এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

 

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

🌼🌿 প্রথমে ঔষধ > প্রিয়তা > কাতরতা 🌿🌼

1. 🤍এন্টিম ক্রুড:🤍 টক > উভয় কাতর।

2. 🤍এন্টিম টার্ট:🤍 টক > গরম কাতর।

3. 🤍আর্জেন্ট নাইট:🤍 মিষ্টি, লবণ > গরম কাতর।

4. 🤍ব্যাসিলিনাম:🤍 মিষ্টি > অনির্দিষ্ট।

5. 🤍এসিড নাইট্রিক:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

6. 🤍কার্বোভেজ:🤍 টক, মিষ্টি > শীত কাতর।

7. 🤍চায়না:🤍 টক, ঝাল, মিষ্টি > শীত কাতর।

8. 🤍কস্টিকাম:🤍 ঝাল, লবণ > শীত কাতর।

9. 🤍ক্যালকেরিয়া কার্ব:🤍 টক, মিষ্টি, লবণ > শীত কাতর।

10. 🤍ফ্লুরিক এসিড:🤍 টক, ঝাল > গরম কাতর।

11. 🤍হিপার:🤍 টক, ঝাল > শীত কাতর।

12. 🤍ক্যালি ফস:🤍 টক, মিষ্টি।

13. 🤍লাইকোপোডিয়াম:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

14. 🤍ল্যাক ক্যান:🤍 ঝাল, লবণ > গরম কাতর।

15. 🤍মেডু:🤍 টক, মিষ্টি, লবণ > উভয় কাতর।

16. 🤍ম্যাগ মিউর:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

17. 🤍নেট্রাম ফস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

18. 🤍নেট্রাম মিউর:🤍 তিতা, লবণ > গরম কাতর।

19. 🤍সিকেলি কর:🤍 টক > গরম কাতর।

20. 🤍সিপিয়া:🤍 টক, ঝাল, তিতা > শীত কাতর।

21. 🤍সেলেনিয়াম:🤍 টক > গরম কাতর।

22. 🤍সালফার:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

23. 🤍স্যাঙ্গুনেরিয়া ক্যান:🤍 ঝাল।

24. 🤍থেরিডিয়ান কুরাস:🤍 টক।

25. 🤍থুজা:🤍 তিতা, লবণ > শীত কাতর।

26. 🤍ভিরেট্রাম:🤍 টক, লবণ > শীত কাতর।

27. 🤍পালস:🤍 টক, ঝাল > শীতকাতর/গরম কাতর।

28. 🤍ক্যালি কার্ব:🤍 টক, মিষ্টি > শীত কাতর।

29. 🤍নাক্স ভমিকা:🤍 মিষ্টি, ঝাল > শীত কাতর।

30. 🤍আর্সেনিকাম অ্যালবাম:🤍 টক > শীত কাতর।

31. 🤍আকোনাইট:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

32. 🤍বেলাডোনা:🤍 টক, ঝাল > গরম কাতর।

33. 🤍ব্রায়োনিয়া:🤍 টক > শীত কাতর।

34. 🤍ক্যামোমিলা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

35. 🤍ক্যাফিয়া ক্রুডা:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

36. 🤍ক্যাংথারিস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

37. 🤍ডালক্যামারা:🤍 টক > শীত কাতর।

38. 🤍ডিজিটালিস:🤍 লবণ > শীত কাতর।

39. 🤍ড্রোসেরা:🤍 টক > শীত কাতর।

40. 🤍ইপিকাকুয়ানা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

41. 🤍ইগনেশিয়া:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

42. 🤍কেন্টারিস:🤍 টক > শীত কাতর।

43. 🤍ল্যাকেসিস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

44. 🤍লেডাম প্যাল:🤍 টক > শীত কাতর।

45. 🤍ম্যাগনেসিয়া কার্ব:🤍 টক > শীত কাতর।

46. 🤍মারকিউরাস:🤍 টক > শীত কাতর।

47. 🤍নাট্রাম কার্ব:🤍 টক > গরম কাতর।

48. 🤍ফসফরাস:🤍 টক > গরম কাতর।

49. 🤍রোডোডেন্ড্রন:🤍 টক > শীত কাতর।

50. 🤍স্পঞ্জিয়া:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

51. 🤍আলুমিনা:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

52. 🤍এনাকার্ডিয়াম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

53. 🤍অ্যান্টিম টার্ট:🤍 টক > গরম কাতর।

54. 🤍আর্সেনিকাম সেলফ:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

55. 🤍বারাইট কার্ব:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

56. 🤍ক্যালি আইওড:🤍 লবণ > গরম কাতর।

57. 🤍ক্যালি সালফ:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

58. 🤍ক্যানসারোসিন:🤍 মিষ্টি > উভয় কাতর।

59. 🤍সিনিচোনা:🤍 টক, ঝাল > শীত কাতর।

60. 🤍কোডেনাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

61. 🤍কিউপ্রাম মেট:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

62. 🤍ডালক্যামারা:🤍 টক > শীত কাতর।

63. 🤍ফেরাম ফস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

64. 🤍গ্লোনোইন:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

65. 🤍গ্রাফাইটস:🤍 টক > শীত কাতর।

66. 🤍হামামেলিস:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

67. 🤍হায়োসিয়ামাস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

68. 🤍ইডাক্রেনাম:🤍 টক > শীত কাতর।

69. 🤍ইডোফর্ম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

70. 🤍ইন্ডিগো:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

71. 🤍ইরিস ভার্স:🤍 টক > শীত কাতর।

72. 🤍জ্যাবোরান্ডি:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

73. 🤍কালি ব্রম:🤍 টক > শীত কাতর।

74. 🤍কালি ক্লোর:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

75. 🤍লেডাম পাল:🤍 টক > শীত কাতর।

76. 🤍লিথিয়াম কার্ব:🤍 টক > শীত কাতর।

77. 🤍লুপুলিন:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

78. 🤍ম্যাগনেসিয়া ফস:🤍 টক > শীত কাতর।

79. 🤍ম্যাংগানাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

80. 🤍মেডোরিনাম:🤍 টক > উভয় কাতর।

81. 🤍মেলিলোটাস:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

82. 🤍মেন্টা পিপ:🤍 টক > শীত কাতর।

83. 🤍মোরফিনাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

84. 🤍মিসমোডিস:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

85. 🤍মোনোট্রোপা:🤍 টক > শীত কাতর।

86. 🤍মিউরিক এসিড:🤍 টক > শীত কাতর।

87. 🤍নাইট্রোজেন:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

88. 🤍নিকোতিনাম:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

89. 🤍নাইট্রিক এসিড:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

90. 🤍নুক্স মোস্ক:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

91. 🤍অপিয়াম:🤍 টক > শীত কাতর।

92. 🤍অরিগানাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

93. 🤍অসিমাম স্যাঙ্ক:🤍 মিষ্টি > গরম কাতর।

94. 🤍প্যারিস কোয়াড:🤍 টক > শীত কাতর।

95. 🤍পেট্রোলিয়াম:🤍 ঝাল > শীত কাতর।

96. 🤍ফসফরিক এসিড:🤍 টক > শীত কাতর।

97. 🤍প্লাটিনাম:🤍 ঝাল > গরম কাতর।

98. 🤍প্লুম্বাম:🤍 মিষ্টি > শীত কাতর।

99. 🤍পসিপরিনাম:🤍 ঝাল > উভয় কাতর।

100. 🤍রানুনকুলাস:🤍 টক > শীত কাতর।

💝💓💖 এই ঔষধগুলির প্রিয়তা এবং কাতরতা লক্ষণগুলি সাধারণত ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

--Cd

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।


১। কোন বিষয় মনে উদয় হইবা মাত্র কার্যে পরিণত করা ঃ- Acid Oxalic

২। কোন পীড়ার কথা চিন্তা করিবা মাত্র সেই পীড়ার উৎপত্তি ঃ- Acid Oxalic

৩। কোনও প্রকার শব্দ ও গীতবাদ্য সহ্য হয়না ঃ- Aconite

৪। রক্ত বা ছুরি দেখিলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ঃ- Alumina

৫। মানসিক লক্ষণ প্রাতে আরম্ভ, যত বেলা বাড়িতে থাকে ততই প্রবল হয় ঃ- Alumina

৬। সময় অতি ধীরে কাটে, ১ ঘন্টা সময় এক দিন বলিয়া মনে হয় ঃ- Alumina, Can. Indica

৭। শিশু স্নান করিতে চাহেনা ঃ- Ammon Carb, Antim Cr, Sulphur

৮। মনে করে সে শশ্মানে রহিয়াছে, শুনিতে পায় কে যেন তাহাকে বলিতেছে সে মরিবে ঃ- Anacardium

৯। শিশু নিয়ত কোলে বেড়াইতে চায় ঃ- Antim Tart

১০। শিশুর গায়ে হাতটি ছোঁয়াইলেই কাঁদে ঃ- Antim Tart

১১। শিশু মায়ের কোলে জড়াইয়া থাকে, চিকিৎসককে নাড়ী দেখিতে দেয়না ঃ- Antim Tart

১২। কসিয়া কাপড় পরিতে পারেনা ঃ- China

১৩। রোগী সর্বদা নিজের পীড়ার কথা বলে ঃ- Argent Nitric

১৪। সর্বদাই কথা কহিবার জন্য একজন লোক চায় ঃ- Argent Nitric

১৫। রোগী কোন কাজে হাত দিতে চাহেনা, ভাবে তাহার কাজ বিফল হইবে ঃ- Argent Nitric

১৬। সকল কাজে ব্যস্ত, তাড়াতাড়ী করে, দ্রুত চলে, উদ্বিগ্ন, উত্তেজিত, নার্ভাস ঃ- Argent Nitric

১৭। মৃত্যুর দিন নির্ধারিত করিয়া বলে ঃ- Argent Nitric

১৮। সর্ব্ববিষয়ে রোগীর তাচ্ছিল্যভাব, মনে করে সে ভাল আছে ঃ- Arnica

১৯। সহজেই চটিয়া উঠা, উত্তেজিত হওয়া ঃ- Asterias Rub

২০। আত্মহত্যার ইচ্ছা ঃ- Aurum Met

২১। রোগী উদাসীন, দুঃখিত, আত্মহত্যার চিন্তা ঃ- Rhus Tox

২২। কাঁদে, ধর্ম বিষয়ে বকে, অনর্গল প্রর্থনা করে ঃ- Aurum Met

২৩। রোগী ক্রমাগত প্রশ্ন করিতে থাকে, প্রশ্নের পর প্রশ্ন, উত্তরের জন্য এক মূহুর্তও অপেক্ষা করেনা ঃ- Aurum Met

২৪। প্রেমে নিরাশ কিংবা দুঃখিত হইয়া পীড়া ঃ- Aurum Met

২৫। স্ত্রীলোক বন্ধা, তজ্জন্য ভীষণ মনোকষ্ট, হিষ্টিরিয়া ঃ- Aurum Met.

২৬। নৈরাশ্য, রোগী বলে আর কেন চিকিৎসা করানো, কাঁদে মনেকরে পীড়া কিছুতেই আরোগ্য হইবেনা, মুত্যু কামনা করে, মনেকরে সে এই পৃথিবীর উপযুক্ত নহে ঃ- Aurum Met

২৭। কোনও বিষয়ে চিন্তা করিবার ক্ষমতা লোপ ঃ- Baptisia

২৮। আচ্ছন্নতা, প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতেই নিদ্রিত হইয়া পড়া, ঠিক উত্তর দিতে না পারা ঃ- Baptisia

২৯। ঠিক উত্তর দেয় কিন্তু তৎক্ষণাৎ আচ্ছন্ন হইয়া পড়ে ঃ- Arnica

৩০। বিছানা বড় শক্ত বোধ হয় ঃ- Baptisia

৩১। কেহ আসিলে লুকায় ঃ- Barayta Carb

৩২। ঔষধ সেবন করিতে চাহেনা, বলপূর্বক খাওয়াইতে হয় ঃ- Belladona

৩৩। কোমরে কাপড় আঁটিয়া পড়িতে পারেনা ঃ- Bovista, Cal. Carb

৩৪। পরের দুঃখ দেখিয়া অন্তরে কষ্টবোধ ঃ- Causticum

৩৫। অতি সামান্য বিষয়ে শিশুর মত চীৎকার করিয়া কান্না ঃ- Causticum

৩৬। কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলেই রাগিয়া যায় ঃ- Colocynth

৩৭। নিজকৃত অপরাধজনিত মনঃপীড়া ঃ- Colocynth

৩৮। ভালবাসা মনে চাপিয়া রাখিয়া পীড়া ঃ- Conium

৩৯। সামান্যমাত্র গোলমাল ও শব্দ অসহ্য, অস্থির ও উত্তেজিত হয় ঃ- Ferrum Met

৪০। কাহাকেও নিকটে থাকিতে দেয়না বা কাহারও সহিত কথা কহিতে চাহেনা ঃ- Gelsimium

৪১। যদি কেহ কাছে থাকে বা গায়ে হাত দেয়, তাহাতে বিরক্ত হয় ঃ- Gelsimium

৪২। পরীক্ষার নিমিত্ত কেহ মাঢ়িতে হাত দিলেই শিশু ভীষণ ক্রুদ্ধ ও উম্মত্ত হয় ঃ- Gelsimium

৪৩। গীতবাদ্যাদিতে কান্না পায় ঃ- Graphities

৪৪। রোগী একটুতেই কাঁদিয়া ফেলে ঃ- Pulsatilla

৪৫। রোগী ভাবী অমঙ্গলের আশঙ্কা করে ঃ- Graphities

৪৬। অর্থ শূন্য কথা কহে, অত্যন্ত জোরে হাসে ঃ- Hyociamus

৪৮। গায়ে কিছুতেই কাপড় চাপা রাখেনা, উলঙ্গ থাকে, অশ্রাব্য গান গায় ঃ- Hyociamus

৪৯। গুহ্যস্থানের কাপড় খুলিয়া ফেলে, অনবরত লিঙ্গে হাত দেয় ঃ- Hyociamus

৫০। কি বলিতে যাইতেছিল ভুলিয়া যায় ঃ- Hypericum

শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা,,,,

 📲 সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম ও তার বাস্তবতা


🎥 বাস্তবতা না বুঝে রিলস বানানোর নামে জীবনের ভারসাম্য হারানো…


বর্তমানে বহু তরুণ-তরুণী ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করার আশায় দিনরাত সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত।

সকাল-বিকেল রিলস বানানো, এডিটিং, ভিউ বাড়ানো নিয়ে এতটাই ডুবে থাকে যে

পরিবার, পড়াশোনা, চাকরি এমনকি সম্পর্কও উপেক্ষিত হয়ে যায়।


📉 ফলাফল: সংসারে অশান্তি, আত্মবিশ্বাসে ভাটা, ক্যারিয়ারে অনিশ্চয়তা।


🔍 সোশ্যাল মিডিয়া ইনকামের প্রকৃত চিত্র (বাংলাদেশ-ভারত ভিত্তিক সমীক্ষা)


✅ মাত্র ৫-১০% মানুষ নিয়মিত ইনকাম করে

❌ বাকিরা ইনকামের আশায় সময় ও শ্রম নষ্ট করে

✅ যাদের কাছে পরিকল্পনা, দক্ষতা ও ধৈর্য আছে, তারা সফল হয়

❌ ভিউ/লাইক কম হলে মানসিক হতাশা দেখা দেয়


🧩 যে বিষয়গুলো অনেকেই ভুল বোঝে


1. সবাই ইনফ্লুয়েন্সার হতে পারে না

👉 প্রতিভা, ধারাবাহিকতা এবং সত্যিকারের কনটেন্ট দরকার।


2. ভিউ মানেই টাকা না

👉 ফেসবুকে ইনকাম করতে হলে রয়েছে অনেক নিয়ম ও সীমাবদ্ধতা (যেমন: Reels Bonus, Ad Monetization, Affiliate Marketing)।


3. কেবল ভিডিও বানিয়ে ইনকাম আসবে এ ধারণা ভুল

👉 রেগুলার ও মানসম্মত কনটেন্ট, SEO, engagement strategy না থাকলে ইনকাম মেলেই না।


👨‍👩‍👧‍👦 এই প্রবণতার পারিবারিক প্রভাব


• ঘরের কাজ বা দায়িত্ব থেকে দূরে সরে যাওয়া

• স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য

• বাবা-মা বা সন্তানের জন্য সময় না থাকা

• অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা

• অন্যের সফলতা দেখে হিংসে, হতাশা


💡 সমাধান কী?


✅ আগে বুঝুন: আপনি কী বিষয়ে কনটেন্ট বানাতে পারবেন?

✅ শেখার জন্য সময় দিন: Video Editing, Scripting, Voice-over, Lighting ইত্যাদি

✅ সময়কে ভাগ করে ব্যবহার করুন: সংসার, পড়াশোনা, চাকরি সবকিছুর প্রতি দায়িত্ববোধ রাখা জরুরি

✅ অর্থ না এলে হতাশ হবেন না: শুরুতে ফল না পেলেও শেখার জার্নিটা মূল্যবান

✅ প্রয়োজনে পারিবারিক আলোচনায় বসুন: সবাইকে বোঝান আপনার লক্ষ্য, এবং শোনার অভ্যাস গড়ুন


✍️ শেষ কথা


সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম করা সম্ভব, তবে সেটা ধৈর্য, দক্ষতা ও ভারসাম্যের মাধ্যমে।

শুধু “ভিউ” আর “লাইকের” পেছনে ছুটে গিয়ে বাস্তব জীবনের দায়িত্ব ও সম্পর্কগুলো হারিয়ে ফেলবেন না।


> 📌 রিলস নয়, বাস্তবতা আগে বুঝুন।

📌 ট্রেন্ড নয়, ভবিষ্যৎ গড়ার দিকেই মন দিন।

খেসারি হলো জনগণের জন্য গাছন্ত মাংস! 

 খেসারি হলো জনগণের জন্য গাছন্ত মাংস! 

কারণ খেসারি ডালে শতকরা প্রায় ২০-৩০ ভাগ পর্যন্ত প্রোটিন থাকে! এজন্য কম খরচে প্রচুর পরিমাণ আমিষের চমৎকার একটি উৎস। 


খেসারি কলাই বা খেসারির ডাল বা Grass Pea যেকোন জলবায়ুতে টিকে থাকার ক্ষমতাসম্পন্ন বিধায় ফলন হয় প্রচুর, কিন্তু খরচ আর শ্রম প্রয়োজন হয় কম! ফলে আগে বঙ্গে যখন খরা মৌসুম চলতো, তখন কৃষকরা ব্যাপক পরিমাণে খেসারি উৎপাদন করতো। 


অতীতে বঙ্গের একজন গৃহস্থ নারী কেবল খেসারি ডাল দিয়েই পুরো এক বেলার খাবার রান্না করে ফেলত– খেসারির খিচুড়ি, খেসারি দিয়ে তেঁতুলের ঝোলের তরকারি, খেসারি ভর্তা, পেঁয়াজু, খেসারির ডালভাজি ইত্যাদি। গ্রামবাংলার মানুষ প্রতি দিনের খাবারের অংশ হিসেবে খেসারি ডাল খেত।

...


