এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

আমাদের বাসা-বাড়ির ভোল্টেজ 220 ভোল্ট কিন্তু আমেরিকায় 110 ভোল্ট কেন?

 আমাদের বাসা-বাড়ির ভোল্টেজ 220 ভোল্ট কিন্তু আমেরিকায় 110 ভোল্ট কেন?


তাহলে কারা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বুদ্ধিমান ও এগিয়ে আছে? চলুন আজকে এই মজাদার আলোচনাটা জমিয়ে তুলি। 


প্রত্যেকের মানুষের একটা ধৈর্যের সীমা থাকে। এই সীমা অতিক্রম করলেই সে আক্রমনাত্নক হয়ে উঠবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই তার ধৈর্য এর সীমা বুঝে তার সাথে সেইভাবে আচরণ করাটাই হবে বুদ্ধিমান ও ম্যাচিউর পার্সন এর পরিচয়। একইভাবে বিভিন্ন দেশের ম্যানুফেকচাররা তাদের ডিভাইসগুলো ভোল্ট রেটিং নানাভাবে নির্ধারণ করে থাকে। যেমন আমেরিকার নিজস্ব ব্যবহারের জন্য বেশিরভাগ কোম্পানির প্রস্তুতকৃত ডিভাইস এর রেটিং 110 ভোল্ট। তাই ডিভাইস এর সীমা বুঝে সেইভাবে সাপ্লাই দেয়া হয়। নাইলে সীমার বাইরে গেলে সে প্রতিবাদ করতে চাইবে।


এছাড়াও কম ভোল্টেজ এ সাপ্লাই এর একটা সুবিধা হল বিপদের আশংকা কমানো। যেমন 


বাংলাদেশের 220 ভোল্ট (rms) এর পিক ভেল্যু হচ্ছে


 = 220 x 1.4142 = 311 volt 


অর্থাৎ বাংলাদেশের একজন মানুষ শক খাবে 311 volt এ 


অন্যদিকে আমেরিকার 110 Volt (rms) এর পিক ভেলু 


= 110 x 1.4142 = 155 Volt 


অর্থাৎ একজন আমেরিকার মানুষ মূলত শক খাবে 155 Volt এ। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষটির বিপদের আশংকা অনেক বেশি।


তাই কিছু সংখ্যক দেশ কম ভোল্ট সাপ্লাই করে। 


এবার তাইলে প্রশ্ন আসাই স্বাভাবিক তাইলে 220 এ সাপ্লাই করে কি কোন লাভ নেই?


নিশ্চয় আছে। এটাতে একটা প্রধান লাভ হল লস ও অযাচিত তাপমাত্রা কমানো। ভোল্ট তুলনামূলক বেশি বলে কারেন্ট ড্র হবে কম। আর কম কারেন্ট ড্র বলতেই i^2R বা লস কম হবে। আর লস কম হওয়া মানেই ডিভাইস এ অযাচিত তাপমাত্রা সৃষ্টি না হওয়া। 


সবশেষে বলা যায়, ব্যক্তির নিরাপত্তা, ডিভাইস রেটিং, সিস্টেম লস এর কথা বিবেচনায় রেখেই সাপ্লাই ভোল্ট নির্ধারিত হয়।


ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মানেই বাস্তবের রসাত্নক আলোচনার সাথে তুলনা করে পড়া। আর এতে খুব সহজে বুঝা যায় এবং মনেও থাকে। কেমন হবে যদি এরকম গল্পে গল্পে ইলেকট্রিক্যাল এর ৫টি ইবুক পাওয়া যায়? 


নবীন যারা তারা ভাবছেন ভাইবা কিভাবে ফেস করবেন? কিভাবে প্রিপারেশন নিবেন? শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীই নয় কর্মরত ভাইদেরও অনেক সময় কাজের সুবিধার জন্য থিওরি রিভাইস করা লাগে!


নবীন ও অভিজ্ঞ ভাইদের কথা চিন্তা করে আমার লিখা 8টি ই-বুকঃ


📘Ebook1: ইলেকট্রিক্যাল যখন এ বি সি এর মত সহজ


📘Ebook2: সাবস্টেশন এবং সুইচগিয়ারের ময়নাতদন্ত


📘Ebook3: ইন্ডাস্ট্রিয়াল জটিল টপিকের সরল আলোচনা


📘Ebook4: পাওয়ার সিস্টেম নিয়ে আড্ডা


📘Ebook5: চা এর আড্ডায় পি এল সি


📘Ebook6: ট্রান্সফরমার মহাশয়ের খুটিনাটি


📘Ebook7: ডিসি সার্কিট নিয়ে মজার বই


📘Ebook8: ইলেকট্রনিক্স এত মধুর কেন?


সামান্য শুভেচ্ছামূল্যের বিনিময়ে ই-বুকগুলো (সফটকপি) ইনবক্সে নক দিন অথবা what's app +8801741994646

আসুন কিছু আদব-লেহাজ শিখি..... 

 আসুন কিছু আদব-লেহাজ শিখি..... 


একত্রে বসে খাওয়ার কিছু আদব লেহাজ: 


১. যে পাত্র থেকে সবাই খাবার নিচ্ছে (খিচুড়ি বা মুড়ি মাখা), তার উপর ঝুঁকে খাবার নেওয়া যাবে না, মুখ থাকবে মুখের জায়গায় - হাতে খাবার নিয়ে হাতটাকে মুখের কাছে নিতে হবে।  


২. হাতে থেকে যাওয়া অতিরিক্ত খাবার যা একেবারে মুখে ঢুকানো যায়নি তা ঝাড়া মেরে প্লেটে ফেলে দেওয়া যাবে না,  হাতে ধরে রাখতে হবে তারপর মুখের খাবার শেষ হলে বাকিটুকু মুখে দিতে হবে। 


৩. হাতে নেওয়া সমস্ত খাবার মুখে দিয়েছেন, এখন হাত কোথায় রাখবেন? অনেকে মুখে খাবার খাচ্ছেন আর খালি হাতটা সম্মিলিত খাবারের পাত্রে রেখে দিচ্ছেন,  এটা করা যাবে না। হাত নিজের কাছে রাখতে হবে। 


৪. কিছুক্ষণ পরপর সকলের অনুমতি না নিয়ে নিজের ইচ্ছেতেই "ভালো করে মিশানো" র অজুহাতে খাবার উলট পালট করা যাবে না। 


৫. সকলের অনুমতি না নিয়ে নিজের পছন্দমতো এডিশনাল ফুড (মুড়ি মাখার ক্ষেত্রে বুন্দিয়া বা পুদিনা পাতা,  খিচুড়ির ক্ষেত্রে লাউয়ের ঝোল)  ফট করে পাত্রে ঢেলে দেওয়া যাবে না। 


৬. আপনি যেদিক দিয়ে খাচ্ছেন সেদিকে যা আছে তাই খাবেন,  আরেকজনের দিক থেকে বারবার পিয়াজুর পার্ট বা মাংসের টুকরো নিবেন না। 


৭. সবাই যে আইটেম খাচ্ছে সেটাই খেতে হবে।  সবাই যখন করলা ভাজি খাচ্ছে তখন আপনি "করলা ভাজি খাই না" বলে তড়িঘড়ি করে রোস্টের বড় পিচটা নিয়ে নিবেন - এটা ঠিক হবে না।  অপেক্ষা করুন - করলা ভাজি দিয়ে সবার খাওয়া শেষ হোক। 


৮. হোস্ট  একজনকে খাবার সার্ভ করছে,  তাকে সিরিয়ালি তা করতে দিন।  মাঝখান থেকে সিরিয়াল ব্রেক করে আপনার দিকে ডাকবেন না তাকে। 


৯. নিজের খাবারের দিকে তাকিয়ে থাকুন, অন্যদের পাতের দিকে ঘনঘন তাকাবেন না। 


১০. যে হাতে খাবার খাচ্ছেন - ঐ হাতে চামচ, প্লেট, গ্লাস ইত্যাদি ধরবেন না। 


১১. খাওয়ার সময় ঢেঁকুর পারবেন না,  কোঁৎ কোঁৎ শব্দ করবেন না। 


১২. হুট করে নিজের পাতের খাবার আরেকজনের পাতে দিয়ে দিবেন না।  আপনি সিদ্ধ ডিম না খেয়ে একটা মাংসের পিচ বেশি খাবেন বা জিলিপি না খেয়ে আলুর চপ খাবেন বাড়তি তাই বলে জিলিপি বা সেদ্ধ ডিম পাশেরজনের পাতে দিয়ে দিবেন না - আপনার মতো সেইম চিন্তা তারও থাকতে পারে। 


১৩. যতটুকু খেতে পারবেন ততটুকুই পাতে নিবেন।  খাবারের দখল নেওয়ার অপচেষ্টা চালাবেন না। মুখে অল্প করে খাবার নিবেন,  খাবার মুখে ঢোকানোর পর দুই গাল যাতে দৃষ্টিকটু ভাবে  ফুলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।  


১৪. খাবারের শেষে দই বা ডাল আছে কিনা জিজ্ঞেস করবেন না; সেটা নাই ধরে খাওয়া চালাতে থাকবেন। 


১৫. হোস্ট আপনার সামনে টিস্যু রাখবে কিন্তু তাই বলে সেটা অযথা অপচয় করবেন না।  পর্যাপ্ত পানি দিয়ে হাত ধুয়ে তারপর রুমাল বা টিস্যু দিয়ে ভেজা হাতটা মুছবেন। 


১৬. নির্দিষ্ট কোন খাবার বেশি ভালো লেগেছে এটা বলবেন না,  হোস্ট সবগুলো আইটেমই যথেষ্ট মমতা সহকারে রান্না করেছেন আপনাদের জন্য - এটা মাথায়  রাখবেন।  


১৭. খাবার মুখে নিয়ে চপ চপ করবেন না,  খাইতে খাইতে নাকে সর্দি আসলে সেটা আস্তে করে মুছে নিবেন - উখ্খু উখ্খু শব্দ করে সেটাকে পেটে ঢুকানোর চেষ্টা করবেন না। মুখে কাকড় বা কাটা পড়লে মুখের খাবারটুকু বের করে সকলের সামনে ফেলে দিবেন না,  সকলের আড়ালে কোথাও ফেলুন। 


১৮. কোন একটা আইটেম নেওয়ার জন্য যদি আপনি প্রথমে উদ্যোগ নেন তাহলে চেষ্টা করবেন আশেপাশে দুএকজনকে আগে  দিয়ে পরে নিজে নিতে।  নিজে বড়ো পিসটা নিয়ে পাশেরজনের দিকে বাটি ঠেলে দিবেন না। নেওয়ার সময় চামচ দিয়ে সবগুলো পিস ঘাটাঘাটি করবেন না,  চোখের আন্দাজে আগে সিলেক্ট করে তারপর সেটা চামচে তুলবেন। 


১৯. দূরে থাকা কোন খাবার নেওয়ার জন্য বাটি নিজের দিকে দেওয়ার জন্য আরেকজনকে বলবেন না, সেটা উনার জন্য পরিশ্রমের। আপনার প্লেট বাটির কাছে এগিয়ে নিয়ে তারপর প্লেটে নিজে নেন বা কাউকে দিতে বলেন। 


২০. নিজে ডিমের কুসুম না খেয়ে রেখে দিয়ে পাশেরজনকে কুসুমের পুষ্টিগুণ বুঝাতে যাবেন না। 


২১. সালাদের বাটি থেকে বেছে বেছে শুধু টমেটো নিবেন না।  টমেটো,  শসা,  মূলা আনুপাতিক হারে নিবেন। 


২২. শুধুমাত্র আপনাকে একা  কাঁচামরিচ বা লবন এনে দেওয়ার জন্য কাউকে অনুরোধ করবেন না।  


২৩. হোস্ট পোলাওয়ের বাটি আনার সাথে সাথেই জিজ্ঞেস করে বসবেন না - সাদা ভাত আছে  কিনা? 


