বিখ্যাত ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলেই এর ১৬১০ সালে নিজহাতে আঁকা চাঁদের ছবি।
তিনি তাঁর দূরবীনে চাঁদ দেখে এই ভাবে কাগজে অ্যাঁকে মানুষকে বুঝাতেন কিভাবে চাঁদের উপর সূর্যের আলো পড়ে কিভাবে চাঁদ বাড়ে-কমে কিভাবে পূর্ণিমা ও আমাবস্যা হয়।
গ্যালিলিও গ্যালিলেই একজন ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী,
জ্যোতির্বিজ্ঞানী,গণিতজ্ঞ এবং দার্শনিক যিনি বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সঙ্গে বেশ নিগূঢ়ভাবে সম্পৃক্ত। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নতি সাধন যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে,বিভিন্ন ধরনের অনেক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ,নিউটনের গতির প্রথম এবং দ্বিতীয় সূত্র এবং কোপারনিকাসের মতবাদের পক্ষে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ।
বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মতে আধুনিক যুগে প্রকৃতি বিজ্ঞানের এতো বিশাল অগ্রগতির পেছনে গ্যালিলিওর চেয়ে বেশি অবদান আর কেউ রাখতে পারেননি। তাঁকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক,আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক এবং এমনকি আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। অ্যারিস্টটলীয় ধারণার অবসানে গ্যালিলিওর আবিষ্কারগুলোই সবচেয়ে বড়ো ভূমিকা রেখেছে।
১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে গ্যালিলিও স্বাধীনভাবে এবং উন্নত ধরনের দূরবীক্ষণ যন্ত্র নির্মাণ ও এই যন্ত্রকে জ্যোতির্বিদ্যায় সার্থকভাবে প্রয়োগ করেন। এর আগে ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে ওলন্দাজ চশমা নির্মাতা লিপেরশাইম তার নির্মিত এক দূরবীক্ষণ যন্ত্রের কথা প্রকাশ করেন এবং সেই বছরই এই অদ্ভুত কাচ নির্মিত যন্ত্রের কথা গ্যালিলিওর নিকট পৌঁছে।
এসময় তিনি তার এক রচনায় লেখেন - প্রায় ১০ মাস পূর্বে আমার কাছে সংবাদ পৌঁছে যে জনৈক ওলন্দাজ চশমা নির্মাতা এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যার দ্বারা দূরবর্তী বস্তুদের নিকটবর্তী বস্তুর মতো স্পষ্ট দেখা যায়। এ খবর পাওয়ামাত্র আমি নিজে কীভাবে এরূপ একটি যন্ত্র নির্মাণ করতে পারি তা চিন্তা করতে লাগলাম। শীঘ্রই দূরবীক্ষণ যন্ত্রের নানা উন্নতি সাধন করে গ্যালিলিও দূরবর্তী বস্তুর অন্তত ৩০ গুণ বড়ো করে দেখার ব্যবস্থা করেন।
🟡🟠🟤 তথ্য সূত্র: উইকিপিডিয়া ----
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন