এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

কিছু ইংরেজি শিক্ষা

 As - কারন, যেহেতু

 Say- ধরা যাক

So - অতএব , সুতরাং

Who - কে, যে, কাকে

And - এবং ,ও

But - কিন্তু, তথাপি

That - যে , যা, যাতে, ফলে

Even - এমনকি

At first - প্রথমত

Often - প্রায়ই , মাঝে মাঝে

More - আরো , অধিকতর

Which - যেটি , যা

As if - যেন

Although - যদিও, যাতে , সত্বেও

While - যখন

Similarly - অনুরূপভাবে, একইভাবে

Therefore - অতএব , সুতরাং

So that - যাতে , যেন

First of all - প্রথমত

Rather - বরং, চেয়ে

Such as - তেমনই

However – যাইহোক

Indeed – প্রকৃতপক্ষে

Whereas – যেহেতু

Usually - সাধারনত

Only – শুধু, কেবল, একমাত্র

Firstly - প্রথমত

Finally - পরিশেষে

Moreover - তাছাড়া, অধিকন্তু, উপরন্তু

But also - এমনি , এটিও

As well as – এবং, ও, পাশাপাশি

Furthermore - অধিকন্তু

Regrettably - দুঃখজনকভাবে ।

in fact – আসলে

Hence - অত:পর/সুতরাং

Such as - যথা/যেমন

Notably – লক্ষণীয়ভাবে

Consequently – অতএব

On the whole – মোটামুটি

Either - দুয়ের যে কোন একটি

Neither - দুয়ের কোনটি নয়

In any event - যাহাই ঘটুক না কেন

Additionally - অতিরিক্ত আরো

In this regard – এ বিষয়ে

As a matter of fact -বাস্তবিকপক্ষে/

প্রকৃতপক্ষে

Including - সেই সঙ্গে

Nonetheless - তবু

Nevertheless - তথাপি , তবুও , তারপরও

Lest - পাছে ভয় হয়

Whether - কি ...না , যদি

Comparatively - অপেক্ষাকৃত

To be honest - সত্যি বলতে

Come what may - যাই ঘটুক না কেন

If you do care - যদি আপনি চান

Next to nothing - না বললেও চলে

As far as it goes - এ ব্যাপারে যতটুকু বলা যায় ।As far as I’m concerned - আমার জানা মতে ।

Why on earth - (বিরক্তি প্রকাশার্থে)- কেন যে?

On the other hand - অন্যদিকে ।

In this connection - এ বিষয়ে ।

In addition - অধিকন্তু, মোটের উপর

Infact - প্রকৃতপক্ষে

To be frank - খোলাখুলি ভাবে বলা যায় ।

Sincerely speaking - সত্যিকার ব্যাপার হলো ।

To sum up - সংক্ষেপে বলতে গেলে

Though - যদিও, সত্বেও

Incidentally - ঘটনাক্রমে

Then - তারপর ,তখন

Than - চেয়ে , থেকে

For a while - কিছুক্ষণের জন্য

In order to - উদ্দেশ্যে, জন্যে


টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, এখন ঘরে বসেই ইংরেজি বলা শিখছে সারা বাংলা। 

তেলাকুচার আত্মকথন,,,,,,,

 তেলাকুচার আত্মকথন

ঝোপঝাড়ে আদাড়ে-বাদাড়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে  ও যেকোন স্থানেই কারো আদর যত্ন ছাড়া জন্মাতে ও বেড়ে উঠতে পারি আমি। আমার জাতভাই শশা ও কুমড়ার বাজারে বেশ কদর থাকলেও স্বাদে আমি কিছুটা তিতা হবার কারণে আমার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ বেশ কম। মানুষ আমার বেড়ে ওঠা লতানো ডালে পাকা ফল ঝুলে থাকতে দেখলে অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়ে, দেখে ফের চলে যায়। 

তবু আমি অনেক বেশি সহ্যশীল। ক্ষরাতে আমি টিকে থাকতে পারি, মাটির খুব গভীর হতে খাবার ও পানি সংগ্রহ করতে পারি বলে মানুষের কদর কমে গেলেও এখনও বহাল তবিয়তে টিকে আছি। কমে যাওয়ার কথা বললাম এই কারণে; আমাকে নিয়ে কেউ চাষবাস না করলেও

ভারতীয় অনেক এলাকায় আমার ফলের তরকারি বেশ তারিয়ে তারিয়ে মসলা দিয়ে পাকানো হয় আর বাঙালি বাবুরা কোন ইদানিং সচ্ছলতার মুখ দেখার পর বিদেশী প্রসাধন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে রূপচর্চায় আমার ব্যবহার ভুলে গেলেও সারা দুনিয়ার ভাজাভুজি খেয়ে পেট ফেপে যাওয়ার পর তবেই আমার দ্বারস্থ হয় পাতা চাইতে।

আমার কিন্তু কোনো কিছুতেই না নেই! রূপ সচেতন রমণ ও রমণীদের রূপচর্চায় শুধু শুধু দামি স্পর্ট রিমুভার ব্যবহার না করে আমার পাতার পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগিয়ে বসে থাকলে মেছতা ও ব্রণের দাগ সেরে যাবে

যারা আবার ৪০ বছর পার হবার পর, হাটু চেপে ব্যাথায় কুচকানো মুখ সকলের নিকট লুকিয়ে ফেলার প্রচেষ্টায় প্রাণান্ত আমার মূল দিয়ে বানানো হালুয়া টনিক হিসেবে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আমার সর্বস্বের ভেষজ

গুনে গুণান্বিত সকল গোপন খবর একসময়

কবিরাজরা খুব ভালো করে জানতো।

ঔষধ এসে আমাদের কদর কমে গেলেও আমাকে মকধ্বজ হিসেবে এখনো গ্রহণ করে চলেছে ভারতে ইন্দোনেশিয়ার অনেক অঞ্চলের মানুষ।  অনেক অঞ্চলে আমাকে আবার সাজিয়ে-গুছিয়ে আবাদ করে থাকে লোকজন।

Scarlet gourd হিসেবে আমি ইংরেজিতে পরিচিত আর বাংলায় আমার  কয়েকটি নামঃ তেলাকুচা, কুদরি অথবা কুড়নী।

চুপেচাপে একটা কথা বলি, এখন কিন্তু আবার কিছু দোকান বিভিন্ন আমার নামের  বিভিন্ন পণ্যকে চটকদার নানারকম প্যাকেটে সাজিয়ে গুজিয়ে লোকজনের কাছে বিকোনোর চেষ্টা করছে। যদিও বাংলাদেশের কথা আমি বলতে পারছি না।

যারা ডায়েবিটিস বা বহুমুত্রের রোগী তারা কিন্তু আমাকে ঠিকই মনে মনে খুঁজে থাকেন কেননা আমার কিছু এনজাইম মানুষের শরীরের চিনি তথা শর্করার পরিমাণ শারীরবৃত্তিক উপায়ে কমিয়ে ফেলে।

আমরা সারা বছরই জন্মাতে পারি। আমাদের প্রধান শত্রু জলাবদ্ধতা। ফল প্রথমে শশার মতো সবুজ ও পরে পেকে লাল হলেও ফুল গুলো নিপাট সাদা। আমাদের বীজের বিস্তারণ হয় পাখির দ্বারা,তাছাড়া আমাদের মূল ও ডাল, সহজেই আমাদের বিস্তার ঘটাতে পারে। মূলতঃ গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে আমাদের ফলন সবচাইতে বেশি হয়। 

আমার ডালপালা লতানো, শশার মতোই আকর্ষি তথা টেন্ড্রিল দিয়ে বেয়ে বেয়ে বড় গাছের উপর চেপে বসতে পারি। আর গাছ মালিকের আমাদের দেখে যদি- মাথায় রক্ত চড়ে যায় তবে, আমার পাতা ও কচিডালের রস তাদের রক্ত-চাপ কমিয়ে ফেলতে সক্ষম! 

এখন সিদ্ধান্ত মানুষের,  অনেক আমাদের মত একজন

গায়ে পড়া পরোপকারীকে ধারে-কাছে রাখবে, নাকি ঝোপে-ঝাড়ে, বনে-বাদাড়ে সকলের অলক্ষ্যে চালিয়ে যাব আমাদের নিরব অভিযান, যখন চলছে অবিরাম কীটনাশক ও আগাছানাশক এর বিরক্তিকর পটকা-বাজি!


ডাটা চাষ পদ্ধতি,,,

 ডাটা চাষ পদ্ধতি:


ডাটা বাংলাদেশের অন্যতম গ্রীষ্মকালীন সবজি। ডাটায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-এ, বি, সি, ডি এবং ক্যালসিয়াম ও লৌহ বিদ্যমান। ডাটার কাণ্ডের চেয়ে পাতা বেশি পুষ্টিকর। খুব কম সবজিতে এত পরিমাণে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে।


🍀🍀মাটির বৈশিষ্ট্য: ডাটার জন্য উর্বর ও গভীর মাটি প্রয়োজন। সুনিষ্কাশিত অথচ ‘জো’ থাকে এমন মাটিতে এটি সবচেয়ে ভাল জন্মে।


🍀🍀উৎপাদন কৌশল: বাংলাদেশে ডাটার আবাদ খরা মৌসুমেই করা হয়। শীত প্রকট ও দীর্ঘস্থায়ী নয় বলে রবি মৌসুমেও এর চাষ সম্ভব, তবে সেই সময় অন্য অনেক সবজি পাওয়া যায়।


🍀🍀জমি তৈরি: ডাটার জন্য জমি গভীর করে কর্ষণ ও মিহি করে প্রস্তুত করতে হবে। জমিতে বড় ঢেলা থাকবে না। বাংলাদেশে ডাটা প্রধানত কাণ্ড উৎপাদনের জন্য চাষ করা হয়। আমাদের বেশি জাতসমূহ কাণ্ডপ্রধান, এগুলো ডালপালা খুব কম উৎপাদন করে। এসব জাত ৩০ সে.মি. দূরত্বে সারি লাগানো যেতে পারে। চারা গজানোর পর ক্রমান্বয়ে পাতলা করে দিতে হবে। যেন শেষ পর্যন্ত সারিতে পাশাপাশি দুটি গাছ ৮/১২ সে.মি. দূরত্বে থাকে। যেসব জাতের কাণ্ড অনেক মোটা ও দীর্ঘ হয় এবং দেরিতে ফুল উৎপাদন করে সেগুলো আরও পাতলা করা উচিত।


🍀🍀বীজের পরিমাণ: ডাটা চাষের জন্য শতাংশ প্রতি ১৫ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।


🍀🍀বীজ বপন: জমি গভীরভাবে চাষ দিয়ে বড় ঢেলা ভেঙে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে। সারিতে কাঠির সাহায্যে ১.০-১.৫ সে.মি. গভীর লাইন টানতে হবে। লাইনে বীজ বুনে হাত দিয়ে সমান করে দিতে হবে। ছিটিয়ে বুনলে বীজের সঙ্গে সমপরিমাণ ছাই বা পাতলা বালি মিশিয়ে নিলে সমভাবে বীজ পড়বে। বপনের পর হাল্কাভাবে মই দিয়ে বীজ ঢেকে দিতে হবে। জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে ঝাঝরি দিয়ে হাল্কা করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। তাহলে বীজ দ্রুত এবং সমানভাবে গজাবে।


🍀🍀অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা: গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য জমিকে আগাছামুক্ত রাখা আবশ্যক। প্রয়োজনমতো জমিতে সেচ না দিলে কাণ্ড দ্রুত আঁশমুক্ত হয়ে ডাটার গুণগতমান ও ফলন কমে যাবে। মাটির চটা ভেঙে ঝুরঝুরে করে দিলে গাছের বৃদ্ধির সুবিধা এবং গোড়াপচা রোগও রোধ হয়। চারা গজানোর ৭ দিন পর হতে পর্যায়ক্রমে একাধিকবার গাছ পাতলাকরণের কাজ করতে হবে। জাত ভেদে ৫-১০ সে.মি. অন্তর গাছ রেখে বাকি চারা তুলে শাক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। যেহেতু দ্রুত বর্ধনশীল ফসল তাই সঠিক সময়ে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।


🍀🍀ফসল তোলা: কাণ্ডপ্রধান জাতে ফসল সংগ্রহের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। গাছে ফুল আসার পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় ফসল তোলা যেতে পারে। ফুল আসলেই কাণ্ড আঁশময় হয়ে যায়। ডাটার কাণ্ডের মাঝামাঝি ভাঙার চেষ্টা করলে যদি সহজে ভেঙে যায় তাহলে বুঝতে হবে আঁশমুক্ত অবস্থায় আছে। তখনই সংগ্রহের উপযুক্ত সময় বলে বিবেচিত হয়।


🍀🍀জীবনকাল: বিভিন্ন ডাটার জাতসমূহের জীবনকাল বপন থেকে ২৫-৪০ দিন।


ফলন: ডাটা একটি উচ্চ ফলনশীল সবজি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উন্নত জাতের চাষ করলে প্রতি একরে ১০০-১২০ টন ডাটা পাওয়া সম্ভব।

লেক নেট্রন, উত্তর তানজানিয়া, আফ্রিকা::-- যেন সাক্ষাৎ যমপুরী। সরাসরি মৃত্যু নেই, কিন্তু মৃত্যুর চেয়েও ভয়ঙ্কর এক শাস্তি আছে। 

 লেক নেট্রন, উত্তর তানজানিয়া, আফ্রিকা::--


যেন সাক্ষাৎ যমপুরী। সরাসরি মৃত্যু নেই, কিন্তু মৃত্যুর চেয়েও ভয়ঙ্কর এক শাস্তি আছে। অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো, সুন্দর অথচ ভয়ঙ্কর। তানজানিয়ার উত্তরে আরুষা অঞ্চলের এই হ্রদটি এখনও এক বিভীষিকা,রহস্যময়। 


এই হ্রদের কাছে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন হ্রদের ধারে এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে পাথরের পশুপাখির মূর্তি। দেখে মনে হবে কোনও ভাস্করের নিখুঁত ভাস্কর্য পুরো হ্রদটির চারপাশে ছড়িয়ে আছে। কোনও খামতি নেই সযত্নে তৈরি করা হয়েছে বাদুড়, মাছরাঙা, রাজহাঁস, ঈগলের মতো অনেক নাম না জানা প্রাণীর মূর্তি। অবশ্য মূর্তি বলা ভুল হবে তা যেন জীবন্ত জীবাশ্ম। তবে আবার মমিও বলা যায়।


আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর তানজানিয়ার বিপজ্জনক লবণ হ্রদ পৃথিবীর সবচেয়ে কস্টিক অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি যা প্রাণীদের পাথরে পরিণত করে। হ্যাঁ এটাই বাস্তব। নেট্রন লেকের অত্যন্ত প্রতিফলিত এবং রাসায়নিকভাবে ঘন জলগুলি একটি কাঁচের দরজার মতো মনে হয়। যা ঘোরাফেরা করা পাখিদের মনে করে যে তারা খালি জায়গায় উড়ছে। তারা হ্রদে অবতরণ করার মুহুর্তে তাদের শরীর কয়েক মিনিটের মধ্যে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।


একে তো ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা। কোন প্রাণীর পক্ষে এক মুহূর্ত ওই হ্রদে থাকার জো নেই। কোনওক্রমে তাপমাত্রার হাত থেকে বাঁচলেও, সে বাঁচা হবে মৃত্যুর থেকেও অনেক ভয়ঙ্কর। ডাঙায় উঠেও রক্ষে নেই। ধীরে ধীরে পাথরের মতো হয়ে যাবে শরীর।


কিন্তু ভয়ঙ্কর এই বিভীষিকার কারণ কী? মূলত জলের ক্ষারধর্মের জন্য হয় এই সমস্যা। অগভীর এই নেট্রন হ্রদটি দৈর্ঘে ৫৭ কিমি ও প্রস্থে ২২ কিমি। জলের গভীরতা মাত্র ১০ ফুট। প্রচুর সোডিয়াম ও কার্বোনেট যুক্ত ট্র্যাকাইট লাভা দিয়ে বহুকাল আগে তৈরি হয়েছে নেট্রন হ্রদের তলদেশ। যার ফলে উত্তাপ সবসময় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে।


বেশি তাপমাত্রার ফলে হ্রদের জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়। তাঁর পরিবর্তে পড়ে থাকে লাভা যা জলের মতোই তরল। এদিকে সোডিয়াম এবং কার্বনেটের ক্ষারধর্মের জন্য হ্রদে জন্ম নেয় সায়ানোব্যাকটেরিয়া নামের অণুজীব। এদের শরীরে আবার লাল রঞ্জক থাকে। ফলে দূর থেকে লেকের জল মনে হয় লাল রঙের। লেকের এই লাল রঙ আকৃষ্ট করে এই হ্রদের নিকটবর্তী এলাকায় উড়ে বেড়ানো পাখিগুলিকে।


সবচেয়ে বিপজ্জনক সমস্যা হল, অনেক সময় এই হ্রদে পাখিগুলিকে নামতে হয় না। এর উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ই হ্রদের জলে পড়ে যায় তারা। কীভাবে? জলের পরিবর্তে লাভা থাকায়, সূর্যের রশ্মি হ্রদ থেকে বেশি পরিমাণ প্রতিফলিত হয়। ফলে পাখিগুলি যখন উপর দিয়ে উড়ে যায় তখন তাদের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। 


তীব্র আলোর ঝলকানিতে বিভ্রান্ত হয়ে হ্রদেই পড়ে যায় বাদুড় বা পাখিগুলি। পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেক পাখির মৃত্যু হয়। কেউ যদি অতি কষ্টে ডাঙায় উঠেও পড়ে, তাঁর কষ্ট আরও বাড়ে। লেকের জলের সোডা আর লবন লেগে যায় পাখি বা প্রাণীটির শরীরে। যা শুকোনোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কামড়ে ধরতে থাকে। আস্তে আস্তে পাথরে পরিণত হয় ওই লবন আর সোডা। একসময় পাখিগুলির শরীর পূর্ণাঙ্গ চুনাপাথরের মূর্তির রূপ নেয়।


বিজ্ঞানীদের একটি পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, হ্রদের জল অস্বাভাবিক ক্ষারধর্মী (পিএইচ ১০.৫)।যা ত্বককে পুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যে কারণে পশুপাখির পক্ষে অসহনীয়।


লেক নেট্রন আদতে একটি মৃত্যুফাঁদ। নেট্রন হ্রদের জল ক্ষারধর্মী হলেও এই হ্রদই পূর্ব আফ্রিকার লেসার ফ্লেমিঙ্গোদের সবচেয়ে বড় একটি প্রজনন ক্ষেত্র। প্রায় ২৫ লক্ষেরও বেশি লেসার ফ্লেমিঙ্গো এই হ্রদে দেখতে পাওয়া যায়। কারণ এই হ্রদের অগভীর জলে পাওয়া যায় প্রচুর নীলাভ-সবুজ শৈবাল। এই শৈবাল খেয়েই তারা বেঁচে থাকে এবং বংশবৃদ্ধি করে।


তানজানিয়ার এই লেক নেট্রনের আশেপাশে বিভিন্ন পশু ও পাখিদের মূর্তি দেখতে পাওয়া গেল পাওয়া যায়নি ফ্লেমিঙ্গো পাখিদের কোন নিদর্শন। তাই অনেক বিজ্ঞানীদের ধারণা একমাত্র লেসার ফ্লেমিংগোরাই পারে এই লেকের ক্ষারধর্মী জলের সঙ্গে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে।

 

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ০৫-০৫-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ০৫-০৫-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:…


আজ থেকে সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে - জানিয়েছে  শিক্ষা মন্ত্রণালয় - প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খুলছে আজ। 


বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয় - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


 জর্জিয়ায় এডিবির বার্ষিক বৈঠকে জীবাশ্ম-বহির্ভূত জ্বালানি উৎসসমূহের সক্ষমতা জোরদারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আস্থা বৃদ্ধির ওপর জোর দিলেন অর্থমন্ত্রী। 


ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধে ওআইসি দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ও কঠোর ভূমিকা পালনের ওপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ। 


গুজব ও অপপ্রচার রোধে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চার পরামর্শ তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর। 


কায়রোতে পুনরায় আলোচনার মধ্যদিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিশ্চিতের বিষয়টি জোরদারের প্রচেষ্টা অব্যাহত।


আজ চট্টগ্রামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে জিম্বাবুয়ের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।


নো প্রাইভেসি

 নো প্রাইভেসি ★

। কিছুই ফাঁকি দিতে পারবেন না। যেমন আপনি পিৎজা কিনতে চাইলে যা হবে —


হ্যালো, এটা কি পিৎজা হাট ?


না স্যর, এটা গুগল'স পিৎজা।


আমি কি তাহলে ভুল নাম্বারে ফোন করেছি?


না স্যর, গুগল দোকানটা কিনে নিয়েছে।


ওকে, আমি কি পিৎজার অর্ডার দিতে পারি?


স্যর, আপনি সাধারণত যে পিৎজার অর্ডার দেন আজকেও কি ওটাই দেবেন?


আমি সাধারণত যে পিৎজার অর্ডার দিয়ে থাকি সেটা আপনি কিভাবে জানলেন?


আপনার ফোন নাম্বার অনুযায়ী, আপনি শেষ ১৫ বার ডাবল চিজ বারো স্লাইস সসেজ+পেপারনী পিজা অর্ডার দিয়ে ছিলেন।


আমি এবারও ওটাই চাই।


কিন্তু স্যর আপনার কলেস্টেরল যেহেতু হাই তাই আমি ৮ স্লাইজ ভেজিটেবল পিজা অর্ডার করতে পরামর্শ দিচ্ছি।


আমার কলেস্টেরল হাই এটা আপনি কিভাবে জানলেন?


কাস্টমার গাইড থেকে। আমাদের কাছে  আপনার গত ৭ বছরের ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট আছে।


আমি ভেজিটেবল পছন্দ করি না, যেটা চাইছি ঐটাই দিন। কলেস্টেরলের জন্য আমি ঔষধ খাই।


কিন্তু আপনিতো নিয়মিত ঔষধ খান না। ৪ মাস আগে লাজ ফার্মা থেকে ৩০টা ট্যাবলেটের একটা পাতা কিনেছিলেন।


আমি অন্য আরেকটা দোকান থেকে বাকিগুলো কিনেছি।


কিন্তু আপনার ক্রেডিট কার্ড তো তা বলছে না।


আমি নগদ ক্যাশ দিয়ে কিনেছি।


কিন্তু আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুযায়ী সে পরিমান টাকা আপনি তোলেননি।


আমার অন্য আয়ের উৎস আছে।


আপনার ট্যাক্স ফর্মে সে তথ্যের কোন উল্লেখ তো চোখে পড়ছে না।


ধুর মশাই, আপনার পিজার গুষ্টির পিন্ডি চটকাই। পিৎজাই খাবো না। গুগল, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, সেলফোন, ইন্টারনেট নেই এমন একটা দ্বীপে চলে যাবো যেখানে আমার উপর কেউ এত নজরদারি করতে পারবে না।


হ‍্যাঁ স্যর বুঝতে পেরেছি, তার আগে আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে, আমাদের কাছে তথ্য আছে ৫ সপ্তাহ আগে তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।


মেঘালয়ের আদিম পূর্ব খাসি পাহাড়ে অবস্থিত, মাওলিনং এশিয়ার সবচেয়ে পরিষ্কার গ্রাম। 

 সুবৃহৎ ভারতবর্ষের এদিক ওদিক ছড়িয়ে থাকা এমন কিছু গ্রাম আছে যা সত্যি অবাক করে দেয় বিশ্ববাসীকে। গ্রামগুলির এমন কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আজও ভাবিয়ে তোলে মানুষদের। জ্ঞান ও বিজ্ঞানের আজকের পর্বে রয়েছে এই রকমই বেশ কয়েকটি ভারতীয় গ্রামের সংক্ষিপ্ত পরিচয়।


মেঘালয়ের আদিম পূর্ব খাসি পাহাড়ে অবস্থিত, মাওলিনং এশিয়ার সবচেয়ে পরিষ্কার গ্রাম। সুরম্য এই গ্রামের বাসিন্দারা প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে থাকতে শিখেছে। এই গ্রামটি শিলং থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, সম্প্রদায়টি একটি পরিচ্ছন্ন গ্রামের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা করেছে।


 গ্রামটি মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পার্শ্ববর্তী গ্রাম রিওয়াই-এ জীবন্ত ব্রিজে একটি ট্রেক, যা এলাকাবাসী এবং বহিরাগত পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়। গ্রামটি প্রাকৃতিক ভারসাম্যপূর্ণ শিলাও দেখায়, অন্য একটি পাথরের উপর একটি পাথরের ভারসাম্য বজায় রাখার একটি অদ্ভুত প্রাকৃতিক ঘটনা। জুন ২০১৫ সাল পর্যন্ত গ্রামটিতে মোট ৫০০ জন বাসিন্দা ছিল।


এখানে পাবলিক টয়লেট রয়েছে যেগুলি গ্রামবাসীরা নিজেরাই রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং প্রত্যেকে আগাছা পরিষ্কার, বাগান এবং রাস্তা পরিষ্কার করার আচারে অংশ নেয়। এই গ্রামে প্রতিদিন সন্ধ্যায় চলে গ্রাম পরিষ্কার করার কাজ। 


এমনকি ছোটবেলা থেকেই শিশুদের তাদের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে শেখানো হয় এবং তারা রাস্তার ময়লা-আবর্জনা তুলে বিনে ফেলতে দ্বিধা করে না। গ্রামটিতে জল সরবরাহ ব্যবস্থা অত্যন্ত দক্ষ হাতে পরিচালনা করা হয়।


গ্রামটি ২০০৩ সালে এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম এবং ২০০৫ সালে ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম হওয়ার জন্য প্রশংসা অর্জন করেছে। গ্রামটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশের সমতলভূমির দৃশ্যও দেখা যায়। 


গ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব গ্রামে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের উপর বর্তায়। স্থানীয়ভাবে রাস্তা পরিষ্কার করা, পাতা তোলা এবং আবর্জনা বিনে ফেলা খুবই সাধারণ দৃশ্য। গ্রামের প্রতিটি কোনে বাঁশের আবর্জনার বিনগুলি গ্রামবাসীদের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার চেতনাকে তুলে ধরে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একটি প্রাচীন ঐতিহ্য এবং সমস্ত গ্রামবাসীর জন্য একটি জীবনধারা। জৈব ও অজৈব বর্জ্যের জন্য গ্রামের বিভিন্ন পকেটে আড়ম্বরপূর্ণ বাঁশের ডাস্টবিন এবং পৃথক কম্পোস্ট পিট রয়েছে। ছোট এই গ্রামটিতে পলিথিন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গ্রামটিতে ধূমপান করলেও হতে পারে জরিমানা


মেঘালয়ের এই ছোট্ট গ্রামটিকে দেখার জন্য প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক এখানে আসেন। চোখের সামনে উপলব্ধি করেন এশিয়ার সবথেকে সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন গ্রামটিকে। পর্যটকরা নিজেরাও এই গ্রামটিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে তৎপর থাকেন



শনিবার, ৪ মে, ২০২৪

পেত্রোপাভলোভিস্ক-কামস্কাটিস্কি - রাশিয়া 

 " পেত্রোপাভলোভিস্ক-কামস্কাটিস্কি - রাশিয়া "


আয়তনের দিক থেকে রাশিয়া নিঃসন্দেহে পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ এ নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। সমগ্র ভূখণ্ডের প্রায় আটভাগের একভাগ জায়গা একাই দখল করে আছে ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশ মিলিয়ে থাকা এই দেশটি। রাশিয়ার সাথে ১৬টি দেশের সীমান্ত রয়েছে। এদেশের ভেতরেই আছে ১১টি টাইমজোন।এত বড় একটা দেশে তাই কয়েকটি দূর্গম শহর থাকতেই পারে। পেত্রোপাভলোভিস্ক – কামস্কাটিস্কি, শুধুমাত্র শহর হিসেবেই না বরং শহরটির নামের উচ্চারণ সেই হিসেবে আমাদের কাছে যথেষ্ট দূর্গম। এখানে নিশ্চিতভাবেই রাশিয়ার অন্য শহরের সাথে নেই কোন সড়ক পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা। এখানে পৌঁছাতে চাইলে আপনাকে কাটতে হবে বিমানের টিকিট অথবা অপেক্ষা করতে হবে শুষ্ক মৌসুমে যখন যাত্রীবাহী ক্রুজ শিপ (জাহাজ) চলে, সে সময়ের। 


পৃথিবীর দূর্গম শহরগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল এর নয়নাভিরাম, নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। রাশিয়ার এই শহরটি যতই দূর্গমই হোক না কেন, এর সৌন্দর্য্যের কোন শেষ নেই। তাই তো এখানেও প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকের আনাগোনা থাকে এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য। রাশিয়ার এই ছোট্ট শহরটির প্যারাগ্লাইডিং বিশেষ উল্লেখযোগ্য


এ শহরটি আগ্নেয়গিরির পাদদেশে অবস্থিত। চারিদিকে সুউচ্চ পর্বতমালা থাকায় শহরের কোন স্থান থেকেই দিগন্তের দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে। প্রায় সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেই এখানে আমদানী নির্ভর। তারপরেও এ শহরে লক্ষাধিক মানুষের বাস যারা মূলত মৎস শিল্প এবং বন হতে পাওয়া কাঠ সংগ্রহের সাথে জড়িত



এই জমিদারির ইতিহাস প্রায় দুইশ বছরের

 ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই জমিদারির ইতিহাস প্রায় দুইশ বছরের। মোঘল বাংলার বিখ্যাত ভূইয়া দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভাওয়াল গাজী। ভাওয়াল গাজীরা চার ভাই ছিলেন – ফজল গাজী, কাশেম গাজী, সেলিম গাজী ও তালেব গাজী। ভাওয়াল গড় এ মূল রাজবাড়ী থাকলেও তালেব গাজী তাঁর বসবাসের জন্য গাজীপুর এর কালিয়াকৈর থানার শ্রীফলতলী নামক স্থানে তাঁর জমিদার বাড়ী নির্মাণ করেন। এটি সেই তালেব গাজীর জমিদার বাড়ি।


সেকালে জমিদারদের মাঝে এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতা হত তাদের শান সাওকাত, বাড়ি ঘর, পুকুর, স্কুল কলেজ, চিকিৎসালয় নিয়ে। প্রতিযোগিতা হত কার বাড়ি কত বড় আর কি তাদের কারুকাজ। এসব বিষয়ে জমিদারদের নিরব প্রতিযোগিতারই একটা ফসল এই জমিদারী এলাকা আর জমিদার বাড়ি।


তবে ছোট তরফের বাড়ির গেটে আর বংশ লতিকায় কিংবা এই বাড়ির ইতিহাসে তালেব গাজীর উল্লেখ নেই। এখানে বলা আছে, বিখ্যাত তালিবাবাদ পরগণার নয় আনা অংশের মালিকানা নিয়ে গঠিত হয় শ্রীফলতলী জমিদার এস্টেট। এই এস্টেটের প্রধান কর্ণধার খোদা নেওয়াজ খান। এই এলাকায় জমিদার বাড়িটি ভূতুড়ে জমিদার বাড়ি হিসেবে বেশ পরিচিত।


সবাই বলাবলি করে জমিদার যখন এই বাড়ি ছেড়ে চলে যান তখন যে সমস্ত অলংকার এবং মূল্যবান জিনিষপত্র সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন নি, তা তিনি নাকি এই বাড়ির বিভিন্ন দেয়ালে, মেঝেতে পুতে প্লাস্টার করে দেন এবং ঘরের আসবাবসহ বিভিন্ন জিনিষ ঘরে রেখেই তালা লাগিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে অনেকেই সেগুলো খোঁজার চেষ্টা করে সফল হতে পারে নাই। অনেকেই বলে সেসব সোনা জহরত নাকি বড় বড় সাপেরা পাহারা দেয় !! আর রাতে শোনা যায় বিভিন্ন ভৌতিক শব্দ!!


যা হোক সব কল্পকথা আর লোকমুখের প্রচলিত গল্পের বাইরে এই জমিদার বাড়ির অলঙ্করণ আর শৈল্পিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে যে কাউকেই। দ্বিতল এই বাড়ির পেছনে আরও কয়েকটা একচালা পুরনো বাড়ি আছে দেখার মতো। একটাতে এখনও চিনিটিকরি করা পিলার স্পষ্ট। তবে সীমানা প্রাচীরগুলা ধ্বংসপ্রায়। সীমানা প্রাচিরের ওইপাশে ছোট তরফের আরেকটা জমিদার বাড়ি যার কথা আগেই বললাম, আর দুই বাড়ির মাঝখানে পুরনো মুঘল আমলের আদলে একটি মসজিদ।


কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের যে কোনও বাসে কালিয়াকৈর বাজারে নামা যায়। গাবতলি সাভার রোড ধরে আসলেও অনেক বাস আছে। কোনটায় চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত এসে অন্য বাসে বা টেম্পুতে কালিয়াকৈর বাজার। তারপর রিকশায় ২০/২৫ টাকা ভাড়া। বললেই হবে শ্রীফলতলি জমিদার বাড়ি।



প্যমাইকেল মধুসূদন দত্তের জিবনী

 প্যারিসের এক দোকানে মাইকেল মধুসূদন দত্তের চোখে পড়ল বিদ্যাসাগরের বই। মাইকেল দোকানদারকে বললেন এই লেখক আমার একজন মস্ত বন্ধু। মাইকেল মধুসূদনের জীবনে বন্ধুর থেকে আরও বেশি কিছু ছিলেন বিদ্যাসাগর। বিদেশে টাকার অভাবে মাইকেল চরম দূর্ভোগে,পরিত্রাতা বিদ্যাসাগর মহাশয়। ব্যারিস্টারি পাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে প্রাকটিসের জন্য অনুমতি প্রার্থনা। কিন্তু মাইকেলের চরিত্র নিয়ে আপত্তি একাধিক বিচারপতির। চরিত্র সম্বন্ধে কয়েকখানা উপযুক্ত সার্টিফিকেট পেলে আশা আছে। মাইকেল একাধিক প্রশংসাপত্র যোগাড় করেছেন। ১৮৬৭ সালে বিদ্যাসাগর মহাশয়,রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী একসাথে মাইকেল কে প্রশংসাপত্র দিয়েছেন। ১৮৬৭ সালের ৩ মে জজেরা একমত হয়ে মাইকেল কে কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টারি করার অনুমতি দিলেন।


মাইকেল ফ্রান্সে এসেছেন বছর খানেক হল দেশ থেকে এক কানাকড়িও আসেনি। চরম দুর্দশা বললে কম বলা হয়। জিনিসপত্র সব বন্ধক সঙ্গে প্রচুর ধারদেনা। এমন অবস্থা মাইকেল প্রায় জেলে যায়। তখন তিনি বিদ্যাসাগরের শরণ নিলেন। চিঠি দিলেন পরপর দুটো।  মাইকেল নিশ্চিন্ত নন দুটো চিঠি লিখেও, যদি বিদ্যাসাগর চিঠিগুলো না পেয়ে থাকেন! জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকা কত কঠিন প্রতি মুহূর্তে অনভূত হচ্ছে।স্ত্রী,কন্যা নিয়ে উপোস করার মত অবস্থা। বাধ্য হয়ে এক পাদ্রীর থেকে পঁচিশ ফ্রাঁ ধার করলেন। কয়েক দিনের মধ্যে একটু আশার  আলো দেখা গেল। দিগম্বর মিত্র আটশো টাকা পাঠিয়েছেন। তবে মাইকেলের ধার দেনার যা বহর আটশো টাকা কিছুই নয়। একদিন হেনরিয়েটা কাঁদতে কাঁদতে মাইকেলের পড়ার ঘরে এসে বললেন ছেলেমেয়েরা মেলায় যেতে চায়, কিন্তু তাঁর কাছে আছে মাত্র তিন ফ্রাঁ। সংসারে অভাব, অনটন মারাত্মক। মাইকেল হেনরিয়েটা কে মনখারাপ করতে নিষেধ করে বললেন  আজই ডাক আসবার কথা ছিল, সুখবর নিশ্চয়ই আসবে। কেননা তিনি যাঁর কাছে টাকার জন্য আবেদন করেছেন তাঁর প্রতিভা,জ্ঞান প্রাচীন ঋষিদের মত,শক্তি ইংরেজদের সমতুল,প্রাণ বাংলার মায়েদের মত। মাইকেল ভুল কিছু বলেন নি, একঘন্টা বাদে বিদ্যাসাগরের চিঠি এল।দেড়হাজার টাকা তিনি পাঠিয়েছেন। সত্যি হল বারবার টাকা দিয়ে মাইকেলকে বাঁচিয়েছেন বিদ্যাসাগর, তিনিই তাঁর আসল পরিত্রাতা।


অবশ্য ততদিনে মাইকেলের কলমে সৃষ্টির জোয়ার, মেতে উঠেছেন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। সংক্ষিপ্ত সময়,সংখ্যায় পাঁচ বছরে মাইকেল বাংলা নাটক ও কাব্যকে  নিস্তরঙ্গ পুষ্করিণী থেকে মহাসমুদ্রে পরিণত করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে ফেলেছেন।  মধুসূদনের 'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্য প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালের মে মাসে। অমিত্রাক্ষর ছন্দে সেই প্রথম বাংলা কাব্য লেখা হল। গোড়ার দিকে মাইকেলের অমিত্রাক্ষর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পছন্দই হয় নি। কিন্তু কিছুদিন পরে বিদ্যাসাগরের মতের পরিবর্তন হয়। মাইকেল যা লেখেন সব কিছুর মধ্যে তিনি ' Great merit' দেখতে পান।


তবে  অভাব,অভাব মাইকেলের নিদারুণ অভাব। অভাবের শেষ নেই। তাতে কি একদিন একটা ঠিকাগাড়িতে বিদ্যাসাগরের বাড়িতে এলেন মাইকেল। কোচম্যানকে দিলেন আধুলি নয়,টাকা নয় আস্ত মোহর। কোচম্যানকে এত বেশি দেওয়া আদপে অপব্যায়,বিদ্যাসাগরের কাছে দু-চার কথা মাইকেল কে শুনতে হল। কিন্তু তিনি যে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বললেন, বিদ্যাসাগর আজ দুদিন যাবৎ এই কোচম্যান আমাকে নানা জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। ওকে বেশি আর কী দিলাম! ব্যারিস্টার মাইকেল দেশে ফিরলে তাঁর জন্য সুকিয়া স্ট্রীটে একটা বাড়ি সাহেবি কায়দায় বিদ্যাসাগর সাজিয়ে রেখেছিলেন। মাইকেল সেখানে না উঠে স্পেনসেসের মত বিলাশবহুল হোটেলের তিনটে ঘর ভাড়া নিয়েছেন। একা মানুষ,ব্যারিস্টারি করে অর্থাগম হয় কিন্তু ব্যায় করেন অনেক বেশি।ঢালাও হাতে খরচ করেন, বন্ধুবান্ধবরা খাওয়া দাওয়া করেন।মাসে হাজার টাকার কমে চলে না। হেনরিয়েটা ও ছেলেমেয়েদের জন্য তিন- চারশ টাকা বিদেশে পাঠাতে হয়। আগের ঋণ শোধ হয়নি আবার বিদ্যাসাগরের কাছে ধার চাইলেন মাইকেল।


বিদ্যাসাগর মহাশয় কে অবশ্যই অগাধ শ্রদ্ধা করতেন মাইকেল। ১৮৬৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি লন্ডন থেকে তিনি বিদ্যাসাগরকে চিঠিতে লেখেন: My trust in God and after god in you. এর ছয় বছর আগে মাইকেল বিদ্যাসাগরের একটা স্ট্যাচুর জন্য নিজের মাইনের অর্ধেক টাকা চাঁদা দিতে রাজি হয়েছেন। সেজন্য রাজনারায়ণ বসু কে চিঠি লিখেছেন। আবার বিদ্যাসাগর স্বয়ং তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ চাঁদা দিতে রাজি হননি।

ব্যারিস্টারি ছেড়ে মাইকেল কিছুদিন চাকরি করলেন। অভাব কিছুতেই দূর হয় না। এদিকে শরীর ভেঙে গিয়েছে। চাকরি ছেড়ে ১৮৭২ সালে আবার ব্যারিস্টারি আরম্ভ করলেন। তখন স্বাস্থ একেবারে ভেঙে পড়েছে,শরীরে অনেক অসুখ।বিপুল ঋণ। বছর ঘুরতে না ঘুরতে মাইকেল মৃত্যুশয্যায়।  বালবন্ধু গৌরদাস মধুকে দেখতে যান এবং দেখতে পান — ‘‘সে তখন বিছানায় তার রোগযন্ত্রণায় হাঁপাচ্ছিল। মুখ দিয়ে রক্ত চুঁইয়ে পড়ছিল। আর তার স্ত্রী তখন দারুণ জ্বরে মেঝেতে পড়ে ছিল।’’


পরদিন মাইকেলকে ভর্তি করানো হয় আলিপুরের জেনারেল হাসপাতালে, গলার অসুখ তো ছিলই, যকৃতের সিরোসিস থেকে দেখা দিয়েছিল উদরী রোগ। 

১৮৭৩ এর ২৬ জুন হেনরিয়েটা চলে গেলেন। মাইকেল এই সংবাদ এক পুরনো কর্মচারীর কাছ থেকে জানতে পারলেন। ২৯ জুন রবিবার মাইকেলের অন্তিম অবস্থা ঘনিয়ে এল। বেলা দুটোর সময় চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন মধু কবি। তবে বেদনার বিষয় মৃত্যুর পর মাইকেলের শেষকৃত্য নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। কলকাতার খ্রিস্টান সমাজ তাঁকে সমাহিত করার জন্য মাত্র ছয় ফুট জায়গা ছেড়ে দিল না। কবির মরদেহে পচন ধরল। অবশেষে এগিয়ে এলেন অ্যাংলিকান চার্চের রেভারেন্ড পিটার জন জার্বো। বিশপের অনুমতি ছাড়াই, জার্বোর উদ্যোগে, ৩০ জুন বিকেলে, মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টারও পরে লোয়ার সার্কুলার রোডের কবরস্থানে মাইকেলকে সমাধিস্থ করা হয়।


মাইকেলের মৃত্যুর অনেক গুলো বছর পরে কয়েকজন ভদ্রলোক উদ্যোগী হলেন মাইকেলের সমাধিস্থলের উপর কোনও স্মৃতিস্তম্ভ নেই, কোনও চিহ্ন নেই।চাঁদা তুলে একটা স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে অস্থি পঞ্জর রক্ষা করতে হবে। চাঁদার জন্য বিদ্যাসাগরের কাছে লোক গেলে বিদ্যাসাগরের চোখে জল চলে এল। বিনীত নিবেদন করে লোকদের তিনি বললেন দ্যাখো, প্রাণপণ চেষ্টা করে যাঁর জান রাখতে পারিনি তাঁর হাড় রাখবার জন্য আমি ব্যস্ত নই।


পুস্তক ঋণ,করুণাসাগর বিদ্যাসাগর ,ইন্দ্র মিত্র 


রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...