এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

বাড়ি ঘর জায়গা জমি সন্তানদের লিখে দিবেন না,,,,,,,

 " বাড়ি ঘর জায়গা জমি সন্তানদের লিখে দিবেন না । আপনার ঘরে আপনি বসবাস করবেন । দরকার হলে ছেলে মেয়েরা  বাড়ি ঘর তৈরি করে 'যৌবনাশ্রমে ' থাকবে "  :


পরিণত বয়সে এসে আমাদের অনেকেরই হয়তো কাজেও লাগতে পারে গল্পটি!!!


"যৌবনাশ্রম খুঁজে দেখো!"


আব্দুর রহমান সাহেব ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর হয় রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পান। স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগে।


দুটি ছেলেকে বড় যত্নে মানুষ করেছেন। বাবা এবং মায়ের দুজনের স্নেহ দিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপর বড় ছেলের বিয়ে দিলেন। একটি নাতি হল। উনার মনে আর আনন্দ ধরে না ।


এরপর ছোট ছেলে নিজের পছন্দের মেয়ে খুঁজে বাবাকে জানালে তিনি সানন্দে সেই মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলেন। রিটায়ারের আগেই বড় ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর ছোট বৌমা এল।


আব্দুর রহমান সাহেব এখন নাতিকে নিয়ে বেশ সময় কাটান। সংসারের অনেকটা ব্যয় ভার বহন করেন।


একদিন ইজি চেয়ারে বসে সকালে কাগজ পড়ছেন বড় বৌমার গলা পেলেন, আজ বাজার শর্ট আছে.রাতে রান্না হবে না। সে চাকরী করে। বলছে জা কে।


এ বাড়িতে ছেলেদের জন্মের আগে থেকে কাজের মেয়ে জয়নব আছে। সে তাঁর ছেলেদের থেকে বেশ কিছুটা বড়। জয়নব মাতৃহারা দুই ছেলেকে অপার স্নেহে আগলে রেখেছিল।


সে বলল--ভাইজানরা কেউ এনে দেবে।


বড় বৌ বলল--কেন বাবা তো বসে আছেন বাজারটা রোজ করলেই পারেন।


আব্দুর রহমান সাহেবের কানে কথাটা বাজল। বুঝলেন সংসারে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।


নিজের মনকে বললেন-- মন তুই তৈরী থাক।


এরপর থেকে বৌদের নানা আচরণে তাঁর প্রতি বিরূপতা প্রকাশ পেতে থাকল।


একদিন সকালে বড় ছেলে রাগত গলায় বৌকে বলছে--আমার শার্টটা লণ্ড্রী থেকে আনা হয়নি?


বড় বৌ বললো-- না যাবার সময় হয়নি।


বড় ছেলে -বাবা একটু আনতে পারল না? সারাদিন তো বসেই থাকে।


আব্দুর রহমান সাহেবের কানে গেলে ভাবলেন-- যুগধর্ম!


এরপর একদিন এক ছুটির দিনে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসে দেখলেন--সবাই আগে ভাগেই উপস্থিত।


জয়নব প্লেটে গরম লুচি, আলু ভাজি আর সন্দেশ পরিবেশন করছে।


বড় ছেলে বলল --বাবা একটা কথা ছিল।


আব্দুর রহমান সাহেব বুঝলেন এরা সকলে কিছু প্ল্যান করেছে। বললেন, বল।


বড় ছেলে বললো, জানো বাবা কাল অফিসের কাজে গাজীপুর গিয়েছিলাম। কাজের ফাঁকে সময় পেয়ে ওখানকার দর্শনীয় জায়গা গুলো দেখতে বেড়িয়েছিলাম। দেখলাম নদীর ধারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটা সুন্দর বৃদ্ধাশ্রম চালু হয়েছে। দেখেই ভাবলাম তুমি ওখানে মনোরম পরিবেশে শেষ জীবনটা থাকতে পারো। আমরা যাব আসব। কিরে ভাই কি বলিস?


ছোট ছেলে বলল, বেশ ভালো হবে।


আব্দুর রহমান সাহেব হেসে বললেন--সব তো শুনলাম। কিন্তু বাবারা তোমরা যেমন আমার জন্য ভাবো, আমিও তোমাদের জন্য ভাবি। তাই আমারও একটা প্রস্তাব আছে তোমাদের জন্য। তোমরাই বরং যুতসই এবং মনোরম পরিবেশের একটা যৌবনাশ্রমের খোঁজ করে নিয়ে সেখানে গিয়ে থাকোনা কেন। বাড়ীটাতো আমারই, পেনশনও পাই ভাল। জয়নব মাকে নিয়ে আমরা বাপ বেটিতে বেশ ভালই থাকব। তোমরাও আসবে যাবে।


এই ভাবে তিনি এক ছক্কায় বাজীমাত করে দিলেন। জয়নবকে বললেন--জয়নব মা, লুচিগুলো ঠাণ্ডা হয়ে গেল। গরম গরম নিয়ে আয় তো।


ছেলেরা আর ছেলেদের বৌয়েরা রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেল, বাকরুদ্ধ হয়ে বসে রইলো.....!!


দিন কাল পালটাচ্ছে। তাই যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরী থাকা উচিৎ ........


তা নাহলে ভবিষ্যতে বড় বিপদে পড়তে হতে পারে।

ভালো লাগলে শেয়ার দিবেন,হাজারো মানুষ সচেতন হবে।



রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ১৩-১৯-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ১৩-১৯-২০২৪

আজকের সংবাদ শিরোনাম


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশের অধিকার বঞ্চিত মানুষদের মুক্ত করেছে --- ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বললেন প্রধান উপদেষ্টা।

         

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।

          

পতিত ফ্যাসিবাদ রাজপথে পরাজিত হয়ে এখন অনলাইনে শক্তি প্রদর্শন করছে উল্লেখ কোরে মিথ্যা তথ্য ও গুজবে বিশ্বাস না করার আহ্বান জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।  

       

মা মাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে গত মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ আহরণে সরকারের নিষেধাজ্ঞা --- এ সময় ভিজিএফের চাল পাবেন সংশ্লিষ্ট জেলেরা।

      

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দেশে এবছর সর্বোচ্চ নয়জনের মৃত্যু --- হাসপাতালে নতুন ভর্তি নয়শোর বেশি।

  

গাজার মধ্যাঞ্চলে সর্বশেষ ইসরাইলি বিমান হামলায় ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত।

    

এবং হায়দ্রাবাদে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে তিন-শূন্যতে ভারতের সিরিজ জয়।

শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অবস্থান,,,,,

 📍 °কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত°

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অবস্থান পটুয়াখালী (Patuakhali) জেলার কলাপাড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত (Kuakata Sea Beach) থেকে একই সাথে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট কুয়াকাটাকে সকল সমুদ্র সৈকত থেকে অনন্য করেছে। পরিচ্ছন্ন বেলাভূমি, অনিন্দ্য সুন্দর সমুদ্র সৈকত, দিগন্তজোড়া সুনীল আকাশ এবং ম্যানগ্রুভ বন কুয়াকাটাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সাগরকন্যা হিসেবে পরিচিত।


✡️ কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান~


কুয়াকাটায় শুধু সমুদ্র সৈকতই নয়, এখানে দেখার মতো আছে আরো অনেক দর্শনীয় স্থান। পূর্ব ও পশ্চিমের ঝাউবন, তিন নদীর মোহনা, লেবুর চর, গঙ্গামতির জঙ্গল, লাল কাকড়া দ্বীপও সবুজ অরণ্য উপভোগের সাথে সাথে পাবেন সুন্দরবনের একাংশ দেখার সুযোগ। কিংবা কুয়াকাটার ঐতিহাসিক কুয়া, বৌদ্ধমন্দির কিংবা দুর্গম চর বিজয় অভিযানের জন্যেও কুয়াকাটা বেড়াতে যেতে


পারেন।


✅ শুঁটকি পল্লী: 


জেলে পল্লীর অবস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে। এখানে মূলত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শুঁটকি তৈরির মৌসুম চলে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে সৈকতের পাশেই শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। চাইলে জেলেদের এই কর্মব্যস্ততা দেখে সময় কাটাতে পারেন। আর কম দামে কিনে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরণের পছন্দের শুঁটকি।


✅ ক্রাব আইল্যান্ড: 


কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ধরে পূর্ব দিকে অনেকটা দূর পর্যন্ত এগিয়ে গেলে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ খ্যাত জায়গা চোখে পড়ে। এখানে নির্জন সৈকতে ঘুরে বেড়ায় হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমের সময় অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত থেকে ক্রাব আইল্যান্ডে যাবার স্পিড বোটে পাওয়া যায়।


✅ গঙ্গামতির জঙ্গল: 


পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খাল পর্যন্ত এসে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে। আর এই জায়গা থেকেই গঙ্গামতির জঙ্গল শুরু। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মিলে বিভিন্ন রকম পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদি পশুপাখির। অনেকের কাছে এই জঙ্গল গজমতির জঙ্গল হিসাবে পরিচিত।


✅ ফাতরার বন:


 সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম দিকে অবস্থিতনদীর অন্য পাড় থেকে ফাতরার বন শুরু। এ বনের রয়েছে সুন্দরবনের প্রায় সকল বৈশিষ্ট। এখানে বন মোরগ, বানর, বুনো শুকর ও নানান পাখি পাওয়া যায়। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হলে আপনাকে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করতে হবে।


✅ কুয়াকাটার কুয়া: 


কুয়াকাটা নামকরণের পেছনে যে ইতিহাস আছে সেই ইতিহাসের সাক্ষী কুয়াটি এখনও আছে। এই কুয়াটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ায়। এপাড়ায় প্রবেশ করতেই প্রাচীন এ কুয়া দেখতে পাবেন।


কথিত আছে ১৭৮৪ সালে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে রাখাইনরা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপে এসে আশ্রয় নেয়। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় তারা এখানে মিষ্টি পানির জন্য কূপ খনন করে সে ঠেকে জায়গাটি ধীরে ধীরে কুয়াকাটা নামে পরিচিত হয়ে উঠে।


✅ সীমা বৌদ্ধ মন্দির: 


কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার একটু সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের অবস্থান। কয়েক বছর আগে কাঠের তৈরি এই মন্দির ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দিরের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতুর তৈরি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ মূর্তি।


✅ কেরানিপাড়া: 


সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে গেলেই রাখাইনদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া। রাখাইন নারীরা কাপড় বুণনে বেশ দক্ষ এবং তাদের তৈরি শীতের চাদর অনেক আকর্ষণীয়।

মেয়ের বাবাদের লজ্জা থাকতে নেই,,,,,, মেয়ে থাকলে পড়বেন আশাকরি,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মেয়ের বাবাদের লজ্জা থাকতে নেই


দরজা খুলে নিজের জন্মদাতা পিতাকে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো! মলিন মুখে বললাম,

- বাবা, ভিতরে আসো!

বাবা ভিতরে এসে একটা বক্স বাড়িয়ে দিয়ে বললো

- “এই নে, তোর পছন্দের গুড়ের পায়েস এনেছি!”

কিছুটা অবাক হয়ে বললাম

- তুমি এই সামান্য পায়েস দেওয়ার জন্য ৬০ কিলোমিটার পথ জার্নি করে এসেছো? 

বাবা হেসে বললো,

- “তোর মা রান্না করেছে। তোকে না দিয়ে কিভাবে খাই মা? তাই নিয়ে চলে আসলাম!”


রুমের ভেতর থেকে ড্রয়িংরুমের দিকে আসতে আসতে আমার শ্বাশুড়ি বললো,

- “বউ মা, কে এসেছে?”

বাবা আমার শ্বাশুড়িকে দেখে বললো

- “কেমন আছেন বেয়ান সাব?” 


শ্বাশুড়ি বাবার কথার কোন উত্তর না দিয়ে আবার রুমের ভেতর চলে গেলো! বাবা আসলে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুশি হওয়ার চেয়ে বিরক্তই হয় বেশি!

হুটহাট করে যদি মেয়ের বাড়ি চলে আসে তাহলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বিরক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক! অথচ আমার অবুঝ বাবা সেটা বুঝে না। কয়েকদিন যেতে না যেতেই কিছু না কিছু একটা নিয়ে বাসায় হাজির হবেই! 

বাবাকে বললাম,

- যাও বাবা, ভেতরের রুমে আপাতত বিশ্রাম নাও, তারপর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে চলে যেও।

বাবা কিছুটা অবাক হয়ে বললো

- “মা, আজকেই কি চলে যেতে হবে? তোদের বাসায় একটা দিন থাকি?”

কোনরকম কান্না চেপে রেখে চোখ-মুখ শক্ত করে বললাম,

- না বাবা, তোমার থাকতে হবে না! দুপুরের খাওয়ার পরই চলে যাবে! 


কথাটা বলে আমি রান্নাঘরে এসে কাঁদতে লাগলাম। কতোটা অসহায় হলে একটা মেয়ে তার বাবাকে বাসায় একটা দিন রাখতে চায় না, সেটা কেউ বুঝবে না!

শ্বাশুড়ির রুমে এসে মাথা নিচু করে বললাম

- মা, ফ্রীজ থেকে খাসির মাংসটা বের করে রান্না করি? বাবা দুপুরে খেয়েই চলে যাবে।

শ্বাশুড়ি রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো

- “এতো মেহমানদারি করতে হবে না! তোমার বাপ তো প্রতি কয়েকদিন পর পরেই আসে! তার জন্য খাসির মাংস রান্না করতে হবে নাকি? যা আছে তা দিয়েই খাইয়ে বিদায় করো! লোকটার লাজ লজ্জা বলতে কিছুই নেই। কয়েকদিন যেতে না যেতেই মেয়ের বাড়ি এসে পড়ে ভালো-মন্দ খাওয়ার জন্য!”

শ্বাশুড়ির কাছে হাত জোর করে মিনতি করে বললাম,

- মা, আল্লাহর দোহাই লাগে, এভাবে বলবেন না! পাশের রুমে আমার বাবা আছে, শুনলে কষ্ট পাবে। কথাটা বলে আমি চলে আসলাম… 


শুধু যে আমার শ্বাশুড়ি বাবাকে অপমান করে তা না। আমার স্বামীও করে। একবার আমার স্বামী বাবাকে বাজারের ব্যাগ দিয়ে বলেছিল,

- “বাসায় তো বসেই আছেন। যান বাজারটা করে নিয়ে আসুন!”

মেয়ের জামাই শ্বশুরকে বলেছে বাজার করে নিয়ে আসুন! এটা যে কতোটা অপমানজনক আমার বাবা সেটা বুঝতে পারেনি! উনি ব্যাগ নিয়ে হাসিমুখে বাজার করতে চলে গিয়েছিল!


রুমে এসে দেখি বাবা খবরের কাগজ পড়ছে। আমাকে দেখে হাসিমুখে বললো,

- “দেখলি সাকিব আবার সেঞ্চুরি করেছে। ছেলেটার ভেতর দম আছে! দেখিস সামনে আরো ভালো কিছু করবে।”

আমি বাবার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম, আমার বাবা তো এমন ছিল না। নিজের বিন্দু পরিমাণ অপমান সহ্য করতো না। সেই বাবা আমাকে বিয়ে দেওয়ার পর এমন হয়ে গেলো কেন! 


দুপুরে বাবাকে খাওয়ানোর সময় মাছের মাথাটা যখন বাবার প্লেটের দিকে বাড়িয়ে দিবো, তখন শ্বাশুড়ি এসে বললো

- “তুমি জানো না, মাছের মাথা ছাড়া আমার ছেলে খেতে পারে না। কোন হিসাবে নিজের বাবাকে মাছের মাথা দিচ্ছো?”

বাবা তখন শুধু তারকারীর ঝোল মেখে খেতে খেতে বললো

- “তুই এতো ভালো রান্না করিস কিভাবে? বাড়ি গেলে তোর মাকে একদিন শেখাবি। ২৫ বছর ধরে সংসার করছে, অথচ রান্নাটা ভালো করে শিখতে পারেনি!” 

আমি তখন কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে বললাম

- আল্লাহ কি তোমাকে একটু লাজ লজ্জা দেয়নি। এতো অপমানের পরেও কয়দিন পর পর মেয়ের শ্বশুড়বাড়ি এসে হাজির হও। তুমি যদি আমার ভালো চাও, তাহলে এই বাড়িতে আর এসো না! 


বাবা সেদিন আমাকে আর কিছুই বলেনি। শুধু যাবার সময় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে হাসিমুখে চলে গিয়েছিল… 


সেদিনের পর বাবা আর কখনো আমার শ্বশুরবাড়ি আসেনি। মাঝখানে আমার শ্বাশুড়ি অসুস্থ হলো, স্বামীর ব্যবসার অবস্থা খারাপ হলো, বাবাই সব টাকা দিয়েছে কিন্তু বাসায় আসেনি!

একদিন শ্বাশুড়ি আমাকে বললো,

- “বেয়ান মশাই তো আর আসে না!”

আমি হেসে বললাম

- “মেয়ের বাসায় এসে কি করবে? মেয়ে তো তাকে একবেলা মাছের মাথা দিয়ে খাওয়াতে পারতো না। তরকারির ঝোল দিয়েই ভাত খেতে হতো। তাই হয়তো আর আসে না!” 

স্বামী একবার বললো,

- “বাবাকে বলো একবার বাসায় আসতে!”

একথা শুনে স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,

- “কেন! বাজার করার লোক আছে তো! শুধু শুধু আরেকজন লোক বাসায় আনার দরকার কি? শ্বাশুড়ি কিংবা স্বামী সেদিন কিছু বলতে পারেনি। শুধু মাথা নিচু করে ছিল…


২ বছর পর…

আমি মেয়ের মা হয়েছি। কিন্তু মেয়ের প্রতি আমার চেয়ে আমার স্বামীর দরদ বেশি! মেয়ে রাতে যতোক্ষণ সজাগ থাকে, ততোক্ষণ মেয়েকে কোলে নিয়ে হাঁটে!।মেয়ে ঘুমালে মেয়ের মুখের কাছে মুখ নিয়ে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে! মেয়ে যেদিন আধো আধো গলায় বাবা বলে ডেকেছিল, সেদিন আমার স্বামী খুশিতে বাচ্চাদের মতো কান্না করে দিয়েছিল!

 

একদিন মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমাকে আমার স্বামী বললো,

- “আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিবো না! সারাজীবন আমার কাছে রাখবো। মেয়েকে ছাড়া আমি থাকতেই পারবো না”!


আমি তখন স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম

- “আমার বাবাও হয়তো ঠিক এভাবে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল আমাকে বিয়ে দিবে না। আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। কিন্তু মেয়ে মানুষ বলে কথা। বিয়ে তো দিতেই হবে। মেয়েকে বিয়ে দিলো। মেয়ের বাসায় এসে প্রতিবার অপমানিত হয়ে যেতো, তবুও আবার আসতো!”


কথাগুলো শুনে আমার স্বামী যখন নিরব হয়ে রইলো তাখন আমি চোখের জল ফেলতে ফেলতে বললাম,

 - তোমারা আমার বাবাকে যতোটা বেশরম ভেবেছিলে, বিশ্বাস করো আমার বাবা এমন বেশরম না! উনি সবই বুঝতো, তবুও না বুঝার অভিনয় করতো। একমাত্র মেয়ে ছিলাম তো, তাই মেয়েকে দেখার জন্য বাবার হৃদয়টা কাঁদতো। তাই কয়েকদিন পর পর এসে পড়তো।

 

রাতে কান্নাকাটি করে কখন ঘুমিয়েছি জানি না। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার স্বামী ল্যাগেজ গুছিয়ে তৈরি হয়ে বসে আছে! 

অবাক হয়ে বললাম,

- কোথাও যাবে নাকি?

স্বামী মেয়ের দিকে তাকিয়ে কান্না ভেজা চোখেও মুখে হাসি নিয়ে বললো,

- “মেয়ের বাবা যেহেতু হয়েছি, সেহেতু শ্বুশুরের কাছে গিয়ে নির্লজ্জ হবার ট্রেনিং নিতে হবে! কারণ একদিন আমাকেও হয়তো অনেক অপমান সহ্য করতে হবে, যেমনটা আমি আমার শ্বশুরকে করেছি। মেয়ের বাবাদের তো আবার লজ্জা থাকতে নেই!” 


আমি আমার স্বামীকে কিছু বলতে পারছিলাম না। শুধু দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, মেয়ের বাবা হবার পর নিজের করা ভুলের জন্য কতোটা অনুতপ্ত হলে একটা ত্রিশোর্ধ মানুষ বাচ্চার মতো কান্নাকাটি করে! 

আজকের পর থেকে স্বামীর প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই…


সংগৃহীত

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ: ১২-১০ - ২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ: ১২-১০ - ২০২৪ খ্রি:।

আজকেরশিরোনাম:-… 


অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগসমূহের প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো জাতিসংঘ।

          

বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহা নবমী উদযাপন করছে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়।

        

দেশে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কাজ করছে স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০টি টিম। 

   

নিত্য পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে অভিযান পরিচালনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

       

মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে বাংলাদেশি জেলে হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানালো ঢাকা।

       

৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর দু’বার হামলা চালিয়েছে ইসরাইলী বাহিনী।

       

এবং আজ হায়দ্রাবাদে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

১৫ রকম ভর্তার রেসিপি

 ❤️১৫ রকম ভর্তার রেসিপি❤️


১)কাচা কলার খোসা ভর্তা___


👉উপকরণ___

২ টি কাঁচা কলার খোসা

৮-১০ কোয়া রসুন

৫-৬ টি কাঁচা লঙ্কা

স্বাদ মত নুন

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া

৩-৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল

ফোঁড়নের জন্য

১ টেবিল চামচ কালোজিরা

১-২ টি শুকনো লঙ্কা


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী ____


👉 কাঁচা কলার খোসা সিদ্ধ করে নিতে হবে যাতে কালো জল বেরিয়ে যায়।


👉 তারপর খোসা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা একসঙ্গে বেটে নিতে হবে।কড়াই এ তেল গরম করে ফোঁড়ন দিন ও মিশ্রন টি ঢেলে দিন।


👉 তারপর নুন হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন।


👉 মাখামাখা হলে নামিয়ে নিন ও গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।


২) 🍀👉 টমেটো ও বেগুন ভর্তা____


👉 উপকরণ____


১ টা বেগুন

১ টা টমেটো

২ টা শুকনো লঙ্কা

২ টা কাঁচা লঙ্কা

২ টা পেঁয়াজ কুচি

১টেবিল চামচ সর্ষের তেল

স্বাদ মত নুন


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে টমেটো ও বেগুন ভালো করে ধুয়ে সর্ষের তেল মাখিয়ে রাখুন।


👉 টমেটো ও বেগুন গ্যাসে ভালো করে পুড়িয়ে নিন। ভালো করে পরিষ্কার করে একটা পাত্রে রাখুন।


👉 টমেটো ও বেগুন পরিস্কার করে একটা পাত্রে রাখুন। সব উপকরণ একসঙ্গে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন।


👉 বেগুন ও টমেটো এর মধ্যে নুনও সর্ষের তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিন।


👉 মাখা হলে কড়াইতে দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন ।জল শুকিয়ে গেলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিন


👉 একটা প্লেটে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


৩) 🍀👉 চিকেন ভর্তা_____


👉 উপকরণ___


২৫০গ্রাম চিকেন

২ টেবিল চামচ টক দই

৬টা কাজু

১ টেবিল চামচ মগজ

১ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম

৪টি কাঁচা লঙ্কা

১/২ চা চামচ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো

স্বাদ মত নুন

১/২ চা চামচ চিনি

পরিমাণ মত হলুদ গুঁড়ো

১/২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো

১/২ চা চামচ জিরে গুঁড়ো

১ চিমটি কসুরি মেথি

১ চা চামচ বাটার

২ টো পেঁয়াজ বাটা

১ চা চামচ রসুন বাটা

১/২ চা চামচ আদা বাটা

১ টা বড় টমেটো বাটা

৫টেবিল চামচ সাদা তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী_____


👉 আদা,রসুন,পেঁয়াজ,টমেটো,কাচা লঙ্কা আলাদা ভাবে পেস্ট করে নিয়েছি।কাজু আর মগজ পেস্ট করে নিয়েছি। চিকেন গুলোকে নুন দিয়ে ৫-৭ মিনিট সেদ্ধ করে নিয়েছি।


👉 সেদ্ধ করা চিকেন গুলো টুকরো করে রেখে কড়াইয়ে সাদা তেল দিয়ে পেঁয়াজ পেস্ট দিয়ে কিছুটা কষিয়ে রসুন,আদা, কাঁচালঙ্কা পেস্ট দিয়ে কিছুক্ষন কষাতে হবে।


👉 তারপর একে একে হলুদ, জিরেগুঁড়ো,নুন,ধনে গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে নাড়িয়ে নিয়ে টমেটো পেস্ট দিয়ে আবার ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে।


👉 কষে গেলে চিকেন টুকরোগুলো দিয়ে মগজ বাটা আর আরেকটু চিকেন স্টক দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রেখে দেবো।


👉 তারপর ঢাকনা সরিয়ে কসৌরি মেথি, ফ্রেশ ক্রিম, বাটার দিয়ে একটু নাড়িয়ে নিয়ে ডিমের টুকরোগুলো দিয়ে ৪-৫ মিনিট কম আঁচে রেখে তারপর নামিয়ে নিয়ে উপরে বাটার পরিবেশন করলাম চিকেন ভর্তা


৪) 🍀👉 লোটে শুঁটকির ভর্তা____


৫ টা লটে শুঁটকি

১/২ বেগুন

২ টা পেঁয়াজ

৫ টা কাঁচা পাকা লঙ্কা

৬ কোয়া রসুন

১/২ টেবিল চামচ কাশ্মীরী লঙ্কার গুঁড়ো

স্বাদ মত নুন

৩ টেবিল চামচ সাদা তেল

১ টা শুকনো লঙ্কা

১ চা চামচ গোটা জিরে

১ চা চামচ জিরে গুঁড়ো


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী_____


👉 প্রথমে শুটকি ও সব উপকরণ একসঙ্গে সাজিয়ে রাখুন।


👉 শুটকি পরিস্কার করে নুন দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হলে জল ঝরিয়ে নিয়ে শুটকি মাছ থেঁতো করে হাফ গুড়ো করে নিন।


👉 বেগুন ধুয়ে কেটে নিন।পেঁয়াজ ও রসুন লঙ্কা সব নিন।বেগুন টা হালকা করে ভেজে নিন।


👉 কড়াই বসিয়ে ফোড়ন দিন।সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকুন।


👉 কড়াইতে শুটকি ও সব মশলা নুন,হলুদ,লঙ্কা গুড়ো,জিরে গুড়ো সব দিয়ে ভালো কষিয়ে নিয়ে সামান্য জল দিয়ে ঢেকে রাখুন চুলার আঁচ কম রেখে।


👉 ৩ থেকে ৪ মিনিট পরে ঢাকনা খুলে ভালো করে নেড়ে থাকুন ।নাড়তে নাড়তে সব মিক্স করে দিতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে নাড়তে নাড়তে শুটকি একটা মন্ড মতো হয়ে যাবে।তখন চুলার আঁচ বন্ধ  করে দিন।


👉 শুটকি হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


৫) 🍀👉 কালো জিরা ভর্তা___


👉 উপকরণ___


১/২ কাপ কালো জিরা

টি কাঁচা মরিচ ৩

টি শুকনো মরিচ ৩

১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি

টি রুসুন ১

লবণ স্বাদ মতো


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 চুলার আঁচ বাড়িয়ে রেখে একটি প্যানে আধা কাপ পরিমাণ কালোজিরা দিয়ে নাড়তে থাকুন।


👉 কালো জিরার থেকে সুগন্ধ বের না হওয়া পর্যন্ত এটা ভাঁজতে হবে। ভাঁজা হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন।


👉 এবার প্যানে এক চামচ পরিমাণ তেল গরম করে তিনটি কাঁচা মরিচের বোটা ছাড়িয়ে তেলে ঝলসে নিন।


👉 সেইসঙ্গে ৩ টি শুকনো মরিচ বোটা না ছাড়িয়ে ভেঁজে নিন। কালো জিরা ভর্তায় অনেকেই ঝাল বেশি দিয়ে থাকে।


👉 এবার আধা কাপের মতো পেঁয়াজ ও একটি রসুনের কোঁয়া দিয়ে ভেঁজে নিন। এবার একটি মিক্সারে ভাঁজা কালো জিরা ঠান্ডা অবস্থায় ভালো করে গ্রান্ড করে নিন।


👉 তারপর শুকনো মরিচ, ভাজা কাঁচা মরিচ ও ভেঁজে রাখা পেঁয়াজ রসুনগুলো মিক্সারে নিয়ে সঙ্গে গুঁড়ো করা কালো জিরা ও আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে গ্রান্ড করে নিন।


👉 আপনি চাইলে শিল পাটায় বেটেও নিতে পারেন। এই ভর্তায় আলাদাভাবে তেল দেয়ার প্রয়োজন দরকার নেই। কারণ কালো জিরায় আলাদা একটা তেল থাকে, আর মসলাগুলো সব তেলে ভেঁজে নেয়া হয়েছে।


👉 এবার হাতে সামান্য তেল মাখিয়ে ভর্তার ছোট ছোট বল বানিয়ে পরিবেশন করুন। এভাবে খুব সহজেই স্বাস্থ্যসম্মত কালোজিরা ভর্তা তৈরি করে নিতে পারেন।


৬) 🍀👉 নিরামিষ বেগুন ভর্তা_____


👉উপকরণ___


১টি লম্বা সাইজের বেগুন

১টেবিল চামচ সরষের তেল

স্বাদ মত লবণ

১ চা চামচ ধনে পাতা কুচি

১ টা বড়ো সাইজের কাঁচা লঙ্কা

১/২ মাঝারি সাইজের পেয়াঁজ


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে গোটা বেগুন টা খুব ভালো করে ধুয়ে নিন, তারপর বেগুনটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।


👉 গ্যাস ওভেন  মাঝারি আঁচে বেগুন পুড়িয়ে নিন ভালো করে।


👉 তারপর বেগুন পড়ানো হলে অন্য একটি পাত্রে রেখে  পুরো ঠাণ্ডা করে নিন। পোড়া খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে চটকে চটকে ভর্তা করে নিন। পেয়াঁজ কুচানো, ধনে পাতা, স্বাদ মতো লবণ ও কাঁচা লঙ্কা কুচিয়ে মাখিয়ে নিন সুন্দর করে।


👉 তাহলেই বেগুন ভর্তা বানানো কমপ্লিট।পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


৭) 🍀👉 ফুলকপির পাতার ভর্তা____


👉 উপকরণ___


৩ মুঠো ফুলকপির পাতা

২ মুঠোর থেকে একটু বেশি কচি মূলোর শাক

৩-৪ টে ধনেপাতার ডাল

৮-৯ টা রসুন কোয়া

৭-৮ টা কাঁচালঙ্কা

১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

স্বাদ মত লবণ

১/৪ চা চামচ চিনি

১/২ চা চামচ কালোজিরে

৫-৬ টেবিল চামচ সর্ষের তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী _____


👉 সবার আগে কপির পাতা ও মূলোর শাক বেছে নিয়ে একটু ছোট করে কেটে ধুয়ে নিন। ধনেপাতা গোঁড়া বাদ দিয়ে ধুয়ে নিয়ে সবকিছু জল ঝরিয়ে নিন। বাকি সব হাতের কাছে জোগাড় করে নিবেন।


👉 এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে বেশ কিছুটা জল দিয়ে কুচিয়ে ধুয়ে রাখা কপি পাতা ও মুলোর শাক দিয়ে খুন্তি দিয়ে নেড়ে ঢাকা দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ৬/৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন।


👉 ৬ মিনিট পর জল ছেঁকে ঠান্ডা করে নিয়ে কপি পাতা মূলোর শাক রসুন কাঁচালঙ্কা আর ধনেপাতা একসঙ্গে গ্রাইন্ডার জারে নিয়ে একদম মিহি পেস্ট করে নিন।


👉 এবার আবার চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে ৩০ সেকেন্ড মতো নাড়াচাড়া করে সুগন্ধি ছাড়লে পাতা ও শাকের পেস্ট টা দিয়ে দিন।


👉 একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে পরিমাণ মতো নুন, হলুদ আর চিনি দিয়ে ঢিমে আঁচে রান্না করেছি ততক্ষণ, যতক্ষণ না পাতা পেস্ট থেকে তেল না ছেড়েছে বা কড়াই এর গা ছেড়েছে


👉 কড়াই এর গা ছেড়ে দিলে বা একদম শুকনো শুকনো হয়ে এলে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।


৮) 🍀👉 মিষ্টি কুমড়া ভর্তা____


👉 উপকরণ___


১০০ গ্রাম কুমড়ো

১টি কাঁচা পেঁয়াজ

১.৫ চা চামচ সরষের তেল

স্বাদ মত লবণ

১টি কাঁচা লঙ্কা


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 কুমড়ো ছোট টুকরো করে কেটে অল্প নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।


👉 কাঁচা পেঁয়াজ ও লঙ্কা মিহি করে কুচি কুচি করে নিন।


👉 এরপর একটি পাত্রে সেদ্ধ করা কুমড়ো কাঁচা লঙ্কা পেঁয়াজ নুন সর্ষের তেল দিয়ে কুমড়ো ভালো করে হাত দিয়ে চটকে মেখে নিন।


👉 এরপর গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন কুমড়োর ভর্তা।


৯) 🍀👉 বেগুন ভর্তা____


👉 উপকরণ___


১ টা বেগুন

১ টা টমেটো

২ টো কাঁচা মরিচ

১ টা পেঁয়াজ কুচি

১ চা চামচ পাঁচফোড়ন

১/৪ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো

১/৪ চা চামচ আদা রসুন বাটা

১/৪ চা চামচ ধনে গুঁড়ো

১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

স্বাদ মত নুন ও চিনি

পরিমাণ মত তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 বেগুন ও টমেটো গায়ে একটু তেল লাগিয়ে গ্যাসের চুলায় ভাল করে পুড়িয়ে নিন।


👉 টমেটো ও বেগুন পড়ানো হলে একটু ঠাণ্ডা হলে, ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবারে একসাথে টমেটো ও বেগুন হাত দিতে মেখে নিন।


👉 তেল গরম করে তাতে পাঁচ ফোড়ন ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে ভাজুন।


👉 চটকে রাখা বেগুন ও টমেটো  দিয়ে দিন এবং ভাল করে ভাজুন নুন হলুদ দিয়ে ভেজে মশলা গুঁড়ো ও চিনি দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।


👉 এবারে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।


১০) 🍀👉 লাউ এর পাতার ভর্তা___


👉 উপকরণ___


৫ টা কচি লাউ পাতা

৭কোয়া রসুন

১ চা চামচ কালো জিরে

স্বাদ অনুযায়ী নুন

২ টো শুকনো লঙ্কা

৪ টে কাঁচা লঙ্কা

১টেবিল চামচ সর্ষের তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে লাউ পাতা ভালো করে ধুয়ে নুন জলে ভিজিয়ে রাখুন। জল ঝরিয়ে নিয়ে ভালো করে কুচিয়ে নিন।


👉 গ্যাস জ্বালিয়ে একটা কড়াই বসিয়ে গরম হলে তেল দিয়ে ভালো করে কালো জিরে,শুঁকনো লঙ্কা,রসুন কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে ভাজতে নিন।


👉 রসুন কুচি ও অন্য মসলা ভাজা হলে পাতা দিয়ে একটু নেড়ে ঢেকে রাখুন, জল শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত।


👉 জল শুকিয়ে গেলে স্বাদ অনুযায়ী নুন দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন।


👉 ভাজা হলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিয়ে, একটু ঠাণ্ডা হলে এবার মিক্সতে পেষ্ট করে নিন।


👉 চুলায় কড়াই বসিয়ে আবার একটু তেল দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে।একটা পাত্রে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।


১১) 🍀👉 টমেটো ভর্তা___


👉উপকরণ___


২টো মাঝারি টমেটো

১টা বড় পেঁয়াজ কুচি

২টো কাঁচালঙ্কা কুচি

৪-৫টা রসুনের কোয়া

স্বাদ মত নুন

২ চা চামচ সর্ষের তেল

পরিমাণ মত ধনেপাতা কুচি


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে কড়াই চুলায় বসিয়ে তেল দিয়ে কেটে রাখা টমেটো আর রসুনের কোয়া গুলো দিয়ে দিন।তারপর ঢাকা দিয়ে ৩-৪মিনিট রাখুন।ঢাকা খুলে আবার একটু উল্টে দিন আরেক দিক।এই ভাবে টমেটো টা সেদ্ধ হলে নামিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।


👉 আবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি দিয়ে একটু নেড়ে নিন।আমি এখানে শুকনো লঙ্কা ব্যবহার করিনি।আপনারা চাইলে ব্যবহার করতে পারেন।


👉 এবার টমেটোর মিশ্রন টা দিয়ে নাড়তে থাকুন।স্বাদ মতো নুন ও ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে ভালো ভাবে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরী টমেটোর ভর্তা।চটপটা টেস্ট।ভীষন ভালো লাগে।


১২) 🍀👉 মুসুর ডাল ভর্তা____


👉 উপকরণ___


১ কাপ মুসুর ডাল

১টি ছোটো পেঁয়াজ কুচি

১কোয়া রসুন

১টি শুকনো লংকা

১চা চামচ ধনেপাতা কুচি

১টি কাঁচা লংকা

স্বাদমতো নুন

২চা চামচ সর্ষে তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে মুসুর ডাল নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।


👉 একটি প্যান চুলায় বসিয়ে তেল গরম করে শুকনো লঙ্কা আর রসুন দিয়ে একটু ভেজে নিন।


👉 ডাল সেদ্ধ হয়ে জল শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে ভাজা শুকনো লঙ্কা, রসুন, পিয়াজ, ধনেপাতা, নুন,কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভালো করে মেখে নিন ।


👉 মাখা হয়ে গেলে উপর থেকে সরষে তেল ছড়িয়ে দিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।


১৩) 🍀👉 ডিম আলু ভর্তা____


👉 উপকরণ___


৩ টে সেদ্ধ আলু

২ টো ডিম সেদ্ধ

১ টা বড় পেঁয়াজ কুচি

১ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা কুচি

২ টেবিল চামচ টমেটো কুচি

২ টো গোটা শুকনো লঙ্কা

স্বাদ মত নুন

২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে সিদ্ধ আলু পরিষ্কার হাতে খুব ভালো করে মেখে নিন।


👉 সিদ্ধ ডিম টাকে হাত দিয়ে কুচি কুচি করে নিন।


👉 এবারে ফ্রাইং প্যানে ১ চাচামচ সর্ষের তেল গরম করে তাতে গোটা শুকনো লঙ্কা এবং অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি দিয়ে লাল করে ভেজে নিন, তারপর তাতে টমেটো কুচি দিয়ে আবারও মিডিয়াম আঁচে রেখে ১  মিনিট মতো নেড়ে নিন।


👉 শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি এবং টমেটো কুচি লাল করে ভাজা হলে নামিয়ে নিন একটা প্লেটে এবং তাতে স্বাদমতো লবণ দিয়ে আগে ভালো করে শুকনো লঙ্কা টাকে মেখে নিন।


👉 এবার মেখে রাখা আলু ও ডিম , কাঁচা লঙ্কা কুচি এবং ভাজা শুকনো লঙ্কা মাখা দিয়ে খুব ভালো করে সমস্ত টা মেখে নিন।


👉 সমস্ত মাখা হয়ে গেলে উপর থেকে কাঁচা সর্ষের তেল দিয়ে আবারও ভালো করে মেখে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।


১৪) 🍀👉 চিংড়ি মাছ ভর্তা___


👉 উপকরণ___


১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ

৪ টে কাঁচা লঙ্কা

২ টো শুকনো লঙ্কা

১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো

স্বাদ মত নুন

১টেবিল চামচ সর্ষের তেল

১টেবিল চামচ সাদা তেল

২ টা পেঁয়াজ কুচি

৭ টা রসুন কোয়া


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 প্রথমে মাছ ধুয়ে ভালো করে বেছে নিয়ে একটা প্লেটে সজিয়ে নিন।সব উপকরণ একসঙ্গে সাজিয়ে নিতে হবে।


👉 চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে গরম হলে চিংড়ি মাছ গুলো সব উপকরণ দিয়ে নুন,হলুদ,দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন।


👉 ভালো করে ভেজে নিয়ে একটা বাটিতে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন ।ঠান্ডা হলে মিক্স তে ঢেলে নিয়ে পেষ্ট বানিয়ে নিন।


👉 চুলায় কড়াই বসিয়ে পেষ্ট টা দিয়ে ভালো করে নাড়তে নাড়তে বেশ মাখো মাখো করতে হবে।সর্ষের তেল দিয়ে ভালো করে নেড়ে নেড়ে একটা মন্ড মতো করে নিন।


👉 চিংড়ি ভর্তা হয়ে গেলে একটা প্লেটে নামিয়ে গরম গরম ভাতে পরিবেশন করুন।


১৫) 🍀👉 শিম ভর্তা____


👉 উপকরণ___


২০০ গ্রাম শিম

১/২ কাপ নারকেল কোরা

২/৩ টে কাঁচা মরিচ

২ টেবিল চামচ সর্ষে

১ টেবিল চামচ পোস্তদানা

স্বাদ মত নুন ও চিনি

পরিমাণ মত তেল


🍀👉 প্রস্তুত প্রণালী____


👉 শিম ও ধনে পাতা কুচি করে কেটে নিন।


👉 ব্লেন্ডারে নারকেল কোরা কাঁচা মরিচ,সর্ষে, পোস্ত ও শিম, ধনেপাতা দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন


👉 চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে তাতে কালো জিরা ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে নেড়ে বাটা শিম দিয়ে দিন এবং ভাল করে কষিয়ে নিন নুন হলুদ দিয়ে।


👉 সব শেষে চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিন এবং কাঁচা তেল দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন এবং  সিম ভর্তা পরিবেশন করুন।


মসজিদে নামাজ পড়ার ফযীলত",,,,,,,

 "মসজিদে নামাজ পড়ার ফযীলত"


১। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে গমন করে, আল্লাহ তার জন্য আপ্যায়ন সামগ্রী জান্নাতের মধ্যে প্রস্তুত করেন। সে যতবার সকাল অথবা সন্ধ্যায় যাওয়া আসা করে, আল্লাহও তার জন্য ততবার আতিথেয়তার সামগ্রী প্রস্তুত করেন।” (বুখারী-মুসলিম) 


২।আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি বাড়ি থেকে ওযু করে আল্লাহর কোনো ঘরের দিকে এই উদ্দেশ্যে যাত্রা করে যে, আল্লাহর নির্ধারিত কোনো ফরয ইবাদত (নামায) আদায় করবে, তাহলে তার কৃত প্রতি দুইটি পদক্ষেপের মধ্যে একটিতে একটি করে গুনাহ মিটাবে এবং অপরটিতে একটি করে মর্যাদা বৃৃদ্ধি করবে"(মুসলিম)


৫/১০৬৪। আবূ মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “(মসজিদে জামাতসহ) নামায পড়ার ক্ষেত্রে, সেই ব্যক্তি সর্বাধিক বেশী নেকী পায়, যে ব্যক্তি সব চাইতে দূর-দূরান্ত থেকে আসে। আর যে ব্যক্তি (জামাতের সাথে) নামাযের অপেক্ষা না করেই একা নামায পড়ে শুয়ে যায়, তার চাইতে সেই বেশী নেকী পায়, যে নামাযের জন্য প্রতীক্ষা করে ও ইমামের সাথে জামাত সহকারে নামায আদায় করে।”(বুখারী, মুসলিম)


৬/১০৬৫। বুরাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রাত্রির অন্ধকারে মসজিদে যাতায়াতকারী লোকদেরকে কিয়ামতের দিনে পরিপূর্ণ জ্যোতির শুভ সংবাদ জানিয়ে দাও।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী)

ভাগ্যিস বিজ্ঞান এসব আবিষ্কার করেছিল; নইলে জানাই যেত না যে কোরানে আগেভাগেই এতকিছু বলা আছে!!!

 ভাগ্যিস বিজ্ঞান এসব আবিষ্কার করেছিল; নইলে জানাই যেত না যে কোরানে আগেভাগেই এতকিছু বলা আছে!!!

১ – বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

২ – বিজ্ঞান মাত্র দুশো বছর আগে জেনেছে

চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষ পথে ভেসে চলে... সূরা

আম্বিয়া ৩৩ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

৩ – সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে; মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। যা আজ প্রমাণিত।

৪ - ‘ বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় মাত্র

চল্লিশ বছর আগে। সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

৫ – পানি চক্রের কথা বিজ্ঞান জেনেছে বেশি দিন হয় নি... সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

৬ – বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে লবণাক্ত পানি ও মিষ্ঠি পানি একসাথে মিশ্রিত হয় না। সূরা ফুরকানের ২৫ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

৭ – ইসলাম আমাদেরকে ডান দিকে ফিরে ঘুমাতে উৎসাহিত করেছে; বিজ্ঞান এখন বলছে ডান দিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট সব থেকে ভাল থাকে।

৮ – বিজ্ঞান এখন আমাদের জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত দেহ কবর দেয়, এদের বাজার পদ্ধতি আছে। কুরআনের সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮ নং আয়াতে এই বিষয়ে ধারণা দেয়।

৯ – ইসলাম মদ পানকে হারাম করেছে , চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে মদ পান লিভারের জন্য ক্ষতিকর।

১০ – ইসলাম শুকরের মাংসকে হারাম করেছে। বিজ্ঞান আজ বলছে শুকরের মাংস লিভার, হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

১১- রক্ত পরিসঞ্চালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন এর ব্যাপারে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান জেনেছে মাত্র কয়েক বছর আগে। সূরা মুমিনূনের ২১ নং আয়াতে কুরআন এই বিষয়ে বর্ণনা করে গেছে।

১২ - মানুষের জন্ম তত্ব ভ্রুন তত্ব সম্পর্কে

বিজ্ঞান জেনেছে এই কদিন আগে। সূরা আলাকে কুরআন এই বিষয়ে জানিয়ে গেছে ১৪০০ বছর আগে।

১৩ - ভ্রন তত্ব নিয়ে বিজ্ঞান আজ জেনেছে

পুরুষই ( শিশু ছেলে হবে কিনা মেয়ে হবে) তা নির্ধারণ করে। ভাবা জায়... কুরআন এই কথা জানিয়েছে ১৪০০ বছর আগে।

( সূরা নজমের ৪৫, ৪৬ নং আয়াত, সূরা

কিয়ামাহ’র ৩৭- ৩৯ নং আয়াত)

১৪ - একটি শিশু যখন গর্ভে থাকে তখন সে আগে কানে শোনার যোগ্যতা পায় তারপর পায় চোখে দেখার। ভাবা যায়?

১৪০০ বছর আগের এক পৃথিবীতে ভ্রুনের বেড়ে ওঠার স্তর গুলো নিয়ে কুরআন বিস্তর আলোচনা করে। যা আজ প্রমাণিত !

( সূরা সাজদাহ আয়াত নং ৯ , ৭৬ এবং সূরা ইনসান আয়াত নং ২ )

১৫ – পৃথিবী দেখতে কেমন? এক সময় মানুষ মনে করত পৃথিবী লম্বাটে, কেউ ভাবত পৃথিবী চ্যাপ্টা, সমান্তরাল... কোরআন ১৪০০ বছর আগে জানিয়ে

গেছে পৃথিবী দেখতে অনেকটা উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।

১৬ – পৃথিবীতে রাত এবং দিন বাড়া এবং কমার রহস্য মানুষ জেনেছে দুশ বছর আগে। সূরা লুকমানের ২৯ নং আয়াতে কুরআন এই কথা জানিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে !!

......আমাদের সমস্যা হল আমরা সব কিছুই জানি... যারা নাস্তিক তারাও জানে... পার্থক্য টা হল ' বোধ' যেমন ধরুন একজন নেশাকর জানে যে নেশা করলেই তার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, যে ছেলে বাবা কে খুন

করেছে সে জানে যে এই মানুষটি তাকে জন্ম

দিয়েছে... সব জেনে শুনেই আমরা সব থেকে খারাপ কাজ গুলো করি... ব্যাপারটা অজ্ঞানতার না ব্যাপারটা ' বোধ' এর।

... আপনার এই বোধটা থাকতে হবে

--- সবার কাছে অনুরোধ শেয়ার করতে ভুলবেন না প্লিজ,কারন এটা আপনার পবিত্র দ্বায়িত্ব। আল্লাহ্ বলেন.. ঐ ব্যাক্তির কথার চেয়ে কার কথা উওম যে নিজে সৎকর্ম করে এবং অন্যকে সৎকর্মের জন্য আহবান করে।____ সূরা হা-মিম সিজদাহ্--(৩৩)......। নবী সা.বলেন. আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল ব্যাক্তি তিনি,যে কোন বিষয়ে জানলো এবং অন্যকে তা জানালো.....( বায়হাকী)(সংগৃহীত)


শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ - ১১-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ - ১১-১০-২০২৪

আজকের সংবাদ শিরোনাম


‘রিসেট বাটন’ চাপার অর্থ দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে নতুনভাবে শুরু করা --- স্পষ্ট করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

          

দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমী আজ --- শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

          

জনগণের অধিকার রক্ষা ও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর --- বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

        

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলের সহযোগিতা চাইলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।

        

লিবিয়া থেকে গতকাল দেশে ফিরেছেন আটকেপড়া আরও দেড়শো জন প্রবাসী বাংলাদেশী।

      

গাজায় হাসপাতালগুলোতে হামলার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ জাতিসংঘের।

       

এবং শারজায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।

বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

তুমি যাকেই বিয়ে করো না কেন,. তার খুঁত থাকবেই,,,,,,,৷

 ১: তুমি যাকেই বিয়ে করো না কেন,. তার খুঁত থাকবেই। নিখুঁত কোনো মানুষ মানবেতিহাসে জন্মায়নি.। দাম্পত্যসাথীর খুঁতের দিকে তাকিয়ে থাকলে, তার যোগ্যতাকে তুমি দেখতে পাবে না .কোনোদিনই।


তোমার এই বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়.।


০২.

প্রত্যেক মানুষেরই অতীত-গল্প আছে.। ভালোমন্দ মিলিয়েই তার অতীতের ইতিহাস। দাম্পত্যসাথীর অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে, দাম্পত্যের. বর্তমানকে হারিয়ে ফেলবে তুমি.।


তোমার এই বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়.।


০৩.

প্রত্যেক দাম্পত্যই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হবে রোজই। দাম্পত্য ফুলবাগানও নয়, .যুদ্ধক্ষেত্রও নয়। ল্যভ-ম্যারেজ বা সেটল্ড, যে-প্রক্রিয়াতেই সংসারটি তৈরি হোক না কেন, নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা থাকবেই। প্রক্রিয়ার দোষ নয় এটি, দাম্পত্যজীবনই এরকম.। এই সমস্যাগুলোকে দু'জনে মিলে সমাধানে এগিয়ে যাওয়াটাই দাম্পত্যপ্রেম। দাম্পত্য-সমস্যায় পরস্পরকে দোষারোপ দাম্পত্যের অপমান.।


দাম্পত্য-সমস্যায় সংসারসাথীকে দোষারোপ করার বদভ্যাস থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়.।


০৪.

প্রত্যেক দাম্পত্যই আলাদা.। নিজের সংসারের সাথে অন্য সংসারের তুলনা কোরো না.। কোনো সংসারই ব্যর্থ নয়, প্রত্যেক সংসারই নিজের যোগ্যতার নিরিখে সফল। অন্যের সংসারের জৌলুসকে সুখ ভেবে নিয়ে, নিজের সংসারকে অসুখের আখড়ায় পরিণত কোরো না.। 


পরিশ্রমহীন এই পরশ্রীকাতরতার বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়.।


০৫.

সংসার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অর্থ হলো.─ তুমি তোমার জীবন থেকে সংসার-বিরুদ্ধ ভাবনা ও অভ্যাসগুলি চিরতরে বর্জন করার. সিদ্ধান্ত নিচ্ছ। উল্লিখিত সংসার-বিরুদ্ধ অভ্যাসগুলি─.

ক. মূর্খতা,.

খ. উচ্ছৃঙ্খলতা,.

গ. শৃঙ্খলাহীনতা,.

ঘ. পরচর্চা,.

ঙ. পরশ্রীকাতরতা,.

চ. তৃতীয় পক্ষের কথায় বিশ্বাস,.

ছ. আলস্য,.

জ. অশ্রদ্ধা,.

ঝ. প্রেমহীনতা,.

ঞ. ভাষার বাজে ব্যবহার,.

ট. বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা,.

ঠ. পারস্পরিক আলাপে অনীহা।.


উল্লিখিত বদভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করতে না-পারলে, সংসার তোমার জন্য নয়.।


০৬.

নিখুঁত দাম্পত্যজীবন বলে কিছু নেই.। রেডিমেড সংসার বলে কিছু নেই। শর্টকাট দাম্পত্যসুখ বলে কিছু নেই.। সংসার অর্থ─ দু'টি মানুষের একইমাত্রার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস, প্রেম, এবং উভয়ের সর্বোচ্চ শ্রমের সমষ্টি। দাম্পত্যজীবন হলো সেই .চারাটি, যাকে নিয়মিত পরিচর্যা করলে একটি মহীরুহে পরিণত হবে একসময়; পরিচর্যা না-করলে, ধুঁকতে-ধুঁকতে, .দ্রুতই মরে যাবে।


তুমি যদি পরিচর্যার মানসিকতাহীন একজন খামখেয়ালি ব্যক্তি হয়ে থাকো,. সংসার তোমার জন্য নয়।


০৭.

সংসার ও আর্থিক সক্ষমতা পরস্পরের .পরিপূরক। সংসার রক্ষা করার জন্য, সংসার শুরু করার আগেই তোমাকে উপার্জনের ব্যবস্থা করতে হবে। উপার্জন ছাড়া সংসার করার ভাবনাটিই তামাশা।. এ অপরাধ। আর, উপার্জনের ব্যবস্থা নিশ্চিত থাকলে, তবে, সংসার শুরু করার আগে, কখনোই উদ্বিগ্ন হয়ো না─ .এই উপার্জনে সংসার আমি রক্ষা করতে পারবো কিনা! নিজের যোগ্যতার চেয়ে বেশি যোগ্য, নিজের .অবস্থানের চেয়ে বেশি উচ্চ অবস্থানের, কারও সাথে দাম্পত্য করতে যেয়ো না; কাছাকাছি সামাজিক অবস্থানের ও মানসিকতার দু'জন মানুষের দাম্পত্যে .আর্থিক চাহিদা সমস্যা ঘটায় না। সংসার মানেই আর্থিক বিবেচনা, এবং সংসার মানেই ঝুঁকি নেওয়ার চ্যালেঞ্জ.।


এই ঝুঁকি নেওয়ার সাহস না-থাকলে, .সংসার তোমার জন্য নয়।


০৮.

প্রেমভালোবাসাহীন সংসার একটি. অভ্যাসমাত্র। এই অভ্যাস একসময় পরিণত হয় দাসত্ব. ও মালিকানায়। এই পরিস্থিতির নামই─ চুক্তি। এই চুক্তির, বাজারে পরিণত হতে বেশি সময় লাগে না। বাজারেই থাকে গণিকালয়। অর্থাৎ, প্রেমভালোবাসাহীন. সংসার চুক্তিভিত্তিক গণিকাবৃত্তি মাত্র। এসব সংসারে, ডিভোর্স না-হওয়া মানে এই নয় যে─ এরা সুখী; .কারণ─ ডিভোর্স সবসময় কাগজেকলমে হয় না, ডিভোর্স মূলত আরম্ভ হয় মনে, এবং চিরকাল মনের ভিতরেই এই ডিভোর্স ঘৃণার সাথে রয়ে যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই.।


তুমি যদি প্রেমহীন হয়ে থাকো, .সংসার তোমার জন্য নয়।


০৯.

সংসার আরম্ভ করার আগেই,. অতীতের তৃতীয় কারও প্রেমকে, বান্ধবকে, হারানো প্রেমস্মৃতিকে, চিরতরে অতীতেই ফেলে আসতে হবে। বর্তমান দাম্পত্যসাথীর সাথে প্রতারণার আরেক নাম─ .প্রাক্তন প্রেমসাথীকে মনের ভিতরে জিইয়ে রাখা।


এ বদভ্যাস পরিত্যাগ করতে না-.পারলে, সংসার তোমার জন্য নয়।


১০.

সংসার করো। সংসারই পরিপূর্ণতা.। কিন্তু, সংসার তখনই কোরো, যখন তুমি সংসার করার যোগ্য হয়ে উঠবে। অন্যথায়, আরেকটি .মানুষের সুন্দর জীবনটিকে নষ্ট করে দিয়ো না।

ভালো লাগলে শেয়ার দিবেন

#সংগৃহীত

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...