এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২
শিক্ষণীয়
শিক্ষনীয় গল্পঃ
একদিন গাধা বাঘকে বলল — "ঘাসের রং নীল। "
বাঘ উত্তর দিল — "না, ঘাসের রং সবুজ। "
কিছুক্ষনের মধ্যেই দু'জনের আলোচনা তুমুল তর্কে পরিণত হলে, তারা জঙ্গলের রাজা সিংহের কাছে বিচারের জন্য উপস্থিত হল।
রাজদরবারে সিংহের কাছে পৌঁছানোর আগেই গাধা ডাক ছাড়তে শুরু করে দিল — " মহারাজ, আপনিই বলুন ঘাসের রং নীল কি না?"
সিংহ উত্তর দিল -- " হ্যাঁ, ঘাসের রং নীল।"
গাধা তাড়াতাড়ি সিংহের কাছে পৌঁছালো এবং বলতে থাকল —" বাঘ আমার কথা মানছে না, তর্ক করছে এবং আমাকে বিরক্ত করছে। ওকে শাস্তি দিন।"
সিংহ তখন ঘোষণা করল --" বাঘকে ৫ বছরের জন্য মৌন থাকার শাস্তি দেওয়া হল।"
গাধা খুশিতে লাফাতে লাগল এবং বলতে বলতে চলে গেল — " ঘাসের রং নীল, ঘাসের রং নীল।"
বাঘ শাস্তি মেনে নিল, কিন্তু সিংহকে জিজ্ঞাসা করল —" মহারাজ, আপনি আমায় শাস্তি দিলেন কেন যখন ঘাসের রং সত্যিই সবুজ।"
সিংহ বলল —" ঠিক, ঘাসের রং সবুজ।"
বাঘ জিজ্ঞাসা করল —" তাহলে আপনি আমায় শাস্তি দিলেন কেন?"
সিংহ উত্তর দিল —" তোমাকে শাস্তি দেওয়ার সাথে ঘাসের রং সবুজ না নীল, সেই প্রশ্নের কোনো সম্পর্ক নেই। তোমাকে শাস্তি দিয়েছি কারণ তোমার মত সাহসী, বুদ্ধিমান প্রাণী একটা গাধার সাথে তর্ক করে সময় নষ্ট করেছ এবং এইরকম একটা বাজে কারণে আমার কাছে এসে আমার সময় নষ্ট করেছ।"
শিক্ষাঃ মুর্খের সাথে কখনো তর্কে যেওনা।,,,,,
কুকুরের থেকে শিক্ষা
এক ফকির এক কুকুর কে বললোঃ
তোর তিনটি অভ্যাস খুব খারাপ।
কুকুর বললো সেগুলো কি কি?
ফকির বললোঃ
১।তুই দেওয়ালে প্রস্রাব করিস ।
২।তুই ভিখারী দেখলে ঘেও ঘেও করিস।
৩।তুই রাতে ঘেও ঘেও করে মানুষের ঘুম নষ্ট করিস।
এই কথা শুনে কুকুর উত্তর দিলোঃ
আমি জমিনে এই জন্য প্রস্রাব করি না কারণ হয়তো কোন আল্লাহর বান্দা এখানে বসে আল্লাহ কে সেজদা করবে,,,,,
আমি ভিখারী কে দেখলে এই জন্য ঘেও ঘেও করি কারণ ভিখারি আল্লাহর কাছে না চেয়ে মানুষের কাছে চায় কেনো।
আমি রাতে মানুষের ঘুম নষ্ট এই জন্য করি কারণ মানুষ গুনাহ করে আরামে ঘুমালে আল্লাহর কাছে মাফ চাবে কখন?
বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২
শিক্ষনীয়
দুইদিন টিউশনি করানোর পর তৃতীয় দিন ছাত্রীর মা আমায় ডেকে আমার হাতে একটা খাম দিয়ে বললো,
- কাল থেকে তোমার আর আমার মেয়েকে পড়াতে হবে না। তুমি দুই দিন আমার মেয়েকে পড়িয়েছো। আমি তোমাকে ১ মাসেরই টাকা দিলাম।
আমি অবাক হয়ে ছাত্রীর মাকে বললাম,
-- আন্টি কিছু মনে না করলে জানতে পারি আমার অপরাধটা কি?
আন্টি অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললো,
- না, তোমার কোন অপরাধ নেই। এমনিতেই তোমাকে আসতে হবে না।
আমি তখন ছাত্রীর মাকে বললাম,
-- আন্টি আমি আপনার মেয়েকে ১ মাস পড়াই। তারপর যদি আপনার মনে হয় আমি আপনার মেয়েকে ঠিক মত পড়াতে পারছি না; তখন না হয় আমাকে বাদ দিয়ে দিবেন। আমার আপত্তি থাকবেনা।
এইবার ছাত্রীর মা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- আসলে আমার মেয়ে তোমার কাছে পড়তে চাচ্ছে না। শুধু ভালো পড়ালেই হয় না একটু দেখতে শুনতেও ভালো হতে হয়। তোমায় দেখলে না কি আমার মেয়ে ভয় পেয়ে যায়...
আমি আন্টির হাতে খাম দিয়ে বললাম,
-- টিউশনি করাতে হলে যে ফর্সা ভালো চেহারার অধিকারী হতে হয় তা আগে জানতাম না। যদি জানতাম তাহলে বিশ্বাস করেন আমি আপনার মেয়েকে পড়াতে আসতাম না...
ছাত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটছি আর কলেজ জীবনের কথা ভাবছি। কলেজে একবার একটা অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার জন্য স্যার ভালো একজন উপস্থাপক খুঁজছিলেন। আমি সবার সামনে হাত তুলে বলেছিলাম,
- স্যার, আমি ভালো উপস্থাপনা করতে পারি। স্কুলে পড়ার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি উপস্থাপনা করতাম..
স্যার আমার ভালো করে দেখে হাসতে হাসতে বলেছিলো,
-- তোর মত কাউয়া(কাক) যদি উপস্থাপনা করে তাহলে অনুষ্ঠানে যে কয়জন মানুষ আসবে সেই মানুষগুলোও পালাবে...
স্যারের এই এক কথাতে রাতারাতি আমার নাম আবুল বাশার পিয়াস থেকে "কাউয়া বাশার পিয়াস" হয়ে গিয়েছিলো। তখন আর কেউ আমায় আবুল বাশার পিয়াস নামে চিনতো না। সবাই চিনতো "কাউয়া পিয়াস" নামে...
কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। আমার পাশের সিটে বসেছিলো সুন্দরী একটা মেয়ে। আমি যখন আমার সিটে বসতে যাবো তখনি মেয়েটা নাক মুখ ওড়না দিয়ে চেপে ধরলো। বাস কিছু দূর যাবার পরেই মেয়েটা বাসের কন্ট্রাক্টরকে ডেকে বললো,
- আমায় এই সিটটা পাল্টে দেন তো। আমি অন্য কোথাও বসবো।
বাসের কন্ট্রাক্টর আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকালো। তারপর মেয়েটাকে বললো,
-- আপা, এই লোকটা কি আপনার সাথে অসভ্যতামি করেছে? যদি কোনোরকম কিছু করে থাকে তাহলে বলেন। আমি এখনি লোকটাকে বাস থেকে নামিয়ে দিতেছি। কন্ট্রাক্টরের মুখ থেকে এমন কথা শুনে বাসের অন্য সব যাত্রীরা আমার উপর ক্ষেপে উঠলো। একজন লোক চিৎকার করে বললো,
~ অবশ্যই নোংরামি করেছে। তা না হলে আপা সিট ছেড়ে উঠতে যাবে কেন।
এক ভদ্রমহিলা মুখ বাঁকিয়ে বললো,
~ চেহারা দেখেই বুঝা যায় বদমাইশ টাইপ। এইসব কুলাঙ্গারদের জন্য মেয়েদের রাস্তাঘাটে চলাচলই এখন দায় হয়ে পড়েছে।
এমন একটা অবস্থা হয়ে পড়েছিলো যে বাসের সবাই মিলে এখন আমায় মারতে আসবে। আমি বহু কষ্টে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে মেয়েটাকে বললাম,
-- আপনি আমার ছোট বোনের মত। আমি কি আপনার সাথে কোন নোংরামি করেছি?
মেয়েটা মাথা নিচু করে বললো,
- না।
আমি তখন বাসের যাত্রীদের বললাম,
-- ভাই আমার অপরাধ কি জানেন? আমার অপরাধ হলো আমি দেখতে কালো। আপনাদের মত সাদা চামড়ার কিছু মানুষ মনে করে আমাদের মত কালো মানুষের গা থেকে গন্ধ বের হয়। আপনাদের ধারণা পৃথিবীর সমস্ত খারাপ মানুষ কালোই হয়৷
যে ভদ্রমহিলা আমায় বদমাইশ, কুলাঙ্গার বলেছিলো সেই মহিলার কাছে গিয়ে বললাম,
-- আপনি আমার চেহারা দেখেই বুঝে গেলেন আমি বদমাইশ। বিশ্বাস করেন আমি কোনো বদমাইশি করছি তো দূরের কথা আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকাছি পর্যন্ত না। কিন্তু কেন জানি না এই মুহূর্তে আপনার সাথেই আমার বদমাইশি করতে ইচ্ছে করছে...
|
|
নিউমার্কেট এসেছিলাম কিছু শপিং করতে। এমন সময় আমার রুমমেট রাকিব ফোন দিয়ে বললো,
- মেসে আসার সময় দোকান থেকে আমার জন্য একটা ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম ক্রিম নিয়ে আসিস তো। আমি তোকে পরে টাকা দিয়ে দিবো।
রাকিবের কথা মতন কসমেটিকসের দোকানে গিয়ে ক্রিমের কথা বলতেই দোকানের ছেলেটা আমায় দেখে মুচকি হাসলো। তারপর আমার হাতে ক্রিমটা দিতে দিতে বললো,
- শুধু শুধু ভাই টাকা গুলো জলে ফেলবেন। আপনার যে কালার আপনাকে যদি ৩ দিন ৩ রাত হুইল পাউডার দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়; তবুও আপনার কালারের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হবে না।
দোকানের ছেলেটার কথা শুনে মনে হচ্ছিলো ওর গালে একটা সজোরে থাপ্পড় মারি কিন্তু ওরই বা কি দোষ। দোষ তো আমার বাবা মার। কারণ উনারা আমাকে জন্ম দিয়েছে।
দোকান থেকে বের হয়েই মাকে ফোন দিলাম। মা ফোনটা রিসিভ করতেই আমি মাকে বললাম,
-- মা, শুনেছি বাবা মা কোনো পাপ করলে তার দায়ভার কিছুটা সন্তানের উপর এসে পড়ে৷ তোমরা কি কোনো পাপ করেছিলে যার ফল স্বরূপ তোমাদের ঘরে আমার মত একটা কালো ছেলে জন্ম নিলো।
মা আমার কথা শুনে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
-তুই আবার তোর গায়ের রঙ কালো দেখে মন খারাপ করছিস? তুই কালো দেখে কি হয়েছে। তুই আমার কাছে সোনার টুকরো ছেলে।
মা কেঁদে দিয়েছিলো দেখে আমি মাকে হাসানোর জন্য বললাম,
-- দেখলে মা তুমিও আমায় তেমন ভালোবাসো না। যদি ভালোবাসতে তাহলে সোনার টুকরো না বলে হীরের টুকরো বলতে।
আমার কথা শুনে মা হাসতে হাসতে বললো,
- তুই আমার কোহীনূর হীরার টুকরো ছেলে...
|
|
সবাই আমাকে কালো বলে দূরে সরিয়ে রাখলেও মা বাবার দোয়া সবসময় আমার সাথেই ছিলো। আর সে জন্যই হয়তো আমি খুব ভালো একটা চাকরি পেয়েছি। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই আমার উপর বাবা মা অত্যাচার করা শুধু করলো বিয়ের জন্য। আমিও বিয়ে করবো বলে রাজি হয়েছি তবে একটা শর্ত দিয়েছি। বিয়ে করলে আমি কালো কোন মেয়েকেই করবো।
আজ মেয়ে দেখতে যাবো। মাকে ডেকে বললাম,
- মেয়ে কালো তো?
মা বললো,
-- আমি মেয়েকে এর আগেও দেখেছি। মেয়ের গায়ের রঙ কালোই। কিন্তু আজ আমরা দেখতে যাবো বলে মেক-আপ করে হয়তো সুন্দরী হয়ে যাবে। তবে চিন্তা করিস না। মুখ ধোঁয়ার পর মেয়ে আবার কালো হয়ে যাবে...
আমরা ড্রয়িং রুমে বসে আছি মেয়ে দেখার জন্য। কিছুক্ষণ পর মেয়ে আসলো। মেয়েকে দেখেই কয়েক মিনিটের জন্য আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। একটা মেয়ে কি করে এত সুন্দর হতে পারে। ভালো করে মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি মুখে কোন মেকাপ নেই। শুধু চোখে হালকা একটু কাজল আছে। মেয়ে দেখা শেষ হলে আমি মাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বললাম,
-- মা, তুমি না বলেছিলে মেয়ে কালো। এই মেয়ে তো দেখছি বেজায় সুন্দরী। শুধু সুন্দর না ভয়ংকর রকম সুন্দরী। তোমায় আগেই বলেছিলাম আমি, নিজে যেমন ঠিক তেমন মেয়েই বিয়ে করবো।
আমার কথা শুনে মা বললো,
-আরে মেয়ে সুন্দর না। মেক-আপ করেছে তো তাই সুন্দর লাগছে।
আমি মায়ের হাতটা ধরে বললাম,
-- কেন শুধু শুধু মিথ্যা বলছো মা। মেয়ে কোনো মেক-আপ করে নি। এত সুন্দর একটা মেয়ে।হয়তো ও চাইবে ওর হাজবেন্ড যেন খুব সুদর্শন হয়। আমার সাথে বিয়ে হলে দেখা যাবে মেয়েটার লাইফটাই নষ্ট হয়ে গেছে। আমার সাথে একটা সেলফি তুলতে পারবে না। বান্ধবীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে লজ্জা পাবে। একসাথে ঘুরতে লাজ্জা পাবে।
আমার কথা শুনে মা কাঁদতে কাঁদতে বললো,
- তুই কালো হয়েছিস দেখে কি একটা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে পারবি না?
আমি মাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
-- না পারি না মা। একটা সুন্দরী মেয়ে কখনোই একটা কালো ছেলেকে বিয়ে করতে চায় না। যদি কখনো বিয়ে করতে রাজি হয় তাহলে ভেবে নিবে হয় মেয়েটা বাবা মায়ের চাপে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। নয়তো কালো ছেলেটার খুব ভালো ক্যারিয়ার আছে সেজন্য রাজি হয়েছে...
দুপুরে অফিসে বসে কাজ করছি। এমন সময় একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে একটা মেয়ে বললো,
- আমি শ্রাবণী। কাল আপনারা যে মেয়েটাকে দেখতে গিয়েছিলেন আমিই সেই মেয়ে।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
--আপনি আমায় হঠাৎ ফোন দিলেন যে?
মেয়েটি তখন বললো,
- আমি আপনার অফিসের নিচে। দয়া করে একটু আসবেন? আপনার সাথে আমার জরুরী কিছু কথা আছে....
একটা রেস্টুরেন্টে আমি আর মেয়েটি বসে আছি। রেস্টুরেন্টের অনেকেই আমাদের হা করে দেখছে। আমি চেয়েছিলাম রেস্টুরেন্ট বাদে অন্য কোথাও বসতে কিন্তু মেয়েটিই আমায় জোর করে এইখানে নিয়ে আসলো।
কফির মগে মেয়েটি চুমুক দিতে দিতে আমায় বললো,
-- সত্যি বলতে আপনাকে আমার প্রথম দেখাতে ভালো লাগে নি। কিন্তু আড়লে যখন আপনি আপনার মায়ের সাথে কথা বলছিলেন আমি আপনার সব কথা শুনে নিয়েছিলাম। তারপর থেকেই আপনাকে প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলেছি। ১ মিনিটের কথা শুনে যে কাউকে ভালোবেসে ফেলা যায় সেটা যদি আমার সাথে না ঘটতো তাহলে আমি হয়তো কখনোই বিশ্বাস করতাম না।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
-- তারমানে আপনি আমায় করুণা করছেন?
মেয়েটি কফির মগটা রেখে আমার হাতধরে বললো,
- আমায় একটাবার সুযোগ দাও। আমি তোমায় এতটাই ভালোবাসবো যে মেয়েদের সম্পর্কে তোমার ধারণাটাই পাল্টে দিবো....
ডাক্তারের চেম্বারের সামনে বসে আছি। এমন সময় দেখি ডাক্তারের চেম্বার থেকে আমার ছাত্রী পিহু আর ওর মা বের হচ্ছে। আমি আন্টিকে সালাম দিয়ে বললাম,
-- আন্টি আমায় চিনতে পেরেছেন? আমি আপনার মেয়েকে দুইদিন পড়িয়েছিলাম। কিন্তু ৩ দিনের দিন আমায় বের করে দিয়েছিলেন।
আন্টি তখন বললো,
- হ্যাঁ। চিনতে পেরেছি..
এমন সময় রুম থেকে শ্রাবণী এসে বললো,
- সরি সরি, আজ রোগীর খুব চাপ ছিলো তাই দেরি হয়ে গেলো। অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছো। তাই না?
আমি তখন আন্টিকে বললাম,
--আন্টি, আমার স্ত্রী শ্রাবণী।
আর শ্রাবণীকে বললাম,
- ও হলো পিহু। একসময় আমার ছাত্রী ছিলো।
শ্রাবণী মুচকি হেসে বললো,
-- হ্যাঁ আমি জানি ওর নাম পিহু। আমিও ওর ট্রিটমেন্ট করছি।
আন্টি আর পিহু আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। আমি হেঁটে যেতে যেতে শ্রাবণীকে বললাম,
-- পিহুর কি হয়েছে?
শ্রাবণী বললো,
- এক টিচারের সাথে ওর শারিরীক সম্পর্ক ছিলো। পরে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়। কোন ক্লিনিকে যেন এভরসন করিয়েছে। এখন বিয়ের পর আর বাচ্চা হচ্ছে না...
হঠাৎ শ্রাবণী দাঁড়িয়ে বললো,
- ঐ, এই টিচারটা তো কোনোভাবে তুমি নাতো?
আমি রেগে গিয়ে বললাম,
-- আমি কেন হতে যাবো?আমি কালো বলেই তো আমাকে ৩ দিনের দিন বের করেই দিয়েছিলো।
আমার কথা শুনে শ্রাবণী হাসতে হাসতে বললো,
- নীল শার্টে তোমায় খুব সুন্দর লাগছে।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
-- কাউয়ার মত লাগছে...
আমার কথা শুনে শ্রাবণী আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বললো,
- যে ছেলে নিজে নিজেকে সম্মান করে না;তাকে মানুষে কিভাবে সম্মান করবে..
শ্রাবণী রাগ করে একা একা হাঁটছে। আর আমি ওর পিছু পিছু যাচ্ছি আর ভাবছি, কালো কলঙ্কের দাগ হলেও মাঝে মধ্যে কালোকে বাদে সাদাকে অসম্পূর্ণ লাগে..
পোস্ট ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট করবেন প্লীজ।
(সংগৃহীত)
সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২
ফেসবুক থেকে নেওয়া
দুইদিন টিউশনি করানোর পর তৃতীয় দিন ছাত্রীর মা আমায় ডেকে আমার হাতে একটা খাম দিয়ে বললো,
- কাল থেকে তোমার আর আমার মেয়েকে পড়াতে হবে না। তুমি দুই দিন আমার মেয়েকে পড়িয়েছো। আমি তোমাকে ১ মাসেরই টাকা দিলাম।
আমি অবাক হয়ে ছাত্রীর মাকে বললাম,
-- আন্টি কিছু মনে না করলে জানতে পারি আমার অপরাধটা কি?
আন্টি অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললো,
- না, তোমার কোন অপরাধ নেই। এমনিতেই তোমাকে আসতে হবে না।
আমি তখন ছাত্রীর মাকে বললাম,
-- আন্টি আমি আপনার মেয়েকে ১ মাস পড়াই। তারপর যদি আপনার মনে হয় আমি আপনার মেয়েকে ঠিক মত পড়াতে পারছি না; তখন না হয় আমাকে বাদ দিয়ে দিবেন। আমার আপত্তি থাকবেনা।
এইবার ছাত্রীর মা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- আসলে আমার মেয়ে তোমার কাছে পড়তে চাচ্ছে না। শুধু ভালো পড়ালেই হয় না একটু দেখতে শুনতেও ভালো হতে হয়। তোমায় দেখলে না কি আমার মেয়ে ভয় পেয়ে যায়...
আমি আন্টির হাতে খাম দিয়ে বললাম,
-- টিউশনি করাতে হলে যে ফর্সা ভালো চেহারার অধিকারী হতে হয় তা আগে জানতাম না। যদি জানতাম তাহলে বিশ্বাস করেন আমি আপনার মেয়েকে পড়াতে আসতাম না...
ছাত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটছি আর কলেজ জীবনের কথা ভাবছি। কলেজে একবার একটা অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার জন্য স্যার ভালো একজন উপস্থাপক খুঁজছিলেন। আমি সবার সামনে হাত তুলে বলেছিলাম,
- স্যার, আমি ভালো উপস্থাপনা করতে পারি। স্কুলে পড়ার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি উপস্থাপনা করতাম..
স্যার আমার ভালো করে দেখে হাসতে হাসতে বলেছিলো,
-- তোর মত কাউয়া(কাক) যদি উপস্থাপনা করে তাহলে অনুষ্ঠানে যে কয়জন মানুষ আসবে সেই মানুষগুলোও পালাবে...
স্যারের এই এক কথাতে রাতারাতি আমার নাম আবুল বাশার পিয়াস থেকে "কাউয়া বাশার পিয়াস" হয়ে গিয়েছিলো। তখন আর কেউ আমায় আবুল বাশার পিয়াস নামে চিনতো না। সবাই চিনতো "কাউয়া পিয়াস" নামে...
কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। আমার পাশের সিটে বসেছিলো সুন্দরী একটা মেয়ে। আমি যখন আমার সিটে বসতে যাবো তখনি মেয়েটা নাক মুখ ওড়না দিয়ে চেপে ধরলো। বাস কিছু দূর যাবার পরেই মেয়েটা বাসের কন্ট্রাক্টরকে ডেকে বললো,
- আমায় এই সিটটা পাল্টে দেন তো। আমি অন্য কোথাও বসবো।
বাসের কন্ট্রাক্টর আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকালো। তারপর মেয়েটাকে বললো,
-- আপা, এই লোকটা কি আপনার সাথে অসভ্যতামি করেছে? যদি কোনোরকম কিছু করে থাকে তাহলে বলেন। আমি এখনি লোকটাকে বাস থেকে নামিয়ে দিতেছি। কন্ট্রাক্টরের মুখ থেকে এমন কথা শুনে বাসের অন্য সব যাত্রীরা আমার উপর ক্ষেপে উঠলো। একজন লোক চিৎকার করে বললো,
~ অবশ্যই নোংরামি করেছে। তা না হলে আপা সিট ছেড়ে উঠতে যাবে কেন।
এক ভদ্রমহিলা মুখ বাঁকিয়ে বললো,
~ চেহারা দেখেই বুঝা যায় বদমাইশ টাইপ। এইসব কুলাঙ্গারদের জন্য মেয়েদের রাস্তাঘাটে চলাচলই এখন দায় হয়ে পড়েছে।
এমন একটা অবস্থা হয়ে পড়েছিলো যে বাসের সবাই মিলে এখন আমায় মারতে আসবে। আমি বহু কষ্টে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে মেয়েটাকে বললাম,
-- আপনি আমার ছোট বোনের মত। আমি কি আপনার সাথে কোন নোংরামি করেছি?
মেয়েটা মাথা নিচু করে বললো,
- না।
আমি তখন বাসের যাত্রীদের বললাম,
-- ভাই আমার অপরাধ কি জানেন? আমার অপরাধ হলো আমি দেখতে কালো। আপনাদের মত সাদা চামড়ার কিছু মানুষ মনে করে আমাদের মত কালো মানুষের গা থেকে গন্ধ বের হয়। আপনাদের ধারণা পৃথিবীর সমস্ত খারাপ মানুষ কালোই হয়৷
যে ভদ্রমহিলা আমায় বদমাইশ, কুলাঙ্গার বলেছিলো সেই মহিলার কাছে গিয়ে বললাম,
-- আপনি আমার চেহারা দেখেই বুঝে গেলেন আমি বদমাইশ। বিশ্বাস করেন আমি কোনো বদমাইশি করছি তো দূরের কথা আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকাছি পর্যন্ত না। কিন্তু কেন জানি না এই মুহূর্তে আপনার সাথেই আমার বদমাইশি করতে ইচ্ছে করছে...
|
|
নিউমার্কেট এসেছিলাম কিছু শপিং করতে। এমন সময় আমার রুমমেট রাকিব ফোন দিয়ে বললো,
- মেসে আসার সময় দোকান থেকে আমার জন্য একটা ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম ক্রিম নিয়ে আসিস তো। আমি তোকে পরে টাকা দিয়ে দিবো।
রাকিবের কথা মতন কসমেটিকসের দোকানে গিয়ে ক্রিমের কথা বলতেই দোকানের ছেলেটা আমায় দেখে মুচকি হাসলো। তারপর আমার হাতে ক্রিমটা দিতে দিতে বললো,
- শুধু শুধু ভাই টাকা গুলো জলে ফেলবেন। আপনার যে কালার আপনাকে যদি ৩ দিন ৩ রাত হুইল পাউডার দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়; তবুও আপনার কালারের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হবে না।
দোকানের ছেলেটার কথা শুনে মনে হচ্ছিলো ওর গালে একটা সজোরে থাপ্পড় মারি কিন্তু ওরই বা কি দোষ। দোষ তো আমার বাবা মার। কারণ উনারা আমাকে জন্ম দিয়েছে।
দোকান থেকে বের হয়েই মাকে ফোন দিলাম। মা ফোনটা রিসিভ করতেই আমি মাকে বললাম,
-- মা, শুনেছি বাবা মা কোনো পাপ করলে তার দায়ভার কিছুটা সন্তানের উপর এসে পড়ে৷ তোমরা কি কোনো পাপ করেছিলে যার ফল স্বরূপ তোমাদের ঘরে আমার মত একটা কালো ছেলে জন্ম নিলো।
মা আমার কথা শুনে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
-তুই আবার তোর গায়ের রঙ কালো দেখে মন খারাপ করছিস? তুই কালো দেখে কি হয়েছে। তুই আমার কাছে সোনার টুকরো ছেলে।
মা কেঁদে দিয়েছিলো দেখে আমি মাকে হাসানোর জন্য বললাম,
-- দেখলে মা তুমিও আমায় তেমন ভালোবাসো না। যদি ভালোবাসতে তাহলে সোনার টুকরো না বলে হীরের টুকরো বলতে।
আমার কথা শুনে মা হাসতে হাসতে বললো,
- তুই আমার কোহীনূর হীরার টুকরো ছেলে...
|
|
সবাই আমাকে কালো বলে দূরে সরিয়ে রাখলেও মা বাবার দোয়া সবসময় আমার সাথেই ছিলো। আর সে জন্যই হয়তো আমি খুব ভালো একটা চাকরি পেয়েছি। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই আমার উপর বাবা মা অত্যাচার করা শুধু করলো বিয়ের জন্য। আমিও বিয়ে করবো বলে রাজি হয়েছি তবে একটা শর্ত দিয়েছি। বিয়ে করলে আমি কালো কোন মেয়েকেই করবো।
আজ মেয়ে দেখতে যাবো। মাকে ডেকে বললাম,
- মেয়ে কালো তো?
মা বললো,
-- আমি মেয়েকে এর আগেও দেখেছি। মেয়ের গায়ের রঙ কালোই। কিন্তু আজ আমরা দেখতে যাবো বলে মেক-আপ করে হয়তো সুন্দরী হয়ে যাবে। তবে চিন্তা করিস না। মুখ ধোঁয়ার পর মেয়ে আবার কালো হয়ে যাবে...
আমরা ড্রয়িং রুমে বসে আছি মেয়ে দেখার জন্য। কিছুক্ষণ পর মেয়ে আসলো। মেয়েকে দেখেই কয়েক মিনিটের জন্য আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। একটা মেয়ে কি করে এত সুন্দর হতে পারে। ভালো করে মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি মুখে কোন মেকাপ নেই। শুধু চোখে হালকা একটু কাজল আছে। মেয়ে দেখা শেষ হলে আমি মাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বললাম,
-- মা, তুমি না বলেছিলে মেয়ে কালো। এই মেয়ে তো দেখছি বেজায় সুন্দরী। শুধু সুন্দর না ভয়ংকর রকম সুন্দরী। তোমায় আগেই বলেছিলাম আমি, নিজে যেমন ঠিক তেমন মেয়েই বিয়ে করবো।
আমার কথা শুনে মা বললো,
-আরে মেয়ে সুন্দর না। মেক-আপ করেছে তো তাই সুন্দর লাগছে।
আমি মায়ের হাতটা ধরে বললাম,
-- কেন শুধু শুধু মিথ্যা বলছো মা। মেয়ে কোনো মেক-আপ করে নি। এত সুন্দর একটা মেয়ে।হয়তো ও চাইবে ওর হাজবেন্ড যেন খুব সুদর্শন হয়। আমার সাথে বিয়ে হলে দেখা যাবে মেয়েটার লাইফটাই নষ্ট হয়ে গেছে। আমার সাথে একটা সেলফি তুলতে পারবে না। বান্ধবীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে লজ্জা পাবে। একসাথে ঘুরতে লাজ্জা পাবে।
আমার কথা শুনে মা কাঁদতে কাঁদতে বললো,
- তুই কালো হয়েছিস দেখে কি একটা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে পারবি না?
আমি মাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
-- না পারি না মা। একটা সুন্দরী মেয়ে কখনোই একটা কালো ছেলেকে বিয়ে করতে চায় না। যদি কখনো বিয়ে করতে রাজি হয় তাহলে ভেবে নিবে হয় মেয়েটা বাবা মায়ের চাপে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। নয়তো কালো ছেলেটার খুব ভালো ক্যারিয়ার আছে সেজন্য রাজি হয়েছে...
দুপুরে অফিসে বসে কাজ করছি। এমন সময় একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে একটা মেয়ে বললো,
- আমি শ্রাবণী। কাল আপনারা যে মেয়েটাকে দেখতে গিয়েছিলেন আমিই সেই মেয়ে।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
--আপনি আমায় হঠাৎ ফোন দিলেন যে?
মেয়েটি তখন বললো,
- আমি আপনার অফিসের নিচে। দয়া করে একটু আসবেন? আপনার সাথে আমার জরুরী কিছু কথা আছে....
একটা রেস্টুরেন্টে আমি আর মেয়েটি বসে আছি। রেস্টুরেন্টের অনেকেই আমাদের হা করে দেখছে। আমি চেয়েছিলাম রেস্টুরেন্ট বাদে অন্য কোথাও বসতে কিন্তু মেয়েটিই আমায় জোর করে এইখানে নিয়ে আসলো।
কফির মগে মেয়েটি চুমুক দিতে দিতে আমায় বললো,
-- সত্যি বলতে আপনাকে আমার প্রথম দেখাতে ভালো লাগে নি। কিন্তু আড়লে যখন আপনি আপনার মায়ের সাথে কথা বলছিলেন আমি আপনার সব কথা শুনে নিয়েছিলাম। তারপর থেকেই আপনাকে প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলেছি। ১ মিনিটের কথা শুনে যে কাউকে ভালোবেসে ফেলা যায় সেটা যদি আমার সাথে না ঘটতো তাহলে আমি হয়তো কখনোই বিশ্বাস করতাম না।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
-- তারমানে আপনি আমায় করুণা করছেন?
মেয়েটি কফির মগটা রেখে আমার হাতধরে বললো,
- আমায় একটাবার সুযোগ দাও। আমি তোমায় এতটাই ভালোবাসবো যে মেয়েদের সম্পর্কে তোমার ধারণাটাই পাল্টে দিবো....
ডাক্তারের চেম্বারের সামনে বসে আছি। এমন সময় দেখি ডাক্তারের চেম্বার থেকে আমার ছাত্রী পিহু আর ওর মা বের হচ্ছে। আমি আন্টিকে সালাম দিয়ে বললাম,
-- আন্টি আমায় চিনতে পেরেছেন? আমি আপনার মেয়েকে দুইদিন পড়িয়েছিলাম। কিন্তু ৩ দিনের দিন আমায় বের করে দিয়েছিলেন।
আন্টি তখন বললো,
- হ্যাঁ। চিনতে পেরেছি..
এমন সময় রুম থেকে শ্রাবণী এসে বললো,
- সরি সরি, আজ রোগীর খুব চাপ ছিলো তাই দেরি হয়ে গেলো। অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছো। তাই না?
আমি তখন আন্টিকে বললাম,
--আন্টি, আমার স্ত্রী শ্রাবণী।
আর শ্রাবণীকে বললাম,
- ও হলো পিহু। একসময় আমার ছাত্রী ছিলো।
শ্রাবণী মুচকি হেসে বললো,
-- হ্যাঁ আমি জানি ওর নাম পিহু। আমিও ওর ট্রিটমেন্ট করছি।
আন্টি আর পিহু আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। আমি হেঁটে যেতে যেতে শ্রাবণীকে বললাম,
-- পিহুর কি হয়েছে?
শ্রাবণী বললো,
- এক টিচারের সাথে ওর শারিরীক সম্পর্ক ছিলো। পরে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়। কোন ক্লিনিকে যেন এভরসন করিয়েছে। এখন বিয়ের পর আর বাচ্চা হচ্ছে না...
হঠাৎ শ্রাবণী দাঁড়িয়ে বললো,
- ঐ, এই টিচারটা তো কোনোভাবে তুমি নাতো?
আমি রেগে গিয়ে বললাম,
-- আমি কেন হতে যাবো?আমি কালো বলেই তো আমাকে ৩ দিনের দিন বের করেই দিয়েছিলো।
আমার কথা শুনে শ্রাবণী হাসতে হাসতে বললো,
- নীল শার্টে তোমায় খুব সুন্দর লাগছে।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
-- কাউয়ার মত লাগছে...
আমার কথা শুনে শ্রাবণী আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বললো,
- যে ছেলে নিজে নিজেকে সম্মান করে না;তাকে মানুষে কিভাবে সম্মান করবে..
শ্রাবণী রাগ করে একা একা হাঁটছে। আর আমি ওর পিছু পিছু যাচ্ছি আর ভাবছি, কালো কলঙ্কের দাগ হলেও মাঝে মধ্যে কালোকে বাদে সাদাকে অসম্পূর্ণ লাগে..
(সংগৃহীত)
রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২
সমালোচক আর সমালোচনা
'সমালোচনাকে কখনোই খুব বেশি প্রাধান্য দিবেন না ...'
একদিন বাবা ও ছেলে তাদের পোষা গাধাটিকে বিক্রি করার জন্য হাটের পথে রওনা দিল। বাবা, ছেলে ও গাধা তিনজনই হেঁটে যাচ্ছে।
কিছুদূর যাওয়ার পর একজন লোক তাদের দেখে বলল, এরা কত বোকা! গাধা থাকতে হেঁটে যাচ্ছে। একজন তো গাধার পিঠে উঠে আরাম করে যেতে পারে।
লোকটির কথা শুনে বাবা তার ছেলেকে গাধার পিঠে উঠিয়ে দিলেন। ছেলে গাধার পিঠে আর বাবা হেঁটে চলেছেন। কিছুদূর যাওয়ার পর আর একজন বলল, কী বেয়াদব ছেলে! নিজে গাধার পিঠে আর বুড়ো বাপকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এ মন্তব্য শোনার পর বাবা ও ছেলে স্থান পরিবর্তন করল। এবার বাবা গাধার পিঠে উঠল আর ছেলে হেঁটে চলল। আরও কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর আর এক ব্যক্তি মন্তব্য করল, কী নিষ্ঠুর পিতা! নিজে গাধার পিঠে উঠছে আর মাসুম বাচ্চাটিকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এ মন্তব্য শোনার পর বাবা ও ছেলে দুজনই গাধার পিঠে উঠল। গাধা চলতে শুরু করল। কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর তাদের দেখে আর একজন আক্ষেপ করে বলল, কী অত্যাচার! কী অবিচার! একটি গাধা তার উপর দুটি লোক!
বাবা ও ছেলে পড়ল মহাসমস্যায়। কী মুশকিল! গাধার সাথে হেঁটে গেলে দোষ! ছেলে উঠলে দোষ! বাবা উঠলে দোষ! দুজন উঠলে দোষ! এখন কী করা যায়?
বাবা ও ছেলে মিলে নতুন বুদ্ধি বের করল। তারা বাঁশ ও রশি যোগাড় করল। তারপর সেই রশি দিয়ে গাধার চার পা বাঁধল। তারপর পায়ের ফাঁক দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে দিল। বাবা সামনে আর ছেলে পিছনে বাঁশ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল। গাধা রইল ঝুলে। গাধাকে কাঁধে নিয়ে পুল পার হওয়ার সময় গাধা ভয় পেয়ে নড়ে উঠল। বাবা, ছেলে ও গাধা পড়ে গেল খালে। গাধার মেরুদন্ড ভাঙল। বাবা ও ছেলের ভাঙল পা। গাধা আর বেঁচা হলো না। বাবা ও ছেলে আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এলো।
উপরের গল্পটি প্রাচীন উপকথা। লোকের সমালোচনাকে যারা খুব বেশি ভয় পায় তাদের জন্য এ গল্পটি শিক্ষণীয়।
লোকের সমালোচনাকে কখনোই খুব বেশি প্রাধান্য দিবেন না। এতে আপনার মনের স্বাধীনতা নষ্ট হবে, মানসিক প্রশান্তির বদলে অশান্তিতে ভুগবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন, যারা সবসময় আপনার নেতিবাচক সমালোচনা করে; তাদের মূল লক্ষ্য আপনার ভুল ধরিয়ে দেওয়া নয়, বরং আপনার সুখ দেখে তারা ঈর্ষান্বিত হয়! এমনও দেখা যায়, আপনাকে ভুল পথে পরিচালিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য! তাই এই ধরনের নিন্দুকের কথা এক মিনিট চিন্তা করা মানেই আপনার মূল্যবান সময় থেকে এক মিনিট অপচয় করছেন।
তবে হ্যাঁ, একথাও সত্য যে সব সমালোচনাই খারাপ নয়। যখন আপনার বাবা-মা কিংবা প্রকৃত শুভাকাংখীরা আপনার সমালোচনা করবে, তখন চিন্তা করুন আপনার কোথাও হয়তো কোনো ভুল হচ্ছে। ভুলের উৎস অনুসন্ধান করুন এবং সে-অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।
শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২
ফেইসবুকের শিক্ষানিয় গল্প
ফেইসবুকে থেকে কপি করা,,,,,,,
দয়াকরে ২ মিনিট সময় নিয়ে পড়ুন। চরম লেভেলের বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে👇
আমার এক বন্ধু বিশাল শিল্পপতি। ১০ টার উপর ফ্যাক্টরি, শত কোটি টাকার উপর ব্যাংক লোন। এক মুহূর্তের জন্য শান্তি নেই। সারাদিন ব্যাস্ত দুনিয়ার পেছনে। একদিন তাঁর অফিসে বসে গল্প করছিলাম, এমন সময় তাঁর এক কর্মচারী আসল। তার কোন কারণে কিছু টাকার দরকার। সে ইনিয়ে বিনিয়ে বলল, সে অত্যন্ত অভাবি ব্যক্তি, তাঁকে সাহায্য করার জন্য।
আমার বন্ধু হেসে বলল ''যদি অভাবের কথাই বলতে হয়, এই পুরো অফিসে আমার চেয়ে অভাবি আর কেউ নেই। আমরা একটু থতমত হয়ে গেলাম। আমি বললাম 'আমাদের সবার মিলিয়ে যত সম্পদ আছে তোর একারই তার বেশি আছে।'
সে বলল তোদের একটা গল্প শুনাই। তাহলেই আমার অভাবের রহস্য বুঝবি।
এক বিশাল ব্যবসায়ি, তাঁর সবই আছে খালি শান্তি নেই। খালি হাহাকার আর টেনশান। চিন্তায় মাথার চুল একটাও বাকি নেই। সে একদিন দেখল তাঁর অফিসের পিয়ন টেবিল মুছছে আর গুনগুন করে গান গাচ্ছে।
সে পিয়নকে দেকে বলল এই যে তুমি মনে মনে গান গাও, তোমার কি অনেক সুখ, তোমার মনে কি কোন দুঃখ নেই, কোন হতাশা নেই?।
পিয়ন বলে না, হতাশা কেন থাকবে স্যার, আপনি যা বেতন দেন তাদিয়ে আলহামদুলিল্লাহ আমার ভালই চলে যায়। আল্লাহর রহমতে কোন অভাব নেই।
ব্যবসাইতো আরো টেনশানে পড়ে গেলেন। ওনার ম্যানেজারকে ডেকে বললেন, আমার সব আছে কিন্তু শান্তি নেই, আর ওই লোককে আমি সামান্য কয়টা বেতন দেই, সে আছে মহা সুখে, এর রহ্স্যটা কি?
