এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

মহেরা জমিদার বাড়ি।

 ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের নাটিয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই জমিদারবাড়ি। টাঙ্গাইলে অবস্থিত বিভিন্ন জমিদার বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হলো মহেরা জমিদার বাড়ি।


আজও চকচক করছে এ বাড়ির দেওয়াল। তখনকার কারিগরদের হাতের ছোঁয়া কি অপূর্ব ছিল তা এই জমিদার বাড়ির সৌন্দর্য ও নজরকাড়া কারুকার্য দেখলেই টের পাওয়া যায়। ১৮৯০ সালেরও আগে নির্মিত হয় এই জমিদার বাড়ি।


জানা যায়, স্পেনের করডোভা নগরের আদলে নির্মিত এই জমিদার বাড়ি। কালীচরণ সাহা ও আনন্দ সাহা নামে দুই ভাই ১ হাজার ১৭৪ শতাংশ জমির উপর এই বাড়ি নির্মাণ করেন।


জমিদার বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সুন্দর ভবনের নাম কালীচরণ লজ। ইংরেজি ইউ অক্ষরের আদলে করা ভবনটি রানিদের জন্য নির্মাণ করা হয়। তাই একে রানি ভবনও বলা হত এককালে।


জমিদার বাড়ির ভেতরে বাগান, শিশুপার্ক, বিভিন্ন আর্টিফিশিয়াল স্থাপনা আছে। এছাড়া পাখ-পাখালি, বাগান, পুকুর, বিল্ডিং সব মিলিয়ে স্বপ্নপুরীর মতো মনে হয় মহেরা জমিদার বাড়ি।


রাজকীয় এই বাড়িতে প্রবেশের আগেই চোখে পরে ‘বিশাখা সাগর’ নামের বিশাল এক দীঘির। জমিদার বাড়ির উল্টো দিকে আছে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একাডেমিক ভবন।


মূল ফটকের পরেই দেখা যায় চৌধুরী লজের। পাশাপাশি আছে আরও দুটি লজ। এর পাশেই আছে আকর্ষণীয় এক ভবন। যার নাম আনন্দ লজ। তার পাশে আছে মহারাজ লজ। ভবনগুলো দেখতে প্রায় একই রকম।


দৃষ্টিনন্দন এই জমিদার বাড়ীর রয়েছে এক কলঙ্কিত স্মৃতি। ১৯৭১ সালের ১৪ই মে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে পাকবাহিনী মহেড়া জমিদার বাড়ীতে হামলা করে এবং জমিদার বাড়ীর কূলবধূ যোগমায়া রায় চৌধুরীসহ পাঁচজন গ্রামবাসীকে চৌধুরী লজের মন্দিরের পেছনে একত্রে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। তন্মধ্যে স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক পন্ডিত বিমল কুমার সরকার, মনিন্দ্র কুমার চক্রবর্তী, অতুল চন্দ্র সাহা এবং নোয়াই বণিক ছিলেন। ইতিহাস কলঙ্কিত সেই রক্তের দাগ এখনো লেগে আছে মহেড়া জমিদার বাড়ীতে। যে দেশের জন্য, যে দেশের মানুষের জন্য মহেড়া জমিদার পরিবার নিজেদের শত প্রাচুর্য ভুলে এলাকার উন্নয়নে সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকতেন, সেই এলাকার রাজাকার আল-বদরদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় পাকিস্থানী বাহিনীর এই চরম হত্যযজ্ঞে জমিদার পরিবার শুধু হতাশ হননি, শত বছরের সাজানো জমিদার বাড়ী আর কোটি টাকার সম্পদ ফেলে চরম ঘৃণা আর ক্ষোভ নিয়ে লৌহজং নদীর নৌপথে নৌকা যোগে চলে যান বাংলাদেশ ছেড়ে। অতঃপর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বায়েজীদ সাহেবের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিবাহিনী জমিদার বাড়ীতে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করে।


১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে পরিত্যাক্ত জমিদার বাড়ীটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ মহতী কাজটি করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আব্দুল মান্নান। পুলিশের প্রশিক্ষণকে আধুনিক এবং যুগোপোযোগী করার লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয়। আর পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন হওয়ায় ট্রেনিং পরিচালনার জন্য জমিদার বাড়ীটির যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণসহ নতুন নতুন স্থাপনা তৈরী করার কারনে পুরানো স্থাপত্য কলার অপরুপ এই জমিদার বাড়ীটির সৌন্দর্য্য শুধু অক্ষত থাকেনি বরং তার কলরব  আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

কাদম্বরীদেবী মারা যাওয়ার পর স্বজনদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘তাঁকে ভালোবাসি’...

 কাদম্বরীদেবী মারা যাওয়ার পর স্বজনদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘তাঁকে ভালোবাসি’...


১৯০৮ সালের মে মাস! এক ঊনষাট বছরের পুরুষ ব্যক্তিগত ডায়েরির পাতায় আনমনে লিখে রাখছেন কিছু শব্দের কোলাজ—


‘আজ আমার জন্মদিন— ৫৯ বৎসরে পদার্পণ করলুম— মেজো বৌঠানের কাছে ধুতি-চাদর-রুমাল ও পাঞ্জাবী পেলাম— মেজদাদা একটা বই দিয়েছেন— বৈকালে কোলদের নাচ হল— পানিবাবু— নরেন ডাক্তার এসেছিলেন—’


জন্মদিনে এইটুকু পাওয়া? এইটুকু মাত্র স্বীকৃতি হয়তো প্রাপ্য ছিল না মানুষটার। ওই ডায়েরির পাতা থেকে জানা যায়, ডায়েরি লেখকের লেখা ‘কিঞ্চিৎ জলযোগ’ নাটকটিও নাকি অভিনয় করা হয়েছিল সেদিন। অনেকেই এইবার অনুমান করে নিয়েছেন, কার কথা বলছি। এই উদাসী শব্দগুলি যিনি লিখেছিলেন, তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির অত্যন্ত প্রতিভাবান এক সদস্য। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সারদা সুন্দরী দেবীর ষষ্ঠ সন্তান ছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। ১৮৪৯ সালের ৪ মে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম হয়। বহুমুখী প্রতিভা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি। রূপে, গুণে, উৎসাহে, উদ্দীপনায় সেই আমলের প্রতিভাবান তরুণ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ একদিকে নাটক লিখছেন, অন্যদিকে অনুবাদ করছেন অদ্ভুত ক্ষিপ্রতায়। ‘সরোজিনী’, ‘অলীকবাবু’— এই নাটক দুটি অত্যন্ত সাড়া ফেলেছিল তখনকার নাট্যমহলে। বাংলা নাট্যসাহিত্যে অদ্ভুতনাট্যের ধারা তিনিই নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বহুভাষাবিদ ছিলেন। গান লিখেছেন, ছবি এঁকেছেন, জমিদারি পরিচালনা করেছেন, স্বদেশি স্টিমারের প্রচলন করেছেন। ঠাকুরবাড়ির হিন্দুমেলা, স্বদেশী সভা, ভারতী পত্রিকা, তাঁতের কাপড় কল প্রতিষ্ঠা, শিকার ও বন্দুক চালনা শেখানো, সর্বজনীন পোশাকের প্রচলন— সব তাঁর উদ্যোগে সম্ভব হয়েছে। দেবেন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসভার সম্পাদকও ছিলেন তিনি। সেতার, পিয়ানো, ভায়োলিন, হারমোনিয়াম বাজাতেন অনায়াসে। বীণাবাদিনী নামে একটি সঙ্গীত বিষয়ক পত্রিকা  প্রকাশ করতেন। তাঁর আঁকা ছবি দেখে রোটেনস্টাইন মুগ্ধ হয়েছিলেন। বর্তমানে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা অনেক ছবি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে।লালন ফকিরের একমাত্র ছবিটি তাঁরই আঁকা। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নীলচাষ করে অর্থ উপার্জন করেছিলেন একসময়। খুলনা ও বরিশালের ভিতর দিয়ে স্টিমার চলার প্রয়োজনে স্টিমারের শেল কিনেছিলেন তিনি। পরে তা ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত করে জাহাজ চালু করেন— সরোজিনী নামে। তারপর ফ্লোটিলা নামের ব্রিটিশ কোম্পানির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ভাগ্যের পরিহাসে এই জাহাজের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিভাবান  এই যুবক নিজের অজান্তে আরো একটি কাজ করে গিয়েছেন। একটি কিশোর ছেলেকে নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে মুগ্ধ ও আবিষ্ট করে গিয়েছেন। সেই কিশোর ছেলেটি একদিন বিশ্বকবি হবেন। জগৎ জোড়া তাঁর নাম! সেদিনের কিশোর রবি তথা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের শেষে পৌঁছেও জ্যোতিদাদার কথা বলবেন বারবার। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বালককেও শ্রদ্ধা করতে জানতেন। তাই রবীন্দ্রনাথের প্রতিভা বিকশিত হয়েছিল নিজের মতো করে। একটা সময় জ্যোতিরিন্দ্রনাথই ছিলেন রবীন্দ্রনাথের পরম নির্ভরতার জায়গা। একথা কোনোদিন অস্বীকার করেননি রবীন্দ্রনাথ।


জ্যোতিরিন্দ্রনাথের স্ত্রী কাদম্বরী ছিলেন ঠাকুরবাড়ির কর্মচারী শ্যামলালের মেয়ে। সত্যেন্দ্রনাথ ও জ্ঞানদানন্দিনীর তখন অনেক আশা জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে নিয়ে। কর্মচারীর মেয়ে  কাদম্বরীকে কোনোদিনই সুনজরে দেখতে পারেননি তাঁরা। নিজেদের অসন্তোষও তাঁরা যথেষ্ট প্রকাশ করেছিলেন। অথচ এই কাদম্বরীকে কেন্দ্র করেই জোড়াসাঁকোর তেতলার ছাদে জন্ম নিল ‘নন্দন কানন’! একসময় জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রেরণায় কাদম্বরী ঘোড়ায় চড়ে তাঁর সঙ্গে গড়ের মাঠে হাওয়া খেতে যেতেন। কাদম্বরীকে পেয়ে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের মন আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিল সেই সময়। ঘরোয়া পরিবেশে শুরু হল সাহিত্যচর্চা। কখনও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সস্ত্রীক চলে যেতেন চন্দননগরের গঙ্গাতীরে, মোরান সাহেবের বাগান বাড়িতে। রবীন্দ্রনাথ থাকতেন তাঁর প্রিয় দুটি মানুষের সঙ্গে। খোলা আকাশ, তিনটি উদার শিল্পী মন, তরুণ বয়স, অপার মুগ্ধতা —জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবন তখন কানায় কানায় পরিপূর্ণ। ‘জীবনস্মৃতি’তে স্মৃতিচারণা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ এই পূর্ণ বিকশিত পদ্মফুলের মতো মুহূর্তগুলির। ঠিক যেন ল রূপকথা! কিন্তু, জীবন বড়ো নিষ্ঠুর। তাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনটা রূপকথা হতে গিয়েও হল না। কাদম্বরীর একাকিত্ব, জ্যোতিরিন্দ্রনাথের উদাসীনতা, ভাগ্য বিপর্যয়, সন্তানহীনতা, জীবনের ব্যস্ততা— একে একে দুর্ভাগ্যের দূত হয়ে এল জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনে।


জ্যোতিরিন্দ্রনাথের মতো অমন নাট্যকার যেন গিরিশ ঘোষকে নিজের আসন ছেড়ে দিলেন। এই প্রসঙ্গে অমৃতলাল বসুকে বলেছিলেন, ‘নাট্যজগতে গিরিশচন্দ্র প্রবেশ করিয়াছেন, আমার নাটক রচনার আর প্রয়োজন নাই।’ ব্যবসায় ভরাডুবি আর স্ত্রীর আত্মহত্যা জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল। কাদম্বরী যখন মারা যান, জ্যোতিরিন্দ্রনাথের বয়স তখন পঁয়ত্রিশ। অথচ সারাজীবন অন্য কোনো নারী আসেনি তাঁর জীবনে। স্বজনদের প্রশ্নের উত্তরে শুধু বলেছিলেন, ‘তাঁকে ভালোবাসি।’ শুধুই অনুশোচনা? নাকি পথ ভুলে যাওয়া ভালোবাসার স্বীকৃতি? একরকম স্বেচ্ছা নির্বাসনই নিয়েছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। কাজ পাগল জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনের শেষ সময়টা কাটে রাঁচিতে, মোরাদাবাদ পাহাড়ে, শান্তিধামে। বিলাসী এই মানুষটির গৃহসজ্জা বলতে ছিল একটিমাত্র ছবি— নিজের হাতে আঁকা কাদম্বরী দেবীর পেনসিল স্কেচ। এই নির্বান্ধব পুরীতে জীবনের প্রিয় মানুষের ছবি বলে দেয় অনেক না বলা কথা। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের বেদনার ইতিহাস বড়ো কম নয়! প্রিয় রবীন্দ্রনাথের চোখে তিনি ছিলেন আদর্শস্থানীয়। অথচ কাদম্বরীর মৃত্যু রবীন্দ্রনাথের মনে এই আদর্শের উচ্চতা থেকে তাঁকে যে নামিয়ে দিয়েছিল— একথা বুঝতেন তিনি। এই বেদনা বুকে নিয়েই তাঁর স্বেচ্ছা নির্বাসন। কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী কাদম্বরীর মৃত্যুর পর ‘সাধের আসন’ কাব্যে জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে রীতিমত আক্রমণ করেছিলেন কবিতার ভাষায়। রবীন্দ্রনাথও কি দায়ী করেননি তাঁকে? আর তিনি নিজে? হয়তো জীবনের এই পরিহাস তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল। জীবন তাঁকে যা যা দিয়েছে, সব কেড়ে নিয়েছে এক এক করে। সত্যেন্দ্রনাথ, জ্ঞানদানন্দিনীর পরিবারের অংশ হয়ে, নিজের হঠাৎ থেমে যাওয়া জীবনের গতি ছাড়াও নিজের  প্রকাশহীন শিল্পচর্চার গল্পই জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনের ট্র্যাজেডি।


১৯০৮ সালে লেখা জোতিরিন্দ্রনাথের ডায়েরি, বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনী থেকে তাঁর জীবনের ঘটনা জানা যায়। কিন্তু তাঁর ব্যথার কাহিনি কেউ লেখেনি। সত্যেন্দ্রনাথের পৌত্র সুবীরেন্দ্রনাথের প্রতি জীবনের শেষবেলাকার সবটুকু স্নেহ উজাড় করে দিয়েছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। হয়তো ঠাকুরবাড়ির এই বালকটিকে ফেলে আসা জীবনের অপূর্ণ ভালোবাসা দিয়ে স্বস্তি পেতে চেয়েছিলেন তিনি। ঠাকুরবাড়ির এই প্রতিভা পূর্ণ সিদ্ধি পেল না এক জীবনে। এক সময়ের উজ্জ্বল বহ্নিশিখার দীপ নিভে যাওয়ার গল্পটি সত্যি বড়ো বেদনার। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ যেন এক অভিশপ্ত গন্ধর্ব। ১৯২৫ সালের ৪ মার্চ তাঁর শাপমুক্তি ঘটেছিল। 


সহায়ক গ্রন্থ :-


১. ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, চিত্রা দেব।

২. ঠাকুরবাড়ির বাহিরমহল, চিত্রা দেব।

৩. কবিমানসী, প্রথম খণ্ড, জগদীশ ভট্টাচার্য।

৪. রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ, পূর্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায়।


(লেখা:- মহুয়া দাশগুপ্ত)

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

গাছ লাগাবেন না বাঁশ লাগাবেন!

 গাছ লাগাবেন না বাঁশ লাগাবেন!

ফেসবুকে গাছ লাগানোর পোস্টের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, আর তাই এই জোয়ারে আসন্ন বর্ষায় বিভিন্ন গাছের সাথে একটা বাঁশ বাগান বা বাশঁঝাড় করলে কেমন হয়?

আগে অবশ্য প্রতিটি বাড়ির সাথেই একটা পুকুর থাকতো সেই পুকুরের একপাশে বসতবাড়ি অন্য পাশে বাশঁঝাড় কিন্তু এখন সারা গ্রাম খুঁজেও একটা বাঁশঝাড়  পাওয়া যায় না।


আসুন বাঁশ সম্পর্কে কিছু দরকারী তথ্য জেনে নেইঃ


 ১. দ্রুত বৃদ্ধি: বাঁশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ।  এটি 24 ঘন্টায় 47.6 ইঞ্চি বৃদ্ধিতে রেকর্ড করা হয়েছে। কিছু প্রজাতি অনুকূল পরিস্থিতিতে প্রতিদিন এক মিটারেরও বেশি বৃদ্ধি হতেপারে। একটি নতুন বাঁশের অঙ্কুর এক বছরেরও কম সময়ে তার পূর্ণ উচ্চতায় পৌঁছে।


 ২. অক্সিজেন রিলিজ: বাঁশের একটি গ্রোভ অন্য যে কোনো গাছের তুলনায় 35% বেশি অক্সিজেন নির্গত করে।


 ৩. কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ: বাঁশ প্রতি বছর হেক্টর প্রতি 17 টন হারে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে।  এটি একটি মূল্যবান কার্বন সিঙ্ক হিসাবে কাজ করতে পারে।


 ৪. সারের প্রয়োজন নেই: বাঁশের বৃদ্ধির জন্য সারের প্রয়োজন হয় না।  এটি তার পাতা ফেলে দিয়ে স্ব-মালচিং করতে পারে এবং বৃদ্ধির জন্য পুষ্টি ব্যবহার করতে পারে।


৫.  প্রাকৃতিক এয়ার কন্ডিশনার: গ্রীষ্মে বাঁশ তার চারপাশের বাতাসকে 8 ডিগ্রি পর্যন্ত ঠান্ডা করে।


 ৬. খরা প্রতিরোধ: বাঁশ খরা-সহনশীল উদ্ভিদ।  তারা মরুভূমিতে বেড়ে উঠতে পারে।


 ৭. কাঠ প্রতিস্থাপন: বেশিরভাগ নরম কাঠের গাছের 20-30 বছরের তুলনায় বাঁশ 2-3 বছরে কাটা যায়।


 ৮. নির্মাণ সামগ্রী: বাঁশ অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী এবং বলিষ্ঠ। এটি কংক্রিটের ভারা, সেতু এবং ঘরবাড়ির কাঠামো  হিসাবে ব্যবহৃত হয়।


 ৯. মাটির স্থিতিশীলতা: বাঁশের ভূগর্ভস্থ শিকড় এবং রাইজোমের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে যা মাটির ক্ষয় রোধ করে।


 ১০. আক্রমণাত্মকতা: কিছু প্রজাতির বাঁশ তাদের বিস্তৃত রুট সিস্টেমের কারণে আক্রমণাত্মক হতে পারে, যা তাদের দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেয়। ফলে অন্যান্য উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়।


যাই হোক পৃথিবীতে সুদিন আসবেই...!


আর আমরা অন্যের বাগানের বাশঁ না দিয়ে, নিজের বাগানটাই দেই না কেন....!

ভাল লাগার ১০০ টি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র

 [ভাল লাগার ১০০ টি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ]

 ( রিলিজড ইয়ার / ডিরেক্টর / রেটিং পার্সোনাল ) 

♥শেয়ার করে টাইম লাইনে রেখে দিতে পারেন♥

 

১. বৃহন্নলা (২০১৪, মুরাদ পারভেজ, ৮/১০)

২. সুতপার ঠিকানা (২০১৫, প্রসূন রহমান ৮/১০) 

৩. বাপজানের বায়োস্কোপ (২০১৫, রিয়াজুল রিজু, ৮/১০) 

৪. অজ্ঞাতনামা (২০১৬, তৌকির আহমেদ, ৯/১০) 

৫. নয় নম্বর বিপদ সংকেত (২০০৭, হুমায়ুন আহমেদ, ৮/১০) 


৬. ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২, হুমায়ুন আহমেদ ৭/১০)  

৭. দর্পন বিসর্জন, (২০১৬, সুমন ধর ৭/১০) 

৮. মৃত্তিকা মায়া (২০১৩, গাজী রাকায়েত ৮/১০)

৯. ব্যাচেলর (২০০৪, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ৮/১০) 

১০. পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৯৩, গৌতম ঘোষ, বাংলা-ভারত উভয়ে মুক্তিপ্রাপ্ত, ৮/১০) 


১১. থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার (২০০৯, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী, ৮/১০)

১২. টেলিভিশন (২০১৪, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী, ৯/১০)

১৩. মেইড ইন বাংলাদেশ (২০০৭, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী, ৮/১০)

১৪. নেকাব্বরের মহাপ্রয়ান (২০১৪, মাসুদ পথিক, ৭/১০) 

১৫. রানওয়ে (২০১০, তারেক মাসুদ, ৮/১০)


১৬. মাটির ময়না (২০০২, তারেক মাসুদ, ৮/১০) 

১৭. আমার বন্ধু রাশেদ (২০১১, মোরশেদুল ইসলাম, ৯/১০)

১৮. দুই দুয়ারি (২০০০, হুমায়ুন আহমেদ ৭/১০) 

১৯. শ্রাবণ মেঘের দিনে (১৯৯৯, হুমায়ুন আহমেদ ৮/১০) 

২০. জালালের গল্প (২০১৫, আবু শাহেদ ইমন, ৮/১০) 


২১. মনের মানুষ (২০১০, গৌতম ঘোষ, বাংলা-ভারত যৌথ প্রযোজনা, ৮/১০) 

২২. চোরাবালি  (২০১২, রেদোয়ান রনি, ৭/১০) 

২৩. কমলা রকেট (২০১৮, নূর ইমরান মিঠু ৮/১০) 

২৪. ফাগুন হাওয়ায় (২০১৯, তৌকির আহমেদ, ৯/১০) 

২৫. স্বপ্নজাল (২০১৮, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, ৮/১০) 


২৬. গহীন বালুচর (২০১৮, বদরুল আলম সৌদ, ৮/১০) 

২৭. মনপুরা (২০০৯, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, ৯/১০)

২৮. আয়নাবাজি (২০১৬, অমিতাভ রেজা ৮/১০) 

২৯. কাল সকালে (২০০৫,আমজাদ হোসেন ৮/১০)

৩০. অনিল বাগচির একদিন (২০১৫, মোরশেদুল ইসলাম, ৮/১০) 


৩১. আমার আছে জল (২০০৮, হুমায়ুন আহমেদ, ৮/১০) 

৩২. মেঘমল্লার (২০১৫, জাহিদুর রহমান অঞ্জন ৮/১০) 

৩৩. হাজার বছর ধরে ( ২০০৫, সূচন্দা, ৮/১০) 

৩৪. জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০, জহির রায়হান,  ৯/১০)

৩৫. ডুব (২০১৭, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী, ৭/১০) 


৩৬. আলফা (২০১৯, নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, ৮/১০) 

৩৭. পিপড়াবিদ্যা (২০১৩, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী, ৭/১০) 

৩৮. শঙ্খচিল (২০১৬, গৌতম ঘোষ, বাংলা-ভারত যৌথ প্রযোজনা, ৮/১০) 

৩৯. দীপু নাম্বার টু (১৯৯৬, মোরশেদুল ইসলাম , ৮/১০)

৪০. জিরো ডিগ্রী (২০১৫, অনিমেষ আইচ, ৮/১০) 


৪১. গেরিলা (২০১১, নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, ৮/১০) 

৪২. শ্যামল ছায়া (২০০৫, হুমায়ুন আহমেদ, ৮/১০) 

৪৩. হালদা (২০১৭, তৌকির আহমেদ, ৮/১০) 

৪৪. ভুবন মাঝি (২০১৭, ফখরুল আরেফিন খান, ৮/১০) 

৪৫. জয়যাত্রা (২০০৪, তৌকির আহমেদ, ৮/১০) 


৪৬. আগুনের পরশমণি (১৯৯৪, হুমায়ুন আহমেদ, ৮/১০) 

৪৭. ভয়ংকর সুন্দর (২০১৭, অনিমেষ আইচ, ৭/১০) 

৪৮. ওরা এগারোজন (১৯৭২, চাষী নজরুল ইসলাম, ৮/১০) 

৪৯. দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭, তৌকির আহমেদ, ৮/১০) 

৫০. নন্দিত নরকে (৯/১০)

৫১. গুনীন (২০২২, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, ৮/১০) 

৫২. কাঠবিড়ালি, (২০১৯, নিয়ামুল হাসান মুক্তা, ৮/১০) 

৫৩.মোল্লা বাড়ির বউ (২০০৫ সালাউদ্দিন লাভলু,৯/১০)

৫৪. ন ডরাই (২০১৯, তানিম রহমান অংশু, ৮/১০) 

৫৫. দেবী (২০১৮, আনাম বিশ্বাস, ৭/১০) 


৫৬. সূর্য দীঘল বাড়ি (১০/১০)

৫৭. মুখ ও মুখোশ (৯/১০)

৫৮. মুখোশ (২০২২, ইফতেখার শুভ, ৭/১০) 

৫৯. মেঘলা আকাশ (নার্গিস আখতার,৮/১০)

৬০. হাওয়া (২০২২, মেজবাউর রহমান সুমন, ৮/১০) 


৬১. বিউটি সার্কাস, (২০২২, মাহমুদ দিদার, সাব্বির সোহাগ, ৮/১০)

৬২. দামাল (২০২২, রায়হান রাফি, ৮/১০) 

৬৩. রাত জাগা ফুল (২০২১, মীর সাব্বির, ৮/১০) 

৬৪. শঙ্খনীল কারাগার (১০/১০)

৬৫.খাইরুন সুন্দরী (২০০৪, এ কে সোহেল ৮/১০)


৬৬. পরাণ (২০২২, রায়হান রাফি, ৮/১০) 

৬৭. দ্যা ডিরেক্টর (২০১৯, কামারুজ্জামান কামু, ইউটিউবভিত্তিক, ৭/১০) 

৬৮. রূপকথার গল্প (২০০৬, তৌকির আহমেদ, ৮/১০) 

৬৯. চার সতীনের ঘর (২০০৫,নার্গিস আখতার,৮/১০)

৭০. হলুদবনি, (২০২০, তাহের শিপন, মুকুল রায় চৌধুরী, ৮/১০) 


৭১. নিরন্তর (২০০৬,আবু সাইয়ীদ,৯/১০)

৭২. মেঘমল্লার (২০১৪, জাহিদুর রহমান অঞ্জন, ৭/১০)

৭৩. ইতি তোমারি ঢাকা (২০১৮, ভিন্ন ভিন্ন শর্ট ফিল্মের সমন্বয়ে যৌথ পরিচালনা, ৮/১০) 

৭৪. পোড়ামন ২ ( ২০১৮, রায়হান রাফি, ৭/১০)

৭৫. উনপঞ্চাশ বাতাশ (২০২০, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, ৭/১০)

৭৬.তিতাস একটি নদীর নাম (১০/১০)

৭৭.হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (৯/১০)

৭৮.কীর্তন খোলা (৯/১০)

৭৯.চাপাঁ ডাঙ্গার বউ (৯/১০)

৮০.গোলাপি এখন ট্রেনে (১০/১০)

৮১.ভাত দে (১০/১০)

৮২.মরনের পরে (৯/১০)

৮৩.অশনি সংকেত (৯/১০)

৮৪.গঙ্গাযাত্রা (৮/১০)

৮৫.শাস্তি (৯/১০)

৮৬.আনন্দ অশ্রু (৯/১০)

৮৭.মাতৃত্ব (৯/১০)

৮৮.দুই নয়নের আলো (৮/১০)

৮৯.গোলাপি এখন ঢাকায় (৮/১০)

৯০.আম্মাজান (৯/১০)

৯১.সারেং বউ (৯/১০)

৯২.নগর কীর্তন (৯/১০)

৯৩.ঘুড্ডি (৯/১০)

৯৪.উত্তরের সুর  (৯/১০)

৯৫.দুই পয়সার আলতা (৯/১০)

৯৬.চিত্রা নদীর পারে (৯/১০)

৯৭.লালসালু (১০/১০)

৯৮.পোকা মাকড়ের ঘর বসতি (৮/১০)

৯৯.ছুটির ঘন্টা (৯/১০)

১০০.পালাবি কোথায় (১০/১০)


[ কমেন্ট থেকে কিছু :মাটির প্রজার দেশে, দূরত্ব,ঢাকা এটাক,বাঙলা,এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী,জন্ম থেকে জ্বলছি,ডুমুরের ফুল,বসুন্ধরা,অন্য জীবন,আয়না,স্বপ্নডানায়,দুখাই,লালসালু, লালসবুজ, মেঘের কোলে রোদ,টান, বিদ্রোহী পদ্মা, দরিয়া পাড়ের দৌলতি, রক্তাক্ত বাংলা, টাকা আনা পাই, এক মুঠো ভাত, মনের মতো বউ, ভেজা চোখ, ঝিনুক মালা, অশিক্ষিত, মাটির ময়না, মৌচোর, সাহেব, ওরা ১১জন,

নন্দিত নরকে,,মৃধা বনাম মৃধা, কালের পুতুল,স্বপ্নডানায়,আহা,কালো মেঘের ভেলা,ছোঁয়ে দিলে মন,সুরঙ্গ, প্রিয়তমা,সূর্যকন্যা , সীমানা পেরিয়ে,ধীরে বহে মেঘনা,মুজিব একটি জাতীর রুপকার,মেঘের অনেক রং ,এপার ওপার,সুপ্রভাত, মা,বাবা কেন চাকর]


ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমার প্রার্থী 🙏

আসুন জেনে নিই নদীয়া জেলার সকল হারিয়ে যাওয়া নদীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

 নদী দিয়ে ঘেরা নয়টি দ্বীপ থেকে নবদ্বীপ বা নওদিয়াহ; আর তার থেকে নদীয়া। প্রাচীন নদীয়ায় কতগুলি নদী থাকলে নয়টি দ্বীপ সৃষ্টি হতে পারে, কখনও ভেবে দেখেছেন? আসুন জেনে নিই নদীয়া জেলার সকল হারিয়ে যাওয়া নদীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।


নদীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নদীয়া জেলার মানুষের জীবন। জেলার আয়তনের তুলনায় এখানে যত সংখ্যক নদী, খাল, বিল, জলাভূমি দেখা যায়, নিম্নবঙ্গের আর কোনও জেলায় তেমনটা দেখা যায় না। ভাগীরথী, জলঙ্গী এবং চূর্ণী এই তিনটি বড় নদী প্রধানতঃ নদীয়ার নদী নামে খ্যাত। জেলার একদিকে ভাগীরথী নদী, ঠিক মাঝামাঝি বয়ে গেছে জলঙ্গী নদী, আর জেলার প্রান্ত দিয়ে মাথাভাঙা, ইছামতী আর চূর্ণী। ব্রিটিশ আমলে সাহেবরা নদীগুলিকে একসাথে বলতেন ‘নদীয়া রিভার্স’। তবে এগুলি ছাড়াও নদীয়া জেলায় ছিল আরও অসংখ্য ছোট ছোট নদী। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ভৈরব, পাগলাচন্ডী, কুমার, ভৈরববাঁকী, ছোট গঙ্গা, হাউলিয়া, কলিঙ্গ, চকাই, ছোট চকাই, বুড়ি গঙ্গা, খড়ে, অলকানন্দা, অঞ্জনা, গড়াই, ইন্দুমতী, বাচকো, ছোট জলঙ্গী, গুড়গুড়ি, বেহুলা, সুরধনী, হরিনদী, যমুনা, মরালী, গোমতী, সুবর্ণমতী ইত্যাদি। উক্ত ছোট নদীগুলির অধিকাংশই ছিল প্রধান তিনটি বড় নদীর উপনদী অথবা শাখানদী। বর্তমান সময়ে এই সকল নদীগুলি স্রোতহীন বা মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছে অথবা সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়ে নদীখাতে পরিণত হয়েছে। এতদ্ব্যতীত নদীয়া জেলায় রয়েছে অসংখ্য খাল ও বিল, যেগুলি অতীতে ভাগীরথী, জলঙ্গী ও মাথাভাঙ্গা নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টি হয়েছিল।


নদীয়াবাসীর সঙ্গে নদীগুলির সম্পর্ক ছিল খুবই ঘনিষ্ঠ। রেলপথ প্রতিষ্ঠার পূর্ব্বে এই সকল নদীই ছিল দেশ-দেশান্তরে যাবার একমাত্র পথ এবং বাণিজ্য পরিচালনার একমাত্র উপায়। প্রশস্ত নদীপথে সুবিশাল নৌকা, জাহাজ ইত্যাদি জলযান অবাধে চলাচল করত। ইংরেজ আমলেও বড় বড় বাণিজ্যিক তরী মালদা, মুর্শিদাবাদ থেকে সূক্ষ্ম রেশমী বস্ত্র, চিনি, চাল এবং শান্তিপুর থেকে বস্ত্র, সুতো, আর সারা নদীয়া জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য নীলকুঠী থেকে নীল সংগ্রহ করে এই সমস্ত নদীগুলি দিয়ে চলাচল করত। সেই সময় নদীয়ার বহু স্থানে নৌকার আড্ডা বা গঞ্জ গড়ে উঠেছিল (নদীপথের গঞ্জগুলিকে আমরা আজকের দিনের রেলপথের জংশন স্টেশনের সঙ্গে তুলনা করতে পারি, দুটির কার্যকারিতা অনেকটা একইরকম)। এরমধ্যে কৃষ্ণগঞ্জ, কালীগঞ্জ, সুখসাগর, নবদ্বীপ, স্বরূপগঞ্জ, গোয়াড়ী, হাঁসখালী, রানাঘাট নোকারি বা নৌকাড়ি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।


জীবনের সঙ্গে নদীর জুড়ে থাকার একটি উদাহরণ ছিল নদীয়া জেলা। যুগে যুগে নদীয়ার নদীগুলি নদীয়াকে নতুন করে গড়েছে আর ভেঙেছে। নদীতীরে গড়ে উঠেছে কত বর্ধিষ্ণু শহর, গ্রাম, বন্দর, জনপদ, মন্দির, সমাজ ও কৃষ্টি; আবার কালের আবর্তে এই সবই লুপ্ত হয়ে গিয়েছে নদীর জলে, নদীর চরে, জঙ্গলে আর মাটির তলায়। ব্রিটিশ আমলে সাহেবদের আঁকা বাংলাদেশের নদীর প্রবাহপথের অনেক পুরানো মানচিত্রের সঙ্গে এখনকার প্রবাহপথের তুলনা করলে স্পষ্টই বোঝা যায় কী নিদারুণ পরিবর্তন ঘটেছে এই অল্প সময়ে। বর্তমানে নদীগুলির অধিকাংশই বদ্ধসলিলা, কোথাও ক্ষীণ কলেবরে বইছে আবার কোথাও বা সম্পূর্ণ শুষ্ক নদীখাতে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে নদীয়ার নদীরা। দুঃখজনক তবুও এটিই সত্যি যে, নদীর মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করা ছাড়া মনুষ্য জাতি নদীর জন্য কোনও সদর্থক ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।


তথ্যসূত্র:

কান্তিচন্দ্র রাঢ়ী - শ্রীশ্রী নবদ্বীপ-তত্ত্ব

অশোক কুমার বসু - পশ্চিমবঙ্গের নদনদী

Van Den Brouck - Golf De Bengale

                                                          (সংগৃহীত পোস্ট)

ফসলের বৃদ্ধি, রোগবালাই দমনে খুবই কার্যকর ও জনপ্রিয় কিছু উপকরণঃ 

 ফসলের বৃদ্ধি, রোগবালাই দমনে খুবই কার্যকর ও জনপ্রিয় কিছু উপকরণঃ 

১) সাফ ছত্রাকনাশক-ম্যানকোজেব ৬৩%+কার্বন্ডাজিম ১২% ডব্লিউপি-১০০ গ্রাম

২) কাকা- কীটপতঙ্গ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে, উদ্ভিদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে-৫০ মিলি

৩) সুপার সোনাটা- অত্যন্ত কার্যকরী প্রাকৃতিক অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিনের সংমিশ্রণ-৫০ মিলি

৪) মোবোমিন-সবজি ও ফলের বাম্পার ফলনের নিউট্রিশন সাপোর্ট-১০০ গ্রাম


সারাদেশে কুরিয়ারে আমাদের পণ্য পাঠানো হয়। অগ্রিম মূ্ল্য পরিশোধ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে। কন্ডিশনে নিতে হলে অর্ধেক মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র নাম্বার 01779529512(কল, হোয়াটসএপ, ইমো)


কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউল হুদা

মানিকগঞ্জ, ঢাকা

ফেসবুক পেজ: Advanced Agriculture

ইউটিউব: KBD ENGR ZIAUL HUDA

মোবাইল: 01779529512

Email: advancedagriculturebd@gmail.com


Advanced Agriculture এর পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনার মাঠকৃষি ও ছাদকৃষির জন্য আমাদের কৃষি পণ্যসমূহঃ

১) সীডলিং ট্রে - (১২০ গ্রাম-৭২/১০৫/১২৮ সেল)

২) ট্রান্সপ্লান্টিং/জার্মিনেটিং/হাইড্রোপনিক ট্রে – ৫৮ সেঃমিঃ * ২৮ সেঃমি * ৩ সেঃমি, ৪৭৫ গ্রাম

৩) মালচিং ফিল্ম- ২৫ মাইক্রন, ৪ ফুট প্রশস্থ-৫০০মিঃ, ৩ ফুট প্রশস্থ-৬০০ মিটার

৪) কোকোপিট ব্লক-৪.৫ কেজি

৫) লুস কোকোপিট

৬) কোকো গ্রোয়িং স্টিক ২৪/৩২/৩৮ ইঞ্চি 

৭) কোকো ওয়াল হ্যাঙ্গিং বাস্কেট 

৮) হাড়ের গুড়া/শিংকুচি

৯) ভার্মিকম্পোস্ট 

১০) মাচার জাল (৮ হাত*৫৫ হাত-১২ ইঞ্চি গ্যাপ)

১১) কাটিং এইড রুট হরমোন- শিকড় গজানোর জাদুকরী হরমোন

১২) হিউমিনল গোল্ড অরগানিক পিজিআর (PGR)

১৩) লিবিনল- বৃদ্ধিকারক জৈব নিয়ন্ত্রক

১৪) ফ্ল্যাশ (Flash)-উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অনুখাদ্য সমাহার

১৫) মাইটেন্ড ইমপ্রোভ- মাকড়নাশক

১৬) ট্রাপ- সাদামাছি, থ্রিপস ও শোষক পোকা দমনের জন্য 

১৭) প্রহরী প্লাস- বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী লেদাপোকা দমনকারী

১৮) শিল্ড- বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী লেদাপোকা দমনকারী

১৯) ট্রিগার২-স্প্রে কনসেন্ট্রেটর

২০) নিউবুন (ফ্রুট স্পেশাল)-ফল গাছের জন্য বিশেষ নিউট্রিশন সাপোর্ট

২১) বুস্টার১-লাউ জাতীয় ফসলের স্ত্রী ফুল বৃদ্ধি করে ফলন বাড়ায়

২২) বুস্টার২-বেগুন, মরিচ, টমেটো সহ ফল গাছে অধিক পরিমানে ফুল আনে

২৩) বুস্টার৩-শসা ও তরমুজে স্ত্রী ফুল বৃদ্ধি করে ফলন বাড়ায়

২৪) বুস্টার৪-পটল ও কাকরোলের পরাগায়নে সহায়তা করে

২৫) বাম্পার-ফুল ও ফল ঝরে পড়া প্রতিরোধ করে

২৬) প্যানথার টিভি-ফসলের ছত্রাকজনিত পচন প্রতিরোধ করে

২৭) প্যানথার পিএফ- ফসলের ব্যাকড়েরিয়াল উইল্টিংজনিত ঢলে পড়া প্রতিরোধ করে

২৮) সুধা জার্মিনেইড- বীজ সতেজীকরণ ও শোধনের জৈব সমাধান

২৯) থান্ডারস- ব্লাস্ট ও অন্যান্য ছত্রাকঘটিত রোগ দমনে কার্যকরী জৈব সমাধান 

৩০) সাফ ছত্রাকনাশক

৩১) ওয়েস্ট ডিকম্পোজার 

৩২) কাকা- কীটপতঙ্গ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে, উদ্ভিদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করর

৩৩) সুপার সোনাটা- অত্যন্ত কার্যকরী প্রাকৃতিক অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিনের সংমিশ্রণ

৩৪) মোবোমিন-সবজি ও ফলের বাম্পার ফলনের নিউট্রিশন সাপোর্ট

৩৫) কেমাইট-জৈব মাকড়নাশক

৩৬) বায়োক্লিন- সবজি ও ফলের ছাতরা পোকা বা মিলিবাগ ও সাদামাছি পোকা দমন করে

৩৭) বায়োট্রিন-থ্রিপস, জাব পোকা, পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা, ধানের কারেন্ট পোকা দমন করে

৩৮) বায়োশিল্ড-জৈব ছত্রাকনাশক

৩৯) বায়ো-চমক-ধানের মাজরা পোকা ও বাদামী গাছ ফড়িং, বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনে কার্যকরী

৪০) বায়ো-এনভির - মোজাইক ভাইরাস, ইয়েলো ভেইন মোজাইক ভাইরাস, লিফ কার্ল ভাইরাস, পিভিওয়াই ভাইরাস দমনে কার্যকরী

৪১) বায়ো-এলিন-জৈব ব্যাকটেরিয়ানাশক

৪২) বায়ো-ভাইরন-জৈব ভাইরাসনাশক

৪৩) বায়োবিটিকে- ছিদ্রকারী পোকা দমনের কীটনাশক

৪৪) বায়োডার্মা পাউডার/সলিড (ট্রাইকোডার্মা হারজিয়ানাম)

৪৫) কিউ-ফেরো/বিএসএফবি/স্পোডো-লিউর ফেরোমন টোপ

৪৬) বলবান-পিজিআর

৪৭) চিলেটেড জিংক

৪৮) সলবোর বোরন

৪৯) হলুদ/নীল/সাদা স্টিকি ট্র্যাপ

৫০) ম্যাঙ্গো/ব্যানানা ফ্রুট ব্যাগ

৫১) সবজি, তরমুজ ও পেঁপেঁর হাইব্রিড বীজ


সারাদেশে কুরিয়ারে আমাদের পণ্য পাঠানো হয়। অগ্রিম মূ্ল্য পরিশোধ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে। কন্ডিশনে নিতে হলে অর্ধেক মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র নাম্বার 01779529512(কল, হোয়াটসএপ, ইমো)


কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউল হুদা

মানিকগঞ্জ, ঢাকা

ফেসবুক পেজ: Advanced Agriculture

ইউটিউব: KBD ENGR ZIAUL HUDA

মোবাইল: 01779529512

Email: advancedagriculturebd@gmail.com

এই মানুষটাকে চিনেন? পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম স্থানের নাম হলো মাউন্ট এভারেস্ট এবং সবচেয়ে গভীরতম স্থান হলো প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা ট্রেন্স

 এই মানুষটাকে চিনেন?


পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম স্থানের নাম হলো মাউন্ট এভারেস্ট এবং সবচেয়ে গভীরতম স্থান হলো প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা ট্রেন্স


। দুইটা যায়গায় যাওয়া প্রথম মানুষ তিনি... !


তিনি ভিক্টর ভাসকেভো... যার পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত এডভেঞ্চারের নেশা।


এক্স মার্কিন নেভিয়ান ভিক্টর পৃথিবীর মহাসমুদ্রের সবচেয়ে গভীরতম ৫ স্থানে অভিযান করেছেন ,যেখানে সলো অভিযান ছিলো দুইটি।


পৃথিবীর ৭ মহাদেশের ৭টি সর্বোচ্চ চুড়ায় পা রেখেছেন তিনি! এমনকি লাস্ট ইয়ারে তিনি মহাকাশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন!


শুধু তাই নয়, উত্তর মেরু আর দক্ষিন মেরুর শেষ বিন্দুতে স্কি করে এসেছেন তিনি।


এই মানুষটা তার জীবদ্দশায় এমন এমন অভিযান করেছেন যে রিস্ক ফেক্টর বিবেচনা করলে বেচে থাকাটা মহা বিস্ময়! কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে!


টাইটানিক সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন ৩২ বার ডুবন্ত টাইটানিক দেখতে বার বার অতল সমুদ্রে অভিযান করেছেন! টাইটানিক তো মাত্র ১২০০০ ফুট নিচে , তিনি প্রথম একা মানুষ হিসেবে পৃথিবীর গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেন্সের গভীরে সফল অভিযান করেছিলেন! সমুদ্রের ৩৫০০০ হাজার ফুটে নিচে ছোট্ট একটা সামবেরিন নিয়ে ল্যান্ড করিয়েছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম যায়গায়।


যেখানে পানির চাপ ছিলো প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ১৬০০০ পাউন্ডের বেশি! দুর্ঘটনা ঘটলে পানির প্রেসারে চেপ্টা হয়ে মৃত্যু বরন করতে হতো। তবুও এডভেঞ্চার নামক নেশাটা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সফল ভাবে বেচে ফিরেছিলেন তিনি....


মানুষের এই অদম্য এডভেঞ্চারাস একটিভিটি পৃথিবীর মানচিত্র পাল্টে দিয়েছিলো একসময়। অনেক কিছুই আমরা উপভোগ করছি যা মানুষের মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে অর্জন করতে হয়েছে।


মৃত্যু বরন করা টাইটানের ৫ অভিযাত্রীর জন্য শ্রদ্ধা... ভালোবাসা।


এডভেঞ্চার বেচে থাকুক মানুষের রক্ত কনিকায়....

সংগৃহীত 

ছোটগল্প  সন্দেহ ফেইসবুক থেকে নেওয়া  

 ছোটগল্প 

সন্দেহ 


ঢালু পথটা এঁকেবেঁকে শেষ হয়ে যে ঝোপঝাড় ঘেরা বাঁশবনে গিয়ে মিশেছে তার একেবারে শেষ মাথাতেই কুতুব আলীর একহারা মাটির ঘর। এদিকটাতে লোক সমাগম বিশেষ একটা নেই। বাঁশ বাগানটার খারাপ একটা গল্প আছে। এখানে নাকি দুষ্ট জীনের আনাগোনা আছে। লোকে এই পথ তাই বেশি একটা মাড়ায় না। নেহায়েত প্রয়োজন না পড়লে রাত বিরেতে তো একেবারেই না। তবে কুতুব আলীর ঘরে দিনে দুপুরে যেসব গল্প গাঁথা চলে তাতে তার বাড়ির চারধারে লোকজনের বিশেষ একটা আকাল পরে না। প্রায় সারা দিনই তার ঘরের আশেপাশে উৎসুক দর্শকের ভীড় বাট্টা লেগেই থাকে।

কুতুব আলী পেশায় ভ্যান চালক। বয়স চল্লিশের বেশি নয়। গাট্টাগোট্টা শরীর। শরীরের সাথে মানানসই একটা যথেষ্ট মোটা মাথা। গলার স্বর রীতিমতো বাঁজখাই। চেঁচালে আশেপাশে গরু ছাগলও ঘাস খাওয়া বন্ধ করে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। বিরাট মুখে কুতকুতে ছোট ছোট দুইটা চোখ। চোখ দুটো ভয়ানক অনুসন্ধানী। সেই অনুসন্ধানী চোখে সে সারাক্ষণই তার বউএর চলন বলনের খুঁত খুঁজে বেড়ায়। কাজের প্রয়োজনে যতোটুকু সময় ঘরের বাইরে থাকতে হয়, তার বেশি এতোটুকু সময়ও সে বাইরে কাটায় না। সোজা ঘরে চলে আসে। ঘরে সুন্দরী তরুণী বউ। একা একা ভুতুড়ে পরিবেশে বেশিক্ষণ থাকলে জিন ভূতের আছর পরাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। মানুষের তো আছেই।

স্ত্রী কমলা, কুতুব আলীর সম্পূর্ণ বিপরীত স্বভাবের মানুষ। সে ঘরে আছে কী নেই লোকে তা জানতেও পারে না। ছায়ার মতো নিঃশব্দে পা টিপে টিপে চলাচল করে। দিন রাত কখনোই তার গলার স্বর কেউ শুনতেও পায় না। আকার আকৃতিতেও সে একেবারে ছোট খাট। কুতুব আলীর পাশে দাঁড়ালে তাকে একরকম খুঁজেই পাওয়া যায় না। তবে ছোটখাট হলেও তার মুখের গড়নটি ভারী সুন্দর। মায়াকাড়া মুখে বড় বড় দুটো কথা বলা চোখ।

লোকে এই দুজনের অসম জোড়া নিয়ে কম হাসাহাসি করে না। তাদের এই জোড়কে অনেকে উপমা হিসেবেও ব্যবহার করে। কখনো কোনো ব্যাপারে একটার সাথে আরেকটা বেমানান কিছু মনে হলেই সবাই হেসে বলে,

‘আরে এইডা তো কুতুব-কমলা’র জোড় হইছে!’

কুতুব আলী বউকে ভয়ানক সন্দেহ করে। তার মনে ঘোর বদ্ধমূল ধারণা একেবারে বাসা বেঁধে বসেছে যে, কমলার নিশ্চয়ই কারো সাথে ইটিসপিটিস আছে। একে তো সে সারাদিন ঘরে থাকে না, তার উপরে সে তার বউকে রাখে একরকম দৌঁড়ের উপর। মেয়েমানুষকে মাথায় তুললে পরে মাশুল চুকাতে হয়। তাই সবসময় টাইটে রাখতে হয়। কিন্তু এতো হম্বি তম্বি সত্তেও বউ মুখ খোলে না। এই ব্যাপারটা কুতুব আলীর কাছে মোটেও স্বাভাবিক মনে হয় না। মেয়ে মানুষের তো এমনিতে এতো মুখ বন্ধ রাখার কথা নয়! বউ ভেতরে ভেতরে নতুন নাগর জুটিয়েছে কী না কে জানে!

