এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
জীবন কাহিনী,,, ফেইসবুক গল্প
"ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুঁয়ে মাকে বললাম, " মা..ভাত দাও।
"মা মাথা নিচু করে অপরাধীর ন্যায় বললো, " বাপরে..ঘরেতো চাউল নাই।
"আমি মায়ের মন খারাপ দেখে জোরপূর্বক হেসে বললাম,
" সমস্যা নেই মা...বাইরে থেকে চা বিস্কুট খেয়ে নিবো। আর আমি কাউকে দিয়ে চাল পাঠিয়ে দিচ্ছি।
"বাড়ীর বড় ছেলে। তিন বোন আর আরেকটা ছোট ভাই আছে। কোনোরকম সারাদিন গ্যারেজে কাজ করে আর বিকেলে দু -তিনটা টিউশনি করে সংসার চালায়। বাবা আমার ছোট ভাই যখন দেড় বছরের তখন স্ট্রোক করে মারা যান। হাঁটতে হাঁটতে এইসব ভাবতেই বুক থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো ।
" চাচা ২ কেজি চাল দাওতো"
"দোকানদার চাচাকে কথাটি বলতেই ওনি দেখেও না দেখার মতো অন্য কাস্টমারদেরকে এইটা সেইটা দিচ্ছেন। আমি আবার বললাম,
" চাচা...
" চাচা সাথে সাথে ক্ষেপে উঠে বললেন,
"বাকি টেহাগুলো আগে দেও এরপরে চাইল দিমু। ৩০০০ টাকার মতো বাকি হইয়া গেছে ওই টেহা না দেওয়া অব্দি কিছু দিবার পারুম না। আঁড়চোখে তাকিয়ে দেখলাম দোকানের সবগুলো মানুষ আমার দিকে কেমন অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে। কান্না পাওয়ার কথা কিন্তু পাচ্ছেনা। ছেলে মানুষের কাঁদলে কি আর চলে! ওইদিন দোকানদারের পা ধরে ভাই বোনকে খাওয়ানোর জন্য চাল এনেছিলাম। আর আজ! আজ আমার ভাইয়ের প্রতিষ্ঠিত, বোনেরা বিবাহিত। একটাবারো এই পঙ্গু ভাইটার খোঁজ নেয়না। হারিয়ে ফেলেছিলাম একটা পা এক্সিডেন্টে। নিজের ছোট ছোট দুইটা ছেলে মেয়ের চেহারা দেখে আফসোস হয়, কেনো যো আগে স্বার্থপর হতে পারেনি। তাহলে আজ হয়তো আমার স্ত্রী আর সন্তান দুটো না তিন বেলা পান্তা নুন খেয়ে থাকতে হতোনা।
© সমাপ্ত
স্ত্রির সাথে রাগ,, ভুল শিক্ষা ,, ফেইসবুকের গল্প
বউয়ের সাথে রাগ করে একটা পার্কে এসেছি। পার্কের ভেতরে ঢুকতেই হঠাৎ একটি রঙ্গনফুলের গাছের পাশে বসে থাকা বৃদ্ধ লোক চোখে পড়লো। বৃদ্ধ লোকটার নিরব কান্না আমার রাগটাকে কোথাও হাওয়া করে দিলো। বেঞ্চির সাথে হেলান দিয়ে তাঁর নিরব কান্নার সাক্ষী হয়তো রঙ্গন ফুল আর আমিই হলাম। এই বয়সে জীবনের একাকিত্ব বড্ড পোড়ায়। তাহলে উনি কী সেই কারনেই কাঁদছেন? কিন্তু তাঁর ওই নিরব কান্নায় কোথাও যেন অসহায়তা অনেকাংশে জুড়ে আছে। এক-পা দু-পা করে আমি এগিয়ে গেলাম। তাঁর পাশের খালি জায়গাটা দখল করলাম। আমার উপস্থিতি হয়তো উনি টের পেলেন। একটু সরে গিয়ে আমায় জায়গা করে দিলেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো,তিনি তাঁর চোখের জল মুছলেন না। আমি একটু আশ্চর্য হলাম। আমাকে দেখে একটু লজ্জিত হয়েও উনার চোখের জল মোছা উচিত ছিলো। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। তাঁর কী কোন বিষেস কারণ আছে। এবার যেন আমার কৌতুহল আরো বেড়ে গেলো। আমি তাঁর কাঁধে হাত রেখে বললাম।
_ ও চাচা কাঁদছেন কেন? কেউ বকেছে। অবশ্য ছোট্ট বাচ্চাদের একটু বকা দিলেই তাঁরা কেঁদে দেয়। আপনি তো আর বাচ্চা নন! কি ঠিক বলিনি।
আমার কথায় তিনি কোন ভাবভঙ্গি প্রকাশ করলেন না,সেটা তাঁর চেহারা দেখে বুঝলাম। তাই আরো একটু কাছে এগিয়ে গিয়ে বললাম।
_ আমি তো আপনার ছেলের মতো! ভেতরের কষ্টটা একটু খুলে বলুন।
এবারের কথাটা হয়তো তাঁর মনে ধরেছে। তাই তিনি চোখের জল মুছে আকাশ পানে তাকালেন। আমিও উনার দেখাদেখি আকাশের ওই তিব্র কড়া রোদের দিকে তাকালাম। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মাঝেই আমার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়তে রইলো। পকেট থেকে রুমালটা বের করে চোখটা মুছে নিলাম। বৃদ্ধ
লোকটা তখনো আকাশ পানে চেয়ে আছে৷ আমি কয়েক সেকেন্ড তাকাতে পারিনি,আর সে এখনো তাকিয়ে আছে আশ্চর্য। কিছু বলতে উদ্যোগ হলে তিনি হঠাৎ মুখ খুললেন।
_ বুঝলে বাবা, মা জোর করে এক গরীব ঘরের মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিয়েছিলো। না ছিলো রূপ না ছিলো ভালো কোন গুন। এটাই ভাবতাম এবং ভেবে এসেছি। বাবা ছোট বেলায় মারা যাওয়ায়,মা কষ্ট করে মানুষ করেন। তাই তাঁর কথা ফেলতে না পেরে সিদ্ধান্ত নিলাম ওই গেয়ো মেয়েকে বিয়ে করবো। করলাম বিয়ে। কিন্তু কেন জানি মেয়েটার সাথে আমার বনি বনাত হতো না। তাই তাঁর ভালো খারাপ দু'টোই আমার অসয্য লাগতো। যখনই ভাবতাম ওর সাথে আমার সারাজীবন কাটাতে হবে,বিশ্বাস করো মাথাটা যন্ত্রণায় ফেটে যেত। তবুও মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতাম না। কিন্তু কিছু চাপা রাগ থেকে প্রায় ওকে ঘর বন্দী করে মারতাম। আর বেচারি চুপচাপ সয্য করে নিতো। তারপর কয়েক বছর পর ওর কোল আলো করে জন্ম নিলো আমার সন্তান। খোকার জন্মের দিন মনে হলো,জীবনে হয়তো এই প্রথম কোন কাজ সে করেছে। আমি ছুটে গিয়ে ছেলেকে কোলে নিলাম। এ-গালে ও-গালে চুমুতে ভরিয়ে দিলাম! অথচ যাঁর মাধ্যমে মহান আল্লাহ ওকে আমার ঘরে দিলেন তাঁর খবর একবারও নিলাম না। এভাবেই দিন কেটে বছরে গড়িয়ে গেলে। আগে ওকে বকাঝকা করার কোন কারণ খুঁজে না পেলেও এখন খোকার সূত্র ধরে ওকে আমি প্রায়শই হুমকিধামকি দেই। আর ও চুপচাপ শুনে যায়। খোকার তিন বছর বয়সে মা মারা গেলো। এবার যেন আমি হাতে চাঁদ পেলাম। কথায় কথায় গায়ে হাত তোলা বাবা-মা তুলে কথা বলা এটাই যেন আমার কাজ হয়ে উঠলো। শুধুমাত্র মায়ের শেষ ইচ্ছার জন্য ওকে কখনো ছেড়ে দিতে পারিনি। যাক সে-সব কথা! আসল কথা বলি। ওকে পছন্দ করতাম না বলে,ওর ভালোটাও মনে হতো খারাপ। আমি যখন কোন খাবার আনতাম খোকার জন্য! তখন ও সেটা অল্প কিছু খোকাকে দিতো, বাকিটা রেখে দিতো। আর খোকা তো কান্নাকাটি করে বাড়ি মাথায় তুলতো। আর খোকার কান্না দেখে আমি ভুল ঠিক বিচার না করেই ওকে রাগারাগি করতাম। এটাও বলতাম আমি চলে গেলে তুই খাবি এগুলো। আর ও অসহায়ের মতো তাকিয়ে বলতো।
_ তুমি যা ভাবছো তা না। বাচ্চাদের একসাথে খাবারের সব দিয়ে দিলে,ওদের নজর সব সময় বেশি থাকবে। যখন অভাবের জন্য কম কিছু পাবে,তখন ওদের হবে না।
আর ওর এই কথা শুনে ওকে একটা থাপ্পড় দিয়ে বাকি রেখে দেওয়া খাবার খোকাকে এনে দিতাম। এভাবেই আমি আমার খোকাকে ছোট থেকেই চোখ বড় বানিয়ে দেই। যা চাইতো সেটা সাথে সাথে দিয়ে দেওয়া। যখন লাগবে বলতো,তখনই প্রশ্ন না করে সেটা কিনে দেওয়া। নিজের পছন্দের খাবার না খেয়ে ওকে দিয়ে দেওয়া! মানে একপ্রকার ওকে বেপথে দেওয়ার মতো সব কাজ আমি করেছি। এভাবে সময় গড়িয়ে বহুবছর কেটে গেছে। আমার বয়স ষাটের দশকে গিয়ে ঠেকেছে। ওই বয়সেও আমি আমার স্ত্রীর সাথে আগের মতোই ব্যবহার করেছি। আমার দেখাদেখি ছেলেটাও মা'কে পছন্দ করতো না। কারণ আমি তাঁকে বেপথে চলতে শিখিয়েছি,আর তাঁর মা বাঁধা দিয়েছে সেই পথে হাঁটতে। মেরেছে, বকা দিয়েছে বুঝিয়েছে। সে বড়দের অসম্মান করেলেই তাঁর মা তাঁকে বকা দিতো,আমি কোলে টেনে নিয়ে উল্টো স্ত্রীকে বকতাম। কিছু নেই বলে যখন খোকা মিথ্যা বলতো,তখন ওর মা বুঝাতো! এভাবে মিথ্যা বলতে নেই। আর আমি সেই মিথ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে খোকাকে সেই জিনিস এনে দিতাম। ঝগড়া মারামারি করে খোকা বাড়ি ফিরলে ওর মা রাগ করে যখন ভাত দিতো না। আমি স্ত্রীকে দু'টো কড়া কথা শুনিয়ে খোকাকে পাশে বসিয়ে খাবার খাওয়াতাম। খোকা বড় হলো,বড় হলো তাঁর চাহিদা। বিয়ে করালাম জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে। আমার স্ত্রী বললো,যে বিয়েতে যত কম আয়োজন হবে,সেই বিয়েতে আল্লাহর রহমত তত। ছেলে মা'কে ধমক দিয়ে বললো। _ আমার বাবা-র কি কম আছে নাকি? তোমার তো আমার সব কিছুতেই অসুবিধা। কোন ভাগ্যে তোমার গর্ভে আল্লাহ আমাকে দিলেন আমি বুঝি না।
আর আমি সব কথায় ছেলেকে সায় দিতাম। একদিন রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমার স্ত্রী বললো। - যেভাবে ছেলেটাকে মানুষ করেছো,আমার তোমায় নিয়ে বড্ড ভয় হয়। কবে জানি তোমার ছেলে তোমার কলার ধরে বলবে! এটা আমার চাই মানে চাই। আমি হয়তো সেদিন দেখা'র জন্য বেঁচে থাকবো না। আর বেঁচে থাকতেও চাই না। শুধু প্রার্থণা করি,সেদিন এই অভাগীর কথা যেন মনে পড়ে তোমার চোখের জল না ঝড়ে। যদি সত্যি ঝড়ে না! আমি যদি দেখতে পাই সইতে পারবো না। প্লিজ তুমি সেদিন আমার কথা ভেবে কেঁদো না কিন্তু। আর ওর কথা গুলো শুনে বললাম। কানের ধারে প্যানপ্যান করো না-তো ঘুমাও। কিন্তু আমি কি কোন দিনও ভেবেছিলাম সেই রাত ছিলো শেষ রাত আমাদের পাশাপাশি শোয়ার। ঘুম থেকে উঠে সেদিন হয়তো আমি প্রথম দেখলাম ও এখনো আমার পাশে শুয়ে আছে। জীবনের প্রায় সাইত্রিশ বছর ওর সাথে কাটিয়ে এই প্রথম ওর আগে আমার ঘুম ভেঙেছে। বেপারটা কেন জানি সাধারণ মনে হয়নি আমার। ওকে নিশ্চুপ হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে আমার খুব ভয় হলো। খুব ভয়! ছোট বাচ্চাদের যেমন কেউ চমকে দিলে ভয় পায়, ঠিক তেমন ভয়। আমি খুব নরম করে সেদিন ওকে ডেকেছিলাম। আর মনে মনে বলছিলাম, আমি যা ভাবছি তা যেন সত্যি না হয়। কিন্তু আমার ভাবনা মিথ্যা করে দিয়ে ও সেদিন ওঠেনি। আমি হঠাৎ খাট থেকে নিচে পড়ে গেলাম। চিৎকার করে খোকাকে ডাক দিলাম। খোকা আর খোকার বউ ছুটে এলো। অল্প সময়ের মধ্যে পুরো এলাকায় খবর ছড়িয়ে গেলো ও আর পৃথিবীতে নেই। জোহর বাদ দেওয়া হলো মাটি। ওর চলে যাওয়াতে হয়তো কেউ কষ্ট পায়নি,তাই আমাদের বাড়িটা মৃত বাড়ি মনে হয়নি। রাত বারার সাথে সাথে সকল আত্মীয় স্বজনরা বাড়িতে চলে গেলো। রইলাম শুধু আমি খোকা,খোকার বউ। ওরা নিজেদের মতো করে ঘরের দুয়ার আঁটকে দিয়ে শুয়ে পড়লো। আমি বারান্দায় বসে রইলাম প্রায় অনেক রাত। যখন ঘরে এলাম,তখন বুকটা ধক করে উঠলো। ওই প্রথম আমি ওর শূন্যতা অনুভব করলাম। মনে করতে রইলাম ওর সকল কথা। আস্তে আস্তে সব কিছু পাল্টে গেলো। যে সন্তানের কাছে আমি বেস্ট বাবা ছিলাম! আজ তাঁর কাছে বোঝা হয়ে উঠলাম। এখন আর আমার খাবারের খোঁজ কেউ নেয় না। খোকা তো জানেই না,আমি ঠিক মতো তিনবেলা খাবার খাই কিনা। অথচ নিজের পছন্দের খাবার গুলো নিজে না খেয়ে ওকে খাইয়েছি। আজ ওর কথা বড্ড মনে পড়ে। ও বলতো সন্তান হচ্ছে নরম কাঁদার মতো,যেমন গড়বে তেমন গড়াবে। আমি ওকে খারাপ গড়েছি তাই ও খারাপ হয়েছে। কখনোই আমি ওর কথার গুরুত্ব দেইনি। ও বলেছিলো,ছেলেকে মানুষ করো,মানুষের মতো দেখতে অমানুষ নয়। সেদিন এই কথার জন্য ওকে কি মা'রটাই না দিলাম। নিজের বলতে আজ আর কিছু নেই। সব নিয়ে গেছে খোকা। শেষ সম্বল বলতে আছে বাড়িটা। আজ সেটার জন্যও আমার দিকে তেড়ে এসেছে। বলে আমার ব্যবসার জন্য টাকা দরকার। তুমি যদি ভালোয় ভালোয় না দেও দরকার হলে তোমায় খুন করবো। আর কি বলবো বলো তো? আজ মনে হচ্ছে সেদিন রাতের বলা কথা গুলো। ও হয়তো সঠিকটা জানতো। আজ আমি আমার জীবনের কর্মফল পাচ্ছি। এটাই আমার পাওয়ার ছিলো। আমার ভুল ছিলো না,ছিলো অন্যায়! হ্যা অন্যায়। আজ আমি কাঁদছি কেন এটা তো হওয়ারি ছিলো। হ্যা হওয়ারি ছিলো।
এই একটা কথা বলতে বলতে বৃদ্ধ লোকটা সামনের দিকে চলে গেলো। আস্তে আস্তে আমার চোখের আড়াল হয়েও গেলো। আমি কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে ভাবলাম। তাহলে আজ আমার স্ত্রী যে কথা গুলো বললো সেটা পুরোপুরি সঠিক। আমার সাত বছরের ছেলেটা আমার পকেট থেকে বিশ টাকা না বলে নিয়েছে। এই জন্য আমার স্ত্রী আমার ছেলেকে বকেছে,যাঁর জন্য ছেলে আজ খাবার খায়নি দুপুরে। অনেক বোঝানোর পরেও যখন ছেলে খাবার খায়নি। তখন ছেলেকে দু'টো চড় দিয়েছে। অন্যায় করবে আবার রাগ দেখাবে এই ঘরে সেটা হবে না। আজ বিশ টাকা নিয়েছো,কাল ত্রিশ টাকা। আস্তে আস্তে তোমার লোভ বারবে। ঘরে পাবে না, বাইরে চোখ যাবে। অফিস থেকে ফিরে ঠিক এগুলোই শুনলাম। ছেলের গালের লাল হয়ে যাওয়া চড়ের দাগ দেখে মাথা গরম করে স্ত্রীকে গালাগাল দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমার টাকা নিয়েছে ওর কি সমস্যা। কিন্তু এখানে এসে বুঝলাম টাকা আমার নিলে কি হবে। সন্তান আমার চুরি করেছে। কোন কিছু না বলে নেওয়া মানেই চুরি। তাহলে আমিও তো ওই চাচার মতো নিজের সন্তানকে ভুল পথে পরিচালনা করছি। বাড়িতে গিয়ে আগে আমাকে ছেলেকে বুঝাতে হবে। তারপর ছেলের মায়ের রাগ ভাঙতে হবে। কারণ সে তো ভুল নয় সঠিকটা বোঝাচ্ছে আমার সন্তানকে। আমার সন্তান যেন কোন ভুল পথে পা না বারায়। তাহলে ভুল তো আমার, আমার স্ত্রী নয়।
সমাপ্তি
ফেইসবুকের গল্প
এটা গল্প, কিন্তু কোথাও আমি বাস্তবতা থেকে লিখেছি। শিক্ষা বড় কঠিন জিনিস। সবাই দিতে জানে না! আর কেউ বুঝতে জানে না।
প্রশ্ন ঃঃযাওয়ালের সালাত কাকে বলে, রফিকুল ইসলাম বিন সাঈদ ফেইসবুকে
প্রশ্ন:যাওয়ালের সালাত কাকে বলে? আজ যাওয়ালের সালাতের পরিচয়,সময়, গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬◖◉◗▬▬▬▬▬▬▬▬▬
দুঃখজনক হলেও সত্য ইসলামী শরীয়তে যাওয়ালের সালাত তথা সূর্য ঢলার বা হেলার সালাত নামে কোন সালাতের অস্তিত্ব আছে এ বিষয়টি আমাদের অনেকের কাছেই অপরিচিত।অথচ একাধিক বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমানিত রাসূল সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্য ঠিক মাথা বরাবর থেকে পশ্চিম দিগন্তে একটু ঢলে গেলে নিয়মিতভাবে চার রাকআত সালাত আদায় করতেন।
.
✪ যাওয়ালের নামাজের পরিচয় ও সময়:
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
যাওয়াল (زَوَال) অর্থ: বিলোপ, বিলুপ্তি,অস্তগামিতা
,সূর্য হেলার সময়,উধাও, মধ্যাহ্ন, দ্বিপ্রহর ইত্যাদি।
চাশতের নামায আদায়ের পর সূর্য যখন ঠিক মাথার উপর থেকে পশ্চিম আকাশে হেলতে শুরু করে, তখন যোহরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর যোহরের সূচনাতেই পড়তে হয় যাওয়ালের নামাজ।
.
শরিয়তের পরিভাষায় যাওয়াল হলো দিনের তৃতীয় প্রহরের প্রারম্ভ, মধ্যাহ্নোত্তর, অপরাহ্ণের সূচনা সময়; দিনের মধ্যভাগে বা দুপুরে সূর্য যখন মাথার ওপর থেকে পশ্চিম দিকে হেলে যায়। এই সময়কে ওয়াক্তুজ যাওয়াল বলা হয়। এটি মূলত মধ্যদিনের সিজদা ও নামাজ নিষিদ্ধ সময়ের পর জোহরের ওয়াক্তের সূচনাপর্ব। এ সময় যে নফল নামাজ আদায় করা হয়, তাকে যাওয়ালের নামাজ বলা হয়।সহজে বলতে গেলে,যোহরের ওয়াক্ত সূচনাপর্ব চার রাকাত নফল নামাজ পড়াকে যাওয়ালের নামাজ বলে।উক্ত ৪ রাকাত নফল সালাত পড়া সুন্নাহ।
.
হাদিসে এসেছে, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্য ঢলার পর চার রাকাত পড়তেন। এ ক্ষেত্রে তিনি চার রাকাত শেষ করার পূর্বে সালাম ফেরাতেন না।
[সিলসিলা সহিহাহ ৭/১১৯৭, শাইখ আলবানী রহঃ বলেন, এর সনদ সহিহ মুসলিমের শর্তানুযায়ী جيد (ভালো)। এছাড়াও তিনি তাখরীজু মিশকাতিল মাসাবিহ গ্রন্থে এটিকে সহিহ বলেছেন। হা/১২২৬]
.
অপর বর্ননায়,আবু আইয়ুব রা. হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যোহরের পূর্বে চার রাকআত-যার মাঝে কোন সালাম নেই-তার জন্য আসমানের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করা হয়।”[আবূ দাঊদ ১২৭০, সহীহ আত্ তারগীব ৫৮৫, সহীহ আল জামি‘ ৮৮৫, ইবনু মাজাহ্ ১১৫৮ সনদ হাসান]
উপরোক্ত দুটি হাদীস থেকে স্পষ্ট যে, এ চার রাকআত
এক সালামে শেষ করতে হবে অর্থাৎ দু রাকআত পড়ে সালাম ফেরানো যাবে না বরং চার রাকআত শেষ করে সালাম ফিরাতে হবে।
.
✪ যাওয়ালের সালাতের ফজিলত ও রাকাতসংখ্যা:
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যোহরের পূর্বের চার রাকাত নামাজ ভোররাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ) সমতুল্য।’’ [আলবানি, সহিহুল জামি’: ৮৮২, হাদিসটি হাসান]
.
আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি করিম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিনিয়ত (পশ্চিমাকাশে) সূর্য ঢলার সময় চার রাকাত নামাজ পড়তেন। একবার আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! (আপনাকে দেখছি) সূর্য ঢলার সময় চার রাকাত প্রতিনিয়তই পড়ছেন!’ তিনি বললেন, “সূর্য ঢলার সময় আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং যোহরের নামাজ না পড়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয় না। তাই, আমি পছন্দ করি যে, এই সময় আমার নেক আমল (আসমানে) উঠুক।” আমি বললাম, ‘এ নামাজের প্রত্যেক রাকাতেই কি কিরাত আছে?’তিনি বললেন, “হ্যাঁ।” আমি বললাম, ‘তার মাঝে কি পৃথককারী সালাম আছে?’ (অর্থাৎ, দুই রাকাত পর সালাম ফেরানো আছে?) তিনি বললেন, “না।” (অর্থাৎ, এক সালামে চার রাকাত। যেভাবে আমরা যোহরের চার রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়ি, ঠিক সেভাবে)
[তিরমিযি, আশ-শামাইল: ২৪৯; হাদিসটি সহিহ]
আব্দুল্লাহ ইবনে সায়েব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃসূর্য (পশ্চিম গগনে) ঢলে যাবার পর, যোহরের ফরযের পূর্বে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চার রাকআত সুন্নত নামায পড়তেন। আর বলতেন, “এটা এমন সময়, যখন আসমানের দ্বারসমূহ খুলে দেওয়া হয়। তাই আমার পছন্দ যে, সে সময়েই আমার সৎকর্ম ঊর্ধ্বে উঠুক।[তিরমিযী ৪৭৮,হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ৮৭৯]
.
✪ এখন এই সালাত কি যোহরের চার রাকাত সুন্নাত নামাজ নাকি অন্য কোনো নফল নামাজ?
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
এটি কোন সালাত এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে দুটি মত রয়েছে কতিপয় আলেম বলেন, এই চার রাকআত মূলত: যোহরের চার রাকআত সালাত আর কতিপয় বিদ্বানের মতে, এটি যোহরের পূর্বের চার রাকআত সুন্নত নয় বরং এটি স্বতন্ত্র সালাত।তবে মতানৈক্য থাকলেও অধিক বিশুদ্ধ হল একটি স্বতন্ত্র সালাত অর্থাৎ যোহরের সুন্নত নয় এই মর্মে কয়েকটি মত,
➤(১).ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রাহ.) বলেন, এই চার রাকাত নামাজ যোহরের সুন্নাত নয়, বরং এটি অন্য নামাজ, যা তিনি (নবিজি) সূর্য ঢলার পর পড়তেন। আর এই স্বতন্ত্র আমলটি করার পেছনে কারণ হলো, এটি দিনের ঠিক মধ্যভাগ ও সূর্য ঢলার সময়। এর রহস্য হলো—আল্লাহ ভালো জানেন—এটি দিনের মধ্যভাগ, যার অবস্থান রাতের ঠিক মধ্যভাগের বিপরীতে। দিনের মধ্যভাগে সূর্য ঢলার পর আসমানের দরজাসমূহ খোলা হয় আর রাতের মধ্যভাগের পর আসমানে মহান আল্লাহর অবতরণ ঘটে (যা সহিহ হাদিসে আছে)। সুতরাং এ দুটি আল্লাহর নৈকট্য ও রহমতের সময়। [ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা‘আদ মিশকাতুল মাসাবি,১১৬৮ নং হাদিসের ব্যাখ্যা দৃষ্টব্য]
➤(২).আল্লামা ইরাক্বী বলেন, এ চার রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) যুহরের পূর্বের চার রাক্‘আত ভিন্ন অন্য সালাত। এ সালাতকে সুন্নাতে যাওয়াল বলা হয়।[মিশকাতুল মাসাবীহ ১১৬৯ নং হাদীসের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য]
.
➤(৩).এছাড়া ইমাম গাযালি, ইমাম মুনাউয়ি,আল্লামা মুবারকপুরিসহ অনেকেই স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, যোহরের চার রাকাত সুন্নাত এবং যাওয়ালের চার রাকাত সুন্নাত ভিন্ন ভিন্ন নামাজ। [ইহয়াউ উলুমিদ্দিন, ফায়দ্বুল ক্বাদির, মির‘আতুল মাফাতিহ, তুহফাতুল আহওয়াযি]
.
➤বিপরীত দিকে যারা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে হানাফি মাযহাবের ফকিহদের একাংশ, ইমাম বায়যাবি (রাহ.)-সহ অনেক আলেমের মতে, হাদিসে যাওয়ালের নামাজ দ্বারা মূলত যোহরের চার রাকাত সুন্নাত উদেশ্য। তাঁরা আবদুল্লাহ্ ইবনু সায়িব (রা.)-এর হাদিসের ব্যাখ্যায় এই মত পেশ করেছেন। [আদ দুররুল মুখতার: ২/১৩] তবে, এই মতটির পক্ষে শক্তিশালী স্পষ্ট কোনো দলিল পাওয়া যায় না।তাই এটি গ্রহণযোগ্য নয়।তাই এটি গ্রহণযোগ্য নয়।[কিছুটা নোট তাসবিহ ফেইজ থেকে]
❂ উপসংহার.উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম—
➤যাওয়ালের নামাজের রাকাত সংখ্যা চার।
➤উক্ত সালাত একত্রে চার রাকাত পড়তে হয়, যেভাবে
যোহরের চার রাকাত সুন্নাত পড়া হয় যদিও যোহরের চার রাকাত সুন্নত দুই রাকাত করে দুই সালামে পড়া উত্তম।
➤যাওয়ালের নামাজ এবং যোহরের পূর্ব চার রাকাত সুন্নত ভিন্ন নামাজ প্রমানিত।
➤যোহরের চার রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এটি ত্যাগ করা উচিত নয়।পক্ষান্তরে যাওয়ালের নামাজ মুস্তাহাব আমল; আদায় করলে নেকি হবে, আদায় না করলে কোনো অসুবিধা নেই ইনশাআল্লাহ ।
➤যাওয়ালের নামাজ যোহরের ওয়াক্ত শুরুর সাথে সাথেই পড়তে হয়। অপর দিকে যোহরের চার রাকাত সুন্নত আযানের পর ফরজ সালাতের পূর্বে পড়তে হয়।
অতএব, বেশি দেরি না করে, যাওয়ালের নামাজ আনুমানিক সাড়ে বারোটার মধ্যে পড়ে নেওয়াই উত্তম।
(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পবিত্রতা অর্জন থেকে শুরু করে রাসূল (ﷺ)- এর সালাত সম্পাদনের বিশুদ্ধ পদ্ধতি। ধারাবাহিক ৫০ পর্বের আজ ৫০ তম পর্ব।
▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬
ভাগ্য ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্প
আমার শালিকা রুমির বিয়ে হবার পর থেকে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে শ্বশুর আব্বা আমাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি আসল রহস্যটা উদঘাটন করতে পারি রুমির স্বামীর অর্থবিত্ত দ্বারা। কেননা আমি পেশায় একজন সাধারণ হাই স্কুলের শিক্ষক হলেও রুমির স্বামী পেশায় একজন সরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা।
আমার স্ত্রীও বোনের এমন বড় ব্যক্তিত্বের সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকে হিংসায় জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে এবং মাঝেমধ্যেই আমাকে আমার অবস্থান নিয়ে হেয় করতে ভুলে না। নারীদের এমন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমি আগে থেকেই অবগত হওয়াতে আমার স্ত্রীর এরকম ব্যবহারে আমি কিছু মনে করিনা। সেদিন সুমি অর্থাৎ আমার স্ত্রী কিছুটা আফসোসের স্বরেই আমার পাশে বসে বলে উঠলো,
"কেবল আমিই তোমার সাথে এই কুড়েঘরে সংসার করলাম, অন্য কোনো মেয়ে হলে দুদিনও থাকতো না। আমার বোনটা যে স্বর্ণ কপাল নিয়ে জন্মেছিল সেটা ওর শ্বশুরবাড়ি দেখলেই বোঝা যায়। আর আমি জন্মেছিলাম এই পোড়া কপাল নিয়ে।"
সুমির কথা শুনে আমি শুধু মুচকি হাসি কিন্তু কিছুই বলিনা। কারণ মেয়েদের আকাঙ্ক্ষার কোনো শেষ নেই, তাদের যত দেওয়া হবে ততই তারা আফসোসের সাগরে হাবুডুবু খাবে, হয়তো সব মেয়ে এক নাও হতে পারে।
রুমির বিয়ের দুমাস পর শীতের ছুটিতে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। আমাদের পাশাপাশি রুমির স্বামীসহ ওদের শ্বশুর বাড়ি থেকেও অনেক মেহমান এসেছে শীতের আমেজটা উপভোগ করার জন্য। এত এত মেহমানের খাবার দাবার রান্নার দায়িত্বটা আমার স্ত্রী এবং শাশুড়ি আম্মা বেশ খুশি মনেই সম্পাদন করছেন। কিছুক্ষণ পরপরই আমার শাশুড়ি এসে তার ছোট মেয়ে জামাইকে এটা ওটা জিজ্ঞেস করছেন যে কিছু লাগবে কিনা? অথচ আমি এবাড়িতে আসার পর আমার দিকে একবারের জন্য মুখ ফিরিয়ে তাকিয়েছেন কিনা তা সন্দেহ! তবুও মনকে এই বলে বুঝ দিচ্ছি যে, নতুন জামাইয়ের প্রতি এটুকু কদরতো থাকবেই। আর আমিতো এই বাড়ির পুরোনো সদস্য, পুরাতন দের বেশি আপ্যায়ন না করলেও হয়। এসব বলে মনকে সান্ত্বনা দেওয়ার মাঝেই আমার শ্বশুর আব্বা পুনরায় আগুনে ঘি ঢালা রূপে আবির্ভাব হলেন। তিনি বাজার থেকে তার ছোট জামাইয়ের পছন্দের সকল কিছুই কিনে এনেছেন এবং আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে তিনি সবার সামনেই রুমির স্বামীর ব্যপারে গুনগান গাইছেন। তিনি ভেবেছিলেন এতে হয়তো আমি ঈর্ষান্বিত হবো কিন্তু আমিতো আর এতো সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ার পাত্র নই।
এরপর কেঁটে যায় আরো ছয়মাস, কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা ব্যপার হলো এই ছয়মাসে আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে কেউই আগবাড়িয়ে কল দিয়ে আমার খোঁজখবর নেয়নি। অথচ রুমির বিয়ের আগে আমার শ্বশুর সামান্য কোনো সমস্যার মুখোমুখি হলেও আমার কাছে কল দিয়ে উপদেশ গ্রহণ করতেন নয়তো সাহায্য চাইতেন। আমিও কখনোই তাদেরকে কোনো কাজে অসম্মতি জানিয়ে নিরাশ করতাম না। তবে সুমির সাথে তারা নিয়মিতই কথা বলেন কেননা মেয়ের সাথে কি কথা না বলে থাকা যায়?
বোঝাই যাচ্ছে আমার শ্বশুর আব্বা আমার থেকেও রুমির স্বামীকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আজ বাসায় ফেরার পর হঠাৎই সুমি বেশ উৎকন্ঠা নিয়ে আমার পাশে বসলো। খারাপ কোনো সংবাদ ব্যতীত সচরাচর ওর এমন উৎকন্ঠা দেখা যায় না। কৌতূহল বসত জিজ্ঞেস করলাম,
"কি হলো তোমার? এমন চিন্তিত মুখে বসে আছো কেন?"
"না আসলে আজ মা কল দিয়েছিল। বললো রুমি নাকি ওর স্বামীর সাথে আর ঘর করতে চায় না। মা হাজারবার বুঝিয়েছে কিন্তু ওতো নাছোরবান্দা।"
আমি অবাক নয়নে সুমির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
"এতো ভালো ঘরে ওর বিয়ে হলো এমনকি ওর স্বামীও একজন সরকারী চাকুরিজীবী তাহলে কি কারণে ও সংসার ছাড়তে চায়? তোমার মতো অভাবে তো আর নেই। তুমিতো আমার মতো এই গরীবের ঘরেও সংসার করে চলেছো।"
আমার কথায় সুমি বেশ ইতঃস্তত ভঙ্গিতে বললো,
"ধুর এসব কথা ছাড়ো এখন। আর কারণটা আমিও ঠিক জানিনা। তুমি একটু বাবাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস কইরো।"
আমি আর কিছু না বলে গোসলের প্রস্তুতি নিতে চলে গেলাম।
এর কিছুদিন পর হঠাৎই রুমি ওর শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে আসে। মূলত সবার অজান্তেই রুমির স্বামী অন্যত্র এক মেয়েকে বিয়ে করে। আর এই বিষয়টা রুমির পাশাপাশি আমার শ্বশুর শাশুড়িও মেনে নিতে পারেননি। কারণ যেই মেয়ে জামাইকে তারা এত আদর আপ্যায়ন করেছেন সেই লোকই আজ তাদের মেয়েকে ধোঁকা দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছে, এটা কোনো বাবা মা'ই হয়তো মেনে নিতে পারবে না।
রুমি ওর স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার কিছুদিন পরই আমি সুমিকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসি। আমার শ্বশুর আমাকে দেখে কোনো এক অজানা কারণে মুখ লুকাচ্ছেন। এর পিছনের গল্পটা আমি জানলেও তখন প্রকাশ করলাম না।
রাতে যখন সুমি আর আমি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিবো তখন হঠাৎই আমার স্ত্রী বেশ চিন্তিত মুখে বলে ওঠে,
"আমার বোনটার সাথে কেন যে এমন হলো বুঝতে পারছি না। ওর ভাগ্যটা আসলেই খারাপ।"
আমি সামান্য মুচকি হেসে বললাম,
"ওতো স্বর্ণের কপাল নিয়ে জন্মেছিল তাই হয়তো এরকম হলো। আর তুমিতো জন্মেছিলে পোড়াকপাল নিয়ে তাই হয়তো এখনও তোমার জীবনে কোনো দূর্ঘটনা ঘটেনি।"
আমার কথা শুনে স্বভাবতই আমার স্ত্রী মুখে কুলুপ এঁটে চুপ করে রইল। কারণ এমন বাক্যের প্রতিউত্তরে কিছু বলার মতো বাক্য তার মুখে অবশিষ্ট থাকার কথা নয়। এটাই হয়তো এক অন্য রকম মধুর প্রতিশোধ।
(সমাপ্ত)
ফেইসবুক থেকে কপি করা
আপনার গাড়ির স্টিয়ারিং কাঁপছে??????
আপনার গাড়ির স্টিয়ারিং কাপছে??
কি কি কারণে গাড়ির স্টিয়ারিং কাপতে পারে-
১.হুইল এলাইনমেন্ট ঠিক না থাকলে।
২.টায়ারের কিছু অংশ যদি ফুলে যায়। অর্থাৎ কিছুটা টিউমারের মতো।
৩.ডিস্ক / ড্রাম বাঁকা থাকলে (ওয়ার্কশপে বলে টাল থাকলে)।
৪.সিভি জয়েন্টের সমস্যা হলে।
৫.স্টিয়ারিং র্যাক খারাপ হলে বা র্যাকে থাকা বুশগুলো ছিড়ে গেলে।
৬.এক্সেলের বিয়ারিং নষ্ট হলে বা এক্সেল খারাপ হলে।
৭.চাকা যদি ভালো করে না লাগানো হয়।
৮.সাসপেনশন খারাপ হলে।
৯.গিয়ার বক্স/ইঞ্জিন মাউন্টিং ছিঁড়ে গেলেও গাড়ি কাপতে পারে।
১০.এছাড়া বিভিন্ন বুশ থাকে সেগুলো ছিঁড়ে গেলেও গাড়ি কাপতে পারে।
মোটামুটি এসব কমন সমস্যার কারনে স্টিয়ারিং কাপতে পারে।
মাছ 🎏 ভাজার টিপস ফেইসবুক থেকে
মাছ ভাজা সকলেই পছন্দ করি আসুন মাছ ভাজার কিছু টিপস জেনে নেই —
১. প্রথমে মাছ গুলো কেটে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. মাছের গায়ে হলুদ, মরিচ, লবন দিয়ে মাখিয়ে রাখুন।
৩. ফ্রাইপ্যানে তেল গরম হতে দিন এক চিমটি লবন তেলে ছিটিয়ে দিন তাহলে তেল ছিটে এসে গায়ে পরবেনা ॥
৪. তেল যখন গরম হবে তখন মাছ গুলো আস্তে করে দিয়ে দিন।
৫. তেল গরম না হলে ফ্রাইপ্যানে মাছ লেগে যাবে তাই তেল আগে গরম করুন এবার মাছ দিন।
৬. কই মাছ তেলাপিয়া মাছ বা অন্য মাঝারী সাইজ মাছ হলে মাছের গায়ে চির চির করে কেটে নিতে হবে তাহলে মসলা ঢুকবে মাছে।
৭.চুলার জ্বাল মাঝারি রেখে মাছ ভাজতে হবে বেশি জ্বাল দিলে এক পাশ পুড়ে যেতে পারে
তাই এক পাশ ভাজা হলে আরেক পাশ ভাজতে হবে।
৮.বেশি মচমচে করতে চাইলে মাছের সাথে একটু কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে।তাহলে মাছ মচমচে হবে।চালের গুড়াও দিতে পারেন।
৯. যারা একটু নরম ভাজা খেতে চান তারা আগেই নামিয়ে ফেলবেন।
১০.যারা মাছের গন্ধ বেশি নিতে পারেন না তারা মাছ ভাজার সময় একটু সরিষা তেল ব্যবহার করবেন তাহলে গন্ধ সুন্দর হবে।
১১. খুব বেশি ডুবো তেল না আবার কম তেল না একটু নরমাল পরিমান তেল নিয়ে মাছ ভাজতে হবে।অল্প তেলে ভাজলে মাছ লেগে যাবে।
১২. মাছের রং ব্রাঊন করতে চাইলে অল্প একটু চিনি দিবেন মাখানোর সময় তাহলে কালার ব্রাঊন আসবে।
১৩.পেয়াজ একটু মাছ ভাজা হয়ে যাবার পর ভেজে নিবেন এবং কয়েকটা কাচা মরিচ সামনে একটু ফেলে ভেজে নিতে পারেন।
পেয়াজ কাঁচা মরিচ ভাজা ভাজা মাছের সাথে স্বাদের মাএা দ্বিগুন করে যাদের রুচি কম তারা পেঁয়াজ কাচা মরিচের সাথে মাছ ভাজা খেতে পারেন।
গরম গরম ভাত খিচুড়ী বা পোলাঊ সব কিছুর সাথেই খেতে পারেন মাছ ভাজা।
মনে রাখবেন মাছ ভাজা ফ্রীজে রাখবেন না স্বাদ বদলে যাবে।তাই কাঁচা মাছ বক্সে ঢাকনা দিয়ে নরমালে মাখিয়ে রাখতে পারেন পরে শুধু ভেজে নিবেন।
আশা করছি টিপস গুলো আপনাদের কাজে লাগবে ।
কারেন্ট বনাম কলা বেচা ফেইসবুকের মজার গল্প
বিদ্যুৎ অফিসের সামনে চায়ের দোকানে কলা ঝুলিয়ে রেখেছে বিক্রির জন্যে!!বিদ্যুৎ অফিসের এক প্রকৌশলী চা খাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলো কলার দাম কত???
দোকানদারঃ কি কাজে কলা ব্যবহার করবেন তার উপর নির্ভর করে কলার দাম!!
প্রকৌশলীঃ মানে কি ?!?
দোকানদারঃ যদি কোন মিলাদ বা ধর্মীয় কাজে নেন তাহলে দুই টাকা পিচ, যদি রুগির জন্যে নেন তাহলে ৩টাকা পিচ, আর যদি নিজে খাওয়ার জন্যে নেন তবে ৫ টাকা পিচ!!
প্রকৌশলীঃ ইয়ার্কি কর, একই কলার দাম বিভিন্ন হয়?!
দোকানদারঃ একই খুঁটি হতে বিদ্যুৎ বাসায় গেলে একদর, দোকানে গেলে আরেক দর, কারখানায় গেলে আরেক দর। তাহলে আমার কলা কি দোষ করলো?!?
