⭕নারী আসলে কে❓
পবিত্র কুরআনে ১৭৬ আয়াত বিশিষ্ট একটি বড় সূরা আছে শুধু নারীর নামে, সূরা নিসা!
হ্যাঁ, পৃথিবীর সকল নবী ছিলেন পুরুষ। কিন্তু সকল নবীর মা-ই তো নারী।
বাবা ছাড়া যে নবী জন্মেছেন, তিনিও কিন্তু মা ছাড়া জন্মাননি!
পৃথিবীর প্রথম পুরুষ আদম। তিনি গন্ধযুক্ত কর্দমাক্ত মাটি থেকে তৈরি। আর প্রথম নারী হাওয়া৷ তিনি সৃষ্ট হলেন পূতপবিত্র নবীর দেহ থেকে। পাজড়ের হাড় থেকে।
[ বুখারী ৫১৮৫]
নারী!
আপনার ব্যাপারে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক নিজেই পুরুষদের আদেশ করছেন,
❝তোমরা নারীদের সাথে কোমল আচরণ করো।❞
লোকে বলবে, তাদের সাথে কোমল আচরণ করব কেন? তাদের তো এই সমস্যা, ঐ সমস্যা! প্রভু নারীদের পক্ষ হয়ে বলছেন
❝তাদের কোনো দিক তোমাদের খারাপ লাগলে সবুর করো। ধৈর্য ধরো। দেখবে অতি দ্রুতই এর উত্তম প্রতিদান পেয়ে যাবে।❞
[সূরা নিসা ১৯]
প্রিয় নবীরও একই ভাষ্য।
❝কোনো মুমিন পুরুষ কোনো মুমিনা নারীকে ঘৃণা করতে পারে না। তাদের চরিত্রের কোনো দিক তোমাদের কষ্ট দিলেও এমন কিছু দিকও তো আছে, যা তোমাদের অনেক সুখ দেয়?❞
[ মুসলিম ১৪৬৯]
❝যে ঘরে প্রথম সন্তান কন্যা হয়, সে ঘরে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।❞
[ আল মাকাসিদুল হাসানাহ ১/৬৭৭]
যখন এ-কে-এ-কে একটি, দুইটি, তিনটি ছেলে জন্ম নেয়, তখনো কোনো সুসংবাদ নেই।
কিন্তু যখন কারো দুইটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়, তখন ফেরেস্তাগণ বলেন, তাদের পিতার জন্য দুইটি জান্নাত৷ যখন তিনটি কন্যা হয়, তখন তারা বলে তিনটি জান্নাত!
[ তিরমিযি ১৯১৬]
নারী! সত্যিই আপনি প্রতিটি পিতার কাছে জান্নাত৷ দুনিয়াতেও জান্নাত৷ আখেরাতেও জান্নাত৷🖤
পুরুষ কামাই করে। সংসারের ঘানি টানে। সন্তানদের তিলতিল করে গড়ে তোলে। এসবই কেবল সাদাকাহ। কিন্তু এক মা যখন একটি সন্তান জাস্ট জন্ম দেয়- নবী বলেন,
❝তোমার পদতলে তার জান্নাত।❞
[ মুখতাসারুল মাকাসিদঃ- ৩৪৮, সহিহ]
সুবহান আল্লাহ্💕
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন