এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪

সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:১৮-০১-২০২৪ খ্রি:,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:১৮-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


গনভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টরের বৈঠক - বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস।


পাটুরিয়া ঘাটের কাছে নয়টি ট্রাক নিয়ে ফেরি ডুবি- এ পর্যন্ত দুটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার - দুটি তদন্ত কমিটি গঠন ।


মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ব্যাংক।


বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু করেছেন শেখ হাসিনা - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবে - আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


আসন্ন রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।


থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ২০ জন নিহত ।


বেঙ্গালুরুতে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক ভারত।


সকাল ৭ টার সংবাদ।  তারিখ:১৭-০১-২০২৪ খ্রি:,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ:১৭-০১-২০২৪ খ্রি:


আজকের শিরোনাম:


বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করতে কাজ করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান।


এ বছরের মধ্যেই শেষ হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ - জানালেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।


সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।


কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা হবে - বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে মাধ্যমিকের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।


নিবন্ধনবিহীন মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা প্রদান।


যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আরও মানবিক ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিতে চুক্তিতে উপনীত হয়েছে ইসরাইল ও হামাস ।


ডুনেডিনে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের তৃতীয় খেলায় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড এখন পাকিস্তানের মোকাবেলা করছে।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ রোজা রাখা সুন্নত,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🔲 প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ রোজা রাখা সুন্নত। এই রোজাকে আইয়্যামে বীজের রোজা বলা হয়। এই রোজা রাখার দ্বারা পূর্ণ ১ মাস নফল রোজা রাখার সওয়াব লাভ করা যাবে। আর প্রতি মাসে ৩ দিন রোজা রাখা হলে পূর্ণ ১ বছর নফল রোজা রাখার সওয়াব লাভ করা যাবে ইন শা আল্লাহ। [সুনানে তিরমিযি- ২৪৪৯]


⭕ পবিত্র রজব মাসের আইয়্যামে বীজের রোজা ২৬, ২৭ এবং ২৮ শে জানুয়ারী অর্থাৎ শুক্র, শনি এবং রবিবার রাখতে হবে ইন শা আল্লাহ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাহরী খেতে হবে। সাহরীর শেষ সময় ৫ঃ২০ মিনিট [ঢাকা]


🔸 অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে আইয়্যামে বীজের রোজা ১/২ টি রাখা যাবে কিনা.?? জ্বী, আইয়্যামে বীজের রোজা ১/২ টিও রাখা যাবে, এতে করে ১০/২০ টি রোজা রাখার সওয়াব লাভ করা যাবে ইন শা আল্লাহ। কারন মহান আল্লাহ তা'য়ালা প্রতিটা নেক আমলের সওয়াব ১০ গুন করে বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। [সূরা আন‘আম- ১৬০]


🔹 সুতরাং আইয়্যামে বীজের রোজা ৩ টিই রাখা হলে পূর্ণ ১ মাস অর্থাৎ ৩০ দিন নফল রোজা রাখার সওয়াব লাভ করা যাবে, পাশাপাশি নবীজি ﷺ এর একটি দামী সুন্নত আদায় করারও সওয়াব লাভ করা যাবে ইন শা আল্লাহ। আর ৩ টি রোজা রাখা সম্ভব না হলে, এভাবে ১/২ টি রোজা রাখা হলেও ১০/২০ টি রোজা রাখার সওয়াব লাভ করা যাবে ইন শা আল্লাহ।


🔸 আর রোজা রাখার ক্ষেত্রে সাহরী খাওয়া হচ্ছে সুন্নত এবং ফজিলতপূর্ণ একটি সওয়াবের কাজ। তবে সাহরী খেতে না পারলেও রোজা রাখার নিয়ত করে ঘুমালে কিংবা ঘুম থেকে উঠে নিয়ত করে নিলে রোজা রাখা যাবে ইন শা আল্লাহ। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে সাহরীতে এক ঢোক পানি হলেও পান করা উচিত। [রদ্দুল মুহতার- ২/৪১৯]


🔲 আইয়্যামে বীজের রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন, তাই এখন থেকে প্রতি মাসে আইয়্যামে বীজের এই ফজিলতপূর্ণ রোজাগুলো রাখার চেষ্টা করবেন ইন শা আল্লাহ 💝✅


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


জীবনের হিসাব  – সুকুমার রায়,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জীবনের হিসাব 

– সুকুমার রায়


বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটে

মাঝিরে কন , “বলতে পারিস্ সূর্যি কেন ওঠে?

চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?”

বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফ্যাল্ফেলিয়ে হাসে।

বাবু বলেন, “সারা জনম মরলিরে তুই খাটি,

জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি!”

খানিক বাদে কহেন বাবু,”বলত দেখি ভেবে

নদীর ধারা কেম্নে আসে পাহাড় হতে নেবে?

বলত কেন লবনপোরা সাগরভরা পানি?”

মাঝি সে কয়, “আরে মশাই , অত কি আর জানি?”

বাবু বলেন, “এই বয়সে জানিসনেও তাকি?

জীবনটা তোর নেহাৎ খেলো, অষ্ট আনাই ফাকি।”

আবার ভেবে কহেন বাবু, “বলতো ওরে বুড়ো,

কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের ঐ চুড়ো?

বলত দেখি সূর্য চাঁদে গ্রহণ লাগে কেন?”

বৃদ্ধ বলে, “আমায় কেন লজ্জা দেছেন হেন?”

বাবু বলেন, “বলব কি আর, বলব তোরে কি তা,-

দেখছি এখন জীবনটা তোর বারো আনাই বৃথা।”

খানিক বাদে ঝড় উঠেছে, ঢেউ উঠেছে ফুলে,

বাবু দেখেন নৌকাখানি ডুবল বুঝি দুলে।

মাঝিরে কন, “একি আপদ! ওরে ও ভাই মাঝি,

ডুবল নাকি নৌকো এবার ? মরব নাকিআজি?”

মাঝি শুধায়, “সাঁতার জানো? মাথা নাড়েন বাবু”

মুর্খ মাঝি বলে, “মশাই , এখন কেন কাবু?

বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব কারো পিছে,

তোমার দেখি জীবনখানা ষোল আনাই মিছে!


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪

ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্প

 বিয়ের ১৩ বছর পরে ও যখন সন্তান হচ্ছিলো না। তখন আমার স্বামী ২য় বিবাহ করেন। এবং সে মাসেই টেস্ট করে জানতে পারলাম আমি গর্ভধারণ করেছি।। 


ওই মূহুর্তে আমার মনে হয়েছে আল্লাহ দিলে যখন আর ১ টা মাস আগে দিতে। 

খুব ভেঙে পড়েছিলাম আমি। বুঝতে পারছিলাম না কি করবো৷ 

আমার মা কে বলেছি। তিনি বলেছেন পাশে আছি যা মনে হয় করো তুমি।।


ও বিয়ে করার পর আমাকে বলেছে তোমার ইচ্ছে হলে এখানে ও থাকতে পারো। 

আবার তোমার বাবার বাড়ি ও থাকতো পারো। 

আমার দরজা সবসময় তোমার জন্য খোলা। 

বিয়ে করার পর আমি বাবার বাড়ি যায় কিন্তুু ওখানে ঘুম আসতো না। কোনো কিছু শান্তি লাগতো না।আশেপাশে চাচীদের, আত্মীয় স্বজন এবং প্রতিবেশীদের কথা শুনে খারাপ লাগতো। 

আমাকে সরাসরি কিছু বলতো না তবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলতো। 

বাপের বাড়িতে আমার কদর কমে যায় একদম। 

ওখানে ২ দিন থাকার পর আবার চলে আসি। 

এখানে আসলে কলিজা ফেটে যেতো। আমার স্বামীকে অন্য কেউ জড়িয়ে ধরছে নাস্তা দিচেছ। আমার সংসার টা সামলাচ্ছে। 

আমার সাথে শশুর বাড়ির সবাই কথা বলা কমিয়ে দিলো। সবাই নতুন বউকে টাকে নিয়ে মাতামাতি করতো। 

আর আমি রুমে দরজা বন্ধ করে বসে থাকতাম।। 


তখন মনে হতো বাপের বাড়ি চলে যায়। 

এখানে কয়েকদিন থাকার পর বাপের বাড়ি গেলে সেখানে ও ভালো লাগতো না। 

আবার একা একা চলে আসতাম। কান্না ও আসতো না আমার।নামাজ কালামে ও মন বসতো না। 

আমার শাশুড়ী বলতো তুই চলে যা।

সবাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতো চলে যাও।


গর্ভধারণ  এর বিষয় টা প্রায় ১৫ দিনের এর মতো কাউকে বলিনি। 

১৫ দিন পর আমার স্বামীকে জানাই।।  

তিনি শুনার পর খুশি হলেন এবং বললেন আমার মোটামুটি সামর্থ্য আছে। আমি দুজনকেই চালাতে পারবো অসুবিধা নাই।। 

তুমি আমার বড় বউ আর ও ছোট বউ। তোমরা দুজনেই থাকো আমার জীবনে।। 

তোমাদের অনেক ভালোবাসি। তোমাদের ছাড়া আমি বাচবো না। 

 

আমি মনে মনে হেসে বলি হারামজাদা তুই আমাকে ছাড়া ঠিকই বাঁচবি শুধু ওরে ছাড়া বাঁচবি সেটা বল। 


তারপর উনি ভাগ করলেন আমার সাথে সপ্তাহে ২ দিন থাকবেন এবং নতুন বউয়ের সাথে বাকি দিন রাএি যাপন করবেন। 

আমার ভাগে বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার গুলো পড়ে ছিলো। 

বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার আসলে আমি আমার বাপের বাড়ি চলে যেতাম।। 

আমি স্বামীকে খুব ভালোবাসি।।তবে এখনকার এই চেহারা  মানুষ টাকে না।


আমার কান্না আসতো না। তবে আমার বিয়ের ছবিগুলো নিলে কান্না আসতো মাঝে মাঝে। আমি বউ সাজ অবস্থায় পাশের শেরওয়ানি পরিহিত স্বামীটাকে অনেক ভালোবাসি। 

আমি তাকে ফিরে পেতে চাই।। 

সুন্দর সময় ছিলো আমাদের জীবনটাতে কিন্তুু একটা সন্তান এর জন্য হাহাকার ছিলো।। 


সময়ের সাথে মানুষের চেহারা, চামড়া,একই থাকলে ও  চামড়ার ভিতরের নফস টা বদলে গিয়েছে। 

ঘৃণা হয়।। 


আমি খেতাম না কেমন শুকিয়ে কালো হয়ে গিয়েছিলাম। মার কাছে গেলে মা ফলমূল খাওয়াতো। আমি খেতাম না।। 

আমার শাশুড়ী তো নতুন বউ ছাড়া কিছু বুঝতো না। আর ননদ ননস গুলো তো আরো বাড়ে।। তাদের নতুন ভাইয়ের বউ অনেক ভালো বউ। 

আজীবন আমি রেঁধে বেড়ে খাওয়াইছি সেটার কোন মূল্যা নাই। 

যে পাতে খেয়েছে সে পাতে মলমূত্র ত্যাগ করেছে এরকম একটা অবস্থা।। 


আমার স্বামী নতুন বউকে নিয়ে ঘুরতে যেতো।। প্রায় সময়ই আর আমি সেটা দেখতাম। কান্না একটু ও আসতো না। 

আমাকে জিজ্ঞেস ও করতো না,,  তোমার কি খেতে মন চাই বা তুমি কি খাবে। 

ওহ ভালো কথা আমার রান্না কেউ খেতো না। কারণ আমার রান্না মজা নাই আমি রান্না করতে জানি না। 

এজন্য নতুন বউ আমার শাশুড়ী দের সাহায্য নিয়ে রান্না করতো। 

আর আমি রুমে বসে বসে টাইমে টাইমে খেতাম। 

আর মানুষ কে বলে বেড়াতো আমাকে অনেক সুখে রাখছে। 


নতুন বউ বয়সে আমার চেয়ে অনেক ছোট। একদিন ও কে বলি বোন বৃষ্টি আসতেছে ছাদ থেকে কাপড়গুলো নিয়ে আয়। 

আমার স্বামী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছে কারণ আমি তার নতুন বউকে কেন তুই করে বলেছি।।। 


আল্লাহর গজব পড়ুক এমন স্বামীর উপর।। 


আমি বুঝতেছিলাম না তখন কি করবো। 

দেখতে দেখতে আমার ডেলিভারি টাইম আসে।। যেদিন আমার পেইন উঠে ওইদিন আমার স্বামী তার নতুন বউয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। তখন মোবাইল এত সহজলভ্য ছিলো না।। 

তাই খবর দিতে পারি নাই। 

আমার এক চাচাত জা আমাকে মেডিকেল নিয়ে যায়। আমার সাথে আর কেউ যায় নি। 

কারণ আমার শাশুড়ী বুড়ো মানুষ উনি নাকি কিছু চিনে না। 

আর আমার ননদ ননস এর জামাইরা বিজি এজন্য। 


 আমার  ডেলিভারির খরচ আমার মা বহন করে।।

আমি নরমালে ২ টি জমজ পুএ সন্তান এর জন্ম দি।।

সরকারি মেডিকেল এ ৩ দিন থাকার পর আমি আমার বাপের বাড়ি যায়। 

মেডিকেল এ তিন দিন ছিলাম আমাকে শশুর বাড়ি একটা কু*ওা ও দেখতে আসে নাই। 

এক বেলা ভাত নিয়ে। 


আমি বাপের বাড়ি যাওয়ার ৭ দিন পর আমার জামাই খবর পাঠায় বাচ্চা দের নিয়ে ওদের ওখানে যেতে। 


আমার জামাইর থেকে শরম লাগতেছে আমার বাড়িতে আসতে।। 


আমি যায় না। আমি বলি এখন যাবো না আরো কয়েকদিন পর যাবো। 

 ৯ দিন পার হওয়ার পরে ও আমি নাম রাখি নাই বাচ্চাদের। মনে করছি শশুর বাড়ির লোকেরা আসলে তখন রাখবো। 

কিন্তুু কেউ আসে নাই। পরে আমার এক চাচা উনি মৌলভী। 

উনি আমার বাচ্চা দের নাম রেখে দেয়।। কোনো আয়োজন অনুষ্ঠান ছাড়া। 

আমার বাপের বাড়িতে সবাই ছি ছি করে। বলে বাচ্চা হয়েছে এত বছর পর অথচ কেউ দেখতে আসে না। 

আমার বাপের বাড়িতে আমার মূল্যায়ন একদম কমে যায়। 

আমাকে তেমন কেউ সাহায্য করতো না। বাচ্চা দের কাঁথা,জামা কাপড় সব আমি ধুয়তাম।। 

মা ও কেমন যেন অবহেলা করতো।। 


আমার বাচ্চাদের কেউ এক জোড়া কাপড় পযন্ত কিনে দেয় নি।। 

পরে আমার১ ভরি গয়না বিক্রি করে বাচ্চা দের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো কিনি। 

মার বাড়ি ২০ দিন থাকার পর আমি চলে যায় শশুর বাড়ি। 

কারণ এখানে আমি বাচ্চা দের খরচ বহন করতে পারছিলাম না এজন্য।। 

শশুর বাড়িতে যাওয়ার পর আমার স্বামী বাচ্চাদের কোলে নেয়। 

আমার জামাইর নতুন বউকে ডেকে বলে দেখো তোমার ছেলেদের। 

তার কোলে দিয়ে বলে এগুলো এখন থেকে তোমার সন্তান অবহেলা করো না। 

আমি ওর কোল থেকে আমার বাচ্চা কেড়ে নিতে গিয়ে আমার ছোট বাচ্চা টা নিচে পড়ে যায়।। 

আর সাথে সাথে কান্না করে উঠে। 

আমার স্বামী ওই অবস্থায় আমাকে গালাগালি করে চুল ধরে পিঠের মধ্যে অনেক গুলো ঘুষি মারে। 

আমি কান্না করতে করতে বলি আমার বাচ্চা এগুলো আর কারো বাচ্চা না।। 

আমাকে কেউ একটু ধরতে ও আসে নাই যখন মারছিলো।।। 


মানুষ কতটা অমানুষ এ রুপ নেয় তা আমার স্বামীকে না দেখলে বুঝতাম না।। 


তারপর ওরা চলে যায় আমার রুম থেকে।। আমি আমার বাচ্চা দের নিয়ে অনেক কান্না করে বলি তোদের  মা আছে আমি মরি নাই। 

তোদের আমি ভালোবাসি।। 


কয়েকদিন পর আমার স্বামী যখন আমার রুমে আসে তখন বলি আমার ছেলেদের আকিকা করাবে না। 

উনি বলে এখন টাকা নাই পরে করবো। ওদের মুসলমানির সময়।। 


তারপর বাচ্চাদের আদর করতে করতে আমার দিকে তাকিয়ে বলে কেমন বুড়া হয়ে গেছো। তোমার দিকে তাকাতে ও ঘৃণা লাগে। পেট টা কত বড় হয়ে গেছে।। 

কেমন যেন আমার নানী নানী টাইপ হয়ে গেছো।। 


আমি হেঁসে হেঁসে বলি আমার কথা বাদ দাও নাতি।। তোমার নতুন বউ নিয়ে সুখে থাকো।। 


সে হেঁসে বলে মাশাআল্লাহ আমার নতুন বউ আকাশের চাঁদ।। 

আমি বলি আল্লাহ তোমাদের আরো সুখ দিক।। 


আমি বলি আমার বাচ্চাদের টিকা দিতে হবে কালকে।। 

বলে আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে যাবো।। 


পরেরদিন ও আর ওর নতুন বউ রেডি হয়ে আসে।। আমার বাচ্চাদের নিতে। 

আমি বলি তোদের হাতে তো আমি বাচ্চা ছাড়বো না। আমার বাচ্চা আমি নিয়ে যাবো । 

আমি বাচ্চার মা। 


তখন আমার স্বামী আমাকে বলে তোমার সাথে বাহিরে যেতে আমার শরম লাগে।। 


আমি কিছু বলি না। বলি টাকা দাও আমার বাচ্চাকে আমি নিয়ে যাবো। 

পরে আমাকে ৬০ টাকা দেয়। 

আমি সরকারি মেডিকেল এ নিয়ে টিকা দিয়ে আসি। 

২ বাচ্চা একসাথে কোলে নিয়ে যায় আমার সাথে কেউ যায় না। 

মেডিকেল এর এক আয়া টিকা দেওয়ার সময় সাহায্য করে আমাকে। 

মেডিকেল এ আমার অনেক সময় লাগে। কারণ টিকা দেওয়ার ফলে বাচ্চারা অনেক কাঁদছিলো। 

সবাই বলতেছিলো আমি একা কেন। 

কেউ সাথে আসে নাই কেন।। 

অনেক কষ্টে বাচ্চা দের নিয়ে বাসায় আসি হেঁটে হেঁটে। 

কারণ আসার আর গাড়ি ভাড়া ছিলো না। 

২০ মিনিট হাটতে হয়েছিলো বাচ্চা ২ টা নিয়ে।। 

যাওয়ার সময় ১০ টাকা দিয়ে রিকশা করে গিয়েছি। 

আর একটা টিকার দাম২৫ টাকা।। 

২ জনের ৫০ টাকা নিয়েছে।। 


বাসায় এসে বাচ্চাদের রেখে একটু বাথরুমে যায়। বাথরুম থেকে শুনতে পায় আমার স্বামী আমার শাশুড়ী কে বলছে দুধ রোজ নিতে। 

কারণ আমার স্বামীর নতুন বউ গর্ভধারণ করেছে।। 


আমি বাথরুম থেকে বেড়িয়ে অনেক হাসি বাচ্চা দের কোলে নিয়ে।

রুমে এসে আমার স্বামী আমাকে বকা দিচ্ছে কারণ বাচ্চারা কাঁদছে কেন।

আমি নাকি মা হওয়ার যোগ্যতা রাখি না। আল্লাহ ভুল করে আমি ভুল মানুষকে বাচ্চা দান করছে।  

কারণ আমার বাচ্চারা কাঁদছে টিকার ব্যাথায়। 

সে একটু মায়া মহব্বত ও দেখালো না। 


আমার নিয়তি এতটা খারাপ.... 


চলবে....


অবহেলা 

১ম খন্ড 

Nusrat 

সত্য ঘটনা অবলম্বন.....


নেক্সট পার্টগুলো সবার আগে আইডি তে দেওয়া হবে নিল লেখায় চাপ দিয়ে আইডি ফলো করুন 👉 Ariyan Abir Raj

ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্প

আপনার কয় নাম্বারটা বেশি মনে ধরছে?,,,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 💥আপনার কয় নাম্বারটা বেশি মনে ধরছে??(আমার ৬নাম্বারটা😜)


১.যে স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট জড়িয়ে ধরে রাখে তাঁর কর্মক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কম থাকে।

... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


২.বউয়েরা ঘরের লক্ষী। এদেরকে যত বেশি ভালোবাসা দেয়া হয়, তত বেশি সংসার এ শান্তি আসে।

...হুমায়ুন আহমেদ।


৩.স্ত্রীকে যথেষ্ঠ পরিমাণ সময় দিন, না হয় যথেষ্ঠ পরিমাণ বিশ্বাস করুন। সংসার আর যুদ্ধক্ষেত্র মনে হবে না।

...সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।


৪.সেই পুরুষই কাপুরুষ, যে স্ত্রীর কাছে প্রেমিক হতে পারেনি।

...কাজী নজরুল ইসলাম।


৫.প্রতিদিন একবার স্ত্রীকে " আমি তোমাকে ভালোবাসি" বললে মাথার সব দুশ্চিন্তা দূর হয় যায়।

...সত্যজিৎ রায়।


৬.মন ভালো রাখতে বউকে ফেসবুক, ফোনবুক, নোটবুক সহ সব ধরনের এ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন।

...মার্ক জুকারবার্গ।


৭. মেয়েদের মন এ ভালোবাসা এবং অভিমান দুটোই থাকে বেশি। তাই অভিমানটাকে ভালোবাসার চেয়ে বড় করে দেখা যাবেনা। তাই স্বামীদের উচিত স্ত্রীর সব অভিমান ভালোবেসে ভাঙানো।

... ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।


৮.একটা শিশুকে দুনিয়ার মুখ দেখাতে মা যে কষ্ট সহ্য করে তা বাবা সারা জীবন ভালোবেসেও শোধ করতে পারেনা। তাই প্রত্যেকটা স্বামীর উচিৎ তার সন্তানের মাকে কোন রকম কষ্ট না দেয়।

.......জীবনানন্দ দাশ।

#ফেইসবুক_থেকে_নেওয়া

 পুরুষকে পুরুষ ফিল করানোটা নারীর দায়িত্ব। কীভাবে?,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পুরুষকে পুরুষ ফিল করানোটা নারীর দায়িত্ব। কীভাবে?

.

ধরেন ফজরের নামাযটা পড়তে আগে উঠে গেছেন, হাজব্যান্ডের অজুর জন্য একটু গরম পানি করে দিন। সারাদিন শেষে ক্লান্ত শ্রান্ত মানুষটা যখন ঘরে ফেরে আর কিছু না হোক এক গ্লাস লেবুর শরবত করে দিন।  ঘরে ফেরার সময়টা কাছাকাছি ঘনালে সারাদিনের পড়ে থাকা ত্যানা সদৃশ কাপড়টা পালটে একটা মানসম্মত পোষাক পড়ুন। 

.

আর কিছু না হোক মুখে একটু পাউডার দিন। সুন্দর একটা হাসি উস্ম একটা সালাম দিয়ে দরজাটা খুলুন। যে হাজব্যান্ডের কাছে রানীর মর্যাদা পেতে চান তার সাথে অন্তত রাজার মতো আচরণ করুন। সারাদিন অফিসে কামলার মতো খাটে একটা পুরুষ। বাসায় এসেও কামলার মতো আচরণ পেলে খুব স্বাভাবিক সে রানীর সাথে রাজার বিহেভের বদলে কামলার বিহেভই করবে।

.

ধরেন, আলাপ করা ছাড়াই পরিবারের অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আপনার আছে। তারপরেও একটা নতুন ফার্নিচার কেনার আগে একটু আধটু পরামর্শ করুন। যে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নিজের মতামতটা যুক্তিসমেত তুলে ধরার পরেও বলুন সে যা বলবে তাই করবেন।

.

সাময়িক তার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে কষ্ট লাগলেও দীর্ঘ মেয়াদে এটার উপকারই পাওয়া যায়। সংসারে সুখের জন্য পুরুষদের ম্যানলি ফিল করাটা জরুরী। একজন ব্যক্তিত্ত্ববান পুরুষ নারীর কাছে টাকা চায়না, ধনসম্পদ চায়না চায় শুধু একটু সম্মান। এটা একটা সম্পর্কে পুরুষের সাবকনশাস ব্যাসিক নিড। 

.

যে সংসারে পুরুষ এটা ফিল করেনা যে সে সংসারের নেতা, তার কথার একটা দাম আছে সে সংসারে পুরুষ পুরুষ কম, ভেড়া হয়ে বাচে। সম্মানের অভাব পরিপূর্ণ করতে অন্য নারীর কাছে ছুটে। একটা সংসার থেকে একটা মেয়ের ব্যাসিক সাবকনশাস চাওয়া হলো নিরাপত্তা। সেটা আর্থিক হতে পারে, সংসারের স্থায়ীত্ব ও হতে পারে। 

.

কথায় কথায় বউকে তালাক দিবে যারা বলে কিংবা আরেকটা বিয়ের হুমকি যারা দেয়, বউকে না খাইয়ে না পড়িয়ে যারা রাখে তারা মেয়েদের ব্যাসিক নিডকেই ঝুকিতে ফেলে দেয়। যার ফলে দেখা যায় নারীর পক্ষ থেকেও সম্মান জিনিসটা উঠে যায়, সংসারের যায় যায় অবস্থা হয়। সম্মান পেতে হলে সম্মান দিতেও হয়।

কপি

পেস্ট 

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে" -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,,,,,

 "নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে"

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে

রয়েছ নয়নে নয়নে,

হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে

হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।

বাসনা বসে মন অবিরত,

ধায় দশ দিশে পাগলের মতো।

স্থির আঁখি তুমি ক্ষরণে শতত

জাগিছ শয়নে স্বপনে।

সবাই ছেড়েছে নাই যার কেহ

তুমি আছ তার আছে তব কেহ

নিরাশ্রয় জন পথ যার যেও

সেও আছে তব ভবনে।

তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর

সমুখে অনন্ত জীবন বিস্তার,

কাল পারাপার করিতেছ পার

কেহ নাহি জানে কেমনে।

জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি

তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি,

যতো পাই তোমায় আরো ততো যাচি

যতো জানি ততো জানি নে।

জানি আমি তোমায় পাবো নিরন্তন

লোক লোকান্তরে যুগ যুগান্তর

তুমি আর আমি, মাঝে কেহ নাই

কোনো বাঁধা নাই ভুবনে।

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে

রয়েছ নয়নে নয়নে।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪

সতেরো বছর বয়স মুগ্ধ হওয়ার বয়স,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সতেরো বছর বয়স মুগ্ধ হওয়ার বয়স। মুগ্ধতাটা সাধারণত তৈরি হয় মেয়েদের ঘিরে। গ্রামের সুন্দরীতমা মেয়ে, বন্ধুর বোন, বিয়ে খেতে গিয়ে কোনো সুন্দর চোখের মেয়েকে দেখে কল্পনায় হারিয়ে যাওয়া এগুলোই 

সেই বয়সের স্বাভাবিকতা। আমার ক্ষেত্রে কিন্তু এসব কিছু ঘটত না। 

এক রাজনীতি, স্লোগান, মিছিল ছাড়া কোনো কিছুতেই মুগ্ধ হতে পারতাম না আমি। 

বন্ধু শফিক একবার হাওর দেখাতে নিয়ে গেল। বিপুল আয়োজন। শফিকের নানাবাড়ি ভাটি অঞ্চলে, ওর মামারা জমিদার শ্রেণির, নৌকায় রাত্রি যাপনের সুবন্দোবস্ত। গায়ক দল প্রস্তুত ছিল প্রকৃতির সঙ্গে মেলানো গান গাওয়ার জন্য। শফিকের মুগ্ধতার মাত্রা একটু বেশিই। পানিতে জ্যোৎস্নার আলো দেখে আর বলে, ‘এত সুন্দর দুনিয়া ছেড়ে আমাদের চলে যেতে হবে তাই না রে সরদার?’

আমি দুনিয়া ছাড়ার চেয়েও তখন নৌকা ছাড়া নিয়ে বেশি চিন্তিত। আর ঠাÐা লেগেই কিনা হাঁচি দিতে শুরু করলাম বারবার। গায়করা গান গায় আমি দেই হাঁচি। দুটোর সুর আর স্বর মিলে অদ্ভুত একটা পরিবেশ। 

শফিক বলে, ‘সরদার গান ধর। গান গা। এই দুনিয়া কী সুন্দর।’

শফিকের চাপাচাপিতে সুন্দর দুনিয়া দেখতে গিয়ে খুব কিছু খুঁজে পেলাম না।

পানি বয়ে চলছে, চলুক, তাতে আমার কী! 

জ্যোৎস্না উপচে পড়ছে, পড়–ক, তাতে আমার কী!

আমার বরং এর চেয়ে শীতের রাতে কম্বলের নিচে শুয়ে থাকাটাকেই ভালো বন্দোবস্ত মনে হয়। 

শফিকের প্রকৃতিপ্রেমের মতো ভয়ও ছিল একটু বেশি। বললাম, ‘শফিক নৌকা ডুবে গেলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। আমার মনে কেমন যেন একটা ভয় ঢুকেছে। আজ না হয় থাক।’

শফিক বলে, ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় তোর ভয় লাগছে! দেখ, চেয়ে দেখ আমরা এখন স্বর্গে। এখানে ভয়ের কিছু নেই।’

স্বর্গ দেখার চেষ্টা করেও খুব সুবিধা করতে পারলাম না। দ‚রে আরেকটা ছোট নৌকা দেখা যাচ্ছে। শফিকের মতো কোনো মক্কেল হয়তো। আর কী! কিচ্ছু না। ফালতু আর একঘেয়ে সব কারবার। 

এই যার মুগ্ধতার সীমানা সেই আমি মুগ্ধ। ক্যাপ্টেন রফিককে দেখে। 

এমন মাতিয়ে রেখেছিল যে কোন দিক দিয়ে তিন ঘণ্টা সময় গেল টেরই পেলাম না।

হাতে এক মুঠো মাটি নিয়ে বলল, ‘আমাদের দুই নম্বর সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ কি বলেন জানো? তিনি তোমাদের মতো যোদ্ধাদের হাতে এই মাটি দিয়ে বলেন, এই হলো তোমার প্রিয় বাংলাদেশের মাটি। কিন্তু এই এক মুঠো মাটিতে আমার চলবে না। আমার চাই পুরো দেশ।’

মেজর খালেদ মোশাররফকে দেখিনি। হয়তো তিনি সে রকম মুগ্ধ করা মানুষই হবেন। কিন্তু ক্যাপ্টেন রফিক যেভাবে বলল তাতে মনে হলো, খালেদ মোশাররফও এত সুন্দর করে বলতে পারেন না। এতটা নাড়া দেয়ার ক্ষমতা আর কোনো মানুষের নেই। 

ক্যাপ্টেন রফিক আবার বলেন, ‘আরেকটা কথা আছে তার। 

শুনতে চাও?’

শিহরণে সবাই মাথা নাড়তেও ভুলে যায় যেন। 

তিনি রক্তভেজা কবিতার মতো করে বলে চলেন, ‘এই যে কথাটা সেটা আমার খুব প্রিয়। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশ জীবিত যোদ্ধা চায় না। তার চাই মৃত সৈনিক।’

কথাটা ঠিক বুঝলাম না কিন্তু বললাম না, এগুলো আমার কাছে দ‚র গ্রহ থেকে ভেসে আসা সুন্দরতম কবিতা। বোঝার দরকার নেই। 


অন্ধ গলিতে ফুলের গন্ধ থেকে নেওয়া 

বইটি সংগ্রহ করতে পারেন রকমারি থেকে- https://www.rokomari.com/book/111041/andho-golite-fuler-gandho

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 



বিতিরে দু'আয় কুনুত হিসেবে পড়ার জন্য সুন্নাহ সম্মত এই দু'আটি শিখে নিন,,,,,,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বিতিরে দু'আয় কুনুত হিসেবে পড়ার জন্য সুন্নাহ সম্মত এই দু'আটি শিখে নিন ।

▬▬▬▬▬▬▬▬◖🌻◗▬▬▬▬▬▬▬▬

ভূমিকা: বিতর অর্থ বেজোড়। বিতর সালাত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। যা এশার ফরয সালাতের পর হতে ফজর পর্যন্ত সুন্নাত ও নফল সালাত সমূহের শেষে আদায় করতে হয়। যদি কেউ বিতর পড়তে ভুলে যায় অথবা বিতর না পড়ে ঘুমিয়ে যায়, তাহলে স্মরণ হলে কিংবা রাতে বা সকালে ঘুম হতে জেগে উঠার পরে সুযোগ মত তা আদায় করবে। অন্যান্য সুন্নাত-নফলের ন্যায় বিতরের ক্বাযাও আদায় করা যাবে। এক্ষেত্রে দিনে কাযা পড়লে জোড় পড়তে হবে। অর্থাৎ যিনি এক রাকাআতে অভ্যস্ত তিনি দুই রাআকাত, যিনি তিন রাকাআতে অভ্যস্ত তিনি দুই সালামে চার রাকাআত পড়বেন। বিতর সালাত এক, তিন, পাঁচ, সাত ও নয়, এগারো, তেরো রাক‘আত পর্যন্ত পড়া যায়। তিন রাকআত বিতর পড়লে দুটি নিয়মে পড়তে হবে; হয় এক তাশাহহুদে একই সাথে তিন রাকআত আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে দুই রাকআত পড়ার পর তাশাহুদ পড়ার জন্য বসা যাবে না। আবার আরেকটি নিয়ম হচ্ছে, দুই রাকাআত পড়ে সালাম ফিরাতে হবে। তারপর আরো এক রাকাআত পড়তে হবে।

.

বিতর সালাতে কুনুত পড়া মুস্তাহাব। তবে মাঝে মধ্যে না পড়লেও কিংবা পড়তে ভুলে গেলেও সালাতের কোন সমস্যা হবেনা ইনশাআল্লাহ। বিতিরের কুনুত রুকুর আগে বা পরে পড়া যাবে। তবে অধিক উত্তম হচ্ছে রুকুর পরে অর্থাৎ রুকু করে দাঁড়িয়ে তারপর কুনুত পড়বেন তারপর সোজা সিজদায় চলে যাবেন। কুনুত পড়ার সময় হাত উত্তোলন করা জায়েজ, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে প্রমান রয়েছে। আজ আমরা বিতিরের জন্য সুন্নাহ সম্মত একটি দু'আ শিখবো ইনশাআল্লাহ। হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রখ্যাত সাহাবী হাসান বিন আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে সংকলন করেছেন। হাসান বিন আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন; রাসূলুল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কিছু বাণী শিখিয়ে দিয়েছেন সেগুলো আমি বিতিরের নামায দোয়ায়ে কুনুত হিসেবে পড়ি:


 اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ ، إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ ، وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ  


মোটামুটি উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া’আ-ফিনী ফীমান আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বা-রিক লী ফীমা আ’তাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্‌দা ‘আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা ওয়ালা ইয়াইয্‌যু মান আ-দাইতা তাবা-রাকতা রব্বানা ওয়া তা’আলাইতা"। (আরবির সঠিক উচ্চারণ বাংলায় লেখা কোনোভাবেই শতভাগ সম্ভব নয়; তাই আরবি টেক্সট মিলিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন, পাশাপাশি আরবির সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে পড়ুন, না হয় ভুল শিখতে হবে)।

.

অর্থ: হে আল্লাহ আপনি যাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে তাদের সাথে হেদায়েত করুন। আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে নিরাপত্তা দান করুন। আপনি যাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের সাথে আমার দায়িত্বও গ্রহণ করুন। আপনি আমাকে যা কিছু দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। আপনি যে (তাক্বদীর) নির্ধারণ করেছেন, তার অকল্যাণ থেকে আমাকে বাঁচান। কেননা আপনিই নির্ধারণ করেন, আপনার নির্ধারণের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নেই। নিশ্চয় আপনি যাকে নৈকট্য দান করেন, কেউ তাকে অপমানিত করতে পারে না। আপনি যার সাথে শত্রুতা করেন, সে সম্মানিত হতে পারে না। আপনার কল্যাণ অবারিত হোক এবং আপনার মর্যাদা সমুন্নত হোক। (আবু দাউদ হা/১৪২৫; তিরমিযী হা/৪৬৪, নাসায়ী হা/১৭৪৫, ইবনু মাজাহ্ হা/১১৭৮, মুসনাদে আহমাদ হা/১৭১৮, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১০৯৫; হাদীসটি সহীহ)

.

এবার এভাবে আরবী এবং বাংলা উচ্চারণসহ সহজে মুখস্থ করুন—

.

 اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ

(আল্ল-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইত) অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে তাদের সাথে হেদায়েত করুন।

.

وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ 

(ওয়া আ-ফিনী ফীমান আ-ফাইত) অর্থ: আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে নিরাপত্তা দান করুন।

.

وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ ،

(ওয়াতা ওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইত) অর্থ: আপনি যাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের সাথে আমার দায়িত্বও গ্রহণ করুন।

.

وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ 

(ওয়াবা-রিক লী ফীমা- আ‘ত্বাইত) অর্থ: আপনি আমাকে যা কিছু দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। 

.

وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ ،

(ওয়াক্বিনী শাররা মা- ক্বদ্বইত) অর্থ: আপনি (আমার ভাগ্যে ) যে (তাক্বদীর) নির্ধারণ করেছেন, তার অকল্যাণ থেকে আমাকে বাঁচান

.

إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ ،

(ইন্নাকা তাক্বদ্বী ওয়ালা ইউক্বদা আলাইক) অর্থ: কেননা আপনিই নির্ধারণ করেন, আপনার নির্ধারণের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নেই।

.

وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ ،

(ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইত) অর্থ: আর নিশ্চয় আপনি যাকে নৈকট্য দান করেন, কেউ তাকে অপমানিত করতে পারে না। 

.

وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ ،

(ওয়ালা ইয়াইয্‌যু মান আ-দাইত) অর্থ: আপনি যার সাথে শত্রুতা করেন, সে সম্মানিত হতে পারে না।

.

تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ  

(তাবা-রাকতা রব্বানা ওয়া তা’আলাইত) অর্থ:আপনার কল্যাণ অবারিত হোক এবং আপনার মর্যাদা সমুন্নত হোক।

.

‎প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত সম্পূর্ণ দু'আটি বিভিন্ন সূত্রে সহীহ সনদে সাব্যস্ত হয়েছে। দু'আটি একটু বড় হলেও এর অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চমৎকার। দু‘আটির অর্থের দিকে লক্ষ করলেই এর বিরাট গুরুত্ব সহজেই উপলব্ধি করা যায়। যদিও দু'আটি একটু বড় হয়ে গেছে তবুও কয়েকদিন সময় নিয়ে বারবার পড়লে আশা করি মুখস্ত হয়ে যাবে  ইনশাআল্লাহ। সুতরাং প্রত্যেকের উচিত বিতরের জন্য এই কুনুতটি মুখস্থ করা নেওয়া, এবং বিতির সালাতে পাঠ করা। দু'আটি পড়ার নিয়ম হচ্ছে, বিতিরের শেষ রাকআতে প্রথমে রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবিহ পাঠ করে রুকু থেকে “সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ” বলে উঠে সোজা হয়ে প্রশান্তির সাথে দাঁড়াবেন এবং কান বা কাঁধ বরাবর দুই হাত উঠিয়ে ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করবেন। তারপর বলবে- رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‘রব্বানা লাকাল হাম্দ’ বলবেন। অথবা বলবে- رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُّبَارَكًا فِيْهِ ‘রব-বানা ওয়া লাকাল হাম্দু হাম্দান কাছীরান ত্বাইয়েবাম মুবা-রাকান ফীহি।’ তারপর হাত তুলে কিংবা হাত তোলা ছাড়া কুনুতের উপরোক্ত দু'আটি পাঠ করবেন সাথে অন্য দু'আও পড়তে পারেন। আর জামআতে ইমামের পিছনে পড়লেে মুক্তাদীগণ আমীন আমীন বলতে পারবেন।দু'আটি পাঠের সময় অন্তরে আল্লাহর প্রতি সুধাণা রাখবেন।তারপর কুনুত শেষে আল্লাহু আকবর বলে সিজদায় চলে যাবেন। অতঃপর  সিজদার তাসবিহ 

 سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى

সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা। ৩/৫/৭ বার পড়ে নেবেন। তারপর বৈঠকে তাশাহুদ দুরুদ এবং অন্যান্য দু'আ পড়ে সালাম ফিরাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী) 

 . 

মহান_রবের_আশ্রয়ে ধারাবাহিক (৩৬ তম পর্ব) পূর্বের পর্বগুলোর লিংক কমেন্টে দেখুন। সিরিজটি ৪০ পর্যন্ত চলবে—ইনশাআল্লাহ। 

_________________________ 

আপনাদের দ্বীনি ভাই 

জুয়েল মাহমুদ সালাফি 

#Jewelmahmudsalafi

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 




বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...