খেসারি ডাল খাদ্য হিসেবে পুষ্টিকর হলেও এতে থাকা β-ODAP নামক নিউরোটক্সিনের কারণে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ল্যাথিরিজম নামক পায়ের প্যারালাইসিস হতে পারে। 

বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়ে যায়, দীর্ঘসময় ধরে শুধুমাত্র খেসারি ডালই খাদ্য হিসেবে খেতে থাকলে ল্যাথিরিজম হয়। 


১৯৪২ সালে, নাৎসিরা ইউক্রেনের ভ্যাপনিয়ার্কা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের ইহুদিদেরকে খাবার হিসেবে শুধু খেসারি ডাল সরবরাহ করে। বন্দিদের খাদ্যের বিকল্প কিছু না থাকায় তারা দীর্ঘসময় ধরে খালি খেসারি ডাল খেয়ে বেঁচে ছিল। কিন্তু বেঁচে রইলেও তাদের মধ্যে প্রায় ১,২০০ ইহুদি পঙ্গু হয়ে যায়।


ভারতের স্বাধীনতার পরও বহু দশক ধরে জমিদাররা চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক ব্যবস্থায় কৃষকদেরকে শোষণ করেছে। মজুরি হিসেবে তাদেরকে টাকা না দিয়ে দিয়েছে সস্তা খেসারি। খেসারি বিক্রি করে অন্য খাবার কেনা যেতো না। কৃষকদেরকে বাধ্য হয়ে কেবলমাত্র খেসারি খেয়ে বেঁচে থাকতে হতো। 

না খেয়ে মারা যাওয়া কিংবা খেয়ে পঙ্গুত্ব বরণের মধ্যে দরিদ্র কৃষকরা বেছে নিয়েছিল পরেরটিকেই। যখন এই শ্রমিকরা ল্যাথিরিজমে আক্রান্ত হত, তাদেরকে ছাঁটাই করা হতো। তখন তারা কাজ হারিয়ে পাটনা, বেনারস, বোম্বে, কলকাতা ইত্যাদি বড় বড় শহরে গিয়ে ভিক্ষা শুরু করতো। এসব শহরের ভিক্ষুকদের বড় অংশ ছিল এই ল্যাথিরিজমে আক্রান্ত খেসারি খাওয়া শ্রমিক।


বেনারস হিন্দু ভার্সিটির নিউরোলজির চীফ ড. বিজয়নাথ মিশরা খেসারি ডাল নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেন। উত্তর প্রদেশের ৯ হাজার মানুষের ওপর একটি গবেষণা চালান ড. মিশরা। অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগেরই খাবারের একটি বড় অংশ ছিল খেসারি ডাল। তাদের মধ্যে খোঁড়া বা পা কাঁপার প্রবণতা মোটেই দেখা যায়নি। তার মতে, "যদি স্বাভাবিকভাবে খেসারি ডাল খাওয়া হয় এবং ডালের সাথে অন্যান্য খাবার খাওয়া হয়, তখন নিউরোল্যাথিরিজমের কোনো অস্তিত্বই দেখা যায় না। কেবল খেসারি খেলেই ল্যাথিরিজম হয়ে যাবে, এমন নয়। ইতিহাস ঘাঁটলে চোখে পড়ে কেবল খরা ও অন্যান্য দুর্যোগের কারণে দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলেই ল্যাথিরিজমের প্রকোপ হয়েছে।" 

...


বর্তমানে এটা প্রমাণিত যে, যদি খেসারি ডাল ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় এবং পরবর্তিতে ওই পানি ফেলে ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া হয় তাহলে কোন সমস্যা হয় না। 

প্রতিদিনের খাদ্যের অর্ধেকই খেসারি ডাল হলে এবং তা টানা তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত খেলে মানুষের মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 


অধিক ক্রুড প্রোটিন থাকার কারণে গবাদিপশুর সেরা প্রোটিন জাতীয় খাবার হতে পারে খেসারি। কিন্তু অতিরিক্ত খেসারি ডাল খাওয়ানো যাবে না।


Muhammad Rahat Khan

নিজে ভালো থাকুন! পরিবার কে ভালো রাখুন!

 অনেকেই শোকেসে গাদাগাদি করে অনেক বছর ধরে জিনিস জমিয়ে রাখেন। 

নিজেরা মেলামাইন ব্যবহার করেন। 

মেহমান আসলে কাঁচের জিনিস বের করেন আবার ধুয়ে তুলে রাখেন। 


মেলামাইনে গরম জিনিস পড়লেই বিপদ। toxic হয়ে যায়। 

বাসায় কাচের প্লেট ব্যবহার করুন। 

নতুন গ্লাস বা বাটিসেট কাপ এক সেট নিজেরা ব্যবহার করে ফেলুন। 

সব সময় নিজেদের কে well treat করুন।

 

বাসা যদি চান ঝকঝকে থাকুক তাহলে জেট পাউডার দিয়ে একবার একটা রুম মুছুন। আবার পরিস্কার পানিতে মুছুন। 

এভাবে সব রুম দুবার করে বেশি চাপ দিয়ে মুছুন। 

ফ্যান ছেড়ে দিন। হাটলেই দেখবেন চিক করে শব্দ হচ্ছে। 

আর আয়নার মত দেখাবে। 

ফ্যান মুছলেও কালো একটা দাগ পরে থাকে, তাই ভিম পাউডার কাপরে নিয়ে মুছুন দেখবেন কালশিটে দাগ নাই। 


ঝাড়বাতি ভিম লিকুউড দিয়ে মুছুন দেখবেন চকচক করবে।

ফুল মাসে একবার এক চিমটি জেট পাউডার এ চুবিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সাদা ফুল বেশি ময়লা ধরে। 

বাসার লাইট এক একদিনে এক এক রুম মুছে ফেলুন।

জানালার গ্রিলও ঝাড়পোছ করতে হয়। 


টয়লেট দুদিন পর পর যদি ভিম পাউডার দিয়ে ঝাড়ু দিয়ে ধুয়ে ফেলেন ময়লা বসে না। তবে সপ্তাহে একবার হারপিক দিতে হয়। 


মাসে একবার ফার্নিচার সরিয়ে deep clean করুন। 

যে বাচ্চার সারা বছর নাকে পানি থাকে সেখানে কার্পেট থাকলে তুলে ফেলুন। কমে যাবে। পোষ্য পালা যাবে না। 

কৃমির সমস্যা লেগে থাকলেও পোষ্য না রাখলে ভালো। 


রান্না ঘরের চিপায় ফিনিশ পাউডার দিয়ে রাখুন। 

তেলাপোকার জন্য তেলাপোকার ছবিসমেত ফিনিশ পাউডার ভালো কাজ দেয়। 

পলিথিন জমিয়ে রাখলে তেলাপোকা বেশি হয়। 


শুটকি, চালের গুড়ি, বেসন, চনার ডাল, শুকনা মরিচ freeze এ রাখুন। 

যাদের বোর্ডের আলমারি মাঝে মাঝে সরিয়ে পিছন দিকে নারকেল তেল তুলা দিয়ে লাগিয়ে দিন ঢেমপ্ হবে না। আবার ফিনিশও দিয়ে রাখতে হবে। নারকেল তেল পিপড়ার খুব পছন্দ। 


বাংলা সাবান বা তিব্বত ৫৭০ দিয়ে ডেকচি মাজবেন চকচকে হবে। 

ভিম লিকুইড বা জেড পাউডার দিয়ে plastic jug or glasses মাজবেন। 

ভিম বার এ আয়নার মত হয়না। 

মাংসের গন্ধ দূর করতে ঐ যে জেড পাউডার সাথে গরম পানি দিবেন। 

একটা plastic cloth ব্যাবহার করবেন মাংস কুটার সময়। 


দা বটি ছুড়ি সব বেসিনে পানি আটকিয়ে গরম পানি জেড পাউডার, ভিম লিকুউডে ভেজাতে দিবেন ১০ মিনিট পর নো কষ্ট। 

মাংস রাতে জাল করলেও বাইরে রাখবেন না। ভেপসা গরমে টকে যাবে। 


সব সময় freeze clean রাখুন। 

এই কুরবানির মাংস ঐ কুরবানিতে খাবেন না। ২ মাসের বেশি মাংস রাখলেই toxic, 

খাবেন আর হাগবেন nutrition value zero,


গাছ যাদের আছে টব গুলা মুছে ফেলুন, সপ্তাহে একবার গোসল দিন। 

আর যেগুলা বাসায় রাখবেন কদিন যেনো বারান্দায়ও রাখেন তবেই সতেজ হবে। 

মানি প্লান্ট ও snake plant সবচেয়ে বেশি টিকে ঘরে। পানি spray করবেন। বাড়ীতে গেলে বারান্দায় দিয়ে যান। 


পর্দা ওয়াশিং মেশিনে ৬০ মিনিট অপশনে দিন। 

বেডশীট চনমনে রাখতে দুদিন পর পরই চেন্জ করে ফেলবেন। 

একটু সাবান মাখিয়ে গরম পানিতে ভিজাবেন ১০ মিনিট তারপর ধুয়ে ফেলবেন। দেখবেন নতুনের মত। একটু হালকা মাড় দিতে পারেন। 


ধূলা আমাদের অসুস্থতার অন্যতম কারন। তাই পরিস্কার থাকুন। 

পাপোস দু সেট রাখুন। সপ্তাহে একবার cleaning এ দিন। 

সামনের দরজার পাপোশে সব জুতা রাখবেন না। জুতা নাকি দরজার সামনে রাখতে হয়না। রেক কিনুন। বাসায় জুতা রেকএ রাখার অভ্যাস করান।

 

বাসার সামনে ডাস্টবিন রাখবেন না। 

ডাস্টবিন টা ময়লার তাই অনেকে ভালো করে ধুয়ে রাখেন না। গরম পানি জেড পাউডার দিয়ে ভিজায়ে রাখলেই তে হয় নিজেই পরিস্কার হয়ে যাবে। 


একটা মানুষের রুচি তার পাকঘর, ডাস্টবিন আর টয়লেট দেখলেই বোঝা যায়॥ 

একদিনে সব কাজ নয় ভাগ ভাগ করে করুন। নিজেও এক্টিভ থাকবেন সাথে বাসাটাও চরম ফকফকা থাকবে। 

মন ফুরফুরে থাকুক। 


যিনি এই পোস্ট টা লিখেছেন তিনি সব কাজ নিজে করেন। আবার তার ৩টা পেইজও আছে। একটা পিচ্চিও আছে। পিচ্চি well trained,

রান্নাও নিজেই করেন। সকালের নাস্তা, বিকালের খাবার তার তৈরি। কেনা খাবার কেউ পছন্দ করে না। 

তিনি কিন্তু একদিনে সব পারেন নি। 

তিনি কোনো সুপার ওমেন না, তবে তিনি ধীরে ধীরে শিখেছেন। 

উনার বুয়া আছে তাই পারে, এটা ভুল কথা।

বুয়া সারাদিন গান্জাখোরের মতো ঝিমাতে ঝিমাতে শুধু ৩ ঘন্টার সার্ভিস দেয়! 

সব কাজই করে এলোমেলো অপরিষ্কার।

 

এক একদিনে ভাগ করে সব করেন। 

সবাই সব পারে না, বাচ্চার জন্য পারি না, সময় নাই!

এগুলা তেমন ইস্যু না, ধীরে ধীরে হবে।

চেষ্টাটাই আসল! চেষ্টাতেই আস্তে আস্তে সব হবে! 


নিজে ভালো থাকুন! পরিবার কে ভালো রাখুন!

#Collected

বাংলা যুক্তবর্ণের তালিকা..,,,,,,,

 বাংলা যুক্তবর্ণের তালিকা..


‎১. ক্ত = ক+ত ✅ শক্ত  

‎২. ক্ত্র = ক+ত+র ✅ শক্ত্রিয়  

‎৩. ঙ্ক = ঙ+ক ✅ অঙ্ক  

‎৪. ঙ্ক্ষ = ঙ+ক+ষ ✅ শঙ্ক্ষ

‎৫. গ্ন = গ+ন ✅ ভাগ্নে

‎৬. গ্ধ = গ+ধ ✅ দগ্ধ

‎৭. গ্ম = গ+ম ✅ আগ্ম

‎৮. গ্ন্য = গ+ন+য ✅ অগ্ন্যাস্ত্র  

‎৯. চ্ছ = চ+ছ ✅ পিচ্ছিল  

‎১০. চ্ছ্ব = চ+ছ+ব ✅ পিচ্ছ্ব  

‎১১. জ্জ = জ+জ ✅ রজ্জু  

‎১২. জ্জ্ব = জ+জ+ব ✅ রজ্জ্বালু  

‎১৩. জ্ঞ = জ+ঞ ✅ জ্ঞান  

‎১৪. ট্ট = ট+ট ✅ বট্ট  

‎১৫. ট্ঠ = ট+ঠ ✅ অট্ঠহাসি  

‎১৬. ড্ড = ড+ড ✅ গড্ডালিকা  

‎১৭. ণ্ট = ণ+ট ✅ কণ্ঠ  

‎১৮. ণ্ট্ব = ণ+ট+ব ✅ কণ্ঠ্বন  

‎১৯. ণ্ড = ণ+ড ✅ মুন্ডু  

‎২০. ণ্ড্ব = ণ+ড+ব ✅ মুন্ড্বন  

‎২১. ত্ত = ত+ত ✅ কুত্তা   

‎২২. ত্ত্ব = ত+ত+ব ✅ তত্ত্বাবধায়ক  

‎২৩. ত্ম = ত+ম ✅ আত্মা  

‎২৪. ত্র = ত+র ✅ ত্রুটি  

‎২৫. থ্ব = থ+ব ✅ নর্থ্বান  

‎২৬. দ্দ = দ+দ ✅ রোদ্দুর  

‎২৭. দ্ভ = দ+ভ ✅ অদ্ভুত  

‎২৮. দ্ধ = দ+ধ ✅ বদ্ধ  

‎২৯. দ্ম = দ+ম ✅ পদ্ম  

‎৩০. দ্ব = দ+ব ✅ দায়িত্ব  

‎৩১. দ্র = দ+র ✅ দুর্দ্রোহ  

‎৩২. ধ্ব = ধ+ব ✅ ধ্বনি  

‎৩৩. ন্ত = ন+ত ✅ অন্তর  

‎৩৪. ন্ত্র = ন+ত+র ✅ মন্ত্র  

‎৩৫. ন্ধ = ন+ধ ✅ বন্ধন  

‎৩৬. ন্ম = ন+ম ✅ অন্যম  

‎৩৭. ন্দ = ন+দ ✅ বন্দী  

‎৩৮. ন্দ্ব = ন+দ+ব ✅ বন্ধ্বু  

‎৩৯. ন্ধ্য = ন+ধ+য ✅ গন্ধ্য  

‎৪০. ন্ত্য = ন+ত+য ✅ কন্ত্যু  

‎৪১. ঙ্ক = ন+ক ✅ রঙ্ক  

‎৪২. ঙ্ঘ = ঙ+ঘ ✅ সঙ্ঘ  

‎৪৩. ঙ্গ = ঙ+গ ✅ রঙ্গ  

‎৪৪. ঙ্ম = ঙ+ম ✅ সঙ্মিল  

‎৪৫. ঙ্য = ঙ+য ✅ সঙ্যোজিত  

‎৪৬. ঙ্ল = ঙ+ল ✅ সঙ্লগ্ন  

‎৪৭. প্ট = প+ট ✅ লিপ্ট  

‎৪৮. প্ত = প+ত ✅ মপ্ত  

‎৪৯. প্ত্র = প+ত+র ✅ শপ্ত্র  

‎৫০. প্স = প+স ✅ আপ্সোস  

‎৫১. ব্জ = ব+জ ✅ গর্জন  

‎৫২. ব্দ = ব+দ ✅ শব্দ  

‎৫৩. ব্ধ = ব+ধ ✅ নিবদ্ধ  

‎৫৪. ভ্র = ভ+র ✅ ভ্রাতা  

‎৫৫. ম্প = ম+প ✅ সম্পদ  

‎৫৬. ম্ফ = ম+ফ ✅ সম্পূর্ণফল  

‎৫৭. ম্ভ = ম+ভ ✅ নম্ভর  

‎৫৮. ম্ম = ম+ম ✅ সম্মান  

‎৫৯. ম্ন = ম+ন ✅ চুম্ন  

‎৬০. ম্ল = ম+ল ✅ চম্লক  

‎৬১. য্য = য+য ✅ নিয়্যমান  

‎৬২. ল্ল = ল+ল ✅ বল্লভ  

‎৬৩. ল্ক = ল+ক ✅ জল্ক  

‎৬৪. ল্গ = ল+গ ✅ ফল্গু  

‎৬৫. ল্ম = ল+ম ✅ গুল্ম  

‎৬৬. ল্প = ল+প ✅ তল্পি  

‎৬৭. ল্ব = ল+ব ✅ ফল্ব  

‎৬৮. ল্শ = ল+শ ✅ উল্শ  

‎৬৯. ল্স = ল+স ✅ চুল্স  

‎৭০. ল্হ = ল+হ ✅ ফল্হ  

‎৭১. শ্চ = শ+চ ✅ গশ্চ  

‎৭২. শ্ছ = শ+ছ ✅ শুচ্ছ  

‎৭৩. শ্ন = শ+ন ✅ স্নেহ  

‎৭৪. শ্ম = শ+ম ✅ সশ্ময়  

‎৭৫. শ্ল = শ+ল ✅ শ্লোক  

‎৭৬. শ্ব = শ+ব ✅ শ্বশুর  

‎৭৭. ষ্ঠ = ষ+ঠ ✅ শ্রেষ্ঠ  

‎৭৮. ষ্ণ = ষ+ণ ✅ বিষ্ণু  

‎৭৯. ষ্ট = ষ+ট ✅ দুষ্ট  

‎৮০. ষ্ফ = ষ+ফ ✅ কষ্ট্ফল  

‎৮১. ষ্ম = ষ+ম ✅ বিষ্ময়  

‎৮২. স্ক = স+ক ✅ স্কুল  

‎৮৩. স্ট = স+ট ✅ ফাস্ট  

‎৮৪. স্ত = স+ত ✅ স্থান  

‎৮৫. স্থ = স+থ ✅ প্রতিষ্ঠান  

‎৮৬. স্ন = স+ন ✅ স্নান  

‎৮৭. স্প = স+প ✅ স্পষ্ট  

‎৮৮. স্ব = স+ব ✅ স্বামী  

‎৮৯. স্ম = স+ম ✅ স্মরণ  

‎৯০. স্ল = স+ল ✅ স্লোগান  

‎৯১. স্খ = স+খ ✅ অস্খলিত  

‎৯২. স্ফ = স+ফ ✅ বিস্ফোরণ  

‎৯৩. স্স = স+স ✅ অসম্মান  

‎৯৪. হ্ন = হ+ন ✅ তাহ্নিক  

‎৯৫. হ্ম = হ+ম ✅ Brahmh  

‎৯৬. হ্ল = হ+ল ✅ উহ্লাস  

‎৯৭. র্য = র+য ✅ কর্মব্যস্ত  

‎৯৮. র্জ = র+জ ✅ র্জু  

‎৯৯. র্ত = র+ত ✅ কর্তব্য  

‎১০০. র্দ = র+দ ✅ র্দশ  

‎১০১. র্ম = র+ম ✅ বর্ম  

‎১০২. র্ব = র+ব ✅ র্বাস  

‎১০৩. র্ভ = র+ভ ✅ র্ভর  

‎১০৪. র্ব্য = র+ব+য ✅ র্ব্যক্তি  

‎১০৫. র্ম্য = র+ম+য ✅ র্ম্যান

‎আপনার জানামতে আরো কি কি যুক্তবর্ণ রয়েছে? 

‎📣 আপনি কি বাংলা টাইপিং শিখতে আগ্রহী?

‎কমেন্ট করুন: “আমি শিখতে চাই”

‎🔁 শেয়ার করে রাখুন, পরে আবার কাজে লাগবে!

‎#বাংলা_যুক্তাক্ষর #Bangla_Typing #Bangla_Learning #BornoShikkha #বাংলা #ALLITBD

ভালোবাসা_নাকি_মোহ  লেখিকা_শেখ_মরিয়ম_বিবি  পর্ব ১

 মাঝ রাতে নিজের ঘর্মাক্ত স্বামীকে বড় বিধবা জা'য়ের ঘর থেকে এলোমেলো অবস্থায় বের হতে দেখে ঠিক কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত তা যেন এই মুহূর্তে ভুলেই গেছে প্রভাতি! নির্বাক হয়ে শুধু দেখছে মানুষটার বলিষ্ঠ শরীরে মাত্র লাগিয়ে আসা চিহৃ,বোঝাই যাচ্ছে খুব চট জলদি বের হয়েছে কাজ শেষ করে যাতে কেউ জানতে না পারে আর তাই তো গায়ের এলোমেলো পোশাক ও ঠিক করে আসতে পারেনি! কিন্তু ভাগ্য হয়তো সহায় ছিলো না তাই না হাতে ধরা পড়ে গেল! 


ধরা পড়ে গেছে? আদৌ কি এমনই! না প্রভাতি তো জানতো এই বিষয়ে আগে থেকেই কিন্তু কখনো তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেনি কারন তাতে সমস্যা বাড়তো, সংসারে জটিলতা সৃষ্টি হতো! তারা অস্বীকার করতো , উল্টো আমার উপর আরোপিত হতো সংসার বিচ্ছেদের বদনাম ! লোক মুখে রটিত হতো বিধবা জা''য়ে'র প্রতি হিংসা করেই এরকম মিথ্যা কথা রটাচ্ছি, মৃত ভাসুরে'র সন্তানদের দায়িত্ব না নেওয়ার জন্য‌ই এই পরিকল্পনা রচিত হয়েছে! তাই তো হাতে নাতে ধরার অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু তাতে কি হতো? 


এক বছরের জানা শোনার পর বিয়ের আসরে বসে ছিলাম আমি প্রভাতী মিনহাজ আবদুল্লাহ আল রাফি'র সাথে! পারিবারিক ভাবে ঠিক হ‌ওয়া বিয়েটা আমাদের জন্য‌ই এক বছরের সময় দেওয়া হয়েছিলো যাতে একে অপরকে জানতে পারি,বুঝতে পারি! সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী ই চলছিলো! বিয়েও হলো প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর! আড়াই বছরের একটা মেয়েও আছে! অথচ? 


মাস পাঁচেক হলো মাত্র বড় ভাসুর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে গেছেন,রেখে গেছেন পরিপূর্ণ এক যুবতী স্ত্রী আর ছয় বছরের একটি ছেলে এবং দুই বছরের একটি মেয়ে! এক কথায় ভরপুর সংসার! আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ির দুই ছেলে এক মেয়ে! মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দুই ছেলে নিয়ে যৌথ সংসার গড়ার ইচ্ছায় উনি দুই ছেলে ব‌উকে নিয়েই এক ছাদের নিচে থাকেন! সুখেই ছিলো সব কিছু!  বিয়ে করে এই বাড়িতে আসার পর থেকেই দেখেছি আমার স্বামী আর বড় জা মুক্তার মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব! অনেকে এটাকে ভালো চোখে দেখে তো অনেকেই খারাপ! আমার কাছে কোনরকম লেগেছে তা বুঝতে পারিনি কারন আমি এসব নিয়ে ভাবার ই সময় পাই না! বিয়ের আগে চাকরি করতাম, বাচ্চা হ‌ওয়ার আগ অবধি সেই চাকরি‌ই করতাম তাই ঘরোয়া এইসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করি নি! তাছাড়া আমার শ্বাশুড়ির মতে তাদের মধ্যে ভাই বোনের মতো পবিত্র সম্পর্ক আমিও তাই বিশ্বাস করতাম কারন আমিও তো আমার ছোট ভাই আর বড় ভাবির মাঝে ভালো বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক দেখেছি! সত্যি বলতে আমার ভাবীর কাছে আমরা দুই ভাইবোন হলাম সন্তানের মতোই তাই সেই সম্পর্ক নিয়ে খারাপ চিন্তা করাও আমার জন্য গুনাহ মনে হতো! তাছাড়া আমার স্বামী অথবা জা কে কখনো কোন বাজে অথবা চক্ষুশূল কাজ করতে দেখিনি তাহলে সেই সম্পর্ক নিয়ে কোনরকম বাজে চিন্তা করার মতো বিচ্ছিরি কাজ কেমনে করি!


তবে সব টা যেন হঠাৎ ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেলো।আর সেই ঝড় ছিলো আমার ভাসুরে'র হঠাৎ মৃত্যু! আল্লাহ জানেন কেন এই বয়সে ঐ রকম তরতাজা একজন মানুষ কে নিয়ে গেলেন তবে ( আল্লাহর) তার কোন কাজের কৈফিয়ত চাওয়ার দুঃসাহস তো আমার মতো নগন্য বান্দির নেই তাই আর সেই বিষয়ে কথা না ই বলি।


ভাসুরে'র মৃত্যুতে বাড়ি হলো নির্জন নিরব! সব কিছু কেমন থমথমে হয়ে গেছে ! পৃথিবীর নিয়ম অনুসারে এখন ভাসুরে'র বিধবা আর এতিম শিশুদের দায়িত্ব আমাদের মানে আমার স্বামীর উপর ই বর্তায়! তাতে আমার বিশেষ কোন অসুবিধা থাকার কারন নেই, কারন আমি বাস্তবতা বুঝি! আর হয়তো এই বোঝাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো! 


ভাসুরে'র তার স্ত্রী হিসেবে বড় জা যেমন ভেঙে পড়ে, অসহায় হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি আমার স্বামী রাফিও বড় ভাইয়ের হঠাৎ প্রয়ানে স্তব্ধ হয়ে যায়! আর এটাই স্বাভাবিক! 


হঠাৎ অসহায় হয়ে পড়া দুই নর নারী একে অপরের সহায়ক হতে চেষ্টা করে, আমিও চুপচাপ দেখে যাই, দেখে যাই বললো মিথ্যা বলা হবে সমর্থন করে যাই!হৃদয়ের আত্নীয়,আ*ত্নার আত্নীয় বিয়োগে একে অপরকে শান্তনা দিতে চেষ্টা করে, তার জন্য ই তাদের বেশির ভাগ সময় কাছাকাছি থাকতে হয়। কিন্তু কে জানতো তারা এক অপরের সহায় হতে গিয়ে আমাকে অসহায় করে দিবে! তারা কাছাকাছি থাকতে গিয়ে এতটাই কাছাকাছি হবে যে আমাকেই ছিটকে পড়ে যেতে হবে!


বাড়িতে আজ মিটিং বসেছে! স্বামী মারা যাবার নয় মাসের মাথায় কিভাবে মুক্তা ভাবী গর্ভবতী হয়! তাও পুরো সাড়ে চার মাসের!এত দিন নাকি বুঝতে পারে নাই তাই কাউকে কিছু বলতে পারে নাই কিন্তু হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ অসুস্থ মনে হ‌ওয়ায় শ্বাশুড়ি মা জোর করেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় আর তখনই বিস্ফোরিত হয় পুরো বিষয়টি!


আমার স্বামী বসে আছে আমার শ্বশুরের পাশে,তার থেকে কিছুটা দুরে দাঁড়িয়ে আছে আমার জা মুক্তা! শ্বশুরের সামনা-মুখী হয়ে বসেছেন আমার ননাস রাজিয়া সুলতানা, আর তার স্বামী মোতাহার হোসেন এবং আমার শ্বাশুড়ি মা! আর আমি লজ্জায় চুপ করে বসে আছি নিজ ঘরের খাটের দাসা চেপে ধরে! কি ভাবছেন কাঁদছি? উহু কাঁদছি না ! এরকম বিষয়ে কাঁদার কোন কারন ‌ই নেই! কেন কাঁদবো? কেন কাঁদবো আমি! আমি কি কোন অপরাধ করেছি? আমি তো কেদেঁছিলাম প্রথম দিন! উহ দিন নয়! রাত! প্রথমবার যখন আমার স্বামী আমার গভীর ঘুমের সুযোগ নিয়ে নিজের শরীরের জ্বালা মেটাতে বড় ভাইয়ের বিধবার ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে ছিলো! যখন ঘুম ভেঙ্গে তাকে পাশে না পেয়ে সন্দেহে বশত ভাসুরে'র দরজায় কান পেতে ছিলাম! শুনতে পেয়েছিলাম তাদের সুখ আর্তনাদ! বুঝতে পেরেছিলাম তাদের মনোবাসনা পূরনের সর্বোচ্চ চেষ্টা! 


সন্দেহ কেন করেছিলাম? হঠাৎ কি আর সন্দেহ হয়? না! ধীরে ধীরে হয়! যখন ই অনুভব করলাম শান্তনা'র বানী আওড়াতে আওড়াতে তিন মাসের বিধবা ভাবীর সাথে আমার স্বামী প্রেম বানী'ও আওড়াচ্ছে! সকলের কাছে তা কেবল রসিকতা মনে হলেও আমার কাছে তা রস নিগাড়ানো'র প্রথম ধাপ‌ই মনে হয়েছিলো! পৃথিবীর সমস্ত প্রেমিক প্রেমিকাকে পটাতে যেই বাক্য আওড়ায় তা নিশ্চয়ই ভাবীর সাথে আওড়ায় না তাও কিনা সদ্য বিধবা ভাবীর সাথে আবার সেই পুরুষ যদি হয় এক বাচ্চার বাপ! সে যাই হোক দিনদুপুরে তাদের কর্মকান্ড ই আমাকে সন্দেহ বাতিক হতে বাধ্য করেছে। আর তার প্রমান ও পেয়ে যাই সেই রাতে! তবে বুঝতে পারছিলাম ঘটনা একদিনে নয় কারন প্রথম বারেই কেউ এতটা সাবলীল ভাবে কারো ঘরে প্রবেশ করতে পারে না তার মানে প্রায় সময়‌ই এরকম কাজ করা হতো আমার নাকের ডগায় তা আমার মতো নির্বোধ বুঝতে পারে নি আর তার ই খেসারত এখন দিতে হচ্ছে!


আমার স্বামীকে হাতে নাতে ধরেছি তাও আজ প্রায় সাড়ে তিন মাস হয়ে গেছে! তাকে দেখে নিরবে ঘরে প্রবেশ করি,সে কিছু সময় আতংক,ভয় লজ্জায় কিংবা হতভম্ব হয়েই হয়তো দাঁড়িয়ে ছিলো দরজার সামনে! বুঝতে পারেনি বেচারা! তার মানবিক কাজের বহিঃপ্রকাশ যে এমনে ঘটবে,তার মানব দরদী মনের ভেতরের পাতা যে এভাবে আমার

 সামনে উন্মোচিত হবে তা হয়তো ক্ষুনাক্ষরে'ও আন্দাজ করে নি! 


এর পর থেকে আলাদা হলো আমাদের বিছানা! সে খাটে আর আমি আড়াই বছরের শিশু কে নিয়ে মেঝেতে মাদুর পেতে থাকতে শুরু করলাম! আর যাই হোক অন্যের একবার ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করার অভ্যাস আমার নাই! রুচিতে কুলোয় না! আর এটা তো আস্তো একটা মানুষ! যদিও এটা প্রথম আমি‌ই ব্যবহার করেছি তবুও এটা এখন আরো একজনের ব্যবহৃত ! বলা যায় আমার বেড়ে রাখা খাবারের মধ্যে হঠাৎ করেই অন্য একজন নিজের নোং*রা হাত দিয়ে দিলো সেটা নিশ্চয়ই আমি খাবো না! এটার ক্ষেত্রে ও তেমনি!


তবে তাতে আমার স্বামীর উপর বেশি একটা প্রভাব ফেললো না কারন যত‌ই বলি সেও পুরুষ মানুষ! আর তাদের কাছে শরীরের ক্ষুধা মেটানো'ই জরুরী সেটা হোক হালাল কিংবা হারাম! তার ক্ষেত্রে সেই বানী মিথ্যা হ‌ওয়ার কোন সুযোগ ই নেই। 


অবশ্য প্রথম ১৫ দিন সে কিছুটা শান্ত ছিল, একদম আদর্শ স্বামী হ‌ওয়ার প্রচুর প্রচেষ্টা করলো তাতে আমার হৃদয়ে এক চুল পরিমান টনক ও নড়লো না!  অবশ্য সে সেই রাত থেকে শুরু করে পরের পনেরো দিন হাজার ভাবে আমাকে বোঝাতে চেয়েছে,তার করা কাজের হাজারটা যুক্তি দেখাতে চেয়েছে , ক্ষমাও চেয়েছে এমনকি দুই চারবার পায়ে ধরেও ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারই আমি এড়িয়ে গিয়েছি! আমি কোন কথা শোনার বা বোঝার বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাই নি কারন প্রতিবার ই আমার মন বলেছে একবার যে ঠকাতে পারে সে বারবার পারে! সুতরাং এইরকম বিশ্বাসঘাতক, বেইমান, প্রতারক, ছলনাকারীদের দ্বিতীয় সুযোগ দিতে নেই!আমিও তাই করেছি! তবে ভেবেছি হয়তো শুধরে যাবে কিন্তু তেমন কিছু হলো না‌। বরং পনেরো দিন পরেই সে আমাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও নিজের কাজে লেগে পড়ে! আর ধীরে ধীরে দূরে সরে যায় আমার মন মস্তিষ্ক থেকে!


দীর্ঘ দেড় ঘন্টা মিটিং চললো তাতেও কোন সুফল পাওয়া গেছে বলে মনে হলো না,এর মধ্যেই সম্ভবত 

মুক্তা ভাবীর মা বাবা ও চলে এসেছে।আমি যদিও দেখিনি তবুও বাইরের চিৎকার চেঁচামেচিতে তাদের গলার ও শব্দ পাচ্ছি! তাই ধারনা করেই বললাম।পুরো সময়'টাই থেমে থেমে শুনতে পেলাম আমার ননাসে'র মুখ থেকে নির্গত হ‌ওয়া কিছু বিচ্ছিরি শব্দ যা ছিলো আমার জায়ের জন্য! তার পাশাপাশি নিজের ভাইকে ও দিলো লানত! আর আমার জন্য চিরায়িত শান্তনা'র বানী শুধু শুনতে পেলাম না তাদের কোন শব্দ! 


আমি জানি এই সমস্যার সমাধান আপাতত নাই! কারন যত‌ই হোক আপাতত জা মহিলা গ*র্ভবতী, আর এই অবস্থায় বিচার বলতে যা হ‌ওয়া উচিত তা আমাদের মডার্ন জগতে চলে না। ঐদিকে যত‌ই হোক পেটের বাচ্চাটা এই বাড়ির সম্পদ বলেই আখ্যায়িত হচ্ছে যদিও এটা কেবল বাচ্চাকে বাঁচানোর একটা প্রচেষ্টা জা"য়ের মা বাবা করছে।আমিও অবশ্য তাতেই খুশি কারন যাই হোক এতে ঐ গর্ভে থাকা অবুঝ প্রাণের কোন দোষ নেই। তাছাড়া এমন একটা সময়ে জানাজানি হলো যে এবরশন ও করানো যাবে না ,মা বাচ্চার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে! তাহলে এখন কি হবে? বাচ্চা পেটে থাকতে বিয়ে তো হয় না,আর সবচেয়ে বড় কথা আমার স্বামীর তো ব‌উ আছে! একটা চান্দের মতো বাচ্চা মেয়েও আছে তাহলে? কিভাবে কি হবে! এইদিকে এই কথা যদি বাইরে জানাজানি হয় তাহলে তো এই বাড়ির এত বছরের অর্জিত সম্মান সব ধুলোয় মিশে যাবে! আবার আমার স্বামী মহাশয় গোঁ ধরে বসে আছে,সে বিয়ে করতে পারবে না! কোন মতেই সে তার স্ত্রী সন্তানদের অধিকার ভাগ করতে পারবে না! তার এইসব ছ্যাবলা কথায় আমার পেট ফাটানো হাসি আসছে! মানে শোয়ার সময় মনে হয়নি তার স্ত্রী অধিকার সে ভাগ করছে এখন যখন জানাজানি হলো, বাচ্চার দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপার আসলো তখন তার মনে হচ্ছে অধিকার ভাগ করার যাবে না!  


ভালোবাসা_নাকি_মোহ 


লেখিকা_শেখ_মরিয়ম_বিবি 


পর্ব ১


নেক্সট পর্ব এই পেজে দিয়ে পোস্ট করা হবেনা নেক্সট পর্ব (গল্পের শহর) পেজে পোস্ট করা হবে সকল পর্ব সবার আগে পেতে নিচের সবুজ (গল্পের শহর) লেখা চাপ দিয়ে পেজটি ফলো দিয়ে রাখুন।

.

 👉 পূর্ণতার শহর  

.

..

পিচ্চি_প্রেয়সী  প্রথম পর্ব  লেখক: ফাহিম_চৌধুরী 

 বাসর রাতে রুমে ঢুকতেই পিচ্চি বউয়ের কোলে ওঠার আবদার শুনেই আমি বিস্মিত। 


-- তখন বাজে রাত আটটা, আমি সচরাচর এত তাড়াতাড়ি ঘুমাই না, তাই আমি জামা কাপড় চেঞ্জ করে, রুমে আসলাম, এমন সময় আশা এসে আমার পায়ে সালাম করলো,


-- আমি বলে উঠলাম, এই কি করছিস তুই? এসব কি?


-- আশা: কেন তোমাকে সালাম করছি, আম্মু বলে দিয়েছে বিয়ের প্রথম রাতে নাকি স্বামীকে সালাম করতে হয়, আর এখন থেকে তুমি তো আমার বর এজন্য তোমাকে সালাম করলাম।


-- ওমা তাই নাকি, পিচ্চি মেয়ের আবার বর, আরে আর এসব করতে হবে না, তুই কি উপরে উঠবি নাকি আমার পা ধরে ঘুমাবি বল?


-- আশা: আরে এমন করতেছ কেন, আমি কিন্তু এখন তোমার বউ।


-- আহারে, কি কথা, যা ঘুমিয়ে পড়।


-- আশা: কেন তুমি আমাকে কোলে করে উঠাবে না?


-- এইরে শখ কত, আমার অত রোমান্টিক হবার ইচ্ছা নাই, আমার আপু নিজে নিজে উঠে পড়, আর শোন অত মন খারাপ করিস না, যা ঘুমিয়ে পড়।


-- আশা: তোমার কি খুব ঘুম পাচ্ছে, তুমি ঘুমাও আমি তোমার মাথা টিপে দেই, কেমন?


-- আজ সূর্যটা কোন দিকে উঠছিল রে, তোকে তো আগে ৫০ টাকা দিতে চেয়েও মাথা টিপানো যায়নি আজ তুই নিজে থেকে ওর মাথা টিপে দিতে চাচ্ছিস কেন ব্যাপারটা কি বলতো? তোর কি আজ জ্বর হয়েছে রে আপু, জ্বরের ঘোরে আবোল তাবোল বলতেছিস।


-- আশা: কিহ, তুই আমাকে, আপু বললি আমি কি তোর আপু?


-- আপু নয়তো কি রে? তুই তো আমার আপন মায়ের আপন বোনের নিজের মেয়ে, সেই সূত্রে তুই তো আমার আপুই হোস, আর শোন এর চেয়ে আর বেশি অধিকার খাটাবি না বুঝলি, বিয়েটা আমি এখন করতে চাচ্ছিলাম না বাবা মার জোর করে আমাদের বিয়েটা দিয়েছে এমন না যে বিয়েটা আমি মেনে নেইনি, সামনে আমার পরীক্ষা আর তোর সামনে পরীক্ষা, তাই আমি চাচ্ছি এই মুহূর্তে আমি বউ বউ খেলা খেলবো না।


-- আশা: প্লিজ তুই পাগলামি করিস না সামনে তোর পরীক্ষা মন দিয়ে লেখাপড়া কর সেটাই ভালো হবে, রাত অনেক হয়েছে ঘুমিয়ে পড়, আমাকে একটা বালিশ দে আমি সোফায় ঘুমাই আর তুই বিছানাতে ঘুমা।


-- না পারে না, এখন তুই আমার শুধু আপু নস এখন তুই আমার বউয়ের মত আপু বুঝলি তাই কিছু একটা হয়ে যেতে পারে এজন্য একসাথে ঘুমাবো না তুমি আমাকে ক্ষমা কর।


-- আর শোন পিচ্চি মেয়ে পিচ্চি মেয়ের মত থাক, খবরদার বেশি পাকামো করবি না ঠিক আছে, আর বেশি কথা বললে আমি কিন্তু বাহিরে গিয়ে শুয়ে পড়বো।


-- আশা: এই তোমার বাহিরে যাওয়ার দরকার নাই আমি বিছানাতেই ঘুমাচ্ছি আর তুমি যাও সোফায় ঘুমাও, ওকে।


-- এইতো আমার লক্ষী বউ। ঠিক বুঝতে পারছিস।


-- আমার কথা শুনে মেয়েটা মন খারাপ করে ঘুমিয়ে পড়ল, আমার কি দোষ আমাকে তো জোর করে আম্মু বাল্য বিবাহ দিল, মেয়েটার জন্য খুব খারাপ লাগতেছে কিন্তু কি আর করা কিছুই করার নাই এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে বলতেই পারবোনা একদম এক ঘুমে সকাল হয়ে গেছে, তখন আশা জোরে জোরে চিল্লাইতেছে।


-- আশা: এই ওঠো, সকাল হয়ে গেছে।


-- না আম্মু আরেকটু ঘুমাতে দাও না আজ কলেজ নাই যাও একটু পরে উঠতেছি।


-- আশা: এ কি বললা তুমি নাউজুবিল্লাহ, আমি তোমার কোন পোষের আম্মু বল।


-- আরে আরে তুই আমি তো খেয়ালই করিনি, এত সকাল সকাল ডাকছিস কেন যা আমি আরেকটু ঘুমাবো।


-- আমি কই তোমাকে ডাকতাছে, আম্মু বলছে এজন্য ডাকলাম।


-- আম্মু ডাকছে তো কি হয়েছে, তুই, বলতে পারলি না যে ঘুমাচ্ছে, তাইতো এক কথায় সব শেষ হয়ে যেত, আচ্ছা ঠিক আছে এত পাকামি করিস না তুই যা আমি আসতেছি।


-- মেয়েটা একটু মন খারাপ করে নিচে চলে গেল আজ কেন জানিনা আমার বারবার মনে হচ্ছে আমার সাথে এটা ঠিক করলাম না এটা বোধহয় এটা বোধহয় বেশি রুট ব্যবহার হয়ে গেল, তাড়াহুড়ো করে নিচে নামলাম, আম্মুকে বললাম দাও দাও তাড়াতাড়ি খেতে দাও, আম্মু অমনি বলে উঠলো।


-- আম্মু: আগে তো আমাকেই খুব বলতিস কাজের লোক রেখে নাও, কাজের লোক না এনে তোকে বউ এনে দিলাম।


-- আশা আমাকে বলে উঠলো, আমি থাকতে তুমি আম্মুকে ডাকতেছ কেন? আমাকে বললেই তো হয়, ওকে দিচ্ছি দাঁড়াও।


-- এই বাচ্চা মেয়ে এত পাকামি করিস না তো, বাচ্চা মেয়ে বাচ্চা মেয়ের মত থাকবি, এখন বেশি কথা না বলে আমাকে খেতে দে, আমি একটু বাইরে যাব।


-- আশা: এই শোনো না, আমার কিছু জিনিস লাগবে, আর তাছাড়া বিয়ের পর তো আমরা সেভাবে কোথাও ঘুরিনি, আজকে একটু আমাকে বাহিরে নিয়ে যাবা।


-- পিচ্চি মেয়ের শখ কত, তোর কি কি লাগবে আমাকে লিখে দিস আমি নিয়ে আসবো নে বাইরে ঘোড়ার সময় নেই আমার।


-- আশা: এসব কথা কেন জানিনা মেয়েটাকে বলার পর আমার কিছুতে ই ভালো লাগছিল না তাই আমি তিনটার সময় ওকে বললাম, তুই রেডি হয়ে থাকিস বিকেলে নিয়ে তোকে বের হব কি কি লাগবে মনে করে বলিস কেমন?


-- ঠিক বিকাল ৩ টায় আশা রেডি হয়ে আমাকে বলতেছে, এই মশাই, বাইরে যাবা না তোমাকে না আজ আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা।


-- যা তুই রেডি হয়ে নে, আমি উঠতেছি, তোর জন্য একটু শান্তিতে ঘুমাতেও পারি, না দিলি তো আমার কাঁচা ঘোমটা নষ্ট করে সালার পেত্নী একটা যা ভাগ রেডি হও।


-- আশা: এই তুমি আমার সাথে এভাবে কথা বলছ কেন আমি কিন্তু আম্মুকে সব বলে দিবো বুঝলে।


-- এই আমাকে কিছু বলিস না আচ্ছা ঠিক আছে সরি যা তুই রেডি হয়েনে।


-- আমি তো রেডি হয়েছি তুই চোখটা খুলে একটু দেখ না নীল শাড়িতে আমাকে ঠিক কেমন লাগছে, কিন্তু প্রবলেম একটা হইছে জানিস।


-- ও মা এতো দেখছি আমার পরীর মত আপু বসে আছে।


-- আশা: কি হ আবার তুই আমাকে আপু বললি আমাকে কি বলে দেবো আমি সব।


-- আরে না না, বলিস না, ওকে ওকে পরীর মত আপু না পরীর মত বউ, এবার তো হয়েছে সালার পিচ্চি, তা তোর কি সমস্যা তুই যে বললি তোর একটা প্রবলেম হয়েছে।


-- আশা: এই দেখ না ব্লাউজের হুকটা খুলে গেছে লাগাতে পারছি না, একটু লাগিয়ে দাও না প্লিজ।


-- শালার পিচ্চি, তোকে কি আমি এমনি পিচ্চি বলি, ব্লাউজের হুকটা লাগানোর সাধ্য হয়নি তোর আবার হয়েছিস বউ, ভীষণ হাসি পাচ্ছে আমার।


-- আশা: এই কথায় কথায় তুমি আমারে পিচ্চি বলো কেন।


-- পিচ্চিরে পিচ্চি বলবো না তো কি বলবো, এই নে লাগিয়ে দিলাম, আপু হিসেবে কিন্তু, বউ বললে কিন্তু না, হয়েছে তোর, বের হবা এখন।


-- আশা: এই তুমি সব সময় এত রুট কথা বলো কেন? এভাবে বলতে পারোনা, কিগো হইছে তোমার, শালা রস কস হীন।


-- আমি এভাবে এখনই বলতে পারব না, পিচ্চি তুই আগে বড় হ তারপর দেখা যাবে।


-- আশা: তার আগেই তুমি আমাকে তুমি করে বলবা বাজি ধরে নাও।


-- জিনা, এটা আপাতত সম্ভব হচ্ছে না, ওকে চল আর তর্ক না করে, বেরিয়ে পড়ি।


আমি বাইক নিয়ে বের হয়ে গেলাম… কেউ দেখে ফেললে বিপদ… দুইটা হেলমেট নিয়েই বের হয়েছি… স্পিড বাড়াতে না বাড়াতেই পেছন থেকে আশা আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে…তারপর   হঠাৎ সে বলে ওঠে…..


চলবে পরের পর্বের লিংক কমেন্টে। 


#পিচ্চি_প্রেয়সী 

প্রথম পর্ব 

লেখক: #ফাহিম_চৌধুরী 


আপনারা সবাই নেক্সট নেক্সট করেন কেনো আমি প্রায়  সব গল্পের পরবর্তী পর্বের লিংক কমেন্টে দিয়ে রাখি তো ভালো করে চেক করবেন আর নাহয় আমার Opornota - অপূর্ণতা 彡  পেজ ফলো করবেন সেখানেও নেক্সট পার্ট গুলো পাবেন।

সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতাকবিরাজ সঞ্জয় দত্ত  আয়ুর্বেদিক এন্ড হারবাল চিকিৎসক

 🥬সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতা 🌴

🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲


হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে বলা হয়েছে আসমা বিনেত উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুল পাক (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি জুলাবের জন্য কী ব্যবহার কর? করলেন, ‘যদি কোনো জিনিসের দ্বারা মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যেত তবে তা সোনাপাতার দ্বারা পাওয়া যেত।’ তোমরা অবশ্যই সোনাপাতা ব্যবহার করবে, কেননা এটা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের শেফাদানকারী মহৌষ


পরিচিতি:


সোনাপাতা বীরুৎ জাতীয় পাতা। দেখতে অনেকটা মেহেদি পাতার মতো এবং হালকা একটা বুনো গন্ধ আছে এই ফার্ণ জাতীয় উদ্ভিদে। পাতার রং কাঁচা অবস্থায় হলুদাভ সবুজ এবং শুকানো হলে হলুদাভ সোনালি বর্ণ হয়। অক্ষের শেষ প্রান্তে অর্থাৎ মাথায় হলুদ রঙের ফুল ফোটে। ফুল সাদা বা গোলাপি রঙের হয়। ফলে শিমজাতীয় নলাকার বা চ্যাপ্টা হয়। ফলের ভিতরে আড়াআড়িভাবে বীজ থাকে। সুদান, সোমালিয়া, সিন্দু প্রদেশ, পাঞ্জাব ও দক্ষিণ ভারতে বাণিজ্যিকভাবে সোনাপাতার চাষ করা হয়। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সোনাপাতা পাওয়া যায়। আরব দেশের জঙ্গলে সোনাপাতা প্রচুর পরিমাণে জন্মে থাকে। গাছটি মুলত উষ্ণমন্ডলীয়। ফলে দেশ সমূহে বেশী জন্মে।


এর পাতা কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করতে চমৎকার কাজ করে। শরীরের ওজন কামায়, ও উচ্ছ রক্ত চাপ কামতে সাহাজভ করে।সোনা পাতায় বিদ্যমান এনথ্রানয়েড রেচক হিসেবে কাজ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এতে কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপিত হয়। ফলে খুব অল্প সময়ে এবং খুব সহজেই মল দেহ থেকে বাইরে নিষ্কাষিত হয়।


সোনাপাতার রাসায়নিক উপাদান:


সোনা পাতায় আছে ১.৫-৩% হাইড্রোজায়ানথ্রাসিন গ্লাইকোসাইড, প্রধানত সেনোসাইড এ এবং বি যা রেইন-হায়ানথ্রোন এবং কম পরিমাণে সেনোসাইড সি এবং ডি যা রেইন-এলো-ইমোডিন-হেটেরোডায়ানথ্রোন, ন্যাপথলিন গ্লাইকোসাইড ফ্ল্যাভোনয়েড(কেম্পফেরল এবং আইসো-রামানিটিন এর ডেরিভেটিভ), ১০-১২% খনিজ উপাদান, ৭-১০% মিউসিলেজ(গ্যালাক্টোজ, এরাবিনোজ, রামনোজ এবং গ্যালাকটিউরোনিক এসিড), প্রায় ৮% পলিঅল (পিনিটল); সুগার(গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ) এবং রেজিন।


ঔষধী ব্যবহার


সোনা পাতায় বিদ্যমান বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানগুলির কারণে এটা প্রধানত জোলাপ বা রেচক হিসেবে বেশী ব্যবহৃত হয়। কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করতে চমৎকার কাজ করে। সোনা পাতায় বিদ্যমান এনথ্রানয়েড রেচক হিসেবে উদ্দীপনা যোগায় এর কারণ হল সেনোসাইড এবং রেইন এনথ্রোন হজম প্রক্রিয়াকে প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। রেচক (Laxative effect) বা শীতলকারক হওয়ার ফলে বৃহদন্তে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট শোষণ বাধাপ্রাপ্ত হয় যা ইনটেস্টাইন্যাল উপাদান গুলোর ভলিউম এবং চাপ বৃদ্ধি করে। এতে কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপিত হয়। ফলে খুব অল্প সময়ে এবং খুব সহজেই মল দেহ থেকে বাইরে নিষ্কাষিত হয়।


বিশ্ব হার্বাল গবেষণা ইন্সটিটিউট এই ভেষজ উদ্ভিদকে অত্যন্ত শক্তিশালী ভেষজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কমিশন ই(E) কোষ্ট-কাঠিন্য নিরাময়ের জন্য সোনাপাতা গ্রহণের অনুমতি দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মাঝে মধ্যে সংঘটিত কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করার জন্য স্বল্প সময়ের চিকিৎসা হিসেবে সোনাপাতা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে সোনা পাতা ভেষজ হিসেবে সরাসরি ব্যবহারের চাইতে এর পাউডার নিয়মিত খেলে শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়।


সোনাপাতায় বিদ্যমান ইমোডিন বিভিন্ন পরিমাণে চিকিৎসায় ব্যবহা করা হয়। প্রদাহ নাশ করতে ১৫ মি.গ্রা./ কেজি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া এন্টি সেপটিক ও এন্টি আলসার হিসেবেও এটা কাজ করে।

এন্হ্রাকুইনোন সাইটোটক্সিক এবং কোষ পুনরুদ্ধার-এ রিজেনারেশনে উদ্দীপনা জাগায়, ডিটক্সিফিকেশন এবং পরিষ্কারক হিসেবেও কাজ করে।


সোনা পাতার চা: সোনা পাতার চা খেতে সামান্য মিষ্টি এবং অধিক তিতা যদি কড়া করে বানানো হয়। তাই, সাধারণ চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।


সোনা পাতা খাওয়ার নিয়ম:


প্রতিদিন ২০-৪০ মিলি গ্রাম রাতে পাতা এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

সকালে আবার আল্প পরিমান গরম পানি তাতে মিশিয়ে চায়ের মত পান করতে হবে। সাথে ৩-৪ টি পাহড়ি হরতকি গুরা কে দিলে ভাল হয়।


অথবা 


রাতে আধা চা চামুচ বিডি হেলথ সোনাপাতা পাউডার আধা গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ছেকে নিয়ে অল্প পরিমাণ গরম পানি মিশিয়ে চায়ের মত পান করতে হবে। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে হবে । বিডি হেলথ সোনাপাতা পাউডার কিনুন এবং যথা নিয়মে সেবন করে সুন্নত পালন করুন এবং বোনাস হিসেবে পান বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা।


বিরুদ্ধ ব্যবহার/ সতর্কতা:


আমাশয়, পাতলা পায়খানার রোগীদের, বৃদ্ধদের, দুর্বলদের, ও অন্ত্রের কোন রোগ থাকলে, যেমন-অন্ত্রের প্রদাহ, আলসার, এপেনহিসাইটিস ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে সোনাপাতা ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এবং ৫ বছরের নিচের বাচ্চদের এই হার্বস ব্যবহার করা উচিত নয়। 

* খাবার ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে বাথরুমের আশেপাশে থাকতে হবে।

* সপ্তাহে দুই দিন বা তিন দিনের বেশি সেবন করা উচিৎ না।


পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া:

উচ্চ মাত্রায় দীর্ঘদিন ধরে সোনা পাতা ব্যবহার করলে শরীরে পটাশিয়াম লেভেল কমে যায়। পটাশিয়াম লেভেল কমে গেলে এই অবস্থাকে বলে হাইপোক্যালিমিয়া। হাইপোক্যালমিয়া হলে নিম্নলিকিত লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে-


*পেটে ব্যথা

*কোষ্ট-কাঠিন্য

*লো ব্লাড প্রেশার

*গোস্ত পেশীর দূর্বলতা

*বমি বমি ভাব

*বমি হওয়া

*দৃষ্টি ভ্রম

*শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে

*হৃদস্পন্দনে পরিবর্তন দেখ দেয়


দীর্ঘ সময় ধরে সোনা পাতা ব্যবহার করলে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে, হাড় বা গোস্তপেশী দূর্বল হয়ে পরে এবং ক্ষধা কমে যাওয়ার করণে শরীরের ওজন কমে যেতে পারে। এছাড়া উচ্চ মাত্রায় ব্যবহারের ফলে পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া হতে পারে।


সেনাতে বিদ্যমান এনথ্রাকুইনোন-এর করণে ইস্তঞ্জা (প্রস্রা)লাল, গোলাপী বা বাদামী রঙ


কবিরাজ সঞ্জয় দত্ত 

আয়ুর্বেদিক এন্ড হারবাল চিকিৎসক

শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)।

---

🔖 Ledum Palustre 30

🌹 প্রধান লক্ষণ:

▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থেকে উপরের দিকে ওঠে (বিশেষত পায়ের আঙুল থেকে শুরু হয়ে উপরে ওঠে)।

▪ ঠান্ডা প্রয়োগে ব্যথা কমে, কিন্তু গরমে বাড়ে।

▪ আক্রান্ত জয়েন্ট ফোলা, কালচে বা আঘাতের চিহ্ন থাকতে পারে।

▪ আক্রান্ত স্থান ঠান্ডা মনে হয়।

▪ গেঁটে বাত, মচকে যাওয়া, আঘাতজনিত ব্যথার জন্য উপযোগী।

🧠 মানসিক বৈশিষ্ট্য:

▪ বিষণ্ণ রাগ, উদ্বেগ, নির্জনতার আকাঙ্ক্ষা।

▪ অসন্তুষ্ট, অপ্রীতিকর।

☂️ বিশেষ টিপস:

গেঁটে বাতের ব্যথা যখন নীচ থেকে উপরের দিকে ছড়ায় এবং ঠান্ডা প্রয়োগে আরাম হয়, তখন এটি খুব কার্যকর।

---

🍂 Colchicum Autumnale 30

🔴 প্রধান লক্ষণ:

▪ গেঁটে বাতের তীব্র ব্যথা, যা স্পর্শে বা নড়াচড়ায় মারাত্মকভাবে বাড়ে।

▪ আক্রান্ত জয়েন্ট লাল, ফোলা এবং অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

▪ রাতে ব্যথা বাড়ে।

▪ বমি বমি ভাব বা বমি সহ ব্যথা।

▪ গন্ধ (বিশেষ করে খাবারের গন্ধ) অসহ্য মনে হয়।

🧠 মানসিক বৈশিষ্ট্য:

▪ সহজেই বিরক্ত হয়, সামান্য কারণে রেগে যায়।

▪ আলো, শব্দ বা গন্ধ অসহ্য মনে হয়।

⭐ বিশেষ টিপস:

গেঁটে বাতের তীব্র আক্রমণে এটি অত্যন্ত কার্যকর, যেখানে ব্যথা স্পর্শে বা নড়াচড়ায় তীব্র হয় এবং বমি বমি ভাব বা বমি থাকতে পারে।

---

🪴 Rhus Toxicodendron 30

🔵 প্রধান লক্ষণ:

▪ গেঁটে বাতের ব্যথা প্রথম নড়াচড়ায় বাড়ে, কিন্তু ক্রমাগত নড়াচড়ায় কমে।

▪ ঠান্ডা, ভেজা আবহাওয়ায় বাড়ে।

▪ জয়েন্টগুলোতে আড়ষ্টতা, থেঁতলে যাওয়ার মতো ব্যথা।

▪ সকালে ঘুম থেকে উঠলে বা বিশ্রামের পর ব্যথা বেশি।

▪ অস্থিরতা, ছটফট করা।

🧠 মানসিক বৈশিষ্ট্য:

▪ অস্থির, উদ্বিগ্ন।

▪ সবকিছুতে সন্দেহপ্রবণ।

⭐ বিশেষ টিপস:

গেঁটে বাতজনিত ব্যথা, যেখানে নড়াচড়ায় আরাম হয় এবং ঠান্ডা-ভেজা আবহাওয়ায় লক্ষণ বৃদ্ধি পায়।

---

🪴 Benzoic Acid 30

🟢 প্রধান লক্ষণ:

▪ গেঁটে বাতের সাথে প্রস্রাবে তীব্র দুর্গন্ধ (ইউরিক অ্যাসিডের কারণে)।

▪ মূত্র গাঢ় এবং গন্ধযুক্ত।

▪ ডান দিকের জয়েন্টগুলোতে বেশি প্রভাব।

▪ জয়েন্টগুলোতে তীব্র ব্যথা, যা ফুলে যেতে পারে।

▪ লিউকোমিয়া বা রিউম্যাটিক জ্বরের ইতিহাস।

🧠 মানসিক বৈশিষ্ট্য:

