এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫

বাড়িতে আলু সংরক্ষণের পদ্ধতি,,,

বাড়িতে আলু সংরক্ষণের পদ্ধতি

দেশে প্রায় প্রতি বছরই আলুর বাম্পার ফলন হয়। কিন্তু হিমাগারের অভাবে আলু সংরক্ষণে সমস্যা হচ্ছে; নষ্ট হচ্ছে। আলু প্রতি কেজি ৫ থেকে ৬ টাকা দরে কৃষকরা বিক্রি করছে। দেশে প্রায় এক থেকে দুই কোটি টনের মত আলু উৎপাদন হয়। অথচ দেশে অবস্থিত মোট ৩৩৭টি হিমাগারের মোট ধারণ ক্ষমতা ২২ লাখ টন। অর্থাৎ উৎপাদিত আলুর মাত্র পাঁচ ভাগের এক ভাগ আলু সংরক্ষণ করা যায়। প্রতি বছর শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ আলু নষ্ট হয়।


প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস আলু সংরক্ষণ করতে হয়। হিমাগার ছাড়াও কৃষকরা নিজ বাড়িতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন। হিমাগারের এক বস্তা আলু সংরক্ষণ করতে ২৫ থেকে ৩০০ টাকা খরচ হয়। কৃষকরা বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করলে খরচ পড়ে প্রতিবস্তা মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা। এ জন্য কৃষকরা সহজেই বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন। নিচে আলু সংরক্ষণের পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো :


আলু সংগ্রহের পর প্রখর সূর্যালোকে আলু রাখা ঠিক নয়। এতে আলুতে ব্যাকহার্ট রোগ হতে পারে। আলু সংগ্রহের পর কাটা, রোগাক্রান্ত, পচা, ক্ষত, থ্যাতলানো ও বেশি ছোট আলু বাদ দিতে হয়। শুধু ভাল আলু গুদামে রাখা উচিত। আলো-ছায়ায় শুকিয়ে গুদামজাত করতে হবে।

একটাও আলু যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।


গুদামজাতকরণ : তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা ও বায়ু চলাচল করে এমন শুষ্কস্থানে আলু সংরক্ষণ করতে হয়। বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া এবং ছনের ছাউনি দিয়ে ভূমি থেকে বাঁশের খুঁটি দিয়ে উচুঁ করে ঘর তৈরি করতে হয়। আলুর শ্বাস-প্রশ্বাসের তাপ বের হওয়া এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। মেঝেতে বাঁশের চাটাই কিংবা বালু বিছিয়ে এর ওপর স্তুপাকারে আলু রাখতে হবে। তবে স্তুপ যেন এক মিটার উঁচু এবং ২ মিটারের বেশি প্রশস্ত না হয় এবং যথেষ্ট বায়ু চলাচলের সুবিধা থাকে। ২ থেকে ৩টি তাক করে স্তরে স্তরে স্তুপ করে আলু রাখা যেতে পারে। পাত্রে আলু সংরক্ষণ করা যায়। বাঁশের ঝুড়ি, ডোল বা বাঁশের ও মাটির যে কোনো পাত্রে আলু রাখা যায়। এক্ষেত্রে পাত্রগুলো ঠাণ্ডা স্থানে রাখতে হবে। আলুর রোগ ও পোকা দ্বারা আক্রমণ রোধ করার জন্য নিম, নিশিন্দা, বিষ কাটালি ইত্যাদির পাতা গুঁড়ো করে আলুর স্তুপে মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে। তবে কীটনাশক দেয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, ক্ষেত্রে আলু পরিপক্ব হওয়ার সময় থেকে আলুর সুপ্তাবস্থা শুরু হয়। আলু গুদামে রাখার কিছুদিন আগেও সুপ্তাবস্থা শুরু হতে পারে। মোটামুটিভাবে কোনো মারাত্মক ক্ষতি ছাড়া আলুর সুপ্তাবস্থা শেষ হওয়া থেকে প্রায় এক মাস অথবা অঙ্কুরোদগম পুরোপুরি শুরু হওয়া পর্যন্ত আলু গুদামে রাখা যেতে পারে। অর্থাৎ প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস আলু এভাবে সংরক্ষণ করা যায়।


পর্যবেক্ষণ : ১৫ দিন পর পর সংরক্ষিত আলু দেখতে হবে। খারাপ গন্ধ হলে বুঝতে হবে দু’একটি আলু পচেছে। পচা আলু সরাতে হবে। ইঁদুরের উপস্থিতির কোনো লক্ষণ দেখলে ইঁদুর মারতে হবে। পোকা-মাকড় ও রোগ-জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত আলু বাছাই করতে হবে। স্তুপের নিচের আলু উপরে এবং উপরের আলু নিচে নেড়ে দিতে হবে।


বীজ হিসেবে রাখা আলুর অঙ্কুর গজানো শুরু হলেই আলাদাভাবে গুদামজাত করতে হবে। যেখানে দিনের আলো পড়ে (কিন্তু সকালে এবং দিনের শেষ ভাগ ছাড়া সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে না) এমন স্থানে তাক বা মেঝের উপর ২ থেকে ৩টি স্তরে আলু গুদামজাত করা যায়। অঙ্কুর গজানো শুরু হলেই বুঝতে হবে বায়ু চলাচলকৃত গুদামে আলু আর বেশি দিন রাখা যাবে না। সুতরাং বীজ আলু পরিত্যক্ত আলুর গুদামে স্থানাস্তর করতে হবে।

লেখক : ফরহাদ আহাম্মেদ, কৃষিবিদ, শিক্ষক ও সাংবাদিক

এগ্রোবাংলা ডটকম


চাষি পর্যায়ে আলু সংরক্ষণ

গত বছর হিমাগারের অভাবে আলু সংরক্ষণ করা যায়নি বলে প্রচুর আলু পচে গেছে। অপর দিকে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ খরচও বেশি। হিমাগারে এক বস্তা আলু রাখতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা লাগে। চাষিরা নিজেরাই আলু সংরক্ষণ করলে খরচ হয় মাত্র ১০ থেকে ২০ টাকা। দেশে প্রতি বছর যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয় সে পরিমাণ হিমাগার নেই। প্রতি বছরই আলু পচে যায় এবং অল্প দামে বিক্রি করে। চাষিরা নিজের বাড়িতে সহজেই আলু সংরক্ষণ করতে পারেন। আলু পরিপক্ব হওয়ার পর থেকে উফশী জাত দু-তিন মাস এবং দেশী জাতের সুপ্তাবস্খা চার-ছয় মাস থাকে। ক্ষেতে আলু পূর্ণ বৃদ্ধি হওয়ার ১০ থেকে ১৪ দিন পর অর্থাৎ গাছ মরতে শুরু করলে আলু সংগ্রহ করতে হবে। মাটি ভেজা অবস্খায় কোনোক্রমেই ফসল সংগ্রহ করা উচিত নয়। আলু স্খানান্তর যত্নের সাথে করতে হবে এবং শক্ত মেঝের ওপর ফেলা ঠিক নয়।


সংরক্ষণ পদ্ধতি : আলু সংগ্রহের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাঠ থেকে আলু সরানো উচিত এবং প্রখর সূর্যালোকে ফেলে রাখা উচিত নয়। এতে আলুর ব্ল্যাক হার্ট রোগ হতে পারে। আলু সংগ্রহের পর কাটা, রোগাক্রান্ত, পচা, ক্ষত, থেঁতলানো ও বেশি ছোট আলু বাছাই করতে হবে। শুধু ভালো আলু গুদামে রাখা উচিত। আলু ছায়াযুক্ত স্খানে শুকিয়ে গুদামজাত করতে হবে। একটা আলুও যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


গুদামজাতকরণ : তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা ও বায়ু চলাচল করে এমন স্খানে আলু সংরক্ষণ করতে হয়। বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া এবং ছনের ছাউনি দিয়ে ভূমি থেকে বাঁশের খুঁটি দিয়ে উঁচু করে ঘর তৈরি করতে হয়। টিউবার (আলু) জীবন্ত উদ্ভিদাংশ বলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় তাপ সৃষ্টি করে ও পানি বের করে দেয়। এ তাপ গুদামজাতকালীন সময় বায়ু চলাচলের মাধ্যমে অবশ্যই বের করে দিতে হবে। এ জন্য তাপ বের হওয়া ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্খা করতে হবে। মেঝেতে বাঁশের চাটাই কিংবা বালু বিছিয়ে এর ওপর স্তূপাকারে আলু রাখতে হবে। তবে আলুর স্তূপ যেন তিন ফুট উঁচু ও ছয় ফুটের বেশি প্রশস্ত না হয় এবং যথেষ্ট বায়ু চলাচলের সুবিধা রাখতে হবে। দু-তিনটি তাক করে স্তরে স্তরে স্তূপ করে আলু রাখা যেতে পারে। বাঁশের ঝুড়ি, ডোল বা বাঁশের ও মাটির যেকোনো পাত্রে আলু রাখা যায়। এ ক্ষেত্রে পাত্রগুলো ঠাণ্ডা স্খানে রাখতে হবে। আলু পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত রোধ করার জন্য নিম, নিশিন্দা, বিষকাটালি ইত্যাদি পাতা গুঁড়ো করে আলুর স্তূপে মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে। তবে কীটনাশক দেয়া যাবে না।

মনে রাখতে হবে, ক্ষেতে আলু পরিপক্ব হওয়ার সময় থেকেই আলুর সুপ্তাবস্খা শুরু হয়। আলু গুদামে রাখার কিছু দিন আগেও সুপ্তাবস্খা শুরু হতে পারে। মোটামুটিভাবে কোনো মারাত্মক ক্ষতি ছাড়া আলুর সুপ্তাবস্খা শেষ হওয়া থেকে প্রায় এক মাস অথবা অঙ্কুরোদগম পুরোপুরি শুরু হওয়া পর্যন্ত আলু গুদামে রাখা যেতে পারে। অর্থাৎ প্রায় সাত-আট মাস আলু এভাবে সংরক্ষণ করা যায়।


পর্যবেক্ষণ : ১৫ দিন পর পর গুদামে বা পাত্রে সংরক্ষিত আলু দেখতে হবে। খারাপ গìধ হলে বুঝতে হবে দু-একটি আলু পচেছে। পচা আলু সরাতে হবে। ইঁদুরের কোনো চিহ্ন দেখলে বা টের পেলে ইঁদুর মারার ব্যবস্খা করতে হবে। স্তূপের নিচের আলু ওপরে এবং ওপরের আলু নিচে নেড়ে দিতে হবে। আলু ভিজে গেলে হালকা রোদে শুকিয়ে আবার গুদামজাত করতে হবে।


রোগ ও পোকা দমন : গুদামে আলু সংরক্ষণ করার পর জাবপোকা ও আলুর টিউবার মথ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। জাবপোকা দমনের জন্য গুদামের আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিম, নিশিন্দা, ল্যান্টানা, বিষকাটালির পাতা গুঁড়ো করে আলুতে দিতে হবে। টিউবার মথ দমনের জন্য ক্ষেতে আলু মাটি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। মথ দ্বারা ছিদ্র করা আলু বাছাই করা, খুব শুকনো বালু দিয়ে আলু গুদামে ঢেকে রাখা উচিত। গুদামজাত অবস্খায় সৃষ্ট রোগের অধিকাংশ জীবাণু জমি থেকে আসে এবং গুদামে রোগের অনুকূল পরিবেশে বিস্তার লাভ করে। আলুর গাছ জন্মানোর শুরু থেকেই রোগ দমন ব্যবস্খাপনা শুরু করা উচিত। এজন্য আগাম বীজ রোপণ, ফসল সংগ্রহ ও গুদামজাতকরণ। আলু হালকা রোদে বা ছায়ায় শুকিয়ে সংরক্ষণ করা উচিত।


শস্য বহুমুখীকরণ কর্মসূচির (সিডিপি) আওতায় আলু সংরক্ষণের ওই পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যেকোনো পরামর্শের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস এবং উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।


লেখক: ফরহাদ আহাম্মেদ কৃষিবিদ

এগ্রোবাংলা ডটকম

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৬-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৬-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অজ্ঞাত পরিচয় শহিদদের শনাক্তকরণের কার্যক্রম চলছে, শহিদ পরিবারের পাশে থাকবে সরকার - রায়েরবাজারে শহিদদের কবর জিয়ারত করে বললেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।


বাংলাদেশ বিরোধী আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না - মন্তব্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের।


বছরে ৫০ লাখ মেট্রিকটন এলএনজি কিনতে একটি মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি স্বাক্ষর।


লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে তারেক রহমানের বাসায় গেলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।


শিক্ষকদের জন্য সবসময় যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে বিএনপি - বললেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে অন্তত ১২ জন শান্তিরক্ষী নিহত।


মালয়েশিয়ায় অনুর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সুপার সিক্স পর্বে আজ ভারতের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫

ধানের চারা রোপনের পরবর্তীতে করনীয়

 ✅ ধানের চারা রোপনের পরবর্তীতে করনীয়:

 

ধানের চারা রোপনের ৭-১০ দিনের মধ্যে কোন চারা মারা গেলে পুনরায় সেখানে নতুন চারা রোপন করে দিতে হবে এবং প্রথম কিস্তির ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করতে হবে। 


👉 চারা রোপনের ১০-১৫ দিন জমিতে ছিপছিপে পানি রাখতে হবে।

👉 চারা রোপনের পর গুঁড়ি পচা/গোড়া পঁচা রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে।


 🔰 গোড়া পঁচা রোগে করণীয়:


👉 এ রোগ দেখা দিলে ধানের জমির সম্পূর্ণপানি শুকিয়ে ফেলতে হবে।

👉 আক্রান্ত গাছ তুলে নতুন করে চারা রোপন করতে হবে। 

এমতাবস্থায়,


🔻চাম্পিয়ন ৭৭ ডাব্লিউ পি  (পেট্রোকম)। 

🔻জিবাল ৭৭ ডাব্লিউ পি  (ইনতেফা)।, এর যে কোন একটি


🟢 (প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে)


অথবা


🔻নেকসুমিন ৫৪ ডাব্লিউ পি (ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার) 

🔻সানপুমা ৫৪ ডাব্লিউ পি  (ম্যাকডোনাল্ড),এগুলোর যে কোন একটি বালাইনাশক - 


🟢 ( প্রতি লিটার পানি ২ গ্রাম হারে স্প্রে করতে হবে) 


অথবা, 


🔻ডিফেন্স ৩৫ এসসি (হেকেম)

🔻ধানসিঁড়ি ৩৫ (এসসি সী ট্রেড)


🟢 (প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।)


অথবা,


রাদি/বিসমাজল/অটোব্যাক / ব্যাকট্রোবান /ব্যাকট্রল ২০ ডাব্লিউ পি এর  যে কোন একটি বালাইনাশক-


🟢 (প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।) 


👉 গুটি ইউরিয়া প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৭-১০ দিনের মধ্যে প্রতি চার গোছার মাঝখানে ২.৭ গ্রামের গুটি ইউরিয়া ৭-১০ সেন্টিমিটার গভীরে কাদায় পুঁতে দিতে হবে। 


👉 গুটি ইউরিয়া প্রয়োগের পরে জমিতে পানি ধরে রাখতে হবে। যাতে মাটি ফেটে না যায়। গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ কৃত জমিতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ৩০ দিনের মধ্যে জমিতে প্রবেশ উচিত নয়।


👉 ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে বিঘায় প্রয়োগ করতে হবে। 


(জমির ধরন অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে) 


🔸প্রথম কিস্তিঃ 


👉 চারা রোপনের ১০-১২ দিনের মধ্যে ১০-১২ কেজি।


🔸দ্বিতীয় কিস্তিঃ 


👉 চারা রোপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ১০-১২ কেজি।


🔸তৃতীয় কিস্তিঃ


👉 কাইচ থোড়ের ৫-৭ দিন আগে ৮-১০ কেজি।


🔴 চারা রোপনের পরে ফসফেট জাতীয় সার প্রয়োগ না করাই ভালো।


 ( এক্ষেত্রে চারা রোপনের আগে শেষ চাষে কাদায় ফসফেট জাতীয় সার প্রয়োগ করতে হবে) 


👉 ইউরিয়া সার প্রয়োগ করার সময় জমিতে ২-৩ সেন্টিমিটার পানি থাকা ভালো।


(সার প্রয়োগের সাথে সাথে হাত দিয়ে নিড়ানি দিলে সার যেমন মাটির সাথে মিশে যায় তেমনি আগাছা না থাকায় ধান গাছ বেশি পুষ্টি পায়।)


👉 চারা রোপনের ৪০-৪৫ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। 


👉 আগাছানাশক প্রয়োগের সময় ২-৩ সেন্টিমিটার পানি ৫-৭ দিন ধরে রাখতে হবে। 


👉 চারা রোপনের পরে জমিতে আগাছা দমন করার জন্য প্রেটিলাক্লোর গ্রুপের আগাছানাশক ধানের চারা রোপণের ৩-৬ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে।


🔷 এসিটাক্লোর+বেনসালফিউরানমিথাইল গ্রুপ।


🔹নিমূর্ল ১৮ ডব্লিউপি (ইয়ন)

🔹বেনসানিল ১৮ ডব্লিউপি (স্কয়ার)

🔹শাবিল ১৮ডব্লিউপি (ইনতেফা)

🔹চেনজার ১৮ ডব্লিউপি (ন্যাশনাল)

🔹সুপারমিক্স ১৮ডব্লিউপি (এসিআই)

🔹ওয়াইপার ১৮ ডব্লিউপি (এমিন্যান্স)

🔹ফ্লোরেক্স ১৮ডব্লিউ পি (মিমপেক্স) 

🔹নিকাশ ১৮ ডব্লিউপি (গ্রীন বাংলা)

🔹হারিকেন ৩০ ডব্লিউপি (সী ট্রেড)

🔹গেইল ১৮ ডব্লিউপি (ফসল এগ্রো.)

🔹সানচান্স ১৮ ডব্লিউপি (ম্যাকডোনাল্ড)

🔹ওয়াশ আউট ১৮ ডব্লিউপি (ইস্ট ওয়েস্ট)

🔹ক্লিন মাস্টার ১৮ ডব্লিউ পি (হেকেম)


✅এগুলোর যে কোন একটি প্রতি বিঘায় (৩৩ শতকে) ১০০ গ্রাম হারে ৫ কেজি ইউরিয়া সারের সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।


অথবা, 


🔷 প্রিটিলাক্লোর গ্রুপের আগাছানাশক যেমন,


🔹মিমফিট ৫০০ইসি (মিমপেক্স)

🔹কমিট ৫০০ইসি (অটো ক্রপ কেয়ার)

🔹রিফিট প্লাস ৩৭ডব্লিউ ই (সিনজেনটা)

🔹রিফিট ৫০০ইসি (সিনজেনটা)

🔹সুপারহিট ৫০০ইসি (এসিআই)

🔹সিলাহ ৫০০ইসি (ইনতেফা)

🔹প্রিক্লোর ৫০০ইসি (স্কয়ার)

🔹কেমক্লোর ৫০০ইসি(হেকেম)

🔹টপ ৫০০ইসি (সেমকো) 


✅ এগুলোর যে কোন একটি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি:লি হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।বা,


বিঘায় (৩৩ শতকে) ১৩২ মিলি হারে চারা রোপনের ৬ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে। 


অথবা, 


ধানের চারা রোপণের ৭-১০দিনের মধ্যে 🔷পাইরাজুসালফুরান ইথাইল গ্রুপের আগাছানাশক যেমন,


🔹লেজার ১০ ডব্লিউপি (সিনজেনটা)

🔹জেনেসান ১০ ডাব্লিউ পি (জেনেটিকা)

🔹পাইরাগোল্ড ১০ ডব্লিউপি (মিমপেক্স)

🔹ম্যানেজ ১০ ডব্লিউপি (পদ্মা)

🔹সুপার পাওয়ার ১০ ডব্লিউপি (এসিআই)

🔹সী কর্ড ১০ ডব্লিউপি (সী ট্রেড)

🔹লুবাদা ১০ ডব্লিউপি (ইনতেফা)

🔹পাইরাস ১০ ডব্লিউপি (এমিন্যান্স)

🔹পরিস্কার ১০ ডব্লিউপি (ম্যাকডোনাল্ড)

🔹ফাস্ট ক্লিন ১০ ডব্লিউপি (গ্রীন বাংলা)

🔹নিড়ানী ১০ ডব্লিউপি (ইস্ট ওয়েস্ট)

🔹কামলা ১০ ডব্লিউপি (ফসল এগ্রো)

🔹হার্বিকিল ১০ ডব্লিউ পি(হেকেম)


✅ এর যে কোন একটি আগাছানাশক প্রতি লিটার পানিতে ০.২৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। 


👉 কাইচ থোড় আসা শুরু করলে জমিতে ছিপছিপে পানি রাখতে হবে। আবার দানা শক্ত হওয়া শুরু করলে জমি থেকে পানি বের করে ফেলতে হবে।

👉 কাইচ থোড় অবস্থায় বিঘা (৩৩ শতাংশ) প্রতি ৫-৭ কেজি পটাশ সার গাছ শুকনো অবস্থায় উপরি প্রয়োগ করতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ফলন বৃদ্ধি পায়।

👉থোড় অবস্থায় পরিপুষ্ট দানা ও ফলন বৃদ্ধির জন্য সলুবর বোরন লিটারে ১.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।


👉 পোকামাকড় প্রতিরোধের জন্য চারা রোপনের ৩০-৩৫ দিনে সিস্টেমিক জাতীয় কীটনাশক এবং ধানের ফুল আসার আগে স্ট্রবিন জাতীয় ছত্রাকনাশক ও সিস্টেমিক জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।


🔴 বোরো ধানের রোগবালাই:


ব্লাষ্ট রোগ, ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট,  ব্যাকটেরিয়াল পেনিকেল ব্লাইট, মাজরা পোকা বোরো ধানের প্রধান বালাই। 


রোগবালাই মোকাবেলায় প্রতিদিন জমি নিজেই পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট  উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের থেকে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

     

                              ( তথ্য সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)

আপনার গাছ হলুদ হয়ে যাচ্ছে? বৃদ্ধি হচ্ছে  না? ডালপালা কম?  ইউরিয়া সার প্রয়োগ

 (১) আপনার গাছ হলুদ হয়ে যাচ্ছে? বৃদ্ধি হচ্ছে  না? ডালপালা কম? 

ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন  বা মুরগীর বিষ্টার সার প্রয়োগ করতে পারেন। ডিএপি সারও প্রয়োগ করতে পারেন। 


(২) আপনার গাছে ফুল ফল হচ্ছে না? গাছ নরম? শক্ত করার দরকার? পাতা চিকুন? ফল ঝরে যাচ্ছে? 

কোন চিন্তা নাই- টিএসপি( ট্রিপল সুপার ফসফেট)  সার দিন। প্রতি বর্গ ফুটে ১.৪ গ্রাম। ১ চা চামচের অর্ধেকের কম। 


(৩)  আপনার গাছের পাতা পুড়ে যাবার মত হচ্ছে? তিলের দানার মত দাগ পড়েছে? রোগ ব্যাধি বা পোকা মাকড়ের আক্রমণ বেশি?  

যদি উত্তর হ্যা হয় তাহলে  এমওপি( মিউরেট ও পটাশ)  বা হাড়ের গুড়া / ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করুন।


(৪) আপনার গাছের পাতা চিকুন হয়ে যাচ্ছে? ফল ঝরে যায়? পাতার কিনারা সাদা হয়?  গাছ দুর্বল হয়? 

সালফার সার প্রয়োগ করুন। ১ গ্রাম / লিটার।


(৫) পুরাতন পাতায় মরিচার মত দাগ পড়ে? নতুন পাতার গোড়া ও মধ্যশিরার দুই কিনারা সবুজ হয়?

জিংক সার প্রয়োগ করুন। ১ গ্রাম/ প্রতি লিটারে।


(৬) ফল আঁকাবাকা হচ্ছে? অমসৃন  ত্বক? ফল ঝরে যাচ্ছে? 

কোন চিন্তা নাই- বোরণ প্রয়োগ করুন। 


(৭) পোকায় আক্রমণ করছে?  পাতা খেয়ে যাচ্ছে?  

বায়োক্লিন বা ইমিডা ক্লোরোপিড গ্রুপের কীটনাশক( ইমিটাব) বা অন্যান্য কীট নাশক প্রয়োগ করুন। প্রথমটি জৈব কীট নাশক। পরের গুলো ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। 


(৮) আপনার গাছ বা পাতা পচে যাচ্ছে?  কান্ড বা শেকড় পচে যাচ্ছে,গাছ ঢ়লে পড়ছে?  

ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করুন (বায়োডার্মা, ট্রাইকো ডার্মা, সাবান পানি ইত্যাদি) এতে কাজ না হলে  ম্যানকোজেব,ম্যানসার, কাজিম প্রয়োগ করতে পারেন।


(৯) ফল পচে যাচ্ছে বা ফল ছিদ্র করে দিচ্ছে?  

জাদুর ফাদ বা ফেরোমন ট্রাপ ব্যবহার করুন।


(১০)সাদা মাছি পোকা আক্রমন  করেছে?  মাকড় নাশক ইমিটাব ব্যবহার করতে পারেন। 


(১১) জাব পোঁকা পাতা খেয়ে যাচ্ছে ?  

হলুদ ফাদ বা কাগজ ব্যবহার করুন। 


কপি পোষ্ট

আম গাছে মুকুল আসছেনা?শুধু নতুন পাতা বের হচ্ছে। নো টেনশন, জেনে নিন সমাধান ।

আম গাছে মুকুল আসছেনা?শুধু নতুন পাতা বের হচ্ছে। নো টেনশন, জেনে নিন সমাধান । 🥭


 জানুয়ারি শেষের দিকে।ইতিমধ্যেই সকলের আম গাছগুলিতে মুকুল এসে গেছে কিন্তু আপনার বা অনেকের বাগানের বাকি গাছগুলোতে মুকুল আসবে আসবে করছে। তবে এখনো যদি আপনার আম গাছে  মুকুল না এসে থাকে, তাহলে টেনশনের কোন কারন নেই, ছোট্ট একটা পদক্ষেপ নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ ভালো কাজে আসবে । 

 জাতগত পার্থক্যের কারনে প্রত্যেকটা গাছে মুকুল আসার ধরন ও কিন্তু একটু আলাদা হয়ে থাকে । যেমন –


একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন কিছু আম গাছের পত্র মুকুলের কোল থেকে মুকুলটা হয় , যার কোন পাতা হয় না, পুরোটাই মুকুল নিয়ে বের হয়।

কিছু গাছে আবার আগে পাতা বের হয় , পাতা বের হওয়ার পর মুকুল আসতে শুরু করে।

কিছু কিছু গাছের ক্ষেত্রে আবার প্রচুর নতুন পাতা বের হয় , সাথে প্রত্যেকটা পাতার কোল থেকে মুকুল আসতে দেখা যায় ৷ মাঝে মাঝে কিছু গাছে মুকুলের মধ্যে খুব ছোট ছোট পাতা বের হয়। মুকুল যত বড় হয় ততই সেই পাতাগুলো শুকিয়ে ঝরে পড়ে যায় ।


সুতরাং যাদের গাছে এখন নতুন পাতা বের হচ্ছে, তাদের গাছ এখন গ্রোথ নিচ্ছে। নতুন গ্রোথ নিচ্ছে মানেই যে সেই গাছে মুকুল আসবে না তা কিন্তু নয়। আবার এই নয় যে, নতুন পাতা বেরোলে সব গাছে মুকুল আসবে। সেটা নির্ভর করে গাছের বয়স এবং গাছের গঠনের উপর ভিত্তি করে ।


তবে যাদের আমগাছ গুলো ফল দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিণত , তারপর ও নতুন পাতা বের হচ্ছে মুকুল না এসে , তাদেরও চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, মাঝে মাঝে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে গাছে মুকুলের পরিবর্তে নতুন পাতা আসে এবং মুকুল ও আগে পরে বের হয় । আপনার মুকুল না আসা আম গাছের বয়স যদি ৩ বছরের বেশি হয়ে থাকে সাথে গাছও যদি যথেষ্ট হেলদি থেকে থাকে , তাহলে সেই গাছে এবার ফল নেওয়া জন্য নিচের দেখানো নিয়মে চেষ্টা করতে পারেন সামান্য কিছু পরিচর্যার মাধ্যমে ।


পরিচর্যা গুলো হলো :


▪️প্রথমেই মনে রাখতে হবে সম্পূর্ণ গাছেই যদি নতুন ডাল বের হয়ে গিয়ে থাকলে, তাহলে গাছকে ফোর্স না করে আগামী বছরের অপেক্ষায় থাকলে ভালো হবে। 


▪️যে গাছ গুলোর মধ্যে কিছু কিছু ডালে নতুন পাতা সবে বের হতে শুরু করেছে এবং মুকুল এর দেখা নেই, সেই গাছের নতুন ডালের গোড়া থেকে ভাল করে কেটে দিন। কাটা জায়গায় ছত্রাক নাশক স্প্রে করে দিন ।


▪️বিগত ১৫ দিনের মধ্যে যদি কোনো PGR( plant growth regulator) স্প্রে না করে থাকেন, তাহলে এখন মিরাকুলান বা ফ্লোরা ১-২ বার স্প্রে করে দিন। মিরাকুলান হলে প্রতি লিটার জলে দুই এম এল এবং ফ্লোরা হলে প্রতি লিটার জলে  হাফ এম এল । তবে দুটোর যেকোনো একটি দু’বার ব্যাবহার করা যাবে না, বরং দুটো দুইবার পাল্টে পাল্টে স্প্রে করুন।


▪️ PGR স্প্রে করার দুইদিন পর হাফ চা চামচ পটাশিয়াম সালফেট এবং দুই গ্রাম বোরন মিশিয়ে ভালো করে স্প্রে করে দিতে হবে গোটা গাছে। সেইসঙ্গে এই মিশ্রণ মাটিতেও প্রয়োগ করতে হবে।


PGR টা আবার কি? 


 Pgr হল (Plant. Growth Regulator) অর্থাৎ সোজা বাংলায় বলতে গেলে গাছের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক। সহজ ভাষায় যাকে গাছের ভিটামিনও বলা যেতে পারে। যা অত্যন্ত কার্যক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ভিদ বৃদ্ধি উদ্দীপক যা গাছের ফলন বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়। 


আপাতত এইটুকু পরিচর্যায় যথেষ্ঠ, যার ফলে একটু দেরীতে হলেও আপনার গাছে মুকুল চলে আসবে ইনশাআল্লাহ ।


পরিশেষে, যদি মনে করেন লেখা গুলো বাগানীদের উপকারে আসবে, তাহলে ফেসবুকের পোস্ট টি শেয়ার করুন, নেক্সটে কোন বিষয়ে জানতে চান কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৫-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৫-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া তৈরির ওপর প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের গুরুত্বারোপ।


মসৃণ এলডিসি উত্তরণ ও বৈশ্বিক সরবরাহ কাঠামোয় বাংলাদেশকে যুক্ত করার সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার।


রাজধানীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন - নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে ওঠার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার।


উন্নত চিকিৎসার জন্য জুলাই আন্দোলনে আহত আরও সাতজনকে পাঠানো হলো সিঙ্গাপুরে। 


সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এর কারণে নির্বাচন থেমে থাকতে পারে না - বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।  


ফ্যাসিস্টদের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে জাতীয় ঐক্য রক্ষায় দলীয় কর্মীদের প্রতি আহ্বান জামায়াত আমীরের।


ইউক্রেন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত রাশিয়া।


সেন্ট কিটসে তৃতীয় ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে সফররত বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২-১ এ সিরিজ জিতলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৪-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৪-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


বিদেশি উদ্যোক্তাদের আরো বেশি করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা - বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত।


জুলাই-আগষ্ট গণ-অভ্যূত্থানকালে নৃশংসতার বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদন আগামী মাসের মাঝামাঝি প্রকাশ করা হবে - সুইজারল্যান্ডে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জানালেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনার।


বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি প্রকৃতপক্ষে আরেকটি  এক-এগারো এর সরকার গঠনের ইঙ্গিত দেয় - নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।


আগামী সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোটগ্রহণ হবে ব্যালট পেপারে - জানালেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ।


দ্রুত জাতীয় নির্বাচন না হলে জনগণের প্রত্যাশা ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আশংকা রয়েছে - মন্তব্য বিএনপি মহাসচিবের।


জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।


চট্টগ্রামে বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্স নিজ নিজ খেলায় জয়ী।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

ধানের আগাছা নাশক: নাম ও গ্রুপ

 ধানের আগাছা নাশক: নাম ও গ্রুপ

ধান চাষে আগাছা দমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগাছা ধান গাছের সাথে পুষ্টি ও জলের জন্য প্রতিযোগিতা করে, ফলে ফলন কমে যায়। এই সমস্যা মোকাবেলায় কৃষকরা আগাছানাশক ব্যবহার করেন।


আগাছানাশক কী?


আগাছানাশক হল এমন এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা নির্দিষ্ট কিছু উদ্ভিদকে (আগাছা) মেরে ফেলে, কিন্তু ফসলকে ক্ষতি করে না।


ধানের আগাছা নাশকের ধরন:


ধানের আগাছা নাশককে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:


প্রি-ইমারজেন্ট আগাছানাশক: ধানের বীজ বপনের আগে বা পরে জমিতে প্রয়োগ করা হয়। এটি জমিতে অঙ্কুরিত হওয়া আগাছাকে নষ্ট করে।

পোস্ট-ইমারজেন্ট আগাছানাশক: ধানের চারা উঠার পরে আগাছা দেখা দিলে প্রয়োগ করা হয়। এটি বড় হয়ে ওঠা আগাছাকে নষ্ট করে।

ধানের আগাছা নাশকের কিছু সাধারণ নাম ও গ্রুপ:


প্রিটাইলাক্লোর

বুটাক্লোর

মেট্রিবুজিন

ইমাজাপিক


আগাছা নাশক ব্যবহারের সময় সতর্কতা:


সঠিক মাত্রা: আগাছানাশকের নির্দেশিত মাত্রা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করলে ধান গাছও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

সঠিক সময়: আগাছানাশক প্রয়োগের সঠিক সময় মেনে চলতে হবে।

সুরক্ষা সরঞ্জাম: আগাছানাশক প্রয়োগের সময় হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক এবং চোখে চশমা পরতে হবে।

পরিবেশ সুরক্ষা: আগাছানাশক ব্যবহারের পর হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। আগাছানাশকের প্যাকেট সঠিকভাবে ফেলে দিতে হবে।

কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:


আগাছানাশক ব্যবহার করার আগে স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারা আপনার জমির ধরন, আগাছার প্রকারভেদ এবং অন্যান্য কারণ বিবেচনা করে সঠিক আগাছানাশক এবং তার মাত্রা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন।


আগাছা দমনের অন্যান্য উপায়:


জৈব পদ্ধতি: কম্পোস্ট, গোবর ইত্যাদি জৈব সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বাড়ানো।

যান্ত্রিক পদ্ধতি: হাতে নিড়ানি, কুলতি ইত্যাদি যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আগাছা দমন করা।

ফসলচক্র: বিভিন্ন ধরনের ফসল পরপর চাষ করে আগাছার বৃদ্ধি রোধ করা।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৩-০১-২০২৫ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৩-০১-২০২৫ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে বিদেশী বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ - সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ব্যস্ত দিন পার করেন প্রধান উপদেষ্টা।


আগামী মাসে দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড গভর্ণমেন্ট সামিট-২০২৫-এ যোগদানে আমন্ত্রিত হলেন প্রধান উপদেষ্টা।


রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান পেতে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস UNHCR-এর।


গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যার বিচারের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদন খারিজ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইসিটি -- বিচারে কোনো বাধা নেই।


মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করবে সরকার - বললেন খাদ্য উপদেষ্টা।


যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরাইলী বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনী নিহত ও ৪০ জন আহত।


গতকাল চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ- BPL-এ ঢাকা ক্যাপিটালস ও ফরচুন বরিশালের নিজ নিজ খেলায় জয়লাভ।

বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

এক আতর ব্যবসায়ী নিজের মেয়ে বিয়ে দিবেন। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে এক ছেলের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দিলেন,,,,, ফেইসবুক গল্প

 এক আতর ব্যবসায়ী নিজের মেয়ে বিয়ে দিবেন। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে এক ছেলের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দিলেন। 


বিয়ে শেষে মেয়ে শ্বশুরবাড়ি গেল। যাবার কিছুদিন পর সে তার বাবার সাথে যোগাযোগ করলো এবং জানালো তার নতুন বাড়িতে প্রচুর গন্ধ। যেহেতু সে ছোটবেলা থেকে আতরের মাঝেই বড় হয়েছে তাই সে আতরের সুঘ্রাণেই অভ্যস্ত। তার বাবা তাকে উপদেশ দিলেন ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা করে যেতে এবং তার নতুন সংসারেও আতরের ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিতে। 


সে চেষ্টা করতে থাকে এবং আতর ঢালতেই থাকে।কিন্তু সমস্যা হয় তার নতুন পরিবারের লোকদের আতর ভালো লাগেনা। আতরের ঘ্রাণ তাদের কাছে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মত লাগে। এ নিয়ে দিনের পর দিন চলতে থাকে কলহ। কারন মেয়ে তাদের কোনমতেই বুঝিয়ে উঠতে পারেনা যে তাদের ঘরের কোনে দিনের পর দিন যে ময়লা জমেছে তা পরিস্কার করা দরকার এবং আতর ঢালা দরকার। সে যতই বুঝায় তাদের কাছে ততই এটা বিরক্তিকর লাগে এবং তারা এর বিপরীতে নানা যুক্তিতর্ক দাড় করায়। কোন এক অদৃশ্য পর্দা যেন তাদের অন্তর বিবেক মস্তিষ্কে ঠিক ঘরের কোনের ময়লার মতই পড়ে ছিল। 


অনেকদিন পর মেয়ের বাবা মেয়ের বাসায় বেড়াতে আসে। এসে দেখে অবাক কান্ড। সে আশা করেছিল তার মেয়ে নিজের ঘ্রাণে তার নতুন ঘর ভরে ফেলবে কিন্তু সে ভাবেনি যে তার মেয়ে নিজেই এই দুর্গন্ধে ভরে যাবে। 


সে তার মেয়েকে যখন এই গন্ধের কথা জিজ্ঞাসা করে, তার মেয়ে প্রতিউত্তরে জানায় যে তার নাকে এখন আর কোন গন্ধ লাগেনা। সে ময়লার এই বিশাল স্তুপে আতর ঢালতে ঢালতে তার নিজের আতরের বোতল ই ফুরিয়ে গিয়েছে এবং ধৈর্য্য ধরতে ধরতে এতটাই সময় সে পাড় করে ফেলেছে যে এই গন্ধও তার এখন সহ্য হয়ে গিয়েছে। 


এতক্ষণে মেয়ের বাবা বুঝতে পারলেন যে, সব জায়গায় আসলে আতর ঢালতেই নেই। এবং গন্ধযুক্ত জায়গায় ধৈর্য্য ও ধরতে নেই। 

কারন এক পিপা আতর ঢেলে দিলেও নর্দমার গন্ধ দূর হয়না এবং ময়লায় ওপর আতর না ঢেলে, ধৈর্য্য না ধরে সেটা যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে পরিস্কার করে ফেলতে হয়। 


তাহলে হয়তোবা বেচে যাওয়া আতরটুকু দিয়ে আপনি নিজেকে ছাড়িয়ে যেয়ে আশেপাশের মানুষকেও সুঘ্রাণ ছড়াতে পারবেন.........।।।।।।


সংগৃহীত

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...