এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫

সালমান শাহ্ অভিনীত সিনেমার নাম, পোস্টার ও মুক্তির তারিখ:-

 সালমান শাহ্ অভিনীত সিনেমার নাম, পোস্টার ও মুক্তির তারিখ:-

● কেয়ামত থেকে কেয়ামত – ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ

● তুমি আমার – ১৯৯৪ সালের ২২ মে

● অন্তরে অন্তরে – ১৯৯৪ সালের ১০ জুন

● সুজন সখী – ১৯৯৪ সালের ১২ আগস্ট

● বিক্ষোভ – ১৯৯৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর

● স্নেহ – ১৯৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর

● প্রেমযুদ্ধ – ১৯৯৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর

● কন্যাদান – ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ

● দেনমোহর – ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ

● স্বপ্নের ঠিকানা – ১৯৯৫ সালের ১১ মে

● আঞ্জুমান – ১৯৯৫ সালের ১৮ আগস্ট

● মহামিলন – ১৯৯৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর

● আশা ভালোবাসা – ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর

● বিচার হবে- ১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি

● এই ঘর এই সংসার – ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল

● প্রিয়জন – ১৯৯৬ সালের ১৪ জুন

● তোমাকে চাই – ১৯৯৬ সালের ২১ জুন

● স্বপ্নের পৃথিবী – ১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই

● সত্যের মৃত্যু নেই – ১৯৯৬ সালের ৪ অক্টোবর

● জীবন সংসার – ১৯৯৬ সালের ১৮ অক্টোবর

● মায়ের অধিকার – ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর

● চাওয়া থেকে পাওয়া – ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর

● প্রেম পিয়াসী – ১৯৯৭ সালের ১৮ এপ্রিল

● স্বপ্নের নায়ক – ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই

● শুধু তুমি – ১৯৯৭ সালের ১৮ জুলাই

● আনন্দ অশ্রু – ১৯৯৭ সালের ১ আগস্ট

● বুকের ভেতর আগুন – ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্ব

তিনি ৮ টি নাটক এ অভিনয় করেছেন-

১. পাথর সময়

২. ইতিকথা

৩. আকাশ ছোঁয়া

৪. দোয়েল

৫. সব পাখি ঘরে ফেরে

৬. সৈকতে সারস

৭. নয়ন

৮. স্বপ্নের পৃথিবী।

বিশ্বসাহিত্য ভাষণ’ একটি লম্বা সিরিজ।,,,,,,, মহিউদ্দিন মোহাম্মদ  ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫  যুক্তরাষ্ট্র

 “এ বইটি লিখতে চাই নি, কিন্তু লিখতে হয়েছে। যেতে হয়েছে বিপুল শ্রমের ভেতর দিয়ে। যোগাড় করতে হয়েছে শতো শতো বই। পড়তে হয়েছে নানা আজেবাজে পৃষ্ঠা। কাজটা উপভোগ করি নি। বিরক্ত হয়েছি ঢের, কিন্তু সহ্য করেছি, কারণ বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক দারিদ্র্য এভারেস্টের চেয়ে উঁচু। বাংলা ভাষায় রুমিসাহিত্যের নির্মোহ বিশ্লেষণ নেই বললেই চলে। যা আছে, তা গরিব ভক্তমণ্ডলীর হামদ-নাত, স্তুতিকিতাব, ও সেজদা। কিচ্ছারুমির আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে আসল রুমি। তৈরি হয়েছে রূপকথার জঙ্গল। ঘটানো হয়েছে সুপারহিউম্যানাইজেশন। পছন্দের লোককে অতিমানব ও অপছন্দের লোককে অতিশয়তান করা মানুষজাতির পুরাতন রোগ। রুমিসাহিত্য এ রোগের প্রসিদ্ধ শিকার। বর্ণরোগী যেমন বস্তুর আসল রঙ দেখতে পায় না, রুমিভক্তরাও তেমনি রুমির মানব রূপ স্বীকার করতে চায় না। ‘নবী রুমি’-র খোলস ভেঙে ‘মানুষ রুমী’ বের করে আনাই বইটির বড় লক্ষ্য।


রুমিকে ঘিরে একটি অক্ষ তৈরি হয়েছে। অ্যাক্সিস অভ সুফি লিটারেচার। ফলে অনিবার্যভাবে, ভাষণে ফরিদুদ্দিন আত্তার, সানাই গজনভী, শামস তাবরিজি, হাফিজ, সাদি, হাল্লাজ, বায়েজিদ, তাঁদের প্রসঙ্গ এসেছে। সুফিবাদের উৎস ও প্রাচীন ধোঁয়াশাবাদের সাথে এর সম্পর্ক, অন্য ধর্মগুলোর সাথে কোলাকুলি, এ বিষয়গুলোও এসেছে। ‘অশালীন’ জিনিসপত্রও আলোচনা করতে হয়েছে, এড়ানো যায় নি (যেমন— সুফিদের যৌনজীবন ও রুমিযুগের সমকামিতা)।


ভাষণটির বহু বাক্য পাঠককে বিব্রত করবে। অনেকে হোঁচট খাবে, ভাববে, মনে হয় মহিউদ্দিন মোহাম্মদ বানিয়ে বলেছেন। এ কারণে পাদটীকায় মূল উৎস থেকে নেওয়া বক্তব্য হুবহু উদ্ধৃত করেছি। কম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্যসমূহও টীকায় পরিবেশন করেছি।


রুমিকে জানার প্রধান ও গৌণ উৎসগুলো, যেগুলোয় ভর দিয়ে দাঁড় করিয়েছি নিজস্ব পর্যবেক্ষণ, সেগুলোর তালিকা ‘রুমিসূত্র: প্রাইমারি লিটারেচার’ ও ‘রুমিসূত্র: সেকেন্ডারি লিটারেচার’ নামে ভাষণের শেষদিকে উল্লেখ করেছি। ‘কম্পারেটিভ লিটারেচার’ নামে আরেকটি তালিকা দিয়েছি, যেগুলো রুমিসাহিত্যের তুলনামূলক মূল্যায়নে সাহায্য করেছে। মাসনভি ও দিওয়ানের ৫০টি কাব্যগল্প ও গজল বাছাই করেছিলাম, ভেবেছিলাম ‘নির্বাচিত রুমি’ শিরোনামে যুক্ত করবো, কিন্তু দেখা গেলো— পৃষ্ঠা বেড়ে যাচ্ছে কয়েকশো। তাই বাদ দেয়া হলো। 


রুমির জীবন ও পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর টাইমলাইন বইয়ের শেষে ‘রুমিপঞ্জী’ নামে যুক্ত করেছি। ‘মৌলভি তরিকাপঞ্জী’ নামে আরেকটি টাইমলাইন দিয়েছি, যেখানে রুমির আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী বা পীরবংশের বর্ণনা আছে। এ দুটি পঞ্জীতে আগে চোখ বুলিয়ে নিলে ভাষণটি বুঝতে সুবিধা হবে।


কয়েকজন অধ্যাপক ভাষণটিকে ‘পিএইচডি থিসিস’ হিশেবে জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, বইটি একাই তিনটি পিএইচডি পেতে পারে। আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। ভুঁইফোঁড় সন্দর্ভওয়ালাদের কাতারে নামিয়ে সৃষ্টিকর্মটিকে অপমান করা ঠিক হবে না।


‘বিশ্বসাহিত্য ভাষণ’ একটি লম্বা সিরিজ। এর কিছু খণ্ডের সংক্ষিপ্ত ও পপুলার সংস্করণ ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছিলো, পেয়েছিলো তুমুল জনপ্রিয়তা। কিন্তু টীকা ও ভাষণদৈর্ঘ্য ফেসবুকের উপযোগী না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ স্কলারলি সংস্করণের সাথে পাঠকদের পরিচয় করানো সম্ভব হয় নি। আমি আনন্দিত যে, জালালুদ্দিন রুমি খণ্ডের মধ্য দিয়ে ‘বিশ্বসাহিত্য ভাষণ’-এর পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা শুরু হয়েছে। আশা করি সাধারণ পাঠক, ছাত্র/ছাত্রী, ও শিক্ষকরা ভাষণটি থেকে উপকৃত হবেন। সাহিত্যকে দেখতে শিখবেন নতুন দৃষ্টিতে।”


.


— মহিউদ্দিন মোহাম্মদ 

২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ 

যুক্তরাষ্ট্র

শুভ জন্মদিন লিভিং লিজেন্ড,,,,,,কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। 

 🙏 শুভ জন্মদিন লিভিং লিজেন্ড 🙏


নয়াদিল্লির এক তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারে ১৯৫৮ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্মেছিলেন যিনি, তিনি আজ ভারতীয় সঙ্গীতজগতের এক অবিস্মরণীয় নাম—কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। 


জন্মের পরে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল সারদা। বাবা টি. এস. কৃষ্ণমূর্তি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রকের কর্মী, আর মা ছিলেন একজন সংস্কৃতিপ্রেমী। ছোটবেলা থেকেই দু’টি ভিন্ন সংস্কৃতির ছোঁয়া লেগেছিল তাঁর জীবনে। জন্মদাত্রী মা তাঁকে পরিচিত করিয়েছিলেন তামিল কালচারের সঙ্গে, আর পালিকা মায়ের অনুপ্রেরণায় তাঁর জীবনে জায়গা করে নেয় রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং বাঙালি সংস্কৃতির নানা রঙ।


শৈশব থেকেই কবিতা কৃষ্ণমূর্তির মধ্যে সঙ্গীতের প্রতি এক গভীর টান ছিল। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক অর্জন করেন। তাঁর তালিম শুরু হয়েছিল ধ্রুপদী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে, এবং সেইসঙ্গে তিনি হাতে খড়ি নেন রবীন্দ্রসঙ্গীতেও। এর ফলে সঙ্গীতের প্রতি তাঁর একটি বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে তাঁর কণ্ঠে বহুবিধ ঘরানার সুর মেলাতে সাহায্য করেছিল।


কলেজ জীবনের সময় মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত অংশ নিতেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন সঙ্গীতশিল্পী রাণু মুখোপাধ্যায়। রাণু তাঁকে নিয়ে যান তাঁর বাবা, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় তাঁর কণ্ঠ শুনে এতটাই মুগ্ধ হন যে, তাঁকে নিজের অনুষ্ঠানে গাইবার সুযোগ দেন। সেই সুযোগই কবিতার সঙ্গীতজীবনের প্রথম সোপান হয়ে ওঠে।


এরপর মান্না দে-র সান্নিধ্যে আসেন কবিতা। মান্না দে তাঁর প্রতিভা দেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতে সুযোগ করে দেন। হিন্দি ছবিতে তাঁর প্রথম প্লেব্যাকের সুযোগ আসে ১৯৭৮ সালে, গিরিশ কারনাডের কন্নড় ছবি ‘ওন্দানন্দু কালাদাল্লি’-তে। এরপর লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলালের সুরে বলিউডে একাধিক সুপারহিট গানের মধ্যে দিয়ে তিনি পা রাখেন মুম্বইয়ের প্লেব্যাক জগতে।


১৯৮৫ সালে ‘পেয়ার ঝুকতা নহি’ ছবিতে তাঁর গাওয়া গান জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর একে একে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’, ‘ইয়ারানা’, ‘অগ্নিসাক্ষী’, এবং ‘খামোশি’-র মতো ছবিতে তাঁর গান শ্রোতাদের মন জয় করে। ‘হাওয়া হাওয়াই’, ‘ডোলা রে ডোলা’, ‘আজ ম্যায় উপার’, ‘মেরা পিয়া ঘর আয়া’, ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর মতো গানে তাঁর কণ্ঠ যেন জাদুর মতো শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছিল।


কবিতা শুধু হিন্দি নয়, বাংলা, তামিল, তেলুগু, মরাঠি, উর্দু, কন্নড়, গুজরাটি এবং মালয়ালম ভাষাতেও গান গেয়েছেন। তাঁর গানে ধ্রুপদী সঙ্গীত থেকে শুরু করে আধুনিকতার মিশেল ছিল স্পষ্ট। এমনকি দূরদর্শনের ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত’, এবং ‘আলিফ লায়লা’ সিরিজেও তিনি গান গেয়েছেন।


তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও সঙ্গীতের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। প্রখ্যাত বেহালা শিল্পী ড. এল সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কবিতা। তাঁর স্বামী ও পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে একটি সুখী ও সুরময় জীবন যাপন করছেন তিনি।


আজ কবিতা কৃষ্ণমূর্তির জন্মদিনে আমরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। তিনি যে কেবলমাত্র একজন গায়িকা নন, তিনি ভারতীয় সঙ্গীতের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁর কণ্ঠ আমাদের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, আমাদের স্মৃতির গভীরে জায়গা করে নেয়।


“কিছু কথা ॥ কিছু সুর” পরিবারের পক্ষ থেকে কবিতা কৃষ্ণমূর্তিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। সুরের জগতে তিনি আরও অনেক বছর এইভাবে আলো ছড়িয়ে যান—এটাই আমাদের কামনা। 🎶✨