ম্যানেজার বলল , রহস্য বললে বুঝবেননা। সত্যই যদি বুঝতে চান তাহলে, ওই পিয়নকে প্রমোশান দিয়ে একটা বড় পোস্টে দিন। আর তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দিন। এরপর দেখুন।
ব্যবসায়ি তাই করল। এতোগুলো টাকা, আর এতবড় চাকরি, পেয়ে পিয়ন আনন্দে আত্মহারা। বাসায়ও সবাই খুশি। যেহেতু এখন অফিসার হয়ে গেছে, এখন তো আর টিনের ঘরে থাকা যায়না। কলিগরা কি মনে করবে।
প্রথমেই বাসা পরিবর্তন করে আরেকটু অভিজাত এলাকায় এপার্টমেন্টে উঠলো। দেখল, বিল্ডিং এর সবাই সন্তানকে বড় স্কুলে পাঠায়, তাই বাচ্চার স্কুলও চেঞ্জ করতে হল। কিছুদিন পড় বউ ঘ্যনঘ্যন শুরু করলো সবার বাসায় কত দামি আসবাব, ফ্রিজ, টিভি, আর আমাদের বাসায় কিচ্ছু নেই। ওগুলোও কিনতে হোল। এরপর শুরু হোল বাচ্চার প্রাইভেট টিউশান, নানা রকম দাবি দাবা। আগে ঈদে একজোড়া জুতা পেয়েই সবাই কত খুশি হত, আর এখন প্রতি মাসে একজোড়া দিলেও তৃপ্তি নেই।
যেহেতু সে এখন বড় চাকরি করে , পরিবারের সবার তাঁর কাছে প্রত্যশাও অনেক। সাধ্যমত চেষ্টা করে, তাও সবার চাহিদা মেটাতে পারেনা। আত্মীয় স্বজন বন্ধু গন তাঁকে অহংকারি ভেবে দুরে সরে গেলো।
এদিকে অফিসের সবাই ফলটা/ প্লট এ বুকিং দিচ্ছে। বৌ সারাদিন বাসায় খোটা দেয় , তোমাকে দিয়ে কিছুই হবেনা। ছেলেমেয়র ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সে চাকরির ফাকে একটা দুইটা টিউশানি করা শুরু করলো। তাতেও কিছু হয়না। নানাবিধ টেনশান আর দুশ্চিন্তায় তারো মাথার চুল আসতে আসতে কমতে লাগলো।
ব্যবসায়ি লক্ষ করলেন ব্যপারটা। উনি বললেন কি ব্যপার , তোমাকে এতো বড় প্রমোশান দিলাম, এতো টাকা দিলাম, আর এখন দেখি তুমি আগের মত আর প্রাণবন্ত নেই। ঘটনা কি?
সে বলল স্যার , কিছু দুনিয়াবি সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু তাঁর সাথে যে এতো চাহিদা আর অভাব আসবে তাতো আর বুঝিনি। আগে আমার কিছুই ছিলনা, অভাবও ছিলনা। আর এখন যেদিকেই তাকাই , খালি নাই আর নাই। আগে আমার অভাব পড়লেও সেটা ছিল এক দুই হাজারের ব্যপার। কোন ভাবে মেটান যেত। আর এখন আমার অভাব লক্ষ কোটি টাকার। এটা কিভাবে মেটাবো সে চিন্তায় আমার এখন আর রাতে ঘুম আসেনা স্যার।
ব্যবসায়ি বলল, এতদিনে বুঝলাম, আমার মুল অসুখ। একটাকার সম্পদের সাথে ২ টাকার অভাব আসে। যতই দুনিয়ার পিছনে ছুটি কবরের মাটি ছাড়া এই অভাব আর অন্য কিছু দিয়েই পূর্ণ হবেনা।
---------------------------------------------------
আদম সন্তানের যদি স্বর্ণে পরিপূর্ণ একটি উপত্যকা থাকে, তবে সে (তাতে সন্তুষ্ট হবে না, বরং) আরেকটি উপত্যকা কামনা করবে । তার মুখ তো (কবরের) মাটি ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা ভর্তি করা সম্ভব নয় । যে আল্লাহর দিকে রুজু করে আল্লাহ তার তওবা কবূল করেন - [বুখারী]
জাতির ভবিষ্যত
আজ মোবাইলের কারণে পরিবারের মধ্যে একে অপরের সাথে, ভালো সুসম্পর্ক নেই।
মোবাইলে ব্যস্ত থাকায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়না, কারো সাথে ভালোভাবে কথা বলার সময় নেই। ফলে সবার উপর থেকে সম্মান, স্নেহ, ভালবাসা, গুরুত্ব সবই কমে যাচ্ছে। তাই বলছি আসুন আমরা সবাই সচেতন হই। পরিবারকে ভালোবাসবো, ভালো রাখবো। ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২
ফেসবুক থেকে নেওয়া গল্প যশোহর
আব্বু কথা রেখেছেন। তিনবার ইন্টারমিডিয়েট ফেল করার পর আমার বোনের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন রিকশাওয়ালার সাথে।
সব বাবাই যদিও এরকম কথা রা-গ করে বলেন কিন্তু আমার আব্বু এক কথার মানুষ। বলেছেন এবং দিয়েছেন।
আমার রিকশাওয়ালা দুলাভাইকে নিয়ে আমি খুবই বিরক্ত। যখন তখন আমার সাথে এসে শালী শালী বলে ঢং করেন লোকের মধ্যে আমার খুবই বিরক্ত লাগে।
ভয়ে ভয়ে আমি ভালোভাবে পড়াশোনা করছি। আমি ফেল করতে চাইনা। আমি রিকশাওয়ালা বিয়ে করতে আগ্রহী নই।
দুলাভাইয়ের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আমরা জানতাম না। আব্বু একদিন ওনার রিকশায় বাজার করে ফিরছিলেন তখন উনি আব্বুর সব বাজার নিজে হাতে করে বাসায় পৌছে দিয়ে গেছেন দেখে আব্বু মুগ্ধ হয়েছেন। যার ফলস্বরূপ ওনার সাথে আমার বোনের বিয়ে। কিন্তু ওনার ফ্যামিলির সাথে আমাদের এখনো দেখা হয়নি। দুলাভাই সারাদিন রিকশা চালিয়ে বাসায় এসে ঘাম মুছতে মুছতে ডাকেন,"ও বউ,ও শালী!পানি দেও।''
মনের দুঃখে আমার বোন কয়েকবার আত**** ত্যা করতে গেছে। প্রতিবারই আব্বুর কাছে জোরসে থা - প্প ড় খেয়েছে।
দুলাভাইকে আমার বোন দেখতে পারে না। রাতে আমার ঘরে এসে থাকে আর সারারাত কাঁদে, "লাবণ্য এ আমার কি হয়ে গেল রে!! আমার বয়ফ্রেন্ড ছিল সরকারি অফিসার আর আমার বিয়ে হয়ে গেল একটা রিকশাওয়ালার সাথে রে!!!"
আপুকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। সামনে আমারো রেজাল্ট আমি খুবই আ-তংকে আছি। হয়তো আমার বর হবে এক অটোওয়ালা। তারপর দুই ভায়রা-ভাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকালে একজন অটো নিয়ে বের হবে একজন রিকশা। এদিকে আমরা দুই বোন প্রাইভেট কার ছাড়া কোথাও যাই না। কি একটা অবস্থা!
দুঃশ্চিন্তায় শিউরে উঠে আমার আর সেই রাতে ঘুম হয় না।
আমার বিদেশ থাকা ফুপী বাসায় এসেই চিল্লাচিল্লি শুরু করেছেন! আব্বুকে বলছেন,এইটা তুমি কি করলা? এতবড় ক্ষতি কেউ নিজের মেয়ের করে? এরচেয়ে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতা, আমি কি ম -রে গেছিলাম?
এসব বলতে বলতে আমার দুলাভাইয়ের কাছে গিয়ে রাগী গলায় বললেন,"you scoundrel, How dare you? I will see you!!"
দুলাভাই বললেন, "You can't,bcz she is my legal wife. And whatever, I have no mistakes actually.."
আমরা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি দেখে দুলাভাই আবার বললেন, "আমিও ভালো ঘরের সন্তান।আমিও ইন্টার ফেইল। ইংরেজিতে ভালোই ছিলাম অংকে ধরা খাইছি। এজন্য আমার আব্বুও আমাকে রিকশা কিনে দিছে!"
~সংগৃহীত
বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২
ভ্রমণ সতর্কতা
⚠️ ঢাকা-চিটাগং হাইওয়েতে রাতে ভ্রমণে অধিক সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে রাত এড়িয়ে দিনে ভ্রমণ করুন। ⚠️
ঢাকা - চিটাগাং হাইওয়ের রাতের পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক!
(কোচের গাইডের মুখেই শুনুন লোমহর্সক সেই কাহিনী)
গাইড Musabbir Haque Fahim এর বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করা।
খুলনা গাড়িকে পলাশ স্যার সেদিন ঘুরতে পাঠিয়েছিল ১২ আউলিয়ার পুণ্যভূমিতে।সেদিন সব শিডিউল এলোমেলো!খুলনার কোচগুলো চট্টগ্রামে,চট্টর কোচগুলো বেনাপোলে,সিলেটের কোচগুলো খুলনায়।পাইলট সব চেইঞ্জ,একজনের হাতের গাড়ি আরেকজনের কাছে,অন্যদিকে এক এক করে হেলপার ছাটাই।এক কথায় বিদঘুটে পরিস্থিতি।পরপর চারদিন দুই রুটে এসপির কোচে ডাকাতি তাও আগাম ফোনকল করে জানান দিয়ে !
পলাশ সাহেব নিরুপায়,কোনোকিছু করেও ডাকাতী ঠেকাতে পারছেন না।রাস্তায় বলে কয়ে কোচগুলোকে দাড় করিয়ে দিচ্ছে ডাকাতদল।ডাকাতির কবলে পড়া গাইডরা সাথে অন্য গাইডগুলোও ভয়ে একদিনেই সব চাকরী ছেড়ে চলে গেছে ফলে তীব্র গাইড সংকট।এদিকে আমরা হাতে গোনা কয়েকজন গাইড প্রচন্ড ভয়েও শিডিউল ঠিক রেখে ডিউটি করে যাচ্ছি।কাওকেই রেস্টে পাঠানো হচ্ছে না।ঢাকাতে এন্ট্রি করা মাত্রই কানেক্টিং ট্রিপে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে সবাইকে অন্যত্র। হেডঅফিস থেকে জানিয়ে দেয়া হল সবার বেতন ডাবল।
এদিকে সেদিন সিলেট থেকে ঢাকা এসেই আমাকে তুলে দেয়া হল খুলনা থেকে সবে আসা ৬৮২২ এ পাইলট মুকুল ভাইয়ের সাথে।যাবো কোথায়? চট্টগ্রাম... আবার কোনো হেল্পার নাই! নাইট শিফটের রোমিং আর আমি মিলে পুরো কোচ ঝেড়ে মুছে ঠিক করে ব্লাঙ্কেট গুনে নিয়ে গাড়িসহ পার্কিং এ আসলাম। মালিবাগ থেকেই যাত্রীফুল !
৫ মিনিটের মাথায় সমস্ত যাত্রী তুলে রউনা দিতে যাব ঠিক এমন সময় পলাশ স্যার হাত নেড়ে সামনে থেকে নির্দেশ দিলেন গাড়ি থামাতে। ঘটনা কি তা বুঝতে বিন্দুমাত্র দেরী হল না।আমার আধাঘন্টা পেছনের শিডিউল ৬১৩১ এর গাইড এবং আমাকে পলাশ স্যার কাছে টেনে দাতে দাত চিপে যা বলার দরকার বলে দিলেন।আগাম সতর্কবার্তা! থরথর করে হাত পা কাপা কাপছিল।চুপ করে উঠে দরজা লক করে মুকুল ভাইকে বললাম মোবাইল মানিব্যাগ দেন। আমার আর মুকুল ভাইয়ের মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে গিয়ে রাখলাম ড্যাশবোর্ডের চিপায়। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে যাত্রী সবাইকে সতর্ক করতে যাবো এমনসময় মনে হল ওয়াইডলি এটা স্প্রেড করলে অবস্থা ভয়াবহ হবে।ধীরে সুস্থে ব্রিফিং শেষ করে পানির বোতল হাতে হাতে দিয়ে টিকিট পার্ট কাটতে শুরু করলাম।একজন একজন করে শেষ করছি আর আস্তে করে জানিয়ে দিচ্ছি হাতের কাছে রাখা মূল্যবান জিনিস সাবধানে রাখুন।গাড়ি তখন হানিফ ফ্লাইওভারের টোল বুথে,সব শেষ করে সামনে এসে বসে আছি।
টেনশনে চোখের পলকই পড়তে চাচ্ছে না তারউপর আবার টানা ৪ দিন গাড়িতে।পেছনে ৬১৩১ এর পাইলট বক্কর ভাই ওভারটেক করে এসে মুকুল ভাইকে বাম্পারে বাম্পারে আসতে বললেন।বলেই বক্কর ভাই সে কি টান!! দেখাদেখি মুকুল ভাইও শুরু করে দিলেন টান।কোনো লক টক ছিল না সেদিন,মাইল মিটারে তাকিয়ে দেখি ১২০!!,পুরো সাসটেইন।বক্কর ভাইয়ের ৬১৩২ এর সাথে টেনে কুলিয়ে উঠতে পারছিলোনা ৬৮২২।ডানে বামে কোনো কথা নেই,টেনেই চলছে দুজন।কোনো এক অজানা কারনে পুরো রোড সেদিন অদ্ভুত রকমের ফাকা। মালিবাগ থেকে হাইওয়ে ইনে এসে আমাদের পৌছুতে সময় লেগেছিল মাত্র পৌনে দুই ঘন্টা। হোটেলে ঢুকে বসে আছি সবাই।
সত্য কথা সেদিন বক্কর ভাই,মুকুল ভাই,আমি,সেই গাইড কেউই একটা দানাপানি মুখে তুলতে পারিনি।হোটেল থেকে চেকআউট করে এসে বেরিয়ে দুটো সিগারেট ধরিয়ে সমানে টেনে যাচ্ছি।মুকুল ভাই হোটেল থেকে বেরুবার সাহস পাচ্ছিলো না,বক্কর ভাই এসে এক ধমক দিতেই সিটে গিয়ে বসে বললেন ফাহিমরে ওঠ! ,যা আছে কপালে। বলেই শুরু করলেন আবার টান! সেদিন আমার কোচে ছিল সৌদি থেকে আসা ১১ জন প্রবাসী আর তাদের পরিবার।আমার চিন্তাটা বেশী ছিল সেদিন তাদেরকে নিয়ে । কিছুক্ষন পরপরই ঢাকা অফিস থেকে কল আসছিলো। সাবধানে বুঝে শুনে যেতে বলা হছিলো বারবার। কিন্তু যা ভেবেছিলাম তা ঘটে যেতে খুব বেশী সময় লাগেনি।আমাদের দুটোগাড়ি তখন জোরারগঞ্জ পার হচ্ছিলো। দেখতে পেলাম জোরারগঞ্জ বাইপাস থেকে দুটো কাভার্ডভ্যান ফুলপিকআপে এসে একটা আমাদের সামনে আর আরেকটা পিছন পেছনে আসতে লাগল।
পিকআপ ভর্তি মানুষ,বারবার গাড়ি থামাতে বলছে। মুকুল ভাই বললেন ফাহিম ভিতরে সামলা,আমি এদিকে দেখতেছি।কোচের সমস্ত লাইট জ্বেলে দিলাম। কোচের সবাই সেদিন এতজোরে দোয়াদুরুদ জিকির আজগার করছিলো যে ৪ হাত দূরে বসা মুকুলভাইয়ের সাথে কথা বলতেই আমাকে বেশ জোরে চিল্লাতে হচ্ছিলো। এদিকে দেখতে পেলাম বক্করভাই ফুলপিকআপ নিয়ে সামনের কাভার্ডভ্যানের বাম্পারে আস্তে করে টোকা মারলেন, ডাকাতদল এবার সোজা ৬১৩১ কে সাইড দিয়ে চাপ দিতে আসল আমাদেরকে।
মুকুল ভাই চট করে স্টিয়ারিং সোজা ডানে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। আমি গাইড সিট থেকে সরে এসে মাঝখানে এসে পড়লাম। এবার কিছুদূর যেতেই রাস্তার সাইড থেকে এসে সোজা ফ্রন্ট গ্লাসের ফ্রেমে বিঁধল লম্বা এক সাবল। মুকুল ভাই এবার খিচ টান টানতে লাগলেন। মাইলমিটারের দিকে তাকানোর ফুসরত সেসময় ছিল না। শুধু পেছনে তাকিয়ে দেখি যাত্রীরা একদিকে কাত হয়ে আরেকদিকে যাচ্ছে আবার আসছে।বক্কর ভাই তার গাড়ি টেনে কোথায় নিয়ে চলে গেছিলেন আর দেখিনি।
কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই খুব দক্ষতার সাথেই ডাকাতের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম সেদিন। চট্টগ্রাম আসার পর দেখি কাউন্টারে শ খানেক লোক দাঁড়িয়ে। সবার মুখে হাসি।
আমি দুঃখিত! আমি আর কিছু লিখতে পারছিনা এই মুহূর্তে......
©collected
সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২
ফেইসবুক থেকে নেওয়া জীবনের গল্প
নীচে যার ছবি দেখছেন আগামীকাল ওঁর বিয়ে৷ প্রতিদিনের মতোই আজও সকালে সব্জী নিয়ে বাজারে বসেছে আকাশ। আকাশ আমার বন্ধু, আকাশ আমার ভাই৷ জঙ্গলমহল, ঝাড়গ্রামের মফঃস্বল শিলদা বাজারে ওঁর দোকান৷ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এমএ পাশ করেছে আকাশ। এমএ-তে ফার্স্টক্লাস রয়েছে আকাশের। এমএ-র পর বিএডও সম্পূর্ণ করেছে ও৷ ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপার প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিল আকাশ৷ তারপর মাঝে ৭ বছর কেটে গিয়েছে৷ এর মাঝে বার কয়েক কলকাতা এসে এ উকিল সে উকিলের দরজায় দৌড়াদৌড়িও করে গিয়েছে আকাশ৷ জঙ্গলমহলের অধিকাংশ ছেলেমেয়েদের কাছে কলকাতা এখনও অচেনা পৃথিবী। শিলদা, বেলপাহাড়ি, লালগড় সংলগ্ন প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরা বাড়িতে 'কলকাতা যাবো' বললে, এখনও উদ্বিগ্ন হয়ে বাড়ির মা-রা বলেন
- হ্যাঁ রে কলকাতা যাবি, একা পারবি তো?
আকাশের পক্ষেও একা কলকাতা আসা সত্যি চাপের। প্রতিদিন খুব ভোরে উঠে পাইকারি বাজার থেকে সব্জি কিনে নিয়ে আসা। তারপর ৬ টা থেকে ৮ পর্যন্ত একটা কোচিংয়ে পড়ানো৷ তারপর আবার দোকানে এসে ১১ টা ১২ কখনও আরও দুপুর পর্যন্ত সব্জি বিক্রি৷ বিকেলে আবার টিউশানি পড়ানো৷ কলকাতা থেকে গ্রামে ফিরলে আমার বেশিরভাগ সময় শিলদাতেই কাটে৷ অনেকটা সময়ই আকাশের সঙ্গেও৷ যখনই ওর দোকানে গিয়েছি আড্ডা দিতে কিংবা ও চায়ের আড্ডায় এসেছে, ওর মুখে এই হাসিটা সবসময় অমলিন থেকেছে৷
গত ৩০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে ২১ কোটি টাকা উদ্ধার নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম৷ শুক্রবার সন্ধ্যেবেলায় যখন এই খবরটা প্রথম ব্রেক হল তখন আমি আমার নিউজ হাউসে। এই খবরটা দেখে প্রথম যার কথা মনে পড়েছিল সেই ছেলেটির নাম আকাশ বিদ। আকাশ বিদ, সংস্কৃতে এমএ ফার্স্টক্লাস, আপার প্রাইমারি টেট কোয়ালিফায়েড৷ আজ গ্রামবাংলার কিংবা কলকাতারই কোনও স্কুলে শিক্ষকতা করার কথা ছিল আকাশের। ওটাই ও করতে চেয়েছিল৷ শুক্রবার সারা গ্রামবাংলার এরকম অগনিত শিক্ষিত শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখা আকাশরা দেখল তাদের স্বপ্নগুলো বিক্রি করে টাকা জমা করা হয়েছে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটের বদ্ধ ঘরে৷
২১ কোটি টাকায় কত কেজি পটল, ঝিঙে, টমেটো, আলু হয়? ঠিক ক'তজনের স্বপ্ন ঠোঙা হয়ে বিক্রি হয়ে যায় রক্ষিতাদের ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে, তা আমার জানা নেই, আমাদের জানা নেই।
এরকম কত আকাশের গল্প অজানা থেকে যায়।
আচ্ছা আকাশের মা-বাবা কিংবা ও নিজে অসুস্থ হলে এসএসকেএম-এ এসি কেবিন পাবে? কার্ডিও, মেডিসিন, অর্থোর তিনজন ডাক্তার? কিংবা একটা গোটা মেডিক্যাল বোর্ড?
বাংলার যুব সমাজের স্বপ্ন-পাচার করছে যারা তাদের জন্য অভিশাপ বরাদ্দ থাকবে না?
শে --- ভা র তী য়।।
#collected
সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।
সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...
-
একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের ...
-
#মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বন্যা সারা সকাল মিসেস সালমার বাসায় কাজ করে, তাকে খালাম্মা বলে ডাকে। সে মিসেস সালমার য...
-
ছাদ ঢালাইয়ের হিসাব। ও ১৫০০ বর্গ ফিট একটি ছাদ ঢালাই এর ইট, বালু, সিমেন্ট এবং রড এর পরিমান বের করার হিসাব মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট এবং ছ...