এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

আলোর কঠিন রূপ: বিজ্ঞানে বিপ্লব আনলো 'সুপার সলিড' ফোটন

 আলোর কঠিন রূপ: বিজ্ঞানে বিপ্লব আনলো 'সুপার সলিড' ফোটন

এক নজরে যুগান্তকারী আবিষ্কারের রহস্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা


আলো—যা যুগ যুগ ধরে আমাদের কাছে ছিল শুধুই শক্তির উৎস, একে ধরা বা স্থির রাখা ছিল কল্পনার অতীত। তবে বিজ্ঞান আজ সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে। একদল গবেষক আলোক কণাকে এমন এক নতুন রূপে পরিণত করেছেন, যা একসাথে কঠিন পদার্থের মতো গঠন ধরে রাখে এবং তরলের মতো প্রবাহিত হতে পারে। এই অভাবনীয় রূপান্তর বিজ্ঞানের ভাষায় পরিচিত হচ্ছে “সুপার সলিড লাইট” নামে।


---


আলোর পরিবর্তিত রূপ: কীভাবে সম্ভব হলো?


আলো মূলত ফোটন দিয়ে গঠিত, যা ভরহীন এবং একে অপরের সঙ্গে খুব একটা মিথষ্ক্রিয়ায় লিপ্ত হয় না। ফলে, এতদিন পর্যন্ত আলোকে ‘জমিয়ে রাখা’ বা ‘স্থির’ করা যায় না বলেই ধরে নেওয়া হতো। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি—যেমন বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট এবং লেজার কুলিং—ব্যবহার করে ফোটনদের এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন যে তারা একটি নির্দিষ্ট গঠনে অবস্থান নেয়।


এই অবস্থায় আলোক কণাগুলো একদিকে কঠিনের মতো অবস্থানগত গঠন রক্ষা করে, আবার অন্যদিকে ঘর্ষণহীন তরলের মত প্রবাহিত হয়—এই দ্বৈত বৈশিষ্ট্যই তাকে “সুপার সলিড” বানিয়েছে।


---


সুপার সলিড কি আসলে?


সাধারণভাবে, কোনো পদার্থ হয় কঠিন, নয়তো তরল। কিন্তু সুপার সলিড একটি বিরল দশা, যেখানে পদার্থ একই সঙ্গে কঠিনের মতো গঠন ও তরলের মতো প্রবাহ ধারণ করে। পরমাণুগুলো একদিকে এক বিন্যাসে সজ্জিত থাকে, আবার অন্যদিকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই স্থানান্তরিত হতে পারে।


এবার এই অনন্য ধর্ম ফোটনের ক্ষেত্রেও প্রমাণিত হলো। যা সত্যিকার অর্থে পদার্থবিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী ধারা সৃষ্টি করেছে।


---


এই আবিষ্কারের তাৎপর্য কোথায়?


এই চমকপ্রদ আবিষ্কারের বাস্তব প্রয়োগের সম্ভাবনা বিশাল ও বহুমাত্রিক:


কোয়ান্টাম প্রযুক্তি: সুপার সলিড ফোটনের মাধ্যমে আলোক-নির্ভর কিউবিট তৈরি সহজ হবে, যা কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-কে এক নতুন মাত্রা দিতে পারে।


তথ্য সংরক্ষণ: আলোকভিত্তিক মেমরি সিস্টেম উদ্ভাবনের পথ সুগম হতে পারে, যেখানে তথ্য দ্রুতগতিতে এবং নিরাপদে সংরক্ষণ করা সম্ভব।


মহাকাশ গবেষণা: অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ও কণাপদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় এই নতুন ধারা নতুন জ্ঞান ও ব্যাখ্যার দিগন্ত খুলে দিতে পারে।


---


সমাপ্তি: এক নতুন যুগের সূচনা


আলোর এই নতুন রূপ—সুপার সলিড লাইট—শুধু একটি বৈজ্ঞানিক সাফল্য নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। আগামী দিনে হয়তো এমন যন্ত্র বানানো সম্ভব হবে, যেগুলো আলোক কণাকে নিয়ন্ত্রণ করে তৈরি করবে নতুন ধরনের পদার্থ বা শক্তি উৎস।


বিজ্ঞানের এই জয়যাত্রা দেখিয়ে দিল, সীমা শুধু আমাদের কল্পনার—জ্ঞান ও গবেষণায় কোনো গণ্ডি নেই।


---


#বিজ্ঞান #আলোকরহস্য #সুপারসলিড #QuantumFuture #ফোটন ##KnowledgeBuzz #ViralScience

সবার শিফা - শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক রোগের মুক্তি

 সবার শিফা - শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক রোগের মুক্তি


সবার শিফা আপনাকে শারীরিক, মানসিক বা আধ্যাত্মিক কোনো সমস্যায় সাহায্য করতে পারে।


আপনি যদি মাথাব্যথা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অথবা কালো জাদু বা জ্বিনের থেকে মুক্তি চান, তাহলে এই বিশেষ পদ্ধতি আপনাকে আল্লাহর সাহায্যে আরাম দেবে।


কে বলে শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক বা অতিপ্রাকৃত সমস্যার কোনো সমাধান নেই? পবিত্র কোরআন থেকে শিফা মেলে, আর শিফা শুধুই আল্লাহর কাছ থেকে আসে।


যারা শারীরিক বা আধ্যাত্মিক অসুস্থতা, মানসিক অস্থিরতা, অথবা কালো জাদু বা জ্বিন থেকে মুক্তি চান, তারা ক্বারী আব্দুল বাসিতের কণ্ঠে সূরা আল-রহমান (অনুবাদ ছাড়া) দিনে ৩ বার শুনুন—সকাল, দুপুর, এবং রাত। ৭ দিন ধরে একটানা শুনতে হবে। প্রতিবার শোনার পর, আধা গ্লাস পানি নিন, চোখ বন্ধ করে মনের মধ্যে ৩ বার "আল্লাহ" বলুন এবং ৩ চুমুকে পানি পান করুন।


শোনার পদ্ধতি:


একটি শান্ত ও আরামদায়ক স্থানে বসুন, যেখানে আপনাকে কেউ বিরক্ত করবে না।

চোখ বন্ধ করুন এবং আল্লাহর উপস্থিতি বা আপনার বিশ্বাসের সর্বোচ্চ শক্তির সাথে নিজেকে সংযুক্ত কল্পনা করুন।

গভীর মনোযোগ দিয়ে চোখ বন্ধ করে অডিও শুনুন।

অডিও শেষ হলে, চোখ খুলুন এবং আধা গ্লাস পানি নিন।

আবার চোখ বন্ধ করুন এবং মনের মধ্যে তিনবার "আল্লাহ" বলুন।

চোখ বন্ধ রেখেই ৩ চুমুকে পানি পান করুন।

শ্রেষ্ঠ ফলাফলের জন্য: দিনে ৩ বার (সকাল, সন্ধ্যা এবং ঘুমানোর আগে) ৭ দিন পর্যন্ত একটানা "আল্টিমেট রেমেডি" শুনুন।


Whatsapp Call:   01711-592628  - শুধুমাত্র মহিলা দয়া করে


যেকোনো সাহায্যের জন্য, আমাদের ওয়েবসাইটে যান এবং হোয়াটসঅ্যাপ আইকনের মাধ্যমে আমাদের সাথে সরাসরি কল করুন: drishtijoii.com

একমলাটে আদম আ. থেকে বর্তমান পর্যন্ত চলমান ইতিহাস সিরিজ

 একমলাটে আদম আ. থেকে বর্তমান পর্যন্ত চলমান ইতিহাস সিরিজ

.

জাতি হিসেবে মুসলিমদের রয়েছে এক বর্ণাঢ্য ইতিহাস। সেই বর্ণাঢ্য ইতিহাসের সার্থক ও ব্যাপক চিত্রায়ন যাদের কলমে উঠে এসেছে, মাওলানা ইসমাইল রেহান হচ্ছেন তাদেরই একজন। তাঁর রচিত 'তারিখে উম্মতে মুসলিমাহ' গ্রন্থটির অনন্যতা মুসলিম জাতির ইতিহাস সম্পর্কিত অন্যান্য সব রচনা থেকে এটিকে আলাদা একটি পর্যায়ে তুলে দিয়েছে। তাঁর এই বিশাল কাজের সূচনাটি হয়েছে একদম সৃষ্টির গোড়ার সময়টি থেকে। আর সেই শুরু থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত—ইতিহাসের এই বিশাল সময়ে মুসলিম উম্মাহর জীবনে যত ঘটনার ঘনঘটা দেখা দিয়েছে, তার সুবিশাল এক দালিলিক তথ্যের সম্ভার এই বইটি। এই সুদীর্ঘ সময়ে উম্মাহর আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাষ্ট্রীয়—সবগুলো প্রেক্ষাপটেই ইতিহাসের অজস্র ঘটনাবলি, একের পর এক পটপরিবর্তন কুশলী হাতে লিখে গিয়েছেন এই ঝানু ঐতিহাসিক। 

.

ভাষাশৈলীর প্রাঞ্জলতা আর তথ্যের বিশুদ্ধতায় প্রাণবন্ত ইতিহাসের ঝরঝরে পাঠ বইটিকে খুব অল্প দিনেই এনে দিয়েছে উপমহাদেশজুড়ে সুখ্যাতি। বাংলায় এই অসাধারণ কাজটিকে একঝাঁক মেধাবী অনুবাদকের হাতে নিয়ে এসেছে ইত্তিহাদ । ইতিহাসের বিশাল এবং অনন্য এই কাজটিকে পাঠক পাচ্ছেন ১৭টি খণ্ডে, 'মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস' নামে। ইতিহাসপ্রেমী আর শেকড় সচেতন সবার জন্যই হাইলি রিকোমেন্ডেড। 

.

আলোচিত এই সিরিজটির স্টক ফুরাবার আগেই আপনিও সংগ্রহ করুন । 

.

বই : মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস (১-১৭) 

লেখক : মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল রেহান

প্রকাশক : মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ 

.

উন্নত সংস্করণ—

মুদ্রিত মূল্য : ১০,৮১০৳

অফার মূল্য : ৫৪০৫৳

.

দাওয়াহ সংস্করণ—

মুদ্রিত মূল্য : ৮০০০৳

অফার মূল্য : ৪০০০৳


অথবা কল করুন :

01979764926

বাটার দুইটা ফ্যাক্টরী আছে বাংলাদেশে। একটা ধামরাইতে অন্যটি টঙ্গীতে। এখানে কাজ করে কয়েক হাজার বাংলাদেশী কর্মী। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বাটার মতো শ্রমিক বান্ধব কোম্পানি বাংলাদেশে দ্বিতীয়টা নাই। 

 বাটার দুইটা ফ্যাক্টরী আছে বাংলাদেশে। একটা ধামরাইতে অন্যটি টঙ্গীতে। এখানে কাজ করে কয়েক হাজার বাংলাদেশী কর্মী। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বাটার মতো শ্রমিক বান্ধব কোম্পানি বাংলাদেশে দ্বিতীয়টা নাই। 


অফিসার লেভেল নয় কারখানার একজন শ্রমিক লেভেলের কর্মচারীর যা সুযোগ সুবিধা তাই যদি বলি:


১: সাপ্তাহিক বেতন পদ্ধতি। প্রতি বৃহস্পতিবারে বেতন একাউন্টে ঢুকে যাবে, ঝড় তুফান যাই হোক না কেনো। 


২: সাপ্তাহিক হেলথ চেকআপ৷ সাথে প্রয়োজনীয় সকল ঔষধ ফ্রি।


৩: প্রতিদিন ডিউটি শেষে হাফ লিটার দুধের প্যাকেট সবার জন্যে। 


৪: এছাড়া কেউ সিরিয়াস লেভেলের অসুস্থ হলে হলি ফ্যামিলিতে ফ্রি ট্রিটমেন্ট। 


৫: কেউ চাকরি থেকে অবসর নিলে তার পরিবারের যে কেউ সেই চাকরিতে জয়েন করার সুযোগ। 


৬: চাকরি শেষে ১৫-৩০ লাখ টাকা, PF সহ অন্য সব কিছু বাবদ।


৭: বিশেষ প্রয়োজনে অফিস থেকে এক লাখ টাকা লোন, যা পরবর্তীতে স্যালারী থেকে অল্প অল্প করে কেটে রাখা হয়। 


৮: ফ্রি নাস্তা রেগুলার। 


৯: অবসরের সময় বিশেষ সংবর্ধনা ও উপহার। 


১০: খেলাধুলা, পিকনিক সহ অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা। 


১১: শ্রমিক ইউনিয়ন। 


১২: বাচ্চাকাচ্চা জিপিএ ৫ পেলে ২/৩ বছরের জন্য মাসিক বৃত্তি। 


১৩: প্রফিট শেয়ারিং।


১৪: ওভারটাইম করলে ডাবল স্যালারী ইত্যাদি। 


তারা করোনার সময় জোর করে কর্মী ছাটাই করেনি। সুযোগ দিয়েছে যারা নিজ থেকে ছাড়তে চাইবে তাদের মধ্যে সাধারণ একজন শ্রমিকও সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা ক্যাশ নিয়ে যেতে পারবেন।


এমন অসংখ্য সুবিধা তারা তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে থাকে। অথচ দেশীয় অনেক কোম্পানি শত কোটি টাকা লাভের পরেও ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দিতে গিয়ে ফকিন্নির মত কান্নাকাটি করে। 


গতকালের ভদ্রবেশী মুর্খ চোরগুলো এটাও জানে না যে বাটা একটি ইউরোপীয় কোম্পানি। গণহারে চুরির এ কাহিনির পর এখন যদি বাটা তাদের কারখানা অন্যদেশে সরিয়ে নেয় তখন কাকে দোষারোপ করবেন...?

------------------------

(Collected)

কাঁচা আমের জ্যাম বা জেলি বানানো খুবই সহজ এবং মজার একটি উপায়। নিচে একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হলো:

 কাঁচা আমের জ্যাম বা জেলি বানানো খুবই সহজ এবং মজার একটি উপায়। নিচে একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হলো:


 কাঁচা আমের জ্যাম/জেলি রেসিপি:

উপকরণ:

কাঁচা আম – ৪-৫টি মাঝারি সাইজের (প্রায় ৫০০ গ্রাম)


চিনি – ২ কাপ (পরিমাণ কম/বেশি করা যাবে স্বাদমতো)


লবণ – ১/২ চা চামচ


লেবুর রস ভা ভিনেগার – ১ টেবিল চামচ


পানি – ৪ কাপ


প্রস্তুত প্রণালী:

আম সিদ্ধ করা:


কাঁচা আম ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে নাও অথবা গ্রেট করে নাও।


একটি পাত্রে আমের টুকরোগুলো ও পানি দিয়ে সিদ্ধ করো যতক্ষণ না নরম হয়ে যায় (প্রায় ১০-১৫ মিনিট)।


পিউরি বানানো:


ঠান্ডা হলে আম সিদ্ধ মিশ্রণটি ব্লেন্ড করে মসৃণ পিউরি তৈরি করো বা চালনি দিয়ে চেলে নাও।


জ্যাম রান্না:


একটি প্যানে আমের পিউরি, চিনি, লবণ এবং লেবুর রস একসাথে দিয়ে মিডিয়াম আঁচে জ্বাল দাও।


চামচ দিয়ে নেড়েচেড়ে কষাতে থাকো। যত চিনি গলে যাবে ও মিশ্রণ ঘন হবে, তত ভালো।


চামচে নিয়ে দেখে নাও – জ্যাম ঠান্ডা হলে জমে আসছে কি না। (এক ফোটা প্লেটে দিয়ে ঠান্ডা করে আঙুল দিয়ে চেক করতে পারো)


শেষ ধাপ:


চাইলে একটু এলাচ গুঁড়ো দিতে পারো স্বাদ বাড়ানোর জন্য।


ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করো।


স্টোর করা:


ঠান্ডা হয়ে গেলে জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে সংরক্ষণ করো।


ফ্রিজে রাখলে ২-৩ সপ্তাহ ভালো থাকবে।


চাইলে তুমি এটা জেলি বানানোর জন্য পাতলা করে নিতে পারো এবং স্ট্রেইনার দিয়ে ছেঁকে নিখুঁত জেলির মতো তৈরি করতে পারো।


তুমি কি মিষ্টি স্বাদের পছন্দ করো, না একটু টক-ঝাল-মিষ্টি টাইপ বানাতে চাও? আমি চাইলে সেই রকম এক্সট্রা ফ্লেভারও সাজেস্ট করতে পারি! 😄


#jelly #manharecipes #jamjelly #mangojelly

অহর্নিশ তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা (অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়), পত্রলেখা

 এম এ ক্লাসের পরীক্ষা দিতে বসে এক সমস্যা হল ছাত্রটির। সেইদিন ছাত্রটির প্রিয় বিষয় দর্শনের পরীক্ষা। সব প্রশ্নের উত্তরই জানা। কিন্তু প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই তিন ঘন্টা সময় চলে গেল। বাড়িতে ফিরে মন খারাপ। ভাবলেন বাকি পরীক্ষা আর দেবেন না। পরিবারের লোকেরা বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাজি করাতে বাকি পরীক্ষা দিলেন। ফল বেরোতে দেখা গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করছে সেই ছাত্রটিকে । শোনা যায়, ব্রজেন্দ্রনাথের সেই উত্তরপত্রে পরীক্ষকেরা মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘ওই একটি উত্তরকেই মৌলিক গবেষণা হিসেবে গণ্য করা যায়।’’ সেনেটে এ নিয়ে জরুরি সভা বসেছিল। কী করা যায় ! সিদ্ধান্ত হয়েছিল, একটা প্রশ্নের উত্তরে তিনি যা নম্বর পাবেন, বাকি অলিখিত প্রশ্নের জন্য তার শতাংশের হারে নম্বর ধরে দেওয়া হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটে এমন সিদ্ধান্ত সেই প্রথম ও শেষ। তিনিই একমাত্র ছাত্র যিনি ওই বছর দর্শনে প্রথম শ্রেণিতে পাস করেছিলেন ! ভাবা যায় !

একবার কলকাতা থেকে মুম্বই যাচ্ছেন বিখ্যত ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড থম্পসন। আচমকা দেখেন তাঁর প্রথম শ্রেণির কামরায় এলাহাবাদ স্টেশনে এক বাঙালি ভদ্রলোক উঠে পড়লেন | উঠেই তিনি শুরু করলেন কমলালেবু খাওয়া। থম্পসন ভাবলেন এই গেল ! বাঙালি ব্যাটা এ বার গোটা কামরাটা না কমলালেবুর খোসা ছড়িয়ে নোংরা করে ফেলে। কিন্তু তেমন কিছুই তো ঘটল না।বাঙালি ভদ্রলোকটি একটি প্যাকেটে তুলে রাখলেন কমলালেবুর খোসা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন থম্পসনও। শুরু হল আলাপ।

ইতিহাস নিয়েই শুরু কথাবার্তা। কিন্তু খানিক দর্শন, সাহিত্য, বিজ্ঞান— ভূ-ভারতে যতগুলি বিদ্যার শাখা আছে, তা সবই উঠে আসতে থাকল আলাপে। ঠিক আলাপ নয়, একতরফা বাঙালি ভদ্রলোকটিই বলে চলেছেন। বিখ্যাত ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড শুধুই শ্রোতা। মুম্বই স্টেশনটাও যেন কেমন তাড়াতাড়ি চলে এল। নামার সময় থম্পসন বলে গেলেন, ‘‘আপনার নাম জানতে চাইছি না। ভারতবর্ষে একজনই আছেন, যাঁর প্রজ্ঞা এমন প্রসারিত। আমি নিশ্চিত, আপনিই সেই ব্রজেন্দ্রনাথ শীল।’’

আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল | ‘আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়’ তাঁর সম্বন্ধে বলেছিলেন, ‘‘তাঁহার ন্যায় পণ্ডিত লোক বহু শত বৎসর ভারতবর্ষে জন্মে নাই এবং শীঘ্রই যে জন্মিবে তাহাও আমার মনে হয় না৷‌’’ ‘সুধীন্দ্রনাথ দত্ত’ জানিয়েছিলেন, ‘‘সক্রেটিস বংশের শেষ কুলপ্রদীপ’’৷‌ ‘চলন্ত বিশ্বকোষ’-এর মত বিশেষণে ভূষিত করেছিলেন ‘বিনয় সরকার’। ব্রজেন্দ্রনাথের প্রয়াণের পর ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ’ লিখেছিলেন, “… ‘সর্ববিদ্যাবিশারদ’ বলিয়া আখ্যা যদি কাহাকেও নিঃসংশয়ে দেওয়া যায় তবে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ তাহার উপযুক্ততম পাত্র।” ১৯৩৫ সালে তিনি ৭২ বছর বয়সে পদার্পণ করলে ভারতীয় দর্শন কংগ্রেস এক সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ‘আচার্য শ্রীযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ শীল সুহৃদবরেষু’ শীর্ষক এক প্রশস্তিবাণী প্রেরণ করেছিলেন। কবিগুরু সেই প্রশস্তিবাণীতে লিখেছিলেন –

‘‘জ্ঞানের দুর্গম উর্ধ্বে উঠেছে সমুচ্চ মহিমায়

যাত্রী তুমি, যেথা প্রসারিত তব দৃষ্টির সীমায়

সাধনা-শিখরশ্রেণী …’’

ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড থম্পসনের বন্ধু প্যাট্রিক সেডেড বলেছেন, ‘‘Seal was the greatest brain functioning in this planet’’।

আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল- কে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য |

© অহর্নিশ

তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা (অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়), পত্রলেখা

=================

বাংলার ইতিহাস জানতে চান ? যদি প্রকৃত ইতিহাস জানতে চান তাহলে অবশ্যই পড়ুন ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই "বাঙ্গালার ইতিহাস" । বাংলার ইতিহাস নিয়ে এইরকম গবেষণামূলক বই একটিও নেই ।

আমাজন লিংক : https://amzn.to/3MP7d4v

নারিকেল চোরানো মেশিন

 বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে এমন একটি ব্যবসা নির্বাচন করা জরুরি যা ইউনিক, লাভজনক এবং ভবিষ্যৎমুখী। ডাব প্রক্রিয়াজাতকরণ এমনই একটি সম্ভাবনাময় খাত, যা একজন উদ্যোক্তার জন্য হতে পারে একটি সেরা ও কার্যকর বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে ডাবের চামড়া ছাড়ার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি পরিকল্পিতভাবে উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ শুরু করা যায়, তাহলে এই ব্যবসায় দ্রুত সফলতা অর্জন সম্ভব।


ডাবের চামড়া ছাড়ার মেশিনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে খুব সহজেই কাঁচা ডাবকে প্রক্রিয়াজাত করা যায়। মেশিনের সাহায্যে ডাবের বাহ্যিক খোসা দ্রুত এবং সমানভাবে ছাড়ানো সম্ভব হয়, যা ম্যানুয়াল পদ্ধতির তুলনায় অনেক দ্রুত, নিরাপদ এবং শ্রমসাশ্রয়ী। এই প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ডাবকে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করলে তা ভোক্তাদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। কারণ আধুনিক ভোক্তারা এখন পরিচ্ছন্ন ও প্রস্তুত পণ্যের দিকে বেশি ঝুঁকছে।


বিশ্ববাজারে প্রক্রিয়াজাত ডাবের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা প্যাকেটজাত ডাব পানিকে অত্যন্ত পছন্দ করে থাকেন। সেজন্য যদি এই ব্যবসা আন্তর্জাতিক মানে পরিচালিত হয়, তাহলে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির মাধ্যমে বড় পরিসরে লাভবান হওয়া সম্ভব।


এই ব্যবসায় নামতে চাইলে প্রথম ধাপে একটি মানসম্পন্ন ডাব চামড়া ছাড়ার মেশিন সংগ্রহ করতে হবে। এরপর নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে কাঁচা ডাব সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রক্রিয়াজাত করতে হবে। উৎপাদিত পণ্য আকর্ষণীয়ভাবে প্যাকেটজাত করে স্থানীয় বাজারে অথবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিপণনের ব্যবস্থা করলে সহজেই বিক্রয় বৃদ্ধি সম্ভব।


ডাব প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবসা একটি স্থায়ী এবং লাভজনক খাত হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এর সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি, সঠিক মার্কেটিং এবং পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা যোগ হলে এটি উদ্যোক্তার জন্য একটি সফল ও সম্মানজনক ব্যবসা রূপে গড়ে উঠতে পারে।


বি:দ্র: নারিকেল ব্যবসায়ীরা কই? 🤓

এমন বিচার কি এখন হয়?? সিরিয়ার একটি শহরের নাম রাকা। সেখান থেকে খলিফা হারুনুর-রশিদের নিকট চিঠি আসলো।

 এমন বিচার কি এখন হয়??

সিরিয়ার একটি শহরের নাম রাকা। সেখান থেকে খলিফা হারুনুর-রশিদের নিকট চিঠি আসলো। 


চিঠিতে লেখা ছিল: শহরের বিচারক এক মাস যাবত অসুস্থ,বিচার কাজ স্থগিত হয়ে আছে । খলিফা যেন দ্রুত ব্যবস্থা করেন । খলিফা চিঠির জবাব পাঠালেন । আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন বিচারক আসবেন । এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন বিচারক এসে যোগ দিলেন ।


বিচার কাজ শুরু হয়েছে । স্থানীয় প্রহরীরা একজন বৃদ্ধা মহিলাকে আসামী হিসেবে দরবারে হাজির করলেন । তার অপরাধ ছিল তিনি শহরের এক রেস্তারাঁ থেকে কিছু রুটি আর মধু চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পরেন ।


বিচারক: আপনি চুরি করেছেন?


– জ্বি ।


– আপনি কি জানেন চুরি করা কতো বড় অপরাধ ও পাপ ?


– জ্বি ।


– জেনেও কেন চুরি করলেন ?


– কারণ আমি গত এক সপ্তাহ যাবত অনাহারে ছিলাম । আমার সাথে এতিম দু’নাতিও না খেয়ে ছিল । ওদের ক্ষুধার্ত চেহারা ও কান্না সহ্য করতে পারিনি তাই চুরি করেছি। আমার আর এ ছাড়া কোন উপায় ছিল না হুজুর ।


বিচারক এবার পুরো দরবারে চোখবুলালেন। বললেন কাল যেন নগর, খাদ্য,শরিয়া, পুলিশ প্রধান ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিগন সবাই উপস্থিত থাকেন ।তখন এর রায় দেওয়া হবে ।


পরদিন সকালে সবাই হাজির হলেন । বিচারক ও যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে রায় ঘোষণা করলেন-“ বৃদ্ধা মহিলার চুরির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৫০টি চাবুক, ৫০০ দিণার রৌপ্য মুদ্রা আর অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া করা হলো। 


তবে অকপটে সত্য বলার কারণে হাত কাটা মাফ করা হলো। বিচারক প্রহরীকে চাবুক আনার নির্দেশ দিয়ে নিচে নেমে ঐ বৃদ্ধা মহিলার পাশাপাশি দাঁড়ালেন ।


বিচারক বললেন যে নগরে একজন ক্ষুধার্তবৃদ্ধ মহিলা না খেয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণায় চুরি করতে বাধ্য হয় সেখানে তো সবচেয়ে বড় অপরাধী সে দেশের খলিফা। আর আমি এসেছি খলিফার প্রতিনিধি হয়ে । 


আমি যেহেতু তাঁর অধীনে চাকরি করি তাই ৫০টি চাবুকের ২০টি আমার হাতে মারা হউক । আর এটাই হলো বিচারকের আদেশ । আদেশ যেন পালন করা হয় এবং বিচারক হিসাবে আমার উপর চাবুক মারতে যেন কোনো রকম করুণা বা দয়া দেখানো না হয়।


বিচারক হাত বাড়িয়ে দিলেন । দুই হাতে পর পর ২০টি চাবুক মারা হলো। চাবুকের আঘাতের ফলে হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পরছে । ঐ অবস্থায় বিচারক পকেট থেকে একটি রুমাল বের করলেন । 


কেউ একজন বিচারকের হাত বাঁধার জন্য এগিয়ে গেলে বিচারক নিষেধ করেন। এরপর বিচারক বললেন “ যে শহরে নগর প্রধান, খাদ্য গুদাম প্রধান ও অন্যান্য সমাজ হিতৈষীরা একজন অভাব গ্রস্ত মহিলার ভরন-পোষণ করতে পারেন না। 


সেই নগরে তারা ও অপরাধী। তাই বাকি ৩০টি চাবুক সমান ভাবে তাদেরকে মারা হোক ।“


এরপর বিচারক নিজ পকেট থেকে বের করা রুমালের উপর ৫০টি রৌপ্য মুদ্রা রাখলেন । তারপর বিচারপতি উপস্থিত সবাইকে বললেন “যে সমাজ একজন বৃদ্ধমহিলাকে চোর বানায়, যে সমাজে এতিম শিশুরা উপবাস থাকে সে সমাজের সবাই অপরাধী। তাই উপস্থিত সবাইকে ১০০ দিণার রৌপ্য মুদ্রা জরিমানা করা হলো।“


এবার মোট ৫০০দিনার রৌপ্য মুদ্রাথেকে ১০০ দিণার রৌপ্য মুদ্রা জরিমানাবাবদ রেখে বাকি ৪০০টি রৌপ্য মুদ্রা থেকে ২০টি চুরি যাওয়া দোকানের মালিককে দেওয়া হলো। 

বাকি ৩৮০টি রৌপ্য মুদ্রা বৃদ্ধা মহিলাকে দিয়ে বললেন “ এগুলো আপনার ভরণপোষণের জন্য । আর আগামী মাসে আপনি খলিফা হারুনুর রশিদের দরবারে আসবেন । খলিফা হারুনুর রশিদ আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী । “


একমাস পরে বৃদ্ধা খলীফার দরবারে গিয়ে দেখেন ; খলিফার আসনে বসা লোকটিকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে । মহিলা ভয়ে ভয়ে খলিফার আসনের দিকে এগিয়ে যান। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন লোকটি সেদিনের সেই বিচারক। 

খলিফা চেয়ার থেকে নেমেএসে বললেন —আপনাকে ও আপনার এতিম দু’নাতিকে উপোস রাখার জন্য সেদিন বিচারক হিসেবে ক্ষমা চেয়েছিলাম ।


 আজ দরবারে ডেকে এনেছি প্রজা অধিকার সমুন্নত করতে না পারায় অধম এই খলিফাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য ।

আপনি দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন।

একটি শিক্ষনীয় গল্প এক মিনিট সময় নিয়ে হলেও সবাই পড়বেন উপকৃত হবেন!!

 👉একটি শিক্ষনীয় গল্প এক মিনিট সময় নিয়ে হলেও সবাই পড়বেন উপকৃত হবেন!!


একবার এক রাজা তার তিন মন্ত্রীকে ডেকে বললেন,এই নাও তোমাদের একটা করে খালি বস্তা দিলাম।তোমাদের কাজ হবে বনে গিয়ে বিভিন্ন ফল কুড়িয়ে এই বস্তা ভরে নিয়ে আসবে,দেখি কে কত তাড়াতাড়ি বস্তা পূর্ণ করে নিয়ে আসতে পার।তিন জন চলে গেল জঙ্গলে।


🔶১ম মন্ত্রী চিন্তা করলো,রাজা বলেছেন তাই ভালো ভালো ফল কুড়িয়ে বস্তা পূর্ণ করি এবং সেই মত জঙ্গলের ভালো ফল কুড়িয়ে বস্তা ভরে ফিরে আসল।


🔶২য় মন্ত্রী চিন্তা করলো,রাজা তো সব ফল দেখবেন না তাই হাবিজাবি পচা ফল দিয়ে সে নীচের দিকে পূর্ণ করে,উপরের দিকে শুধু কিছু ভালো ফল দিয়ে বস্তা পূর্ণ করলো এবং ফিরে আসল।


🔶৩য় মন্ত্রী চিন্তা করলো,রাজার এত সময় কোথায় বস্তা খুলে খুলে দেখবে,সে শুধু দেখবে বস্তা পূর্ণ হয়েছে কিনা।জঙ্গলে মরা পাতা,ঘাস,কাঠ দিয়ে বস্তা পূর্ণ করে নিয়ে এলো ।