▪ স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, বিশেষত নাম মনে রাখতে কষ্ট হয়।

▪ উদ্বিগ্ন, বিষণ্ণ।

⭐ বিশেষ টিপস:

গেঁটে বাতের সাথে যখন প্রস্রাবে খুব তীব্র ও কটু গন্ধ থাকে এবং ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা স্পষ্ট, তখন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।

---

🪴 Urtica Urens 30

🟣 প্রধান লক্ষণ:

▪ গেঁটে বাতের সাথে শরীরে চুলকানি বা আমবাতের মতো র্যাশ থাকতে পারে।

▪ সমুদ্রের খাবার বা শেলফিশ খাওয়ার পর গেঁটে বাতের বৃদ্ধি।

▪ দুধ পানে বা ঠান্ডা লেগে লক্ষণ বৃদ্ধি।

▪ তীব্র জ্বালাপোড়া ও চুলকানি।


⭐ বিশেষ টিপস:

গেঁটে বাতের ব্যথা যখন ত্বকের র্যাশ বা চুলকানির সাথে সম্পর্কিত থাকে, বিশেষত যদি খাদ্যাভ্যাসের (যেমন শেলফিশ) সাথে সম্পর্ক থাকে।

Cd

বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ ২৫-০৬-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক পণ্য বর্জনের আহ্বান।


রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন --- দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়- প্রস্তাবে একমত বিএনপি।


২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড ছিল দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের ফল,  জড়িত ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্ব ---- প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিশন।


দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত  হলেও গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা এখনও শুরু হয়নি --- ‘মব জাস্টিস’ নামে এক আগ্রাসী আচরণ মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে ---মন্তব্য বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।


সারাদেশে আগামীকাল শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।


ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনায় গত সপ্তাহের হামলায় সেগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে --- দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।


 এবং কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ক্রিকেট টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২২০।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ - ২৩ -০৬ ২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ - ২৩ -০৬ ২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম


দেশব্যাপী স্কাউটস কাব কার্নিভালের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- স্কাউটিং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ তৈরিতে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান।


জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির মামলায় সাবেক সিইসি কেএম নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ঢাকার একটি আদালত।


সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তারকালে মব জাস্টিস সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য --- মন্তব্য  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার।


কেএম নূরুল হুদার ওপর মব জাস্টিসের তীব্র নিন্দা বিএনপির --- দলীয় কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি।


তরুণদের ভোটাধিকার হরণ, কণ্ঠরোধ ও তাদের ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিয়েছিল সাবেক স্বৈরাচারী সরকার --- বললেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন উপদেষ্টা।


ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিরসনে নিরাপত্তা পরিষদে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেছে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান --- তেহরানকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস মস্কোর।


 এবং স্বাগতিক শ্রীলংকার বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ খেলতে অলরাউন্ডার  মেহেদি হাসান মিরাজের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২২-০৬-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২২-০৬-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট অনুমোদন।  

 


স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় গঠনের উপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার।

 


জুলাই সনদ প্রণয়নে সকল দলকে দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছানোর আহ্বান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতির।


নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বিএনপির।

 


দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে পাঁচজনের মৃত্যু – নতুন আক্রান্ত ৩৬ জন।


ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, রাশিয়া ও চীনসহ অন্যান্য দেশ। 


এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতির জন্য হুঁশিয়ার করেছে ইরান – পারমাণবিক কর্মসূচি কোন অবস্থাতেই বন্ধ না করার পক্ষে মত প্রদান।

দুধ থেকে আয় বাড়ছে না?” 🔍 জেনে নিন দুধ বিক্রির ৫টি লাভজনক ও অত্যাধুনিক কৌশল—যা ব্যবহার করে অনেক খামারি আয় বাড়াচ্ছেন দ্বিগুণ!,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🥛 “দুধ থেকে আয় বাড়ছে না?” 🔍 জেনে নিন দুধ বিক্রির ৫টি লাভজনক ও অত্যাধুনিক কৌশল—যা ব্যবহার করে অনেক খামারি আয় বাড়াচ্ছেন দ্বিগুণ!


📌 ১. ফেসবুক ব্র্যান্ডিং

📌 ২. সাবস্ক্রিপশন অফার

📌 ৩. QR কোড প্যাকেজিং

📌 ৪. হোটেল-বেকারির সাথে চুক্তি

📌 ৫. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার


✅ আপনার দুধ, আপনার ব্র্যান্ড, আপনার লাভ!i


🔖 শিরোনামঃ দুধ বিক্রি করে আয় বাড়ানোর ৫টি অত্যাধুনিক বিপণন কৌশল

✍️ প্রতিবেদকঃ মোস্তাফিজুর রহমান


🐄 পরিচিতি ও প্রাসঙ্গিকতা


বাংলাদেশে খামারি ও গৃহস্থ পরিবারে গরু-ছাগলের দুধ একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উৎস তো বটেই, আয়েরও একটি বড় উৎস। কিন্তু দুধ উৎপাদন করেও অনেকেই ন্যায্য মূল্য পান না। মূল সমস্যা একটাই—দুধ উৎপাদন হচ্ছে, কিন্তু বিক্রির কৌশল নেই।


প্রশ্ন হচ্ছে—কেন আমরা দুধ উৎপাদনে সফল কিন্তু বাজারে পিছিয়ে?


উত্তরটা লুকিয়ে আছে আধুনিক বিপণন কৌশলে। সঠিক কৌশল জানা থাকলে একজন খামারি দিনে ১০ লিটার দুধ বিক্রি করে আয় বাড়াতে পারেন প্রায় দ্বিগুণ পর্যন্ত। আজকের প্রতিবেদন ঠিক সেই আধুনিক বিপণন কৌশলগুলোর উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা বাস্তবেই কাজে দেয়।


✅ কৌশল ১: লোকাল ব্র্যান্ডিং ও সরাসরি গ্রাহক তৈরি করুন

🔹 আপনি যদি একটি নির্ভরযোগ্য ছোট ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত হতে পারেন, তাহলে আপনার দুধ বিক্রি সহজ হয়।

🔹 ফেসবুক পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, বা স্থানীয় বাজারে ছোট লিফলেট—এসব দিয়েই শুরু করা যায়।

🔹 আপনি ‘খাঁটি গ্রামের গরুর দুধ’ বা ‘ভেজালমুক্ত দুধ’ নামেই প্রচার করতে পারেন।

📌 সফল উদাহরণ: আপনার আশেপাশে এমন উদাহরণ অনেক খুঁজে পাবেন।


✅ কৌশল ২: সাবস্ক্রিপশন মডেল চালু করুন

🔹 প্রতিদিন গ্রাহক খুঁজতে না গিয়ে ৭ দিনের বা ১ মাসের সাবস্ক্রিপশন দিয়ে গ্রাহক তৈরি করুন।

🔹 ‘৩০০০ টাকা মাসিক – প্রতিদিন সকালে ১ লিটার দুধ’—এমন অফার দিন।

🔹 এতে আপনার বিক্রি নিরবচ্ছিন্ন হয় এবং ক্রেতা নিশ্চিন্ত থাকে।

📌 কোথায় প্রয়োগ হবে? শহরের চাকরিজীবী, নতুন মা-বাবা, বা স্বাস্থ্য সচেতন পরিবারে।


✅ কৌশল ৩: ফুড-গ্রেড প্যাকেজিং ও QR কোড ব্যবহার

🔹 আধুনিক গ্রাহক শুধু দুধ চায় না, নিরাপত্তা চায়। তাই ফুড গ্রেড বোতল, লেবেল ও উৎপাদনের তথ্য দিন।

🔹 QR কোড ব্যবহার করে দুধের উৎস, খামার, ও পশুর তথ্য দেখানো যায়।

🔹 এতে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়।


✅ কৌশল ৪: বাল্ক বাইয়ারদের সঙ্গে চুক্তি করুন (B2B মার্কেটিং)

🔹 হোটেল, বেকারি, মিষ্টির দোকান—এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন লিটার কে লিটার দুধ লাগে।

🔹 সরাসরি এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে নিশ্চিন্ত আয় নিশ্চিত করা যায়।

📌 কৌশল: “আপনার দোকানের জন্য প্রতিদিন ১০০% খাঁটি দুধ পাবেন, কোনো ঝুঁকি ছাড়াই”—এই বার্তাটি দিন। আপনার সততা দুধ বিক্রিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। 

🔹 চুক্তির মাধ্যমে নিয়মিত সরবরাহ করতে পারলে দামও কিছুটা বেশি পাওয়া যায়।


✅ কৌশল ৫: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ ও ই-কমার্স সংযুক্তি

🔹 ফেসবুক মার্কেটপ্লেস, ফার্ম টু হোম ডেলিভারি সাইট (যেমন: Pran Organic, iFarmer, Khamar-e), এমনকি নিজস্ব ওয়েবসাইটেও দুধ বিক্রি করা যায়।

🔹 অনলাইন প্রি-অর্ডার, ফ্ল্যাশ সেল, কমেন্টে অর্ডার নেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক বিক্রি সম্ভব।

📌 টিপস: লাইভ ভিডিও করে দুধ দোয়ানোর দৃশ্য দেখালে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।


🧭 সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা

🔹 প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (DLS): দুধ মান নিয়ন্ত্রণ ও প্রশিক্ষণ

🔹 PKSF ও BRAC: পশুপালন ও দুধ বিপণনের জন্য ক্ষুদ্রঋণ ও প্রশিক্ষণ

🔹 Milk Vita: সদস্য খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ


⚠️ খামারির সাধারণ ভুল ও করণীয়

❌ দুধ বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকা

❌ শুধুমাত্র দুধ উৎপাদনে মনোযোগ দিয়ে বিপণন এড়িয়ে যাওয়া

❌ খামারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি

❌ অস্পষ্ট বা অবিশ্বস্ত প্যাকেজিং


✅ করণীয়:

✔️ স্থানীয় বাজার যাচাই করে টার্গেট গ্রাহক ঠিক করা

✔️ গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জনের কৌশল জানা

✔️ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত কনটেন্ট ও আপডেট


📊 বাস্তব প্রভাব ও লাভজনকতা

🔹 ব্র্যান্ডেড দুধের দাম সাধারণ দুধের চেয়ে ৩০–৫০% বেশি পাওয়া যায়।

🔹 সাবস্ক্রিপশন মডেলে ১ খামারি প্রতিমাসে ২০–৩০ হাজার টাকা আয় বাড়াতে পারেন।

🔹 প্যাকেজিং যুক্ত দুধের জন্য শহরাঞ্চলে চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।


❓ পাঠকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন

📌 আপনি দুধ বিক্রি করে আয় বাড়াতে চাইলে কোন কৌশলটি আগে প্রয়োগ করবেন?

📌 আপনার এলাকায় কি এখনো দুধ ব্র্যান্ডিং চালু হয়নি?


কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না, আর পোস্টটি শেয়ার করে পাশে দাঁড়ান আপনার খামারি ভাইদের।

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী?

**************************

প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না।

এটাই গায়রত।তথা-(( গোপনীয়তা)) personal matter 

একজন গায়রতহীন পুরুষ বড়ই ভয়ংকর।

এখনকার সময়ের পুরুষদের গায়রত থাকবে তো দূরে, তারা তাদের স্ত্রীর বেপর্দা ছবি ফেসবুকে আপলোড দেয়!!

আল্লাহুম্মাগফিরলী..!হায় আফসোস


♦ঘটনা ১

**********

একদিন এক ব্যাক্তি আলি ইবনু আবি তালিব (রা:) কে জিজ্ঞাসা করলেন তার স্ত্রী কেমন আছে?

তিনি উত্তর দিলেন:

" যদি তোমার রক্ত হালাল হতো,তাহলে আমি তরবারি দিয়ে তোমার মাথা কেটে ফেলতাম।"

[ ইবনে কাসীর,আল- বিদায়া ওয়ান- নিহায়া]


♦ঘটনা ২

********* 

সে যুগে মক্কার এক মুশরিক তার উটকে জবেহ 

করে দিচ্ছিলো। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো আপনি উট টি জবেহ কেন করলেন?

 আপনার টাকার প্রয়োজন হলেত বিক্রি করে দিতে পারতেন।

তখন লোকটি বললো, 

এই উটের উপর আমার মহিলারা  বসতো, বিক্রি করে দিলে এই উটের উপর অন্যপুরুষ বসবে এটা আমার সহ্য হবে না, 

তাই এই উটই আমি রাখবো না।

একজন মুশরিক হওয়া সত্বেও তার কত গায়রত!!!

আর আমাদের ভাই- বোনদের কি দশা??

আস্তাগফিরুল্লাহ্ 


গায়রতহীন পুরুষরা সবাই দাইয়ুজ। রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারা জান্নাত তো পাবেই না, জান্নাতের গন্ধও পাবে না।


وَ مَا الۡحَیٰوۃُ  الدُّنۡیَاۤ   اِلَّا مَتَاعُ  الۡغُرُوۡرِ ﴿۲۰﴾

আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোকার সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়।

 (সুরা হাদীদ-২০)


এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে!

সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে? 

(সূরা ফাজর,আয়াত-২০)

স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বন্ধুদের সাথে হাসি তামাসা আড্ডায় ব্যস্ত থাকে!!

বউয়ের চুল দেখা যাবে তাতে কষ্ট পাবে তো দূর, বিয়ের সময় বন্ধুকে নিজের বউকে দেখিয়ে পরে আবার শোনে, মেয়েটা কেমন রে!!

বন্ধুদের চোখের খোরাক বানিয়ে তারপর সে বিয়ে করে!

আর এটাই নাকি এখনকার ভদ্র সমাজের ট্রেন্ড! 


আল্লাহুম্মাগফিরলী!!

আর এখনকার পুরুষদের গায়রত থাকবে তো দূরের কথা,,,

অনেকে গায়রত কি সেটাও জানেনা 

হায় আফসোস!


এই মুসলিম উম্মাহ কোনো নারী গায়রতহীন পুরুষকে আপন করে নিছে এমন নজির নাই। 

হায় আফসোস!  

এই উম্মার পুরুষরা আজ জানেই না 

গায়রত কী? তবে চেষ্টা করুন। 

মহিলারা আজ বোঝে না গায়রতের মর্ম। হিজাব বা পর্দা মহিলাদের জন্য ফরজ। 

বরং তারা গায়রতহীন চাকচিক্যময় নিবেদিত পুরুষদেরই খুঁজে ফেরে হর হামেশা

গায়রতহীন পুরুষরা সবাই দাইয়ুজ রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারা জান্নাত তো পাবেই না, জান্নাতের গন্ধও পাবে না।

ইয়া রব বুঝার তৌফিক দান করুন সকল মুসলিম ভাই বোনকে।

আল্লাহুম্মা আমীন..!🤲

বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই


মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।


ক্লিওপেট্রা ....মিশরের ইতিহাস নিয়ে আগ্রহ আছে অথচ এ নামটি শোনেননি, এমন মানুষ হয়তো নেই। এই নারী শাসকের প্রেম আর সৌন্দর্যের ফাঁদে পড়েননি, এমন পুরুষ সে আমলে পাওয়া যাবে না বললেই চলে। এই লাস্যময়ী নারী শুধুমাত্র তার রূপের গুণেই কত বড় বড় যুদ্ধ বিনা রক্তপাতে জয়লাভ করেছেন!


অথচ এমন একদিন এসেছিল, যেদিন তাকে কিনা বন্দী হতে হতো অক্টাভিয়ানের হাতে, হয়তো বরণ করে নিতে হতো দাসীর জীবন। তিনি ভেবেছিলেন, এর চেয়ে বরং মৃত্যুই শ্রেয়! সারা জীবন তিনি বিলাসিতা আর সৌন্দর্যের যে উপাখ্যান রচনা করেছেন, মৃত্যুতেও সেই ইতিহাস অমর করে রাখতে চেয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা। তাই তিনি বেছে নিয়েছিলেন অমরত্ব লাভের অন্য পথ। বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই সাপ ছোবল মারে তার বুকে।


হলিউড সিনেমাগুলোতে ক্লিওপেট্রাকে যেভাবে শুধুমাত্র এক আকর্ষণীয় নারী চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, বাস্তবে তিনি ছিলেন তার চেয়েও ঢের বেশি। অসম্ভব কুশলী আর যথেষ্ট রাজনৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন তিনি। তারপরও কীভাবে এই করুণ পরিণতির সম্মুখীন হলেন ‘সৌন্দর্যের দেবী’ বলে আখ্যায়িত ক্লিওপেট্রা, সেটিই তুলে ধরা হচ্ছে আজকের লেখায়।


৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রাজা টলেমি অলেটিসের ঘরে জন্ম নেন সপ্তদশ ক্লিওপেট্রা। ধন-দৌলত, ঐতিহ্য বা ইতিহাস- সবদিক থেকেই মিশর ছিল অতুলনীয়। ক্লিওপেট্রা জন্মানোর আরো ১০০ বছর আগে থেকেই অন্য এক পরাশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিল সে অঞ্চলে, সেই শক্তির অধিপতি ছিল রোমানরা। মিশরের বুকে টলেমি রাজবংশের রাজত্ব প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলছিল। টলেমিদের পূর্বপুরুষ ছিলেন গ্রিকের মেসোডোনিয়ার। আদি অধিবাসী না হয়েও বছরের পর বছর মিশরের নাগরিকদের শাসন করে আসছিল তারা, এই নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হতে থাকে মিশরীয় রক্ত ধারণ করা মানুষগুলো। ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে টলেমি রাজত্ব। যেকোনো সময়েই রোমানরা আক্রমণ চালাতে পারে, এই ভয়ে টলেমি বংশ রোমানদের সাথে শান্তিচুক্তি করে। দামি দামি উপঢৌকন আর প্রজাদের কর রোমানদের পাঠিয়ে তুষ্ট রাখতে চায় টলেমিরা, বিনিময়ে তাদের চাওয়া ছিল মিশরের শাসক হিসেবে বহাল থাকা।


এমনই এক নড়বড়ে অবস্থায় জন্ম ক্লিওপেট্রার। ৫১ খ্রিস্টপূর্বে অলেটিস যখন মারা যান, তার উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যান তার মেয়ে ক্লিওপেট্রা আর ছেলে ত্রয়োদশ টলেমিকে। প্রাচীন মিশরের নিয়ম অনুসারে, একজন নারী শাসক সবসময়ই পুরুষ শাসকের অধীনে থাকবে। তবে ক্লিওপেট্রার ইচ্ছা ছিল অন্যরকম। সিংহাসনে আরোহণের কিছুদিনের মাথায় সরকারি সকল নথি থেকে, এমনকি মুদ্রা থেকেও ভাইয়ের ছবি বর্জন করেন তিনি। উল্লেখ্য যে, ক্লিওপেট্রার বয়স ছিল তখন ১৮ আর টলেমির বয়স ১০ এবং তাদের বিয়েও হয়েছিল! এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ, প্রাচীন মিশরীয় বংশে এটি ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। এ রীতির ফলে সিংহাসনের দাবিদার যেমন কমে যেত, তেমনি রাজবংশের মেয়েরাও রানী হিসেবে যথোপযুক্ত মর্যাদায় জীবন অতিবাহিত করতেন! কিন্তু ক্লিওপেট্রা এতেই সন্তুষ্ট ছিলেন না। তার চোখে ছিল সারা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী নারী আর ধনকুবের হওয়ার স্বপ্ন।


কিন্তু অচিরেই তার এই পন্থা রাজকার্যের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের খেপিয়ে তোলে। কিছুদিনের মধ্যেই তাকে এই কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেকজান্দ্রিয়া (তৎকালীন মিশরের রাজধানী) থেকে বিতাড়িত করেন ত্রয়োদশ টলেমি। ক্লিওপেট্রা পালিয়ে যান সিরিয়ায়।


মাঝে আরও বেশ কিছু বিরোধের ঘটনা ঘটে রোমান আর মিশরীয়দের মাঝে। একদিকে ক্লিওপেট্রা ছিলেন নিজের শাসন ক্ষমতা ফিরে পেতে উদগ্রীব, আর অন্যদিকে মিশরের দিকে চোখ ছিল রোমান সাম্রাজ্যের। একদিকে ছিলেন টলেমি, ক্লিওপেট্রা; অন্যদিকে ছিলেন জুলিয়াস সিজার। জুলিয়াস সিজার হলেন রোমান সাম্রাজ্যের উত্থানের এক ঐতিহাসিক চরিত্র। সিজারের সাথে ছিল সেপ্টিমিয়াস আর আচিলাসের বাহিনী। সিজার খুব সহজেই টলেমিকে ক্ষমতাচ্যুত করলেন। আর তখনই চাল চাললেন বুদ্ধিমতী ক্লিওপেট্রা।


অ্যাপোলোডোরাস নামের বিশ্বস্ত সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে আলেকজান্দ্রিয়ার বন্দরে হাজির হলেন তিনি। খুব দামি একটি কম্বল কিনে ক্লিওপেট্রাকে ওই কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে সিজারের কাছে পাঠিয়ে দিলেন অ্যাপোলোডোরাস। যুদ্ধের সময় এমন একটি উপহার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আশ্চর্য হয়ে গেলেন সিজার। ভেতরে ক্লিওপেট্রাকে পেয়ে আকাশ থেকে পড়লেন তিনি। তাকে দেখে সিজারের যেন মাথা ঘুরে গেল। আর সিজারকে বশ করতেও খুব বেশি সময় লাগল না ক্লিওপেট্রার। ব্যাপারটি ভাবলে দেখা যায়- একদিকে টলেমি ক্ষমতাচ্যুত হলেন, আলেকজান্দ্রিয়ার জন্য যুদ্ধ করলেন সিজার আর সেপ্টিমিয়াস; ওদিকে বিনা যুদ্ধে সিংহাসনে বসলেন কিনা ক্লিওপেট্রা! একটি সৈন্যও মারা গেল না, একটি তীরও ছুঁড়তে হল না তাকে!


ক্লিওপেট্রার সাধ ছিল পৃথিবীর সেরা ধনবান নারী হওয়ার। আর এদিকে মোটা অংকের ঋণ জোগাড়ে জুড়ি ছিল না সিজারের। তাই সম্পর্ক ভালোই চলছিল দুজনের।


কিন্তু ঘটনার অন্যতম নায়ক টলেমিকে ভুলে গেলে চলবে না। এত সহজে ক্ষমতার লোভ ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। পনথিনাসের নেতৃত্বে ২০,০০০ সৈন্য নিয়ে ৪৭ খ্রিস্টপূর্বে আলেকজান্দ্রিয়া আক্রমণ করেন তিনি। কিন্তু অচিরেই যুদ্ধে পরাজিত হন টলেমি। পালাতে গিয়ে নীল নদে ডুবে মারা যান তিনি। তার কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন সিজার এবং ক্লিওপেট্রা। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই আততায়ীর হাতে খুন হন সিজার। ক্লিওপেট্রা নিজেকে যেমন মিশরীয় দেবী আইসিসের পুনরুত্থান বলে মনে করতেন, তেমনি সিজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তিনিও খুব শীঘ্রই নিজেকে দেবতা হিসেবে ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। তাই রোমানরা তার এই পাগলামি আর সহ্য করতে না পেরে খুন করেছিল তাকে। অথচ এই খুনের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হন ক্লিওপেট্রা নিজে। কারণ তখন তিনি হলেন প্রাচীন মিশরের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী।


ঘটনা এখানে শেষ হলেও পারত। কিন্তু আসল নায়কের আবির্ভাব এখনো বাকি। রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বিদ্রোহীদের সাহায্য করার অভিযোগে ক্লিওপেট্রাকে কঠোর বার্তা পাঠান রোমান নেতা মার্ক অ্যান্টনি। অ্যান্টনি জুলিয়াস সিজারের সমর্থক ছিলেন এবং তার জীবদ্দশায় তার জেনারেলদের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আলোচনার উদ্দেশ্যে সিলিসিয়ায় যেতে বাধ্য করা হলো তাকে, মহাসমারোহে সিলিসিয়ায় পৌঁছালেন ক্লিওপেট্রা। কিন্তু তাকে দেখে এতটাই বিমোহিত হয়ে পড়েছিলেন অ্যান্টনি, সবকিছু ভুলে রানীর সাথে আলেকজান্দ্রিয়ায় ফেরত আসলেন তিনি। এক বছরের মধ্যে জমজ সন্তানের জন্ম দিলেন ক্লিওপেট্রা। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ৩৬ খ্রিস্টপূর্বে পুনরায় ক্লিওপেট্রাকে বিয়ে করলেন অ্যান্টনি। আগের স্ত্রীর সাথে বিবাহ-বিচ্ছেদ করলেন তিনি। আর তার সাথে সকল রোমান মুদ্রায় মুদ্রিত হলো ক্লিওপেট্রার ছবি।


এসব কিছু ক্ষিপ্ত করে তোলে অ্যান্টনির আগের স্ত্রী অক্টাভিয়ার ভাইকে। নৌপথে আক্রমণ চালান তিনি। অ্যান্টনির বাহিনী এত শক্তিশালী ছিল না যে, এই আঘাত সামাল দিতে পারবে। তাই অচিরেই আলেকজান্দ্রিয়ায় পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন তিনি। কিন্তু বিধি বাম! নিজের ভালোবাসার মানুষ ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ তাকে উদ্যত করে আত্মহত্যা করতে, নিজের তরবারি দিয়ে নিজেরই প্রাণ নেন এই মহান যোদ্ধা। নিজের মৃত্যুর ভুয়া খবর নিজেই ছড়িয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা, কিন্তু এ ব্যাপারে অ্যান্টনি জানতেন না কিছুই!


কিছু ভালোবাসার কাহিনী যেমন অমর হয়ে থাকে, তেমনই ছিল ক্লিওপেট্রা আর অ্যান্টনির সম্পর্ক। অ্যান্টনির মৃত্যুর সংবাদে বিচলিত হয়ে ওঠেন তিনি। বুঝতে পারেন, কী বিশাল ভুল হয়েছে তার। এরপর ৩০ খ্রিস্টপূর্বে ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ব্যথা নিয়ে সাপের কামড়ে আত্মাহুতি দেন ক্লিওপেট্রা। ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর সাথে সাথে শেষ হয় মিশরে টলেমিদের রাজত্বের, ভিত্তি স্থাপন হয় মিশরের বুকে রোমান সাম্রাজ্যের।


প্রশ্ন ওঠে, ক্লিওপেট্রা কি আসলেই সৌন্দর্যের দেবী ছিলেন? তার সাফল্যগাথা কি কেবল তার রূপের সাথেই জড়িত ছিল? সিজার অথবা অ্যান্টনির মতো কুখ্যাত নারীঘেঁষা চরিত্র ক্লিওপেট্রাকে কি কেবল তার আকর্ষণীয় রূপের জন্যই ভালোবেসেছিলেন?


বাহ্যিক সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে হয়তো ক্লিওপেট্রাকে মাপা যাবে না। রোমান ইতিহাসবিদ ক্যাসিয়াস ডিও আমাদেরকে বলেন যে, ক্লিওপেট্রার নিজেকে প্রত্যেকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার মতো অসাধারণ জ্ঞান ছিল। একইভাবে, গ্রীক ইতিহাসবিদ প্লুটোচ বলেন, ক্লিওপেট্রার সাথে কথোপকথন ছিল একটি অলঙ্ঘনীয় কবিতার মতো; আর তার উপস্থিতি, তার বক্তৃতা যেকোনো চরিত্রকে আকর্ষণ করার জন্য যথেষ্ট ছিল। তিনি আরো লিখেছিলেন যে, ক্লিওপেট্রার কণ্ঠে মিষ্টতা ছিল; এবং তিনি সহজেই যেকোনো পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতেন।


তাই বলা যায়, কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং বুদ্ধি, সাহস আর মর্মস্পর্শী আচরণ দিয়ে তিনি হৃদয় জয় করেছিলেন সিজার ও অ্যান্টনির মতো ক্ষমতাধর পুরুষদের। ক্লিওপেট্রার আসল সৌন্দর্য ছিল তার বুদ্ধিদীপ্ত আচরণে, তা নিয়েই তিনি হাজার হাজার বছর ধরে অমর হয়ে থাকবেন পৃথিবীর ইতিহাসে।


Collected.


Source ...Ancient Egypt

যৌন রোগে ব্যবহৃত অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ঔষধ সমূহ।

 🌿যৌন রোগে ব্যবহৃত অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ঔষধ সমূহ।হোমিও ডাক্তারদের কাছে যৌন দুবর্লতার যত রোগী যান, তাদের প্রত্যেকেই বলেন যে, এলোপ্যাথিক বা কবিরাজি চিকিৎসায় তারা কোন সত্যিকারের উপকার পান নাই। (যতদিন ঔষধ খাই ততদিনই ভাল থাকি ; ঔষধ বন্ধ করলেই অবস্থা আগের মতো।) অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে।


🌿Lycopodium clavatum:

লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।


🌿Selenium:

যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।


🌿Agnus Castus:

রণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।


🌿Caladium seguinum:

যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।


🌿Origanum marjorana:

ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।


🌿Moschus Moschiferus:

ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।


🌿Staphisagria:

পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।


🌿Salix nigra:

মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।


🌿Sabal serrulata:

সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।


🌿Conium:

স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।


🌿Calcarea Carb:

ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।


🌿Natrum carbonicum:

যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।


🌿Nux Vomica:

নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।


🌿Titanium:

সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা

পূর্ব প্রকাশের পর।


🌿হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿হেল্পলাইন 01955507911

মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।

 কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।


কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল বিচিত্র আর বহুবর্ণিল। তাঁর সেই জীবনের কতটুকুই-বা আমরা জানি? আজ নজরুলজয়ন্তীতে নজরুল-গবেষকদের লেখা বিভিন্ন বই ও পত্রিকা ঘেঁটে এখানে বিদ্রোহী কবি-সম্পর্কিত এমন ২০টি তথ্য তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন!


🌹১. নজরুলের জীবন কোনো নিয়মের জালে আটকা ছিল না। যখন যা ভালো লাগত, তিনি তা-ই করতেন। দিন নেই, রাত নেই হই হই রব তুলে উঠে পড়তেন কোনো বন্ধুর বাড়িতে। তারপর চলত অবিরাম আড্ডা আর গান!


🌹২. নজরুলের লেখার জন্য কোনো বিশেষ পরিবেশ লাগত না। গাছতলায় বসে যেমন তিনি লিখতে পারতেন, তেমনি ঘরোয়া বৈঠকেও তাঁর ভেতর থেকে লেখা বের হয়ে আসত।


🌹৩. নজরুল ইসলাম কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ঝলমলে রঙিন পোশাক পরতেন। কেউ তাঁকে রঙিন পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, রঙিন পোশাক পরি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তথ্য দিয়েছেন, নজরুল তাঁর ঝলমলে পোশাকের ব্যাপারে বলতেন, ‘আমার সম্ভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। আমার তো মানুষকে বিভ্রান্ত করবার কথা!’


🌹৪. নজরুলের পাঠাভ্যাস ছিল বহুমুখী। তিনি পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, বেদ, ত্রিপিটক, মহাভারত, রামায়ণ যেমন পড়তেন, তেমন পড়তেন শেলি, কিটস, কার্ল মার্ক্স, ম্যাক্সিম গোর্কিসহ বিশ্বখ্যাত লেখকদের লেখা। রবীন্দ্রনাথের ‘গীতবিতান’-এর সব কটি গান মুখস্থ করে ফেলেছিলেন তিনি!


🌹৫. বাংলা গানে নজরুলই একমাত্র ব‌্যক্তি, যিনি সব ধরনের বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন। তাঁর গানের সংখ্যা অনেকে চার হাজার বললেও আসলে তিনি গান লিখেছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো, যার অধিকাংশই সংরক্ষণ করা যায়নি।


🌹৬. বাঙালি কবিদের মধ্যে নজরুলই ছিলেন সবচেয়ে বেশি রসিক। তাঁর কথায় হাসির ঢেউ উঠত। হিরণ্ময় ভট্টাচার্য ‘রসিক নজরুল’ নামে একটি বই লিখেছেন। যাঁরা বইটি পড়েননি, তাঁদের পক্ষে বোঝা কষ্টকর নজরুল কী পরিমাণ রসিক ছিলেন! একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, একবার এক ভদ্রমহিলা নজরুলকে খুব স্মার্টলি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি পানাসক্ত?’ নজরুল বললেন, ‘না, বেশ্যাসক্ত!’ কবির কথায় ভদ্রমহিলার মুখ কালো হয়ে গেল। আর তক্ষুনি ব্যাখ্যা করলেন নজরুল, ‘পান একটু বেশি খাই। তাই বেশ্যাসক্ত, অর্থাৎ বেশি+আসক্ত = বেশ্যাসক্ত!’


🌹৭. নজরুলের প্রেমে পড়েননি, এমন পুরুষ কিংবা নারী খুঁজে পাওয়া ভার। তাঁর চরম শত্রুরাও তাঁর ভালোবাসার শক্তির কাছে হার মেনেছেন। কবি বুদ্ধদেব বসু নজরুলকে প্রথম দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। তিনি লিখেছেন, ‘সেই প্রথম আমি দেখলাম নজরুলকে। এবং অন্য অনেকের মতো যথারীতি তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম!’ শুধু বুদ্ধদেব বসু নন, তাঁর স্ত্রী প্রতিভা বসুও নজরুলের প্রেমে পড়েছিলেন। সেই কাহিনি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘আয়না’ নামে একটি গল্প। কী অবাক কাণ্ড! স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একই লেখকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন!


🌹৮. কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর পান ও চা খেতেন। লিখতে বসার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ চা আর এক থালা পান নিয়ে বসতেন তিনি। পান শেষ করে চা, এরপর আবার চা শেষ করে পান খেতেন। তিনি বলতেন, ‘লেখক যদি হতে চান/ লাখ পেয়ালা চা খান!’


🌹৯. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের হস্তরেখা বিশারদ। তিনি অনেকের হাত দেখে যা বলতেন, তা-ই ঘটতে দেখা গেছে। একবার এক লোককে বললেন, আপনার বিদেশযাত্রা আছে, লোকটি সত্যিই কয়েক দিনের মধ‌্যে বিদেশ চলে গেল! আরেকজনকে বললেন, ‘আপনি পৃথিবীর বাইরে চলে যেতে পারেন।’ পরে ওই লোকটির মৃত্যু ঘটেছিল!


🌹১০. মাঝেমধ্যে রাগান্বিত হলে নজরুল তাঁর সামনে যদি কোনো বই-খাতা পেতেন বা কাগজ পেতেন, তা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতেন।


🌹১১. অর্থের ব্যাপারে নজরুল ছিলেন ভয়াবহ বেহিসাবি। হাতে টাকা এলেই তা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমোদ-ফুর্তি করে শেষ করে দিতেন। আর বলতেন, ‘আমি আমার হাতের টাকা বন্ধুদের জন্য খরচ করছি। আর যখন ওদের টাকা হবে ওরাও আমার জন্য খরচ করবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই।’


🌹১২. নজরুল তাঁর দুই পুত্রের ডাকনাম সানি (কাজী সব্যসাচী) আর নিনি (কাজী অনিরুদ্ধ) রেখেছিলেন তাঁর দুই প্রিয় মানুষ সান ইয়াত-সেন ও লেনিনের নামানুসারে।


🌹১৩. নজরুল তাঁর সন্তানদের খুবই ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি তাঁদের নিজ হাতে খাওয়াতেন আর ছড়া কাটতেন, ‘সানি-নিনি দুই ভাই/ ব্যাঙ মারে ঠুই ঠাই।’ কিংবা ‘তোমার সানি যুদ্ধে যাবে মুখটি করে চাঁদপানা/ কোল-ন্যাওটা তোমার নিনি বোমার ভয়ে আধখানা।’


🌹১৪. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের জনদরদি মানুষ। একটি ঘটনা দিয়ে তার প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার এক দরিদ্র হিন্দু মেয়ের বিবাহ। কোনোরকমে কন্যা বিদায়ের আয়োজন চলছে। নজরুল খবরটি পেলেন। তিনি দ্রুত বাজারে গেলেন। এক হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে বিয়ের বাজার করলেন। তারপর ধুমধাম করে মেয়েটির বিয়ে হলো। মেয়ের বাবা নজরুলকে প্রণাম করে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমরা আপনাকে ভুলব না কোনো দিন।’ এমনই ছিলেন কবি। তাঁর বাড়িতে সাঁওতাল, গারো, কোল—সবাই দল বেঁধে আসতেন। আপ্যায়িত হতেন উৎসবসহকারে।


🌹১৫. নজরুল কবিতা ও গানের স্বত্ব বিক্রি করে উন্নত মানের একটি ক্রাইসলার গাড়ি কিনতে পেরেছিলেন। এই গাড়ি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি।


🌹১৬. নজরুল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা ভাড়া করে মাঝেমধ্যে প্রমোদভ্রমণে যেতেন।


🌹১৭. নজরুলের দৃষ্টিশক্তি ছিল অসামান্য। তিনি গভীর অন্ধকারেও বহুদূরের কোনো জিনিস স্পষ্ট দেখতে পেতেন।


🌹১৮. নজরুল ছিলেন অসম্ভব রকমের ক্রীড়াপ্রেমী। সময় পেলেই তিনি ফুটবল খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ছুটতেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। যেদিন বাড়ি থেকে সোজা খেলা দেখতে যেতেন, সেদিন দুই পুত্র সানি আর নিনিকে সঙ্গে নিতেন। একবার খেলা দেখতে গেছেন। স্টেডিয়ামে পাশে বসে আছেন হুমায়ূন কবির। খেলা ভাঙার পর ভিড়ের মধ্যে দুই পুত্র খানিকটা আড়ালে চলে গেল। হঠাৎ পেছন থেকে নজরুলের হাঁকডাক শোনা গেল, ‘সানি কোথায়? নিনি কোথায়?’ মাঠসুদ্ধ লোক হাঁ হয়ে নজরুলকে দেখছে। এরই মধ্যে দুই পুত্রকে ঠেসে ধরে ট্যাক্সি করে বাড়ি নিয়ে এসে তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।


🌹১৯. নজরুল বেশ দক্ষ দাবাড়ু ছিলেন। যেদিন বিশেষ কোনো কাজ থাকত না, সেদিন তিনি দাবা খেলতেন। খেলায় এমন মগ্ন হতেন যে খাওয়া-নাওয়ার খেয়ালও থাকত না। মাঝেমধ্যে নজরুলের বাড়িতে দাবার আসর বসাতে আসতেন কাজী মোহাতার হোসেন ও হেম সোম।


🌹২০. কলকাতায় নজরুলের তিনতলা বাড়ির সামনে ছিল একটা ন্যাড়া মাঠ। খেলা নিয়ে বহু কাণ্ড ঘটেছে ওই মাঠে। একবার জোর ক্রিকেট খেলা চলছে। নজরুল গ্যালারি অর্থাৎ বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলারত তাঁর দুই পুত্রকে জোর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বড় পুত্র সানি এল ব্যাট করতে। প্রথম বলেই ছয়! নজরুলের সে কি দাপাদাপি! ঠিক পরের বল আসার আগে তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘সানি, ওই রকম আরেকটা মার।’ ব্যস বাবার কথায় উত্তেজিত হয়ে দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ব্যাট চালাল পুত্র। ব্যাট অবশ্য বলে লাগল না। লাগল উইকেটকিপারের চোয়ালে! বেশ রক্তারক্তি অবস্থা! অবশেষে খেলা বন্ধ করা হলো।


এমনই নানা রঙের মানুষ ছিলেন নজরুল। যাঁর জীবনে দুঃখ-কষ্টের অভাব ছিল না, আবার রং-রূপেরও অভাব ছিল না। পৃথিবীর খুব কম মানুষই বোধ হয় এমন  মহাজীবনের অধিকারী হন। বুদ্ধদেব বসু যথার্থই বলেছিলেন, ‘কণ্ঠে তাঁর হাসি, কণ্ঠে তাঁর গান, প্রাণে তাঁর অফুরান আনন্দ—সব মিলিয়ে মনোলুণ্ঠনকারী এক মানুষ।’

💜❤️🤍💜

___ নজরুল অঞ্জলি ツ

(সংগৃহীত)

কম বেশি সকল নারীর এখন এই রোগে আক্রান্ত,, ওভারিয়ান সিস্ট: নীরবতা ভাঙুন, জেনে রাখুন

 কম বেশি সকল নারীর এখন এই রোগে আক্রান্ত,,


ওভারিয়ান সিস্ট: নীরবতা ভাঙুন, জেনে রাখুন


হঠাৎ তীব্র পেটব্যথা , মাসিক এলোমেলো ,মাথা ঘোরা , জ্বর জ্বর ভাব , বমি বমি ভাব হলেই উপেক্ষা করবেন না |


সিস্ট একটা শব্দ নয়—এটা একজন নারীর অজানা আতঙ্ক, নীরব যন্ত্রণা।


বেশিরভাগ সিস্ট ক্ষতিকর নয়, মিলিয়ে যায় নিজে থেকেই। কিন্তু কিছু সিস্ট হতে পারে বিপজ্জনক যদি উপেক্ষা করেন, হারাতে পারেন ভবিষ্যতের সম্ভাবনাও।


অবশ্যই সমাধান আছে, সচেতনতা প্রয়োজন ।


• ব্যথা হলে ওষুধ নয়—ডাক্তার দেখান

• বড় বা জটিল সিস্ট হলে অপারেশন জরুরি

• হঠাৎ তল পেট ব্যথা, মাথা ঘোরা বা জ্বর হলে দেরি না করে ডাক্তার বা হাসপাতালের শরনাপন্ন হন !


