কোষ্ঠকাঠিন্যকে একেবারে হালকাভাবে নেয়াটা এক ধরণের ক্রাইম। দুই সপ্তাহ ধরে পায়খানা না হওয়ার পর অবশেষে এক্সরে করিয়েছে। এখন দেখুন অবস্থা...
বাচ্চাদের তো বটেই, আপনার নিজেরও কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎকের পরামর্শ নেবেন। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকার জন্য কিছু খাবারের নাম বলে দিচ্ছি। শেয়ার করে রাখতে পারেন।
শাকসবজি: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আঁশযুক্ত খাবারের কোনো বিকল্প নেই। আর শাকসবজি হলো আঁশের সবচেয়ে ভালো উৎস। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় তাজা মৌসুমি শাকসবজি রাখুন। সবজির মাঝে লাউ, পেঁপে, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স রাখুন।
কলা: কলায় প্রচুর আঁশ রয়েছে। তাই যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সকালের নাশতায় একটি করে পাকা কলা রাখুন।
আপেল: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে নিয়মিত খোসাসহ আপেল খান। আপেলের খোসায় পর্যাপ্ত আঁশ রয়েছে, যা মল নরম করে।
নাশপাতি: প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে আমাদের দৈনন্দিন আঁশের চাহিদা ২২ শতাংশ পূরণ হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
ইসবগুলের ভুসি: ইসবগুলের ভুসি প্রাকৃতিকভাবেই মল নরম করতে, মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ও সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় আঁশ রয়েছে, যা প্রচুর পানি শোষণ করে। সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একইভাবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সকালে মলত্যাগে কোনো সমস্যা হয় না। তবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সারা দিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। না হলে ইসবগুলের ভুসি শরীর থেকে পানি শোষণ করে মলত্যাগ আরও কষ্টসাধ্য করে তুলবে।
©
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন