এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫

একটি চাকরীর বিজ্ঞপ্তি

 জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


★ পদের নামঃ এস.আর

★ কোম্পানিঃ নাবিল  গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।

★ পন্যঃ  ফুডেলা সয়াবিন তেল, 

ফুডেলা সরিষা তেল,

ফুডেলা  মুশুর ডাল, 

ফুডেলা আটা,ময়দা,সুজি 

ফুডেলা  চিনিগুড়া চাল।

ফুডেলা মিনিকেট চাল, আাটাশ চাল, নাজিরশাইল  চাল, এবং ফুডেলা বাংলামতি চাল,

ফুডেলা ঘি, 

বেতনঃ ১২০০০ হাজার।

টিএডিএ:৫০০০ -৬৫০০ হাজার।

মোবাইল বিল ১০০০ টাকা। 

★ ইনসেন্টিভঃ২০০০-৫৫০০/-বিক্রয় লক্ষমাত্রা অর্জন স্বাপেক্ষে

★ অভিজ্ঞতাঃ

 FMCG বিক্রয়ে কমপক্ষে ২ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

★ কর্মস্থলঃ নওগাঁ সদর  ।    


★বয়স সর্বোচ্চ ৩০/৩৫ বছর।

★ শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ নূন্যতম HSC পাস হতে হবে।


১।উক্ত এলাকায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।


২।এইচএসসি এবং এসএসসি পাশের সনদ থাকতে হবে।


৩। জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।


★ বোনাসঃ বছরে ২টি

★ বছর শেষে বেতন বৃদ্ধি

★পারফরমেন্স অনুযায়ী পদন্নোতির সুযোগ আছে।

বিদ্র: রাহুল আটা, বসুন্ধরা আটা,ফ্রেশ আটা,তীর আটা, নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিগণ বেশি অগ্রাধিকার পাবেন। 


★নোটঃ উপরের শর্তাবলীর ঘাটতি রয়েছে এমন প্রার্থীদের যোগাযোগ না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


যোগাযোগঃ

(ASM)

মোবাইল- 01329671901


https://drive.google.com/drive/folders/1hr14di9ylOLiaMNA5ORWEIhopKyC3I55

পায়ের তলায় তেল লাগানোর উপকারিতা

 পায়ের তলায় তেল লাগানোর উপকারিতা


১। একজন মহিলার নানার ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু তার পিঠ বাঁকা হয়নি, গাঁটে ব্যথা হয়নি, মাথা ব্যথা বা দাঁতের সমস্যা হয়নি। তিনি বলেছিলেন, "কলকাতায় রেললাইনের কাজ করার সময় একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি আমাকে শিখিয়েছিলেন যে, ঘুমানোর আগে পায়ের তলায় তেল লাগালে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে।"


২। একজন ছাত্র জানিয়েছে, তার মায়ের পরামর্শে সে তেল লাগানোর অভ্যাস করেছিল। তার মায়ের দৃষ্টিশক্তি একসময় কমে গিয়েছিল, কিন্তু তেল লাগানোর মাধ্যমে ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।


৩। এক ব্যবসায়ী চিত্রালে একবার ঘুমাতে না পারায় এক বৃদ্ধ রাত্রিকালীন প্রহরী তাকে পায়ের তলায় তেল লাগানোর পরামর্শ দেন। ফলস্বরূপ, তিনি গভীর ঘুমে ঢলে পড়েন।


৪। ঘুমানোর আগে পায়ের তলায় তেল লাগালে ক্লান্তি দূর হয় এবং গভীর ঘুম আসে।


৫। আমার পেটের সমস্যাও পায়ের তলায় তেল লাগানোর মাধ্যমে দুই দিনের মধ্যে সেরে গেছে।


৬। তেল লাগানোর এই অভ্যাসে সত্যিই জাদুর মতো কাজ করে!


৭। আমি ১৫ বছর ধরে এটি করছি। আমার সন্তানদেরও পায়ের তলায় তেল লাগাই, এতে তারা সুস্থ থাকে।


৮। পায়ে ব্যথা ছিল, তেল লাগিয়ে ব্যথা দূর হয়েছে।


৯। পায়ের ফোলাভাবও মাত্র দুই দিনে কমে গেছে।


১০। এটি ঘুমের ওষুধের থেকে ভালো কাজ করে।


১১। একজন থাইরয়েড রোগী তেল লাগানোর অভ্যাসে ধীরে ধীরে সুস্থতা লাভ করেছেন।


১২। বয়স ৯০-এর এক হাকিম আমাকে বাওয়াসিরের চিকিৎসায় তেল লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। এটি শুধু বাওয়াসিরই নয়, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং শরীরের ক্লান্তিও দূর করেছে।


পদ্ধতি

রাতে ঘুমানোর আগে সরিষার তেল, জলপাই তেল বা যে কোনো তেল পায়ের তলায় ২-৩ মিনিট ধরে ভালোভাবে মালিশ করুন। শিশুদেরও এই অভ্যাস গড়ে তুলুন।


প্রাচীন চীনা চিকিৎসা মতে, পায়ের নিচে প্রায় ১০০টি এক্যুপ্রেশার পয়েন্ট রয়েছে, যেগুলো মালিশের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখে।


শেয়ার করুন:

এই সহজ অথচ কার্যকর পদ্ধতিটি সবার সাথে শেয়ার করুন। এটি আপনার জন্য সওয়াবের কাজ হবে।


আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন।


মুফতী মুহাম্মাদ আলী কাসেমী 

২৮/০১/২০২৫ ঈসায়ী

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ৩০-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ৩০-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


দেশের গণমাধ্যম এখন নজিরবিহীন স্বাধীনতা ভোগ করছে -বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


আওয়ামী লীগের পতাকাতলে কেউ বিক্ষোভ করলে আইনের মুখোমুখি হতে হবে -  মন্তব্য প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের।


আগামী ১৭ থেকে ২০শে ফেব্রুয়ারি নতুনদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে বিজিবি-বিএসএফ এর মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন - জোর তাগিদ দেয়া হবে সীমান্তে গুলি চালানো বন্ধের - বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামীকাল শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব - নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী।


জনগণের পক্ষ থেকে আসা প্রশ্ন নিয়েই ৩১ দফা প্রস্তুত করা হয়েছে, সব সংকটে দেশের মানুষের পাশে আছে বিএনপি - বললেন তারেক রহমান।


জুলাই আন্দোলনে চোখ ও মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরো ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলো ব্যাংককে।


যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের কিউবার গুয়ানতানামো বে-তে স্থানান্তরের ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ।  


ঢাকায় বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আজ দু’টি খেলায় পরস্পরের মোকাবেলা করবে খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্স এবং চিটাগং কিংস ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।

৯০/১০ তত্ত্ব (the 90/10 principle):,,,,,Salah Uddin Ahmed Jewel  ইভানা আলাভি ফ্যানস থেকে।

 ৯০/১০ তত্ত্ব (the 90/10 principle):


পরিস্থিতিটি ভাবুন—

আপনি ব্রেকফাস্ট করছেন পরিবারের সাথে। দুর্ঘটনাবশতঃ, আপনার কন্যা চায়ের কাপ উল্টে ফেলে দিলো আপনার অফিসিয়াল শার্টে। চিৎকার করে উঠলেন ক্রোধে আপনি, রেগেমেগে কঠিন গলায় বকাবকি করলেন কন্যাকে ওই বোকামির জন্য। কন্যা কান্নায় ভেঙে পড়লো অশ্রুসজল।


কন্যাকে ভর্ৎসনার পর, এবার আপনি ফিরলেন স্ত্রীর দিকে এবং তাকেও দু'কথা শুনিয়ে দিলেন কঠোর ভাষায়, কাপটি টেবিলের কিনারায় রাখার কারণে। ছোটখাটো একটি তর্ক হয়ে গেলো উভয়ের মধ্যে। নাশতা না-করেই ধুপধাপ উঠে গেলেন আপনি, ঘরে গিয়ে আবার কাপড় পাল্টালেন। বেরিয়ে এসে দেখলেন, কন্যা হেঁচকি তুলে কাঁদছে আর নাশতা খাচ্ছে মায়ের বকুনির তোড়ে; তার স্কুলের সময় হয়ে গেছে। স্কুল-বাস মিস করলো সে। এদিকে স্ত্রীরও কাজে বেরুনোর সময় হয়ে এসেছে। ওদেরকে ডিঙিয়ে আপনি ছুটে বেরিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলেন, কন্যা ছুটে এসে গাড়িতে বসলো; তাকে নিয়ে স্কুলের দিকে ছুটলেন আপনি। আপনার দেরি হয়ে যাচ্ছে, বিধায় ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি ছোটাচ্ছেন আপনি, যে-রাস্তায় আইনত ৬০-এর উপরে ওঠা নিষিদ্ধ। ১৫ মিনিট দেরিতে, ২ হাজার টাকা ট্রাফিক-ফাইন দিয়েটিয়ে, কন্যাকে নিয়ে স্কুলে পৌঁছতে পারলেন। আপনার কন্যা "গুডবাই" না-বলেই প্রাণপণে ছুটে চললো তার ক্লাসরুমের দিকে।


অফিসে পৌঁছলেন ৩০ মিনিট দেরিতে। ঢুকেই বুঝতে পারলেন, ব্রিফকেস আনেননি। সকালটা শুরু হলো ভয়ঙ্করভাবেই, এবং এভাবেই চলতে লাগলো পরবর্তী প্রতিটি মুহূর্ত, এমনকি আরও বাজেভাবেই সামনে আসতে শুরু করলো পরের ঘটনাগুলো। একসময় বাড়ি ফিরলেন; বুঝতে পারলেন কন্যা ও স্ত্রীর সাথে আপনার দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে উভয়দিক থেকেই। কেন? সকালে আপনার ওই প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবহারটির কারণেই।


আজ আপনার দিনটি বাজেভাবে কাটার মূল দায়টি কার?

০১. ওই চায়ের?

০২. আপনার কন্যার?

০৩. ট্রাফিক-পুলিশটির?

০৪. আপনার?


উত্তরটি হলোঃ ০৪।


চায়ের ঘটনাটিতে নিজের উপরে আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আপনার ওই ৫ সেকেন্ডের প্রতিক্রিয়াই পরবর্তী পুরো দিনটিকে প্রসব করেছে। অথচ যা হওয়া উচিৎ ছিল বা হতে পারতোঃ


চা ছলকে পড়লো আপনার উপরে। আপনার কন্যা কাঁদো-কাঁদো অবস্থা। আপনি তাকে নম্র-স্বরে বললেন— "ইটস্‌ ওকেই ব্যাটা, পরেরবার আরেকটু সতর্ক থাকবে। থ্যাঙ্কিউ।" তারপর আপনি তোয়ালে খুঁজে নিলেন, মুছে নিলেন, ঘরে ঢুকে গেলেন দ্রুত, ব্রিফকেসটি নিলেন। বেরিয়ে এসে জানলা দিয়ে দেখে নিলেন— কন্যা ঠিকমতো স্কুল-বাসে উঠলো কিনা। কন্যা বাসের জানলা দিয়ে হাত নাড়ছে আপনার প্রতি। আপনি ও স্ত্রী হাত নেড়ে বিদায়-শুভেচ্ছা জানালেন কন্যাকে। স্ত্রীকে চুমু দিলেন; একসাথে বেরিয়ে গেলেন কাজে, স্ত্রী ও আপনি। যথারীতি ৫ মিনিট আগে অফিসে প্রবেশ করলেন, সহকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় সারলেন, আপনার বস আপনাকে আসন্ন পুরো দিনটির জন্য শুভকামনা জানালেন।


পার্থক্যটি লক্ষ্য করুন। দু'টি আলাদা দৃশ্যপট। উভয় দৃশ্যই শুরু হয়েছে একইভাবে, কিন্তু শেষ হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। কেন? একমাত্র কারণ— আপনার প্রতিক্রিয়ার ধরন। প্রাত্যহিক জীবনের ১০% ঘটনার উপরে আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকা অসম্ভব, বাকি ৯০% ঘটনা ঘটে আপনার প্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ। এটিই ৯০/১০ তত্ত্ব। দ্য নাইন্টি/টেন প্রিন্সিপল।


এই ৯০/১০ তত্ত্বকে নিজের অনুকূলে রাখার গোপন কৌশল জেনে নিনঃ


আপনি যদি কেউ নিগেটিভ কিছুর কবলে পড়ে যান, স্পঞ্জ হবেন না, কাচ হবেন। সমস্যাটিকে জলের মতো গড়িয়ে পড়ে যেতে দিন আপনার বাইরে থেকেই, কাচের মতো; স্পঞ্জের মতো শুষে নেবেন না নিজের ভিতরে। নিগেটিভ কিছুকে আপনার উপরে প্রভাব ফেলতে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। রিয়্যাক্ট করুন ব্রেইন দিয়ে, শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ দিয়ে; কোনো উস্কানিতে খেলতে নেমে যাওয়ার মতো বাজে খেলোয়াড় আপনি নন। ইগনোর। ফলে, আপনার উপরে এর কোনোই প্রভাব থাকবে না পরবর্তী সময়ে। একটিমাত্র ভুল রিয়্যাকশানের কারণে আপনি হারিয়ে ফেলতে পারেন স্বজন, হয়ে যেতে পারেন বরখাস্ত, রয়ে যেতে পারেন বিপর্যস্ত, ইত্যাদি... ইত্যাদি।...


কেউ আপনাকে অপদস্ত করতে চাইলে, কীভাবে রিয়্যাক্ট করেন আপনি? মেজাজ হারিয়ে ফেলেন? সামনে যা-কিছু আছে, তাতে থাবড়া মারেন রেগেমেগে? গালাগালি করেন? অভিশাপ দেন? ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যায় সাঁইসাঁই? তাদের উপর শোধ নিতে, একটা শিক্ষা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন? এসব করতে গিয়ে আপনার আসন্ন জীবনটি তছনছ হয়ে গেলে, কিংবা এর প্রভাবে অফিসে দশ মিনিট পরে পৌঁছলে ওদের কিছুই যায়-আসে? ময়লার গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিজের যত্নের গাড়িটি কেন নোংরা করবেন?


৯০/১০ তত্ত্বটি মাথায় রাখবেন। যা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই, তাকে খোঁচাতে যাবেন না। এতে কাপুরুষতা নেই, বুদ্ধিবৃত্তি আছে। পাত্তা দিবেন না। হাওয়া। যাঃ, ধুর! আপনাকে যদি জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আপনার চাকরি আর নেই, নির্ঘুম রাত কাটাবেন? হতাশায় জেরবার হয়ে যাবেন? দুঃসময় আসেই সুসময় সামনে আছে বলে। খুঁজে নিতে হবে। আপনার মেধা, শ্রম, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আরেকটি কাজের খোঁজে বেরিয়ে পড়ুন। গাড়ি দেরিতে আসায়, ড্রাইভারকে বকেঝকে নিজের সময়টিকে কেন নষ্ট করে দেবেন? দেরিটায় তার নিয়ন্ত্রণ ছিল কিনা আপনি জানেন? অপেক্ষার সময়টায় কিছু পড়ুন, অন্য যাত্রীদের সাথে আলা-বিনিময় করুন। এতো ক্রোধ কেন থাকবে ব্রেইন-ওয়ালা মানুষের? বাজে রিয়্যাকশান জীবনকেই বাজে করে দেয়।


৯০/১০ প্রিন্সিপলটি জানা হয়ে গেলো আপনার। প্রয়োগ করুন এর বাস্তবতা; দেখবেন— এর ফলাফল কী সুন্দর!


Salah Uddin Ahmed Jewel 

ইভানা আলাভি ফ্যানস থেকে।

পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে বাকৃবির একদল গবেষক দেশীয় ব্ল্যাক বেঙ্গল ও দক্ষিণ আফ্রিকার বোয়ার জাতের সংকরায়ন করে উদ্ভাবন করেছেন একটি নতুন জাতের ছাগল, যা মাংস উৎপাদনে দ্বিগুণ কার্যকর। 

পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে বাকৃবির একদল গবেষক দেশীয় ব্ল্যাক বেঙ্গল ও দক্ষিণ আফ্রিকার বোয়ার জাতের সংকরায়ন করে উদ্ভাবন করেছেন একটি নতুন জাতের ছাগল, যা মাংস উৎপাদনে দ্বিগুণ কার্যকর। 

গবেষণা অনুযায়ী, নতুন জাতটি ব্ল্যাক বেঙ্গলের মতোই সহজে লালন-পালন করা যায়। কিন্তু বছরে পুরুষ ছাগল ২৬ কেজি ও স্ত্রী ছাগল ২৩ কেজি মাংস উৎপাদনে সক্ষম, যা ব্ল্যাক বেঙ্গলের দ্বিগুণ। পাশাপাশি, এই ছাগল বছরে পাঁচটি বাচ্চা দেয়, যার প্রতিটির বাজারমূল্য ২০-২৫ হাজার টাকা। ফলে এক বছরে একজন খামারি নতুন জাত থেকে আয় করতে পারবেন প্রায় এক লাখ টাকা, যা ব্ল্যাক বেঙ্গলের তুলনায় ৪০ হাজার টাকা বেশি।

গবেষকরা জানিয়েছেন, সংকর জাতের ছাগলের মাংসের স্বাদ ভালো এবং এগুলো দেখতে সাদা, কালো বা বাদামি রঙের হয়। তবে নতুন জাতকে প্রজননের জন্য নয়, কেবল মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে হবে।

বাকৃবির গবেষণার এই উদ্ভাবন দেশের খামারিদের আয়ের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে এবং মাংস উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে




ব্রয়লার মুরগি পালন: একটি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা

 ব্রয়লার মুরগি পালন: একটি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা


ব্রয়লার মুরগি পালন লাভজনক একটি খামারব্যবস্থা যা দ্রুত মাংস উৎপাদনের জন্য করা হয়। সফল ব্রয়লার খামার গড়ে তুলতে সঠিক হাউজিং, ব্রুডিং, খাদ্য সরবরাহ, পানি প্রদান, টিকা প্রদান, বায়োসিকিউরিটি এবং সংগ্রহ (হারভেস্টিং) প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি।


১. হাউজিং (বাসস্থানের ব্যবস্থা)


ব্রয়লার মুরগির ঘরটি প্রশস্ত, আলো-বাতাস চলাচলের উপযোগী এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।


প্রতি বর্গফুটে ১-১.৫টি মুরগির ব্যবস্থা রাখা উচিত।


মেঝেতে পর্যাপ্ত লিটার (বিছানা) যেমন কাঠের গুঁড়ো বা ধানের তুষ বিছানো উচিত (৪-৬ ইঞ্চি)।


পর্যাপ্ত আলো ও বায়ু চলাচলের জন্য জানালা ও ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে।


২. ব্রুডিং (প্রাথমিক পরিচর্যা)


ব্রয়লার মুরগির বাচ্চাগুলো (চিকস) প্রথম ৭-১৪ দিন বিশেষ তাপমাত্রা ও যত্নের অধীনে রাখতে হয়।


প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩২-৩৪°C রাখতে হবে এবং ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে।


মুরগির গতিবিধি দেখে বুঝতে হবে যে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে আছে কি না—


যদি তারা এক জায়গায় গাদাগাদি করে থাকে, তাহলে ঠান্ডা লাগছে।


যদি তারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে, তাহলে তাপমাত্রা স্বাভাবিক।


যদি তারা দূরে দূরে থাকে, তাহলে অতিরিক্ত গরম লাগছে।


পর্যাপ্ত আলো ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।


৩. খাদ্য সরবরাহ (ফিডিং)


ব্রয়লার মুরগির বৃদ্ধির জন্য ব্যালান্সড ফিড (পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাদ্য) প্রদান করতে হবে।


খাদ্য তিনটি ধাপে সরবরাহ করা হয়:


1. স্টার্টার ফিড (০-১০ দিন) – উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ফিড, দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।


2. গ্রোয়ার ফিড (১১-২৫ দিন) – মাংসের বৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন।


3. ফিনিশার ফিড (২৬-৩৫ দিন বা বাজারজাতকরণের সময় পর্যন্ত) – ওজন বাড়ানোর জন্য দেয়া হয়।


খাবার সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে এবং দিনে ৪-৬ বার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা উচিত।


৪. পানির সরবরাহ (ওয়াটারিং)


ব্রয়লার মুরগিকে সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও ঠান্ডা পানি সরবরাহ করতে হবে।


পানির পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে এবং এতে ভিটামিন ও ইলেক্ট্রোলাইট যোগ করা যেতে পারে।


গরমের সময় দিনে ৩-৪ বার পানির পরিবর্তন করা উচিত।


৫. টিকা প্রদান (ভ্যাকসিনেশন)


মুরগিকে বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য সময়মতো টিকা প্রদান করতে হবে।


সাধারণত ব্যবহৃত ভ্যাকসিন:


মারেক্স ডিজিজ ভ্যাকসিন – ১ দিন বয়সে


নিউক্যাসল ডিজিজ ও ইনফেকশাস ব্রোনকাইটিস – ৫-৭ দিন বয়সে


গাম্বোরো ডিজিজ (IBD) ভ্যাকসিন – ১২-১৪ দিন বয়সে


দ্বিতীয় নিউক্যাসল ডিজিজ ভ্যাকসিন – ২১-২৫ দিন বয়সে


ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় পরিষ্কার সিরিঞ্জ ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে।


৬. বায়োসিকিউরিটি (জীবন-নিরাপত্তা ব্যবস্থা)


খামারে বহিরাগত মানুষের প্রবেশ সীমিত রাখতে হবে যাতে রোগজীবাণুর সংক্রমণ কমানো যায়।


খামারের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।


মুরগির খাঁচা, পানি ও খাবারের পাত্র নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।


রোগাক্রান্ত মুরগিকে আলাদা রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসা দিতে হবে।


৭. সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ (হারভেস্টিং)


সাধারণত ৩০-৩৫ দিন পর ব্রয়লার মুরগি বিক্রির উপযোগী হয় (ওজন ১.৮-২.৫ কেজি)।


বাজারে বিক্রির জন্য মুরগিগুলোকে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর এবং সুস্থ রাখতে হবে।


সংগ্রহের সময় মুরগিকে অযথা আঘাত না দিয়ে সতর্কতার সাথে ধরতে হবে।


বাজারে নেওয়ার সময় তাদের আরামের জন্য পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।


উপসংহার


সঠিক ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করলে ব্রয়লার মুরগি পালন থেকে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব। উন্নত বাসস্থান, পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি, সময়মতো টিকা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে মুরগির দ্রুত বৃদ্ধি হবে এবং খামারটি লাভজনক হবে।

Dr. Omar Faruq #highlightseveryone #highlightseveryonefollowers #reelsfacebook #broilerchickens

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৯-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৯-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


ফলপ্রসূ আলোচনার প্রেক্ষিতে রেলের রানিং ‍স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার - সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু।


গুম ও হত্যার নির্দেশ দিতেন শেখ হাসিনা - হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রদিবেদনে প্রকাশ।


সরকারের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাসের পর আন্দোলনরত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম প্রত্যাহার।


মানসম্মত, অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের।


বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতকে শ্রেষ্ঠ কূটনীতিকের  পদক প্রদান।


ত্রাণ সংস্থাগুলোর ওপর ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে - জানালো জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থা।


বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আজ মুখোমুখি হবে চিটাগং কিংস – রংপুর রাইডার্সের এবং ঢাকা ক্যাপিটালস – ফরচুন বরিশালের।

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫

সালমান শাহ্ অভিনীত সিনেমার নাম, পোস্টার ও মুক্তির তারিখ:-,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সালমান শাহ্ অভিনীত সিনেমার নাম, পোস্টার ও মুক্তির তারিখ:-

● কেয়ামত থেকে কেয়ামত – ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ

● তুমি আমার – ১৯৯৪ সালের ২২ মে

● অন্তরে অন্তরে – ১৯৯৪ সালের ১০ জুন

● সুজন সখী – ১৯৯৪ সালের ১২ আগস্ট

● বিক্ষোভ – ১৯৯৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর

● স্নেহ – ১৯৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর

● প্রেমযুদ্ধ – ১৯৯৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর

● কন্যাদান – ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ

● দেনমোহর – ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ

● স্বপ্নের ঠিকানা – ১৯৯৫ সালের ১১ মে

● আঞ্জুমান – ১৯৯৫ সালের ১৮ আগস্ট

● মহামিলন – ১৯৯৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর

● আশা ভালোবাসা – ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর

● বিচার হবে- ১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি

● এই ঘর এই সংসার – ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল

● প্রিয়জন – ১৯৯৬ সালের ১৪ জুন

● তোমাকে চাই – ১৯৯৬ সালের ২১ জুন

● স্বপ্নের পৃথিবী – ১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই

● সত্যের মৃত্যু নেই – ১৯৯৬ সালের ৪ অক্টোবর

● জীবন সংসার – ১৯৯৬ সালের ১৮ অক্টোবর

● মায়ের অধিকার – ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর

● চাওয়া থেকে পাওয়া – ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর

● প্রেম পিয়াসী – ১৯৯৭ সালের ১৮ এপ্রিল

● স্বপ্নের নায়ক – ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই

● শুধু তুমি – ১৯৯৭ সালের ১৮ জুলাই

● আনন্দ অশ্রু – ১৯৯৭ সালের ১ আগস্ট

● বুকের ভেতর আগুন – ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্ব

তিনি ৮ টি নাটক এ অভিনয় করেছেন-

১. পাথর সময়

২. ইতিকথা

৩. আকাশ ছোঁয়া

৪. দোয়েল

৫. সব পাখি ঘরে ফেরে

৬. সৈকতে সারস

৭. নয়ন

৮. স্বপ্নের পৃথিবী।

মুঘোল আমলের এক করুণ প্রেমের কাহিনির স্মারক বাকরখানির উৎপত্তি।

 ‎মুঘোল আমলের এক করুণ প্রেমের কাহিনির স্মারক বাকরখানির উৎপত্তি। মুঘোল, ইংরেজ ও পাকিস্তান আমলে এর জৌলুস থাকলেও সময়ের সঙ্গে ফাস্টফুড ও আধুনিক খাবারের দাপটে এটি হারিয়ে যেতে বসেছে। পুরান ঢাকা, খিলগাঁও, সিপাহীবাগে এখনও বাকরখানির দোকান খুঁজে পাওয়া যায়। জিঞ্জিরার তন্দুরে তৈরি রুটিগুলো এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

‎ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিরমাল, চা'পাতার মতো বাকরখানিও বিলুপ্তির পথে। তবে এর রোমাঞ্চকর অতীত এখনও আমাদের মনে ইতিহাসের গন্ধ ছড়ায়। বাকরখানি শুধু একটি খাবার নয়, এটি আমাদের অতীতের জীবন্ত সাক্ষী।

‎এবার আসি এর ইতিহাস কথনে, এ বিষয়ে জানা যায় কিংবদন্তির ঢাকা গ্রন্থের লেখক নাজির হোসেনের লেখনীতে। তিনি লিখেছেন বাকরখানি রুটির সাথে যার নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তিনি হলেন আগা বাকের ও আরামবাগের নর্তকী খনি বেগম।

‎আগা বাকের ছিলেন তুর্কিস্তানের মতান্তরে ইরানের অধিবাসী। তিনি শিয়া মুসলিম ছিলেন। ভাগ্যন্বেষণে তিনি ভারতবর্ষে আগমন করেন এবং মুর্শিদকুলী খার বিশেষ স্নেহ ও আশ্রয় লাভ করেন এবং নিজ দক্ষতায় তার সেনাবাহিনীর উচ্চপদে আসীন হন। তিনি চট্টগ্রামের ফৌজদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। তার ছেলের নাম আগা সাদেক যার নামে পুরনো ঢাকাতে একটি সড়কের নামও রয়েছে। আর খনি বেগম সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। যতটুকু জানা গেছে তা হলো- তিনি আরামবাগের নর্তকী ছিলেন। এই খনি বেগমকে নিয়ে অনেক জলঘোলা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে তদসাথে প্রাণহানিও।

‎যাহোক, আগা বাকের ও খনি বেগম একে অপরকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন । বাকেরের এই প্রেমের সম্পর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উজিরেআলা জাহান্দর খার দুশ্চরিত্র পুত্র কোতোয়াল জয়নুল খাঁ। এসব ব্যাপারে মুর্শিদকুলী খাঁ কিছু জানতেন না। একদিন অপ্রত্যাশিতভাবে খনি বেগমের সতীত্ব নষ্ট করতে চেষ্টা করেন কোতোয়াল জয়নুল খাঁ। সংবাদ পেয়ে আগা বাকের বাঁধা দিলে  উভয়ের মাঝে যুদ্ধ বেঁধে যায়। যুদ্ধে হেরে জয়নুল খাঁ পালিয়ে যান। জয়নুলের বন্ধুগন এটাকে অন্যরূপ দিয়ে গুজব ছড়িয়ে দিল যে বাকের জয়নুলকে হত্যা করে মৃতদেহ গুম করে দিয়েছে। এ অভিযোগ নবাবের দরবারে গেলে ন‍্যয়পরায়ণ মুর্শিদকুলী খাঁ পূত্রবৎ বাকেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বাঘের খাঁচায় ঢুকিয়ে দেন। দমবার পাত্র ছিলেন না বাকের। বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বাঘটিকে হত্যা করে বিজয়ীর বেশে খাঁচা হতে বেরিয়ে আসেন। এদিকে জয়নুল সুযোগ বুঝে জোরপূর্বক খনি বেগমকে অপহরণ করে দক্ষিন পূর্ব বঙ্গের ভাটি অঞ্চলের এক গভীর অরণ্যে পালিয়ে যান। জয়নুল শত চেষ্টা করেও খনি বেগমকে বশে আনতে না পেরে তাকে চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যে (বাকেরগঞ্জ/বরিশাল) বন্দী করে রাখেন। এ খবর আগা বাকেরের কানে পৌঁছালে তিনি সেনাপতি কালা গাজীকে নিয়ে ছুটে যান চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যে। জয়নুলের পিতাও তার চরিত্রহীন ছেলের কার্যকলাপে অতিষ্ট হয়ে  ছেলেকে শিক্ষা দেয়ার জন্য তথায় হাজির হলেন এবং পুত্রকে বন্দী করে শাস্তিস্বরূপ নিজ তরবারি দিয়ে আঘাত করলেন। অসির আঘাতে মরণাপন্ন জয়নুল দেখল যে সে আর বাঁচবে না এবং খনিকেও পাবে না তাই সুযোগ বুঝে সে খনি বেগমের বুকে অসি বসিয়ে দিল প্রতিশোধস্বরূপ। এ আঘাতে খনি বেগম যখন মৃত্যু পথযাত্রী তথায় হাজির হন আগের বাকের। মৃত্যমুখী খনি বেগমকে বুকে তুলে নিয়ে অঝোর ধারায় কাঁদতে থাকেন বাকের। এক পর্যায়ে খনি বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। খনির মৃত্যুতে প্রায় উন্মাদ হয়ে যান বাকের। রাজ্য ও মসনদের সকল আকর্ষন পরিত্যাগ করে সেই অঞ্চলেই থেকে যান তিনি। শুরু হয় তার জীবনের নতুন অধ্যায়। পরবর্তীতে বুজুর্গ উমেদপুরের জমিদারি লাভ করার পর সেলিমাবাদ ও চন্দ্রদ্বীপ পরগনা দখল করে নেন। বহু দ্বীপ নিয়ে গঠিত বাখলা চন্দ্রদ্বীপের জমিদারি লাভ করেন আগা বাকের। পরবর্তীতে ১৭৯৭ সালে ইংরেজ সরকার যখন পৃথক জেলা গঠন করেন তখন এই জনপ্রিয় ব্যাক্তির নামটিকে অস্বীকার না করে তার নামেই নামকরণ করা হয় বাকেরগঞ্জ জেলা। এরপর মুর্শিদ কুলী খাঁর আদেশে আগা বাকের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে বিয়ে করেন। সে ঘরে জন্ম লাভ করে আগা সাদেক ও মির্জা মাহদী নামে দুই পুত্র। 

‎আগা বাকের নবাব সিরাজউদ্দোলার দুর্দিনে তার পাশেই ছিলেন। নবাব বিরোধী শিবির রাজবল্লভ ও ঘসেটি বেগমের বিরুদ্ধেও তিনি ভীষণ সরব ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ‍্যজনকভাবে ঢাকার নায়েব নাজিম হোসেন উদ্দিন খানের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে আগা বাকের নিহত হন। রাজবল্লভ তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন। বাকেরের এই খণ্ডিত দেহ পরে আগা সাদেক ময়দানে সমাহিত করা হয়।

‎আগা বাকের অন্য নারীকে বিয়ে করলেও তার মন থেকে খনি বেগমের স্মৃতি মুছে যায়নি। তার প্রমাণ- বিশেষভাবে তৈরি তার প্রিয় খাদ্য তথা রুটির নাম তার প্রেম কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই নামকরণ করা হয়েছিল "বাকর-খনি" রুটি যা কিছুটা অপভ্রংশ হয়ে হয়েছে বাকরখানি রুটি। এটি টিকে আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। পুরনো ঢাকার আদি খাবারগুলোর মধ্যে এটি একটি অন্যতম খাবার। বাকরখানি পুরান ঢাকাবাসীর সকালের নাস্তা হিসেবে প্রচলিত ছিল আদিতে। 

‎বাকরখানি মূলতঃ আদি ঢাকা তথা পুরনো ঢাকাবাসীর একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। পরবর্তীতে এটি বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়েছে। সকাল ও বিকেলের নাস্তায় এটি একসময় পুরনো ঢাকাবাসীর কাছে তুমুল জনপ্রিয় ছিল। এখনও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাকরখানি রুটির পুরনো দোকান ও তন্দুর সগৌরবে টিকে আছে।

‎সৌজন্যে: বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র

ভালোবাসার_শীতলতা #লেখক_তৌফিক ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 নিজের বাবা কে যদি দুটো ভালো কাপড় দিতে না পারো, তবে কখনো আমার জন্য কিচ্ছু এনো না, আবিদ।


হাসিমুখে শ্বশুরকে শীতের কাপড় এগিয়ে দিতে গিয়ে শ্বশুরের উপরোক্ত কথা শুনে থমকে যায় আবিদ। নিমিষেই মুখ থেকে হাসিটা উধাও হয়ে যায়।


আবিদের শ্বশুর, রাহাত সাহেব, আবারও বলে উঠেন,


"আমি না হয় আমার কন্যাকে জন্ম দিয়েছি বলে, তার টান আমার ওপর সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তোমার বাবা তো তোমায় জন্ম দিয়েছে। কই, তার ওপর তো তোমার কোনো টান দেখিনা! কারণে-অকারণে আমাকে এটা-ওটা কিনে দাও। বলি, তোমার পিতাকে কিছু কিনে দিয়েছো?"


আবিদ মুখটা কালো করে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার স্ত্রী শাম্মির দিকে তাকায়। স্বামীর কালো মুখ দেখে দ্রুত শাম্মি ওর বাবাকে বলে ওঠে,


"বাবা, তুমি এসব কী বলছো? আমার স্বামী তোমার সন্তানের মতোই... সে তোমাকে দুটো দিতেই পারে। এতে অন্যজনকে না দিলে তোমার কী? তাছাড়া আমার শ্বশুর কুঁড়ে লোক, ঘর ছেড়ে বের হন না, তাই তাকে কিনে দিতে হয় না। আর তুমি দশ বাজার ঘুরে বাজার করো, তোমার ভালো কাপড় না হলে হয় বলো?"


মেয়ের কথা শুনে রাহাত সাহেব রাগের চোটে ঠাস ঠাস করে কয়েকটা থাপ্পড় মেরে হুংকার ছেড়ে বলেন,


"শাম্মি, তুই এতটা নিচ! এতটা নিকৃষ্ট হয়েছিস! তোর মা তো এমন ছিল না। তুই এমন হলি কী করে! আরে, আমার জামাইয়ের কিছুর প্রয়োজন নেই। আল্লাহ দিলে আমার দুটো পুত্র সন্তান আছে, যাদের আমি মানুষ করতে পেরেছি। আমাকে একটা দিলে তার শ্বশুরকেও একটা দেয়। আমি খুশি হই এতে। কিন্তু তোর জামাই তো কাপুরুষ। নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার বসালেও মনের মাঝে পশু ভাবটা আছে। সে শিক্ষিত হয়েছে, মানুষ হয়নি।"


আবিদ পুরোটা সময় ওর শ্বশুরের কথাগুলো শুনে গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওর স্ত্রী শাম্মির দিকে তাকিয়ে থাকে। শাম্মি চুপচাপ মাথা নিচু করে থাকে। তাছাড়া, কী বা করবে, আবিদের দিকে তাকানোর সাহসও তার নেই।


অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার পর আবিদ বলে ওঠে,


"বাবা, আমাকেও দুটো থাপ্পড় দিন। দুটো থাপ্পড় আমারও প্রাপ্য।"


রাহাত সাহেব আবিদের কথায় পরপর কষে দুটো থাপ্পড় বসিয়ে দেন। পাথরের মতো শক্ত হাতের থাপ্পড় খেয়ে আবিদের চোখ-মুখে অন্ধকার নেমে আসে। খানিকক্ষণ সময় নিয়ে মুচকি হেসে আবিদ বলে,


"বাবা, আর্মিদের হাত এত শক্ত হয় জানা ছিল না।


আজ শুধু গালে পড়েছে। এরপর পিঠেও পড়বে। আমি ভাবতেই শিউরে উঠি। তুমি কেমন সন্তান, যে নিজের বাবাকে ভালো শীতের পোশাক না কিনে দিয়ে বউয়ের বাবা কে কাপড় দিতে এসেছো? তোমার বাবার অসহায় চাহনি আমি সেদিন দূর থেকে দেখেছিলাম। সামনে যাওয়ার সাহস হয়নি লজ্জায়। কারণ তখন আমার গায়ে ছিল তোমার দেওয়া আরেকটা শীতের পোশাক।"


আবিদ নিশ্চুপ। রাহাত সাহেব অগ্নি চোখে শাম্মির দিকে তাকিয়ে বলে,


"তোকে আর যেন এ বাড়িতে না দেখি। যতদিন না নিজের শ্বশুরকে বাবা মতো ভালোবাসতে পারবি, ততদিন এ বাড়িতে আসবি না। বেরিয়ে যা তোরা দুটো অমানুষের দল।"


আবিদ শাম্মির হাত ধরে টানতে টানতে বেরিয়ে আসে শ্বশুরবাড়ি থেকে। রাস্তায় কেউ কারো সাথে কথা না বললেও বাসায় আসতেই আবিদ ওর শাম্মিকে নিজের ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে বলে,


"শাম্মি, এসবের মানে কী! তোমার বাবা আমায় ভুল বুঝলো! আরে, আমি তো দুজনের জন্যই কাপড় কিনতে টাকা দিয়েছিলাম। তুমি কি আমার বাবাকে কিনে দাওনি?"


শাম্মি মুখটা নিচু করে ভয়ে ভয়ে বলে,


"আ...আসলে আবিদ..."


"বলো..."


"আসলে ভেবেছিলাম তোমার বাবার আছেই। তাই টাকা নষ্ট করিনি।"


আবিদ আর নিজের রাগটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রচণ্ড জোরে জানালার থাই গ্লাসে ঘুষি মেরে হনহন করে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।


আজ অনেকদিন পর বাবার ঘরের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে আবিদ। কমসে কম ছয় মাস তো হবেই। অফিসের কাজে এই ট্যুর, ওই ট্যুর করতে করতে বাসায় তেমন একটা আসেনি। আসলেও তখন ওর বাবা বাসায় থাকতো না। রাতেও তেমন দেখা হতো না ওদের। আর তাই আবিদ ওর স্ত্রীকে সব দায়িত্ব দিয়েছিল। তবে ভাবেনি শাম্মি এমন কিছু করবে।


আবিদ দরজায় নক করে,


"বাবা, আছো?"


ভেতর থেকে আবিদের বাবা আহমেদ সাহেব সাড়া দেন,


"হ্যাঁ, আছি। ভেতরে এসো, আবিদ।"


আবিদ মাথাটা নিচু করে ওর বাবার পাশে গিয়ে বসে। আহমেদ সাহেব বহুদিন পর ছেলেকে দেখে হাসি মুখে বলেন,


"বহুদিন পর তোমায় দেখলাম... আজকাল খুব ব্যস্ত হয়ে গিয়েছো?"


আবিদ ওর বাবার হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে ছলছল চোখে বলে,


"বাবা, আসলে অফিসে কাজের চাপ ছিল খুব, তাছাড়া..."


আবিদকে বাকিটা বলতে না দিয়েই আহমেদ সাহেব বলে ওঠেন,


"থাক, আমি বুঝি। তা শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এলে যে? আর তোমার হাত কেটে গেলো কীভাবে?"


আবিদ মাথাটা নিচু করে বলে,


"আসলে বাবা..."


আহমেদ সাহেব চোখ দুটো বন্ধ করে নেন। মিনিট খানেক বন্ধ করে রাখার পর ধীরে ধীরে চোখ খুলে বলেন,


"বাইরে বেশ ঠান্ডা। তুমি বলেছিলে, আমার কিছু লাগলে বউমাকে বলতে। অনেকদিন হলো, বউমাকে শীতের পোশাক আর একটা জুতো কিনে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। সে দেয়নি। তোমার কাছে কিছু টাকা থাকলে আমাকে দিয়ে যেও। বউমাকে বলতে আমার লজ্জা লাগে ভীষণ।"


আবিদ বলেন, "বউমাকে বলতে হবে না বাবা। আমি আছি। চলো বের হই।"


আহমেদ সাহেবকে নিয়ে আবিদ সারাদিন ঘোরাঘুরি করে এবং শীতের পোশাক কিনে দিয়ে বাসায় ফেরে রাতে। আজ আবিদ বেশ খুশি। বহুদিন পর বাবার মুখে হাসি দেখে।


রাত ১২টা। আবিদ নিজের ঘরে ঢুকতেই দেখে শাম্মি সেই আগের মতো স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আবিদ কয়েক পলক শাম্মির দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,


"কি হলো, শাম্মি? এভাবে খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন! কিছু হয়েছে?"


শাম্মি আবিদের কথা শুনে তড়িৎ গতিতে আবিদের পা দুটো জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে ওঠে। শাম্মির এমন আচরণে আবিদ অবাক হয়ে বলে,


"এই, কি করছো! পা ছাড়ো।"


"না, তুমি আগে আমায় ক্ষমা করে দাও।"


আবিদ থমথমে কণ্ঠে বলে,


"সে তো তোমার বাবার হাতের দুটো থাপ্পড় খাওয়ার পরই হয়ে গেছে। এখন উঠে এসো, বউ।"


আবিদ শাম্মিকে পা থেকে টেনে তুলে নিজের বুকে জড়িয়ে নিয়ে আদুরে গলায় বলে,


"আচ্ছা শাম্মি, তুমি টাকাগুলো কী করেছো, বলো তো?"


শাম্মি আবিদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,


"ওগুলো ড্রয়ারেই রেখে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, টাকা নষ্ট করে কী হবে! জমিয়ে রাখি।"


"তাহলে নিজের বাবারটা কিনে কেন নষ্ট করেছিলে! ওটাও জমিয়ে রাখতে পারতে।"


শাম্মি নিশ্চুপ। আবিদ শাম্মিকে আরও শক্ত করে নিজের বুকে টেনে নিয়ে বলে,


"এমন স্বভাবের হইয়ো না, শাম্মি। তোমার পেটের মাঝেও ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে আমাদের অনাগত সন্তান।"


"আমি ভুল করেছি, আবিদ।"


"হুম, প্রথম ভুল। ক্ষমা করাই যায়। তবে পরের বার আর করোনা প্লিজ।"


"প্রমিজ, আর করবো না।"


আবিদ  পরম মমতায়  শাম্মির কপালে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে  দেয় শিউরে উঠে শাম্মি শক্ত করে জরিয়ে ধরে আবিদ কে,,,,


কখনো কখনো গায়ে হাত দিয়ে বা চিৎকার করে কিছু হয়না।বুঝিয়ে বলতে হয় আশা করি তারা বুঝবে।


#ভালোবাসার_শীতলতা

#লেখক_তৌফিক

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...