একটি অসাধারন শিক্ষানীয় গল্প:
একদিন একটা গরীব ছেলে রাস্তায় হাঁটছিলো। সে
তার লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য ঘরে
ঘরে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতো । ছেলেটার গায়ে ছিলো একটা জীর্ন মলিন পোষাক। সে ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিলো। সে ভাবলো যে পরে যে বাড়ীতে যাবে , সেখানে গিয়ে সে কিছু খাবার চাইবে। কিন্তু সে যখন একটা বাড়ীতে গেল খাবারের আশা নিয়ে, সে ঘর থেকে একজন সুন্দরী মহিলা বেরিয়ে এলেন ।
সে খাবারের কথা বলতে ভয় পেলো। সে খাবারের
কথা না বলে শুধু এক গ্লাস জল চাইলো । মহিলা ছেলেটার অবস্থা দেখে বুঝলেন যে সে ক্ষুধার্থ । তাই তিনি ছেলেটাকে একটা বড় গ্লাস দুধ এনে দিলেন ।
ছেলেটা আস্তে আস্তে দুধটুকু খেয়ে বলল" আপনাকে আমার কত টাকা দিতে হবে এই দুধের জন্য?"
মহিলা বলল "তোমাকে কোন কিছুই দিতে হবে না ।
ছেলেটা বলল "আমার মা আমাকে বলেছেন কখনো করুণার দান না নিতে । তাহলে আমি
আপনাকে মনের অন্ত:স্থল থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি ।"
ছেলেটার নাম ছিলো স্যাম কেইলি । স্যাম যখন দুধ খেয়ে ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে এল, তখন সে শারীরিকভাবে কিছুটা শক্তি অনুভব করলো । স্যাম
এর বিধাতার উপর ছিলো অগাধ বিশ্বাস । তাছাড়া সে কখনো কিছু ভুলতো না ।
.
অনেক বছর পর ঐ মহিলা মারাত্মকভাবে অসুস্থ
হয়ে পরলো । স্থানীয় ডাক্তাররা তাকে সুস্থ করতে
চেষ্টা করেও ব্যার্থ হল । তখন তাকে পাঠানো হলো একটা বড় শহরের নামকরা হাসপাতালে ।
যেখানে দুলর্ভ ও মারাত্মক রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসা করা হয় ।
ডা: স্যামকেইলি কে এই মহিলার দায়িত্ব দেওয়া হলো । যখন ডাঃ স্যাম কেইলি শুনলেন যে মহিলা কোন
শহর থেকে এসেছেন , তার চোখের দৃষ্টিতে অদ্ভুত একটা আলো যেন জ্বলে উঠলো । তিনি তাড়াতাড়ি
ঐ মহিলাকে দেখতে গেলেন ।
ডাক্তারের এপ্রোন পরে তিনি মহিলার রুমে ঢুকলেন এবং প্রথম দেখাতেই তিনি মহিলাকে চিনতে পারলেন । তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন যে , যেভাবেই হোক
তিনি মহিলাকে বাঁচাবেনই । ঐ দিন থেকে তিনি ঐ রোগীর আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া শুরু করলেন ।
অনেক চেষ্টার পর মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হলো ।
ডাঃ স্যাম কেইলি হাসপাতালের একাউন্টেন্টকে ঐ মহিলার চিকিৎসার বিল দিতে বললেন, কারণ
তার সাইনছাড়া ঐ বিল কার্যকর হবে না ।
ডাঃ স্যাম কেইলি ঐ বিলের কোণায় কি যেনো
লিখলেন এবং তারপর সেটা ঐ মহিলার কাছে
পাঠিয়ে দিলেন । মহিলা ভীষণ ভয় পাচ্ছিলেন
বিলটা খুলতে। কারণ তিনি জানেন যে এতো দিনে
যে পরিমাণ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন