ে রাখলে ফাটল সারে


19. চুল পড়া রোধে পাতার রস নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন


20. ত্বক টানটান করতে পাতার পেস্ট নিয়মিত লাগান


🏡 ঘরোয়া ব্যবহার ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা:


21. পাতার গুঁড়ো শুকিয়ে সংরক্ষণ করে সবজিতে মিশিয়ে খান


22. শরবতে পাতার রস মিশিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখুন


23. শরীরে ঘা হলে পাতা বেটে লাগান


24. পাতার রস দিয়ে ললিপ্যাচ বানিয়ে মাথাব্যথা কমান


25. ছোট শিশুদের পেট ব্যথায় পাতার রস এক চামচ করে দিন


26. পাতার পেস্ট লাগালে মশার কামড়ের জ্বালা কমে


27. পেটের কৃমি দূর করতে রস খাওয়া উপকারী


28. হালকা জ্বর হলে পাতার রস খেলে উপশম হয়


29. গরমকালে ঘামাচি কমাতে পাতার পেস্ট লাগান


30. ত্বকে র‍্যাশ হলে পাতার রস তুলায় নিয়ে লাগান


📌 টিপস সংরক্ষণের আইডিয়া:


থানকুনি পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে বয়ামে রাখুন


ফ্রিজে পাতার রস বরফ বানিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন


স্কিন প্যাক তৈরির জন্য পেস্ট করে আইস কিউব করে রাখুন


👉 "একটি পাতায় হাজারো গুণ — থানকুনি পাতাকে রাখুন প্রতিদিনের রুটিনে!"

খুইরাকাটা গাছের উপকারিতাঃ

 খুইরাকাটা গাছের উপকারিতাঃ



 ১. প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ও কষ্টে

এই গাছের পাতার রস প্রস্রাবের সমস্যা, ইনফেকশন ও জ্বালাপোড়া দূর করতে সাহায্য করে।

 নিয়ম: পাতার রস সামান্য পানি মিশিয়ে খেতে পারেন ২ চামচ করে।


 ২. কিডনির সমস্যায় উপকারী

খইরাকাটা গাছ কিডনি পরিষ্কার করে, বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে।

 এটি কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে।


 ৩. জন্ডিস বা পিত্ত রোগে উপকারী

এই গাছের রস যকৃত লিভার পরিষ্কার করে এবং জন্ডিসে দারুণ উপকারী।

 কাঁচা পাতার রস খালি পেটে কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।


 ৪. রক্ত পরিশোধক

গাছটি রক্তের টক্সিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং ত্বক সতেজ রাখে।


 ৫. অর্শ/পাইলসে উপকারী

খইরাকাটা পাতার রস অর্শ বা পাইলস রোগে উপকারী হিসেবে পরিচিত।

 নিয়ম: সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়।


 ৬. চর্মরোগ, চুলকানি ও ফোড়ায়

পাতা বেটে বা রস লাগালে ঘা, ফোড়া, চুলকানিতে উপকার হয়।


 ৭. পেটের কৃমিনাশক হিসেবে

গাছের রস শিশুদের পেটের কৃমি দূর করতেও ব্যবহৃত হয় সীমিত পরিমাণে।


 ৮. রক্তশূন্যতা ও দুর্বলতায়

এই গাছ শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে।


 খাওয়ার সহজ নিয়ম:


কাঁচা পাতা বা ডাঁটা ধুয়ে রস করে খাওয়া যায়


ভর্তা বা ঝোল শাক হিসেবেও রান্না করা যায়


পাতার রস চর্মরোগে বাইরে প্রয়োগ করা যায়


 সতর্কতা:


খুব বেশি খাওয়া উচিৎ নয়, কারণ এটি শরীর গরম করে।


"যে গাছকে তুমি উপেক্ষা করো, সে তোমার রক্ত, কিডনি আর যকৃতের রক্ষক!"

 খুইরাকাটা গ্রাম বাংলার নিঃশব্দ ডাক্তার

 পাইলস, কিডনি, লিভার, প্রস্রাবের সমস্যা, জন্ডিস  সবকিছুরই প্রাকৃতিক সমাধান!

স্পঞ্জ মিষ্টি (রসগোল্লা) রেসিপি

 🍥 স্পঞ্জ মিষ্টি (রসগোল্লা) রেসিপি


🧂 উপকরণ:


ছানার জন্য:


দুধ – ১ লিটার (ফুল ফ্যাট)


লেবুর রস/sirka – ২ টেবিল চামচ (পানি মিশিয়ে হালকা করে নিন)


চিনির সিরার জন্য:


চিনি – ২ কাপ


পানি – ৪ কাপ


এলাচ – ২টি (ঐচ্ছিক)


গোলাপ জল – ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)


🧑‍🍳 প্রস্তুত প্রণালী:


➤ ১. ছানা তৈরি:


১. দুধ চুলায় জ্বাল দিন। ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে লেবুর রস/ভিনেগার দিন।

২. দুধ ছানা ও পানি আলাদা হয়ে গেলে ছানাটা পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন।

৩. ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে দিন যেন টকভাব চলে যায়।

৪. কাপড়ে মুড়ে ৩০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখুন যেন অতিরিক্ত পানি ঝরে যায়।


➤ ২. ছানা মেখে বল বানানো:


১. ছানা হাতের তালুতে ভালোভাবে মাখুন ৮-১০ মিনিট, যতক্ষণ না মসৃণ ও নরম হয়ে আসে।

২. মাখা ছানা থেকে ছোট ছোট গোল বল বানান (খেয়াল রাখুন ফাটল না থাকে)।


➤ ৩. চিনির সিরা বানানো:


১. প্যানে পানি ও চিনি দিন, ফুটে উঠলে এলাচ ও গোলাপ জল দিন।

২. সিরা ফুটতে থাকুক, এবার একে একে ছানার বলগুলো দিন।

৩. ঢেকে দিন ও মিডিয়াম আঁচে ২০ মিনিট রান্না করুন।


⏱️ ২০ মিনিট পর বলগুলো ২-৩ গুণ বড় হয়ে স্পঞ্জি হয়ে যাবে।


📝 টিপস:


ছানা যেন বেশি শুকনা না হয়, নরম নরম থাকতে হবে।


সিরা যেন ফুটতে থাকে, ঠান্ডা সিরায় বল দিলে ফুলবে না।


সিরা পাতলা রাখুন, ঘন সিরায় বল ফেটে যেতে পারে।


পৃথিবীর প্রথম পার'মা'ণবিক বোমা। নাম দেওয়া হয়েছিল 'ট্রিনিটি টেস্ট'। যা বদলে দিয়েছিল যু'দ্ধে'র ধরন, বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্র।

 আজ থেকে ঠিক ৮০ বছর আগে, ১৯৪৫ সালের ১৬ জুলাই ভোর ৫ টা ২৯ মিনিটে আমেরিকার নিউ মেক্সিকোতে এক ভয়াবহ ইতিহাস লেখা হয়েছিল। সেই শান্ত ভোরটাকে চুরমার করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী পরীক্ষা চালিয়েছিল পৃথিবীর প্রথম পার'মা'ণবিক বোমা। নাম দেওয়া হয়েছিল 'ট্রিনিটি টেস্ট'। যা বদলে দিয়েছিল যু'দ্ধে'র ধরন, বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্র।


বি'স্ফো'রণের নির্গত শক্তি ছিল ২১ কিলোটন টিএনটির সমান। মুহূর্তেই বাষ্প হয়ে গিয়েছিল ৩০ মিটার টাওয়ার আর আশেপাশের মাইলজুড়ে ছড়ানো তামার তার। ভয়ংকর উত্তাপে বালু, তামা আর রাস্তার পিচ মিলে তৈরি হয় একধরনের সবুজ কাঁচ। যার নাম দেওয়া হয় ‘ট্রিনিটাইট’।


এর কয়েক দশক পর বিজ্ঞানীরা এই ট্রিনিটাইটের মধ্যে খুঁজে পান এক আশ্চর্য বস্তু—‘কোয়াসিক্রিস্টাল’। সাধারণ ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের অণুগুলো একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে সাজানো থাকে, যেমন: লবণ, বরফ বা হীরা। কিন্তু কোয়াসিক্রিস্টালের অণুগুলো এমনভাবে সাজানো থাকে যে তাদের প্যাটার্ন কখনোই পুনরাবৃত্তি করে না (ইউনিক) !


প্রথম ১৯৮৪ সালে বিজ্ঞানীরা কোয়াসিক্রিস্টালের ধারণা দেন। কিন্তু তখন অনেকেই ভেবেছিলেন প্রকৃতিতে এমন জিনিস থাকা অসম্ভব। পরবর্তীতে ল্যাবে বিজ্ঞানীরা নিজেরাই তৈরি করে ফেলেন কোয়াসিক্রিস্টাল। তারপর মহাকাশ থেকে আসা উল্কাপিণ্ডেও মেলে এদের অস্তিত্ব।


তখন বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারলেন কোয়াসিক্রিস্টাল তৈরি হতে হলে অতিজোড়ালো চাপ, তাপ এবং শক দরকার হয় যা সাধারণত পার'মা'ণবিক বিস্ফোরণ, উল্কাপাত বা বজ্রপাতের সময়ই সম্ভব।  


এর পর বিজ্ঞানীরা আরো দুর্লভ লাল ট্রিনিটাইট  নিয়ে গবেষণা করেন। এই লাল ট্রিনিটাইটের মধ্যে তারা একটি ছোট দানায় কোয়াসিক্রিস্টাল খুঁজে পান, যা তৈরি হয়েছিল সিলিকন, তামা, ক্যালসিয়াম এবং লোহার মিশ্রণে। এই কোয়াসিক্রিস্টালের আকৃতি ছিল ২০-পার্শ্বযুক্ত, যা সাধারণ ক্রিস্টালের বৈশিষ্ট্যের সম্পূর্ণ বিপরীত!  


এই কোয়াসিক্রিস্টাল কীভাবে তৈরি হয় তা যদি বিজ্ঞানীরা ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে পার'মাণ'বিক বিস্ফোরণের প্রভাব বিশ্লেষণে এটি হতে পারে একটি কার্যকর সূচক। এমনকি কোনো দেশ গোপনে পার'মা'ণবিক পরীক্ষা চালালে, সেই অঞ্চলের মাটি বা শিলার মধ্যে কোয়াসিক্রিস্টালের উপস্থিতি বিশ্লেষণ করে ওই বি'স্ফোর'ণের সময় ও তীব্রতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।


লেখা: তাসিনুল সাকিফ

সূত্র: Proceedings of the National Academy of Sciences (PNA

মাউস ইউটোপিয়া" ও মানুষের ভবিষ্যৎ: Universe 25 থেকে পাওয়া শিক্ষা!

 🌌 "মাউস ইউটোপিয়া" ও মানুষের ভবিষ্যৎ: Universe 25 থেকে পাওয়া শিক্ষা!

১৯৬০ ও ৭০–এর দশকে আমেরিকান গবেষক জন বি. ক্যালহুন একটি ব্যতিক্রমী পরীক্ষা চালান, যেটির নাম ছিল *Universe 25*। এটি কোনো জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যায় নয়, বরং একটি ছোট জগৎ—ইঁদুরের 🐁 জন্য তৈরি করা এক “স্বর্গ”, যেখানে ছিল অঢেল খাবার, পানি, নিরাপদ আশ্রয় ও কোনো শিকারির ভয় নেই। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল: যদি সবকিছু সহজলভ্য হয়, তাহলে কীভাবে একটি সমাজ গড়ে ওঠে।

প্রথমে কেবল ৮টি ইঁদুর ছাড়া হয় এই "উটোপিয়ায়"। কিছু দিনের মধ্যেই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে—প্রায় প্রতি সপ্তাহেই দ্বিগুণ। সবকিছুই যেন ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু সমস্যা শুরু হলো যখন জনসংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেল।


⚠️ অতিরিক্ত শান্তির মাঝে অস্থির পতন

ইঁদুরের সংখ্যা অতিরিক্ত বাড়লেও যখন চারপাশে চাহিদা মেটানোর চিন্তা ছিল না, তখনই সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়তে শুরু করে।

👉 কিছু পুরুষ ইঁদুর অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, এলাকা দখলের জন্য মারামারি করে।

👉 দুর্বল পুরুষেরা আত্মগোপন করে, কারও সঙ্গে মিশতো না।

👉  কিছু মা ইঁদুর কখনো অতিরিক্ত আগ্রাসী হয়ে যেত, কখনো আবার সন্তানদের ফেলে দিত বা মেরে ফেলত।

👉 কিছু ইঁদুর, যাদের ক্যালহুন “The Beautiful Ones” নাম দেন, তারা কারো সঙ্গে মিশতো না—লড়াই করত না, প্রজননেও অংশ নিত না। তারা শুধু নিজের মতো করে থাকত, খেত আর গায়ে লেপটানো পশম পরিষ্কার করত।


ইঁদুরের সমাজে এই পরিস্থিতি ছিল মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক ভাঙনের এক নিখুঁত প্রতিচ্ছবি। ক্যালহুন যার নাম দেন  “Behavioral Sink”—আচরণগত ধ্বংস।


🧠 গবেষণার আচরণগত পর্যবেক্ষণ 

শুধু সবকিছু সহজলভ্য বা সব চাহিদা মেটালেও সমাজ টিকে না। মানুষের মতো সামাজিক প্রাণীর জন্য দরকার:

➡️উদ্দেশ্য(Purpose),

➡️সংযোগ(Connection),

➡️সংযম(Limits),

➡️অর্থপূর্ণ সম্পর্ক।


যে সমাজে সংগ্রাম নেই, কোন লক্ষ্য নেই—সেখানে ধীরে ধীরে মানুষ (বা ইঁদুর) আত্মকেন্দ্রিক, নিষ্প্রাণ ও নির্জীব হয়ে পড়ে।

গবেষণায়  ইঁদুরদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল—সবকিছু পেয়ে গিয়েও তারা জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলে। তাদের আচরণ পরিবর্তিত হয়, সমাজ ভেঙে পড়ে, শেষমেশ পুরো সমাজ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।


🚶‍♂️ এটা কি মানুষের জন্য এক সতর্ক সংকেত?

যদিও Universe 25 ছিল ইঁদুর জগত নিয়ে, কিন্তু ক্যালহুন গবেষণাটি করেছিলেন মানব সমাজের আচরণ সম্পর্কে ধারণা নেয়ার জন্যই। এটাকে মানব সমাজের জন্য এক প্রতীকী ইঙ্গিত হিসেবে দেখেছিলেন।


আজকের পৃথিবীতে যেখানে অনেকেই একাকীত্বে ভোগে, যেখানে সমাজ ভার্চুয়াল হয়ে যাচ্ছে, এবং যেখানে মানুষ শুধু ভোগে ডুবে যাচ্ছে—Universe 25 যেন এক ভবিষ্যতের সতর্ক বার্তা:

👉 যদি সমাজে উদ্দেশ্য হারিয়ে যায়, যদি মানুষ অপরের সঙ্গে সম্পর্ক হারায়, তাহলে প্রযুক্তি বা সম্পদ দিয়ে কিছুই রক্ষা করা সম্ভব নয়।


🕯️স্বপ্ন নয়, সম্পর্ক বাঁচায় সমাজ

মানুষ হয়তো Universe 25–এর মতো এক ইঁদুর সমাজে বাস করছে না, কিন্তু মানব সমাজও আজ অনেকাংশে ভোগবিলাস, আত্মকেন্দ্রিকতা আর বিচ্ছিন্নতায় আক্রান্ত।

তাই সময় এখন প্রশ্ন করার—

👉 জীবনের উদ্দেশ্য কী?

👉সমাজে কোনো ভূমিকা রাখছি কি?

👉পাশে থাকা মানুষগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আছে কি?


খাদ্য নয়, অর্থ নয়—সম্মান, সংযোগ আর অর্থপূর্ণ সম্পর্কই মানুষকে মানুষ করে তোলে।

---

#MRKR

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

মৌমাছির হুল ফুটানো বিষ যে বেশ যন্ত্রণাদায়ক এটা সবারই জানা। কিন্তু সেই বিষেই লুকিয়ে থাকতে পারে ক্যা'ন'সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক সম্ভাবনাময় অস্ত্র।

 মৌমাছির হুল ফুটানো বিষ যে বেশ যন্ত্রণাদায়ক এটা সবারই জানা। কিন্তু সেই বিষেই লুকিয়ে থাকতে পারে ক্যা'ন'সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক সম্ভাবনাময় অস্ত্র।


অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি পারকিনস ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল রিসার্চ এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছির বিষে থাকা মেলিটিন নামক একটি যৌগ মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ব্রেস্ট ক্যান'সা'রের কিছু আক্রমণাত্মক কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম। অবাক করার বিষয় হলো এই বিষ আশেপাশের সুস্থ কোষগুলোর উপর তেমন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।


গবেষণায় বিশেষ করে ট্রিপল-নেগেটিভ এবং এইচইআর ২ পজিটিভ ধরনের ব্রেস্ট ক্যা'ন'সার কোষে মেলিটিনের শক্তিশালী কার্যকারিতা দেখা গেছে। এই দুই ধরনের ক্যা'ন'সার সাধারণত চিকিৎসা প্রতিরোধী এবং মৃ'ত্যু'ঝুঁকি বেশি।


গবেষকদের মতে, মেলিটিন কোষের বাইরের ঝিল্লিতে ছিদ্র তৈরি করে, যার ফলে কোষের ভেতরের কার্যপ্রক্রিয়া দ্রুত ভেঙে পড়ে। শুধু তাই নয়, বিষ প্রয়োগের মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই এটি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সংকেত বন্ধ করে দিতে পারে।


এই গবেষণাটি ২০২০ সালে npj Precision Oncology জার্নালে প্রকাশিত হয়। তবে ২৫ এ এসেও মেলিটিন নিয়ে গবেষণা থেমে নেই। কিছু গবেষণায় মেলিটিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে। 


তাই ভবিষ্যতের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই এমন প্রযুক্তি দরকার হবে যা সরাসরি টিউমারকে লক্ষ্য করে বিষ প্রয়োগ করতে পারবে। হয়তো একদিন প্রকৃতিরই এই উপাদান ম'র'ণব্যাধির চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। (বিজ্ঞান্বেষী)


লেখা: তাসিনুল সাকিফ

পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি (Power of Attorney) বা আম-মোক্তারনামা দলিল হল একটি আইনি দলিল, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি (মূল ব্যক্তি বা প্রিন্সিপাল) অন্য আরেকজন ব্যক্তির (এজেন্ট বা অ্যাটর্নি) উপর তার পক্ষে কাজ করার জন্য আইনি ক্ষমতা অর্পণ করেন। এই ক্ষমতা আর্থিক, সম্পত্তি-সংক্রান্ত, বা স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো কিছুই হতে পারে। 

 ★★আলোচ্য বিষয় 

পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি (Power of Attorney) বা আম-মোক্তারনামা দলিল সম্পর্কে :-


পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি (Power of Attorney) বা আম-মোক্তারনামা দলিল হল একটি আইনি দলিল, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি (মূল ব্যক্তি বা প্রিন্সিপাল) অন্য আরেকজন ব্যক্তির (এজেন্ট বা অ্যাটর্নি) উপর তার পক্ষে কাজ করার জন্য আইনি ক্ষমতা অর্পণ করেন। এই ক্ষমতা আর্থিক, সম্পত্তি-সংক্রান্ত, বা স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো কিছুই হতে পারে। 


পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি মূলত দুই প্রকার যথা:-

১. সাধারণ পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি-

এই ধরনের পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নির্দিষ্ট কিছু কাজের জন্য ক্ষমতা প্রদান করে, যা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈধ থাকে। 


২. অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি-

এই ধরনের পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি সাধারণত কোনো সম্পত্তি বা অন্য কোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এবং এটি সহজে বাতিল করা যায় না। 


পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করার জন্য কিছু নিয়মকানুন রয়েছে, যেমন: 

১. দলিলটি অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হবে, যদি এটি কোনো সম্পত্তির সাথে সম্পর্কিত হয়।

২. পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দলিলটি অবশ্যই স্ট্যাম্পযুক্ত হতে হবে।

৩. দলিলটি অবশ্যই যথাযথভাবে পূরণ করা এবং স্বাক্ষরিত হতে হবে। 

৪. পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করার জন্য সাধারণত কিছু ফি এবং স্ট্যাম্প শুল্ক দিতে হয়, যা দলিলের প্রকার এবং মূল্যের উপর নির্ভর করে। 


পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি দলিল, যা অনেকের জন্য নানা প্রয়োজনে কাজে লাগে, যেমন বিদেশে থাকা অবস্থায় সম্পত্তি দেখাশোনা করা বা অসুস্থতার কারণে নিজের কাজ নিজে করতে না পারা ইত্যাদি।


>>আর একটু সহজ ভাষায় বলতে গেলে-

বাংলাদেশের আইনে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি মূলত এমন একটি দলিল যেটার মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি অপর 

কোন ব্যাক্তিকে তার পক্ষে আইনসঙ্গত কোন কার্যক্রম গ্রহণের অধিকার প্রদান করে থাকে।

সাধারণত এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণের অধিকার লিখিত দলিলের মাধ্যমে দেওয়া হয়।পাওয়ার অব এ্যাটর্নি আইনের ২ ধারার (১)উপধারা অনুসারে পাওয়ার অবএ্যাটর্নি বলতে এমন কোন দলিলকে বুঝায় যেটার মাধ্যমে কোন ব্যাক্তি তার পক্ষে উক্ত দলিলে বর্ণিত কায-সম্পাদনের জন্য আইনানুগভাবে অন্য কোন ব্যাক্তি নিকট ক্ষমতা অর্পণ করেন বা করে থাকেন।


পাওয়ার অব এ্যাটর্নি প্রকারভেদ-

সাধারণ দিক থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে যথা-


১.সাধারন পাওয়ার অব এ্যাটর্নি (General Power of Attorney)

২.বিশেষ পাওয়ার অব এ্যাটর্নি ( Special Power of Attorney)


★সাধারন পাওয়ার অব এ্যাটর্নি (General Power of Attorney)       

সাধারন পাওয়ার অব এ্যাটর্নি  সম্পর্কে সুনিদিষ্ট ভাবে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি আইন ও বিধিমালায় আলোচনা করাহয়নি,তবে আমরা এই ভাবে বলতে পারি যে–পাওয়ার অব এ্যাটর্নি  আইনে ২(৭) ধারার অনুযায়ী

অপ্রত্যাহারয়োগ্য পাওয়ার অব এ্যাটর্নি চারটি (৪টি) ক্ষেএ রয়েছে ,উক্ত ক্ষেএ ব্যাতীত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পওি ছাড়াও যেকোন বিষয় 

সাধারন পাওয়ার অব এ্যাটর্নি দলিল সম্পাদন করা যায়।যেমন-স্থাবর সম্পওি ইজারা, দেওয়ার ক্ষমতা অর্পণ,অস্থাবর সম্পওি বিক্রয় ক্ষমতা অর্পণ ইত্যাদি।   


★বিশেষ পাওয়ার অব এ্যাটর্নি ( Special Power of Attorney)

রেজিস্ট্রেশন আইনের ৩২ ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একই আইনে ৩৩ ধারার 

অধিনে প্রস্ততকৃত পাওয়ার অবএ্যাটর্নি কে বিশেষ পাওয়ার অব এ্যাটর্নি বলে গন্য হবে। 

বিশেষ পাওয়ার অব এ্যাটর্নি দলিলকে খাস-মোক্তারনামা নামেও সর্বাধিক পরিচিত।এখন কোন ব্যাক্তিকে যদি মোকাদ্দমা পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দেওয়া হয়, তখন সেটাবিশেষ পাওয়ার অব এ্যাটর্নি অনুযায়ী করতে হবে;


পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি শর্তগুলো কী

১) পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত হতে হবে অবশ্যাই;


২) যদি পাওয়ার অব এ্যাটর্নি কোন জমি হলে অবশ্যাই দলিলটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে আইন অনুযায়ী;


৩) যে কারনে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি করা হয়েছে তা স্পষ্টভাবে ব্যাখা করতে হবে;


৪) স্ট্যাম্প আইন অনুযায়ী তা স্ট্যাম্প করতে হবে এবং রিসিট গ্রহন করতে হবে;


৫) আবেদন অবশ্যাই রেজিস্টার্ড ব্যাক্তির কাছে করতে হবে।


কোন কোন বিষয়ে পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল তৈরি করা যাবে না

ধারা ৪ অনুযায়ী এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তা হলেঃ


উইল সম্পাদন বা দাতা উইল নিবন্ধনের উদ্দেশ্য দাখিলকরন;

দত্তক গ্রহনের ক্ষমতাপত্র সম্পাদন বা দাতা দত্তক ক্ষমতাপত্র নিবন্ধনের উদ্দেশ্য দাখিলকরন;

দান বা হেবা সম্পর্কিত ঘোষনা সম্পাদান;

ট্রাস্ট দলিল সম্পাদন

সরকারীর দলিল বিশেষ বা সাধারন আদেশের মাধ্যেমে সম্পাদন;


দাতার বিরুদ্ধে যখন গ্রহীতা প্রতারনা করে

দাতার এখানে আইনী প্রতিকার হলো দন্ডবিধি অনুযায়ী ধারা ৪০৬ এবং ৪২০ অনুযায়ী 

মামলা দায়ের করতেপারবে জুডিশয়াল মেজিস্ট্রেট বা মেট্রেপলিটন ম্যজিস্ট্রট এর নিকট।


পাওয়ার অব এ্যাটর্নি প্রস্ততকরণে যা লাগবে তা নিম্নরুপঃ

 ১. মূল পাওয়ার অব এ্যাটর্নি দলিলপত্র ।


২. ব্যাক্তিদের রঙ্গিন ছবি দিতে হবে অবশ্যাই।


৩. ক্ষমতা প্রদানকারী ব্যাক্তি (Power Giver) এর বৈধ বাংলাদেশী জাতীয় ।       

পরিচয়পত্র/পাসর্পোট/ডিজিটাল(১৭ডিজিট) জন্মনিবন্ধন সনদ কপি। তাছাড়া বিদেশী নাগরিক এর ক্ষেত্রে তার নিজ দেশের পাসপোর্ট ।


৪. ক্ষমতা গ্রহনকারী ব্যাক্তি(Power Receiver) বৈধ বাংলাদেশী জাতীয় 


 পরিচয়পএ/পাসর্পোট/ডিজিটাল(১৭ডিজিট)জন্মনিবন্ধন সনদ কপি।


৫. ক্ষমতা প্রদানকারী ব্যাক্তি (Power Giver)এবং ক্ষমতা গ্রহনকারী ব্যাক্তি

(Power Receiver) এর সদ্যতোলা ২কপি ছবি।(সাদা ব্যাক-গ্রাউন্ডযুক্ত)।


৬. ফি প্রদানের প্রমাণপত্র।


৭. ডাকে পাঠানোর ক্ষেএ অর্থ পরিশোধিত ও ঠিকানা লিখা ফেরত খাম। 


পাওয়ার অব অ্যাটর্নি কিভাবে করবেন এবং 

একাধিক পাওয়ার অব এ্যাটর্নি গ্রহীতা নিয়োগ করা যাবে কিনা:-

পাওয়ার অব এাটর্নি একাধীক হবে কিনা তা পাওয়ার অব এাটর্নি আইনে সুনিদিষ্ঠ ভাবে উল্লেখ না থাকলেও ৯ ধারায় একাধিক কথা উল্লেখ রয়েছে এই ধারা মতে পাওয়ার অব এাটর্নি দলিল ক্ষেত্র বিশেষে একাধিক পাওয়ারঅব এাটর্নি  গ্রহীতা নিয়োগ করা যাবে,

কিন্তু একাধিক গ্রহীতা নিয়োগ এ প্রধান উদ্দেশ্য থাকবে 

একজন কে মূখ্য এবং বাকিদের কে সহযোগী হিসাবে রাখা যাবে। প্রধান গ্রহীতার অনুপস্থিতে অন্যরা যাতে কাজ করতে পারেন।


পাওয়ার দাতা বিদেশে অবস্থান করলে :-

পাওয়ার অফ এটর্নি বিদেশ থাকা অবস্থায় ব্যক্তির দলিল বানানোর প্রক্রিয়া একটু জটিল।এই ক্ষেত্রে আইনটিসম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানেন এমন কাউকে 

দিয়ে সঠিক ভাবে লিখে দূতাবাসের মাধ্যমে দলিলটি সম্পাদন ওপ্রত্যয়ন করে পাঠাতে হবে। যদি কোন ব্যক্তি দেশের বাইরে থেকে জমি বা সম্পত্তি বিক্রি করতে চায় 

তাহলে অবশ্যাই তাকে রেজিস্ট্রেশন আইন এর ধারা ৩৩ অনুসরন করবেন। এখানে বলা হয়েছে পক্ষের নাম ও ঠিকানা, জাতীয় পরিচয় পত্র, রঙ্গিন ছবি দিতে হবে, গ্রহীতার ছবির উপর দাতা তা শনাক্ত করবেন , দূতাবাসে যাওয়া সিলনেওয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে যাবে, ধারা ৮৯ অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী, কালেক্টর এর নিকট পাঠাতেহবে। এবং স্ট্যাম্প করবেন এবং রেজিস্ট্রার অফিসে পাঠিয়ে দিবে এবং নং ১ বই জমা দিতে হবে। এই পর্যায়ে ওইদলিলের একটি ক্রমিক নম্বর ও তারিখ নির্দিষ্ট হবে। 

এই নম্বরটিই ওই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলের নম্বর।তফশিল ক, ফর্ম ৩ অনুসরন করবে দলিল তৈরির সময়।


পাওয়ার অব এ্যাটর্নি সম্পাদনে ব্যক্তিগত উপস্থিতি:-

পাওয়ার অব এ্যাটর্নি সম্পাদনে ব্যক্তিগত উপস্থিতি 

বাধ্যতামূলক এবং আগমনের পূর্বে কবেযোগদান করবে সেটি নিচ্ছিত করতে হবে,,,তবে বিদেশে অবস্থান করে 

সেই ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম রয়েছে,উপস্থিতি বিষয় সিথিল করা হয়েছে।


এখন কেউ যদি ভার্চুয়াল পাওয়ার অব এ্যাটর্নি সম্পাদন করতে চাই সেটা সম্ভব নয় তবে,

পাওয়ার অব এ্যাটর্নি দলিলপএ হাইকমিশনার এর কন্সুলার অফিসারের সম্মুখে স্বাক্ষর করতে হবে। 


পাওয়ার অব এ্যাটর্নি কখন অবসান বা বাতিল হয়ে যাবে :-

কি কি কারনে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি বাতিল হবে/হয়ে থাকে তা নিম্নরু্পঃ 


১. নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পাওয়ার অব এ্যাটর্নি করা হলে 

মেয়াদ শেষে বা উদ্দেশ্য সফল তা বাতিল বলে গণ্য হবে।যেমনঃ ১ জানুয়ারী ২০২৪ থেকে ১ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত হলে, সময় শেষ হলে বাতিল হয়ে যাবে;


২. পাওয়ার অব এ্যাটর্নি বাতিল বা প্রত্যাহার করা যায়। বাতিল করতে চাইলে যে অফিসে রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল, সেই জেলার রেজিস্ট্রার বরাবর মোক্তারনামা বাতিলের লিখিত  আবেদন করতে হবে।


৩. পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি জারীকারী ব্যাক্তি দেওলিয়া, মারা গেলে, আইনী স্বত্বা বাতিল হলে সেই দলিল ও বাতিলহয়ে যাবে;


৪. যদি পাগল বা উন্মাদ হয়ে যায় তাহলে বাতিল হয়ে যাবে;


৫. যেখানে দলিলটি আইন অনুয়ায়ী নিবন্ধন করার প্রয়োজন ছিলো, সেক্ষত্রে করে নাই;


৬. যে ব্যাক্তির কাছে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সে ব্যাক্তি যদি পাওয়াকারীর নিকট আবেদনের মাধ্যেমে যখন বাতিলহয়ে যায়;


৭.যখন আইনী কোন পর্যায়ের মাধ্যেমে সমধানের মাধ্যেমে যখন বাতিল করা হয়, 

যেমনঃ বিরোধ হলেমধ্যেস্থতাকারীর মাধ্যেমে যখন কোন বাতিল সিদ্ধান্ত আসে।


৮. সাধারণ পাওয়ার অব এ্যাটর্নি অবসানের ক্ষেত্রে দাতা ক্ষমতা গ্রহীতাকে ডাক রেজিস্টার্ডর  মাধ্যমে ৩০ দিনের নোটিশ দিয়ে প্রদত্ত ক্ষমতার অবসান ঘটাতে পারবেন। তা ছাড়া ক্ষমতা গ্রহীতাও একইভাবে মালিককে ৩০ দিনের নোটিশ সাপেক্ষে অ্যাটর্নির দায়িত্ব ত্যাগ করতে পারেন।


পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি সংক্রান্ত আইনি সমস্যা বা আইনী সহায়তার জন্য ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন।

নোংরামির চূড়ান্তে || ডা: ফাহমিদা নীলা

 ইদানীং একটা নতুন পেশা সৃষ্টি হয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটর। কেউ আবার বলে,ইনফ্লুয়েন্সার।


যদিও এই দুইটার বিশেষ পার্থক্য আছে কি না, আমি জানিনা। সে যাই হোক, নতুন পেশা হয়েছে, ভাল কথা। বেকারত্ব কমছে। এই পেশায় নাকি লাখ লাখ ইনকাম। আরো ভাল কথা। দেশের মানুষ সলভেন্ট হচ্ছে।


কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, তারা যে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে মানুষকে ইনফ্লুয়েন্স করার চেষ্টা করছে, সেটা কি আদৌ মানসম্মত? সেটা কি সমাজের জন্য গ্রহণযোগ্য? সেটা থেকে ইনফ্লুয়েন্স হয়ে নেটিজেনরা কি ভালো কিছুতে উজ্জীবিত হচ্ছে? 


এমন অনেক প্রশ্ন আমার মাথায় কিলবিল করে। কারণটা একটু পরিষ্কার করি।


ফেসবুকে স্ক্রল করলেই এক মধ্যবয়সী মহিলার ভিডিও সামনে আসে। মহিলা সম্ভবত পেডোফিলিক। সে তার সন্তানের বয়সী ছেলেদের সাথে লিভ টুগেদার করে। তাদের নাচানাচি, ঢলাঢলি থেকে শুরু করে হাতাহাতি, মারামারি সবই দেখানো হয় সোস্যাল মিডিয়ায়। কিছুদিন আগে এক ছেলের সাথে দেখতাম। এখন দেখি আরেকজনের সাথে।


এই কনটেন্ট ক্রিয়েটারের কনটেন্ট সমাজের কী কাজে আসছে? কাকে কী ইনফ্লুয়েন্স করছেন উনি? আমার বোধে আসে না।


এবার আসি, আরেকজনের কথায়। তিনি একসাথে দু’জন করে স্ত্রী রাখেন। দুই স্ত্রীকে দু’পাশে নিয়ে ঢলাঢলি করেন। কিছুদিন পর পর একজন করে স্ত্রী রিপ্লেস হয়। একজন বাদ পড়ে, আরেকজন ঢোকে। 


দুই সতীনের মহব্বত থেকে চুলাচুলি সবই দেখানো হয়। সূচিকার্যের অংশটুকু ছাড়া বাকী সমস্তকিছু সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আকারে প্রচার করেন। এতে লাখ লাখ ইনকাম হয়তো তাদের হচ্ছে। এইসব ইনফ্লুয়েন্সে সমাজের কী উপকার করছেন, আল্লাহ্ মালুম! 


কোনো কোনো ইনফ্লুয়েন্সার তো ক্যামেরার সামনেই লাইভে ড্রেস পরিবর্তন করছেন। হাফপ্যান্টের উপর ল্যাহেঙ্গা পরছেন। কেউবা সবার সামনেই শাড়ী পরছেন,খুলছেন। একটা খুলে আরেকটা পোষাক পরছেন। কিছু ড্রেসআপ দেখলে মনে হয় খোদ ইউরোপ থেকে ব্রডকাস্ট চলছে। তারা আবার কেউ কেউ খুবই অহমিকা ভরে বলছে, লাখ টাকার শাড়ী, গাউন, গহনা, এক্সেসরিজ পরেন তিনি। আর সেসবের সবটাই নাকি স্পন্সার করা।


আবার কেউ কেউ তো লাইভে এসে মুখে যা আসে তাই বলে গালাগালি করেন। একে অন্যের সাথে অনলাইন ঝগড়া চলে দিনের পর দিন। নোংরামির একেবারে চূড়ান্ত। কে কিভাবে ইনফ্লুয়েন্সড হচ্ছে এদের দ্বারা কে জানে! 


এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে। দেখুন, আমাদের সাথে সাথে ফেসবুকে আমাদের সন্তানেরাও এসব দেখছে, শিখছে। এমনকি কেউ কেউ তো নিজেদের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলছে যে, তারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হবে। পড়ালেখার দরকার নাই। সেজেগুজে স্পন্সর করা কাপড়চোপড় পরবে। লাইভে আসবে। টিকটক করবে। ব্যস,ভাইরাল হয়ে যাবে। সেলিব্রেটি হয়ে লাখ লাখ টাকা কামাবে। 


দেখলেনই তো কিছুদিন আগে, একটা বাচ্চা মেয়ে কিভাবে সেলিব্রেটি হওয়ার জন্য বাবা-মায়ের নামে মামলা ঠুকে দিল!  


আপনাদের কি মনে হয় না, আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে? এখনই এইসব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কনটেন্ট ও ক্রিয়েশন কিংবা ইনফ্লুয়েন্সারদের ইনফ্লুয়েন্সের রাশ টেনে না ধরলে অদূর ভবিষ্যতে ঐ মেহরীনের বাবা-মায়ের মতো আমাদেরও যে আদালতে দাঁড়াতে হবে না, তার নিশ্চয়তা কে দিবে? 


আমি জানিনা, কী করলে এসবের সুরাহা হবে? তবে নির্দিষ্ট একটা নিয়ম বা বিধিনিষেধের ঘেরাটোপ তৈরী করা এখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। সবার সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। আশা করি সুশীল সমাজ বিষয়টা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন ।

___________

|| নোংরামির চূড়ান্তে ||

ডা: ফাহমিদা নীলা


রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

বিশ্বের প্রথম টাইপরাইটারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি যন্ত্র, যার নাম ‘রাইটিং বল’ (The Writing Ball)।

 আপনি কি জানেন, প্রচলিত QWERTY কী-বোর্ডের অনেক আগেই একটি অদ্ভুত সুন্দর টাইপরাইটার আবিষ্কার হয়েছিল? ১৮৬৫ সালের, যখন ডেনিশ যাজক রাসমাস মালিং-হ্যানসেন (Rasmus Malling-Hansen) তৈরি করেন বিশ্বের প্রথম টাইপরাইটারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি যন্ত্র, যার নাম ‘রাইটিং বল’ (The Writing Ball)।



এর নকশা ছিল সাধারণ টাইপরাইটারের মতো একদমই নয়, বরং একটি ধাতব গোলকের মতো, যার উপরে কী (Key) গুলো সাজানো থাকত। এই গোলাকার নকশার কারণেই এতে খুব দ্রুত টাইপ করা যেত। গবেষণায় দেখা গেছে, এর কী-বোর্ড বিন্যাসটি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অক্ষরগুলো দ্রুততম আঙুলের নিচে থাকে। এটি সাধারণ সমতল টাইপরাইটারের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী ছিল।


ভাবতে অবাক লাগে, বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক ফ্রিডরিখ নিৎশে (Friedrich Nietzsche) যখন চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তার লেখা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল, তখন এই ‘রাইটিং বল’ ছিল তার একমাত্র ভরসা। এই যন্ত্রটি তাকে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করতে সাহায্য করেছিল।


তবে এর জটিল গঠন এবং চড়া দামের কারণে ‘রাইটিং বল’ বাণিজ্যিকভাবে কখনো ব্যাপক হারে উৎপাদিত হয়নি। কিন্তু অল্প সময়েই এটি প্রযুক্তি এবং ডিজাইনের এক দারুণ নিদর্শন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আজও বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘরে এবং সংগ্রাহকদের কাছে এটি উনিশ শতকের প্রকৌশল ও উদ্ভাবনের এক অমূল্য স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সংরক্ষিত আছে।


এই ‘রাইটিং বল’ শুধু একটি যন্ত্র নয়, এটি মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি এবং সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করার এক অসাধারণ উদাহরণ।


অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique


টিউমারের হোমিও ঔষধ। টিউমারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। 

 টিউমারের হোমিও ঔষধ। টিউমারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।  টিউমারের কয়েকটি প্রধান ঔষধ হলোঃ Thuja, Conium, Baryta Carb, Baryta Iod, Baryta Mur, Cal...