অনেক ভাবনা চিন্তা করে কুতুব আলী এক ফন্দি এঁটেছে। বউ যদি ভেতরে ভেতরে দুই নম্বরী কিছু করেও থাকে, লোকলজ্জার ভয়ে তো আর স্বামীর ঘর ছাড়তে পারবে না। তাই স্বামীর ঘর ছাড়ার ভয় দেখিয়েই তাকে সোজা রাখতে হবে। এভারেই এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে।

সেদিনও যথারীতি সে দুপুরের পরে পরেই খেপ শেষ করে বাসায় চলে এসেছে। কমলা তখন সবেমাত্র রান্না বান্না শেষ করে গোসলে ঢুকেছে। এতো দেরি করে গোসলে যাওয়া নিয়েও কুতুব আলীর জোর সন্দেহ লাগে। করে তো মোটে দুজন মানুষের রান্না। এতো সময় লাগে কেন? ঘরে কেউ আসে নাকি তার অনুপস্থিতিতে?

ঘরে ঢুকেই কুতুব আলী জোরে জোরে চেঁচাতে লাগলো,

‘কমলা...ও নবাবের বিটি কমলা! সারাদিন বাদে এতোক্ষণে তোর সময় হইছে গা ধোয়ার! এত্ত বেলা অব্দি বইয়া বইয়া কোন নাঙ্গরের লগে সোহাগ করতাছিলি? তোর শয়তানী বুঝি না আমি! তুই আইজই বেবাক কথা আমারে খুইলা কবি নাইলে...নাইলে আমি তোরে তালাক দিমু।‘

কমলা উঠোনের টিউবওয়েলের ঘের দেওয়া আবরণে সবে গোসল করার জন্য শাড়ি জামা আলগা করছে। স্বামীর পায়ের আওয়াজ শুনেই সে সচকিত হয়ে উঠেছিল। তাড়াতাড়ি গায়ে পানি ঢালতে যাবে, এমন সময় এই অনাহুত বাক্যবাণ। আজ স্বামীর মুখে তালাকের কথা শুনে কমলার মুখে আর রা সরলো না। এমনিতে যা বলে বলুক, এই ‘তালাক’ শব্দ তার স্বামী কখনো মুখে আনে না। আজ এটা সে কী বললো!

কমলা আসলে পেরে উঠে না। তার শরীরে কেমন যেন কুলোয় না। ছোটখাট শরীরে সে ঠিক দৌঁড় ঝাপ করে কাজ কর্ম করতে পারে না। ছোটবেলা থেকেই দূর্বল ধাঁচ তার, বড় কোনো অসুখ বিসুখ না থাকলেও শরীর খুব একটা সুস্থ নীরোগ নয়। কেমন যেন আলস্য জড়িয়ে আসে সবসময়।

কুতুব আলী বেরিয়ে যাওয়ার পরে সে কিছুক্ষণ পরে পরে ঘুমায়। মাথা কেমন যেন ঘুরতে থাকে সবসময়। স্বামীর ভয়ে এমনিতেই সে সারাদিন তটস্থ থাকে। রাতেও যে আরাম করে একটু ঘুমাবে তার উপায় নাই। যখন তখন ঘুমের মধ্যেই স্বামী আওয়াজ দেয়। কাঁচা ঘুম ভাঙ্গিয়ে স্বামীর প্রয়োজন মেটাতে হয়। সকালে উঠে আর সে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। আজ তিন বছর হলো তার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পরে থেকেই এই ঘটনা চলে আসছে।

কমলা শাড়ি কাপড় গুছিয়ে নিয়ে গোসল না সেরেই কলপাড় থেকে বের হয়ে আসে। কুতুব আলীর মুখের দিকে তাকিয়ে তার গলা শুকিয়ে গেল। সে যেন আজ মহা উৎসাহে ঝগড়ায় নেমেছে। চোখে মুখে ঝগড়ার আনন্দ যেন ঠিকরে বেরুচ্ছে। কমলার শুকনো মুখ দেখে সে আরো উদ্দীপনার সাথে শুরু করলো,

‘কী রে! মুখে রা নাই যে! সারাদিনে দুইপদ রান্না কইরা গোসল করার সময় পাস না! প্রতিদিন আমি যখন আসি, তখনি তোর গোসল করার চিন্তা মাথায় আসে! ঠিক কইরা ক, এর আসল কারন কী?’

কমলা চুপ। কথা বাড়িয়ে লাভ নেই কোনো। স্বামী বলতেই চায়, শুনতে নয়।

‘তুই যদি আমারে ঠিক ঠিক ভাঙ্গাইয়া না কস, রোজ রোজ তোর দেরি কেন হয়...তাইলে আমি তোরে এক তালাক...দুই তালাক...তিন তালাক...বাইন তালাক দিয়া দিমু। এই আমার শেষ কথা!’

কমলার অন্তরাত্মা শুকিয়ে যায়। স্বামী আজ এ কোন আগুন নিয়ে খেলতে শুরু করলো?

খেতে বসেও সেই খ্যাঁচখ্যাঁচানি।

‘এইটার মইধ্যে নুন কম কেন...ভাত কেন জাউ...তরকারীর আলু কেন গইলা গেছে...’ কুতুব আলী বিরামহীন মুখের মেশিন চালিয়ে যেতে থাকে।

পরেরদিন কমলা আর গড়িমসি করে না। শরীরের আলস্যকে টেনে সরিয়ে রেখে সে তাড়াতাড়ি সব কাজ শেষ করে নেয়। দুপুর গড়ানোর আগেই তার রান্নাবান্না, গোসল সব সারা হয়। ঘরের মধ্যে পাটি পেতে ভাত তরকারী থালা বাসন সুন্দর মতো গুছিয়ে নিয়ে সে বসে বসে ঝিমায়। কুতুব আলীর খাওয়া না হলে সে খায় না কখনো। ঝিমুনি গাঢ় হতেই আবার সে সোজা হয়ে বসে। ঘুমিয়ে পরা যাবে না মোটেও।

বাইরে উঠোনে এসে তার মনে হয়, লাউ গাছের ডগাটা বড় হয়েছে। একটু মাচান দেওয়া দরকার। ভর দুপুর। মাথায় আধহাত ঘোমটা টেনে কমলা বাঁশঝাড়ে ঢোকে কঞ্চি জোগাড় করতে। চিকন চিকন ক’টা কঞ্চি খুঁজে বের করে। হাত দিয়ে মটকিয়ে ভাঙতে চায়। ভাঙতে পারে না।

দূরে বাঁশঝাড়ের এক কোনায় বসে মন্টু পাগলা দাঁত দিয়ে কঞ্চি কাটছিল। মাথার চুল উশকো খুশকো, পরনে আধ ময়লা লুঙ্গি...ছেড়া শার্ট। মুখ দেখে মনে হয় প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে। হাতে একটা ছোট দা। সব সময় হাতে রেখে দেয়। এমনিতে মন্টু মিয়া বেজায় শান্ত, সাত চড়ে রা করে না। গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চারা কতো ঢিল পাটকেল ছুড়ে। মন্টু মিয়া কিচ্ছুটি বলে না। মাঝে মাঝে হঠাৎ হঠাৎ কাউকে কাউকে দেখে সে দা নিয়ে তেড়ে আসে। এছাড়া তার মধ্যে পাগলামীর আর কোনো লক্ষণ নেই।

তার তিনকূলে কেউ নেই। একমাত্র ছোট বোনের হঠাৎ ম্যালেরিয়া জ্বরে মৃত্যু হয়। বোনটি ছিল তার বড় আদরের। বোনের মৃত্যুর পরে থেকেই সে এমন আউলা হয়ে দিন কাটায়। কেউ দুটো খেতে দিলে খায়, নয়তো উপোস দেয়।

কমলা টানাটানি করেও যখন কঞ্চি কাটতে পারছিলো না, তখনই হঠাৎ মণ্টু মিয়া এসে সামনে দাঁড়ায়। হাতে উঁচিয়ে রাখা দা। এই বেশে তাকে দেখে কমলার প্রায় ভিমড়ি খাওয়ার জোগাড় হয়। চোখ উল্টানি দিয়ে সে পড়েই যেতো। মণ্টু মিয়া কমলাকে লক্ষ্য না করেই ফটফট করে কঞ্চিগুলো কেটে মাটিতে ফেলে রাখে। সেটা দেখে কমলা একটু আশ্বস্ত হয়। হঠাৎ পেছন থেকে হুঙ্কার শুনে কমলা আর মণ্টু মিয়া দুজনেই একসাথে মাথা ঘুরিয়ে পেছনে তাকায়।

‘ও আইচ্ছা! শেষমেষ কাউরে না পাইয়া এই পাগলা রে নাগর বানাইছোস! ছ্যা ছ্যা ছ্যা...শয়তান মা...তর পেটে পেটে এই হারামি! আইজ তরে আমি এখখুনি তালাক দিতাছি ...’

কমলা গিয়ে কুতুব আলীর পা জড়িয়ে ধরে। কুতুব আলী এক ঝটকায় পা সরিয়ে নিতে নিতে বলে,

নষ্টা মা..., তোরে আমি আইজ থেইকা হারাম কইরা দিলাম। তুই আর আমার ঘরে আইবার পারবি না। এই দিলাম তোরে আমি তালাক। এক তালাক......’

শুনতে শুনতে মাথা ঘুরে কমলা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এদিকে হৈ-হট্টগোলে আশেপাশের সবাই ছুটে এসে নিজের কানে শুনে যায় কুতুব আলী কমলাকে গুনে গুনে তিন তালাক দিয়েছে।

কমলাকে পাড়া প্রতিবেশিরা নিয়ে এসে নিজেদের ঘরে আশ্রয় দেয়। মাথায় পানি ঢেলে তার চেতনা ফিরিয়ে আনা হয়। সে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। চেতনা ফিরতেই প্রথমেই তার মনে পড়েছে, স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে। সে এখন আর তার স্বামীর ঘরে যেতে পারবে না। সে একা না, অনেকেই এর সাক্ষী। কমলার বাবা-মা কেউ নেই। এক ভাই আছে। বোনকে বিয়ে দিয়ে সে তার দায়িত্ব শেষ করেছে। তিন বছর তার সাথে কমলার কোনো যোগাযোগ নেই। ভাইয়ের বউ তার প্রাক্তন স্বামীর চেয়ে কিছু কম মুখরা নয়। সেখানে ফিরে যাবার কথা কমলা ভাবতেও পারে না। তাহলে সে কই যাবে?

গ্রামে প্রতিবেশির বাড়িতেই জরুরি সভা বসে। মসজিদের ইমাম সাহেবও আসেন। কুতুব আলীকে খবর দিয়ে আনা হয়েছে। সে ঘাড় গোঁজ করে বসেছিল। কয়েকদফা সে আপত্তি উঠাতে চেয়েছিল যে, সে তালাক দেয় নাই...দিতে চেয়েছিল কেবল। তার আপত্তি ধোপে টেকেনি। অনেকেই তার তালাক ঘোষণার সাক্ষী। মণ্টু মিয়াকেও ধরে আনা হয়েছে। সে তো রাজ সাক্ষী। কুতুব আলীর গরম কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে। সে বুঝতে পেরেছে মাথা গরম করে কাজটা সে ঠিক করে নাই। তবুও গায়ের জোরে সে বলে ওঠে,

‘মোলবি সাব, হিল্লা বিয়া পড়াইয়া দেন। আমার বউ আমি কাল বাড়িত নিয়া যামু।‘

গ্রামের ইমাম হলেও ইমাম সাহেব ধর্মীয় পড়াশুনা ভালোই জানতেন। তিনি মাথা নেড়ে বললেন,

‘শোনো কুতুব আলী, ধর্ম নিয়া খেল তামাশা করবা না। তুমি যা করছো তা বড়োই নিন্দনীয়। এখন আরেকখান ভুল কাজ করবার যাইতাছো। তোমার বউ যদি আরেকবার বিয়া করতে রাজি থাকে, তারে বিয়া দেওন হইবো। কিন্তু জোর কইরা সেই বিয়া ভাঙ্গান যাইবো না। যার লগে বিয়া হইবো হেই যদি আবার তারে তালাক দেয় কেবলমাত্র তাইলেই আবার তারে তুমি বিয়া করবার পারবা। বুঝলা কিছু?’

কুতুব আলী ইমাম সাহেবের কথা শুনে বেকুব হয়ে বসে থাকে। এই টা ইমাম সাহেব কী বলেন? তার বউ আর তার ঘর করবে না? সে করলো টা কী?

কমলার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়, সে আবার বিয়ে করবে কী না। কমলার চোখ বেয়ে পানি গড়াতে থাকে। এই দুঃসময়ে মায়ের কথা খুব মনে পড়ে তার। সে যদি আজ তার মায়ের সাথে থাকতে পারতো!

তার মৌনতাকে সম্মতি বলে ধরে নেওয়া হয়। তবু অভিভাবক হিসেবে তার ভাইয়ের একটা সম্মতির প্রয়োজন আছে। সেটা নিয়ে নিতে হবে। কমলাকে জিজ্ঞেস করা হয় সে কাউকে বিয়ে করতে চায় কী না।

মাথা হেঁট হয়ে আসে কমলার। এমন দিনও তাকে দেখতে হলো!

একসময় অনেক কষ্টে হেঁট মাথাকে উঁচু করে সে সোজা হয়ে বসে। মাথার ঘোমটা ঈষৎ সরিয়ে সে দূরে বসিয়ে থাকা মণ্টু মিয়াকে দেখিয়ে দিয়ে বলে, মণ্টু মিয়া রাজি থাকলে সে তাকে বিয়ে করবে।

কুতুব আলী বাকরুদ্ধ হয়ে বসে থাকে। তার মাথার ভেতরটা ভনভন করে ঘুরতে থাকে।

মণ্টু মিয়ার সাথে দু’দিন বাদেই কমলার বিয়ে হয়ে যায়।

কমলার ভাই এসে তার সম্মতি জানিয়ে যায়। সকালে এসে দুপুরের আগেই সে চলে যায়। বোনের এই ভাগ্য বিপর্যয়ে একটিবারের জন্যও তার মুখ দিয়ে কোনো সান্তনার কথা আসে না। শক্ত মুখ করে এসে শক্ত মুখেই সে ফিরে যায়। বোন নদীতে পরলো নাকি সমূদ্রে সেটা দেখা আর তার দায়িত্ব নয়।

কুতুব আলীর মহা দূর্দশার দিন শুরু হয়। তার রান্না বাড়ি করে দেবার কেউ নেই, ঘর দোর আগলে রাখার কেউ নেই। তার নিত্য প্রয়োজন মেটানোর কেউ নেই...সর্বোপরি তার আগুনের হল্কার মতো রাগ ঠান্ডা করার মতো কোনো পানির পাত্র নেই। কমলা ছিল তার পানির পাত্র। সে যতো আগুন ছাড়তো, কমলা ততো তাতে পানি ঢালতো।

এদিকে মন্টু মিয়া এখন পুরোপুরি সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ। সে এখন নিয়মিত গোসল করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। টুকটাক বর্গার কাজ করে আয় রোজগারও করে ইদানিং। তাছাড়া কমলা ফুলঝাড়ু, বাঁশের জিনিসপাতি বানাতে পারে। সেগুলো সে হাটবারে শহরে বেচতে যায়। দুজন মানুষের পেট ভালোই চলে যায়।

কুতুব আলী তার সন্দেহের বিষ মণ্টু মিয়ার মনে ঢোকাতে চায়। একবার যদি ঢুকিয়ে দেওয়া যায়, তবেই কেল্লা ফতে। মাঝে মাঝে সে মণ্টু মিয়াকে কান ভাঙানি দেয়,

‘কমলার কইলাম স্বভাব চরিত্র ভালা না। দেইখা শুইনা না রাখলে একদিন দেখবা পক্ষী উড়াল দিছে!’

মণ্টু মিয়া কিছু বলে না। চুপচাপ শোনে। একদিন কুতুব আলীকে এগিয়ে আসতে দেখে সে আস্তে করে কোমড়ের কোচড় থেকে তার দা টাকে বের করে আনে। অনেকদিন এটাকে সে ঢুকিয়ে রেখেছিল। তারপরে সোজা কুতুব আলীর সামনে বের করে রক্তচক্ষু নিয়ে বলে,

‘আরেকবার যদি এইদিকে তোরে দেখছি...তাইলে এইটা দেখছস? এক কোপে কল্লা কাইটা ...’

কুতুব আলী সেই যে দৌঁড় লাগায় ভুলেও আর কোনোদিন ওমুখো হয় না।


(ছবি- ইন্টারনেট)


ফাহ্‌মিদা_বারী

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

প্রয়োজনীয় কিছু টিপস:-

 🙅‍♀️🙅‍♀️প্রয়োজনীয় কিছু টিপস:-✌️✌️


১: কড়া রোদে কয়েক ঘন্টা বালিশ দিয়ে রাখুন এতে বালিশে ছাড়পোকা হবেনা বালিশের তুলা গুলোও ভালো থাকবে


২: রুমের ভেতর এলোভেরা মানিপ্লান্ট কয়েন প্লান্ট বা আপনার পছন্দ মতো যেকোন ইনডোর প্লান্ট রাখতে পারেন এতেও রোম কিছুটা হলেও শীতল থাকবে


৩:থেকে যাওয়া অবশিষ্ট পাউরুটির টুকরো গুলো রোদে শুকিয়ে বা চুলায় অল্প আচে টেলে গুড়া করে ব্রেড ক্রাম তৈরি করে নিতে পারেন 


৪: কাশ্মীরি আমের আচার তৈরির জন্য আম গুলো টুকরো করে ঘন্টা খানিক চুনের পানিতে ভিজিয়ে রাখলে আচার গুলো কচকচে হয় চিনিতে দিলে গলে যায়না 


৫: মেলামাইনের বোল বাটির হলদেটে দাগ তুলতে ভিনেগারের সাথে বেকিং সোডা ও ডিটারজেন্ট পাউডার মিশিয়ে মেজে নিলে হলদেটে দাগ চলে যায় 


৬: দা-বটি ধারালো করতে বালি নিয়ে সিরিঞ্জ পেপার দিয়ে ঘষে নিন 


৭: ফ্লাক্সের ভেতর পরিষ্কার করাটা খুব ঝুকিপূর্ণ একটু অসাবধান হলেই ফেটে যায়  তাই ফ্লাক্স পরিষ্কার করতে কখনো শক্ত কাঠি দিয়ে ভেতরটা পরিষ্কার করা যাবেনা 


৮: ফ্লাক্সের ভেতর ডিটারজেন্ট পাউডার ও হালকা গরম পানি দিয়ে  ১০ মি: ঢাকনা দিয়ে রেখে দিতে হবে ১০মি: পর খবরের কাগজ /খাতার পৃষ্ঠা টুকরো করে ফ্লাক্সের ভেতরে দিয়ে ঝাকিয়ে নিন তারপর স্বাভাবিক নিয়মে ধুয়ে  নিন 


৯: যতোটা সম্ভব ঘরে অতিরিক্ত লাইট নিভিয়ে রাখুন এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে 


১০:জানালার পর্দা গুলো হালকা ভিজিয়ে  জানালায় লাগিয়ে রাখুন তারপর একটি বোল/বালতিতে বরফের টুকরো রেখে বৈদ্যুতিক পাখা /ফ্যান চালিয়ে দিন ঘর শীতল হয়ে যাবে



ভূমি “পর্চা”, “দাগ”, “খতি বিষয়ক নিম্নের তথ্যাবলী প্রত্যেকেরই জানা উচিত

 ভূমি “পর্চা”, “দাগ”, “খতি বিষয়ক নিম্নের তথ্যাবলী প্রত্যেকেরই জানা উচিত!য়ান”, “মৌজা”, “জমা খারিজ”, “নামজারি”, “তফসিল” ইত্যাদি বিষয়ের ডেফিনেশন এবং জেনে নিন ভূমি বিষয়ক জরুরী সব তথ্য।


১!“নামজারী” বা মিউটেশন কাকে বলে?

ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।


২!“জমা খারিজ”কাকে বলে?

যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।


৩!“খতিয়ান” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “খতিয়ান” বলে।

খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। আমাদের দেশে CS, RS, SA এবং সিটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এসব জরিপকালে ভূমি মালিকের তথ্য প্রস্তত করা হয়েছে তাকে “খতিয়ান” বলে। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান…

ভূমি জরিপ: CS, RS, PS, BS কি?


৪!ভূমি বা Land কাকে বলে?

“ভূমি কাকে বলে?”- এর আইনী সংজ্ঞা রয়েছে। The State Acquisition and Tenancy Act, 1950- এর ২(১৬)- ধারা মতে, “ভূমি (land) বলতে আবাদি, অনাবাদি অথবা বছরের যেকোন সময় পানিতে ভরা থাকে এবং ভূমি হতে প্রাপ্ত সুফল, ঘরবাড়ি বা দালান কোঠা বা মাটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য দ্রব্য অথবা স্হায়ীভাবে সংযুক্ত দ্রব্য এর অন্তর্ভুক্ত বুঝাবে।”


৫! ভূমি জরিপ/রেকর্ড কাকে বলে? ভূমি জরিপ হচ্ছে ভূমির মালিকানা সম্বলিত ইতিহাসের সরেজমিন ইতিবৃত্ত।

আইনী সংজ্ঞা হচ্ছে, The Survey Act, 1875 এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী সরকারের জরিপ বিভাগ সরেজমিন জরিপ করে ভূমির মালিকানার যে বিবরণ

এবং নকশা তৈরী করে তাই রেকর্ড বা জরিপ। অর্থাৎ রেকর্ড বা জরিপ হচ্ছে মালিকানার বিরবণ এবং নকশার সমন্বয়। একটি ভূমির মালিক কে এবং তার সীমানা কতটুকু এটা ভূমি জরিপের মাধ্যমে নকশা/ম্যাপ নির্ণয় করা হয়। এই নকশা এবং ম্যাপ অনুসারে মালিকানা সম্পর্কিত তখ্য যেমন ভূমিটি কোন মৌজায় অবস্থিত, এর খতিয়ান নাম্বার, ভূমির দাগ নাম্বার, মালিক ও দখলদারের বিবরণ ইত্যাদি প্রকাশিত হয় যাকে খতিয়ান বলে। রেকর্ড বা জরিপ

প্রচলিতভাবে খতিয়ান বা স্বত্ত্বলিপি বা Record of Rights (RoR) নামেও পরিচিত। রেকর্ড বা জরিপের ভিত্তিতে ভূমি মালিকানা সম্বলিত বিবরণ খতিয়ান হিসেবে পরিচিত। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান, ইত্যাদি। আমাদের দেশে পরিচালিত ভূমি জরিপ বা রেকর্ড গুলো হচ্ছে;

1. CS -Cadastral Survey

2. SA- State Acquisition Survey (1956)

3. RS -Revitionel Survey

4. PS – Pakistan Survey

5. BS- Bangladesh Survey (1990)


ক) সি.এস. জরিপ/রেকর্ড (Cadastral Survey)

“সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একে ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৯ সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়। এই জরিপে বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের দশম অধ্যায়ের বিধান মতে দেশের সমস্ত জমির বিস্তারিত নকশা প্রস্তুত করার এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করার বিধান করা হয়। প্রথম জরিপ হলেও এই জরিপ প্রায় নির্ভূল হিসেবে গ্রহণযোগ্য। মামলার বা ভূমির জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জরিপকে বেস হিসেবে অনেক সময় গণ্য করা হয়।

খ) এস.এ. জরিপ (State Acquisition Survey)

১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয় এরং রায়েতের সাথে সরকারের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জমিদারদের প্রদেয় ক্ষতিপুরণ নির্ধারন এবং রায়তের খাজনা নির্ধারনের জন্য এই জরিপ ছিল।

জরুরী তাগিদে জমিদারগন হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ বা খাতিয়ান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।

গ) আর.এস. জরিপ ( Revisional Survey)

সি. এস. জরিপ সম্পন্ন হওয়ার সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জমি, মলিক এবং দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার নিমিত্তে এ জরিপ সম্পন্ন করা হয়। পূর্বেও ভুল ত্রুটি সংশোধনক্রমে আ. এস জরিপ এতই শুদ্ধ হয় যে এখনো জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে আর, এস জরিপের উপর নির্ভর করা হয়। এর খতিয়ান ও ম্যাপের উপর মানুষ এখনো অবিচল আস্থা পোষন করে।

ঘ) সিটি জরিপ (City Survey)

সিটি জরিপ এর আর এক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ। আর.এস. জরিপ এর পর বাংলাদেশ সরকার কর্তিক অনুমতি ক্রমে এ জরিপ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। এ যবত কালে সর্বশেষ ও আধুনিক জরিপ এটি। এ জরিপের পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট এ পকাশিত হয়।


৬!“পর্চা” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হ তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।


৭!“মৌজা” কাকে বলে?

যখন CS জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।

৮!“তফসিল” কাকে বলে?

জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।


৯!“দাগ” নাম্বার কাকে বলে? যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে। মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়।


১০!“ছুটা দাগ” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাকে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।


১১!“খানাপুরি” কাকে বলে? জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।


১২!“আমিন” কাকে বলে?

ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিযুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।


১৩!“কিস্তোয়ার” কাকে বলে?

ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।


১৪!“খাজনা” ককে বলে?

সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।


১৫!“দাখিলা” কাকে বলে?

ভূমি কর/খাজনা আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফর্মে ( ফর্ম নং১০৭৭) ভূমি কর/খাজনা আদায়ের প্রমান পত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলা হয়।


১৬!"DCR কাকে বলে?

ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।


১৭!“কবুলিয়ত” কাকে বলে?

সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।


১৮!“নাল জমি” কাকে বলে?

২/৩ ফসলি সমতল ভূমিকে নাল জমি বলা হয়।


১৯!“খাস জমি” কাকে বলে?

সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর বা ডিসি তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।


২০!“চান্দিনা ভিটি” কাকে বলে?

হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী অকৃষি জমির যে অংশ প্রজার প্রতি বরাদ্ধদ দেওয়া হয় তাকে চান্দিনা ভিটি বলে।


২১!“ওয়াকফ” কাকে বলে?

ইসলামি বিধান অনুযায়ী কোন ভূমি তার মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন দান করাকে ওয়াকফ বলে।


২২!“মোতওয়াল্লী” কাকে বলে?

যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে। ওয়াকফ প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিত মোতওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে না।


২৩!“দেবোত্তর” সম্পত্তি কাকে বলে?

হিন্দুধর্ম মতে, ধর্মীয় কাজের জন্য উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে।


২৪!“ফরায়েজ” কাকে বলে?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফরায়েজ বলে।


২৫!“ওয়ারিশ” কাকে বলে?

ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।

২৬! “সিকস্তি” কাকে বলে?

নদী ভাঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকস্তি বলে। সিকস্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকস্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।


২৭!“পয়ন্তি” কাকে বলে?

নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।


২৮!“দলিল” কাকে বলে?

যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবে তাকে দলিল বলে।


ভূমির পরিমাপঃ


ডেসিমেল বা শতাংশ বা শতকঃ

***************************

১ শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট

১ শতাংশ =১০০০ বর্গ লিঙ্ক

১ শতাংশ = ৪৮.৪০ বর্গগজ

৫ শতাংশ = ৩ কাঠা = ২১৭৮ বর্গফুট

১০ শতাংশ = ৬ কাঠা = ৪৩৫৬ বর্গফুট

১০০ শতাংশ = ১ একর =৪৩৫৬০বর্গফুট


কাঠা পরিমাপঃ

****************

১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট/৭২১.৪৬ বর্গফুট

১ কাঠা = ৮০ বর্গগজ/৮০.১৬ বর্গগজ

১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ

২০ কাঠা = ১ বিঘা

৬০.৫ কাঠা =১ একর


একরের পরিমাপঃ

******************

১ একর = ১০০ শতক

১ একর = ৪৩,৫৬০ বর্গফুট

১ একর = ১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক

১ একর = ৪,৮৪০ বর্গগজ

১ একর = ৬০.৫ কাঠা

১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক

১ একর = ১০ বর্গ চেইন = ১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক

১ একর = ৪,০৪৭ বর্গমিটার

১ শতক = ০.৫ গন্ডা বা ৪৩৫.৬০ বর্গফুট


বিঘা পরিমাপঃ

*************

১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট /১৪৫২০বর্গফুট

১ বিঘা = ৩৩,০০০ বর্গলিঙ্ক

১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ

১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ/১৬১৩ বর্গগজ

১ বিঘা = ২০ কাঠা

৩ বিঘা ৮ ছটাক = ১.০০ একর


লিঙ্ক পরিমাপঃ

****************

১লিঙ্ক = ৭.৯ ইঞ্চি /৭.৯২ ইঞ্চি

১লিঙ্ক =০.৬৬ ফুট

১০০ লিঙ্ক = ৬৬ ফুট

১০০ লিঙ্ক = ১ গান্টার শিকল

১০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ শতক

১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ একর


কানি একর শতকে ভূমির পরিমাপঃ

*******************************

১ কানি = ২০ গন্ডা

১ গন্ডা = ২ শতক

১ শতক =২ কড়া

১ কড়া = ৩ কন্ট ১ কন্ট = ২০ তিল


ফুট এর হিসাবঃ

*****************

১ কানি = ১৭২৮০ বগফুট

১ গন্ডা = ৮৬৪ বফু

১ শতক= ৪৩৫.৬০ বফু

১ কড়া = ২১৭.৮ বফু

১ কন্ট = ৭২ বফু

১ তিল= ৩.৬ বফু


বর্গগজ/বর্গফুট অনুযায়ী শতাংশ ও একরের পরিমাণঃ

*********************************

৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর

৪৩৫৬০ বর্গফুট= ১ একর

১৬১৩ বর্গগজ= ১ বিঘা

১৪৫২০বর্গফুট = ১ বিঘা

৪৮.৪০ বর্গগজ = ০১ শতাংশ

৪৩৫.৬০ বর্গফুট= ০১ শতাংশ

৮০.১৬ বর্গগজ= ১ কাঠা

৭২১.৪৬ বর্গফুট = ১ কাঠা

৫.০১ বর্গগজ = ১ ছটাক

২০ বর্গহাত = ১ ছটাকা

১৮ ইঞ্চি ফুট= ১ হাত (প্রামাণ সাই)

শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...