____________________________

©️ কিছু কথা ॥ কিছু সুর

রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫

বিকল্প নোবেল থেকে এবার আসল নোবেলের দৌড়ে চলে এল হোমিওপ্যাথি!  ডাঃ সাদ হোমিওপ্যাথি (সাদ) ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বিকল্প নোবেল থেকে এবার আসল নোবেলের দৌড়ে চলে এল হোমিওপ্যাথি! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। হোমিওপ্যাথি নিয়ে বহু বিতর্ক থাকলেও, অনেক বিজ্ঞানী একে সিউডোসায়েন্স বলে দাগিয়ে দিলেও, খোদ নোবেল কমিটি কিন্তু হোমিওপ্যাথিকে বিজ্ঞান বলেই মনে করছে। এ বছরের নোবেল মনোনয়নে নাম উঠে এসেছে  বিশ্ববন্দিত গ্রীক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ড. জর্জ ভিথুলকাসের নাম, যিনি ১৯৯৬ সালে Right Livelihood Award (অর্থাৎ ‘বিকল্প নোবেল’) পেয়েছিলেন। বিকল্প নোবেল থেকে এবার সরাসরি ঢুকে পড়েছেন আসল নোবেলের অন্দরমহলে।ভিথুলকাসের কোয়ান্টাম তত্ত্বের আলোকে হোমিওপ্যাথি, পদার্থবিদ্যা আর চিকিৎসা দুই ক্ষেত্রেই আমূল পরিবর্তন এনেছে। তাঁর গবেষণা দেখিয়েছে, মানবদেহে রোগ দেখা দেয় যখন ইলেকট্রনের স্পিনে অস্থিরতা আসে। ঠিকঠাক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেই স্পিনকে 'রিসেট' করতে পারে, কারণ তা কোয়ান্টাম-লেভেলে একধরনের ‘রেজোন্যান্ট ফোর্স’ তৈরি করে।

কিন্তু এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির অসীম লঘুকরণ তত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকেই বলেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এত লঘু করা হয় যে তাতে ওষুধের কোন অস্তিত্ব থাকেনা। কিন্তু ভিথুলকাসের কাজ দেখিয়েছে, প্রতিটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধে থাকা জলের কণায় একধরনের Quantum Dot তৈরি হয়, যা ওই নির্দিষ্ট রোগতত্ত্বের সঙ্গে Quantum Entanglement তৈরি করে। তাই, রোগীর দেহে ঠিক জায়গায় ঠিক পরিমাণে ‘জলীয় স্মৃতি’ পৌঁছয়—এবং ইলেকট্রন স্পিন সঠিক অবস্থানে ফিরে যায়। এই তত্ত্ব এখন বিভিন্ন পরীক্ষায় সঠিক প্রমাণিত হচ্ছে। ফলে হোমিওপ্যাথিক  ওষুধ শুধু এক ফোঁটা ওষুধ নয়, তা আসলে একধরনের Nano-entangled quantum device!

যদিও বহু পদার্থবিদ এই দাবিকে এখনো  ‘ফ্যান্টাসি’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন, কিন্তু অনেক পদার্থবিদ একে প্রমাণিত সত্য বলে মানছেন, আর সেজন্যেই ভিথুলকাসের এই যুগান্তকারী কাজকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করবার জন্য দাবী উঠেছে। যেমন, এই খবরে একজন উৎসাহী পার্টিকেল ফিজিক্স গবেষক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার)  বলেছেন, নতুন পার্টিকেল খুঁজতে CERN-র আগে হয়তো আমাদের হোমিওপ্যাথিক ওষুধে মনোনিবেশ করা উচিৎ। উচ্ছ্বসিত শিল্প মহলও। "জল সব কথা মনে রাখে। আমরা শুধু তাকে কোয়ান্টাম ভাষায় কথা বলাই শিখিয়েছি। অনেকে অবিশ্বাস করত, কিন্তু ডা: ভিথুলকাসের স্বীকৃতি তাদের মুখ বন্ধ করে দিল।" বললেন তরুণ উদ্ভাবক এবং ‘Quantica 200C’ নামক স্টার্টআপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, অর্ক ল্যাজারিডিস। Quantica 200C এমন এক হাই-টেক হোমিওপ্যাথি কোম্পানি, যারা দাবি করছে তারা Quantum Dot প্রযুক্তির মাধ্যমে বানাচ্ছে হোমিওপ্যাথিক ‘ন্যানো-মেডিসিন’, যেটা শরীরের স্পেসিফিক রোগ-ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে Quantum Entanglement তৈরি করে। অর্ক বললেন, "শরীর তো একটা ফ্রিকোয়েন্সি মেশিন, নয় কি?  হোমিওপ্যাথি শুধু সেই ফ্রিকোয়েন্সিকে টিউন করে  কোয়ান্টাম ডট দিয়ে। আর জলের স্মৃতির জন্য আমাদের দেহের বিভিন্ন কোয়ান্টাম প্যাটার্ণ সেভ হয়ে থাকে। রোগীর প্যাটার্ণের সঙ্গে যেটা মেলে, সেটা তখন কাজ করে, রোগীকে সুস্থ করে! 

তবে এত বড় স্বীকৃতির মধ্যেও জন্ম নিয়েছে নতুন বিতর্ক। হোমিওপ্যাথি যাঁরা বিশ্বাস করেননা এরকম অনেকেই ব্যঙ্গে ভরিয়ে দিচ্ছেন সামাজিক মাধ্যমে। কেউ বলছেন, “নোবেল কমিটিও এবার dilute হয়ে গেল! আবার কেউ লিখেছেন, “কোয়ান্টাম স্পিন না ঘুরুক, এই মনোনয়নে আমার মাথাটা ঘুরছে ঠিকই।”

তবে এ বছরের পদার্থবিদ্যা বা মেডিসিনে কোন একটায় ড. জর্জ ভিথুলকাস নোবেল পান কিনা, সেটার দিকে তাকিয়ে এখন গোটা বিশ্ব! 

(আনন্দবাজার থেকে কপি করা)

২০২৫ এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা।  OmR Sheet নিয়ে কিছু কথা:

 ২০২৫ এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা। 

OmR Sheet নিয়ে কিছু কথা:



রীক্ষার্থীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা। 

OmR Sheet নিয়ে কিছু কথা:


১. ওএমআর শিট পূরণ করার সময় কলম ব্যবহারে সাবধান হতে হবে বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে।

 

২.ওয়েমার শিটে যে অংশটুকু শিক্ষার্থীদের জন্য সেখানে শুধু লিখতে হবে বাকি অংশে কোন চিহ্ন বা কোন কিছু লেখা যাবে না ।


৩. রোল নাম্বার, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ও প্রশ্নের সেট ইত্যাদি বিষয়গুলো সুন্দর ভাবে পূরণ করতে হবে কোন কাটাছেঁড়া করা যাবে না।


৪.সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বৃত্ত ভরাট করার সময়ের  আগে রোল ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর এর খালিঘরে লিখে নিতে হবে বারবার দেখতে হবে কোন ভুল হয়েছে কিনা পরীক্ষার পেপার জমা দেওয়ার আগে একবার দেখে নিতে হবে ।

কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হলে কক্ষ এ দায়িত্বরত শিক্ষক কে বলবে।


৫.উত্তর পত্র বা ওএমআর এর কোন অংশে দাগ  দেওয়া যাবেনা ।


৬.ওএমআর শিট কোনরকম ভাবে ভাঁজ করা যাবেনা তাহলে মেশিনে সেটা কাজ করবেনা ।


সর্বোপরি কক্ষ এ দায়িত্বরত শিক্ষকের সাথে সৌহার্দপূর্ণ ব্যবহার করবে।


Post:Collect 💟


জীবনের সবকিছু এলোমেলো লাগলে কী করবেন? 

 জীবনের সবকিছু এলোমেলো লাগলে কী করবেন? 


ধরুন আপনি জীবন নিয়ে খুব একটা খুশি নন। মনে হচ্ছে কোথাও আটকে আছেন? 


কী করবেন তখন? কীভাবে এই ‘আটকে যাওয়া’ থেকে বেরিয়ে আসবেন? আপনার উত্তর একটাই—জানার চেষ্টা।


জীবনে যে পর্যায়েই থাকুন না কেন, সব সমস্যার সমাধান আছে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সঠিক ধাপ এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি।


চলুন, ধাপে ধাপে বিষয়টি বুঝি।


১. আপনি যদি হারিয়ে যান, সমাধান হলো শিক্ষা।


কখনো কি লক্ষ্য করেছেন, যখন আপনি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হন, তখন আপনার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হয় জানার অভাব? তাই যদি হারিয়ে যান, প্রথমে শিখুন। জানতে শুরু করুন। বই পড়ুন, লোকের সাথে কথা বলুন, ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করুন। জানাটাই আলো, যা আপনাকে পথ দেখাবে।


২. আপনি যদি শিখে যান, সমাধান হলো কাজে নামা।


জ্ঞান যদি শুধু মস্তিষ্কেই থাকে, তবে তা মূল্যহীন। কাজেই, শিখে ফেললে এখন দরকার বাস্তবজীবনে তার প্রয়োগ। শুধু পরিকল্পনা করে বসে থাকলে হবে না, এক পা সামনে বাড়াতে হবে।


৩. আপনি যদি কাজ শুরু করেন, সমাধান হলো লেগে থাকা।


শুরু করা সহজ, কিন্তু মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়া সহজতর। এটাই সবচেয়ে বড় ভুল। কাজ করুন ধৈর্য ধরে। মনে রাখবেন, সফলতা তাদেরই ধরা দেয় যারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে।


৪. আপনি যদি লেগে থাকেন, সমাধান হলো নতুন কিছু চেষ্টা করা।


যদি দেখেন পুরনো পথে কাজ হচ্ছে না, তাহলে নতুন পথ খুঁজুন। আপনার চারপাশে তাকান। পরিস্থিতি বুঝুন। নতুন কিছু করার সাহস অর্জন করুন।


জীবনটা আসলে এক দীর্ঘ পরীক্ষার মতো। যেখানে প্রতিটি ধাপের জন্য আলাদা সমাধান আছে। হারিয়ে গেলে জানতে হবে। শিখে গেলে কাজে নামতে হবে। কাজ শুরু করলে লেগে থাকতে হবে। আর লেগে থাকলে কখনো কখনো পুরাতন নিয়ম ভেঙে নতুন নিয়ম তৈরি করতে হবে।


তাই আপনার জীবন কোথাও আটকে থাকলে থেমে যাবেন না। 


শেখা, কাজ, লেগে থাকা, আর নতুন কিছু করার সাহস—এগুলো আপনাকে যেকোনো সমস্যার সমাধান এনে দেবে......

You just have to follow the process....

মোল্লা নাসিরুদ্দিনের উল্টো গাধার গল্প" 

 "মোল্লা নাসিরুদ্দিনের উল্টো গাধার গল্প" 


সকালের দিকে গ্রামের লোকজন দেখলো —মোল্লা নাসিরুদ্দিন গাধায় চড়ে যাচ্ছেন। মোল্লা তো প্রতিদিনই গাধার পিঠে চড়েন- আজকে সবাই তাকিয়ে আছে কেন?


তাকিয়ে থাকার কারণ মোল্লা নাসিরউদ্দিন তার চিরচেনা, অদ্ভুত ভঙ্গিতে—গাধার পিঠে বসে আছেন ঠিকই, কিন্তু মুখটা উল্টোদিকে করে বসা, লেজের দিকে।


লোক হেসে উঠল, “এই মোল্লা! তুমি উল্টো হয়ে চড়ে আছো কেন? পাগল হয়ে গেলা নাকি?”


নাসরুদ্দিন এক চিলতে হাসি নিয়ে জবাব দিলেন, “আমি ঠিকই আছি। গাধাটাই ভুল দিকে মুখ করে আছে।”


হাসির হো হো পড়ে গেল। তবু এক তরুণ, একটু জ্ঞানী সাজতে চেয়ে প্রশ্ন করল— “তুমি সামনে না তাকিয়ে কোথায় যাচ্ছো, তা বোঝো কীভাবে?”


নাসরুদ্দিন এবার একটু গম্ভীর হলেন। নরম স্বরে বললেন—


“আমি কোথায় যাচ্ছি তা দেখার দরকার নেই। আমার জানা দরকার, আমি কোথা থেকে এসেছি। কারণ ভুলটা তো সামনের পথে নয়, পেছনে ফেলে আসা পদচিহ্নে লুকানো থাকে।”

-


সুফি দর্শন বলে এই গল্পের ভেতরে একটা গভীর সত্য লুকানো আছে— নাসরুদ্দিনের গাধার পিঠ  চড়া আসলে নিজের নফস বা অহংকারকে চালানোর প্রতীক, আর সেই গাধায় পেছন ফিরে বসা মানে নিজ অতীত, ভুল এবং অভ্যস্ত আত্মপ্রবঞ্চনাকে খোলা চোখে দেখা। এইভাবে, তিনি যেন জানান দেন—নিজেকে চেনার পথটা কখনো কখনো সমাজের চোখে অদ্ভুত লাগে, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান ঠিক সেই অদ্ভুত কাজের মধ্যেই অপেক্ষা করে।


আমরা বারবার বলি অদ্ভুত এক উটের পিঠে দেশ চলছে। সেই চলার পথটাকে শুধরে নেয়ার একটা ভালো উপায় হতে পারে মাঝেমধ্যে উটের পিঠে উল্টো হয়ে বসে অতীতে ফেলে আসা পথের ভুলগুলোকে চিনে নেয়া- যেন সোজা হয়ে চলার সময় পুরাতন অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায়।


- সংগৃহীত

শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫

রাইস কুকারে রান্নার ডিটেইলস জেনে নিন রান্নাঘরে কাজে আসবে।

 রাইস কুকারে রান্নার ডিটেইলস জেনে নিন রান্নাঘরে কাজে আসবে।


🍲 রাইস কুকারে ভাত রান্নার নিয়মঃ


প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে এবং পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে রাইস কুকারের ঢাকনা খোলা অবস্থায় চাল দিয়ে দিতে হবে। চাল দেওয়া হয়ে গেলে রাইস কুকারের ঢাকনাটি বন্ধ করে দিতে হবে এবং সুইচ অন করে দিতে হবে। তাহলে ২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে ভাত রান্না হয়ে যাবে। অনেকেই রাইস কুকারে চাল ও পানির অনুপাত কেমন হবে জানতে চান সাধারণভাবে আপনারা ভাত রান্না করার সময় যে পরিমাণ পানি দিয়ে থাকেন তার থেকে একটু কম পানি দিলেও রাইস কুকারে হবে। অর্থাৎ চাল যে পরিমাণে দিবেন তার দ্বিগুণ পানি দিতে হবে।


রাইস কুকারে ভাত পুড়ে যায় কেন বা কি কারণে এই সমস্যাটার সৃষ্টি হয়ে থাকে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। যদি অতিরিক্ত সময় ধরে রাইস কুকারে রান্না বসিয়ে থাকেন অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও যদি ভাত না নামিয়ে থাকেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ভাত পুড়ে যেতে পারে। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কম পানি দেওয়ার কারণেও ভাত পুড়ে যেতে পারে। আশা করি রাইস কুকারে কিভাবে ভাত রান্না করে এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।


শেয়ার করে রাখুন কখনো কাজে লাগতে পারে।


১.৮ লিটার রাইস কুকারে কতটুকু চাল রান্না করা যায়


অনেকেই ১.৮ লিটার রাইস কুকারে কতটুকু চাল রান্না করা যায় এটা নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। বর্তমান বাজারে যে ১.৮ লিটারের রাইস কুকার গুলি পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো ব্যবহার করে আপনারা চাইলে একবারে দেড় কেজি পর্যন্ত চাল দিয়ে রান্না বসাতে পারেন।


রাইস কুকারে ভাত রান্না করতে কত সময় লাগে


রাইস কুকারে ভাত রান্না করতে সাধারণত ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগে থাকে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সময় একটু বেশিও লাগতে পারে। এটা অনেকটা রাইস কুকারের ধারণক্ষমতা ও ক্যাপাসিটির ওপর নির্ভর করে থাকে। তবে যে কোন রাইস কুকারে ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে রান্না হয়ে যায়। রান্না শেষ হয়ে গেলে ওয়ার্ম দিয়ে থাকে তখন সুইচ অফ করে ভাত নামিয়ে নিতে হয়।


🍲🍲🍲 রাইস কুকারে ভাত ছাড়াও অন্যান্য কিছু রান্না করা যায়। যেমন রাইস কুকার ব্যবহার করে আপনারা ডাল সিদ্ধ করতে পারেন, ডিম সিদ্ধ করতে পারেন, পোলাও ও খিচুড়ি রান্না করতে পারেন, তাছাড়া মাছ-মাংস ও রান্না করা যেতে পারে। নিচে রাইস কুকার ব্যবহার করে কিভাবে এই রান্না গুলো করা হয় সে বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হলোঃ-


🍲🍲🍲 রাইস কুকারে পোলাও রান্নার নিয়মঃ

রাইস কুকারে রান্না করার জন্য পোলাও চাল ধুয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।তারপরে রাইস কুকারের ঢাকনা খোলা অবস্থায় ঘি ঢেলে কুকারটি চালু করে দিতে হবে। তেল কিছুটা গরম হয়ে গেলে গরম মসলা ও কিছু পিয়াজ দিয়ে হালকা বাদামী করে পোলাওয়ের চাল দিয়ে রাইস কুকারের চামচ দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। চাল হালকা ভেজে পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে চালের পরিমাণ এর দ্বিগুনর বেশি পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তারপরে রাইস কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দিতে হবে। রান্না হয়ে গেলে রাইস কুকারেরওয়ার্ম চলে আসবে আপনি তখন চাইলে রাইস কুকার থেকে পোলাও বাহির করে নিতে পারেন।


🍲🍲🍲 রাইস কুকার দিয়ে সবজি সেদ্ধ করার নিয়মঃ

রাইস কুকারের সাথে ঝাকার মতো একটি স্টিমার থাকে। এই ঝাকার সাহায্যে যেকোনো ধরনের সবজি খুব সহজেই সিদ্ধ করে নেওয়া যায়। প্রথমে সবজি টুকরা টুকরা করে কেটে নিতে হবে তারপরে ঝাকার উপরে দিয়ে রাইস কুকার চালু করে সিদ্ধ করে নিতে হবে।


🍲🍲🍲 রাইস কুকার দিয়ে মাছ রান্না করার নিয়ম: 

রাইস কুকারে মাছ রান্না করার জন্য প্রথমে কয়েক টুকরা মাছ ধুয়ে এর সাথে হলুদ ও মরিচের গুঁড়া মাখিয়ে কিছু সময় রেখে দিতে হবে। যদি ভেজে রান্না করতে চান তেল গরম করে মাছ ভেজে উঠিয়ে নিন।


মাছ ভাজা তেলে নরমাল চুলায় যেভাবে রান্না করি সেভাবে রান্না করতে পারেন অথবা সব উপকরন মিশিয়ে মাখা তরকারি হিসেবে রাইস কুকারে বসিয়ে দিতে পারেন। নির্দিষ্ট সময় শেষে মাছ রান্না হয়ে আসলে ঢাকনা খুলে কয়েকটি কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিবেন একদম নরমাল চুলোয় রান্নার মত হবে। এবং কষানো থেকে মাখানো তরকারির টেষ্ট অনেক ভালো হয়। 


রান্না করার পদ্ধতি সব রাইস কুকারেই একই। কোন কোন রাইস কুকারে রান্না শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ওয়ার্ম সুবিধা থাকে আর কোন কোন রাইস কুকারে থাকে না। তাছাড়া উপরে ভাত রান্না করার নিয়ম, তরকারি রান্না করার নিয়ম ও সবজি সেদ্ধ করার নিয়ম সহ আরো অনেক কিছু দেওয়া হয়েছে আপনারা চাইলে এই নিয়মে যেকোনো রাইস কুকার ব্যবহার করে রান্না করে ফেলতে পারেন।


শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা রাইস কুকার ব্যবহারের নিয়ম বা কিভাবে রাইস কুকার ব্যবহার করে রান্না করা যায় এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন।


যদি মনে করেন একটু হলেও উপকার হয়েছে প্লিজ আমার Sakiar Rannaghor পেজটি ফলো করে দিন। লাইক দিয়ে সাথে থাকুন। পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন।🙏


ছবির কপিরাইটই : Sakiar Rannaghor

#fyp #Amazing #new #tips #ricecooker

নামাজে আমরা যা বলি, তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা!!

 🕋নামাজে আমরা যা বলি, তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা!!


◾নিয়্যাত করার পর, নামাজের মধ্যে আমরা কি পড়ি, বা বলছি...


১ ) নামাজে দাড়িয়েই প্রথমে আমরা বলি ”আল্লাহু আকবার’

অর্থ – আল্লাহ্ মহান!


২ ) তারপর পড়ি সানা। সানায় আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি নিজের জন্য দুয়া করি।


সানা :

”সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারাকাস্মুকা ওয়া তা’আলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি পাক-পবিত্র , তোমারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, তোমার নাম বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ, তুমি ছাড়া অন্য কেহ উপাস্য নাই।


৩ ) তারপর আমরা শয়তানের প্রতারনা থেকে আশ্রয় চাই এবং বলি,

আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্ব-নির রজিম।

অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।


৪ ) আল্লাহর পবিত্র নাম দিয়ে আল্লাহর দয়া করুণার গুন দিয়ে নামাজ এগিয়ে নিয়ে যাই। এবং বলি, ’বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’

অর্থঃ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।


৫ ) এরপর আমরা সূরা ফাতেহা দিয়ে নামাজ শুরু করি ( ২ রাকাত / ৪ রাকাত, ফরয/ সুন্নতের নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়ি)


৬ ) আমরা রুকুতে আল্লাহ্ -র উদ্দেশ্যে শরীর অর্ধেক ঝুঁকিয়ে দিয়ে মাথা নুয়িয়ে দিয়ে আল্লাহর প্রশংসা করি এবং ক্ষমা চাই, তিনবার বলি, সুবাহানা রব্বি-আল আজিম / সুবহানা রব্বিয়াল আজিম ওয়া বিহামদিহি

অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি।


৭ ) তারপর রুকু থেকে উঠে আমরা বলি

> সামি আল্লাহু লিমান হামিদা

অর্থ : আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে।


তারপর পরই আমরা আবার আল্লাহর প্রশংসা করে বলি-

>আল্লাহুম্মা ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’

অর্থ : হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই।


৮ ) তারপর আমরা সমস্ত শরীর নুয়িয়ে দিয়ে মাথাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়ে আল্লাহর নিকট সিজদা দেই।

বি: দ্র: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করে, আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লেখেন ও তার একটি পাপ দূর করে দেন এবং তার মর্যাদার স্তর একটি বৃদ্ধি করে দেন।‘


তিনবার বলি ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’

অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি


৯ ) দুই সিজদার মাঝখানে আমরা বলি, ”আল্লাহুম্মাগ ফিরলি,ওয়ার হামনী, ওয়াহদীনি, ওয়া আফিনী, ওয়ার-ঝুকনী”

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমায় মাফ কর, আমাকে রহম কর, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে শান্তি দান কর এবং আমাকে রিজিক দাও।


১০ ) এভাবে নামাজ শেষে, মধ্য (২ রাকাত, ৪ রাকাত ভিত্তিতে) বৈঠক আর শেষ বৈঠকে তাশাহুদে, আল্লাহর প্রশংসা করি। রাসুল (সাঃ) এর প্রতি দুরুদ পেশ করে নিজেদের জন্য দুয়া করি। দুআ মাসুরা পড়ি।


🔹তাশাহুদ :

‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু, ওয়াত্ তাইয়িবাতু। আস্সালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন। আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্হাদু আননা মুহাম্মাদান আদুহু ওয়া রসুলুহু।


অর্থঃ “সকল তাযীম ও সম্মান আল্লাহর জন্য, সকল সালাত আল্লাহর জন্য এবং সকল ভাল কথা ও কর্মও আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপানার প্রতি শান্তি, আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের উপরে এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল।”


🔹দুরুদ :


আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইবরহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারক্তা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইবরহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ”।


অর্থ: “ হে আল্লাহ! আপনি নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ও উনার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপভাবে আপনি ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত সম্মানিত।”


🔹দুআ মাসুরা :

আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি যুলমান কাছিরা, ওয়ালা ইয়াগ ফিরূজ যুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রহিম।


অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার উপর অত্যাধিক অন্যায় করেছি গুনাহ করেছি এবং তুমি ব্যতীত পাপ ক্ষমা করার কেউ নেই। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। ক্ষমা একমাত্র তোমার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আমার প্রতি রহম কর। নিশ্চই তুমি ক্ষমাশীল দয়ালু ।


১১ ) ২ কাঁধে সালাম দিয়ে আমরা নামাজ শেষ করি।


১২)  মুসলিম উম্মাহ এর জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া।

ব্যস্ততার কারনে হোক বা তাড়াহুড়োর কারনে হোক, বা যে কোন কারনেই হোক আমরা সব সময় নামাজে গভীর মনোযোগ দিতে ব্যার্থ হই। কিন্তু সব সময় না পারি মাঝে মাঝে তো আমরা মনোযোগ দিতে পারি। তা-ই না ?