২৪. মজলিশে যিনি সবচেয়ে আস্তে খান তার সাথে তাল মিলিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন,  এতে করে সবাই সমানভাবে খাওয়ার অংশ পাবে।  


২৫. সকলের সাথে একসাথে খাওয়া শেষ  করুন। 


২৬. গলা পর্যন্ত খেয়ে হোস্টের মুখে " কিছুই তো খাইলেন না " শোনার জন্য  " বেশি খায়ালছি " বলে ঢং করবেন না।  আপনি যে বেশি খায়ালছেন এটা সবাই এতোক্ষণে ভালোই বুঝে গেছে! 


আজ এ পর্যন্তই । 


এর বাইরে আরো পয়েন্ট থাকলে কমেন্টে যোগ করুন।  


থিউরি বুঝতে সমস্যা হলে - বাসায় দাওয়াত দিন,  হাতে কলমে শিখুন!

স্যারের মেসেজ ০৬/০৫/২০২৪

 ধানের বীজ বিক্রি করার চেষ্টা করুন,,,,


সুপারভাইজার ভাইগণ আপনারা সবার সাথে কথা বলুন,,,,,


অনেকে বলছে এখন কীটনাশকের সিজেন না ধানের বীজ এবং জৈব সার বিক্রি করার চেষ্টা করেন,,,,,


কিছু কিছু সার আছে যেগুলো সব সময় চলে,,,,

আমাদের কক্সবাজার চিটাগং টাংগাইল নোয়াখালী এই বেল্টের জন্য লোক লাগবে আপনাদের পরিচিত লোক থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন।

07/05/2024.....
ধানের বীজের ডেলিভারি নিয়ে আপনাদের কোনো টেনশন নাই , জালাল ভাই আমাদের সর্বোচ্চ ডেলিভারি সাপোর্ট দিবেন তাই যে প্রোডাক্ট গুলো Stock Available আছে আমরা বেশি বেশি DO করবো ইনশাআল্লাহ্ কারণ এই প্রোডাক্টটা সিজনাল একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর কিন্তু আর চাহিদা থাকবে না ।
"ধন্যবাদ সবাইকে"
.........
৮/৫/২০২৫
রাসেল মাহমুদ স্যার,,,,,
সকালের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে যেদিন আপনি ডিউটি করবেন সেদিন কোনভাবেই আপনার মোবাইল নষ্ট আপনার মোবাইলের সমস্যা আপনার মোবাইলে নেট নাই অতএব মোবাইল সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় কোম্পানি গ্রহণ করবে না সুতরাং আগে থেকেই সতর্ক থাকুন মোবাইল চার্জ করুন ঠিকমতো যত্নে রাখুন সাড়ে আটটার পর পর মার্কেটে যান পাঁচটার পর মার্কেট থেকে বের হন রোড প্লান অনুযায়ী মার্কেটে কাজ করার চেষ্টা করুন প্রতিদিন
,,,,,,,,
মনিরুল ইসলাম স্যার

ভাই আপনাদেরকে বলা আছে যেখানেই থাকেন যে কাজই করেন না কেন নোট ঠিকমতো দিবেন এক দোকানে যদি এক ঘন্টা থাকেন তিনটা চারটা নোট দিবেন ভালোমতো গুছিয়ে লিখে দিবেন কি করছেন সেই দোকানে। 
তারপরও যদি কারো নোট নিয়ে কোন ধরনের সমস্যা হয় সেটার দায়ভার আপনাকে একা নিতে হবে। 
প্রতিদিন ৩০ টা করে নোট দিতে হবে এটা অনেক আগে থেকেই বলা আছে যদি কোন কারণে কম হয় কেন কম হয়েছে সেদিনের হিসাব আপনাকে দিতে হবে কি কারণে দিতে পারেন নাই। 
সবকিছু পরিষ্কার করে বলা আছে এরপরে কোন ধরনের ভেজাল যদি আপনাদেরকে নিয়ে হয় সেটার দায়ভার আপনারাই নিবেন।


মানসিক ভাবে ভালো থাকার উপায়

 **মানসিক ভাবে ভালো থাকার উপায়**

    গরু আমাদের দুধ দেয় না, আমরা কেড়ে নি। গাধাও মোট বয় না, ধোপারা এককালে জোর করে কাজটি করাতো। হিসেব মত সিংহীও দুধ দেয়, সিংহও ওজন বইতে সক্ষম। কিন্তু সিংহকে দিয়ে ওসব করানো মানুষের ক্ষমতার বাইরে।


ওই জন্য একটু বোকা আর ভালো মানুষদের গরু কিংবা গাধার সাথে তুলনা করা হয়। এই দুটো প্রাণীর নামে কোনো মানুষকে ডাকা মানে সেটা অপমান করা। কিন্তু কাউকে সিংহ বললে সে উল্টে গর্ববোধ করবে। সেই সিংহ, যে আজ অবধি মানুষের উপকার করল না, যার সামনে মানুষ গেলে মুহূর্তের মধ্যে পরপারে চলে যাবে, সেই সিংহ হচ্ছে মানুষের চোখে রাজা। উপকারী গাধা হচ্ছে হাসির বস্তু।


অতিরিক্ত ভালো হওয়ার সমস্যাই এটা। অতিরিক্ত ভালো মানুষরা কারোর কাছে গুরুত্ব পায় না। তুমি নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করতে থাকো, ভালো মনে কারোর ক্রমাগত উপকার করতে থাকো, আঘাতের পর আঘাত সহ্য করেও হাসিমুখে কাউকে ভালোবাসতে থাকো, তুমি তার চোখে 'গাধা' ছাড়া আর কিছুই হবে না। যদি মনে করো সে একদিন এগুলোর মূল্য বুঝবে, তাহলে তুমি সত্যিই গাধা। কারুর কাছে নিজের দাম পেতে গেলে একবার অন্তত সিংহের মত হতেই হয় ।


মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আপনার টাকা রয়ে যায়। দান করবেন বলে কথা দিয়েও হয়তো কয়েকজনকে দেন নাই অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না। 


নিরেট সত্যটি হচ্ছে-অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে দীর্ঘ জীবন লাভ করা বেশি জরুরি। তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ্য জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়া উচিত।

      আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায় :

           দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

মাদক ব্যাবসা করতো বা করে বা ভালো হয়ে গিয়েছে এমন  বন্ধু বা পরিচিত কাউকে কখন ও বিশ্বাস করবেন না । এরা বেইমানী করবেই কারনে অকারনে ।

একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।


প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

     কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

      সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্যই। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না। এমনকি বেঁচে থাকতেই আপনার অর্থের প্রাচুর্যে বেড়ে ওঠা মানুষগুলো আপনাকে বৃদ্ধাশ্রমে ছুড়ে আসতে পারে। তাই বেঁচে থাকতেই ১০০% এর সুরক্ষা এবং পূর্ণ সদ্ব্যবহার করাই শ্রেয়।


করণীয় কী ?

১) অসুস্থ না হলেও মেডিকেল চেকআপ করুন।

২) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

৩) মানুষকে ক্ষমা করে দিন।

৪) রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।

৫) পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন।

৬) সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।

৭) যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসঙ্গীকে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও নিয়ে হাত ধরে হাঁটুন, হোটেলে খাওয়াতে না পারলে বাদাম বা ঝালমুড়ি খান। আর তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।

৮) ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।

৯) আর্থিক সঙ্গতি থাকলে আর সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে নিজের দেশ এমনকি ভিন্নদেশকে দেখতে বেড়িয়ে পড়ুন। দান করুন ।

১০) ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন।

১১) মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয় ,রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না। বৃষ্টির জলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১০ মিনিট হলেও শরীরে রোদ লাগাবেন।

১২) মহাব্যস্ত থাকলেও নিয়মিত ব্যায়াম করুন আর ৩০ মিনিট হাঁটুন। আর মহান সৃষ্টিকর্তাকে নিয়মিত  স্মরণ করুন। মিথ্যা ত্যাগ করুন ।

১৩.সর্বদা হাসিখুশি থাকুন। সুযোগ পেলেই কৌতুক পড়বেন। পরিবারের সবার সঙ্গে মজার ঘটনাগুলো শেয়ার করবেন। মাঝে মাঝে প্রাণবন্ত ভাবে  হাসবেন।

১৪) সবার সাথে মিশবেন ছোটো বড় ভাববেন না।

--------------


আমাদের আরো পোস্ট পেতে পেজটিতে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন

যেভাবে কুশারী থেকে ঠাকুর হলেন...সাজেদ রহমান ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রবীন্দ্রনাথ 

যেভাবে কুশারী থেকে ঠাকুর হলেন...


পশ্চিম বাংলার বর্ধমান জেলার কুশ গ্রাম থেকে কুশারী বংশের উদ্ভব। রাজা বল্লাল সেনের সময় গ্রামটি ছিল সমৃদ্ধশালী। এই গ্রামেই কুশারী পরিবারের বাস। কুশারীরা মুলত ব্রাক্ষণ ছিলেন। ক্রমে ক্রমে বংশ বৃদ্ধি পেতে থাকে তাদের, এরপর তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীতে, যশোরের অধুনা পিঠাভোগে, ঢাকার কয়কীর্তনে, যশোরের ঘাটভোগ-দামুড়হুদা গ্রামে। তবে রবীন্দ্রনাথের পূর্ব পুরুষরা পিঠাভোগের কুশারী। খ্রিষ্টীয় অষ্টম থেকে একাদশ শতকের মধ্যে আদিশুরের রাজস্বকারে বৌদ্ধ প্রভাবাচ্ছন্ন বঙ্গদেশের হিন্দু ধর্মের ফিরিয়ে আনতে এ প্রধান্য বিস্তারের অভিপ্রায়ে কণ্যাকুঞ্জ থেকে যে পঞ্চ ব্রাক্ষণ্যের আবির্ভার ঘটে তাদের মধ্যে শাল্ল্যি গোত্রীয় ক্ষিতিশ ছিলেন অন্যতম। পিঠাভোগের কুশারীরা ও শাল্ল্যি গোত্রীয় ক্ষিতিশের বংশজাত ব্রাক্ষণের ধারাবাহিক উত্তর পুরুষ। কথিত আছে ভট্টনারায়ণের পুত্র দ্বীননাথ শাল্ল্যি গোত্রীয় শ্রেণির ব্রাক্ষণ মহারাজ ক্ষিতিশের অনুগ্রহে বর্ধমান জেলার ‘কুশ’ গ্রামে দান স্বত্ব লাভ করে কুশারী গোত্রভুক্ত হন।(বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস, ব্রাক্ষণ কান্ড, পৃষ্ঠা ১২১)। সেখান থেকে রবি ঠাকুরের পূর্ব উপাধি কুশারী হয়।(রবীন্দ্র জীবনী ১ম খন্ড, প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়) কালক্রমে যশোর অধুনা খুলনার রুপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামে আবাসভূমি গড়ে উঠে।


রবি ঠাকুরের দক্ষিণ ডিহির মাতৃকুলের রায় চৌধুরী বংশের সাথে কবির আদি পুরুষ পিঠাভোগের কুশারী বংশের আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে উঠে।


.....জগন্নাথ কুশারীর পরবর্তী বংশধর পঞ্চানন কুশারী মত পার্থক্যের কারণে দক্ষিণ ডিহি ত্যাগ করে কলকাতার গঙ্গাতীরে কালিঘাটের গোবিন্দপুর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। পিঠাভোগ থেকে আসা পঞ্চানন কুশারীকে স্থানীয়রা ভক্তিতে গ্রহণ করেন। ইংরেজরা তখন আজকের কলকাতার শহরের গোড়াপত্তন করছিলেন। স্থানীয়রা তাদের মুখপাত্র হিসাবে পঞ্চানন কুশারীকে ইংরেজদের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রাখতে অনুরোধ করে। কুশারীরা ছিল ব্রাক্ষণ। স্থানীয় রুচিবান মানুষেরা ব্রাক্ষণ পঞ্চাননকে সম্মান করে ‘ঠাকুর’ বলে ডাকতো। এই ভাবেই পিঠাভোগের কুশারী কলকাতায় ঠাকুর হিসাবে পরিচিত পান। ঠাকুর হওয়ার পিছনে আরও কাজ করে ওই সময় ভাগীরথী নদীতে ইংরেজদের বাণিজ্য তরী ভীড়তো। সেই বাণিজ্য তরীর মালামাল উঠানো এবং নামানোর ঠিকাদার এবং খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের ব্যবসা করতেন পঞ্চানন কুশারী। এ কাজে নিয়জিত শ্রমিকেরা কুশারীকে শ্রদ্ধা ভরে ঠাকুর মহাশয় বলে ডাকতো। জাহাজের ক্যাপ্টেনদের কাছেও তিনি ঠাকুর বলে পরিচিত পেয়ে যান। তাদের কাগজপত্রে TAGORE লেখা হতো। এখান থেকেই ঠাকুর উপাধির প্রচলন।....যাইহোক দীর্ঘকাল ইংরেজদের সঙ্গে মেলামেশার ফলে ‘টেগোর’ উচ্চারণটি স্থানী রুপ লাভ করে। বিশ শতকে এসে সব টেগোরই ইংরেজি বাংলা উভয় ভাষাই ঠাকুর হলেন। ব্যতিক্রম শুধু রবীন্দ্রনাথ। তিনি বাংলা ভাষায় ঠাকুর কিন্তু ইংরেজি ভাষায় এখনো টেগোর।


সাজেদ রহমান ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

সকাল ০৭ টার সংবাদ তারিখ: ০৬-০৫-২০২৪

 সকাল ০৭ টার সংবাদ

তারিখ: ০৬-০৫-২০২৪


সংবাদ শিরোনাম:


ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত এএফআইপি এবং সেনা প্রাঙ্গণের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী - ‍দুঃসময়ে পাশে থেকে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, বললেন শেখ হাসিনা।


জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনশক্তির চাহিদা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠক্রম প্রণয়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির।


স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই – বললেন দলের সাধারণ সম্পাদক।


গাম্বিয়ার বানজুলে পঞ্চদশ ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে ফিলিস্তিনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


অভিবাসন সংক্রান্ত অপতথ্য রোধে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ ও ইতালি -  বললেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


নেতানিয়াহু সরকারের আল-জাজিরা বন্ধের আদেশের পর সংবাদ মাধ্যমটির জেরুজালেম অফিসে ইসারাইলি পুলিশের অভিযান।


চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ছয় উইকেটে হারিয়ে সিরিজে দুই-শূন্যতে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ ।

রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

দিন কাল পালটাচ্ছে। তাই যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরী থাকা উচিৎ ........ তা নাহলে ভবিষ্যতে বড় বিপদে পড়তে হতে পারে।

 " বাড়ি ঘর জায়গা জমি সন্তানদের লিখে দিবেন না । আপনার ঘরে আপনি বসবাস করবেন । দরকার হলে ছেলে মেয়েরা  বাড়ি ঘর তৈরি করে 'যৌবনাশ্রমে ' থাকবে "  :


পরিণত বয়সে এসে আমাদের অনেকেরই হয়তো কাজেও লাগতে পারে গল্পটি!!!


"যৌবনাশ্রম খুঁজে দেখো!"


আব্দুর রহমান সাহেব ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর হয় রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পান। স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগে।


দুটি ছেলেকে বড় যত্নে মানুষ করেছেন। বাবা এবং মায়ের দুজনের স্নেহ দিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপর বড় ছেলের বিয়ে দিলেন। একটি নাতি হল। উনার মনে আর আনন্দ ধরে না ।


এরপর ছোট ছেলে নিজের পছন্দের মেয়ে খুঁজে বাবাকে জানালে তিনি সানন্দে সেই মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলেন। রিটায়ারের আগেই বড় ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর ছোট বৌমা এল।


আব্দুর রহমান সাহেব এখন নাতিকে নিয়ে বেশ সময় কাটান। সংসারের অনেকটা ব্যয় ভার বহন করেন।


একদিন ইজি চেয়ারে বসে সকালে কাগজ পড়ছেন বড় বৌমার গলা পেলেন, আজ বাজার শর্ট আছে.রাতে রান্না হবে না। সে চাকরী করে। বলছে জা কে।


এ বাড়িতে ছেলেদের জন্মের আগে থেকে কাজের মেয়ে জয়নব আছে। সে তাঁর ছেলেদের থেকে বেশ কিছুটা বড়। জয়নব মাতৃহারা দুই ছেলেকে অপার স্নেহে আগলে রেখেছিল।


সে বলল--ভাইজানরা কেউ এনে দেবে।


বড় বৌ বলল--কেন বাবা তো বসে আছেন বাজারটা রোজ করলেই পারেন।


আব্দুর রহমান সাহেবের কানে কথাটা বাজল। বুঝলেন সংসারে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।


নিজের মনকে বললেন-- মন তুই তৈরী থাক।


এরপর থেকে বৌদের নানা আচরণে তাঁর প্রতি বিরূপতা প্রকাশ পেতে থাকল।


একদিন সকালে বড় ছেলে রাগত গলায় বৌকে বলছে--আমার শার্টটা লণ্ড্রী থেকে আনা হয়নি?


বড় বৌ বললো-- না যাবার সময় হয়নি।


বড় ছেলে -বাবা একটু আনতে পারল না? সারাদিন তো বসেই থাকে।


আব্দুর রহমান সাহেবের কানে গেলে ভাবলেন-- যুগধর্ম!


এরপর একদিন এক ছুটির দিনে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসে দেখলেন--সবাই আগে ভাগেই উপস্থিত।


জয়নব প্লেটে গরম লুচি, আলু ভাজি আর সন্দেশ পরিবেশন করছে।


বড় ছেলে বলল --বাবা একটা কথা ছিল।


আব্দুর রহমান সাহেব বুঝলেন এরা সকলে কিছু প্ল্যান করেছে। বললেন, বল।


বড় ছেলে বললো, জানো বাবা কাল অফিসের কাজে গাজীপুর গিয়েছিলাম। কাজের ফাঁকে সময় পেয়ে ওখানকার দর্শনীয় জায়গা গুলো দেখতে বেড়িয়েছিলাম। দেখলাম নদীর ধারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটা সুন্দর বৃদ্ধাশ্রম চালু হয়েছে। দেখেই ভাবলাম তুমি ওখানে মনোরম পরিবেশে শেষ জীবনটা থাকতে পারো। আমরা যাব আসব। কিরে ভাই কি বলিস?


ছোট ছেলে বলল, বেশ ভালো হবে।


আব্দুর রহমান সাহেব হেসে বললেন--সব তো শুনলাম। কিন্তু বাবারা তোমরা যেমন আমার জন্য ভাবো, আমিও তোমাদের জন্য ভাবি। তাই আমারও একটা প্রস্তাব আছে তোমাদের জন্য। তোমরাই বরং যুতসই এবং মনোরম পরিবেশের একটা যৌবনাশ্রমের খোঁজ করে নিয়ে সেখানে গিয়ে থাকোনা কেন। বাড়ীটাতো আমারই, পেনশনও পাই ভাল। জয়নব মাকে নিয়ে আমরা বাপ বেটিতে বেশ ভালই থাকব। তোমরাও আসবে যাবে।


এই ভাবে তিনি এক ছক্কায় বাজীমাত করে দিলেন। জয়নবকে বললেন--জয়নব মা, লুচিগুলো ঠাণ্ডা হয়ে গেল। গরম গরম নিয়ে আয় তো।


ছেলেরা আর ছেলেদের বৌয়েরা রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেল, বাকরুদ্ধ হয়ে বসে রইলো.....!!


দিন কাল পালটাচ্ছে। তাই যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরী থাকা উচিৎ ........


তা নাহলে ভবিষ্যতে বড় বিপদে পড়তে হতে পারে।



মোনালিসার রহস্য

 মোনালিসার রহস্য


লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এমন একজন ব্যাক্তি ছিলেন, যিনি বিজ্ঞান বা সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তিনি তার প্রতিভা দেখাননি। তার শিল্পকর্মগুলি ছিল অসাধারণ রহস্য পরিপূর্ণ। তার একটি অসাধারণ সৃষ্টি 'মোনালিসা' ছবিটি। এখনো মানুষের কাছে 'মোনালিসা' রহস্যময়।


'মোনালিসা' ছবির সম্পর্কিত তথ্য : মোনালিসা নামটির সাথে সাথে মনে অনেক রকমের প্রশ্ন এসে যায়। সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন হয়, আলাদা আলাদা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখলে মোনালিসার হাসি পরিবর্তন হতে থাকে। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে মোনালিসার এই ছবিটির মধ্যে বিশাল রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। যেমন ধরুন পাঁচ শ' বছরেও মানুষ কেন দেখতে পায়নি মোনালিসার ছবির মধ্যে এলিয়েনের ছবি লুকিয়ে রয়েছে? 'মোনালিসা' আসলে ছেলের না মেয়ের ছবি? এই ধরনের অনেক প্রশ্নের উত্তর আজও খুজে চলেছে মানুষ।

 

উল্লেখ্য 'মোনালিসা'র এই ছবিটি কোনো কাগজ বা কাপড়ের উপর আঁকা হয়নি। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে একটি পাইন কাঠের টুকরোর ওপর মোনা লিসার এই ছবিটি আঁকেন। চিত্রকলার ইতিহাসে এই চিত্রকর্মটির মতো আর কোনোটি এত আলোচিত ও বিখ্যাত হয়নি। এই ছবিটি আঁকা হয়েছে কাঠের তিনটি তক্তার উপর। এই চিত্রটি ১৫০৩ সাল থেকে ১৫০৬ সালের মধ্যে আঁকা হয়েছিল। আসলে এই ছবিটির নাম Monalisa নয়, এটি বানানে ভুল ছিল। ছবিটির অরজিনাল নাম হলো Mona Lisa ইটালিয়ান ভাষায় এই শব্দটির অর্থ হলো Mona Lisa = My Lady ।


মোনালিসা ছবিটি ছিল লিওনার্দো দা ভিঞ্চি-র সব থেকে প্রিয় ছবি। এই কারণে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি যখনই যেখানে যেতেন, সাথে করে এই ছবিটি নিয়ে যেতেন। তিনি যখন এই ছবিটি আঁকতে শুরু করেন তখন তার বয়স ছিল ৫১ বছর। ১৭৫৭ সালে মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়ামে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কেউ জানে না যে কিভাবে এই ছবিটি লুভারস মিউজিয়ামে এসে পৌঁছলো। ১৯১১ সালের ২১ আগস্ট মোনালিসার এই ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে আবার চুরি হয়ে যায়। কিন্তু দশ বছর পর আবার সেই ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ১৯৫১ সালে এক ব্যক্তি এই ছবিটিতে পাথর ছুড়ে মারেন। যার ফলে চিত্রটিতে মোনালিসার বাম হাতের কনুই এ একটি দাগ লেগে যায়।


মোনালিসাকে ফ্রান্সের ল্যুভর জাদুঘরের একটি আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে, যার জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত করা আছে এবং ছবিটি বুলেটপ্রুফ কাচ দিয়ে ঢাকা একটি খাপের মধ্যে রাখা আছে। কক্ষটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ৭ মিলিয়ন ডলার।

গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে বর্তমান সংস্করণটির আগে ছবিটি তিনটি আলাদা স্তরে আঁকা হয়েছিল। একটি সংস্করণে মোনালিসার হাত দুটো তার সামনে রাখা একটি চেয়ারের ওপর দিয়ে জড়িয়ে আছে।

আপনারা_লাউ_কিভাবে_আবাদ_করবেন

 #আপনারা_লাউ_কিভাবে_আবাদ_করবেন?


