রুটি বিক্রেতা ঃঃশিক্ষনীয় গল্প

 ★ইহা একটি অরাজনৈতিক(কাল্পনিক) গল্প..

এক যে ছিল দেশ, তার ছিল এক বুদ্ধিমান রাজা। একদিন রাজার কাছে এক রুটি বিক্রেতা এসে বললো, রাজা মহাশয়! আটার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার আগের দামে অর্থাৎ ৫ টাকা পিচ রুটি বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না। আমি রুটির মূল্য ১০ টাকা করতে চাই। মহাশয়!  আপনি অনুমতি দিন। রাজা রুটি বিক্রেতার কথা শুনে কিছুক্ষণ নিরব রইলেন, অতঃপর বললেন তুমি আগামীকাল থেকে রুটির মূল্য ২৫ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকায় বিক্রি করবে। রাজার কথা শুনে রুটি বিক্রেতা তো হতবাক! একি! রাজা মহাশয় এ কেমন আদেশ দিলেন! 

সেদিনকার মতো রুটি বিক্রেতা চলে গেলেন এবং পরদিন থেকে রাজার নির্দেশ মতো রুটির মূল্য ২৫ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করে দিলেন। শুরু হলো হাহাকার..

রাজ্য জুড়ে শুরু হলো প্রতিবাদ। মিটিং, মিছিল...... 

অবশেষে আন্দোলনকারীরা সিন্ধান্ত নিলো যে, রুটিন মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে রাজার কাছে নালিশ করবেন। সিন্ধান্ত মতো আন্দোলনকারীদের একটি দল রাজার দরবারে গেলেন। 

রাজা  মনোযোগ সহকারে অভিযোগ শুনে তাদের আশ্বস্ত করলেন যে, তিনি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন। তার রাজ্যে রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দিবে এ সাহস কার! তিনি এর সমুচিত শিক্ষা দিবেন। 

ডাকা হলো রুটি বিক্রিতাকে। রাজা তো অগ্নিমূর্তির রূপ ধারণ করলেন! রুটি বিক্রেতাকে ইচ্ছে মতো শাসিয়ে বললেন,   তোর এতো বড় সাহস! আমার রাজ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাস! 

তোর বিরুদ্ধে অভিযোগ কী সত্যি? রুটির দাম এতো বাড়লো কেন? খবরদার! আগামীকাল থেকে এই দামে রুটি বিক্রি  বরদাশত করা হবে না। প্রজাগণের কষ্ট হচ্ছে, তা আমি সহ্য করতে পারি না। 

আগামীকাল থেকে রুটির মূল্য ২০ টাকা! 

রাজ্য জুড়ে ঢোল পিটিয়ে মূল্য জানিয়ে দেওয়া হলো। মহারাজ! রুটির মূল্য ১০ টাকা কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি প্রজাসাধারণের কল্যাণের জন্য যে কোন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত!

আন্দলোনকারীরা রাজাকে কৃতজ্ঞ চিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন। আন্দোলন প্রত্যাহার করে রাজার নামে স্লোগান দিতে দিতে বাড়ি ফিরলেন। 

সবাই চলে গেলেন। মহারাজ,  রুটি বিক্রেতাকে কাছে টেনে নিলেন। রাজ ভোজ শেষে কানে কানে বলে দিলেন, আমার হিস্যাটা যথাসময়ে ওজিরকে বুঝিয়ে দিস। তোর ৭ টাকা বাকীটা আমার!

রুটি বিক্রেতা বললেন,  জাঁহাপনা... আমি আপনার একান্ত বাধ্যগত গোলাম। আপনি দীর্ঘজীবী হওন।

অতঃপর রুটি বিক্রিতার প্রস্থান.....,,,,,,,,,,,