হেমরোজিক সিস্ট (Hemorrhagic cyst) হলো এক ধরনের ওভারিয়ান সিস্ট, যেখানে সিস্টের ভেতরে 🩸রক্ত জমে যায়। এটি সাধারণত ফেটে গেলে তীব্র পেটে ব্যথা হতে পারে। এটি স্বাভাবিক মাসিক চক্রে হয়ে থাকতে পারে এবং অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়।


পলিসিস্টিক (Polycystic Ovary Syndrome - PCOS) হলো হরমোনজনিত সমস্যা, যেখানে ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়। এটি গর্ভধারণ ও গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন গর্ভপাত বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ানো। নিয়মিত চিকিৎসা ও যত্ন জরুরি।


অ্যাডনেক্সাল সিস্ট হলো জরায়ুর আশেপাশে থাকা ডিম্বাশয় বা ফলোপিয়ান টিউবে তৈরি তরলপূর্ণ একটি থলি বা গাঁট। এটি সাধারনত অস্বাভাবিক নয় এবং অনেক সময় নিজে নিজেই সেরে যায়। তবে কখনো কখনো এটি বড় হয়ে ব্যথা, ঋতুচক্রে অসামঞ্জস্য বা গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। প্রয়োজনে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

টেইলরিং বিজনেসে ফেসবুকে অর্গানিক রিচ বাড়াতে হলে কনটেন্ট, কমিউনিটি এবং কনসিস্টেন্সি—এই তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নিচে একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা দেওয়া হলো, যেটি আপনি সহজেই ফলো করতে পারবেন:,,,,

 🏆🪡🧵টেইলরিং বিজনেসে ফেসবুকে অর্গানিক রিচ বাড়াতে হলে কনটেন্ট, কমিউনিটি এবং কনসিস্টেন্সি—এই তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নিচে একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা দেওয়া হলো, যেটি আপনি সহজেই ফলো করতে পারবেন:🏆


📌 পরিকল্পনার ধাপসমূহ:


১. 🎯 টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ


বয়স: ১৮–৪০ বছর


অবস্থান: বাংলাদেশ (বিশেষ করে শহরাঞ্চল)


আগ্রহ: ফ্যাশন, নিজস্ব পোশাক তৈরি, বিয়ে/ইভেন্ট ড্রেস, হিজাব স্টাইল, স্টিচিং/ডিজাইন ইত্যাদি।


২. 📱 প্রোফাইল/পেজ অপটিমাইজেশন


পেজের নাম ও ইউজারনেম পরিষ্কার ও ব্র্যান্ডেড রাখুন।


প্রোফাইল পিকচার: লোগো বা পরিচিতি ছবি।


কভার ফটো: আপনার কাজের নমুনা ও যোগাযোগের তথ্য।


অ্যাবাউট সেকশন: কী ধরনের সার্ভিস দেন, অবস্থান, সময়, কাস্টমাইজেশন সুবিধা ইত্যাদি উল্লেখ করুন।


৩. 📸 কনটেন্ট প্ল্যানিং (সাপ্তাহিক)


দিন কনটেন্ট আইডিয়া টাইপ


সোমবার নতুন ড্রেস ডিজাইন (Before & After) রিল / ভিডিও

মঙ্গলবার কাস্টমার রিভিউ / ভিডিও টেস্টিমোনিয়াল ছবি/ভিডিও

বুধবার কাপড় ও কাটিং সম্পর্কে টিপস গ্রাফিক্স / রিল

বৃহস্পতিবার “কিভাবে একটা অর্ডার প্রসেস হয়” (Behind the scenes) রিল

শুক্রবার ইসলামিক / modest fashion tips ক্যারোসেল

শনিবার "আপনার প্রশ্নের উত্তর" / Q&A লাইভ বা ভিডিও

রবিবার হ্যান্ডমেড ডিটেইল/মেশিন ওয়ার্ক দেখানো ক্লোজআপ রিল


৪. 🎬 ভিডিও কনটেন্টের গুরুত্ব


১৫–৩০ সেকেন্ডের ছোট ছোট Reels বেশি রিচ পায়।


ভিডিওতে মানুষ, মুভমেন্ট, এবং কিছু লেখা থাকলে বেশি এনগেজমেন্ট হয়।


"Before vs After", "1 Dress – 3 Looks", "Client Reaction", “Process” টাইপ ভিডিও তৈরি করুন।


৫. 🧵 ইনোভেটিভ পোস্ট আইডিয়াস


“আপনার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি ড্রেস ডিজাইন”


“কাস্টমাইজড জামার পেছনের গল্প”


“১২০০ টাকায় বিয়ের শাড়ির ব্লাউজ ডিজাইন”


“এই ডিজাইনটা কোন কালেকশন থেকে? দেখে বলেন তো?”

পোল / কুইজ: “আপনি কোন ডিজাইনটা পছন্দ করেন?”


৬. 🤝 কমিউনিটি এনগেজমেন্ট কৌশল

পোস্টে প্রশ্ন রাখুন: "আপনি কোন ডিজাইনটা পছন্দ করছেন?"

কমেন্টে রিপ্লাই দিন।ইনবক্সে আগ্রহ দেখানো মানুষদের সাথে আন্তরিক ব্যবহার করুন।কাস্টমারদের ট্যাগ করে রিভিউ শেয়ার করতে বলুন।


৭. 📊 টাইমিং ও কনসিস্টেন্সি

পোস্ট টাইম:

সকাল ৯–১০টা

বিকাল ৫–৬টা

রাত ৮–৯টা

প্রতিদিন ১–২টি পোস্ট কনসিস্টেন্ট রাখুন।প্রতি সপ্তাহে ১ দিন লাইভ আসার চেষ্টা করুন।


৮. 📌 হ্যাশট্যাগ ও লোকেশন ট্যাগ


#টেইলরিং_বাংলাদেশ


#CustomDressBD


#AnarkaliDesign


#StitchingStudio


লোকেশন ট্যাগ: আপনার শহরের নাম দিন, যেমন “Dhaka, Bangladesh”


৯. 📲 ফেসবুক গ্রুপ ও ইনবক্স মার্কেটিং

স্থানীয় টেইলরিং/ফ্যাশন/মেয়েদের গ্রুপে পোস্ট করুন।

আগ্রহী লোকদের ইনবক্সে thank you note ও নতুন অফার পাঠান।


১০. 📈 ফলাফল বিশ্লেষণ

Facebook Insights দেখে বুঝুন কোন পোস্ট বেশি রিচ পাচ্ছে।সেই টাইপ কনটেন্ট নিয়মিত করুন।


🌟 এক্সট্রা টিপস:


কম আলো, ঝাপসা ছবি কখনো পোস্ট করবেন না।


কনটেন্টে মানুষ এবং আবেগ থাকলে রিচ বেশি হয়।


মাঝে মাঝে কন্টেস্ট বা গিভওয়ে দিন।


আনিকা তাবাসসুম 

ফ্যাশন ডিজাইনার,উদ্যোক্তা,প্রশিক্ষক

গাভী গর্ভকালীন সময় যা যা করণীয় 

 গাভী গর্ভকালীন সময় যা যা করণীয় 


১.গাভীর গর্ভের সময়কার সাত মাসের বেশী হলে এ সময় বেশী করে প্রোটিন যুক্ত কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে,যে কোন  ঘাস হলেই হবে না।ঘাসের ক্রুড প্রোটিন ও মিনারেলস ও পুষ্টি উপাদান প্রসব সহায়তা করে। 


২.শেষের দুইমাস দানাদার কমিয়ে আনতে হবে;এসময় গাভীর খাদ্য গ্রহনের জন্য পেটে জায়গা অনেক কমে যায়।যা খাবার দিবেন,যথেষ্ট পুষ্টিকর হতে হবে।ছোলা,মশুরী ও সয়াবিন,সরিষার খৈল উপকারী।অনেকে প্রিমাফ্যাট,হাই ফ্যাট/পাম ওয়েল ফ্যাট খাওয়ানোতে ও বেশ উপকার পাচ্ছেন। 


৩.এ সময় মিনারেলস এর পরিমান বাড়াতে হবে,সাধারন লবনের/NaCl খাওয়ানো একদম কমাতে হবে,বা বাধ দিতে হবে।সাধারন লবনের পরিমান বেশী হলে ওলানে ও নাভিতে পানি চলে আসবে ও যে কোন সময় পেটফাঁপা/ Acodisis হতে পারে. 


৪.এ সময় কি কি বেশী দরকার?ক্যালসিয়াম,আয়রন,জিংক,ফসফেট,সেলেনিয়াম,

কোবাল্ট,ভিটামিন AD3E সমৃদ্ধ খাবার বাড়াতে হবে।মনে রাখবে এই পয়েন্ট টি হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ জাতীয় খাবার কি কি এটা বুঝতে অনেক জ্ঞানের প্রয়োজন তাই এটা না জানলে বাজার থেকে এসব উপাদান পরিপূরক ঔষধ/খাবার দিতে হবে। 

যেমন ,

DCP Powder,Calcium Syrup/

Renasol Vitamin AD3E Syrup,

Andox D,এমাইনোভিট প্লাস সিরাপ,আয়রন সিরাপ!

এ সব ঔষধ কি পরিমান খাওয়াবেন এটা উপজেলা ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শে করবেন।

প্রসবের 21 দিন আগে থেকে Calcium Syrup বন্ধ করে বা একদম কমিয়ে দিবেন, এসময় তিন দিন পর একটু সিরাপ বা 50 গ্রাম ডিসিপি দিবেন!ডিবি পাউডার ও জিংক সিরাপ চলবে। প্রসবের পর জিংক সিরাপ বন্ধ থাকবে।

৫.প্রসবের  21 দিন আগে থেকে DCAD Minus নামক পাউডার খাওয়াতে হবে সকাল বিকাল! এটি না পাওয়া গেলে আয়ুমিন প্লাস লবন, আপেল সাইডার ভিনেগার,লেবুর রস, ম্যাগনেসিয়াম ট্যাবলেট /এপসম লবন লবন উপকারী। NaCl লবন বন্ধ করুন। কারন DCAD এ সব সব রকম দরকারী উপাদান আছে।

৬.বাসস্থান শোয়ার জায়গা নরম আরামদায়ক /মেট/বালু/জীবানুমুক্ত /মশামাছি মুক্ত/Disinfectant Chemical GPC8,FAM 30, ব্লিচিং,পটাশ,ফিটকিরি,ফিনাইল,গুড়া সাবান দিয়ে 100% পরিস্কার  ও শুকনো রাখুন।এ সময় গাভী দিনে 18 ঘন্টার মত শুয়ে থাকবে;যদি এর চেয়ে কম শুয়ে থাকে তা হলে চিন্তা করুন এবং কারন/গাভীর অসুবিধা হচ্ছে কিনা খোঁজে বের করে এটা সমাধানের চেষ্টা করুন।সারাক্ষন বেধে রাখবেন না,এ সময় তাকে মুক্ত থাকেত দিলে সর্বাধিক উপকার পাবেন। 


৭.প্রতিদিন কিছু পাকা কলা খেতে দিতে পারেন!!

এছাড়াও কিছু লাল শাক,পুইশাক,কলমিশাক,

অংকুরিত ছোলা বুট,লেবু,সজিনা পাতা,কাঁঠাল পাতা,ইপিল ইপিল,মিস্টি কুমড়া খেতে দিতে হবে।এতে প্রসব জটিলতা সহজে দূর হয়! 


এ ভাবে আপনি কোন প্রকার অক্সিটোনিন হরমোন ব্যবহার না করেই সহজে গর্ভফুল বের হবে ইনশাআল্লাহ।

এ ভাবে চললে বাছুর প্রসবে কোন জটিলতা হবেনা এটা 100% নিশ্চিত থাকেন। 

এমন ও হতে পারে কোন একদিন সকাল বেলা যেয়ে দেখবেন গাভীর পাশে বাছুর রাতে ভূমিস্ট হয়ে গাভীর দুধ খাচ্ছে নিজে নিজেই।


কৃষি ভিত্তিক তথ্যের জন্য পেইজটি ফলো দিয়ে রাখবেন ধন্যবাদ ✅🥀💚🌸🤝


তথ্যগুলো সংগ্রহ করে রাখতে শেয়ার দিয়ে রাখুন ✅💚

পরদেশি মেঘ Rabi Al Islam পর্ব ১

" বাসর রাতে শা*রীরি*ক সম্পর্কের ঠিক আগমুহূর্তে  হঠাৎ আমার স্ত্রী বলে উঠলো, আমি ভা*র্জি*ন না। এর আগেও আমি এক ছেলের সাথে শা'রিরীক সম্পর্কে লি*প্ত হয়েছি " 


শা'রিরী*ক সম্পর্কের ঠিক আগমুহূর্তে এসব শুনে আমি আমার মনটাই ভে*ঙে গেলো। সেই সাথে রাগও হচ্ছে অনেক। হিয়াকে বললাম, এসব কি এখন বলার সময়?  বিয়ের আগে কেনো বলতে পারলেনা। প্রতিটা ছেলেরই বা*সর রাত নিয়ে ফ্যান্টাসিতে থাকে৷ তুমি এসব বলে সব শেষ করে দিলে। বিয়ের আগে তো আমরা অনেক কথা বলেছি তখন তো তুমি এসব কিছুই বলোনি। এমনকি তোমার রিলেশন ছিলো তাও বলোনি। এই মুহুর্তেই এটা কেন বলতে হলো তোমার 


হিয়া বললো, আমার রিলেশন ছিলোনা। 


এবার আরও রেগে গেলো আহনাফ। রা'গ ক*ন্ট্রোল করে হিয়াকে বললো, এইমাত্র বললে এক ছেলের সাথে শা'রি*রীক স*ম্পর্কে লি*প্ত ছিলো আবার এখন বলছো রিলেশন ছিলো না৷ কি অদ্ভুত কথা বলছো তুমি 


হিয়া বললো, রিলেশনে না থাকলে কি শা'রি*রীক স*ম্পর্ক হয় না? 


' মানে? 


' যার সাথে আমার শা'রী*রিক স*ম্পর্ক ছিলো ও আমার বেস্টফ্রেন্ড। আমরা ছোটবেলা থেকে একে অপরের ভালো ফ্রেন্ড ছিলাম। আমরা সবসময় একে- অপরের সাথে আড্ডা দিয়েছে তাই আলাদা করে আর বিফ/জিএফ দরকার হয়নি কারও। ওর সাথে শা'রি*রীক স*ম্প*র্কের জন্য আমিই আ*গ্রহী ছিলাম। ও অবশ্য ছিলো কিন্তু কখনও আমাকে ফোর্স করেনি। 


' তাহলে তাকে বিয়ে করলে না কেন? 


' আমরা শুধুই বেস্টফ্রেন্ড ছিলাম অন্য কোনো অনুভূতি ছিলোনা আমাদের। 


' তাহলে শা'রী*রিক সম্পর্কে করলে কেন? 


' তার জন্য জিএফ/বিএফ টাইপ অ*নুভূ*তির দরকার হয়না। মানসিক তৃপ্তির জন্যও শা'রি*রীক সম্পর্কে লি*প্ত হয় মানুষ। আমাদের দুজনেরই যৌ*ন চা*হিদা ছিলো কিন্তু জিএফ/ বিএফ টাইপ অনু*ভূতি ছিলোনা কারও প্রতি। 


' তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন? 


' কারন আপনার প্রতি আমার সেই অনু*ভূতি ছিলো 


' সত্যিটা তো লুকাতেও পারতে৷ শা'রি*রীক সম্প*র্কের ঠিক আগমুহূর্তেই কেন বললে? 


' আপনি আমার সাথে শা'রি*রীক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তো বুঝেই যেতেন আমি ভা*র্জি*ন না৷ আর আমি আপনাকে মি"থ্যা বলতে চাইনি তাই সত্যিটা বলে দিলাম। 


আহনাফের নিজের রা*গ কন্ট্রোল করতে অনেক ক*ষ্ট হচ্ছে। ওর ইচ্ছে করছে হিয়াকে থা*প্পড় মা*রার৷ কিন্তু তা পারছেনা। এসব কথা শোনার পর কোনো ছেলেই আর রাগ না করে থাকতে পারবেনা৷ অথচ হিয়া কি স্বাভাবিক ভাবেই এসব বললো। মনে হয় ওর কাছে এসব নর্মাল বিষয়। 


হিয়া বললো, চুপ কেন?  কিছু বলছেন না কেন?


' রা*গ কন্ট্রোল করার চে*ষ্টা করছি৷ কোনো সু*স্থ মানুষ তোমার এমন কথা শুনতে পারবেনা৷ 


' তাহলে কি আপনি অ*সু*স্থ? 


' এইমাত্র অসুস্থ হলাম তোমার কথা শুনে৷ ইচ্ছে করছে তোমাকে থা*প্প*ড় মা*রি। শা'রী*রিক সম্পর্কে লি*প্ত হলে কিন্তু তাকে ভালোবাসোনা।  তোমাদের কাছে এসব নর্মাল বিষয়। চাহি*দার জন্য সে*ক্স করো কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসা নেই। 


' আপনি বলছেন যাকে ভালোবাসেন তার সাথেই কেবল সে*ক্স হয় 


' আমি তেমনটাই জানি৷ আমার তোমাকে পছন্দ তাই তোমাকে বিয়ে করেছি। এখন কি আমি অন্য কারও সাথে শা'রি*রীক সম্পর্কে লি*প্ত হবো নাকি৷ 


' আমাকে পছন্দ হওয়ার আগে কি আপনার চা*হিদা ছিলোনা? 


' ছিলো কিন্তু আমি ক*ন্ট্রোল করেছি। বিয়ের পরই কেবল এসব করার সি*দ্ধান্ত নিয়েছি৷ 


' আর আমি ক*ন্ট্রোল করতে পারিনি৷ 


' তোমারা এই যুগের মেয়েরা বড়ই অদ্ভুত। এসবকে স্মা*র্টনেস ভাবো। 


' আপনি কোন যুগের? 


