এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

তিন  টি সহজ বীজ জার্মিনেশন পদ্ধতি,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ৩ টি সহজ বীজ জার্মিনেশন পদ্ধতিঃ


প্রত্যেক বাগানীর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হল বীজ অংকুরোদগম। একজন বাগানীর সফলতার অনেকটাই নির্ভর করে এটার উপর। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় অনেক বাগানীই অংকুরোদগমে এ বিফল হয়ে এক সময় বাগান করার প্রতি অনিহা প্রকাশ করে।

আজ আমরা বীজ অংকুরোদগমের সবচেয়ে কার্যকরী ৩ টি পদ্ধতি শিখবো। তবে তার আগে অংকুদগম সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারনা আমাদের থাকতে হবে।

অংকুরোদগমের সাধারন তথ্যঃ


একেক উদ্ভিদ এর একেক রকম বীজ -এগুলোর আকারে, বর্ণে, ওজনে, গঠনে ভিন্নতা রয়েছে । তুলনামূলক ভাবে বড় আকারের বীজ এর জার্মিনেশন সহজে করা যায় । কিন্তু অতি ক্ষুদ্র বীজ এর জার্মিনেশন এ সমস্যা বেশি হয় । ক্ষুদ্র বীজ এর ক্ষেত্রে পানি, তাপ ও আলোর তারতম্য হলে জার্মিনেশন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। যে সব বীজের খোলস অনেক পুরো থাকে সেসবের জার্মিনেশনে অনেক সময় লাগে, যেমন- পেঁপে, পুঁই শাক, করলা, লাউ বীজ ইত্যাদি । তবে জার্মিনেশনের জন্য অবশ্যই পুষ্ট, অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা সম্পন্ন বীজ বাছাই করে নিতে হবে। 

জার্মিনেশন পদ্ধতি গুলোতে অধিক ফলাফল পাওয়ার জন্য একটি পূর্ব কাজ করে নিতে হবে । সেটা হলো - প্রথমে বীজ গুলো এক ঘণ্টার মতো সময় মাঝারি তাপের রোদে রেখে দিতে হবে তারপর ৮-১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তবে শীম, সরিষা জাতীয় বীজ পানিতে কম সময় ভিজিয়ে রাখতে হবে । রোদে দিলে বীজের সুপ্ত অবস্থা দ্রুত ভেঙে যায় । 


বীজ জার্মিনেশন/বপন এর আগে শোধন করে নিতে পারেন। পরবর্তী পোস্টে বীজ শোধন নিয়ে আলোচনা করা হবে। বীজে কিছু জীবাণু সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায় । এগুলো বীজের অংকুর বের হলে বা ছোট চারা গাছ হলে তখন আবার সক্রিয় হয়ে আক্রমণ করে । 

বীজ শোধন এর মাধ্যমে অ্যানথ্রাকনোজ,লিফস্পট,ব্লাইট, উইল্ট, গোড়া পঁচার মতো রোগ দমন ও বীজ বপন পরবর্তী এগুলোর সংক্রমণ কিছুটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় ।


✔️👉🤔চলুন এবার ৩ টা পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যাক;


১.টিস্যু পেপার পদ্ধতি : 


মাটি বিহীন টিস্যু পেপার দিয়ে seed germination. অত্যন্ত সহজ একটি পদ্ধতি এবং মজার ব্যাপার হলো জার্মিনেশন স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করা যায়। 

এজন্য বীজ জার্মিনেশন রেট পরীক্ষা করার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। 

পদ্ধতির ধাপসমূহ - 

প্রথমে বীজ গুলো ৮-১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে । বীজ এর সাইজ এবং খোলস এর পুরুত্বের উপর ভিত্তি করে এই ভিজিয়ে রাখার সময় কম বেশি করতে হবে। 

পানি থেকে বীজ গুলো তুলে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিতে হবে । 

একটা ঢাকনা সহ বায়ুরোধী বক্স (Air tight box) নিতে হবে।

বক্স এর তলায় এক স্তর টিস্যু পেপার বিছিয়ে দিয়ে , স্প্রে করে পানি দিয়ে বা ফুটায় ফুটায় পানি দিয়ে টিস্যু পেপার ভিজিয়ে দিতে হবে । এমন ভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে যেন শুধু  টিস্যু পেপার টুকুই ভিজে আর যদি অতিরিক্ত পানি বক্স এর তলায় থাকে তাহলে তা ফেলে দিতে হবে । 

ভেজানো টিস্যু পেপার এর উপর বীজ গুলো বিছিয়ে দিতে হবে এবং আর এক স্তর ভেজা টিস্যু পেপার দিয়ে বীজ গুলো ঢেকে দিতে হবে । 

তারপর বক্স টা ২-৩ ঘন্টা হালকা রোদে রেখে দিতে হবে। 

রোদে দেওয়ার পর বক্স টি ঘরের অন্ধকার , শুষ্ক জায়গায় রেখে দিতে হবে । এক্ষেত্রে রঙিন কাপড় বা পেপার দিয়ে বক্স টি ঢেকে দেওয়া যেতে পারে। 

২-৩ দিন পর(কি ধরনের বীজ এর উপর সময় নির্ভর করবে), বক্স এর ঢাকনা স্বচ্ছ হলে বাইরে থেকে দেখেই বুঝা যাবে বীজ জার্মিনেট হয়েছে কিনা । 

টিস্যু পেপার এর পানি শুকিয়ে গেছে কিনা তা দেখতে হবে । পানি শুকিয়ে পেপার শুকনো মনে হলে আবার স্প্রে করে পানি দিতে হবে। জার্মিনেট হওয়া বীজ গুলো সংগ্রহ করে নিতে হবে । 

পরে কাঙ্ক্ষিত পাত্র বা জমির মাটিতে একটু গর্ত করে জার্মিনেট করা বীজ গুলো রেখে দিয়ে অল্প মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে । এক-দুই দিন এর মধ্যে চারা বের হবে । জার্মিনেট করা বীজ থেকে চারা হওয়ার সম্ভাবনা ৯৫% এর বেশি ।‌

👉যেসব বীজ এই পদ্ধতিতে জার্মিনেট করা যাবে:

শাক - কলমি শাক, পুঁই শাক; 

সবজি - মরিচ, টমেটো, বেগুন,শসা,শীম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুটি,ইত্যাদি ।

ফুল - সূর্যমুখী, মরু গোলাপ (Adenium), অপরাজিতা,সন্ধ্যামালতি ,ক্যালেন্ডুলা,দোপাটি, ইত্যাদি

ফল - লেবু-কমলা, খেজুর, আপেল ইত্যাদি । 

অর্থাৎ - অতি ক্ষুদ্র বীজ যেমন- লালশাক,ডাটা শাক,পাট শাক, ক্ষুদ্র ফুল বীজ আবার বড় আকারের বীজ যেমন- লাউ ,করলা,আম,লিচু এই পদ্ধতির জন্য উপযোগী নয় । 


২. মাটি ব্যবহার করে বীজ জার্মিনেশন: 

এই পদ্ধতিতে সাধারণ ভাবে মাটিতে বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। তবে এর জন্য মাটি বিশেষ ভাবে তৈরি করে নিতে হয় । মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব উপাদান মিশাতে হয়। এই পদ্ধতিতে যেকোন ধরনের বীজ জার্মিনেট করা যাবে । 

ধাপসমূহ -

মাটি তৈরি- ৪০% দোঃআঁশ মাটি+৩০% ককোপিট+৩০% গোবর কম্পোস্ট বা ভার্মি কম্পোস্ট একসাথে মেশাতে হবে । উপাদান গুলো ভালো করে মিশিয়ে কড়া রোদে রেখে সম্পূর্ণ রুপে শুকিয়ে নিতে হবে । 

প্রথমে বীজ গুলো ৮-১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে ।(বীজ এর সাইজ এবং খোলস এর পুরুত্বের উপর ভিত্তি করে এই ভিজিয়ে রাখার সময় কম বেশি করতে হবে।) 

কম গভীরতার চওড়া সাইজের পাত্র নিতে হবে , মাটির পাত্র হলে সবচেয়ে ভালো হয়। আগে থেকে তৈরি করা মাটি দ্বারা পাত্র পূরণ করে নিয়ে অল্প পানি স্প্রে করে বা ছিটিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিতে হবে । 

তারপর ভেজা মাটিতে অল্প গর্ত করে বীজ দিয়ে গর্ত মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ( বড় বীজ এর জন্য) আর ছোট সাইজের বীজ এর জন্য ছিটিয়ে দিয়ে অল্প মাটি দিয়ে বীজ ঢেকে দিতে হবে ।

আবার পানি প্রয়োগ করে মাটি ভালো করে ভিজিয়ে দিতে হবে । শুধু পানি প্রয়োগ না করে ছত্রাকনাশক পাউডার মিশ্রিত পানি প্রয়োগ করলে seed germination অধিক হয় এবং ছোট চারার গোড়া পঁচা রোগ দমন হয় । 

তারপর পাত্র কালো রং এর পলিথিন বা খবরের কাগজ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে । এভাবে ঢেকে দেওয়ার কারণ ,যেনো আদ্রর্তা বজায় থাকে । আদ্রর্তা জার্মিনেশনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে । সঠিক আর্দ্রতা না পেলে বীজ জার্মিনেট হবে না।(গরমকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে তাই , তখন পাত্র ঢেকে দেওয়ার প্রয়োজন পরে না । শীতকালে অব্যষই পাত্র কালো রং এর পলিথিন বা খবরের কাগজ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ।)

এর পর পাত্র খোলা জায়গায় রাখা যাবে না এবং বৃষ্টিতে ভেজানো যাবে না । আলো পূর্ণ জায়গায় এবং অনেক স্যাঁতস্যাঁতে জায়গাতেও রাখা যাবে না। কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় রেখে দিতে হবে। 

 ৩-৪ দিন পরে দেখতে হবে বীজ জার্মিনেট হলো কিনা । মাটি শুকিয়ে গেলো কিনা সেটাও দেখতে হবে এবং প্রয়োজন হলে পানি দিতে হবে । 

অধিকাংশ জার্মিনেট হয়ে গেলে পাত্রের ঢাকনা সরিয়ে ফেলতে হবে এবং পাত্রটিকে আলো বাতাস পূর্ণ স্থানে রাখতে হবে । তারপর চারা বড় হওয়ার উপর ভিত্তি করে সেই অনুযায়ী রোদ এবং রোদ এর সময়কাল বৃদ্ধি করতে হবে । 


৩. কোকোপিট এ বীজ জার্মিনেশন:

কোকোপিট এ seed germination রেট মাটির চেয়ে বেশি । কারণ, কোকোপিট স্বাভাবিক ভাবে ছত্রাকরোধী ভূমিকা পালন করে । এছাড়াও মাটির চেয়ে আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা এবং পানি ধরে রাখার ক্ষমতা বেশি । এসব কিছু বীজ জার্মিনেশনে অধিক সহায়তা করে । 


 এই পদ্ধতিতে মাটির পরিবর্তে কোকোপিট ব্যবহার করা হয়। তবে ১০০% কোকোপিট ব্যবহার করা যাবে না। কোকোপিট এর সাথে ২০-৩০% হারে গোবর কম্পোস্ট বা ভার্মি কম্পোস্ট সার মেশাতে হবে । 


কোকোপিট+ভার্মি কম্পোস্ট মিক্স তৈরি করে নেওয়ার পর বাকি কাজ কর্ম সব মাটি দিয়ে বীজ জার্মিনেশন পদ্ধতির মতো । তবে এক্ষেত্রে মাটির মতো কোকোপিট কে কড়া রোদে শুকাতে হবে না। 


👉নোট- বীজ জার্মিনেশন এর জন্য গোবর ব্যবহার করলে গোবর অব্যষই ১-১.৫ বছরের পুরনো হতে হবে। গোবর ডিকম্পোস্ট করে পরে ব্যবহার করতে হবে এজন্য কাঁচা গোবর ব্যবহার করা যাবে না।


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


কোন মন্তব্য নেই:

সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতাকবিরাজ সঞ্জয় দত্ত  আয়ুর্বেদিক এন্ড হারবাল চিকিৎসক

 🥬সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতা 🌴 🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲 হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে বলা হয়েছে আসমা বিনেত উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত।...