এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ভাগ্য ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্প

আমার শালিকা রুমির বিয়ে হবার পর থেকে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে শ্বশুর আব্বা আমাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি আসল রহস্যটা উদঘাটন করতে পারি রুমির স্বামীর অর্থবিত্ত দ্বারা। কেননা আমি পেশায় একজন সাধারণ হাই স্কুলের শিক্ষক হলেও রুমির স্বামী পেশায় একজন সরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা। 

আমার স্ত্রীও বোনের এমন বড় ব্যক্তিত্বের সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকে হিংসায় জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে এবং মাঝেমধ্যেই আমাকে আমার অবস্থান নিয়ে হেয় করতে ভুলে না। নারীদের এমন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমি আগে থেকেই অবগত হওয়াতে আমার স্ত্রীর এরকম ব্যবহারে আমি কিছু মনে করিনা। সেদিন সুমি অর্থাৎ আমার স্ত্রী কিছুটা আফসোসের স্বরেই আমার পাশে বসে বলে উঠলো, 
"কেবল আমিই তোমার সাথে এই কুড়েঘরে সংসার করলাম, অন্য কোনো মেয়ে হলে দুদিনও থাকতো না। আমার বোনটা যে স্বর্ণ কপাল নিয়ে জন্মেছিল সেটা ওর শ্বশুরবাড়ি দেখলেই বোঝা যায়। আর আমি জন্মেছিলাম এই পোড়া কপাল নিয়ে।"
সুমির কথা শুনে আমি শুধু মুচকি হাসি কিন্তু কিছুই বলিনা। কারণ মেয়েদের আকাঙ্ক্ষার কোনো শেষ নেই, তাদের যত দেওয়া হবে ততই তারা আফসোসের সাগরে হাবুডুবু খাবে, হয়তো সব মেয়ে এক নাও হতে পারে।

রুমির বিয়ের দুমাস পর শীতের ছুটিতে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। আমাদের পাশাপাশি রুমির স্বামীসহ ওদের শ্বশুর বাড়ি থেকেও অনেক মেহমান এসেছে শীতের আমেজটা উপভোগ করার জন্য। এত এত মেহমানের খাবার দাবার রান্নার দায়িত্বটা আমার স্ত্রী এবং শাশুড়ি আম্মা বেশ খুশি মনেই সম্পাদন করছেন। কিছুক্ষণ পরপরই আমার শাশুড়ি এসে তার ছোট মেয়ে জামাইকে এটা ওটা জিজ্ঞেস করছেন যে কিছু লাগবে কিনা? অথচ আমি এবাড়িতে আসার পর আমার দিকে একবারের জন্য মুখ ফিরিয়ে তাকিয়েছেন কিনা তা সন্দেহ! তবুও মনকে এই বলে বুঝ দিচ্ছি যে, নতুন জামাইয়ের প্রতি এটুকু কদরতো থাকবেই। আর আমিতো এই বাড়ির পুরোনো সদস্য, পুরাতন দের বেশি আপ্যায়ন না করলেও হয়। এসব বলে মনকে সান্ত্বনা দেওয়ার মাঝেই আমার শ্বশুর আব্বা পুনরায় আগুনে ঘি ঢালা রূপে আবির্ভাব হলেন। তিনি বাজার থেকে তার ছোট জামাইয়ের পছন্দের সকল কিছুই কিনে এনেছেন এবং আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে তিনি সবার সামনেই রুমির স্বামীর ব্যপারে গুনগান গাইছেন। তিনি ভেবেছিলেন এতে হয়তো আমি ঈর্ষান্বিত হবো কিন্তু আমিতো আর এতো সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ার পাত্র নই।

এরপর কেঁটে যায় আরো ছয়মাস, কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা ব্যপার হলো এই ছয়মাসে আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে কেউই আগবাড়িয়ে কল দিয়ে আমার খোঁজখবর নেয়নি। অথচ রুমির বিয়ের আগে আমার শ্বশুর সামান্য কোনো সমস্যার মুখোমুখি হলেও আমার কাছে কল দিয়ে উপদেশ গ্রহণ করতেন নয়তো সাহায্য চাইতেন। আমিও কখনোই তাদেরকে কোনো কাজে অসম্মতি জানিয়ে নিরাশ করতাম না। তবে সুমির সাথে তারা নিয়মিতই কথা বলেন কেননা মেয়ের সাথে কি কথা না বলে থাকা যায়?
বোঝাই যাচ্ছে আমার শ্বশুর আব্বা আমার থেকেও রুমির স্বামীকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। 

আজ বাসায় ফেরার পর হঠাৎই সুমি বেশ উৎকন্ঠা নিয়ে আমার পাশে বসলো। খারাপ কোনো সংবাদ ব্যতীত সচরাচর ওর এমন উৎকন্ঠা দেখা যায় না। কৌতূহল বসত জিজ্ঞেস করলাম,
"কি হলো তোমার? এমন চিন্তিত মুখে বসে আছো কেন?"
"না আসলে আজ মা কল দিয়েছিল। বললো রুমি নাকি ওর স্বামীর সাথে আর ঘর করতে চায় না। মা হাজারবার বুঝিয়েছে কিন্তু ওতো নাছোরবান্দা।"
আমি অবাক নয়নে সুমির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
"এতো ভালো ঘরে ওর বিয়ে হলো এমনকি ওর স্বামীও একজন সরকারী চাকুরিজীবী তাহলে কি কারণে ও সংসার ছাড়তে চায়? তোমার মতো অভাবে তো আর নেই। তুমিতো আমার মতো এই গরীবের ঘরেও সংসার করে চলেছো।"
আমার কথায় সুমি বেশ ইতঃস্তত ভঙ্গিতে বললো, 
"ধুর এসব কথা ছাড়ো এখন। আর কারণটা আমিও ঠিক জানিনা। তুমি একটু বাবাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস কইরো।"
আমি আর কিছু না বলে গোসলের প্রস্তুতি নিতে চলে গেলাম।

এর কিছুদিন পর হঠাৎই রুমি ওর শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে আসে। মূলত সবার অজান্তেই রুমির স্বামী অন্যত্র এক মেয়েকে বিয়ে করে। আর এই বিষয়টা রুমির পাশাপাশি আমার শ্বশুর শাশুড়িও মেনে নিতে পারেননি। কারণ যেই মেয়ে জামাইকে তারা এত আদর আপ্যায়ন করেছেন সেই লোকই আজ তাদের মেয়েকে ধোঁকা দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছে, এটা কোনো বাবা মা'ই হয়তো মেনে নিতে পারবে না।

রুমি ওর স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার কিছুদিন পরই আমি সুমিকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসি। আমার শ্বশুর আমাকে দেখে কোনো এক অজানা কারণে মুখ লুকাচ্ছেন। এর পিছনের গল্পটা আমি জানলেও তখন প্রকাশ করলাম না।

রাতে যখন সুমি আর আমি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিবো তখন হঠাৎই আমার স্ত্রী বেশ চিন্তিত মুখে বলে ওঠে, 
"আমার বোনটার সাথে কেন যে এমন হলো বুঝতে পারছি না। ওর ভাগ্যটা আসলেই খারাপ।"
আমি সামান্য মুচকি হেসে বললাম, 
"ওতো স্বর্ণের কপাল নিয়ে জন্মেছিল তাই হয়তো এরকম হলো। আর তুমিতো জন্মেছিলে পোড়াকপাল নিয়ে তাই হয়তো এখনও তোমার জীবনে কোনো দূর্ঘটনা ঘটেনি।"
আমার কথা শুনে স্বভাবতই আমার স্ত্রী মুখে কুলুপ এঁটে চুপ করে রইল। কারণ এমন বাক্যের প্রতিউত্তরে কিছু বলার মতো বাক্য তার মুখে অবশিষ্ট থাকার কথা নয়। এটাই হয়তো এক অন্য রকম মধুর প্রতিশোধ। 

(সমাপ্ত)

ফেইসবুক থেকে কপি করা 


 

আপনার গাড়ির স্টিয়ারিং কাঁপছে??????

আপনার গাড়ির স্টিয়ারিং কাপছে??


কি কি কারণে গাড়ির স্টিয়ারিং কাপতে পারে-


১.হুইল এলাইনমেন্ট ঠিক না থাকলে।

২.টায়ারের কিছু অংশ যদি ফুলে যায়। অর্থাৎ কিছুটা টিউমারের মতো।

৩.ডিস্ক / ড্রাম বাঁকা থাকলে (ওয়ার্কশপে বলে টাল থাকলে)। 

৪.সিভি জয়েন্টের সমস্যা হলে।

৫.স্টিয়ারিং র‍্যাক খারাপ হলে বা র‍্যাকে থাকা বুশগুলো ছিড়ে গেলে।

৬.এক্সেলের বিয়ারিং নষ্ট হলে বা এক্সেল খারাপ হলে।

৭.চাকা যদি ভালো করে না লাগানো হয়।

৮.সাসপেনশন খারাপ হলে।

৯.গিয়ার বক্স/ইঞ্জিন মাউন্টিং ছিঁড়ে গেলেও গাড়ি কাপতে পারে।

১০.এছাড়া বিভিন্ন বুশ থাকে সেগুলো ছিঁড়ে গেলেও গাড়ি কাপতে পারে।


মোটামুটি এসব কমন সমস্যার কারনে স্টিয়ারিং কাপতে পারে। 

মাছ 🎏 ভাজার টিপস ফেইসবুক থেকে

মাছ ভাজা সকলেই পছন্দ করি আসুন মাছ ভাজার কিছু টিপস জেনে নেই —


১. প্রথমে মাছ গুলো কেটে পানি ঝরিয়ে নিন।


২. মাছের গায়ে হলুদ, মরিচ, লবন দিয়ে মাখিয়ে রাখুন।


৩. ফ্রাইপ্যানে তেল গরম হতে দিন এক চিমটি লবন তেলে ছিটিয়ে দিন তাহলে তেল ছিটে এসে গায়ে পরবেনা ॥


৪. তেল যখন গরম হবে তখন মাছ গুলো আস্তে করে দিয়ে দিন।


৫. তেল গরম না হলে ফ্রাইপ্যানে মাছ লেগে যাবে তাই তেল আগে গরম করুন এবার মাছ দিন।


৬. কই মাছ তেলাপিয়া মাছ বা অন্য মাঝারী সাইজ মাছ হলে মাছের গায়ে চির চির করে কেটে নিতে হবে তাহলে মসলা ঢুকবে মাছে।


৭.চুলার জ্বাল মাঝারি রেখে মাছ ভাজতে হবে বেশি জ্বাল দিলে এক পাশ পুড়ে যেতে পারে

তাই এক পাশ ভাজা হলে আরেক পাশ ভাজতে হবে।


৮.বেশি মচমচে করতে চাইলে মাছের সাথে একটু কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে।তাহলে মাছ মচমচে হবে।চালের গুড়াও দিতে পারেন।


৯. যারা একটু নরম ভাজা খেতে চান তারা আগেই নামিয়ে ফেলবেন।


১০.যারা মাছের গন্ধ বেশি নিতে পারেন না তারা মাছ ভাজার সময় একটু সরিষা তেল ব্যবহার করবেন তাহলে গন্ধ সুন্দর হবে।


১১. খুব বেশি ডুবো তেল না আবার কম তেল না একটু নরমাল পরিমান তেল নিয়ে মাছ ভাজতে হবে।অল্প তেলে ভাজলে মাছ লেগে যাবে।


১২. মাছের রং ব্রাঊন করতে চাইলে অল্প একটু চিনি দিবেন মাখানোর সময় তাহলে কালার ব্রাঊন আসবে।


১৩.পেয়াজ একটু মাছ ভাজা হয়ে যাবার পর ভেজে নিবেন এবং কয়েকটা কাচা মরিচ সামনে একটু ফেলে ভেজে নিতে পারেন।


পেয়াজ কাঁচা মরিচ ভাজা ভাজা মাছের সাথে স্বাদের মাএা দ্বিগুন করে যাদের রুচি কম তারা পেঁয়াজ কাচা মরিচের সাথে মাছ ভাজা খেতে পারেন।


গরম গরম ভাত খিচুড়ী বা পোলাঊ সব কিছুর সাথেই খেতে পারেন মাছ ভাজা।


মনে রাখবেন মাছ ভাজা ফ্রীজে রাখবেন না স্বাদ বদলে যাবে।তাই কাঁচা মাছ বক্সে ঢাকনা দিয়ে নরমালে মাখিয়ে রাখতে পারেন পরে শুধু ভেজে নিবেন।


আশা করছি টিপস গুলো আপনাদের কাজে লাগবে । 

কারেন্ট বনাম কলা বেচা ফেইসবুকের মজার গল্প

 বিদ্যুৎ অফিসের সামনে চায়ের দোকানে কলা ঝুলিয়ে রেখেছে বিক্রির জন্যে!!বিদ্যুৎ অফিসের এক প্রকৌশলী চা খাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলো কলার দাম কত??? 

দোকানদারঃ কি কাজে কলা ব্যবহার করবেন তার উপর নির্ভর করে কলার দাম!!


প্রকৌশলীঃ মানে কি ?!?


দোকানদারঃ যদি কোন মিলাদ বা ধর্মীয় কাজে নেন তাহলে দুই টাকা পিচ, যদি রুগির জন্যে নেন তাহলে ৩টাকা পিচ, আর যদি নিজে খাওয়ার জন্যে নেন তবে ৫ টাকা পিচ!!


প্রকৌশলীঃ ইয়ার্কি কর, একই কলার দাম বিভিন্ন হয়?! 


দোকানদারঃ একই খুঁটি হতে বিদ্যুৎ বাসায় গেলে একদর, দোকানে গেলে আরেক দর, কারখানায় গেলে আরেক দর। তাহলে আমার কলা কি দোষ করলো?!? 

সংগৃহীত 

রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মৃতদেহ কবরে নামানোর পরে, ফেইসবুকের গল্প

মৃতদেহকে কবর দেওয়ার ঠিক 24 ঘন্টা পরে মানুষের শরীরের ভিতরে এমন পোকার উৎপত্তি হয় যা মৃতদেহের পায়ুপথ দিয়ে বেরোতে থাকে। তৎসহ এমন দুর্গন্ধ ছড়ায় যা সহ্য করা অসম্ভব। আর ঐ দুর্গন্ধ পোকার সমগোত্রীয় পোকাদের নিমন্ত্রণ দেয়।

দুর্গন্ধ পেয়ে সমস্ত পোকা, মাকড়, বিছে মানুষের মৃতদেহের দিকে যাত্রা শুরু করে আর সবাই মিলে মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করে দেয়।

কবরস্থ করার তিনদিন পরে সবচেয়ে প্রথমে নাকের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে এবং পচন ধরে যায়।

ছয় দিন পরে নখ খসে পড়তে থাকে।

নয় দিন পরে চুল খসে পড়া শুরু হয়।

মানুষের শরীরের সমস্ত লোম ঝরে পরে আর পেট ফোলা শুরু হয়ে যায়,

17 দিন পরে পেট ফেটে যায় আর শরীরের ভিতরের সমস্ত অংশ বাহিরে বেরিয়ে আসে।

60 দিন পরে মৃতদেহের শরীরের সমস্ত মাংস শেষ হয়ে যায়। মানুষের শরীরে একটু টুকরো মাংস অবশিষ্ট থাকে না।

90 দিন পরে সমস্ত হাড় একে অপরের থেকে পৃথক হয়ে যায়।

এক বছর পরে মানুষের শরীরের সমস্ত হাড় মাটির সঙ্গে মিশে যায়।

আর যে মানুষের মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়েছিল তার সমস্ত অস্তিত্ব মুছে যায়।

অতএব আমার ভাই ও বোনেরা বলুন -

মানুষের এতো অহংকার, এতো আত্মগরিমা, এতো হিংসা, এতো বিদ্বেষ, এতো লালসা, এতো নাম, এতো শৌর্য্য, এতো সম্মান, এতো শক্তি, এতো সামর্থ্য, এতো ধণদৌলত, এতো ক্ষমতা, এই বাদশাহী কোথায় যায়?

সবকিছুই মাটিতে মিশে যায়।

মানুষের অস্তিত্ব বা কি আছে?

মাটি থেকে সৃষ্ট, মাটিতেই কবরস্থ হয়ে, মাটিতেই মিশে যায়।

5 ফুট, 6 ফুট, 7 ফুটের মানুষ কবরে চলে যাওয়ার পরে তার নাম, চিহ্ন মুছে যায়।

এই দুনিয়াতে গাম্ভীর্যের সঙ্গে বিচরণকারী যখন কবরে চলে যায় তখন তার অস্তিত্ব মাটি ছাড়া অন্য কিছুই থাকে না।

অতএব মানুষের আসল জীবন, আমৃত্যু জীবন যাতে সুন্দর হয় এবং শান্তিপূর্ণ হয় তার চেষ্টা করা উচিত এবং সেই মোতাবেক কাজ করা উচিত।

প্রতিটি ভালো কাজ, এবং প্রতিটি উত্তম কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করা উচিত। আর প্রতিটি মন্দ চিন্তাভাবনার অস্তিত্ব নষ্ট করার জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থণা করা উচিত।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন (আমিন) (কপি ) 

সংসার ফেইসবুক গল্প

স্বামীকে ছুটির দিনে ল্যাপটপের সামনে বসে খুটুরখাটুর করতে দেখে স্ত্রীর প্রশ্ন - কি করা হচ্ছে? 


স্বামীর উত্তর - দুটো টাকা বাঁচাতে কত কি করতে হয়! এসব চিন্তা তো আর তোমায় করতে হয়না।


স্ত্রীর উত্তর - প্লেটে খাবার আহারযোগ্য হয়ে কিভাবে আসবে তাতো তোমায় ভাবতে হয়না।

ময়লা কাপড় ধুয়ে ভাঁজ হয়ে কিভাবে ড্রয়ারে ঢুকে যায়, তা নিয়ে তো তোমায় চিন্তা করতে হয়না। 

বাচ্চা কিভাবে পটি ট্রেইন্ড হলো তা নিয়ে তো তোমায় চিন্তা করতে হয়নি, চিন্তা করতে দেখিও নি। 

বাচ্চাগুলো স্কুলে কি খাবার নেবে, সারাদিন কে কি খাবে, বাজার করে আনা জিনিস কোথায় কিভাবে ঢুকবে, কোনদিন কি রান্না হবে, এসব কিছু নিয়েই তো তোমায় চিন্তা করতে হয় না। 

আর হ্যা, দুটো টাকা বাঁচানোর চিন্তা যদি সত্যিই না করতাম, তবে এই দুর্মূল্যের বাজারে ১০ দিনও চলতে পারতে না, বেতন পেয়ে। এতোদিনে নিস্বঃ হয়ে যেতে। নিজের শখগুলো পর্যন্ত পূরন করি না দুটো টাকা বাঁচানোর চিন্তায়!


স্বামীটি আর কথা না বাড়ানোই সংগত মনে করলো, চুপ করে হাতে মোবাইল নিয়ে টয়লেটে ঢুকে গেলো। এক ঘন্টা ওখানেই কাটবে। 


কিন্তু অভ্যাস কি যায় ম'লে? 


মুখ ফসকে গত দুদিন আগে স্বামীটি বলেছিল, 

- বাচ্চা রাখা এমন কি কাজ, টাকা কামাই করতে হলে বুঝতে। 


গত দুদিন বউটির আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, ফোন বন্ধ। এই দুদিনে স্বামীটি হাড়ে হাড়ে বুঝে গিয়েছে কত সহজ বাচ্চার খেয়াল রাখা। প্রায় পাগল স্বামী কোনোমতে আলুভর্তা আর ডাল দিয়ে বাচ্চাদের ভাত মুখে তুলে দিচ্ছিল সারাদিন শেষে, মোবাইলে টুং শব্দে মেসেজ এলো। 


"কি খুব আরাম লাগছে তো? বাচ্চা পালা তো ব্যাপারই না। আমি বান্ধবীদের সাথে সাজেক যাচ্ছি, ৩ দিন পর ফিরব। বাচ্চাদের দেখে রেখো।"


অতঃপর স্বামীটি প্রতিজ্ঞা করিলো - টাকা কামানো নিয়ে বড়াই, এ জন্মে আর নয়। 

ফিরে আসো বউ, কেঁদে বাঁচি।


সংসার 

ফেইসবুক থেকে কপি করা 

ভালোবাসার গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "কি আশ্চর্য, আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরছেন কেন স্বামী?"


অনিমার কথায় শুভ্র রেগে বেলকনি থেকে চলে গেল। বিয়ের দুই মাস চলছে। অথচ অনিমা আজও শুভ্রকে ওর কাছে পর্যন্ত আসতে দেয়নি। যতবারই শুভ্র অনিমার কাছে গিয়েছে ততবারই অনিমা বলেছে,


"কি আশ্চর্য, আপনি আমার কাছে আসছেন কেন স্বামী?"


"কি আশ্চর্য, আপনি আমাকে কিস করছেন কেন স্বামী?"


"কি আশ্চর্য, আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরছেন কেন স্বামী?"


এসব শুনে শুভ্রর মাঝে মাঝে এক গ্লাস পানিতে ডুবে মরে যেতে ইচ্ছে করে। এইতো সেদিনের ঘটনা, অনিমার শাশুড়ি রাতের খাওয়ার সময় বললেন,


"বউমা আজ তরকারিতে লবণ বেশি হয়েছে। এরপর থেকে রান্নার সময় একটু খেয়াল রেখো।"


তখন অনিমা ওর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বললো,


"কি আশ্চর্য, শাশুড়ি মা তরকারিতে তো লবণ বেশি হতেই পারে।"


অনিমার কথা শুনে ওর শাশুড়ি তাজ্জব বনে গেল।


"মানে?"


অনিমা তখন চেয়ারে বসে গালে হাত দিয়ে বললো,


"কি আশ্চর্য, মানুষ মাত্রই তো ভুল শাশুড়ি মা।"


অনিনার শাশুড়ি তখন শুভ্রর দিকে তাকিয়ে বললো,


"শুভ্র বউমা এভাবে কথা বলছে কেন?"


শুভ্রকে কিছু বলতে না দিয়ে অনিমা আবারো বললো,


"কি আশ্চর্য, আমি তো এভাবেই কথা বলি শাশুড়ি মা।"


অনিমার কথা শুনে ওর শাশুড়ি হা করে তাকিয়ে ছিল শুধু। কিছু বলতে পারেনি।


একদিন অনিমার বান্ধবীরা ওর কাছে আসলো। হাসি ঠাট্টার এক পর্যায়ে অনিমার এক বান্ধবী নিহারিকা জিজ্ঞেস করলো,


"কিরে জিজুর সাথে কেমন রোমান্স করিস হুম?"


অন্য সবাই এই প্রশ্নে হেসে উঠলেও অনিমার উত্তর শুনে সবাই থ হয়ে গেল,


"কি আশ্চর্য, তার সাথে আমি রোমান্স করবো কেন?"


অনিমার কথায় ওর আরেক বান্ধবী জিনাত বললো,


"মানে কি অনি? তুই জিজুর সাথে রোমান্স করবি না তো কি আমরা করবো?"


"কি আশ্চর্য, তোরা রোমান্স করবি নাকি করবি না সেটা আমাকে বলছিস কেন?"


অনিমার কথায় ওর সব বান্ধবীর মাথা ঘুরে উঠেছিল সেদিন।


এরপরের আরেক ঘটনা। একদিন শুভ্রর ফুপি এসে অনিমাকে জিজ্ঞাসা করলেন,


"কি ব্যাপার অনিমা, সুসংবাদ কবে পাবো?"


অনিমা তখন উত্তর দিয়েছিল,


"কি আশ্চর্য, আমি কি পত্রিকা নাকি যে সংবাদ দিব আপনাকে?"


অনিমার কথায় ফুপি অবাক হয়ে বললো,


"আরে মা, আমি বলছিলাম যে আমরা নাতি নাতনির মুখ দেখবো কবে? মানে তুমি আর শুভ্র বাচ্চা নিয়ে এখন কিছু ভাবছো না?"


অনিমা তখন এমন এক কথা বললো যে আশেপাশের সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।


"কি আশ্চর্য, আমরা বাচ্চা নিয়ে কেন ভাববো? আপনাদের নাতি নাতনির দরকার হলে দারাজ থেকে অর্ডার করে নিন। এখন তো দারাজে অফারও চলছে। নিজেদের দাম অনুযায়ি নাতি নাতনি অর্ডার করে নিন।"


অনিমার এই কথা শুনে বেচারি ফুপি সেদিন সোফা থেকে ঠাস করে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। কারণ সে অজ্ঞান হয়ে গেছে।


সেদিনের পর থেকে সবাই অনিমার সাথে খুব মেপে মেপে কথা বলে।


আজকের রাতটা অন্য রকম। আকাশে থালার মতো ইয়া বড় চাঁদ উঠেছে। তার চারপাশে তাঁরারা মিটিমিটি করে জ্বলছে।


শুভ্র আজ অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে অনিমাকে রেডি হতে বললো। আজ ওরা দু'জন ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে যাবে।


রেস্টুরেন্টের ভেতরে এসে নির্দিষ্ট ফ্লোরে গিয়ে বসলো শুভ্র আর অনিমা। তখনই একজন মেয়ে ওয়েটার এসে ওদের দু'জনকে ওয়েলকাম জানালো। তারপর অনিমার দিকে তাকিয়ে বললো,


"ম্যাম আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে।"


"কি আশ্চর্য, আমাকে সুন্দর লাগছে সেটা আপনি বলবেন কেন?"


অনিমার কথা শুনে মেয়েটা থতমত খেয়ে গেল।


"স্যরি ম্যাম।"


"কি আশ্চর্য, আপনি আমাকে স্যরি বলছেন কেন? এক কাজ করুন। এই স্যরি টাকে রোদে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে কুসুম গরম পানির সাথে মিক্স করে খাবেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।"


অনিমার কথা শেষ হতেই একটা আওয়াজ হলো। ঐ ফ্লোরে থাকা বাকি সবাই তাকিয়ে দেখলো, ঐ ওয়েটার মেয়েটা মাটিতে পড়ে আছে।


এটা দেখার পর শুভ্রর অবস্থাটা এমন,


"ছলছল নয়নে হাসিমাখা বদনে 🥺🙂"


শুভ্র আর কিছু না বলে অনিমাকে রেখেই রেস্টুরেন্ট থেকে বেড়িয়ে এলো। অনিমা শুভ্রর পেছন পেছন এসে বললো,


"কি আশ্চর্য, আপনি আমাকে রেখেই একা একা চলে এলেন কেন স্বামী?"


"তো আর কি করবো হ্যা?"


শুভ্রর রাগী কন্ঠস্বর শুনে অনিমা বললো,


"কি আশ্চর্য, আপনি রাগছেন কেন স্বামী? দেখেছেন আকাশে কত বড় চাঁদ উঠেছে। কি সুন্দর!"


অনিমার এমন কথা শুনে শুভ্র ভাবলো,


"এটাই সুযোগ। দেখি বউকে একটু রোমান্টিক বানানো যায় কিনা।"


যেই ভাবা সেই কাজ। শুভ্র অনিমার দিলে তাকিয়ে হেসে বললো,


"ফাগুনি পূর্নিমার রাতে চল পলাইয়ে যায়।"


শুভ্রর কথা শুনে অনিমা আশেপাশে তাকিয়ে বললো,


"কি আশ্চর্য, আমি আপনার সাথে পালাবো কেন স্বামী? আমার মা তো তাহলে আমাকে বকবে। কারণ মা বলেছে, কোনো ছেলের সাথে আমি পালিয়ে গেলে ঐ ছেলেটা আমার চোখ,কিডনি এসব বিক্রি করে আইফোন কিনবে।"


অনিমার কথা শুনে শুভ্র কিছু না বলে কাঁদতে কাঁদতে রাস্তায় বসে পড়লো।মনে মনে ভাবছে,


"কি এমন পাপ করেছিলাম যে এমন পাগল একটা বউ জুটলো আমার কপালে।"


কথাটা ভেবেই শুভ্র আরো জোরে জোরে কাঁদতে লাগলো।


আশে-পাশের সবাই শুভ্রকে এমন করে কাঁদতে দেখে অনিমার কাছে এসে বললো,


"উনি এইভাবে মাঝ রাস্তায় বসে কাঁদছেন কেন?"


অনিমা রাস্তা থেকে একটা মেয়ের হাত ধরে শুভ্রর কাছে গিয়ে ওর পাশে বসে বললো,


"কি আশ্চর্য, আপনি কাঁদছেন কেন? এই নিন একটা মেয়ে। এই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান আপনি। তারপর পর চোখ,কিডনি বেঁচে আপনি আইফোন কিনে নিয়েন।"


অনিমার এমন কথা শুনে আশে-পাশের সবাই দৌড়ে পালাতে লাগলো। আর শুভ্র অজ্ঞান হয়ে গেল।


অনিমা সবার দিকে তাকিয়ে নিজে নিজেই বললো,


"কি আশ্চর্য!"


★সমাপ্ত★


#রম্য_গল্প

#কি_আশ্চর্য


(Repost)

বিঃদ্রঃ এই গল্প দিয়েই গল্পের জগতে এসেছিলাম। দেখতে দেখতে গল্পের জগতে আসার এক বছর পূর্ণ হলো আজ। যারা যারা আমাকে এবং আমার গল্পকে ভালোবাসেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং অফুরন্ত ভালোবাসা। 

হিন্দি সিরিয়াল দেখা বাংলার বধু

 আমার বউ এতই বেশী হিন্দি সিরিয়াল দেখে যে, বাসর রাতেও স্টার প্লাস লাগিয়ে দিয়েছে।

হিন্দি সিরিয়ালে আমার প্রবলেম নেই, কিন্তু প্রবলেম হলো হিন্দি বলাতে।


সে সব কিছু বাংলাতে বললেও, শুধু একটা শব্দ হিন্দি বলে। সেটা হলো চুল'কে বাল বলে।


ওইদিন আম্মাজান বউকে বলল," মা! চিরুনি'টা আনোতো!"

বউ বলল," বালের জন্য নি আনবো,মা!"


মা তো কথাটা শুনে মৃদু স্ট্রোক করলেন। শেষে কোনোরকম বুঝিয়ে  দমানো গেলো।


ওইদিন, আমার বিয়ের পর প্রথম,

আমার বউকে দেখতে অফিসের বস্ আসলো। এসে সোফায় বসে বলল , "দেখি শাওন! তোমার বউ'কে আসতে বলোতো। তোমার বউটা কেমন? আমার আবার কাজ আছে।"


বউ, নাস্তার ট্রে এনে সালাম দিয়ে বলল," স্যার! কেমন আছেন? স্যার, আপনি তো অনেক স্মার্ট।


 স্যার খুশি হয়ে বললেন," আলহামদুলিল্লাহ এবং ধন্যবাদ।


তরী বলল: আপনার বাল থাকলে, আরো সুন্দর লাগত। লম্বা বাল, স্যার'দের কে মানায় ভালো। আমি তো শাওন'কে বালের জন্যই বিবাহ করিছি। না হলে কি করতাম?"


স্যার,বুকে হাত দিয়ে রেখেছেন। মনে হয় হার্ট এটাক

করেছেন। তিনি হার্ট এটাক করে, হাসপাতালে স্ব-ইচ্ছায় চলে গেলেন। কোনো কষ্ট করতে হলো না।


এই মেয়ের চুলকে হিন্দি বলা, আমাকে বিষিয়ে তুলেছে। মাঝে মাঝে আত্মহত্যা করতে মন চায়, কিন্তু মহাপাপের জন্য পারিনা।


ওইদিন গ্রাম থেকে ফুঁপি এসেছেন বউ দেখতে। 

বউ এর চেহারা দেখে বললেন, মাশাল্লাহ! বউয়ের চেহারা তো জব্বর। চুলটা লম্বা করলে আরো সুন্দর লাগত।


বউ বলে কিনা," আপনি তো বালের কথা বলতেছেন। বাল বড় রাখতে, আপনাদের ভাতিজাই দে না!"


ফুঁপি কথাটা শুনে অজ্ঞান হয়ে গেলেন। শেষে গ্রামে গিয়ে জ্ঞান ফিরলো।


এই বালের শব্দের জন্য বাবার দুইবার হার্ট এটাক, মায়ের দুইবার স্টোক হয়ে গেছে অলরেডি। ডাক্তার বলেছে, আরেকবার হলে বাঁচানো যাবে না।


এভাবে হলে তো সংসার  শসান হয়ে যাবে।


তাই চিন্তা করলাম "তরী" কে ডিভোর্স দিবো।


ডিভোর্স দিতে বউকে নিয়ে গেলাম আদালতে, জজ সাহেব "তরী" কে জিজ্ঞাসা করল: মা! ডিভোর্স কেন  দিচ্ছে তোমার হাজবেন্ড? প্রবলেম কিসে?"


বউ বলে," আমার কোনো প্রবলেম নেই। প্রবলেম আমার বালে। বাল কে আমি বাল বলি, সেটাকি আমার দোষ। বাল বলা কি অপরাধ স্যার। আপনি কি বালের জজ, যে বালের  রায় দিবেন?"


জজ সাহেব দেখছি অজ্ঞান হয়ে উপুড় হয়ে টেবিলের ওপাশ থেকে নীচে পড়ে গেছেন। মনে হয় বেঁচে নেই।


তারাতারি কেউ দেখার আগে কেটে পড়লাম।


সে ঘটনার পর, বউ'কে বাংলা মাস্টার রাখলাম, যাতে শব্দটা চেঞ্জ করে।


বাংলা মাস্টার পড়াচ্ছেন," বাল মানে চুল, চুল মানে বাল নয়!"


মুখে মুখে তরীও পড়ছে। "বাল মানে বাল, বাল মানে বাল নয়!"


আমি মনে হিন্দি সিরিয়াল'কে বাল বলে গাল দিতে থাকলাম।


আমি একটা চুলের শ্যাম্পু কোম্পানিতে চাকরী করি। ঘরে বউ এর বাল শব্দটা শুনতে শুনতে কখন যে আমার মাঝে, বালের ভাইরাস'টা ঢুকে গেছে আমি বুঝতে পারিনি।


ওইদিন আমাদের প্রোডাক্ট নিয়ে লাইভে মার্কেটিং করছিলাম। শ্যাম্পু'টা হাতে নিয়ে বললাম,"এই হলো বালের শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পু দিলে,আপনার বাল হবে উজ্জ্বল ও রেশমি। আপনার বালকে চিল্কি করতে আজই সংগ্রহ করুন, এই শ্যাম্পু! শ্যাম্পু মাখুন বাল লম্বা করুন!"


এই বালের চক্করে পুরা কোম্পানিই শেষ হয়ে গেল। বস্ও উপরে চলে গেলেন।


শেষে, অনেক কষ্টে দুয়া-কলমার মাধ্যমে আমার বাল শব্দ থেকে চুল শব্দটা ফেরত পেলাম।।


যতো চিন্তা রয়ে গেল তরীকে নিয়ে।।


--------------------------------------------------------------------


এদিকে, একবছর পরে, মাস্টার কান্না করে বললেন," ইয়েস! আমি সাকসেস! আমি পেরেছি। আমি বাল চেঞ্জ করতে পেরেছি।


---মানে?(আমি বললাম)

---না, মানে... আপনার বউয়ের বাল চেঞ্জ করতে পেরেছি।

---কি?

--না! বাল শব্দটা চেঞ্জ হয়েছে।


আমি আনন্দে মাস্টারকে বুকে নিয়ে নিলাম। দুইহাজার টাকা আনন্দে বালের জন্য বাড়িয়ে দিলাম।


না, এখন আর বাল নিয়ে প্রবলেম হচ্ছে না। তরী, একদম সুস্থ। 


ঘরে,সিরিয়ালও নিষিদ্ধ করে দিয়েছি।


অফিসে বসে আছি। হঠাৎ হাসপাতাল থেকে চেনা কণ্ঠে  ফোন,বলল: তোমার মা হাসপাতালে আছে। আইসিউতে। শেষ দেখা দেখতে চাইলে হাসপাতালে আসো।


আমি তাড়াতাড়ি আসলাম হাসপাতালে। 


লুকিং গ্লাস দিয়ে আইসিউর রুমের ভিতর তাকিয়ে দেখি, মা জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।


হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে ঢুকতেই  তরী আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল।


আমি বললাম: কী হয়েছে? আমার মা আইসিউতে কেন?"


তরী,আমাকে বলল: মা বলেছিল, চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়িয়ে দিতে।  আমি চিরুনি এনে মা'র চুল আঁচড়াতে লাগলাম। বললাম: মা, আপনার চুল উঠে যাচ্ছে। মা, এই প্রথম চুল শব্দ বাংলায় শুনে কেঁদে দিলেন। বললেন, মা! তুমি দেখছি চুল বাংলায় বলছো! এত খুশি রাখি কোথায়? আমার কপালে চুমু কাটলেন।"


তরী কান্না করে বলতে থাকে," আমি তারপর মাকে বললাম, মা! হোগা, হোগা,সব হোগা! একশ বার হোগা। আমার হোগা, মা!"


