বাংলা ভাষা আন্দোলন ও
উৎকর্ষে দত্ত পরিবার
ভাষা আন্দোলনের সুচনায় ছিলেন দাদু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত আর বাংলা ভাষাকে আপন মহিমায় দুই বাংলায় লালন ও এর উৎকর্ষ সাধন এবং বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছেন তার নাতনী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যারোমা দত্ত ।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার দাবী তুলেন পাকিস্তান পার্লামেন্টে তারপর সূচনা হয় ভাষা আন্দোলনের।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তান পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেন, “রাষ্ট্রভাষা সেই ভাষাই হওয়া উচিৎ, রাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ যে ভাষা ব্যাবহার করে এবং আমি মনে করি যে, বাংলা ভাষাই আমাদের রাষ্ট্রের লিংগুয়া ফ্রাংকা।”
তার এ বক্তব্য ছিলো মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ‘‘উর্দু হবে রাষ্ট্রভাষা’’ ঘোষণার প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ।
ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাক বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।পাক হানাদার বাহিনী ৮৪ বছর বয়স্ক ধীরেন্দ্র নাথ দত্তকে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে তার দু’চোখে কলম দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে অন্ধ করে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে। তার মরদেহ রাস্তায় রেখে দেয়া হয় গায়ে থুতু দেয়ার জন্য।
শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের স্মৃতি তার নাতনী অরমা দত্ত লালন করছেন বাংলা ভাষাকে আপন মহিমায় লালন করে।
বিনম্র শ্রদ্ধা শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ও তার সুযোগ্য নাতনী সাংসদ অ্যারোমা দত্তকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন