এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

 জিনিয়াস বাঙালি......... ‌

 জিনিয়াস বাঙালি......... ‌


শুনলেই মাথায় আসে রামমোহন থেকে রবীন্দ্রনাথ, কিংবা বিদ্যাসাগর থেকে বিবেকানন্দ । সত্যিই তো বাংলায় মনীষীদের ছড়াছড়ি, সাধে কি আর গোখলে বলেছিলেন, what Bengal thinks today, India will think tomorrow’।

আজ যার কথা বলবো তার নাম এখন আর বিশেষ শোনা যায় না অথচ তাঁর অবদান বা আবিস্কার একসময় বাঙালির সাংসারিক জীবনে এনেছিল এক নিঃশব্দ বিপ্লব ।... পড়ুন বিশেষ নিবন্ধ ধ্রুবতারাদের খোঁজে ।


জন্মগ্রহণ করেন ৪ই ডিসেম্বর, ১৮৬৯ সালে হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়ায়। কলকাতার ভবানীপুরের বিখ্যাত ‘মল্লিক বাড়ি’-র তিনি এক পূর্বপুরুষ।

ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে জিনিয়াসের লক্ষণ দেখা যায়।  পড়ার বইয়ের বাইরে যে বৃহৎ দুনিয়া আছে তা বুঝতে পেরে পাঠ্যবইয়ের বাইরে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বই তিনি পড়ে যেতেন। কলেজে পড়ার সময় তাঁর এই মেধাবী গুনগুলি প্রকাশ পায় বাংলা গুণীজনদের কাছে।


১৮৯১ সালে দর্শনশাস্ত্রে, ১৮৯২ এ পদার্থবিদ্যা ও জীববিদ্যায় এম এ পাশ করেন। তখন বিজ্ঞানের বিষয়ের স্নাতক ও স্নাতকত্তরে  B.A ,M.A ডিগ্রী দেওয়া হতো। এরপর ১৮৯৪ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রির পরীক্ষাতেও সসম্মানে উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৮ সালে কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে তিনিই প্রথম বটানি তে M.A পাশ করেন। এর এক বছর পর তিনি প্রাণিবিদ্যা ও শরীরবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।  ভাবুন একবার, আঠাশ বছর বয়স হতে না হতেই তিনি পকেটে পুরলেন দর্শন, আইন, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বোটানি ও জুলজি এই সবকটি বিষয়ের হয় ডিগ্রি নয় মাস্টার ডিগ্রী !

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


এরই মধ্যে ১৮৯৭ সালে তিনি যোগ দেন বঙ্গবাসী কলেজে দর্শনের অধ্যাপক রূপে। তাঁর পড়ানোর ধরণ ছাত্রদেরকে মুগ্ধ করেছিল এবং তারাও বুঝতে পেরেছিল তাদের এই অধ্যাপক ভদ্রলোকটি কেবলমাত্র একটি বিষয়ে জ্ঞানী নয়। তাদের আবদারে এনাকে পড়াতে হতো উপরিউক্ত প্রায় সবকটি বিষয়। ১৮৯৭ থেকে ১৯০০ সাল অবধি কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে একাধারে দর্শন ও আইন অন্যদিকে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের অধ্যাপনা করেছেন। ১৯০০ সালে অধ্যাপনা ছেড়ে তিনি আইনজীবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ।


কিন্তু অত্যন্ত মেধাবী এই মানুষটি একটি পেশা নিয়ে বসে থাকেন কি করে? ১৯০৮ সালে তিনি মেডিসিনে মাস্টার(এম ডি) ডিগ্রী লাভ করেন। আজকের দিনে ভাবতে পারেন কেউ ?

চিকিৎসক হিসেবে শুরু করলেন  দেশের মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের সচেতননটা বাড়ানোর কর্মসূচি। অটোভ্যাকসিন চিকিৎসা পদ্ধতি ভারতে প্রথম চালু করায় অগ্রনী ছিলেন এই পন্ডিত মানুষটি। সমাজ সংস্কারেও ছিল সমান উৎসাহ।  দেশের জনসাধারনকে স্বাস্থ্যবিধি, পরিচ্ছন্নতা, আহার্য বিধি ইত্যাদি ব্যাপারে শিক্ষিত করে তোলার কাজে তাঁর প্রয়াস সত্যি অপরিহার্য। বিখ্যাত ‘মর্ডান রিভিউ’ পত্রিকায় বের হয় তার ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত গবেষণা পত্র যা আজও ডাক্তারদের কাজে লাগে। এককথায় চিকিৎসক হিসেবে তাঁর বেশ নামডাক হলো তাঁর । শুধু তাই নয় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিও ছিল প্রচ্ছন্ন সমর্থন। বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত দেওঘরে বোমা পরীক্ষার সময় আহত হলে ইনিই গোপনে তাঁর চিকিৎসা করেন।


এবার আসি তাঁর সেই আবিষ্কারের প্রসঙ্গে যার ফলে তিনি জীবদ্দশাতেই হয়ে উঠেছিলেন এক কিংবদন্তি..... ‘‘ইকমিক কুকার’’। ১৯১০ সালে ইকমিক কুকারের উদ্ভাবন করেন । এই কুকারের রান্না করা খাবারের স্বাদ বলা হয় স্বর্গীয় অনুভূতির মতো। বয়স্ক মানুষজন অনেকেই হয়তো দেখে থাকতে পারেন যন্ত্রটিকে । আমরা দেখেছি নিতান্ত অবহেলায় পড়ে আছে রান্নাঘরে কিংবা ভাঁড়ার ঘরের কোণে । অবিবাহিত এবং বেড়াতে গিয়ে যারা রান্না করার বিশেষ পরিবেশ পেতোনা, একসময় তাদের বিশেষ বন্ধু হয়ে উঠেছিল এই ইকমিক কুকার।

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে 


সাহিত্যে ক্ষেত্রেও রেখে গেছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। নানান পত্রপত্রিকায় অজস্র লেখালেখি করেছেন তিনি। বিদেশের বহু স্থানে ভ্রমণ করেছেন  আর তাঁর উল্লেখযোগ্য বিখ্যাত তিনটি ভ্রমণ গ্রন্থের নাম ‘চীন ভ্রমণ’, ‘বিলেত ভ্রমণ’, ‘বিলাতের পথে’। 

এতো বড় পন্ডিত মানুষটি দুনিয়া ছাড়লেন মাত্র ৪৮ বছর বয়সে । মাত্র তিনদিনের জ্বরে আটই মে ১৯১৭ তে যাত্রা করেন অমৃতলোকে । ওহো নামটাই তো বলা হলোনা, এই জিনিয়াস বঙ্গসন্তান টি হলেন ডাক্তার ইন্দুমাধব মল্লিক । নাম শোনেননি নিশ্চয়ই ? টলিউড অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের পিতামহ বা কোয়েল মল্লিকের প্রপিতামহ। 


আজ আর শোনা যায়না অসম্ভব প্রতিভাবান এই মানুষটির নাম, প্রেসার কুকারের সিটির আওয়াজ ও ধোঁয়ায় মিলিয়ে গেছে ইকমিক কুকার আর তাঁর আবিষ্কর্তা । ‌

             কলমে ✍🏻©️ Swapan Sen 

© ধ্রুবতারাদের খোঁজে


#IndumadhabMallick 

#icmiccooker 

#Multitalented

#Bengali

#Remarkable 

#dhrubotaraderkhonje 

#SocialReformer 


Image courtesy- Anandabazar Patrika

কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...