এই মনোযোগ বিষয়টা কাজ করবে, যখন আমরা বুঝব যে, নামাজে আমরা কি বলছি।


যখন আমরা নামাজে ব্যবহৃত শব্দ বাক্যগুলোর অর্থ বুঝব বা অনুভব করব তখন মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ঘটবে এবং আমাদের সাহায্য করবে নামাজকে আরও বেশি সুন্দর ও খাঁটি করতে।


এরজন্য যে সম্পুর্ন অর্থ মুখস্ত করতে হবে তাও নয়। যদি শুধুমাত্র জানা থাকে এই কিছু অর্থ তাহলেই তা কাজ করবে অসাধারণ ভাবে, ইন-শা- আল্লাহ্।

জীবন বিমা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সম্মানিত আগ্রহী বীমা গ্রাহক, সরকারি জীবন বীমা কর্পোরেশনের (জীবীক) পক্ষ হতে আপনাকে জানাই সুস্বাগতম্। সরকারি জীবন বীমা কর্পোরেশন, বীমা করলে বেশ কতিপয় সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। তিন কিস্তি বীমা স্কীম, বহু কিস্তি বীমা, পেনশন বীমা, শিক্ষা ও বিবাহ বীমা, শিশু নিরাপত্তা বীমা, ট্রিপল প্রটেকশন বীমা, প্রবাসী কল্যাণ বীমা, Fixed Deposit Scheme ইত্যাদি…….  


জীবন বীমা কর্পোরেশন (জীবীক) সম্পূর্ণরূপে সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক, তেমনি জীবন বীমা কর্পোরেশনও। তাই জীবন বীমা কর্পোরেশনে অর্থ সঞ্চয় করা নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। জীবন বীমা হলো জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ ও মেয়াদি চুক্তি। 


আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, মানুষের জীবনের মূল্য ১০ লক্ষ, ২০ লক্ষ ৩০ লক্ষ ৫০ লক্ষ বা ১ কোটি টাকা নয়, প্রতিটি মানুষের মূল্য-অমূল্য অর্থাৎ মূল্য দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। তবে যার যার সদিচ্ছা ও সামর্থ্য অনুযায়ী বীমা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। আপনি স্বীয় সামর্থ্য অনুযায়ী নিজে বীমা স্কীম গ্রহন করুন এবং পাশাপাশি আপনার প্রিয়জনদের সরকারি জীবন বীমা উপহার দিন। 


সরকারি জীবন বীমায় বিনিয়োগ সবচাইতে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত বিনিয়োগ। আপনার ফ্ল্যাট, বাড়ি, গাড়ি, জায়গা-জমি, সঞ্চয়পত্র, ফিক্সড ডিপোজিট, ব্যাংক ব্যালেন্স এসব নিয়ে আলোচনায় আসে, কিন্তু বীমায় কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন এটা কোন আলোচনায় আসে না। সরকারি জীবন বীমায় বীমা অংক বিভিন্ন মেয়াদে ৫ লক্ষ- ১০ লক্ষ টাকা হতে শুরু করে ০১ কোটি টাকা বা তদুর্ধ আনলিমিটেড টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। 


সরকারি জীবন বীমা করলে, যারা আয়কর প্রদান করেন, প্রতি বছর কমপক্ষে ১৫% আয়কর মওকুফ, জীবনের ঝুঁকি গ্রহণসহ কতিপয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। 


আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, প্রতি মাসে প্রায় ২০,০০০/- ২৫,০০০/- জমা দিয়ে জীবীকের কতিপয় বীমা স্কীমে কোটিপতি বা তদুর্ধ আনলিমিটেড বীমা স্কীম সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রহন করতে পারবেন। সেইসাথে পাচ্ছেন এক কিস্তি প্রিমিয়াম জমা দিয়ে কোটি টাকা বা তদুর্ধ রিক্স কাভারেজ, প্রতিবছর টেক্স রিবেট, যা ব্যাংকে রাখলে রিক্স কাভারেজ ও টেক্স রিবেট পাবেন না। নিশ্চিন্ত সঞ্চয় ও বার্ধক্যে পারিবারিক সুরক্ষা-নিরাপত্তা। তিন বছর বীমা চালানোর পর বীমা একাউন্ট হতে প্রয়োজনে ৭০% - ৯০% পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। বীমা স্কীমগুলো হচ্ছে- ১. তিন কিস্তি বীমা ২. বহু কিস্তি বীমা, ৩. পেনশন বীমা, ৪. মেয়াদী বীমা, ৫. শিক্ষা ও বিবাহ বীমা, ৬. শিশু নিরাপত্তা বীমা ইত্যাদি। এছাড়াও Fixed Deposit Scheme বা “একক প্রিমিয়াম পলিসি” তালিকা ১৭ রয়েছে, এতে বীমা গ্রাহক জীবনের ঝুঁকি নিরাপত্তাসহ ১০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা রয়েছে। এ বীমাতে ১০ লক্ষ, ২০ লক্ষ, ৫০ লক্ষ, ১ কোটি, ২ কোটি বা আনলিমিটেড টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। 


আমাদের ৩০ প্রকারের অধিক বীমা স্কীম রয়েছে। ১ দিনের শিশু থেকে শুরু করে ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত যে কেউ অনায়াসে সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত বীমা করতে পারবেন। 


উদাহরণঃ

======

উদাহরণ স্বরূপঃ পেনশন বীমা স্কীম, তালিকা নং ৬০; ৩৪ বা ৩৫ বছর বয়সের কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে প্রায় ১৯,০০০/- হতে ২০,০০০/- টাকা করে জমা রাখলে ৫৫ বছর বয়সে এককালীন পাবেন প্রায় ১ কোটি ০৫ লক্ষ টাকা অথবা প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মাসিক পেনশন, যা ৫৫ বছর বয়স হতে পর্যায়ক্রমে ১০, ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদের জন্য মাসিক পেনশন নিতে পারবেন। ১,২০,০০০/- টাকা প্রতি মাসে পেনশন পেলে ২০ বছরে মোট পাবেন ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। মেয়াদ পূর্তির সময় বোনাস রেইট বাড়লে এককালীন টাকা অথবা মাসিক পেনশন আরো বেশি পাবেন। এ মাসিক পেনশন আপনার ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসে অটোমেটিক ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এককিস্তি প্রিমিয়াম জমা দিলে বীমা ঝুঁকি ১ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে আর্থিক নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার জন্য পেনশন বীমা স্কীম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বীমা আরম্ভকালীন বয়স ২০-৬০ বছর। মাসিক পেনশন প্রাপ্তির বয়স শুরু ৫৫-৬৫ বছর হতে। শুধুমাত্র ব্যবসায়ী ও বেসরকারি কর্মকর্তাগণ এই বীমা গ্রহণ করবেন তা নয়, সরকারি কর্মকর্তাগণও এই বীমা স্কীম গ্রহন করতে পারবেন। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড।


উদাহরণ স্বরূপঃ তিন কিস্তি বীমা স্কীম, তালিকা নং ০৫; তিন কিস্তি বীমার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বীমাকৃত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনি বীমা অংকের ৫০% টাকা বোনাস বা লভ্যাংশ হিসেবে ফেরত পাচ্ছেন। ধরুন ৩০ বা ৩১ বছর বয়সের কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে প্রায় ২৪,০০০/- হতে ২৫,০০০/- টাকা করে জমা রাখলে ১৮ বা ২১ বছর মেয়াদে ৪৮/৫১ বছর বয়সে সর্বমোট পাবেন প্রায় ১ কোটি টাকা। যা আপনাকে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। ৬/৭ বছর পরে পাবেন ১২.৫ লক্ষ টাকা, পরবর্তী ৬/৭ বছর পরে পাবেন ১২.৫ লক্ষ টাকা এবং মেয়াদান্তে ৬/৭ বছর পরে পাবেন বোনাস বা লভ্যাংশসহ প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। তিন কিস্তি বীমায় ১ম কিস্তির প্রাপ্ত অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে যে লভ্যাংশ পাওয়া যায় তা দিয়েই বীমার পরবর্তি প্রিমিয়ামগুলো দেয়া সম্ভব । বীমা আরম্ভের বয়স ২০ হতে ৫০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ কোন ব্যাক্তির বয়স ৫০ বছর পার হয়ে গেলে আর উক্ত বীমা গ্রহন করতে পারবেন না। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড। 


উদাহরণ স্বরূপঃ বহু কিস্তি বীমা স্কীম, তালিকা নং ০৬, বহু কিস্তি বীমার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বীমাকৃত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনি বীমা অংকের ৮০% টাকা বোনাস বা লভ্যাংশ হিসেবে ফেরত পাচ্ছেন। ধরুন ৩০ বা ৩১ বছর বয়সের কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে প্রায় ২২,০০০/- হতে ২৪,০০০/- টাকা করে জমা রাখলে ২০ বছর মেয়াদে ৫০/৫১ বছর বয়সে সর্বমোট পাবেন প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ+ টাকা। যা আপনাকে ৮ ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রথম ৪ বছর পরে পাবেন ৫ লক্ষ টাকা, পরবর্তী ২ বছর পর পর পাবেন ৫ লক্ষ টাকা করে এবং মেয়াদান্তে বোনাস বা লভ্যাংশসহ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। বার বার কিস্তির প্রাপ্ত অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে যে লভ্যাংশ পাওয়া যায় তা দিয়েই বীমার পরবর্তি প্রিমিয়ামগুলো দেয়া সম্ভব । । বীমা আরম্ভের বয়স ২০-৫০ বছর। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড। 


উদাহরণ স্বরূপঃ শিশু নিরাপত্তা বীমা, তালিকা ০৯, এই বীমা পরিকল্পনা যুগ্মভাবে প্রিমিয়ামদাতা (পিতা/মাতা) ও শিশুর জীবনের উপর দেয়া হয়। শিশুর মেয়াদ-পূর্তিকালীন বয়স ১৮ হতে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এই বীমা সর্বনিম্ন ৬ মাস শিশুর জন্য নেয়া যেতে পারে এবং ৮ থেকে ২৪ বছর মেয়াদের । যদি মেয়াদ-পূর্তির পূর্বে প্রিমিয়ামদাতার মৃত্যু হয় তাহলে মৃত্যুর দিন থেকে মেয়াদ-পূর্তি পর্যন্ত দেয় প্রিমিয়াম মওকুফ হয়ে যায়। এক কোটি টাকার বীমা মূল্যের জন্য বার্ষিক ১০,০০,০০০ টাকা হারে মৃত্যুকাল হতে শুরু করে মেয়াদ-পূর্তি পর্যন্ত এবং মেয়াদান্তে এক কোটি টাকা+ অর্পিত বোনাসসহ বীমার সম্পূর্ণ টাকা প্রদান করা হয়। যদি মেয়াদ-পূর্তির পূর্বে শিশুর মৃত্যু হয় তাহলে তালিকা অনুসারে বীমার টাকা প্রিমিয়ামদাতাকে দেওয়া হয়। এ শিশু নিরাপত্তা বীমাটি মূলতঃ ডাবল ডিফেন্স বীমা , অর্থাৎ শিশু ও শিশুর অভিবাবক উভয়ের সুরক্ষা বীমা। বীমা অংক সামর্থ্য অনুযায়ী অনির্ধারিত ও আনলিমিটেড।


বর্তমানে সবকিছুই অনলাইন। এ দেশের নাগরিক শুধুমাত্র ঢাকা জেলা বা ঢাকায় অবস্থানকারী হতে হবে, তা নয়; সমগ্র বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত হতে অথবা বিদেশ হতেও অনায়াসে আমাদের মতিঝিল শাখায় বীমা করতে পারবেন। আমাদের মতিঝিল শাখা, ঢাকায় বীমা করতে আগ্রহী হলে ১. এনআইডি অনুযায়ী আপনার নাম, ২. জন্ম তারিখ এবং ৩. আপনার পেশা, ৪. কর্মস্থল ও ৫. মাসিক বা ষান্মাসিক (প্রতি ৬ মাসে) কত টাকা সঞ্চয় করতে আগ্রহী তা 01749108456, এ WhatsApp নাম্বারে sms দিয়ে উল্লেখ করুন। আমরা আপনার জন্য উপযুক্ত সম্ভাব্য একটি বা দুইটি বীমা স্কীম পাঠাবো যা হতে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং উপযুক্ত বীমা স্কীমটি গ্রহণ করতে পারবেন। 


সরকারি জীবন বীমা কর্পোরেশন এর লক্ষ্যমাত্রা- আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ১ বছরের শিশু হতে শুরু করে ৬২ বছরের সকল ব্যক্তিকে পর্যায়ক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত বীমা সেবার আওতায় নিয়ে আসা; যাতে করে প্রতিটি মানুষের জীবন-যাপনে নিশ্চিন্ত সঞ্চয় ও ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার আওতাধীন থাকে।


উন্নত দেশগুলোসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে জীবন বীমা কার্যক্রমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বাংলাদেশে জীবন বীমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সেবা ও বিপদে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য যতটা সম্ভব সঞ্চয় করুন এবং নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত জীবনযাপন করুন।


ধন্যবাদান্তে- 

মানস আচার্য (অপু)। 

০১৭৪৯১০৮৪৫৬, ০১৬০১৩২১৪৬৫, 

ই-মেইলঃ jbc.jibanbima.bd@gmail.com 

জীবন বীমা কর্পোরেশন

ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, জীবীক মতিঝিল ব্রাঞ্চ ৬৭০, 

১১৫-১২০ বা/এ, মতিঝিল, ঢাকা ১০০০।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...