এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এলার্জির প্রাকৃতিক সমাধান

চলুন, এলার্জি প্রতিরোধে কিছু ভেষজ ঔষধের ব্যবহার দেখে নিই- নিম পাতা নিম পাতা ত্বকের যে কোনো সমস্যা সমাধানে অনেক কার্যকর। নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাঁচড়া চলে যায়। পোকামাকড় হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হয়। ব্যবহার: নিমপাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এক চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিমপাতার গুঁড়ো এবং ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ১/২ ঘণ্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খান। ইনশা’আল্লাহ এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 

তুলসী পাতা কর্পূর সমৃদ্ধ তুলসী পাতা ত্বকের যেকোন ধরণের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। তুলসির কাঁচা পাতার রস বা বিচির থেতলানের পর রস কিছুটা গরম করে সংক্রমিত জায়গায় লাগালে এলার্জি ভালো হয়। অথবা খানিকটা আদা ও তুলসি পাতা পানিতে ফুটিয়ে তাতে এক কাপ মধু মিশিয়ে দিনে ৪ থেকে ৫ বার খেলেও উপকার পাবেন।

 কলা অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে কলা খেলে অ্যালার্জির বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কলার চামড়ায় প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি উপাদান বিদ্যমান, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজড্ করে তোলে। ব্রণ দূর করার জন্যও কলার চামড়া ব্যবহার করা হয়। 

লেবু লেবুর রস মেশানো পানি এবং মধু শরীরের জন্য ভারি উপকারি ডিটক্সিফাইং পানীয়। এটি নিয়মিত পান করলে শরীরের টক্সিক পদার্থগুলো বের হয়ে আসবে এবং অ্যালার্জির সমস্যা কমে যাবে। বিশেষ করে লেবুর ভোলাটাইল তেল শরীরের যেকোন রকমের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। লেবু টুকরা করে কেটে নিয়ে চুলকানির স্থানে কিছুক্ষণ ঘষুন, চুলকানি কমে যাবে।

 গ্রিন টি গ্রিন টি-তে বিদ্যমান এন্টি-অক্সিডেন্ট, এন্টি-হিস্টাসিন এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে। এটি চোখে লাল ভাব, র‌্যাশ বেরোনো ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। কফি, কোমল পানীয় ইত্যাদির অভ্যাস পরিহার করুন। এর পরিবর্তে দৈনিক দু-তিন বার গ্রিন টি খান। 

আদা আদা গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল এবং অ্যালার্জির সমস্যা প্রতিরোধ করে। বমি ভাব, মাথা ঘোরানো, হজমের সমস্যা এমনকি ডায়রিয়া নিরাময়েও আদা খুব উপকারি। খানিকটা আদা কুঁচি কুঁচি করে কেটে গরম পানিতে ফুটিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে নিয়মিত খান, এলার্জির বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাবেন।

 অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে বিদ্যমান অ্যাসিটিক অ্যাসিড এলার্জেনের সংক্রমণকে প্রতিরোধ করে। ১ গ্লাস পানিতে ২ চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে এলার্জি সমস্যা দূর হয়। ব্রোমেলিন ব্রোমেলিন শরীরে প্রদাহ জনিত প্রতিক্রিয়া কমায়। নিয়মিত ব্রোমেলিনসমৃদ্ধ খাবার খান, এলার্জির সমস্যা লাঘব হবে।

 উৎস: আনারস জিংক জিংকসমৃদ্ধ খাবারে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্টস্ থাকে যা এলার্জেনের প্রতিক্রিয়া হ্রাস করতে সহায়ক। ওয়েস্টার মাশরুম জিংকের সবচেয়ে ভালো উৎস। মিষ্টি কুমড়ার বীজ, শিম বীজ, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমাণে জিংক রয়েছে। প্রাণিজ জিঙ্কের প্রধান উৎস হল মুরগীর মাংস। এলার্জি থেকে বাঁচতে নিয়মিত জিংকসমৃদ্ধ খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলুন। ক্যারোটিনয়েড ক্যারোটিনয়েড হলো উদ্ভিদের মধ্যস্থিত রঞ্জক বা রঙিন পদার্থ। এসবের মধ্যে ক্যারোটিন, বিটা ক্যারোটিন, লুটিন, লাইকোপেন, ক্রিপটোজেন্থিন এবং জিজেন্থিন থাকে যা এলার্জিক প্রতিক্রিয়ায় ভালো কাজ করে। উৎস: সবুজ, হলুদ অর্থাৎ রঙিন শাক-সবজি (যেমন- গাজর, মিষ্টি কুমড়া, হলুদ, পালংশাক, ডাটা শাক ইত্যাদি)।


অনন্তমূল অনন্তমূল এক ধরনের লতানো উদ্ভিদ। এতে প্রচুর পরিমাণে স্টেরল, টার্পিন, লুপিয়ল, স্যাপোনিন ও ট্যানিন বিদ্যমান, যা এলার্জেন প্রতিরোধক। এছাড়া গাছের পাতায় ও শিকড়ে টাইলোফিরিন থাকে যা এলার্জিজনিত শ্বাসনালীর প্রদাহসহ অ্যাজমার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। ব্যবহারবিধি: ১-৩ গ্রাম মূল অথবা গাছের চূর্ণ দিনে দু’বার খাবারের পর খেলে খোস পাঁচড়া , কুষ্ঠরোগ, শ্বেতি, চুলকানিসহ সব ধরনের চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শরীরের প্রদাহ ও ব্রণে অনন্তমূল পেস্টের মতো তৈরি করে কুমুম গরম পানি মিশিয়ে প্রলেপ দিলে দ্রুত উপশম হবে, ইনশা’আল্লাহ। অথবা ৩ গ্রাম অনন্তমূল বেটে খানিকটা সৈন্ধবলবণ মিশিয়ে শরবতের মতো প্রতিদিন দু’বার খান। একজিমা ও হাঁপানির সমস্যা থাকলে তা সেরে যাবে। ইউক্যালিপটাস তেল মাথা যন্ত্রণা, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদির প্রতিকারে এক বাটি গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিয়ে তার ভাঁপ নিন। এতে নাক বন্ধ হওয়া, নাকের ভিতরে অ্যালার্জির কারণে কোনো প্রদাহ থাকলে তা থেকেও রেহাই মেলে। দুগ্ধজাত পদার্থ খাওয়ার পাতে টক দই, ছানা ইত্যাদি দুগ্ধজাত খাদ্য রাখুন। এদের প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। ফলে ধুলোবালির কারণে এলার্জেনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশঙ্কা কমে। ঘি এক চামচ খাঁটি ঘি তুলোয় নিয়ে চুলকানির জায়গায় লাগান, আরাম পাবেন। নিয়মিত ঘি খেলেও ঠান্ডা লাগা বা এলার্জির প্রবণতা কমবে। দ্রুত ফল পেতে, ৫ থেকে ৭ ফোঁটা ঘি নারিকেল কোরায় মিশিয়ে খান। অলিভ অয়েল অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ভিটামিন ই যা ত্বককে এলার্জেনের প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা করে। ব্যবহার: খানিকটা গরম পানিতে এক কাপ এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল, এক কাপ নারকেল তেল ও চার টেবিল চামচ মোম নিন। এরপর এতে আট ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন। তৈরিকৃত মলমটি প্রতিদিন আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। অ্যালোভেরা অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে মশ্চারাইজিং ক্ষমতা রয়েছে। চুলকানির জায়গায় এক টুকরা অ্যালোভেরা কেটে ঘষুন, চুলকানি চলে যাবে। অ্যালার্জির কারণে মাঝে মাঝে ত্বকে লালচে দাগ দেখা যায়। এ দাগ দূর করতে গোসলের পানিতে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস্ অনেক সময় পাকস্থলীতে প্রোটিনের আধিক্য হলেও অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। তাই, এলার্জি প্রতিরোধে নিয়মিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ খাবার খান। উৎস: কাঁচা মরিচ, বাঁধাকপি, আলু, বাতাবি, টমেটো, পেয়ারা, কামরাঙ্গা ইত্যাদি। শসা এবং গাজরের রস তাৎক্ষণিক এলার্জির সমস্যা দূরীকরণে শসা এবং গাজরের রস দারুণ উপকারি। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-এলার্জিক উপাদান বিদ্যমান, যা দেহ কোষগুলোকে এলার্জেনের প্রতিক্রিয়া রুখতে সাহায্য করে। ক্যাস্টর অয়েল ক্যাস্টর অয়েল শুধুমাত্র আপনার চুলের সমস্যায় নয়, এলার্জির অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধেও সহায়ক। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে এক কাপ পানিতে ৫-১০ ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে খান। আপনার শিশুকে ছোট থেকেই সব ধরনের খাবার, ফল ও সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। এর ফলে সে খাদ্যজাত এলার্জির হাত থেকে মুক্ত থাকবে। 

গল্প নীল ক্যাফের ভালোবাসা

 আমার গার্লফ্রেন্ড একটা ছেলের সাথে ছবি পোস্ট করেছে!  ছবিটা দেখেই বুঝা যায় দুইজন খুব ক্লোজ।  গার্লফ্রেন্ডের এই আইডিতে আমি এড নাই!


আমার গার্লফ্রেন্ড কে জিজ্ঞেস করলাম, "তোমার এই আইডির কথা আমাকে বলোনি কেন?"


অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,  "কোন আইডি রায়হান? আমার তো একটাই আইডি। সেটাতে তো তুমি আছ।"


পোস্ট বের করে সুইটি কে দেখালাম। সুইটি চোখ বড়ো করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল," ওমা দেখছ বাবু! ছেলেটা কী ফাজিল! আমার ছবি দিয়ে ফেক আইডি খুলছে। তুমি এক্ষুণি রিপোর্ট করো।"


আমি আইডিতে রিপোর্ট করলাম। এরপরে ওই আইডিটা খুঁজে পাইনি। মনে হয় ফেসবুক ব্যান করে দিয়েছে।  এর কিছুদিন পরে আরেকটা আইডি দেখলাম। সুইটি দেখে বলল, বাবু! আমি আর ফেসবুক চালাব না! এ সব ফাজিল ছেলেরা শুধু আমার ছবি দিয়ে কয়দিন পরপর ফেক আইডি খুলে। আবার দেখ ছবি এডিট করে অন্য ছেলের সাথে ছবি পোস্ট করে! ভাগ্যািস! তুমি দেখছ।  যদি আব্বু দেখত তাহলে আমাকে মেরেই ফেলত। সুইটির আব্বু অবশ্য বিদেশে থাকে।


শুক্রবারে সুইটি কে কল দিলাম। " আজ বের হতে পারবা? "


"না, বাবু আজ বের হতে পারব না।"


ভেবেছিলাম শুক্রবার আর বের হবো না। এক বন্ধু জোর করে নিউমার্কেটে নিয়ে গেল। সুইটি একটা ছেলের সাথে নিউমার্কেটে এসেছে।  রাতে আমাকে বলল, "বাবু তুমি রবিন কে চিনো না? ও তো আমার কাজিন। আম্মু আমাকে পাঠিয়েছে একটা জিনিস কিনতে। তুমি কি আমায় অবিশ্বাস্য করো রায়হান?"


"না, না অবিশ্বাস্য কেন করব।"


সুইটির সাথে আমার দুইবছরের সম্পর্ক।  মেয়েটা খুবই ভালো। দেখতেও বেশ সুন্দর!  


রবিনের সাথে আমার একদিন দেখা হলো টি এস সি তে। রবিন অবশ্য আমাকে দেখে ডাকল, "রায়হান ভাই।"


আমি প্রথমে চিনতে পারিনি। পরে চিনলাম আরে এটা তো সুইটির কাজিন।  রবিন আমার কাছে এসে বলল," আপনি রায়হান ভাই না?"


রবিন আমাকে কী করে চিনল বুঝতে পারলাম না। সুইটি কি ওর ফ্যামিলিতে আমার কথা বলেছে? মেয়েটা দেখি খুবই কাজের!


"হ্যাঁ, আমিই রায়হান। আপনি?"


"আমি রবিন।  আপনি তো সুইটির কাজিন তাই না?"


হতবাক হয়ে চেয়ে রইলাম।  রবিন বলল, "সুইটি আপনার কথা প্রায়ই বলে।"


"সুইটি আপনার কে হয়?"


"আপনি খুব ভালো মানুষ তাই বলছি। সুইটি আমার গার্লফ্রেন্ড। "


আমার কথা হারিয়ে গেছে! কোনোমতে নিজেকে সামলিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,  "কতদিনের সম্পর্ক আপনাদের?"


"তিন বছর ভাই। "


ছেলে দেখি আমার সিনিয়র! 


"ভাই সময় আছে?"


"হ্যাঁ ভাই।"


মুখে এখনো হাসি লেগে আছে।  একটু পরে অবশ্য হাসিটা থাকবে না! আমরা মধুর ক্যান্টিনে আসলাম। আগে একটু চা খেয়ে নেই। রবিনের হাসিটা দেখতে ভালো লাগছে!  ও ভাবছে গার্লফ্রেন্ডের কাজিনের সাথে সম্পর্কে ভালো হচ্ছে।  সামনে কাজে লাগবে! বলা তো যায় না যদি পালিয়ে বিয়ে করতে হয়।


চা খেতে খেতে বললাম রবিন তুমি কি "সুইটির কোনো ফেক আইডি দেখেছ?"


রবিন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল," হ্যা ভাই। কয়েকটা ফাজিল পোলা এই কাজ করেছে! "


ঠিক আমার মতোই ওকে বুঝান হয়েছে!  "আইডিটা এখন নাই তাই না?"


"আমি রিপোর্ট করার পর আর নাই।"


"আইডি ঠিকই আছে।  তোমাকে ব্লক করা হয়েছে! "


এবার অন্য আইডি থেকে সুইটির আইডি খুঁজে বের করলাম। রবিন ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না। 


"ভাই আপনি এ সব জানলেন কি করে?"


একটু হেসে বললাম, "আমিও তোমার মতো একজন ক্যান্ডিডেট! "


"বলেন কি!" 


"আমি তো জানতাম তুমি সুইটির কাজিন।"


একটা ফেক আইডি খোলা ছেলেকে মেসেজ দিলাম। "আমি সুইটির কাজিন।  তোমার সাথে কথা আছে যোগাযোগ করো।"


আমি আর রবিন হতবাক হয়ে শুনছি রাসেলের কথা। রাসেল হলো সুইটির ছবি দিয়ে ফেক আইডি খুলেছে।  এটা অবশ্য সুইটির কথা। আসল ঘটনা রাসেলের সাথে সুইটির সম্পর্কে চার বছর ধরে চলে!


রবিন বলল, "ভাই আপনি তো আমার এক বছরের সিনিয়ার! "


তিনজন মিলে আর দুইটা আইডির রাজন আর আসলাম কে পাওয়া গেল। এরা সবাই সুইটির বয়ফ্রেন্ড।  রাজনের সাথে সম্পর্ক পাঁচ বছর আর আসলাম আমাদের সবার সিনিয়ার। ওর সাথে সুইটর সম্পর্ক ছয় বছর! প্রতি বছর একজন করে যোগ হয়!


সুইটি এখন আমাদের কারো সাথে যোগাযোগ করছে না। ওর বাবা বিদেশ থেকে আসছে। কাজেই এখন ও খুব ব্যস্ত থাকবে। এটা অবশ্য আমাদের সবাইকে আলাদাভাবে জানিয়েছে সুইটি!


একজন মধ্যবয়স্ক লোকের সাথে সুইটি কে দেখলাম আমরা। এখন আমরা চারজন একসাথে সুইটিকে ফোলো করি! 


রাতে সুইটিকে মেসেজ করলাম," আজ তোমার বাবার সাথে তোমাকে দেখলাম। তোমরা শপিং গেছিলা বুঝি?"


"হ্যাঁ, পরে কথা হবে। এখন আমাকে মেসেজ দিবে না। "


রবিন আমাকে কল দিয়ে বলল, "ভাই জলদি আসেন। "


"কী হয়েছে ভাই?"


"আসেন আপনাকে বলছি সব।" ছেলেটাকে খুব উত্তেজিত মনে হচ্ছে। 


আমি রবিনের সাথে দেখা করতে গেলাম একটা রেস্টুরেন্টে।  গিয়ে দেখি রাসেল আর আসলামও এসেছে।  মনে হয় সুইটির নতুন কোনো বয়ফ্রেন্ড পাওয়া গেছে!


"কী হয়েছে রবিন?"


আজ সুইটির বাবার সাথে দেখা। একটা দশ বছরের মেয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি ভেবেছিলাম সুইটির ছোটো বোন হবে।


আমি সামনে গিয়ে সালাম দিলাম, "আংকেল কেমন আছেন? "


উনি আমাকে চিনতে পারল না। চেনার কথাও না! আমি বললাম, "আমি সুইটির ক্লাসমেট। "


"আমাকে আংকেল ডাকছেন কেন!"


"আপনি সুইটির বাবা না?"


বিরক্ত হয়ে বললেন,  "সুইটি আমার স্ত্রী।  এটা সুইটির মেয়ে!"


ভাই আমি দ্রুত পালিয়ে এসেছি। পরে খবর নিয়ে জানলাম উনি সুইটির দ্বিতীয় হাসবেন্ড!

রাজা রাম মোহন রায় এর প্রনয় দিবস ২৭ সেপ্টেম্বর ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রাজা রামমোহন রায়ের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা। 


~~~ রাজা রাম মোহন রায় ও রংপুর ~~~


রাজা রাম মোহন রায় এক জন বাঙালি দার্শনিক ও বাংলার পূনর্জাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। রামমোহন রায় ছিলেন যুক্তিবাদী ও মুক্ত চিন্তার ধারক। হিন্দু সমাজের কুপ্রথা ও কুসংস্কার তিনি মেনে নিতে পারেননি। এক ঈশ্বরবাদে বিশ্বাস করতেন। তাঁর মতে নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা করাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তাই দেব দেবীর পূজা করা হিন্দু ধর্মের বিরোধী। আর এই বিশ্বাস থেকে তিনি দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহিত ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন। তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য। তাঁর জীবন ও কর্মের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় অধিকার করে আছে রংপুর। রাজা রাম মোহন রায়ের স্মৃতি ধারণ করে রংপুরের মাটি ধন্য।


১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে রামমোহন রায় জন্মগ্রহণ করেন এক সম্ভ্রান্ত কুলীন (বন্দোপাধ্যায়) ব্রাক্ষ্মণ বংশে। বারাণসী থেকে প্রথাগত সংস্কৃত শিক্ষার পর তিনি পাটনা থেকে আরবী ও পারসী ভাষা শেখেন। পরে তিনি ইংরাজী, গ্রীক ও হীব্রু ভাষাও শেখেন। ১৭৯৬ সালে রামমোহন অর্থোপার্জনে শুরু করেন। ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাজে সিভিলিয়ান কর্মচারীদের মধ্যে জন ডিগবীর সঙ্গে তাঁর সর্বাধিক ঘনিষ্ঠতা হয়। জন ডিগবি রংপুরের কালেক্টর থাকাকালীন কোম্পানির কাজে ডিগবীর অধীনে তিনি দেওয়ানরূপে রংপুরে কাজ করেন ১৮০৯ এর ২০ অক্টোবর থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত। বিলুপ্ত তামপাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের স্থানেই ছিল তাঁর বাসভবন। তাঁরা কারণেই ঐ এলাকার নাম দেওয়ানটোলা। ২০০ বছর আগের সেই আবাস স্থানের আর কোন চিহ্ন অবশিষ্ট নেই।


রাজা রামমোহন রায়ের জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রংপুরে অবস্থানকালেই তাঁর মধ্যে একেশ্বরবাদী চেতনার বিকাশ ঘটেছিল। সেই সময় রংপুরের মানুষের মধ্যে তিনি একেশ্বরবাদ প্রচারও করেছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলা তাঁর বাড়িতে (মীরগঞ্জ, সাবেক তামফাট ইউপি) ব্রাহ্মণ পণ্ডিত, সাধু সন্ন্যাসী, মুসলমান মৌলভী, জৈন মাড়োয়ারি প্রভৃতি অনেক সম্প্রদায়ের মানুষের সমাগম হতো। তিনি রামমোহন পণ্ডিতদের সাথে ধর্মীয় বিতর্ক করতেন। তিনি তাঁদেরকে পৌত্তলিকতার অসারত্ব, ব্রহ্মজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে দিতেন। ওই বাড়িতে বসেই তিনি কয়েকটি ঐতিহাসিক ফারসি গ্রন্থ রচনা করেন। বিখ্যাত গ্রন্থ বেদান্তের সূচনা করেন মীরগঞ্জের বাড়িতে বসেই। এখানেই অধ্যয়ন করেছিলেন অন্যান্য জৈন ধর্মগ্রন্থগুলির। এই সময়টা ছিল তাঁর ভবিষ্যতের কাজের জন্য কঠোর প্রস্তুতির সময়। যার প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন তিনি রংপুর ত্যাগের এক যুগ পর। কোলকাতায় গড়ে তুলেছিলেন ব্রাহ্ম সভা, যা পরে ব্রাহ্ম সমাজে রূপান্তরিত হয়।


রংপুরে অবস্থানকালে ১৮১০ সালের ৮ এপ্রিল রামমোহনের বড় ভাই জগমোহন রায় মারা গেলে তাঁর স্ত্রী অলনমনি দেবী সহমরণে যান। লাশের সঙ্গে একটি জীবিত মানুষের করুণ মৃত্যুর বিবরণ শুনে রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথা রদ করার দৃঢ় সংকল্প করেন, যা ছিল ব্রাহ্মধর্মের অন্যতম পদক্ষেপ।


১৮১৪ সালে কালেক্টরেট ডিগবি রংপুর থেকে চলে গেলে রাজা রামমোহন রায়ও সেখান থেকে কলকাতা চলে যান। দিল্লির বাদশাহ আকবর তাঁকে রাজা উপাধি দিয়েছিলেন। মূলত তাঁর নির্দেশেই রামমোহন ১৮৩১ সালের ৮ এপ্রিল বিলাতে যান। সেখানে তিনি বাদশাহ আকবরের পক্ষে রাজা চতুর্থ উইলিয়ামের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিলাতে থাকাকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সেখানে মারা যান। ব্রিস্টল শহরের সেলটিন গ্রেভে তাঁকে সমাহিত করা হয়।


রাজা রাম মোহন রায়ের স্মরণে তাঁর মৃত্যুর প্রায় এক শত বছর পরে রংপুর কালেক্টরেটের কর্মচারীবৃন্দের উদ্যোগে ১৯২৬ সালে তাঁর স্মৃতিধণ্য রংপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজা রাম মোহন ক্লাব। স্থাপনা নির্মাণের জন্য রাধাবল্লভ মৌজায় ৪০ শতাংশ জমি কেনা হয় এক হাজার ৫০০ টাকায়। আজকের রাজা রাম মোহন ক্লাস মার্কেট কমপ্লেক্সের স্থানেই ছিল সামনে ফাঁকা জায়গাসহ দেয়াল ঘেরা স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু টিনের চালাওয়ালা রাম মোহন ক্লাবের পাকা দালান। যা আমরা অনেকেই দেখেছি। সেই ক্লাব ভবন ভেঙে নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে এসে নির্মাণ করা হয় রাজা রাম মোহন ক্লাস মার্কেট কমপ্লেক্সের। ২০০৯ সালের ২৫ আগস্ট দেশ বরেণ্য ভাস্কর এবং রংপুর কৃতি সন্তান অনীক রেজার Aneek Reza করা রাজা রাম মোহন রায়ের ম্যুরাল মার্কেটে স্থাপন করা হয়।


আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, রাজা রামমোহন রায়ের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা। 


তথ্য সূত্র :

মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত : নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়

২০১১ সালে রংপুর রাজা রামমোহন ক্লাব প্রকাশিত ‘স্মারকগ্রন্থ’

রাজা রামমোহন রায় ও রংপুর : এ্যাডঃ মোহাম্মদ জগলুল, রংপুর আইনজীবী সমিতির স্মরণিকা (২০০৭)।

ফেইসবুক থেকে কপি করে পেস্ট করলাম

পৃথিবীর সকল নারীদের কে কি তার স্বামীর পাজোরের বাকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে,,, ফেইসবুক প্রশ্ন উত্তর রফিকুল ইসলাম বিন সাঈদ

 প্রশ্ন: পৃথিবীর সকল নারীদেরকে কি তাদের স্বামীর পাঁজরের উপরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে?এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬

পৃথিবীর সকল নারীদেরকে তাদের স্বামীর পাঁজরের 

 বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে এই বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা কুরআন-সুন্নাহয় এই মর্মে কোন দলিল পাওয়া যায় না। তাছাড়া এটি বিবেক বিরোধী কথা। কেননা যদি সকল নারীকে তাদের স্বামীর হাড় থেকে সৃষ্টি করা হতো তাহলে যাদের একাধিক বিয়ে হয়েছে অর্থাৎ একবার বিধবা হওয়া বা তালাক প্রাপ্তির পর আবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন,আবার যারা চিরকুমারী থাকে যাদের চেষ্টার পরেও বিবাহ না হওয়ার কারণে তাদের ক্ষেত্রে এই কথার ব্যাখ্যা কী হবে? মূলত হাদীসটি বুঝার ভুলের কারণেই এমনটি বলা হয়ে থাকে। বরং কুরআন-সুন্নাহ ও সালফে-