#জলবায়ুঃ

লাউ প্রধানত শীতকালের সবজি। বর্তমানে এ দেশে সারা বছরই লাউ হচ্ছে। উষ্ণ ও অব-উষ্ণ অঞ্চলে ভালো হয়।


#মাটিঃ

লাউ প্রায় সব ধরণের মাটিতেই ভালো জন্মে। তবে লাউ চাষের জন্য দোআঁশ থেকে এঁটেল দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো।


#জমি_নির্বাচনঃ

সেচ ও নিকাশের উত্তম সুবিধাযুক্ত এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে।


#লাউয়ের_জাত_নির্বাচনঃ

মার্শাল সুপার, ময়না, সুলতান, বাদশা, মধুমতি, হাইগ্রিন, ডালিয়া পল্লবী, মোনালিসা, ডায়না, বর্ষা, মার্কিন, সুলতানা, নবাব, নাইসগ্রীণ, হাজারী লাউ, ইত্যাদি 


#জীবনকালঃ ১২০-১৪০ দিন


#বীজ বপনের সময়ঃ 

লাউ সারা বছর আবাদ করা যায়। তবে

শীতকালে- 

চাষের জন্য আগস্ট – অক্টোবর এবং 

গ্রীষ্মকালে- 

চাষের জন্য ফেব্রুয়ারি-মে মাসে বীজ বপন করা যায়।


#জমি_তৈরিঃ

জমিকে প্রথমে ভালভাবে চাষ ও মই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন জমিতে কোন ঢিলা এবং আগাছা না থাকে।

লাউ গাছের শিকড়ের যথাযথ বৃদ্ধির জন্য উত্তমরূপে গর্ত (মাদা) তৈরি করতে হবে।


#বেড_তৈরিঃ

বেডের উচ্চতা হবে ১৫-২০ সেমি। বেডের প্রস্থ হবে ২.৫ মিটার এবং লম্বা জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে সুবিধামতো নিতে হবে। এভাবে পরপর বেড তৈরি করতে হবে।


#বেডের_দুরত্বঃ

পাশাপাশি দুইটি বেডের মাঝখানে ৬০ সেমি ব্যাসের সেচ নালা থাকবে এবং প্রতি দুবেড অন্তর ৩০ সেমি প্রশস্ত শুধু নিকাশ নালা থাকবে।


#মাদা_তৈরিঃ

মাদার আকার হবে ব্যাস ৫০-৫৫ সেমি, গভীর ৫০-৫৫ সেমি এবং তলদেশ ৪৫-৫০ সেমি।


#মাদার_দুরত্বঃ

বেডের যে দিকে ৬০ সেমি প্রশস্ত সেচ ও নিকাশ নালা থাকবে সেদিকে বেডের কিনারা হইতে ৬০ সেমি বাদ দিয়ে মাদার কেন্দ্র ধরে ২ মিটার অন্তর অন্তর এক সারিতে মাদা তৈরি করতে হবে।

একটি বেডের যে কিনারা থেকে ৬০ সেমি বাদ দেয়া হবে, উহার পার্শ্ববর্তী বেডের ঠিক একই কিনারা থেকে ৬০ সেমি বাদ দিয়ে মাদার কেন্দ্র ধরে অনুরুপ নিয়মে মাদা করতে হবে।


#বীজহারঃ

প্রতি শতকে ৬-৮ গ্রাম বীজের প্রয়োজন। 


#বীজ_শোধনঃ

বীজ বাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং সবল-সতেজ চারা উৎপাদনের জন্য বীজ শোধন জরুরি। কেজি প্রতি দুই গ্রাম ভিটাভেক্স/ক্যাপটান ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যায়।

সহজ অংকুরোদগমের জন্য পরিষ্কার পানিতে ১৫-২০ ঘন্টা অথবা শতকরা এক ভাগ পটাশিয়াম নাইট্রেট দ্রবণে বীজ এক রাত্রি ভিজিয়ে অতঃপর পলিব্যাগে বপন করতে হবে।


#চারা_উৎপাদনঃ

লাউ চাষের জন্য চারা নার্সারিতে পলিব্যাগে উৎপাদন করে নিলে ভাল হয়।

বীজ বপনের জন্য ৮ × ১০ সেমি বা তার থেকে কিছুটা বড় আকারের পলিব্যাগ ব্যবহার করা যায়।

প্রথমে অর্ধেক মাটি ও অর্ধেক গোবর মিশিয়ে মাটি তৈরি করে পলিব্যাগে ভরতে হবে।


#বীজের_সংখ্যাঃ

প্রতি ব্যাগে একটি করে বীজ বুনতে হবে। পলিব্যাগ বা কলাপাতার ঠোঙায় বা পলিব্যাগে চারা তৈরি করে প্রতি মাদায় একটি করে সবল চারা রোপণ করা ভালো। এতে বীজের খরচ কম পড়ে এবং চারার মৃত্যুহার কমে যায়। পলিব্যাগে চারা তৈরি করতে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।


#বীজ_বপনের_গভীরতাঃ

বীজের আকারের দ্বিগুণ মাটির গভীরে বীজ পুঁতে দিতে হবে।


#বীজতলায়_চারার_পরিচর্যাঃ

নার্সারিতে চারার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে। বেশি শীতে বীজ গজানোর সমস্যা হয়। এজন্য শীতকালে চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বীজ গজানোর পূর্ব পর্যন্ত প্রতি রাতে প্লাস্টিক দিয়ে পলিব্যাগ ঢেকে রাখতে হবে এবং দিনে খোলা রাখতে হবে।

চারায় প্রয়োজন অনুসারে পানি দিতে হবে তবে সাবধান থাকতে হবে যাতে চারার গায়ে পানি না পড়ে।

পলিব্যাগের মাটি চটা বাঁধলে তা ভেঙ্গে দিতে হবে।

লাউয়ের চারাগাছে ‘রেড পামকিন বিটল’ নামে এক ধরণের লালচে পোকার ব্যাপক আক্রমণ হয়। এটি দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।


#চারার_বয়সঃ

বীজ গজানোর পর ১৬-১৭ দিন বয়সের চারা মাঠে লাগানোর জন্য উত্তম।


#চারা_রোপণঃ

মাঠে প্রস্তুত মাদাগুলোর মাটি ভালোভাবে ওলট-পালট করে, এক কোপ দিয়ে চারা লাগানোর জন্য জায়গা করে নিতে হবে। অতঃপর পলিব্যাগের ভাঁজ বরাবর ব্লেড দিয়ে কেটে পলিব্যাগ সরিয়ে মাটির দলাসহ চারাটি উক্ত জায়গায় লাগিয়ে চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে।

চারা লাগানোর পর গর্তে পানি দিতে হবে।


পলিব্যাগ সরানোর সময় এবং চারা রোপণের সময় সাবধান থাকতে হবে যাতে চারার শিকড় ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং মাটির দলা না ভাঙ্গে । নতুবা শিকড়ের ক্ষতস্থান দিয়ে ঢলে পড়া রোগের (ফিউজারিয়াম উইল্ট) জীবাণু ঢুকবে এবং শিকড় ক্ষতিগ্রস্থ হলে গাছের বৃদ্ধি দেরিতে শুরু হবে।


#সারের_পরিমাণঃ বিঘা প্রতি ৩৩ শতকে

গোবর ১৫০০ কেজি

ইউরিয়া ২০-২৫ কেজি

টিএসপি ২৫ কেজি

পটাশ ২০ কেজি

জিপসাম ১৫ কেজি

জিংক ১.৫ কেজি

বোরন ১.৫ কেজি


#সার_প্রয়োগ_পদ্ধতিঃ

অর্ধেক গোবর সার, টিএসপি ও এমপি এবং সবটুকু জিপসাম, দস্তা, বোরাক্স ও ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। অবশিষ্ট গোবর এবং টিএসপি চারা লাগানোর ৭ দিন পূর্বে গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। উপরি প্রয়োগে ইউরিয়া এবং অবশিষ্ট এমপি সার সমান ৪ কিস্তিতে চারা রোপণের ১৫, ৩৫, ৫৫ এবং ৭৫ দিন পর গাছের গোড়ায় ১০-১৫ সেমি দূরে মাদার মাটির সংগে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।


#সেচ_দেওয়াঃ 

লাউ ফসল পানির প্রতি খুবই সংবেদনশীল। কাজেই সেচ নালা দিয়ে প্রয়োজন অনুসারে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। লাউয়ের জমিতে কখনও সমস্ত জমি ভিজিয়ে প্লাবন সেচ দেয়া যাবে না। শুধুমাত্র সেচ নালায় পানি দিয়ে আটকে রাখলে গাছ পানি টেনে নিবে। প্রয়োজনে সেচ নালা হতে ছোট কোন পাত্র দিয়ে কিছু পানি গাছের গোড়ায় সেচে দেওয়া যায়। শুষ্ক মৌসুমে লাউ ফসলে ৫-৭ দিন অন্তর সেচ দিতে হয়।


#লাউ_সংগ্রহঃ

বীজ বপনের ৭০-৮০ দিন বয়স হলে লাউ সংগ্রহ করা যায়। 


#ফলনঃ

হেক্টর প্রতি ৬০ টন পর্যন্ত লাউ পাওয়া যায় জাত ভেদে।


মোঃ ফরিদুল ইসলাম 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা 

ব্লকঃ ভোটমারী, কালিগঞ্জ, লালমনিরহাট।

মাটি ছাড়া ঘাস চাষের ৩ ধরণের হাইড্রোপনিক ট্রে রয়েছে।

 মাটি ছাড়া ঘাস চাষের ৩ ধরণের হাইড্রোপনিক ট্রে রয়েছে। ১ কেজি গম বা ভুট্রা দিয়ে অনায়াসে ৮-১০ দিনের মধ্যে ১২ কেজি পরিমাণ ঘাস চাষ করতে পারেন ১.৫/২ সাইজের হাইড্রোপনিক ট্রে থেকে। ১.৫ কেজি গম বা ভুট্রা দিয়ে অনায়াসে ৮-১০ দিনের মধ্যে ১৮ কেজি ঘাস হাইড্রোপনিক ঘাস চাষ করতে পারেন ২/২ ফুট সাইজের হাইড্রোপনিক ট্রে থেকে। ২ কেজি পরিমাণ গম বা ভুট্রা দিয়ে অনায়াসে ৮-১০ দিনের মধ্যে ২২-২৪ কেজি হাইড্রোপনিক ঘাস চাষ করতে পারেন ১.৫/৩ ফুট সাইজের হাইড্রোপনিক ট্রে থেকে। ১.৫/২ ফুট সাইজের হাইড্রোপনিক ট্রের দাম ১২০ টাকা। ২/২ ফুট সাইজের হাইড্রোপনিক ট্রের দাম ১৮০ টাকা এবং ১.৫/৩ ফুট সাইজের হাইড্রোপনিক ট্রের দাম ২০০ টাকা।

অর্ডার কনফার্ম করতে আজই যোগাযোগ করুন।

শেখ জালাল 

টাংগাইল 

01721551932 what's app  


#hydroponicstray

#hydroponicsystems 

#hydroponicstore 

#হাইড্রোপনিক

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...