আর মা তারপর আইসিউতে।।।


#গল্পঃবাল_মানে_চুল।

#গল্গ টি সংগ্রহীত। 

এরকম কিছু বিনোদন থেকে দুরে থাকুন

 গত কিছুদিন ধরে খেয়াল করছি, ❝যৌনকর্মীর ছেলে❞ গালিটা বেশ চর্চিত হচ্ছে । একজন আরেকজনকে ❝যৌনকর্মীর ছেলে❞ বলে খুশিতে লুটিয়ে পড়ছে।


❝ব্যাচেলর পয়েন্ট❞ নাটকের নতুন ট্রেন্ড এই  “যৌনকর্মীর ছেলে” গালি।


যেহেতু এই নাটকের বেশিরভাগ দর্শক উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ে, তাই কোন গালি দিলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে মুখেমুখে। একবার ভাবুন তো, একটা নাটক গোটা এক প্রজন্মকে শেখাচ্ছে, কিভাবে অন্যের জন্মদাতা মাকে সহজভাবে বে*শ্যা বা পতিতা বলে গালি দিতে হয়।


শুধু কি তাই? ফেসবুকে এসে সেই নাটকের প্রমোশনাল পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, এএএএএ ❝যৌনকর্মীর ছেলে❞...! পোস্টদাতা এই নাটকেরই অন্যতম চরিত্র পাশা নামে খ্যাত মারজুক রাসেল। তিনিই মূলত এই গালির জনক।


ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকটি ঘিরে এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়, গত কয়েক মাসে অনেক অশ্লীলতা ছড়িয়েছে এরা।


সর্বশেষ ❝যৌনকর্মীর ছেলে❞ গালির মাধ্যমে আবারো নিজেদের জাত চেনালো অমি, মারজুক রাসেল, আরেফিন শুভ, জিয়াউল হক পলাশ গ্যাংরা।


এইসব ফালতু আজাইরা নাটক বয়কট করা সময়ের দাবি।


একটা জাতিকে ধ্বংস করার জান্য তাদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়াই যথেষ্ট। 


সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ, নতুন প্রজন্মকে এদের হাত থেকে বাঁচান!

সব মেয়েদের পড়ার এবং সতর্ক থাকার অনুরোধ

 " সব মেয়েদের পড়ার  এবং সতর্ক থাকার অনুরোধ "


১।   সবার আগে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন।

এই জিনিসে কোন কম্প্রোমাইজ করবেন না, মরে গেলেও না।


২।   আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা কক্ষনো বিসর্জন দিবেন না। তাতে মরে যেতে হলে, যাবেন।


৩।   চোখ বন্ধ করে পুরুষকে বিশ্বাস করবেন না। (গনহারে trust এর কথা বলছি, trustworthy man অবশ্যই আছে) পুরা ফেরেশতা মার্কা স্যার, বাবার বন্ধু, মামার ফ্রেন্ড, বড় ভাইয়ের বন্ধু, একদম ফ্যামিলি পার্সন, এরকম-এমন কারো সাথে একা কোথাও থাকবেন না।

Be careful who you trust, the devil was once an angel.


৪।  বান্ধবীর বাড়ীতে যেতে হলে পরিবারকে জানান। ফোন নাম্বার মা, বাবা, বড় ভাই, বোন কে দিয়ে যান। সবসময় নিরাপদে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ীতে ফিরবেন। রাতে চেষ্টা করবেন না থাকার। থাকলেও বাড়ির পরিবেশ দেখে নিয়েন।


৫।   নিজের gut feelings -কে সব সময় প্রাধান্য দিবেন। দেখে কিছুই মনে হয় না, খুব ভাল মানুষ, কিন্তু মন কেন যেন ব্যাক্তিটাকে পছন্দ করে না। এমন হলে সেই ব্যাক্তি থেকে ১০০ হাত দূরে থাকেন।

trusting your 'Gut Feeling' is often the best strategy to save yourself.


৬।  নিজের আবেগ সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। মেয়েরা আবেগের কারনে ভিক্টীম হয়।


৭।   ফ্যামিলিকে সব সময় পাশে রাখবেন। ফ্যামিলিকে, বিশেষ করে মাকে বন্ধু বানান। তার সাথে সব যেন শেয়ার করা যায় এমন ভাবে সম্পর্ক করবেন বাবা মার গোপনে কিছু কইরেন না। victim হলে আপনি হবেন। তখন বাবা মা এটাই ভাববে "মেয়েটা আমাদের বলল না কেন!!"


৮।৷  কাউকে বিশ্বাস করার আগে ১০০ বার ভাববেন।

You read it right. ১০০ বার।


৯।   নিজেকে ভালবাসেন। এটা খুব দরকার। আপনি কালো, শর্ট, মুখে ব্রন --বিলিভ মি এগুলা কিচ্ছু না। ঈশ্বর আপনাকে যেভাবে বানিয়েছেন আপনি সেভাবেই সুন্দর। আপনার মেধা, ব্যাক্তিত্ব দেখে যেন একটা ছেলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে ঐভাবে তৈরি করেন।


১০।   সব সময় সত্যকে পাশে রাখবেন। মিথ্যা অনেক সহজ। অন্যায় অনেক আনন্দ দেয়। কিন্তু তা সব সময় ক্ষণিকের জন্য। সত্য সব সময়ের জন্য। তা যত কষ্টের হোক।


১১।   জীবন অস্বাভাবিক সুন্দর। হতাশা, unexpected crisis, unexpected incident এগুলা লাইফের পার্ট।

ও আচ্ছা, এমন হইল। ঠিকাছে। এরপর কি?-- লাইফের প্রতি এমন attitude রাখলে লাইফ আর সুবিধা করতে পারে না। পেইন দেবার আগে ভাবে এরে পেইন দিয়া লাভ নাই।


১২।   মাটি এখন পায়ের নিচে।

১৩
১৪
১৫
১৬
১৭
১৮
১৯
২০

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...