সালেহীনের বক্তব্য থেকে বুঝা যায় যে,সকল মানুষের উৎস হচ্ছে,আমাদের পিতা আদম (আ.)এবং তাঁকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে। তারপর তাঁর থেকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর স্ত্রী হাওয়া (আ.)-কে। তারপর তাঁদের থেকে সৃষ্টি করেছেন গোটা মানবজাতিকে। এর দলিল হলো,মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। (সূরা নিসা,৪/১)। উক্ত আয়াতের তাফসীরে ইমাম ইবনে কাসীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এক ব্যক্তি থেকে তিনি হলেন আদম (আ.) তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন তিনি হলেন হাওয়া আ.। যাকে সৃষ্টি করা হয়েছে তার পরে তার বাম পাঁজরের হাড় থেকে। তখন তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। জাগ্রত হয়ে যখন তাকে দেখলেন, তখন বিস্মিত হলেন এবং তার প্রতি প্রীত হলেন। তিনিও আদম আ.-এর প্রতি প্রীত হলেন। ইবনে হাতিম তার পিতা থেকে, তিনি মুহাম্মাদ ইবন মুকাতিল থেকে, তিনি অয়াকী থেকে, তিনি আবু হিলাল থেকে, তিনি কাতাদাহ থেকে, তিনি ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, (প্রথম) নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পুরুষ থেকে।(তাফসির ইবন কাসীর ২/২০৬)

.

এবার এ প্রসঙ্গে বর্ণীত হাদীসটি দেখি, আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আর তোমরা নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে। কেননা, তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে এবং সবচেয়ে বাঁকা হচ্ছে পাঁজরের ওপরের হাড়। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। আর যদি তুমি তা যেভাবে আছে সেভাবে রেখে দাও তাহলে বাঁকাই থাকবে। অতএব, তোমাদেরকে ওয়াসিয়ত করা হলো নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার। (বুখারী পর্ব ৬৭ : /৮০, হাঃ ৫১৮৬; মুসলিম ১৭/১৮, হাঃ ১৪৬৮ আল লু'লু ওয়াল মারজান, ৯৩৪)। শব্দ বিন্যাস বুখারী আর মুসলিম এ আছে – আর যদি তোমরা তাদের থেকে ফায়দা উঠাতে চাও তাহলে বাকা থাকা অবস্থায়ই তাদের থেকে উপভোগ নিতে থাকবে। আর যদি সোজা করতে চাও তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর ভেঙ্গে ফেলার অর্থ তালাক দেয়া।(সহীহ বুখারী ৩৩৩১,৫১৮৪,৫১৮৫,

৬০১৮,৬১৩৮,৬৪৭৫, মুসলিম ৪৭,১৪৬৮, তিরমিযী ১১৮৮, আহমাদ ৭৫৭১,৯২৪০, দারেমী ২২২২ লুলুগুল মারাম,১০১৫)


▪️হাদীসটির ব্যাখ্যায় ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ)

বলেছেন, এ হাদীসে নারীদের প্রতি সহানুভূতি এবং ইহসানের জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে, আর সৃষ্টিগত বক্র স্বভাবের ও অপূর্ণ জ্ঞানের কারণে ধৈর্যধারণের উপদেশ প্রদান করা হয়েছে। আনুগত্যে দৃঢ় না থাকায় অথবা কারণ ছাড়াই তাদের তালাক দেয়াও অপছন্দনীয় কাজ, অতএব তা থেকে বিরত থাকবে। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৩৩১; শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪৬৮; মিরকাতুল মাফাতীহ)

.

ইমাম ইবনে হাজার (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে ইবন ইসহাক আরো বর্ণনা করেছেন, বাম পাঁজরের হাড় থেকে, জান্নাতে যাওয়ার আগে এবং সেখানে গোশত দ্বারা ভরে দেয়া হয়েছে।(ফাতহুল বারী ৬/৩৬৮)

.

ইবনুল আরাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, বর্ণিত আছে, আদম (আ.) ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন তার বাম পাঁজরের একটি হাড় খুলে নেয়া হলো। তারপর তা দ্বারা হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। যখন তার হুঁশ আসল তখন তাকে তার একপাশে পেলেন। তাকে দেখে তিনি বিব্রত না হয়ে প্রীত হয়েছিলেন। কেননা, তিনি তো তাঁরই অংশ। এজন্য ডান পাঁজরের তুলনায় বাম পাঁজরে একটি হাড় কম আছে। (আ’রিযাতুল আহওয়াযী ৬/৩৬৮)

.

ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭৫১ হি.] বলেছেন,মহান আল্লাহ তাআলার অন্যতম বিস্ময়কর নেয়ামত এই যে, তিনি পিতা মাতা ছাড়া সৃষ্টি করেছেন মানবকুলের পিতাকে, নারী ছাড়া শুধু পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকুলের মাতাকে, পুরুষ ছাড়া শুধু নারী থেকে সৃষ্টি করেছেন ঈসা ইবন মারইয়াম (আঃ)- কে। আর পুরুষ ও নারী থেকে সৃষ্টি করেছেন গোটা মানবজাতিকে। যেন বান্দা এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার  নিদর্শনগুলি দেখে এবং তাঁর নেয়ামত ও ক্ষমতার দ্বারা চিনতে পারে এবং যদি তিনি কিছু চান,আর তিনি তো ‘হয়ে যাও’ বললেও হয়ে যায়।(মিফতাহু দারিস সাআ’দাহ ১/২৪২, ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতওয়া নং-১৮৩০৩৯)

.

উল্লেখ যে, অনেক ইসলাম বিরোধী এক্টিভিস্ট অপব্যাখ্যা করে বলতে চায় যে - হাদিসে বলা হয়েছে সব নারীকেই তাদের স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে; এবং এই কথা বলে তারা নবী (ﷺ) এর বহুবিবাহ, পাঁজরের হাড়সংখ্যা ও স্ত্রীদের নিয়ে অসার কথা বলে। আবার কেউ কেউ অবিবাহিত নারী, তালাকপ্রাপ্ত নারী, একাধিক পুরুষের সাথে বিবাহ হওয়া নারীর উদাহরণ দেখিয়ে হাদিসকে ভুল বলতে চায়। কিন্তু তাদের এইসব অভিযোগের মূলেই আছে অসত্য ও অপব্যাখ্যা। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক আমীন।(আল্লাই সবচেয়ে ভাল জানেন)

______________

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

একটি প্রেমের শিক্ষামূলক গল্প ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ''অহনা আপু, আমার ভাইয়ার সাথে ১৫ দিন ভালোবাসার অভিনয় করবেন?'


'এই কি বলো এসব?'


'প্লিজ আপু মানা করেন না।'


'মাথা কি গেছে তোমার?'


মেয়েটা আমার হাত দুটো ধরে কাঁদো কাঁদো সুরে বললো, 


'প্লিজ আপু, আপনি আমার কথায় রাজী হয়ে যান।'


আমি হাত ঝাড়া মেরে রাগত্ব স্বরে বললাম,

'তুমি তো বোন নামে কলঙ্ক। কেউ ভাইয়ের সাথে অভিনয় করার জন্য এভাবে কাউকে ফোর্স করে তোমাকে না দেখলে জানতামই না।'


মেয়েটা বিষাদের হাসি হাসলো। চোখ নামিয়ে নিচুস্বরে উত্তর দিলো,


'ভাইকে কয়েকটা দিন ভালো রাখতে যদি এতোটা নিচে নামতে হয় যে লোক ধিক্কার জানাবে। তাহলে আমি তাতেও রাজী।'


চকিতে তাকালাম মেয়েটার দিকে। চোখ বেয়ে তার নোনাজল গড়াচ্ছে। মনে হলো, এখানে ভিন্ন কোন কাহিনি আছে। ওকে বললাম,


'চলো সামনের পার্কটায় বসে তোমার কথা শুনি। কেন তুমি এমন আজব আবদার করলে আমার কাছে।'


মেয়েটা চোখ মুছে আমার সাথে হাঁটতে লাগলো। পার্কের ভোতরে গিয়ে একটা উঁচু সিমেন্টের টিলায় আমরা দুজন বসলাম। স্বাভাবিক গলায় জিজ্ঞেস করলাম,


'এবার বলো, তোমার ভাইয়ের সাথে অভিনয় করতে কেন বলছো?'


মেয়েটা করুন চোখে তাকিয়ে বলতে আরম্ভ করলো,

'আমার নাম সেতু। আমার ভাইয়ার নাম হাসান।আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। বাবা মারা গেছে বহু আগে। ভাইয়া আমাদের পরিবারের সব কিছু দেখাশোনা করে। আমাদের দুই বোনের যাবতীয় খরচ, মায়ের ঔষধপাতি সবদিকে সমান নজর তার। আমাদের পড়াশোনা করাতে গিয়ে ভাইয়া নিজে পড়াশোনা করতে পারেনি৷ এসএসসি পাস করার পর স্থানীয় এক বেকারি দোকানে কাজ নেয়। ধীরে ধীরে পুঁজি জমিয়ে একটা ছোট বেকারি দিয়েছে। এই বছরের শুরুর দিকে ভাইয়া জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। ভাইয়া নিজের ব্যাপারে অনেক উদাসীন। রোগটাকে সে একদম হেলা করেছে। যার দরুন তা গাঢ়িয়ে গেছে। পাশের গ্রামের কবিরাজের চিকিৎসা করেছে। কিন্তু ফলাফল ভালো নয়। ভাইয়া আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু ভাইয়াকে কিছুতেই শহরের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজী করাতে পারিনি। কিছু বললে বলতো, এমনি ভালো হয়ে যাবো। ডাক্তারের কাছে গেলে কত খরচ হবে। এতো টাকা পাবো কোথায়? অবস্থা যখন অনেক খারাপ তখন আমরা জোর করে ভাইয়াকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছিলাম।'


সেতু এতটুকু বলে কান্নায় ভেঙে পরলো। আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 


'তারপর ডাক্তার কি বললো?'


'ডাক্তার বললো আপনারা অনেক দেরী করে ফেলছেন। জন্ডিসকে অবহেলা করে ভাইয়া ঠিক করেনি।লিভারের ভেতরের দিকে পচন ধরে গেছে।অবস্থা অনেক খারাপ। তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। তার হাতে সময় আছে ধরেন ১৬-১৭ দিন। আমরা কিছু করতে পারবো না। তাকে বাসায় নিয়ে যান। এই কথা শোনার পর আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পরছে আপু। কিছুতেই স্বাভাবিক থাকতে পারছি না। তবুও ভাইয়ার সামনে হাসিমুখে থাকতে হচ্ছে।'


'সবই বুঝলাম কিন্তু আমাকে অভিনয় করতে কেন বলছো?'


'আপনাকে অনেক আগের থেকে আমার ভাইয়া ভালোবাসে। কিন্তু বলেনি। আপনার পরিবার কখনও আমাদের মতো পরিবারে আপনাকে বিয়ে দিবে না তাই। কিন্তু এই শেষ মুহুর্তে ভাইয়ার মুখে হাসি ফুটাতে আমার আপনার কাছে আসতেই হলো। আমার ভাইটা অন্ততপক্ষে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার আগে একটু খুশি নিয়ে যাক।'


'কিন্তু এটা তো তাকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে।'


'তাকে ভালো রাখার জন্য আপাতত আর কোন অপশন নেই আমার। প্লিজ অহনা আপু। আপনি রাজী হয়ে যান।'


মেয়েটার জোরজবরদস্তি আর করুন চেহারা দেখে আমি মানা করলাম না। ওকে বলে দিলাম আগামীকাল ওর ভাইকে যেনো বলে আমাকে প্রপোজ করতে। খুশিমনে সেতু আমায় জড়িয়ে ধরে প্রস্থান করলো। 


পরেরদিন যথারীতি ওর ভাইয়ের সাথে সেতু হাজির। আমি পার্কের ভেতরের দিকে ছিলাম। হাসান আমায় দেখে উসখুস করছে। আমি হাসিমুখে সামনে এগিয়ে এসে বললাম,


'কি মিস্টার শুনলাম আমায় নাকি ভালোবাসেন?'


সে মাথা নিচু করে ফেললো। বোকার মতো মাথার পেছনটা চুলকে লাজুক হাসি দিলো। সেতু হাসানকে দিয়ে আমাকে প্রপোজ করালো। আমি পূর্বের কথার ন্যায় তার তা এক্সেপ্ট করলাম। মনে মনে আল্লাহর কাছে তোওবা কাটলাম। কাউকে কিছু দিন ভালো রাখার জন্য এভাবে অভিনয় করতে হবে কখনও ভাবিনি।


এরপর প্রতিদিন আমার ও হাসানের দেখা হতো।আমরা পার্কে বসে কখনো একসাথে বাদাম চিবুতাম।কখনো বা নদীর পাড়ে বসে গল্প জমাতাম। ছেলেটা ভীষণ সহজ সরল। চুপচাপ, ঠান্ডা স্বভাবের। চেহারা মা শা আল্লাহ! রোগা শরীরে মলিন হাসি সবসময় লেগে থাকতো। প্রথম প্রথম ভেবেছিলাম কথা জানে না। কিন্তু আমার ধারণা ভুল করে দিয়ে দেখা গেলো সে অনেক ফাজিল। কথা বলার অঙ্গিভঙ্গি দিয়ে প্রচুর হাসাতে পারে। এর সাথে থাকলে সময় ঘোড়ার দৌড়ের গতিতে পেরিয়ে যায়। মন ভালো করার ম্যাজিকাল পাওয়ার আছে হাসানের কাছে। সপ্তাহ ঘুরতেই তাকে আমার ভালো লেগে গেলো। একদিন বিকেলে তার সাথে নদীর পাড় ঘেঁষে হাঁটছি। সে আকাশের দিকে তাকিয়ে উদাস কন্ঠে বললো,


'অহনা, যদি কখনো তোমায় ছেড়ে চলে যাই তুমি কি আমায় মিস করবে?'


আমি চমকে উঠলাম। কোনভাবে হাসানকে জেনে গেলো ও যে বেশি দিন বাঁচবে না? আমি নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রেখে কপট রাগ দেখিয়ে বললাম,


'কি ধরনের কথা এটা?'


হাসান ম্লান হেসে বললো, 

'আমি জানি আমার কপালে এতো সুখ সইবে না।'


আমি কিছু বলার আগে সে কথা ঘুরিয়ে ফেললো।আমি শান্ত চোখে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুখন। জীবনটা দু পাতার মতো। এক পাতা পড়ে বুঝতে বুঝতে আরেক পাতা শেষ হয়ে যায়। তবে বইয়ের পাতা তো ফের পড়া যায়। কিন্তু জীবনের পাতা! আর পড়ার সুযোগ নেই। 


পরেরদিন সেতু এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে খুশিতে আত্মহারা। আমি কারণ জিজ্ঞেস করতে সে বললো,


'ভাইয়াকে আজকাল অনেক খুশি দেখায়। যা তোমার কারণে সম্ভব হয়েছে। ধন্যবাদ অহনাপু!'


সময়ের কাটা বোধহয় খুব দ্রুত চলে গেলো। হাসানের সাথে অভিনয় করতে করতে কখন যে সত্যি সত্যি পছন্দ করে ফেলেছি নিজেই জানি না। দুই সপ্তাহ পরের ঘটনা। ১৪ দিনের মাথায় হাসানকে কল করে মোবাইল বন্ধ পেলাম। বুকের ভেতর ঢিপঢিপ করছে। সময় তো ঘনিয়ে এসেছে। কোন খারাপ সংবাদ নয় তো। সেতুর নাম্বারে কল করে ব্যস্ত পাচ্ছি। আমার হাত-পা কাপছে। হাসানের মোবাইল কখনও বন্ধ পাইনি। গতকাল রাতে বললো শরীরটা বেশি ভালো লাগছে না। মনটা আমার কু ডাকছে। অস্থিরতায় আমার সারা শরীর ঘেমে দরদর করে ঘাম পরছে। প্রায় বিশ মিনিট পর সেতুর কল। আমি রিসিভ করে দ্রুত জিজ্ঞেস করলাম, 


'সেতু, হাসান কোথায়? ওর মোবাইল বন্ধ। ও ঠিক আছে তো?কথা বলছো না কেন?'


সেতুর চাপা স্বরের কান্না শুনে আমার হৃৎপিণ্ড অনরবত লাফাতে আরম্ভ করেছে। কিছু সময় সেতুর কান্নায় হেঁচকি উঠে গেছে। আমি রিতীমত বিরক্ত। হাসানের কোন খবর দিচ্ছে না কেন? সেতু নিজেকে একটু সামলে বললো,


'তোমার ঋণ কিভাবে শোধ করবো জানি না আপু। তুমি আমাদের অনেক বড় উপকার করছো।'


আমি অস্থির গলায় বললাম,

'এসব কথা রাখো। আগে বলো হাসান কেমন আছে?'


'অনেক ভালো আছে আপু। ঐ যে,উঠানের খাটটায় শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে।'


'মানে?'


'আমার ভাইয়া আর নেই গো আপু। ফজরের পর সে না ফেরার দেশে চলে গেছে।'


সমাপ্ত


দু_পাতার_জীবন

ভুল হলে অবশ্যই ধরিয়ে দিবেন। কিন্তু বকা দিয়েন না☹️।

ইচ্ছা """ফেইসবুক গল্প

 ছোটবেলায় কিসমিস খেতে খুব ইচ্ছা করত।আম্মা খেতে দিত না।বাজার থেকে অল্প কিসমিস এনে আম্মা কুটুরিতে লুকিয়ে রাখত।শুধুমাত্র সেমাই রান্না করার সময় সেই কুটুরি খোলা হত।ঐ সময় হাতে দুই তিনপিস পেয়ে অতৃপ্ত  আমার বাল্যকালে খুশীর রঙ লেগে যেত।


যখন টাকা আয় শুরু করলাম তখন কিসমিস খাওয়া শুরু করলাম।মুঠো মুঠো করে কিসমিস খাইছি। হয়ত বাল্যকালের সেই তিনপিসের মত টেস্ট পাই নাই, তবে অতৃপ্ত বাল্যকালের উপর কিছুটা প্রতিশোধ নিতে তো পারছি।


ঐদিন এক সুপার শপে দেখলাম নসিলা।ছোটবেলায় টিভিতে শুধু এড দেখতাম, বাচ্চারা টিফিনে নসিলা দিয়ে পাউরুটি মাখিয়ে নিয়ে যায়। এড দেখে বুঝতাম এই জিনিস বিরাট সুস্বাদু,কিন্তু মধ্যবিত্ত বাবা মায়ের নসিলার বোতল কিনে দেয়ার আগ্রহ বা সক্ষমতা কোনটাই ছিল না।


ঐদিন এক বোতল নসিলা কিনে এনে আঙুল দিয়া চেটে পুটে খাইছি। যেটুকো সক্ষমতা আছে, সেটুকোর মধ্যে কোন  আক্ষেপ রাখা যাবে না। 


এক কলিগের  তেল আনতে নুন ফুরায় অবস্থা।একদিন দেখি  ফুল ফ্যামিলি কক্সবাজার যাবার বিমানের টিকেট সহ উপস্থিত । সবাই কানাঘুষা করতেছে।আমি ভাইরে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম ঘটনা কি?


সে বলল, আব্বা সারাজীবন স্বপ্ন দেখাইছে রোল ১ হইলে কক্সবাজার নিয়া যাবে। ক্লাসে সবসময় রোল ১ হইত, কিন্তু স্কুল শিক্ষক আব্বার  সক্ষমতা হয় নাই।আমিও ছেলেকে বলছিলাম রোল ১ হলে কক্সবাজার নিয়া যাব।একটাই জীবন,আমি আমার আব্বার মত হতে চাইনা।


জীবনটা তো ছোট। আজকে আপনার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার বয়স।টাকা জমিয়ে জমিয়ে কোন একদিন সময় করে বউ নিয়ে ঘুরতে যাবেন, ও স্বপ্ন সহজে পূরণ হবে না।সময়, টাকা, অবসর তিনটা একসাথে আপনার কোনদিন হয়ে উঠবে না।


জীবন একটু একটু চলে যাচ্ছে।আজকে যা গেল ওটাই শেষ। আজকে যা করতে পারেন নাই, ওটাই মিস করলেন।যেটুকো আপনার আছে এটুকুই অল্প করে উপভোগ করার মানেই জীবন।


জীবনটাকে নসিলা ভেবে চেটেপুটে খেতে থাকুন, কিসমিসের মত ভবিষ্যতের আশায় কুটুরিতে জমা করে রাখলে শুধু আফসোস বাড়বে।


ফেইসবুক থেকে কপি করা 

তাবলীগ জামাত ফেইসবুক গল্প

 -যে গল্পে অশ্রু ভিজে.🍂


রাসুল (সাঃ) এর  প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রাঃ) মারা যাওয়ার আগে রাসুল (সাঃ) এর দুটো হাত ধরে বললেন....


 আমাকে কথা দিন,,, আপনার গায়ের জোব্বা দিয়ে আমার কাফনের কাপড় বানাবেন, আর নিজ হতে  আমাকে কবরে নামিয়ে দিয়ে আমার সওয়াল-জবাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি কবরের পাশেই থাকবেন। আমাকে একা ফেলে যাবেন না। রাসুল (সাঃ)  অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন,  " হে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী, আমি কথা দিচ্ছি... "।  খাদিজা (রাঃ)  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। 


গোসল, জানাজা শেষ করে রাসুল (সাঃ)  তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিজেই কবরে শুইয়ে দিলেন, এবং কবরের পাশে অশ্রুজল চোখে কবরের পাশে দাড়িয়ে রইলেন। হাবীবের এমন বিমর্ষ মানসিক অবস্থা দেখে মহান আল্লাহ ফেরেস্তা জিবরাইল (আঃ) কে পাঠালেন। 


জিবরাইল (আঃ) এসে সালাম দিয়ে জানতে চাইলেন,  হে আল্লাহর রাসুল আপনি এভাবে আপনার স্ত্রীর কবরের পাশে এভাবে দাড়িয়ে  আছেন  কেন? রাসুল (সাঃ)  বললেন, " হে জিবরাইল,  আমি  প্রিয়তমা স্ত্রীকে  কথা দিয়েছি তাঁর সওয়াল-জবাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে নড়বো না।


জিবরাইল (আঃ)  বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি জেনে রাখুন আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, খাদিজা (রাঃ)  কে করা মুনকার-নাকীর এর সওয়ালের জওয়াব আল্লাহ আরশে আজীম থেকে নিজেই দিয়ে দিবেন। সুবহানাল্লাহ :-')


এই সেই খাদিজা (রাঃ), যাকে মহান আল্লাহ সালাম দিয়েছেন। যেখানে তিঁনিই কবরের সওয়াল-জবাবকে ভয় পেয়েছেন। সেখানেই আমরা যেন চিন্তাই করিনা কবরের জীবন নিয়ে। আল্লাহ আকবর। :-'(


খাদিজা (রাঃ)  এর মৃত্যুর পর প্রায় প্রতি রাতেই আয়িশা (রাঃ) এর ঘুম ভেঙে গেলে, উঠে এসে দেখতেন রাসুল (সাঃ)  কান্নারত অবস্থায় আল্লাহর কাছে মিনতি করছেন, 

হে আল্লাহ!  যখন শেষ বিচারের দিন ছেলে বাবাকে চিনবে না,বাবা ছেলেকে চিনবে না,স্বামী স্ত্রীকে আর  স্ত্রী স্বামীর চেহারা দেখে বিস্তৃত হবে  তখন যেনো আমি আমার আমার প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজাকে চিনতে পারি এবং তাঁকে দেখে যেন বিস্তৃত না হই। 


খাদিজা (রাঃ)  গোশত খেতে পছন্দ করতেন।যদিও খুব কম সুযোগ হতো।কিন্তু কখনো হঠাৎ  কোন উট, দুম্বা কিংবা খাসির গোশতের ব্যবস্থা হতো,তিনি তৃপ্তি করে খেতেন। উনার মৃত্যুর পর রাসুল (সাঃ)  যখনি কোন গোশত হাদিয়া পেতেন কিংবা কোনোদিন হঠাৎ কোন

পশু জবাই হতো, তখন রাসুল (সাঃ) খুব যত্নে এক ভাগ মাংস  সরিয়ে রাখতেন।


সেটা একটা পোটলায় ভরে মদীনার রাস্তায় চোখ মুছতে মুছতে হাটঁতেন, প্রিয়তমা খাদিজা (রাঃ)  এর কোন পুরনো বান্ধবীর দেখা পান কিনা,,, সেই আশায়। কোনো বান্ধবীকে দেখলে, পোটলাটা  দিতেন। 


আল্লাহ সকল হালাল সম্পর্কের বারাকাহ দান করুক।

প্রত্যেক সংসারকে আল্লাহ  ভালবাসা এবং স্নেহের আঁচলে আবৃত করুক....

আমিন।

অতীত ফেইসবুক গল্প পেইজ

 পাঁচ বছর পর তার সাথে আমার আজকে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে দেখা।দুজনের মুখেই হাসি, উনার মুখে অপরাধীর আর আমার মুখে ব্যথা লুকানোর হাসি। নিজের স্ত্রীকে নিয়ে দাওয়াতে এসেছেন। কোলে একটা বাচ্চা মেয়েও আছে দেখছি। কাকতালীয় ভাবে দেখা। পাঁচ বছর পরেও আমার অনূভুতি গুলো কেমন আগের মতই আছে। বুঝতে পারছি না, কথা বলা উচিৎ নাকি নয়,বললেই কীভাবে কথা বলবো, কথা বলতে চাচ্ছি কিন্তু ঠোঁট নাড়িয়ে বলতে পারছি না।এমন তো হওয়ার কথা ছিলো না।গলা যেনো শুকিয়ে কাঠ,পানি খেয়েও তৃষ্ণা মিটছে না।জ্বর ,সর্দি হলে যেমন হয়,ঠিক তেমন আমার গলার দশা।এর মধ্যেই উনার পাশে থাকা মহিলাটি বলে উঠলো


-"আরে আপনি সেই? গতকাল এসেছি থেকে ঝুমুর মুখে আপনার প্রশংসা শুনছি। আসলেই আপনার পছন্দ একদম আপনার মতোই সুন্দর।"


কেউ কারুর প্রশংসা করলে, উত্তরে কী বলতে হয় তা আমি খুঁজে পাচ্ছি না।তাই বোকার মতো কেমন হাসলাম। হেঁসেই খুব অনাকাঙ্ক্ষিত এক প্রশ্ন করলাম,,

উনার কোলে থাকা বাচ্চা মেয়েটির হাত ধরে জিজ্ঞেস করলাম,


-"আপনার মেয়ে বুঝি?"


-"জ্বী আমার মেয়ে।আর উনি আমার বর।"


বাচ্চা মেয়েটার হাত ধরে পূনরায় জিজ্ঞেস করলাম,


-"নাম কী মেয়ের?"

 

মেয়ের মা টুক করে জবাবে বললেন ,

 

-"হুমাইরা ইয়াসমিন ইফতি।"


আমি চমকালাম,এই নাম নিয়ে আমরা একটা সময় কত গল্প করেছি। জানেন আমাদের একটা মেয়ে হবে। টুকটুকে লাল, আপনার নামের সাথে নাম মিলিয়ে তার নাম রাখবো হুমাইরা ইয়াসমিন ইফতি।


আজকে সত্যি সত্যি উনার একটা লাল টুকটুকে মেয়ে হয়েছে। নাম টাও ঠিক সেটাই হয়েছে। কিন্তু মেয়ের মায়ের জায়গায় আমি নই অন্য কেউ। নিঃসন্দেহে ইফতির মা অনেক সুখী মানুষ।যেখানে এতো এতো ভালোবাসা দিয়ে মেয়ের নাম ঠিক করলাম আমি, কল্পনায় লাল টুকটুকে মেয়ে চাইলাম,আর উনাকে যতটা চেয়েছি তা আর কী বলবো,,

চাওয়ার পরিমাপ বোঝার জন্য হলেও একটা মেশিন আবিষ্কার করা উচিৎ ছিলো,যাতে কে কাকে কতটা সত্যি কারেই চায় তা বোঝা যেতো। কোন ফেইক মানুষের সাথে,জীবন জড়িয়ে যেতো না, হয়তো তখন কারুর।আর যাদের আমরা তীব্র ভাবে চাই তারাও হয়তো এই পরিমাপ যন্ত্রের সাহায্যে চাওয়ার পরিমাণ দেখতে পেরে আমাদের ছেড়ে যেতে বা ধোঁকা দিতে একটু হলেও কলিজা কাঁপত বোধহয়।


আমার সামনে দাঁড়ানো মহিলাটি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবতী। যাকে হাজার বার চেয়েও আমি পেলাম না।আর উনি তা কী সহজ স্বাভাবিক ভাবে পেয়ে গেলেন। এটাকে আমি আমার দূর্ভাগ্য বলবো নাকি কর্মের ফল? বুঝতে পারছি না।


 আমার কী বুকে ব্যথা হচ্ছে নাকি। চোখের পানি বিদ্রোহ করছে বোধহয় কোপল বেয়ে গড়ানোর জন্য। আমি এসবের কিছু বুঝতে পারছি না। শুধু এইটুকু বুঝতে পারছি এই মুহূর্তে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখ রাজ্যের রানী আমি। পৃথিবীর সমস্ত সুখ আমার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ছে।এই রাজ্যে সুখ ছাড়া কিছুই নেই।ব্যথা কি এই রাজ্যের মানুষ জানে না। আমি সুয়ে আছি একটা হীরের পালঙ্কে।


আমার কল্পনা বেশ কাজে দিলো, দুঃখ রা সব পালালো। আমি এখন আছি ফূর্তিতে। আমার সামনে দাঁড়ানো পুরুষটির সামনে আমাকে জীবন দিয়ে হলেও সুখী থাকতে হবে।কান্না করার অনেক সময় পাবো। আজকের এই মুহূর্তের কান্না আমার জীবনের কলঙ্কের মতো।তাই ইফতির মাকে হাসি হাসি মুখে বললাম,


-"বাহ, অসাধারণ নাম মেয়ের।তা কে রেখেছেন এই নাম?"


-"ওর বাবাই,এই নাম না রাখলেই নাকি নয়।ইফতি যখন পেটে, তখন ওর বাবাই কী বলেছে জানেন?ছেলে হলে নাম রাখার দায়িত্ব আমার,আর মেয়ে হলে উনার।মেয়ে হলেই যে উনিই রাখবেন তা নয়, মেয়ে যদি টুকটুকে সুন্দরী হয় তাহলে উনি রাখবেন আর না হলে আমি যা খুশি রাখবো।মেয়ে হওয়ার আগে অনেক বার নাম জিজ্ঞেস করেছিলাম, কিন্তু উনি আমাকে নামটা অবধি বলেননি।নামটা নাকি অনেক দামী,তাই বলা যাবে না। সৃষ্টিকর্তার প্রশংসা করছি, তিনি আমাকে  টুকটুকে মেয়েই ভিক্ষে দিয়েছেন।"


উনার স্ত্রী বেশ সরল নয়তো এই ঘটনা টুকু উনার খুব সুখের। নয়তো এইভাবে অপরিচিত কাউকে এসব বলবেন কেন। উনার স্ত্রী যখন এসব কথা বলছেন,উনি কেমন অস্থতিতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলেন। মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন দেখলাম।


আমিও আবার হাসি  মুখে বললাম,


-"নামের সাথে আপনার মেয়ের চেহারার অনেক মিল মাশআল্লাহ। আল্লাহ আপনার মেয়েকে নেক হায়াত দান করুন।"


উনি উনার স্ত্রী কে নিয়ে একটা ব্রেঞ্চে গিয়ে বসলেন। আমি জানি এখানে আমি বেশি সময় থাকতে পারবো না।দ্রুত বাসায় যেতে হবে। এখানে বিয়েতে ইনভাইট করেছে আমাকে।যার বিয়ে সে আমার পূর্ব পরিচিত নয়, গতকাল বিকালেই সদরে দেখা গয়নার দোকানে। আমি গিয়েছিলাম একটা আংটি আনতে।তখন যার বিয়ে মানে ঝুমুর উপস্থিত সেই দোকানে। আমার আংটিটি দেখে বললো,


-"আরে বাহ্ আপনার পছন্দ তো চমৎকার! আমাকেও কিছু পছন্দ করে দিন তো।"


পরে জানতে পারলাম উনার বিয়ের গয়না, কেনাকাটা শেষে আমাকে খুব করে যেতে বললো। ফোন নাম্বার নিয়ে গেলো। কিছু কিছু মানুষের আতিথেয়তা না করার মতো উপায় থাকে না।তাই বাধ্য হয়েই আজকে আসা। কিন্তু এত বছর পর উনার সাথে আমার দেখা হবে তা আমি মনের ভুলেও ভাবিনি।শুধু উনিই নয়, উনার স্ত্রী, সন্তান। অতীতের করা ভুল গুলো আমাদের ভবিষ্যতে গিয়ে দুঃখ নামের সারপ্রাইজ হিসাবে সামনে এসে চমকে দেয়।


আমি বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বিয়ের কনেকে পরে কল করে কিছু একটা বলে দিবো।দ্রুত বাসায় ফিরতে হবে। আজকে আমি অনেক আয়োজন করে কাঁদবো।কজন কাঁদতে পারে,কত মানুষ কাঁদতে চেয়েও পায় না, চোখের পানি শুকিয়ে গেছে তাদের।আর আমার চোখে এখনও সাগর সমান পানি।দ্রুত হাঁটছি। রাস্তায় গিয়ে গাড়ি নিতে হবে। অনেক টা পথ সরু কাঁচা মাটির রাস্তা। এখানে গাড়ি আসে না।


-"এখনো অনেক ঘৃণা করো আমাকে?"


আমি চমকে পিছন ফিরে চাইলাম। উনি আমার পিছনে। কথার জবাব না দিয়ে হাঁটছি।


-"আমি সত্যিই প্রচণ্ড ভালোবেসেছিলাম তোমাকে!তা না হলে তোমার দেওয়া নামটাই মেয়ের নাম রাখতে এত পাগলামী করতাম না।"


এইবার আমার মুভিতে খল নায়ক যেমন হাসি দেয় নয়তো হুট করেই কেউ পাগল হয়ে গেলে যেমন হাসি দেয়,ঠিক তেমন গগন বিধারি , আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে হো হো হো করে হাসতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু সেভাবে হাসলাম না। বেশি হয়ে যাবে। স্বাভাবিক ভাবেই মৃদু হেসে বললাম,


-"আপনি ঠিক আগের মতোই আছেন।কথার ধরন দেখে মনে হবে সত্যি সত্যিই ভালোবাসতেন। আপনি আগের মতো থাকলেও আমি আগের মতো নেই,যে আপনার কথা বিশ্বাস করে, হাউমাউ করে কেঁদে বলবো, আমাকে বিয়ে করুন।সতীনের ঘর করতে আমি রাজি। আপনার স্টাটাসের সাথে না মিললেও আমি কারুর এঁটো জিনিসে হাত দেই না।আর ভালোবাসেননি আমি কখন বলেছি? আমি আগেও বলিনি এই কথা আর এখনো বলছিনা।ভালোবাসেন ভয়ংকর ভালোবাসেন,ঠিক সিনেমার মতো। সিনেমাতে যেমন দেখায়,নায়ক নায়িকার ভালোবাসা। কিন্তু সেই ভালোবাসাটুকু শুধু সিনেমাতেই সীমাবদ্ধ বাস্তব জীবনে নয়। সেরকম আপনার ভালোবাসা অভিনয়ে সীমাবদ্ধ ছিলো বাস্তবে নয়। আমার মন নিয়ে খেলেছেন মাত্র। আপনার স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। আপনি আমার জন্য এক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ মানুষ।তাই পিছন পিছন এসে কথা বলবেন না দয়া করে। আমি কথা বলতে চাইনা।"


-"তুমি সেদিনের রাগের বশে বলা কথা গুলো এখনো ধরে আছো। একটা বার আমার রাগের কারণ খোঁজার চেষ্টা করোনি।সেসব কথা বাদ দাও।আমি তোমার সাথে একদিন কথা বলতে চাই।"


-"কী কথা বলবেন? আপনি আমাকে মিথ্যা মোহে বেঁধেছিলেন তার গল্প?নাকি আপনার বিবাহিত জীবন কতটা সুখে কাটছে তার গল্প?


-"প্লীজ অনু আমি তোমাকে মিথ্যে মোহে বাঁধিনী কখনো। তোমার চলে যাওয়ার একাকিত্ব আমি মানতে পারিনি।"


-"তাই বুঝি বিয়ে করে, একাকিত্ব মিটিয়েছেন?তা বেশ! ভালো করেছেন, আমার সাথে আপনার আর কী কথা?


-"বিয়ে করে নাও অনু!সুখে থাকবে।"


-"বিয়ে করবো না কখন বলেছি? অবশ্যই বিয়ে করবো।"


উনি কেমন চুপ করে গেলেন কথা খুঁজে পাচ্ছেন না হয়তো।তাই আমি আগ বাড়িয়ে বললাম।


-"আপনি চিন্তা করবেন না। আপনাকে আমি না ঘৃণায় রেখেছি আর না ভালোবাসায়। আপনার সাথে কখনো প্রেম ছিলো আমার, আমি সেটাই ভুলে গেছি। নিজেকে অপরাধী ভাববেন না।সব সময় হাসিখুশিতে থাকবেন।হাসি খুশিতেই আপনাকে মানায়। আপনি এখন ফিরে যান।"


-"আমাকে পারলে মাফ করে দিও অনু। তোমাকে ভালোবাসতে কোথাও না কোথাও হয়তো ভুল ছিলো আমার। তোমাকে হয়তো তোমার মতো করে ভালোবাসতে পারিনি।তাই হারিয়েছি। আমি দোয়া করি, তোমার জীবনে এমন কেউ আসুক যে, তোমাকে তোমার মতো করেই ভালোবাসুক। তুমি তার ভালোবাসায় সব সময় ভালো থেকো।"


-"মনে আছে আপনার? আপনাকে  বলেছিলাম, আমার মা নেই, বাবা নেই, আমার কোন পরিবার নেই। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার মতো অসংখ্য কারণ নেই। আমার বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ আপনি। আপনাকে ছাড়া যেহেতু বেঁচে থাকতে শিখেছি, তাহলে অবশ্যই ভালো থাকবো।তার জন্য আমার কারুর ভালোবাসার প্রয়োজন হবে না।আপনি আর আমার পেছনে হাঁটবেন না।"


উনি থেমে গিয়েছিলেন সেদিন, হয়তো কথা বলার মতো কিছু খুঁজে পাননি।


আমি একটু মৃদু হেসে হাঁটতে লাগলাম,আর অল্প একটু পথ পেরুলেই পাকা রাস্তা। পিছন ফিরে তাকাতে ইচ্ছে করছে।এই সামান্য ইচ্ছে পূরণ করতে কোটি টাকা লাগবে না কিংবা কোন আয়োজন করতে হবে না। পিছন ফিরলেই ইচ্ছে পূরণ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি পিছন ফিরে চাইলাম না। পিছনে আছে আমার আবেগী বয়সের মায়া। বর্তমানে একজন নারীর ভালোবাসা আর একজন মেয়ের আর্দশ পিতা। সুখী পরিবারের প্রধান কর্তা। আমি চিরদুখী। আমি চাইনা আমার দুঃখ চোখের নজর উনার জীবনে পড়ুক।


পুনশ্চঃ সেই ঘটনার ছয় বছর পর আমার কাছে একটি চিঠি এসেছে।চিঠিটি লিখেছে ইফতির মা।চিঠিটা ছিলো এমন।


প্রিয় অনু

তোমার দুঃখময় জীবনের সূচনা আমি। তারপরেও আমার জীবনে তার কোন প্রভাব ফেলোনি তুমি। তুমি চাইলে এক ইশারায় ইফতির বাবাইকে তোমার জীবনে নিয়ে নিতে পারতে। কিন্তু তুমি তা করোনি। আমি তোমার পরিচয় জানার পর থেকেই খুব অপরাধ বোধে ভুগী। আমার জন্য না তুমি সুখী হতে পারলে না ইফতির বাবাই আর না আমি।ইফতির বাবাইকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু প্রচণ্ড ভালোবাসি। উনাকে ছাড়া একটা নিঃশ্বাস নেওয়ার কথাও আমি ভাবতে পারি না। ছেড়ে থাকবো কীভাবে।উনার ভালোবাসাকেও কম মনে হয়,সব ভালোবাসা যেনো তোমার জন্য তুলে রাখা, যেটুকু পাই তা উনার দায়িত্ব আর তোমার দেওয়া করুণা মনে হয়।ইফতির বাবাইও সুখী নয়, তোমার একাকিত্বময় জীবনের জন্য নিজেকে দায়ি মনে করেন। তুমি অনেক সুখী হয়ে তোমার অভিশাপ থেকে আমাদের নাম দুটি কেটে দিও প্লীজ!


ইতি 

তোমার করুণার পাত্রী।


আমি চিঠিটা পড়া শেষে। সম্পূর্ণ বেখেয়ালে বলে ফেললাম,ভালো থাকুন অন্য কারুর ভালোবাসায়। দুঃখ নামের ছায়া না পড়ুক আপনার জীবনে। আমিও নাহয় ভালো থাকবো ফাইলে চোখ বুলানোর তাড়ায়।


#ফেইসবুক থেকে কপিকরা

#ভালো থাকুন অন্য কারুর ভালোবাসায়

#লিখনীতে কপি পেস্ট করা

K F C প্রতষ্ঠাতার জীবনী

 * মাত্র ৫ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান

* ১৬ বছর বয়সে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েন

* ১৭ বছরের মাথায় মোট ৪ বার চাকরী হারিয়েছিলেন

* ১৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন

* ১৯ বছর বয়সে তিনি বাবা হন

* ২০ বছর বয়সে তার স্ত্রী তাঁকে ফেলে রেখে চলে যায় আর কন্যা সন্তানটিকেও নিয়ে যায় সাথে

* সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং সেখানে ব্যর্থ হন

* ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে যোগদান করেন এবং সেখানেও সফলতার দেখা পান নি

* নিজের মেয়েকে নিজেই অপহরণ করতে গিয়েছিলেন এবং সেখানেও ব্যর্থ হন

* চাকরী নিয়েছিলেন রেললাইনের কন্ডাকটর হিসেবে, সুবিধে করতে পারেন নি

* অবশেষে এক ক্যাফেতে রাধুনীর চাকুরী নেন

* ৬৫ বছর বয়সে তিনি অবসরে গিয়েছিলেন।

* অবসরে যাবার প্রথম দিন সরকারের কাছ থেকে ১০৫ ডলারের চেক পেয়েছিলেন।

* তাঁর কাছে মনে হয়েছিল জীবন তাঁর মূল্যহীন

* আত্মহত্যা করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

* এরপর একটী গাছের নিচে বসে জীবনে কি কি অর্জন করেছেন তাঁর একটা লিস্ট বানাতে শুরু করলেন।

* হঠাত তাঁর কাছে মনে হল জীবনে এখনো অনেক কিছু করবার বাকি আছে আর তিনি বাকি সবার চাইতে একটি জিনিসের ব্যাপারে বেশি জানেন- রন্ধনশিল্প

* তিনি ৮৭ ডলার ধার করলেন সেই চেকের বিপরীতে আর কিছু মুরগী কিনে এনে নিজের রেসিপি দিয়ে সেগুলো ফ্রাই করলেন।

* এরপর Kentucky তে প্রতিবেশীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেই ফ্রাইড চিকেন বিক্রি করা শুরু করলেন!

* জন্ম নিল KENTUCY FRIED CHICKEN তথা KFC র...


* ৬৫ বছর বয়সে তিনি দুনিয়া ছাড়তে  চেয়েছিলেন আর ৮৮ বছর বয়সে এসে Colonel Sanders বিলিয়নার বনে গিয়েছিলেন।


* স্মরণীয় হয়ে আছেন KFC এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে!


-----হতাশ হবার কিছু নেই, আপনার হাতে এখনো অনেক সময় আছে বিলিয়নার হবার...শুধু চেষ্টাটি প্রয়োজন।

সংগীত 

সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কিছু ইংরেজি ট্রান্সলেশন ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ১) সাতদিন যাবৎ বৃষ্টি হচ্ছে।- It has been raining for seven days.

২) সে সাতদিন যাবৎ বাসায় একা। He is alone at home for seven days.

৩) সাতদিন যাবৎ আকাশ মেঘলা।- The sky is cloudy for seven days.

৪) সে সাতদিন যাবৎ ঢাকায় ।- He has been in Dhaka for seven days.

৫) সে সাতদিন যাবৎ খুবই অসুস্থ্য।- He has been very ill for seven days.

৬) সে সাতদিন যাবৎ ঘুমাইতেছে।- He has been sleeping for seven days.

৭) সে সাতদিন যাবৎ রাস্তায়।- He has been on the road for seven days.

৮) সে সাতদিন যাবৎ বেড়াইতেছে।- He has been traveling for seven days.

৯) সে সাতদিন যাবৎ রান্না করতেছে।- He has been cooking for seven days.

১০) সে সাতদিন যাবৎ কান্না করতেছে।- She has been crying for seven days.

১১) সে সাতদিন যাবৎ হাসপাতালে।- He has been in the hospital for seven days.

১২) সে সাতদিন যাবৎ বইটি পড়ছে।- He has been reading the book for seven days.

১৩) সে সাতদিন যাবৎ বইটি লিখছে।- He has been writing the book for seven days.

১৪) সে সাতদিন যাবৎ কাজটি করছে।- He has been doing the work for seven days.

১৫) সে সাতদিন যাবৎ এই বাড়িতে আছে।- He has been in this house for seven days.

১৬) সে সাতদিন যাবৎ জ্বরে ভুগতেছে।- He is suffering from fever for seven days.

১৭) সে সাতদিন যাবৎ অংক করতেছে।- He has been doing math for seven days.

১৮) সাতদিন যাবৎ সুর্যের তাপ বাড়তেছে।- The heat of the sun has been shining for seven days.

১৯) সে সাতদিন যাবৎ ইংরেজি পড়তেছে।- He has been studying English for seven days.

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...