সংগৃহীত
রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মৃতদেহ কবরে নামানোর পরে, ফেইসবুকের গল্প
মৃতদেহকে কবর দেওয়ার ঠিক 24 ঘন্টা পরে মানুষের শরীরের ভিতরে এমন পোকার উৎপত্তি হয় যা মৃতদেহের পায়ুপথ দিয়ে বেরোতে থাকে। তৎসহ এমন দুর্গন্ধ ছড়ায় যা সহ্য করা অসম্ভব। আর ঐ দুর্গন্ধ পোকার সমগোত্রীয় পোকাদের নিমন্ত্রণ দেয়।
দুর্গন্ধ পেয়ে সমস্ত পোকা, মাকড়, বিছে মানুষের মৃতদেহের দিকে যাত্রা শুরু করে আর সবাই মিলে মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করে দেয়।
কবরস্থ করার তিনদিন পরে সবচেয়ে প্রথমে নাকের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে এবং পচন ধরে যায়।
ছয় দিন পরে নখ খসে পড়তে থাকে।
নয় দিন পরে চুল খসে পড়া শুরু হয়।
মানুষের শরীরের সমস্ত লোম ঝরে পরে আর পেট ফোলা শুরু হয়ে যায়,
17 দিন পরে পেট ফেটে যায় আর শরীরের ভিতরের সমস্ত অংশ বাহিরে বেরিয়ে আসে।
60 দিন পরে মৃতদেহের শরীরের সমস্ত মাংস শেষ হয়ে যায়। মানুষের শরীরে একটু টুকরো মাংস অবশিষ্ট থাকে না।
90 দিন পরে সমস্ত হাড় একে অপরের থেকে পৃথক হয়ে যায়।
এক বছর পরে মানুষের শরীরের সমস্ত হাড় মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
আর যে মানুষের মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়েছিল তার সমস্ত অস্তিত্ব মুছে যায়।
অতএব আমার ভাই ও বোনেরা বলুন -
মানুষের এতো অহংকার, এতো আত্মগরিমা, এতো হিংসা, এতো বিদ্বেষ, এতো লালসা, এতো নাম, এতো শৌর্য্য, এতো সম্মান, এতো শক্তি, এতো সামর্থ্য, এতো ধণদৌলত, এতো ক্ষমতা, এই বাদশাহী কোথায় যায়?
সবকিছুই মাটিতে মিশে যায়।
মানুষের অস্তিত্ব বা কি আছে?
মাটি থেকে সৃষ্ট, মাটিতেই কবরস্থ হয়ে, মাটিতেই মিশে যায়।
5 ফুট, 6 ফুট, 7 ফুটের মানুষ কবরে চলে যাওয়ার পরে তার নাম, চিহ্ন মুছে যায়।
এই দুনিয়াতে গাম্ভীর্যের সঙ্গে বিচরণকারী যখন কবরে চলে যায় তখন তার অস্তিত্ব মাটি ছাড়া অন্য কিছুই থাকে না।
অতএব মানুষের আসল জীবন, আমৃত্যু জীবন যাতে সুন্দর হয় এবং শান্তিপূর্ণ হয় তার চেষ্টা করা উচিত এবং সেই মোতাবেক কাজ করা উচিত।
প্রতিটি ভালো কাজ, এবং প্রতিটি উত্তম কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করা উচিত। আর প্রতিটি মন্দ চিন্তাভাবনার অস্তিত্ব নষ্ট করার জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থণা করা উচিত।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন (আমিন) (কপি )
সংসার ফেইসবুক গল্প
স্বামীকে ছুটির দিনে ল্যাপটপের সামনে বসে খুটুরখাটুর করতে দেখে স্ত্রীর প্রশ্ন - কি করা হচ্ছে?
স্বামীর উত্তর - দুটো টাকা বাঁচাতে কত কি করতে হয়! এসব চিন্তা তো আর তোমায় করতে হয়না।
স্ত্রীর উত্তর - প্লেটে খাবার আহারযোগ্য হয়ে কিভাবে আসবে তাতো তোমায় ভাবতে হয়না।
ময়লা কাপড় ধুয়ে ভাঁজ হয়ে কিভাবে ড্রয়ারে ঢুকে যায়, তা নিয়ে তো তোমায় চিন্তা করতে হয়না।
বাচ্চা কিভাবে পটি ট্রেইন্ড হলো তা নিয়ে তো তোমায় চিন্তা করতে হয়নি, চিন্তা করতে দেখিও নি।
বাচ্চাগুলো স্কুলে কি খাবার নেবে, সারাদিন কে কি খাবে, বাজার করে আনা জিনিস কোথায় কিভাবে ঢুকবে, কোনদিন কি রান্না হবে, এসব কিছু নিয়েই তো তোমায় চিন্তা করতে হয় না।
আর হ্যা, দুটো টাকা বাঁচানোর চিন্তা যদি সত্যিই না করতাম, তবে এই দুর্মূল্যের বাজারে ১০ দিনও চলতে পারতে না, বেতন পেয়ে। এতোদিনে নিস্বঃ হয়ে যেতে। নিজের শখগুলো পর্যন্ত পূরন করি না দুটো টাকা বাঁচানোর চিন্তায়!
স্বামীটি আর কথা না বাড়ানোই সংগত মনে করলো, চুপ করে হাতে মোবাইল নিয়ে টয়লেটে ঢুকে গেলো। এক ঘন্টা ওখানেই কাটবে।
কিন্তু অভ্যাস কি যায় ম'লে?
মুখ ফসকে গত দুদিন আগে স্বামীটি বলেছিল,
- বাচ্চা রাখা এমন কি কাজ, টাকা কামাই করতে হলে বুঝতে।
গত দুদিন বউটির আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, ফোন বন্ধ। এই দুদিনে স্বামীটি হাড়ে হাড়ে বুঝে গিয়েছে কত সহজ বাচ্চার খেয়াল রাখা। প্রায় পাগল স্বামী কোনোমতে আলুভর্তা আর ডাল দিয়ে বাচ্চাদের ভাত মুখে তুলে দিচ্ছিল সারাদিন শেষে, মোবাইলে টুং শব্দে মেসেজ এলো।
"কি খুব আরাম লাগছে তো? বাচ্চা পালা তো ব্যাপারই না। আমি বান্ধবীদের সাথে সাজেক যাচ্ছি, ৩ দিন পর ফিরব। বাচ্চাদের দেখে রেখো।"
অতঃপর স্বামীটি প্রতিজ্ঞা করিলো - টাকা কামানো নিয়ে বড়াই, এ জন্মে আর নয়।
ফিরে আসো বউ, কেঁদে বাঁচি।
সংসার
ফেইসবুক থেকে কপি করা
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫
রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...
-
একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের ...
-
#মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বন্যা সারা সকাল মিসেস সালমার বাসায় কাজ করে, তাকে খালাম্মা বলে ডাকে। সে মিসেস সালমার য...
-
ছাদ ঢালাইয়ের হিসাব। ও ১৫০০ বর্গ ফিট একটি ছাদ ঢালাই এর ইট, বালু, সিমেন্ট এবং রড এর পরিমান বের করার হিসাব মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট এবং ছ...