এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই


মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।


ক্লিওপেট্রা ....মিশরের ইতিহাস নিয়ে আগ্রহ আছে অথচ এ নামটি শোনেননি, এমন মানুষ হয়তো নেই। এই নারী শাসকের প্রেম আর সৌন্দর্যের ফাঁদে পড়েননি, এমন পুরুষ সে আমলে পাওয়া যাবে না বললেই চলে। এই লাস্যময়ী নারী শুধুমাত্র তার রূপের গুণেই কত বড় বড় যুদ্ধ বিনা রক্তপাতে জয়লাভ করেছেন!


অথচ এমন একদিন এসেছিল, যেদিন তাকে কিনা বন্দী হতে হতো অক্টাভিয়ানের হাতে, হয়তো বরণ করে নিতে হতো দাসীর জীবন। তিনি ভেবেছিলেন, এর চেয়ে বরং মৃত্যুই শ্রেয়! সারা জীবন তিনি বিলাসিতা আর সৌন্দর্যের যে উপাখ্যান রচনা করেছেন, মৃত্যুতেও সেই ইতিহাস অমর করে রাখতে চেয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা। তাই তিনি বেছে নিয়েছিলেন অমরত্ব লাভের অন্য পথ। বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই সাপ ছোবল মারে তার বুকে।


হলিউড সিনেমাগুলোতে ক্লিওপেট্রাকে যেভাবে শুধুমাত্র এক আকর্ষণীয় নারী চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, বাস্তবে তিনি ছিলেন তার চেয়েও ঢের বেশি। অসম্ভব কুশলী আর যথেষ্ট রাজনৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন তিনি। তারপরও কীভাবে এই করুণ পরিণতির সম্মুখীন হলেন ‘সৌন্দর্যের দেবী’ বলে আখ্যায়িত ক্লিওপেট্রা, সেটিই তুলে ধরা হচ্ছে আজকের লেখায়।


৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রাজা টলেমি অলেটিসের ঘরে জন্ম নেন সপ্তদশ ক্লিওপেট্রা। ধন-দৌলত, ঐতিহ্য বা ইতিহাস- সবদিক থেকেই মিশর ছিল অতুলনীয়। ক্লিওপেট্রা জন্মানোর আরো ১০০ বছর আগে থেকেই অন্য এক পরাশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিল সে অঞ্চলে, সেই শক্তির অধিপতি ছিল রোমানরা। মিশরের বুকে টলেমি রাজবংশের রাজত্ব প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলছিল। টলেমিদের পূর্বপুরুষ ছিলেন গ্রিকের মেসোডোনিয়ার। আদি অধিবাসী না হয়েও বছরের পর বছর মিশরের নাগরিকদের শাসন করে আসছিল তারা, এই নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হতে থাকে মিশরীয় রক্ত ধারণ করা মানুষগুলো। ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে টলেমি রাজত্ব। যেকোনো সময়েই রোমানরা আক্রমণ চালাতে পারে, এই ভয়ে টলেমি বংশ রোমানদের সাথে শান্তিচুক্তি করে। দামি দামি উপঢৌকন আর প্রজাদের কর রোমানদের পাঠিয়ে তুষ্ট রাখতে চায় টলেমিরা, বিনিময়ে তাদের চাওয়া ছিল মিশরের শাসক হিসেবে বহাল থাকা।


এমনই এক নড়বড়ে অবস্থায় জন্ম ক্লিওপেট্রার। ৫১ খ্রিস্টপূর্বে অলেটিস যখন মারা যান, তার উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যান তার মেয়ে ক্লিওপেট্রা আর ছেলে ত্রয়োদশ টলেমিকে। প্রাচীন মিশরের নিয়ম অনুসারে, একজন নারী শাসক সবসময়ই পুরুষ শাসকের অধীনে থাকবে। তবে ক্লিওপেট্রার ইচ্ছা ছিল অন্যরকম। সিংহাসনে আরোহণের কিছুদিনের মাথায় সরকারি সকল নথি থেকে, এমনকি মুদ্রা থেকেও ভাইয়ের ছবি বর্জন করেন তিনি। উল্লেখ্য যে, ক্লিওপেট্রার বয়স ছিল তখন ১৮ আর টলেমির বয়স ১০ এবং তাদের বিয়েও হয়েছিল! এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ, প্রাচীন মিশরীয় বংশে এটি ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। এ রীতির ফলে সিংহাসনের দাবিদার যেমন কমে যেত, তেমনি রাজবংশের মেয়েরাও রানী হিসেবে যথোপযুক্ত মর্যাদায় জীবন অতিবাহিত করতেন! কিন্তু ক্লিওপেট্রা এতেই সন্তুষ্ট ছিলেন না। তার চোখে ছিল সারা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী নারী আর ধনকুবের হওয়ার স্বপ্ন।


কিন্তু অচিরেই তার এই পন্থা রাজকার্যের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের খেপিয়ে তোলে। কিছুদিনের মধ্যেই তাকে এই কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেকজান্দ্রিয়া (তৎকালীন মিশরের রাজধানী) থেকে বিতাড়িত করেন ত্রয়োদশ টলেমি। ক্লিওপেট্রা পালিয়ে যান সিরিয়ায়।


মাঝে আরও বেশ কিছু বিরোধের ঘটনা ঘটে রোমান আর মিশরীয়দের মাঝে। একদিকে ক্লিওপেট্রা ছিলেন নিজের শাসন ক্ষমতা ফিরে পেতে উদগ্রীব, আর অন্যদিকে মিশরের দিকে চোখ ছিল রোমান সাম্রাজ্যের। একদিকে ছিলেন টলেমি, ক্লিওপেট্রা; অন্যদিকে ছিলেন জুলিয়াস সিজার। জুলিয়াস সিজার হলেন রোমান সাম্রাজ্যের উত্থানের এক ঐতিহাসিক চরিত্র। সিজারের সাথে ছিল সেপ্টিমিয়াস আর আচিলাসের বাহিনী। সিজার খুব সহজেই টলেমিকে ক্ষমতাচ্যুত করলেন। আর তখনই চাল চাললেন বুদ্ধিমতী ক্লিওপেট্রা।


অ্যাপোলোডোরাস নামের বিশ্বস্ত সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে আলেকজান্দ্রিয়ার বন্দরে হাজির হলেন তিনি। খুব দামি একটি কম্বল কিনে ক্লিওপেট্রাকে ওই কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে সিজারের কাছে পাঠিয়ে দিলেন অ্যাপোলোডোরাস। যুদ্ধের সময় এমন একটি উপহার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আশ্চর্য হয়ে গেলেন সিজার। ভেতরে ক্লিওপেট্রাকে পেয়ে আকাশ থেকে পড়লেন তিনি। তাকে দেখে সিজারের যেন মাথা ঘুরে গেল। আর সিজারকে বশ করতেও খুব বেশি সময় লাগল না ক্লিওপেট্রার। ব্যাপারটি ভাবলে দেখা যায়- একদিকে টলেমি ক্ষমতাচ্যুত হলেন, আলেকজান্দ্রিয়ার জন্য যুদ্ধ করলেন সিজার আর সেপ্টিমিয়াস; ওদিকে বিনা যুদ্ধে সিংহাসনে বসলেন কিনা ক্লিওপেট্রা! একটি সৈন্যও মারা গেল না, একটি তীরও ছুঁড়তে হল না তাকে!


ক্লিওপেট্রার সাধ ছিল পৃথিবীর সেরা ধনবান নারী হওয়ার। আর এদিকে মোটা অংকের ঋণ জোগাড়ে জুড়ি ছিল না সিজারের। তাই সম্পর্ক ভালোই চলছিল দুজনের।


কিন্তু ঘটনার অন্যতম নায়ক টলেমিকে ভুলে গেলে চলবে না। এত সহজে ক্ষমতার লোভ ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। পনথিনাসের নেতৃত্বে ২০,০০০ সৈন্য নিয়ে ৪৭ খ্রিস্টপূর্বে আলেকজান্দ্রিয়া আক্রমণ করেন তিনি। কিন্তু অচিরেই যুদ্ধে পরাজিত হন টলেমি। পালাতে গিয়ে নীল নদে ডুবে মারা যান তিনি। তার কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন সিজার এবং ক্লিওপেট্রা। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই আততায়ীর হাতে খুন হন সিজার। ক্লিওপেট্রা নিজেকে যেমন মিশরীয় দেবী আইসিসের পুনরুত্থান বলে মনে করতেন, তেমনি সিজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তিনিও খুব শীঘ্রই নিজেকে দেবতা হিসেবে ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। তাই রোমানরা তার এই পাগলামি আর সহ্য করতে না পেরে খুন করেছিল তাকে। অথচ এই খুনের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হন ক্লিওপেট্রা নিজে। কারণ তখন তিনি হলেন প্রাচীন মিশরের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী।


ঘটনা এখানে শেষ হলেও পারত। কিন্তু আসল নায়কের আবির্ভাব এখনো বাকি। রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বিদ্রোহীদের সাহায্য করার অভিযোগে ক্লিওপেট্রাকে কঠোর বার্তা পাঠান রোমান নেতা মার্ক অ্যান্টনি। অ্যান্টনি জুলিয়াস সিজারের সমর্থক ছিলেন এবং তার জীবদ্দশায় তার জেনারেলদের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আলোচনার উদ্দেশ্যে সিলিসিয়ায় যেতে বাধ্য করা হলো তাকে, মহাসমারোহে সিলিসিয়ায় পৌঁছালেন ক্লিওপেট্রা। কিন্তু তাকে দেখে এতটাই বিমোহিত হয়ে পড়েছিলেন অ্যান্টনি, সবকিছু ভুলে রানীর সাথে আলেকজান্দ্রিয়ায় ফেরত আসলেন তিনি। এক বছরের মধ্যে জমজ সন্তানের জন্ম দিলেন ক্লিওপেট্রা। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ৩৬ খ্রিস্টপূর্বে পুনরায় ক্লিওপেট্রাকে বিয়ে করলেন অ্যান্টনি। আগের স্ত্রীর সাথে বিবাহ-বিচ্ছেদ করলেন তিনি। আর তার সাথে সকল রোমান মুদ্রায় মুদ্রিত হলো ক্লিওপেট্রার ছবি।


এসব কিছু ক্ষিপ্ত করে তোলে অ্যান্টনির আগের স্ত্রী অক্টাভিয়ার ভাইকে। নৌপথে আক্রমণ চালান তিনি। অ্যান্টনির বাহিনী এত শক্তিশালী ছিল না যে, এই আঘাত সামাল দিতে পারবে। তাই অচিরেই আলেকজান্দ্রিয়ায় পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন তিনি। কিন্তু বিধি বাম! নিজের ভালোবাসার মানুষ ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ তাকে উদ্যত করে আত্মহত্যা করতে, নিজের তরবারি দিয়ে নিজেরই প্রাণ নেন এই মহান যোদ্ধা। নিজের মৃত্যুর ভুয়া খবর নিজেই ছড়িয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা, কিন্তু এ ব্যাপারে অ্যান্টনি জানতেন না কিছুই!


কিছু ভালোবাসার কাহিনী যেমন অমর হয়ে থাকে, তেমনই ছিল ক্লিওপেট্রা আর অ্যান্টনির সম্পর্ক। অ্যান্টনির মৃত্যুর সংবাদে বিচলিত হয়ে ওঠেন তিনি। বুঝতে পারেন, কী বিশাল ভুল হয়েছে তার। এরপর ৩০ খ্রিস্টপূর্বে ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ব্যথা নিয়ে সাপের কামড়ে আত্মাহুতি দেন ক্লিওপেট্রা। ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর সাথে সাথে শেষ হয় মিশরে টলেমিদের রাজত্বের, ভিত্তি স্থাপন হয় মিশরের বুকে রোমান সাম্রাজ্যের।


প্রশ্ন ওঠে, ক্লিওপেট্রা কি আসলেই সৌন্দর্যের দেবী ছিলেন? তার সাফল্যগাথা কি কেবল তার রূপের সাথেই জড়িত ছিল? সিজার অথবা অ্যান্টনির মতো কুখ্যাত নারীঘেঁষা চরিত্র ক্লিওপেট্রাকে কি কেবল তার আকর্ষণীয় রূপের জন্যই ভালোবেসেছিলেন?


বাহ্যিক সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে হয়তো ক্লিওপেট্রাকে মাপা যাবে না। রোমান ইতিহাসবিদ ক্যাসিয়াস ডিও আমাদেরকে বলেন যে, ক্লিওপেট্রার নিজেকে প্রত্যেকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার মতো অসাধারণ জ্ঞান ছিল। একইভাবে, গ্রীক ইতিহাসবিদ প্লুটোচ বলেন, ক্লিওপেট্রার সাথে কথোপকথন ছিল একটি অলঙ্ঘনীয় কবিতার মতো; আর তার উপস্থিতি, তার বক্তৃতা যেকোনো চরিত্রকে আকর্ষণ করার জন্য যথেষ্ট ছিল। তিনি আরো লিখেছিলেন যে, ক্লিওপেট্রার কণ্ঠে মিষ্টতা ছিল; এবং তিনি সহজেই যেকোনো পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতেন।


তাই বলা যায়, কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং বুদ্ধি, সাহস আর মর্মস্পর্শী আচরণ দিয়ে তিনি হৃদয় জয় করেছিলেন সিজার ও অ্যান্টনির মতো ক্ষমতাধর পুরুষদের। ক্লিওপেট্রার আসল সৌন্দর্য ছিল তার বুদ্ধিদীপ্ত আচরণে, তা নিয়েই তিনি হাজার হাজার বছর ধরে অমর হয়ে থাকবেন পৃথিবীর ইতিহাসে।


Collected.


Source ...Ancient Egypt

যৌন রোগে ব্যবহৃত অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ঔষধ সমূহ।

 🌿যৌন রোগে ব্যবহৃত অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ঔষধ সমূহ।হোমিও ডাক্তারদের কাছে যৌন দুবর্লতার যত রোগী যান, তাদের প্রত্যেকেই বলেন যে, এলোপ্যাথিক বা কবিরাজি চিকিৎসায় তারা কোন সত্যিকারের উপকার পান নাই। (যতদিন ঔষধ খাই ততদিনই ভাল থাকি ; ঔষধ বন্ধ করলেই অবস্থা আগের মতো।) অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে।


🌿Lycopodium clavatum:

লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।


🌿Selenium:

যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।


🌿Agnus Castus:

রণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।


🌿Caladium seguinum:

যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।


🌿Origanum marjorana:

ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।


🌿Moschus Moschiferus:

ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।


🌿Staphisagria:

পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।


🌿Salix nigra:

মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।


🌿Sabal serrulata:

সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।


🌿Conium:

স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।


🌿Calcarea Carb:

ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।


🌿Natrum carbonicum:

যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।


🌿Nux Vomica:

নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।


🌿Titanium:

সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা

পূর্ব প্রকাশের পর।


🌿হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿হেল্পলাইন 01955507911

মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।

 কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।


কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল বিচিত্র আর বহুবর্ণিল। তাঁর সেই জীবনের কতটুকুই-বা আমরা জানি? আজ নজরুলজয়ন্তীতে নজরুল-গবেষকদের লেখা বিভিন্ন বই ও পত্রিকা ঘেঁটে এখানে বিদ্রোহী কবি-সম্পর্কিত এমন ২০টি তথ্য তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন!


🌹১. নজরুলের জীবন কোনো নিয়মের জালে আটকা ছিল না। যখন যা ভালো লাগত, তিনি তা-ই করতেন। দিন নেই, রাত নেই হই হই রব তুলে উঠে পড়তেন কোনো বন্ধুর বাড়িতে। তারপর চলত অবিরাম আড্ডা আর গান!


🌹২. নজরুলের লেখার জন্য কোনো বিশেষ পরিবেশ লাগত না। গাছতলায় বসে যেমন তিনি লিখতে পারতেন, তেমনি ঘরোয়া বৈঠকেও তাঁর ভেতর থেকে লেখা বের হয়ে আসত।


🌹৩. নজরুল ইসলাম কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ঝলমলে রঙিন পোশাক পরতেন। কেউ তাঁকে রঙিন পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, রঙিন পোশাক পরি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তথ্য দিয়েছেন, নজরুল তাঁর ঝলমলে পোশাকের ব্যাপারে বলতেন, ‘আমার সম্ভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। আমার তো মানুষকে বিভ্রান্ত করবার কথা!’


🌹৪. নজরুলের পাঠাভ্যাস ছিল বহুমুখী। তিনি পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, বেদ, ত্রিপিটক, মহাভারত, রামায়ণ যেমন পড়তেন, তেমন পড়তেন শেলি, কিটস, কার্ল মার্ক্স, ম্যাক্সিম গোর্কিসহ বিশ্বখ্যাত লেখকদের লেখা। রবীন্দ্রনাথের ‘গীতবিতান’-এর সব কটি গান মুখস্থ করে ফেলেছিলেন তিনি!


🌹৫. বাংলা গানে নজরুলই একমাত্র ব‌্যক্তি, যিনি সব ধরনের বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন। তাঁর গানের সংখ্যা অনেকে চার হাজার বললেও আসলে তিনি গান লিখেছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো, যার অধিকাংশই সংরক্ষণ করা যায়নি।


🌹৬. বাঙালি কবিদের মধ্যে নজরুলই ছিলেন সবচেয়ে বেশি রসিক। তাঁর কথায় হাসির ঢেউ উঠত। হিরণ্ময় ভট্টাচার্য ‘রসিক নজরুল’ নামে একটি বই লিখেছেন। যাঁরা বইটি পড়েননি, তাঁদের পক্ষে বোঝা কষ্টকর নজরুল কী পরিমাণ রসিক ছিলেন! একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, একবার এক ভদ্রমহিলা নজরুলকে খুব স্মার্টলি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি পানাসক্ত?’ নজরুল বললেন, ‘না, বেশ্যাসক্ত!’ কবির কথায় ভদ্রমহিলার মুখ কালো হয়ে গেল। আর তক্ষুনি ব্যাখ্যা করলেন নজরুল, ‘পান একটু বেশি খাই। তাই বেশ্যাসক্ত, অর্থাৎ বেশি+আসক্ত = বেশ্যাসক্ত!’


🌹৭. নজরুলের প্রেমে পড়েননি, এমন পুরুষ কিংবা নারী খুঁজে পাওয়া ভার। তাঁর চরম শত্রুরাও তাঁর ভালোবাসার শক্তির কাছে হার মেনেছেন। কবি বুদ্ধদেব বসু নজরুলকে প্রথম দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। তিনি লিখেছেন, ‘সেই প্রথম আমি দেখলাম নজরুলকে। এবং অন্য অনেকের মতো যথারীতি তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম!’ শুধু বুদ্ধদেব বসু নন, তাঁর স্ত্রী প্রতিভা বসুও নজরুলের প্রেমে পড়েছিলেন। সেই কাহিনি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘আয়না’ নামে একটি গল্প। কী অবাক কাণ্ড! স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একই লেখকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন!


🌹৮. কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর পান ও চা খেতেন। লিখতে বসার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ চা আর এক থালা পান নিয়ে বসতেন তিনি। পান শেষ করে চা, এরপর আবার চা শেষ করে পান খেতেন। তিনি বলতেন, ‘লেখক যদি হতে চান/ লাখ পেয়ালা চা খান!’


🌹৯. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের হস্তরেখা বিশারদ। তিনি অনেকের হাত দেখে যা বলতেন, তা-ই ঘটতে দেখা গেছে। একবার এক লোককে বললেন, আপনার বিদেশযাত্রা আছে, লোকটি সত্যিই কয়েক দিনের মধ‌্যে বিদেশ চলে গেল! আরেকজনকে বললেন, ‘আপনি পৃথিবীর বাইরে চলে যেতে পারেন।’ পরে ওই লোকটির মৃত্যু ঘটেছিল!


🌹১০. মাঝেমধ্যে রাগান্বিত হলে নজরুল তাঁর সামনে যদি কোনো বই-খাতা পেতেন বা কাগজ পেতেন, তা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতেন।


🌹১১. অর্থের ব্যাপারে নজরুল ছিলেন ভয়াবহ বেহিসাবি। হাতে টাকা এলেই তা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমোদ-ফুর্তি করে শেষ করে দিতেন। আর বলতেন, ‘আমি আমার হাতের টাকা বন্ধুদের জন্য খরচ করছি। আর যখন ওদের টাকা হবে ওরাও আমার জন্য খরচ করবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই।’


🌹১২. নজরুল তাঁর দুই পুত্রের ডাকনাম সানি (কাজী সব্যসাচী) আর নিনি (কাজী অনিরুদ্ধ) রেখেছিলেন তাঁর দুই প্রিয় মানুষ সান ইয়াত-সেন ও লেনিনের নামানুসারে।


🌹১৩. নজরুল তাঁর সন্তানদের খুবই ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি তাঁদের নিজ হাতে খাওয়াতেন আর ছড়া কাটতেন, ‘সানি-নিনি দুই ভাই/ ব্যাঙ মারে ঠুই ঠাই।’ কিংবা ‘তোমার সানি যুদ্ধে যাবে মুখটি করে চাঁদপানা/ কোল-ন্যাওটা তোমার নিনি বোমার ভয়ে আধখানা।’


🌹১৪. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের জনদরদি মানুষ। একটি ঘটনা দিয়ে তার প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার এক দরিদ্র হিন্দু মেয়ের বিবাহ। কোনোরকমে কন্যা বিদায়ের আয়োজন চলছে। নজরুল খবরটি পেলেন। তিনি দ্রুত বাজারে গেলেন। এক হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে বিয়ের বাজার করলেন। তারপর ধুমধাম করে মেয়েটির বিয়ে হলো। মেয়ের বাবা নজরুলকে প্রণাম করে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমরা আপনাকে ভুলব না কোনো দিন।’ এমনই ছিলেন কবি। তাঁর বাড়িতে সাঁওতাল, গারো, কোল—সবাই দল বেঁধে আসতেন। আপ্যায়িত হতেন উৎসবসহকারে।


🌹১৫. নজরুল কবিতা ও গানের স্বত্ব বিক্রি করে উন্নত মানের একটি ক্রাইসলার গাড়ি কিনতে পেরেছিলেন। এই গাড়ি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি।


🌹১৬. নজরুল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা ভাড়া করে মাঝেমধ্যে প্রমোদভ্রমণে যেতেন।


🌹১৭. নজরুলের দৃষ্টিশক্তি ছিল অসামান্য। তিনি গভীর অন্ধকারেও বহুদূরের কোনো জিনিস স্পষ্ট দেখতে পেতেন।


🌹১৮. নজরুল ছিলেন অসম্ভব রকমের ক্রীড়াপ্রেমী। সময় পেলেই তিনি ফুটবল খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ছুটতেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। যেদিন বাড়ি থেকে সোজা খেলা দেখতে যেতেন, সেদিন দুই পুত্র সানি আর নিনিকে সঙ্গে নিতেন। একবার খেলা দেখতে গেছেন। স্টেডিয়ামে পাশে বসে আছেন হুমায়ূন কবির। খেলা ভাঙার পর ভিড়ের মধ্যে দুই পুত্র খানিকটা আড়ালে চলে গেল। হঠাৎ পেছন থেকে নজরুলের হাঁকডাক শোনা গেল, ‘সানি কোথায়? নিনি কোথায়?’ মাঠসুদ্ধ লোক হাঁ হয়ে নজরুলকে দেখছে। এরই মধ্যে দুই পুত্রকে ঠেসে ধরে ট্যাক্সি করে বাড়ি নিয়ে এসে তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।


🌹১৯. নজরুল বেশ দক্ষ দাবাড়ু ছিলেন। যেদিন বিশেষ কোনো কাজ থাকত না, সেদিন তিনি দাবা খেলতেন। খেলায় এমন মগ্ন হতেন যে খাওয়া-নাওয়ার খেয়ালও থাকত না। মাঝেমধ্যে নজরুলের বাড়িতে দাবার আসর বসাতে আসতেন কাজী মোহাতার হোসেন ও হেম সোম।


🌹২০. কলকাতায় নজরুলের তিনতলা বাড়ির সামনে ছিল একটা ন্যাড়া মাঠ। খেলা নিয়ে বহু কাণ্ড ঘটেছে ওই মাঠে। একবার জোর ক্রিকেট খেলা চলছে। নজরুল গ্যালারি অর্থাৎ বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলারত তাঁর দুই পুত্রকে জোর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বড় পুত্র সানি এল ব্যাট করতে। প্রথম বলেই ছয়! নজরুলের সে কি দাপাদাপি! ঠিক পরের বল আসার আগে তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘সানি, ওই রকম আরেকটা মার।’ ব্যস বাবার কথায় উত্তেজিত হয়ে দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ব্যাট চালাল পুত্র। ব্যাট অবশ্য বলে লাগল না। লাগল উইকেটকিপারের চোয়ালে! বেশ রক্তারক্তি অবস্থা! অবশেষে খেলা বন্ধ করা হলো।


এমনই নানা রঙের মানুষ ছিলেন নজরুল। যাঁর জীবনে দুঃখ-কষ্টের অভাব ছিল না, আবার রং-রূপেরও অভাব ছিল না। পৃথিবীর খুব কম মানুষই বোধ হয় এমন  মহাজীবনের অধিকারী হন। বুদ্ধদেব বসু যথার্থই বলেছিলেন, ‘কণ্ঠে তাঁর হাসি, কণ্ঠে তাঁর গান, প্রাণে তাঁর অফুরান আনন্দ—সব মিলিয়ে মনোলুণ্ঠনকারী এক মানুষ।’

💜❤️🤍💜

___ নজরুল অঞ্জলি ツ

(সংগৃহীত)

কম বেশি সকল নারীর এখন এই রোগে আক্রান্ত,, ওভারিয়ান সিস্ট: নীরবতা ভাঙুন, জেনে রাখুন

 কম বেশি সকল নারীর এখন এই রোগে আক্রান্ত,,


ওভারিয়ান সিস্ট: নীরবতা ভাঙুন, জেনে রাখুন


হঠাৎ তীব্র পেটব্যথা , মাসিক এলোমেলো ,মাথা ঘোরা , জ্বর জ্বর ভাব , বমি বমি ভাব হলেই উপেক্ষা করবেন না |


সিস্ট একটা শব্দ নয়—এটা একজন নারীর অজানা আতঙ্ক, নীরব যন্ত্রণা।


বেশিরভাগ সিস্ট ক্ষতিকর নয়, মিলিয়ে যায় নিজে থেকেই। কিন্তু কিছু সিস্ট হতে পারে বিপজ্জনক যদি উপেক্ষা করেন, হারাতে পারেন ভবিষ্যতের সম্ভাবনাও।


অবশ্যই সমাধান আছে, সচেতনতা প্রয়োজন ।


• ব্যথা হলে ওষুধ নয়—ডাক্তার দেখান

• বড় বা জটিল সিস্ট হলে অপারেশন জরুরি

• হঠাৎ তল পেট ব্যথা, মাথা ঘোরা বা জ্বর হলে দেরি না করে ডাক্তার বা হাসপাতালের শরনাপন্ন হন !


হেমরোজিক সিস্ট (Hemorrhagic cyst) হলো এক ধরনের ওভারিয়ান সিস্ট, যেখানে সিস্টের ভেতরে 🩸রক্ত জমে যায়। এটি সাধারণত ফেটে গেলে তীব্র পেটে ব্যথা হতে পারে। এটি স্বাভাবিক মাসিক চক্রে হয়ে থাকতে পারে এবং অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়।


পলিসিস্টিক (Polycystic Ovary Syndrome - PCOS) হলো হরমোনজনিত সমস্যা, যেখানে ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়। এটি গর্ভধারণ ও গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন গর্ভপাত বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ানো। নিয়মিত চিকিৎসা ও যত্ন জরুরি।


অ্যাডনেক্সাল সিস্ট হলো জরায়ুর আশেপাশে থাকা ডিম্বাশয় বা ফলোপিয়ান টিউবে তৈরি তরলপূর্ণ একটি থলি বা গাঁট। এটি সাধারনত অস্বাভাবিক নয় এবং অনেক সময় নিজে নিজেই সেরে যায়। তবে কখনো কখনো এটি বড় হয়ে ব্যথা, ঋতুচক্রে অসামঞ্জস্য বা গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। প্রয়োজনে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

টেইলরিং বিজনেসে ফেসবুকে অর্গানিক রিচ বাড়াতে হলে কনটেন্ট, কমিউনিটি এবং কনসিস্টেন্সি—এই তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নিচে একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা দেওয়া হলো, যেটি আপনি সহজেই ফলো করতে পারবেন:,,,,

 🏆🪡🧵টেইলরিং বিজনেসে ফেসবুকে অর্গানিক রিচ বাড়াতে হলে কনটেন্ট, কমিউনিটি এবং কনসিস্টেন্সি—এই তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নিচে একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা দেওয়া হলো, যেটি আপনি সহজেই ফলো করতে পারবেন:🏆


📌 পরিকল্পনার ধাপসমূহ:


১. 🎯 টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ


বয়স: ১৮–৪০ বছর


অবস্থান: বাংলাদেশ (বিশেষ করে শহরাঞ্চল)


আগ্রহ: ফ্যাশন, নিজস্ব পোশাক তৈরি, বিয়ে/ইভেন্ট ড্রেস, হিজাব স্টাইল, স্টিচিং/ডিজাইন ইত্যাদি।


২. 📱 প্রোফাইল/পেজ অপটিমাইজেশন


পেজের নাম ও ইউজারনেম পরিষ্কার ও ব্র্যান্ডেড রাখুন।


প্রোফাইল পিকচার: লোগো বা পরিচিতি ছবি।


কভার ফটো: আপনার কাজের নমুনা ও যোগাযোগের তথ্য।


অ্যাবাউট সেকশন: কী ধরনের সার্ভিস দেন, অবস্থান, সময়, কাস্টমাইজেশন সুবিধা ইত্যাদি উল্লেখ করুন।


৩. 📸 কনটেন্ট প্ল্যানিং (সাপ্তাহিক)


দিন কনটেন্ট আইডিয়া টাইপ


সোমবার নতুন ড্রেস ডিজাইন (Before & After) রিল / ভিডিও

মঙ্গলবার কাস্টমার রিভিউ / ভিডিও টেস্টিমোনিয়াল ছবি/ভিডিও

বুধবার কাপড় ও কাটিং সম্পর্কে টিপস গ্রাফিক্স / রিল

বৃহস্পতিবার “কিভাবে একটা অর্ডার প্রসেস হয়” (Behind the scenes) রিল

শুক্রবার ইসলামিক / modest fashion tips ক্যারোসেল

শনিবার "আপনার প্রশ্নের উত্তর" / Q&A লাইভ বা ভিডিও

রবিবার হ্যান্ডমেড ডিটেইল/মেশিন ওয়ার্ক দেখানো ক্লোজআপ রিল


৪. 🎬 ভিডিও কনটেন্টের গুরুত্ব


১৫–৩০ সেকেন্ডের ছোট ছোট Reels বেশি রিচ পায়।


ভিডিওতে মানুষ, মুভমেন্ট, এবং কিছু লেখা থাকলে বেশি এনগেজমেন্ট হয়।


"Before vs After", "1 Dress – 3 Looks", "Client Reaction", “Process” টাইপ ভিডিও তৈরি করুন।


৫. 🧵 ইনোভেটিভ পোস্ট আইডিয়াস


“আপনার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি ড্রেস ডিজাইন”


“কাস্টমাইজড জামার পেছনের গল্প”


“১২০০ টাকায় বিয়ের শাড়ির ব্লাউজ ডিজাইন”


“এই ডিজাইনটা কোন কালেকশন থেকে? দেখে বলেন তো?”

পোল / কুইজ: “আপনি কোন ডিজাইনটা পছন্দ করেন?”


৬. 🤝 কমিউনিটি এনগেজমেন্ট কৌশল

পোস্টে প্রশ্ন রাখুন: "আপনি কোন ডিজাইনটা পছন্দ করছেন?"

কমেন্টে রিপ্লাই দিন।ইনবক্সে আগ্রহ দেখানো মানুষদের সাথে আন্তরিক ব্যবহার করুন।কাস্টমারদের ট্যাগ করে রিভিউ শেয়ার করতে বলুন।


৭. 📊 টাইমিং ও কনসিস্টেন্সি

পোস্ট টাইম:

সকাল ৯–১০টা

বিকাল ৫–৬টা

রাত ৮–৯টা

প্রতিদিন ১–২টি পোস্ট কনসিস্টেন্ট রাখুন।প্রতি সপ্তাহে ১ দিন লাইভ আসার চেষ্টা করুন।


৮. 📌 হ্যাশট্যাগ ও লোকেশন ট্যাগ


#টেইলরিং_বাংলাদেশ


#CustomDressBD


#AnarkaliDesign


#StitchingStudio


লোকেশন ট্যাগ: আপনার শহরের নাম দিন, যেমন “Dhaka, Bangladesh”


৯. 📲 ফেসবুক গ্রুপ ও ইনবক্স মার্কেটিং

স্থানীয় টেইলরিং/ফ্যাশন/মেয়েদের গ্রুপে পোস্ট করুন।

আগ্রহী লোকদের ইনবক্সে thank you note ও নতুন অফার পাঠান।


১০. 📈 ফলাফল বিশ্লেষণ

Facebook Insights দেখে বুঝুন কোন পোস্ট বেশি রিচ পাচ্ছে।সেই টাইপ কনটেন্ট নিয়মিত করুন।


🌟 এক্সট্রা টিপস:


কম আলো, ঝাপসা ছবি কখনো পোস্ট করবেন না।


কনটেন্টে মানুষ এবং আবেগ থাকলে রিচ বেশি হয়।


মাঝে মাঝে কন্টেস্ট বা গিভওয়ে দিন।


আনিকা তাবাসসুম 

ফ্যাশন ডিজাইনার,উদ্যোক্তা,প্রশিক্ষক

গাভী গর্ভকালীন সময় যা যা করণীয় 

 গাভী গর্ভকালীন সময় যা যা করণীয় 


১.গাভীর গর্ভের সময়কার সাত মাসের বেশী হলে এ সময় বেশী করে প্রোটিন যুক্ত কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে,যে কোন  ঘাস হলেই হবে না।ঘাসের ক্রুড প্রোটিন ও মিনারেলস ও পুষ্টি উপাদান প্রসব সহায়তা করে। 


২.শেষের দুইমাস দানাদার কমিয়ে আনতে হবে;এসময় গাভীর খাদ্য গ্রহনের জন্য পেটে জায়গা অনেক কমে যায়।যা খাবার দিবেন,যথেষ্ট পুষ্টিকর হতে হবে।ছোলা,মশুরী ও সয়াবিন,সরিষার খৈল উপকারী।অনেকে প্রিমাফ্যাট,হাই ফ্যাট/পাম ওয়েল ফ্যাট খাওয়ানোতে ও বেশ উপকার পাচ্ছেন। 


৩.এ সময় মিনারেলস এর পরিমান বাড়াতে হবে,সাধারন লবনের/NaCl খাওয়ানো একদম কমাতে হবে,বা বাধ দিতে হবে।সাধারন লবনের পরিমান বেশী হলে ওলানে ও নাভিতে পানি চলে আসবে ও যে কোন সময় পেটফাঁপা/ Acodisis হতে পারে. 


৪.এ সময় কি কি বেশী দরকার?ক্যালসিয়াম,আয়রন,জিংক,ফসফেট,সেলেনিয়াম,

কোবাল্ট,ভিটামিন AD3E সমৃদ্ধ খাবার বাড়াতে হবে।মনে রাখবে এই পয়েন্ট টি হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ জাতীয় খাবার কি কি এটা বুঝতে অনেক জ্ঞানের প্রয়োজন তাই এটা না জানলে বাজার থেকে এসব উপাদান পরিপূরক ঔষধ/খাবার দিতে হবে। 

যেমন ,

DCP Powder,Calcium Syrup/

Renasol Vitamin AD3E Syrup,

Andox D,এমাইনোভিট প্লাস সিরাপ,আয়রন সিরাপ!

এ সব ঔষধ কি পরিমান খাওয়াবেন এটা উপজেলা ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শে করবেন।

প্রসবের 21 দিন আগে থেকে Calcium Syrup বন্ধ করে বা একদম কমিয়ে দিবেন, এসময় তিন দিন পর একটু সিরাপ বা 50 গ্রাম ডিসিপি দিবেন!ডিবি পাউডার ও জিংক সিরাপ চলবে। প্রসবের পর জিংক সিরাপ বন্ধ থাকবে।

৫.প্রসবের  21 দিন আগে থেকে DCAD Minus নামক পাউডার খাওয়াতে হবে সকাল বিকাল! এটি না পাওয়া গেলে আয়ুমিন প্লাস লবন, আপেল সাইডার ভিনেগার,লেবুর রস, ম্যাগনেসিয়াম ট্যাবলেট /এপসম লবন লবন উপকারী। NaCl লবন বন্ধ করুন। কারন DCAD এ সব সব রকম দরকারী উপাদান আছে।

৬.বাসস্থান শোয়ার জায়গা নরম আরামদায়ক /মেট/বালু/জীবানুমুক্ত /মশামাছি মুক্ত/Disinfectant Chemical GPC8,FAM 30, ব্লিচিং,পটাশ,ফিটকিরি,ফিনাইল,গুড়া সাবান দিয়ে 100% পরিস্কার  ও শুকনো রাখুন।এ সময় গাভী দিনে 18 ঘন্টার মত শুয়ে থাকবে;যদি এর চেয়ে কম শুয়ে থাকে তা হলে চিন্তা করুন এবং কারন/গাভীর অসুবিধা হচ্ছে কিনা খোঁজে বের করে এটা সমাধানের চেষ্টা করুন।সারাক্ষন বেধে রাখবেন না,এ সময় তাকে মুক্ত থাকেত দিলে সর্বাধিক উপকার পাবেন। 


৭.প্রতিদিন কিছু পাকা কলা খেতে দিতে পারেন!!

এছাড়াও কিছু লাল শাক,পুইশাক,কলমিশাক,

অংকুরিত ছোলা বুট,লেবু,সজিনা পাতা,কাঁঠাল পাতা,ইপিল ইপিল,মিস্টি কুমড়া খেতে দিতে হবে।এতে প্রসব জটিলতা সহজে দূর হয়! 


এ ভাবে আপনি কোন প্রকার অক্সিটোনিন হরমোন ব্যবহার না করেই সহজে গর্ভফুল বের হবে ইনশাআল্লাহ।

এ ভাবে চললে বাছুর প্রসবে কোন জটিলতা হবেনা এটা 100% নিশ্চিত থাকেন। 

এমন ও হতে পারে কোন একদিন সকাল বেলা যেয়ে দেখবেন গাভীর পাশে বাছুর রাতে ভূমিস্ট হয়ে গাভীর দুধ খাচ্ছে নিজে নিজেই।


কৃষি ভিত্তিক তথ্যের জন্য পেইজটি ফলো দিয়ে রাখবেন ধন্যবাদ ✅🥀💚🌸🤝


তথ্যগুলো সংগ্রহ করে রাখতে শেয়ার দিয়ে রাখুন ✅💚

পরদেশি মেঘ Rabi Al Islam পর্ব ১

" বাসর রাতে শা*রীরি*ক সম্পর্কের ঠিক আগমুহূর্তে  হঠাৎ আমার স্ত্রী বলে উঠলো, আমি ভা*র্জি*ন না। এর আগেও আমি এক ছেলের সাথে শা'রিরীক সম্পর্কে লি*প্ত হয়েছি " 


শা'রিরী*ক সম্পর্কের ঠিক আগমুহূর্তে এসব শুনে আমি আমার মনটাই ভে*ঙে গেলো। সেই সাথে রাগও হচ্ছে অনেক। হিয়াকে বললাম, এসব কি এখন বলার সময়?  বিয়ের আগে কেনো বলতে পারলেনা। প্রতিটা ছেলেরই বা*সর রাত নিয়ে ফ্যান্টাসিতে থাকে৷ তুমি এসব বলে সব শেষ করে দিলে। বিয়ের আগে তো আমরা অনেক কথা বলেছি তখন তো তুমি এসব কিছুই বলোনি। এমনকি তোমার রিলেশন ছিলো তাও বলোনি। এই মুহুর্তেই এটা কেন বলতে হলো তোমার 


হিয়া বললো, আমার রিলেশন ছিলোনা। 


এবার আরও রেগে গেলো আহনাফ। রা'গ ক*ন্ট্রোল করে হিয়াকে বললো, এইমাত্র বললে এক ছেলের সাথে শা'রি*রীক স*ম্পর্কে লি*প্ত ছিলো আবার এখন বলছো রিলেশন ছিলো না৷ কি অদ্ভুত কথা বলছো তুমি 


হিয়া বললো, রিলেশনে না থাকলে কি শা'রি*রীক স*ম্পর্ক হয় না? 


' মানে? 


' যার সাথে আমার শা'রী*রিক স*ম্পর্ক ছিলো ও আমার বেস্টফ্রেন্ড। আমরা ছোটবেলা থেকে একে অপরের ভালো ফ্রেন্ড ছিলাম। আমরা সবসময় একে- অপরের সাথে আড্ডা দিয়েছে তাই আলাদা করে আর বিফ/জিএফ দরকার হয়নি কারও। ওর সাথে শা'রি*রীক স*ম্প*র্কের জন্য আমিই আ*গ্রহী ছিলাম। ও অবশ্য ছিলো কিন্তু কখনও আমাকে ফোর্স করেনি। 


' তাহলে তাকে বিয়ে করলে না কেন? 


' আমরা শুধুই বেস্টফ্রেন্ড ছিলাম অন্য কোনো অনুভূতি ছিলোনা আমাদের। 


' তাহলে শা'রী*রিক সম্পর্কে করলে কেন? 


' তার জন্য জিএফ/বিএফ টাইপ অ*নুভূ*তির দরকার হয়না। মানসিক তৃপ্তির জন্যও শা'রি*রীক সম্পর্কে লি*প্ত হয় মানুষ। আমাদের দুজনেরই যৌ*ন চা*হিদা ছিলো কিন্তু জিএফ/ বিএফ টাইপ অনু*ভূতি ছিলোনা কারও প্রতি। 


' তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন? 


' কারন আপনার প্রতি আমার সেই অনু*ভূতি ছিলো 


' সত্যিটা তো লুকাতেও পারতে৷ শা'রি*রীক সম্প*র্কের ঠিক আগমুহূর্তেই কেন বললে? 


' আপনি আমার সাথে শা'রি*রীক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তো বুঝেই যেতেন আমি ভা*র্জি*ন না৷ আর আমি আপনাকে মি"থ্যা বলতে চাইনি তাই সত্যিটা বলে দিলাম। 


আহনাফের নিজের রা*গ কন্ট্রোল করতে অনেক ক*ষ্ট হচ্ছে। ওর ইচ্ছে করছে হিয়াকে থা*প্পড় মা*রার৷ কিন্তু তা পারছেনা। এসব কথা শোনার পর কোনো ছেলেই আর রাগ না করে থাকতে পারবেনা৷ অথচ হিয়া কি স্বাভাবিক ভাবেই এসব বললো। মনে হয় ওর কাছে এসব নর্মাল বিষয়। 


হিয়া বললো, চুপ কেন?  কিছু বলছেন না কেন?


' রা*গ কন্ট্রোল করার চে*ষ্টা করছি৷ কোনো সু*স্থ মানুষ তোমার এমন কথা শুনতে পারবেনা৷ 


' তাহলে কি আপনি অ*সু*স্থ? 


' এইমাত্র অসুস্থ হলাম তোমার কথা শুনে৷ ইচ্ছে করছে তোমাকে থা*প্প*ড় মা*রি। শা'রী*রিক সম্পর্কে লি*প্ত হলে কিন্তু তাকে ভালোবাসোনা।  তোমাদের কাছে এসব নর্মাল বিষয়। চাহি*দার জন্য সে*ক্স করো কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসা নেই। 


' আপনি বলছেন যাকে ভালোবাসেন তার সাথেই কেবল সে*ক্স হয় 


' আমি তেমনটাই জানি৷ আমার তোমাকে পছন্দ তাই তোমাকে বিয়ে করেছি। এখন কি আমি অন্য কারও সাথে শা'রি*রীক সম্পর্কে লি*প্ত হবো নাকি৷ 


' আমাকে পছন্দ হওয়ার আগে কি আপনার চা*হিদা ছিলোনা? 


' ছিলো কিন্তু আমি ক*ন্ট্রোল করেছি। বিয়ের পরই কেবল এসব করার সি*দ্ধান্ত নিয়েছি৷ 


' আর আমি ক*ন্ট্রোল করতে পারিনি৷ 


' তোমারা এই যুগের মেয়েরা বড়ই অদ্ভুত। এসবকে স্মা*র্টনেস ভাবো। 


' আপনি কোন যুগের? 


' তোমার থেকে ৫/৬ বছরের বড়। তাই অবশ্যই তোমাদের যুগের না৷ 


' তা এখন কি করবেন? 


' ঘুমাবো 


' কেন শা'রি*রীক স*ম্পর্ক করবেন না?  আপনার তো অনেক ফ্যান্টাসি ছিলো বা*স*র রাত নিয়ে 


' বা'*লে*র ফ্যা*ন্টাসি। এসব বলে মুডটাই ন*ষ্ট করে দিছো। আমি বুঝতে পারলে বুঝতাম তোমার এসব বলার দরকার ছিলোনা৷ কতটা আগ্রহী ছিলাম আমি৷ আর তুমি এসব বলে সব শে*ষ করে দিলে৷ 


' ভাবলাম আপনি বুঝে গেলে কি রি*য়্যাক্ট করবেন তাই আগেই বলে দিতাম। 


' এই রিয়্যা*ক্টের কথা ভাবলে বিয়ের আগেই বলে দিতে পারতা 


' বিয়ের আগে যদি জানতেন আমি ভা*র্জিন না তাহলে কি আমায় বিয়ে করতেন না? 


' না 


' আচ্ছা এসব শুনে আপনার কি করতে ইচ্ছে করছে? 


' থা*প্পড় মা*রতে তোমাকে৷ আমি যখন অ*তিরি*ক্ত রেগে থাকি তখন থা*প্পড় মা*রতে ইচ্ছে করে। 


' ধন্যবাদ 


' কেন?


' এই যে দুটো সত্যি কথা বললেন৷ 


' আর তুমি এমনই সত্যি কথা বলেছো যে আমার বা*স*র রাত মাটি হয়ে গেছে। 


' সরি 


' রাখো তোমার সরি। 


আহনাফ বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে একটা সি*গা*রেট ধরালো। হিয়াকে বললো, সি*গা*রেট খাবে? 


' আমি খাইনা এসব 


' অবাক করার মত। তোমার মত মেয়েরা যারা স্মার্ট তাদের তো সি*গা*রেট খাওয়ার কথা। তা তুমি এটাতে অনীহা দেখাচ্ছো কেন? 


' এটার স্মেল আমার পছন্দ না। আমার উ*ই*স্কি পছন্দ। মাঝে মধ্যেই ফ্রেন্ডরা মিলে পা*র্টি করতাম। 


' ছেলে- মেয়ে উভয়?


' হ্যা,পার্টি মানে তো এটাই বুঝায়। আমরা গ্রুপ স্টাডিও করতাম সবাই একসাথে। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি একটু বেশিই আদিমকালের। তাও ভালো যে সি'*গা*রেট খান। 


' আগে জানলে তোমার জন্য উ*ই*স্কি এনে রেখে দিতাম। সে*ক্স করার মু*ড চলে গেলো আসো তোমার সাথে গল্প করি। তুমি তোমার লাইফের কথা বলবে আমি আমারটা। দেখবো কারটা বে*টার। 


' আমারটা তো আপনি জানবেনই৷ এই যুগের ছেলে- মেয়েদের সম্পর্কে সবাই জানে৷ কিন্তু আপনাদের ব্যাপারে আমার ধা*রনা নেই। 


' সবাই সব জানে তার ভিতরেও অনেক সিক্রেট থাকে৷ আমি সবকিছু শুনতে চাই৷ 


' বুঝতে পারছি আমি। 


' হ্যা সেটাই। 


হঠাৎ হিয়ার মোবাইলে ম্যাসেজ আসলো৷ আহনাফ জিজ্ঞেস করলো, কে মেসেজ দিয়েছে? 


' ফ্রেন্ড 


' ছেলে না মেয়ে? 


' মেয়ে। আচ্ছা আপনি ফ্রেন্ড বলার পরও ছেলে- মেয়ে জিজ্ঞেস করেন কেন? 


' আমরা ফ্রেন্ড বলতে শুধু ছেলেকেই বুঝতাম। আর মেয়ে হলে তখন আগেই বলে দিতাম মেয়ে ফ্রেন্ড। কিন্তু তোমাদের কাছে ফ্রেন্ড মানে দুটো সমান৷ তা কি মেসেজ দিলো? 


' জিজ্ঞেস করছে কি করছি?  আমাদের আগে থেকেই সবার প্ল্যান করা প্র*ত্য*কের বা*স*র রাতে এরকম মেসেজ দিয়ে মজা করবো। 


' আর তোমরা বা*স*র রাতের কথা বলে দিবে? 


' হ্যা, কেন সমস্যা? 


' না, তা এখন কি বলবে? 


আচ্ছা ওয়েট। ওকে মেসেজ করছি, যা করার কথা তাই করছি। 


রিপ্লাই আসলো, দুলাভাই কোথায়? 


' যেখানে থাকার কথা৷ 


' ভালোই তো। সব শুনবো পরে। এখন বি*রক্ত না করি। 


আহনাফ বললো, কত স্বাভাবিক ভাবে তোমরা নিজেদের ব্যা*ক্তি*গত আলাপ করছো। আ*নইজি/ ল*জ্জা লাগছেনা।


' ফ্রেন্ডদের সাথে আবার কিসের ল*জ্জা। যাকে চিনিনা জানিনা তার সাথে আন*ইজি লাগবে৷ 


' তোমাদের প্র*জ*ন্মের কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে৷ 


' আপনি রিলে*শন করেছিলেন? 


' বিয়ের আগেই তো বলেছিলাম আমি একজনকে ভালোবাসতাম কিন্তু মেয়েটা অন্য কাউকে ভালোবাসতো৷ 


' ওহ হ্যা, বলেছিলেন। তা মেয়েটাকে আপনার ভালোবাসার কথা বলেছিলেন? 


' মেয়েটা জানতো। 


' মেয়েটার সাথে দেখা হয় এখন? 


' তা আর সম্ভব না। 


' যেই ছেলেটার সাথে রিলেশন ছিলো মেয়েটার। সেই ছেলেটা? 


' একদিন আমি সেই ছেলেটাকে আমার বাসায় ইনভাইট করি। বাহিরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছিলো। পরবর্তী পর্ব সবার আগে পড়তে ভিজিট করুন কথা কাব্য পেজ। ভাবলাম খিচুড়ি খাওয়া যাক। দুটো প্লেটে খিচুড়ি নিয়ে আমি আর ছেলেটা পাশাপাশি বসি আর মেয়েটাকে নিয়ে কথা বলি। আমি ছেলেটাকে বলি আমার ভালোবাসার কথা৷ কতটা ভালোবাসতাম ওকে সেটা বলি। 


আমার কথা শুনে ছেলেটা বলে, আমি কখনই ওকে ক*ষ্ট দিবোনা। 


' তুমি অলরেডি ক*ষ্ট দিচ্ছো ওকে। 


ছেলেটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কিভাবে? 


' খিচুড়ির সাথে যে মাং*স খাচ্ছো তা মেয়েটারই।


চলবে----


 পরদেশি মেঘ

Rabi Al Islam

পর্ব ১


নেক্সট পার্ট সবার আগে আইডিতে পোস্ট করা হবে, নীল লেখার চাপ দিয়ে সবাই আইডি ফলো করুন। 👉 Choto Dairy 01

নতুন গল্প:  _রাত। পর্ব-------(১)

 আমি নাকি ভাবীর বু*কে ওগুলো তে হাত দিছি আর 'ভাইয়ের মৃত্যুর পর ভাবিকে বিয়ে করতে হবে কখনো কল্পনাও 

করতে পারিনাই আজ থেকে দুইমাস আগে একটি রোড এক্সিডেন্ডে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।


'এরপর সবাই বলতেছে ভাবিকে যেনো আমি বিয়ে করি!

কারন ভাইয়ের দুটি সন্তান রয়েছে ওদের দেখা শোনা করতে হবে।

সবার এমন কথা শোনার পর কি করবো কিচ্ছু মাথায় ,

আসতে ছিলো না।


'এমন মুহূর্তে ভাবি আমার রুমে প্রবেশ করে বললো।


'হাসিব তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই আমি।

জানিনা তুমি কিভাবে কথা গুলা নিবে।


'হ‍্যাঁ বলুন।


'আমি বতর্মান একজন বিধবা নারী।

আর তুমি একজন অবিবাহিত পুরুষ এখন সবাই বলতেছে 

তুমি আমাকে বিয়ে করো এবং বাচ্চা দুটোর দায়িত্ব নাও।


'হ‍্যাঁ জানি।


'আমিও চাচ্ছিনা বাচ্চা গুলাকে রেখে অন‍্য কোথাও বিয়ে করতে।

এর চেয়ে ভালো তুমি আমাকে বিয়ে করো।

তাহলে সন্তান গুলাও মা হারা হবেনা আবার নিজের চাচাকে ,

বাবা স্বরূপ হিসেবে পাবে।


'সব কিছুই বুজলাম।

কিন্তু এটা কেমন হয়ে যায়না।

নিজের ভাবিকে শেষ পযর্ন্ত বিয়ে করবো।


'সমস‍্যা হবে কেনো।

তুমি আর আমি ঠিক থাকলেই তো হলো।


'এইটা ঠিক বলছো।


'হাসিব তুমি কী কোন মেয়ের সঙ্গে প্রেম করো নাকি?

যার কারনে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছো না।


'প্রেম ভালোবাসা কখনো করিনাই শুধুমাত্র বউকে ভালোবাসবো বলে।

কিন্তু নিজের ভাবিকে বউ হিসেবে দেখবো এইটা কখনো কল্পনাও 

করতে পারিনাই আমি।


'তার মানে তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাওনা।


'হ‍্যাঁ চাই।


'ঠিক আছে আব্বা আম্মাকে আমি বলতেছি 

আমাদের বিয়ের ব‍্যবস্থা করতে।


'ঠিক আছে বলো।


'এরপর হাসিবের ভাবি মানে (সোনালি) শশুর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বিয়ের ব‍্যবস্থা করতে বললো!

আজকে রাতেই বিয়ে হবে।


'এদিকে হাসিব মনে-মনে ভাবতে থাকে ভাবি আমাকে বিয়ে করার জন‍্যে এতো উতলা হয়েছে কেনো কাহিনি কী?


'ঠিক সেই মুহূর্তে সোনালি মানে হাসিবের ভাবি আবার হাসিবের 

রুমে এসে বলতে থাকে।


'হাসিব আজকে রাতেই আমাদের বিয়ে হবে।

বাবা মাকে সব কিছুর আয়জন করতে বলেছি।

{কথাটি বলেই সোনালি হাসিবের খুব কাছে চলে আসে}


'আরে ভাবি এসব কী করতেছেন।


'এখন থেকে আমি তোমার বউ বুঝলা। 

আমাকে ভাবি বলবে না সোনালি বলে ডাকবে।

আর কী করতেছি দেখতে পাচ্ছো না হবু স্বামীকে ভালোবাসা 

দিতে চাচ্ছি।


'প্লিজ দুরে থাকুন।

এখন পযর্ন্ত আমাদের বিয়ে হয়নি।

বিয়ের পর এসব নিয়ে চিন্তা করবো।


'একটু পরেই তো আমাদের বিয়ে।

তাহলে একটু ভালোবাসলে সমস্যা কোথায় পাগল।


'জানিনা আমি।


'ঠিক আছে রাত্রে বিয়েটা হোক মজা দেখাবো তোমাকে।

রেডি থাইকো কিন্তু।

{কথাটি বলে হন হন করে সোনালি বাহিরে চলে যায়}


'এরপর ঠিক রাত ৮:৩০মিনিটে কাজিকে বাসায় ডেকে এনে হাসিব এবং সোনালির বিয়েটা সম্পুর্ণ হয়।

বিয়ের পর যখন সবাই এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করছিলো এমন মুহূর্তে সেখানে অভি চলে আসে।

মৃত অভিকে দেখা মাত্রই সবাই আকাশ থেকে যেনো মাঠিতে পরে।


চলবে,,,,


'পরবর্তীতে পর্বের জন‍্যে অপেক্ষায় থাকুন।


নতুন গল্প:  _রাত।

পর্ব-------(১)


পরের পর্ব সবার আগে নতুন পেজ এ পোস্ট করা হবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে ফলো করুন। 👉 Choto Dairy 01

সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

কেমন মেয়ে বিয়ে করলে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?

 কেমন মেয়ে বিয়ে করলে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?


ভুল মানুষকে বিয়ে করলে জীবন জাহান্নাম হয়ে যায়— এটা বইয়ে লেখা থাকে না। 


এটা বোঝা যায় দুপুর ৩টার ঝগড়ার পর রাতে খালি পেটে মনে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে একা ঘুমাতে গিয়ে।


বিয়ে নামক এই রহস্যময় চুক্তি নিয়ে আমাদের যত ভাবনা, তার ৯০%-ই কল্পনার ওপর ভিত্তি করে।


চেহারা, মেকাপ, হাসি—সব দেখে মনে হয়, 

এই মেয়েটাকে বিয়ে করলে জীবনটা সিনেমার  মতো হবে।


কিন্তু সমস্যা হয় তখনই, যখন সেই মুভির শেষে ভেসে ওঠে: To be continued… in Family Court.


চলুন, একটু বুঝি কেমন মেয়েদের বিয়ের পর ডিভোর্স হওয়াটা কেবল সময়ের ব্যাপার। 


১. যে নিজেকে আপনার প্রতিপক্ষ ভাবে


তার সঙ্গে আলোচনা মানে একেকটা বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

তিনি বলবে— তুমি ভুল বলছো

আপনি বলবেন— ঠিক আছে, ভুল বলেছি।

তারপরও বলবে— তুমি কিছুই বুঝতে পারো না। তোমাকে বিয়ে করে আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল। 


বিয়ে যেখানে প্রতিযোগিতা হয়ে যায়, সেখানে ভালোবাসা হেরে যায়।


২. যে ভাবে—সংসার মানেই বাকি জীবন আমাকে কন্ট্রোল করা হবে!


এই টাইপ মেয়েরা সাধারণত বলে—

“আমাকে স্বাধীনতা দাও, আমাকে প্রশ্ন করবা না, আমি কার সঙ্গে কোথায় যাই তা বলার দরকার নেই।


ভালোবাসা আর স্বাধীনতা একসঙ্গে চলতে পারে—যদি সম্পর্কটা সম্মানের হয়।


কিন্তু সম্মানের মুখোশ পরে যদি সীমাহীন স্বার্থপরতা ঢুকে পড়ে, তখন ‘স্বাধীনতা’র নামে চলে ‘সম্পর্কবিনাশ’।


৩. যে ফেসবুককে ডায়েরি ভাবে


আজ ঝগড়া করলেন, কাল স্ট্যাটাস:

Some people don’t deserve love!

তারপর ইনবক্সে “আল্লাহ ভরসা আপু। কি হইছে বলেন না?” গ্যাং ঢুকল।


সংসার তখন আর ব্যক্তিগত থাকে না।

সবাই জানে আপনি সারাদিন ভাত পাননি, আর রাতে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক ছিলেন।


৪. যে রান্না করতে পারে না, সেটা না—যে রান্না শেখার আগ্রহও রাখে না


রাঁধতে পারা জরুরি নয়।

কিন্তু যখন কেউ বলে, “আমি তো মডার্ন, রান্না-টান্না আমার কাজ না”

তখন বোঝা যায়, সে সংসার নয়, সারাজীবন রেডি-মেইড লাইফ চায়।


খিদে কিন্তু মডার্ন বুঝে না, চাহিদা বুঝে না—

সে শুধু খেতে চায়।


৫. যে তার পরিবারের লোকদের সম্মান দেয় না


বিয়ের আগেই যদি আপনি দেখেন—মেয়েটি মাকে ধমক দেয়, বাবার কথা শুনে না,

তাহলে আপনার পরিবারের জন্য তার হৃদয়ে জায়গা থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।


যে নিজের গাছের শিকড় কেটে দেয়, সে অন্য গাছের যত্ন নিবে কিভাবে?


৬. যে বলে—“ছেলেরা মানুষ না”


এই একটা লাইনেই বুঝে নিতে পারেন—

তার ধারণা অনুযায়ী সব ছেলেই খারাপ।

আপনি ব্যতিক্রম—এটা সে শুধু বিয়ের আগ পর্যন্ত বিশ্বাস করে।


তারপর একদিন দুপুরে আপনি বলে ফেলেন, “ডালে একটু বেশি লবণ হয়েছে।


আর সেদিনই আপনি তার চোখে পরিণত হন- ছেলে মানুষ মানেই অমানুষ। 


৭. যে সবসময় বলে—“আমার একটা ছেলেবেস্টফ্রেন্ড আছে”


বিয়ের পর সেই বন্ধু হঠাৎ খুব ঘনিষ্ঠ হয়,

হঠাৎ করে তার ফোনে নাম আসে: কলিজার দোস্ত।


আপনি বললে সে বলে—

তোমার সমস্যা কেন? তুমি insecure! তোমার মাইন্ড খুব ন‍্যারো! 


না ভাই, আপনি insecure না—

আপনি শুধু একজন স্বাভাবিক মানুষ, যার বুকের ভেতরে একটা প্রাণ আছে।


৮. যে সবসময় চায়—তার মতো সব চলবে


এই মেয়েরা “আমি, আমার, আমাকে” দিয়েই সংসার শুরু করে, আর সেখানেই শেষ।


আপনার পছন্দ, আপনার অপছন্দ, আপনার কষ্ট—এসব বিষয় তার রাডারে থাকে না।


সংসার যেখানে শুধু একপক্ষ শুনবে, সেখানে সম্পর্ক একদিন কান্না হয়ে ভেসে যায়।


৯. যে আত্মপ্রশংসায় ভীষণ ব্যস্ত


সবাই তাকে সুন্দরী বলে, স্মার্ট বলে,

সে নিজেকেই একমাত্র ‘লাভেবল’ ভাবে।

আপনি যেন একটা অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন—এমন ভঙ্গিতে কথা বলে।


এমন মেয়ের কাছে আপনি কখনো ভালোবাসার মানুষ নন। কেবল দিয়ে যাওয়ার গোলাম। 


১০. যে কখনো প্রাণ খুলে হাসে না


সে হয়তো দিনে তিনবার সেলফি তোলে,

কিন্তু একবারও প্রাণভরে হাসে না।


এমন মেয়েদের সঙ্গে জীবন মানে—

একটা সুন্দর, সাজানো ঘর; কিন্তু দরজা জানালা বন্ধ।

ভালোবাসা নেই, হাওয়া নেই।

শুধু নিঃশ্বাস টেনে বাঁচা।


বিয়ে মানেই একসাথে থাকা। 


কিন্তু প্রতিদিন যদি ‘একসাথে’ থেকে নিজেকে একা লাগে, তাহলে ডিভোর্স শুধু একটা কাগজ না, সেটা হয়ে দাঁড়ায়—নিজেকে বাঁচিয়ে তোলার একমাত্র রাস্তা।


সুতরাং…


চেহারা নয়। 


ডিগ্রি নয়।


দরকার এমন একজন মেয়ে, যার সঙ্গে ঝগড়া করলেও ঘুমানোর আগে সে বলে— ভালোবাসি তো। একটু হাসো। এখন চলো একসঙ্গে ঘুমাই।


ভুল মেয়েকে বিয়ে করলে আপনার জীবন হবে একটা রিসাইকেল বিন।


প্রতিদিন ঝগড়া, প্রতিদিন মলিন মুখ, প্রতিদিন ঘুমের ভান করে কান্না।


কিন্তু ঠিক মেয়েকে বিয়ে করলে জীবনটা হবে…


এক কাপ চা, একটা গল্প, আর মানসিক শান্তিতে ভরা হাসিমুখ।

বউ না থাকার উপকারিতা

 ♦️বউ না থাকলে,

একটা ছোট্ট হারপিক অন্তত দশ বছর চলতে পারে...


♦️বউ না থাকলে,

একটা রুম ফ্রেশনারে সারা জীবন চলে যায়...


♦️বউ না থাকলে,

একটা ঘর মোছা ন্যাতা অন্তত পাঁচ বছর টেকে...


♦️বউ না থাকলে,

একটা পাতি দাঁতের ব্রাস দু বছর অব্দি চলে...


♦️বউ না থাকলে,

ডিওর কোনো প্রয়োজনই নেই..


♦️বউ না থাকলে,

তোয়ালে কেনার প্রশ্নই নেই। একটা গামছাই যথেষ্ট। পা মোছা গামছা, হাত মোছা তোয়ালে, মুখ মোছা টিস্যু, পিঠ মোছা টাওয়াল ইত্যাদি সমস্ত বিভাজন একটা সুতির গামছাই মেটাতে পারে।


♦️বউ না থাকলে,

জল আর উইল্কিনশন ব্লেডেই দিয়েই দাঁড়ি কামানো যায়। ফোম লোশন ইত্যাদি নিশ্চিন্তে ভুলে যেতে পারেন...


♦️বউ না থাকলে,

এরিয়াল, সার্ফ এক্সেল ইত্যাদির প্রয়োজন হয় না। পাঁচ টাকার রিনের গুড়ো তিন মাস চলবে...


♦️বউ না থাকলে,

হিম্যান ওম্যান শিম্যান ইত্যাদি বিভাজনের প্রশ্ন ওঠে না। জুই ফুল গন্ধ শ্যাম্পুও অবলিলায় গায়ে মাথায় মাখা যায়... লাল লাইফবয় সাবানও খুশিতে মাখা যায়... গায়ে বা মাথায়।


♦️বউ না থাকলে,

কোলগেটের গুঁড়োতেই কাজ চলে। নুন দেওয়া, চারকোল ঠোসা, লবঙ্গ পেষা, ফ্লোরাইড, ভিজিবল হোয়াইট ইত্যাদি পেষ্টের দরকার হয় না...


♦️বউ না থাকলে,

জামা প্যান্ট ইস্ত্রি করানোর খরচ শূন্য. তাছাড়া ইস্ত্রি লাগে এমন জামাকাপড় কেনারও প্রয়োজন নেই। পাতি টেরিকটের শার্টেও "ও লাভলি" বলার লোক প্রচুর আছে, সবাই যদিও স্বীকার করে না শিকার হবার ভয়ে...


♦️বউ না থাকলে,

আত্মীয় অনাত্মীয় আপ্যায়নের খরচ খুব কম...একটা ঝাল চানাচুরের প্যাকেটেই দশটা আপ্যায়নের কাজ চলে, মিষ্টি চানাচুর অনেকেই ভালো খান। সেইজন্যই ঝাল ভাবলাম...


♦️বউ না থাকলে,

কেবল কানেকশন লাগে না। ইউটিউব আর টোরেন্ট লিঙ্ক যথেষ্ট.. আর মাঝে সাঝে বড়দের সিনেমা...


♦️বউ না থাকলে,

হিট মর্টিন গুডনাইট অল আউট লাগে না। ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ারও ভয় নেই। জানলাই খুলবো না তো মশা আসবে কোত্থেকে... তাছাড়া মশার পছন্দসই ইন্ডোর আগাছাও বাড়িতে থাকে না, বউ না থাকলে...


♦️বউ না থাকলে,

ধুপকাঠি, নকুলদানা, বাতাসা, গুজিয়া, আমিষ নিরামিষ বাসন ইত্যাদি বাবদ জিরো এক্সপেন্স...


♦️বউ না থাকলে,

ইকোপার্ক নিকোপার্ক নলবন নানা ইকো রিসোর্ট ইত্যাদি যেতে লাগে না। বুড়ো আমগাছ তলায়, আরো জনা দুই বউছাড়া বন্ধুর সাথে বসে বিশ্বভ্রমনের সুখ পাওয়া যায়! টেকনিকটা জানতে হবে শুধু...


♦️বউ না থাকলে,

একবার মশারি টাঙালে অন্তত একমাস খোলার দরকার নেই। ধার গুটিয়ে গুটিয়ে ঠিক চালিয়ে নেওয়া যায়.. বছরে দুবার বিছানার চাদর আর বালিশের ওয়ার পাল্টানো যথেষ্ট...


♦️বউ না থাকলে,

বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ডালসেদ্ধ ঘি দিয়ে আর কাটা কাতলা পেটি ভাজা খেয়ে একশো বছর সুস্থ ভাবে বাঁচা যায়। দশ রকম শাক, নানা কিসেমর ভাজা, বড়ি সুক্ত সব্জি কাসন আচার যত্তসব.. 


এবং আরো আরো আরো... প্রচুর আছে এই তালিকার লিষ্ট। বহুজাতিক থেকে আঞ্চলিক ব্যবসা যত, সবই টিকে আছে শুধু নারীদের ভিত্তি করেই। এবং টিকে আছি আমরাও। আমাদের গায়ে গন্ধ নেই, শার্টে রিঙ্কেল নেই, মুখে ব্রন নেই...,  এও তো কোনো না কোনো নারীর খ্যাকানির ভয়েই। আমাদের রুপ, শিষ্টাচার, বা আরও যা কিছু পুরুষালি কাজকর্ম সবই তো কোনো না কোনো নারীর জন্যই। কথাতেই আছে না..


বন্যেরা বনে সুন্দর

পুরুষেরা নারীর ভয়ে,,,,


ভয়ে? নাকি ভালোবাসায়? নাকি ভক্তিতে? নাকি সবগুলো মিলে মিশেই..?


বড় জটিল এর উত্তর.. 

বোঝার ক্ষমতা নেই আমাদের,,,,বুঝে কাজও নেই,,,,🤔


এই বেশ টিকে আছি,,,,🤣😜

কিছু সংশ্লিষ্ট ইংরেজি শব্দের উচ্চারণসহ বাংলা অর্থ 

 💖 আরও কিছু সংশ্লিষ্ট ইংরেজি শব্দের উচ্চারণসহ বাংলা অর্থ 

⭐ *Love (লাভ) – ভালোবাসা

⭐ *In love (ইন লাভ) – প্রেমে পড়া

⭐ *True love (ট্রু লাভ) – প্রকৃত ভালোবাসা

⭐ *Fall in love (ফল ইন লাভ) – প্রেমে পড়া

⭐ *Madly in love (ম্যাডলি ইন লাভ) – পাগলের মতো প্রেমে

⭐ *First love (ফার্স্ট লাভ) – প্রথম প্রেম

⭐ *Secret love (সিক্রেট লাভ) – গোপন প্রেম

⭐ *Unspoken love (আনস্পোকেন লাভ) – না বলা ভালোবাসা

⭐ *One-sided love (ওয়ান-সাইডেড লাভ) – একতরফা প্রেম

⭐ *Long-distance love (লং-ডিস্ট্যান্স লাভ) – দূরত্বের প্রেম

⭐ *Love hurts (লাভ হার্টস) – প্রেম কষ্ট দেয়

⭐ *Heartbeat (হার্টবিট) – হৃদস্পন্দন

⭐ *Soulmate (সোলমেট) – আত্মার সঙ্গী

⭐ *Heart to heart (হার্ট টু হার্ট) – মন খুলে কথা

⭐ *Heartbroken (হার্টব্রোকেন) – হৃদয়ভাঙা

⭐ *Broken heart (ব্রোকেন হার্ট) – ভাঙা হৃদয়

⭐ *Breakup (ব্রেকআপ) – সম্পর্ক ছিন্ন

⭐ *We broke up (উই ব্রোক আপ) – আমরা বিচ্ছেদ করেছি

⭐ *I miss you (আই মিস ইউ) – আমি তোমাকে মিস করি

⭐ *Missed call, missed you – মিস করেছি

⭐ *I loved you truly (আই লাভড ইউ ট্রুলি) – আমি সত্যি ভালোবাসতাম

⭐ *Still love you (স্টিল লাভ ইউ) – এখনো ভালোবাসি

⭐ *Love is gone (লাভ ইজ গন) – ভালোবাসা হারিয়ে গেছে

⭐ *I’m hurt (আই’ম হার্ট) – আমি কষ্ট পেয়েছি

⭐ *I feel empty (আই ফিল এম্পটি) – ফাঁকা লাগছে

⭐ *Feeling lonely (ফিলিং লোনলি) – একা লাগছে

⭐ *I cried for you (আই ক্রাইড ফর ইউ) – তোমার জন্য কেঁদেছি

⭐ *I let you go (আই লেট ইউ গো) – তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি

⭐ *I don’t love you anymore – আর ভালোবাসি না

⭐ *You broke my heart – তুমি আমার হৃদয় ভেঙেছো

⭐ *It's over – সব শেষ

⭐ *We’re just strangers now – আমরা এখন শুধু অপরিচিত

⭐ *I moved on – আমি সামনে এগিয়ে গেছি

⭐ *Let me go – আমাকে যেতে দাও

⭐ *It still hurts – এখনো ব্যথা দেয়

⭐ *Can’t forget you – ভুলতে পারি না

⭐ *Memories hurt – স্মৃতিগুলো কষ্ট দেয়

⭐ *Tears in my eyes – চোখে পানি

⭐ *Why did you leave? – তুমি কেন গেলে?

⭐ *Don’t come back – আর ফিরে এসো না

⭐ *I’m healing – আমি সেরে উঠছি

⭐ *Love fades – প্রেম ম্লান হয়ে যায়

⭐ *Time changes everything – সময় সবকিছু বদলায়

⭐ *Just a memory – শুধু একটুকরো স্মৃতি

⭐ *Missing the old days – আগের দিনগুলো মিস করি

⭐ *My heart is numb – মনটা শূন্য

⭐ *You meant everything – তুমি ছিলে সব

⭐ *All we had is gone – সবকিছু হারিয়ে গেছে

⭐ *Fake love (ফেইক লাভ) – ভুয়া ভালোবাসা

⭐ *Just friends – শুধু বন্ধু

⭐ *She left me – সে আমাকে ছেড়ে গেছে

⭐ *He cheated – সে প্রতারণা করেছে

⭐ *I regret – আমি অনুতপ্ত

⭐ *Love is painful – প্রেম কষ্টদায়ক

⭐ *Still waiting – এখনো অপেক্ষা করছি

⭐ *Letting go – ছেড়ে দেওয়া

⭐ *Heart full of scars – জখমে ভরা হৃদয়

⭐ *Tired of love – প্রেমে ক্লান্ত

⭐ *Can’t trust again – আর বিশ্বাস করতে পারি না

⭐ *Don’t love me – আমাকে ভালোবেসো না

⭐ *Too late – অনেক দেরি হয়ে গেছে

⭐ *No second chance – দ্বিতীয় সুযোগ নেই

⭐ *You’re my past – তুমি আমার অতীত

⭐ *Don’t call me again – আর ফোন দিও না

⭐ *It’s hard to move on – এগিয়ে যাওয়া কঠিন

⭐ *Let it be – যেভাবে চলছে চলুক

⭐ *Forget me – আমাকে ভুলে যাও

⭐ *Just walk away – চুপচাপ চলে যাও

⭐ *Lost feelings – হারিয়ে যাওয়া অনুভূতি

⭐ *Love turned into pain – প্রেম বদলে গেছে যন্ত্রণায়

⭐ *Used to love you – একসময় ভালোবাসতাম

⭐ *Can't hold back tears – কান্না থামাতে পারছি না

⭐ *Goodbye forever – চিরতরে বিদায়

শুধু অন্যকে সময় দিচ্ছেন।  আর তাতেই আয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা

 ভাবুন তো, 

আপনি বসে আছেন—

কোনো কাজ নেই, শুধু অন্যকে সময় দিচ্ছেন। 

আর তাতেই আয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা!

 হ্যাঁ, এটা কোনো গল্প নয়, একেবারে বাস্তব ঘটনা। 

এই কাহিনির নায়ক জাপানের শোজি মরিমোতো, যিনি ‘কিছু না করেই’ ৯৭ লাখ টাকার বেশি আয় করেছেন!


২০১৮ সালে চাকরি হারান শোজি। 

বসের কথাটা ছিল কড়া, “তুমি তো কিছুই করো না, আমার প্রতিষ্ঠানে তোমার কোনো অবদান নেই!” 

শোজি হয়তো কথাটা একটু বেশিই সিরিয়াসলি নিয়েছিলেন! কারণ, সেই ‘কিছু না করা’ই এখন তাঁর সবচেয়ে বড় পেশা!


💡 কী করেন শোজি?


চাকরি হারানোর পর শোজি নিজের একটা ওয়েবসাইট চালু করেন। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় লেখেন—

👉 “আমি কিছু করি না। তবে চাইলে আমি আপনার সঙ্গে থাকতে পারি, চুপচাপ পাশে বসে থাকতে পারি, কথা শুনতে পারি, কফি খেতে যেতে পারি!”


আর তাতেই বাজিমাত!


👫 মানুষ কী চায়?


মানুষ চায় সঙ্গ। যেমন—


কেউ চায় কেউ পাশে থাকুক যখন সে ডিভোর্স পেপারে সই করছে


কেউ চায় ম্যারাথনের শেষে কেউ দাঁড়িয়ে তালি দিক


কেউ চায় পার্টিতে একা না যাওয়া


কেউ চায় গল্প করতে একজন শ্রোতা


কেউ চায় স্রেফ একজন পাশে হাঁটুক, চুপচাপ


শোজির কাজ এগুলোই। তিনি কখনো কেক খেতে যান, কখনো ট্রেনে ১৭ ঘণ্টা ভ্রমণ করেন—শুধু কারও গল্প শোনার জন্য। কোনো উপদেশ দেন না, বিচার করেন না। শুধু একজন ভালো শ্রোতা আর ভদ্র সঙ্গী হয়ে থাকেন।


💸 কত টাকা আয় করেন?


শোজি জানান, অনেকেই তাঁর কাজ দেখে এত খুশি হন যে চুক্তির চেয়েও বেশি টাকা দেন। কখনো ঘণ্টায় ১০ ডলার, আবার কখনো হাজার ডলারও পেয়েছেন। ২০২৪ সালে তাঁর আয় দাঁড়ায় প্রায় ৮০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৯৭ লাখ)!


👪 শোজির জীবনদর্শন


আজ তিনি এক সন্তানের বাবা। 

তিনি বলেন, “সব কাজ সহজ ছিল না—অচেনা মানুষের সঙ্গে পার্টি, বরফে দাঁড়িয়ে থাকা, চুপচাপ মনোযোগ দিয়ে শোনা—তবুও আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। কারণ এটাই আমার পেশা। আর আমি আমার পরিবারকে সময় দিতে পারছি, এটাই আমার সাফল্য।”


🇯🇵 জাপানের বাস্তবতা


জাপানে এখন একাকিত্ব বড় সমস্যা। 

বিয়ে, সম্পর্ক—এই জিনিসগুলো থেকে তরুণ প্রজন্ম অনেকটাই দূরে। তাই মানুষের দরকার এমন কেউ, যে পাশে থাকবে, কিছু না করেও বুঝে যাবে। শোজির মতো মানুষদের জন্য তাই জাপানে চাহিদা বাড়ছেই।


বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, শোজি আসলে এমন একটা ‘চাহিদা’ পূরণ করছেন, যা আগে কেউ বোঝেনি। তিনি নিজেই এক প্রতিষ্ঠান, এক সমাধান, এক সঙ্গী।


শেষ কথা:

এই গল্প আমাদের শেখায়—জীবনের প্রতিটি ব্যর্থতার মাঝেও লুকিয়ে থাকতে পারে নতুন এক সম্ভাবনা। আপনি যদি অন্যের প্রয়োজন বুঝতে পারেন, তাহলে কিছু না করেও অনেক কিছু করা যায়।


(সংগৃহিত)

পরমাণু বোমা বানানো এত কঠিন কেন?

 পরমাণু বোমা বানানো এত কঠিন কেন?


মানবসভ্যতার ইতিহাসে বিজ্ঞানের আশীর্বাদ যেমন আমাদের আলো দিয়েছে, তেমনি কিছু আবিষ্কার আমাদের ছায়ায় ঠেলে দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি আবিষ্কার হলো পরমাণু বোমা। এটি এমন একটি অস্ত্র, যা মুহূর্তে একটি শহর ধ্বংস করে দিতে পারে, লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে, এবং পৃথিবীর পরিবেশ, রাজনীতি ও মানবিক ভারসাম্য দীর্ঘকাল ধরে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত ধ্বংসাত্মক একটি অস্ত্র তৈরিতে মানুষ এত আগ্রহী হলেও, কেন এর নির্মাণ এত জটিল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের বিজ্ঞানের গভীরে, রাজনীতির ছায়ায় ও মানুষের নৈতিকতা ও প্রযুক্তির সীমারেখায় প্রবেশ করতে হয়। এই লিখায় আমরা বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করব—কেন পরমাণু বোমা বানানো এত কঠিন।


১. পরমাণু বোমা কী এবং এর কাজ করার পদ্ধতি


পরমাণু বোমা একটি বিশেষ ধরনের বিস্ফোরক যন্ত্র, যার শক্তি আসে পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভিতরকার শক্তি থেকে। দুই ধরনের প্রক্রিয়ায় এই শক্তি উৎপন্ন হয়—নিউক্লিয়ার ফিশন এবং নিউক্লিয়ার ফিউশন।


ফিশন বোমা (নিউক্লিয়ার বিভাজন):

ইউরেনিয়াম-২৩৫ অথবা প্লুটোনিয়াম-২৩৯ এর মতো ভারী মৌল গরম হয়ে ভেঙে যায়, এবং সেই ভাঙনের সময় প্রচুর পরিমাণে শক্তি ও নিউট্রন বের হয়। এই নিউট্রন আবার অন্যান্য পরমাণুকে ভেঙে দেয়, ফলে একে একে একটি শৃঙ্খল বিক্রিয়া শুরু হয়। এই বিক্রিয়ার মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যেই ঘটে ভয়ংকর বিস্ফোরণ।


ফিউশন বোমা (হাইড্রোজেন বোমা):

এখানে হালকা মৌল যেমন ডিউটেরিয়াম ও ট্রাইটিয়াম একত্রে মিলিত হয়ে হিলিয়ামে রূপান্তরিত হয়। এদের সংযুক্তির সময় যে শক্তি নির্গত হয়, তা ফিশন বোমার তুলনায় বহু গুণ বেশি। তবে ফিউশন ঘটানোর জন্য প্রয়োজন হয় ফিশন বোমার প্রচণ্ড তাপ ও চাপ।


এখন এই প্রক্রিয়াগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বোঝা যতটা সহজ, বাস্তবে এগুলো বাস্তবায়ন করা ততটাই জটিল।


২. কাঁচামালের অভাব ও জটিলতা


পরমাণু বোমা বানাতে যে কাঁচামাল লাগে, তা সংগ্রহ করা খুব সহজ কাজ নয়। সবচেয়ে সাধারণ উপাদান দুটি হলো:


ইউরেনিয়াম-২৩৫:

প্রকৃতিতে ইউরেনিয়াম পাওয়া গেলেও এর মাত্র ০.৭% অংশ ইউ-২৩৫ হয়। বাকিটা ইউরেনিয়াম-২৩৮, যা বিস্ফোরণের জন্য উপযোগী নয়। কাজেই ইউরেনিয়াম-২৩৫ আলাদা করে বিশুদ্ধীকরণ করতে হয় যা এক বিশাল প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া—ইনরিচমেন্ট।


প্লুটোনিয়াম-২৩৯:

এটি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না। এটিকে বিশেষ ধরনের পারমাণবিক চুল্লিতে ইউ

নায়ক থেকে কি ভাবে দূর্ধষ্য ভিলেন হলেন = রাজীব 

 নায়ক থেকে কি ভাবে দূর্ধষ্য ভিলেন হলেন = রাজীব 

তার আসল নাম = ওয়াসিমুল বারী রাজীব 

১৯৫২ সালেের ১লা জানুয়ারী পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলায় জন্ম গ্রহন - দূর্ধষ্য ভিলেন রাজীব 

তিনি ঢাকায় গ্যাস কোম্পানিতে চাকুরী করতেন - তার পাশা পাশি মন্চে অভিনয় করতেন - 

আর মনে মনে স্বপ্ন দেখতেন চলচ্চিত্রের নায়ক হওয়ার  

এরই মধ্যেই পরিচয় হয় - পরিচালক আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে এবং তারই পরিচালনার " রাখে আল্লাহ মারে কে " ছবিতে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান - রাজীব 

আর এই ছবিতে স্যুটিং করতে এসে এফ ডি সিতে পরিচয় হয় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক - কাজী হায়াৎ এর সঙ্গে - এই পরিচয় পর্বটি বন্ধুত্বে রুপ নেয় - কাজী হায়াৎ কে রাজীব বলেন - বন্ধু যে করেই হোক আমাকে তুমি নায়ক বানাবে তোমার নেক্সট ছবিতে - 

কাজী হায়াৎ তার কথা রেখেছিলেন- তার পরিচালনার " খোকন সোনা " ছবিতে তাকে নায়ক বানান - রাজীবের বিপরিতে নায়িকা ছিলেন - জুলিয়া 

তারপর অন্জন সরকার পরিচালিত " ভুল বিচার " ছবিতেও রাজীব নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন - কিন্তু এই দুটি ছবিতেই তাকে নায়ক হিসেবে পাবলিক মানতে পারে নাই - 

আসে সেই মহেন্দ্র ক্ষন - 

ডাক পড়ে ভিলেন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কিন্তু রাজীব তা মনে মনে কখনই হতে চাননি - তাকে ভিলেন হিসেবে প্রথম সুযোগ দেন - বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক - আমজাদ হোসেন - 

শুরু হয় আমজাদ হোসেন পরিচালিত " ভাত দে " ছবির স্যুটিং এই ছবিতে - নায়ক আলমগীর আর নায়িকা শাবানাকে আর আনোয়ার হোসেনকে  অত্যাচার করা ভিলেন রাজীব একটি ভয়ংকর রাইস মিলের মালিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। 

ছবিটি - ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায় এবং রাতা রাতি ভিলেন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন - রাজীব 

তিনি প্রায় ৪০০ টি ছবিতে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেন-

শ্রেষ্ট ভিলেন হিসেবে জিতে নেন ৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র  পুরস্কার - সেই ৪টি ছবির নাম উল্লেখ করা হইল -: 

১.হীরামতি = পরিচালক - আমজাদ হোসেন 

২. দাঙ্গা = পরিচালক - কাজী হায়াৎ 

৩. বিদ্রোহ চারিদিকে = 

৪. সাহসী মানুষ চাই = 

বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে যে কজন দাপুটে ভিলেন ছিলেন, তাদের নাম উল্লেখ করছি - 

১. রাজু আহমেদ 

২. আজমল হুদা মিঠু 

৩. দারাশিকো 

৪. মন্জুর রাহী 

৫. আহমেদ শরীফ 

৬. আদিল 

৭. রাজীব 

তার সর্বশেষ অভিনীত ছবির নাম " অন্য মানুষ " পরিচালক - কাজী হায়াৎ আর অভিনয় করেছিলেন - কাজী মারুফ, শাবনুর 

তিনি প্রায় ৪ বছর এফ ডি সির ব্যাবস্হাপনা পরিচালক ( এম ডি)  ছিলেন - 

এই মহা-ভিলেনের মৃত্য হয় - ২০০৪ সালের ১৪ই নভেম্বর-

রাজীব ভাই আপনি একজন মহান ব্যাক্তি ছিলেন - দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে বেহেস্তবাসী করেন - 

বিঃদ্রঃ তার সাথে আমার প্রথম কাজ হয় - ১৯৯৫ সালে, ছবিটির নাম ছিলো - লাভার বয় - পরে নাম পরিবর্তন করে দেওযা হয় " চালবাজ " অভিনয় করেছিলেন - ওমরসানী, শাহানাজ - আমি ছিলাম " সহকারী পরিচালক " আর ছবিটির পরিচালক ছিলেন - শওকত জামিল 

ছবিটির প্রযোজক ছিলেন - রাজীব ও মিজু আহমেদ 

এই ছবির স্যুটিং করতে ছিলাম নারায়নগন্জ পাগলা - পপুলার স্টুডিওতে সেখানে আমাদের সাথে রাজীব ভাই অভিনয় করতেছিল - হঠাৎ করে তার ওয়ারলেস এ ফোন আসলো তার দুই ছেলে - জয় আর বিজয় পানিতে পড়ে মারা গেছেন নানীর বাড়ীতে গিয়ে - রাজীব ভাই কেঁদে দিলো - স্যুটিং পেকাপ করতে বললেন - পরিচালক শওকত জামিলকে - মিজু আহমেদ রাজীব ভাইকে নিয়ে চলে গেলেন কাঁদতে কাঁদতে - 

                        রবিউল ইসলাম রাজ 

                        চলচ্চিত্র পরিচালক 

                         01948-329383

৩৫০টি ছবিতে অভিনয় করেও অশ্লীল তকমা পেয়েছেন নায়ক= মেহেদী 

 ৩৫০টি ছবিতে অভিনয় করেও অশ্লীল তকমা পেয়েছেন নায়ক= মেহেদী 

নায়ক মেহেদীর জন্ম কিশোরগন্জ জেলায় মিয়াবাড়ীতে জন্ম গ্রহন করেন - কিন্তু তার বেড়ে উঠা সব কিছু ঢাকা টিকাটুলিতে - আর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ থেকে বি এ পাশ করেছেন - 

নায়ক মেহেদী ছোট বেলা থেকেই খুবই ট্যালেন্ট ছিলেন, তার স্কুলের এক অনুষ্টানে বিখ্যাত পরিচালক জহিরুল হক তাকে দেখেন এবং তার বাবাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন - মেহেদীর বাবা রাজী হন - 

তিনি - ১৯৮১ সালে প্রথম অভিনয় করেন শিশু শিল্পী হিসেবে - জহিরুল হক পরিচালিত " চেনামুখ " ছবিতে - ছবিটির প্রযোজক ছিলেন - নায়ক ফারুক 

শিশু শিল্পী হিসেবে তিনি প্রায় ৫০টির ও ছবিতে অভিনয় করেন - 

উল্লেখযোগ্য ছবি গুলো হলো - 

১. চেনামুখ 

২. জন্ম থেকে জ্বলছি 

৩. কাবিন 

৪. বিধাতা 

৫. ভাইবন্ধু 

৬. অন্যায় 

৭. নাগ জ্যোতি 

৮. চেতনা 

৯. নবাব 

১০. নান্টুঘটক 

১১. শরীফ বদমাশ 

১২. তিন বাহাদুর 

১৩. অহিংসা 

১৪. উনিশ বিশ 

১৫. দিদার 

১৬. কসম 

১৭. বিস্ফ্রোরন 

কিন্তু শিশু শিল্পী শামিম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন - প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন - পরিচালিত " জন্ম থেকে জ্বলছি " ছবিতে অভিনয় করে। 

এই ছবির তার লিপে " বাবা বলে গেলো আর কোন দিন গান করো না " গানটি এতোটা জনপ্রিয় হয় যে, সারা দেশের সবার মুখে মুখে গানটি স্হান পায় -  

ছবিটি ৩১-১২-১৯৮১ সালে মুক্তি পায় - 

নায়ক মেহেদী বড় হয়ে নায়ক হয়েছেন প্রায় ৩৫০টি ছবিতে- 

নায়ক হিসেবে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি গুলো হচ্ছে- 

১. পাগল মন 

২. নতিজা 

৩. বালিকা হলো বধু 

৪. শত জনমের প্রেম 

৫. পরান কোকিলা 

৬. মর্যাদার লড়াই 

৭. অচেনা মানুষ 

৮. শুধু তোমারী 

৯ প্রিয়া আমার প্রিয়া 

১০. তুমি আমার ভালোবাসা 

১১. বাস্তব 

১২. ভালোবাসা কারে কয় 

১৩. আমার স্বপ্ন আমার সংসার 

১৪. অবৈধ সন্তান 

আমার সঙ্গে নায়ক মেহেদীর আত্তার সম্পর্ক ছিলো - আমি যখন- প্রধান সহকারী পরিচালক - তখন এক সাথে অনেক ছবিতে কাজ করেছি - সেই সুবাদে আমাদের মধ্যে দু এক দিন পর পর ফোনে কথা হতো - 

কিন্তু আমি পরিচালক হবার পর আমার কোন ছবিতে তাকে নিতে পারি নাই - তবে আগামী ছবি গুলোতে তাকে নিয়ে কাজ করবো - 

তাকে অশ্লীল নায়কের তকমা দেওযা হয়েছিল এবং তার নামে মামলা এবং সরকারী ভাবে এফ ডি সি তে ঢোকার নিষেধাক্কা ছিলো - 

কিন্তু আমার প্রশ্ন - সে কি নিজে নিজে কাপড় খুলে ল্যাংটা হয়েছিল ক্যামেরার সামনে - না কি তাকে কাপড় খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল, না কি তিনি ফিল্ম পলেটিক্সের স্বীকার - এর উত্তরটি আপনারাই জানেন - 

মেহেদী আপনি যেখানেই থাকবেন, ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, দোয়া রইল - 

                          রবিউল ইসলাম রাজ 

                           চলচ্চিত্র পরিচালক 

       .              .      01948-329383

রাত ৮টা ৩০মিনিটের সংবাদ তারিখ ২১-০৬-২০১৫

 রাত ৮টা ৩০মিনিটের সংবাদ

তারিখ ২১-০৬-২০১৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও নির্বাচনী তফসিল যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে --- জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।


সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের পছন্দের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার --- বললেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।


উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে --- বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবসের সেমিনারে নৌ পরিবহন উপদেষ্টার আশাবাদ।  


বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও তাদের বিনিয়োগকে সুরক্ষিত করতে কাজ করছে সরকার --- বলেছেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান।


সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক খাতে সুশাসন ও স্থিতিশীলতা জোরদারে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।


ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হয়ে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান বিএনপি মহাসচিবের।  


ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইরানে চারশোর বেশি নিহত ---  ইসরাইল আঞ্চলিক শান্তির সবচেয়ে বড় বাধা --- ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে বললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।


এবং গলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্ট ড্র --- দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২০-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ ২০-০৬-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


সরকার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ শিগগিরই বাস্তবায়ন করবে।


২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার অন্তত ২০ শতাংশ পরিবেশবান্ধব উৎস থেকে উৎপাদনের জন্য নবায়ণযোগ্য জ্বালানী নীতি হালনাগাদ করছে সরকার।


দেশের খাদ্য পরিস্থিতি খুবই সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে --- জানালেন খাদ্য উপদেষ্টা।


রোহিঙ্গা সংকট আশু সমাধান না হলে নতুন নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে --- পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হুঁশিয়ারী।


শিশুদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অপরাধের জন্য ইসরাইলকে কালো তালিকাভুক্ত করলো জাতিসংঘ।


ইরান-ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত --- ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে জেনেভায় বৈঠক করবেন।


এবং এশিয়া কাপ আর্চারির পুরুষদের রিকার্ভ ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করেছেন বাংলাদেশের আবদুর রহমান আলিফ।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২০ -০৬-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২০ -০৬-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তি ‍উপলক্ষে ৫ই আগস্ট ‘‘সরকারি ছুটি’’ ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত।


বিটিভি-বেতারের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত ও গণমাধ্যম নীতিমালা পর্যালোচনায় ৫ সদস্যের কমিটি গঠন। 


আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন করলো নির্বাচন কমিশন --- পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ।


দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সংশোধনে একমত সকল রাজনৈতিক দল --- জানালেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি।


এক হাজার আটশো পঞ্চাশটি গুমের অভিযোগের মধ্যে দুশো ৫৩টির অকাট্য প্রমাণ পেয়েছে কমিশন --- বাকিগুলোর তদন্ত চলছে --- জানালেন কমিশনের সভাপতি।


ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার শুনানির জন্য অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ আইসিটির।


রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে --- জাতিসংঘে বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। 


গাজায় একদিনে ইসরাইলী হামলায় ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত। 


এবং গল-এ প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১২৭ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনে আজ আবার ব্যাটিং শুরু করবে শ্রীলঙ্কা।

                                 ##

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ১৯-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ ১৯-০৬-২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম


ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তি ‍উপলক্ষে ৫ই আগস্ট সরকারি ছুটি ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত।


আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন করলো নির্বাচন কমিশন --- পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ।


দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সংশোধনে একমত সকল রাজনৈতিক দল --- জানালেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি।


এক হাজার আটশো পঞ্চাশটি গুমের অভিযোগের মধ্যে দুশো ৫৩টির অকাট্য প্রমাণ পেয়েছে কমিশন --- বাকিগুলোর তদন্ত চলছে --- জানালেন কমিশনের সভাপতি।


ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার শুনানির জন্য অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ আইসিটির।


‘‘দেশি ফল বেশি খাই; আসুন, ফলের গাছ লাগাই’’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা শুরু।


ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা অব্যাহত --- চলমান যুদ্ধ নিয়ে আগামীকাল বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।


এবং গল-এ প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১২৭ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -১৯-০৬-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -১৯-০৬-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


এসএসএফকে রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে থেকে

পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা।


 উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকালে প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষার আহ্বান

অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের।


রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ অব্যাহত ---

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে

সাংবিধানিক কাউন্সিল প্রয়োজন বলে অধিকাংশ দলের মত।


 রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আজ শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয়

ফল মেলা।


১৫ বছরের শাসনামলে দেশজুড়ে দুঃশাসন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ,

সেইসঙ্গে ধ্বংস করেছে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান --- মন্তব্য বিএনপি

মহাসচিবের।


ইরান ও ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত --- সংঘাত নিয়ে

আলোচনার জন্য আগামীকাল জরুরী বৈঠক করবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা

পরিষদ।


 এবং আজ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট

বালক ও বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭ এর ফাইনাল।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ১৮-০৬-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৮-০৬-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


এসএসএফকে রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা।


বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠিত --- সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল প্রয়োজন বলে অধিকাংশ দলের মতামত।  


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ।


রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আগামীকাল শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা।


১৫ বছরের শাসনামলে দেশজুড়ে দুঃশাসন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ, সেইসঙ্গে ধ্বংস করেছে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান --- মন্তব্য বিএনপি মহাসচিবের।


ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হবে --- ট্রাম্পের আত্মসমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।


গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে অন্তত ১৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত।


এবং গল-এ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান।০

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ - ১৮-০৬- ২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ - ১৮-০৬- ২০২৫

আজকের সংবাদ শিরোনাম


রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের দ্বিতীয়

পর্যায় শুরু --- জুলাই মাসের মধ্যে 'জাতীয় সনদ' চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে

--- মন্তব্য ডক্টর আলী রিয়াজের।


 জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন

অধ্যাদেশ-এর গেজেট প্রকাশ।


 জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ

ট্রাইব্যুনাল-২ এর যাত্রা শুরু --- গণহত্যার বিচার হবে আন্তর্জাতিক

মানদণ্ডে, বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল।


 বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশে এখনই জ্বালানির দাম

বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের --- জানালেন অর্থ উপদেষ্টা।


 যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেহরানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে

উদ্বেগ প্রকাশ সরকারের --- নিরাপদ এলাকায় স্থানান্তর শুরু হয়েছে ---

জানালেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব।


 ইরান-ইসরাইল পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত --- ইসরাইলী গোয়েন্দা

সংস্থার সদরদপ্তরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।


 এবং গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনের খেলা শেষে শান্ত এবং

মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯২।

অদৃশ্যকরণ প্রযুক্তি: আলো, তাপ আর শব্দ লুকানোর বিজ্ঞান

 অদৃশ্যকরণ প্রযুক্তি: আলো, তাপ আর শব্দ লুকানোর বিজ্ঞান


বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা এমন প্রযুক্তি বানানোর চেষ্টা করছেন যা আমাদের দৃষ্টির আড়ালে রাখবে। কিন্তু আসলেই কি আমরা অদৃশ্য হওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছি?


অদৃশ্য হওয়ার ইচ্ছা অনেক পুরোনো। শিকারি আর সৈনিকরা শত শত বছর ধরে নিজেদের লুকাতে নানা রকম কৌশল ব্যবহার করে আসছেন, কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা সত্যিকার অর্থে কিছু জিনিস অদৃশ্য করার কাছাকাছি চলে এসেছেন। আজকের আধুনিক স্টেলথ টেকনোলজি শুধু প্লেনকে রাডার থেকে আড়াল করতেই পারে না, বরং ইনফ্রারেড ক্যামেরায় দেখা যাওয়া তাপের চিহ্নও লুকিয়ে ফেলতে পারে, এমনকি শব্দও গোপন করতে পারে। তাহলে অদৃশ্য হওয়ার প্রযুক্তি কতটা কাছাকাছি?

.


অদৃশ্য করার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি


আমরা কোনো বস্তু দেখি, কারণ আলো যখন ওই বস্তুতে পড়ে, তখন সেটা কিছুটা শোষিত হয় আর কিছুটা প্রতিফলিত হয়। কিন্তু কাচের মত স্বচ্ছ জিনিস আলোকে প্রায় বিনা বাধায় পার হতে দেয়। কিন্তু যদি কোনো অস্বচ্ছ বস্তুকে লুকাতে হয়, তাহলে আলোকে ওই বস্তু ঘিরে ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে হবে, যেন মনে হয় ওখানে কিছু নেই!


২০০৬ সালে ডিউক ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়াররা প্রথম এক ধরনের ক্লোকিং ডিভাইস (Cloaking Device) তৈরি করেন। এটি এক ধরনের তামার সিলিন্ডার, যেটিকে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল, যাতে তা মাইক্রোওয়েভ ডিটেক্টরের কাছে অদৃশ্য মনে হয়। এই ডিভাইসটি বানানো হয়েছিল মেটাম্যাটেরিয়াল দিয়ে—এটি এমন এক ধরনের বিশেষ কাঠামো যেটা ত্রিমাত্রিক ভাবে বার বার এক রকম প্যাটার্নে সাজানো হয়। এর ফলে এটি কিছু অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য পায়।


তবে এই ক্লোক শুধু মাইক্রোওয়েভে কাজ করত—যেটা তুলনামূলকভাবে অনেক বড় তরঙ্গ। কিন্তু দৃশ্যমান আলোতে (যেটার তরঙ্গ অনেক ছোট) অদৃশ্য হওয়া অনেক কঠিন। কারণ একদিকে ন্যানো-স্কেলে কোয়ান্টাম ইফেক্ট চলে আসে, অন্যদিকে সব রঙের আলোকে একসাথে ঘুরিয়ে দেওয়া ভীষণ কঠিন কাজ। আর একটি বড় সমস্যাও ছিল—এই ক্লোকটি কেবল ছোট একটি বস্তুর জন্য কাজ করত, মানুষের মত বড় কিছুর জন্য নয়।

.


মেটালেন্স: আলোকে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ


২০১৮ সালে হার্ভার্ড ও কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু’র গবেষকরা একটি অত্যাধুনিক ডিভাইস তৈরি করেন, যেটি মেটালেন্স (metalens) নামে পরিচিত। মেটালেন্স মূলত একধরনের অতি পাতলা ও চ্যাপ্টা লেন্স, যা দেখতে প্রায় কাচের পাতলা চাকতির মত, কিন্তু তার কাজ অনেক বেশি জটিল।


এই লেন্সের পৃষ্ঠে বসানো থাকে ন্যানোফিন (nanofin)—মানে, অতিক্ষুদ্র "পাখার মত" গঠন। প্রতিটি ন্যানোফিনের আকার এতটাই ছোট যে একটির প্রস্থ একটি চুলের প্রস্থের হাজার ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম। এই ন্যানোফিনগুলি বিশেষভাবে সাজানো থাকে, যেন তারা আলোকে নির্দিষ্টভাবে বাঁকাতে পারে।


আমরা জানি, কোনো বস্তু দেখতে হলে আলো সেই বস্তু থেকে আমাদের চোখে পৌঁছায়। আর আলো এক ধরনের তরঙ্গ, যার বিভিন্ন রঙের জন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য ভিন্ন হয়। কিন্তু সাধারণ লেন্স সব রঙের আলোকে সমানভাবে বাঁকাতে সক্ষম না, ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয় (যেমন, রঙ বিকৃতি বা ফোকাসের সমস্যা)।


মেটালেন্সের ন্যানোফিনগুলি এই সমস্যার সমাধান করে। এগুলি এমনভাবে কাজ করে যে, একাধিক রঙ বা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোও সঠিকভাবে বাঁকানো যায়—একই পয়েন্টে ফোকাস করা যায়। ফলে, এটি অনেক বেশি নিখুঁতভাবে আলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।


এই কারণে, মেটালেন্স স্টেলথ প্রযুক্তিতে আলোকে ঘুরিয়ে দিয়ে বস্তুকে "অদৃশ্য" করার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।


তবে এই প্রযুক্তি এখনও উন্নয়নের পর্যায়ে। মেটালেন্স দিয়ে দৃশ্যমান আলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও, এখনও এমন একটি ক্লোক তৈরি হয়নি, যেটা পরে মানুষ হেঁটে বেড়াতে পারে—কারণ এটি এখনও ছোট আকারের বস্তুর জন্যই কার্যকর।


ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সাইমন হর্সলি বলেন, “সবাই চায় এমন একটা ক্লোক যা গায়ে পরা যাবে… কিন্তু ওগুলিকে নরম ও নমনীয় করা এখনও সম্ভব হয়নি।”


তিনি আরো বলেন, “এখনকার ক্লোক বলতে আপনি যা বুঝবেন, সেটা অনেকটা একটা সিলিন্ডার যেটা নিজের চারপাশে পরতে হয়। কিন্তু আপনি যদি এমন কিছু চান যেটা পরে ঘুরে বেড়াতে পারবেন, সেটা একদম ভিন্ন ডিজাইনের ব্যাপার।”

.


রাডার থেকে লুকাতে স্টেলথ বিমানের কৌশল


যদিও আমরা এখনও এমন কোনো জিনিস বানাতে পারিনি যা পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যায়, তবুও কিছু প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে জিনিসগুলি অন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কার্যত অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। যেমন—স্টেলথ জেট। এসব জেট এমনভাবে বানানো হয় যেন রাডারে ধরা না পড়ে।


রাডার আসলে একটা রেডিও তরঙ্গ পাঠায়, তারপর দেখে সেটি কোনো কিছুর গায়ে লেগে ফেরত আসে কিনা। যদি ফেরে, তাহলে সেই সময় আর দিক দেখে বোঝা যায় ওই বস্তুটা কোথায় আছে। বিমান সাধারণত ধাতবে তৈরি, তাই এগুলি রাডার তরঙ্গ খুব ভালভাবে প্রতিফলিত করে—যার মানে হল, রাডার সহজেই এগুলিকে ধরতে পারে।


তবে দুটি জিনিস আছে যা প্লেনকে রাডার থেকে লুকাতে সাহায্য করে: প্রথমত, প্লেনের গঠন বা আকার। বিমানগুলি যদি গোল-গোল হয় (যেমন যাত্রীবাহী প্লেন), তাহলে যে দিকেই রাডার তরঙ্গ আসুক, তা কিছুটা ফেরত যাবেই। কিন্তু স্টেলথ প্লেনগুলি একদম বিপরীত—এসবের পৃষ্ঠ একেবারে চ্যাপ্টা, ধারালো কোণযুক্ত। এতে রাডার তরঙ্গগুলি এমনভাবে প্রতিফলিত হয় যে, তারা রাডারের উৎসে আর ফিরে যায় না—ফলে রাডারে ধরা পড়ে না।


দ্বিতীয়ত, বিমান তৈরির উপাদান। বিমান যদি ধাতব বা কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়, তাহলে সেটি রাডার তরঙ্গ খুব সহজে প্রতিফলিত করবে। তাই রাডার-প্রুফ করতে গেলে এমন উপাদান ব্যবহার করতে হয় যেগুলি বিদ্যুৎ পরিবাহক না। আর যদি ধাতব ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে বিমানের গায়ে এমন এক ধরনের পেইন্ট ব্যবহার করা হয়, যা রাডার তরঙ্গ শোষণ করে।


এরকম একটি রাডার শোষণকারী পেইন্টের নাম ‘iron ball paint’। এতে থাকে ছোট ছোট আয়রন বল, যেগুলির তরঙ্গ কম্পন রাডারের মতই। রাডার সিগনাল প্লেনের গায়ে লাগলেই, এই ছোট ছোট বলগুলি কম্পিত হয়ে সেই শক্তিকে তাপে রূপান্তর করে চারপাশে ছড়িয়ে দেয়। ফলে, রাডার যখন ফিরে আসা তরঙ্গ খুঁজছে, তখন কিছুই খুঁজে পায় না—প্লেন কার্যত অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক সময় এমন হয় যে, প্লেনকে দেখে মনে হয় কোনো পাখি উড়ছে!


তবে এসব প্রযুক্তি নির্দিষ্ট কিছু তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্যই কাজ করে। আর আজকের আধুনিক রাডার কম্পিউটারগুলি এতটাই শক্তিশালী হয়ে গেছে যে, বিমান লুকিয়ে থাকলেও তারা সেগুলি চিনে ফেলতে পারে।


শুধু রাডার নয়, স্টেলথ বিমানগুলিকে দৃশ্যমান আলো থেকেও লুকাতে হয়। এ জন্য এসব বিমান সাধারণত কালো রঙে রঙ করা হয় এবং রাতের বেলায় ওড়ানো হয়। এমনকি প্লেনগুলি এমন উচ্চতায় চালানো হয়, যেখানে কনডেনসেশন ট্রেইল (বিমানের  পেছনে সাদা রেখা) কম তৈরি হয়। কারণ এটাও অনেক দূর থেকে দেখা যায়।


আরেকটি সমস্যা হল তাপ। বিমানের ইঞ্জিন থেকে প্রচণ্ড উত্তাপ বের হয়, যেটা ইনফ্রারেড ক্যামেরায় সহজেই ধরা পড়ে। তাপ গোপন করতে কিছু বিমান ঠাণ্ডা বাইরের বাতাস ইঞ্জিনের গরম এক্সহস্টে মিশিয়ে দেয়। কেউ কেউ সরু-আকৃতির পাইপ ব্যবহার করে, যাতে গরম বাতাস বেশি ছড়িয়ে যায়। আবার কিছু বিমান এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে এক্সহস্ট উপরের দিকে বের হয়—নিচ থেকে কেউ দেখতে না পায়।


নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক মেটাসারফেস নামের প্রযুক্তি এসেছে, যা আরও ভালভাবে রাডার বা আলোকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ হল—সব রকম তরঙ্গদৈর্ঘ্যে একসাথে লুকানো এখনও সম্ভব হয়নি।

.


তাপ গোপন করার কৌশল


যুদ্ধে বা গোপন মিশনে সৈনিকদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হল ইনফ্রারেড (IR) ক্যামেরা থেকে লুকানো। কারণ মানুষের শরীর স্বাভাবিকভাবেই প্রায় ২০০ ওয়াট তাপ বিকিরণ করে, যা প্রায় তিনটা ঘরের লাইটবাল্বের সমান। আর এই তাপ সহজেই ইনফ্রারেড ক্যামেরায় ধরা পড়ে।


একটা সহজ, সস্তা উপায় হল অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল কম্বল ব্যবহার করা। এই ধরনের কম্বলকে "ইমারজেন্সি ব্ল্যাঙ্কেট" বা "স্পেস কম্বল"ও বলা হয়। এর চকচকে ধাতব পৃষ্ঠ তাপ বের হতে দেয় না।


এর পেছনে রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক ধারণা—ইমিসিভিটি (emissivity)। সহজভাবে বললে, ইমিসিভিটি হল কোনো বস্তু কতটা সহজে তাপ বিকিরণ করে সেটা মাপার একটি মান। একে ০ থেকে ১ পর্যন্ত স্কেলে মাপা হয়। যেখানে ১ মানে সেই বস্তু খুব সহজেই তাপ বিকিরণ করে (যেমন মানুষের ত্বক বা কাপড়), আর ০ মানে তাপ প্রায় বের হয় না (যেমন চকচকে ধাতু)।


অ্যালুমিনিয়ামের ইমিসিভিটি প্রায় ০.০৩ থেকে ০.০৫—মানে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। তাই এই ফয়েল কম্বল শরীরের তাপ বাইরে বের হতে দেয় না। এর ফলে ইনফ্রারেড (IR) ক্যামেরা বুঝতেই পারে না যে ভেতরে কেউ আছে—কারণ তাপের চিহ্ন দেখা যায় না।


কিন্তু সমস্যা হল, শরীরের তাপ যেহেতু বাইরে বের হতে পারছে না, সেটা ভেতরেই জমা হতে থাকে। কিছুক্ষণ পর এই অতিরিক্ত তাপ পুরো কম্বল গরম করে ফেলে। তখন পুরো কম্বলটাই ইনফ্রারেড ক্যামেরায় গরম বস্তু হিসেবে দেখা যায়।


আর আশেপাশের পরিবেশ যদি অনেক ঠাণ্ডা বা অনেক গরম হয়, তাহলে কম্বলটা চারপাশের তুলনায় আলাদা দেখায়—যেটা ইনফ্রারেড ক্যামেরার জন্য একটি পরিষ্কার সংকেত হিসাবে ধরা পড়ে।


ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার-এর প্রফেসর কসকুন কোকাবাস আর তার টিম এমন এক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন, যেটা আশেপাশের পরিবেশের সঙ্গে মিলিয়ে নিজেকে বদলে ফেলতে পারে—একেবারে গিরগিটির মত! “প্রথমে ভাবনা ছিল, গিরগিটির মত স্মার্ট সারফেস বানানো যায় কি?”—বলেন কোকাবাস। উত্তর হল: হ্যাঁ, যায়! আর সেটা সম্ভব গ্রাফিন দিয়ে।


গ্রাফিন একধরনের ২D ম্যাটেরিয়াল (মাত্র এক পরমাণু পুরুত্বের) যেখানে অসংখ্য চলমান ইলেকট্রন থাকে। আর এই ইলেকট্রনগুলিই আলো আর তাপের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে। এই ইলেকট্রনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করলেই আপনি বস্তুটির আলোক প্রতিফলন, শোষণ আর তাপ বিকিরণ—সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। গ্রাফিনের স্তরগুলির মধ্যে আয়ন গুঁজে দেওয়া হয়—যাকে বলে ইন্টারক্যালেশন। এতে ইলেকট্রনের চলাফেরা বদলে যায়, ফলে আপনি পুরো সারফেসের অপটিক্যাল প্রপার্টি বদলে ফেলতে পারেন—মানে, আলো বা তাপ কেমনভাবে প্রতিফলিত হবে, সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


২০২২ সালে কোকাবাসের টিম ৪২টি গ্রাফিন প্যাচ দিয়ে একটা জ্যাকেট বানায়, যেটা একেকটা পিক্সেলের মত কাজ করে। এই জ্যাকেট এমনভাবে আশেপাশের পরিবেশের তাপমাত্রা অনুকরণ করতে পারে, যে ইনফ্রারেড ক্যামেরায় লোকটিকে দেখা যায় না! যদিও গ্রাফিন মাত্র ২০ বছর আগে আবিষ্কৃত হয়েছে, আর এখনও এটি বড় থ্রিডি ম্যাটেরিয়ালের সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে কাজ করানো কঠিন। কিন্তু একবার এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে পারলে, অদৃশ্য জ্যাকেট বা ক্লোক বাস্তবে পরা সম্ভব হবে—যা দৃশ্যমান আলো এবং ইনফ্রারেড দুই থেকেই মানুষকে লুকিয়ে রাখতে পারবে।

.


শব্দ গোপন করার কৌশল


এই জায়গায় আমাদের চেয়ে প্রকৃতির কিছু প্রাণী অনেক বেশি এগিয়ে। এর একটা দুর্দান্ত উদাহরণ হল আফ্রিকান ক্যাবেজ ট্রি এম্পেরর মথ (African cabbage tree emperor moth)। এটি আফ্রিকার নির্জন বনাঞ্চলে পাওয়া যায়, এবং সাধারণত রাতে সক্রিয় থাকে। এর ডানার রঙ ধূসর আর বাদামির মিশেল, দেখতে সুন্দর হলেও সহজেই গাছের গায়ে মিশে যেতে পারে।


তবে এর আসল স্টেলথ গুণ লুকানো আছে তার ডানার গঠনে। এর ডানায় রয়েছে সূক্ষ্ম আঁশ ও লোম, যা শুধু দেখতেই হালকা নয়—এটি আসলে আশ্চর্য প্রাকৃতিক সাউন্ড ক্লোক (sound cloak) হিসাবে কাজ করে।


এই মথের শত্রু হল বাদুড়, যারা দেখতে পায় না, কিন্তু "ইকোলোকেশন" (echolocation) ব্যবহার করে শিকার করে। ইকোলোকেশন এক ধরনের জৈবিক সোনার প্রযুক্তি—বাদুড় নিজের মুখ দিয়ে উচ্চ-তরঙ্গ (আল্ট্রাসোনিক) শব্দ পাঠায়, আর সেই শব্দ কোনো কিছুর গায়ে লেগে ফিরে এলে বুঝে নেয় আশেপাশে কী আছে, কোথায় আছে।


কিন্তু ক্যাবেজ ট্রি এম্পেরর মথের ডানার আঁশ সেই শব্দ শুষে নেয়—ফলে কোনো প্রতিফলন হয় না, এবং শব্দ ফিরে না যাওয়ায় বাদুড় বুঝতেই পারে না যে সামনে তার প্রিয় শিকারটি উড়ছে!


ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টল-এর প্রফেসর মার্ক হোল্ডারিড এই দারুণ ব্যাপারটি আবিষ্কার করেছেন। এটিই প্রথম প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া অ্যাকোস্টিক মেটাম্যাটেরিয়াল। এগুলি এমন ধরনের কাঠামো যা শব্দের তরঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন আলো নিয়ন্ত্রণে মেটাম্যাটেরিয়াল কাজ করে ইলেকট্রনের মাধ্যমে, তেমনি শব্দে এগুলি কাজ করে পিরিয়ডিক স্ট্রাকচার দিয়ে—মানে, ছোট ছোট একরকম গঠন বার বার সাজানো।


ইউনিভার্সিটি অব সাউথ্যাম্পটন-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. ফেলিক্স ল্যাংফেল্ড বলছেন—“এগুলি এমনভাবে বানানো যায়, যেখানে গঠন, জ্যামিতি আর উপাদান সব নিয়ন্ত্রণ করে শব্দতরঙ্গ কীভাবে চলবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শব্দকে প্রতিফলিত, মোড়ানো বা শোষণ—সবই সম্ভব।” এই গঠনগুলি এতই দক্ষ যে খুবই পাতলা স্তরেও অনেক শব্দ শোষণ করা যায়, যা আগে করতে হলে পুরু ফোম দরকার হতো। “ভাবুন তো, একটা কাগজের মত পাতলা কিছু, যেটা কংক্রিটের দেয়ালের মত শব্দ আটকায়।”


এই স্ট্রাকচারগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে বড় দালানে শব্দ কমাতে, বা বিমানগুলিকে নিঃশব্দ করতে—আর সেটাই এখন ল্যাংফেল্ডের গবেষণার বিষয়। শব্দ বা ভাইব্রেশন শুধু কানে বাজে না, এগুলি শক্তি। যদি মেটাম্যাটেরিয়াল দিয়ে এগুলির দিক ঠিকমত ঘুরানো যায়, তাহলে সেই শক্তিকে ধরে রাখা সম্ভব।


ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর ড. গ্রেগরি চ্যাপলেইন এখন এই টেকনোলজি নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, “গাড়ির মধ্যে অনেক শব্দ বা কম্পন হয়, যা আসলে অপচয় হওয়া শক্তি। আপনি যদি মেটাম্যাটেরিয়াল দিয়ে সেই শক্তির দিক ঘুরিয়ে দেন, আর সেখানে একটা যন্ত্র রাখেন যা শক্তি শুষে নেয়—তাহলে ওই অপচয় কাজে লাগানো যায়।” এই টেকনোলজি দিয়ে এমন ছোট ডিভাইস বানানো যাবে যেগুলি ভাইব্রেশন থেকে শক্তি নিয়ে চলবে—যেমন ব্রিজ, পারমাণবিক চুল্লি বা বিমানের ভেতরের নানা সেন্সর।


তাহলে ভাবুন, ভবিষ্যতের শহরগুলি এমন হতে পারে: একদম শব্দহীন, পরিবেশ থেকে শক্তি সংগ্রহে সক্ষম, ভূমিকম্প প্রতিরোধী, এমনকি হয়ত চোখে দেখা যায় না এমন—পুরোটাই মেটাম্যাটেরিয়ালের কল্যাণে!


সব দিক মিলিয়ে—আলো, তাপ আর শব্দ—এই তিন জায়গায় আমরা অনেকটাই এগিয়ে গেছি। যদিও এখনও ইনভিজিবিলিটি ক্লোক পরে হেঁটে বেড়ানো সম্ভব হয়নি, তবুও এটা নিশ্চিত যে আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি কাছে পৌঁছে গেছি। মেটাম্যাটেরিয়াল, গ্রাফিন, আর স্মার্ট ডিজাইন আমাদের এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে, যেখানে অদৃশ্য হওয়া আর শুধু গল্পের বিষয় নয়—বরং একেবারে বাস্তবের প্রযুক্তি।


#অদৃশ্যকরণ #প্রযুক্তি #বিজ্ঞান

সত্তর ভাসায় ভালবাসি

 বাংলা= আমি তোমাকে ভালবাসি 

২.ইংরেজি = আই লাভ ইউ। 

৩.ইতালিয়ান = তি আমো

 ৪.রাশিয়ান = ইয়া তেবয়া লিউব্লিউ 

৫.কোরিয়ান = তাঙশিনুল সারাঙ হাইয়ো। 

৬.কানাডা = নান্নু নিনান্নু প্রীতিসুথিন। 

৭.জার্মান = ইস লিবে দিস। 

৮.রাখাইন =অ্যাঁই সাঁইতে। 

৯.ক্যাম্বোডিয়ান=বোন স্রো লানহ্উন। 

১০.ফার্সি = দুস্তাত দারাম। 

১১.তিউনিশিয়া = হাহে বাক। 

১২.ফিলিপিনো = ইনবিগ কিটা 

১৩.লাতিন = তে আমো। 

১৪.আইরিশ = তাইম ইনগ্রা লিত। 

১৫.ফ্রেঞ্চ = ইয়ে তাইমে।

 ১৬.ডাচ = ইক হু ভ্যান ইউ। 

১৭.অসমিয়া = মুই তোমাকে ভাল্ পাও।

 ১৮.জুলু = মেনা তান্দা উইনা। 

১৯.তুর্কি = সেনি সেভিউর ম। 

২০.মহেলি = মহে পেন্দা। 

২১.তামিল = নান উন্নাই কাদালিকিরেন।

 ২২.সহেলি = নাকু পেন্দা। 

২৩.ইরানি = মাহ্ন দুস্তাহ্ত দোহ্রাহম।

 ২৪.হিব্রু = আনি ওহেব ওটচে 

২৫.গুজরাটি = হুঁ তানে পেয়ার কার ছু। 

২৬.চেক = মিলুই তে। 

২৭.পোলিশ = কোচাম গিয়ে। 

২৮.পর্তুগিজ = ইউ আমু তে। 

২৯.বসনিয়ান = ভলিম তে। 

৩০.তিউনেশিয়ান = হা এহ বাদ। 

৩১.হাওয়াই = আলোহা ওয়াউ লা ওই। 

৩২.আলবেনিয়া = তে দুয়া 

৩৩.লিথুনিয়ান = তাভ মায়লিউ। 

৩৪.চাইনিজ = ওউ আই নি। 

৩৫.তাইওয়ান = গাউয়া আই লি। 

৩৬.পার্শিয়ান = তোরা ডোস্ট ডারাম।

 ৩৭.মালয়শিয়ান =সায়া চিনতা কামু। 

৩৮.মায়ানমার = মিন কো চিত তাই। 

৩৯.ভিয়েতনামিস = আনাহ ইউই এম 

৪০.থাইল্যান্ড = চান রাক খুন 

৪১.গ্রিক = সাইয়াগাপো। 

৪২.চেক = মিলুই তে। 

৪৩.বর্মিজ = চিত পা দে। 

৪৪.পোলিশ = কোচাম গিয়ে।

 ৪৫.মালয়ি = আকু চিন্তা কামু। 

৪৬.ব্রাজিল = চিতপাদে। 

৪৭.হিন্দি = ম্যায় তুমছে পেয়ার করতাহুঁ।

 ৪৮.জাপানি = কিমিও আইশিতের। 

৪৯.পাকিস্তান = মুঝে তুমছে মহব্বত হায় 

৫০.ফার্সি = ইয়ে তাইমে। 

৫১.সিংহলিজ = মামা ও বাটা আছরেই। 

৫২.পাঞ্জাবী = মেয় তাতনু পেয়ার কারতা। 

৫৩.আফ্রিকান = এক ইজ লফি ভির ইউ 

৫৪.তামিল = নান উন্নাহ কাদা লিকিরেণ।

৫৫.রোমানিয়া = তে ইউবেস্ক। 

৫৬.স্লোভাক = লু বিমতা। 

৫৭.নরওয়ে = ইয়েগ এলস্কার দাই। 

৫৮.স্প্যানিশ = তে কুইয়েবু। 

৫৯.ফিলিপাইন = ইনি বিগকিটা। 

৬০.বুলগেরিয়া = অবি চামতে। 

৬১.আলবেনিয়া = তে দাসরোজ।

 ৬২.গ্রিক = সাইয়াগাফু। 

৬৩.এস্তোনিয়ান = মিনা আর মাস্তান সিন্দ। 

৬৪.ইরান = সাহান দুস্তাহত দোহরাম

৬৫.লেবানিজ = বহিবাক।

 ৬৬.ক্যান্টনিজ = মোই ওইয়া নেয়া। 

৬৭.ফিনিশ = মিন্যা রাকাস্তান সিনোয়া। 

৬৮.গ্রিনল্যান্ড= এগো ফিলো সু। 

৬৯.আরবি = আনা বেহিবাক 

৭০.ইরিত্রয়ান = আনা ফাতওকি।🥺☹️

প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য

 যৌ*ন মিল-নে সুখি হতে চাইলে সব দায়ভার কখনোই স্বামীর উপর ছেড়ে দিবেন না যদিও স্বভাবজাতভাবে স্বামী মুখ্যভূমিকা পালন করে থাকে আর স্ত্রীর ভূমিকা গৌন। কিন্তু স্ত্রী যখন স্বামীর আবেগকে বুঝবে, নিজেকে শুধুমাত্র নিজের স্বামীর কাছেই যৌ*ন আবেদনময়ী করে উপস্থাপন করবে, স্বামীকে উত্তেজিত করে তুলবে, চুপচাপ বিছানার এককোণে পরে থাকবে না আশা করা যায় যৌ*নমিলন  ভরপুর একসুখের সীমানায় নিয়ে যাবে। 


# স্বামীর জন্য সাজুন, স্বামীকে ভালবাসুন, স্বামীর মেজাজকে বুঝতে চেষ্টা করুন।


# স্বামীকে সারপ্রাইজ দিতে মাঝে মাঝে খোলামেলা পোশাক পড়ুন, স্বামীর সামনে নিজের সৌন্দর্য কে ফুটিয়ে তুলুন।


# লাজুকতা থাকবে, এটা নারীর সৌন্দর্য। তবে বিছানায় ঝেড়ে ফেলুন। উগ্রতা মাঝে মাঝে কামনীয়, রোমান্টিক কথা, স্ত্রীর চিৎকার স্বামীকে পাগল করে দেয়, স্বামীর যৌ*ন অক্ষমতা থেকে হিফাজত করে, সেক্স হরমোন রিলিজ করে, লি*ঙ্গকে  দীর্ঘ সময় পর্যন্ত দৃঢ়, মজবুত করে রাখে।


# স্বামীকে দিয়েই আদর শুরু করুন, তার বিশেষ বিশেষ জায়গায় বিদ্যুৎ চমকায় দিন, তাকে গরম করে ছেড়ে দিন, যখন আপনার পালা আসবে তখন স্বামীর উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়ে যাবে যা দ্রুত বীর্য*পাত কমিয়ে দিবে।


# স্বামীর যৌ*ন পার্ফমেন্স কে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিন।স্পেশাল জিনিসটি নিজের প্রিয় জিনিস বানিয়ে নিন, আর স্বামীর কানে কানে সেটা জানিয়ে দিতে ভুলবেন না।


# স্বামীর পোশাক খু*লতে সহায়তা করুন, প্রয়োজনে আপনি নিজে খুলে দিন, আর আপনারটা যেন আপনার স্বামী খুলে দেয়, তাকে যৌ*নতার শুরে অনুরোধ করুন। 


# বডি মেসেজ এটা করতে ভূলবেন না, প্রচুর পরিমানে করুন, পরস্পরের সে*ক্সের আনন্দ বাড়িয়ে দিবে বহুগুন, স্বামীর সেনসেটিভ জায়গায় ভালোমত মেসেজ দিলে আশা করি দ্রুত বী*র্যপাতের সমস্যাটা আস্তে আস্তে কমে যাবে।


#  হঠাৎ হঠাৎ স্বামীকে ঘুমের মধ্যে নিজে থেকে আদর করুন, উত্তেজিত করে, তার যৌ*নক্ষুধা বাড়িয়ে দিন।


# মাঝে মাঝে উঠতে বসতে হালকা যৌ*নালাপ করুন, মন মেজাজ ফুরফুরে থাকবে, সারাদিনের একঘেয়েমি দূর হয়ে যাবে, যৌ*নতাকে পরস্পরের মধ্যে মনখুলে ভালোবাসুন। নিজেদের মধ্যে গোপন রাখুন, মাঝে মাঝে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করুন, যা শুধু আপনারা ছাড়া দুনিয়ার কেউই যেন না বুঝে।

রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

কাঁঠালের বিচি  বছরজুড়ে সংরক্ষণের কার্যকরী ঘরোয়া টিপস,,,,,,

 🍀কাঁঠালের বিচি  বছরজুড়ে সংরক্ষণের কার্যকরী ঘরোয়া টিপস 🍀


▪️গ্রীষ্ম মানেই কাঁঠাল।  আর কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে সারা বছর এর স্বাদ উপভোগ করতে চান না কে?  


▪️তাহলে আপনাদের জন্য রইলো কাঁঠালের বিচি সঠিকভাবে সংরক্ষণের কিছু দারুণ কার্যকরী ঘরোয়া টিপস👇


▪️কাঁঠালের বিচি শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। কিন্তু সঠিক সংরক্ষণের অভাবে অনেকে এটি নষ্ট করে ফেলেন। জেনে নিন কিছু সহজ কৌশল, যা আপনার কাঁঠালের বিচি রাখবে টাটকা ও সতেজ:


▪️১. ভালোভাবে পরিষ্কার করুন: প্রথমে কাঁঠালের বিচিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কোনো আঠালো অংশ বা খোসা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে ফেলুন। এরপর একটি পরিষ্কার কাপড়ে বিছিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন, যেন কোনো আর্দ্রতা না থাকে।


▪️২. রোদে শুকানো পদ্ধতি: এটি সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এবং কার্যকর পদ্ধতি। বিচিগুলো পরিষ্কার করে কড়া রোদে ২-৩ দিন শুকিয়ে নিন। বিচিগুলো মচমচে হয়ে গেলে বুঝবেন এটি সংরক্ষণ করার জন্য প্রস্তুত। রোদে শুকানো বিচি একটি বায়ু-নিরোধক পাত্রে রেখে দিলে প্রায় ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।

▪️

৩. ফ্রিজে সংরক্ষণ: যারা দ্রুত সংরক্ষণ করতে চান, তারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। বিচিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এরপর একটি জিপলক ব্যাগে বা এয়ারটাইট কন্টেইনারে ভরে ফ্রিজের সাধারণ চেম্বারে রাখুন। এভাবে প্রায় ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। রান্নার আগে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে নরম হয়ে যাবে।


▪️৪. ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ: দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিপ ফ্রিজ ব্যবহার করুন। বিচিগুলো পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন। এরপর ছোট ছোট অংশে ভাগ করে জিপলক ব্যাগ বা ফ্রিজার-সেফ কন্টেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। এভাবে প্রায় ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। ব্যবহারের আগে নরমাল চেম্বারে রেখে ডিফ্রস্ট করে নিন।


▪️৫. বালিতে সংরক্ষণ (গ্রামাঞ্চলে জনপ্রিয়): এটি একটি পুরনো এবং কার্যকর পদ্ধতি, যা গ্রামের দিকে বেশি প্রচলিত। বিচিগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এরপর একটি বড় পাত্রে শুকনো বালি নিয়ে তার মধ্যে বিচিগুলো ডুবিয়ে রাখুন। বালি বিচির আর্দ্রতা শোষণ করে এটিকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখে।


▪️৬. হিমায়িত করার আগে হালকা সেদ্ধ করা: বিচিগুলোকে পরিষ্কার করে হালকা সেদ্ধ করে নিন। এতে বিচিগুলোর এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ে। সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা করে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এরপর জিপলক ব্যাগ বা এয়ারটাইট কন্টেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এই পদ্ধতিতে বিচিগুলো আরও বেশি দিন ভালো থাকে এবং রান্নার সময় নরম হতেও কম সময় লাগে।


▪️৭. তেলে ভেজে সংরক্ষণ: এই পদ্ধতিটি কিছুটা ব্যতিক্রম হলেও কার্যকরী। বিচিগুলোকে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন। এরপর সামান্য তেলে হালকা ভেজে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন খুব বেশি ভাজা না হয়, শুধু একটা হালকা আবরণ তৈরি হয়। এরপর ঠান্ডা করে বায়ু-নিরোধক পাত্রে সংরক্ষণ করুন। তেল বিচিগুলোকে বাইরের আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করে এবং এর শেল্ফ-লাইফ বাড়ায়। এই বিচিগুলো পরে ভেজে স্ন্যাকস হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।


▪️৮. এয়ার-টাইট জার বা কন্টেইনারে সংরক্ষণ: আপনি যদি রোদে শুকানো বা হালকা সেদ্ধ করে বিচি সংরক্ষণ করেন, তবে সেগুলো অবশ্যই ভালো মানের এয়ার-টাইট জার বা কন্টেইনারে রাখুন। কাঁচের জার এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করে, কারণ এটি কোনো গন্ধ শোষণ করে না এবং সহজে পরিষ্কার করা যায়। প্লাস্টিকের কন্টেইনার ব্যবহার করলে খেয়াল রাখুন যেন তা ফুড-গ্রেড হয়।


▪️৯. লবণ দিয়ে সংরক্ষণ (ঐচ্ছিক): কিছু এলাকায় বিচি রোদে শুকানোর সময় সামান্য লবণ ব্যবহার করা হয়। লবণ প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে এবং বিচির পচন রোধে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করবেন না, এতে রান্নার সময় সমস্যা হতে পারে।


▪️গুরুত্বপূর্ণ টিপস:


▪️• সংরক্ষণের আগে অবশ্যই বিচিগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। আর্দ্রতা থাকলে পচন ধরতে পারে।

▪️• বায়ু-নিরোধক পাত্র ব্যবহার করুন, যাতে বাতাস বা আর্দ্রতা প্রবেশ করতে না পারে।

▪️• সংরক্ষণের তারিখ লিখে রাখতে পারেন, এতে মেয়াদ উত্তীর্ণের বিষয়টি খেয়াল রাখতে সুবিধা হবে।

▪️• •  বিচি সংরক্ষণ করার আগে নিশ্চিত করুন যে সেগুলোতে কোনো পোকা বা পচা অংশ নেই। 

▪️• •  মাঝে মাঝে সংরক্ষিত বিচিগুলো পরীক্ষা করুন, যাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন। 

▪️• •  শুকানোর সময় বিচিগুলো যদি বেশি পরিমাণে থাকে, তবে মাঝে মাঝে উল্টে পাল্টে দিন যাতে সবদিক সমানভাবে শুকায়।

▪️• সঠিক আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ: কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণে আর্দ্রতা সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই নিশ্চিত করুন যেন বিচিগুলো সম্পূর্ণ শুকনো হয় এবং সংরক্ষণের পাত্রে কোনো আর্দ্রতা প্রবেশ না করে।

▪️• শীতল ও অন্ধকার স্থানে সংরক্ষণ: ফ্রিজ বাদে অন্যান্য পদ্ধতিতে সংরক্ষিত বিচিগুলো শীতল, শুষ্ক এবং অন্ধকার স্থানে রাখুন। এতে আলো ও তাপের কারণে বিচির গুণগত মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

▪️• এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনিও সারা বছর কাঁঠালের বিচির পুষ্টি ও স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন! আপনার পছন্দের পদ্ধতি কোনটি? কমেন্ট করে জানান।


Online collected

<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-9528881935270668"

     crossorigin="anonymous"></script>


প্রয়োজনীয় কিছু টিপস,,,,,,,,,,,,,,,,, 👇 

 প্রয়োজনীয় কিছু টিপস 👇 

১। ভাত রান্না করার আগে কিছুক্ষণ চাল ভিজিয়ে রাখুন এতে ভাত অনেক ঝরঝরা হবে। 


২। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে ১ চামচ বরিক পাউডার মিশিয়ে দিন। এতে ধোয়ার পর কাপড় সব একসঙ্গে জট পাকাবে না।


৩। সাদা কাপড় থেকে হালকা কোন দাগ তোলার জন্য কাপড় ধোয়ার পর ২টি পাতি লেবুর রস আধা বালতি পানিতে মিশিয়ে ভিজা কাপড় ডুবিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর তুলে না নিংড়ে মেলে দিন।


৪। বলপেনের দাগ কাপড় থেকে তুলতে চাইলে কাচা মরিচের রস ঘষে ঘষে দাগের ওপর লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া সাবান দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন। দাগ চলে যাবে।


৫। তেল চিটচিটে তাক বা কাঠের র‍্যাক পরিষ্কার করা জন্য ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মসলিনের কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে নিন। তাকগুলো চমৎকার হয়ে উঠবে।


৬। ওয়াশ বেসিন বা সিল্ক বেসিন পরিষ্কার করার জন্য খানিকটা ফ্ল্যাট সোডা যেমন কোক-পেপসি ইত্যাদি ঢেলে দিন। ৫ মিনিট পর মুছুন। দেখুন কেমন নতুনের মত চকচকে হয়ে উঠেছে।


৭। হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া ও কালো দাগ তোলার জন্য সিরিষ কাগজে গুঁড়া সাবান লাগিয়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে নিন। পোড়া দাগ চলে যাবে।


৮। পুরোনো হাঁড়ি থেকে তেল কালির দাগ তোলার জন্য চা পাতা বা কফি দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে যাবে।


৯। মশা, মাছি ও পিপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘর মোছার পানিতে সামান্য ডিজেল মিশিয়ে নিন। উপদ্রব বন্ধ হয়ে যাবে।


১০। ঘরের মেঝে বা যেকোন মোজাইক পরিষ্কার করার জন্য পানিতে কেরোসিন মিশিয়ে নিন ও এই পানি দিয়ে ঘর মুছে নিন। এতে মেঝে চকচক করবে।


১১। রান্নাঘরের কেবিনেট বা কাউন্টার যদি মার্বেল পাথরের হয় তাহলে পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা পানিতে গুলে রাতে লাগিয়ে রাখুন। সকালে পানিতে সাদা সিরকা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সব দাগ চলে যাবে।


১২। রান্নাঘর থেকে পোড়া বা যেকোন গন্ধ দূর করতে চাইলে একটি পাত্রে কিছুটা সিরকা চুলায় চাপান। শুকান অবধি জ্বাল করুন।


১৩। বারান্দা বা জানালার গ্রিল পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর আধা কাপ কেরোসিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ তুলোয় দিয়ে লাগিয়ে নিন। এতে গ্রিলে ময়লা বা জং লাগবে না।


১৪। বাসনকোসনে কোন কিছুর কষ লাগলে টক দই বা দুধের সর দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিলে দাগ দূর হয়ে যাবে।


১৫। চিনেমাটির পাত্রে দাগ পড়লে লবণ পানি দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।


১৬। নারকেল ভাংগার পূর্বে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান দু'ভাগে ভেঙে যাবে।


১৭। সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভাল ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


১৮। পাটালী গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির মাঝে রাখুন।


১৯। আদা টাটকা রাখার জন্য বালির মাঝে রেখে দিন।


২০। ঘি-এ সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।


২১। বিস্কুট টাটকা এবং মচমচে রাখার জন্য কৌটার মাঝে এক চামুচ চিনি অথবা ব্লটিং পেপার রেখে দিন।


২২। অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


২৩। রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার সাথে ক'ফোটা লেবুর রস মিসিয়ে দিন, দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।


২৪। সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেয়াই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও রান্নার পরও রঙ ঠিক থাকে।


২৫। কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময়, যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবন দিল। তাহলে আর তেল ছিটবেনা।


২৬। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।


২৭। চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।


২৮। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।


২৯। ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন। তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।


৩০। কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।

এমডি আল আমিন পেজ থেকে সংগৃহীত

গল্প বহুরূপি ভালবাসা প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য

 -- পেটের উপর চু*মু দিলে কি বাচ্চা হয়ে যায় মামা।

- আরে বোকা মেয়ে পেটের উপর চু*মু দিলে বাচ্চা হয় তোমাকে কে বলেছে!

- বলতে হবে না আমি জানি। পেটের উপর চুfমু দিলে বাচ্চা হয়ে যাই।

- মামনি তুমি এখনো ও অনেক ছোট এসব বিষয় তুমি বুঝবে না কেমন। আর তোমাকে কি কেউ বলছে যে পেটের উপর চু*মু দিলে বাচ্চা হয়ে যাই।


- বলতে হবে কেন মামা। আমি তো জানি। আর সেইদিন নিজ চোখেও দেখছি।


আমি মুচকি একটা হাসি দিয়ে মাহির কপালে একটা চু*মু দিলাম।


মাহি ছোট ছোট হাত দিয়ে আমার দাঁড়ি গুলো টেনে বলল জানেন মামা।


- হু বল।


- আমি সেইদিন দেখলাম রিফাত ভাইয়া মামির পেটের উপর চুfমু দিয়ে বলছে এই পেটে আমাদের সন্তান। আমি এই বাচ্চার বাবা। আর বলল আমাদের মনে হয় মেয়ে সন্তান হবে।


- বলতেই পারে। ওর বউয়ের হয়তো তোমার মতো একটা বাবু হবে। আর তুমি ওদের বাসায় কবে গেলে।


ঠাস করে মাহি আমার গালে আস্তে করে চ*র দিয়ে বলল আরে গাধা এটা তো হল তোমার বউ। মানে আমার মামি। রিফাত ভাইয়া তোমার বউয়ের পেটে চুfমু দিয়ে বলছিল এটা আমাদের সন্তান।


মাহির কথা শুনে আমার চোখ কপালে উঠে গেল। কি বলছে এই মেয়ে। আরে না আমিও আবার এসব চিন্তা করছি। ও হয়তো পিচ্চি মেয়ে। আর রিফাত হয়তো আমাদের বাসায় কোন কাজের জন্য আসছিল। রিফাত হল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আর ও আমাদের বাসায় প্রায়েই আসে।‌এতে ঘাবড়ানোর কি আছে।


মাহির কপালে হাত দিয়ে বললাম মামনি রিফাত তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়তো তোমার মামির কাছে কোন দরকারে আসছিল। তুমি হয়তো ভুল কিছু দেখেছ।


' আরে মামা আপনি এসব কি বলছেন আমি ভুল দেখছি মানে। আপনি যখন অফিসে থাকেন তখন রিফাত ভাইয়া আপনার বাসায় আসে। আমি তো প্রায় সময়েই দেখি। আর সেইদিন রিফাত ভাইয়াকে মামির পেটে চুমু খেতে আমি দেখছি। আর মামি যখন আমাকে দেখতে পাই তখন আমাকে ডেকে নিয়ে বলে তুমি কি দেখছ বল তো?

তখন আমি বলছি রিফাত ভাইয়া আপনার পেটে চুfমু খেলে কেন। আর আপনার পেটের ভিতরে কি বাচ্চা আছে মামি।

তখন মামি বলল তোমার মামার যেমন আমার উপর অধিকার আছে। তোমার রিফাত ভাইয়েও আমার উপর তেমন অধিকার আছে। আর তোমার রিফাত ভাই তোমার মামার বেস্ট ফ্রেন্ড না। এজন্য আমার উপর ওর অধিকার আছে। আর আমরা তো খেলা করছিলাম। এটাকে চুমু খেলা বলে বুঝলে। শেষে আমাকে চকলেট দিয়ে বলল আমি যেন এসব কথা কাউকে না বলি।


আসলে মামা রিফাত ভাই তো তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড সেই হিসেবে তো ঠিকেই রিফাত ভাইয়ের মামির উপর অধিকার আছে। তাই না মামা।


মাহির কথা গুলো এক নাগাড়ে শুনলাম। পিচ্চি একটা মেয়ে। এই তো বয়স মাত্র আট কি দশ হবে। আমাদের পাশের বাসায় থাকে। ওর বড় বোনকে আমি পড়াই। কিন্তু আজকে মাহির কথা শুনে আমার বুকের এক কোনে চিনচিনে ব্যথা শুরু হয়ে গেল। নিষ্পাপ একটা মেয়ে। আর যাই বলুন ও কখনোও মিথ্যা বলবে না। নিজ চোখে যা দেখছে তাই তো বলছে ও। 

আর মিতুর সাথে আমার এক বছরের সম্পর্ক। ওর ভিতরে কখনোও আমার জন্য ভালবাসা কমতি ছিল না। এই এক বছরে এতটা পরিমানের ভালবাসা ছিল আমার জন্য বলার বাহিরে।

আর আমিও চিন্তা করতাম একটা মেয়ে এতটা পরিমানে কিভাবে ভালবাসতে পারে। আর আজকে মাহি এসব কি কথা বলল। আমার মাথা পুরো খারাপ হয়ে গেছে।

আমার জানা মতো রিফাত এই কাজ করবে না। কারন ওর বউ আছে। আর আমার বউকে বড় বোনের মতোই সম্মান করে। আর বিশেষ করে আমার বউ তিন মাসের প্রেগন্যান্ট‌। আমার যে সন্তান হবে এতে আমার পরিবার সহ আমি যে কতটা খুশি হয়েছি বলার বাহিরে। শরীরটা  এখন আমার তর তর করে কাঁপতে লাগলো। মনের ভিতরে যেন অজানা একটা ভয় ঢুকে গেল।


ঘুরে আসুন আমাদের পেইজ থেকে 


' মামা, মামা ও মামা।


মাহির কথায় হুস আসল আবার। হু মাহি বল।


- বললেন না তো মামা পেটে চুমু দিলে কি বাচ্চা হয় নাকি।


- সেসব পরে বলল। আগে বল আমি অফিসে যাওয়ার কতক্ষন পর তোমার রিফাত মামা আসে।


- এই তো মামা কখনোও কখনোও এগারোটা হয়তো। আবার কখনো ও বিকালে। কেন বলুন তো।


' না এমনেই। শুন এসব কথা কাউকে কি বলছ।


- আরে না আপনাকেই শুধু বললাম। আচ্ছা চলেন আপু কি জন্য ডাকছে আপনাকে।


- হু যাব। এখন বল পড়া শেষ করেছ তো তুমি।


' হু মামা সব পড়া শেষ। এখন শুধু আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।


- আচ্ছা গিয়ে সমস্ত পড়া আবার রিভিশন দাও। আমি আসছি কেমন। আজকে বলবে রাতে পড়াব না। বাসায় আছি যেহেতু বিকালে তোমাদের দুই বোনকে পড়াব।


- আচ্ছা মামা। আর চকলেট আনতে কিন্তু ভুলবেন না।


' চকলেট খেতে যে টাকা লাগে ভাগ্নি সেই টাকা কে দিবে আমাকে।


মাহি চোখ বড় করে বলল তোমার কত বড় সাহস আমার কাছে টাকা চাও।


আমি তাড়াতাড়ি কান ধরে বললাম সরি সরি আমার ভুল হয়ে গেছে। 


- হু মনে থাকে যেন।


এই বলে মাহি দরজা দিয়ে বের হয়ে গেল।


জানলা কাছে গিয়ে বাহিরে আনমনে তাকিয়ে আছি। আচ্ছা মাহি যা বলছে তা যদি সত্যি হয়। এক বছরের সম্পর্ক আমাদের আমি জানি মিতু কতটা ভাল। ওর মতো ভাল কোন মেয়েই হয় না। আর রিফাত এতটা খারাপ না। ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমি জানি ও আমার বউকে কতটা সম্মান করে। মাহি যেহেতু বলছে এসব কথা একদিন দেখিই না পরিক্ষা করে। আমাদের সংসার জীবনে সন্দেহ জিনিসটা কখনোই ছিল না। কিন্তু আজকে মাহি এসব বলার পর বুকের ভিতরে অজানা একটা ভয় হচ্ছে। 

আমি আজকে বাসায় আছি দেখে মিতু আমাকে রেখে বাজারে গেছে কি জানি কিনতে। মেয়ে মানুষ অনেক শখ থাকে না।


টক টক আওয়াজে ধ্যান বাঙ্গল। মনে হয় মিতু এসেছে। দরজা খুলে দেখি সত্যি মিতু এসেছে।


এসেই আমার বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে বলল আমার বাবুটা কি রাগ করছে আমার সাথে।


' মিতুকে ছাড়িয়ে বললাম এতটা দেরি হল যে আসতে।


- আর বল না বাজার থেকে বের হতে অনেক দেরি হয়েছে। আর এই নাও তোমার জন্য আইস্ক্রিম এনেছি। এমনেই যেই গরম পড়ছে না।


মিতুর হাত থেকে আইসক্রিম নিয়ে বিছানায় উপর বসলাম।


মিতুও আমার পাশে বসে আমার মুখের উপর তাকিয়ে বলল ওই বাবুর আব্বু তোমার কি হয়েছে।


- আরে না তেমন কিছু না। এমনেই মন খারাপ।


এটা শুনেই মিতু কান্নার সুরে বলল যেই ভালবাসার জন্য আমি সবকিছু ত্যাগ করে তোমার কাছে চলে আসছি। একদিনেও তোমার মন খারাপ হতেই দেই নাই। আজকে কেন তোমার মন খারাপ। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বল।


হ্যা এটা সত্যি আমরা পালিয়ে বিয়ে করছি। মিতু আমার জন্য ওর ফ্যামিলি ছেড়ে আমার কাছে চলে আসছি। এটাও সত্যি ও আমার মন খারাপ কখনোও হতে দেই নাই। কিন্তু আজকে যে মাহি বলল। কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না এসব কথা।


- ওই তোমার কি হয়েছে হে। আমাকে বল।


- তেমন কিছু না মিতু। আচ্ছা ডাক্তারের কাছে গেছিলে।


মিতু আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল হু ডাক্তার বলছে তোমার বেবি সব আমি অনেক ভালো আছি।


- তাহলে তো ভালোই। আচ্ছা যাও এখন এক কাজ কর গিয়ে তাড়াতাড়ি রান্না কর। মাহিদের বাসায় যেতে হবে। ওদের আজকে একটু আগেই পড়াব।


' বলছি না এত কষ্ট করতে হবে না। আমাদের যা আছে এতেই তো আমাদের চলবে।


- হু। এসব বিষয়ে পরে কথা বলব কেমন। এখন তুমি গিয়ে রান্না বান্না তাড়াতাড়ি কর।


মিতু আমার ঠোঁটে একটা চুমু দিয়ে বলল তুমি অপেক্ষা কর আমি সবকিছু তৈরি করছি।


মিতু বিছানা ছেড়ে চলে গেল। শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছি মিতুকে দেখে তো এমন মনে হয় না। ধুর পিচ্চি একটি মেয়ের কথায় আমি এত চিন্তা করছি কেন। হয়তো কোন ভুল দেখছে। হতেও পারে।


দশ মিনিট শুয়ে থাকার পর আবার মাহির কথা মনে পড়ে গেল।পিচ্চি রা কখনোও মিথ্যা কথা বলে না। আমি এটা খুব ভালো করেই জানি। মাহিকে আমি পড়াই ওর বিষয়ে তো সবচেয়ে বেশি আমি ভাল জানি

মিতু জানে আমি একবার শুয়ে থাকলে আর উঠে না।

আজকে বিছানা ছেড়ে উঠে গেলাম। দেখি তো মিতু কিচেনে কি করে।


খুব সাবধানে হেঁটে হেঁটে কিচেনের কাছে গেলাম। যেন শব্দ না হয়।অল্প অল্প করে আওয়াজ আসছে কিচেন থেকে।


উঁকি দিয়ে দেখি মিতু কার সাথে যেন কথা বলছে ফোনে। কথা গুলো ছিল এমন হে আমাদের বেবি ভাল আছে। তোমার কোন চিন্তা করতে হবে না। আর আজকে দিনটা আমাদের অনেক ভাল ছিল না। খুব ইনজয় করলাম দুইজন মিলে।কালকে কিন্তু সময় মতো চলে আসবে কেমন। অপেক্ষায় থাকব।


এগুলো শুনে মিতুর উপর আমার সন্দেহ আরো অনেক বেড়ে গেল। আমি ভাই এক মনের মানুষ। কারো উপর বেশি রাগ করতে পারি না। সবসময় নিজের মতোই চলি। আর এত চিন্তা ভাবনা করি না কখনো ও।  তবে আজকে যেন মিতুর বলা কথা গুলো মনে হচ্ছে মাহির বলা কথা গুলোর সাথে মিলে যাচ্ছে।

তাহলে কি এই সন্তান আমার না। মিতু আমাকে ধোঁকা দিল।


এসব চিন্তা করতে করতে মিতু চলে আসল। আর আমাকে আবার বিছানার উপর শুয়ে থাকতে দেখে বলল তুমি আসলেই অনেক আলসে। একবার বিছানার উপর শুয়ে থাকলে আর মনে বলে না উঠতে হু। এখন তাড়াতাড়ি উঠ আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি।


- হু।

গিয়ে টেবিলে বসলাম। অন্য দিনের মতোই মিতু আমাকে খাইয়ে দিল। এটা প্রতিদিনের রুটিন। এক বেলা হলেও ও আমাকে খাইয়ে দিবে।


আজকে মনটা বেশি ভাল না। এজন্য চুপচাপ খেয়ে যেই বের হয়ে যাব তখন মিতু পিছন থেকে বলল একদিন বাসায় আছ। আর আজকে আমাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবে তা না। আছে শুধু টাকা ইনকাম করার চিন্তা। ভাল লাগে না এসব আর।


দরজা দিয়ে বের হতে হতে বললাম তুমি তো এখন একাই ঘুরতে যেতে পার। আমাকে আবার কি দরকার।


বাসা থেকে বের হয়ে মাহিদের বাসায় যাচ্ছি। আসলেই মিতু ঠিকেই বলছে আমি শুধু টাকা টাকা করি। আরে ভাই তুই বুঝবি কি টাকা ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে মূল দেয় না। সবাই ফক্কিনি বলবে। তবে কি আমি মিতুকে সময় দিতে পারি নাই বলে এসব করছে। হতেও পারে।


দাঁড়া আমাকে একটু সময় দে। আমি আস্তে আস্তে সব ঠিক করে নিব। যদি মাহির কথা সত্যি হয় না। মারবোও না কাটব না। একেবারে জন্মের ঠিক করে ফেলব। 


কলিং বেল বাজতেই সেতু এসে দরজা খুলল। সেতু হল মাহির বড় বোন। ও ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।


- কি ব্যাপার মনজিল ভাইয়া আজকে যে এত আগে।


' এই তোমরা আমাকে কি পেয়েছ হে। তুমি ডাক ভাইয়া। মাহি ডাকে মামা।


ভিতর থেকে আন্টি বলে উঠল আমি তাহলে তোমাকে আংকেল ডাকি নাকি।


সাথে অংকেলেও বলে উঠল আমি তাহলে কি ডাকব।


আমি ভিতরে গিয়ে ওনাদের সামনের দাঁড়িয়ে বললাম এই বাসার পুরো ফ্যামিলি পাগল হয়ে গেছে। এখন খুব ভাল করেই বুঝতে পারছি।


- আন্টি হাসি দিয়ে বলল আমাদের সাথে তাহলে তুমি আরো বড় পাগল।


' আচ্ছা ভাই আমি পাগল হয়েছে। এই সেতু গিয়ে পড়া বের কর। আমি আসছি।


আসলেই ওঁদের পরিবারের সাথে আমি অনেক ফ্রি। কথাবার্তা শুনে হয়তো বুঝে গেছেন।


সেতু যেতেই আন্টি আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল দিন কাল কেমন যাচ্ছে বাবা।


- বেশি একটা ভাল না আন্টি।


' কেন বাবা। তোমার আবার কি হয়েছে।


- পরে একদিন বলল। এখন গিয়ে ওদের পড়াই। নয়লে আবার দুই বোন মারামারি লেগে যাবে।


আংকেল হাসতে হাসতে বলল তুমি পারও ওদের সামলাতে। আচ্ছা যাও গিয়ে দেখ কি করে ওরা। আর যাবার আগে আমার সাথে একবার দেখা করে যাবে কেমন।


আংকেলের কথা শুনে একটু খুশি হলাম। মাসেও শেষ। মনে হয় টাকা দিবে। টাকা পেলেই আমি সব ভুলে যাই। আহা রে টাকা। ও টাকা তর জন্য কত কি করা।


আজকে পড়াতে গিয়ে মন বলছে না। আমার বউয়ের রহস্য যেভাবেই হোক না কেন আমাকে এর সমাধান বের করতেই হবে।


মাহিকে কিছুক্ষণ পড়তেই বলল ওর মাথা ব্যথা করছে এজন্য ছুটি দিয়ে দিয়েছি।


হঠাৎ সেতু বলে উঠল ভাইয়া আপনাকে একটা কথা বলার ছিল।


' হু সেতু বল। কি বলতে চাও।


- আসলে কিভাবে যে বলি। বললে আবার রাগ করবেন না তো আপনি।


- আরে না রাগ করব কেন? আবার তোমার সাথে বল। 


- ভাইয়া কয়েকদিন ধরে একটা বিষয় খেয়াল করছি রিফাত ভাইয়া আপনার বাসায় বেশি আসা যাওয়া করে। হয়তো ভাবছিলাম ও আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড এজন্য আপনার বাসায় যেতেই পারে। কিন্তু ইদানিং একটু আসা যাওয়াটা বেশি। শুধু আমি না অনেকেই মনে করে ইয়ে মনে। কিভাবে যে বলি আপনাকে। শুধু আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড বলে ওকে কেউ কিছু বলে না। আপনি আবার মন খারাপ করবেন না


' আরে না না। মন খারাপ করার কি আছে। আচ্ছা সেতু তুমি কি কিছু দেখছে কেন আসে রিফাত। আর কিসের জন্য।


- আপনি ছাড়া কখনো ও আপনার যাওয়ার সাহস হয় নাই। আপনি থাকলে যাই। নয়নে না। তবে আমার একটু রিফাত ভাইয়ের উপর সন্দেহ লাগছে। আমি জানি আমার কথা শুনে আপনার মন খারাপ হতে পারে কিন্তু ভাইয়া।


' সেতু থাক আর বলতে হবে না। বিষয়টা আমি দেখছি। এখন এই অংক গুলো কর। বিষয়টাকে আর সামনে এগুলাম না।


আমার মাথা এখন পুরোপুরি খারাপ হয়ে গেছে। এতকিছু আমার বাসায় হয়ে যাচ্ছে আমি নিজেও জানি না এসব । হঠাৎ করেই কেমন জানি একটা কষ্টের অনুভূতি হল। মনে হচ্ছে যেন আমি আমার প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলছি।


সবসময় আমি মাসের বেতন হাতে পেলে অনেক খুশি হতাম। কিন্তু আজকে হাতে এই প্রথম টাকা পাওয়ার পরেও মন খারাপ।sneh0st0ryhub


জানি না কেন এরকম হল। তবে আমার এর একটা সমাধান বের করতেই হবে। মিতুর পেটের বাচ্চা যদিও শুনি আমার না। আর ও যদি পরকিয়ার সাথে জড়িত হয়ে যাই। বেশি কিছু করা যাবে না ওকে। কারন ওর পেটে এখন তিন মাসের বাচ্চা আছে। মারধর করলে সমস্যা হবে।কিন্তু আমার কি কোন দোষ ছিল আমার সাথেই বা কেন বেইমানি করল মিতু।


রাতে কোন রকম রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। মিতু আমার বুকের মাঝে মাথা দিয়ে প্রতিদিনের মতোই ঘুমিয়ে গেল। কি মায়াবী ওর চেহারা। একবার ওকে দেখলেই আমার মন শান্ত হয়ে যাই। এমন একটা মেয়ে এসব কারতেই পারে না। কিন্তু মাহি আর সেতুর বলা কথাও তো আর মিথ্যা হতে পারে না। একজন নাহয় মিথ্যা বলল আরেকজন। 


বাসায় কিছু টাকা দিতে হবে। শুনছি আম্মু একটু অসুস্থ। জীবনটাই শেষ করে ফেলছি টাকার পিছনে ছুটে। এই ফ্লাটটা কিনতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। খুব পরিশ্রম করছি জীবনে। যাদের জন্য এতকিছু করলাম তারা যদি দিন শেষে বেইমানি করে কেমন লাগবে তখন বলেন।


এসব চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।


সকালে রেডি হয়ে অফিসে চলে যাব এই মুহূর্তে মিতু এসে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাবা না। চুপচাপ গিয়ে অফিস করে চলে আসবে কেমন। আমি তোমার অপেক্ষায় আছি উম্মা।

আজকে আর মিতুর দিকে বেশি একটা মায়া লাগল না। সরাসরি বাসা থেকে বাহির হয়ে গেলাম। খুর চিন্তা করছি কিভাবে কি করা যাই।

অফিসে গিয়ে শুনি....


চলবে  _______________


গল্প বহুরূপি ভালবাসা


#highlightseveryonefollowers #highlightsシ゚ #everyonefollowers #photo #love #viralpost2025シ #photochallenge #story #viralpost #historylovers

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...