তিন মন্ত্রী রাজার দরবারে হাজির,রাজা সবার বস্তা পূর্ণ দেখে খুশী হলেন।তিনি বস্তাগুলো খুলেও দেখলেন না।৩য় মন্ত্রী নিজের বুদ্ধির কথা চিন্তা করে নিজেকে বেশ বুদ্ধিমান মনে করতে লাগলো। রাজা একটু সময় নিয়ে তার মসনদে বসলেন এবং ঘোষণা করলেন,এই তিন মন্ত্রীদের তাদের বস্তা সহ ৭ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হোক এবং প্রত্যেককে তিনটা আলাদা আলাদা কক্ষে রাখা হোক।এই সাত দিন তাদের কোন প্রকার খাবার দেওয়া হবে না।


যেই কথা সেই কাজ,তিনজনকেই কারাগারে পাঠানো হলো।১ম মন্ত্রী এই সাত দিন তার বস্তার ফল গুলো খেয়ে কাটিয়ে দিলেন।


দ্বিতীয় মন্ত্রী তার যত ভালো ফল ছিল ২ দিন খেতে পারলো,বাকী দিন পচা ফল খেয়ে কাটানোর চেষ্টা করলো কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন।


৩য় মন্ত্রীর বস্তায় কোন ফল ছিলোনা তাই তিনি না খেতে পেরে কারাগারেই মারা গেলেন ।


🌸এই গল্পের শিক্ষণীয় বিষয় হলো-


যদি আমরা ফাঁকি না দিয়ে সঠিকভাবে শিখে, পড়ালেখা বা কাজ   করে বড় হই তবে এর ফল আমরা যখন কর্মক্ষেত্রে যাবো তখন ভোগ করতে পারবো ।

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫

রসুনের এই উপকারীতার সত্যতা কতটুকু?

 রসুনের এই উপকারীতার সত্যতা কতটুকু?


একটি রসুনের টুকরো সারারাত কানের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখুন, আর সকালে উঠে দেখুন কী চমৎকার তার রেজাল্ট!


স্বাদ ছাড়াও রসুন শরীরের গরম, রোগ প্রতিরোধ এবং সংক্রমণ নিরাময়ের জন্য প্রমাণিত হয়েছে! এখানে রসুনের কিছু অপ্রত্যাশিত স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যে ব্যবহারের গুনাগুণ বর্ণিত হয়েছেঃ-


১। চুল ঝরে পড়ার হাত থেকে বাঁচায়ঃ এক কোয়া রসুনের টুকরো কেটে মাথার তালুতে ঘষুন। রসুনে থাকা প্রাকৃতিক তেল চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।


২। রসুনের চা ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি থেকে বাঁচায়ঃ রসুন চা সবচেয়ে সুস্বাদু চা হয়। রসুন চা তৈরি করতে দুটো রসুনের কোয়ার সাথে লবঙ্গ ফুটন্ত জলে দিন, আপনার স্বাদ অনুযায়ী আদা ও মধু যোগ করুন। আপনি ১০ মিনিটের মধ্যেই ভাল বোধ করবেন।


৩। রসুন ত্বকের ফুসকুরি দূর করতে সাহায্য করেঃ কিছু রসুনের তেল ফুসকুরি ওলা ত্বকে লাগান এবং চক্রাকারে ম্যাসাজ করুন। এটি অস্বস্তি থেকে মুক্ত এবং ঐ এলাকাটি মসৃণ করে এবং ফুসকুরি মুক্ত করে তুলবে।


৪। রসুন কানের ব্যাথা দূর করেঃ কানের ব্যাথা খুবই কষ্টকর। একটি রসুনের কোয়া কানে দিয়ে রাখুন সারা রাত আর দেখুন পরের দিন কেমন তাজা অনুভব করবেন যা আগে কখনও করেননি।


৫। ডাইবেটিসের সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে রসুনঃ রসুন শরীরে উচ্চ ইনসুলিনের উৎপাদন কম করে। আর শরীরে অধিক গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। একজন ডাইবেটিক রোগীর রোজ রসুন খাওয়া দরকার, চা বা রান্নার মধ্যে দিয়ে ।


৬। রসুন রক্ত চাপ কমায়ঃ যদি হাইপারটেনশান রোগী দৈনিক ২-৩ টে করে রসুন চেবায়, তবে তাদের রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে যায়


৭। গাঁঠের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় রসুনঃ যেখানেই ব্যথা হয়, সহজেই রসুনের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং ব্যথা এবং অস্বস্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করুন। প্রতিদিন এটি ব্যবহার করলে অস্টিওপরোসিস, অস্টিওমালিয়া এবং আর্থ্রাইটিসের এর মত রোগের ব্যথাও কমাতে।


অনলাইন সংগৃহীত তথ্য।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...