' তোমার থেকে ৫/৬ বছরের বড়। তাই অবশ্যই তোমাদের যুগের না৷ 


' তা এখন কি করবেন? 


' ঘুমাবো 


' কেন শা'রি*রীক স*ম্পর্ক করবেন না?  আপনার তো অনেক ফ্যান্টাসি ছিলো বা*স*র রাত নিয়ে 


' বা'*লে*র ফ্যা*ন্টাসি। এসব বলে মুডটাই ন*ষ্ট করে দিছো। আমি বুঝতে পারলে বুঝতাম তোমার এসব বলার দরকার ছিলোনা৷ কতটা আগ্রহী ছিলাম আমি৷ আর তুমি এসব বলে সব শে*ষ করে দিলে৷ 


' ভাবলাম আপনি বুঝে গেলে কি রি*য়্যাক্ট করবেন তাই আগেই বলে দিতাম। 


' এই রিয়্যা*ক্টের কথা ভাবলে বিয়ের আগেই বলে দিতে পারতা 


' বিয়ের আগে যদি জানতেন আমি ভা*র্জিন না তাহলে কি আমায় বিয়ে করতেন না? 


' না 


' আচ্ছা এসব শুনে আপনার কি করতে ইচ্ছে করছে? 


' থা*প্পড় মা*রতে তোমাকে৷ আমি যখন অ*তিরি*ক্ত রেগে থাকি তখন থা*প্পড় মা*রতে ইচ্ছে করে। 


' ধন্যবাদ 


' কেন?


' এই যে দুটো সত্যি কথা বললেন৷ 


' আর তুমি এমনই সত্যি কথা বলেছো যে আমার বা*স*র রাত মাটি হয়ে গেছে। 


' সরি 


' রাখো তোমার সরি। 


আহনাফ বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে একটা সি*গা*রেট ধরালো। হিয়াকে বললো, সি*গা*রেট খাবে? 


' আমি খাইনা এসব 


' অবাক করার মত। তোমার মত মেয়েরা যারা স্মার্ট তাদের তো সি*গা*রেট খাওয়ার কথা। তা তুমি এটাতে অনীহা দেখাচ্ছো কেন? 


' এটার স্মেল আমার পছন্দ না। আমার উ*ই*স্কি পছন্দ। মাঝে মধ্যেই ফ্রেন্ডরা মিলে পা*র্টি করতাম। 


' ছেলে- মেয়ে উভয়?


' হ্যা,পার্টি মানে তো এটাই বুঝায়। আমরা গ্রুপ স্টাডিও করতাম সবাই একসাথে। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি একটু বেশিই আদিমকালের। তাও ভালো যে সি'*গা*রেট খান। 


' আগে জানলে তোমার জন্য উ*ই*স্কি এনে রেখে দিতাম। সে*ক্স করার মু*ড চলে গেলো আসো তোমার সাথে গল্প করি। তুমি তোমার লাইফের কথা বলবে আমি আমারটা। দেখবো কারটা বে*টার। 


' আমারটা তো আপনি জানবেনই৷ এই যুগের ছেলে- মেয়েদের সম্পর্কে সবাই জানে৷ কিন্তু আপনাদের ব্যাপারে আমার ধা*রনা নেই। 


' সবাই সব জানে তার ভিতরেও অনেক সিক্রেট থাকে৷ আমি সবকিছু শুনতে চাই৷ 


' বুঝতে পারছি আমি। 


' হ্যা সেটাই। 


হঠাৎ হিয়ার মোবাইলে ম্যাসেজ আসলো৷ আহনাফ জিজ্ঞেস করলো, কে মেসেজ দিয়েছে? 


' ফ্রেন্ড 


' ছেলে না মেয়ে? 


' মেয়ে। আচ্ছা আপনি ফ্রেন্ড বলার পরও ছেলে- মেয়ে জিজ্ঞেস করেন কেন? 


' আমরা ফ্রেন্ড বলতে শুধু ছেলেকেই বুঝতাম। আর মেয়ে হলে তখন আগেই বলে দিতাম মেয়ে ফ্রেন্ড। কিন্তু তোমাদের কাছে ফ্রেন্ড মানে দুটো সমান৷ তা কি মেসেজ দিলো? 


' জিজ্ঞেস করছে কি করছি?  আমাদের আগে থেকেই সবার প্ল্যান করা প্র*ত্য*কের বা*স*র রাতে এরকম মেসেজ দিয়ে মজা করবো। 


' আর তোমরা বা*স*র রাতের কথা বলে দিবে? 


' হ্যা, কেন সমস্যা? 


' না, তা এখন কি বলবে? 


আচ্ছা ওয়েট। ওকে মেসেজ করছি, যা করার কথা তাই করছি। 


রিপ্লাই আসলো, দুলাভাই কোথায়? 


' যেখানে থাকার কথা৷ 


' ভালোই তো। সব শুনবো পরে। এখন বি*রক্ত না করি। 


আহনাফ বললো, কত স্বাভাবিক ভাবে তোমরা নিজেদের ব্যা*ক্তি*গত আলাপ করছো। আ*নইজি/ ল*জ্জা লাগছেনা।


' ফ্রেন্ডদের সাথে আবার কিসের ল*জ্জা। যাকে চিনিনা জানিনা তার সাথে আন*ইজি লাগবে৷ 


' তোমাদের প্র*জ*ন্মের কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে৷ 


' আপনি রিলে*শন করেছিলেন? 


' বিয়ের আগেই তো বলেছিলাম আমি একজনকে ভালোবাসতাম কিন্তু মেয়েটা অন্য কাউকে ভালোবাসতো৷ 


' ওহ হ্যা, বলেছিলেন। তা মেয়েটাকে আপনার ভালোবাসার কথা বলেছিলেন? 


' মেয়েটা জানতো। 


' মেয়েটার সাথে দেখা হয় এখন? 


' তা আর সম্ভব না। 


' যেই ছেলেটার সাথে রিলেশন ছিলো মেয়েটার। সেই ছেলেটা? 


' একদিন আমি সেই ছেলেটাকে আমার বাসায় ইনভাইট করি। বাহিরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছিলো। পরবর্তী পর্ব সবার আগে পড়তে ভিজিট করুন কথা কাব্য পেজ। ভাবলাম খিচুড়ি খাওয়া যাক। দুটো প্লেটে খিচুড়ি নিয়ে আমি আর ছেলেটা পাশাপাশি বসি আর মেয়েটাকে নিয়ে কথা বলি। আমি ছেলেটাকে বলি আমার ভালোবাসার কথা৷ কতটা ভালোবাসতাম ওকে সেটা বলি। 


আমার কথা শুনে ছেলেটা বলে, আমি কখনই ওকে ক*ষ্ট দিবোনা। 


' তুমি অলরেডি ক*ষ্ট দিচ্ছো ওকে। 


ছেলেটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কিভাবে? 


' খিচুড়ির সাথে যে মাং*স খাচ্ছো তা মেয়েটারই।


চলবে----


 পরদেশি মেঘ

Rabi Al Islam

পর্ব ১


নেক্সট পার্ট সবার আগে আইডিতে পোস্ট করা হবে, নীল লেখার চাপ দিয়ে সবাই আইডি ফলো করুন। 👉 Choto Dairy 01

নতুন গল্প:  _রাত। পর্ব-------(১)

 আমি নাকি ভাবীর বু*কে ওগুলো তে হাত দিছি আর 'ভাইয়ের মৃত্যুর পর ভাবিকে বিয়ে করতে হবে কখনো কল্পনাও 

করতে পারিনাই আজ থেকে দুইমাস আগে একটি রোড এক্সিডেন্ডে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।


'এরপর সবাই বলতেছে ভাবিকে যেনো আমি বিয়ে করি!

কারন ভাইয়ের দুটি সন্তান রয়েছে ওদের দেখা শোনা করতে হবে।

সবার এমন কথা শোনার পর কি করবো কিচ্ছু মাথায় ,

আসতে ছিলো না।


'এমন মুহূর্তে ভাবি আমার রুমে প্রবেশ করে বললো।


'হাসিব তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই আমি।

জানিনা তুমি কিভাবে কথা গুলা নিবে।


'হ‍্যাঁ বলুন।


'আমি বতর্মান একজন বিধবা নারী।

আর তুমি একজন অবিবাহিত পুরুষ এখন সবাই বলতেছে 

তুমি আমাকে বিয়ে করো এবং বাচ্চা দুটোর দায়িত্ব নাও।


'হ‍্যাঁ জানি।


'আমিও চাচ্ছিনা বাচ্চা গুলাকে রেখে অন‍্য কোথাও বিয়ে করতে।

এর চেয়ে ভালো তুমি আমাকে বিয়ে করো।

তাহলে সন্তান গুলাও মা হারা হবেনা আবার নিজের চাচাকে ,

বাবা স্বরূপ হিসেবে পাবে।


'সব কিছুই বুজলাম।

কিন্তু এটা কেমন হয়ে যায়না।

নিজের ভাবিকে শেষ পযর্ন্ত বিয়ে করবো।


'সমস‍্যা হবে কেনো।

তুমি আর আমি ঠিক থাকলেই তো হলো।


'এইটা ঠিক বলছো।


'হাসিব তুমি কী কোন মেয়ের সঙ্গে প্রেম করো নাকি?

যার কারনে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছো না।


'প্রেম ভালোবাসা কখনো করিনাই শুধুমাত্র বউকে ভালোবাসবো বলে।

কিন্তু নিজের ভাবিকে বউ হিসেবে দেখবো এইটা কখনো কল্পনাও 

করতে পারিনাই আমি।


'তার মানে তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাওনা।


'হ‍্যাঁ চাই।


'ঠিক আছে আব্বা আম্মাকে আমি বলতেছি 

আমাদের বিয়ের ব‍্যবস্থা করতে।


'ঠিক আছে বলো।


'এরপর হাসিবের ভাবি মানে (সোনালি) শশুর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বিয়ের ব‍্যবস্থা করতে বললো!

আজকে রাতেই বিয়ে হবে।


'এদিকে হাসিব মনে-মনে ভাবতে থাকে ভাবি আমাকে বিয়ে করার জন‍্যে এতো উতলা হয়েছে কেনো কাহিনি কী?


'ঠিক সেই মুহূর্তে সোনালি মানে হাসিবের ভাবি আবার হাসিবের 

রুমে এসে বলতে থাকে।


'হাসিব আজকে রাতেই আমাদের বিয়ে হবে।

বাবা মাকে সব কিছুর আয়জন করতে বলেছি।

{কথাটি বলেই সোনালি হাসিবের খুব কাছে চলে আসে}


'আরে ভাবি এসব কী করতেছেন।


'এখন থেকে আমি তোমার বউ বুঝলা। 

আমাকে ভাবি বলবে না সোনালি বলে ডাকবে।

আর কী করতেছি দেখতে পাচ্ছো না হবু স্বামীকে ভালোবাসা 

দিতে চাচ্ছি।


'প্লিজ দুরে থাকুন।

এখন পযর্ন্ত আমাদের বিয়ে হয়নি।

বিয়ের পর এসব নিয়ে চিন্তা করবো।


'একটু পরেই তো আমাদের বিয়ে।

তাহলে একটু ভালোবাসলে সমস্যা কোথায় পাগল।


'জানিনা আমি।


'ঠিক আছে রাত্রে বিয়েটা হোক মজা দেখাবো তোমাকে।

রেডি থাইকো কিন্তু।

{কথাটি বলে হন হন করে সোনালি বাহিরে চলে যায়}


'এরপর ঠিক রাত ৮:৩০মিনিটে কাজিকে বাসায় ডেকে এনে হাসিব এবং সোনালির বিয়েটা সম্পুর্ণ হয়।

বিয়ের পর যখন সবাই এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করছিলো এমন মুহূর্তে সেখানে অভি চলে আসে।

মৃত অভিকে দেখা মাত্রই সবাই আকাশ থেকে যেনো মাঠিতে পরে।


চলবে,,,,


'পরবর্তীতে পর্বের জন‍্যে অপেক্ষায় থাকুন।


নতুন গল্প:  _রাত।

পর্ব-------(১)


পরের পর্ব সবার আগে নতুন পেজ এ পোস্ট করা হবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে ফলো করুন। 👉 Choto Dairy 01

সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

কেমন মেয়ে বিয়ে করলে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?

 কেমন মেয়ে বিয়ে করলে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?


ভুল মানুষকে বিয়ে করলে জীবন জাহান্নাম হয়ে যায়— এটা বইয়ে লেখা থাকে না। 


এটা বোঝা যায় দুপুর ৩টার ঝগড়ার পর রাতে খালি পেটে মনে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে একা ঘুমাতে গিয়ে।


বিয়ে নামক এই রহস্যময় চুক্তি নিয়ে আমাদের যত ভাবনা, তার ৯০%-ই কল্পনার ওপর ভিত্তি করে।


চেহারা, মেকাপ, হাসি—সব দেখে মনে হয়, 

এই মেয়েটাকে বিয়ে করলে জীবনটা সিনেমার  মতো হবে।


কিন্তু সমস্যা হয় তখনই, যখন সেই মুভির শেষে ভেসে ওঠে: To be continued… in Family Court.


চলুন, একটু বুঝি কেমন মেয়েদের বিয়ের পর ডিভোর্স হওয়াটা কেবল সময়ের ব্যাপার। 


১. যে নিজেকে আপনার প্রতিপক্ষ ভাবে


তার সঙ্গে আলোচনা মানে একেকটা বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

তিনি বলবে— তুমি ভুল বলছো

আপনি বলবেন— ঠিক আছে, ভুল বলেছি।

তারপরও বলবে— তুমি কিছুই বুঝতে পারো না। তোমাকে বিয়ে করে আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল। 


বিয়ে যেখানে প্রতিযোগিতা হয়ে যায়, সেখানে ভালোবাসা হেরে যায়।


২. যে ভাবে—সংসার মানেই বাকি জীবন আমাকে কন্ট্রোল করা হবে!


এই টাইপ মেয়েরা সাধারণত বলে—

“আমাকে স্বাধীনতা দাও, আমাকে প্রশ্ন করবা না, আমি কার সঙ্গে কোথায় যাই তা বলার দরকার নেই।


ভালোবাসা আর স্বাধীনতা একসঙ্গে চলতে পারে—যদি সম্পর্কটা সম্মানের হয়।


কিন্তু সম্মানের মুখোশ পরে যদি সীমাহীন স্বার্থপরতা ঢুকে পড়ে, তখন ‘স্বাধীনতা’র নামে চলে ‘সম্পর্কবিনাশ’।


৩. যে ফেসবুককে ডায়েরি ভাবে


আজ ঝগড়া করলেন, কাল স্ট্যাটাস:

Some people don’t deserve love!

তারপর ইনবক্সে “আল্লাহ ভরসা আপু। কি হইছে বলেন না?” গ্যাং ঢুকল।


সংসার তখন আর ব্যক্তিগত থাকে না।

সবাই জানে আপনি সারাদিন ভাত পাননি, আর রাতে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক ছিলেন।


৪. যে রান্না করতে পারে না, সেটা না—যে রান্না শেখার আগ্রহও রাখে না


রাঁধতে পারা জরুরি নয়।

কিন্তু যখন কেউ বলে, “আমি তো মডার্ন, রান্না-টান্না আমার কাজ না”

তখন বোঝা যায়, সে সংসার নয়, সারাজীবন রেডি-মেইড লাইফ চায়।


খিদে কিন্তু মডার্ন বুঝে না, চাহিদা বুঝে না—

সে শুধু খেতে চায়।


৫. যে তার পরিবারের লোকদের সম্মান দেয় না


বিয়ের আগেই যদি আপনি দেখেন—মেয়েটি মাকে ধমক দেয়, বাবার কথা শুনে না,

তাহলে আপনার পরিবারের জন্য তার হৃদয়ে জায়গা থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।


যে নিজের গাছের শিকড় কেটে দেয়, সে অন্য গাছের যত্ন নিবে কিভাবে?


৬. যে বলে—“ছেলেরা মানুষ না”


এই একটা লাইনেই বুঝে নিতে পারেন—

তার ধারণা অনুযায়ী সব ছেলেই খারাপ।

আপনি ব্যতিক্রম—এটা সে শুধু বিয়ের আগ পর্যন্ত বিশ্বাস করে।


তারপর একদিন দুপুরে আপনি বলে ফেলেন, “ডালে একটু বেশি লবণ হয়েছে।


আর সেদিনই আপনি তার চোখে পরিণত হন- ছেলে মানুষ মানেই অমানুষ। 


৭. যে সবসময় বলে—“আমার একটা ছেলেবেস্টফ্রেন্ড আছে”


বিয়ের পর সেই বন্ধু হঠাৎ খুব ঘনিষ্ঠ হয়,

হঠাৎ করে তার ফোনে নাম আসে: কলিজার দোস্ত।


আপনি বললে সে বলে—

তোমার সমস্যা কেন? তুমি insecure! তোমার মাইন্ড খুব ন‍্যারো! 


না ভাই, আপনি insecure না—

আপনি শুধু একজন স্বাভাবিক মানুষ, যার বুকের ভেতরে একটা প্রাণ আছে।


৮. যে সবসময় চায়—তার মতো সব চলবে


এই মেয়েরা “আমি, আমার, আমাকে” দিয়েই সংসার শুরু করে, আর সেখানেই শেষ।


আপনার পছন্দ, আপনার অপছন্দ, আপনার কষ্ট—এসব বিষয় তার রাডারে থাকে না।


সংসার যেখানে শুধু একপক্ষ শুনবে, সেখানে সম্পর্ক একদিন কান্না হয়ে ভেসে যায়।


৯. যে আত্মপ্রশংসায় ভীষণ ব্যস্ত


সবাই তাকে সুন্দরী বলে, স্মার্ট বলে,

সে নিজেকেই একমাত্র ‘লাভেবল’ ভাবে।

আপনি যেন একটা অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন—এমন ভঙ্গিতে কথা বলে।


এমন মেয়ের কাছে আপনি কখনো ভালোবাসার মানুষ নন। কেবল দিয়ে যাওয়ার গোলাম। 


১০. যে কখনো প্রাণ খুলে হাসে না


সে হয়তো দিনে তিনবার সেলফি তোলে,

কিন্তু একবারও প্রাণভরে হাসে না।


এমন মেয়েদের সঙ্গে জীবন মানে—

একটা সুন্দর, সাজানো ঘর; কিন্তু দরজা জানালা বন্ধ।

ভালোবাসা নেই, হাওয়া নেই।

শুধু নিঃশ্বাস টেনে বাঁচা।


বিয়ে মানেই একসাথে থাকা। 


কিন্তু প্রতিদিন যদি ‘একসাথে’ থেকে নিজেকে একা লাগে, তাহলে ডিভোর্স শুধু একটা কাগজ না, সেটা হয়ে দাঁড়ায়—নিজেকে বাঁচিয়ে তোলার একমাত্র রাস্তা।


সুতরাং…


চেহারা নয়। 


ডিগ্রি নয়।


দরকার এমন একজন মেয়ে, যার সঙ্গে ঝগড়া করলেও ঘুমানোর আগে সে বলে— ভালোবাসি তো। একটু হাসো। এখন চলো একসঙ্গে ঘুমাই।


ভুল মেয়েকে বিয়ে করলে আপনার জীবন হবে একটা রিসাইকেল বিন।


প্রতিদিন ঝগড়া, প্রতিদিন মলিন মুখ, প্রতিদিন ঘুমের ভান করে কান্না।


কিন্তু ঠিক মেয়েকে বিয়ে করলে জীবনটা হবে…


এক কাপ চা, একটা গল্প, আর মানসিক শান্তিতে ভরা হাসিমুখ।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ১০-০৮-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ১০-০৮-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম তিন দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল মালয়েশিয়া যাবেন প্রধান উপদেষ্টা -- এই সফরে অ...